নাজমুল হাসান সাগর, ঢাকা

রাজধানীর ফার্মগেট পার হয়ে রাজাবাজার। সেখানে একটি বাড়ি খুঁজে খুঁজে হয়রান। ওই বাড়ির একজনের নাম শুনে চিনলেও বাড়িটি নিশ্চিত করতে পারলেন না। ওই নামটি সুইডেন আসলাম। রাজধানীর ২৩ শীর্ষ সন্ত্রাসীর অন্যতম। পুরো নাম শেখ মোহাম্মদ আসলাম, ২৫ বছর ধরে যাঁর ঠিকানা কারাগার। এখন আছেন কাশিমপুর কারাগারের হাই সিকিউরিটি সেলে।
একসময় আসলামের পরিবারের বাস ছিল রাজাবাজারে। তাই গত ডিসেম্বরে সেখানে যাওয়া। তবে কেউ তাঁর পরিবারের সদস্যদের না চেনায় নিরাশ হতে হলো। ঘুরতে ঘুরতে কথা হলো মধ্যবয়সী কয়েকজনের সঙ্গে। তাঁরা আসলামকে চেনেন এবং তাঁর পরিবারের খবরও মোটামুটি জানেন। তাঁরাই জানালেন, আসলামের গ্রামের বাড়ি ঢাকার নবাবগঞ্জ উপজেলায়। অনেক আগে থেকেই তাঁর বাবা-চাচারা রাজাবাজারে থাকতেন। বাবা রড-সিমেন্টের ব্যবসা করতেন। আসলামরা দুই ভাই, এক বোন। মা-বাবা মারা গেছেন অনেক আগেই। আসলাম বিয়ে করেছেন দুটি। প্রথম স্ত্রী ইতির সঙ্গে ছাড়াছাড়ি হওয়ার পর চাচাতো বোন সিমিকে বিয়ে করেছিলেন। তবে তাঁর কোনো সন্তান নেই। ছোট ভাই জাকির কলকাতায় থাকেন। কালেভদ্রে দেশে আসেন। ছোট বোন স্বামী-সন্তান নিয়ে তেজতুরীপাড়ায় বাস করেন। আসলামের এক চাচাতো ভাই থাকেন বাড্ডায়।
জানা গেল, আসলামের প্রবল আকর্ষণ ছিল অস্ত্রের প্রতি। কয়েকটি অস্ত্র ছিল তাঁর। এগুলো ভাড়াও দিতেন তিনি। একবার তাঁর ছোট ভাই গোয়েন্দা পুলিশের হাতে ধরা পড়েছিলেন অস্ত্রসহ।
ওই ব্যক্তিরাই জানালেন, রাজাবাজারেই আছে আসলামের দ্বিতীয় স্ত্রীর বাবার বাড়ি। আসলাম গ্রেপ্তার হওয়ার ২৩ বছর পর্যন্ত তাঁর ফিরে আসার অপেক্ষায় ছিলেন তিনি। একসময় হাল ছেড়ে বছর দুয়েক আগে আবার বিয়ে করেছেন। তাঁদের দেখানো মতে, সত্তরের দশকের পুরোনো সেই বাড়ির সামনে গিয়ে দেখা গেল খোলা কলাপসিবল গেটের ভেতর বসে আছেন বয়স্ক দারোয়ান। চেনা মুখ অথবা বাড়ির মানুষদের পরিচিত ছাড়া কাউকে ঢুকতে দেন না। দারোয়ানের চোখ ফাঁকি দিয়ে ভেতরে ঢোকার সুযোগের অপেক্ষায় কাটতে লাগল সময়। কিন্তু তাঁর সরার কোনো লক্ষণই নেই। তিন ঘণ্টা পর কোনো প্রয়োজনে দারোয়ান সরতেই টুক করে ভেতরে ঢুকে খাড়া সিঁড়ি বেয়ে একেবারে চারতলায়। কলবেল চেপে মিনিট দশেক অপেক্ষা। সাড়া-শব্দ নেই। আরও কয়েকবার কলবেলে চাপ। এবার কারও দরজার কাছে আসার আওয়াজ পাওয়া গেল। আইহোল দিয়ে দেখে ভেতরে চলে গেল পায়ের আওয়াজ। আরও মিনিট দশেক অপেক্ষার পর নয়-দশ বছরের একটি শিশু দরজা একটু ফাঁক করে শুধু মাথা বের করে জিজ্ঞেস করল, ‘কাকে চাই?’ তার নাম জানতে চাইলে পা থেকে মাথা পর্যন্ত দেখে ফের প্রশ্ন করল, ‘আগে বলুন কাকে চাই।’ ‘সিমি আছেন?’–প্রশ্ন শুনেই দরজা লাগিয়ে দৌড়ে ভেতরে চলে গেল সে।
কিছুক্ষণ পর ৪০ ছুঁই ছুঁই এক ভদ্রমহিলা প্রথমে দরজা খুলে মাথা বের করে পরিচয় জানতে চাইলেন। সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে উদ্দেশ্য জানাতে বিরক্তি নিয়ে বললেন, ‘সিমি এখন এখানে থাকে না। তার বিয়ে হয়ে গেছে। শ্বশুরবাড়িতে থাকে।’ দ্রুত বলেই প্রশ্ন, ‘আর কিছু জানতে চান?’ তিনি এখানে আছেন জেনে আসা–এমনটা জানিয়ে ডেকে দেওয়ার অনুরোধ করলে রেগে গেলেন ভদ্রমহিলা। বললেন, ‘দেখুন, এসব নিয়ে আমরা কথা বলতে চাই না। আপনি আসুন দয়া করে। আপনি যা জানতে এসেছেন সেগুলো এখন অতীত। কাল আমার বাচ্চার পরীক্ষা, আপনি চলে গেলে খুশি হব।’ আর কিছু বলার সুযোগ না দিয়েই দরজা বন্ধ করে দিলেন।
এই ভদ্রমহিলা সুইডেন আসলামের দ্বিতীয় স্ত্রী সিমির ছোট বোন। সিমি আসলামের চাচাতো বোন। আসলাম ১৯৯৭ সালে গ্রেপ্তার হওয়ার পর থেকে দুই বছর আগপর্যন্ত ভাইবোনের সঙ্গে এই বাড়িতেই থাকতেন তিনি। আসলামের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের কারণে নানা প্রতিবন্ধকতার মধ্য দিয়ে যেতে হয়েছে তাঁকে ও তাঁর পরিবারকে। থাকছেন নিরিবিলিতে।
আসলামের বিরুদ্ধে প্রথম হত্যা মামলা হয়েছিল আশির দশকে। রাজাবাজারে নাজনীন স্কুলের ভেতর দিনদুপুরে শাকিল নামের এক কিশোরকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় ওই মামলা হয়। শোনা যায়, প্রেমিকাকে উত্ত্যক্ত করার জেরে ঘটেছিল ওই হত্যাকাণ্ড। এরপর ধীরে ধীরে হয়ে ওঠেন ঢাকার অন্ধকারজগতে অবৈধ কয়েকটি অত্যাধুনিক অস্ত্রের মালিক। সন্ত্রাসী হলেও এলাকার উঠতি তরুণ-কিশোরদের মাঝে তাঁর বেশ জনপ্রিয়তা ছিল। জানা যায়, তাদের ব্যবহার করতেন অস্ত্র রাখা ও বহনের কাজে। রাজাবাজার ও পাশের এলাকার দুই ব্যক্তি এই প্রতিবেদককে বলেন, নব্বইয়ের দশকে তাঁরা মাধ্যমিকে পড়তেন। কিশোর বয়সের দোষে আসলামের ‘হিরোইজ’ তাঁদের ভালো লাগত। তাই তাঁর কথা শুনে অস্ত্র নিজেদের বাসায় রাখতেন এবং তাঁর নির্দেশ অনুযায়ী বিভিন্ন স্থানে নিয়ে যেতেন। পরে বুঝেছেন, তখন অন্যায় করেছেন, ভুল করেছেন।
এ রকম আরও তিনজনের সঙ্গে কথা হয়। সবাই জানান, ২৩ শীর্ষ সন্ত্রাসীর তালিকাভুক্ত আসলাম কোথাও যাওয়ার আগে সেখানে লোক পাঠাতেন। তাদের কাছ থেকে সব ঠিক থাকার সংকেত পেলেই শুধু যেতেন। এরপরও কখনো কখনো প্রতিপক্ষ গ্রুপ বা পুলিশের কবলে পড়তে হয়েছে। গুলি করতে করতে সটকে পড়েছেন।
সুইডেন আসলামের বিরুদ্ধে ২২টি মামলা রয়েছে। যার ৯টিই হত্যা মামলা। একটি বাদে সব মামলায়ই খালাস পেয়েছেন তিনি। তেজগাঁওয়ের যুবলীগ নেতা গালিবকে গুলি করে হত্যার অভিযোগে করা মামলাটি বিচারাধীন। এই মামলায় খালাস পেলে তাঁর কারামুক্তিতে আর কোনো বাধা থাকবে না। অভিযোগ রয়েছে, কারাগারে থাকলেও থেমে নেই তাঁর সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড। জেলে বসে মুঠোফোনে নিয়ন্ত্রণ করছেন তাঁর অপরাধ সাম্রাজ্য।
আসলামের প্রথম স্ত্রী ছিলেন ইতি। তিনি সুইডেনপ্রবাসী ছিলেন। বিয়ের পর আসলামও সুইডেন গিয়ে কয়েক বছর ছিলেন। সেই সূত্রে তাঁর নামের আগে জুড়ে যায় সুইডেন শব্দটি। একসময় ইতির সঙ্গে তাঁর ছাড়াছাড়ি হয়। জানা যায়, ইতি পরে আত্মহত্যা করেন।
ফেরার পথে দেখা হয় রাজাবাজারের ওই বাড়ির বৃদ্ধ দারোয়ানের সঙ্গে। সুইডেন আসলামকে চেনেন–জানতে চাইলে বললেন, ‘এই লোকটা কেডা বাবা? আমি দুই মাস হইল আইছি। মানুষজন কম চিনি।’
আরও পড়ুন:

রাজধানীর ফার্মগেট পার হয়ে রাজাবাজার। সেখানে একটি বাড়ি খুঁজে খুঁজে হয়রান। ওই বাড়ির একজনের নাম শুনে চিনলেও বাড়িটি নিশ্চিত করতে পারলেন না। ওই নামটি সুইডেন আসলাম। রাজধানীর ২৩ শীর্ষ সন্ত্রাসীর অন্যতম। পুরো নাম শেখ মোহাম্মদ আসলাম, ২৫ বছর ধরে যাঁর ঠিকানা কারাগার। এখন আছেন কাশিমপুর কারাগারের হাই সিকিউরিটি সেলে।
একসময় আসলামের পরিবারের বাস ছিল রাজাবাজারে। তাই গত ডিসেম্বরে সেখানে যাওয়া। তবে কেউ তাঁর পরিবারের সদস্যদের না চেনায় নিরাশ হতে হলো। ঘুরতে ঘুরতে কথা হলো মধ্যবয়সী কয়েকজনের সঙ্গে। তাঁরা আসলামকে চেনেন এবং তাঁর পরিবারের খবরও মোটামুটি জানেন। তাঁরাই জানালেন, আসলামের গ্রামের বাড়ি ঢাকার নবাবগঞ্জ উপজেলায়। অনেক আগে থেকেই তাঁর বাবা-চাচারা রাজাবাজারে থাকতেন। বাবা রড-সিমেন্টের ব্যবসা করতেন। আসলামরা দুই ভাই, এক বোন। মা-বাবা মারা গেছেন অনেক আগেই। আসলাম বিয়ে করেছেন দুটি। প্রথম স্ত্রী ইতির সঙ্গে ছাড়াছাড়ি হওয়ার পর চাচাতো বোন সিমিকে বিয়ে করেছিলেন। তবে তাঁর কোনো সন্তান নেই। ছোট ভাই জাকির কলকাতায় থাকেন। কালেভদ্রে দেশে আসেন। ছোট বোন স্বামী-সন্তান নিয়ে তেজতুরীপাড়ায় বাস করেন। আসলামের এক চাচাতো ভাই থাকেন বাড্ডায়।
জানা গেল, আসলামের প্রবল আকর্ষণ ছিল অস্ত্রের প্রতি। কয়েকটি অস্ত্র ছিল তাঁর। এগুলো ভাড়াও দিতেন তিনি। একবার তাঁর ছোট ভাই গোয়েন্দা পুলিশের হাতে ধরা পড়েছিলেন অস্ত্রসহ।
ওই ব্যক্তিরাই জানালেন, রাজাবাজারেই আছে আসলামের দ্বিতীয় স্ত্রীর বাবার বাড়ি। আসলাম গ্রেপ্তার হওয়ার ২৩ বছর পর্যন্ত তাঁর ফিরে আসার অপেক্ষায় ছিলেন তিনি। একসময় হাল ছেড়ে বছর দুয়েক আগে আবার বিয়ে করেছেন। তাঁদের দেখানো মতে, সত্তরের দশকের পুরোনো সেই বাড়ির সামনে গিয়ে দেখা গেল খোলা কলাপসিবল গেটের ভেতর বসে আছেন বয়স্ক দারোয়ান। চেনা মুখ অথবা বাড়ির মানুষদের পরিচিত ছাড়া কাউকে ঢুকতে দেন না। দারোয়ানের চোখ ফাঁকি দিয়ে ভেতরে ঢোকার সুযোগের অপেক্ষায় কাটতে লাগল সময়। কিন্তু তাঁর সরার কোনো লক্ষণই নেই। তিন ঘণ্টা পর কোনো প্রয়োজনে দারোয়ান সরতেই টুক করে ভেতরে ঢুকে খাড়া সিঁড়ি বেয়ে একেবারে চারতলায়। কলবেল চেপে মিনিট দশেক অপেক্ষা। সাড়া-শব্দ নেই। আরও কয়েকবার কলবেলে চাপ। এবার কারও দরজার কাছে আসার আওয়াজ পাওয়া গেল। আইহোল দিয়ে দেখে ভেতরে চলে গেল পায়ের আওয়াজ। আরও মিনিট দশেক অপেক্ষার পর নয়-দশ বছরের একটি শিশু দরজা একটু ফাঁক করে শুধু মাথা বের করে জিজ্ঞেস করল, ‘কাকে চাই?’ তার নাম জানতে চাইলে পা থেকে মাথা পর্যন্ত দেখে ফের প্রশ্ন করল, ‘আগে বলুন কাকে চাই।’ ‘সিমি আছেন?’–প্রশ্ন শুনেই দরজা লাগিয়ে দৌড়ে ভেতরে চলে গেল সে।
কিছুক্ষণ পর ৪০ ছুঁই ছুঁই এক ভদ্রমহিলা প্রথমে দরজা খুলে মাথা বের করে পরিচয় জানতে চাইলেন। সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে উদ্দেশ্য জানাতে বিরক্তি নিয়ে বললেন, ‘সিমি এখন এখানে থাকে না। তার বিয়ে হয়ে গেছে। শ্বশুরবাড়িতে থাকে।’ দ্রুত বলেই প্রশ্ন, ‘আর কিছু জানতে চান?’ তিনি এখানে আছেন জেনে আসা–এমনটা জানিয়ে ডেকে দেওয়ার অনুরোধ করলে রেগে গেলেন ভদ্রমহিলা। বললেন, ‘দেখুন, এসব নিয়ে আমরা কথা বলতে চাই না। আপনি আসুন দয়া করে। আপনি যা জানতে এসেছেন সেগুলো এখন অতীত। কাল আমার বাচ্চার পরীক্ষা, আপনি চলে গেলে খুশি হব।’ আর কিছু বলার সুযোগ না দিয়েই দরজা বন্ধ করে দিলেন।
এই ভদ্রমহিলা সুইডেন আসলামের দ্বিতীয় স্ত্রী সিমির ছোট বোন। সিমি আসলামের চাচাতো বোন। আসলাম ১৯৯৭ সালে গ্রেপ্তার হওয়ার পর থেকে দুই বছর আগপর্যন্ত ভাইবোনের সঙ্গে এই বাড়িতেই থাকতেন তিনি। আসলামের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের কারণে নানা প্রতিবন্ধকতার মধ্য দিয়ে যেতে হয়েছে তাঁকে ও তাঁর পরিবারকে। থাকছেন নিরিবিলিতে।
আসলামের বিরুদ্ধে প্রথম হত্যা মামলা হয়েছিল আশির দশকে। রাজাবাজারে নাজনীন স্কুলের ভেতর দিনদুপুরে শাকিল নামের এক কিশোরকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় ওই মামলা হয়। শোনা যায়, প্রেমিকাকে উত্ত্যক্ত করার জেরে ঘটেছিল ওই হত্যাকাণ্ড। এরপর ধীরে ধীরে হয়ে ওঠেন ঢাকার অন্ধকারজগতে অবৈধ কয়েকটি অত্যাধুনিক অস্ত্রের মালিক। সন্ত্রাসী হলেও এলাকার উঠতি তরুণ-কিশোরদের মাঝে তাঁর বেশ জনপ্রিয়তা ছিল। জানা যায়, তাদের ব্যবহার করতেন অস্ত্র রাখা ও বহনের কাজে। রাজাবাজার ও পাশের এলাকার দুই ব্যক্তি এই প্রতিবেদককে বলেন, নব্বইয়ের দশকে তাঁরা মাধ্যমিকে পড়তেন। কিশোর বয়সের দোষে আসলামের ‘হিরোইজ’ তাঁদের ভালো লাগত। তাই তাঁর কথা শুনে অস্ত্র নিজেদের বাসায় রাখতেন এবং তাঁর নির্দেশ অনুযায়ী বিভিন্ন স্থানে নিয়ে যেতেন। পরে বুঝেছেন, তখন অন্যায় করেছেন, ভুল করেছেন।
এ রকম আরও তিনজনের সঙ্গে কথা হয়। সবাই জানান, ২৩ শীর্ষ সন্ত্রাসীর তালিকাভুক্ত আসলাম কোথাও যাওয়ার আগে সেখানে লোক পাঠাতেন। তাদের কাছ থেকে সব ঠিক থাকার সংকেত পেলেই শুধু যেতেন। এরপরও কখনো কখনো প্রতিপক্ষ গ্রুপ বা পুলিশের কবলে পড়তে হয়েছে। গুলি করতে করতে সটকে পড়েছেন।
সুইডেন আসলামের বিরুদ্ধে ২২টি মামলা রয়েছে। যার ৯টিই হত্যা মামলা। একটি বাদে সব মামলায়ই খালাস পেয়েছেন তিনি। তেজগাঁওয়ের যুবলীগ নেতা গালিবকে গুলি করে হত্যার অভিযোগে করা মামলাটি বিচারাধীন। এই মামলায় খালাস পেলে তাঁর কারামুক্তিতে আর কোনো বাধা থাকবে না। অভিযোগ রয়েছে, কারাগারে থাকলেও থেমে নেই তাঁর সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড। জেলে বসে মুঠোফোনে নিয়ন্ত্রণ করছেন তাঁর অপরাধ সাম্রাজ্য।
আসলামের প্রথম স্ত্রী ছিলেন ইতি। তিনি সুইডেনপ্রবাসী ছিলেন। বিয়ের পর আসলামও সুইডেন গিয়ে কয়েক বছর ছিলেন। সেই সূত্রে তাঁর নামের আগে জুড়ে যায় সুইডেন শব্দটি। একসময় ইতির সঙ্গে তাঁর ছাড়াছাড়ি হয়। জানা যায়, ইতি পরে আত্মহত্যা করেন।
ফেরার পথে দেখা হয় রাজাবাজারের ওই বাড়ির বৃদ্ধ দারোয়ানের সঙ্গে। সুইডেন আসলামকে চেনেন–জানতে চাইলে বললেন, ‘এই লোকটা কেডা বাবা? আমি দুই মাস হইল আইছি। মানুষজন কম চিনি।’
আরও পড়ুন:
নাজমুল হাসান সাগর, ঢাকা

