সরিষাবাড়ী (জামালপুর) প্রতিনিধি
জামালপুরের সরিষাবাড়ীতে ইজিবাইকে ফ্রি সার্ভিস দিতে রাজি না হওয়ায় জুয়েল রাজ নামে এক চালককে বন্দুকের বাঁট দিয়ে বেধড়ক পিটিয়ে গুরুতর জখম করেছে পুলিশ। গত বুধবার সন্ধ্যায় বাসস্ট্যান্ড এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। পরে ইজিবাইক চালককে স্থানীয়রা উদ্ধার করে সরিষাবাড়ী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ভর্তি করে। তবে সরিষাবাড়ী থানা–পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) আব্দুল মজিদ মারধরের বিষয়টি অস্বীকার করেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সরিষাবাড়ী থানা–পুলিশ ফ্রি সার্ভিসে রাতের ডিউটি পালনের জন্য প্রতিদিন সন্ধ্যায় ৩ থেকে ৪ ইজিবাইক নেয়। প্রতিদিনের মতো উপজেলার ভাটারা ইউনিয়নের মৃত সামছুল রাজের ছেলে ইজিবাইক চালক জুয়েল রাজকে (৪০) ফ্রি সার্ভিস দিতে বলে পুলিশ। জুয়েল তার চাচা মারা যাওয়ার কথা জানায়। এ কথা শুনে পুলিশের উপপরিদর্শক আব্দুল করিম তাকে ছেড়ে দেন। একটু এগোতেই পুলিশের কনস্টেবল জাহাঙ্গীর তার পথে রোধ করে।
পুলিশের উপপরিদর্শক আব্দুল করিমকে তার সমস্যার কথা জানিয়ে চলে যাওয়ার অনুমতি নিয়েছেন বলে জানান জুয়েল। তবুও জোর করে বাসস্ট্যান্ড এলাকা থেকে ইজিবাইকে চেপে বসেন কনস্টেবল জাহাঙ্গীর। জুয়েল তাকে কয়েক দফা ইজিবাইক থেকে নেমে যাওয়ার অনুরোধ জানান। তার অনুরোধ না শুনে ক্ষেপে যান কনস্টেবল জাহাঙ্গীর। জাহাঙ্গীর জুয়েলকে বলেন কোথায় যাবি যা। জুয়েল ইজিবাইক চালিয়ে পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের সামনে পৌছে যায়। এ সময় পেছন থেকে পুলিশের উপপরিদর্শক আব্দুল করিম ও তার আরও কয়েকজন কনস্টেবল গিয়ে ফের তার পথ রোধ করেন। পরে পুলিশের ওই সদস্যরা মিলে জুয়েলকে বন্দুক দিয়ে বেধড়ক পিটিয়ে আহত করেন। পরে স্থানীয়রা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।
এ ব্যাপারে জুয়েল রাজ বলেন, তার এক চাচা গত মঙ্গলবার মারা যান। এ উপলক্ষে বিভিন্ন এলাকা থেকে আত্মীয় আসে। গত বুধবার দুপুর থেকে তিনি ইজিবাইক যোগে তাদেরকে বিভিন্ন গন্তব্যে পৌঁছে দিচ্ছিলেন। তিনি তার এক খালাকে নিয়ে উপজেলার মহাদান ইউনিয়নের সানাকৈর যাচ্ছিলেন। এমন সময় পুলিশ তাকে অন্যায়ভাবে বন্দুক দিয়ে পিটিয়ে বেধড়ক মারধর করে।
এ বিষয়ে পুলিশের উপপরিদর্শক আব্দুল করিম বলেন, তিনি জুয়েলের সমস্যার কথা শুনে তাকে ছেড়ে দেন। পরে কনস্টেবল জাহাঙ্গীরের সঙ্গে জুয়েলের ধস্তাধস্তি হয়।
সরিষাবাড়ী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আব্দুল মজিদ ইজিবাইক চালক জুয়েলকে মারধরের কথা অস্বীকার করেন। সরিষাবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল কর্মকর্তা শাহেদুর রহমান জানান, গত বুধবার সন্ধ্যায় জুয়েল তার মুখ, ঠোঁট ও পায়ে আঘাতের চিহ্ন নিয়ে ভর্তি হয়।
মানবাধিকার বাস্তবায়ন সংস্থার সরিষাবাড়ী উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আব্দুর রউফ গফুর বলেন, ঘটনার সময় তার বড় ভাই ওই পুলিশ সদস্যদের চালককে না মারতে অনুরোধ করেন। তবুও তারা শোনেনি। একজন দরিদ্র ইজিবাইক চালককে এমন অমানবিকভাবে পুলিশের মারধর করা ঠিক হয়নি।
জামালপুরের সরিষাবাড়ীতে ইজিবাইকে ফ্রি সার্ভিস দিতে রাজি না হওয়ায় জুয়েল রাজ নামে এক চালককে বন্দুকের বাঁট দিয়ে বেধড়ক পিটিয়ে গুরুতর জখম করেছে পুলিশ। গত বুধবার সন্ধ্যায় বাসস্ট্যান্ড এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। পরে ইজিবাইক চালককে স্থানীয়রা উদ্ধার করে সরিষাবাড়ী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ভর্তি করে। তবে সরিষাবাড়ী থানা–পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) আব্দুল মজিদ মারধরের বিষয়টি অস্বীকার করেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সরিষাবাড়ী থানা–পুলিশ ফ্রি সার্ভিসে রাতের ডিউটি পালনের জন্য প্রতিদিন সন্ধ্যায় ৩ থেকে ৪ ইজিবাইক নেয়। প্রতিদিনের মতো উপজেলার ভাটারা ইউনিয়নের মৃত সামছুল রাজের ছেলে ইজিবাইক চালক জুয়েল রাজকে (৪০) ফ্রি সার্ভিস দিতে বলে পুলিশ। জুয়েল তার চাচা মারা যাওয়ার কথা জানায়। এ কথা শুনে পুলিশের উপপরিদর্শক আব্দুল করিম তাকে ছেড়ে দেন। একটু এগোতেই পুলিশের কনস্টেবল জাহাঙ্গীর তার পথে রোধ করে।
