Ajker Patrika

ফল অনলাইনে দেওয়ার কথা বলে বাড়তি অর্থ আদায়

বেতাগী (বরগুনা) প্রতিনিধি
ফল অনলাইনে দেওয়ার কথা বলে বাড়তি অর্থ আদায়

বরগুনার বেতাগী পাইলট উচ্চবিদ্যালয়ে বিনা রসিদে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত টাকা আদায়ের অভিযোগ উঠেছে।অভিভাবকদের অভিযোগ, বার্ষিক পরীক্ষার ফলাফল অনলাইনে প্রকাশ করারা কথা বলে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের নির্দেশে এই অর্থ আদায় করা হয়েছে। অথচ ফলাফল অনলাইনে প্রকাশ না করে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ গত মঙ্গলবার রেজাল্ট কার্ডের মাধ্যমে প্রকাশ করে।এরপরই শিক্ষার্থী ও অভিভাবকেরা বিষয়টি নিয়ে ক্ষুব্ধ হন।

জানা গেছে, বেতাগী সরকারি পাইলট উচ্চবিদ্যালয়ে বার্ষিক পরীক্ষা শুরুর আগে বিদ্যালয়ের বেতন ও পরীক্ষার ফির পাশাপাশি প্রত্যেক শিক্ষার্থীকে ফলাফল অনলাইনকরণ বাবদ অতিরিক্ত ১২০ টাকা করে দিতে হয়েছে। তবে এর জন্য কোনো রসিদ দেওয়া হয়নি। তাদের শুধু বেতন ও পরীক্ষার ফির রসিদ দেওয়া হয়। এ ছাড়া শিক্ষা বোর্ডের নির্দেশনা অমান্য করে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ শিক্ষার্থীদের অনুপস্থিতির জন্য জরিমানাসহ বিভিন্ন খাত দেখিয়েও অর্থ আদায় করে আসছে বলেও অভিযোগ। এ বিষয়ে মুখ খুললে পরীক্ষায় নানা জটিলতা ও ফলাফল বিপর্যয়ের আশঙ্কায় বেশির ভাগ শিক্ষার্থী এবং অভিভাবকেরা ভয়ে এর প্রতিবাদ করেননি।

রেজাউল কবির জুয়েল নামের এক অভিভাবক বলেন, তিনি যখন তাঁর ছেলের বার্ষিক পরীক্ষার ফি দিতে যান তখন বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ নির্ধারিত টাকার অতিরিক্ত ১২০ টাকা নেয়। অতিরিক্ত এই টাকা উল্লেখ না করেই রসিদ দিয়েছে। তারা বলেছে, সারা বছরের অনলাইন ফি বাবদ প্রত্যেকের কাছ থেকেই এই টাকা নেওয়া হচ্ছে। কিন্তু এই বিদ্যালয়ে এর আগে কখনো ফলাফল বা অন্য কিছু অনলাইনে প্রকাশ হতে দেখেননি।

মনমথ রঞ্জন মল্লিক নামের আরেক অভিভাবক বলেন, তাঁর মেয়ের বার্ষিক পরীক্ষার ফি দেওয়ার সময় ফলাফল অনলাইন করার কথা জানিয়ে অতিরিক্ত ১২০ টাকা নিয়েছে। কিন্তু ফলাফল অনলাইনে প্রকাশ করেনি। তা ছাড়া সরকারি প্রতিষ্ঠানে রসিদ ছাড়া টাকা নেওয়ার কথা কখনো শুনেননি তিনি।

বেতাগী সরকারি পাইলট উচ্চবিদ্যালয়য়ের প্রধান শিক্ষক গোলাম কবির বলেন, করোনায় পরীক্ষা বন্ধ হওয়ার আগে ফলাফল অনলাইনে প্রকাশ হতো। সামনে পরীক্ষার ফলাফল ও ভর্তি অনলাইনে চালু করবেন। সারা বছরের অনলাইন খরচ হিসেবে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে ১২০ টাকা নেওয়া হয়েছে। সরকারিভাবে এর জন্য তাঁরা কোনো বরাদ্দ পান না। তাঁরা পরে এই টাকার জন্য রসিদের ব্যবস্থা চালু করবেন।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. শহিদুর রহমান বলেন, ফলাফল অনলাইনে প্রকাশের জন্য টাকা নেওয়ার বিষয়টি তাঁর জানা নেই। এ বিষয়ে তিনি খোঁজ নিচ্ছেন।

বিদ্যালয়য়ের সভাপতি ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. সুহৃদ সালেহীন বলেন, রসিদ ছাড়া কোনো শিক্ষার্থীর কাছ থেকে টাকা আদায় করা যাবে না। এ বিষয়ে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ভারতের বিপক্ষে সেমির আগেই ধাক্কা খেল অস্ট্রেলিয়া

পরমাণু শক্তিধর হতে চেয়েছিল তাইওয়ান, সিআইএ এজেন্টের বিশ্বাসঘাতকতায় স্বপ্নভঙ্গ

এলপি গ্যাস, তেল, আটাসহ বেশ কিছু পণ্যে ভ্যাট তুলে দিল এনবিআর

চ্যাম্পিয়নস ট্রফি: রিজার্ভ-ডেতেও সেমিফাইনাল না হলে হৃদয়বিদারক সমীকরণ

অমর্ত্য সেনের বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় যা বললেন জামায়াতের আমির

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত