শেখ আবু হাসান, খুলনা
মহানগরী খুলনায় `কিশোর গ্যাং’ বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। কয়েক বছর ধরে আধিপত্য বিস্তার ও মাদক ব্যবসাকে কেন্দ্র করে এলাকাভিত্তিক `কিশোর গ্যাং’ গড়ে উঠেছে। দলবদ্ধ হয়ে বখাটে কিশোর-যুবকেরা মেয়েদের উত্যক্ত, অপহরণ, মাদকসেবন, ধর্ষণ, চাঁদাবাজি, খুনের মতো অপরাধে যুক্ত হচ্ছে।
নগরীর বেশ কয়েকটি এলাকায় এদের অপরাধপ্রবণতা আশঙ্কাজনক হারে বেড়েছে। পাড়া-মহল্লায় এ ধরনের অসংখ্য কিশোর গ্যাংয়ের অস্তিত্ব পেয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী সংস্থাগুলো।
গত সোমবার র্যাব-৬-এর এক প্রেস ব্রিফিংয়ে জানানো হয়, খুলনা মহানগরীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে ১২ জন কিশোর ও একজন কিশোরীকে আটক করেছে র্যাব। এ সময় তাদের কাছ থেকে বিভিন্ন ধরনের মাদকদ্রব্য ও ধারালো চাকু উদ্ধার করা হয়। আটক হওয়া এসব কিশোর অপরাধীকে সমাজসেবা অধিদপ্তরের প্রবেশন কর্মকর্তার কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
র্যাব-৬-এর অধিনায়ক লে. কর্নেল মুহাম্মদ মোসতাক আহমদ জানান, সদর কোম্পানির অভিযানিক দল ৭ নভেম্বর নগরীর পুরাতন স্টেশন রোড, ৭ নম্বর ফেরিঘাট ও নিরালা থেকে কিশোর অপরাধীদের আটক করেছে। তারা মাদকাসক্ত হয়ে নানা ধরনের অপরাধ কর্মকাণ্ডের সঙ্গে সম্পৃক্ত হয়। এ ব্যাপারে র্যাবের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে তিনি জানান।
পুলিশ ও সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, গত কয়েক মাসে খুলনায় ধর্ষণ, খুন, ব্লাকমেইলিং ও জিম্মি করে মুক্তিপণ আদায়ের ঘটনায় ১৩ কিশোরকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। কিন্তু মামলার আসামি হওয়া সত্ত্বেও বয়স কম থাকায় তাদের অধিকাংশই জামিনে বেরিয়ে গেছে। মহানগরীর গিলাতলা বিহারি কলোনি থেকে ১ জুলাই রাতে তিন বখাটে কিশোর গ্রেপ্তার হয়। এরা ওই এলাকায় বেড়াতে আসা তিন মাদ্রাসাছাত্রকে জিম্মি করে তাদের পরিবারের কাছে মুক্তিপণ দাবি করেছিল। ওই কিশোরদের বিরুদ্ধে দ্রুত বিচার আইনে মামলা হয়েছে।
এর আগে গত ১০ জুন রাতে মহানগরীর সোনাডাঙ্গায় ধর্ষণ ও এই ঘটনা ভিডিও করে ব্লাকমেইলের ঘটনায় আবির, টুটুল ও রাজু নামের তিন কিশোরকে আটক করা হয়। এদের মধ্যে মামলার মূল আসামি রাজুর বয়স মাত্র ১৫ বছর। পুলিশ তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রিমান্ডের আবেদন করলেও আদালত তা মঞ্জুর করেনি। এ ছাড়া ২০ জানুয়ারি খুলনা পাবলিক স্কুলের ছাত্র ফাহমিদ তানভির রাজিন হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার আসামি আপন (১৪), রিজভী (১৩) ও আলিফ (১৬) আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিলেও বয়সের কারণে জামিনে মুক্তি পেয়েছে। ২০১৮ সালের ২৬ ডিসেম্বর রূপসা হাইস্কুলের ছাত্র সিয়াম হত্যা মামলায় আসামিদের বয়স ১৪ থেকে ২০ বছরের মধ্যে।
