নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য (এমপি) আনোয়ারুল আজীম আনার হত্যায় জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেপ্তার আওয়ামী লীগ নেতা সাইদুল করিম মিন্টুকে আট দিনের রিমান্ডে নিয়েছে ডিবি। আজ বৃহস্পতিবার ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তোফাজ্জল হোসেন এই রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
দুপুরের পর ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মিন্টুকে ১০ দিনের রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন জানিয়ে আদালতে পাঠায় মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ ডিবি। তদন্ত কর্মকর্তা ডিবির সহকারী পুলিশ কমিশনার মাহফুজুর রহমান রিমান্ডের এ আবেদন জানান। অন্যদিকে আসামিপক্ষে রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিনের আবেদন করেন আইনজীবী। শুনানি শেষে আদালত আট দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
রিমান্ডের বিষয়টি আজকের পত্রিকাকে নিশ্চিত করেছেন ঢাকার আদালতের শেরেবাংলা নগর থানার সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা উপপরিদর্শক (এসআই) জালাল উদ্দিন।
১১ জুন রাতে রাজধানীর ধানমন্ডি থেকে মিন্টুকে আটক করে গোয়েন্দা পুলিশের একটি দল। এরপর তাঁকে ডিবি অফিসে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। আজ তাঁকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
আনোয়ারুল আজীম ভারতে খুন হওয়ার ঘটনায় গত ২২ মে ঢাকার শেরেবাংলা নগর থানায় অপহরণের পর বাবাকে গুম করার অভিযোগে মামলা করেন তাঁর মেয়ে মুমতারিন ফেরদৌস ডরিন।
মামলার এজাহারে এমপির মেয়ে উল্লেখ করেন, ৯ মে রাত ৮টার দিকে তাঁর বাবা মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ের সংসদ সদস্য ভবনের বাসা থেকে গ্রামের বাড়ি ঝিনাইদহে যাওয়ার উদ্দেশে রওনা হন। ১১ মে ৪টা ৪৫ মিনিটে তাঁর বাবার সঙ্গে মোবাইলে ভিডিও কলে কথা বললে বাবার কথাবার্তা কিছুটা অসংলগ্ন মনে হয়। এরপর মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল দিলে নম্বরটি বন্ধ পান।
গত ১৩ মে আনারের ভারতীয় নম্বর থেকে হোয়াটসঅ্যাপে একটি মেসেজ আসে। মেসেজে লেখা ছিল, ‘আমি হঠাৎ করে দিল্লি যাচ্ছি, আমার সঙ্গে ভিআইপি আছে। আমি অমিত শাহের কাছে যাচ্ছি। আমাকে ফোন দেওয়ার দরকার নেই। পরে ফোন দেব।’ এ ছাড়া আরও কয়েকটি মেসেজ আসে। মেসেজগুলো মুনতারিনের বাবার মোবাইল ফোন ব্যবহার করে অপহরণকারীরা করে থাকতে পারে বলে এজাহারে বলা হয়।
এজাহারে আরও বলা হয়, বাদীর বাবা ভারতে খুন হয়েছেন বলে তিনি জানতে পেরেছেন। তবে এখনো বাবার লাশ পাননি তাঁর পরিবার। তাঁর বাবাকে অপহরণ করে খুন করা হয়েছে বলে শোনা যাচ্ছে।
আনোয়ারুল আজীম গত ১২ মে দর্শনা–গেদে সীমান্ত দিয়ে চিকিৎসার জন্য ভারতে যান। বরাহনগরের স্বর্ণ ব্যবসায়ী বন্ধু গোপাল বিশ্বাসের বাড়িতে ওঠেন। কিন্তু ১৬ মে থেকে তাঁর সঙ্গে আর যোগাযোগ করতে না পারায় নিখোঁজ জানিয়ে ১৮ মে বরাহনগর থানায় জিডি করেন গোপাল বিশ্বাস।
গত ২২ মে সকালে ভারতীয় সংবাদমাধ্যমে আনোয়ারুল আজীম খুন হওয়ার খবর আসে। এরপর তাঁর মেয়ে শেরেবাংলা নগর থানায় অপহরণের পর গুম করার অভিযোগে মামলা দায়ের করেন।
এর আগে এই মামলায় শিমুল ভূঁইয়া, তাঁর ভাতিজা তানভীর ভূঁইয়া, শিলাস্তি রহমানকে ও ঝিনাইদহের আরেক আওয়ামী লীগ নেতা কামাল আহমেদ বাবু ওরফে গ্যাস বাবুকে গ্রেপ্তার করা হয়। প্রথম তিনজনকে দুই দফায় রিমান্ডে নেওয়ার পর তাঁরা আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়ে হত্যার দায় স্বীকার করেন। বর্তমানে এই তিনজন কারাগারে আছেন। অন্যদিকে গ্যাস বাবুকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
হত্যার পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য আর্থিক লেনদেনে জড়িত ছিলেন মিন্টু