রাজধানীর ফার্মগেট পার হয়ে রাজাবাজার। সেখানে একটি বাড়ি খুঁজে খুঁজে হয়রান। ওই বাড়ির একজনের নাম শুনে চিনলেও বাড়িটি নিশ্চিত করতে পারলেন না। ওই নামটি সুইডেন আসলাম। রাজধানীর ২৩ শীর্ষ সন্ত্রাসীর অন্যতম। পুরো নাম শেখ মোহাম্মদ আসলাম, ২৫ বছর ধরে যাঁর ঠিকানা কারাগার। এখন আছেন কাশিমপুর কারাগারের হাই সিকিউরিটি সেলে।
একসময় আসলামের পরিবারের বাস ছিল রাজাবাজারে। তাই গত ডিসেম্বরে সেখানে যাওয়া। তবে কেউ তাঁর পরিবারের সদস্যদের না চেনায় নিরাশ হতে হলো। ঘুরতে ঘুরতে কথা হলো মধ্যবয়সী কয়েকজনের সঙ্গে। তাঁরা আসলামকে চেনেন এবং তাঁর পরিবারের খবরও মোটামুটি জানেন। তাঁরাই জানালেন, আসলামের গ্রামের বাড়ি ঢাকার নবাবগঞ্জ উপজেলায়। অনেক আগে থেকেই তাঁর বাবা-চাচারা রাজাবাজারে থাকতেন। বাবা রড-সিমেন্টের ব্যবসা করতেন। আসলামরা দুই ভাই, এক বোন। মা-বাবা মারা গেছেন অনেক আগেই। আসলাম বিয়ে করেছেন দুটি। প্রথম স্ত্রী ইতির সঙ্গে ছাড়াছাড়ি হওয়ার পর চাচাতো বোন সিমিকে বিয়ে করেছিলেন। তবে তাঁর কোনো সন্তান নেই। ছোট ভাই জাকির কলকাতায় থাকেন। কালেভদ্রে দেশে আসেন। ছোট বোন স্বামী-সন্তান নিয়ে তেজতুরীপাড়ায় বাস করেন। আসলামের এক চাচাতো ভাই থাকেন বাড্ডায়।
জানা গেল, আসলামের প্রবল আকর্ষণ ছিল অস্ত্রের প্রতি। কয়েকটি অস্ত্র ছিল তাঁর। এগুলো ভাড়াও দিতেন তিনি। একবার তাঁর ছোট ভাই গোয়েন্দা পুলিশের হাতে ধরা পড়েছিলেন অস্ত্রসহ।
ওই ব্যক্তিরাই জানালেন, রাজাবাজারেই আছে আসলামের দ্বিতীয় স্ত্রীর বাবার বাড়ি। আসলাম গ্রেপ্তার হওয়ার ২৩ বছর পর্যন্ত তাঁর ফিরে আসার অপেক্ষায় ছিলেন তিনি। একসময় হাল ছেড়ে বছর দুয়েক আগে আবার বিয়ে করেছেন। তাঁদের দেখানো মতে, সত্তরের দশকের পুরোনো সেই বাড়ির সামনে গিয়ে দেখা গেল খোলা কলাপসিবল গেটের ভেতর বসে আছেন বয়স্ক দারোয়ান। চেনা মুখ অথবা বাড়ির মানুষদের পরিচিত ছাড়া কাউকে ঢুকতে দেন না। দারোয়ানের চোখ ফাঁকি দিয়ে ভেতরে ঢোকার সুযোগের অপেক্ষায় কাটতে লাগল সময়। কিন্তু তাঁর সরার কোনো লক্ষণই নেই। তিন ঘণ্টা পর কোনো প্রয়োজনে দারোয়ান সরতেই টুক করে ভেতরে ঢুকে খাড়া সিঁড়ি বেয়ে একেবারে চারতলায়। কলবেল চেপে মিনিট দশেক অপেক্ষা। সাড়া-শব্দ নেই। আরও কয়েকবার কলবেলে চাপ। এবার কারও দরজার কাছে আসার আওয়াজ পাওয়া গেল। আইহোল দিয়ে দেখে ভেতরে চলে গেল পায়ের আওয়াজ। আরও মিনিট দশেক অপেক্ষার পর নয়-দশ বছরের একটি শিশু দরজা একটু ফাঁক করে শুধু মাথা বের করে জিজ্ঞেস করল, ‘কাকে চাই?’ তার নাম জানতে চাইলে পা থেকে মাথা পর্যন্ত দেখে ফের প্রশ্ন করল, ‘আগে বলুন কাকে চাই।’ ‘সিমি আছেন?’–প্রশ্ন শুনেই দরজা লাগিয়ে দৌড়ে ভেতরে চলে গেল সে।
কিছুক্ষণ পর ৪০ ছুঁই ছুঁই এক ভদ্রমহিলা প্রথমে দরজা খুলে মাথা বের করে পরিচয় জানতে চাইলেন। সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে উদ্দেশ্য জানাতে বিরক্তি নিয়ে বললেন, ‘সিমি এখন এখানে থাকে না। তার বিয়ে হয়ে গেছে। শ্বশুরবাড়িতে থাকে।’ দ্রুত বলেই প্রশ্ন, ‘আর কিছু জানতে চান?’ তিনি এখানে আছেন জেনে আসা–এমনটা জানিয়ে ডেকে দেওয়ার অনুরোধ করলে রেগে গেলেন ভদ্রমহিলা। বললেন, ‘দেখুন, এসব নিয়ে আমরা কথা বলতে চাই না। আপনি আসুন দয়া করে। আপনি যা জানতে এসেছেন সেগুলো এখন অতীত। কাল আমার বাচ্চার পরীক্ষা, আপনি চলে গেলে খুশি হব।’ আর কিছু বলার সুযোগ না দিয়েই দরজা বন্ধ করে দিলেন।
এই ভদ্রমহিলা সুইডেন আসলামের দ্বিতীয় স্ত্রী সিমির ছোট বোন। সিমি আসলামের চাচাতো বোন। আসলাম ১৯৯৭ সালে গ্রেপ্তার হওয়ার পর থেকে দুই বছর আগপর্যন্ত ভাইবোনের সঙ্গে এই বাড়িতেই থাকতেন তিনি। আসলামের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের কারণে নানা প্রতিবন্ধকতার মধ্য দিয়ে যেতে হয়েছে তাঁকে ও তাঁর পরিবারকে। থাকছেন নিরিবিলিতে।
আসলামের বিরুদ্ধে প্রথম হত্যা মামলা হয়েছিল আশির দশকে। রাজাবাজারে নাজনীন স্কুলের ভেতর দিনদুপুরে শাকিল নামের এক কিশোরকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় ওই মামলা হয়। শোনা যায়, প্রেমিকাকে উত্ত্যক্ত করার জেরে ঘটেছিল ওই হত্যাকাণ্ড। এরপর ধীরে ধীরে হয়ে ওঠেন ঢাকার অন্ধকারজগতে অবৈধ কয়েকটি অত্যাধুনিক অস্ত্রের মালিক। সন্ত্রাসী হলেও এলাকার উঠতি তরুণ-কিশোরদের মাঝে তাঁর বেশ জনপ্রিয়তা ছিল। জানা যায়, তাদের ব্যবহার করতেন অস্ত্র রাখা ও বহনের কাজে। রাজাবাজার ও পাশের এলাকার দুই ব্যক্তি এই প্রতিবেদককে বলেন, নব্বইয়ের দশকে তাঁরা মাধ্যমিকে পড়তেন। কিশোর বয়সের দোষে আসলামের ‘হিরোইজ’ তাঁদের ভালো লাগত। তাই তাঁর কথা শুনে অস্ত্র নিজেদের বাসায় রাখতেন এবং তাঁর নির্দেশ অনুযায়ী বিভিন্ন স্থানে নিয়ে যেতেন। পরে বুঝেছেন, তখন অন্যায় করেছেন, ভুল করেছেন।
এ রকম আরও তিনজনের সঙ্গে কথা হয়। সবাই জানান, ২৩ শীর্ষ সন্ত্রাসীর তালিকাভুক্ত আসলাম কোথাও যাওয়ার আগে সেখানে লোক পাঠাতেন। তাদের কাছ থেকে সব ঠিক থাকার সংকেত পেলেই শুধু যেতেন। এরপরও কখনো কখনো প্রতিপক্ষ গ্রুপ বা পুলিশের কবলে পড়তে হয়েছে। গুলি করতে করতে সটকে পড়েছেন।
সুইডেন আসলামের বিরুদ্ধে ২২টি মামলা রয়েছে। যার ৯টিই হত্যা মামলা। একটি বাদে সব মামলায়ই খালাস পেয়েছেন তিনি। তেজগাঁওয়ের যুবলীগ নেতা গালিবকে গুলি করে হত্যার অভিযোগে করা মামলাটি বিচারাধীন। এই মামলায় খালাস পেলে তাঁর কারামুক্তিতে আর কোনো বাধা থাকবে না। অভিযোগ রয়েছে, কারাগারে থাকলেও থেমে নেই তাঁর সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড। জেলে বসে মুঠোফোনে নিয়ন্ত্রণ করছেন তাঁর অপরাধ সাম্রাজ্য।
আসলামের প্রথম স্ত্রী ছিলেন ইতি। তিনি সুইডেনপ্রবাসী ছিলেন। বিয়ের পর আসলামও সুইডেন গিয়ে কয়েক বছর ছিলেন। সেই সূত্রে তাঁর নামের আগে জুড়ে যায় সুইডেন শব্দটি। একসময় ইতির সঙ্গে তাঁর ছাড়াছাড়ি হয়। জানা যায়, ইতি পরে আত্মহত্যা করেন।
ফেরার পথে দেখা হয় রাজাবাজারের ওই বাড়ির বৃদ্ধ দারোয়ানের সঙ্গে। সুইডেন আসলামকে চেনেন–জানতে চাইলে বললেন, ‘এই লোকটা কেডা বাবা? আমি দুই মাস হইল আইছি। মানুষজন কম চিনি।’
আরও পড়ুন:

