মাইনউদ্দিন শাহেদ, কক্সবাজার ও ইফতিয়াজ নুর নিশান, উখিয়া

কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফের ৩৩টি রোহিঙ্গা আশ্রয়শিবিরে গোলাগুলি, অপহরণ, হত্যা-ধর্ষণ নিত্যদিনের ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে। এসব অপরাধের পেছনে অন্যতম কারণ মাদক ব্যবসা ও ক্যাম্পে নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা হলেও সম্প্রতি ঘটে যাওয়া হত্যাকাণ্ডগুলোয় একটি বিশেষ বৈশিষ্ট্য চোখে পড়েছে। আর তা হলো যাঁরা খুন হয়েছেন, তাঁদের বেশির ভাগই রোহিঙ্গা নেতা বা মাঝি ছিলেন। তাঁরা বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের নিজ দেশে প্রত্যাবাসন নিয়ে কাজ করছিলেন। এসব হত্যাকাণ্ডে অভিযোগের তির মিয়ানমারের সশস্ত্র বিদ্রোহী সংগঠন আরাকান স্যালভেশন আর্মির (আরসা) দিকে।
টেকনাফ ও উখিয়ার রোহিঙ্গা শিবিরের বাসিন্দাদের অনেকেই মনে করেন, প্রত্যাবাসন নিয়ে যাঁরা কাজ করছেন, তাঁদের টার্গেট করে হত্যা করা হচ্ছে। এ ছাড়া বেকারত্ব, মাদক পাচার ও ক্যাম্পে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দ্বন্দ্ব তো আছেই।
জানা গেছে, উখিয়ার রোহিঙ্গা শিবিরগুলোয় চলতি মাসেই সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের হামলায় নিহত হয়েছেন এক শিশুসহ সাতজন। সর্বশেষ গত বৃহস্পতিবার ভোরে ১৭ নম্বর শিবিরে এক রোহিঙ্গা মাঝির ভাই আয়াত উল্লাহ এবং স্বেচ্ছাসেবক ইয়াসিনকে গুলি করে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। আরসা এসব হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন নিহত ব্যক্তিদের স্বজনেরা। তাঁরা জানান, নিহত আয়াত উল্লাহর ভাই ১৭ নম্বর রোহিঙ্গা শিবিরের সি ব্লকের মাঝি সালামাত উল্লাহর সঙ্গে আরসার বিরোধ ছিল। এ জন্য তারা আয়াত উল্লাহকে খুন করে।
নিহত মোহাম্মদ ইয়াছিনের ভাই মোহাম্মদ হাছন বলেন, ‘আয়াত উল্লাহর এক ভাইয়ের হাত ও পা কেটে ফেলেছিল সন্ত্রাসীরা। তখন মাঝি ও পুলিশকে আমার ভাই সহযোগিতা করতেন। এ জন্য টার্গেট করে আমার ভাই ইয়াছিনকে মেরে ফেলেছে।’
গত বুধবার ভোরে বালুখালী ১০ নম্বর রোহিঙ্গা শিবিরে শ্বশুরবাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে খুন করা হয় রোহিঙ্গা যুবক জসিমকে। নিহত জসিমের স্ত্রী সাবেকা বেগম জানান, আরসার ভয়ে পলাতক ছিলেন জসিম। মাঝেমধ্যে স্ত্রী-সন্তানদের দেখতে শ্বশুরবাড়িতে আসতেন তিনি।
এর আগে ১৮ অক্টোবর খুন হন বালুখালী ১৯ নম্বর শিবিরের একটি ব্লকের সাব মাঝি সৈয়দ হোসেন। এ হত্যাকাণ্ডের এক বছর আগে সৈয়দের বাবা জামাল হোসেনকে খুন করেছিল সন্ত্রাসীরা। এ ক্ষেত্রেও অভিযোগ, জামাল হোসেন প্রত্যাবাসন নিয়ে কাজ করার কারণে আরসার সন্ত্রাসীরা তাঁকে খুন করেছে।
রোহিঙ্গা শিবিরে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা ৮ এপিবিএনের সহকারী পুলিশ সুপার মো. ফারুক আহমেদ বলেন, সৈয়দ হোসেন ছিলেন তাঁর বাবার হত্যা মামলার বাদী। এ মামলার আসামিদের ধরতে তৎপর থাকায় সন্ত্রাসীরা তাঁকেও খুন করেছে।
১৫ অক্টোবর সন্ধ্যায় ১৩ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের দুই মাঝি আনোয়ার ও মৌলভি ইউনুসকে খুন করে সন্ত্রাসীরা।
রোহিঙ্গা শিবিরের এফ ব্লকের হেড মাঝি আনোয়ার শিক্ষিত এবং সুবিচারক মাঝি হিসেবে সাধারণ রোহিঙ্গাদের মধ্যে জনপ্রিয় ছিলেন। রোহিঙ্গাদের স্বদেশে ফিরতে প্রত্যাবাসনের পক্ষে সরব ছিলেন তিনি। চলতি বছরের ২০ জুন প্রত্যাবাসনের দাবিতে ১৩ নম্বর শিবিরে আয়োজিত ‘গো হোম ক্যাম্পেইন’ সমাবেশে বক্তব্য দেন আনোয়ার।
ওই শিবিরের এক বাসিন্দা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘আনোয়ার প্রত্যাবাসনের পক্ষে কাজ করায় আরসার টার্গেটে পড়ে। তাদের কথা না মানায় তাকে খুন করা হয়।’
গত বছরের ২৯ সেপ্টেম্বর উখিয়ার লম্বাশিয়া শিবিরে রোহিঙ্গা নেতা মুহিবুল্লাহকে গুলি করে হত্যা করে সন্ত্রাসীরা। এ হত্যাকাণ্ড আরসাপ্রধান আতাউল্লাহ জুনুনির নির্দেশে করা হয়েছে বলে পুলিশের তদন্তে উঠে এসেছে। এরপর থেকেই ক্যাম্পে আরসার একের পর এক হত্যাকাণ্ডের অভিযোগ উঠে আসছে।
আরসা প্রত্যাবাসনের পক্ষে কাজ করা মাঝি ও সাধারণ রোহিঙ্গাদের তালিকা করে রোহিঙ্গা শিবিরে অরাজকতা করছে বলে অভিযোগ করেছেন উখিয়ার কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বাসিন্দা ও রোহিঙ্গা অধিকারকর্মী মোহাম্মদ ইউসুফ। তিনি বলেন, ‘আরসা কখনো চায় না আমরা দেশে ফিরে যাই। তারা এখন তালিকা করছে যারা প্রত্যাবাসন নিয়ে কাজ করছে, তাদের।’
অবশ্যই এ পর্যন্ত আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী রোহিঙ্গা শিবিরে আরসার অস্তিত্ব স্বীকার করেনি। সম্প্রতি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল কক্সবাজারে সাংবাদিকদের বলেন, সন্ত্রাসীদের পাকড়াও করতে শিগগিরই যৌথ অভিযান পরিচালনা করা হবে।
কক্সবাজার জেলা পুলিশের তথ্যমতে, ২০১৭ সালের আগস্ট থেকে গত বৃহস্পতিবার পর্যন্ত রোহিঙ্গা শিবিরে ১২১ জন খুন হয়েছে। এ সময়ে হত্যা, মাদক, চোরাচালান, অপহরণ, ধর্ষণসহ ১২ ধরনের অপরাধে ২ হাজার ৪৭৮টি মামলা হয়েছে। এসব ঘটনায় গ্রেপ্তার হয়েছে ৫ হাজার ২৫৬ জন।
কক্সবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রফিকুল ইসলাম বলেন, প্রতিটি হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় মামলা হয়েছে। পুলিশ অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে মামলা তদন্ত করে ব্যবস্থা নিচ্ছে।
ক্যাম্পের আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে রাখতে পুলিশের পাশাপাশি অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কাজ করছে।
১৪ এপিবিএনের অধিনায়ক ও অতিরিক্ত ডিআইজি সৈয়দ হারুনুর রশীদ বলেন, ‘হঠাৎ করে ক্যাম্পে হত্যাকাণ্ড বেড়েছে। পালিয়ে যাওয়া সন্ত্রাসীরা রাতে এসে অপতৎপরতা চালাচ্ছে। তারপরেও সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে। দুষ্কৃতকারীদের আইনের আওতায় আনতে আমাদের বিশেষ অভিযান অব্যাহত আছে।’

কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফের ৩৩টি রোহিঙ্গা আশ্রয়শিবিরে গোলাগুলি, অপহরণ, হত্যা-ধর্ষণ নিত্যদিনের ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে। এসব অপরাধের পেছনে অন্যতম কারণ মাদক ব্যবসা ও ক্যাম্পে নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা হলেও সম্প্রতি ঘটে যাওয়া হত্যাকাণ্ডগুলোয় একটি বিশেষ বৈশিষ্ট্য চোখে পড়েছে। আর তা হলো যাঁরা খুন হয়েছেন, তাঁদের বেশির ভাগই রোহিঙ্গা নেতা বা মাঝি ছিলেন। তাঁরা বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের নিজ দেশে প্রত্যাবাসন নিয়ে কাজ করছিলেন। এসব হত্যাকাণ্ডে অভিযোগের তির মিয়ানমারের সশস্ত্র বিদ্রোহী সংগঠন আরাকান স্যালভেশন আর্মির (আরসা) দিকে।
টেকনাফ ও উখিয়ার রোহিঙ্গা শিবিরের বাসিন্দাদের অনেকেই মনে করেন, প্রত্যাবাসন নিয়ে যাঁরা কাজ করছেন, তাঁদের টার্গেট করে হত্যা করা হচ্ছে। এ ছাড়া বেকারত্ব, মাদক পাচার ও ক্যাম্পে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দ্বন্দ্ব তো আছেই।
জানা গেছে, উখিয়ার রোহিঙ্গা শিবিরগুলোয় চলতি মাসেই সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের হামলায় নিহত হয়েছেন এক শিশুসহ সাতজন। সর্বশেষ গত বৃহস্পতিবার ভোরে ১৭ নম্বর শিবিরে এক রোহিঙ্গা মাঝির ভাই আয়াত উল্লাহ এবং স্বেচ্ছাসেবক ইয়াসিনকে গুলি করে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। আরসা এসব হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন নিহত ব্যক্তিদের স্বজনেরা। তাঁরা জানান, নিহত আয়াত উল্লাহর ভাই ১৭ নম্বর রোহিঙ্গা শিবিরের সি ব্লকের মাঝি সালামাত উল্লাহর সঙ্গে আরসার বিরোধ ছিল। এ জন্য তারা আয়াত উল্লাহকে খুন করে।
নিহত মোহাম্মদ ইয়াছিনের ভাই মোহাম্মদ হাছন বলেন, ‘আয়াত উল্লাহর এক ভাইয়ের হাত ও পা কেটে ফেলেছিল সন্ত্রাসীরা। তখন মাঝি ও পুলিশকে আমার ভাই সহযোগিতা করতেন। এ জন্য টার্গেট করে আমার ভাই ইয়াছিনকে মেরে ফেলেছে।’
গত বুধবার ভোরে বালুখালী ১০ নম্বর রোহিঙ্গা শিবিরে শ্বশুরবাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে খুন করা হয় রোহিঙ্গা যুবক জসিমকে। নিহত জসিমের স্ত্রী সাবেকা বেগম জানান, আরসার ভয়ে পলাতক ছিলেন জসিম। মাঝেমধ্যে স্ত্রী-সন্তানদের দেখতে শ্বশুরবাড়িতে আসতেন তিনি।
এর আগে ১৮ অক্টোবর খুন হন বালুখালী ১৯ নম্বর শিবিরের একটি ব্লকের সাব মাঝি সৈয়দ হোসেন। এ হত্যাকাণ্ডের এক বছর আগে সৈয়দের বাবা জামাল হোসেনকে খুন করেছিল সন্ত্রাসীরা। এ ক্ষেত্রেও অভিযোগ, জামাল হোসেন প্রত্যাবাসন নিয়ে কাজ করার কারণে আরসার সন্ত্রাসীরা তাঁকে খুন করেছে।
রোহিঙ্গা শিবিরে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা ৮ এপিবিএনের সহকারী পুলিশ সুপার মো. ফারুক আহমেদ বলেন, সৈয়দ হোসেন ছিলেন তাঁর বাবার হত্যা মামলার বাদী। এ মামলার আসামিদের ধরতে তৎপর থাকায় সন্ত্রাসীরা তাঁকেও খুন করেছে।
১৫ অক্টোবর সন্ধ্যায় ১৩ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের দুই মাঝি আনোয়ার ও মৌলভি ইউনুসকে খুন করে সন্ত্রাসীরা।
রোহিঙ্গা শিবিরের এফ ব্লকের হেড মাঝি আনোয়ার শিক্ষিত এবং সুবিচারক মাঝি হিসেবে সাধারণ রোহিঙ্গাদের মধ্যে জনপ্রিয় ছিলেন। রোহিঙ্গাদের স্বদেশে ফিরতে প্রত্যাবাসনের পক্ষে সরব ছিলেন তিনি। চলতি বছরের ২০ জুন প্রত্যাবাসনের দাবিতে ১৩ নম্বর শিবিরে আয়োজিত ‘গো হোম ক্যাম্পেইন’ সমাবেশে বক্তব্য দেন আনোয়ার।
ওই শিবিরের এক বাসিন্দা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘আনোয়ার প্রত্যাবাসনের পক্ষে কাজ করায় আরসার টার্গেটে পড়ে। তাদের কথা না মানায় তাকে খুন করা হয়।’
গত বছরের ২৯ সেপ্টেম্বর উখিয়ার লম্বাশিয়া শিবিরে রোহিঙ্গা নেতা মুহিবুল্লাহকে গুলি করে হত্যা করে সন্ত্রাসীরা। এ হত্যাকাণ্ড আরসাপ্রধান আতাউল্লাহ জুনুনির নির্দেশে করা হয়েছে বলে পুলিশের তদন্তে উঠে এসেছে। এরপর থেকেই ক্যাম্পে আরসার একের পর এক হত্যাকাণ্ডের অভিযোগ উঠে আসছে।
আরসা প্রত্যাবাসনের পক্ষে কাজ করা মাঝি ও সাধারণ রোহিঙ্গাদের তালিকা করে রোহিঙ্গা শিবিরে অরাজকতা করছে বলে অভিযোগ করেছেন উখিয়ার কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বাসিন্দা ও রোহিঙ্গা অধিকারকর্মী মোহাম্মদ ইউসুফ। তিনি বলেন, ‘আরসা কখনো চায় না আমরা দেশে ফিরে যাই। তারা এখন তালিকা করছে যারা প্রত্যাবাসন নিয়ে কাজ করছে, তাদের।’
অবশ্যই এ পর্যন্ত আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী রোহিঙ্গা শিবিরে আরসার অস্তিত্ব স্বীকার করেনি। সম্প্রতি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল কক্সবাজারে সাংবাদিকদের বলেন, সন্ত্রাসীদের পাকড়াও করতে শিগগিরই যৌথ অভিযান পরিচালনা করা হবে।
কক্সবাজার জেলা পুলিশের তথ্যমতে, ২০১৭ সালের আগস্ট থেকে গত বৃহস্পতিবার পর্যন্ত রোহিঙ্গা শিবিরে ১২১ জন খুন হয়েছে। এ সময়ে হত্যা, মাদক, চোরাচালান, অপহরণ, ধর্ষণসহ ১২ ধরনের অপরাধে ২ হাজার ৪৭৮টি মামলা হয়েছে। এসব ঘটনায় গ্রেপ্তার হয়েছে ৫ হাজার ২৫৬ জন।
কক্সবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রফিকুল ইসলাম বলেন, প্রতিটি হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় মামলা হয়েছে। পুলিশ অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে মামলা তদন্ত করে ব্যবস্থা নিচ্ছে।
ক্যাম্পের আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে রাখতে পুলিশের পাশাপাশি অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কাজ করছে।
১৪ এপিবিএনের অধিনায়ক ও অতিরিক্ত ডিআইজি সৈয়দ হারুনুর রশীদ বলেন, ‘হঠাৎ করে ক্যাম্পে হত্যাকাণ্ড বেড়েছে। পালিয়ে যাওয়া সন্ত্রাসীরা রাতে এসে অপতৎপরতা চালাচ্ছে। তারপরেও সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে। দুষ্কৃতকারীদের আইনের আওতায় আনতে আমাদের বিশেষ অভিযান অব্যাহত আছে।’
মাইনউদ্দিন শাহেদ, কক্সবাজার ও ইফতিয়াজ নুর নিশান, উখিয়া

কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফের ৩৩টি রোহিঙ্গা আশ্রয়শিবিরে গোলাগুলি, অপহরণ, হত্যা-ধর্ষণ নিত্যদিনের ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে। এসব অপরাধের পেছনে অন্যতম কারণ মাদক ব্যবসা ও ক্যাম্পে নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা হলেও সম্প্রতি ঘটে যাওয়া হত্যাকাণ্ডগুলোয় একটি বিশেষ বৈশিষ্ট্য চোখে পড়েছে। আর তা হলো যাঁরা খুন হয়েছেন, তাঁদের বেশির ভাগই রোহিঙ্গা নেতা বা মাঝি ছিলেন। তাঁরা বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের নিজ দেশে প্রত্যাবাসন নিয়ে কাজ করছিলেন। এসব হত্যাকাণ্ডে অভিযোগের তির মিয়ানমারের সশস্ত্র বিদ্রোহী সংগঠন আরাকান স্যালভেশন আর্মির (আরসা) দিকে।
টেকনাফ ও উখিয়ার রোহিঙ্গা শিবিরের বাসিন্দাদের অনেকেই মনে করেন, প্রত্যাবাসন নিয়ে যাঁরা কাজ করছেন, তাঁদের টার্গেট করে হত্যা করা হচ্ছে। এ ছাড়া বেকারত্ব, মাদক পাচার ও ক্যাম্পে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দ্বন্দ্ব তো আছেই।
জানা গেছে, উখিয়ার রোহিঙ্গা শিবিরগুলোয় চলতি মাসেই সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের হামলায় নিহত হয়েছেন এক শিশুসহ সাতজন। সর্বশেষ গত বৃহস্পতিবার ভোরে ১৭ নম্বর শিবিরে এক রোহিঙ্গা মাঝির ভাই আয়াত উল্লাহ এবং স্বেচ্ছাসেবক ইয়াসিনকে গুলি করে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। আরসা এসব হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন নিহত ব্যক্তিদের স্বজনেরা। তাঁরা জানান, নিহত আয়াত উল্লাহর ভাই ১৭ নম্বর রোহিঙ্গা শিবিরের সি ব্লকের মাঝি সালামাত উল্লাহর সঙ্গে আরসার বিরোধ ছিল। এ জন্য তারা আয়াত উল্লাহকে খুন করে।
নিহত মোহাম্মদ ইয়াছিনের ভাই মোহাম্মদ হাছন বলেন, ‘আয়াত উল্লাহর এক ভাইয়ের হাত ও পা কেটে ফেলেছিল সন্ত্রাসীরা। তখন মাঝি ও পুলিশকে আমার ভাই সহযোগিতা করতেন। এ জন্য টার্গেট করে আমার ভাই ইয়াছিনকে মেরে ফেলেছে।’
গত বুধবার ভোরে বালুখালী ১০ নম্বর রোহিঙ্গা শিবিরে শ্বশুরবাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে খুন করা হয় রোহিঙ্গা যুবক জসিমকে। নিহত জসিমের স্ত্রী সাবেকা বেগম জানান, আরসার ভয়ে পলাতক ছিলেন জসিম। মাঝেমধ্যে স্ত্রী-সন্তানদের দেখতে শ্বশুরবাড়িতে আসতেন তিনি।
এর আগে ১৮ অক্টোবর খুন হন বালুখালী ১৯ নম্বর শিবিরের একটি ব্লকের সাব মাঝি সৈয়দ হোসেন। এ হত্যাকাণ্ডের এক বছর আগে সৈয়দের বাবা জামাল হোসেনকে খুন করেছিল সন্ত্রাসীরা। এ ক্ষেত্রেও অভিযোগ, জামাল হোসেন প্রত্যাবাসন নিয়ে কাজ করার কারণে আরসার সন্ত্রাসীরা তাঁকে খুন করেছে।
রোহিঙ্গা শিবিরে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা ৮ এপিবিএনের সহকারী পুলিশ সুপার মো. ফারুক আহমেদ বলেন, সৈয়দ হোসেন ছিলেন তাঁর বাবার হত্যা মামলার বাদী। এ মামলার আসামিদের ধরতে তৎপর থাকায় সন্ত্রাসীরা তাঁকেও খুন করেছে।
১৫ অক্টোবর সন্ধ্যায় ১৩ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের দুই মাঝি আনোয়ার ও মৌলভি ইউনুসকে খুন করে সন্ত্রাসীরা।
রোহিঙ্গা শিবিরের এফ ব্লকের হেড মাঝি আনোয়ার শিক্ষিত এবং সুবিচারক মাঝি হিসেবে সাধারণ রোহিঙ্গাদের মধ্যে জনপ্রিয় ছিলেন। রোহিঙ্গাদের স্বদেশে ফিরতে প্রত্যাবাসনের পক্ষে সরব ছিলেন তিনি। চলতি বছরের ২০ জুন প্রত্যাবাসনের দাবিতে ১৩ নম্বর শিবিরে আয়োজিত ‘গো হোম ক্যাম্পেইন’ সমাবেশে বক্তব্য দেন আনোয়ার।
ওই শিবিরের এক বাসিন্দা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘আনোয়ার প্রত্যাবাসনের পক্ষে কাজ করায় আরসার টার্গেটে পড়ে। তাদের কথা না মানায় তাকে খুন করা হয়।’
গত বছরের ২৯ সেপ্টেম্বর উখিয়ার লম্বাশিয়া শিবিরে রোহিঙ্গা নেতা মুহিবুল্লাহকে গুলি করে হত্যা করে সন্ত্রাসীরা। এ হত্যাকাণ্ড আরসাপ্রধান আতাউল্লাহ জুনুনির নির্দেশে করা হয়েছে বলে পুলিশের তদন্তে উঠে এসেছে। এরপর থেকেই ক্যাম্পে আরসার একের পর এক হত্যাকাণ্ডের অভিযোগ উঠে আসছে।
আরসা প্রত্যাবাসনের পক্ষে কাজ করা মাঝি ও সাধারণ রোহিঙ্গাদের তালিকা করে রোহিঙ্গা শিবিরে অরাজকতা করছে বলে অভিযোগ করেছেন উখিয়ার কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বাসিন্দা ও রোহিঙ্গা অধিকারকর্মী মোহাম্মদ ইউসুফ। তিনি বলেন, ‘আরসা কখনো চায় না আমরা দেশে ফিরে যাই। তারা এখন তালিকা করছে যারা প্রত্যাবাসন নিয়ে কাজ করছে, তাদের।’
অবশ্যই এ পর্যন্ত আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী রোহিঙ্গা শিবিরে আরসার অস্তিত্ব স্বীকার করেনি। সম্প্রতি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল কক্সবাজারে সাংবাদিকদের বলেন, সন্ত্রাসীদের পাকড়াও করতে শিগগিরই যৌথ অভিযান পরিচালনা করা হবে।
কক্সবাজার জেলা পুলিশের তথ্যমতে, ২০১৭ সালের আগস্ট থেকে গত বৃহস্পতিবার পর্যন্ত রোহিঙ্গা শিবিরে ১২১ জন খুন হয়েছে। এ সময়ে হত্যা, মাদক, চোরাচালান, অপহরণ, ধর্ষণসহ ১২ ধরনের অপরাধে ২ হাজার ৪৭৮টি মামলা হয়েছে। এসব ঘটনায় গ্রেপ্তার হয়েছে ৫ হাজার ২৫৬ জন।
কক্সবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রফিকুল ইসলাম বলেন, প্রতিটি হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় মামলা হয়েছে। পুলিশ অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে মামলা তদন্ত করে ব্যবস্থা নিচ্ছে।
ক্যাম্পের আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে রাখতে পুলিশের পাশাপাশি অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কাজ করছে।
১৪ এপিবিএনের অধিনায়ক ও অতিরিক্ত ডিআইজি সৈয়দ হারুনুর রশীদ বলেন, ‘হঠাৎ করে ক্যাম্পে হত্যাকাণ্ড বেড়েছে। পালিয়ে যাওয়া সন্ত্রাসীরা রাতে এসে অপতৎপরতা চালাচ্ছে। তারপরেও সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে। দুষ্কৃতকারীদের আইনের আওতায় আনতে আমাদের বিশেষ অভিযান অব্যাহত আছে।’

কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফের ৩৩টি রোহিঙ্গা আশ্রয়শিবিরে গোলাগুলি, অপহরণ, হত্যা-ধর্ষণ নিত্যদিনের ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে। এসব অপরাধের পেছনে অন্যতম কারণ মাদক ব্যবসা ও ক্যাম্পে নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা হলেও সম্প্রতি ঘটে যাওয়া হত্যাকাণ্ডগুলোয় একটি বিশেষ বৈশিষ্ট্য চোখে পড়েছে। আর তা হলো যাঁরা খুন হয়েছেন, তাঁদের বেশির ভাগই রোহিঙ্গা নেতা বা মাঝি ছিলেন। তাঁরা বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের নিজ দেশে প্রত্যাবাসন নিয়ে কাজ করছিলেন। এসব হত্যাকাণ্ডে অভিযোগের তির মিয়ানমারের সশস্ত্র বিদ্রোহী সংগঠন আরাকান স্যালভেশন আর্মির (আরসা) দিকে।
টেকনাফ ও উখিয়ার রোহিঙ্গা শিবিরের বাসিন্দাদের অনেকেই মনে করেন, প্রত্যাবাসন নিয়ে যাঁরা কাজ করছেন, তাঁদের টার্গেট করে হত্যা করা হচ্ছে। এ ছাড়া বেকারত্ব, মাদক পাচার ও ক্যাম্পে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দ্বন্দ্ব তো আছেই।
জানা গেছে, উখিয়ার রোহিঙ্গা শিবিরগুলোয় চলতি মাসেই সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের হামলায় নিহত হয়েছেন এক শিশুসহ সাতজন। সর্বশেষ গত বৃহস্পতিবার ভোরে ১৭ নম্বর শিবিরে এক রোহিঙ্গা মাঝির ভাই আয়াত উল্লাহ এবং স্বেচ্ছাসেবক ইয়াসিনকে গুলি করে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। আরসা এসব হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন নিহত ব্যক্তিদের স্বজনেরা। তাঁরা জানান, নিহত আয়াত উল্লাহর ভাই ১৭ নম্বর রোহিঙ্গা শিবিরের সি ব্লকের মাঝি সালামাত উল্লাহর সঙ্গে আরসার বিরোধ ছিল। এ জন্য তারা আয়াত উল্লাহকে খুন করে।
নিহত মোহাম্মদ ইয়াছিনের ভাই মোহাম্মদ হাছন বলেন, ‘আয়াত উল্লাহর এক ভাইয়ের হাত ও পা কেটে ফেলেছিল সন্ত্রাসীরা। তখন মাঝি ও পুলিশকে আমার ভাই সহযোগিতা করতেন। এ জন্য টার্গেট করে আমার ভাই ইয়াছিনকে মেরে ফেলেছে।’
গত বুধবার ভোরে বালুখালী ১০ নম্বর রোহিঙ্গা শিবিরে শ্বশুরবাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে খুন করা হয় রোহিঙ্গা যুবক জসিমকে। নিহত জসিমের স্ত্রী সাবেকা বেগম জানান, আরসার ভয়ে পলাতক ছিলেন জসিম। মাঝেমধ্যে স্ত্রী-সন্তানদের দেখতে শ্বশুরবাড়িতে আসতেন তিনি।
এর আগে ১৮ অক্টোবর খুন হন বালুখালী ১৯ নম্বর শিবিরের একটি ব্লকের সাব মাঝি সৈয়দ হোসেন। এ হত্যাকাণ্ডের এক বছর আগে সৈয়দের বাবা জামাল হোসেনকে খুন করেছিল সন্ত্রাসীরা। এ ক্ষেত্রেও অভিযোগ, জামাল হোসেন প্রত্যাবাসন নিয়ে কাজ করার কারণে আরসার সন্ত্রাসীরা তাঁকে খুন করেছে।
রোহিঙ্গা শিবিরে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা ৮ এপিবিএনের সহকারী পুলিশ সুপার মো. ফারুক আহমেদ বলেন, সৈয়দ হোসেন ছিলেন তাঁর বাবার হত্যা মামলার বাদী। এ মামলার আসামিদের ধরতে তৎপর থাকায় সন্ত্রাসীরা তাঁকেও খুন করেছে।
১৫ অক্টোবর সন্ধ্যায় ১৩ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের দুই মাঝি আনোয়ার ও মৌলভি ইউনুসকে খুন করে সন্ত্রাসীরা।
রোহিঙ্গা শিবিরের এফ ব্লকের হেড মাঝি আনোয়ার শিক্ষিত এবং সুবিচারক মাঝি হিসেবে সাধারণ রোহিঙ্গাদের মধ্যে জনপ্রিয় ছিলেন। রোহিঙ্গাদের স্বদেশে ফিরতে প্রত্যাবাসনের পক্ষে সরব ছিলেন তিনি। চলতি বছরের ২০ জুন প্রত্যাবাসনের দাবিতে ১৩ নম্বর শিবিরে আয়োজিত ‘গো হোম ক্যাম্পেইন’ সমাবেশে বক্তব্য দেন আনোয়ার।
ওই শিবিরের এক বাসিন্দা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘আনোয়ার প্রত্যাবাসনের পক্ষে কাজ করায় আরসার টার্গেটে পড়ে। তাদের কথা না মানায় তাকে খুন করা হয়।’
গত বছরের ২৯ সেপ্টেম্বর উখিয়ার লম্বাশিয়া শিবিরে রোহিঙ্গা নেতা মুহিবুল্লাহকে গুলি করে হত্যা করে সন্ত্রাসীরা। এ হত্যাকাণ্ড আরসাপ্রধান আতাউল্লাহ জুনুনির নির্দেশে করা হয়েছে বলে পুলিশের তদন্তে উঠে এসেছে। এরপর থেকেই ক্যাম্পে আরসার একের পর এক হত্যাকাণ্ডের অভিযোগ উঠে আসছে।
আরসা প্রত্যাবাসনের পক্ষে কাজ করা মাঝি ও সাধারণ রোহিঙ্গাদের তালিকা করে রোহিঙ্গা শিবিরে অরাজকতা করছে বলে অভিযোগ করেছেন উখিয়ার কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বাসিন্দা ও রোহিঙ্গা অধিকারকর্মী মোহাম্মদ ইউসুফ। তিনি বলেন, ‘আরসা কখনো চায় না আমরা দেশে ফিরে যাই। তারা এখন তালিকা করছে যারা প্রত্যাবাসন নিয়ে কাজ করছে, তাদের।’
অবশ্যই এ পর্যন্ত আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী রোহিঙ্গা শিবিরে আরসার অস্তিত্ব স্বীকার করেনি। সম্প্রতি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল কক্সবাজারে সাংবাদিকদের বলেন, সন্ত্রাসীদের পাকড়াও করতে শিগগিরই যৌথ অভিযান পরিচালনা করা হবে।
কক্সবাজার জেলা পুলিশের তথ্যমতে, ২০১৭ সালের আগস্ট থেকে গত বৃহস্পতিবার পর্যন্ত রোহিঙ্গা শিবিরে ১২১ জন খুন হয়েছে। এ সময়ে হত্যা, মাদক, চোরাচালান, অপহরণ, ধর্ষণসহ ১২ ধরনের অপরাধে ২ হাজার ৪৭৮টি মামলা হয়েছে। এসব ঘটনায় গ্রেপ্তার হয়েছে ৫ হাজার ২৫৬ জন।
কক্সবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রফিকুল ইসলাম বলেন, প্রতিটি হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় মামলা হয়েছে। পুলিশ অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে মামলা তদন্ত করে ব্যবস্থা নিচ্ছে।
ক্যাম্পের আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে রাখতে পুলিশের পাশাপাশি অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কাজ করছে।
১৪ এপিবিএনের অধিনায়ক ও অতিরিক্ত ডিআইজি সৈয়দ হারুনুর রশীদ বলেন, ‘হঠাৎ করে ক্যাম্পে হত্যাকাণ্ড বেড়েছে। পালিয়ে যাওয়া সন্ত্রাসীরা রাতে এসে অপতৎপরতা চালাচ্ছে। তারপরেও সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে। দুষ্কৃতকারীদের আইনের আওতায় আনতে আমাদের বিশেষ অভিযান অব্যাহত আছে।’

রাজধানীর মোহাম্মদপুরে জেনেভা ক্যাম্পে ‘মাদক কারবারিদের’ দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে জাহিদ নিহতের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ শুক্রবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. ইবনে মিজান আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
৩ দিন আগে
এক বিজ্ঞপ্তিতে সিআইডি জানিয়েছে, নূরে আলম একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সদস্য। তিনি ফেসবুকে এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে যোগাযোগ করে জানান, তাঁর নামে বিদেশ থেকে একটি পার্সেল এসেছে, যা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাস্টম হাউসে জমা আছে। পার্সেল ছাড়াতে টাকা লাগবে—এ দাবি করে পার্সেলের ছবিও পাঠান তিনি।
৫ দিন আগে
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সভায় উপস্থিত বিএফআইইউ প্রতিনিধি বলেন, এমএফএস অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে জুয়া ও প্রতারণা বন্ধে বিটিআরসির (বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন) মাধ্যমে বার্তা দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া এমএফএস প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে বৈঠক করে তাদের কিছু নির্দেশনাও দেওয়া হবে। যেসব অ্যাকাউন্ট ব্লক (স্থগিত)
৫ দিন আগে
দেশে বসেই আন্তর্জাতিক পর্নো সাইটে সক্রিয় ছিলেন তাঁরা। ভিডিও বানিয়ে আপলোড করতেন বিভিন্ন ওয়েবসাইটে। শুধু নিজেরাই নন, এই দম্পতি অন্যদেরও এ কাজে যুক্ত করতেন বলে অভিযোগ। অবশেষে সেই আলোচিত যুগলকে বান্দরবানে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
৬ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

রাজধানীর মোহাম্মদপুরে জেনেভা ক্যাম্পে ‘মাদক কারবারিদের’ দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে জাহিদ নিহতের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
আজ শুক্রবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. ইবনে মিজান আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
গত বুধবার ভোররাতে দুই গ্রুপ মাদক কারবারির সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে নিহত হন জাহিদ (২০)। পরিবারের দাবি, দুপক্ষের সংঘর্ষ চলাকালে জাহিদের পায়ের কাছে ককটেল বিস্ফোরণ হয়। এ সময় স্প্লিন্টার তাঁর ঘাড় ও পিঠে বিদ্ধ হয়। আহত অবস্থায় উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় মোহাম্মদপুর থানায় একটি হত্যা মামলা হয়েছে। সংঘর্ষের পর ঘটনাস্থলে অভিযান পরিচালনা করে র্যাব, পুলিশ ও সেনাবাহিনী। অভিযানে একটি বিদেশি পিস্তল, একটি ম্যাগাজিন ও তিনটি তাজা গুলিসহ বিপুল পরিমাণ দেশি অস্ত্র ও পেট্রলবোমা উদ্ধার করা হয়।
জাহিদের ভগ্নিপতি মো. উজ্জ্বল জানান, রাজধানীর কল্যাণপুরে মিজান টাওয়ারে একটি মোবাইল ফোন সার্ভিসিংয়ের দোকানে কাজ করতেন জাহিদ। বুধবার রাতে বন্ধুদের সঙ্গে রেস্তোরাঁয় খেতে যাওয়ার সময় তাঁরা সংঘর্ষের মধ্যে পড়েন। পরে হাসপাতালে জাহিদের মৃত্যু হয়।
তবে পুলিশ বলছে, ককটেল তৈরির সময় বিস্ফোরণে নিহত হন জাহিদ।

রাজধানীর মোহাম্মদপুরে জেনেভা ক্যাম্পে ‘মাদক কারবারিদের’ দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে জাহিদ নিহতের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
আজ শুক্রবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. ইবনে মিজান আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
গত বুধবার ভোররাতে দুই গ্রুপ মাদক কারবারির সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে নিহত হন জাহিদ (২০)। পরিবারের দাবি, দুপক্ষের সংঘর্ষ চলাকালে জাহিদের পায়ের কাছে ককটেল বিস্ফোরণ হয়। এ সময় স্প্লিন্টার তাঁর ঘাড় ও পিঠে বিদ্ধ হয়। আহত অবস্থায় উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় মোহাম্মদপুর থানায় একটি হত্যা মামলা হয়েছে। সংঘর্ষের পর ঘটনাস্থলে অভিযান পরিচালনা করে র্যাব, পুলিশ ও সেনাবাহিনী। অভিযানে একটি বিদেশি পিস্তল, একটি ম্যাগাজিন ও তিনটি তাজা গুলিসহ বিপুল পরিমাণ দেশি অস্ত্র ও পেট্রলবোমা উদ্ধার করা হয়।
জাহিদের ভগ্নিপতি মো. উজ্জ্বল জানান, রাজধানীর কল্যাণপুরে মিজান টাওয়ারে একটি মোবাইল ফোন সার্ভিসিংয়ের দোকানে কাজ করতেন জাহিদ। বুধবার রাতে বন্ধুদের সঙ্গে রেস্তোরাঁয় খেতে যাওয়ার সময় তাঁরা সংঘর্ষের মধ্যে পড়েন। পরে হাসপাতালে জাহিদের মৃত্যু হয়।
তবে পুলিশ বলছে, ককটেল তৈরির সময় বিস্ফোরণে নিহত হন জাহিদ।

কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফের ৩৩টি রোহিঙ্গা আশ্রয়শিবিরে গোলাগুলি, অপহরণ, হত্যা-ধর্ষণ নিত্যদিনের ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে। এসব অপরাধের পেছনে অন্যতম কারণ মাদক ব্যবসা ও ক্যাম্পে নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা হলেও সম্প্রতি ঘটে যাওয়া হত্যাকাণ্ডগুলোয় একটি বিশেষ বৈশিষ্ট্য চোখে পড়েছে। আর তা হলো যাঁরা খুন হয়েছেন, তাঁদের বেশি
২৯ অক্টোবর ২০২২
এক বিজ্ঞপ্তিতে সিআইডি জানিয়েছে, নূরে আলম একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সদস্য। তিনি ফেসবুকে এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে যোগাযোগ করে জানান, তাঁর নামে বিদেশ থেকে একটি পার্সেল এসেছে, যা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাস্টম হাউসে জমা আছে। পার্সেল ছাড়াতে টাকা লাগবে—এ দাবি করে পার্সেলের ছবিও পাঠান তিনি।
৫ দিন আগে
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সভায় উপস্থিত বিএফআইইউ প্রতিনিধি বলেন, এমএফএস অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে জুয়া ও প্রতারণা বন্ধে বিটিআরসির (বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন) মাধ্যমে বার্তা দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া এমএফএস প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে বৈঠক করে তাদের কিছু নির্দেশনাও দেওয়া হবে। যেসব অ্যাকাউন্ট ব্লক (স্থগিত)
৫ দিন আগে
দেশে বসেই আন্তর্জাতিক পর্নো সাইটে সক্রিয় ছিলেন তাঁরা। ভিডিও বানিয়ে আপলোড করতেন বিভিন্ন ওয়েবসাইটে। শুধু নিজেরাই নন, এই দম্পতি অন্যদেরও এ কাজে যুক্ত করতেন বলে অভিযোগ। অবশেষে সেই আলোচিত যুগলকে বান্দরবানে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
৬ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বিদেশ থেকে পার্সেল এসেছে—এমন দাবি করে কাস্টমস থেকে তা ছাড়িয়ে দেওয়ার কথা বলে ১১ লাখ ৮৫ হাজার টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে এক তরুণকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
গতকাল সোমবার রাতে রাজধানীর তেজগাঁও শিল্পাঞ্চলের কুনিপাড়া এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার ওই তরুণের নাম মো. নূরে আলম ওরফে তুহিন (২৪)।
এক বিজ্ঞপ্তিতে সিআইডি জানিয়েছে, নূরে আলম একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সদস্য। তিনি ফেসবুকে এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে যোগাযোগ করে জানান, তাঁর নামে বিদেশ থেকে একটি পার্সেল এসেছে, যা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাস্টম হাউসে জমা আছে। পার্সেল ছাড়াতে টাকা লাগবে—এ দাবি করে পার্সেলের ছবিও পাঠান তিনি।
পরে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন অজুহাতে ভুক্তভোগীর কাছ থেকে বিকাশ ও ব্যাংকের মাধ্যমে ১১ লাখ ৮৫ হাজার টাকা আদায় করেন নূরে আলম। টাকা পাওয়ার পর নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দেন তিনি।
ভুক্তভোগী আদালতের শরণাপন্ন হলে রামপুরা থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করা হয়। মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব পায় সিআইডির সাইবার পুলিশ সেন্টার। পরে নূরে আলমকে গ্রেপ্তার করা হয়।
সিআইডি জানায়, প্রতারক চক্রের অন্য সদস্যদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।

বিদেশ থেকে পার্সেল এসেছে—এমন দাবি করে কাস্টমস থেকে তা ছাড়িয়ে দেওয়ার কথা বলে ১১ লাখ ৮৫ হাজার টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে এক তরুণকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
গতকাল সোমবার রাতে রাজধানীর তেজগাঁও শিল্পাঞ্চলের কুনিপাড়া এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার ওই তরুণের নাম মো. নূরে আলম ওরফে তুহিন (২৪)।
এক বিজ্ঞপ্তিতে সিআইডি জানিয়েছে, নূরে আলম একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সদস্য। তিনি ফেসবুকে এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে যোগাযোগ করে জানান, তাঁর নামে বিদেশ থেকে একটি পার্সেল এসেছে, যা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাস্টম হাউসে জমা আছে। পার্সেল ছাড়াতে টাকা লাগবে—এ দাবি করে পার্সেলের ছবিও পাঠান তিনি।
পরে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন অজুহাতে ভুক্তভোগীর কাছ থেকে বিকাশ ও ব্যাংকের মাধ্যমে ১১ লাখ ৮৫ হাজার টাকা আদায় করেন নূরে আলম। টাকা পাওয়ার পর নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দেন তিনি।
ভুক্তভোগী আদালতের শরণাপন্ন হলে রামপুরা থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করা হয়। মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব পায় সিআইডির সাইবার পুলিশ সেন্টার। পরে নূরে আলমকে গ্রেপ্তার করা হয়।
সিআইডি জানায়, প্রতারক চক্রের অন্য সদস্যদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।

কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফের ৩৩টি রোহিঙ্গা আশ্রয়শিবিরে গোলাগুলি, অপহরণ, হত্যা-ধর্ষণ নিত্যদিনের ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে। এসব অপরাধের পেছনে অন্যতম কারণ মাদক ব্যবসা ও ক্যাম্পে নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা হলেও সম্প্রতি ঘটে যাওয়া হত্যাকাণ্ডগুলোয় একটি বিশেষ বৈশিষ্ট্য চোখে পড়েছে। আর তা হলো যাঁরা খুন হয়েছেন, তাঁদের বেশি
২৯ অক্টোবর ২০২২
রাজধানীর মোহাম্মদপুরে জেনেভা ক্যাম্পে ‘মাদক কারবারিদের’ দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে জাহিদ নিহতের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ শুক্রবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. ইবনে মিজান আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
৩ দিন আগে
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সভায় উপস্থিত বিএফআইইউ প্রতিনিধি বলেন, এমএফএস অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে জুয়া ও প্রতারণা বন্ধে বিটিআরসির (বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন) মাধ্যমে বার্তা দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া এমএফএস প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে বৈঠক করে তাদের কিছু নির্দেশনাও দেওয়া হবে। যেসব অ্যাকাউন্ট ব্লক (স্থগিত)
৫ দিন আগে
দেশে বসেই আন্তর্জাতিক পর্নো সাইটে সক্রিয় ছিলেন তাঁরা। ভিডিও বানিয়ে আপলোড করতেন বিভিন্ন ওয়েবসাইটে। শুধু নিজেরাই নন, এই দম্পতি অন্যদেরও এ কাজে যুক্ত করতেন বলে অভিযোগ। অবশেষে সেই আলোচিত যুগলকে বান্দরবানে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
৬ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

জুয়া ও প্রতারণায় জড়িত থাকায় ৫০ হাজারের বেশি এমএফএস (মোবাইলভিত্তিক আর্থিক লেনদেন সেবা) অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ (স্থগিত) করেছে বিএফআইইউ (বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট)। ২০২২ সালের ডিসেম্বর থেকে চলতি মাস পর্যন্ত এই নম্বরগুলো স্থগিত করা হয়।
আজ মঙ্গলবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বিটিআরসি ভবনে ‘অনলাইন জুয়া প্রতিরোধে করণীয়’ শীর্ষক এক সভায় বিএফআইইউর প্রতিনিধি এ তথ্য জানান।
সভায় ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়, ডিজিএফআই (ডিরেক্টরেট জেনারেল অব ফোর্সেস ইন্টেলিজেন্স), এনএসআই (ন্যাশনাল সিকিউরিটি ইন্টেলিজেন্স), এনটিএমসি (ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টার), সিআইডি (ক্রিমিনাল ইনভেস্টিগেশন ডিপার্টমেন্ট), বিএফআইইউ, এমএফএস ও মোবাইল অপারেটরদের প্রতিনিধিরা অংশ নেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সভায় উপস্থিত বিএফআইইউ প্রতিনিধি বলেন, এমএফএস অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে জুয়া ও প্রতারণা বন্ধে বিটিআরসির (বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন) মাধ্যমে বার্তা দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া এমএফএস প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে বৈঠক করে তাদের কিছু নির্দেশনাও দেওয়া হবে। যেসব অ্যাকাউন্ট ব্লক (স্থগিত) করা হয়েছে, সেগুলো থেকে কোথায় কোথায় টাকা লেনদেন করা হয়েছে, তা বিশ্লেষণ করে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে প্রতিবেদন দেওয়া হবে।
ডিজিএফআই প্রতিনিধি জানান, অনলাইন জুয়ার মতো আর্থিক নানা প্রতারণায় বেনামি সিম ব্যবহার করা হচ্ছে। সংঘবদ্ধ চক্র ভুয়া সিম বিক্রি করছে। মানুষের আঙুলের ছাপ ব্যবহার করা হচ্ছে। বিকাশের অ্যাপ নকল করা হয়েছে। নাগরিকদের ডেটাবেইস ডার্ক ওয়েবে পাওয়া যাচ্ছে। এটা নিয়ে নানা অপরাধ সংঘটিত হচ্ছে।
সভায় অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিবিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, সরকার সতর্ক করার পরও অনেক গণমাধ্যমের অনলাইন পোর্টালে এখনো জুয়ার বিজ্ঞাপন প্রচার করা হচ্ছে। এ ধরনের বিজ্ঞাপন প্রচার করলে যেকোনো মুহূর্তে বিনা নোটিশে সংশ্লিষ্ট গণমাধ্যমের পোর্টাল বন্ধ করে দেওয়া হবে। প্রায় সব কটি মিডিয়ার পোর্টালে এখনো অনিরাপদ কনটেন্ট আসে। জুয়ার বিজ্ঞাপন আসে। এখান থেকে তারা টাকা পায়।
১৯ অক্টোবর পর্যন্ত জুয়ার বিজ্ঞাপন বন্ধে সময় দেওয়া হয়েছিল। তবে গণমাধ্যমগুলো তা মানছে না বলে অভিযোগ করেন বিশেষ সহকারী। তিনি বলেন, বেশ কিছু অনলাইন পোর্টাল জুয়ার বিজ্ঞাপন ও অনিরাপদ কনটেন্ট বিজ্ঞাপন প্রচার করছে। ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, ‘আমরা যেকোনো মুহূর্তে বন্ধ করে দেব। যেহেতু একাধিক নোটিশ দেওয়া হয়েছে। আমরা পাবলিকলি কোনো নোটিশ দেব না।’
অনলাইন জুয়া বন্ধে সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগ ও চ্যালেঞ্জের কথা তুলে ধরেন ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব। তিনি জানান, সরকারের হিসাবে গত মে মাস থেকে এখন পর্যন্ত ৪ হাজার ৮২০টি এমএফএস নম্বর পাওয়া গেছে। এ ছাড়া ১ হাজার ৩৩১টি ওয়েব পোর্টালের লিংক পাওয়া গেছে।
সরকারের চ্যালেঞ্জ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, যখনই একটা নম্বর ব্লক করা হয়, তখন এর চেয়ে বেশিসংখ্যক বা সমসংখ্যক নম্বর ব্যবহার করে সিগন্যাল-হোয়াটসঅ্যাপের মতো গ্রুপগুলোয় ছড়িয়ে দেওয়া হয়। আইপি পরিবর্তন করে ওয়েবসাইটের নাম একটু পরিবর্তন করা হয়। এভাবে নতুন ওয়েবসাইট বানিয়ে আবার শুরু করা হয়। এমএফএস, ওয়েব লিংক বন্ধ করার পর এ চক্রগুলো আবার অ্যাপ তৈরি ফেলে। অ্যাপগুলো অনেক ক্ষেত্রেই পাবলিশড নয়, এপিকে হিসেবে ব্যবহার করে।

জুয়া ও প্রতারণায় জড়িত থাকায় ৫০ হাজারের বেশি এমএফএস (মোবাইলভিত্তিক আর্থিক লেনদেন সেবা) অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ (স্থগিত) করেছে বিএফআইইউ (বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট)। ২০২২ সালের ডিসেম্বর থেকে চলতি মাস পর্যন্ত এই নম্বরগুলো স্থগিত করা হয়।
আজ মঙ্গলবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বিটিআরসি ভবনে ‘অনলাইন জুয়া প্রতিরোধে করণীয়’ শীর্ষক এক সভায় বিএফআইইউর প্রতিনিধি এ তথ্য জানান।
সভায় ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়, ডিজিএফআই (ডিরেক্টরেট জেনারেল অব ফোর্সেস ইন্টেলিজেন্স), এনএসআই (ন্যাশনাল সিকিউরিটি ইন্টেলিজেন্স), এনটিএমসি (ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টার), সিআইডি (ক্রিমিনাল ইনভেস্টিগেশন ডিপার্টমেন্ট), বিএফআইইউ, এমএফএস ও মোবাইল অপারেটরদের প্রতিনিধিরা অংশ নেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সভায় উপস্থিত বিএফআইইউ প্রতিনিধি বলেন, এমএফএস অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে জুয়া ও প্রতারণা বন্ধে বিটিআরসির (বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন) মাধ্যমে বার্তা দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া এমএফএস প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে বৈঠক করে তাদের কিছু নির্দেশনাও দেওয়া হবে। যেসব অ্যাকাউন্ট ব্লক (স্থগিত) করা হয়েছে, সেগুলো থেকে কোথায় কোথায় টাকা লেনদেন করা হয়েছে, তা বিশ্লেষণ করে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে প্রতিবেদন দেওয়া হবে।
ডিজিএফআই প্রতিনিধি জানান, অনলাইন জুয়ার মতো আর্থিক নানা প্রতারণায় বেনামি সিম ব্যবহার করা হচ্ছে। সংঘবদ্ধ চক্র ভুয়া সিম বিক্রি করছে। মানুষের আঙুলের ছাপ ব্যবহার করা হচ্ছে। বিকাশের অ্যাপ নকল করা হয়েছে। নাগরিকদের ডেটাবেইস ডার্ক ওয়েবে পাওয়া যাচ্ছে। এটা নিয়ে নানা অপরাধ সংঘটিত হচ্ছে।
সভায় অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিবিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, সরকার সতর্ক করার পরও অনেক গণমাধ্যমের অনলাইন পোর্টালে এখনো জুয়ার বিজ্ঞাপন প্রচার করা হচ্ছে। এ ধরনের বিজ্ঞাপন প্রচার করলে যেকোনো মুহূর্তে বিনা নোটিশে সংশ্লিষ্ট গণমাধ্যমের পোর্টাল বন্ধ করে দেওয়া হবে। প্রায় সব কটি মিডিয়ার পোর্টালে এখনো অনিরাপদ কনটেন্ট আসে। জুয়ার বিজ্ঞাপন আসে। এখান থেকে তারা টাকা পায়।
১৯ অক্টোবর পর্যন্ত জুয়ার বিজ্ঞাপন বন্ধে সময় দেওয়া হয়েছিল। তবে গণমাধ্যমগুলো তা মানছে না বলে অভিযোগ করেন বিশেষ সহকারী। তিনি বলেন, বেশ কিছু অনলাইন পোর্টাল জুয়ার বিজ্ঞাপন ও অনিরাপদ কনটেন্ট বিজ্ঞাপন প্রচার করছে। ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, ‘আমরা যেকোনো মুহূর্তে বন্ধ করে দেব। যেহেতু একাধিক নোটিশ দেওয়া হয়েছে। আমরা পাবলিকলি কোনো নোটিশ দেব না।’
অনলাইন জুয়া বন্ধে সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগ ও চ্যালেঞ্জের কথা তুলে ধরেন ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব। তিনি জানান, সরকারের হিসাবে গত মে মাস থেকে এখন পর্যন্ত ৪ হাজার ৮২০টি এমএফএস নম্বর পাওয়া গেছে। এ ছাড়া ১ হাজার ৩৩১টি ওয়েব পোর্টালের লিংক পাওয়া গেছে।
সরকারের চ্যালেঞ্জ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, যখনই একটা নম্বর ব্লক করা হয়, তখন এর চেয়ে বেশিসংখ্যক বা সমসংখ্যক নম্বর ব্যবহার করে সিগন্যাল-হোয়াটসঅ্যাপের মতো গ্রুপগুলোয় ছড়িয়ে দেওয়া হয়। আইপি পরিবর্তন করে ওয়েবসাইটের নাম একটু পরিবর্তন করা হয়। এভাবে নতুন ওয়েবসাইট বানিয়ে আবার শুরু করা হয়। এমএফএস, ওয়েব লিংক বন্ধ করার পর এ চক্রগুলো আবার অ্যাপ তৈরি ফেলে। অ্যাপগুলো অনেক ক্ষেত্রেই পাবলিশড নয়, এপিকে হিসেবে ব্যবহার করে।

কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফের ৩৩টি রোহিঙ্গা আশ্রয়শিবিরে গোলাগুলি, অপহরণ, হত্যা-ধর্ষণ নিত্যদিনের ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে। এসব অপরাধের পেছনে অন্যতম কারণ মাদক ব্যবসা ও ক্যাম্পে নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা হলেও সম্প্রতি ঘটে যাওয়া হত্যাকাণ্ডগুলোয় একটি বিশেষ বৈশিষ্ট্য চোখে পড়েছে। আর তা হলো যাঁরা খুন হয়েছেন, তাঁদের বেশি
২৯ অক্টোবর ২০২২
রাজধানীর মোহাম্মদপুরে জেনেভা ক্যাম্পে ‘মাদক কারবারিদের’ দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে জাহিদ নিহতের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ শুক্রবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. ইবনে মিজান আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
৩ দিন আগে
এক বিজ্ঞপ্তিতে সিআইডি জানিয়েছে, নূরে আলম একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সদস্য। তিনি ফেসবুকে এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে যোগাযোগ করে জানান, তাঁর নামে বিদেশ থেকে একটি পার্সেল এসেছে, যা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাস্টম হাউসে জমা আছে। পার্সেল ছাড়াতে টাকা লাগবে—এ দাবি করে পার্সেলের ছবিও পাঠান তিনি।
৫ দিন আগে
দেশে বসেই আন্তর্জাতিক পর্নো সাইটে সক্রিয় ছিলেন তাঁরা। ভিডিও বানিয়ে আপলোড করতেন বিভিন্ন ওয়েবসাইটে। শুধু নিজেরাই নন, এই দম্পতি অন্যদেরও এ কাজে যুক্ত করতেন বলে অভিযোগ। অবশেষে সেই আলোচিত যুগলকে বান্দরবানে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
৬ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

