জহিরুল আলম পিলু, কদমতলী
যাত্রাবাড়ী থানার সামনে প্রধান সড়কের প্রায় অর্ধেক দখল করে রাখা হয় শতাধিক লেগুনা। যেগুলো যাত্রাবাড়ী থেকে চিটাগাং রোড পর্যন্ত চলাচল করে। আর এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে এখান থেকে প্রতি মাসে প্রায় অর্ধ কোটি টাকা চাঁদা নিচ্ছে স্থানীয় প্রভাবশালী একটি গোষ্ঠী। প্রশাসন ও রাজনৈতিক নেতাদের ‘ম্যানেজ’ করেই চলছে বেপরোয়া চাঁদাবাজি। চক্রটির কাছে অসহায় হয়ে পড়েছে লেগুনার চালক ও মালিকেরা। ফলে চাঁদার টাকা পুষিয়ে নিতে নানা বাহানায় মাঝেমধ্যেই বাড়িয়ে দিচ্ছেন লেগুনার ভাড়া। হয়রানির শিকার হচ্ছেন যাত্রীরা।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, এই রোডে প্রতিদিন প্রায় আড়াই শ লেগুনা চলাচল করে। পাঁচ কিলোমিটার রাস্তার জনপ্রতি ভাড়া ২০ টাকা। প্রতি গাড়ি থেকে প্রতিদিন চাঁদা নেওয়া হচ্ছে প্রায় ৭০০ টাকা করে। সরকারি দলের নাম ভাঙিয়ে এই চাঁদাবাজি চালিয়ে যাচ্ছেন পলাশ নামের একজন। এমনকি চাঁদার মধ্যেও আছে নানা খাত। পলাশের নামে ওঠে ৪৮০ টাকা, ম্যাজিস্ট্রেটের দোহাই দিয়ে এর সঙ্গে যোগ হয় ১০০ টাকা, এ ছাড়া লাইনম্যানদের কথা বলে দিনে রাতে দুইবারে ৬০ টাকা করে নেওয়া হয়। এর বাইরেও আছে বিশেষ চাঁদা, যে হিসেবে প্রতি মাসে আলাদা ১ হাজার টাকা করে দিতে হয় মালিকদের।
লেগুনাচালক জাকির অভিযোগ করে বলেন, ‘চাঁদা তো দিতেই হয়। পাশাপাশি মালিকের জমা আর তেল খরচ দিয়ে আমার ও হেলপারের বেতন তেমন একটা থাকে না। কী আর করুম ভাই, পেটের দায়ে তো কাম করতেই হইব।’
ইমরুল কায়েস নামে যাত্রাবাড়ীর এক ব্যবসায়ী বলেন, ‘শুনেছি চাঁদার টাকা বাড়লে লেগুনাচালকেরা মাঝেমধ্যে ৫ টাকা করে ভাড়া বাড়িয়ে দেন। আমার বাসা রায়েরবাগ। আমাকেও কয়েক দিন বেশি দিতে হইছে।’
কামাল নামের আরেক যাত্রী বলেন, ‘চাঁদার টাকা যদি দিতে না হইত তবে তো বর্তমানে ২০ টাকার ভাড়াও ১৫ টাকা নিতে পারত। চাঁদার জন্যই তো তারা বেশিই রাখে।’
আপনারা চাঁদার টাকার ভাগ পাচ্ছেন, এই অভিযোগ নিয়ে জানতে চাইলে যাত্রাবাড়ীর দায়িত্বরত ট্রাফিক ইন্সপেক্টর (টিআই) জাকারিয়া মেনন বলেন, ‘এগুলো কথার কথা। চাঁদা নেওয়ার প্রশ্নই ওঠে না। আমরা কয়েকবার চাঁদাবাজদের সরিয়েও দিয়েছি।’
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন লেগুনাচালকের অভিযোগ, চাঁদা আদায়ে পলাশের সহযোগী বাহার, মিজান, আরিফ ও রাসেল নামে আরও কয়েকজন। তা ছাড়া আগে সাবেক সাংসদ হাবিবুর রহমান মোল্লার নাম ভাঙিয়ে চাঁদাবাজি করত একটি গোষ্ঠী। তিনি মারা যাওয়ার পর উপনির্বাচনে সংসদ সদস্য হন কাজী মনিরুল ইসলাম মনু। এরপর বন্ধ থাকে চাঁদাবাজি। কিন্তু দুই মাস পর ফের মালিক-চালকদের ভয় দেখিয়ে চাঁদা আদায় করে নিচ্ছে পলাশ বাহিনী।
আরেক লেগুনাচালক বলেন, ‘পলাশ কখনো স্বেচ্ছাসেবক লীগ, কখনো আবার ছাত্রলীগ, এমন পরিচয় দিয়ে চাঁদা তুলে নিচ্ছে। যে কারণে কেউ বাধা দেয় না। তা ছাড়া এখানে চালক-মালিকেরা কিছুই না। কার গাড়ি চলবে আর কারটা চলবে না, সবই ঠিক করে দেয় পলাশ।’
