আমানুর রহমান রনি, ঢাকা

ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ই-অরেঞ্জের পৃষ্ঠপোষক ও বরখাস্ত হওয়া বনানী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) শেখ সোহেল রানার ভারতের জামিনদারকে গ্রেপ্তার করেছে দেশটির পুলিশ। সোহেল রানা ভারতে জামিন নেওয়ার পর থেকে পলাতক। আদালতে ভারতীয় দুই নাগরিক তাঁর জামিনদার হয়েছিলেন। তাঁদের একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
অপরদিকে, পলাতক থাকায় সোহেল রানার জামিন বাতিল করেছে কলকাতার উচ্চ আদালত। সোহেল রানার বর্তমান অবস্থান সম্পর্কে দেশের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে কোনো তথ্য নেই। বাংলাদেশের আদালতে তাঁর বিরুদ্ধে একাধিক মামলার বিচার চলছে। মানিলন্ডারিংসহ আরো কয়েকটি মামলা তদন্তাধীন। এই মামলার কারণেই পেমেন্ট গেটওয়েতে আটকে থাকা ৩৪ কোটি টাকা ফেরত পাচ্ছেন না ই-অরেঞ্জের গ্রাহকেরা।
সোহেল রানা কলকাতার হাইকোর্টে যেসব প্রক্রিয়া অনুসরণ করে জামিন নিয়েছেন তার কিছু তথ্যপ্রমাণ ও হাসপাতালের কাগজপত্র আজকের পত্রিকার হাতে এসেছে। আদালতের কাগজপত্রে দেখা গেছে, সোহেল রানা অসুস্থতার কথা বলে কলকাতার হাইকোর্টের সার্কিট বেঞ্চে জামিনের আবেদন করেন। গত বছরের ৮ ডিসেম্বর তিনি জামিন পান। আদালতে দুজন ভারতীয় নাগরিক তাঁর জামিনদার ছিলেন। তাঁরা হলেন—কোচবিহার মেখলিগঞ্জ থানার ইসমাইল হোসেনের ছেলে নূর আলম এবং একই থানার চৌরঙ্গীবাজারের রফিকুল রহমান।
সোহেল রানা জামিনের শর্ত ভঙ্গ করে পালানোর পর গত ফেব্রুয়ারির দ্বিতীয় সপ্তাহে জামিনদার নূর আলমকে গ্রেপ্তার করে মেখলিগঞ্জ থানা পুলিশ। তিনি ওই এলাকায় বিভিন্ন অপরাধের সঙ্গে জড়িত রয়েছে বলে জানিয়েছে মেখলিগঞ্জের থানা পুলিশ।
মেখলিগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাহুল তালুকদার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সোহেল রানার জামিনদার নূর আলমকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধ মামলা হয়েছে। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। তবে সোহেল রানা কোথায় পালিয়েছেন তা তিনি জানাতে পারেননি।’
এই জামিনদার দুজন সোহেল রানার পূর্ব পরিচিত বলে জানিয়েছে মেখলিগঞ্জ থানা পুলিশ।
২২ হাজার রুপি জামানতে সোহেল রানার জামিন হয়। তিনি সেটি পরিশোধ করেছেন। আর ছয় মাস কারভোগ করলেই তাঁর সাজার মেয়াদ সম্পন্ন হতো বলে জানিয়েছেন কোচবিহার জেলার মেখলিগঞ্জ মহকুমা আদালতের একজন বেঞ্চসহকারী।
সোহেল রানাকে প্রতি সপ্তাহে সশরীরে মেখলিগঞ্জ থানায় হাজির হওয়ার শর্তে কলকাতার হাইকোর্ট জামিন দেয়। কিন্তু সোহেল রানা আর ধরা দেননি। তাঁর আইনজীবী মেখলিগঞ্জের ওসিকে গত ৫ জানুয়ারি ফোনে জানান, সোহেল অসুস্থ, থানায় আসা সম্ভব না। ওসি অসুস্থ অবস্থায় তাঁকে থানায় যেতে বলেন। কিন্তু আইনজীবী সেটি করেননি। ওসি রাহুল তালুকদার বলেন, ‘আমাকে ই–মেইলে হাসপাতালের ব্যবস্থাপত্র ও একটি হাতে লেখা আবেদন পাঠিয়েছে। এরপর আর কোনো খবর নেই।’
মেখলিগঞ্জের ওসির কাছে সোহেল রানার আইনজীবী ইংরেজিতে ১৩ লাইনের একটি আবেদনে অসুস্থতার জন্য থানায় আসতে পারছেন না বলে উল্লেখ করেছেন। হৃদরোগ, উচ্চরক্তচাপ ও ডায়েবেটিসের কথা উল্লেখ করেন তিনি।
শর্ত অনুযায়ী থানায় হাজিরা না দেওয়ার বিষয়টি আদালতকে গত ফেব্রুয়ারিতে লিখিত ভাবে জানায় মেখলিগঞ্জ থানা পুলিশ। এরপর আদালত জামিন বাতিল করেন।
২০২১ সালের ৩ সেপ্টেম্বর ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর বিএসএফের হাতে পশ্চিমবঙ্গের কোচবিহারে গ্রেপ্তার হন সোহেন রানা। অবৈধ অনুপ্রবেশের দায়ে তাঁর তিন বছরের জেল হয়। তিনি নেপথ্যে থেকে ই-অরেঞ্জ পরিচালনা করতেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
সোহেল রানা এখন কোথায়?
এদিকে সোহেল রানার বর্তমান অবস্থান সম্পর্কে দুই দেশের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে কোনো তথ্য নেই বলে জানানো হলেও কোচবিহার পুলিশের সূত্র বলছে, তিনি পালিয়ে প্রথমে নেপালে গিয়েছেন। সেখান থেকে অন্য কোনো দেশে গিয়ে থাকতে পারেন।
সোহেল রানাকে গ্রেপ্তারের পর জিজ্ঞাসাবাদ করেছিল মেখলিগঞ্জ থানা পুলিশ। ওই থানার নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা বলেন, সোহেল রানার দেশ–বিদেশে অনেক যোগাযোগ রয়েছে। তাঁর নেপাল, থাইল্যান্ড, পর্তুগালসহ বিভিন্ন দেশে বন্ধুবান্ধব রয়েছে।
পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদে সোহেল জানিয়েছিলেন, তিনি ভারত হয়ে নেপালে যেতে চেয়েছিলেন। নেপাল থেকে ব্যাংকক হয়ে পর্তুগাল যাওয়ার জন্য ভারতে প্রবেশ করেছিলেন। নেপালে তাঁর পরিচিত লোকজন রয়েছে। পর্তুগালে সোহেলের ছোটভাই শেখ সাইফ থাকেন।
এদিকে সোহেলকে দেশে ফেরানোর বিষয়ে গত বছরের সেপ্টেম্বর পুলিশ সদর দপ্তরের ন্যাশনাল সেন্ট্রাল ব্যুরো (এনসিবি) থেকে ভারতীয় কর্তৃপক্ষ থেকে চিঠি দেওয়া হয়। সোহেল তখন কারাগারে ছিলেন বলে জানিয়েছে ভারত। গত ডিসেম্বরে জামিন পেলে তথ্য চেয়ে ফের চিঠি দেয় পুলিশ। কিন্তু ভারত থেকে এখনো উত্তর আসেনি।
এ ব্যাপারে পুলিশ সদর দপ্তরের জনসংযোগ ও গণমাধ্যম শাখার সহকারী মহাপরিদর্শক (এআইজি) মনজুর আহমেদ বলেন, ‘ভারত আমাদের এখনো কিছু জানায়নি। সোহেল রানা কোথায় আছে, তার কোনো তথ্য আমাদের কাছে নেই।’
গেটওয়েতে আটকা ৩৪ কোটি টাকা
বিভিন্ন গেটওয়ে ই-অরেঞ্জের ৩৪ কোটি ৬২ লাখ ১৭ হাজার ৪৮৯ টাকা আটকা। অন্যান্য ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানের আটকে থাকা টাকা ফেরত দিলেও ই-অরেঞ্জের টাকা ফেরত দিচ্ছে না বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। কারণ হিসেবে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ও ই-কমার্স সেলের প্রধান মো. হাফিজুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ই-অরেঞ্জের ঘটনায় উচ্চ আদালত ও নিম্ন আদালতে মামলা চলছে। এসব কারণে তাদের গেটওয়ের টাকা দেওয়া হচ্ছে না। তবে আমরা চেষ্টা করছি তাদের টাকাটা দ্রুত দেওয়ার জন্য।’
ই-অরেঞ্জের বিরুদ্ধে এখন পর্যন্ত ২৭টি মামলার তথ্য পাওয়া গেছে। একটি মানিলন্ডারিং, দুটি ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্টে এবং বাকিগুলো প্রতারণা করে অর্থআত্মসাতের অভিযোগ। মামলায় আসামিরা হলেন— ই–অরেঞ্জের মূল মালিক সোনিয়া মেহজাবিন, তাঁর স্বামী মাসুকুর রহমান, মালিক বীথি আকতার, প্রধান পরিচালন কর্মকর্তা (সিওও) আমানউল্লাহ চৌধুরী, প্রধান প্রযুক্তি কর্মকর্তা কাওসার আহমেদ এবং সাবেক সিও নাজমুল রাসেল।
তাঁদের মধ্যে সোহেল রানা, বীথি আকতার ও কাওসার পলাতক। নাজমুল রাসেল গত ফেব্রুয়ারি জামিনে কারাগার থেকে মুক্ত হয়েছেন। অধিকাংশ প্রতারণা মামলার অভিযোগপত্র দেওয়া হয়েছে। তবে অর্থপাচারের মামলা সিআইডি এখনও তদন্ত করছে।
অর্থপাচার মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও সিআইডির উপপরিদর্শক (এসআই) সাদেক আলী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘শিগগিরই মামলার অভিযোগপত্র দেওয়া হবে। তদন্ত শেষ পর্যায়ে।’

ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ই-অরেঞ্জের পৃষ্ঠপোষক ও বরখাস্ত হওয়া বনানী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) শেখ সোহেল রানার ভারতের জামিনদারকে গ্রেপ্তার করেছে দেশটির পুলিশ। সোহেল রানা ভারতে জামিন নেওয়ার পর থেকে পলাতক। আদালতে ভারতীয় দুই নাগরিক তাঁর জামিনদার হয়েছিলেন। তাঁদের একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
অপরদিকে, পলাতক থাকায় সোহেল রানার জামিন বাতিল করেছে কলকাতার উচ্চ আদালত। সোহেল রানার বর্তমান অবস্থান সম্পর্কে দেশের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে কোনো তথ্য নেই। বাংলাদেশের আদালতে তাঁর বিরুদ্ধে একাধিক মামলার বিচার চলছে। মানিলন্ডারিংসহ আরো কয়েকটি মামলা তদন্তাধীন। এই মামলার কারণেই পেমেন্ট গেটওয়েতে আটকে থাকা ৩৪ কোটি টাকা ফেরত পাচ্ছেন না ই-অরেঞ্জের গ্রাহকেরা।
সোহেল রানা কলকাতার হাইকোর্টে যেসব প্রক্রিয়া অনুসরণ করে জামিন নিয়েছেন তার কিছু তথ্যপ্রমাণ ও হাসপাতালের কাগজপত্র আজকের পত্রিকার হাতে এসেছে। আদালতের কাগজপত্রে দেখা গেছে, সোহেল রানা অসুস্থতার কথা বলে কলকাতার হাইকোর্টের সার্কিট বেঞ্চে জামিনের আবেদন করেন। গত বছরের ৮ ডিসেম্বর তিনি জামিন পান। আদালতে দুজন ভারতীয় নাগরিক তাঁর জামিনদার ছিলেন। তাঁরা হলেন—কোচবিহার মেখলিগঞ্জ থানার ইসমাইল হোসেনের ছেলে নূর আলম এবং একই থানার চৌরঙ্গীবাজারের রফিকুল রহমান।
সোহেল রানা জামিনের শর্ত ভঙ্গ করে পালানোর পর গত ফেব্রুয়ারির দ্বিতীয় সপ্তাহে জামিনদার নূর আলমকে গ্রেপ্তার করে মেখলিগঞ্জ থানা পুলিশ। তিনি ওই এলাকায় বিভিন্ন অপরাধের সঙ্গে জড়িত রয়েছে বলে জানিয়েছে মেখলিগঞ্জের থানা পুলিশ।
মেখলিগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাহুল তালুকদার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সোহেল রানার জামিনদার নূর আলমকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধ মামলা হয়েছে। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। তবে সোহেল রানা কোথায় পালিয়েছেন তা তিনি জানাতে পারেননি।’
এই জামিনদার দুজন সোহেল রানার পূর্ব পরিচিত বলে জানিয়েছে মেখলিগঞ্জ থানা পুলিশ।
২২ হাজার রুপি জামানতে সোহেল রানার জামিন হয়। তিনি সেটি পরিশোধ করেছেন। আর ছয় মাস কারভোগ করলেই তাঁর সাজার মেয়াদ সম্পন্ন হতো বলে জানিয়েছেন কোচবিহার জেলার মেখলিগঞ্জ মহকুমা আদালতের একজন বেঞ্চসহকারী।
সোহেল রানাকে প্রতি সপ্তাহে সশরীরে মেখলিগঞ্জ থানায় হাজির হওয়ার শর্তে কলকাতার হাইকোর্ট জামিন দেয়। কিন্তু সোহেল রানা আর ধরা দেননি। তাঁর আইনজীবী মেখলিগঞ্জের ওসিকে গত ৫ জানুয়ারি ফোনে জানান, সোহেল অসুস্থ, থানায় আসা সম্ভব না। ওসি অসুস্থ অবস্থায় তাঁকে থানায় যেতে বলেন। কিন্তু আইনজীবী সেটি করেননি। ওসি রাহুল তালুকদার বলেন, ‘আমাকে ই–মেইলে হাসপাতালের ব্যবস্থাপত্র ও একটি হাতে লেখা আবেদন পাঠিয়েছে। এরপর আর কোনো খবর নেই।’
মেখলিগঞ্জের ওসির কাছে সোহেল রানার আইনজীবী ইংরেজিতে ১৩ লাইনের একটি আবেদনে অসুস্থতার জন্য থানায় আসতে পারছেন না বলে উল্লেখ করেছেন। হৃদরোগ, উচ্চরক্তচাপ ও ডায়েবেটিসের কথা উল্লেখ করেন তিনি।
শর্ত অনুযায়ী থানায় হাজিরা না দেওয়ার বিষয়টি আদালতকে গত ফেব্রুয়ারিতে লিখিত ভাবে জানায় মেখলিগঞ্জ থানা পুলিশ। এরপর আদালত জামিন বাতিল করেন।
২০২১ সালের ৩ সেপ্টেম্বর ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর বিএসএফের হাতে পশ্চিমবঙ্গের কোচবিহারে গ্রেপ্তার হন সোহেন রানা। অবৈধ অনুপ্রবেশের দায়ে তাঁর তিন বছরের জেল হয়। তিনি নেপথ্যে থেকে ই-অরেঞ্জ পরিচালনা করতেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
সোহেল রানা এখন কোথায়?
এদিকে সোহেল রানার বর্তমান অবস্থান সম্পর্কে দুই দেশের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে কোনো তথ্য নেই বলে জানানো হলেও কোচবিহার পুলিশের সূত্র বলছে, তিনি পালিয়ে প্রথমে নেপালে গিয়েছেন। সেখান থেকে অন্য কোনো দেশে গিয়ে থাকতে পারেন।
সোহেল রানাকে গ্রেপ্তারের পর জিজ্ঞাসাবাদ করেছিল মেখলিগঞ্জ থানা পুলিশ। ওই থানার নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা বলেন, সোহেল রানার দেশ–বিদেশে অনেক যোগাযোগ রয়েছে। তাঁর নেপাল, থাইল্যান্ড, পর্তুগালসহ বিভিন্ন দেশে বন্ধুবান্ধব রয়েছে।
পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদে সোহেল জানিয়েছিলেন, তিনি ভারত হয়ে নেপালে যেতে চেয়েছিলেন। নেপাল থেকে ব্যাংকক হয়ে পর্তুগাল যাওয়ার জন্য ভারতে প্রবেশ করেছিলেন। নেপালে তাঁর পরিচিত লোকজন রয়েছে। পর্তুগালে সোহেলের ছোটভাই শেখ সাইফ থাকেন।
এদিকে সোহেলকে দেশে ফেরানোর বিষয়ে গত বছরের সেপ্টেম্বর পুলিশ সদর দপ্তরের ন্যাশনাল সেন্ট্রাল ব্যুরো (এনসিবি) থেকে ভারতীয় কর্তৃপক্ষ থেকে চিঠি দেওয়া হয়। সোহেল তখন কারাগারে ছিলেন বলে জানিয়েছে ভারত। গত ডিসেম্বরে জামিন পেলে তথ্য চেয়ে ফের চিঠি দেয় পুলিশ। কিন্তু ভারত থেকে এখনো উত্তর আসেনি।
এ ব্যাপারে পুলিশ সদর দপ্তরের জনসংযোগ ও গণমাধ্যম শাখার সহকারী মহাপরিদর্শক (এআইজি) মনজুর আহমেদ বলেন, ‘ভারত আমাদের এখনো কিছু জানায়নি। সোহেল রানা কোথায় আছে, তার কোনো তথ্য আমাদের কাছে নেই।’
গেটওয়েতে আটকা ৩৪ কোটি টাকা
বিভিন্ন গেটওয়ে ই-অরেঞ্জের ৩৪ কোটি ৬২ লাখ ১৭ হাজার ৪৮৯ টাকা আটকা। অন্যান্য ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানের আটকে থাকা টাকা ফেরত দিলেও ই-অরেঞ্জের টাকা ফেরত দিচ্ছে না বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। কারণ হিসেবে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ও ই-কমার্স সেলের প্রধান মো. হাফিজুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ই-অরেঞ্জের ঘটনায় উচ্চ আদালত ও নিম্ন আদালতে মামলা চলছে। এসব কারণে তাদের গেটওয়ের টাকা দেওয়া হচ্ছে না। তবে আমরা চেষ্টা করছি তাদের টাকাটা দ্রুত দেওয়ার জন্য।’
ই-অরেঞ্জের বিরুদ্ধে এখন পর্যন্ত ২৭টি মামলার তথ্য পাওয়া গেছে। একটি মানিলন্ডারিং, দুটি ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্টে এবং বাকিগুলো প্রতারণা করে অর্থআত্মসাতের অভিযোগ। মামলায় আসামিরা হলেন— ই–অরেঞ্জের মূল মালিক সোনিয়া মেহজাবিন, তাঁর স্বামী মাসুকুর রহমান, মালিক বীথি আকতার, প্রধান পরিচালন কর্মকর্তা (সিওও) আমানউল্লাহ চৌধুরী, প্রধান প্রযুক্তি কর্মকর্তা কাওসার আহমেদ এবং সাবেক সিও নাজমুল রাসেল।
তাঁদের মধ্যে সোহেল রানা, বীথি আকতার ও কাওসার পলাতক। নাজমুল রাসেল গত ফেব্রুয়ারি জামিনে কারাগার থেকে মুক্ত হয়েছেন। অধিকাংশ প্রতারণা মামলার অভিযোগপত্র দেওয়া হয়েছে। তবে অর্থপাচারের মামলা সিআইডি এখনও তদন্ত করছে।
অর্থপাচার মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও সিআইডির উপপরিদর্শক (এসআই) সাদেক আলী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘শিগগিরই মামলার অভিযোগপত্র দেওয়া হবে। তদন্ত শেষ পর্যায়ে।’
আমানুর রহমান রনি, ঢাকা

ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ই-অরেঞ্জের পৃষ্ঠপোষক ও বরখাস্ত হওয়া বনানী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) শেখ সোহেল রানার ভারতের জামিনদারকে গ্রেপ্তার করেছে দেশটির পুলিশ। সোহেল রানা ভারতে জামিন নেওয়ার পর থেকে পলাতক। আদালতে ভারতীয় দুই নাগরিক তাঁর জামিনদার হয়েছিলেন। তাঁদের একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
অপরদিকে, পলাতক থাকায় সোহেল রানার জামিন বাতিল করেছে কলকাতার উচ্চ আদালত। সোহেল রানার বর্তমান অবস্থান সম্পর্কে দেশের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে কোনো তথ্য নেই। বাংলাদেশের আদালতে তাঁর বিরুদ্ধে একাধিক মামলার বিচার চলছে। মানিলন্ডারিংসহ আরো কয়েকটি মামলা তদন্তাধীন। এই মামলার কারণেই পেমেন্ট গেটওয়েতে আটকে থাকা ৩৪ কোটি টাকা ফেরত পাচ্ছেন না ই-অরেঞ্জের গ্রাহকেরা।
সোহেল রানা কলকাতার হাইকোর্টে যেসব প্রক্রিয়া অনুসরণ করে জামিন নিয়েছেন তার কিছু তথ্যপ্রমাণ ও হাসপাতালের কাগজপত্র আজকের পত্রিকার হাতে এসেছে। আদালতের কাগজপত্রে দেখা গেছে, সোহেল রানা অসুস্থতার কথা বলে কলকাতার হাইকোর্টের সার্কিট বেঞ্চে জামিনের আবেদন করেন। গত বছরের ৮ ডিসেম্বর তিনি জামিন পান। আদালতে দুজন ভারতীয় নাগরিক তাঁর জামিনদার ছিলেন। তাঁরা হলেন—কোচবিহার মেখলিগঞ্জ থানার ইসমাইল হোসেনের ছেলে নূর আলম এবং একই থানার চৌরঙ্গীবাজারের রফিকুল রহমান।
সোহেল রানা জামিনের শর্ত ভঙ্গ করে পালানোর পর গত ফেব্রুয়ারির দ্বিতীয় সপ্তাহে জামিনদার নূর আলমকে গ্রেপ্তার করে মেখলিগঞ্জ থানা পুলিশ। তিনি ওই এলাকায় বিভিন্ন অপরাধের সঙ্গে জড়িত রয়েছে বলে জানিয়েছে মেখলিগঞ্জের থানা পুলিশ।
মেখলিগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাহুল তালুকদার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সোহেল রানার জামিনদার নূর আলমকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধ মামলা হয়েছে। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। তবে সোহেল রানা কোথায় পালিয়েছেন তা তিনি জানাতে পারেননি।’
এই জামিনদার দুজন সোহেল রানার পূর্ব পরিচিত বলে জানিয়েছে মেখলিগঞ্জ থানা পুলিশ।
২২ হাজার রুপি জামানতে সোহেল রানার জামিন হয়। তিনি সেটি পরিশোধ করেছেন। আর ছয় মাস কারভোগ করলেই তাঁর সাজার মেয়াদ সম্পন্ন হতো বলে জানিয়েছেন কোচবিহার জেলার মেখলিগঞ্জ মহকুমা আদালতের একজন বেঞ্চসহকারী।
সোহেল রানাকে প্রতি সপ্তাহে সশরীরে মেখলিগঞ্জ থানায় হাজির হওয়ার শর্তে কলকাতার হাইকোর্ট জামিন দেয়। কিন্তু সোহেল রানা আর ধরা দেননি। তাঁর আইনজীবী মেখলিগঞ্জের ওসিকে গত ৫ জানুয়ারি ফোনে জানান, সোহেল অসুস্থ, থানায় আসা সম্ভব না। ওসি অসুস্থ অবস্থায় তাঁকে থানায় যেতে বলেন। কিন্তু আইনজীবী সেটি করেননি। ওসি রাহুল তালুকদার বলেন, ‘আমাকে ই–মেইলে হাসপাতালের ব্যবস্থাপত্র ও একটি হাতে লেখা আবেদন পাঠিয়েছে। এরপর আর কোনো খবর নেই।’
মেখলিগঞ্জের ওসির কাছে সোহেল রানার আইনজীবী ইংরেজিতে ১৩ লাইনের একটি আবেদনে অসুস্থতার জন্য থানায় আসতে পারছেন না বলে উল্লেখ করেছেন। হৃদরোগ, উচ্চরক্তচাপ ও ডায়েবেটিসের কথা উল্লেখ করেন তিনি।
শর্ত অনুযায়ী থানায় হাজিরা না দেওয়ার বিষয়টি আদালতকে গত ফেব্রুয়ারিতে লিখিত ভাবে জানায় মেখলিগঞ্জ থানা পুলিশ। এরপর আদালত জামিন বাতিল করেন।
২০২১ সালের ৩ সেপ্টেম্বর ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর বিএসএফের হাতে পশ্চিমবঙ্গের কোচবিহারে গ্রেপ্তার হন সোহেন রানা। অবৈধ অনুপ্রবেশের দায়ে তাঁর তিন বছরের জেল হয়। তিনি নেপথ্যে থেকে ই-অরেঞ্জ পরিচালনা করতেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
সোহেল রানা এখন কোথায়?
এদিকে সোহেল রানার বর্তমান অবস্থান সম্পর্কে দুই দেশের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে কোনো তথ্য নেই বলে জানানো হলেও কোচবিহার পুলিশের সূত্র বলছে, তিনি পালিয়ে প্রথমে নেপালে গিয়েছেন। সেখান থেকে অন্য কোনো দেশে গিয়ে থাকতে পারেন।
সোহেল রানাকে গ্রেপ্তারের পর জিজ্ঞাসাবাদ করেছিল মেখলিগঞ্জ থানা পুলিশ। ওই থানার নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা বলেন, সোহেল রানার দেশ–বিদেশে অনেক যোগাযোগ রয়েছে। তাঁর নেপাল, থাইল্যান্ড, পর্তুগালসহ বিভিন্ন দেশে বন্ধুবান্ধব রয়েছে।
পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদে সোহেল জানিয়েছিলেন, তিনি ভারত হয়ে নেপালে যেতে চেয়েছিলেন। নেপাল থেকে ব্যাংকক হয়ে পর্তুগাল যাওয়ার জন্য ভারতে প্রবেশ করেছিলেন। নেপালে তাঁর পরিচিত লোকজন রয়েছে। পর্তুগালে সোহেলের ছোটভাই শেখ সাইফ থাকেন।
এদিকে সোহেলকে দেশে ফেরানোর বিষয়ে গত বছরের সেপ্টেম্বর পুলিশ সদর দপ্তরের ন্যাশনাল সেন্ট্রাল ব্যুরো (এনসিবি) থেকে ভারতীয় কর্তৃপক্ষ থেকে চিঠি দেওয়া হয়। সোহেল তখন কারাগারে ছিলেন বলে জানিয়েছে ভারত। গত ডিসেম্বরে জামিন পেলে তথ্য চেয়ে ফের চিঠি দেয় পুলিশ। কিন্তু ভারত থেকে এখনো উত্তর আসেনি।
এ ব্যাপারে পুলিশ সদর দপ্তরের জনসংযোগ ও গণমাধ্যম শাখার সহকারী মহাপরিদর্শক (এআইজি) মনজুর আহমেদ বলেন, ‘ভারত আমাদের এখনো কিছু জানায়নি। সোহেল রানা কোথায় আছে, তার কোনো তথ্য আমাদের কাছে নেই।’
গেটওয়েতে আটকা ৩৪ কোটি টাকা
বিভিন্ন গেটওয়ে ই-অরেঞ্জের ৩৪ কোটি ৬২ লাখ ১৭ হাজার ৪৮৯ টাকা আটকা। অন্যান্য ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানের আটকে থাকা টাকা ফেরত দিলেও ই-অরেঞ্জের টাকা ফেরত দিচ্ছে না বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। কারণ হিসেবে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ও ই-কমার্স সেলের প্রধান মো. হাফিজুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ই-অরেঞ্জের ঘটনায় উচ্চ আদালত ও নিম্ন আদালতে মামলা চলছে। এসব কারণে তাদের গেটওয়ের টাকা দেওয়া হচ্ছে না। তবে আমরা চেষ্টা করছি তাদের টাকাটা দ্রুত দেওয়ার জন্য।’
ই-অরেঞ্জের বিরুদ্ধে এখন পর্যন্ত ২৭টি মামলার তথ্য পাওয়া গেছে। একটি মানিলন্ডারিং, দুটি ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্টে এবং বাকিগুলো প্রতারণা করে অর্থআত্মসাতের অভিযোগ। মামলায় আসামিরা হলেন— ই–অরেঞ্জের মূল মালিক সোনিয়া মেহজাবিন, তাঁর স্বামী মাসুকুর রহমান, মালিক বীথি আকতার, প্রধান পরিচালন কর্মকর্তা (সিওও) আমানউল্লাহ চৌধুরী, প্রধান প্রযুক্তি কর্মকর্তা কাওসার আহমেদ এবং সাবেক সিও নাজমুল রাসেল।
তাঁদের মধ্যে সোহেল রানা, বীথি আকতার ও কাওসার পলাতক। নাজমুল রাসেল গত ফেব্রুয়ারি জামিনে কারাগার থেকে মুক্ত হয়েছেন। অধিকাংশ প্রতারণা মামলার অভিযোগপত্র দেওয়া হয়েছে। তবে অর্থপাচারের মামলা সিআইডি এখনও তদন্ত করছে।
অর্থপাচার মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও সিআইডির উপপরিদর্শক (এসআই) সাদেক আলী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘শিগগিরই মামলার অভিযোগপত্র দেওয়া হবে। তদন্ত শেষ পর্যায়ে।’

ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ই-অরেঞ্জের পৃষ্ঠপোষক ও বরখাস্ত হওয়া বনানী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) শেখ সোহেল রানার ভারতের জামিনদারকে গ্রেপ্তার করেছে দেশটির পুলিশ। সোহেল রানা ভারতে জামিন নেওয়ার পর থেকে পলাতক। আদালতে ভারতীয় দুই নাগরিক তাঁর জামিনদার হয়েছিলেন। তাঁদের একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
অপরদিকে, পলাতক থাকায় সোহেল রানার জামিন বাতিল করেছে কলকাতার উচ্চ আদালত। সোহেল রানার বর্তমান অবস্থান সম্পর্কে দেশের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে কোনো তথ্য নেই। বাংলাদেশের আদালতে তাঁর বিরুদ্ধে একাধিক মামলার বিচার চলছে। মানিলন্ডারিংসহ আরো কয়েকটি মামলা তদন্তাধীন। এই মামলার কারণেই পেমেন্ট গেটওয়েতে আটকে থাকা ৩৪ কোটি টাকা ফেরত পাচ্ছেন না ই-অরেঞ্জের গ্রাহকেরা।
সোহেল রানা কলকাতার হাইকোর্টে যেসব প্রক্রিয়া অনুসরণ করে জামিন নিয়েছেন তার কিছু তথ্যপ্রমাণ ও হাসপাতালের কাগজপত্র আজকের পত্রিকার হাতে এসেছে। আদালতের কাগজপত্রে দেখা গেছে, সোহেল রানা অসুস্থতার কথা বলে কলকাতার হাইকোর্টের সার্কিট বেঞ্চে জামিনের আবেদন করেন। গত বছরের ৮ ডিসেম্বর তিনি জামিন পান। আদালতে দুজন ভারতীয় নাগরিক তাঁর জামিনদার ছিলেন। তাঁরা হলেন—কোচবিহার মেখলিগঞ্জ থানার ইসমাইল হোসেনের ছেলে নূর আলম এবং একই থানার চৌরঙ্গীবাজারের রফিকুল রহমান।
সোহেল রানা জামিনের শর্ত ভঙ্গ করে পালানোর পর গত ফেব্রুয়ারির দ্বিতীয় সপ্তাহে জামিনদার নূর আলমকে গ্রেপ্তার করে মেখলিগঞ্জ থানা পুলিশ। তিনি ওই এলাকায় বিভিন্ন অপরাধের সঙ্গে জড়িত রয়েছে বলে জানিয়েছে মেখলিগঞ্জের থানা পুলিশ।
মেখলিগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাহুল তালুকদার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সোহেল রানার জামিনদার নূর আলমকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধ মামলা হয়েছে। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। তবে সোহেল রানা কোথায় পালিয়েছেন তা তিনি জানাতে পারেননি।’
এই জামিনদার দুজন সোহেল রানার পূর্ব পরিচিত বলে জানিয়েছে মেখলিগঞ্জ থানা পুলিশ।
২২ হাজার রুপি জামানতে সোহেল রানার জামিন হয়। তিনি সেটি পরিশোধ করেছেন। আর ছয় মাস কারভোগ করলেই তাঁর সাজার মেয়াদ সম্পন্ন হতো বলে জানিয়েছেন কোচবিহার জেলার মেখলিগঞ্জ মহকুমা আদালতের একজন বেঞ্চসহকারী।
সোহেল রানাকে প্রতি সপ্তাহে সশরীরে মেখলিগঞ্জ থানায় হাজির হওয়ার শর্তে কলকাতার হাইকোর্ট জামিন দেয়। কিন্তু সোহেল রানা আর ধরা দেননি। তাঁর আইনজীবী মেখলিগঞ্জের ওসিকে গত ৫ জানুয়ারি ফোনে জানান, সোহেল অসুস্থ, থানায় আসা সম্ভব না। ওসি অসুস্থ অবস্থায় তাঁকে থানায় যেতে বলেন। কিন্তু আইনজীবী সেটি করেননি। ওসি রাহুল তালুকদার বলেন, ‘আমাকে ই–মেইলে হাসপাতালের ব্যবস্থাপত্র ও একটি হাতে লেখা আবেদন পাঠিয়েছে। এরপর আর কোনো খবর নেই।’
মেখলিগঞ্জের ওসির কাছে সোহেল রানার আইনজীবী ইংরেজিতে ১৩ লাইনের একটি আবেদনে অসুস্থতার জন্য থানায় আসতে পারছেন না বলে উল্লেখ করেছেন। হৃদরোগ, উচ্চরক্তচাপ ও ডায়েবেটিসের কথা উল্লেখ করেন তিনি।
শর্ত অনুযায়ী থানায় হাজিরা না দেওয়ার বিষয়টি আদালতকে গত ফেব্রুয়ারিতে লিখিত ভাবে জানায় মেখলিগঞ্জ থানা পুলিশ। এরপর আদালত জামিন বাতিল করেন।
২০২১ সালের ৩ সেপ্টেম্বর ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর বিএসএফের হাতে পশ্চিমবঙ্গের কোচবিহারে গ্রেপ্তার হন সোহেন রানা। অবৈধ অনুপ্রবেশের দায়ে তাঁর তিন বছরের জেল হয়। তিনি নেপথ্যে থেকে ই-অরেঞ্জ পরিচালনা করতেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
সোহেল রানা এখন কোথায়?
এদিকে সোহেল রানার বর্তমান অবস্থান সম্পর্কে দুই দেশের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে কোনো তথ্য নেই বলে জানানো হলেও কোচবিহার পুলিশের সূত্র বলছে, তিনি পালিয়ে প্রথমে নেপালে গিয়েছেন। সেখান থেকে অন্য কোনো দেশে গিয়ে থাকতে পারেন।
সোহেল রানাকে গ্রেপ্তারের পর জিজ্ঞাসাবাদ করেছিল মেখলিগঞ্জ থানা পুলিশ। ওই থানার নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা বলেন, সোহেল রানার দেশ–বিদেশে অনেক যোগাযোগ রয়েছে। তাঁর নেপাল, থাইল্যান্ড, পর্তুগালসহ বিভিন্ন দেশে বন্ধুবান্ধব রয়েছে।
পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদে সোহেল জানিয়েছিলেন, তিনি ভারত হয়ে নেপালে যেতে চেয়েছিলেন। নেপাল থেকে ব্যাংকক হয়ে পর্তুগাল যাওয়ার জন্য ভারতে প্রবেশ করেছিলেন। নেপালে তাঁর পরিচিত লোকজন রয়েছে। পর্তুগালে সোহেলের ছোটভাই শেখ সাইফ থাকেন।
এদিকে সোহেলকে দেশে ফেরানোর বিষয়ে গত বছরের সেপ্টেম্বর পুলিশ সদর দপ্তরের ন্যাশনাল সেন্ট্রাল ব্যুরো (এনসিবি) থেকে ভারতীয় কর্তৃপক্ষ থেকে চিঠি দেওয়া হয়। সোহেল তখন কারাগারে ছিলেন বলে জানিয়েছে ভারত। গত ডিসেম্বরে জামিন পেলে তথ্য চেয়ে ফের চিঠি দেয় পুলিশ। কিন্তু ভারত থেকে এখনো উত্তর আসেনি।
এ ব্যাপারে পুলিশ সদর দপ্তরের জনসংযোগ ও গণমাধ্যম শাখার সহকারী মহাপরিদর্শক (এআইজি) মনজুর আহমেদ বলেন, ‘ভারত আমাদের এখনো কিছু জানায়নি। সোহেল রানা কোথায় আছে, তার কোনো তথ্য আমাদের কাছে নেই।’
গেটওয়েতে আটকা ৩৪ কোটি টাকা
বিভিন্ন গেটওয়ে ই-অরেঞ্জের ৩৪ কোটি ৬২ লাখ ১৭ হাজার ৪৮৯ টাকা আটকা। অন্যান্য ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানের আটকে থাকা টাকা ফেরত দিলেও ই-অরেঞ্জের টাকা ফেরত দিচ্ছে না বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। কারণ হিসেবে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ও ই-কমার্স সেলের প্রধান মো. হাফিজুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ই-অরেঞ্জের ঘটনায় উচ্চ আদালত ও নিম্ন আদালতে মামলা চলছে। এসব কারণে তাদের গেটওয়ের টাকা দেওয়া হচ্ছে না। তবে আমরা চেষ্টা করছি তাদের টাকাটা দ্রুত দেওয়ার জন্য।’
ই-অরেঞ্জের বিরুদ্ধে এখন পর্যন্ত ২৭টি মামলার তথ্য পাওয়া গেছে। একটি মানিলন্ডারিং, দুটি ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্টে এবং বাকিগুলো প্রতারণা করে অর্থআত্মসাতের অভিযোগ। মামলায় আসামিরা হলেন— ই–অরেঞ্জের মূল মালিক সোনিয়া মেহজাবিন, তাঁর স্বামী মাসুকুর রহমান, মালিক বীথি আকতার, প্রধান পরিচালন কর্মকর্তা (সিওও) আমানউল্লাহ চৌধুরী, প্রধান প্রযুক্তি কর্মকর্তা কাওসার আহমেদ এবং সাবেক সিও নাজমুল রাসেল।
তাঁদের মধ্যে সোহেল রানা, বীথি আকতার ও কাওসার পলাতক। নাজমুল রাসেল গত ফেব্রুয়ারি জামিনে কারাগার থেকে মুক্ত হয়েছেন। অধিকাংশ প্রতারণা মামলার অভিযোগপত্র দেওয়া হয়েছে। তবে অর্থপাচারের মামলা সিআইডি এখনও তদন্ত করছে।
অর্থপাচার মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও সিআইডির উপপরিদর্শক (এসআই) সাদেক আলী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘শিগগিরই মামলার অভিযোগপত্র দেওয়া হবে। তদন্ত শেষ পর্যায়ে।’

রাজধানীর মোহাম্মদপুরে মা-মেয়েকে খুন করার পর কথিক গৃহকর্মী আয়েশা ওই বাসা থেকে একটি মোবাইল ফোন, একটি ল্যাপটপ, বেশ কিছু স্বর্ণালংকার ও নগদ টাকা লুট করেন। এ ঘটনায় গতকাল সোমবার রাতে মোহাম্মদপুর থানায় কর হত্যা মামলার এজাহারে এই দাবি করা হয়েছে। তবে আয়েশা নামে পরিচয় দেওয়া ওই তরুণীর প্রকৃত পরিচয় মেলেনি এখনো।
১ দিন আগে
গ্রেপ্তারের পর সংস্থার বিশেষ পুলিশ সুপার জসীম উদ্দিন খান জানান, অপহরণকারীদের দেওয়া এমএফএস ও ব্যাংক হিসাব নম্বর বিশ্লেষণ করে জিয়াউর রহমানকে শনাক্ত করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে তিনি মুক্তিপণ থেকে ৫ লাখ টাকা কমিশন নেওয়ার কথা স্বীকার করেছেন।
২০ দিন আগে
গুলির নির্দেশনার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এটি পুলিশ কমিশনারের নির্দেশনা নয়, এটি দেশের আইন। আইন পুলিশ বানায় না, পার্লামেন্ট বানায়। আইন যা বলেছে, আমরা শুধু সেটাই অনুসরণের নির্দেশ দিয়েছি।’
২০ দিন আগে
প্রতি মাসে ১ লাখ টাকার বিপরীতে ২ হাজার টাকা লভ্যাংশ দেওয়ার কথা বলে গ্রাহকদের টাকা নেয় ‘বন্ধু মিতালী ফাউন্ডেশন’ নামের একটি এনজিও। এনজিওটির কার্যালয় নওগাঁ সদরের অফিসপাড়া এলাকায়। এর পরিচালক মো. নাজিম উদ্দিন তনু। প্রথম দিকে পরিচালকদের মনোনীত কিছু গ্রাহককে এই হারে লভ্যাংশ দেয় বন্ধু মিতালী ফাউন্ডেশন।
২০ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