পুলিশের উপপরিদর্শক আব্দুল করিমকে তার সমস্যার কথা জানিয়ে চলে যাওয়ার অনুমতি নিয়েছেন বলে জানান জুয়েল। তবুও জোর করে বাসস্ট্যান্ড এলাকা থেকে ইজিবাইকে চেপে বসেন কনস্টেবল জাহাঙ্গীর। জুয়েল তাকে কয়েক দফা ইজিবাইক থেকে নেমে যাওয়ার অনুরোধ জানান। তার অনুরোধ না শুনে ক্ষেপে যান কনস্টেবল জাহাঙ্গীর। জাহাঙ্গীর জুয়েলকে বলেন কোথায় যাবি যা। জুয়েল ইজিবাইক চালিয়ে পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের সামনে পৌছে যায়। এ সময় পেছন থেকে পুলিশের উপপরিদর্শক আব্দুল করিম ও তার আরও কয়েকজন কনস্টেবল গিয়ে ফের তার পথ রোধ করেন। পরে পুলিশের ওই সদস্যরা মিলে জুয়েলকে বন্দুক দিয়ে বেধড়ক পিটিয়ে আহত করেন। পরে স্থানীয়রা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।
এ ব্যাপারে জুয়েল রাজ বলেন, তার এক চাচা গত মঙ্গলবার মারা যান। এ উপলক্ষে বিভিন্ন এলাকা থেকে আত্মীয় আসে। গত বুধবার দুপুর থেকে তিনি ইজিবাইক যোগে তাদেরকে বিভিন্ন গন্তব্যে পৌঁছে দিচ্ছিলেন। তিনি তার এক খালাকে নিয়ে উপজেলার মহাদান ইউনিয়নের সানাকৈর যাচ্ছিলেন। এমন সময় পুলিশ তাকে অন্যায়ভাবে বন্দুক দিয়ে পিটিয়ে বেধড়ক মারধর করে।
এ বিষয়ে পুলিশের উপপরিদর্শক আব্দুল করিম বলেন, তিনি জুয়েলের সমস্যার কথা শুনে তাকে ছেড়ে দেন। পরে কনস্টেবল জাহাঙ্গীরের সঙ্গে জুয়েলের ধস্তাধস্তি হয়।
সরিষাবাড়ী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আব্দুল মজিদ ইজিবাইক চালক জুয়েলকে মারধরের কথা অস্বীকার করেন। সরিষাবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল কর্মকর্তা শাহেদুর রহমান জানান, গত বুধবার সন্ধ্যায় জুয়েল তার মুখ, ঠোঁট ও পায়ে আঘাতের চিহ্ন নিয়ে ভর্তি হয়।
মানবাধিকার বাস্তবায়ন সংস্থার সরিষাবাড়ী উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আব্দুর রউফ গফুর বলেন, ঘটনার সময় তার বড় ভাই ওই পুলিশ সদস্যদের চালককে না মারতে অনুরোধ করেন। তবুও তারা শোনেনি। একজন দরিদ্র ইজিবাইক চালককে এমন অমানবিকভাবে পুলিশের মারধর করা ঠিক হয়নি।
নরসিংদীর শিবপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হারুনুর রশিদ খান হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত আসামি মহসিন মিয়াকে (৪৬) দুবাই থেকে দেশে ফিরিয়ে এনেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। ইন্টারপোলের রেড নোটিশের ভিত্তিতে দুবাই পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে এবং বাংলাদেশ পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে।
১১ দিন আগেসবার সামনে পিটিয়ে হত্যা, পাথরে শরীর থেঁতলে দেওয়া, নিজের বাড়ির সামনে গুলি করে পায়ের রগ কেটে হত্যা, অস্ত্র দেখিয়ে সর্বস্ব ছিনতাই, চাঁদা না পেয়ে গুলি—এ ধরনের বেশ কয়েকটি ঘটনা কয়েক দিন ধরে বেশ আলোচিত। কিন্তু পুলিশ অনেকটাই নির্বিকার। প্রতিটি ঘটনার সিটিটিভি ফুটেজ থাকলেও সব অপরাধীকে গ্রেপ্তার করেনি পুলিশ।
২২ দিন আগেএবার রাজধানীর শ্যামলীতে ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজ ইতিমধ্যে ভাইরাল হয়েছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। যেখানে দেখা যাচ্ছে, মানিব্যাগ, কাঁধের ব্যাগ ও মোবাইল ফোন নেওয়ার পর ছিনতাইকারীরা এক যুবকের পোশাক ও জুতা খুলে নিয়ে গেছে।
২৪ দিন আগেমোবাইল চুরির ঘটনায় বোরহান নামের এক তরুণকে বেধড়ক মারধর করা হয়। ছেলেকে বাঁচাতে বোরহানের বাবা রুবির পরিবারের সাহায্য চান। বসে এক গ্রাম্য সালিস। তবে সেই সালিসে কোনো মীমাংসা হয় না। এরই মধ্য নিখোঁজ হয়ে যান বোরহান। এতে এলাকায় রব পড়ে বোরহানকে হত্যা ও লাশ গুম করে ফেলা হয়েছে। তখন বোরহানের বাবা থানায় অভিযোগ দা
০৫ জুলাই ২০২৫