Ajker Patrika

পটকা ফোটাতে নিষেধ করায় বাবা-ছেলেকে মারধর

হাতীবান্ধা (লালমনিরহাট) প্রতিনিধি
আপডেট : ০৭ জানুয়ারি ২০২২, ১২: ১৭
পটকা ফোটাতে নিষেধ করায় বাবা-ছেলেকে মারধর

লালমনিরহাটের হাতীবান্ধায় পটকা ফোটাতে নিষেধ করায় আবু তালেব ও তাঁর ছেলে রাশেদুল আলম সবুজকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে ফজু মিয়ার বিরুদ্ধে। আহত বাবা-ছেলে গত বুধবার সন্ধ্যায় হাতীবান্ধা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে চিকিৎসা নিয়ে বাড়িতে গেছেন।

এই ঘটনায় বুধবার সকালে রাশেদুল আলম সবুজ বাদী হয়ে হাতীবান্ধা থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। এর আগে গত মঙ্গলবার বিকেলে উপজেলার দালাল পাড়া এলাকায় ঘটনাটি ঘটে।

অভিযুক্ত ফজু মিয়ার বাড়ি উপজেলার দালাল পাড়া এলাকায়। আহতদের বাড়িও একই এলাকায়।

জানা গেছে, রাশেদুলের দোকানের নির্মাণাধীন দেওয়ালের ওপর ফটকা ফোটায় ফজু মিয়ার ১১ বছরের ছেলে শাকিবুল। এতে রাশেদুল শাকিবকে ফটকা ফুটাতে নিষেধ করেন। এ সময় শাকিব কান্নাকাটি করে বাড়িতে গিয়ে তাঁর বাবা ফজুকে জানায়। এরপরে ফজু ও তাঁর স্ত্রী আমিনা বেগম রাশেদুলের ওপর অতর্কিত হামলা চালিয়ে মারধর শুরু করেন। এ সময় রাশেদুলের চিৎকারে তাঁর বাবা আবু তালেব ছুটে এলে তাঁকেও অভিযুক্তরা মারধর করে আহত করেন।

এ বিষয়ে রাশেদুল ইসলাম বলেন, ‘আমার বাড়ি সংলগ্ন দোকানের দেওয়ালে সিমেন্ট দিয়ে কাজ করছি। এর ওপর শাকিব পটকা ফোটায়। এতে সিমেন্ট খসে পড়ে যায়। শাকিব ছোট মানুষ আমি তাকে শুধু নিষেধ করেছি। সে বাড়িতে গিয়ে কান্নাকাটি করে তার বাবাকে বলছে। তার বাবা কোনো কিছু না শুনে আমাকে ও আমার বাবাকে মারধর করে।’

এ বিষয়ে অভিযুক্ত ফজু মিয়া বলেন, রাশেদুলের দোকানের দেওয়ালে কে বা কারা ঢিল মেরে নষ্ট করেছে। আর সেই দোষ আমার ছেলের ওপর দিয়েছে। আমি শুধু রাশেদুলের কাছে জানার জন্য গিয়েছিলাম। তাঁকে কোনো মারধর করা হয়নি।’

এ বিষয়ে হাতীবান্ধা থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এরশাদুল আলম বলেন, ‘এই ঘটনায় অভিযোগ পাওয়া গেছে। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

১০০ বছর পর জানা গেল ‘অপ্রয়োজনীয়’ প্রত্যঙ্গটি নারীর প্রজননের জন্য গুরুত্বপূর্ণ

‘এই টাকা দিয়ে কী হয়, আমি এত চাপ নিচ্ছি, লাখ পাঁচেক দিতে বলো’, ওসির অডিও ফাঁস

কিশোরগঞ্জে আওয়ামী লীগের ঝটিকা মিছিল, যুবলীগ নেতা গ্রেপ্তার

উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদের এপিএস মোয়াজ্জেমকে অব্যাহতি

ঘন ঘন নাক খুঁটিয়ে স্মৃতিভ্রংশ ডেকে আনছেন না তো!

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত