এস এম নূর মোহাম্মদ, ঢাকা
মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীন বাংলাদেশের বয়স ৫১ বছর। তখন যাঁরা দেশের জন্য যুদ্ধ করেছেন বা বিরোধিতা করেছেন, তাঁদের বয়স ৬৫ পেরিয়েছে। একই অবস্থা প্রত্যক্ষদর্শীদেরও। ওই সময়ের বেশির ভাগ যুবকই মারা গেছেন। যাঁরা বেঁচে আছেন, তাঁরাও বয়সের ভারে ন্যুব্জ। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা সূত্রে জানা যায়, বিচারাধীন অবস্থায় ৪৯ জন আসামির মৃত্যু হয়েছে। তদন্ত চলাকালে মারা গেছেন ৩ জন। পলাতক ১৮৩ আসামির মধ্যেও ৪৪ জনের মৃত্যুর খবর পেয়েছে তদন্ত সংস্থা।
এ ছাড়া ২ হাজার ৩৬০ জন সাক্ষীর মধ্যে ৩৬ জন মারা গেছেন।
সূত্রমতে, এ পর্যন্ত ৮৭টি অভিযোগের তদন্ত শেষ হয়েছে, যার মধ্যে ৪৯টির বিচার শেষে রায় হয়েছে। তদন্ত চলছে ১৭টি অভিযোগের। তদন্তের অপেক্ষায় আছে ৪৭১টি।
তদন্ত সংস্থার কাছে গত অক্টোবর পর্যন্ত সারা দেশ থেকে ৪ হাজার ২১৪ জনের বিরুদ্ধে ৭৮৭টি অভিযোগ এসেছে। এগুলোর মধ্যে ২০২০ সালের পর থেকে এসেছে ৩০টি, যার কোনোটিরই এখনো তদন্ত শুরু হয়নি। বর্তমানে তদন্ত চলছে ১৭টি অভিযোগের।
এ অবস্থায় মুক্তিযুদ্ধকালীন মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার দ্রুত শেষ করতে না পারলে অনেক আসামিকেই বিচারের মুখোমুখি করা সম্ভব হবে না বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।
তদন্ত সংস্থার সমন্বয়ক সানাউল হক আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমাদের কাছে ৫০০টির মতো অভিযোগ আছে। বছরে পাঁচটির বেশি মামলার বিচার সম্পন্ন হয় না।
বিচারাধীন ৩৫টি মামলার নিষ্পত্তি হতেই দীর্ঘ সময় লেগে যাবে। তাই ট্রাইব্যুনালের সংখ্যা বাড়ানো সময়ের দাবি।’ তিনি বলেন, ‘যেহেতু ১৯৭১ সালে সংঘটিত অপরাধ; তাই আসামি, সাক্ষী, বাদী–সবার বয়সই ৭০ বছরের ওপরে। অনেকে মারা যাচ্ছেন, অনেকে চলার শক্তি হারিয়ে কথা বলার মতো অবস্থায় নেই। এ অবস্থায় দ্রুত এই বিচার সম্পন্ন করা উচিত।’ তদন্ত সংস্থা ও প্রসিকিউশনকে (রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী দল) আরও শক্তিশালী করতে পারলে যত দূর সম্ভব কাঙ্ক্ষিত সময়ের মধ্যে অনুসন্ধান শেষ করে অপরাধীদের বিচারের মুখোমুখি করা যাবে বলে মনে করেন তিনি।
এ বিষয়ে সাবেক আইনমন্ত্রী ব্যারিস্টার শফিক আহমেদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বিচার দেরি হলে আসল উদ্দেশ্য নষ্ট হয়। এতে অনেকেই আগ্রহ হারিয়ে ফেলেন। এই ধরনের বিচার, তদন্ত আরও দ্রুত করা উচিত। সঠিক সময়ে বিচার না হলে উদ্দেশ্য ব্যাহত হবে। অনেক মামলা জমে আছে, তাই ট্রাইব্যুনালের সংখ্যা বাড়ানো উচিত।’
রায় হওয়া ৪৯ মামলায় আসামি ১৪০
মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারের লক্ষ্যে ২০১০ সালের ২৫ মার্চ গঠন করা হয় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। এক যুগের বেশি সময় ধরে চলছে এই বিচারকাজ। এই সময়ে ৪৯টি মামলার রায় দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল। ওই মামলাগুলোতে আসামি ১৪০ জন। রায়ে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয় ৮৫ জনকে, যাদের মধ্যে পলাতক ৪১ জন। আমৃত্যু কারাদণ্ড দেওয়া হয় ২৫ জনকে, যাদের মধ্যে ১২ জনই পলাতক। যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয় চারজনকে। আর খালাস দেওয়া হয় দুজনকে।
তদন্ত সংস্থা জানায়, ১৪৯টি অভিযোগ আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইনের আওতায় না পড়ায় শুধু তালিকাভুক্ত করা হয়েছে। এ ছাড়া ফেরত দেওয়া হয়েছে আটটি অভিযোগ।
জানা যায়, ২০২০ সালের পর থেকে তদন্ত সংস্থায় সদস্যসংখ্যা কমতে থাকে। বর্তমানে আছেন ৯ জন। প্রসিকিউশন টিমে ২৪ জন থেকে কমে এখন ১৫ জন আছেন।