রাজধানীর মোহাম্মদপুরে মা-মেয়েকে খুন করার পর কথিক গৃহকর্মী আয়েশা ওই বাসা থেকে একটি মোবাইল ফোন, একটি ল্যাপটপ, বেশ কিছু স্বর্ণালংকার ও নগদ টাকা লুট করেন। এ ঘটনায় গতকাল সোমবার রাতে মোহাম্মদপুর থানায় করা হত্যা মামলার এজাহারে এই দাবি করা হয়েছে। তবে আয়েশা নামে পরিচয় দেওয়া ওই তরুণীর প্রকৃত পরিচয় মেলেনি এখনো।
স্ত্রী লায়লা আফরোজ (৪৮) ও মেয়ে নাফিসা লাওয়াল বিনতে আজিজ (১৫) হত্যার ঘটনায় গতকাল মামলাটি করেন নাটোরের স্থায়ী বাসিন্দা আ জ ম আজিজুল ইসলাম। মামলায় কথিত গৃহকর্মী মোছা. আয়েশাকে (২০) একমাত্র আসামি করা হয়েছে। তবে এজাহারে তাঁর বাবার নাম ও ঠিকানায় ‘অজ্ঞাত’ লেখা হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার দুপুরে আজকের পত্রিকাকে মামলার এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন মোহাম্মদপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) রকিবুজ্জামান তালুকদার। গতকাল সকাল ৭টা ৫১ মিনিট থেকে ৯টা ৩৫ মিনিটের মধ্যে যেকোনো সময় এই হত্যাকাণ্ড ঘটেছে বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে।
এজাহারে বাদী আজিজুল লিখেছেন, তিনি পেশায় একজন শিক্ষক। মোহাম্মদপুরে পরিবার নিয়ে থাকেন। চার দিন আগে উল্লিখিত আসামি তাঁর বাসায় খণ্ডকালীন গৃহকর্মী হিসেবে কাজ শুরু করেন। গতকাল সকাল ৭টার দিকে তিনি (আজিজুল) তাঁর কর্মস্থল উত্তরায় চলে যান। কর্মস্থলে থাকাকালে তিনি তাঁর স্ত্রীর মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করে ব্যর্থ হন।
পরে তিনি বেলা ১১টার দিকে বাসায় আসেন। এসে দেখতে পান, তাঁর স্ত্রীর গলাসহ শরীরের বিভিন্ন জায়গায় কাটা। স্ত্রী রক্তাক্ত জখম হয়ে মৃত অবস্থায় পড়ে আছেন আর মেয়ের গলার নিচে ডান পাশে কাটা। মেয়ে গুরুতর অবস্থায় বাসার প্রধান ফটকে পড়ে আছে। মেয়ের এই অবস্থা দেখে তিনি দ্রুত তাকে উদ্ধার করেন। পরিচ্ছন্নতাকর্মী আশিকের মাধ্যমে মেয়েকে শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান। হাসপাতালে নেওয়ার পর তাকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক।
মামলায় আজিজুল আরও লিখেছেন, তিনি বাসার সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করে পর্যালোচনা করেন। এতে তিনি দেখতে পান, আসামি সকাল ৭টা ৫১ মিনিটের সময় কাজ করার জন্য বাসায় আসেন। সকাল ৯টা ৩৫ মিনিটের সময় আসামি তাঁর (বাদী) মেয়ের স্কুলড্রেস পরে বাসা থেকে পালিয়ে যান। যাওয়ার সময় একটি মোবাইল ফোন, একটি ল্যাপটপ, স্বর্ণালংকার, নগদ অর্থসহ অন্যান্য মূলবান সামগ্রী নিয়ে যান আসামি।
মামলায় বাদী লিখেছেন, সিসিটিভি ফুটেজ পর্যালোচনা করে তিনি নিশ্চিত হন যে, অজ্ঞাত কারণে আসামি তাঁর (বাদী) স্ত্রী ও মেয়েকে ছুরি বা অন্য কোনো ধারালো অস্ত্র দিয়ে গুরুতর জখম করে হত্যা করেন।
মা-মেয়ে হত্যার আসামিকে শনাক্ত করা যায়নি। মোহাম্মদপুর থানা-পুলিশ জানায়, গৃহকর্মীর পরিচয় এখনো শনাক্ত করা যায়নি। পুলিশ চেষ্টা চালাচ্ছে।

রাজধানীর মোহাম্মদপুরে মা-মেয়েকে খুন করার পর কথিক গৃহকর্মী আয়েশা ওই বাসা থেকে একটি মোবাইল ফোন, একটি ল্যাপটপ, বেশ কিছু স্বর্ণালংকার ও নগদ টাকা লুট করেন। এ ঘটনায় গতকাল সোমবার রাতে মোহাম্মদপুর থানায় করা হত্যা মামলার এজাহারে এই দাবি করা হয়েছে। তবে আয়েশা নামে পরিচয় দেওয়া ওই তরুণীর প্রকৃত পরিচয় মেলেনি এখনো।
স্ত্রী লায়লা আফরোজ (৪৮) ও মেয়ে নাফিসা লাওয়াল বিনতে আজিজ (১৫) হত্যার ঘটনায় গতকাল মামলাটি করেন নাটোরের স্থায়ী বাসিন্দা আ জ ম আজিজুল ইসলাম। মামলায় কথিত গৃহকর্মী মোছা. আয়েশাকে (২০) একমাত্র আসামি করা হয়েছে। তবে এজাহারে তাঁর বাবার নাম ও ঠিকানায় ‘অজ্ঞাত’ লেখা হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার দুপুরে আজকের পত্রিকাকে মামলার এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন মোহাম্মদপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) রকিবুজ্জামান তালুকদার। গতকাল সকাল ৭টা ৫১ মিনিট থেকে ৯টা ৩৫ মিনিটের মধ্যে যেকোনো সময় এই হত্যাকাণ্ড ঘটেছে বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে।
এজাহারে বাদী আজিজুল লিখেছেন, তিনি পেশায় একজন শিক্ষক। মোহাম্মদপুরে পরিবার নিয়ে থাকেন। চার দিন আগে উল্লিখিত আসামি তাঁর বাসায় খণ্ডকালীন গৃহকর্মী হিসেবে কাজ শুরু করেন। গতকাল সকাল ৭টার দিকে তিনি (আজিজুল) তাঁর কর্মস্থল উত্তরায় চলে যান। কর্মস্থলে থাকাকালে তিনি তাঁর স্ত্রীর মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করে ব্যর্থ হন।
পরে তিনি বেলা ১১টার দিকে বাসায় আসেন। এসে দেখতে পান, তাঁর স্ত্রীর গলাসহ শরীরের বিভিন্ন জায়গায় কাটা। স্ত্রী রক্তাক্ত জখম হয়ে মৃত অবস্থায় পড়ে আছেন আর মেয়ের গলার নিচে ডান পাশে কাটা। মেয়ে গুরুতর অবস্থায় বাসার প্রধান ফটকে পড়ে আছে। মেয়ের এই অবস্থা দেখে তিনি দ্রুত তাকে উদ্ধার করেন। পরিচ্ছন্নতাকর্মী আশিকের মাধ্যমে মেয়েকে শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান। হাসপাতালে নেওয়ার পর তাকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক।
মামলায় আজিজুল আরও লিখেছেন, তিনি বাসার সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করে পর্যালোচনা করেন। এতে তিনি দেখতে পান, আসামি সকাল ৭টা ৫১ মিনিটের সময় কাজ করার জন্য বাসায় আসেন। সকাল ৯টা ৩৫ মিনিটের সময় আসামি তাঁর (বাদী) মেয়ের স্কুলড্রেস পরে বাসা থেকে পালিয়ে যান। যাওয়ার সময় একটি মোবাইল ফোন, একটি ল্যাপটপ, স্বর্ণালংকার, নগদ অর্থসহ অন্যান্য মূলবান সামগ্রী নিয়ে যান আসামি।
মামলায় বাদী লিখেছেন, সিসিটিভি ফুটেজ পর্যালোচনা করে তিনি নিশ্চিত হন যে, অজ্ঞাত কারণে আসামি তাঁর (বাদী) স্ত্রী ও মেয়েকে ছুরি বা অন্য কোনো ধারালো অস্ত্র দিয়ে গুরুতর জখম করে হত্যা করেন।
মা-মেয়ে হত্যার আসামিকে শনাক্ত করা যায়নি। মোহাম্মদপুর থানা-পুলিশ জানায়, গৃহকর্মীর পরিচয় এখনো শনাক্ত করা যায়নি। পুলিশ চেষ্টা চালাচ্ছে।

ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ই-অরেঞ্জের পৃষ্ঠপোষক ও বরখাস্ত হওয়া বনানী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) শেখ সোহেল রানার ভারতের জামিনদারকে গ্রেপ্তার করেছে দেশটির পুলিশ। সোহেল রানা ভারতে জামিন নেওয়ার পর থেকে পলাতক। আদালতে ভারতীয় দুই নাগরিক তাঁর জামিনদার হয়েছিলেন। তাঁদের একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
০৭ মে ২০২৩
গ্রেপ্তারের পর সংস্থার বিশেষ পুলিশ সুপার জসীম উদ্দিন খান জানান, অপহরণকারীদের দেওয়া এমএফএস ও ব্যাংক হিসাব নম্বর বিশ্লেষণ করে জিয়াউর রহমানকে শনাক্ত করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে তিনি মুক্তিপণ থেকে ৫ লাখ টাকা কমিশন নেওয়ার কথা স্বীকার করেছেন।
২০ দিন আগে
গুলির নির্দেশনার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এটি পুলিশ কমিশনারের নির্দেশনা নয়, এটি দেশের আইন। আইন পুলিশ বানায় না, পার্লামেন্ট বানায়। আইন যা বলেছে, আমরা শুধু সেটাই অনুসরণের নির্দেশ দিয়েছি।’
২০ দিন আগে
প্রতি মাসে ১ লাখ টাকার বিপরীতে ২ হাজার টাকা লভ্যাংশ দেওয়ার কথা বলে গ্রাহকদের টাকা নেয় ‘বন্ধু মিতালী ফাউন্ডেশন’ নামের একটি এনজিও। এনজিওটির কার্যালয় নওগাঁ সদরের অফিসপাড়া এলাকায়। এর পরিচালক মো. নাজিম উদ্দিন তনু। প্রথম দিকে পরিচালকদের মনোনীত কিছু গ্রাহককে এই হারে লভ্যাংশ দেয় বন্ধু মিতালী ফাউন্ডেশন।
২০ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