দেশে বসেই আন্তর্জাতিক পর্নো সাইটে সক্রিয় ছিলেন তাঁরা। ভিডিও বানিয়ে আপলোড করতেন বিভিন্ন ওয়েবসাইটে। শুধু নিজেরাই নন, এই দম্পতি অন্যদেরও এ কাজে যুক্ত করতেন বলে অভিযোগ। অবশেষে সেই আলোচিত যুগলকে বান্দরবানে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
আজ সোমবার ভোরে বান্দরবান সদর উপজেলার হাজীপাড়ার বালাঘাটা এলাকা থেকে সিআইডির এলআইসি ও সাইবার পুলিশ সেন্টার (সিপিসি) ইউনিটের সদস্যরা এই যুগলকে গ্রেপ্তার করেন। গ্রেপ্তার হওয়া যুগল হলেন মুহাম্মদ আজিম (২৮) ও তাঁর স্ত্রী বৃষ্টি (২৮)। আজ বিকেলে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানায় সিআইডি।
গ্রেপ্তার আজিমের বাড়ি চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলার বুরুমছড়া গ্রামে এবং বৃষ্টির বাড়ি মানিকগঞ্জ জেলার হরিরামপুর উপজেলার আন্ধারমানিক (খালপাড়) গ্রামে।
সিআইডির প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, এই যুগল ২০২৪ সালের মে মাসে আন্তর্জাতিক এক পর্নো সাইটে প্রথম ভিডিও আপলোড করেন। এরপর এক বছরের মধ্যে তাঁরা ১১২টি ভিডিও আপলোড করেছেন, যেগুলো বিশ্বব্যাপী ২ কোটি ৬৭ লাখের বেশিবার দেখা হয়েছে।
এই যুগল এতটাই জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন যে, ২০২৫ সালের অক্টোবর মাসে আন্তর্জাতিক পারফর্মার র্যাঙ্কিংয়ে তাঁদের অবস্থান উঠে আসে অষ্টম স্থানে। ভিডিও আপলোড ছাড়াও তাঁরা বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম—বিশেষ করে, ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম ও টেলিগ্রামের মাধ্যমে নিজেদের কর্মকাণ্ডের প্রচারণা চালাতেন। এসব প্ল্যাটফর্মে নতুনদের এ কাজে যুক্ত হওয়ার আহ্বান জানানো হতো।
তদন্তকারীরা বলছেন, আগ্রহীদের ‘ক্রিয়েটর’ হিসেবে যুক্ত করতে তাঁরা টেলিগ্রাম চ্যানেলে নানা প্রলোভন দেখিয়ে বিজ্ঞাপন দিতেন। নতুন কেউ যুক্ত হলে তাঁকে নগদ অর্থ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হতো। কেউ যোগাযোগ করলে তাঁদের ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করতে উৎসাহিত করতেন আজিম ও বৃষ্টি।
সিআইডির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এই যুগল প্রাথমিক বিদ্যালয়ের গণ্ডি পেরোতে পারেননি। তবে অনলাইনে তাঁদের বিলাসবহুল জীবনধারার নানা ছবি পাওয়া যায়, যা সমাজে নেতিবাচক বার্তা দিচ্ছে। এসব কার্যক্রম সামাজিক ও নৈতিকভাবে যেমন উদ্বেগজনক, তেমনি দেশের প্রচলিত আইনেরও লঙ্ঘন।
অভিযানের সময় তাঁদের কাছ থেকে মোবাইল ফোন, সিম কার্ড, ক্যামেরা, ট্রাইপডসহ ভিডিও ধারণের বিভিন্ন যন্ত্রপাতি জব্দ করা হয়েছে। তাঁদের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা রুজু করা হয়েছে। একই সঙ্গে আদালতে সোপর্দ করে রিমান্ড চেয়ে আবেদন করা হবে বলে জানিয়েছে সিআইডি।
সিআইডির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, পর্নোগ্রাফি ছড়িয়ে দেওয়ার সঙ্গে যুক্ত অন্যদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তারে তদন্ত অব্যাহত রয়েছে।

দেশে বসেই আন্তর্জাতিক পর্নো সাইটে সক্রিয় ছিলেন তাঁরা। ভিডিও বানিয়ে আপলোড করতেন বিভিন্ন ওয়েবসাইটে। শুধু নিজেরাই নন, এই দম্পতি অন্যদেরও এ কাজে যুক্ত করতেন বলে অভিযোগ। অবশেষে সেই আলোচিত যুগলকে বান্দরবানে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
আজ সোমবার ভোরে বান্দরবান সদর উপজেলার হাজীপাড়ার বালাঘাটা এলাকা থেকে সিআইডির এলআইসি ও সাইবার পুলিশ সেন্টার (সিপিসি) ইউনিটের সদস্যরা এই যুগলকে গ্রেপ্তার করেন। গ্রেপ্তার হওয়া যুগল হলেন মুহাম্মদ আজিম (২৮) ও তাঁর স্ত্রী বৃষ্টি (২৮)। আজ বিকেলে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানায় সিআইডি।
গ্রেপ্তার আজিমের বাড়ি চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলার বুরুমছড়া গ্রামে এবং বৃষ্টির বাড়ি মানিকগঞ্জ জেলার হরিরামপুর উপজেলার আন্ধারমানিক (খালপাড়) গ্রামে।
সিআইডির প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, এই যুগল ২০২৪ সালের মে মাসে আন্তর্জাতিক এক পর্নো সাইটে প্রথম ভিডিও আপলোড করেন। এরপর এক বছরের মধ্যে তাঁরা ১১২টি ভিডিও আপলোড করেছেন, যেগুলো বিশ্বব্যাপী ২ কোটি ৬৭ লাখের বেশিবার দেখা হয়েছে।
এই যুগল এতটাই জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন যে, ২০২৫ সালের অক্টোবর মাসে আন্তর্জাতিক পারফর্মার র্যাঙ্কিংয়ে তাঁদের অবস্থান উঠে আসে অষ্টম স্থানে। ভিডিও আপলোড ছাড়াও তাঁরা বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম—বিশেষ করে, ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম ও টেলিগ্রামের মাধ্যমে নিজেদের কর্মকাণ্ডের প্রচারণা চালাতেন। এসব প্ল্যাটফর্মে নতুনদের এ কাজে যুক্ত হওয়ার আহ্বান জানানো হতো।
তদন্তকারীরা বলছেন, আগ্রহীদের ‘ক্রিয়েটর’ হিসেবে যুক্ত করতে তাঁরা টেলিগ্রাম চ্যানেলে নানা প্রলোভন দেখিয়ে বিজ্ঞাপন দিতেন। নতুন কেউ যুক্ত হলে তাঁকে নগদ অর্থ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হতো। কেউ যোগাযোগ করলে তাঁদের ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করতে উৎসাহিত করতেন আজিম ও বৃষ্টি।
সিআইডির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এই যুগল প্রাথমিক বিদ্যালয়ের গণ্ডি পেরোতে পারেননি। তবে অনলাইনে তাঁদের বিলাসবহুল জীবনধারার নানা ছবি পাওয়া যায়, যা সমাজে নেতিবাচক বার্তা দিচ্ছে। এসব কার্যক্রম সামাজিক ও নৈতিকভাবে যেমন উদ্বেগজনক, তেমনি দেশের প্রচলিত আইনেরও লঙ্ঘন।
অভিযানের সময় তাঁদের কাছ থেকে মোবাইল ফোন, সিম কার্ড, ক্যামেরা, ট্রাইপডসহ ভিডিও ধারণের বিভিন্ন যন্ত্রপাতি জব্দ করা হয়েছে। তাঁদের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা রুজু করা হয়েছে। একই সঙ্গে আদালতে সোপর্দ করে রিমান্ড চেয়ে আবেদন করা হবে বলে জানিয়েছে সিআইডি।
সিআইডির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, পর্নোগ্রাফি ছড়িয়ে দেওয়ার সঙ্গে যুক্ত অন্যদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তারে তদন্ত অব্যাহত রয়েছে।

কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফের ৩৩টি রোহিঙ্গা আশ্রয়শিবিরে গোলাগুলি, অপহরণ, হত্যা-ধর্ষণ নিত্যদিনের ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে। এসব অপরাধের পেছনে অন্যতম কারণ মাদক ব্যবসা ও ক্যাম্পে নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা হলেও সম্প্রতি ঘটে যাওয়া হত্যাকাণ্ডগুলোয় একটি বিশেষ বৈশিষ্ট্য চোখে পড়েছে। আর তা হলো যাঁরা খুন হয়েছেন, তাঁদের বেশি
২৯ অক্টোবর ২০২২
রাজধানীর মোহাম্মদপুরে জেনেভা ক্যাম্পে ‘মাদক কারবারিদের’ দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে জাহিদ নিহতের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ শুক্রবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. ইবনে মিজান আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
৩ দিন আগে
এক বিজ্ঞপ্তিতে সিআইডি জানিয়েছে, নূরে আলম একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সদস্য। তিনি ফেসবুকে এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে যোগাযোগ করে জানান, তাঁর নামে বিদেশ থেকে একটি পার্সেল এসেছে, যা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাস্টম হাউসে জমা আছে। পার্সেল ছাড়াতে টাকা লাগবে—এ দাবি করে পার্সেলের ছবিও পাঠান তিনি।
৫ দিন আগে
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সভায় উপস্থিত বিএফআইইউ প্রতিনিধি বলেন, এমএফএস অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে জুয়া ও প্রতারণা বন্ধে বিটিআরসির (বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন) মাধ্যমে বার্তা দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া এমএফএস প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে বৈঠক করে তাদের কিছু নির্দেশনাও দেওয়া হবে। যেসব অ্যাকাউন্ট ব্লক (স্থগিত)
৫ দিন আগে