সাবিত আল হাসান, নারায়ণগঞ্জ

নারায়ণগঞ্জে পেশাদার অপরাধীদের চেয়ে এখন বেশি আতঙ্কের কারণ ‘কিশোর গ্যাং’। নারায়ণগঞ্জ শহর ও শহরতলির প্রতিটি এলাকায় গড়ে উঠেছে বিভিন্ন গ্যাং। বস্তি থেকে শুরু করে ধনীর সন্তানেরাও জড়িয়ে যাচ্ছে এসব গ্যাংয়ে। স্কুলপড়ুয়া ছেলেরাও ক্ষমতার মোহে যুক্ত হয়ে বিপথগামী হচ্ছে। বিভিন্ন অপরাধ করে তারা আলোচনা আসছে প্রতিদিন।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, পাড়ামহল্লায় মাদক কারবারি এবং উঠতি নেতাদের আধিপত্য ধরে রাখতেই কিশোরদের ব্যবহার করা হয়। এই বয়সে অপ্রতিরোধ্য মানসিকতা, হিরোইজম এবং ক্ষমতার মোহ থাকায় সহজেই ব্যবহার করা যায় তাদের। এলাকার কথিত বড় ভাইদের প্রশ্রয়ে যুক্ত হয়ে অপরাধমূলক কাজে জড়িয়ে যায়। প্রায় প্রতিদিনই থানা-পুলিশের কাছে কিশোর গ্যাংয়ের মারামারি, চাঁদাবাজি, ভাঙচুর, মাদক কারবার, ইভ টিজিং ও ছিনতাইয়ের নানান অভিযোগ আসে। স্থানীয়রা বলছেন, দল বেঁধে কিশোরেরা এসব অপরাধে জড়ানোয় ভয়ে মুখ খুলতে সাহস পান না বাসিন্দারা।
পুলিশের তথ্যমতে, নারায়ণগঞ্জে যেসব স্থানে মানুষের বসবাস বেশি, সেখানেই কিশোর গ্যাংয়ের দৌরাত্ম্য। এর মধ্যে নারায়ণগঞ্জ শহর, ফতুল্লা, সিদ্ধিরগঞ্জ ও বন্দর অন্যতম। আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে মারামারি, প্রকাশ্যে অস্ত্র নিয়ে মহড়া দেওয়া, প্রতিপক্ষের ওপর হামলা চালিয়ে রক্তাক্ত জখম করার ঘটনা ঘটে প্রতিনিয়ত।
বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদ থেকে জানা যায়, মে মাসের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত কিশোর গ্যাংয়ের হাতে তিনটি খুন ও একাধিক হামলার ঘটনা ঘটেছে।
১৭ মে রাতে সদর থানার আলীরটেক এলাকায় সিয়াম সরদার (১৭) নামের এক ইজিবাইকচালকের লাশ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় তিনজনের নাম উল্লেখ করে মামলা করা হয়। স্থানীয় কিশোর গ্যাং সদস্যরা সিয়ামের ইজিবাইক ছিনিয়ে নিয়ে বিক্রির জন্য এই খুন করে।
১৫ মে রাতে নারায়ণগঞ্জ শহরের দেওভোগ এলাকায় সুব্রত নামে এক হোসিয়ারি শ্রমিককে ডেকে নিয়ে পিটিয়ে জখম করে ১৫-২০ জনের কিশোর গ্যাং সদস্য। এ ঘটনায় চিকিৎসাধীন থাকার পর ২২ মে বেলা ১১টায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা যায় সুব্রত। এ ঘটনায় থানায় হত্যা মামলা হয়েছে।
মে মাসের শুরুতেই নারায়ণগঞ্জ শহরের নন্দীপাড়া এলাকায় কিশোর গ্যাংয়ের ১০-১২ সদস্য প্রকাশ্যে এক যুবকের ওপর হামলা চালায়। এই হামলার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হলে শহরজুড়ে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। প্রথম দিকে ভুক্তভোগী বেশ কিছুদিন কিশোর গ্যাং সদস্যদের ভয়ে আড়ালে থাকলেও ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পর ১৪ মে ফতুল্লা থানায় মামলা করেন।
১৩ মে ফতুল্লা থানার মাসদাইর বোয়ালিয়া খাল এলাকায় এলাকায় নিউজ প্রকাশের জের ধরে সাংবাদিক রাশিদ চৌধুরীকে ছুরিকাঘাত করে কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরা। গুরুতর আহত অবস্থায় প্রথমে তাঁকে ভিক্টোরিয়া ও পরে ঢাকা মেডিকেলে পাঠানো হয়। এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর বাবা থানায় মামলা করেন।
১৭ মে রাতে ফতুল্লার ইসদাইর এলাকায় সহপাঠীদের হাতে নিহত হয় দশম শ্রেণির ছাত্র ধ্রুব দাস (১৬)। এ ঘটনায় ১০ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করা হয়। যাদের ৯ জনই অপ্রাপ্ত বয়স্ক কিশোর গ্যাং সদস্য। মূলত সিনিয়র-জুনিয়র বিরোধ থেকেই সহপাঠীকে হত্যা করে তারা।
১৪ মে সিদ্ধিরগঞ্জের শীতলক্ষ্যা নদীর ওয়াকওয়েতে আরাফাত হোসেন রিয়াদ (১৭) নামের এক কিশোরকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করে কিশোর গ্যাং সদস্যরা। এ সময় তার চিৎকার শুনে আরেক বন্ধু এগিয়ে এলে তাকেও ছুরিকাঘাত করা হয়।
১৭ মে রাতে বন্দর থানাধীন রেললাইন এলাকায় কিশোর গ্যাংয়ের দুই গ্রুপের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ হয়। এ ঘটনায় পুলিশ তিন সদস্যকে গ্রেপ্তার করে।
একের পর এক কিশোর গ্যাংয়ের উপদ্রবের খবর উঠে আসায় আতঙ্কে রয়েছেন শহরের বাসিন্দারা। দিনে দিনে কিশোরেরা অপরাধী ও খুনিতে পরিণত হওয়ায় নিজেদের নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করছেন বাসিন্দারা।
সামাজিক সংগঠন আমরা নারায়ণগঞ্জবাসীর সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা হাজী নূর উদ্দিন বলেন, ‘বিদেশি সংস্কৃতি ও মোবাইলের অপব্যবহারের কারণে ক্রমাগত নীতি নৈতিকতা হারিয়ে যাচ্ছে। পারিবারিক শিক্ষা ও মানবিক জ্ঞান লোপ পাওয়ার কারণেই এ ঘটনা ঘটছে। মাদক ও অপরাধ থেকে কিশোরদের রক্ষা করতে নৈতিক শিক্ষার কোনো বিকল্প নেই। এদের ছোট থেকেই সামাজিকভাবে নৈতিক শিক্ষা দেওয়ার প্রয়োজন ছিল। মা-বাবা সচেতন না হওয়ার কারণেই এই সন্তানেরা এখন সমাজে আতঙ্ক হয়ে দাঁড়িয়েছে।’
কিশোরদের অপরাধ প্রবণতা বৃদ্ধির বিষয়ে জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) আমির খসরু আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘কিশোর গ্যাংয়ের সঙ্গে যারা জড়িত এবং যেসব গ্রুপ সক্রিয়ভাবে অপরাধ করে যাচ্ছে, তাদের তালিকা প্রস্তুতে কাজ চলছে। নির্দিষ্ট কিছু এলাকায় কিশোর গ্যাংয়ের আধিক্য বেশি দেখা যায়। কখনো স্কুলছাত্র আবার কখনো বখে যাওয়া ছেলেরা অপরাধে জড়িয়ে যায়। মাদক ও ছিনতাইয়ে জড়িত অপরাধীরা এদের ব্যবহার করে। আমাদের মনিটরিংয়ের কারণে বিগত দিনে অনেকটা কমে এলেও এখন আবার বেড়েছে। আমরা ইতিমধ্যে অনেককে গ্রেপ্তার করেছি, বাকিদেরও গ্রেপ্তারের আওতায় আনার চেষ্টা চলছে।’