সৌদি আরবে এক প্রবাসী ব্যবসায়ীকে অপহরণ করে বাংলাদেশে তাঁর পরিবারের কাছ থেকে ৫০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে একটি চক্র। না দিলে হত্যার হুমকিও দেওয়া হয়। পরিবারের সদস্যরা বিভিন্ন ব্যাংক হিসাব ও মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসে (এমএফএস) ধাপে ধাপে মোট ৩৫ লাখ টাকা পাঠালে সৌদি আরবের রিয়াদে অচেতন অবস্থায় তাঁকে ফেলে যায় অপহরণকারীরা।
গত মঙ্গলবার অপহরণকারী এই চক্রের বাংলাদেশি সদস্য মো. জিয়াউর রহমানকে (৪২) মাগুরার শালিখা থানার হরিপুর বাজার এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করেছে সিআইডি।
গ্রেপ্তারের পর সংস্থার বিশেষ পুলিশ সুপার জসীম উদ্দিন খান জানান, অপহরণকারীদের দেওয়া এমএফএস ও ব্যাংক হিসাব নম্বর বিশ্লেষণ করে জিয়াউর রহমানকে শনাক্ত করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে তিনি মুক্তিপণ থেকে ৫ লাখ টাকা কমিশন নেওয়ার কথা স্বীকার করেছেন।
চলতি বছরের ১২ জানুয়ারি মো. রাসেল নামের ওই প্রবাসীকে অপহরণের পর সে মাসের ২১ তারিখে তাঁর শ্বশুর রাজধানীর খিলগাঁও থানায় মামলা করেন। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। মামলাটি সিআইডির ঢাকা মেট্রো (পূর্ব) ইউনিট তদন্ত করছে।
মামলার এজাহারে বলা হয়, মো. রাসেল ২০ বছর ধরে রিয়াদে ব্যবসা করছেন। ১২ জানুয়ারি অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিরা তাঁকে অপহরণ করে তাঁর বড় ভাই সাইফুল ইসলামের কাছে ইমু ও ভিওআইপিতে ফোন করে মুক্তিপণ দাবি করে। টাকা না দিলে হত্যার হুমকিও দেওয়া হয়। কয়েক ধাপে টাকা পাঠানোর পর তাঁকে রাস্তার পাশে ফেলে রেখে যায় অপহরণকারীরা।

সৌদি আরবে এক প্রবাসী ব্যবসায়ীকে অপহরণ করে বাংলাদেশে তাঁর পরিবারের কাছ থেকে ৫০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে একটি চক্র। না দিলে হত্যার হুমকিও দেওয়া হয়। পরিবারের সদস্যরা বিভিন্ন ব্যাংক হিসাব ও মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসে (এমএফএস) ধাপে ধাপে মোট ৩৫ লাখ টাকা পাঠালে সৌদি আরবের রিয়াদে অচেতন অবস্থায় তাঁকে ফেলে যায় অপহরণকারীরা।
গত মঙ্গলবার অপহরণকারী এই চক্রের বাংলাদেশি সদস্য মো. জিয়াউর রহমানকে (৪২) মাগুরার শালিখা থানার হরিপুর বাজার এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করেছে সিআইডি।
গ্রেপ্তারের পর সংস্থার বিশেষ পুলিশ সুপার জসীম উদ্দিন খান জানান, অপহরণকারীদের দেওয়া এমএফএস ও ব্যাংক হিসাব নম্বর বিশ্লেষণ করে জিয়াউর রহমানকে শনাক্ত করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে তিনি মুক্তিপণ থেকে ৫ লাখ টাকা কমিশন নেওয়ার কথা স্বীকার করেছেন।
চলতি বছরের ১২ জানুয়ারি মো. রাসেল নামের ওই প্রবাসীকে অপহরণের পর সে মাসের ২১ তারিখে তাঁর শ্বশুর রাজধানীর খিলগাঁও থানায় মামলা করেন। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। মামলাটি সিআইডির ঢাকা মেট্রো (পূর্ব) ইউনিট তদন্ত করছে।
মামলার এজাহারে বলা হয়, মো. রাসেল ২০ বছর ধরে রিয়াদে ব্যবসা করছেন। ১২ জানুয়ারি অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিরা তাঁকে অপহরণ করে তাঁর বড় ভাই সাইফুল ইসলামের কাছে ইমু ও ভিওআইপিতে ফোন করে মুক্তিপণ দাবি করে। টাকা না দিলে হত্যার হুমকিও দেওয়া হয়। কয়েক ধাপে টাকা পাঠানোর পর তাঁকে রাস্তার পাশে ফেলে রেখে যায় অপহরণকারীরা।

ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ই-অরেঞ্জের পৃষ্ঠপোষক ও বরখাস্ত হওয়া বনানী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) শেখ সোহেল রানার ভারতের জামিনদারকে গ্রেপ্তার করেছে দেশটির পুলিশ। সোহেল রানা ভারতে জামিন নেওয়ার পর থেকে পলাতক। আদালতে ভারতীয় দুই নাগরিক তাঁর জামিনদার হয়েছিলেন। তাঁদের একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
০৭ মে ২০২৩
রাজধানীর মোহাম্মদপুরে মা-মেয়েকে খুন করার পর কথিক গৃহকর্মী আয়েশা ওই বাসা থেকে একটি মোবাইল ফোন, একটি ল্যাপটপ, বেশ কিছু স্বর্ণালংকার ও নগদ টাকা লুট করেন। এ ঘটনায় গতকাল সোমবার রাতে মোহাম্মদপুর থানায় কর হত্যা মামলার এজাহারে এই দাবি করা হয়েছে। তবে আয়েশা নামে পরিচয় দেওয়া ওই তরুণীর প্রকৃত পরিচয় মেলেনি এখনো।
১ দিন আগে
গুলির নির্দেশনার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এটি পুলিশ কমিশনারের নির্দেশনা নয়, এটি দেশের আইন। আইন পুলিশ বানায় না, পার্লামেন্ট বানায়। আইন যা বলেছে, আমরা শুধু সেটাই অনুসরণের নির্দেশ দিয়েছি।’
২০ দিন আগে
প্রতি মাসে ১ লাখ টাকার বিপরীতে ২ হাজার টাকা লভ্যাংশ দেওয়ার কথা বলে গ্রাহকদের টাকা নেয় ‘বন্ধু মিতালী ফাউন্ডেশন’ নামের একটি এনজিও। এনজিওটির কার্যালয় নওগাঁ সদরের অফিসপাড়া এলাকায়। এর পরিচালক মো. নাজিম উদ্দিন তনু। প্রথম দিকে পরিচালকদের মনোনীত কিছু গ্রাহককে এই হারে লভ্যাংশ দেয় বন্ধু মিতালী ফাউন্ডেশন।
২০ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

অরাজকতা প্রতিহত করতে গেলে পুলিশের সঙ্গে অসদাচরণ করা হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার শেখ সাজ্জাত আলী। তিনি বলেছেন, পুলিশ যখন অরাজকতা ঠেকানোর চেষ্টা করছে, তখন তাদের সঙ্গে যে আচরণ করা হয়েছে, তা অত্যন্ত দুঃখজনক।
ডিএমপি কমিশনার অনুরোধ জানিয়ে বলেন, ‘আমার অফিসারদের সঙ্গে এ ধরনের আচরণ করবেন না।’
আজ বৃহস্পতিবার সকালে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) সাইবার সাপোর্ট সেন্টার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
সাম্প্রতিক অরাজকতা প্রতিরোধের সময় পুলিশ সদস্যদের সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণের বিষয়ে ডিএমপি কমিশনার আরও বলেন, ‘পুলিশ যখন অরাজকতা প্রতিহত করার চেষ্টা করছিল, তখন আমার অফিসারদের সঙ্গে যে ধরনের ব্যবহার করা হয়েছে, তা অত্যন্ত হতাশাজনক। আমার অফিসারদের সঙ্গে খারাপ আচরণ করবেন না। আমরা সংঘাতে জড়াতে চাই না; আমরা সেবা দিতে চাই। আপনারা যেটি করতে চাচ্ছিলেন, সেটি করলে সমাজে, ঢাকায় এবং পুরো দেশে অরাজক পরিস্থিতির সৃষ্টি হতো।’
কমিশনার জানান, একটি গণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে সরকার পরিবর্তন হয়েছে। এখন যদি একই ধরনের কার্যকলাপ দেখা যায়, তাহলে সমাজে অস্থিরতা বাড়বে। এ জন্যই পুলিশের সদস্যরা দায়িত্ব পালন করছিলেন। কিন্তু তাঁদের প্রতি এমন আচরণ কোনো শিক্ষিত ও সচেতন মানুষের কাছ থেকে প্রত্যাশিত নয়।
পল্লবী থানার সামনে ককটেল বিস্ফোরণে এক পুলিশ সদস্য আহত হওয়ার ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি বলেন, ‘আমার নিরপরাধ অফিসারকে যেভাবে ককটেল মেরে আহত করা হয়েছে, তা অত্যন্ত উদ্বেগজনক। এতে সদস্যদের মনোবল নষ্ট হয় এবং এর ক্ষতি সমাজকেই ভোগ করতে হয়। যদি পুলিশের মনোবল ভেঙে যায়, তবে ৫ আগস্টের পর যেভাবে ৮০ বছরের বৃদ্ধও লাঠি হাতে নিয়ে মহল্লা পাহারা দিয়েছেন, সেই পরিস্থিতি আবার তৈরি হতে পারে।’
যারা ককটেল ছোড়া বা এ ধরনের দুর্বৃত্তায়নের মাধ্যমে পুলিশ সদস্যদের মনোবল ভাঙার চেষ্টা করছে, তাদের উদ্দেশে তিনি বলেন—‘এই কাজটি করবেন না।’
গুলির নির্দেশনার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এটি পুলিশ কমিশনারের নির্দেশনা নয়, এটি দেশের আইন। আইন পুলিশ বানায় না, পার্লামেন্ট বানায়। আইন যা বলেছে, আমরা শুধু সেটাই অনুসরণের নির্দেশ দিয়েছি।’
ডিএমপি কমিশনার জানান, দ্রুত পরিবর্তনশীল প্রযুক্তিনির্ভর অপরাধ মোকাবিলায় আধুনিক সক্ষমতা গড়ে তুলতেই ডিবির সাইবার সাপোর্ট সেন্টার উদ্বোধন করা হয়েছে। এখানে থাকবে অত্যাধুনিক প্রযুক্তিযুক্ত ল্যাব, দক্ষ তদন্তকারী দল, ডিজিটাল ফরেনসিক বিশেষজ্ঞ এবং ২৪ ঘণ্টার রেসপন্স টিম। ফেসবুক পেজ, ই-মেইল এবং ডিবির অনলাইন চ্যানেলের মাধ্যমে নাগরিকেরা সরাসরি অভিযোগ জানাতে পারবেন। প্রযুক্তিনির্ভর, সময়োপযোগী ও প্রমাণভিত্তিক পুলিশ সেবা নিশ্চিত করাই তাদের লক্ষ্য।
ডিএমপি কমিশনার বলেন, বর্তমান সময়ে অনলাইন জালিয়াতি, প্রতারণা, ডিজিটাল হয়রানি, মানহানি, অনলাইন গ্যাম্বলিংসহ নানা অপরাধ মানুষের ব্যক্তিগত নিরাপত্তা ও আর্থিক সুরক্ষাকে হুমকির মুখে ফেলছে। তাই জনগণের নিরাপত্তাকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে ডিএমপি তার সক্ষমতা বাড়িয়ে চলেছে।
নারী ও কিশোরদের সুরক্ষাকে গুরুত্ব দিয়ে সাইবার সাপোর্ট সেন্টার কাজ করবে উল্লেখ করে ডিএমপি কমিশনার বলেন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নারী ও কিশোরদের ওপর হয়রানির অভিযোগ দ্রুত সমাধানের জন্য বিশেষ উদ্যোগ নেওয়া হবে। হয়রানির শিকার হলে দ্রুত সহায়তা নিশ্চিত করাই তাদের অন্যতম অঙ্গীকার।
সাইবার নিরাপত্তা শুধু পুলিশের দায়িত্ব নয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, পরিবার, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও সমাজের সচেতনতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। নিরাপদ অনলাইন পরিবেশ গড়ে তুলতে তিনি সম্মিলিত উদ্যোগের ওপর গুরুত্ব দেন।

