শাহরিয়ার হাসান, ঢাকা

পুলিশ বাহিনীর দায়িত্ব আইনশৃঙ্খলা রক্ষা, অপরাধ নির্মূল। অথচ সেই বাহিনীর কিছু সদস্যই জড়িয়ে পড়ছেন অপরাধে। আগে পুলিশ সদর দপ্তরে সদস্যদের আচরণ নিয়ে অভিযোগ জমা পড়লেও এখন ফৌজদারি অপরাধে সম্পৃক্ততার অভিযোগ উঠছে। সাময়িক বরখাস্ত, মামলা, গ্রেপ্তারের পরও অপরাধপ্রবণতা কমছে না। এতে পুলিশ বাহিনীর সুনাম ক্ষুণ্ন হওয়ার পাশাপাশি মানুষের মধ্যে বিরূপ ধারণা ও আতঙ্ক তৈরি হচ্ছে।
সর্বশেষ রাজধানীর শেরেবাংলা নগর এলাকা থেকে ডিবি পরিচয়ে এক ব্যক্তিকে তুলে নিয়ে প্রায় সোয়া ৯ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়ে ছেড়ে দেওয়ার অভিযোগে করা মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে রিমান্ডে আছেন শাহ আলী থানার দুই উপপরিদর্শক (এসআই)। তাঁরা হলেন তুহিন কাজী ও মশিউর রহমান তাপস।
সূত্র বলেছে, সম্প্রতি পুলিশ সদর দপ্তরে ত্রৈমাসিক অপরাধ পর্যালোচনা সভায়ও পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলার বিষয়ে আলোচনা হয়। সভায় জানানো হয়, গত জানুয়ারি থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ৯ মাসে পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধে ৩১৮টি ফৌজদারি মামলা হয়েছে। এসব মামলায় আসামি ৩০৪ পুলিশ সদস্য। তাঁদের মধ্যে গ্রেপ্তার হয়েছেন ৭৯ জন। সভায় দায়িত্বে অমনোযোগী পুলিশ সদস্য ও সাময়িক বরখাস্ত হওয়া সদস্যদের ওপর নজর রাখতে ইউনিটপ্রধানদের নির্দেশনা দেওয়া হয়। সভায় পুলিশের অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশন) বলেন, বিভিন্ন ফৌজদারি অপরাধে পুলিশ সদস্যদের জড়িয়ে পড়া খুবই দুঃখজনক। তিনি ইউনিটপ্রধানদের রোল কলের সময় পুলিশ সদস্যদের উপস্থিতি নিশ্চিত করার এবং নিয়মিত তাঁদের খোঁজখবর নিতে নির্দেশনা দেন।
পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলার বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেন, ব্যক্তি পুলিশের দায় কখনো বাহিনীর ওপর পড়ার কথা নয়। তবে বাহিনীর কেউ অপরাধ করলে কখনোই ছাড় দেওয়া হয় না।
শাহ আলী থানার দুই এসআই তুহিন কাজী ও মশিউর রহমানের বিরুদ্ধে ভুক্তভোগীকে তুলে নিয়ে টাকা লুটের অভিযোগে শেরেবাংলা নগর থানায় মামলা হয় ১৫ ডিসেম্বর। ঘটনাটি ঘটে ৯ ডিসেম্বর। গ্রেপ্তারের পর গত মঙ্গলবার তাঁদের তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর হয়। মামলার তদন্ত সূত্র বলেছে, প্রাথমিকভাবে ওই দুই পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে এর আগেও একাধিকবার এমন অপরাধে জড়ানোর তথ্য পাওয়া গেছে।
গত সেপ্টেম্বরে ডেমরা থানায় সংযুক্ত দুই পুলিশ কনস্টেবল মাহাবুব ও আসিফ নয়াপল্টনে একটি ব্যাংকে ঢুকে টাকা জমা দিতে আসা এক ব্যক্তিকে টেনে বাইরে নিয়ে ২০ লাখ টাকা ছিনতাই করেন। গ্রেপ্তারের পর ওই দুজনের কাছ থেকে ১০ লাখ টাকা উদ্ধার করে গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ। পরে তাঁদের তথ্যের ভিত্তিতে বাসাবো থেকে ছিনতাইয়ের আরেক পরিকল্পনাকারীকে গ্রেপ্তার করে বাকি টাকা উদ্ধার করা হয়। অক্টোবরে শ্যামপুর থানার দোলাইরপাড়ে এক ব্যক্তিকে মাইক্রোবাসে তুলে ৫৪ লাখ টাকা ছিনতাইয়ে নেতৃত্ব দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে গুলশান থানার সহকারী উপপরিদর্শক দেলোয়ার হোসেনের বিরুদ্ধে। এ মামলার অন্য তিন আসামির একজন কনস্টেবল আবু সায়েম (রাজারবাগ পুলিশ লাইনসে সংযুক্ত)। তাঁরাও গ্রেপ্তার হয়েছেন।
ফৌজদারি অপরাধে পুলিশের বিরুদ্ধে মামলা ছাড়াও বিভিন্ন অভিযোগে বিভাগীয় মামলাও হচ্ছে। পিআরবি-১৮৬১ (পুলিশ প্রবিধান) অনুযায়ী কোনো পুলিশ সদস্য অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়ালে তাঁর বিরুদ্ধে দুই ধরনের বিভাগীয় শাস্তির (লঘু ও গুরু) বিধান আছে। গুরুদণ্ডের আওতায় চাকরি থেকে বরখাস্ত, পদাবনতি, পদোন্নতি স্থগিত, বেতন বৃদ্ধি স্থগিত ও বিভাগীয় মামলা হয়।
বিভাগীয় মামলার শাস্তি বিশ্লেষণে দেখা যায়, বিভিন্ন অভিযোগে ২০২২ সালে ১ হাজার ৭৩১ জন পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে বিভাগীয় শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়। এর মধ্যে সর্বোচ্চ শাস্তি সাময়িক বরখাস্ত বা দূরে বদলি। কারও কারও মতে, ছোট ছোট বিষয়ে ছাড় দেওয়ায় বড় অপরাধের প্রবণতা বাড়ছে।
জানতে চাইলে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) যুগ্ম কমিশনার (অপারেশনস) বিপ্লব কুমার সরকার বলেন, পুলিশ বাহিনীতে কেউ অপরাধ করলে ছাড় পায় না। তিনি বলেন, ‘২ লাখ ১০ হাজার সদস্যের পুলিশ বাহিনীতে দু-চারজন অপরাধী যে নেই, তা আমরা অস্বীকার করছি না। আমাদের মধ্যেও অপরাধপ্রবণতার মানুষ থাকতে পারে। অপরাধীকে দ্রুত শনাক্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হয়।’