রাজধানীর ফার্মগেট পার হয়ে রাজাবাজার। সেখানে একটি বাড়ি খুঁজে খুঁজে হয়রান। ওই বাড়ির একজনের নাম শুনে চিনলেও বাড়িটি নিশ্চিত করতে পারলেন না। ওই নামটি সুইডেন আসলাম। রাজধানীর ২৩ শীর্ষ সন্ত্রাসীর অন্যতম। পুরো নাম শেখ মোহাম্মদ আসলাম, ২৫ বছর ধরে যাঁর ঠিকানা কারাগার। এখন আছেন কাশিমপুর কারাগারের হাই সিকিউরিটি সেলে।
একসময় আসলামের পরিবারের বাস ছিল রাজাবাজারে। তাই গত ডিসেম্বরে সেখানে যাওয়া। তবে কেউ তাঁর পরিবারের সদস্যদের না চেনায় নিরাশ হতে হলো। ঘুরতে ঘুরতে কথা হলো মধ্যবয়সী কয়েকজনের সঙ্গে। তাঁরা আসলামকে চেনেন এবং তাঁর পরিবারের খবরও মোটামুটি জানেন। তাঁরাই জানালেন, আসলামের গ্রামের বাড়ি ঢাকার নবাবগঞ্জ উপজেলায়। অনেক আগে থেকেই তাঁর বাবা-চাচারা রাজাবাজারে থাকতেন। বাবা রড-সিমেন্টের ব্যবসা করতেন। আসলামরা দুই ভাই, এক বোন। মা-বাবা মারা গেছেন অনেক আগেই। আসলাম বিয়ে করেছেন দুটি। প্রথম স্ত্রী ইতির সঙ্গে ছাড়াছাড়ি হওয়ার পর চাচাতো বোন সিমিকে বিয়ে করেছিলেন। তবে তাঁর কোনো সন্তান নেই। ছোট ভাই জাকির কলকাতায় থাকেন। কালেভদ্রে দেশে আসেন। ছোট বোন স্বামী-সন্তান নিয়ে তেজতুরীপাড়ায় বাস করেন। আসলামের এক চাচাতো ভাই থাকেন বাড্ডায়।
জানা গেল, আসলামের প্রবল আকর্ষণ ছিল অস্ত্রের প্রতি। কয়েকটি অস্ত্র ছিল তাঁর। এগুলো ভাড়াও দিতেন তিনি। একবার তাঁর ছোট ভাই গোয়েন্দা পুলিশের হাতে ধরা পড়েছিলেন অস্ত্রসহ।
ওই ব্যক্তিরাই জানালেন, রাজাবাজারেই আছে আসলামের দ্বিতীয় স্ত্রীর বাবার বাড়ি। আসলাম গ্রেপ্তার হওয়ার ২৩ বছর পর্যন্ত তাঁর ফিরে আসার অপেক্ষায় ছিলেন তিনি। একসময় হাল ছেড়ে বছর দুয়েক আগে আবার বিয়ে করেছেন। তাঁদের দেখানো মতে, সত্তরের দশকের পুরোনো সেই বাড়ির সামনে গিয়ে দেখা গেল খোলা কলাপসিবল গেটের ভেতর বসে আছেন বয়স্ক দারোয়ান। চেনা মুখ অথবা বাড়ির মানুষদের পরিচিত ছাড়া কাউকে ঢুকতে দেন না। দারোয়ানের চোখ ফাঁকি দিয়ে ভেতরে ঢোকার সুযোগের অপেক্ষায় কাটতে লাগল সময়। কিন্তু তাঁর সরার কোনো লক্ষণই নেই। তিন ঘণ্টা পর কোনো প্রয়োজনে দারোয়ান সরতেই টুক করে ভেতরে ঢুকে খাড়া সিঁড়ি বেয়ে একেবারে চারতলায়। কলবেল চেপে মিনিট দশেক অপেক্ষা। সাড়া-শব্দ নেই। আরও কয়েকবার কলবেলে চাপ। এবার কারও দরজার কাছে আসার আওয়াজ পাওয়া গেল। আইহোল দিয়ে দেখে ভেতরে চলে গেল পায়ের আওয়াজ। আরও মিনিট দশেক অপেক্ষার পর নয়-দশ বছরের একটি শিশু দরজা একটু ফাঁক করে শুধু মাথা বের করে জিজ্ঞেস করল, ‘কাকে চাই?’ তার নাম জানতে চাইলে পা থেকে মাথা পর্যন্ত দেখে ফের প্রশ্ন করল, ‘আগে বলুন কাকে চাই।’ ‘সিমি আছেন?’–প্রশ্ন শুনেই দরজা লাগিয়ে দৌড়ে ভেতরে চলে গেল সে।
কিছুক্ষণ পর ৪০ ছুঁই ছুঁই এক ভদ্রমহিলা প্রথমে দরজা খুলে মাথা বের করে পরিচয় জানতে চাইলেন। সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে উদ্দেশ্য জানাতে বিরক্তি নিয়ে বললেন, ‘সিমি এখন এখানে থাকে না। তার বিয়ে হয়ে গেছে। শ্বশুরবাড়িতে থাকে।’ দ্রুত বলেই প্রশ্ন, ‘আর কিছু জানতে চান?’ তিনি এখানে আছেন জেনে আসা–এমনটা জানিয়ে ডেকে দেওয়ার অনুরোধ করলে রেগে গেলেন ভদ্রমহিলা। বললেন, ‘দেখুন, এসব নিয়ে আমরা কথা বলতে চাই না। আপনি আসুন দয়া করে। আপনি যা জানতে এসেছেন সেগুলো এখন অতীত। কাল আমার বাচ্চার পরীক্ষা, আপনি চলে গেলে খুশি হব।’ আর কিছু বলার সুযোগ না দিয়েই দরজা বন্ধ করে দিলেন।
এই ভদ্রমহিলা সুইডেন আসলামের দ্বিতীয় স্ত্রী সিমির ছোট বোন। সিমি আসলামের চাচাতো বোন। আসলাম ১৯৯৭ সালে গ্রেপ্তার হওয়ার পর থেকে দুই বছর আগপর্যন্ত ভাইবোনের সঙ্গে এই বাড়িতেই থাকতেন তিনি। আসলামের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের কারণে নানা প্রতিবন্ধকতার মধ্য দিয়ে যেতে হয়েছে তাঁকে ও তাঁর পরিবারকে। থাকছেন নিরিবিলিতে।
আসলামের বিরুদ্ধে প্রথম হত্যা মামলা হয়েছিল আশির দশকে। রাজাবাজারে নাজনীন স্কুলের ভেতর দিনদুপুরে শাকিল নামের এক কিশোরকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় ওই মামলা হয়। শোনা যায়, প্রেমিকাকে উত্ত্যক্ত করার জেরে ঘটেছিল ওই হত্যাকাণ্ড। এরপর ধীরে ধীরে হয়ে ওঠেন ঢাকার অন্ধকারজগতে অবৈধ কয়েকটি অত্যাধুনিক অস্ত্রের মালিক। সন্ত্রাসী হলেও এলাকার উঠতি তরুণ-কিশোরদের মাঝে তাঁর বেশ জনপ্রিয়তা ছিল। জানা যায়, তাদের ব্যবহার করতেন অস্ত্র রাখা ও বহনের কাজে। রাজাবাজার ও পাশের এলাকার দুই ব্যক্তি এই প্রতিবেদককে বলেন, নব্বইয়ের দশকে তাঁরা মাধ্যমিকে পড়তেন। কিশোর বয়সের দোষে আসলামের ‘হিরোইজ’ তাঁদের ভালো লাগত। তাই তাঁর কথা শুনে অস্ত্র নিজেদের বাসায় রাখতেন এবং তাঁর নির্দেশ অনুযায়ী বিভিন্ন স্থানে নিয়ে যেতেন। পরে বুঝেছেন, তখন অন্যায় করেছেন, ভুল করেছেন।
এ রকম আরও তিনজনের সঙ্গে কথা হয়। সবাই জানান, ২৩ শীর্ষ সন্ত্রাসীর তালিকাভুক্ত আসলাম কোথাও যাওয়ার আগে সেখানে লোক পাঠাতেন। তাদের কাছ থেকে সব ঠিক থাকার সংকেত পেলেই শুধু যেতেন। এরপরও কখনো কখনো প্রতিপক্ষ গ্রুপ বা পুলিশের কবলে পড়তে হয়েছে। গুলি করতে করতে সটকে পড়েছেন।
সুইডেন আসলামের বিরুদ্ধে ২২টি মামলা রয়েছে। যার ৯টিই হত্যা মামলা। একটি বাদে সব মামলায়ই খালাস পেয়েছেন তিনি। তেজগাঁওয়ের যুবলীগ নেতা গালিবকে গুলি করে হত্যার অভিযোগে করা মামলাটি বিচারাধীন। এই মামলায় খালাস পেলে তাঁর কারামুক্তিতে আর কোনো বাধা থাকবে না। অভিযোগ রয়েছে, কারাগারে থাকলেও থেমে নেই তাঁর সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড। জেলে বসে মুঠোফোনে নিয়ন্ত্রণ করছেন তাঁর অপরাধ সাম্রাজ্য।
আসলামের প্রথম স্ত্রী ছিলেন ইতি। তিনি সুইডেনপ্রবাসী ছিলেন। বিয়ের পর আসলামও সুইডেন গিয়ে কয়েক বছর ছিলেন। সেই সূত্রে তাঁর নামের আগে জুড়ে যায় সুইডেন শব্দটি। একসময় ইতির সঙ্গে তাঁর ছাড়াছাড়ি হয়। জানা যায়, ইতি পরে আত্মহত্যা করেন।
ফেরার পথে দেখা হয় রাজাবাজারের ওই বাড়ির বৃদ্ধ দারোয়ানের সঙ্গে। সুইডেন আসলামকে চেনেন–জানতে চাইলে বললেন, ‘এই লোকটা কেডা বাবা? আমি দুই মাস হইল আইছি। মানুষজন কম চিনি।’
আরও পড়ুন:

এক বিজ্ঞপ্তিতে সিআইডি জানিয়েছে, নূরে আলম একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সদস্য। তিনি ফেসবুকে এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে যোগাযোগ করে জানান, তাঁর নামে বিদেশ থেকে একটি পার্সেল এসেছে, যা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাস্টম হাউসে জমা আছে। পার্সেল ছাড়াতে টাকা লাগবে—এ দাবি করে পার্সেলের ছবিও পাঠান তিনি।
২ দিন আগে
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সভায় উপস্থিত বিএফআইইউ প্রতিনিধি বলেন, এমএফএস অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে জুয়া ও প্রতারণা বন্ধে বিটিআরসির (বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন) মাধ্যমে বার্তা দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া এমএফএস প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে বৈঠক করে তাদের কিছু নির্দেশনাও দেওয়া হবে। যেসব অ্যাকাউন্ট ব্লক (স্থগিত)
২ দিন আগে
দেশে বসেই আন্তর্জাতিক পর্নো সাইটে সক্রিয় ছিলেন তাঁরা। ভিডিও বানিয়ে আপলোড করতেন বিভিন্ন ওয়েবসাইটে। শুধু নিজেরাই নন, এই দম্পতি অন্যদেরও এ কাজে যুক্ত করতেন বলে অভিযোগ। অবশেষে সেই আলোচিত যুগলকে বান্দরবানে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
৩ দিন আগে
জনপ্রিয় চিত্রনায়ক সালমান শাহর মৃত্যুর ঘটনায় করা অপমৃত্যুর মামলাকে হত্যা মামলা হিসেবে নথিভুক্ত করার আদেশ দিয়েছেন আদালত। ঘটনার ২৯ বছর পর আজ সোমবার (২০ অক্টোবর) ঢাকার ষষ্ঠ অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ মো. জান্নাতুল ফেরদৌস ইবনে হক এ আদেশ দেন।
৩ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বিদেশ থেকে পার্সেল এসেছে—এমন দাবি করে কাস্টমস থেকে তা ছাড়িয়ে দেওয়ার কথা বলে ১১ লাখ ৮৫ হাজার টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে এক তরুণকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
গতকাল সোমবার রাতে রাজধানীর তেজগাঁও শিল্পাঞ্চলের কুনিপাড়া এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার ওই তরুণের নাম মো. নূরে আলম ওরফে তুহিন (২৪)।
এক বিজ্ঞপ্তিতে সিআইডি জানিয়েছে, নূরে আলম একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সদস্য। তিনি ফেসবুকে এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে যোগাযোগ করে জানান, তাঁর নামে বিদেশ থেকে একটি পার্সেল এসেছে, যা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাস্টম হাউসে জমা আছে। পার্সেল ছাড়াতে টাকা লাগবে—এ দাবি করে পার্সেলের ছবিও পাঠান তিনি।
পরে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন অজুহাতে ভুক্তভোগীর কাছ থেকে বিকাশ ও ব্যাংকের মাধ্যমে ১১ লাখ ৮৫ হাজার টাকা আদায় করেন নূরে আলম। টাকা পাওয়ার পর নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দেন তিনি।
ভুক্তভোগী আদালতের শরণাপন্ন হলে রামপুরা থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করা হয়। মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব পায় সিআইডির সাইবার পুলিশ সেন্টার। পরে নূরে আলমকে গ্রেপ্তার করা হয়।
সিআইডি জানায়, প্রতারক চক্রের অন্য সদস্যদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।

বিদেশ থেকে পার্সেল এসেছে—এমন দাবি করে কাস্টমস থেকে তা ছাড়িয়ে দেওয়ার কথা বলে ১১ লাখ ৮৫ হাজার টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে এক তরুণকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
গতকাল সোমবার রাতে রাজধানীর তেজগাঁও শিল্পাঞ্চলের কুনিপাড়া এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার ওই তরুণের নাম মো. নূরে আলম ওরফে তুহিন (২৪)।
এক বিজ্ঞপ্তিতে সিআইডি জানিয়েছে, নূরে আলম একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সদস্য। তিনি ফেসবুকে এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে যোগাযোগ করে জানান, তাঁর নামে বিদেশ থেকে একটি পার্সেল এসেছে, যা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাস্টম হাউসে জমা আছে। পার্সেল ছাড়াতে টাকা লাগবে—এ দাবি করে পার্সেলের ছবিও পাঠান তিনি।
পরে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন অজুহাতে ভুক্তভোগীর কাছ থেকে বিকাশ ও ব্যাংকের মাধ্যমে ১১ লাখ ৮৫ হাজার টাকা আদায় করেন নূরে আলম। টাকা পাওয়ার পর নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দেন তিনি।
ভুক্তভোগী আদালতের শরণাপন্ন হলে রামপুরা থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করা হয়। মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব পায় সিআইডির সাইবার পুলিশ সেন্টার। পরে নূরে আলমকে গ্রেপ্তার করা হয়।
সিআইডি জানায়, প্রতারক চক্রের অন্য সদস্যদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।

রাজধানীর ফার্মগেট পার হয়ে রাজাবাজার। সেখানে একটি বাড়ি খুঁজে খুঁজে হয়রান। ওই বাড়ির একজনের নাম শুনে চিনলেও বাড়িটি নিশ্চিত করতে পারলেন না। ওই নামটি সুইডেন আসলাম। রাজধানীর ২৩ শীর্ষ সন্ত্রাসীর অন্যতম। পুরো নাম শেখ মোহাম্মদ আসলাম, ২৫ বছর ধরে যাঁর ঠিকানা কারাগার। এখন আছেন কাশিমপুর কারাগারের হাই সিকিউরিটি স
১৩ জানুয়ারি ২০২৩
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সভায় উপস্থিত বিএফআইইউ প্রতিনিধি বলেন, এমএফএস অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে জুয়া ও প্রতারণা বন্ধে বিটিআরসির (বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন) মাধ্যমে বার্তা দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া এমএফএস প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে বৈঠক করে তাদের কিছু নির্দেশনাও দেওয়া হবে। যেসব অ্যাকাউন্ট ব্লক (স্থগিত)
২ দিন আগে
দেশে বসেই আন্তর্জাতিক পর্নো সাইটে সক্রিয় ছিলেন তাঁরা। ভিডিও বানিয়ে আপলোড করতেন বিভিন্ন ওয়েবসাইটে। শুধু নিজেরাই নন, এই দম্পতি অন্যদেরও এ কাজে যুক্ত করতেন বলে অভিযোগ। অবশেষে সেই আলোচিত যুগলকে বান্দরবানে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
৩ দিন আগে
জনপ্রিয় চিত্রনায়ক সালমান শাহর মৃত্যুর ঘটনায় করা অপমৃত্যুর মামলাকে হত্যা মামলা হিসেবে নথিভুক্ত করার আদেশ দিয়েছেন আদালত। ঘটনার ২৯ বছর পর আজ সোমবার (২০ অক্টোবর) ঢাকার ষষ্ঠ অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ মো. জান্নাতুল ফেরদৌস ইবনে হক এ আদেশ দেন।
৩ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

জুয়া ও প্রতারণায় জড়িত থাকায় ৫০ হাজারের বেশি এমএফএস (মোবাইলভিত্তিক আর্থিক লেনদেন সেবা) অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ (স্থগিত) করেছে বিএফআইইউ (বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট)। ২০২২ সালের ডিসেম্বর থেকে চলতি মাস পর্যন্ত এই নম্বরগুলো স্থগিত করা হয়।
আজ মঙ্গলবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বিটিআরসি ভবনে ‘অনলাইন জুয়া প্রতিরোধে করণীয়’ শীর্ষক এক সভায় বিএফআইইউর প্রতিনিধি এ তথ্য জানান।
সভায় ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়, ডিজিএফআই (ডিরেক্টরেট জেনারেল অব ফোর্সেস ইন্টেলিজেন্স), এনএসআই (ন্যাশনাল সিকিউরিটি ইন্টেলিজেন্স), এনটিএমসি (ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টার), সিআইডি (ক্রিমিনাল ইনভেস্টিগেশন ডিপার্টমেন্ট), বিএফআইইউ, এমএফএস ও মোবাইল অপারেটরদের প্রতিনিধিরা অংশ নেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সভায় উপস্থিত বিএফআইইউ প্রতিনিধি বলেন, এমএফএস অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে জুয়া ও প্রতারণা বন্ধে বিটিআরসির (বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন) মাধ্যমে বার্তা দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া এমএফএস প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে বৈঠক করে তাদের কিছু নির্দেশনাও দেওয়া হবে। যেসব অ্যাকাউন্ট ব্লক (স্থগিত) করা হয়েছে, সেগুলো থেকে কোথায় কোথায় টাকা লেনদেন করা হয়েছে, তা বিশ্লেষণ করে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে প্রতিবেদন দেওয়া হবে।
ডিজিএফআই প্রতিনিধি জানান, অনলাইন জুয়ার মতো আর্থিক নানা প্রতারণায় বেনামি সিম ব্যবহার করা হচ্ছে। সংঘবদ্ধ চক্র ভুয়া সিম বিক্রি করছে। মানুষের আঙুলের ছাপ ব্যবহার করা হচ্ছে। বিকাশের অ্যাপ নকল করা হয়েছে। নাগরিকদের ডেটাবেইস ডার্ক ওয়েবে পাওয়া যাচ্ছে। এটা নিয়ে নানা অপরাধ সংঘটিত হচ্ছে।
সভায় অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিবিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, সরকার সতর্ক করার পরও অনেক গণমাধ্যমের অনলাইন পোর্টালে এখনো জুয়ার বিজ্ঞাপন প্রচার করা হচ্ছে। এ ধরনের বিজ্ঞাপন প্রচার করলে যেকোনো মুহূর্তে বিনা নোটিশে সংশ্লিষ্ট গণমাধ্যমের পোর্টাল বন্ধ করে দেওয়া হবে। প্রায় সব কটি মিডিয়ার পোর্টালে এখনো অনিরাপদ কনটেন্ট আসে। জুয়ার বিজ্ঞাপন আসে। এখান থেকে তারা টাকা পায়।
১৯ অক্টোবর পর্যন্ত জুয়ার বিজ্ঞাপন বন্ধে সময় দেওয়া হয়েছিল। তবে গণমাধ্যমগুলো তা মানছে না বলে অভিযোগ করেন বিশেষ সহকারী। তিনি বলেন, বেশ কিছু অনলাইন পোর্টাল জুয়ার বিজ্ঞাপন ও অনিরাপদ কনটেন্ট বিজ্ঞাপন প্রচার করছে। ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, ‘আমরা যেকোনো মুহূর্তে বন্ধ করে দেব। যেহেতু একাধিক নোটিশ দেওয়া হয়েছে। আমরা পাবলিকলি কোনো নোটিশ দেব না।’
অনলাইন জুয়া বন্ধে সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগ ও চ্যালেঞ্জের কথা তুলে ধরেন ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব। তিনি জানান, সরকারের হিসাবে গত মে মাস থেকে এখন পর্যন্ত ৪ হাজার ৮২০টি এমএফএস নম্বর পাওয়া গেছে। এ ছাড়া ১ হাজার ৩৩১টি ওয়েব পোর্টালের লিংক পাওয়া গেছে।
সরকারের চ্যালেঞ্জ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, যখনই একটা নম্বর ব্লক করা হয়, তখন এর চেয়ে বেশিসংখ্যক বা সমসংখ্যক নম্বর ব্যবহার করে সিগন্যাল-হোয়াটসঅ্যাপের মতো গ্রুপগুলোয় ছড়িয়ে দেওয়া হয়। আইপি পরিবর্তন করে ওয়েবসাইটের নাম একটু পরিবর্তন করা হয়। এভাবে নতুন ওয়েবসাইট বানিয়ে আবার শুরু করা হয়। এমএফএস, ওয়েব লিংক বন্ধ করার পর এ চক্রগুলো আবার অ্যাপ তৈরি ফেলে। অ্যাপগুলো অনেক ক্ষেত্রেই পাবলিশড নয়, এপিকে হিসেবে ব্যবহার করে।