বিচার প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার পর মামলা বাড়ায় ২০১২ সালের ২২ মার্চ ট্রাইব্যুনাল-২ নামে আরেকটি ট্রাইব্যুনাল গঠন করা হয়েছিল। তবে ২০১৫ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর থেকে একটি ট্রাইব্যুনাল কার্যকর।
প্রয়োজনে ট্রাইব্যুনাল বাড়ানোর বিষয়ে বলা হবে
প্রসিকিউটর মোখলেছুর রহমান বাদল আজকের পত্রিকাকে বলেন, কোভিডের কারণে দুই বছর কিছুটা স্থবিরতা ছিল। তবে এর পর থেকে আবারও সম্মিলিতভাবে কার্যক্রম চলছে। তদন্ত সংস্থা গুরুত্ব বিবেচনায় মামলাগুলো তদন্ত করবে। প্রাথমিকভাবে দেখে যেগুলো রাখার মতো সেগুলো রেখে বাকিগুলোর বিষয়ে নিশ্চয়ই চিন্তা করবে। আর তদন্ত সংস্থা প্রতিবেদন পাঠানোর পর প্রয়োজন মনে করলে সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ করে ট্রাইব্যুনাল বাড়ানোর বিষয়ে বলা হবে। তবে বিচার দ্রুত নিষ্পত্তি হওয়া উচিত বলে মনে করেন তিনি।
মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীন বাংলাদেশের বয়স ৫১ বছর। তখন যাঁরা দেশের জন্য যুদ্ধ করেছেন বা বিরোধিতা করেছেন, তাঁদের বয়স ৬৫ পেরিয়েছে। একই অবস্থা প্রত্যক্ষদর্শীদেরও। ওই সময়ের বেশির ভাগ যুবকই মারা গেছেন। যাঁরা বেঁচে আছেন, তাঁরাও বয়সের ভারে ন্যুব্জ। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা সূত্রে জানা যায়, বিচারাধীন অবস্থায় ৪৯ জন আসামির মৃত্যু হয়েছে। তদন্ত চলাকালে মারা গেছেন ৩ জন। পলাতক ১৮৩ আসামির মধ্যেও ৪৪ জনের মৃত্যুর খবর পেয়েছে তদন্ত সংস্থা।
এ ছাড়া ২ হাজার ৩৬০ জন সাক্ষীর মধ্যে ৩৬ জন মারা গেছেন।
সূত্রমতে, এ পর্যন্ত ৮৭টি অভিযোগের তদন্ত শেষ হয়েছে, যার মধ্যে ৪৯টির বিচার শেষে রায় হয়েছে। তদন্ত চলছে ১৭টি অভিযোগের। তদন্তের অপেক্ষায় আছে ৪৭১টি।
তদন্ত সংস্থার কাছে গত অক্টোবর পর্যন্ত সারা দেশ থেকে ৪ হাজার ২১৪ জনের বিরুদ্ধে ৭৮৭টি অভিযোগ এসেছে। এগুলোর মধ্যে ২০২০ সালের পর থেকে এসেছে ৩০টি, যার কোনোটিরই এখনো তদন্ত শুরু হয়নি। বর্তমানে তদন্ত চলছে ১৭টি অভিযোগের।
এ অবস্থায় মুক্তিযুদ্ধকালীন মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার দ্রুত শেষ করতে না পারলে অনেক আসামিকেই বিচারের মুখোমুখি করা সম্ভব হবে না বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।
তদন্ত সংস্থার সমন্বয়ক সানাউল হক আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমাদের কাছে ৫০০টির মতো অভিযোগ আছে। বছরে পাঁচটির বেশি মামলার বিচার সম্পন্ন হয় না।
বিচারাধীন ৩৫টি মামলার নিষ্পত্তি হতেই দীর্ঘ সময় লেগে যাবে। তাই ট্রাইব্যুনালের সংখ্যা বাড়ানো সময়ের দাবি।’ তিনি বলেন, ‘যেহেতু ১৯৭১ সালে সংঘটিত অপরাধ; তাই আসামি, সাক্ষী, বাদী–সবার বয়সই ৭০ বছরের ওপরে। অনেকে মারা যাচ্ছেন, অনেকে চলার শক্তি হারিয়ে কথা বলার মতো অবস্থায় নেই। এ অবস্থায় দ্রুত এই বিচার সম্পন্ন করা উচিত।’ তদন্ত সংস্থা ও প্রসিকিউশনকে (রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী দল) আরও শক্তিশালী করতে পারলে যত দূর সম্ভব কাঙ্ক্ষিত সময়ের মধ্যে অনুসন্ধান শেষ করে অপরাধীদের বিচারের মুখোমুখি করা যাবে বলে মনে করেন তিনি।
এ বিষয়ে সাবেক আইনমন্ত্রী ব্যারিস্টার শফিক আহমেদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বিচার দেরি হলে আসল উদ্দেশ্য নষ্ট হয়। এতে অনেকেই আগ্রহ হারিয়ে ফেলেন। এই ধরনের বিচার, তদন্ত আরও দ্রুত করা উচিত। সঠিক সময়ে বিচার না হলে উদ্দেশ্য ব্যাহত হবে। অনেক মামলা জমে আছে, তাই ট্রাইব্যুনালের সংখ্যা বাড়ানো উচিত।’
রায় হওয়া ৪৯ মামলায় আসামি ১৪০
মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারের লক্ষ্যে ২০১০ সালের ২৫ মার্চ গঠন করা হয় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। এক যুগের বেশি সময় ধরে চলছে এই বিচারকাজ। এই সময়ে ৪৯টি মামলার রায় দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল। ওই মামলাগুলোতে আসামি ১৪০ জন। রায়ে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয় ৮৫ জনকে, যাদের মধ্যে পলাতক ৪১ জন। আমৃত্যু কারাদণ্ড দেওয়া হয় ২৫ জনকে, যাদের মধ্যে ১২ জনই পলাতক। যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয় চারজনকে। আর খালাস দেওয়া হয় দুজনকে।
তদন্ত সংস্থা জানায়, ১৪৯টি অভিযোগ আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইনের আওতায় না পড়ায় শুধু তালিকাভুক্ত করা হয়েছে। এ ছাড়া ফেরত দেওয়া হয়েছে আটটি অভিযোগ।
জানা যায়, ২০২০ সালের পর থেকে তদন্ত সংস্থায় সদস্যসংখ্যা কমতে থাকে। বর্তমানে আছেন ৯ জন। প্রসিকিউশন টিমে ২৪ জন থেকে কমে এখন ১৫ জন আছেন।
বিচার প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার পর মামলা বাড়ায় ২০১২ সালের ২২ মার্চ ট্রাইব্যুনাল-২ নামে আরেকটি ট্রাইব্যুনাল গঠন করা হয়েছিল। তবে ২০১৫ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর থেকে একটি ট্রাইব্যুনাল কার্যকর।
প্রয়োজনে ট্রাইব্যুনাল বাড়ানোর বিষয়ে বলা হবে
প্রসিকিউটর মোখলেছুর রহমান বাদল আজকের পত্রিকাকে বলেন, কোভিডের কারণে দুই বছর কিছুটা স্থবিরতা ছিল। তবে এর পর থেকে আবারও সম্মিলিতভাবে কার্যক্রম চলছে। তদন্ত সংস্থা গুরুত্ব বিবেচনায় মামলাগুলো তদন্ত করবে। প্রাথমিকভাবে দেখে যেগুলো রাখার মতো সেগুলো রেখে বাকিগুলোর বিষয়ে নিশ্চয়ই চিন্তা করবে। আর তদন্ত সংস্থা প্রতিবেদন পাঠানোর পর প্রয়োজন মনে করলে সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ করে ট্রাইব্যুনাল বাড়ানোর বিষয়ে বলা হবে। তবে বিচার দ্রুত নিষ্পত্তি হওয়া উচিত বলে মনে করেন তিনি।
সারা দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় পুলিশের বিশেষ অভিযানে ১ হাজার ৬৬৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মামলা ও ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি ৯৭২ জন ও অন্যান্য ঘটনায় গ্রেপ্তার হয়েছেন ৬৯৩ জন। আজ সোমবার পুলিশ সদর দপ্তরের এআইজি (মিডিয়া অ্যান্ড পিআর) ইনামুল হক সাগর এ তথ্য জানান।
৪ দিন আগেরাজধানীর মিরপুরে ছিনতাইয়ের ঘটনায় ইমরান খান সাকিব ওরফে শাকিল (৩৫) নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে মিরপুর মডেল থানা-পুলিশ। ডিএমপি জানায়, শাকিল পেশাদার ছিনতাইকারী। গতকাল শুক্রবার সকাল ৬টা ১৫ মিনিটের দিকে গাজীপুরের পুবাইল থানার কুদাব পশ্চিমপাড়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়...
১৮ এপ্রিল ২০২৫রাজধানীর খিলগাঁওয়ের তালতলায় ‘আপন কফি হাউসে’ তরুণীকে মারধরের ঘটনায় কফি হাউসের ব্যবস্থাপক (ম্যানেজার) আল আমিন ও কর্মচারী শুভ সূত্রধরকে এক দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। আজ মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. রাকিবুল হাসান এ আদেশ দেন।
১৫ এপ্রিল ২০২৫ক্যামেরার লেন্সে ধরা পড়ল অমানবিক দৃশ্য— মেয়েটিকে বেশ কিছুক্ষণ ধমকানো হলো। এরপর ঘাড় ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে দেওয়া হয়। সে যেন মানুষ নয়, পথের ধুলো। এর মধ্যেই এক কর্মচারী হঠাৎ মোটা লাঠি নিয়ে আঘাত করে তাঁর ছোট্ট পায়ে। শিশুটি কাতরাতে কাতরাতে পাশের দুটি গাড়ির ফাঁকে আশ্রয় নেয়। কিন্তু নির্যাতন থামে না, সেই লাঠি আব
১৪ এপ্রিল ২০২৫