অরাজকতা প্রতিহত করতে গেলে পুলিশের সঙ্গে অসদাচরণ করা হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার শেখ সাজ্জাত আলী। তিনি বলেছেন, পুলিশ যখন অরাজকতা ঠেকানোর চেষ্টা করছে, তখন তাদের সঙ্গে যে আচরণ করা হয়েছে, তা অত্যন্ত দুঃখজনক।
ডিএমপি কমিশনার অনুরোধ জানিয়ে বলেন, ‘আমার অফিসারদের সঙ্গে এ ধরনের আচরণ করবেন না।’
আজ বৃহস্পতিবার সকালে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) সাইবার সাপোর্ট সেন্টার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
সাম্প্রতিক অরাজকতা প্রতিরোধের সময় পুলিশ সদস্যদের সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণের বিষয়ে ডিএমপি কমিশনার আরও বলেন, ‘পুলিশ যখন অরাজকতা প্রতিহত করার চেষ্টা করছিল, তখন আমার অফিসারদের সঙ্গে যে ধরনের ব্যবহার করা হয়েছে, তা অত্যন্ত হতাশাজনক। আমার অফিসারদের সঙ্গে খারাপ আচরণ করবেন না। আমরা সংঘাতে জড়াতে চাই না; আমরা সেবা দিতে চাই। আপনারা যেটি করতে চাচ্ছিলেন, সেটি করলে সমাজে, ঢাকায় এবং পুরো দেশে অরাজক পরিস্থিতির সৃষ্টি হতো।’
কমিশনার জানান, একটি গণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে সরকার পরিবর্তন হয়েছে। এখন যদি একই ধরনের কার্যকলাপ দেখা যায়, তাহলে সমাজে অস্থিরতা বাড়বে। এ জন্যই পুলিশের সদস্যরা দায়িত্ব পালন করছিলেন। কিন্তু তাঁদের প্রতি এমন আচরণ কোনো শিক্ষিত ও সচেতন মানুষের কাছ থেকে প্রত্যাশিত নয়।
পল্লবী থানার সামনে ককটেল বিস্ফোরণে এক পুলিশ সদস্য আহত হওয়ার ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি বলেন, ‘আমার নিরপরাধ অফিসারকে যেভাবে ককটেল মেরে আহত করা হয়েছে, তা অত্যন্ত উদ্বেগজনক। এতে সদস্যদের মনোবল নষ্ট হয় এবং এর ক্ষতি সমাজকেই ভোগ করতে হয়। যদি পুলিশের মনোবল ভেঙে যায়, তবে ৫ আগস্টের পর যেভাবে ৮০ বছরের বৃদ্ধও লাঠি হাতে নিয়ে মহল্লা পাহারা দিয়েছেন, সেই পরিস্থিতি আবার তৈরি হতে পারে।’
যারা ককটেল ছোড়া বা এ ধরনের দুর্বৃত্তায়নের মাধ্যমে পুলিশ সদস্যদের মনোবল ভাঙার চেষ্টা করছে, তাদের উদ্দেশে তিনি বলেন—‘এই কাজটি করবেন না।’
গুলির নির্দেশনার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এটি পুলিশ কমিশনারের নির্দেশনা নয়, এটি দেশের আইন। আইন পুলিশ বানায় না, পার্লামেন্ট বানায়। আইন যা বলেছে, আমরা শুধু সেটাই অনুসরণের নির্দেশ দিয়েছি।’
ডিএমপি কমিশনার জানান, দ্রুত পরিবর্তনশীল প্রযুক্তিনির্ভর অপরাধ মোকাবিলায় আধুনিক সক্ষমতা গড়ে তুলতেই ডিবির সাইবার সাপোর্ট সেন্টার উদ্বোধন করা হয়েছে। এখানে থাকবে অত্যাধুনিক প্রযুক্তিযুক্ত ল্যাব, দক্ষ তদন্তকারী দল, ডিজিটাল ফরেনসিক বিশেষজ্ঞ এবং ২৪ ঘণ্টার রেসপন্স টিম। ফেসবুক পেজ, ই-মেইল এবং ডিবির অনলাইন চ্যানেলের মাধ্যমে নাগরিকেরা সরাসরি অভিযোগ জানাতে পারবেন। প্রযুক্তিনির্ভর, সময়োপযোগী ও প্রমাণভিত্তিক পুলিশ সেবা নিশ্চিত করাই তাদের লক্ষ্য।
ডিএমপি কমিশনার বলেন, বর্তমান সময়ে অনলাইন জালিয়াতি, প্রতারণা, ডিজিটাল হয়রানি, মানহানি, অনলাইন গ্যাম্বলিংসহ নানা অপরাধ মানুষের ব্যক্তিগত নিরাপত্তা ও আর্থিক সুরক্ষাকে হুমকির মুখে ফেলছে। তাই জনগণের নিরাপত্তাকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে ডিএমপি তার সক্ষমতা বাড়িয়ে চলেছে।
নারী ও কিশোরদের সুরক্ষাকে গুরুত্ব দিয়ে সাইবার সাপোর্ট সেন্টার কাজ করবে উল্লেখ করে ডিএমপি কমিশনার বলেন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নারী ও কিশোরদের ওপর হয়রানির অভিযোগ দ্রুত সমাধানের জন্য বিশেষ উদ্যোগ নেওয়া হবে। হয়রানির শিকার হলে দ্রুত সহায়তা নিশ্চিত করাই তাদের অন্যতম অঙ্গীকার।
সাইবার নিরাপত্তা শুধু পুলিশের দায়িত্ব নয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, পরিবার, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও সমাজের সচেতনতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। নিরাপদ অনলাইন পরিবেশ গড়ে তুলতে তিনি সম্মিলিত উদ্যোগের ওপর গুরুত্ব দেন।

ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ই-অরেঞ্জের পৃষ্ঠপোষক ও বরখাস্ত হওয়া বনানী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) শেখ সোহেল রানার ভারতের জামিনদারকে গ্রেপ্তার করেছে দেশটির পুলিশ। সোহেল রানা ভারতে জামিন নেওয়ার পর থেকে পলাতক। আদালতে ভারতীয় দুই নাগরিক তাঁর জামিনদার হয়েছিলেন। তাঁদের একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
০৭ মে ২০২৩
রাজধানীর মোহাম্মদপুরে মা-মেয়েকে খুন করার পর কথিক গৃহকর্মী আয়েশা ওই বাসা থেকে একটি মোবাইল ফোন, একটি ল্যাপটপ, বেশ কিছু স্বর্ণালংকার ও নগদ টাকা লুট করেন। এ ঘটনায় গতকাল সোমবার রাতে মোহাম্মদপুর থানায় কর হত্যা মামলার এজাহারে এই দাবি করা হয়েছে। তবে আয়েশা নামে পরিচয় দেওয়া ওই তরুণীর প্রকৃত পরিচয় মেলেনি এখনো।
১ দিন আগে
গ্রেপ্তারের পর সংস্থার বিশেষ পুলিশ সুপার জসীম উদ্দিন খান জানান, অপহরণকারীদের দেওয়া এমএফএস ও ব্যাংক হিসাব নম্বর বিশ্লেষণ করে জিয়াউর রহমানকে শনাক্ত করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে তিনি মুক্তিপণ থেকে ৫ লাখ টাকা কমিশন নেওয়ার কথা স্বীকার করেছেন।
২০ দিন আগে
প্রতি মাসে ১ লাখ টাকার বিপরীতে ২ হাজার টাকা লভ্যাংশ দেওয়ার কথা বলে গ্রাহকদের টাকা নেয় ‘বন্ধু মিতালী ফাউন্ডেশন’ নামের একটি এনজিও। এনজিওটির কার্যালয় নওগাঁ সদরের অফিসপাড়া এলাকায়। এর পরিচালক মো. নাজিম উদ্দিন তনু। প্রথম দিকে পরিচালকদের মনোনীত কিছু গ্রাহককে এই হারে লভ্যাংশ দেয় বন্ধু মিতালী ফাউন্ডেশন।
২০ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

