শাহরিয়ার হাসান, বকশীগঞ্জ, জামালপুর থেকে
একের পর এক খবর প্রকাশ করায় জামালপুরের সাংবাদিক গোলাম রব্বানি নাদিমের ওপর আগে থেকেই ক্ষিপ্ত ছিলেন চেয়ারম্যান মাহমুদুল আলম বাবু। সেই ক্ষোভে ঘি ঢালে আদালতের এক রায়। নাদিমের বিরুদ্ধে চেয়ারম্যান বাবুর মামলার আবেদন খারিজ করে দেন আদালত। এ রায় শোনার পর তাৎক্ষণিক সিদ্ধান্তে নাদিমকে খুন করার পরিকল্পনা করেন বাবু। এক হাত ঘুরে এ কাজের দায়িত্ব যায় তিন দিন আগে উপজেলা তাঁতী লীগের সভাপতির দায়িত্ব পাওয়া সহিদুর রহমান লিপনের কাছে। লিপন বিনিময়ে কোনো অর্থ-কড়ি নয় বরং দাবি করেন একটি ‘মদ পার্টির’। দুই পক্ষই এই চুক্তিতে রাজি। সেদিন সন্ধ্যাতেই লিপন তাঁতী লীগের নেতা-কর্মী ও অনুসারীদের নিয়ে অংশ নেন সাংবাদিক হত্যার মিশনে।
জামালপুরের বকশীগঞ্জে নাদিম হত্যায় গ্রেপ্তারের পর রিমান্ডের প্রথম দিনে ১৩ আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদে এসব তথ্য পাওয়া গেছে বলে তদন্তসংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।
জানতে চাইলে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও বকশীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ সোহেল রানা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘গ্রেপ্তার বাবু চেয়ারম্যান জিজ্ঞাসাবাদে নানা ধরনের তথ্য দিচ্ছেন। আমরা সিসিটিভি ফুটেজে যে লুঙ্গি পার্টিকে দেখেছি, তারা অনেকেই তাঁতী লীগের সদস্য। এই হত্যাকাণ্ডে তাঁদের ব্যবহার করা হয়েছে।’
তদন্ত কর্মকর্তা আরও বলেন, এখনো বেশ কয়েকজন গুরুত্বপূর্ণ আসামি পলাতক রয়েছেন। তাঁদের গ্রেপ্তারের পর আরও তথ্য পাওয়া যাবে। বকশীগঞ্জ বাজারের পাটহাটি এলাকায় গত বুধবার রাতে হামলার শিকার হন বাংলানিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের জামালপুর জেলা প্রতিনিধি ও একাত্তর টিভির বকশীগঞ্জ উপজেলা প্রতিনিধি গোলাম রব্বানি নাদিম। পরের দিন তিনি হাসপাতালে মারা যান। তাঁর পরিবারের অভিযোগ, প্রকাশিত সংবাদের জের ধরে নাদিমকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। এ হত্যার মূল অভিযুক্ত চেয়ারম্যান মাহমুদুল আলম বাবু। উপজেলার সাধুরপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের এই চেয়ারম্যানকে গতকাল সোমবার সাময়িক বরখাস্ত করেছে স্থানীয় সরকার বিভাগ।
খুনের চুক্তি তাৎক্ষণিক
স্থানীয় লোকজন ও বকশীগঞ্জের সাংবাদিকদের ভাষ্যমতে, চেয়ারম্যান বাবুর সঙ্গে তাঁর দ্বিতীয় স্ত্রী সাবিনা আক্তারের সম্পর্কের টানাপোড়েন চলছে। এ নিয়ে গত মে মাসে স্থানীয় অনলাইন পোর্টালে কয়েকটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেন সাংবাদিক নাদিম। এতে ক্ষিপ্ত হন চেয়ারম্যান বাবু। নাদিমসহ কয়েকজনের নামে সাইবার অপরাধ দমন ট্রাইব্যুনালে মামলার আবেদন করেন বাবু। কিন্তু তা খারিজ করে দেন বিচারক। আর এই মামলা খারিজের চার ঘণ্টার মধ্যেই হামলার শিকার হন সাংবাদিক নাদিম।
তদন্তসংশ্লিষ্ট সূত্র, পুলিশ ও রাজনৈতিক সূত্রে জানা গেছে, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে করা মামলার আবেদন গত বুধবার খারিজ করে দেন ময়মনসিংহের সাইবার অপরাধ দমন ট্রাইব্যুনাল। এই রায়ের কপি হাতে পেয়েই সাংবাদিক নাদিম ফোন করেন চেয়ারম্যান বাবুর ছেলে উপজেলা ছাত্রলীগ নেতা ফাহিম ফয়সাল রিফাতকে। রিফাত তখন বলেন, ‘মামলা থেকে মুক্তি পেলেও তোকে ছাড়ব না।’ এরপর রিফাত বিষয়টি তাঁর বাবাকে জানালে তিনি ক্ষিপ্ত হন। ডেকে পাঠান উপজেলা আওয়ামী লীগের উপপ্রচার সম্পাদক রাকিবিল্লাহ রাকিবকে। রাকিবই উপজেলা তাঁতী লীগের সভাপতি সহিদুর রহমান লিপনকে এই মিশন শেষ করার চুক্তি দেন। তিনি নিজেও ঘটনাস্থলে থাকবেন বলে আশ্বাস দেন। বিনিময়ে কথা দেন সদ্য সাবেক নেতা হিসেবে নতুন কমিটিসহ উপজেলার তাঁতী লীগের বিশ্বস্ত কর্মীদের নিয়ে একটি ‘মদ পার্টি’ করবেন। লিপন সাধুরপাড়া ইউনিয়ন ও থানা তাঁতী লীগের কর্মী ও অনুসারীদের নিয়ে অংশ নেন সাংবাদিক নাদিম হত্যার মিশনে। সঙ্গে যুক্ত হয় ক্ষমতাসীন দলের অঙ্গসংগঠনের আরও আট-দশজন নেতা-কর্মী। লিপনকে এখনো গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ।
২২ আসামির ১৬ জনই ক্ষমতাসীন দলের নেতা, বহিষ্কৃত ৬
নাদিম হত্যাকাণ্ডের দুই দিন পর ২২ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত আরও কয়েকজনকে আসামি করে বকশীগঞ্জ থানায় মামলা করেন নিহতের স্ত্রী মনিরা বেগম।মামলায় মূল হোতা চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মাহমুদুল আলম বাবুকে প্রধান আসামি করা হয়। আজকের পত্রিকা থেকে খোঁজ নিয়ে প্রত্যেকের পরিচয় নিশ্চিত হওয়া গেছে। দেখা গেছে নামে থাকা ২২ আসামির মধ্যে ১৬ জনই ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ ও তার অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের পদধারী নেতা-কর্মী।
স্থানীয় সূত্র বলছে, মামলার প্রথম আসামি বাবু চেয়ারম্যান, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। দ্বিতীয় আসামি বাবুর ছেলে উপজেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক ফাহিম ফয়সাল রিফাত। আসামির তালিকায় আরও আছেন গত সপ্তাহে কমিটি হওয়া তাঁতী লীগের আহ্বায়ক ও বর্তমান উপজেলা আওয়ামী লীগের সহপ্রচার ও প্রকাশনাবিষয়ক সম্পাদক এম ডি রাকিবিল্লাহ রাকিব, উপজেলা তাঁতী লীগের সভাপতি মো. শহিদুর রহমান লিপন, সাধুপাড়া ইউনিয়ন তাঁতী লীগের সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম, সহসভাপতি আবু সাঈদ, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের সভাপতি গাজী আমর আলী মেম্বার। উপজেলা যুবলীগ নেতা ও যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী গোলাম কিবরিয়া সুমন, যুবলীগ নেতা ও যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী ইসমাইল হোসেন স্বপন মণ্ডল, উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ও সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী খন্দকার শামীম, পৌর স্বেচ্ছাসেবক লীগের তথ্য ও সাহিত্যবিষয়ক সম্পাদক মিলন মিয়া, সাধুরপাড়া ইউনিয়ন যুবলীগের সদস্য মনিরুজ্জামান মনির, উপজেলা যুবলীগ নেতা শেখ ফরিদ, ছাত্রলীগ নেতা ওমর ফারুক, সাধুরপাড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের নেতা রফিকুল মিয়া, উপজেলা ছাত্রলীগ নেতা আমানুল্লাহ।
সাংবাদিক নাদিম হত্যাকাণ্ডের পর এদের ভেতর থেকে এখন পর্যন্ত ছয় নেতা-কর্মীকে বহিষ্কার করা হয়েছে। জানতে চাইলে জামালপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মুহাম্মদ বাকী বিল্লাহ আজকের পত্রিকাকে বলেন, দুর্বৃত্তদের কোনো দল নেই। এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে যাদের যাদের জড়িত থাকার তথ্য মিলবে, সবাইকে দল থেকে বহিষ্কার করা হবে।
অস্ত্র হাতে চেয়ারম্যানপুত্র
চেয়ারম্যানপুত্র রিফাতের পিস্তলসহ একটি ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে বেশ ভাইরাল হয়েছে। ছবিতে দেখা যায়, আকাশি রঙের শার্ট ও কালো রঙের প্যান্ট পরিহিত রিফাত ডান হাতে পিস্তল নিয়ে একটি মাঠে কারও সঙ্গে দুষ্টুমিতে মেতে উঠেছেন। বকশীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ সোহেল রানা জানান, এখনো রিফাতকে গ্রেপ্তার করা যায়নি। রিফাত গ্রেপ্তার হলে এ অস্ত্রের রহস্য বেরিয়ে আসবে।
বরখাস্ত হচ্ছেন চেয়ারম্যান বাবু
চেয়ারম্যান বাবুকে সাময়িক বরখাস্ত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে স্থানীয় সরকার বিভাগ। গতকাল সোমবার এ-সংক্রান্ত নথি চূড়ান্ত অনুমোদন করেছে স্থানীয় সরকারমন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম। আজ মঙ্গলবার এ-সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হতে পারে। এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় স্থানীয় সরকার বিভাগ হতে ইউপি চেয়ারম্যান বাবুকে চূড়ান্তভাবে অপসারণের লক্ষ্যে কারণ দর্শানোর নোটিশও পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলেন জানান সংশ্লিষ্টরা। স্থানীয় সরকার বিভাগের যুগ্ম সচিব নূরে আলম ছিদ্দিক বলেন, সাময়িক বরখাস্তের প্রজ্ঞাপন কাল (মঙ্গলবার) জারি হবে। সেই সঙ্গে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হবে।
একের পর এক খবর প্রকাশ করায় জামালপুরের সাংবাদিক গোলাম রব্বানি নাদিমের ওপর আগে থেকেই ক্ষিপ্ত ছিলেন চেয়ারম্যান মাহমুদুল আলম বাবু। সেই ক্ষোভে ঘি ঢালে আদালতের এক রায়। নাদিমের বিরুদ্ধে চেয়ারম্যান বাবুর মামলার আবেদন খারিজ করে দেন আদালত। এ রায় শোনার পর তাৎক্ষণিক সিদ্ধান্তে নাদিমকে খুন করার পরিকল্পনা করেন বাবু। এক হাত ঘুরে এ কাজের দায়িত্ব যায় তিন দিন আগে উপজেলা তাঁতী লীগের সভাপতির দায়িত্ব পাওয়া সহিদুর রহমান লিপনের কাছে। লিপন বিনিময়ে কোনো অর্থ-কড়ি নয় বরং দাবি করেন একটি ‘মদ পার্টির’। দুই পক্ষই এই চুক্তিতে রাজি। সেদিন সন্ধ্যাতেই লিপন তাঁতী লীগের নেতা-কর্মী ও অনুসারীদের নিয়ে অংশ নেন সাংবাদিক হত্যার মিশনে।
জামালপুরের বকশীগঞ্জে নাদিম হত্যায় গ্রেপ্তারের পর রিমান্ডের প্রথম দিনে ১৩ আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদে এসব তথ্য পাওয়া গেছে বলে তদন্তসংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।
জানতে চাইলে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও বকশীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ সোহেল রানা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘গ্রেপ্তার বাবু চেয়ারম্যান জিজ্ঞাসাবাদে নানা ধরনের তথ্য দিচ্ছেন। আমরা সিসিটিভি ফুটেজে যে লুঙ্গি পার্টিকে দেখেছি, তারা অনেকেই তাঁতী লীগের সদস্য। এই হত্যাকাণ্ডে তাঁদের ব্যবহার করা হয়েছে।’
তদন্ত কর্মকর্তা আরও বলেন, এখনো বেশ কয়েকজন গুরুত্বপূর্ণ আসামি পলাতক রয়েছেন। তাঁদের গ্রেপ্তারের পর আরও তথ্য পাওয়া যাবে। বকশীগঞ্জ বাজারের পাটহাটি এলাকায় গত বুধবার রাতে হামলার শিকার হন বাংলানিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের জামালপুর জেলা প্রতিনিধি ও একাত্তর টিভির বকশীগঞ্জ উপজেলা প্রতিনিধি গোলাম রব্বানি নাদিম। পরের দিন তিনি হাসপাতালে মারা যান। তাঁর পরিবারের অভিযোগ, প্রকাশিত সংবাদের জের ধরে নাদিমকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। এ হত্যার মূল অভিযুক্ত চেয়ারম্যান মাহমুদুল আলম বাবু। উপজেলার সাধুরপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের এই চেয়ারম্যানকে গতকাল সোমবার সাময়িক বরখাস্ত করেছে স্থানীয় সরকার বিভাগ।
খুনের চুক্তি তাৎক্ষণিক
স্থানীয় লোকজন ও বকশীগঞ্জের সাংবাদিকদের ভাষ্যমতে, চেয়ারম্যান বাবুর সঙ্গে তাঁর দ্বিতীয় স্ত্রী সাবিনা আক্তারের সম্পর্কের টানাপোড়েন চলছে। এ নিয়ে গত মে মাসে স্থানীয় অনলাইন পোর্টালে কয়েকটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেন সাংবাদিক নাদিম। এতে ক্ষিপ্ত হন চেয়ারম্যান বাবু। নাদিমসহ কয়েকজনের নামে সাইবার অপরাধ দমন ট্রাইব্যুনালে মামলার আবেদন করেন বাবু। কিন্তু তা খারিজ করে দেন বিচারক। আর এই মামলা খারিজের চার ঘণ্টার মধ্যেই হামলার শিকার হন সাংবাদিক নাদিম।
তদন্তসংশ্লিষ্ট সূত্র, পুলিশ ও রাজনৈতিক সূত্রে জানা গেছে, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে করা মামলার আবেদন গত বুধবার খারিজ করে দেন ময়মনসিংহের সাইবার অপরাধ দমন ট্রাইব্যুনাল। এই রায়ের কপি হাতে পেয়েই সাংবাদিক নাদিম ফোন করেন চেয়ারম্যান বাবুর ছেলে উপজেলা ছাত্রলীগ নেতা ফাহিম ফয়সাল রিফাতকে। রিফাত তখন বলেন, ‘মামলা থেকে মুক্তি পেলেও তোকে ছাড়ব না।’ এরপর রিফাত বিষয়টি তাঁর বাবাকে জানালে তিনি ক্ষিপ্ত হন। ডেকে পাঠান উপজেলা আওয়ামী লীগের উপপ্রচার সম্পাদক রাকিবিল্লাহ রাকিবকে। রাকিবই উপজেলা তাঁতী লীগের সভাপতি সহিদুর রহমান লিপনকে এই মিশন শেষ করার চুক্তি দেন। তিনি নিজেও ঘটনাস্থলে থাকবেন বলে আশ্বাস দেন। বিনিময়ে কথা দেন সদ্য সাবেক নেতা হিসেবে নতুন কমিটিসহ উপজেলার তাঁতী লীগের বিশ্বস্ত কর্মীদের নিয়ে একটি ‘মদ পার্টি’ করবেন। লিপন সাধুরপাড়া ইউনিয়ন ও থানা তাঁতী লীগের কর্মী ও অনুসারীদের নিয়ে অংশ নেন সাংবাদিক নাদিম হত্যার মিশনে। সঙ্গে যুক্ত হয় ক্ষমতাসীন দলের অঙ্গসংগঠনের আরও আট-দশজন নেতা-কর্মী। লিপনকে এখনো গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ।
২২ আসামির ১৬ জনই ক্ষমতাসীন দলের নেতা, বহিষ্কৃত ৬
নাদিম হত্যাকাণ্ডের দুই দিন পর ২২ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত আরও কয়েকজনকে আসামি করে বকশীগঞ্জ থানায় মামলা করেন নিহতের স্ত্রী মনিরা বেগম।মামলায় মূল হোতা চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মাহমুদুল আলম বাবুকে প্রধান আসামি করা হয়। আজকের পত্রিকা থেকে খোঁজ নিয়ে প্রত্যেকের পরিচয় নিশ্চিত হওয়া গেছে। দেখা গেছে নামে থাকা ২২ আসামির মধ্যে ১৬ জনই ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ ও তার অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের পদধারী নেতা-কর্মী।
স্থানীয় সূত্র বলছে, মামলার প্রথম আসামি বাবু চেয়ারম্যান, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। দ্বিতীয় আসামি বাবুর ছেলে উপজেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক ফাহিম ফয়সাল রিফাত। আসামির তালিকায় আরও আছেন গত সপ্তাহে কমিটি হওয়া তাঁতী লীগের আহ্বায়ক ও বর্তমান উপজেলা আওয়ামী লীগের সহপ্রচার ও প্রকাশনাবিষয়ক সম্পাদক এম ডি রাকিবিল্লাহ রাকিব, উপজেলা তাঁতী লীগের সভাপতি মো. শহিদুর রহমান লিপন, সাধুপাড়া ইউনিয়ন তাঁতী লীগের সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম, সহসভাপতি আবু সাঈদ, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের সভাপতি গাজী আমর আলী মেম্বার। উপজেলা যুবলীগ নেতা ও যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী গোলাম কিবরিয়া সুমন, যুবলীগ নেতা ও যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী ইসমাইল হোসেন স্বপন মণ্ডল, উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ও সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী খন্দকার শামীম, পৌর স্বেচ্ছাসেবক লীগের তথ্য ও সাহিত্যবিষয়ক সম্পাদক মিলন মিয়া, সাধুরপাড়া ইউনিয়ন যুবলীগের সদস্য মনিরুজ্জামান মনির, উপজেলা যুবলীগ নেতা শেখ ফরিদ, ছাত্রলীগ নেতা ওমর ফারুক, সাধুরপাড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের নেতা রফিকুল মিয়া, উপজেলা ছাত্রলীগ নেতা আমানুল্লাহ।
সাংবাদিক নাদিম হত্যাকাণ্ডের পর এদের ভেতর থেকে এখন পর্যন্ত ছয় নেতা-কর্মীকে বহিষ্কার করা হয়েছে। জানতে চাইলে জামালপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মুহাম্মদ বাকী বিল্লাহ আজকের পত্রিকাকে বলেন, দুর্বৃত্তদের কোনো দল নেই। এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে যাদের যাদের জড়িত থাকার তথ্য মিলবে, সবাইকে দল থেকে বহিষ্কার করা হবে।
অস্ত্র হাতে চেয়ারম্যানপুত্র
চেয়ারম্যানপুত্র রিফাতের পিস্তলসহ একটি ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে বেশ ভাইরাল হয়েছে। ছবিতে দেখা যায়, আকাশি রঙের শার্ট ও কালো রঙের প্যান্ট পরিহিত রিফাত ডান হাতে পিস্তল নিয়ে একটি মাঠে কারও সঙ্গে দুষ্টুমিতে মেতে উঠেছেন। বকশীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ সোহেল রানা জানান, এখনো রিফাতকে গ্রেপ্তার করা যায়নি। রিফাত গ্রেপ্তার হলে এ অস্ত্রের রহস্য বেরিয়ে আসবে।
বরখাস্ত হচ্ছেন চেয়ারম্যান বাবু
চেয়ারম্যান বাবুকে সাময়িক বরখাস্ত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে স্থানীয় সরকার বিভাগ। গতকাল সোমবার এ-সংক্রান্ত নথি চূড়ান্ত অনুমোদন করেছে স্থানীয় সরকারমন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম। আজ মঙ্গলবার এ-সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হতে পারে। এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় স্থানীয় সরকার বিভাগ হতে ইউপি চেয়ারম্যান বাবুকে চূড়ান্তভাবে অপসারণের লক্ষ্যে কারণ দর্শানোর নোটিশও পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলেন জানান সংশ্লিষ্টরা। স্থানীয় সরকার বিভাগের যুগ্ম সচিব নূরে আলম ছিদ্দিক বলেন, সাময়িক বরখাস্তের প্রজ্ঞাপন কাল (মঙ্গলবার) জারি হবে। সেই সঙ্গে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হবে।
এক বিজ্ঞপ্তিতে সিআইডি জানিয়েছে, নূরে আলম একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সদস্য। তিনি ফেসবুকে এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে যোগাযোগ করে জানান, তাঁর নামে বিদেশ থেকে একটি পার্সেল এসেছে, যা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাস্টম হাউসে জমা আছে। পার্সেল ছাড়াতে টাকা লাগবে—এ দাবি করে পার্সেলের ছবিও পাঠান তিনি।
১৯ ঘণ্টা আগেনাম প্রকাশ না করার শর্তে সভায় উপস্থিত বিএফআইইউ প্রতিনিধি বলেন, এমএফএস অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে জুয়া ও প্রতারণা বন্ধে বিটিআরসির (বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন) মাধ্যমে বার্তা দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া এমএফএস প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে বৈঠক করে তাদের কিছু নির্দেশনাও দেওয়া হবে। যেসব অ্যাকাউন্ট ব্লক (স্থগিত)
২০ ঘণ্টা আগেদেশে বসেই আন্তর্জাতিক পর্নো সাইটে সক্রিয় ছিলেন তাঁরা। ভিডিও বানিয়ে আপলোড করতেন বিভিন্ন ওয়েবসাইটে। শুধু নিজেরাই নন, এই দম্পতি অন্যদেরও এ কাজে যুক্ত করতেন বলে অভিযোগ। অবশেষে সেই আলোচিত যুগলকে বান্দরবানে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
২ দিন আগেজনপ্রিয় চিত্রনায়ক সালমান শাহর মৃত্যুর ঘটনায় করা অপমৃত্যুর মামলাকে হত্যা মামলা হিসেবে নথিভুক্ত করার আদেশ দিয়েছেন আদালত। ঘটনার ২৯ বছর পর আজ সোমবার (২০ অক্টোবর) ঢাকার ষষ্ঠ অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ মো. জান্নাতুল ফেরদৌস ইবনে হক এ আদেশ দেন।
২ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
বিদেশ থেকে পার্সেল এসেছে—এমন দাবি করে কাস্টমস থেকে তা ছাড়িয়ে দেওয়ার কথা বলে ১১ লাখ ৮৫ হাজার টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে এক তরুণকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
গতকাল সোমবার রাতে রাজধানীর তেজগাঁও শিল্পাঞ্চলের কুনিপাড়া এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার ওই তরুণের নাম মো. নূরে আলম ওরফে তুহিন (২৪)।
এক বিজ্ঞপ্তিতে সিআইডি জানিয়েছে, নূরে আলম একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সদস্য। তিনি ফেসবুকে এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে যোগাযোগ করে জানান, তাঁর নামে বিদেশ থেকে একটি পার্সেল এসেছে, যা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাস্টম হাউসে জমা আছে। পার্সেল ছাড়াতে টাকা লাগবে—এ দাবি করে পার্সেলের ছবিও পাঠান তিনি।
পরে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন অজুহাতে ভুক্তভোগীর কাছ থেকে বিকাশ ও ব্যাংকের মাধ্যমে ১১ লাখ ৮৫ হাজার টাকা আদায় করেন নূরে আলম। টাকা পাওয়ার পর নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দেন তিনি।
ভুক্তভোগী আদালতের শরণাপন্ন হলে রামপুরা থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করা হয়। মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব পায় সিআইডির সাইবার পুলিশ সেন্টার। পরে নূরে আলমকে গ্রেপ্তার করা হয়।
সিআইডি জানায়, প্রতারক চক্রের অন্য সদস্যদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।
বিদেশ থেকে পার্সেল এসেছে—এমন দাবি করে কাস্টমস থেকে তা ছাড়িয়ে দেওয়ার কথা বলে ১১ লাখ ৮৫ হাজার টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে এক তরুণকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
গতকাল সোমবার রাতে রাজধানীর তেজগাঁও শিল্পাঞ্চলের কুনিপাড়া এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার ওই তরুণের নাম মো. নূরে আলম ওরফে তুহিন (২৪)।
এক বিজ্ঞপ্তিতে সিআইডি জানিয়েছে, নূরে আলম একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সদস্য। তিনি ফেসবুকে এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে যোগাযোগ করে জানান, তাঁর নামে বিদেশ থেকে একটি পার্সেল এসেছে, যা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাস্টম হাউসে জমা আছে। পার্সেল ছাড়াতে টাকা লাগবে—এ দাবি করে পার্সেলের ছবিও পাঠান তিনি।
পরে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন অজুহাতে ভুক্তভোগীর কাছ থেকে বিকাশ ও ব্যাংকের মাধ্যমে ১১ লাখ ৮৫ হাজার টাকা আদায় করেন নূরে আলম। টাকা পাওয়ার পর নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দেন তিনি।
ভুক্তভোগী আদালতের শরণাপন্ন হলে রামপুরা থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করা হয়। মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব পায় সিআইডির সাইবার পুলিশ সেন্টার। পরে নূরে আলমকে গ্রেপ্তার করা হয়।
সিআইডি জানায়, প্রতারক চক্রের অন্য সদস্যদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।
একের পর এক খবর প্রকাশ করায় জামালপুরের সাংবাদিক গোলাম রব্বানি নাদিমের ওপর আগে থেকেই ক্ষিপ্ত ছিলেন চেয়ারম্যান মাহমুদুল আলম বাবু। সেই ক্ষোভে ঘি ঢালে আদালতের এক রায়। নাদিমের বিরুদ্ধে চেয়ারম্যান বাবুর মামলার আবেদন খারিজ করে দেন আদালত।
২০ জুন ২০২৩নাম প্রকাশ না করার শর্তে সভায় উপস্থিত বিএফআইইউ প্রতিনিধি বলেন, এমএফএস অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে জুয়া ও প্রতারণা বন্ধে বিটিআরসির (বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন) মাধ্যমে বার্তা দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া এমএফএস প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে বৈঠক করে তাদের কিছু নির্দেশনাও দেওয়া হবে। যেসব অ্যাকাউন্ট ব্লক (স্থগিত)
২০ ঘণ্টা আগেদেশে বসেই আন্তর্জাতিক পর্নো সাইটে সক্রিয় ছিলেন তাঁরা। ভিডিও বানিয়ে আপলোড করতেন বিভিন্ন ওয়েবসাইটে। শুধু নিজেরাই নন, এই দম্পতি অন্যদেরও এ কাজে যুক্ত করতেন বলে অভিযোগ। অবশেষে সেই আলোচিত যুগলকে বান্দরবানে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
২ দিন আগেজনপ্রিয় চিত্রনায়ক সালমান শাহর মৃত্যুর ঘটনায় করা অপমৃত্যুর মামলাকে হত্যা মামলা হিসেবে নথিভুক্ত করার আদেশ দিয়েছেন আদালত। ঘটনার ২৯ বছর পর আজ সোমবার (২০ অক্টোবর) ঢাকার ষষ্ঠ অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ মো. জান্নাতুল ফেরদৌস ইবনে হক এ আদেশ দেন।
২ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
জুয়া ও প্রতারণায় জড়িত থাকায় ৫০ হাজারের বেশি এমএফএস (মোবাইলভিত্তিক আর্থিক লেনদেন সেবা) অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ (স্থগিত) করেছে বিএফআইইউ (বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট)। ২০২২ সালের ডিসেম্বর থেকে চলতি মাস পর্যন্ত এই নম্বরগুলো স্থগিত করা হয়।
আজ মঙ্গলবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বিটিআরসি ভবনে ‘অনলাইন জুয়া প্রতিরোধে করণীয়’ শীর্ষক এক সভায় বিএফআইইউর প্রতিনিধি এ তথ্য জানান।
সভায় ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়, ডিজিএফআই (ডিরেক্টরেট জেনারেল অব ফোর্সেস ইন্টেলিজেন্স), এনএসআই (ন্যাশনাল সিকিউরিটি ইন্টেলিজেন্স), এনটিএমসি (ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টার), সিআইডি (ক্রিমিনাল ইনভেস্টিগেশন ডিপার্টমেন্ট), বিএফআইইউ, এমএফএস ও মোবাইল অপারেটরদের প্রতিনিধিরা অংশ নেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সভায় উপস্থিত বিএফআইইউ প্রতিনিধি বলেন, এমএফএস অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে জুয়া ও প্রতারণা বন্ধে বিটিআরসির (বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন) মাধ্যমে বার্তা দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া এমএফএস প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে বৈঠক করে তাদের কিছু নির্দেশনাও দেওয়া হবে। যেসব অ্যাকাউন্ট ব্লক (স্থগিত) করা হয়েছে, সেগুলো থেকে কোথায় কোথায় টাকা লেনদেন করা হয়েছে, তা বিশ্লেষণ করে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে প্রতিবেদন দেওয়া হবে।
ডিজিএফআই প্রতিনিধি জানান, অনলাইন জুয়ার মতো আর্থিক নানা প্রতারণায় বেনামি সিম ব্যবহার করা হচ্ছে। সংঘবদ্ধ চক্র ভুয়া সিম বিক্রি করছে। মানুষের আঙুলের ছাপ ব্যবহার করা হচ্ছে। বিকাশের অ্যাপ নকল করা হয়েছে। নাগরিকদের ডেটাবেইস ডার্ক ওয়েবে পাওয়া যাচ্ছে। এটা নিয়ে নানা অপরাধ সংঘটিত হচ্ছে।
সভায় অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিবিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, সরকার সতর্ক করার পরও অনেক গণমাধ্যমের অনলাইন পোর্টালে এখনো জুয়ার বিজ্ঞাপন প্রচার করা হচ্ছে। এ ধরনের বিজ্ঞাপন প্রচার করলে যেকোনো মুহূর্তে বিনা নোটিশে সংশ্লিষ্ট গণমাধ্যমের পোর্টাল বন্ধ করে দেওয়া হবে। প্রায় সব কটি মিডিয়ার পোর্টালে এখনো অনিরাপদ কনটেন্ট আসে। জুয়ার বিজ্ঞাপন আসে। এখান থেকে তারা টাকা পায়।
১৯ অক্টোবর পর্যন্ত জুয়ার বিজ্ঞাপন বন্ধে সময় দেওয়া হয়েছিল। তবে গণমাধ্যমগুলো তা মানছে না বলে অভিযোগ করেন বিশেষ সহকারী। তিনি বলেন, বেশ কিছু অনলাইন পোর্টাল জুয়ার বিজ্ঞাপন ও অনিরাপদ কনটেন্ট বিজ্ঞাপন প্রচার করছে। ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, ‘আমরা যেকোনো মুহূর্তে বন্ধ করে দেব। যেহেতু একাধিক নোটিশ দেওয়া হয়েছে। আমরা পাবলিকলি কোনো নোটিশ দেব না।’
অনলাইন জুয়া বন্ধে সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগ ও চ্যালেঞ্জের কথা তুলে ধরেন ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব। তিনি জানান, সরকারের হিসাবে গত মে মাস থেকে এখন পর্যন্ত ৪ হাজার ৮২০টি এমএফএস নম্বর পাওয়া গেছে। এ ছাড়া ১ হাজার ৩৩১টি ওয়েব পোর্টালের লিংক পাওয়া গেছে।
সরকারের চ্যালেঞ্জ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, যখনই একটা নম্বর ব্লক করা হয়, তখন এর চেয়ে বেশিসংখ্যক বা সমসংখ্যক নম্বর ব্যবহার করে সিগন্যাল-হোয়াটসঅ্যাপের মতো গ্রুপগুলোয় ছড়িয়ে দেওয়া হয়। আইপি পরিবর্তন করে ওয়েবসাইটের নাম একটু পরিবর্তন করা হয়। এভাবে নতুন ওয়েবসাইট বানিয়ে আবার শুরু করা হয়। এমএফএস, ওয়েব লিংক বন্ধ করার পর এ চক্রগুলো আবার অ্যাপ তৈরি ফেলে। অ্যাপগুলো অনেক ক্ষেত্রেই পাবলিশড নয়, এপিকে হিসেবে ব্যবহার করে।
জুয়া ও প্রতারণায় জড়িত থাকায় ৫০ হাজারের বেশি এমএফএস (মোবাইলভিত্তিক আর্থিক লেনদেন সেবা) অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ (স্থগিত) করেছে বিএফআইইউ (বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট)। ২০২২ সালের ডিসেম্বর থেকে চলতি মাস পর্যন্ত এই নম্বরগুলো স্থগিত করা হয়।
আজ মঙ্গলবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বিটিআরসি ভবনে ‘অনলাইন জুয়া প্রতিরোধে করণীয়’ শীর্ষক এক সভায় বিএফআইইউর প্রতিনিধি এ তথ্য জানান।
সভায় ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়, ডিজিএফআই (ডিরেক্টরেট জেনারেল অব ফোর্সেস ইন্টেলিজেন্স), এনএসআই (ন্যাশনাল সিকিউরিটি ইন্টেলিজেন্স), এনটিএমসি (ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টার), সিআইডি (ক্রিমিনাল ইনভেস্টিগেশন ডিপার্টমেন্ট), বিএফআইইউ, এমএফএস ও মোবাইল অপারেটরদের প্রতিনিধিরা অংশ নেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সভায় উপস্থিত বিএফআইইউ প্রতিনিধি বলেন, এমএফএস অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে জুয়া ও প্রতারণা বন্ধে বিটিআরসির (বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন) মাধ্যমে বার্তা দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া এমএফএস প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে বৈঠক করে তাদের কিছু নির্দেশনাও দেওয়া হবে। যেসব অ্যাকাউন্ট ব্লক (স্থগিত) করা হয়েছে, সেগুলো থেকে কোথায় কোথায় টাকা লেনদেন করা হয়েছে, তা বিশ্লেষণ করে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে প্রতিবেদন দেওয়া হবে।
ডিজিএফআই প্রতিনিধি জানান, অনলাইন জুয়ার মতো আর্থিক নানা প্রতারণায় বেনামি সিম ব্যবহার করা হচ্ছে। সংঘবদ্ধ চক্র ভুয়া সিম বিক্রি করছে। মানুষের আঙুলের ছাপ ব্যবহার করা হচ্ছে। বিকাশের অ্যাপ নকল করা হয়েছে। নাগরিকদের ডেটাবেইস ডার্ক ওয়েবে পাওয়া যাচ্ছে। এটা নিয়ে নানা অপরাধ সংঘটিত হচ্ছে।
সভায় অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিবিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, সরকার সতর্ক করার পরও অনেক গণমাধ্যমের অনলাইন পোর্টালে এখনো জুয়ার বিজ্ঞাপন প্রচার করা হচ্ছে। এ ধরনের বিজ্ঞাপন প্রচার করলে যেকোনো মুহূর্তে বিনা নোটিশে সংশ্লিষ্ট গণমাধ্যমের পোর্টাল বন্ধ করে দেওয়া হবে। প্রায় সব কটি মিডিয়ার পোর্টালে এখনো অনিরাপদ কনটেন্ট আসে। জুয়ার বিজ্ঞাপন আসে। এখান থেকে তারা টাকা পায়।
১৯ অক্টোবর পর্যন্ত জুয়ার বিজ্ঞাপন বন্ধে সময় দেওয়া হয়েছিল। তবে গণমাধ্যমগুলো তা মানছে না বলে অভিযোগ করেন বিশেষ সহকারী। তিনি বলেন, বেশ কিছু অনলাইন পোর্টাল জুয়ার বিজ্ঞাপন ও অনিরাপদ কনটেন্ট বিজ্ঞাপন প্রচার করছে। ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, ‘আমরা যেকোনো মুহূর্তে বন্ধ করে দেব। যেহেতু একাধিক নোটিশ দেওয়া হয়েছে। আমরা পাবলিকলি কোনো নোটিশ দেব না।’
অনলাইন জুয়া বন্ধে সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগ ও চ্যালেঞ্জের কথা তুলে ধরেন ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব। তিনি জানান, সরকারের হিসাবে গত মে মাস থেকে এখন পর্যন্ত ৪ হাজার ৮২০টি এমএফএস নম্বর পাওয়া গেছে। এ ছাড়া ১ হাজার ৩৩১টি ওয়েব পোর্টালের লিংক পাওয়া গেছে।
সরকারের চ্যালেঞ্জ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, যখনই একটা নম্বর ব্লক করা হয়, তখন এর চেয়ে বেশিসংখ্যক বা সমসংখ্যক নম্বর ব্যবহার করে সিগন্যাল-হোয়াটসঅ্যাপের মতো গ্রুপগুলোয় ছড়িয়ে দেওয়া হয়। আইপি পরিবর্তন করে ওয়েবসাইটের নাম একটু পরিবর্তন করা হয়। এভাবে নতুন ওয়েবসাইট বানিয়ে আবার শুরু করা হয়। এমএফএস, ওয়েব লিংক বন্ধ করার পর এ চক্রগুলো আবার অ্যাপ তৈরি ফেলে। অ্যাপগুলো অনেক ক্ষেত্রেই পাবলিশড নয়, এপিকে হিসেবে ব্যবহার করে।
একের পর এক খবর প্রকাশ করায় জামালপুরের সাংবাদিক গোলাম রব্বানি নাদিমের ওপর আগে থেকেই ক্ষিপ্ত ছিলেন চেয়ারম্যান মাহমুদুল আলম বাবু। সেই ক্ষোভে ঘি ঢালে আদালতের এক রায়। নাদিমের বিরুদ্ধে চেয়ারম্যান বাবুর মামলার আবেদন খারিজ করে দেন আদালত।
২০ জুন ২০২৩এক বিজ্ঞপ্তিতে সিআইডি জানিয়েছে, নূরে আলম একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সদস্য। তিনি ফেসবুকে এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে যোগাযোগ করে জানান, তাঁর নামে বিদেশ থেকে একটি পার্সেল এসেছে, যা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাস্টম হাউসে জমা আছে। পার্সেল ছাড়াতে টাকা লাগবে—এ দাবি করে পার্সেলের ছবিও পাঠান তিনি।
১৯ ঘণ্টা আগেদেশে বসেই আন্তর্জাতিক পর্নো সাইটে সক্রিয় ছিলেন তাঁরা। ভিডিও বানিয়ে আপলোড করতেন বিভিন্ন ওয়েবসাইটে। শুধু নিজেরাই নন, এই দম্পতি অন্যদেরও এ কাজে যুক্ত করতেন বলে অভিযোগ। অবশেষে সেই আলোচিত যুগলকে বান্দরবানে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
২ দিন আগেজনপ্রিয় চিত্রনায়ক সালমান শাহর মৃত্যুর ঘটনায় করা অপমৃত্যুর মামলাকে হত্যা মামলা হিসেবে নথিভুক্ত করার আদেশ দিয়েছেন আদালত। ঘটনার ২৯ বছর পর আজ সোমবার (২০ অক্টোবর) ঢাকার ষষ্ঠ অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ মো. জান্নাতুল ফেরদৌস ইবনে হক এ আদেশ দেন।
২ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
দেশে বসেই আন্তর্জাতিক পর্নো সাইটে সক্রিয় ছিলেন তাঁরা। ভিডিও বানিয়ে আপলোড করতেন বিভিন্ন ওয়েবসাইটে। শুধু নিজেরাই নন, এই দম্পতি অন্যদেরও এ কাজে যুক্ত করতেন বলে অভিযোগ। অবশেষে সেই আলোচিত যুগলকে বান্দরবানে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
আজ সোমবার ভোরে বান্দরবান সদর উপজেলার হাজীপাড়ার বালাঘাটা এলাকা থেকে সিআইডির এলআইসি ও সাইবার পুলিশ সেন্টার (সিপিসি) ইউনিটের সদস্যরা এই যুগলকে গ্রেপ্তার করেন। গ্রেপ্তার হওয়া যুগল হলেন মুহাম্মদ আজিম (২৮) ও তাঁর স্ত্রী বৃষ্টি (২৮)। আজ বিকেলে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানায় সিআইডি।
গ্রেপ্তার আজিমের বাড়ি চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলার বুরুমছড়া গ্রামে এবং বৃষ্টির বাড়ি মানিকগঞ্জ জেলার হরিরামপুর উপজেলার আন্ধারমানিক (খালপাড়) গ্রামে।
সিআইডির প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, এই যুগল ২০২৪ সালের মে মাসে আন্তর্জাতিক এক পর্নো সাইটে প্রথম ভিডিও আপলোড করেন। এরপর এক বছরের মধ্যে তাঁরা ১১২টি ভিডিও আপলোড করেছেন, যেগুলো বিশ্বব্যাপী ২ কোটি ৬৭ লাখের বেশিবার দেখা হয়েছে।
এই যুগল এতটাই জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন যে, ২০২৫ সালের অক্টোবর মাসে আন্তর্জাতিক পারফর্মার র্যাঙ্কিংয়ে তাঁদের অবস্থান উঠে আসে অষ্টম স্থানে। ভিডিও আপলোড ছাড়াও তাঁরা বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম—বিশেষ করে, ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম ও টেলিগ্রামের মাধ্যমে নিজেদের কর্মকাণ্ডের প্রচারণা চালাতেন। এসব প্ল্যাটফর্মে নতুনদের এ কাজে যুক্ত হওয়ার আহ্বান জানানো হতো।
তদন্তকারীরা বলছেন, আগ্রহীদের ‘ক্রিয়েটর’ হিসেবে যুক্ত করতে তাঁরা টেলিগ্রাম চ্যানেলে নানা প্রলোভন দেখিয়ে বিজ্ঞাপন দিতেন। নতুন কেউ যুক্ত হলে তাঁকে নগদ অর্থ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হতো। কেউ যোগাযোগ করলে তাঁদের ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করতে উৎসাহিত করতেন আজিম ও বৃষ্টি।
সিআইডির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এই যুগল প্রাথমিক বিদ্যালয়ের গণ্ডি পেরোতে পারেননি। তবে অনলাইনে তাঁদের বিলাসবহুল জীবনধারার নানা ছবি পাওয়া যায়, যা সমাজে নেতিবাচক বার্তা দিচ্ছে। এসব কার্যক্রম সামাজিক ও নৈতিকভাবে যেমন উদ্বেগজনক, তেমনি দেশের প্রচলিত আইনেরও লঙ্ঘন।
অভিযানের সময় তাঁদের কাছ থেকে মোবাইল ফোন, সিম কার্ড, ক্যামেরা, ট্রাইপডসহ ভিডিও ধারণের বিভিন্ন যন্ত্রপাতি জব্দ করা হয়েছে। তাঁদের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা রুজু করা হয়েছে। একই সঙ্গে আদালতে সোপর্দ করে রিমান্ড চেয়ে আবেদন করা হবে বলে জানিয়েছে সিআইডি।
সিআইডির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, পর্নোগ্রাফি ছড়িয়ে দেওয়ার সঙ্গে যুক্ত অন্যদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তারে তদন্ত অব্যাহত রয়েছে।
দেশে বসেই আন্তর্জাতিক পর্নো সাইটে সক্রিয় ছিলেন তাঁরা। ভিডিও বানিয়ে আপলোড করতেন বিভিন্ন ওয়েবসাইটে। শুধু নিজেরাই নন, এই দম্পতি অন্যদেরও এ কাজে যুক্ত করতেন বলে অভিযোগ। অবশেষে সেই আলোচিত যুগলকে বান্দরবানে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
আজ সোমবার ভোরে বান্দরবান সদর উপজেলার হাজীপাড়ার বালাঘাটা এলাকা থেকে সিআইডির এলআইসি ও সাইবার পুলিশ সেন্টার (সিপিসি) ইউনিটের সদস্যরা এই যুগলকে গ্রেপ্তার করেন। গ্রেপ্তার হওয়া যুগল হলেন মুহাম্মদ আজিম (২৮) ও তাঁর স্ত্রী বৃষ্টি (২৮)। আজ বিকেলে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানায় সিআইডি।
গ্রেপ্তার আজিমের বাড়ি চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলার বুরুমছড়া গ্রামে এবং বৃষ্টির বাড়ি মানিকগঞ্জ জেলার হরিরামপুর উপজেলার আন্ধারমানিক (খালপাড়) গ্রামে।
সিআইডির প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, এই যুগল ২০২৪ সালের মে মাসে আন্তর্জাতিক এক পর্নো সাইটে প্রথম ভিডিও আপলোড করেন। এরপর এক বছরের মধ্যে তাঁরা ১১২টি ভিডিও আপলোড করেছেন, যেগুলো বিশ্বব্যাপী ২ কোটি ৬৭ লাখের বেশিবার দেখা হয়েছে।
এই যুগল এতটাই জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন যে, ২০২৫ সালের অক্টোবর মাসে আন্তর্জাতিক পারফর্মার র্যাঙ্কিংয়ে তাঁদের অবস্থান উঠে আসে অষ্টম স্থানে। ভিডিও আপলোড ছাড়াও তাঁরা বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম—বিশেষ করে, ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম ও টেলিগ্রামের মাধ্যমে নিজেদের কর্মকাণ্ডের প্রচারণা চালাতেন। এসব প্ল্যাটফর্মে নতুনদের এ কাজে যুক্ত হওয়ার আহ্বান জানানো হতো।
তদন্তকারীরা বলছেন, আগ্রহীদের ‘ক্রিয়েটর’ হিসেবে যুক্ত করতে তাঁরা টেলিগ্রাম চ্যানেলে নানা প্রলোভন দেখিয়ে বিজ্ঞাপন দিতেন। নতুন কেউ যুক্ত হলে তাঁকে নগদ অর্থ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হতো। কেউ যোগাযোগ করলে তাঁদের ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করতে উৎসাহিত করতেন আজিম ও বৃষ্টি।
সিআইডির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এই যুগল প্রাথমিক বিদ্যালয়ের গণ্ডি পেরোতে পারেননি। তবে অনলাইনে তাঁদের বিলাসবহুল জীবনধারার নানা ছবি পাওয়া যায়, যা সমাজে নেতিবাচক বার্তা দিচ্ছে। এসব কার্যক্রম সামাজিক ও নৈতিকভাবে যেমন উদ্বেগজনক, তেমনি দেশের প্রচলিত আইনেরও লঙ্ঘন।
অভিযানের সময় তাঁদের কাছ থেকে মোবাইল ফোন, সিম কার্ড, ক্যামেরা, ট্রাইপডসহ ভিডিও ধারণের বিভিন্ন যন্ত্রপাতি জব্দ করা হয়েছে। তাঁদের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা রুজু করা হয়েছে। একই সঙ্গে আদালতে সোপর্দ করে রিমান্ড চেয়ে আবেদন করা হবে বলে জানিয়েছে সিআইডি।
সিআইডির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, পর্নোগ্রাফি ছড়িয়ে দেওয়ার সঙ্গে যুক্ত অন্যদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তারে তদন্ত অব্যাহত রয়েছে।
একের পর এক খবর প্রকাশ করায় জামালপুরের সাংবাদিক গোলাম রব্বানি নাদিমের ওপর আগে থেকেই ক্ষিপ্ত ছিলেন চেয়ারম্যান মাহমুদুল আলম বাবু। সেই ক্ষোভে ঘি ঢালে আদালতের এক রায়। নাদিমের বিরুদ্ধে চেয়ারম্যান বাবুর মামলার আবেদন খারিজ করে দেন আদালত।
২০ জুন ২০২৩এক বিজ্ঞপ্তিতে সিআইডি জানিয়েছে, নূরে আলম একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সদস্য। তিনি ফেসবুকে এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে যোগাযোগ করে জানান, তাঁর নামে বিদেশ থেকে একটি পার্সেল এসেছে, যা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাস্টম হাউসে জমা আছে। পার্সেল ছাড়াতে টাকা লাগবে—এ দাবি করে পার্সেলের ছবিও পাঠান তিনি।
১৯ ঘণ্টা আগেনাম প্রকাশ না করার শর্তে সভায় উপস্থিত বিএফআইইউ প্রতিনিধি বলেন, এমএফএস অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে জুয়া ও প্রতারণা বন্ধে বিটিআরসির (বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন) মাধ্যমে বার্তা দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া এমএফএস প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে বৈঠক করে তাদের কিছু নির্দেশনাও দেওয়া হবে। যেসব অ্যাকাউন্ট ব্লক (স্থগিত)
২০ ঘণ্টা আগেজনপ্রিয় চিত্রনায়ক সালমান শাহর মৃত্যুর ঘটনায় করা অপমৃত্যুর মামলাকে হত্যা মামলা হিসেবে নথিভুক্ত করার আদেশ দিয়েছেন আদালত। ঘটনার ২৯ বছর পর আজ সোমবার (২০ অক্টোবর) ঢাকার ষষ্ঠ অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ মো. জান্নাতুল ফেরদৌস ইবনে হক এ আদেশ দেন।
২ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
জনপ্রিয় চিত্রনায়ক সালমান শাহর মৃত্যুর ঘটনায় করা অপমৃত্যুর মামলাকে হত্যা মামলা হিসেবে নথিভুক্ত করার আদেশ দিয়েছেন আদালত। ঘটনার ২৯ বছর পর আজ সোমবার (২০ অক্টোবর) ঢাকার ষষ্ঠ অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ মো. জান্নাতুল ফেরদৌস ইবনে হক এ আদেশ দেন।
সালমান শাহের মৃত্যুকে ‘অপমৃত্যু’ হিসেবে দ্বিতীয় দফায় দেওয়া আদালতের রায়ের বিরুদ্ধের তাঁর মা নীলা চৌধুরী দ্বিতীয় দফায় যে রিভিশন মামলা করেছিলেন, তা মঞ্জুর করে আজ এই আদেশ দিলেন আদালত।
রিভিশনকারী পক্ষের আইনজীবী মো. ওবায়দুল্লাহ জানান, আদেশে চাঞ্চল্যকর এ ঘটনার অধিকতর তদন্তের প্রয়োজন রয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়। তাই অপমৃত্যুর মামলাকে হত্যা মামলা হিসেবে নথিভুক্ত করে রমনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে অধিকতর তদন্তের নির্দেশ দেন আদালত।
নীলা চৌধুরীর এ রিভিশন মামলার শুনানি শেষে গত ১৩ অক্টোবর আদালত আদেশের জন্য ২০ অক্টোবর দিন করেন।
১৯৯৬ সালের ৬ সেপ্টেম্বর মারা যান চিত্রনায়ক চৌধুরী মোহাম্মদ শাহরিয়ার (ইমন) ওরফে সালমান শাহ। সে সময় এ বিষয়ে রমনা থানায় অপমৃত্যুর মামলা করেছিলেন তাঁর বাবা কমরউদ্দিন আহমদ চৌধুরী।
পরের বছর ২৪ জুলাই ছেলেকে হত্যা করা হয়েছে অভিযোগ করে আবার আদালতে মামলা করেন তাঁর বাবা। ওই সময় সিআইডিকে অপমৃত্যুর মামলার সঙ্গে হত্যার অভিযোগ তদন্তের নির্দেশ দেন আদালত।
১৯৯৭ সালের ৩ নভেম্বর সিআইডি ঘটনাটিকে ‘আত্মহত্যা’ চূড়ান্ত প্রতিবেদন জমা দেয়। ২৫ নভেম্বর ঢাকার সিএমএম আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন গৃহীত হয়।
ওই প্রতিবেদন প্রত্যাখ্যান করে দায়রা জজ আদালতে রিভিশন মামলা করেন কমরউদ্দিন আহমদ চৌধুরী। ২০০৩ সালের ১৯ মে মামলাটি বিচার বিভাগীয় তদন্তে পাঠান আদালত। দীর্ঘ ১১ বছর পর ২০১৪ সালের ৩ আগস্ট আদালতে বিচার বিভাগীয় তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ইমদাদুল হক। ওই প্রতিবেদনেও সালমান শাহর মৃত্যুকে অপমৃত্যু বলা হয়।
কমরউদ্দিন আহমদ চৌধুরীর মৃত্যুর পর ছেলে রিভিশন মামলার বাদী হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হন মা নীলা চৌধুরী। ২০১৫ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি তিনি সিএমএম আদালতে বিচার বিভাগীয় তদন্ত প্রতিবেদনের বিরুদ্ধে নারাজির আবেদন করেন। সর্বশেষ মামলাটি পিবিআই তদন্ত করে।