নারায়ণগঞ্জে পেশাদার অপরাধীদের চেয়ে এখন বেশি আতঙ্কের কারণ ‘কিশোর গ্যাং’। নারায়ণগঞ্জ শহর ও শহরতলির প্রতিটি এলাকায় গড়ে উঠেছে বিভিন্ন গ্যাং। বস্তি থেকে শুরু করে ধনীর সন্তানেরাও জড়িয়ে যাচ্ছে এসব গ্যাংয়ে। স্কুলপড়ুয়া ছেলেরাও ক্ষমতার মোহে যুক্ত হয়ে বিপথগামী হচ্ছে। বিভিন্ন অপরাধ করে তারা আলোচনা আসছে প্রতিদিন।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, পাড়ামহল্লায় মাদক কারবারি এবং উঠতি নেতাদের আধিপত্য ধরে রাখতেই কিশোরদের ব্যবহার করা হয়। এই বয়সে অপ্রতিরোধ্য মানসিকতা, হিরোইজম এবং ক্ষমতার মোহ থাকায় সহজেই ব্যবহার করা যায় তাদের। এলাকার কথিত বড় ভাইদের প্রশ্রয়ে যুক্ত হয়ে অপরাধমূলক কাজে জড়িয়ে যায়। প্রায় প্রতিদিনই থানা-পুলিশের কাছে কিশোর গ্যাংয়ের মারামারি, চাঁদাবাজি, ভাঙচুর, মাদক কারবার, ইভ টিজিং ও ছিনতাইয়ের নানান অভিযোগ আসে। স্থানীয়রা বলছেন, দল বেঁধে কিশোরেরা এসব অপরাধে জড়ানোয় ভয়ে মুখ খুলতে সাহস পান না বাসিন্দারা।
পুলিশের তথ্যমতে, নারায়ণগঞ্জে যেসব স্থানে মানুষের বসবাস বেশি, সেখানেই কিশোর গ্যাংয়ের দৌরাত্ম্য। এর মধ্যে নারায়ণগঞ্জ শহর, ফতুল্লা, সিদ্ধিরগঞ্জ ও বন্দর অন্যতম। আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে মারামারি, প্রকাশ্যে অস্ত্র নিয়ে মহড়া দেওয়া, প্রতিপক্ষের ওপর হামলা চালিয়ে রক্তাক্ত জখম করার ঘটনা ঘটে প্রতিনিয়ত।
বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদ থেকে জানা যায়, মে মাসের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত কিশোর গ্যাংয়ের হাতে তিনটি খুন ও একাধিক হামলার ঘটনা ঘটেছে।
১৭ মে রাতে সদর থানার আলীরটেক এলাকায় সিয়াম সরদার (১৭) নামের এক ইজিবাইকচালকের লাশ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় তিনজনের নাম উল্লেখ করে মামলা করা হয়। স্থানীয় কিশোর গ্যাং সদস্যরা সিয়ামের ইজিবাইক ছিনিয়ে নিয়ে বিক্রির জন্য এই খুন করে।
১৫ মে রাতে নারায়ণগঞ্জ শহরের দেওভোগ এলাকায় সুব্রত নামে এক হোসিয়ারি শ্রমিককে ডেকে নিয়ে পিটিয়ে জখম করে ১৫-২০ জনের কিশোর গ্যাং সদস্য। এ ঘটনায় চিকিৎসাধীন থাকার পর ২২ মে বেলা ১১টায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা যায় সুব্রত। এ ঘটনায় থানায় হত্যা মামলা হয়েছে।
মে মাসের শুরুতেই নারায়ণগঞ্জ শহরের নন্দীপাড়া এলাকায় কিশোর গ্যাংয়ের ১০-১২ সদস্য প্রকাশ্যে এক যুবকের ওপর হামলা চালায়। এই হামলার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হলে শহরজুড়ে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। প্রথম দিকে ভুক্তভোগী বেশ কিছুদিন কিশোর গ্যাং সদস্যদের ভয়ে আড়ালে থাকলেও ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পর ১৪ মে ফতুল্লা থানায় মামলা করেন।
১৩ মে ফতুল্লা থানার মাসদাইর বোয়ালিয়া খাল এলাকায় এলাকায় নিউজ প্রকাশের জের ধরে সাংবাদিক রাশিদ চৌধুরীকে ছুরিকাঘাত করে কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরা। গুরুতর আহত অবস্থায় প্রথমে তাঁকে ভিক্টোরিয়া ও পরে ঢাকা মেডিকেলে পাঠানো হয়। এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর বাবা থানায় মামলা করেন।
১৭ মে রাতে ফতুল্লার ইসদাইর এলাকায় সহপাঠীদের হাতে নিহত হয় দশম শ্রেণির ছাত্র ধ্রুব দাস (১৬)। এ ঘটনায় ১০ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করা হয়। যাদের ৯ জনই অপ্রাপ্ত বয়স্ক কিশোর গ্যাং সদস্য। মূলত সিনিয়র-জুনিয়র বিরোধ থেকেই সহপাঠীকে হত্যা করে তারা।
১৪ মে সিদ্ধিরগঞ্জের শীতলক্ষ্যা নদীর ওয়াকওয়েতে আরাফাত হোসেন রিয়াদ (১৭) নামের এক কিশোরকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করে কিশোর গ্যাং সদস্যরা। এ সময় তার চিৎকার শুনে আরেক বন্ধু এগিয়ে এলে তাকেও ছুরিকাঘাত করা হয়।
১৭ মে রাতে বন্দর থানাধীন রেললাইন এলাকায় কিশোর গ্যাংয়ের দুই গ্রুপের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ হয়। এ ঘটনায় পুলিশ তিন সদস্যকে গ্রেপ্তার করে।
একের পর এক কিশোর গ্যাংয়ের উপদ্রবের খবর উঠে আসায় আতঙ্কে রয়েছেন শহরের বাসিন্দারা। দিনে দিনে কিশোরেরা অপরাধী ও খুনিতে পরিণত হওয়ায় নিজেদের নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করছেন বাসিন্দারা।
সামাজিক সংগঠন আমরা নারায়ণগঞ্জবাসীর সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা হাজী নূর উদ্দিন বলেন, ‘বিদেশি সংস্কৃতি ও মোবাইলের অপব্যবহারের কারণে ক্রমাগত নীতি নৈতিকতা হারিয়ে যাচ্ছে। পারিবারিক শিক্ষা ও মানবিক জ্ঞান লোপ পাওয়ার কারণেই এ ঘটনা ঘটছে। মাদক ও অপরাধ থেকে কিশোরদের রক্ষা করতে নৈতিক শিক্ষার কোনো বিকল্প নেই। এদের ছোট থেকেই সামাজিকভাবে নৈতিক শিক্ষা দেওয়ার প্রয়োজন ছিল। মা-বাবা সচেতন না হওয়ার কারণেই এই সন্তানেরা এখন সমাজে আতঙ্ক হয়ে দাঁড়িয়েছে।’
কিশোরদের অপরাধ প্রবণতা বৃদ্ধির বিষয়ে জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) আমির খসরু আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘কিশোর গ্যাংয়ের সঙ্গে যারা জড়িত এবং যেসব গ্রুপ সক্রিয়ভাবে অপরাধ করে যাচ্ছে, তাদের তালিকা প্রস্তুতে কাজ চলছে। নির্দিষ্ট কিছু এলাকায় কিশোর গ্যাংয়ের আধিক্য বেশি দেখা যায়। কখনো স্কুলছাত্র আবার কখনো বখে যাওয়া ছেলেরা অপরাধে জড়িয়ে যায়। মাদক ও ছিনতাইয়ে জড়িত অপরাধীরা এদের ব্যবহার করে। আমাদের মনিটরিংয়ের কারণে বিগত দিনে অনেকটা কমে এলেও এখন আবার বেড়েছে। আমরা ইতিমধ্যে অনেককে গ্রেপ্তার করেছি, বাকিদেরও গ্রেপ্তারের আওতায় আনার চেষ্টা চলছে।’
সাবিত আল হাসান, নারায়ণগঞ্জ