জুয়া ও প্রতারণায় জড়িত থাকায় ৫০ হাজারের বেশি এমএফএস (মোবাইলভিত্তিক আর্থিক লেনদেন সেবা) অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ (স্থগিত) করেছে বিএফআইইউ (বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট)। ২০২২ সালের ডিসেম্বর থেকে চলতি মাস পর্যন্ত এই নম্বরগুলো স্থগিত করা হয়।
আজ মঙ্গলবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বিটিআরসি ভবনে ‘অনলাইন জুয়া প্রতিরোধে করণীয়’ শীর্ষক এক সভায় বিএফআইইউর প্রতিনিধি এ তথ্য জানান।
সভায় ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়, ডিজিএফআই (ডিরেক্টরেট জেনারেল অব ফোর্সেস ইন্টেলিজেন্স), এনএসআই (ন্যাশনাল সিকিউরিটি ইন্টেলিজেন্স), এনটিএমসি (ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টার), সিআইডি (ক্রিমিনাল ইনভেস্টিগেশন ডিপার্টমেন্ট), বিএফআইইউ, এমএফএস ও মোবাইল অপারেটরদের প্রতিনিধিরা অংশ নেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সভায় উপস্থিত বিএফআইইউ প্রতিনিধি বলেন, এমএফএস অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে জুয়া ও প্রতারণা বন্ধে বিটিআরসির (বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন) মাধ্যমে বার্তা দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া এমএফএস প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে বৈঠক করে তাদের কিছু নির্দেশনাও দেওয়া হবে। যেসব অ্যাকাউন্ট ব্লক (স্থগিত) করা হয়েছে, সেগুলো থেকে কোথায় কোথায় টাকা লেনদেন করা হয়েছে, তা বিশ্লেষণ করে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে প্রতিবেদন দেওয়া হবে।
ডিজিএফআই প্রতিনিধি জানান, অনলাইন জুয়ার মতো আর্থিক নানা প্রতারণায় বেনামি সিম ব্যবহার করা হচ্ছে। সংঘবদ্ধ চক্র ভুয়া সিম বিক্রি করছে। মানুষের আঙুলের ছাপ ব্যবহার করা হচ্ছে। বিকাশের অ্যাপ নকল করা হয়েছে। নাগরিকদের ডেটাবেইস ডার্ক ওয়েবে পাওয়া যাচ্ছে। এটা নিয়ে নানা অপরাধ সংঘটিত হচ্ছে।
সভায় অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিবিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, সরকার সতর্ক করার পরও অনেক গণমাধ্যমের অনলাইন পোর্টালে এখনো জুয়ার বিজ্ঞাপন প্রচার করা হচ্ছে। এ ধরনের বিজ্ঞাপন প্রচার করলে যেকোনো মুহূর্তে বিনা নোটিশে সংশ্লিষ্ট গণমাধ্যমের পোর্টাল বন্ধ করে দেওয়া হবে। প্রায় সব কটি মিডিয়ার পোর্টালে এখনো অনিরাপদ কনটেন্ট আসে। জুয়ার বিজ্ঞাপন আসে। এখান থেকে তারা টাকা পায়।
১৯ অক্টোবর পর্যন্ত জুয়ার বিজ্ঞাপন বন্ধে সময় দেওয়া হয়েছিল। তবে গণমাধ্যমগুলো তা মানছে না বলে অভিযোগ করেন বিশেষ সহকারী। তিনি বলেন, বেশ কিছু অনলাইন পোর্টাল জুয়ার বিজ্ঞাপন ও অনিরাপদ কনটেন্ট বিজ্ঞাপন প্রচার করছে। ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, ‘আমরা যেকোনো মুহূর্তে বন্ধ করে দেব। যেহেতু একাধিক নোটিশ দেওয়া হয়েছে। আমরা পাবলিকলি কোনো নোটিশ দেব না।’
অনলাইন জুয়া বন্ধে সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগ ও চ্যালেঞ্জের কথা তুলে ধরেন ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব। তিনি জানান, সরকারের হিসাবে গত মে মাস থেকে এখন পর্যন্ত ৪ হাজার ৮২০টি এমএফএস নম্বর পাওয়া গেছে। এ ছাড়া ১ হাজার ৩৩১টি ওয়েব পোর্টালের লিংক পাওয়া গেছে।
সরকারের চ্যালেঞ্জ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, যখনই একটা নম্বর ব্লক করা হয়, তখন এর চেয়ে বেশিসংখ্যক বা সমসংখ্যক নম্বর ব্যবহার করে সিগন্যাল-হোয়াটসঅ্যাপের মতো গ্রুপগুলোয় ছড়িয়ে দেওয়া হয়। আইপি পরিবর্তন করে ওয়েবসাইটের নাম একটু পরিবর্তন করা হয়। এভাবে নতুন ওয়েবসাইট বানিয়ে আবার শুরু করা হয়। এমএফএস, ওয়েব লিংক বন্ধ করার পর এ চক্রগুলো আবার অ্যাপ তৈরি ফেলে। অ্যাপগুলো অনেক ক্ষেত্রেই পাবলিশড নয়, এপিকে হিসেবে ব্যবহার করে।

রাজধানীর ফার্মগেট পার হয়ে রাজাবাজার। সেখানে একটি বাড়ি খুঁজে খুঁজে হয়রান। ওই বাড়ির একজনের নাম শুনে চিনলেও বাড়িটি নিশ্চিত করতে পারলেন না। ওই নামটি সুইডেন আসলাম। রাজধানীর ২৩ শীর্ষ সন্ত্রাসীর অন্যতম। পুরো নাম শেখ মোহাম্মদ আসলাম, ২৫ বছর ধরে যাঁর ঠিকানা কারাগার। এখন আছেন কাশিমপুর কারাগারের হাই সিকিউরিটি স
১৩ জানুয়ারি ২০২৩
এক বিজ্ঞপ্তিতে সিআইডি জানিয়েছে, নূরে আলম একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সদস্য। তিনি ফেসবুকে এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে যোগাযোগ করে জানান, তাঁর নামে বিদেশ থেকে একটি পার্সেল এসেছে, যা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাস্টম হাউসে জমা আছে। পার্সেল ছাড়াতে টাকা লাগবে—এ দাবি করে পার্সেলের ছবিও পাঠান তিনি।
২ দিন আগে
দেশে বসেই আন্তর্জাতিক পর্নো সাইটে সক্রিয় ছিলেন তাঁরা। ভিডিও বানিয়ে আপলোড করতেন বিভিন্ন ওয়েবসাইটে। শুধু নিজেরাই নন, এই দম্পতি অন্যদেরও এ কাজে যুক্ত করতেন বলে অভিযোগ। অবশেষে সেই আলোচিত যুগলকে বান্দরবানে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
৩ দিন আগে
জনপ্রিয় চিত্রনায়ক সালমান শাহর মৃত্যুর ঘটনায় করা অপমৃত্যুর মামলাকে হত্যা মামলা হিসেবে নথিভুক্ত করার আদেশ দিয়েছেন আদালত। ঘটনার ২৯ বছর পর আজ সোমবার (২০ অক্টোবর) ঢাকার ষষ্ঠ অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ মো. জান্নাতুল ফেরদৌস ইবনে হক এ আদেশ দেন।
৩ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

