বাগাতিপাড়া (নাটোর) প্রতিনিধি
নাটোরের বাগাতিপাড়ায় দীর্ঘদিন থেকে আখের রস ছাড়াই তৈরি করা হচ্ছে গুড়। এই গুড় তৈরিতে কাঁচামাল হিসেবে ব্যবহার হচ্ছে নিম্নমানের চিটাগুড়, রং, চিনি, চুন, ফিটকিরি ও ডালডা। এ বিষয়ে মাঝেমধ্যে স্থানীয় প্রশাসন এবং জেলার ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ দপ্তর অভিযান পরিচালনা করে জরিমানা ও ভেজাল গুড় জব্দ করে ধ্বংস করেন। পাশাপাশি নেওয়া হয় মুচলেকা। তারপরও থামানো যাচ্ছে না ভেজাল গুড় তৈরি।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা আব্দুর রাজ্জাক জানান, এ ধরনের ভেজাল গুড় খেলে মানুষের পেটে পীড়া এবং নানান জটিল রোগসহ ক্যানসার পর্যন্ত হতে পারে।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, ৩৫ থেকে ৩৮টি কারখানায় প্রতি রাতে অবৈধভাবে চিনি গলিয়ে এর সঙ্গে চুন, নিম্নমানের চিটাগুড়, ফিটকিরি, ডালডা, হাইড্রোজ এবং রং মিশিয়ে জাল দিয়ে গুড়ের পাটালি তৈরি করা হয়। সেই পাটালিগুলো ভোররাতে ভ্যানে করে পাঠানো হয় নাটোর শহরে। সেখান থেকে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়ে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যক্তি বলেন, এই উপজেলা থেকে প্রতিদিন ভোরবেলায় ভ্যানে করে শত শত মণ ভেজাল গুড় নাটোর শহরে যায়। সেগুলো বিক্রি করে ফেরার সময় ওই ভ্যানেই আবার শহর থেকে চিনির বস্তা নিয়ে আসা হয়। অবৈধভাবে ওই গুড় তৈরি বন্ধ করতে নিয়মিত অভিযান পরিচালনা প্রয়োজন।
জানা গেছে, আখের রস ছাড়াই নিষিদ্ধ দ্রব্য মিশিয়ে গুড় তৈরির খবরে নাটোরের ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ দপ্তর র্যাব-৫ এর সহায়তায় কয়েকটি অভিযান পরিচালনা করেন। এর মধ্যে, গত ১৬ নভেম্বর মণ্ডলপাড়া এলাকায় রেজাউল গুড় ভান্ডারকে ৬০ হাজার টাকা এবং একই এলাকার মান্নান গুড় ভান্ডারকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এদিকে গত ৩০ অক্টোবর রাতে উপজেলার ক্ষিদ্রমালঞ্চি এলাকায় মিজানুর গুড় ভান্ডারকে ৩০ হাজার এবং চকগোয়াস বেগুনিয়া এলাকায় হোসনেয়ারা গুড় ভান্ডারকে এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। ওই অভিযানে ২৪ হাজার ৭০০ কেজি ভেজাল গুড়, ৬ হাজার ৫০০ কেজি চিনির সিরাপ, ১০ কেজি চুন এবং তিন কেজি ফিটকিরি ধ্বংস করা হয়।
এর আগে গত ১৫ অক্টোবর রাতে উপজেলার আরও পাঁচটি গুড় ভান্ডারকে মোট ১ লাখ ৩১ হাজার ৯০০ টাকা জরিমানা করা হয়। এ ছাড়া আগস্ট মাস থেকে বিভিন্ন সময়ে এ ধরনের অভিযান পরিচালনা করে কারখানার মালিকদের জরিমানা করা হয়েছে।
এ বিষয়ে নাটোরের ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ দপ্তরের সহকারী পরিচালক মেহেদী হাসান তানভীর বলেন, শুধু ভোক্তা অধিকার বা প্রশাসন থেকে জরিমানা করে ভেজাল গুড় তৈরি বন্ধ করা যাচ্ছে না। এটি বন্ধ করতে জরিমানার পাশাপাশি জেলের মাধ্যমে সাজা দেওয়া প্রয়োজন।
ভারপ্রাপ্ত উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুরাইয়া মমতাজ বলেন, দুটি দপ্তরের দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে ভেজাল গুড় তৈরির বিরুদ্ধে নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করা সম্ভব হয় না। তারপরও মাঝেমধ্যে অভিযান পরিচালনা করা হয়। এ ধরনের অভিযান চলমান থাকবে।
নাটোরের বাগাতিপাড়ায় দীর্ঘদিন থেকে আখের রস ছাড়াই তৈরি করা হচ্ছে গুড়। এই গুড় তৈরিতে কাঁচামাল হিসেবে ব্যবহার হচ্ছে নিম্নমানের চিটাগুড়, রং, চিনি, চুন, ফিটকিরি ও ডালডা। এ বিষয়ে মাঝেমধ্যে স্থানীয় প্রশাসন এবং জেলার ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ দপ্তর অভিযান পরিচালনা করে জরিমানা ও ভেজাল গুড় জব্দ করে ধ্বংস করেন। পাশাপাশি নেওয়া হয় মুচলেকা। তারপরও থামানো যাচ্ছে না ভেজাল গুড় তৈরি।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা আব্দুর রাজ্জাক জানান, এ ধরনের ভেজাল গুড় খেলে মানুষের পেটে পীড়া এবং নানান জটিল রোগসহ ক্যানসার পর্যন্ত হতে পারে।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, ৩৫ থেকে ৩৮টি কারখানায় প্রতি রাতে অবৈধভাবে চিনি গলিয়ে এর সঙ্গে চুন, নিম্নমানের চিটাগুড়, ফিটকিরি, ডালডা, হাইড্রোজ এবং রং মিশিয়ে জাল দিয়ে গুড়ের পাটালি তৈরি করা হয়। সেই পাটালিগুলো ভোররাতে ভ্যানে করে পাঠানো হয় নাটোর শহরে। সেখান থেকে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়ে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যক্তি বলেন, এই উপজেলা থেকে প্রতিদিন ভোরবেলায় ভ্যানে করে শত শত মণ ভেজাল গুড় নাটোর শহরে যায়। সেগুলো বিক্রি করে ফেরার সময় ওই ভ্যানেই আবার শহর থেকে চিনির বস্তা নিয়ে আসা হয়। অবৈধভাবে ওই গুড় তৈরি বন্ধ করতে নিয়মিত অভিযান পরিচালনা প্রয়োজন।
জানা গেছে, আখের রস ছাড়াই নিষিদ্ধ দ্রব্য মিশিয়ে গুড় তৈরির খবরে নাটোরের ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ দপ্তর র্যাব-৫ এর সহায়তায় কয়েকটি অভিযান পরিচালনা করেন। এর মধ্যে, গত ১৬ নভেম্বর মণ্ডলপাড়া এলাকায় রেজাউল গুড় ভান্ডারকে ৬০ হাজার টাকা এবং একই এলাকার মান্নান গুড় ভান্ডারকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এদিকে গত ৩০ অক্টোবর রাতে উপজেলার ক্ষিদ্রমালঞ্চি এলাকায় মিজানুর গুড় ভান্ডারকে ৩০ হাজার এবং চকগোয়াস বেগুনিয়া এলাকায় হোসনেয়ারা গুড় ভান্ডারকে এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। ওই অভিযানে ২৪ হাজার ৭০০ কেজি ভেজাল গুড়, ৬ হাজার ৫০০ কেজি চিনির সিরাপ, ১০ কেজি চুন এবং তিন কেজি ফিটকিরি ধ্বংস করা হয়।
এর আগে গত ১৫ অক্টোবর রাতে উপজেলার আরও পাঁচটি গুড় ভান্ডারকে মোট ১ লাখ ৩১ হাজার ৯০০ টাকা জরিমানা করা হয়। এ ছাড়া আগস্ট মাস থেকে বিভিন্ন সময়ে এ ধরনের অভিযান পরিচালনা করে কারখানার মালিকদের জরিমানা করা হয়েছে।
এ বিষয়ে নাটোরের ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ দপ্তরের সহকারী পরিচালক মেহেদী হাসান তানভীর বলেন, শুধু ভোক্তা অধিকার বা প্রশাসন থেকে জরিমানা করে ভেজাল গুড় তৈরি বন্ধ করা যাচ্ছে না। এটি বন্ধ করতে জরিমানার পাশাপাশি জেলের মাধ্যমে সাজা দেওয়া প্রয়োজন।
ভারপ্রাপ্ত উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুরাইয়া মমতাজ বলেন, দুটি দপ্তরের দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে ভেজাল গুড় তৈরির বিরুদ্ধে নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করা সম্ভব হয় না। তারপরও মাঝেমধ্যে অভিযান পরিচালনা করা হয়। এ ধরনের অভিযান চলমান থাকবে।
চাঁদপুর-মুন্সিগঞ্জ নৌ সীমানার মোহনপুর এলাকায় মেঘনা নদীতে দুই গ্রুপের সংঘর্ষ ও গোলাগুলিতে দুই জন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হয়েছেন আরও একজন। আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে মুন্সিগঞ্জ ও চাঁদপুর মতলব উত্তর মোহনপুরের চড় আব্দুল্লাহপুর নাছিরার চরে নদীতে এ ঘটনা ঘটে।
২ দিন আগেরাজধানীর মোহাম্মদপুরে আবারও অস্ত্রের মুখে একটি পরিবারকে জিম্মি করে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। আজ বৃহস্পতিবার ভোররাতে মোহাম্মদপুরের বছিলাসংলগ্ন লাউতলা এলাকার ৮ নম্বর সড়কের ১০ নম্বর বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী তত্ত্বাবধায়ক নাসিমা বেগম মোহাম্মদপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন।
২৮ নভেম্বর ২০২৪রাজধানীর বিমানবন্দরে শরীরে বিশেষ কৌশলে গাঁজা নিয়ে এসে পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হয়েছে তিনজন কিশোর। তাঁরা বর্তমানে কিশোর সংশোধনাগারের রয়েছে।
০৮ নভেম্বর ২০২৪পরিবারে আর্থিক স্বচ্ছলতা ফেরাতে সিঙ্গাপুরে যান দুই ভাই উজ্জ্বল মিয়া ও মো. ঝন্টু। সেখানে থাকা অবস্থায় মুঠোফোনে ভাবির সঙ্গে পরকীয়ায় জড়ান ছোট ভাই মো. ঝন্টু। পরে দেশে ফিরে ভাবিকে বিয়ে করার জন্য আপন বড় ভাই উজ্জ্বল মিয়াকে খুন করে ছোট ভাই।
০৭ নভেম্বর ২০২৪