আশরাফুল আলম আপন, বদরগঞ্জ (রংপুর)
রংপুরের বদরগঞ্জে নদীতীরের সরকারি জমি ইজারা নিয়ে বহুতল ভবন নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে ঘাটাবিল শহীদ স্মৃতি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শাহজাহান আলীর বিরুদ্ধে। তবে পৌর মেয়র বলছেন, জমির কাগজপত্র ঠিক থাকায় তাঁকে পাঁচতলা ভবন নির্মাণে অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
গত রোববার দুপুরে সরেজমিনে দেখা যায়, উপজেলা পরিষদ এলাকার পাশে সেতুসংলগ্ন মহাসড়ক ও মরা তিস্তা নদী ঘেঁষে ১০ শতক জায়গা দখল করে টিন দিয়ে বেড়া দেওয়া হয়েছে। যাতে ওই নির্মাণকাজ কেউ দেখতে না পান। সেখানে ভিত্তিপ্রস্তর কাজ শেষ হয়েছে।মিস্ত্রিরা পিলারের কাজ করছেন।
এদিকে চলতি বছরের ১৬ জুন আজকের পত্রিকায় ‘ইজারার জমিতে ভবন নির্মাণ’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছিল। এরপর শাহজাহান আলী নির্মাণকাজ বন্ধ রেখেছিলেন। কিন্তু তিনি আবার নির্মাণকাজ শুরু করেছেন।
উপজেলা ভূমি কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ওই জায়গা সিএস সরকারি খতিয়ানভুক্ত। ৬৫২ দাগে সেখানে ৭৬ শতক জায়গা রয়েছে। এই জায়গা ১৯৪০ ও ৬২ সালের রেকর্ড সরকারের নামে। সিএস খতিয়ানে উল্লেখ রয়েছে, সাধারণের জন্য ব্যবহার্য। কিন্তু ১৯৬৫ সালের দিকে ওই জায়গা বন্দোবস্ত নেন গোলাম হোসেন নামের এক ব্যক্তি। পরে তিনি ওই জায়গা নিজের নামে রেকর্ড করে বিভিন্ন ব্যক্তির কাছে বিক্রি করে দেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ৭৬ শতক জায়গার মধ্যে অধ্যাপক আমিনুল ইসলাম, পশুচিকিৎসক রহমান ও আজম আলী নামের আরেক ব্যক্তি ওই জায়গায় ভবন নির্মাণ করেছেন। তাঁদের দেখে পৌরসভা থেকে অনুমোদন নিয়ে তড়িঘড়ি করে নদী ঘেঁষেই বহুতল ভবন নির্মাণ শুরু করেছেন শাহজাহান আলী।
এলাকার রাশেদুল হক বলেন, এক বছর আগে পৌরসভার ভূমি কর্মকর্তা রতন প্রশাসনের নির্দেশে ওই জায়গায় নির্মাণকাজ বন্ধ করে দিয়েছিলেন। কিন্তু পরে তিনিই আবার উপজেলা ভূমি কার্যালয়ের সার্ভেয়ার সাবিনা ইয়াসমিনকে সঙ্গে নিয়ে নদী ঘেঁষে ১০ শতক জায়গা মেপে দেন। এরপর শাহজাহান আলী ওই জায়গায় বহুতল ভবন নির্মাণকাজ শুরু করেছেন।
উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক নেতা রুবেল আহম্মেদ বলেন, নদীর যে জায়গায় শাহজাহান আলী বহুতল ভবন নির্মাণ করছেন, তার মূল্যে কোটি টাকার ওপর। তিনি প্রভাবশালী হওয়ায় কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না প্রশাসন।
পৌর শহরের ভূমি কর্মকর্তা রতন কুমার বলেন, ৪০ ও ৬২ সালের রেকর্ড সরকারের নামে রয়েছে। পরে জমিটির মালিকানা হয়েছে।
নদী বিশেষজ্ঞ ফজলুল হক বলেন, আইন অনুযায়ী নদীর ৩০ ফুটের মধ্য কেউ বহুতল ভবন নির্মাণ করতে পারবে না। কিন্তু উপজেলা পরিষদের পাশেই নদী ঘেঁষে বহুতল ভবন নির্মাণ হচ্ছে। সেখানে কোনো আইনের তোয়াক্কা করা হচ্ছে না।
