রাজধানীর রাজারবাগ পিরের বিরুদ্ধে টেলিভিশনে সংবাদ সম্প্রচারের জের ধরে আরটিভির নিজস্ব প্রতিবেদক অধরা ইয়াসমিনের বিরুদ্ধে মামলা অবিলম্বে তুলে নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে কমিটি টু প্রটেক্ট জার্নালিস্টস (সিপিজে)। পাশাপাশি সাংবাদিকদের ভয় দেখাতে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ব্যবহার বন্ধের আহ্বান জানিয়েছে সাংবাদিকদের অধিকার রক্ষার আন্তর্জাতিক সংগঠনটি।
ঢাকায় কর্মরত সাংবাদিক অধরার বিরুদ্ধে চলতি বছরের ১৩ মে চট্টগ্রামের সাইবার ট্রাইব্যুনালে শাকেরুল কবির নামে এক ব্যক্তি ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ২০১৮-এর ২৪, ২৫ ও ২৯ ধারায় মামলাটি করেন। তদন্ত কর্মকর্তা মো. রফিকুল ইসলাম গত সোমবার আরটিভিতে চিঠি দেওয়ার পর বিষয়টি জানাজানি হয়।
গত ৩০ মে পির দিল্লুর রহমান ও তাঁর সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে মামলাবাজি, সারা দেশে অসংখ্য মানুষকে হয়রানি, জমি দখলসহ বিভিন্ন অপরাধের অভিযোগ নিয়ে আরটিভিতে অধরার অনুসন্ধানী সংবাদ সম্প্রচারিত হয়। শাকেরুল পির দিল্লুর রহমানের অন্যতম সহযোগী ও মুরিদ, প্রতিবেদনে আছে তাঁর নামও।
সাংবাদিক অধরা ইয়াসমিনের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলা অবিলম্বে প্রত্যাহারের আহ্বান জানিয়ে দেওয়া বিবৃতি সিপিজের এশিয়া শাখার টুইটার অ্যাকাউন্টে শেয়ার করা হয়েছে।
বিবৃতিতে সিপিজের প্রোগ্রাম পরিচালক কার্লোস মার্তিনেজ দে লা সেরনা বলেন, ‘বাংলাদেশি সাংবাদিক অধরা ইয়াসমিনকে তাঁর কাজের জন্য ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মতো ‘কালো আইনের’ লক্ষ্যবস্তু বানানো হয়েছে। অধরা ইয়াসমিনের বিরুদ্ধে চলমান তদন্ত অবিলম্বে কর্তৃপক্ষকে বন্ধ করতে হবে। সাংবাদিকদের হয়রানি করতে এই আইনের ব্যবহার বন্ধ করতে হবে। অধরা ইয়াসমিন তাঁর কাজের জন্য যেন রোষের শিকার না হন, তা নিশ্চিত করতে হবে।
রাজারবাগ দরবার শরীফ, শাকেরুল কবির ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা রফিকুল ইসলামকে ফোন করে ও বার্তা পাঠিয়ে কথা বলার চেষ্টা সিপিজে করলেও কোনো উত্তর আসেনি।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ২০১৮ সালে বাংলাদেশে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন কার্যকরের পর থেকে বিভিন্ন সময়ে সাংবাদিকদের হয়রানি করতে এই আইনের ব্যবহার দেখা গেছে। চলতি বছরের মার্চে প্রথম আলোর সাংবাদিককে (শামসুজ্জামান শামস) গ্রেপ্তার করে তাঁর বিরুদ্ধে এই আইনের আওতায় মামলার কথাও তুলে ধরা হয়।
এরপর সংবাদপত্রের নেতৃত্ব ও কর্মীদের ওপর এই আইনের ব্যবহার বন্ধে জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনার ফলকার টুর্কও সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।
ঘটনার বিষয়ে জানতে চাইলে সাংবাদিক অধরা ইয়াসমিন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘দুই মাস আগে রাজারবাগ পির সিন্ডিকেটের অপকর্ম নিয়ে অপরাধবিষয়ক প্রতিবেদন করেছিলাম। সেই নিউজ নিয়ে খুব তোলপাড় হয়। রাজারবাগ দরবার শরিফের পক্ষ থেকে নিউজ সরানোর জন্য বলা হয়। হঠাৎ গতকাল (সোমবার) রাজধানীর তেজগাঁও থানা থেকে আমাকে জানানো হয় আমার নামে একটা চিঠি আছে। সেই চিঠি হাতে পেয়ে বুঝতে পারলাম আমার বিরুদ্ধে ডিজিটাল আইনে মামলা হয়েছে। মামলার কাগজ তোলার পর জানতে পারলাম, রাজারবাগ দরবার শরিফের মুরিদ, মামলাবাজ সিন্ডিকেটের মূল হোতা শাকেরুল কবির মামলাটি করেছেন।’
অধরার বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলার ঘটনায় নিন্দা জানিয়েছে ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন (ডিইউজে), ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি, বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরাম, মাল্টিমিডিয়া রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন, ইয়ুথ জার্নালিস্ট কমিউনিটি ও তেজগাঁও কলেজ সাংবাদিক সমিতিসহ বেশ কিছু সংগঠন।
রাজধানীর রাজারবাগ পিরের বিরুদ্ধে টেলিভিশনে সংবাদ সম্প্রচারের জের ধরে আরটিভির নিজস্ব প্রতিবেদক অধরা ইয়াসমিনের বিরুদ্ধে মামলা অবিলম্বে তুলে নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে কমিটি টু প্রটেক্ট জার্নালিস্টস (সিপিজে)। পাশাপাশি সাংবাদিকদের ভয় দেখাতে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ব্যবহার বন্ধের আহ্বান জানিয়েছে সাংবাদিকদের অধিকার রক্ষার আন্তর্জাতিক সংগঠনটি।
ঢাকায় কর্মরত সাংবাদিক অধরার বিরুদ্ধে চলতি বছরের ১৩ মে চট্টগ্রামের সাইবার ট্রাইব্যুনালে শাকেরুল কবির নামে এক ব্যক্তি ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ২০১৮-এর ২৪, ২৫ ও ২৯ ধারায় মামলাটি করেন। তদন্ত কর্মকর্তা মো. রফিকুল ইসলাম গত সোমবার আরটিভিতে চিঠি দেওয়ার পর বিষয়টি জানাজানি হয়।
গত ৩০ মে পির দিল্লুর রহমান ও তাঁর সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে মামলাবাজি, সারা দেশে অসংখ্য মানুষকে হয়রানি, জমি দখলসহ বিভিন্ন অপরাধের অভিযোগ নিয়ে আরটিভিতে অধরার অনুসন্ধানী সংবাদ সম্প্রচারিত হয়। শাকেরুল পির দিল্লুর রহমানের অন্যতম সহযোগী ও মুরিদ, প্রতিবেদনে আছে তাঁর নামও।
সাংবাদিক অধরা ইয়াসমিনের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলা অবিলম্বে প্রত্যাহারের আহ্বান জানিয়ে দেওয়া বিবৃতি সিপিজের এশিয়া শাখার টুইটার অ্যাকাউন্টে শেয়ার করা হয়েছে।
বিবৃতিতে সিপিজের প্রোগ্রাম পরিচালক কার্লোস মার্তিনেজ দে লা সেরনা বলেন, ‘বাংলাদেশি সাংবাদিক অধরা ইয়াসমিনকে তাঁর কাজের জন্য ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মতো ‘কালো আইনের’ লক্ষ্যবস্তু বানানো হয়েছে। অধরা ইয়াসমিনের বিরুদ্ধে চলমান তদন্ত অবিলম্বে কর্তৃপক্ষকে বন্ধ করতে হবে। সাংবাদিকদের হয়রানি করতে এই আইনের ব্যবহার বন্ধ করতে হবে। অধরা ইয়াসমিন তাঁর কাজের জন্য যেন রোষের শিকার না হন, তা নিশ্চিত করতে হবে।
রাজারবাগ দরবার শরীফ, শাকেরুল কবির ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা রফিকুল ইসলামকে ফোন করে ও বার্তা পাঠিয়ে কথা বলার চেষ্টা সিপিজে করলেও কোনো উত্তর আসেনি।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ২০১৮ সালে বাংলাদেশে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন কার্যকরের পর থেকে বিভিন্ন সময়ে সাংবাদিকদের হয়রানি করতে এই আইনের ব্যবহার দেখা গেছে। চলতি বছরের মার্চে প্রথম আলোর সাংবাদিককে (শামসুজ্জামান শামস) গ্রেপ্তার করে তাঁর বিরুদ্ধে এই আইনের আওতায় মামলার কথাও তুলে ধরা হয়।
এরপর সংবাদপত্রের নেতৃত্ব ও কর্মীদের ওপর এই আইনের ব্যবহার বন্ধে জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনার ফলকার টুর্কও সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।
ঘটনার বিষয়ে জানতে চাইলে সাংবাদিক অধরা ইয়াসমিন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘দুই মাস আগে রাজারবাগ পির সিন্ডিকেটের অপকর্ম নিয়ে অপরাধবিষয়ক প্রতিবেদন করেছিলাম। সেই নিউজ নিয়ে খুব তোলপাড় হয়। রাজারবাগ দরবার শরিফের পক্ষ থেকে নিউজ সরানোর জন্য বলা হয়। হঠাৎ গতকাল (সোমবার) রাজধানীর তেজগাঁও থানা থেকে আমাকে জানানো হয় আমার নামে একটা চিঠি আছে। সেই চিঠি হাতে পেয়ে বুঝতে পারলাম আমার বিরুদ্ধে ডিজিটাল আইনে মামলা হয়েছে। মামলার কাগজ তোলার পর জানতে পারলাম, রাজারবাগ দরবার শরিফের মুরিদ, মামলাবাজ সিন্ডিকেটের মূল হোতা শাকেরুল কবির মামলাটি করেছেন।’
অধরার বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলার ঘটনায় নিন্দা জানিয়েছে ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন (ডিইউজে), ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি, বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরাম, মাল্টিমিডিয়া রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন, ইয়ুথ জার্নালিস্ট কমিউনিটি ও তেজগাঁও কলেজ সাংবাদিক সমিতিসহ বেশ কিছু সংগঠন।
রাজধানীর হাতিরঝিল থানায় করা অস্ত্র আইনের মামলায় শীর্ষ সন্ত্রাসী মোল্লা মাসুদ ওরফে আবু রাসেল মাসুদসহ তিনজনকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। আজ মঙ্গলবার ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (এসিএমএম) ওয়াহিদুজ্জামান এই আদেশ দেন।
৫ দিন আগে১৯৭১ সালের যুদ্ধাপরাধের মামলায় জামায়াত নেতা আজহারুল ইসলামের খালাসের রায় নিয়ে সাংবাদিক ও মানবাধিকার আইন বিশেষজ্ঞ ডেভিড বার্গম্যান আইসিটির প্রধান প্রসিকিউটর তাজুল ইসলামের ভূমিকাকে স্বার্থের সংঘাত হিসেবে দেখছেন। অতীতে তিনি যাঁদের আইনি সহায়তা দিয়েছেন, তাঁদের মামলায় তাঁর দলের সদস্যদের রাষ্ট্রপক্ষের
৭ দিন আগেময়মনসিংহের সেলিম হোসেনকে জীবিত থাকা সত্ত্বেও ‘হত্যাকাণ্ডের শিকার’ দেখিয়ে ভাইয়ের করা মামলায় শেখ হাসিনাসহ ৪১ জনকে আসামি করা হয়। মূল ঘটনা জমিসংক্রান্ত পারিবারিক বিরোধ ও পুলিশের চরম গাফিলতির নিদর্শন।
৮ দিন আগেরাজধানীর হাতিরঝিল থানায় করা অস্ত্র আইনের মামলায় শীর্ষস্থানীয় সন্ত্রাসী সুব্রত বাইন ওরফে মো. ফতেহ আলীকে আট দিন, আরেক শীর্ষস্থানীয় সন্ত্রাসী মোল্লা মাসুদ ওরফে আবু রাসেল মাসুদসহ তিনজনকে ছয় দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে।
১১ দিন আগে