গত ৩০ অক্টোবর নগরীর রূপসা এলাকায় সপ্তম শ্রেণির এক স্কুলছাত্রীকে আটকে রেখে ধর্ষণের ঘটনায় আসামি চয়ন ব্যাপারী (২১) গ্রেপ্তার হলে ‘কিশোর গ্যাং’-এর বিষয়টি ফের আলোচনায় আসে। চয়ন ব্যাপারীসহ তার ভাইয়েরা এলাকায় মাদক বিক্রিতে জড়িত। রূপসা স্ট্যান্ড রোড থেকে বান্ধাবাজার, রূপসা সেতু পর্যন্ত দখলে রাখতে তারা কয়েকটি কিশোর গ্যাং তৈরি করেছে। ৩০ অক্টোবর রাতে রূপসার সন্ধ্যা বাজার থেকে ওই স্কুলছাত্রীকে তুলে নিয়ে যায় কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরা
পরে ওয়াপদা বেড়িবাঁধে পরিত্যক্ত বরফকলে আটকে রেখে ধর্ষণ করে। পরের দিন আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে পরিবারের লোকজন খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন। স্কুলছাত্রীর বড় বোন বলেন, ‘তাকে (স্কুলছাত্রী) তুলে নিয়ে যাওয়ার পরের দিন সকালে চয়নের বাড়িতে গিয়ে তার বাবা ও ভাইদের কাছে কাকুতি-মিনতি করে আমার বোনকে ফিরিয়ে আনি। চয়ন তার বাবা, ভাই ও পরিবারের সামনে আমাদের মারধর করে। আমরা কিছু না বলে শুধু মেয়েকে নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি করি।’ স্থানীয় লোকজন জানান, মেয়েটির স্কুলে আসা-যাওয়ার পথে ছেলেটি প্রায়ই উত্ত্যক্ত করত। এ নিয়ে ওর পরিবার শঙ্কায় থাকত। ঘটনার দিন মেয়েটিকে একা পেয়ে চয়ন তাকে জোর করে তুলে নিয়ে যায়।
খুলনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হাসান আল মামুন আজকের পত্রিকাকে জানান, নগরীর কয়েকটি এলাকায় কিশোর গ্যাং গড়ে উঠেছে। এরা নিজেরা মাদকাসক্ত হয়ে মাদক কেনাবেচায় যুক্ত হয় এবং নানা ধরনের অপরাধে নিজেদের জড়িয়ে ফেলে। বিশেষ করে মোড়ে মোড়ে আড্ডা, ইভ টিজিং, ধর্ষণ, চাঁদাবাজিসহ নানা অপরাধে যুক্ত হয়। এদের ব্যাপারে পুলিশ অব্যাহত অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে। তাদের অভিভাবক ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদেরও জানানো হচ্ছে। ওসি আরও জানান, স্কুলছাত্রীর মা বাদী হয়ে রূপসা মোড়ের গোলাম মোস্তফার ছেলে চয়নের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা করেছেন। ২ নভেম্বর নগরীর সাত রাস্তার মোড় থেকে আসামি চয়ন ব্যাপারীকে গ্রেপ্তার করে র্যাব।
জানা গেছে, স্থানীয় প্রভাবশালী ও রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় চয়নসহ আরও কয়েকজন কিশোর গ্যাং তৈরি হয়েছে। এর মধ্যে লেলিন-আশিক গ্রুপ, দোলন গ্রুপসহ বিভিন্ন গ্রুপ এলাকা দাপিয়ে বেড়ায়। এ চক্রের হামলায় এর আগে চাঁনমারী বাজারে মো. আল ফায়েদ (১৭) নামের নবম শ্রেণির স্কুলছাত্র নিহত হয়।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গত কয়েক মাসে ধর্ষণ, খুন, ব্ল্যাকমেইলিং ও জিম্মি করে মুক্তিপণ আদায়ের কয়েকটি ঘটনায় কিশোর অপরাধীদের সম্পৃক্ততা পেয়েছে পুলিশ। তালিকা করে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের কথা জানানো হয়েছে।