এ ব্যাপারে শাহজাহান আলী বলেন, ‘আমি জায়গা কিনে বহুতল ভবন নির্মাণ করছি। এ নিয়ে আগেও সংবাদ প্রকাশিত হয়েছিল। তখন প্রশাসনের লোকজন তদন্ত করে দেখেছেন। আইন মেনে নির্মাণকাজ করছি, তা না হলে এক দিনও টিকে থাকতে পারতাম না।’
বদরগঞ্জ পৌরসভার প্রকৌশলী আলমগীর হোসেন বলেন, ‘শাহজাহানকে পৌরসভা থেকে পাঁচতলা ভবন নির্মাণের অনুমতি দেওয়া হয়েছে।’ পৌর মেয়র আহসানুল হক চৌধুরী টুটুল বলেন, ‘শাহজাহানের জমির কাগজপত্র ঠিক থাকায় তাঁকে পাঁচতলা ভবন নির্মাণে অনুমতি দিয়েছি।’
ইউএনও আবু সাঈদ বলেন, ‘ওই জায়গায় ভবন নির্মাণে আইনের কোনো ব্যত্যয় ঘটলে তা দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
রংপুরের বদরগঞ্জে নদীতীরের সরকারি জমি ইজারা নিয়ে বহুতল ভবন নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে ঘাটাবিল শহীদ স্মৃতি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শাহজাহান আলীর বিরুদ্ধে। তবে পৌর মেয়র বলছেন, জমির কাগজপত্র ঠিক থাকায় তাঁকে পাঁচতলা ভবন নির্মাণে অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
গত রোববার দুপুরে সরেজমিনে দেখা যায়, উপজেলা পরিষদ এলাকার পাশে সেতুসংলগ্ন মহাসড়ক ও মরা তিস্তা নদী ঘেঁষে ১০ শতক জায়গা দখল করে টিন দিয়ে বেড়া দেওয়া হয়েছে। যাতে ওই নির্মাণকাজ কেউ দেখতে না পান। সেখানে ভিত্তিপ্রস্তর কাজ শেষ হয়েছে।মিস্ত্রিরা পিলারের কাজ করছেন।
এদিকে চলতি বছরের ১৬ জুন আজকের পত্রিকায় ‘ইজারার জমিতে ভবন নির্মাণ’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছিল। এরপর শাহজাহান আলী নির্মাণকাজ বন্ধ রেখেছিলেন। কিন্তু তিনি আবার নির্মাণকাজ শুরু করেছেন।
উপজেলা ভূমি কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ওই জায়গা সিএস সরকারি খতিয়ানভুক্ত। ৬৫২ দাগে সেখানে ৭৬ শতক জায়গা রয়েছে। এই জায়গা ১৯৪০ ও ৬২ সালের রেকর্ড সরকারের নামে। সিএস খতিয়ানে উল্লেখ রয়েছে, সাধারণের জন্য ব্যবহার্য। কিন্তু ১৯৬৫ সালের দিকে ওই জায়গা বন্দোবস্ত নেন গোলাম হোসেন নামের এক ব্যক্তি। পরে তিনি ওই জায়গা নিজের নামে রেকর্ড করে বিভিন্ন ব্যক্তির কাছে বিক্রি করে দেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ৭৬ শতক জায়গার মধ্যে অধ্যাপক আমিনুল ইসলাম, পশুচিকিৎসক রহমান ও আজম আলী নামের আরেক ব্যক্তি ওই জায়গায় ভবন নির্মাণ করেছেন। তাঁদের দেখে পৌরসভা থেকে অনুমোদন নিয়ে তড়িঘড়ি করে নদী ঘেঁষেই বহুতল ভবন নির্মাণ শুরু করেছেন শাহজাহান আলী।
এলাকার রাশেদুল হক বলেন, এক বছর আগে পৌরসভার ভূমি কর্মকর্তা রতন প্রশাসনের নির্দেশে ওই জায়গায় নির্মাণকাজ বন্ধ করে দিয়েছিলেন। কিন্তু পরে তিনিই আবার উপজেলা ভূমি কার্যালয়ের সার্ভেয়ার সাবিনা ইয়াসমিনকে সঙ্গে নিয়ে নদী ঘেঁষে ১০ শতক জায়গা মেপে দেন। এরপর শাহজাহান আলী ওই জায়গায় বহুতল ভবন নির্মাণকাজ শুরু করেছেন।
উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক নেতা রুবেল আহম্মেদ বলেন, নদীর যে জায়গায় শাহজাহান আলী বহুতল ভবন নির্মাণ করছেন, তার মূল্যে কোটি টাকার ওপর। তিনি প্রভাবশালী হওয়ায় কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না প্রশাসন।
পৌর শহরের ভূমি কর্মকর্তা রতন কুমার বলেন, ৪০ ও ৬২ সালের রেকর্ড সরকারের নামে রয়েছে। পরে জমিটির মালিকানা হয়েছে।
নদী বিশেষজ্ঞ ফজলুল হক বলেন, আইন অনুযায়ী নদীর ৩০ ফুটের মধ্য কেউ বহুতল ভবন নির্মাণ করতে পারবে না। কিন্তু উপজেলা পরিষদের পাশেই নদী ঘেঁষে বহুতল ভবন নির্মাণ হচ্ছে। সেখানে কোনো আইনের তোয়াক্কা করা হচ্ছে না।
এ ব্যাপারে শাহজাহান আলী বলেন, ‘আমি জায়গা কিনে বহুতল ভবন নির্মাণ করছি। এ নিয়ে আগেও সংবাদ প্রকাশিত হয়েছিল। তখন প্রশাসনের লোকজন তদন্ত করে দেখেছেন। আইন মেনে নির্মাণকাজ করছি, তা না হলে এক দিনও টিকে থাকতে পারতাম না।’
বদরগঞ্জ পৌরসভার প্রকৌশলী আলমগীর হোসেন বলেন, ‘শাহজাহানকে পৌরসভা থেকে পাঁচতলা ভবন নির্মাণের অনুমতি দেওয়া হয়েছে।’ পৌর মেয়র আহসানুল হক চৌধুরী টুটুল বলেন, ‘শাহজাহানের জমির কাগজপত্র ঠিক থাকায় তাঁকে পাঁচতলা ভবন নির্মাণে অনুমতি দিয়েছি।’
ইউএনও আবু সাঈদ বলেন, ‘ওই জায়গায় ভবন নির্মাণে আইনের কোনো ব্যত্যয় ঘটলে তা দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
চাঁদপুর-মুন্সিগঞ্জ নৌ সীমানার মোহনপুর এলাকায় মেঘনা নদীতে দুই গ্রুপের সংঘর্ষ ও গোলাগুলিতে দুই জন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হয়েছেন আরও একজন। আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে মুন্সিগঞ্জ ও চাঁদপুর মতলব উত্তর মোহনপুরের চড় আব্দুল্লাহপুর নাছিরার চরে নদীতে এ ঘটনা ঘটে।
২ দিন আগেরাজধানীর মোহাম্মদপুরে আবারও অস্ত্রের মুখে একটি পরিবারকে জিম্মি করে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। আজ বৃহস্পতিবার ভোররাতে মোহাম্মদপুরের বছিলাসংলগ্ন লাউতলা এলাকার ৮ নম্বর সড়কের ১০ নম্বর বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী তত্ত্বাবধায়ক নাসিমা বেগম মোহাম্মদপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন।
২৮ নভেম্বর ২০২৪রাজধানীর বিমানবন্দরে শরীরে বিশেষ কৌশলে গাঁজা নিয়ে এসে পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হয়েছে তিনজন কিশোর। তাঁরা বর্তমানে কিশোর সংশোধনাগারের রয়েছে।
০৮ নভেম্বর ২০২৪পরিবারে আর্থিক স্বচ্ছলতা ফেরাতে সিঙ্গাপুরে যান দুই ভাই উজ্জ্বল মিয়া ও মো. ঝন্টু। সেখানে থাকা অবস্থায় মুঠোফোনে ভাবির সঙ্গে পরকীয়ায় জড়ান ছোট ভাই মো. ঝন্টু। পরে দেশে ফিরে ভাবিকে বিয়ে করার জন্য আপন বড় ভাই উজ্জ্বল মিয়াকে খুন করে ছোট ভাই।
০৭ নভেম্বর ২০২৪