নারায়ণগঞ্জে পেশাদার অপরাধীদের চেয়ে এখন বেশি আতঙ্কের কারণ ‘কিশোর গ্যাং’। নারায়ণগঞ্জ শহর ও শহরতলির প্রতিটি এলাকায় গড়ে উঠেছে বিভিন্ন গ্যাং। বস্তি থেকে শুরু করে ধনীর সন্তানেরাও জড়িয়ে যাচ্ছে এসব গ্যাংয়ে। স্কুলপড়ুয়া ছেলেরাও ক্ষমতার মোহে যুক্ত হয়ে বিপথগামী হচ্ছে। বিভিন্ন অপরাধ করে তারা আলোচনা আসছে প্রতিদিন।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, পাড়ামহল্লায় মাদক কারবারি এবং উঠতি নেতাদের আধিপত্য ধরে রাখতেই কিশোরদের ব্যবহার করা হয়। এই বয়সে অপ্রতিরোধ্য মানসিকতা, হিরোইজম এবং ক্ষমতার মোহ থাকায় সহজেই ব্যবহার করা যায় তাদের। এলাকার কথিত বড় ভাইদের প্রশ্রয়ে যুক্ত হয়ে অপরাধমূলক কাজে জড়িয়ে যায়। প্রায় প্রতিদিনই থানা-পুলিশের কাছে কিশোর গ্যাংয়ের মারামারি, চাঁদাবাজি, ভাঙচুর, মাদক কারবার, ইভ টিজিং ও ছিনতাইয়ের নানান অভিযোগ আসে। স্থানীয়রা বলছেন, দল বেঁধে কিশোরেরা এসব অপরাধে জড়ানোয় ভয়ে মুখ খুলতে সাহস পান না বাসিন্দারা।
পুলিশের তথ্যমতে, নারায়ণগঞ্জে যেসব স্থানে মানুষের বসবাস বেশি, সেখানেই কিশোর গ্যাংয়ের দৌরাত্ম্য। এর মধ্যে নারায়ণগঞ্জ শহর, ফতুল্লা, সিদ্ধিরগঞ্জ ও বন্দর অন্যতম। আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে মারামারি, প্রকাশ্যে অস্ত্র নিয়ে মহড়া দেওয়া, প্রতিপক্ষের ওপর হামলা চালিয়ে রক্তাক্ত জখম করার ঘটনা ঘটে প্রতিনিয়ত।
বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদ থেকে জানা যায়, মে মাসের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত কিশোর গ্যাংয়ের হাতে তিনটি খুন ও একাধিক হামলার ঘটনা ঘটেছে।
১৭ মে রাতে সদর থানার আলীরটেক এলাকায় সিয়াম সরদার (১৭) নামের এক ইজিবাইকচালকের লাশ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় তিনজনের নাম উল্লেখ করে মামলা করা হয়। স্থানীয় কিশোর গ্যাং সদস্যরা সিয়ামের ইজিবাইক ছিনিয়ে নিয়ে বিক্রির জন্য এই খুন করে।
১৫ মে রাতে নারায়ণগঞ্জ শহরের দেওভোগ এলাকায় সুব্রত নামে এক হোসিয়ারি শ্রমিককে ডেকে নিয়ে পিটিয়ে জখম করে ১৫-২০ জনের কিশোর গ্যাং সদস্য। এ ঘটনায় চিকিৎসাধীন থাকার পর ২২ মে বেলা ১১টায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা যায় সুব্রত। এ ঘটনায় থানায় হত্যা মামলা হয়েছে।
মে মাসের শুরুতেই নারায়ণগঞ্জ শহরের নন্দীপাড়া এলাকায় কিশোর গ্যাংয়ের ১০-১২ সদস্য প্রকাশ্যে এক যুবকের ওপর হামলা চালায়। এই হামলার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হলে শহরজুড়ে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। প্রথম দিকে ভুক্তভোগী বেশ কিছুদিন কিশোর গ্যাং সদস্যদের ভয়ে আড়ালে থাকলেও ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পর ১৪ মে ফতুল্লা থানায় মামলা করেন।
১৩ মে ফতুল্লা থানার মাসদাইর বোয়ালিয়া খাল এলাকায় এলাকায় নিউজ প্রকাশের জের ধরে সাংবাদিক রাশিদ চৌধুরীকে ছুরিকাঘাত করে কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরা। গুরুতর আহত অবস্থায় প্রথমে তাঁকে ভিক্টোরিয়া ও পরে ঢাকা মেডিকেলে পাঠানো হয়। এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর বাবা থানায় মামলা করেন।
১৭ মে রাতে ফতুল্লার ইসদাইর এলাকায় সহপাঠীদের হাতে নিহত হয় দশম শ্রেণির ছাত্র ধ্রুব দাস (১৬)। এ ঘটনায় ১০ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করা হয়। যাদের ৯ জনই অপ্রাপ্ত বয়স্ক কিশোর গ্যাং সদস্য। মূলত সিনিয়র-জুনিয়র বিরোধ থেকেই সহপাঠীকে হত্যা করে তারা।
১৪ মে সিদ্ধিরগঞ্জের শীতলক্ষ্যা নদীর ওয়াকওয়েতে আরাফাত হোসেন রিয়াদ (১৭) নামের এক কিশোরকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করে কিশোর গ্যাং সদস্যরা। এ সময় তার চিৎকার শুনে আরেক বন্ধু এগিয়ে এলে তাকেও ছুরিকাঘাত করা হয়।
১৭ মে রাতে বন্দর থানাধীন রেললাইন এলাকায় কিশোর গ্যাংয়ের দুই গ্রুপের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ হয়। এ ঘটনায় পুলিশ তিন সদস্যকে গ্রেপ্তার করে।
একের পর এক কিশোর গ্যাংয়ের উপদ্রবের খবর উঠে আসায় আতঙ্কে রয়েছেন শহরের বাসিন্দারা। দিনে দিনে কিশোরেরা অপরাধী ও খুনিতে পরিণত হওয়ায় নিজেদের নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করছেন বাসিন্দারা।
সামাজিক সংগঠন আমরা নারায়ণগঞ্জবাসীর সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা হাজী নূর উদ্দিন বলেন, ‘বিদেশি সংস্কৃতি ও মোবাইলের অপব্যবহারের কারণে ক্রমাগত নীতি নৈতিকতা হারিয়ে যাচ্ছে। পারিবারিক শিক্ষা ও মানবিক জ্ঞান লোপ পাওয়ার কারণেই এ ঘটনা ঘটছে। মাদক ও অপরাধ থেকে কিশোরদের রক্ষা করতে নৈতিক শিক্ষার কোনো বিকল্প নেই। এদের ছোট থেকেই সামাজিকভাবে নৈতিক শিক্ষা দেওয়ার প্রয়োজন ছিল। মা-বাবা সচেতন না হওয়ার কারণেই এই সন্তানেরা এখন সমাজে আতঙ্ক হয়ে দাঁড়িয়েছে।’
কিশোরদের অপরাধ প্রবণতা বৃদ্ধির বিষয়ে জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) আমির খসরু আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘কিশোর গ্যাংয়ের সঙ্গে যারা জড়িত এবং যেসব গ্রুপ সক্রিয়ভাবে অপরাধ করে যাচ্ছে, তাদের তালিকা প্রস্তুতে কাজ চলছে। নির্দিষ্ট কিছু এলাকায় কিশোর গ্যাংয়ের আধিক্য বেশি দেখা যায়। কখনো স্কুলছাত্র আবার কখনো বখে যাওয়া ছেলেরা অপরাধে জড়িয়ে যায়। মাদক ও ছিনতাইয়ে জড়িত অপরাধীরা এদের ব্যবহার করে। আমাদের মনিটরিংয়ের কারণে বিগত দিনে অনেকটা কমে এলেও এখন আবার বেড়েছে। আমরা ইতিমধ্যে অনেককে গ্রেপ্তার করেছি, বাকিদেরও গ্রেপ্তারের আওতায় আনার চেষ্টা চলছে।’

নারায়ণগঞ্জে পেশাদার অপরাধীদের চেয়ে এখন বেশি আতঙ্কের কারণ ‘কিশোর গ্যাং’। নারায়ণগঞ্জ শহর ও শহরতলির প্রতিটি এলাকায় গড়ে উঠেছে বিভিন্ন গ্যাং। বস্তি থেকে শুরু করে ধনীর সন্তানেরাও জড়িয়ে যাচ্ছে এসব গ্যাংয়ে। স্কুলপড়ুয়া ছেলেরাও ক্ষমতার মোহে যুক্ত হয়ে বিপথগামী হচ্ছে। বিভিন্ন অপরাধ করে তারা আলোচনা আসছে প্রতিদিন।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, পাড়ামহল্লায় মাদক কারবারি এবং উঠতি নেতাদের আধিপত্য ধরে রাখতেই কিশোরদের ব্যবহার করা হয়। এই বয়সে অপ্রতিরোধ্য মানসিকতা, হিরোইজম এবং ক্ষমতার মোহ থাকায় সহজেই ব্যবহার করা যায় তাদের। এলাকার কথিত বড় ভাইদের প্রশ্রয়ে যুক্ত হয়ে অপরাধমূলক কাজে জড়িয়ে যায়। প্রায় প্রতিদিনই থানা-পুলিশের কাছে কিশোর গ্যাংয়ের মারামারি, চাঁদাবাজি, ভাঙচুর, মাদক কারবার, ইভ টিজিং ও ছিনতাইয়ের নানান অভিযোগ আসে। স্থানীয়রা বলছেন, দল বেঁধে কিশোরেরা এসব অপরাধে জড়ানোয় ভয়ে মুখ খুলতে সাহস পান না বাসিন্দারা।
পুলিশের তথ্যমতে, নারায়ণগঞ্জে যেসব স্থানে মানুষের বসবাস বেশি, সেখানেই কিশোর গ্যাংয়ের দৌরাত্ম্য। এর মধ্যে নারায়ণগঞ্জ শহর, ফতুল্লা, সিদ্ধিরগঞ্জ ও বন্দর অন্যতম। আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে মারামারি, প্রকাশ্যে অস্ত্র নিয়ে মহড়া দেওয়া, প্রতিপক্ষের ওপর হামলা চালিয়ে রক্তাক্ত জখম করার ঘটনা ঘটে প্রতিনিয়ত।
বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদ থেকে জানা যায়, মে মাসের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত কিশোর গ্যাংয়ের হাতে তিনটি খুন ও একাধিক হামলার ঘটনা ঘটেছে।
১৭ মে রাতে সদর থানার আলীরটেক এলাকায় সিয়াম সরদার (১৭) নামের এক ইজিবাইকচালকের লাশ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় তিনজনের নাম উল্লেখ করে মামলা করা হয়। স্থানীয় কিশোর গ্যাং সদস্যরা সিয়ামের ইজিবাইক ছিনিয়ে নিয়ে বিক্রির জন্য এই খুন করে।
১৫ মে রাতে নারায়ণগঞ্জ শহরের দেওভোগ এলাকায় সুব্রত নামে এক হোসিয়ারি শ্রমিককে ডেকে নিয়ে পিটিয়ে জখম করে ১৫-২০ জনের কিশোর গ্যাং সদস্য। এ ঘটনায় চিকিৎসাধীন থাকার পর ২২ মে বেলা ১১টায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা যায় সুব্রত। এ ঘটনায় থানায় হত্যা মামলা হয়েছে।
মে মাসের শুরুতেই নারায়ণগঞ্জ শহরের নন্দীপাড়া এলাকায় কিশোর গ্যাংয়ের ১০-১২ সদস্য প্রকাশ্যে এক যুবকের ওপর হামলা চালায়। এই হামলার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হলে শহরজুড়ে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। প্রথম দিকে ভুক্তভোগী বেশ কিছুদিন কিশোর গ্যাং সদস্যদের ভয়ে আড়ালে থাকলেও ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পর ১৪ মে ফতুল্লা থানায় মামলা করেন।
১৩ মে ফতুল্লা থানার মাসদাইর বোয়ালিয়া খাল এলাকায় এলাকায় নিউজ প্রকাশের জের ধরে সাংবাদিক রাশিদ চৌধুরীকে ছুরিকাঘাত করে কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরা। গুরুতর আহত অবস্থায় প্রথমে তাঁকে ভিক্টোরিয়া ও পরে ঢাকা মেডিকেলে পাঠানো হয়। এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর বাবা থানায় মামলা করেন।
১৭ মে রাতে ফতুল্লার ইসদাইর এলাকায় সহপাঠীদের হাতে নিহত হয় দশম শ্রেণির ছাত্র ধ্রুব দাস (১৬)। এ ঘটনায় ১০ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করা হয়। যাদের ৯ জনই অপ্রাপ্ত বয়স্ক কিশোর গ্যাং সদস্য। মূলত সিনিয়র-জুনিয়র বিরোধ থেকেই সহপাঠীকে হত্যা করে তারা।
১৪ মে সিদ্ধিরগঞ্জের শীতলক্ষ্যা নদীর ওয়াকওয়েতে আরাফাত হোসেন রিয়াদ (১৭) নামের এক কিশোরকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করে কিশোর গ্যাং সদস্যরা। এ সময় তার চিৎকার শুনে আরেক বন্ধু এগিয়ে এলে তাকেও ছুরিকাঘাত করা হয়।
১৭ মে রাতে বন্দর থানাধীন রেললাইন এলাকায় কিশোর গ্যাংয়ের দুই গ্রুপের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ হয়। এ ঘটনায় পুলিশ তিন সদস্যকে গ্রেপ্তার করে।
একের পর এক কিশোর গ্যাংয়ের উপদ্রবের খবর উঠে আসায় আতঙ্কে রয়েছেন শহরের বাসিন্দারা। দিনে দিনে কিশোরেরা অপরাধী ও খুনিতে পরিণত হওয়ায় নিজেদের নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করছেন বাসিন্দারা।
সামাজিক সংগঠন আমরা নারায়ণগঞ্জবাসীর সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা হাজী নূর উদ্দিন বলেন, ‘বিদেশি সংস্কৃতি ও মোবাইলের অপব্যবহারের কারণে ক্রমাগত নীতি নৈতিকতা হারিয়ে যাচ্ছে। পারিবারিক শিক্ষা ও মানবিক জ্ঞান লোপ পাওয়ার কারণেই এ ঘটনা ঘটছে। মাদক ও অপরাধ থেকে কিশোরদের রক্ষা করতে নৈতিক শিক্ষার কোনো বিকল্প নেই। এদের ছোট থেকেই সামাজিকভাবে নৈতিক শিক্ষা দেওয়ার প্রয়োজন ছিল। মা-বাবা সচেতন না হওয়ার কারণেই এই সন্তানেরা এখন সমাজে আতঙ্ক হয়ে দাঁড়িয়েছে।’
কিশোরদের অপরাধ প্রবণতা বৃদ্ধির বিষয়ে জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) আমির খসরু আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘কিশোর গ্যাংয়ের সঙ্গে যারা জড়িত এবং যেসব গ্রুপ সক্রিয়ভাবে অপরাধ করে যাচ্ছে, তাদের তালিকা প্রস্তুতে কাজ চলছে। নির্দিষ্ট কিছু এলাকায় কিশোর গ্যাংয়ের আধিক্য বেশি দেখা যায়। কখনো স্কুলছাত্র আবার কখনো বখে যাওয়া ছেলেরা অপরাধে জড়িয়ে যায়। মাদক ও ছিনতাইয়ে জড়িত অপরাধীরা এদের ব্যবহার করে। আমাদের মনিটরিংয়ের কারণে বিগত দিনে অনেকটা কমে এলেও এখন আবার বেড়েছে। আমরা ইতিমধ্যে অনেককে গ্রেপ্তার করেছি, বাকিদেরও গ্রেপ্তারের আওতায় আনার চেষ্টা চলছে।’

রাজধানীর মোহাম্মদপুরে জেনেভা ক্যাম্পে ‘মাদক কারবারিদের’ দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে জাহিদ নিহতের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ শুক্রবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. ইবনে মিজান আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
৩ দিন আগে
এক বিজ্ঞপ্তিতে সিআইডি জানিয়েছে, নূরে আলম একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সদস্য। তিনি ফেসবুকে এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে যোগাযোগ করে জানান, তাঁর নামে বিদেশ থেকে একটি পার্সেল এসেছে, যা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাস্টম হাউসে জমা আছে। পার্সেল ছাড়াতে টাকা লাগবে—এ দাবি করে পার্সেলের ছবিও পাঠান তিনি।
৬ দিন আগে
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সভায় উপস্থিত বিএফআইইউ প্রতিনিধি বলেন, এমএফএস অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে জুয়া ও প্রতারণা বন্ধে বিটিআরসির (বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন) মাধ্যমে বার্তা দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া এমএফএস প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে বৈঠক করে তাদের কিছু নির্দেশনাও দেওয়া হবে। যেসব অ্যাকাউন্ট ব্লক (স্থগিত)
৬ দিন আগে
দেশে বসেই আন্তর্জাতিক পর্নো সাইটে সক্রিয় ছিলেন তাঁরা। ভিডিও বানিয়ে আপলোড করতেন বিভিন্ন ওয়েবসাইটে। শুধু নিজেরাই নন, এই দম্পতি অন্যদেরও এ কাজে যুক্ত করতেন বলে অভিযোগ। অবশেষে সেই আলোচিত যুগলকে বান্দরবানে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
৭ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