‘অতি লোভে তাঁতি নষ্ট’— প্রচলিত প্রবাদ যে হুবহু বাস্তবে ঘটতে পারে, তার প্রমাণ মিলল উত্তরাঞ্চলের জেলা নওগাঁয়। এই জেলার ৮০০ জনের বেশি মানুষকে অতি মুনাফার ফাঁদে ফেলে ৬০০ কোটি টাকা আত্মসাতের চাঞ্চল্যকর ঘটনা ঘটেছে।
বিপুল পরিমাণ অর্থ আত্মসাতের অন্যতম হোতা মো. নাজিম উদ্দিন তনুকে (৩৭) গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ—সিআইডি। গতকাল বুধবার সকালে আত্মগোপনে থাকা অবস্থায় রাজধানী ঢাকার দক্ষিণখান এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার (মিডিয়া) জসীম উদ্দিন খান এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
সিআইডির পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গ্রেপ্তার মো. নাজিম উদ্দিন তনুর বাড়ি নওগাঁ সদর উপজেলার জগৎসিংহপুরে। প্রায় এক বছর আগে ২০২৪ সালের ১২ নভেম্বর নওগাঁ সদর থানায় নাজিম উদ্দিনসহ কয়েকজনের নামে কোটি কোটি টাকা আত্মসাতের মামলা করেছিলেন এক ব্যক্তি। মামলাটি বর্তমানে সিআইডির নওগাঁ জেলা ইউনিট পরিচালনা করছে।
মামলার তদন্তে জানা যায়, প্রতি মাসে ১ লাখ টাকার বিপরীতে ২ হাজার টাকা লভ্যাংশ দেওয়ার কথা বলে গ্রাহকদের টাকা নেয় ‘বন্ধু মিতালী ফাউন্ডেশন’ নামের একটি এনজিও। এনজিওটির কার্যালয় নওগাঁ সদরের অফিসপাড়া এলাকায়। পরিচালক মো. নাজিম উদ্দিন তনু।
প্রথম দিকে পরিচালকদের মনোনীত কিছু গ্রাহককে এই হারে লভ্যাংশ দেয় বন্ধু মিতালী ফাউন্ডেশন। পরে প্রতিষ্ঠানটির পরিচালকেরা সুকৌশলে প্রচার করা শুরু করেন। তাঁদের এই ফাঁদে পড়ে বহু সাধারণ মানুষ বন্ধু মিতালী ফাউন্ডেশনে গ্রাহক হিসেবে বিনিয়োগে আগ্রহী হন। মামলার বাদী নিজেই ২০ লাখ টাকা বিনিয়োগ করেন। ২০২৪ সালের আগস্ট মাসের পর থেকে বন্ধু মিতালী ফাউন্ডেশনে আর্থিক লেনদেনে অস্বচ্ছতা দেখা দেয়। ভুক্তভোগী গ্রাহকেরা সে সময় থেকে তাঁদের জমাকৃত কিংবা ঋণের অর্থ ঠিকঠাক উত্তোলন করতে পারছিলেন না। বিষয়টি নিয়ে অভিযাগ জানালে প্রতিষ্ঠানের পক্ষ হতে গ্রাহকদের কাছে কিছুটা সময় চেয়ে নেন পরিচালক তনু।
কিন্তু গত বছরের নভেম্বরে আও বন্ধু মিতালী ফাউন্ডেশনের কার্যালয়ে গিয়ে বাদীসহ অন্য ভুক্তভোগীরা নিজেদের অর্থ ফেরত চাইলে কর্তৃপক্ষ বিভিন্ন টালবাহানা ও সময়ক্ষেপণ করতে থাকে। একপর্যায়ে গ্রাহকদের অর্থ দেওয়া হবে না মর্মে জানিয়ে সেখান থেকে তাড়িয়ে দেওয়া হয়।
এই ঘটনার পর বাদী নওগাঁ সদর থানায় মামলা (মামলা নম্বর ২০, তারিখ ১২-১১-২০২৪, ধারা-৪০৬/৪২০ পেনাল কোড-১৮৬০) করেন। বাদী এজাহারে উল্লেখ করেন যে ভুক্তভোগীদের প্রায় ১৫০ কোটি টাকা প্রতিষ্ঠানে জমা ছিল।
তবে সিআইডি জানায়, এ পর্যন্ত আট শতাধিক ভুক্তভোগী ৬০০ কোটির বেশি টাকা বিনিয়োগ করে প্রতারিত হয়েছেন বলে প্রাথমিক তদন্তে তথ্য পাওয়া গেছে। তথ্য যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে। এই ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকায় মো. নাজিম উদ্দিন তনুসহ মোট ছয়জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

‘অতি লোভে তাঁতি নষ্ট’— প্রচলিত প্রবাদ যে হুবহু বাস্তবে ঘটতে পারে, তার প্রমাণ মিলল উত্তরাঞ্চলের জেলা নওগাঁয়। এই জেলার ৮০০ জনের বেশি মানুষকে অতি মুনাফার ফাঁদে ফেলে ৬০০ কোটি টাকা আত্মসাতের চাঞ্চল্যকর ঘটনা ঘটেছে।
বিপুল পরিমাণ অর্থ আত্মসাতের অন্যতম হোতা মো. নাজিম উদ্দিন তনুকে (৩৭) গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ—সিআইডি। গতকাল বুধবার সকালে আত্মগোপনে থাকা অবস্থায় রাজধানী ঢাকার দক্ষিণখান এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার (মিডিয়া) জসীম উদ্দিন খান এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
সিআইডির পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গ্রেপ্তার মো. নাজিম উদ্দিন তনুর বাড়ি নওগাঁ সদর উপজেলার জগৎসিংহপুরে। প্রায় এক বছর আগে ২০২৪ সালের ১২ নভেম্বর নওগাঁ সদর থানায় নাজিম উদ্দিনসহ কয়েকজনের নামে কোটি কোটি টাকা আত্মসাতের মামলা করেছিলেন এক ব্যক্তি। মামলাটি বর্তমানে সিআইডির নওগাঁ জেলা ইউনিট পরিচালনা করছে।
মামলার তদন্তে জানা যায়, প্রতি মাসে ১ লাখ টাকার বিপরীতে ২ হাজার টাকা লভ্যাংশ দেওয়ার কথা বলে গ্রাহকদের টাকা নেয় ‘বন্ধু মিতালী ফাউন্ডেশন’ নামের একটি এনজিও। এনজিওটির কার্যালয় নওগাঁ সদরের অফিসপাড়া এলাকায়। পরিচালক মো. নাজিম উদ্দিন তনু।
প্রথম দিকে পরিচালকদের মনোনীত কিছু গ্রাহককে এই হারে লভ্যাংশ দেয় বন্ধু মিতালী ফাউন্ডেশন। পরে প্রতিষ্ঠানটির পরিচালকেরা সুকৌশলে প্রচার করা শুরু করেন। তাঁদের এই ফাঁদে পড়ে বহু সাধারণ মানুষ বন্ধু মিতালী ফাউন্ডেশনে গ্রাহক হিসেবে বিনিয়োগে আগ্রহী হন। মামলার বাদী নিজেই ২০ লাখ টাকা বিনিয়োগ করেন। ২০২৪ সালের আগস্ট মাসের পর থেকে বন্ধু মিতালী ফাউন্ডেশনে আর্থিক লেনদেনে অস্বচ্ছতা দেখা দেয়। ভুক্তভোগী গ্রাহকেরা সে সময় থেকে তাঁদের জমাকৃত কিংবা ঋণের অর্থ ঠিকঠাক উত্তোলন করতে পারছিলেন না। বিষয়টি নিয়ে অভিযাগ জানালে প্রতিষ্ঠানের পক্ষ হতে গ্রাহকদের কাছে কিছুটা সময় চেয়ে নেন পরিচালক তনু।
কিন্তু গত বছরের নভেম্বরে আও বন্ধু মিতালী ফাউন্ডেশনের কার্যালয়ে গিয়ে বাদীসহ অন্য ভুক্তভোগীরা নিজেদের অর্থ ফেরত চাইলে কর্তৃপক্ষ বিভিন্ন টালবাহানা ও সময়ক্ষেপণ করতে থাকে। একপর্যায়ে গ্রাহকদের অর্থ দেওয়া হবে না মর্মে জানিয়ে সেখান থেকে তাড়িয়ে দেওয়া হয়।
এই ঘটনার পর বাদী নওগাঁ সদর থানায় মামলা (মামলা নম্বর ২০, তারিখ ১২-১১-২০২৪, ধারা-৪০৬/৪২০ পেনাল কোড-১৮৬০) করেন। বাদী এজাহারে উল্লেখ করেন যে ভুক্তভোগীদের প্রায় ১৫০ কোটি টাকা প্রতিষ্ঠানে জমা ছিল।
তবে সিআইডি জানায়, এ পর্যন্ত আট শতাধিক ভুক্তভোগী ৬০০ কোটির বেশি টাকা বিনিয়োগ করে প্রতারিত হয়েছেন বলে প্রাথমিক তদন্তে তথ্য পাওয়া গেছে। তথ্য যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে। এই ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকায় মো. নাজিম উদ্দিন তনুসহ মোট ছয়জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ই-অরেঞ্জের পৃষ্ঠপোষক ও বরখাস্ত হওয়া বনানী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) শেখ সোহেল রানার ভারতের জামিনদারকে গ্রেপ্তার করেছে দেশটির পুলিশ। সোহেল রানা ভারতে জামিন নেওয়ার পর থেকে পলাতক। আদালতে ভারতীয় দুই নাগরিক তাঁর জামিনদার হয়েছিলেন। তাঁদের একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
০৭ মে ২০২৩
রাজধানীর মোহাম্মদপুরে মা-মেয়েকে খুন করার পর কথিক গৃহকর্মী আয়েশা ওই বাসা থেকে একটি মোবাইল ফোন, একটি ল্যাপটপ, বেশ কিছু স্বর্ণালংকার ও নগদ টাকা লুট করেন। এ ঘটনায় গতকাল সোমবার রাতে মোহাম্মদপুর থানায় কর হত্যা মামলার এজাহারে এই দাবি করা হয়েছে। তবে আয়েশা নামে পরিচয় দেওয়া ওই তরুণীর প্রকৃত পরিচয় মেলেনি এখনো।
১ দিন আগে
গ্রেপ্তারের পর সংস্থার বিশেষ পুলিশ সুপার জসীম উদ্দিন খান জানান, অপহরণকারীদের দেওয়া এমএফএস ও ব্যাংক হিসাব নম্বর বিশ্লেষণ করে জিয়াউর রহমানকে শনাক্ত করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে তিনি মুক্তিপণ থেকে ৫ লাখ টাকা কমিশন নেওয়ার কথা স্বীকার করেছেন।
২০ দিন আগে
গুলির নির্দেশনার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এটি পুলিশ কমিশনারের নির্দেশনা নয়, এটি দেশের আইন। আইন পুলিশ বানায় না, পার্লামেন্ট বানায়। আইন যা বলেছে, আমরা শুধু সেটাই অনুসরণের নির্দেশ দিয়েছি।’
২০ দিন আগে