২০২০ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি পিবিআইয়ের পুলিশ পরিদর্শক সিরাজুল ইসলাম চূড়ান্ত প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করেন। ২০২১ সালের ৩১ অক্টোবর আদালত ওই প্রতিবেদন গ্রহণ করে মামলাটি নিষ্পত্তি করেন। ২০২২ সালের ১২ জুন এই আদেশের বিরুদ্ধে ঢাকার মহানগর দায়রা জজ আদালতে আবার রিভিশন মামলা করে বাদীপক্ষ।
রিভিশন মামলায় বলা হয়, সালমান শাহকে হত্যা করা হয়েছে। কিন্তু তদন্তে বারবার তাঁর মৃত্যুকে ‘অপমৃত্যু’ হিসেবে বলা হচ্ছে। কারও দ্বারা প্রভাবিত হয়ে হত্যাকে ধামাচাপা দেওয়া হচ্ছে। এ কারণে আরও তদন্ত হওয়া প্রয়োজন।
ভক্তদের মানববন্ধন
এদিকে সালমান শাহর ভক্তরা সকাল থেকে আদালত এলাকায় হাজির হন। হত্যার বিচার চেয়ে আদালতে সমাবেশ ও মানববন্ধন করেন তাঁরা। তাঁদের দাবি, সালমান শাহকে হত্যা করা হয়েছে। এই হত্যার আরও তদন্ত হওয়া প্রয়োজন। হত্যাকারীদের খুঁজে বের করে বিচারের দাবি জানান তাঁরা। এ সময় তাঁরা সালমান শাহ হত্যার বিচার চেয়ে স্লোগান দেন।
জনপ্রিয় চিত্রনায়ক সালমান শাহর মৃত্যুর ঘটনায় করা অপমৃত্যুর মামলাকে হত্যা মামলা হিসেবে নথিভুক্ত করার আদেশ দিয়েছেন আদালত। ঘটনার ২৯ বছর পর আজ সোমবার (২০ অক্টোবর) ঢাকার ষষ্ঠ অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ মো. জান্নাতুল ফেরদৌস ইবনে হক এ আদেশ দেন।
সালমান শাহের মৃত্যুকে ‘অপমৃত্যু’ হিসেবে দ্বিতীয় দফায় দেওয়া আদালতের রায়ের বিরুদ্ধের তাঁর মা নীলা চৌধুরী দ্বিতীয় দফায় যে রিভিশন মামলা করেছিলেন, তা মঞ্জুর করে আজ এই আদেশ দিলেন আদালত।
রিভিশনকারী পক্ষের আইনজীবী মো. ওবায়দুল্লাহ জানান, আদেশে চাঞ্চল্যকর এ ঘটনার অধিকতর তদন্তের প্রয়োজন রয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়। তাই অপমৃত্যুর মামলাকে হত্যা মামলা হিসেবে নথিভুক্ত করে রমনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে অধিকতর তদন্তের নির্দেশ দেন আদালত।
নীলা চৌধুরীর এ রিভিশন মামলার শুনানি শেষে গত ১৩ অক্টোবর আদালত আদেশের জন্য ২০ অক্টোবর দিন করেন।
১৯৯৬ সালের ৬ সেপ্টেম্বর মারা যান চিত্রনায়ক চৌধুরী মোহাম্মদ শাহরিয়ার (ইমন) ওরফে সালমান শাহ। সে সময় এ বিষয়ে রমনা থানায় অপমৃত্যুর মামলা করেছিলেন তাঁর বাবা কমরউদ্দিন আহমদ চৌধুরী।
পরের বছর ২৪ জুলাই ছেলেকে হত্যা করা হয়েছে অভিযোগ করে আবার আদালতে মামলা করেন তাঁর বাবা। ওই সময় সিআইডিকে অপমৃত্যুর মামলার সঙ্গে হত্যার অভিযোগ তদন্তের নির্দেশ দেন আদালত।
১৯৯৭ সালের ৩ নভেম্বর সিআইডি ঘটনাটিকে ‘আত্মহত্যা’ চূড়ান্ত প্রতিবেদন জমা দেয়। ২৫ নভেম্বর ঢাকার সিএমএম আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন গৃহীত হয়।
ওই প্রতিবেদন প্রত্যাখ্যান করে দায়রা জজ আদালতে রিভিশন মামলা করেন কমরউদ্দিন আহমদ চৌধুরী। ২০০৩ সালের ১৯ মে মামলাটি বিচার বিভাগীয় তদন্তে পাঠান আদালত। দীর্ঘ ১১ বছর পর ২০১৪ সালের ৩ আগস্ট আদালতে বিচার বিভাগীয় তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ইমদাদুল হক। ওই প্রতিবেদনেও সালমান শাহর মৃত্যুকে অপমৃত্যু বলা হয়।
কমরউদ্দিন আহমদ চৌধুরীর মৃত্যুর পর ছেলে রিভিশন মামলার বাদী হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হন মা নীলা চৌধুরী। ২০১৫ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি তিনি সিএমএম আদালতে বিচার বিভাগীয় তদন্ত প্রতিবেদনের বিরুদ্ধে নারাজির আবেদন করেন। সর্বশেষ মামলাটি পিবিআই তদন্ত করে।
২০২০ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি পিবিআইয়ের পুলিশ পরিদর্শক সিরাজুল ইসলাম চূড়ান্ত প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করেন। ২০২১ সালের ৩১ অক্টোবর আদালত ওই প্রতিবেদন গ্রহণ করে মামলাটি নিষ্পত্তি করেন। ২০২২ সালের ১২ জুন এই আদেশের বিরুদ্ধে ঢাকার মহানগর দায়রা জজ আদালতে আবার রিভিশন মামলা করে বাদীপক্ষ।
রিভিশন মামলায় বলা হয়, সালমান শাহকে হত্যা করা হয়েছে। কিন্তু তদন্তে বারবার তাঁর মৃত্যুকে ‘অপমৃত্যু’ হিসেবে বলা হচ্ছে। কারও দ্বারা প্রভাবিত হয়ে হত্যাকে ধামাচাপা দেওয়া হচ্ছে। এ কারণে আরও তদন্ত হওয়া প্রয়োজন।
ভক্তদের মানববন্ধন
এদিকে সালমান শাহর ভক্তরা সকাল থেকে আদালত এলাকায় হাজির হন। হত্যার বিচার চেয়ে আদালতে সমাবেশ ও মানববন্ধন করেন তাঁরা। তাঁদের দাবি, সালমান শাহকে হত্যা করা হয়েছে। এই হত্যার আরও তদন্ত হওয়া প্রয়োজন। হত্যাকারীদের খুঁজে বের করে বিচারের দাবি জানান তাঁরা। এ সময় তাঁরা সালমান শাহ হত্যার বিচার চেয়ে স্লোগান দেন।
একের পর এক খবর প্রকাশ করায় জামালপুরের সাংবাদিক গোলাম রব্বানি নাদিমের ওপর আগে থেকেই ক্ষিপ্ত ছিলেন চেয়ারম্যান মাহমুদুল আলম বাবু। সেই ক্ষোভে ঘি ঢালে আদালতের এক রায়। নাদিমের বিরুদ্ধে চেয়ারম্যান বাবুর মামলার আবেদন খারিজ করে দেন আদালত।
২০ জুন ২০২৩এক বিজ্ঞপ্তিতে সিআইডি জানিয়েছে, নূরে আলম একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সদস্য। তিনি ফেসবুকে এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে যোগাযোগ করে জানান, তাঁর নামে বিদেশ থেকে একটি পার্সেল এসেছে, যা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাস্টম হাউসে জমা আছে। পার্সেল ছাড়াতে টাকা লাগবে—এ দাবি করে পার্সেলের ছবিও পাঠান তিনি।
১৯ ঘণ্টা আগেনাম প্রকাশ না করার শর্তে সভায় উপস্থিত বিএফআইইউ প্রতিনিধি বলেন, এমএফএস অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে জুয়া ও প্রতারণা বন্ধে বিটিআরসির (বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন) মাধ্যমে বার্তা দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া এমএফএস প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে বৈঠক করে তাদের কিছু নির্দেশনাও দেওয়া হবে। যেসব অ্যাকাউন্ট ব্লক (স্থগিত)
২০ ঘণ্টা আগেদেশে বসেই আন্তর্জাতিক পর্নো সাইটে সক্রিয় ছিলেন তাঁরা। ভিডিও বানিয়ে আপলোড করতেন বিভিন্ন ওয়েবসাইটে। শুধু নিজেরাই নন, এই দম্পতি অন্যদেরও এ কাজে যুক্ত করতেন বলে অভিযোগ। অবশেষে সেই আলোচিত যুগলকে বান্দরবানে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
২ দিন আগে