রাজধানীর মোহাম্মদপুরে জেনেভা ক্যাম্পে ‘মাদক কারবারিদের’ দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে জাহিদ নিহতের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
আজ শুক্রবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. ইবনে মিজান আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
গত বুধবার ভোররাতে দুই গ্রুপ মাদক কারবারির সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে নিহত হন জাহিদ (২০)। পরিবারের দাবি, দুপক্ষের সংঘর্ষ চলাকালে জাহিদের পায়ের কাছে ককটেল বিস্ফোরণ হয়। এ সময় স্প্লিন্টার তাঁর ঘাড় ও পিঠে বিদ্ধ হয়। আহত অবস্থায় উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় মোহাম্মদপুর থানায় একটি হত্যা মামলা হয়েছে। সংঘর্ষের পর ঘটনাস্থলে অভিযান পরিচালনা করে র্যাব, পুলিশ ও সেনাবাহিনী। অভিযানে একটি বিদেশি পিস্তল, একটি ম্যাগাজিন ও তিনটি তাজা গুলিসহ বিপুল পরিমাণ দেশি অস্ত্র ও পেট্রলবোমা উদ্ধার করা হয়।
জাহিদের ভগ্নিপতি মো. উজ্জ্বল জানান, রাজধানীর কল্যাণপুরে মিজান টাওয়ারে একটি মোবাইল ফোন সার্ভিসিংয়ের দোকানে কাজ করতেন জাহিদ। বুধবার রাতে বন্ধুদের সঙ্গে রেস্তোরাঁয় খেতে যাওয়ার সময় তাঁরা সংঘর্ষের মধ্যে পড়েন। পরে হাসপাতালে জাহিদের মৃত্যু হয়।
তবে পুলিশ বলছে, ককটেল তৈরির সময় বিস্ফোরণে নিহত হন জাহিদ।

রাজধানীর মোহাম্মদপুরে জেনেভা ক্যাম্পে ‘মাদক কারবারিদের’ দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে জাহিদ নিহতের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
আজ শুক্রবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. ইবনে মিজান আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
গত বুধবার ভোররাতে দুই গ্রুপ মাদক কারবারির সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে নিহত হন জাহিদ (২০)। পরিবারের দাবি, দুপক্ষের সংঘর্ষ চলাকালে জাহিদের পায়ের কাছে ককটেল বিস্ফোরণ হয়। এ সময় স্প্লিন্টার তাঁর ঘাড় ও পিঠে বিদ্ধ হয়। আহত অবস্থায় উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় মোহাম্মদপুর থানায় একটি হত্যা মামলা হয়েছে। সংঘর্ষের পর ঘটনাস্থলে অভিযান পরিচালনা করে র্যাব, পুলিশ ও সেনাবাহিনী। অভিযানে একটি বিদেশি পিস্তল, একটি ম্যাগাজিন ও তিনটি তাজা গুলিসহ বিপুল পরিমাণ দেশি অস্ত্র ও পেট্রলবোমা উদ্ধার করা হয়।
জাহিদের ভগ্নিপতি মো. উজ্জ্বল জানান, রাজধানীর কল্যাণপুরে মিজান টাওয়ারে একটি মোবাইল ফোন সার্ভিসিংয়ের দোকানে কাজ করতেন জাহিদ। বুধবার রাতে বন্ধুদের সঙ্গে রেস্তোরাঁয় খেতে যাওয়ার সময় তাঁরা সংঘর্ষের মধ্যে পড়েন। পরে হাসপাতালে জাহিদের মৃত্যু হয়।
তবে পুলিশ বলছে, ককটেল তৈরির সময় বিস্ফোরণে নিহত হন জাহিদ।

নারায়ণগঞ্জে পেশাদার অপরাধীদের চেয়ে এখন বেশি আতঙ্কের কারণ ‘কিশোর গ্যাং’। নারায়ণগঞ্জ শহর ও শহরতলির প্রতিটি এলাকায় গড়ে উঠেছে বিভিন্ন গ্যাং। বস্তি থেকে শুরু করে ধনীর সন্তানেরাও জড়িয়ে যাচ্ছে এসব গ্যাংয়ে। স্কুলপড়ুয়া ছেলেরাও ক্ষমতার মোহে যুক্ত হয়ে বিপথগামী হচ্ছে। বিভিন্ন অপরাধ করে তারা আলোচনা আসছে প্রতিদিন
২৪ মে ২০২২
এক বিজ্ঞপ্তিতে সিআইডি জানিয়েছে, নূরে আলম একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সদস্য। তিনি ফেসবুকে এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে যোগাযোগ করে জানান, তাঁর নামে বিদেশ থেকে একটি পার্সেল এসেছে, যা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাস্টম হাউসে জমা আছে। পার্সেল ছাড়াতে টাকা লাগবে—এ দাবি করে পার্সেলের ছবিও পাঠান তিনি।
৬ দিন আগে
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সভায় উপস্থিত বিএফআইইউ প্রতিনিধি বলেন, এমএফএস অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে জুয়া ও প্রতারণা বন্ধে বিটিআরসির (বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন) মাধ্যমে বার্তা দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া এমএফএস প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে বৈঠক করে তাদের কিছু নির্দেশনাও দেওয়া হবে। যেসব অ্যাকাউন্ট ব্লক (স্থগিত)
৬ দিন আগে
দেশে বসেই আন্তর্জাতিক পর্নো সাইটে সক্রিয় ছিলেন তাঁরা। ভিডিও বানিয়ে আপলোড করতেন বিভিন্ন ওয়েবসাইটে। শুধু নিজেরাই নন, এই দম্পতি অন্যদেরও এ কাজে যুক্ত করতেন বলে অভিযোগ। অবশেষে সেই আলোচিত যুগলকে বান্দরবানে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
৭ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বিদেশ থেকে পার্সেল এসেছে—এমন দাবি করে কাস্টমস থেকে তা ছাড়িয়ে দেওয়ার কথা বলে ১১ লাখ ৮৫ হাজার টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে এক তরুণকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
গতকাল সোমবার রাতে রাজধানীর তেজগাঁও শিল্পাঞ্চলের কুনিপাড়া এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার ওই তরুণের নাম মো. নূরে আলম ওরফে তুহিন (২৪)।
এক বিজ্ঞপ্তিতে সিআইডি জানিয়েছে, নূরে আলম একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সদস্য। তিনি ফেসবুকে এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে যোগাযোগ করে জানান, তাঁর নামে বিদেশ থেকে একটি পার্সেল এসেছে, যা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাস্টম হাউসে জমা আছে। পার্সেল ছাড়াতে টাকা লাগবে—এ দাবি করে পার্সেলের ছবিও পাঠান তিনি।
পরে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন অজুহাতে ভুক্তভোগীর কাছ থেকে বিকাশ ও ব্যাংকের মাধ্যমে ১১ লাখ ৮৫ হাজার টাকা আদায় করেন নূরে আলম। টাকা পাওয়ার পর নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দেন তিনি।
ভুক্তভোগী আদালতের শরণাপন্ন হলে রামপুরা থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করা হয়। মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব পায় সিআইডির সাইবার পুলিশ সেন্টার। পরে নূরে আলমকে গ্রেপ্তার করা হয়।
সিআইডি জানায়, প্রতারক চক্রের অন্য সদস্যদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।

বিদেশ থেকে পার্সেল এসেছে—এমন দাবি করে কাস্টমস থেকে তা ছাড়িয়ে দেওয়ার কথা বলে ১১ লাখ ৮৫ হাজার টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে এক তরুণকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
গতকাল সোমবার রাতে রাজধানীর তেজগাঁও শিল্পাঞ্চলের কুনিপাড়া এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার ওই তরুণের নাম মো. নূরে আলম ওরফে তুহিন (২৪)।
এক বিজ্ঞপ্তিতে সিআইডি জানিয়েছে, নূরে আলম একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সদস্য। তিনি ফেসবুকে এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে যোগাযোগ করে জানান, তাঁর নামে বিদেশ থেকে একটি পার্সেল এসেছে, যা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাস্টম হাউসে জমা আছে। পার্সেল ছাড়াতে টাকা লাগবে—এ দাবি করে পার্সেলের ছবিও পাঠান তিনি।
পরে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন অজুহাতে ভুক্তভোগীর কাছ থেকে বিকাশ ও ব্যাংকের মাধ্যমে ১১ লাখ ৮৫ হাজার টাকা আদায় করেন নূরে আলম। টাকা পাওয়ার পর নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দেন তিনি।
ভুক্তভোগী আদালতের শরণাপন্ন হলে রামপুরা থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করা হয়। মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব পায় সিআইডির সাইবার পুলিশ সেন্টার। পরে নূরে আলমকে গ্রেপ্তার করা হয়।
সিআইডি জানায়, প্রতারক চক্রের অন্য সদস্যদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।

নারায়ণগঞ্জে পেশাদার অপরাধীদের চেয়ে এখন বেশি আতঙ্কের কারণ ‘কিশোর গ্যাং’। নারায়ণগঞ্জ শহর ও শহরতলির প্রতিটি এলাকায় গড়ে উঠেছে বিভিন্ন গ্যাং। বস্তি থেকে শুরু করে ধনীর সন্তানেরাও জড়িয়ে যাচ্ছে এসব গ্যাংয়ে। স্কুলপড়ুয়া ছেলেরাও ক্ষমতার মোহে যুক্ত হয়ে বিপথগামী হচ্ছে। বিভিন্ন অপরাধ করে তারা আলোচনা আসছে প্রতিদিন
২৪ মে ২০২২
রাজধানীর মোহাম্মদপুরে জেনেভা ক্যাম্পে ‘মাদক কারবারিদের’ দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে জাহিদ নিহতের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ শুক্রবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. ইবনে মিজান আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
৩ দিন আগে
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সভায় উপস্থিত বিএফআইইউ প্রতিনিধি বলেন, এমএফএস অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে জুয়া ও প্রতারণা বন্ধে বিটিআরসির (বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন) মাধ্যমে বার্তা দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া এমএফএস প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে বৈঠক করে তাদের কিছু নির্দেশনাও দেওয়া হবে। যেসব অ্যাকাউন্ট ব্লক (স্থগিত)
৬ দিন আগে
দেশে বসেই আন্তর্জাতিক পর্নো সাইটে সক্রিয় ছিলেন তাঁরা। ভিডিও বানিয়ে আপলোড করতেন বিভিন্ন ওয়েবসাইটে। শুধু নিজেরাই নন, এই দম্পতি অন্যদেরও এ কাজে যুক্ত করতেন বলে অভিযোগ। অবশেষে সেই আলোচিত যুগলকে বান্দরবানে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
৭ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

জুয়া ও প্রতারণায় জড়িত থাকায় ৫০ হাজারের বেশি এমএফএস (মোবাইলভিত্তিক আর্থিক লেনদেন সেবা) অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ (স্থগিত) করেছে বিএফআইইউ (বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট)। ২০২২ সালের ডিসেম্বর থেকে চলতি মাস পর্যন্ত এই নম্বরগুলো স্থগিত করা হয়।
আজ মঙ্গলবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বিটিআরসি ভবনে ‘অনলাইন জুয়া প্রতিরোধে করণীয়’ শীর্ষক এক সভায় বিএফআইইউর প্রতিনিধি এ তথ্য জানান।
সভায় ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়, ডিজিএফআই (ডিরেক্টরেট জেনারেল অব ফোর্সেস ইন্টেলিজেন্স), এনএসআই (ন্যাশনাল সিকিউরিটি ইন্টেলিজেন্স), এনটিএমসি (ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টার), সিআইডি (ক্রিমিনাল ইনভেস্টিগেশন ডিপার্টমেন্ট), বিএফআইইউ, এমএফএস ও মোবাইল অপারেটরদের প্রতিনিধিরা অংশ নেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সভায় উপস্থিত বিএফআইইউ প্রতিনিধি বলেন, এমএফএস অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে জুয়া ও প্রতারণা বন্ধে বিটিআরসির (বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন) মাধ্যমে বার্তা দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া এমএফএস প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে বৈঠক করে তাদের কিছু নির্দেশনাও দেওয়া হবে। যেসব অ্যাকাউন্ট ব্লক (স্থগিত) করা হয়েছে, সেগুলো থেকে কোথায় কোথায় টাকা লেনদেন করা হয়েছে, তা বিশ্লেষণ করে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে প্রতিবেদন দেওয়া হবে।
ডিজিএফআই প্রতিনিধি জানান, অনলাইন জুয়ার মতো আর্থিক নানা প্রতারণায় বেনামি সিম ব্যবহার করা হচ্ছে। সংঘবদ্ধ চক্র ভুয়া সিম বিক্রি করছে। মানুষের আঙুলের ছাপ ব্যবহার করা হচ্ছে। বিকাশের অ্যাপ নকল করা হয়েছে। নাগরিকদের ডেটাবেইস ডার্ক ওয়েবে পাওয়া যাচ্ছে। এটা নিয়ে নানা অপরাধ সংঘটিত হচ্ছে।
সভায় অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিবিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, সরকার সতর্ক করার পরও অনেক গণমাধ্যমের অনলাইন পোর্টালে এখনো জুয়ার বিজ্ঞাপন প্রচার করা হচ্ছে। এ ধরনের বিজ্ঞাপন প্রচার করলে যেকোনো মুহূর্তে বিনা নোটিশে সংশ্লিষ্ট গণমাধ্যমের পোর্টাল বন্ধ করে দেওয়া হবে। প্রায় সব কটি মিডিয়ার পোর্টালে এখনো অনিরাপদ কনটেন্ট আসে। জুয়ার বিজ্ঞাপন আসে। এখান থেকে তারা টাকা পায়।
১৯ অক্টোবর পর্যন্ত জুয়ার বিজ্ঞাপন বন্ধে সময় দেওয়া হয়েছিল। তবে গণমাধ্যমগুলো তা মানছে না বলে অভিযোগ করেন বিশেষ সহকারী। তিনি বলেন, বেশ কিছু অনলাইন পোর্টাল জুয়ার বিজ্ঞাপন ও অনিরাপদ কনটেন্ট বিজ্ঞাপন প্রচার করছে। ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, ‘আমরা যেকোনো মুহূর্তে বন্ধ করে দেব। যেহেতু একাধিক নোটিশ দেওয়া হয়েছে। আমরা পাবলিকলি কোনো নোটিশ দেব না।’
অনলাইন জুয়া বন্ধে সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগ ও চ্যালেঞ্জের কথা তুলে ধরেন ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব। তিনি জানান, সরকারের হিসাবে গত মে মাস থেকে এখন পর্যন্ত ৪ হাজার ৮২০টি এমএফএস নম্বর পাওয়া গেছে। এ ছাড়া ১ হাজার ৩৩১টি ওয়েব পোর্টালের লিংক পাওয়া গেছে।
সরকারের চ্যালেঞ্জ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, যখনই একটা নম্বর ব্লক করা হয়, তখন এর চেয়ে বেশিসংখ্যক বা সমসংখ্যক নম্বর ব্যবহার করে সিগন্যাল-হোয়াটসঅ্যাপের মতো গ্রুপগুলোয় ছড়িয়ে দেওয়া হয়। আইপি পরিবর্তন করে ওয়েবসাইটের নাম একটু পরিবর্তন করা হয়। এভাবে নতুন ওয়েবসাইট বানিয়ে আবার শুরু করা হয়। এমএফএস, ওয়েব লিংক বন্ধ করার পর এ চক্রগুলো আবার অ্যাপ তৈরি ফেলে। অ্যাপগুলো অনেক ক্ষেত্রেই পাবলিশড নয়, এপিকে হিসেবে ব্যবহার করে।