পুলিশ বাহিনীর দায়িত্ব আইনশৃঙ্খলা রক্ষা, অপরাধ নির্মূল। অথচ সেই বাহিনীর কিছু সদস্যই জড়িয়ে পড়ছেন অপরাধে। আগে পুলিশ সদর দপ্তরে সদস্যদের আচরণ নিয়ে অভিযোগ জমা পড়লেও এখন ফৌজদারি অপরাধে সম্পৃক্ততার অভিযোগ উঠছে। সাময়িক বরখাস্ত, মামলা, গ্রেপ্তারের পরও অপরাধপ্রবণতা কমছে না। এতে পুলিশ বাহিনীর সুনাম ক্ষুণ্ন হওয়ার পাশাপাশি মানুষের মধ্যে বিরূপ ধারণা ও আতঙ্ক তৈরি হচ্ছে।
সর্বশেষ রাজধানীর শেরেবাংলা নগর এলাকা থেকে ডিবি পরিচয়ে এক ব্যক্তিকে তুলে নিয়ে প্রায় সোয়া ৯ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়ে ছেড়ে দেওয়ার অভিযোগে করা মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে রিমান্ডে আছেন শাহ আলী থানার দুই উপপরিদর্শক (এসআই)। তাঁরা হলেন তুহিন কাজী ও মশিউর রহমান তাপস।
সূত্র বলেছে, সম্প্রতি পুলিশ সদর দপ্তরে ত্রৈমাসিক অপরাধ পর্যালোচনা সভায়ও পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলার বিষয়ে আলোচনা হয়। সভায় জানানো হয়, গত জানুয়ারি থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ৯ মাসে পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধে ৩১৮টি ফৌজদারি মামলা হয়েছে। এসব মামলায় আসামি ৩০৪ পুলিশ সদস্য। তাঁদের মধ্যে গ্রেপ্তার হয়েছেন ৭৯ জন। সভায় দায়িত্বে অমনোযোগী পুলিশ সদস্য ও সাময়িক বরখাস্ত হওয়া সদস্যদের ওপর নজর রাখতে ইউনিটপ্রধানদের নির্দেশনা দেওয়া হয়। সভায় পুলিশের অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশন) বলেন, বিভিন্ন ফৌজদারি অপরাধে পুলিশ সদস্যদের জড়িয়ে পড়া খুবই দুঃখজনক। তিনি ইউনিটপ্রধানদের রোল কলের সময় পুলিশ সদস্যদের উপস্থিতি নিশ্চিত করার এবং নিয়মিত তাঁদের খোঁজখবর নিতে নির্দেশনা দেন।
পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলার বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেন, ব্যক্তি পুলিশের দায় কখনো বাহিনীর ওপর পড়ার কথা নয়। তবে বাহিনীর কেউ অপরাধ করলে কখনোই ছাড় দেওয়া হয় না।
শাহ আলী থানার দুই এসআই তুহিন কাজী ও মশিউর রহমানের বিরুদ্ধে ভুক্তভোগীকে তুলে নিয়ে টাকা লুটের অভিযোগে শেরেবাংলা নগর থানায় মামলা হয় ১৫ ডিসেম্বর। ঘটনাটি ঘটে ৯ ডিসেম্বর। গ্রেপ্তারের পর গত মঙ্গলবার তাঁদের তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর হয়। মামলার তদন্ত সূত্র বলেছে, প্রাথমিকভাবে ওই দুই পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে এর আগেও একাধিকবার এমন অপরাধে জড়ানোর তথ্য পাওয়া গেছে।
গত সেপ্টেম্বরে ডেমরা থানায় সংযুক্ত দুই পুলিশ কনস্টেবল মাহাবুব ও আসিফ নয়াপল্টনে একটি ব্যাংকে ঢুকে টাকা জমা দিতে আসা এক ব্যক্তিকে টেনে বাইরে নিয়ে ২০ লাখ টাকা ছিনতাই করেন। গ্রেপ্তারের পর ওই দুজনের কাছ থেকে ১০ লাখ টাকা উদ্ধার করে গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ। পরে তাঁদের তথ্যের ভিত্তিতে বাসাবো থেকে ছিনতাইয়ের আরেক পরিকল্পনাকারীকে গ্রেপ্তার করে বাকি টাকা উদ্ধার করা হয়। অক্টোবরে শ্যামপুর থানার দোলাইরপাড়ে এক ব্যক্তিকে মাইক্রোবাসে তুলে ৫৪ লাখ টাকা ছিনতাইয়ে নেতৃত্ব দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে গুলশান থানার সহকারী উপপরিদর্শক দেলোয়ার হোসেনের বিরুদ্ধে। এ মামলার অন্য তিন আসামির একজন কনস্টেবল আবু সায়েম (রাজারবাগ পুলিশ লাইনসে সংযুক্ত)। তাঁরাও গ্রেপ্তার হয়েছেন।
ফৌজদারি অপরাধে পুলিশের বিরুদ্ধে মামলা ছাড়াও বিভিন্ন অভিযোগে বিভাগীয় মামলাও হচ্ছে। পিআরবি-১৮৬১ (পুলিশ প্রবিধান) অনুযায়ী কোনো পুলিশ সদস্য অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়ালে তাঁর বিরুদ্ধে দুই ধরনের বিভাগীয় শাস্তির (লঘু ও গুরু) বিধান আছে। গুরুদণ্ডের আওতায় চাকরি থেকে বরখাস্ত, পদাবনতি, পদোন্নতি স্থগিত, বেতন বৃদ্ধি স্থগিত ও বিভাগীয় মামলা হয়।
বিভাগীয় মামলার শাস্তি বিশ্লেষণে দেখা যায়, বিভিন্ন অভিযোগে ২০২২ সালে ১ হাজার ৭৩১ জন পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে বিভাগীয় শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়। এর মধ্যে সর্বোচ্চ শাস্তি সাময়িক বরখাস্ত বা দূরে বদলি। কারও কারও মতে, ছোট ছোট বিষয়ে ছাড় দেওয়ায় বড় অপরাধের প্রবণতা বাড়ছে।
জানতে চাইলে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) যুগ্ম কমিশনার (অপারেশনস) বিপ্লব কুমার সরকার বলেন, পুলিশ বাহিনীতে কেউ অপরাধ করলে ছাড় পায় না। তিনি বলেন, ‘২ লাখ ১০ হাজার সদস্যের পুলিশ বাহিনীতে দু-চারজন অপরাধী যে নেই, তা আমরা অস্বীকার করছি না। আমাদের মধ্যেও অপরাধপ্রবণতার মানুষ থাকতে পারে। অপরাধীকে দ্রুত শনাক্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হয়।’
শাহরিয়ার হাসান, ঢাকা

পুলিশ বাহিনীর দায়িত্ব আইনশৃঙ্খলা রক্ষা, অপরাধ নির্মূল। অথচ সেই বাহিনীর কিছু সদস্যই জড়িয়ে পড়ছেন অপরাধে। আগে পুলিশ সদর দপ্তরে সদস্যদের আচরণ নিয়ে অভিযোগ জমা পড়লেও এখন ফৌজদারি অপরাধে সম্পৃক্ততার অভিযোগ উঠছে। সাময়িক বরখাস্ত, মামলা, গ্রেপ্তারের পরও অপরাধপ্রবণতা কমছে না। এতে পুলিশ বাহিনীর সুনাম ক্ষুণ্ন হওয়ার পাশাপাশি মানুষের মধ্যে বিরূপ ধারণা ও আতঙ্ক তৈরি হচ্ছে।
সর্বশেষ রাজধানীর শেরেবাংলা নগর এলাকা থেকে ডিবি পরিচয়ে এক ব্যক্তিকে তুলে নিয়ে প্রায় সোয়া ৯ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়ে ছেড়ে দেওয়ার অভিযোগে করা মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে রিমান্ডে আছেন শাহ আলী থানার দুই উপপরিদর্শক (এসআই)। তাঁরা হলেন তুহিন কাজী ও মশিউর রহমান তাপস।
সূত্র বলেছে, সম্প্রতি পুলিশ সদর দপ্তরে ত্রৈমাসিক অপরাধ পর্যালোচনা সভায়ও পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলার বিষয়ে আলোচনা হয়। সভায় জানানো হয়, গত জানুয়ারি থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ৯ মাসে পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধে ৩১৮টি ফৌজদারি মামলা হয়েছে। এসব মামলায় আসামি ৩০৪ পুলিশ সদস্য। তাঁদের মধ্যে গ্রেপ্তার হয়েছেন ৭৯ জন। সভায় দায়িত্বে অমনোযোগী পুলিশ সদস্য ও সাময়িক বরখাস্ত হওয়া সদস্যদের ওপর নজর রাখতে ইউনিটপ্রধানদের নির্দেশনা দেওয়া হয়। সভায় পুলিশের অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশন) বলেন, বিভিন্ন ফৌজদারি অপরাধে পুলিশ সদস্যদের জড়িয়ে পড়া খুবই দুঃখজনক। তিনি ইউনিটপ্রধানদের রোল কলের সময় পুলিশ সদস্যদের উপস্থিতি নিশ্চিত করার এবং নিয়মিত তাঁদের খোঁজখবর নিতে নির্দেশনা দেন।
পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলার বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেন, ব্যক্তি পুলিশের দায় কখনো বাহিনীর ওপর পড়ার কথা নয়। তবে বাহিনীর কেউ অপরাধ করলে কখনোই ছাড় দেওয়া হয় না।
শাহ আলী থানার দুই এসআই তুহিন কাজী ও মশিউর রহমানের বিরুদ্ধে ভুক্তভোগীকে তুলে নিয়ে টাকা লুটের অভিযোগে শেরেবাংলা নগর থানায় মামলা হয় ১৫ ডিসেম্বর। ঘটনাটি ঘটে ৯ ডিসেম্বর। গ্রেপ্তারের পর গত মঙ্গলবার তাঁদের তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর হয়। মামলার তদন্ত সূত্র বলেছে, প্রাথমিকভাবে ওই দুই পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে এর আগেও একাধিকবার এমন অপরাধে জড়ানোর তথ্য পাওয়া গেছে।
গত সেপ্টেম্বরে ডেমরা থানায় সংযুক্ত দুই পুলিশ কনস্টেবল মাহাবুব ও আসিফ নয়াপল্টনে একটি ব্যাংকে ঢুকে টাকা জমা দিতে আসা এক ব্যক্তিকে টেনে বাইরে নিয়ে ২০ লাখ টাকা ছিনতাই করেন। গ্রেপ্তারের পর ওই দুজনের কাছ থেকে ১০ লাখ টাকা উদ্ধার করে গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ। পরে তাঁদের তথ্যের ভিত্তিতে বাসাবো থেকে ছিনতাইয়ের আরেক পরিকল্পনাকারীকে গ্রেপ্তার করে বাকি টাকা উদ্ধার করা হয়। অক্টোবরে শ্যামপুর থানার দোলাইরপাড়ে এক ব্যক্তিকে মাইক্রোবাসে তুলে ৫৪ লাখ টাকা ছিনতাইয়ে নেতৃত্ব দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে গুলশান থানার সহকারী উপপরিদর্শক দেলোয়ার হোসেনের বিরুদ্ধে। এ মামলার অন্য তিন আসামির একজন কনস্টেবল আবু সায়েম (রাজারবাগ পুলিশ লাইনসে সংযুক্ত)। তাঁরাও গ্রেপ্তার হয়েছেন।
ফৌজদারি অপরাধে পুলিশের বিরুদ্ধে মামলা ছাড়াও বিভিন্ন অভিযোগে বিভাগীয় মামলাও হচ্ছে। পিআরবি-১৮৬১ (পুলিশ প্রবিধান) অনুযায়ী কোনো পুলিশ সদস্য অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়ালে তাঁর বিরুদ্ধে দুই ধরনের বিভাগীয় শাস্তির (লঘু ও গুরু) বিধান আছে। গুরুদণ্ডের আওতায় চাকরি থেকে বরখাস্ত, পদাবনতি, পদোন্নতি স্থগিত, বেতন বৃদ্ধি স্থগিত ও বিভাগীয় মামলা হয়।
বিভাগীয় মামলার শাস্তি বিশ্লেষণে দেখা যায়, বিভিন্ন অভিযোগে ২০২২ সালে ১ হাজার ৭৩১ জন পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে বিভাগীয় শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়। এর মধ্যে সর্বোচ্চ শাস্তি সাময়িক বরখাস্ত বা দূরে বদলি। কারও কারও মতে, ছোট ছোট বিষয়ে ছাড় দেওয়ায় বড় অপরাধের প্রবণতা বাড়ছে।
জানতে চাইলে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) যুগ্ম কমিশনার (অপারেশনস) বিপ্লব কুমার সরকার বলেন, পুলিশ বাহিনীতে কেউ অপরাধ করলে ছাড় পায় না। তিনি বলেন, ‘২ লাখ ১০ হাজার সদস্যের পুলিশ বাহিনীতে দু-চারজন অপরাধী যে নেই, তা আমরা অস্বীকার করছি না। আমাদের মধ্যেও অপরাধপ্রবণতার মানুষ থাকতে পারে। অপরাধীকে দ্রুত শনাক্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হয়।’

পুলিশ বাহিনীর দায়িত্ব আইনশৃঙ্খলা রক্ষা, অপরাধ নির্মূল। অথচ সেই বাহিনীর কিছু সদস্যই জড়িয়ে পড়ছেন অপরাধে। আগে পুলিশ সদর দপ্তরে সদস্যদের আচরণ নিয়ে অভিযোগ জমা পড়লেও এখন ফৌজদারি অপরাধে সম্পৃক্ততার অভিযোগ উঠছে। সাময়িক বরখাস্ত, মামলা, গ্রেপ্তারের পরও অপরাধপ্রবণতা কমছে না। এতে পুলিশ বাহিনীর সুনাম ক্ষুণ্ন হওয়ার পাশাপাশি মানুষের মধ্যে বিরূপ ধারণা ও আতঙ্ক তৈরি হচ্ছে।
সর্বশেষ রাজধানীর শেরেবাংলা নগর এলাকা থেকে ডিবি পরিচয়ে এক ব্যক্তিকে তুলে নিয়ে প্রায় সোয়া ৯ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়ে ছেড়ে দেওয়ার অভিযোগে করা মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে রিমান্ডে আছেন শাহ আলী থানার দুই উপপরিদর্শক (এসআই)। তাঁরা হলেন তুহিন কাজী ও মশিউর রহমান তাপস।
সূত্র বলেছে, সম্প্রতি পুলিশ সদর দপ্তরে ত্রৈমাসিক অপরাধ পর্যালোচনা সভায়ও পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলার বিষয়ে আলোচনা হয়। সভায় জানানো হয়, গত জানুয়ারি থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ৯ মাসে পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধে ৩১৮টি ফৌজদারি মামলা হয়েছে। এসব মামলায় আসামি ৩০৪ পুলিশ সদস্য। তাঁদের মধ্যে গ্রেপ্তার হয়েছেন ৭৯ জন। সভায় দায়িত্বে অমনোযোগী পুলিশ সদস্য ও সাময়িক বরখাস্ত হওয়া সদস্যদের ওপর নজর রাখতে ইউনিটপ্রধানদের নির্দেশনা দেওয়া হয়। সভায় পুলিশের অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশন) বলেন, বিভিন্ন ফৌজদারি অপরাধে পুলিশ সদস্যদের জড়িয়ে পড়া খুবই দুঃখজনক। তিনি ইউনিটপ্রধানদের রোল কলের সময় পুলিশ সদস্যদের উপস্থিতি নিশ্চিত করার এবং নিয়মিত তাঁদের খোঁজখবর নিতে নির্দেশনা দেন।
পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলার বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেন, ব্যক্তি পুলিশের দায় কখনো বাহিনীর ওপর পড়ার কথা নয়। তবে বাহিনীর কেউ অপরাধ করলে কখনোই ছাড় দেওয়া হয় না।
শাহ আলী থানার দুই এসআই তুহিন কাজী ও মশিউর রহমানের বিরুদ্ধে ভুক্তভোগীকে তুলে নিয়ে টাকা লুটের অভিযোগে শেরেবাংলা নগর থানায় মামলা হয় ১৫ ডিসেম্বর। ঘটনাটি ঘটে ৯ ডিসেম্বর। গ্রেপ্তারের পর গত মঙ্গলবার তাঁদের তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর হয়। মামলার তদন্ত সূত্র বলেছে, প্রাথমিকভাবে ওই দুই পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে এর আগেও একাধিকবার এমন অপরাধে জড়ানোর তথ্য পাওয়া গেছে।
গত সেপ্টেম্বরে ডেমরা থানায় সংযুক্ত দুই পুলিশ কনস্টেবল মাহাবুব ও আসিফ নয়াপল্টনে একটি ব্যাংকে ঢুকে টাকা জমা দিতে আসা এক ব্যক্তিকে টেনে বাইরে নিয়ে ২০ লাখ টাকা ছিনতাই করেন। গ্রেপ্তারের পর ওই দুজনের কাছ থেকে ১০ লাখ টাকা উদ্ধার করে গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ। পরে তাঁদের তথ্যের ভিত্তিতে বাসাবো থেকে ছিনতাইয়ের আরেক পরিকল্পনাকারীকে গ্রেপ্তার করে বাকি টাকা উদ্ধার করা হয়। অক্টোবরে শ্যামপুর থানার দোলাইরপাড়ে এক ব্যক্তিকে মাইক্রোবাসে তুলে ৫৪ লাখ টাকা ছিনতাইয়ে নেতৃত্ব দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে গুলশান থানার সহকারী উপপরিদর্শক দেলোয়ার হোসেনের বিরুদ্ধে। এ মামলার অন্য তিন আসামির একজন কনস্টেবল আবু সায়েম (রাজারবাগ পুলিশ লাইনসে সংযুক্ত)। তাঁরাও গ্রেপ্তার হয়েছেন।
ফৌজদারি অপরাধে পুলিশের বিরুদ্ধে মামলা ছাড়াও বিভিন্ন অভিযোগে বিভাগীয় মামলাও হচ্ছে। পিআরবি-১৮৬১ (পুলিশ প্রবিধান) অনুযায়ী কোনো পুলিশ সদস্য অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়ালে তাঁর বিরুদ্ধে দুই ধরনের বিভাগীয় শাস্তির (লঘু ও গুরু) বিধান আছে। গুরুদণ্ডের আওতায় চাকরি থেকে বরখাস্ত, পদাবনতি, পদোন্নতি স্থগিত, বেতন বৃদ্ধি স্থগিত ও বিভাগীয় মামলা হয়।
বিভাগীয় মামলার শাস্তি বিশ্লেষণে দেখা যায়, বিভিন্ন অভিযোগে ২০২২ সালে ১ হাজার ৭৩১ জন পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে বিভাগীয় শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়। এর মধ্যে সর্বোচ্চ শাস্তি সাময়িক বরখাস্ত বা দূরে বদলি। কারও কারও মতে, ছোট ছোট বিষয়ে ছাড় দেওয়ায় বড় অপরাধের প্রবণতা বাড়ছে।
জানতে চাইলে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) যুগ্ম কমিশনার (অপারেশনস) বিপ্লব কুমার সরকার বলেন, পুলিশ বাহিনীতে কেউ অপরাধ করলে ছাড় পায় না। তিনি বলেন, ‘২ লাখ ১০ হাজার সদস্যের পুলিশ বাহিনীতে দু-চারজন অপরাধী যে নেই, তা আমরা অস্বীকার করছি না। আমাদের মধ্যেও অপরাধপ্রবণতার মানুষ থাকতে পারে। অপরাধীকে দ্রুত শনাক্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হয়।’

রাজধানীর মোহাম্মদপুরে জেনেভা ক্যাম্পে ‘মাদক কারবারিদের’ দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে জাহিদ নিহতের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ শুক্রবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. ইবনে মিজান আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
৩ দিন আগে
এক বিজ্ঞপ্তিতে সিআইডি জানিয়েছে, নূরে আলম একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সদস্য। তিনি ফেসবুকে এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে যোগাযোগ করে জানান, তাঁর নামে বিদেশ থেকে একটি পার্সেল এসেছে, যা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাস্টম হাউসে জমা আছে। পার্সেল ছাড়াতে টাকা লাগবে—এ দাবি করে পার্সেলের ছবিও পাঠান তিনি।
৬ দিন আগে
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সভায় উপস্থিত বিএফআইইউ প্রতিনিধি বলেন, এমএফএস অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে জুয়া ও প্রতারণা বন্ধে বিটিআরসির (বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন) মাধ্যমে বার্তা দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া এমএফএস প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে বৈঠক করে তাদের কিছু নির্দেশনাও দেওয়া হবে। যেসব অ্যাকাউন্ট ব্লক (স্থগিত)
৬ দিন আগে
দেশে বসেই আন্তর্জাতিক পর্নো সাইটে সক্রিয় ছিলেন তাঁরা। ভিডিও বানিয়ে আপলোড করতেন বিভিন্ন ওয়েবসাইটে। শুধু নিজেরাই নন, এই দম্পতি অন্যদেরও এ কাজে যুক্ত করতেন বলে অভিযোগ। অবশেষে সেই আলোচিত যুগলকে বান্দরবানে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
৭ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

রাজধানীর মোহাম্মদপুরে জেনেভা ক্যাম্পে ‘মাদক কারবারিদের’ দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে জাহিদ নিহতের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
আজ শুক্রবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. ইবনে মিজান আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
গত বুধবার ভোররাতে দুই গ্রুপ মাদক কারবারির সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে নিহত হন জাহিদ (২০)। পরিবারের দাবি, দুপক্ষের সংঘর্ষ চলাকালে জাহিদের পায়ের কাছে ককটেল বিস্ফোরণ হয়। এ সময় স্প্লিন্টার তাঁর ঘাড় ও পিঠে বিদ্ধ হয়। আহত অবস্থায় উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় মোহাম্মদপুর থানায় একটি হত্যা মামলা হয়েছে। সংঘর্ষের পর ঘটনাস্থলে অভিযান পরিচালনা করে র্যাব, পুলিশ ও সেনাবাহিনী। অভিযানে একটি বিদেশি পিস্তল, একটি ম্যাগাজিন ও তিনটি তাজা গুলিসহ বিপুল পরিমাণ দেশি অস্ত্র ও পেট্রলবোমা উদ্ধার করা হয়।
জাহিদের ভগ্নিপতি মো. উজ্জ্বল জানান, রাজধানীর কল্যাণপুরে মিজান টাওয়ারে একটি মোবাইল ফোন সার্ভিসিংয়ের দোকানে কাজ করতেন জাহিদ। বুধবার রাতে বন্ধুদের সঙ্গে রেস্তোরাঁয় খেতে যাওয়ার সময় তাঁরা সংঘর্ষের মধ্যে পড়েন। পরে হাসপাতালে জাহিদের মৃত্যু হয়।
তবে পুলিশ বলছে, ককটেল তৈরির সময় বিস্ফোরণে নিহত হন জাহিদ।

রাজধানীর মোহাম্মদপুরে জেনেভা ক্যাম্পে ‘মাদক কারবারিদের’ দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে জাহিদ নিহতের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
আজ শুক্রবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. ইবনে মিজান আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
গত বুধবার ভোররাতে দুই গ্রুপ মাদক কারবারির সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে নিহত হন জাহিদ (২০)। পরিবারের দাবি, দুপক্ষের সংঘর্ষ চলাকালে জাহিদের পায়ের কাছে ককটেল বিস্ফোরণ হয়। এ সময় স্প্লিন্টার তাঁর ঘাড় ও পিঠে বিদ্ধ হয়। আহত অবস্থায় উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় মোহাম্মদপুর থানায় একটি হত্যা মামলা হয়েছে। সংঘর্ষের পর ঘটনাস্থলে অভিযান পরিচালনা করে র্যাব, পুলিশ ও সেনাবাহিনী। অভিযানে একটি বিদেশি পিস্তল, একটি ম্যাগাজিন ও তিনটি তাজা গুলিসহ বিপুল পরিমাণ দেশি অস্ত্র ও পেট্রলবোমা উদ্ধার করা হয়।
জাহিদের ভগ্নিপতি মো. উজ্জ্বল জানান, রাজধানীর কল্যাণপুরে মিজান টাওয়ারে একটি মোবাইল ফোন সার্ভিসিংয়ের দোকানে কাজ করতেন জাহিদ। বুধবার রাতে বন্ধুদের সঙ্গে রেস্তোরাঁয় খেতে যাওয়ার সময় তাঁরা সংঘর্ষের মধ্যে পড়েন। পরে হাসপাতালে জাহিদের মৃত্যু হয়।
তবে পুলিশ বলছে, ককটেল তৈরির সময় বিস্ফোরণে নিহত হন জাহিদ।

পুলিশ বাহিনীর দায়িত্ব আইনশৃঙ্খলা রক্ষা, অপরাধ নির্মূল। অথচ সেই বাহিনীর কিছু সদস্যই জড়িয়ে পড়ছেন অপরাধে। আগে পুলিশ সদর দপ্তরে সদস্যদের আচরণ নিয়ে অভিযোগ জমা পড়লেও এখন ফৌজদারি অপরাধে সম্পৃক্ততার অভিযোগ উঠছে। সাময়িক বরখাস্ত, মামলা, গ্রেপ্তারের পরও অপরাধপ্রবণতা কমছে না। এতে পুলিশ বাহিনীর সুনাম ক্ষুণ্ন হওয়
২৩ ডিসেম্বর ২০২৩
এক বিজ্ঞপ্তিতে সিআইডি জানিয়েছে, নূরে আলম একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সদস্য। তিনি ফেসবুকে এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে যোগাযোগ করে জানান, তাঁর নামে বিদেশ থেকে একটি পার্সেল এসেছে, যা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাস্টম হাউসে জমা আছে। পার্সেল ছাড়াতে টাকা লাগবে—এ দাবি করে পার্সেলের ছবিও পাঠান তিনি।
৬ দিন আগে
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সভায় উপস্থিত বিএফআইইউ প্রতিনিধি বলেন, এমএফএস অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে জুয়া ও প্রতারণা বন্ধে বিটিআরসির (বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন) মাধ্যমে বার্তা দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া এমএফএস প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে বৈঠক করে তাদের কিছু নির্দেশনাও দেওয়া হবে। যেসব অ্যাকাউন্ট ব্লক (স্থগিত)
৬ দিন আগে
দেশে বসেই আন্তর্জাতিক পর্নো সাইটে সক্রিয় ছিলেন তাঁরা। ভিডিও বানিয়ে আপলোড করতেন বিভিন্ন ওয়েবসাইটে। শুধু নিজেরাই নন, এই দম্পতি অন্যদেরও এ কাজে যুক্ত করতেন বলে অভিযোগ। অবশেষে সেই আলোচিত যুগলকে বান্দরবানে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
৭ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বিদেশ থেকে পার্সেল এসেছে—এমন দাবি করে কাস্টমস থেকে তা ছাড়িয়ে দেওয়ার কথা বলে ১১ লাখ ৮৫ হাজার টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে এক তরুণকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
গতকাল সোমবার রাতে রাজধানীর তেজগাঁও শিল্পাঞ্চলের কুনিপাড়া এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার ওই তরুণের নাম মো. নূরে আলম ওরফে তুহিন (২৪)।
এক বিজ্ঞপ্তিতে সিআইডি জানিয়েছে, নূরে আলম একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সদস্য। তিনি ফেসবুকে এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে যোগাযোগ করে জানান, তাঁর নামে বিদেশ থেকে একটি পার্সেল এসেছে, যা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাস্টম হাউসে জমা আছে। পার্সেল ছাড়াতে টাকা লাগবে—এ দাবি করে পার্সেলের ছবিও পাঠান তিনি।
পরে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন অজুহাতে ভুক্তভোগীর কাছ থেকে বিকাশ ও ব্যাংকের মাধ্যমে ১১ লাখ ৮৫ হাজার টাকা আদায় করেন নূরে আলম। টাকা পাওয়ার পর নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দেন তিনি।
ভুক্তভোগী আদালতের শরণাপন্ন হলে রামপুরা থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করা হয়। মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব পায় সিআইডির সাইবার পুলিশ সেন্টার। পরে নূরে আলমকে গ্রেপ্তার করা হয়।
সিআইডি জানায়, প্রতারক চক্রের অন্য সদস্যদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।

বিদেশ থেকে পার্সেল এসেছে—এমন দাবি করে কাস্টমস থেকে তা ছাড়িয়ে দেওয়ার কথা বলে ১১ লাখ ৮৫ হাজার টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে এক তরুণকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
গতকাল সোমবার রাতে রাজধানীর তেজগাঁও শিল্পাঞ্চলের কুনিপাড়া এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার ওই তরুণের নাম মো. নূরে আলম ওরফে তুহিন (২৪)।
এক বিজ্ঞপ্তিতে সিআইডি জানিয়েছে, নূরে আলম একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সদস্য। তিনি ফেসবুকে এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে যোগাযোগ করে জানান, তাঁর নামে বিদেশ থেকে একটি পার্সেল এসেছে, যা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাস্টম হাউসে জমা আছে। পার্সেল ছাড়াতে টাকা লাগবে—এ দাবি করে পার্সেলের ছবিও পাঠান তিনি।
পরে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন অজুহাতে ভুক্তভোগীর কাছ থেকে বিকাশ ও ব্যাংকের মাধ্যমে ১১ লাখ ৮৫ হাজার টাকা আদায় করেন নূরে আলম। টাকা পাওয়ার পর নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দেন তিনি।
ভুক্তভোগী আদালতের শরণাপন্ন হলে রামপুরা থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করা হয়। মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব পায় সিআইডির সাইবার পুলিশ সেন্টার। পরে নূরে আলমকে গ্রেপ্তার করা হয়।
সিআইডি জানায়, প্রতারক চক্রের অন্য সদস্যদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।

পুলিশ বাহিনীর দায়িত্ব আইনশৃঙ্খলা রক্ষা, অপরাধ নির্মূল। অথচ সেই বাহিনীর কিছু সদস্যই জড়িয়ে পড়ছেন অপরাধে। আগে পুলিশ সদর দপ্তরে সদস্যদের আচরণ নিয়ে অভিযোগ জমা পড়লেও এখন ফৌজদারি অপরাধে সম্পৃক্ততার অভিযোগ উঠছে। সাময়িক বরখাস্ত, মামলা, গ্রেপ্তারের পরও অপরাধপ্রবণতা কমছে না। এতে পুলিশ বাহিনীর সুনাম ক্ষুণ্ন হওয়
২৩ ডিসেম্বর ২০২৩
রাজধানীর মোহাম্মদপুরে জেনেভা ক্যাম্পে ‘মাদক কারবারিদের’ দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে জাহিদ নিহতের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ শুক্রবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. ইবনে মিজান আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
৩ দিন আগে
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সভায় উপস্থিত বিএফআইইউ প্রতিনিধি বলেন, এমএফএস অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে জুয়া ও প্রতারণা বন্ধে বিটিআরসির (বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন) মাধ্যমে বার্তা দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া এমএফএস প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে বৈঠক করে তাদের কিছু নির্দেশনাও দেওয়া হবে। যেসব অ্যাকাউন্ট ব্লক (স্থগিত)
৬ দিন আগে
দেশে বসেই আন্তর্জাতিক পর্নো সাইটে সক্রিয় ছিলেন তাঁরা। ভিডিও বানিয়ে আপলোড করতেন বিভিন্ন ওয়েবসাইটে। শুধু নিজেরাই নন, এই দম্পতি অন্যদেরও এ কাজে যুক্ত করতেন বলে অভিযোগ। অবশেষে সেই আলোচিত যুগলকে বান্দরবানে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
৭ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

জুয়া ও প্রতারণায় জড়িত থাকায় ৫০ হাজারের বেশি এমএফএস (মোবাইলভিত্তিক আর্থিক লেনদেন সেবা) অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ (স্থগিত) করেছে বিএফআইইউ (বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট)। ২০২২ সালের ডিসেম্বর থেকে চলতি মাস পর্যন্ত এই নম্বরগুলো স্থগিত করা হয়।
আজ মঙ্গলবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বিটিআরসি ভবনে ‘অনলাইন জুয়া প্রতিরোধে করণীয়’ শীর্ষক এক সভায় বিএফআইইউর প্রতিনিধি এ তথ্য জানান।
সভায় ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়, ডিজিএফআই (ডিরেক্টরেট জেনারেল অব ফোর্সেস ইন্টেলিজেন্স), এনএসআই (ন্যাশনাল সিকিউরিটি ইন্টেলিজেন্স), এনটিএমসি (ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টার), সিআইডি (ক্রিমিনাল ইনভেস্টিগেশন ডিপার্টমেন্ট), বিএফআইইউ, এমএফএস ও মোবাইল অপারেটরদের প্রতিনিধিরা অংশ নেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সভায় উপস্থিত বিএফআইইউ প্রতিনিধি বলেন, এমএফএস অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে জুয়া ও প্রতারণা বন্ধে বিটিআরসির (বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন) মাধ্যমে বার্তা দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া এমএফএস প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে বৈঠক করে তাদের কিছু নির্দেশনাও দেওয়া হবে। যেসব অ্যাকাউন্ট ব্লক (স্থগিত) করা হয়েছে, সেগুলো থেকে কোথায় কোথায় টাকা লেনদেন করা হয়েছে, তা বিশ্লেষণ করে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে প্রতিবেদন দেওয়া হবে।
ডিজিএফআই প্রতিনিধি জানান, অনলাইন জুয়ার মতো আর্থিক নানা প্রতারণায় বেনামি সিম ব্যবহার করা হচ্ছে। সংঘবদ্ধ চক্র ভুয়া সিম বিক্রি করছে। মানুষের আঙুলের ছাপ ব্যবহার করা হচ্ছে। বিকাশের অ্যাপ নকল করা হয়েছে। নাগরিকদের ডেটাবেইস ডার্ক ওয়েবে পাওয়া যাচ্ছে। এটা নিয়ে নানা অপরাধ সংঘটিত হচ্ছে।
সভায় অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিবিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, সরকার সতর্ক করার পরও অনেক গণমাধ্যমের অনলাইন পোর্টালে এখনো জুয়ার বিজ্ঞাপন প্রচার করা হচ্ছে। এ ধরনের বিজ্ঞাপন প্রচার করলে যেকোনো মুহূর্তে বিনা নোটিশে সংশ্লিষ্ট গণমাধ্যমের পোর্টাল বন্ধ করে দেওয়া হবে। প্রায় সব কটি মিডিয়ার পোর্টালে এখনো অনিরাপদ কনটেন্ট আসে। জুয়ার বিজ্ঞাপন আসে। এখান থেকে তারা টাকা পায়।
১৯ অক্টোবর পর্যন্ত জুয়ার বিজ্ঞাপন বন্ধে সময় দেওয়া হয়েছিল। তবে গণমাধ্যমগুলো তা মানছে না বলে অভিযোগ করেন বিশেষ সহকারী। তিনি বলেন, বেশ কিছু অনলাইন পোর্টাল জুয়ার বিজ্ঞাপন ও অনিরাপদ কনটেন্ট বিজ্ঞাপন প্রচার করছে। ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, ‘আমরা যেকোনো মুহূর্তে বন্ধ করে দেব। যেহেতু একাধিক নোটিশ দেওয়া হয়েছে। আমরা পাবলিকলি কোনো নোটিশ দেব না।’
অনলাইন জুয়া বন্ধে সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগ ও চ্যালেঞ্জের কথা তুলে ধরেন ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব। তিনি জানান, সরকারের হিসাবে গত মে মাস থেকে এখন পর্যন্ত ৪ হাজার ৮২০টি এমএফএস নম্বর পাওয়া গেছে। এ ছাড়া ১ হাজার ৩৩১টি ওয়েব পোর্টালের লিংক পাওয়া গেছে।
সরকারের চ্যালেঞ্জ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, যখনই একটা নম্বর ব্লক করা হয়, তখন এর চেয়ে বেশিসংখ্যক বা সমসংখ্যক নম্বর ব্যবহার করে সিগন্যাল-হোয়াটসঅ্যাপের মতো গ্রুপগুলোয় ছড়িয়ে দেওয়া হয়। আইপি পরিবর্তন করে ওয়েবসাইটের নাম একটু পরিবর্তন করা হয়। এভাবে নতুন ওয়েবসাইট বানিয়ে আবার শুরু করা হয়। এমএফএস, ওয়েব লিংক বন্ধ করার পর এ চক্রগুলো আবার অ্যাপ তৈরি ফেলে। অ্যাপগুলো অনেক ক্ষেত্রেই পাবলিশড নয়, এপিকে হিসেবে ব্যবহার করে।

জুয়া ও প্রতারণায় জড়িত থাকায় ৫০ হাজারের বেশি এমএফএস (মোবাইলভিত্তিক আর্থিক লেনদেন সেবা) অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ (স্থগিত) করেছে বিএফআইইউ (বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট)। ২০২২ সালের ডিসেম্বর থেকে চলতি মাস পর্যন্ত এই নম্বরগুলো স্থগিত করা হয়।
আজ মঙ্গলবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বিটিআরসি ভবনে ‘অনলাইন জুয়া প্রতিরোধে করণীয়’ শীর্ষক এক সভায় বিএফআইইউর প্রতিনিধি এ তথ্য জানান।
সভায় ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়, ডিজিএফআই (ডিরেক্টরেট জেনারেল অব ফোর্সেস ইন্টেলিজেন্স), এনএসআই (ন্যাশনাল সিকিউরিটি ইন্টেলিজেন্স), এনটিএমসি (ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টার), সিআইডি (ক্রিমিনাল ইনভেস্টিগেশন ডিপার্টমেন্ট), বিএফআইইউ, এমএফএস ও মোবাইল অপারেটরদের প্রতিনিধিরা অংশ নেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সভায় উপস্থিত বিএফআইইউ প্রতিনিধি বলেন, এমএফএস অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে জুয়া ও প্রতারণা বন্ধে বিটিআরসির (বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন) মাধ্যমে বার্তা দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া এমএফএস প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে বৈঠক করে তাদের কিছু নির্দেশনাও দেওয়া হবে। যেসব অ্যাকাউন্ট ব্লক (স্থগিত) করা হয়েছে, সেগুলো থেকে কোথায় কোথায় টাকা লেনদেন করা হয়েছে, তা বিশ্লেষণ করে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে প্রতিবেদন দেওয়া হবে।
ডিজিএফআই প্রতিনিধি জানান, অনলাইন জুয়ার মতো আর্থিক নানা প্রতারণায় বেনামি সিম ব্যবহার করা হচ্ছে। সংঘবদ্ধ চক্র ভুয়া সিম বিক্রি করছে। মানুষের আঙুলের ছাপ ব্যবহার করা হচ্ছে। বিকাশের অ্যাপ নকল করা হয়েছে। নাগরিকদের ডেটাবেইস ডার্ক ওয়েবে পাওয়া যাচ্ছে। এটা নিয়ে নানা অপরাধ সংঘটিত হচ্ছে।
সভায় অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিবিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, সরকার সতর্ক করার পরও অনেক গণমাধ্যমের অনলাইন পোর্টালে এখনো জুয়ার বিজ্ঞাপন প্রচার করা হচ্ছে। এ ধরনের বিজ্ঞাপন প্রচার করলে যেকোনো মুহূর্তে বিনা নোটিশে সংশ্লিষ্ট গণমাধ্যমের পোর্টাল বন্ধ করে দেওয়া হবে। প্রায় সব কটি মিডিয়ার পোর্টালে এখনো অনিরাপদ কনটেন্ট আসে। জুয়ার বিজ্ঞাপন আসে। এখান থেকে তারা টাকা পায়।
১৯ অক্টোবর পর্যন্ত জুয়ার বিজ্ঞাপন বন্ধে সময় দেওয়া হয়েছিল। তবে গণমাধ্যমগুলো তা মানছে না বলে অভিযোগ করেন বিশেষ সহকারী। তিনি বলেন, বেশ কিছু অনলাইন পোর্টাল জুয়ার বিজ্ঞাপন ও অনিরাপদ কনটেন্ট বিজ্ঞাপন প্রচার করছে। ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, ‘আমরা যেকোনো মুহূর্তে বন্ধ করে দেব। যেহেতু একাধিক নোটিশ দেওয়া হয়েছে। আমরা পাবলিকলি কোনো নোটিশ দেব না।’
অনলাইন জুয়া বন্ধে সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগ ও চ্যালেঞ্জের কথা তুলে ধরেন ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব। তিনি জানান, সরকারের হিসাবে গত মে মাস থেকে এখন পর্যন্ত ৪ হাজার ৮২০টি এমএফএস নম্বর পাওয়া গেছে। এ ছাড়া ১ হাজার ৩৩১টি ওয়েব পোর্টালের লিংক পাওয়া গেছে।
সরকারের চ্যালেঞ্জ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, যখনই একটা নম্বর ব্লক করা হয়, তখন এর চেয়ে বেশিসংখ্যক বা সমসংখ্যক নম্বর ব্যবহার করে সিগন্যাল-হোয়াটসঅ্যাপের মতো গ্রুপগুলোয় ছড়িয়ে দেওয়া হয়। আইপি পরিবর্তন করে ওয়েবসাইটের নাম একটু পরিবর্তন করা হয়। এভাবে নতুন ওয়েবসাইট বানিয়ে আবার শুরু করা হয়। এমএফএস, ওয়েব লিংক বন্ধ করার পর এ চক্রগুলো আবার অ্যাপ তৈরি ফেলে। অ্যাপগুলো অনেক ক্ষেত্রেই পাবলিশড নয়, এপিকে হিসেবে ব্যবহার করে।

পুলিশ বাহিনীর দায়িত্ব আইনশৃঙ্খলা রক্ষা, অপরাধ নির্মূল। অথচ সেই বাহিনীর কিছু সদস্যই জড়িয়ে পড়ছেন অপরাধে। আগে পুলিশ সদর দপ্তরে সদস্যদের আচরণ নিয়ে অভিযোগ জমা পড়লেও এখন ফৌজদারি অপরাধে সম্পৃক্ততার অভিযোগ উঠছে। সাময়িক বরখাস্ত, মামলা, গ্রেপ্তারের পরও অপরাধপ্রবণতা কমছে না। এতে পুলিশ বাহিনীর সুনাম ক্ষুণ্ন হওয়
২৩ ডিসেম্বর ২০২৩
রাজধানীর মোহাম্মদপুরে জেনেভা ক্যাম্পে ‘মাদক কারবারিদের’ দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে জাহিদ নিহতের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ শুক্রবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. ইবনে মিজান আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
৩ দিন আগে
এক বিজ্ঞপ্তিতে সিআইডি জানিয়েছে, নূরে আলম একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সদস্য। তিনি ফেসবুকে এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে যোগাযোগ করে জানান, তাঁর নামে বিদেশ থেকে একটি পার্সেল এসেছে, যা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাস্টম হাউসে জমা আছে। পার্সেল ছাড়াতে টাকা লাগবে—এ দাবি করে পার্সেলের ছবিও পাঠান তিনি।
৬ দিন আগে
দেশে বসেই আন্তর্জাতিক পর্নো সাইটে সক্রিয় ছিলেন তাঁরা। ভিডিও বানিয়ে আপলোড করতেন বিভিন্ন ওয়েবসাইটে। শুধু নিজেরাই নন, এই দম্পতি অন্যদেরও এ কাজে যুক্ত করতেন বলে অভিযোগ। অবশেষে সেই আলোচিত যুগলকে বান্দরবানে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
৭ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

দেশে বসেই আন্তর্জাতিক পর্নো সাইটে সক্রিয় ছিলেন তাঁরা। ভিডিও বানিয়ে আপলোড করতেন বিভিন্ন ওয়েবসাইটে। শুধু নিজেরাই নন, এই দম্পতি অন্যদেরও এ কাজে যুক্ত করতেন বলে অভিযোগ। অবশেষে সেই আলোচিত যুগলকে বান্দরবানে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
আজ সোমবার ভোরে বান্দরবান সদর উপজেলার হাজীপাড়ার বালাঘাটা এলাকা থেকে সিআইডির এলআইসি ও সাইবার পুলিশ সেন্টার (সিপিসি) ইউনিটের সদস্যরা এই যুগলকে গ্রেপ্তার করেন। গ্রেপ্তার হওয়া যুগল হলেন মুহাম্মদ আজিম (২৮) ও তাঁর স্ত্রী বৃষ্টি (২৮)। আজ বিকেলে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানায় সিআইডি।
গ্রেপ্তার আজিমের বাড়ি চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলার বুরুমছড়া গ্রামে এবং বৃষ্টির বাড়ি মানিকগঞ্জ জেলার হরিরামপুর উপজেলার আন্ধারমানিক (খালপাড়) গ্রামে।
সিআইডির প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, এই যুগল ২০২৪ সালের মে মাসে আন্তর্জাতিক এক পর্নো সাইটে প্রথম ভিডিও আপলোড করেন। এরপর এক বছরের মধ্যে তাঁরা ১১২টি ভিডিও আপলোড করেছেন, যেগুলো বিশ্বব্যাপী ২ কোটি ৬৭ লাখের বেশিবার দেখা হয়েছে।
এই যুগল এতটাই জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন যে, ২০২৫ সালের অক্টোবর মাসে আন্তর্জাতিক পারফর্মার র্যাঙ্কিংয়ে তাঁদের অবস্থান উঠে আসে অষ্টম স্থানে। ভিডিও আপলোড ছাড়াও তাঁরা বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম—বিশেষ করে, ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম ও টেলিগ্রামের মাধ্যমে নিজেদের কর্মকাণ্ডের প্রচারণা চালাতেন। এসব প্ল্যাটফর্মে নতুনদের এ কাজে যুক্ত হওয়ার আহ্বান জানানো হতো।
তদন্তকারীরা বলছেন, আগ্রহীদের ‘ক্রিয়েটর’ হিসেবে যুক্ত করতে তাঁরা টেলিগ্রাম চ্যানেলে নানা প্রলোভন দেখিয়ে বিজ্ঞাপন দিতেন। নতুন কেউ যুক্ত হলে তাঁকে নগদ অর্থ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হতো। কেউ যোগাযোগ করলে তাঁদের ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করতে উৎসাহিত করতেন আজিম ও বৃষ্টি।
সিআইডির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এই যুগল প্রাথমিক বিদ্যালয়ের গণ্ডি পেরোতে পারেননি। তবে অনলাইনে তাঁদের বিলাসবহুল জীবনধারার নানা ছবি পাওয়া যায়, যা সমাজে নেতিবাচক বার্তা দিচ্ছে। এসব কার্যক্রম সামাজিক ও নৈতিকভাবে যেমন উদ্বেগজনক, তেমনি দেশের প্রচলিত আইনেরও লঙ্ঘন।
অভিযানের সময় তাঁদের কাছ থেকে মোবাইল ফোন, সিম কার্ড, ক্যামেরা, ট্রাইপডসহ ভিডিও ধারণের বিভিন্ন যন্ত্রপাতি জব্দ করা হয়েছে। তাঁদের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা রুজু করা হয়েছে। একই সঙ্গে আদালতে সোপর্দ করে রিমান্ড চেয়ে আবেদন করা হবে বলে জানিয়েছে সিআইডি।
সিআইডির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, পর্নোগ্রাফি ছড়িয়ে দেওয়ার সঙ্গে যুক্ত অন্যদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তারে তদন্ত অব্যাহত রয়েছে।