এ প্রসঙ্গে ওয়ারী জোনের ডিসি শাহ ইফতেখার আহমেদ আজকের পত্রিকাকে জানান, ‘এই চাঁদাবাজদের সঙ্গে প্রশাসনের কেউ জড়িত থাকলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তা ছাড়া তদন্ত করে চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধেও অভিযান দেওয়া হবে।’
সার্বিক বিষয়ে ঢাকা-৫ আসনের সাংসদ কাজী মনিরুল ইসলাম মনু আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমার নাম ভাঙিয়ে কেউ চাঁদাবাজি করলে অনেক আগেই আমি প্রশাসনকে ব্যবস্থা নিতে বলেছি। এরা আওয়ামী লীগেরও কেউ না। অঙ্গসংগঠনেরও যদি কেউ থাকে আমি পুলিশকে বলব ব্যবস্থা নিতে। আমি এদের কোনোভাবে চিনিও না।’
যাত্রাবাড়ী থানার সামনে প্রধান সড়কের প্রায় অর্ধেক দখল করে রাখা হয় শতাধিক লেগুনা। যেগুলো যাত্রাবাড়ী থেকে চিটাগাং রোড পর্যন্ত চলাচল করে। আর এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে এখান থেকে প্রতি মাসে প্রায় অর্ধ কোটি টাকা চাঁদা নিচ্ছে স্থানীয় প্রভাবশালী একটি গোষ্ঠী। প্রশাসন ও রাজনৈতিক নেতাদের ‘ম্যানেজ’ করেই চলছে বেপরোয়া চাঁদাবাজি। চক্রটির কাছে অসহায় হয়ে পড়েছে লেগুনার চালক ও মালিকেরা। ফলে চাঁদার টাকা পুষিয়ে নিতে নানা বাহানায় মাঝেমধ্যেই বাড়িয়ে দিচ্ছেন লেগুনার ভাড়া। হয়রানির শিকার হচ্ছেন যাত্রীরা।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, এই রোডে প্রতিদিন প্রায় আড়াই শ লেগুনা চলাচল করে। পাঁচ কিলোমিটার রাস্তার জনপ্রতি ভাড়া ২০ টাকা। প্রতি গাড়ি থেকে প্রতিদিন চাঁদা নেওয়া হচ্ছে প্রায় ৭০০ টাকা করে। সরকারি দলের নাম ভাঙিয়ে এই চাঁদাবাজি চালিয়ে যাচ্ছেন পলাশ নামের একজন। এমনকি চাঁদার মধ্যেও আছে নানা খাত। পলাশের নামে ওঠে ৪৮০ টাকা, ম্যাজিস্ট্রেটের দোহাই দিয়ে এর সঙ্গে যোগ হয় ১০০ টাকা, এ ছাড়া লাইনম্যানদের কথা বলে দিনে রাতে দুইবারে ৬০ টাকা করে নেওয়া হয়। এর বাইরেও আছে বিশেষ চাঁদা, যে হিসেবে প্রতি মাসে আলাদা ১ হাজার টাকা করে দিতে হয় মালিকদের।
লেগুনাচালক জাকির অভিযোগ করে বলেন, ‘চাঁদা তো দিতেই হয়। পাশাপাশি মালিকের জমা আর তেল খরচ দিয়ে আমার ও হেলপারের বেতন তেমন একটা থাকে না। কী আর করুম ভাই, পেটের দায়ে তো কাম করতেই হইব।’
ইমরুল কায়েস নামে যাত্রাবাড়ীর এক ব্যবসায়ী বলেন, ‘শুনেছি চাঁদার টাকা বাড়লে লেগুনাচালকেরা মাঝেমধ্যে ৫ টাকা করে ভাড়া বাড়িয়ে দেন। আমার বাসা রায়েরবাগ। আমাকেও কয়েক দিন বেশি দিতে হইছে।’
কামাল নামের আরেক যাত্রী বলেন, ‘চাঁদার টাকা যদি দিতে না হইত তবে তো বর্তমানে ২০ টাকার ভাড়াও ১৫ টাকা নিতে পারত। চাঁদার জন্যই তো তারা বেশিই রাখে।’
আপনারা চাঁদার টাকার ভাগ পাচ্ছেন, এই অভিযোগ নিয়ে জানতে চাইলে যাত্রাবাড়ীর দায়িত্বরত ট্রাফিক ইন্সপেক্টর (টিআই) জাকারিয়া মেনন বলেন, ‘এগুলো কথার কথা। চাঁদা নেওয়ার প্রশ্নই ওঠে না। আমরা কয়েকবার চাঁদাবাজদের সরিয়েও দিয়েছি।’
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন লেগুনাচালকের অভিযোগ, চাঁদা আদায়ে পলাশের সহযোগী বাহার, মিজান, আরিফ ও রাসেল নামে আরও কয়েকজন। তা ছাড়া আগে সাবেক সাংসদ হাবিবুর রহমান মোল্লার নাম ভাঙিয়ে চাঁদাবাজি করত একটি গোষ্ঠী। তিনি মারা যাওয়ার পর উপনির্বাচনে সংসদ সদস্য হন কাজী মনিরুল ইসলাম মনু। এরপর বন্ধ থাকে চাঁদাবাজি। কিন্তু দুই মাস পর ফের মালিক-চালকদের ভয় দেখিয়ে চাঁদা আদায় করে নিচ্ছে পলাশ বাহিনী।
আরেক লেগুনাচালক বলেন, ‘পলাশ কখনো স্বেচ্ছাসেবক লীগ, কখনো আবার ছাত্রলীগ, এমন পরিচয় দিয়ে চাঁদা তুলে নিচ্ছে। যে কারণে কেউ বাধা দেয় না। তা ছাড়া এখানে চালক-মালিকেরা কিছুই না। কার গাড়ি চলবে আর কারটা চলবে না, সবই ঠিক করে দেয় পলাশ।’
এ প্রসঙ্গে ওয়ারী জোনের ডিসি শাহ ইফতেখার আহমেদ আজকের পত্রিকাকে জানান, ‘এই চাঁদাবাজদের সঙ্গে প্রশাসনের কেউ জড়িত থাকলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তা ছাড়া তদন্ত করে চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধেও অভিযান দেওয়া হবে।’
সার্বিক বিষয়ে ঢাকা-৫ আসনের সাংসদ কাজী মনিরুল ইসলাম মনু আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমার নাম ভাঙিয়ে কেউ চাঁদাবাজি করলে অনেক আগেই আমি প্রশাসনকে ব্যবস্থা নিতে বলেছি। এরা আওয়ামী লীগেরও কেউ না। অঙ্গসংগঠনেরও যদি কেউ থাকে আমি পুলিশকে বলব ব্যবস্থা নিতে। আমি এদের কোনোভাবে চিনিও না।’
সবার সামনে পিটিয়ে হত্যা, পাথরে শরীর থেঁতলে দেওয়া, নিজের বাড়ির সামনে গুলি করে পায়ের রগ কেটে হত্যা, অস্ত্র দেখিয়ে সর্বস্ব ছিনতাই, চাঁদা না পেয়ে গুলি—এ ধরনের বেশ কয়েকটি ঘটনা কয়েক দিন ধরে বেশ আলোচিত। কিন্তু পুলিশ অনেকটাই নির্বিকার। প্রতিটি ঘটনার সিটিটিভি ফুটেজ থাকলেও সব অপরাধীকে গ্রেপ্তার করেনি পুলিশ।
১০ দিন আগেএবার রাজধানীর শ্যামলীতে ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজ ইতিমধ্যে ভাইরাল হয়েছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। যেখানে দেখা যাচ্ছে, মানিব্যাগ, কাঁধের ব্যাগ ও মোবাইল ফোন নেওয়ার পর ছিনতাইকারীরা এক যুবকের পোশাক ও জুতা খুলে নিয়ে গেছে।
১১ দিন আগেমোবাইল চুরির ঘটনায় বোরহান নামের এক তরুণকে বেধড়ক মারধর করা হয়। ছেলেকে বাঁচাতে বোরহানের বাবা রুবির পরিবারের সাহায্য চান। বসে এক গ্রাম্য সালিস। তবে সেই সালিসে কোনো মীমাংসা হয় না। এরই মধ্য নিখোঁজ হয়ে যান বোরহান। এতে এলাকায় রব পড়ে বোরহানকে হত্যা ও লাশ গুম করে ফেলা হয়েছে। তখন বোরহানের বাবা থানায় অভিযোগ দা
১৮ দিন আগেমালয়েশিয়ায় জঙ্গিসংশ্লিষ্টতার অভিযোগে আটক করে বাংলাদেশে ফেরত পাঠানোর পর তিনজনকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। আজ শনিবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট এম মিজবাহ উর রহমান তাঁদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
১৮ দিন আগে