জুয়া ও প্রতারণায় জড়িত থাকায় ৫০ হাজারের বেশি এমএফএস (মোবাইলভিত্তিক আর্থিক লেনদেন সেবা) অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ (স্থগিত) করেছে বিএফআইইউ (বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট)। ২০২২ সালের ডিসেম্বর থেকে চলতি মাস পর্যন্ত এই নম্বরগুলো স্থগিত করা হয়।
আজ মঙ্গলবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বিটিআরসি ভবনে ‘অনলাইন জুয়া প্রতিরোধে করণীয়’ শীর্ষক এক সভায় বিএফআইইউর প্রতিনিধি এ তথ্য জানান।
সভায় ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়, ডিজিএফআই (ডিরেক্টরেট জেনারেল অব ফোর্সেস ইন্টেলিজেন্স), এনএসআই (ন্যাশনাল সিকিউরিটি ইন্টেলিজেন্স), এনটিএমসি (ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টার), সিআইডি (ক্রিমিনাল ইনভেস্টিগেশন ডিপার্টমেন্ট), বিএফআইইউ, এমএফএস ও মোবাইল অপারেটরদের প্রতিনিধিরা অংশ নেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সভায় উপস্থিত বিএফআইইউ প্রতিনিধি বলেন, এমএফএস অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে জুয়া ও প্রতারণা বন্ধে বিটিআরসির (বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন) মাধ্যমে বার্তা দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া এমএফএস প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে বৈঠক করে তাদের কিছু নির্দেশনাও দেওয়া হবে। যেসব অ্যাকাউন্ট ব্লক (স্থগিত) করা হয়েছে, সেগুলো থেকে কোথায় কোথায় টাকা লেনদেন করা হয়েছে, তা বিশ্লেষণ করে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে প্রতিবেদন দেওয়া হবে।
ডিজিএফআই প্রতিনিধি জানান, অনলাইন জুয়ার মতো আর্থিক নানা প্রতারণায় বেনামি সিম ব্যবহার করা হচ্ছে। সংঘবদ্ধ চক্র ভুয়া সিম বিক্রি করছে। মানুষের আঙুলের ছাপ ব্যবহার করা হচ্ছে। বিকাশের অ্যাপ নকল করা হয়েছে। নাগরিকদের ডেটাবেইস ডার্ক ওয়েবে পাওয়া যাচ্ছে। এটা নিয়ে নানা অপরাধ সংঘটিত হচ্ছে।
সভায় অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিবিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, সরকার সতর্ক করার পরও অনেক গণমাধ্যমের অনলাইন পোর্টালে এখনো জুয়ার বিজ্ঞাপন প্রচার করা হচ্ছে। এ ধরনের বিজ্ঞাপন প্রচার করলে যেকোনো মুহূর্তে বিনা নোটিশে সংশ্লিষ্ট গণমাধ্যমের পোর্টাল বন্ধ করে দেওয়া হবে। প্রায় সব কটি মিডিয়ার পোর্টালে এখনো অনিরাপদ কনটেন্ট আসে। জুয়ার বিজ্ঞাপন আসে। এখান থেকে তারা টাকা পায়।
১৯ অক্টোবর পর্যন্ত জুয়ার বিজ্ঞাপন বন্ধে সময় দেওয়া হয়েছিল। তবে গণমাধ্যমগুলো তা মানছে না বলে অভিযোগ করেন বিশেষ সহকারী। তিনি বলেন, বেশ কিছু অনলাইন পোর্টাল জুয়ার বিজ্ঞাপন ও অনিরাপদ কনটেন্ট বিজ্ঞাপন প্রচার করছে। ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, ‘আমরা যেকোনো মুহূর্তে বন্ধ করে দেব। যেহেতু একাধিক নোটিশ দেওয়া হয়েছে। আমরা পাবলিকলি কোনো নোটিশ দেব না।’
অনলাইন জুয়া বন্ধে সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগ ও চ্যালেঞ্জের কথা তুলে ধরেন ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব। তিনি জানান, সরকারের হিসাবে গত মে মাস থেকে এখন পর্যন্ত ৪ হাজার ৮২০টি এমএফএস নম্বর পাওয়া গেছে। এ ছাড়া ১ হাজার ৩৩১টি ওয়েব পোর্টালের লিংক পাওয়া গেছে।
সরকারের চ্যালেঞ্জ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, যখনই একটা নম্বর ব্লক করা হয়, তখন এর চেয়ে বেশিসংখ্যক বা সমসংখ্যক নম্বর ব্যবহার করে সিগন্যাল-হোয়াটসঅ্যাপের মতো গ্রুপগুলোয় ছড়িয়ে দেওয়া হয়। আইপি পরিবর্তন করে ওয়েবসাইটের নাম একটু পরিবর্তন করা হয়। এভাবে নতুন ওয়েবসাইট বানিয়ে আবার শুরু করা হয়। এমএফএস, ওয়েব লিংক বন্ধ করার পর এ চক্রগুলো আবার অ্যাপ তৈরি ফেলে। অ্যাপগুলো অনেক ক্ষেত্রেই পাবলিশড নয়, এপিকে হিসেবে ব্যবহার করে।

নারায়ণগঞ্জে পেশাদার অপরাধীদের চেয়ে এখন বেশি আতঙ্কের কারণ ‘কিশোর গ্যাং’। নারায়ণগঞ্জ শহর ও শহরতলির প্রতিটি এলাকায় গড়ে উঠেছে বিভিন্ন গ্যাং। বস্তি থেকে শুরু করে ধনীর সন্তানেরাও জড়িয়ে যাচ্ছে এসব গ্যাংয়ে। স্কুলপড়ুয়া ছেলেরাও ক্ষমতার মোহে যুক্ত হয়ে বিপথগামী হচ্ছে। বিভিন্ন অপরাধ করে তারা আলোচনা আসছে প্রতিদিন
২৪ মে ২০২২
রাজধানীর মোহাম্মদপুরে জেনেভা ক্যাম্পে ‘মাদক কারবারিদের’ দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে জাহিদ নিহতের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ শুক্রবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. ইবনে মিজান আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
৩ দিন আগে
এক বিজ্ঞপ্তিতে সিআইডি জানিয়েছে, নূরে আলম একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সদস্য। তিনি ফেসবুকে এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে যোগাযোগ করে জানান, তাঁর নামে বিদেশ থেকে একটি পার্সেল এসেছে, যা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাস্টম হাউসে জমা আছে। পার্সেল ছাড়াতে টাকা লাগবে—এ দাবি করে পার্সেলের ছবিও পাঠান তিনি।
৬ দিন আগে
দেশে বসেই আন্তর্জাতিক পর্নো সাইটে সক্রিয় ছিলেন তাঁরা। ভিডিও বানিয়ে আপলোড করতেন বিভিন্ন ওয়েবসাইটে। শুধু নিজেরাই নন, এই দম্পতি অন্যদেরও এ কাজে যুক্ত করতেন বলে অভিযোগ। অবশেষে সেই আলোচিত যুগলকে বান্দরবানে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
৭ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