দেশে বসেই আন্তর্জাতিক পর্নো সাইটে সক্রিয় ছিলেন তাঁরা। ভিডিও বানিয়ে আপলোড করতেন বিভিন্ন ওয়েবসাইটে। শুধু নিজেরাই নন, এই দম্পতি অন্যদেরও এ কাজে যুক্ত করতেন বলে অভিযোগ। অবশেষে সেই আলোচিত যুগলকে বান্দরবানে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
আজ সোমবার ভোরে বান্দরবান সদর উপজেলার হাজীপাড়ার বালাঘাটা এলাকা থেকে সিআইডির এলআইসি ও সাইবার পুলিশ সেন্টার (সিপিসি) ইউনিটের সদস্যরা এই যুগলকে গ্রেপ্তার করেন। গ্রেপ্তার হওয়া যুগল হলেন মুহাম্মদ আজিম (২৮) ও তাঁর স্ত্রী বৃষ্টি (২৮)। আজ বিকেলে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানায় সিআইডি।
গ্রেপ্তার আজিমের বাড়ি চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলার বুরুমছড়া গ্রামে এবং বৃষ্টির বাড়ি মানিকগঞ্জ জেলার হরিরামপুর উপজেলার আন্ধারমানিক (খালপাড়) গ্রামে।
সিআইডির প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, এই যুগল ২০২৪ সালের মে মাসে আন্তর্জাতিক এক পর্নো সাইটে প্রথম ভিডিও আপলোড করেন। এরপর এক বছরের মধ্যে তাঁরা ১১২টি ভিডিও আপলোড করেছেন, যেগুলো বিশ্বব্যাপী ২ কোটি ৬৭ লাখের বেশিবার দেখা হয়েছে।
এই যুগল এতটাই জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন যে, ২০২৫ সালের অক্টোবর মাসে আন্তর্জাতিক পারফর্মার র্যাঙ্কিংয়ে তাঁদের অবস্থান উঠে আসে অষ্টম স্থানে। ভিডিও আপলোড ছাড়াও তাঁরা বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম—বিশেষ করে, ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম ও টেলিগ্রামের মাধ্যমে নিজেদের কর্মকাণ্ডের প্রচারণা চালাতেন। এসব প্ল্যাটফর্মে নতুনদের এ কাজে যুক্ত হওয়ার আহ্বান জানানো হতো।
তদন্তকারীরা বলছেন, আগ্রহীদের ‘ক্রিয়েটর’ হিসেবে যুক্ত করতে তাঁরা টেলিগ্রাম চ্যানেলে নানা প্রলোভন দেখিয়ে বিজ্ঞাপন দিতেন। নতুন কেউ যুক্ত হলে তাঁকে নগদ অর্থ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হতো। কেউ যোগাযোগ করলে তাঁদের ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করতে উৎসাহিত করতেন আজিম ও বৃষ্টি।
সিআইডির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এই যুগল প্রাথমিক বিদ্যালয়ের গণ্ডি পেরোতে পারেননি। তবে অনলাইনে তাঁদের বিলাসবহুল জীবনধারার নানা ছবি পাওয়া যায়, যা সমাজে নেতিবাচক বার্তা দিচ্ছে। এসব কার্যক্রম সামাজিক ও নৈতিকভাবে যেমন উদ্বেগজনক, তেমনি দেশের প্রচলিত আইনেরও লঙ্ঘন।
অভিযানের সময় তাঁদের কাছ থেকে মোবাইল ফোন, সিম কার্ড, ক্যামেরা, ট্রাইপডসহ ভিডিও ধারণের বিভিন্ন যন্ত্রপাতি জব্দ করা হয়েছে। তাঁদের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা রুজু করা হয়েছে। একই সঙ্গে আদালতে সোপর্দ করে রিমান্ড চেয়ে আবেদন করা হবে বলে জানিয়েছে সিআইডি।
সিআইডির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, পর্নোগ্রাফি ছড়িয়ে দেওয়ার সঙ্গে যুক্ত অন্যদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তারে তদন্ত অব্যাহত রয়েছে।

পুলিশ বাহিনীর দায়িত্ব আইনশৃঙ্খলা রক্ষা, অপরাধ নির্মূল। অথচ সেই বাহিনীর কিছু সদস্যই জড়িয়ে পড়ছেন অপরাধে। আগে পুলিশ সদর দপ্তরে সদস্যদের আচরণ নিয়ে অভিযোগ জমা পড়লেও এখন ফৌজদারি অপরাধে সম্পৃক্ততার অভিযোগ উঠছে। সাময়িক বরখাস্ত, মামলা, গ্রেপ্তারের পরও অপরাধপ্রবণতা কমছে না। এতে পুলিশ বাহিনীর সুনাম ক্ষুণ্ন হওয়
২৩ ডিসেম্বর ২০২৩
রাজধানীর মোহাম্মদপুরে জেনেভা ক্যাম্পে ‘মাদক কারবারিদের’ দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে জাহিদ নিহতের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ শুক্রবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. ইবনে মিজান আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
৩ দিন আগে
এক বিজ্ঞপ্তিতে সিআইডি জানিয়েছে, নূরে আলম একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সদস্য। তিনি ফেসবুকে এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে যোগাযোগ করে জানান, তাঁর নামে বিদেশ থেকে একটি পার্সেল এসেছে, যা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাস্টম হাউসে জমা আছে। পার্সেল ছাড়াতে টাকা লাগবে—এ দাবি করে পার্সেলের ছবিও পাঠান তিনি।
৬ দিন আগে
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সভায় উপস্থিত বিএফআইইউ প্রতিনিধি বলেন, এমএফএস অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে জুয়া ও প্রতারণা বন্ধে বিটিআরসির (বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন) মাধ্যমে বার্তা দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া এমএফএস প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে বৈঠক করে তাদের কিছু নির্দেশনাও দেওয়া হবে। যেসব অ্যাকাউন্ট ব্লক (স্থগিত)
৬ দিন আগে