তদন্ত কর্মকর্তা রিমান্ড আবেদনে উল্লেখ করেন, সাইদুল করিম ওরফে মিন্টুর সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনারকে অপহরণের পর হত্যার পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য মূল পরিকল্পনাকারী আক্তারুজ্জামান শাহীনের সঙ্গে লেনদেনের সংশ্লিষ্টতা রয়েছে। ইতিপূর্বে আটক গ্যাস বাবুকে জিজ্ঞাসাবাদে এসব তথ্য পাওয়া গেছে। গত ৫ ও ৬ মে শাহীনের হোয়াটসঅ্যাপে মিন্টু কথা বলেছেন বলে তথ্য উদ্ধার করা হয়েছে। এসব কথায় আর্থিক লেনদেনের বিষয়টি স্পষ্ট হয়েছে।
তদন্ত কর্মকর্তা আরও উল্লেখ করেন, বহুল আলোচিত এমপি অপহরণে সরাসরি জড়িত ছিলেন সাইদুল করিম মিন্টু। এই মামলায় ইতিপূর্বে গ্রেপ্তার শিমুল ভূঁইয়ার স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতেও মিন্টুর নাম বর্ণিত আছে।
মিন্টুকে আটকের পর জিজ্ঞাসাবাদের সময় তিনি বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রদান করছেন। একেক সময় একেক রকম তথ্য দিচ্ছেন।
কী কারণে এবং কেন এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে, এর মূল রহস্য উদ্ঘাটনের জন্য এবং তিনি কতটুকু জড়িত, তা জানার জন্য ও আরও কারা কারা জড়িত তা জানার জন্য জিজ্ঞাসাবাদ করা প্রয়োজন।
ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য (এমপি) আনোয়ারুল আজীম আনার হত্যায় জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেপ্তার আওয়ামী লীগ নেতা সাইদুল করিম মিন্টুকে আট দিনের রিমান্ডে নিয়েছে ডিবি। আজ বৃহস্পতিবার ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তোফাজ্জল হোসেন এই রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
দুপুরের পর ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মিন্টুকে ১০ দিনের রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন জানিয়ে আদালতে পাঠায় মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ ডিবি। তদন্ত কর্মকর্তা ডিবির সহকারী পুলিশ কমিশনার মাহফুজুর রহমান রিমান্ডের এ আবেদন জানান। অন্যদিকে আসামিপক্ষে রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিনের আবেদন করেন আইনজীবী। শুনানি শেষে আদালত আট দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
রিমান্ডের বিষয়টি আজকের পত্রিকাকে নিশ্চিত করেছেন ঢাকার আদালতের শেরেবাংলা নগর থানার সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা উপপরিদর্শক (এসআই) জালাল উদ্দিন।
১১ জুন রাতে রাজধানীর ধানমন্ডি থেকে মিন্টুকে আটক করে গোয়েন্দা পুলিশের একটি দল। এরপর তাঁকে ডিবি অফিসে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। আজ তাঁকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
আনোয়ারুল আজীম ভারতে খুন হওয়ার ঘটনায় গত ২২ মে ঢাকার শেরেবাংলা নগর থানায় অপহরণের পর বাবাকে গুম করার অভিযোগে মামলা করেন তাঁর মেয়ে মুমতারিন ফেরদৌস ডরিন।
মামলার এজাহারে এমপির মেয়ে উল্লেখ করেন, ৯ মে রাত ৮টার দিকে তাঁর বাবা মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ের সংসদ সদস্য ভবনের বাসা থেকে গ্রামের বাড়ি ঝিনাইদহে যাওয়ার উদ্দেশে রওনা হন। ১১ মে ৪টা ৪৫ মিনিটে তাঁর বাবার সঙ্গে মোবাইলে ভিডিও কলে কথা বললে বাবার কথাবার্তা কিছুটা অসংলগ্ন মনে হয়। এরপর মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল দিলে নম্বরটি বন্ধ পান।
গত ১৩ মে আনারের ভারতীয় নম্বর থেকে হোয়াটসঅ্যাপে একটি মেসেজ আসে। মেসেজে লেখা ছিল, ‘আমি হঠাৎ করে দিল্লি যাচ্ছি, আমার সঙ্গে ভিআইপি আছে। আমি অমিত শাহের কাছে যাচ্ছি। আমাকে ফোন দেওয়ার দরকার নেই। পরে ফোন দেব।’ এ ছাড়া আরও কয়েকটি মেসেজ আসে। মেসেজগুলো মুনতারিনের বাবার মোবাইল ফোন ব্যবহার করে অপহরণকারীরা করে থাকতে পারে বলে এজাহারে বলা হয়।
এজাহারে আরও বলা হয়, বাদীর বাবা ভারতে খুন হয়েছেন বলে তিনি জানতে পেরেছেন। তবে এখনো বাবার লাশ পাননি তাঁর পরিবার। তাঁর বাবাকে অপহরণ করে খুন করা হয়েছে বলে শোনা যাচ্ছে।
আনোয়ারুল আজীম গত ১২ মে দর্শনা–গেদে সীমান্ত দিয়ে চিকিৎসার জন্য ভারতে যান। বরাহনগরের স্বর্ণ ব্যবসায়ী বন্ধু গোপাল বিশ্বাসের বাড়িতে ওঠেন। কিন্তু ১৬ মে থেকে তাঁর সঙ্গে আর যোগাযোগ করতে না পারায় নিখোঁজ জানিয়ে ১৮ মে বরাহনগর থানায় জিডি করেন গোপাল বিশ্বাস।
গত ২২ মে সকালে ভারতীয় সংবাদমাধ্যমে আনোয়ারুল আজীম খুন হওয়ার খবর আসে। এরপর তাঁর মেয়ে শেরেবাংলা নগর থানায় অপহরণের পর গুম করার অভিযোগে মামলা দায়ের করেন।
এর আগে এই মামলায় শিমুল ভূঁইয়া, তাঁর ভাতিজা তানভীর ভূঁইয়া, শিলাস্তি রহমানকে ও ঝিনাইদহের আরেক আওয়ামী লীগ নেতা কামাল আহমেদ বাবু ওরফে গ্যাস বাবুকে গ্রেপ্তার করা হয়। প্রথম তিনজনকে দুই দফায় রিমান্ডে নেওয়ার পর তাঁরা আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়ে হত্যার দায় স্বীকার করেন। বর্তমানে এই তিনজন কারাগারে আছেন। অন্যদিকে গ্যাস বাবুকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
হত্যার পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য আর্থিক লেনদেনে জড়িত ছিলেন মিন্টু
তদন্ত কর্মকর্তা রিমান্ড আবেদনে উল্লেখ করেন, সাইদুল করিম ওরফে মিন্টুর সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনারকে অপহরণের পর হত্যার পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য মূল পরিকল্পনাকারী আক্তারুজ্জামান শাহীনের সঙ্গে লেনদেনের সংশ্লিষ্টতা রয়েছে। ইতিপূর্বে আটক গ্যাস বাবুকে জিজ্ঞাসাবাদে এসব তথ্য পাওয়া গেছে। গত ৫ ও ৬ মে শাহীনের হোয়াটসঅ্যাপে মিন্টু কথা বলেছেন বলে তথ্য উদ্ধার করা হয়েছে। এসব কথায় আর্থিক লেনদেনের বিষয়টি স্পষ্ট হয়েছে।
তদন্ত কর্মকর্তা আরও উল্লেখ করেন, বহুল আলোচিত এমপি অপহরণে সরাসরি জড়িত ছিলেন সাইদুল করিম মিন্টু। এই মামলায় ইতিপূর্বে গ্রেপ্তার শিমুল ভূঁইয়ার স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতেও মিন্টুর নাম বর্ণিত আছে।
মিন্টুকে আটকের পর জিজ্ঞাসাবাদের সময় তিনি বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রদান করছেন। একেক সময় একেক রকম তথ্য দিচ্ছেন।
কী কারণে এবং কেন এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে, এর মূল রহস্য উদ্ঘাটনের জন্য এবং তিনি কতটুকু জড়িত, তা জানার জন্য ও আরও কারা কারা জড়িত তা জানার জন্য জিজ্ঞাসাবাদ করা প্রয়োজন।
নরসিংদীর শিবপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হারুনুর রশিদ খান হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত আসামি মহসিন মিয়াকে (৪৬) দুবাই থেকে দেশে ফিরিয়ে এনেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। ইন্টারপোলের রেড নোটিশের ভিত্তিতে দুবাই পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে এবং বাংলাদেশ পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে।
১১ দিন আগেসবার সামনে পিটিয়ে হত্যা, পাথরে শরীর থেঁতলে দেওয়া, নিজের বাড়ির সামনে গুলি করে পায়ের রগ কেটে হত্যা, অস্ত্র দেখিয়ে সর্বস্ব ছিনতাই, চাঁদা না পেয়ে গুলি—এ ধরনের বেশ কয়েকটি ঘটনা কয়েক দিন ধরে বেশ আলোচিত। কিন্তু পুলিশ অনেকটাই নির্বিকার। প্রতিটি ঘটনার সিটিটিভি ফুটেজ থাকলেও সব অপরাধীকে গ্রেপ্তার করেনি পুলিশ।
২২ দিন আগেএবার রাজধানীর শ্যামলীতে ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজ ইতিমধ্যে ভাইরাল হয়েছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। যেখানে দেখা যাচ্ছে, মানিব্যাগ, কাঁধের ব্যাগ ও মোবাইল ফোন নেওয়ার পর ছিনতাইকারীরা এক যুবকের পোশাক ও জুতা খুলে নিয়ে গেছে।
২৩ দিন আগেমোবাইল চুরির ঘটনায় বোরহান নামের এক তরুণকে বেধড়ক মারধর করা হয়। ছেলেকে বাঁচাতে বোরহানের বাবা রুবির পরিবারের সাহায্য চান। বসে এক গ্রাম্য সালিস। তবে সেই সালিসে কোনো মীমাংসা হয় না। এরই মধ্য নিখোঁজ হয়ে যান বোরহান। এতে এলাকায় রব পড়ে বোরহানকে হত্যা ও লাশ গুম করে ফেলা হয়েছে। তখন বোরহানের বাবা থানায় অভিযোগ দা
০৫ জুলাই ২০২৫