দেশে বসেই আন্তর্জাতিক পর্নো সাইটে সক্রিয় ছিলেন তাঁরা। ভিডিও বানিয়ে আপলোড করতেন বিভিন্ন ওয়েবসাইটে। শুধু নিজেরাই নন, এই দম্পতি অন্যদেরও এ কাজে যুক্ত করতেন বলে অভিযোগ। অবশেষে সেই আলোচিত যুগলকে বান্দরবানে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
আজ সোমবার ভোরে বান্দরবান সদর উপজেলার হাজীপাড়ার বালাঘাটা এলাকা থেকে সিআইডির এলআইসি ও সাইবার পুলিশ সেন্টার (সিপিসি) ইউনিটের সদস্যরা এই যুগলকে গ্রেপ্তার করেন। গ্রেপ্তার হওয়া যুগল হলেন মুহাম্মদ আজিম (২৮) ও তাঁর স্ত্রী বৃষ্টি (২৮)। আজ বিকেলে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানায় সিআইডি।
গ্রেপ্তার আজিমের বাড়ি চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলার বুরুমছড়া গ্রামে এবং বৃষ্টির বাড়ি মানিকগঞ্জ জেলার হরিরামপুর উপজেলার আন্ধারমানিক (খালপাড়) গ্রামে।
সিআইডির প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, এই যুগল ২০২৪ সালের মে মাসে আন্তর্জাতিক এক পর্নো সাইটে প্রথম ভিডিও আপলোড করেন। এরপর এক বছরের মধ্যে তাঁরা ১১২টি ভিডিও আপলোড করেছেন, যেগুলো বিশ্বব্যাপী ২ কোটি ৬৭ লাখের বেশিবার দেখা হয়েছে।
এই যুগল এতটাই জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন যে, ২০২৫ সালের অক্টোবর মাসে আন্তর্জাতিক পারফর্মার র্যাঙ্কিংয়ে তাঁদের অবস্থান উঠে আসে অষ্টম স্থানে। ভিডিও আপলোড ছাড়াও তাঁরা বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম—বিশেষ করে, ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম ও টেলিগ্রামের মাধ্যমে নিজেদের কর্মকাণ্ডের প্রচারণা চালাতেন। এসব প্ল্যাটফর্মে নতুনদের এ কাজে যুক্ত হওয়ার আহ্বান জানানো হতো।
তদন্তকারীরা বলছেন, আগ্রহীদের ‘ক্রিয়েটর’ হিসেবে যুক্ত করতে তাঁরা টেলিগ্রাম চ্যানেলে নানা প্রলোভন দেখিয়ে বিজ্ঞাপন দিতেন। নতুন কেউ যুক্ত হলে তাঁকে নগদ অর্থ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হতো। কেউ যোগাযোগ করলে তাঁদের ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করতে উৎসাহিত করতেন আজিম ও বৃষ্টি।
সিআইডির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এই যুগল প্রাথমিক বিদ্যালয়ের গণ্ডি পেরোতে পারেননি। তবে অনলাইনে তাঁদের বিলাসবহুল জীবনধারার নানা ছবি পাওয়া যায়, যা সমাজে নেতিবাচক বার্তা দিচ্ছে। এসব কার্যক্রম সামাজিক ও নৈতিকভাবে যেমন উদ্বেগজনক, তেমনি দেশের প্রচলিত আইনেরও লঙ্ঘন।
অভিযানের সময় তাঁদের কাছ থেকে মোবাইল ফোন, সিম কার্ড, ক্যামেরা, ট্রাইপডসহ ভিডিও ধারণের বিভিন্ন যন্ত্রপাতি জব্দ করা হয়েছে। তাঁদের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা রুজু করা হয়েছে। একই সঙ্গে আদালতে সোপর্দ করে রিমান্ড চেয়ে আবেদন করা হবে বলে জানিয়েছে সিআইডি।
সিআইডির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, পর্নোগ্রাফি ছড়িয়ে দেওয়ার সঙ্গে যুক্ত অন্যদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তারে তদন্ত অব্যাহত রয়েছে।

দেশে বসেই আন্তর্জাতিক পর্নো সাইটে সক্রিয় ছিলেন তাঁরা। ভিডিও বানিয়ে আপলোড করতেন বিভিন্ন ওয়েবসাইটে। শুধু নিজেরাই নন, এই দম্পতি অন্যদেরও এ কাজে যুক্ত করতেন বলে অভিযোগ। অবশেষে সেই আলোচিত যুগলকে বান্দরবানে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
আজ সোমবার ভোরে বান্দরবান সদর উপজেলার হাজীপাড়ার বালাঘাটা এলাকা থেকে সিআইডির এলআইসি ও সাইবার পুলিশ সেন্টার (সিপিসি) ইউনিটের সদস্যরা এই যুগলকে গ্রেপ্তার করেন। গ্রেপ্তার হওয়া যুগল হলেন মুহাম্মদ আজিম (২৮) ও তাঁর স্ত্রী বৃষ্টি (২৮)। আজ বিকেলে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানায় সিআইডি।
গ্রেপ্তার আজিমের বাড়ি চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলার বুরুমছড়া গ্রামে এবং বৃষ্টির বাড়ি মানিকগঞ্জ জেলার হরিরামপুর উপজেলার আন্ধারমানিক (খালপাড়) গ্রামে।
সিআইডির প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, এই যুগল ২০২৪ সালের মে মাসে আন্তর্জাতিক এক পর্নো সাইটে প্রথম ভিডিও আপলোড করেন। এরপর এক বছরের মধ্যে তাঁরা ১১২টি ভিডিও আপলোড করেছেন, যেগুলো বিশ্বব্যাপী ২ কোটি ৬৭ লাখের বেশিবার দেখা হয়েছে।
এই যুগল এতটাই জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন যে, ২০২৫ সালের অক্টোবর মাসে আন্তর্জাতিক পারফর্মার র্যাঙ্কিংয়ে তাঁদের অবস্থান উঠে আসে অষ্টম স্থানে। ভিডিও আপলোড ছাড়াও তাঁরা বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম—বিশেষ করে, ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম ও টেলিগ্রামের মাধ্যমে নিজেদের কর্মকাণ্ডের প্রচারণা চালাতেন। এসব প্ল্যাটফর্মে নতুনদের এ কাজে যুক্ত হওয়ার আহ্বান জানানো হতো।
তদন্তকারীরা বলছেন, আগ্রহীদের ‘ক্রিয়েটর’ হিসেবে যুক্ত করতে তাঁরা টেলিগ্রাম চ্যানেলে নানা প্রলোভন দেখিয়ে বিজ্ঞাপন দিতেন। নতুন কেউ যুক্ত হলে তাঁকে নগদ অর্থ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হতো। কেউ যোগাযোগ করলে তাঁদের ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করতে উৎসাহিত করতেন আজিম ও বৃষ্টি।
সিআইডির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এই যুগল প্রাথমিক বিদ্যালয়ের গণ্ডি পেরোতে পারেননি। তবে অনলাইনে তাঁদের বিলাসবহুল জীবনধারার নানা ছবি পাওয়া যায়, যা সমাজে নেতিবাচক বার্তা দিচ্ছে। এসব কার্যক্রম সামাজিক ও নৈতিকভাবে যেমন উদ্বেগজনক, তেমনি দেশের প্রচলিত আইনেরও লঙ্ঘন।
অভিযানের সময় তাঁদের কাছ থেকে মোবাইল ফোন, সিম কার্ড, ক্যামেরা, ট্রাইপডসহ ভিডিও ধারণের বিভিন্ন যন্ত্রপাতি জব্দ করা হয়েছে। তাঁদের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা রুজু করা হয়েছে। একই সঙ্গে আদালতে সোপর্দ করে রিমান্ড চেয়ে আবেদন করা হবে বলে জানিয়েছে সিআইডি।
সিআইডির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, পর্নোগ্রাফি ছড়িয়ে দেওয়ার সঙ্গে যুক্ত অন্যদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তারে তদন্ত অব্যাহত রয়েছে।

নারায়ণগঞ্জে পেশাদার অপরাধীদের চেয়ে এখন বেশি আতঙ্কের কারণ ‘কিশোর গ্যাং’। নারায়ণগঞ্জ শহর ও শহরতলির প্রতিটি এলাকায় গড়ে উঠেছে বিভিন্ন গ্যাং। বস্তি থেকে শুরু করে ধনীর সন্তানেরাও জড়িয়ে যাচ্ছে এসব গ্যাংয়ে। স্কুলপড়ুয়া ছেলেরাও ক্ষমতার মোহে যুক্ত হয়ে বিপথগামী হচ্ছে। বিভিন্ন অপরাধ করে তারা আলোচনা আসছে প্রতিদিন
২৪ মে ২০২২
রাজধানীর মোহাম্মদপুরে জেনেভা ক্যাম্পে ‘মাদক কারবারিদের’ দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে জাহিদ নিহতের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ শুক্রবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. ইবনে মিজান আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
৩ দিন আগে
এক বিজ্ঞপ্তিতে সিআইডি জানিয়েছে, নূরে আলম একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সদস্য। তিনি ফেসবুকে এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে যোগাযোগ করে জানান, তাঁর নামে বিদেশ থেকে একটি পার্সেল এসেছে, যা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাস্টম হাউসে জমা আছে। পার্সেল ছাড়াতে টাকা লাগবে—এ দাবি করে পার্সেলের ছবিও পাঠান তিনি।
৬ দিন আগে
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সভায় উপস্থিত বিএফআইইউ প্রতিনিধি বলেন, এমএফএস অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে জুয়া ও প্রতারণা বন্ধে বিটিআরসির (বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন) মাধ্যমে বার্তা দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া এমএফএস প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে বৈঠক করে তাদের কিছু নির্দেশনাও দেওয়া হবে। যেসব অ্যাকাউন্ট ব্লক (স্থগিত)
৬ দিন আগে