দেশে বসেই আন্তর্জাতিক পর্নো সাইটে সক্রিয় ছিলেন তাঁরা। ভিডিও বানিয়ে আপলোড করতেন বিভিন্ন ওয়েবসাইটে। শুধু নিজেরাই নন, এই দম্পতি অন্যদেরও এ কাজে যুক্ত করতেন বলে অভিযোগ। অবশেষে সেই আলোচিত যুগলকে বান্দরবানে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
আজ সোমবার ভোরে বান্দরবান সদর উপজেলার হাজীপাড়ার বালাঘাটা এলাকা থেকে সিআইডির এলআইসি ও সাইবার পুলিশ সেন্টার (সিপিসি) ইউনিটের সদস্যরা এই যুগলকে গ্রেপ্তার করেন। গ্রেপ্তার হওয়া যুগল হলেন মুহাম্মদ আজিম (২৮) ও তাঁর স্ত্রী বৃষ্টি (২৮)। আজ বিকেলে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানায় সিআইডি।
গ্রেপ্তার আজিমের বাড়ি চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলার বুরুমছড়া গ্রামে এবং বৃষ্টির বাড়ি মানিকগঞ্জ জেলার হরিরামপুর উপজেলার আন্ধারমানিক (খালপাড়) গ্রামে।
সিআইডির প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, এই যুগল ২০২৪ সালের মে মাসে আন্তর্জাতিক এক পর্নো সাইটে প্রথম ভিডিও আপলোড করেন। এরপর এক বছরের মধ্যে তাঁরা ১১২টি ভিডিও আপলোড করেছেন, যেগুলো বিশ্বব্যাপী ২ কোটি ৬৭ লাখের বেশিবার দেখা হয়েছে।
এই যুগল এতটাই জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন যে, ২০২৫ সালের অক্টোবর মাসে আন্তর্জাতিক পারফর্মার র্যাঙ্কিংয়ে তাঁদের অবস্থান উঠে আসে অষ্টম স্থানে। ভিডিও আপলোড ছাড়াও তাঁরা বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম—বিশেষ করে, ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম ও টেলিগ্রামের মাধ্যমে নিজেদের কর্মকাণ্ডের প্রচারণা চালাতেন। এসব প্ল্যাটফর্মে নতুনদের এ কাজে যুক্ত হওয়ার আহ্বান জানানো হতো।
তদন্তকারীরা বলছেন, আগ্রহীদের ‘ক্রিয়েটর’ হিসেবে যুক্ত করতে তাঁরা টেলিগ্রাম চ্যানেলে নানা প্রলোভন দেখিয়ে বিজ্ঞাপন দিতেন। নতুন কেউ যুক্ত হলে তাঁকে নগদ অর্থ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হতো। কেউ যোগাযোগ করলে তাঁদের ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করতে উৎসাহিত করতেন আজিম ও বৃষ্টি।
সিআইডির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এই যুগল প্রাথমিক বিদ্যালয়ের গণ্ডি পেরোতে পারেননি। তবে অনলাইনে তাঁদের বিলাসবহুল জীবনধারার নানা ছবি পাওয়া যায়, যা সমাজে নেতিবাচক বার্তা দিচ্ছে। এসব কার্যক্রম সামাজিক ও নৈতিকভাবে যেমন উদ্বেগজনক, তেমনি দেশের প্রচলিত আইনেরও লঙ্ঘন।
অভিযানের সময় তাঁদের কাছ থেকে মোবাইল ফোন, সিম কার্ড, ক্যামেরা, ট্রাইপডসহ ভিডিও ধারণের বিভিন্ন যন্ত্রপাতি জব্দ করা হয়েছে। তাঁদের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা রুজু করা হয়েছে। একই সঙ্গে আদালতে সোপর্দ করে রিমান্ড চেয়ে আবেদন করা হবে বলে জানিয়েছে সিআইডি।
সিআইডির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, পর্নোগ্রাফি ছড়িয়ে দেওয়ার সঙ্গে যুক্ত অন্যদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তারে তদন্ত অব্যাহত রয়েছে।

দেশে বসেই আন্তর্জাতিক পর্নো সাইটে সক্রিয় ছিলেন তাঁরা। ভিডিও বানিয়ে আপলোড করতেন বিভিন্ন ওয়েবসাইটে। শুধু নিজেরাই নন, এই দম্পতি অন্যদেরও এ কাজে যুক্ত করতেন বলে অভিযোগ। অবশেষে সেই আলোচিত যুগলকে বান্দরবানে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
আজ সোমবার ভোরে বান্দরবান সদর উপজেলার হাজীপাড়ার বালাঘাটা এলাকা থেকে সিআইডির এলআইসি ও সাইবার পুলিশ সেন্টার (সিপিসি) ইউনিটের সদস্যরা এই যুগলকে গ্রেপ্তার করেন। গ্রেপ্তার হওয়া যুগল হলেন মুহাম্মদ আজিম (২৮) ও তাঁর স্ত্রী বৃষ্টি (২৮)। আজ বিকেলে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানায় সিআইডি।
গ্রেপ্তার আজিমের বাড়ি চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলার বুরুমছড়া গ্রামে এবং বৃষ্টির বাড়ি মানিকগঞ্জ জেলার হরিরামপুর উপজেলার আন্ধারমানিক (খালপাড়) গ্রামে।
সিআইডির প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, এই যুগল ২০২৪ সালের মে মাসে আন্তর্জাতিক এক পর্নো সাইটে প্রথম ভিডিও আপলোড করেন। এরপর এক বছরের মধ্যে তাঁরা ১১২টি ভিডিও আপলোড করেছেন, যেগুলো বিশ্বব্যাপী ২ কোটি ৬৭ লাখের বেশিবার দেখা হয়েছে।
এই যুগল এতটাই জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন যে, ২০২৫ সালের অক্টোবর মাসে আন্তর্জাতিক পারফর্মার র্যাঙ্কিংয়ে তাঁদের অবস্থান উঠে আসে অষ্টম স্থানে। ভিডিও আপলোড ছাড়াও তাঁরা বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম—বিশেষ করে, ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম ও টেলিগ্রামের মাধ্যমে নিজেদের কর্মকাণ্ডের প্রচারণা চালাতেন। এসব প্ল্যাটফর্মে নতুনদের এ কাজে যুক্ত হওয়ার আহ্বান জানানো হতো।
তদন্তকারীরা বলছেন, আগ্রহীদের ‘ক্রিয়েটর’ হিসেবে যুক্ত করতে তাঁরা টেলিগ্রাম চ্যানেলে নানা প্রলোভন দেখিয়ে বিজ্ঞাপন দিতেন। নতুন কেউ যুক্ত হলে তাঁকে নগদ অর্থ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হতো। কেউ যোগাযোগ করলে তাঁদের ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করতে উৎসাহিত করতেন আজিম ও বৃষ্টি।
সিআইডির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এই যুগল প্রাথমিক বিদ্যালয়ের গণ্ডি পেরোতে পারেননি। তবে অনলাইনে তাঁদের বিলাসবহুল জীবনধারার নানা ছবি পাওয়া যায়, যা সমাজে নেতিবাচক বার্তা দিচ্ছে। এসব কার্যক্রম সামাজিক ও নৈতিকভাবে যেমন উদ্বেগজনক, তেমনি দেশের প্রচলিত আইনেরও লঙ্ঘন।
অভিযানের সময় তাঁদের কাছ থেকে মোবাইল ফোন, সিম কার্ড, ক্যামেরা, ট্রাইপডসহ ভিডিও ধারণের বিভিন্ন যন্ত্রপাতি জব্দ করা হয়েছে। তাঁদের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা রুজু করা হয়েছে। একই সঙ্গে আদালতে সোপর্দ করে রিমান্ড চেয়ে আবেদন করা হবে বলে জানিয়েছে সিআইডি।
সিআইডির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, পর্নোগ্রাফি ছড়িয়ে দেওয়ার সঙ্গে যুক্ত অন্যদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তারে তদন্ত অব্যাহত রয়েছে।

রাজধানীর ফার্মগেট পার হয়ে রাজাবাজার। সেখানে একটি বাড়ি খুঁজে খুঁজে হয়রান। ওই বাড়ির একজনের নাম শুনে চিনলেও বাড়িটি নিশ্চিত করতে পারলেন না। ওই নামটি সুইডেন আসলাম। রাজধানীর ২৩ শীর্ষ সন্ত্রাসীর অন্যতম। পুরো নাম শেখ মোহাম্মদ আসলাম, ২৫ বছর ধরে যাঁর ঠিকানা কারাগার। এখন আছেন কাশিমপুর কারাগারের হাই সিকিউরিটি স
১৩ জানুয়ারি ২০২৩
এক বিজ্ঞপ্তিতে সিআইডি জানিয়েছে, নূরে আলম একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সদস্য। তিনি ফেসবুকে এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে যোগাযোগ করে জানান, তাঁর নামে বিদেশ থেকে একটি পার্সেল এসেছে, যা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাস্টম হাউসে জমা আছে। পার্সেল ছাড়াতে টাকা লাগবে—এ দাবি করে পার্সেলের ছবিও পাঠান তিনি।
২ দিন আগে
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সভায় উপস্থিত বিএফআইইউ প্রতিনিধি বলেন, এমএফএস অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে জুয়া ও প্রতারণা বন্ধে বিটিআরসির (বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন) মাধ্যমে বার্তা দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া এমএফএস প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে বৈঠক করে তাদের কিছু নির্দেশনাও দেওয়া হবে। যেসব অ্যাকাউন্ট ব্লক (স্থগিত)
২ দিন আগে
জনপ্রিয় চিত্রনায়ক সালমান শাহর মৃত্যুর ঘটনায় করা অপমৃত্যুর মামলাকে হত্যা মামলা হিসেবে নথিভুক্ত করার আদেশ দিয়েছেন আদালত। ঘটনার ২৯ বছর পর আজ সোমবার (২০ অক্টোবর) ঢাকার ষষ্ঠ অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ মো. জান্নাতুল ফেরদৌস ইবনে হক এ আদেশ দেন।
৩ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

জনপ্রিয় চিত্রনায়ক সালমান শাহর মৃত্যুর ঘটনায় করা অপমৃত্যুর মামলাকে হত্যা মামলা হিসেবে নথিভুক্ত করার আদেশ দিয়েছেন আদালত। ঘটনার ২৯ বছর পর আজ সোমবার (২০ অক্টোবর) ঢাকার ষষ্ঠ অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ মো. জান্নাতুল ফেরদৌস ইবনে হক এ আদেশ দেন।
সালমান শাহের মৃত্যুকে ‘অপমৃত্যু’ হিসেবে দ্বিতীয় দফায় দেওয়া আদালতের রায়ের বিরুদ্ধের তাঁর মা নীলা চৌধুরী দ্বিতীয় দফায় যে রিভিশন মামলা করেছিলেন, তা মঞ্জুর করে আজ এই আদেশ দিলেন আদালত।
রিভিশনকারী পক্ষের আইনজীবী মো. ওবায়দুল্লাহ জানান, আদেশে চাঞ্চল্যকর এ ঘটনার অধিকতর তদন্তের প্রয়োজন রয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়। তাই অপমৃত্যুর মামলাকে হত্যা মামলা হিসেবে নথিভুক্ত করে রমনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে অধিকতর তদন্তের নির্দেশ দেন আদালত।
নীলা চৌধুরীর এ রিভিশন মামলার শুনানি শেষে গত ১৩ অক্টোবর আদালত আদেশের জন্য ২০ অক্টোবর দিন করেন।
১৯৯৬ সালের ৬ সেপ্টেম্বর মারা যান চিত্রনায়ক চৌধুরী মোহাম্মদ শাহরিয়ার (ইমন) ওরফে সালমান শাহ। সে সময় এ বিষয়ে রমনা থানায় অপমৃত্যুর মামলা করেছিলেন তাঁর বাবা কমরউদ্দিন আহমদ চৌধুরী।
পরের বছর ২৪ জুলাই ছেলেকে হত্যা করা হয়েছে অভিযোগ করে আবার আদালতে মামলা করেন তাঁর বাবা। ওই সময় সিআইডিকে অপমৃত্যুর মামলার সঙ্গে হত্যার অভিযোগ তদন্তের নির্দেশ দেন আদালত।
১৯৯৭ সালের ৩ নভেম্বর সিআইডি ঘটনাটিকে ‘আত্মহত্যা’ চূড়ান্ত প্রতিবেদন জমা দেয়। ২৫ নভেম্বর ঢাকার সিএমএম আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন গৃহীত হয়।
ওই প্রতিবেদন প্রত্যাখ্যান করে দায়রা জজ আদালতে রিভিশন মামলা করেন কমরউদ্দিন আহমদ চৌধুরী। ২০০৩ সালের ১৯ মে মামলাটি বিচার বিভাগীয় তদন্তে পাঠান আদালত। দীর্ঘ ১১ বছর পর ২০১৪ সালের ৩ আগস্ট আদালতে বিচার বিভাগীয় তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ইমদাদুল হক। ওই প্রতিবেদনেও সালমান শাহর মৃত্যুকে অপমৃত্যু বলা হয়।
কমরউদ্দিন আহমদ চৌধুরীর মৃত্যুর পর ছেলে রিভিশন মামলার বাদী হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হন মা নীলা চৌধুরী। ২০১৫ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি তিনি সিএমএম আদালতে বিচার বিভাগীয় তদন্ত প্রতিবেদনের বিরুদ্ধে নারাজির আবেদন করেন। সর্বশেষ মামলাটি পিবিআই তদন্ত করে।
২০২০ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি পিবিআইয়ের পুলিশ পরিদর্শক সিরাজুল ইসলাম চূড়ান্ত প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করেন। ২০২১ সালের ৩১ অক্টোবর আদালত ওই প্রতিবেদন গ্রহণ করে মামলাটি নিষ্পত্তি করেন। ২০২২ সালের ১২ জুন এই আদেশের বিরুদ্ধে ঢাকার মহানগর দায়রা জজ আদালতে আবার রিভিশন মামলা করে বাদীপক্ষ।
রিভিশন মামলায় বলা হয়, সালমান শাহকে হত্যা করা হয়েছে। কিন্তু তদন্তে বারবার তাঁর মৃত্যুকে ‘অপমৃত্যু’ হিসেবে বলা হচ্ছে। কারও দ্বারা প্রভাবিত হয়ে হত্যাকে ধামাচাপা দেওয়া হচ্ছে। এ কারণে আরও তদন্ত হওয়া প্রয়োজন।
ভক্তদের মানববন্ধন
এদিকে সালমান শাহর ভক্তরা সকাল থেকে আদালত এলাকায় হাজির হন। হত্যার বিচার চেয়ে আদালতে সমাবেশ ও মানববন্ধন করেন তাঁরা। তাঁদের দাবি, সালমান শাহকে হত্যা করা হয়েছে। এই হত্যার আরও তদন্ত হওয়া প্রয়োজন। হত্যাকারীদের খুঁজে বের করে বিচারের দাবি জানান তাঁরা। এ সময় তাঁরা সালমান শাহ হত্যার বিচার চেয়ে স্লোগান দেন।

জনপ্রিয় চিত্রনায়ক সালমান শাহর মৃত্যুর ঘটনায় করা অপমৃত্যুর মামলাকে হত্যা মামলা হিসেবে নথিভুক্ত করার আদেশ দিয়েছেন আদালত। ঘটনার ২৯ বছর পর আজ সোমবার (২০ অক্টোবর) ঢাকার ষষ্ঠ অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ মো. জান্নাতুল ফেরদৌস ইবনে হক এ আদেশ দেন।
সালমান শাহের মৃত্যুকে ‘অপমৃত্যু’ হিসেবে দ্বিতীয় দফায় দেওয়া আদালতের রায়ের বিরুদ্ধের তাঁর মা নীলা চৌধুরী দ্বিতীয় দফায় যে রিভিশন মামলা করেছিলেন, তা মঞ্জুর করে আজ এই আদেশ দিলেন আদালত।
রিভিশনকারী পক্ষের আইনজীবী মো. ওবায়দুল্লাহ জানান, আদেশে চাঞ্চল্যকর এ ঘটনার অধিকতর তদন্তের প্রয়োজন রয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়। তাই অপমৃত্যুর মামলাকে হত্যা মামলা হিসেবে নথিভুক্ত করে রমনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে অধিকতর তদন্তের নির্দেশ দেন আদালত।
নীলা চৌধুরীর এ রিভিশন মামলার শুনানি শেষে গত ১৩ অক্টোবর আদালত আদেশের জন্য ২০ অক্টোবর দিন করেন।
১৯৯৬ সালের ৬ সেপ্টেম্বর মারা যান চিত্রনায়ক চৌধুরী মোহাম্মদ শাহরিয়ার (ইমন) ওরফে সালমান শাহ। সে সময় এ বিষয়ে রমনা থানায় অপমৃত্যুর মামলা করেছিলেন তাঁর বাবা কমরউদ্দিন আহমদ চৌধুরী।
পরের বছর ২৪ জুলাই ছেলেকে হত্যা করা হয়েছে অভিযোগ করে আবার আদালতে মামলা করেন তাঁর বাবা। ওই সময় সিআইডিকে অপমৃত্যুর মামলার সঙ্গে হত্যার অভিযোগ তদন্তের নির্দেশ দেন আদালত।
১৯৯৭ সালের ৩ নভেম্বর সিআইডি ঘটনাটিকে ‘আত্মহত্যা’ চূড়ান্ত প্রতিবেদন জমা দেয়। ২৫ নভেম্বর ঢাকার সিএমএম আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন গৃহীত হয়।
ওই প্রতিবেদন প্রত্যাখ্যান করে দায়রা জজ আদালতে রিভিশন মামলা করেন কমরউদ্দিন আহমদ চৌধুরী। ২০০৩ সালের ১৯ মে মামলাটি বিচার বিভাগীয় তদন্তে পাঠান আদালত। দীর্ঘ ১১ বছর পর ২০১৪ সালের ৩ আগস্ট আদালতে বিচার বিভাগীয় তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ইমদাদুল হক। ওই প্রতিবেদনেও সালমান শাহর মৃত্যুকে অপমৃত্যু বলা হয়।
কমরউদ্দিন আহমদ চৌধুরীর মৃত্যুর পর ছেলে রিভিশন মামলার বাদী হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হন মা নীলা চৌধুরী। ২০১৫ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি তিনি সিএমএম আদালতে বিচার বিভাগীয় তদন্ত প্রতিবেদনের বিরুদ্ধে নারাজির আবেদন করেন। সর্বশেষ মামলাটি পিবিআই তদন্ত করে।
২০২০ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি পিবিআইয়ের পুলিশ পরিদর্শক সিরাজুল ইসলাম চূড়ান্ত প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করেন। ২০২১ সালের ৩১ অক্টোবর আদালত ওই প্রতিবেদন গ্রহণ করে মামলাটি নিষ্পত্তি করেন। ২০২২ সালের ১২ জুন এই আদেশের বিরুদ্ধে ঢাকার মহানগর দায়রা জজ আদালতে আবার রিভিশন মামলা করে বাদীপক্ষ।
রিভিশন মামলায় বলা হয়, সালমান শাহকে হত্যা করা হয়েছে। কিন্তু তদন্তে বারবার তাঁর মৃত্যুকে ‘অপমৃত্যু’ হিসেবে বলা হচ্ছে। কারও দ্বারা প্রভাবিত হয়ে হত্যাকে ধামাচাপা দেওয়া হচ্ছে। এ কারণে আরও তদন্ত হওয়া প্রয়োজন।
ভক্তদের মানববন্ধন
এদিকে সালমান শাহর ভক্তরা সকাল থেকে আদালত এলাকায় হাজির হন। হত্যার বিচার চেয়ে আদালতে সমাবেশ ও মানববন্ধন করেন তাঁরা। তাঁদের দাবি, সালমান শাহকে হত্যা করা হয়েছে। এই হত্যার আরও তদন্ত হওয়া প্রয়োজন। হত্যাকারীদের খুঁজে বের করে বিচারের দাবি জানান তাঁরা। এ সময় তাঁরা সালমান শাহ হত্যার বিচার চেয়ে স্লোগান দেন।

রাজধানীর ফার্মগেট পার হয়ে রাজাবাজার। সেখানে একটি বাড়ি খুঁজে খুঁজে হয়রান। ওই বাড়ির একজনের নাম শুনে চিনলেও বাড়িটি নিশ্চিত করতে পারলেন না। ওই নামটি সুইডেন আসলাম। রাজধানীর ২৩ শীর্ষ সন্ত্রাসীর অন্যতম। পুরো নাম শেখ মোহাম্মদ আসলাম, ২৫ বছর ধরে যাঁর ঠিকানা কারাগার। এখন আছেন কাশিমপুর কারাগারের হাই সিকিউরিটি স
১৩ জানুয়ারি ২০২৩
এক বিজ্ঞপ্তিতে সিআইডি জানিয়েছে, নূরে আলম একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সদস্য। তিনি ফেসবুকে এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে যোগাযোগ করে জানান, তাঁর নামে বিদেশ থেকে একটি পার্সেল এসেছে, যা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাস্টম হাউসে জমা আছে। পার্সেল ছাড়াতে টাকা লাগবে—এ দাবি করে পার্সেলের ছবিও পাঠান তিনি।
২ দিন আগে
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সভায় উপস্থিত বিএফআইইউ প্রতিনিধি বলেন, এমএফএস অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে জুয়া ও প্রতারণা বন্ধে বিটিআরসির (বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন) মাধ্যমে বার্তা দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া এমএফএস প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে বৈঠক করে তাদের কিছু নির্দেশনাও দেওয়া হবে। যেসব অ্যাকাউন্ট ব্লক (স্থগিত)
২ দিন আগে
দেশে বসেই আন্তর্জাতিক পর্নো সাইটে সক্রিয় ছিলেন তাঁরা। ভিডিও বানিয়ে আপলোড করতেন বিভিন্ন ওয়েবসাইটে। শুধু নিজেরাই নন, এই দম্পতি অন্যদেরও এ কাজে যুক্ত করতেন বলে অভিযোগ। অবশেষে সেই আলোচিত যুগলকে বান্দরবানে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
৩ দিন আগে