এ ব্যাপারে খুলনা সচেতন নাগরিক কমিটির সাবেক সভাপতি ও বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ অধ্যাপক আনোয়ারুল কাদির আজকের পত্রিকাকে বলেন, কিশোরেরা এখন ছোট অপরাধ থেকে বড় ধরনের সামাজিক অপরাধে জড়িয়ে পড়ছে। যেসব শিশু-কিশোর পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন এবং ব্যস্ততা বেড়ে যাওয়ায় সন্তানদের প্রতি অভিভাবকেরা নজর রাখতে পারছেন না, সেসব শিশু-কিশোরের অনেকেই এসব অপরাধ কর্মে জড়িয়ে পড়ছে।
মানবাধিকার বাস্তবায়ন সংস্থা খুলনার সমন্বয়কারী অ্যাডভোকেট মোমিনুল ইসলাম বলেন, মা-বাবার উদাসীনতা, অনলাইনে বিভিন্ন গেম খেলা এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের নেগেটিভ দিক গ্রহণ করায় কিশোরেরা অপরাধে জড়িয়ে পড়ছে। ১৮ বছরের কম বয়স হওয়ার কারণে এদের কিশোর সংশোধনাগারে পাঠানো হয়। সেখানে কারাগারের চেয়ে অনেক ভালো অবস্থায় থাকতে পারে তারা। প্রচলিত আইনে কিশোরদের কঠিন শাস্তির বিধান না থাকার কারণেই গডফাদারেরা এখন কিশোরদের কাজে লাগাচ্ছে। এ ব্যাপারে আইনশৃঙ্খলা সংস্থা এবং সচেতন মহলকে যথাযথ পদক্ষেপ নিলে কিশোর অপরাধ কমে আসবে।
মহানগরী খুলনায় `কিশোর গ্যাং’ বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। কয়েক বছর ধরে আধিপত্য বিস্তার ও মাদক ব্যবসাকে কেন্দ্র করে এলাকাভিত্তিক `কিশোর গ্যাং’ গড়ে উঠেছে। দলবদ্ধ হয়ে বখাটে কিশোর-যুবকেরা মেয়েদের উত্যক্ত, অপহরণ, মাদকসেবন, ধর্ষণ, চাঁদাবাজি, খুনের মতো অপরাধে যুক্ত হচ্ছে।
নগরীর বেশ কয়েকটি এলাকায় এদের অপরাধপ্রবণতা আশঙ্কাজনক হারে বেড়েছে। পাড়া-মহল্লায় এ ধরনের অসংখ্য কিশোর গ্যাংয়ের অস্তিত্ব পেয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী সংস্থাগুলো।
গত সোমবার র্যাব-৬-এর এক প্রেস ব্রিফিংয়ে জানানো হয়, খুলনা মহানগরীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে ১২ জন কিশোর ও একজন কিশোরীকে আটক করেছে র্যাব। এ সময় তাদের কাছ থেকে বিভিন্ন ধরনের মাদকদ্রব্য ও ধারালো চাকু উদ্ধার করা হয়। আটক হওয়া এসব কিশোর অপরাধীকে সমাজসেবা অধিদপ্তরের প্রবেশন কর্মকর্তার কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
র্যাব-৬-এর অধিনায়ক লে. কর্নেল মুহাম্মদ মোসতাক আহমদ জানান, সদর কোম্পানির অভিযানিক দল ৭ নভেম্বর নগরীর পুরাতন স্টেশন রোড, ৭ নম্বর ফেরিঘাট ও নিরালা থেকে কিশোর অপরাধীদের আটক করেছে। তারা মাদকাসক্ত হয়ে নানা ধরনের অপরাধ কর্মকাণ্ডের সঙ্গে সম্পৃক্ত হয়। এ ব্যাপারে র্যাবের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে তিনি জানান।
পুলিশ ও সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, গত কয়েক মাসে খুলনায় ধর্ষণ, খুন, ব্লাকমেইলিং ও জিম্মি করে মুক্তিপণ আদায়ের ঘটনায় ১৩ কিশোরকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। কিন্তু মামলার আসামি হওয়া সত্ত্বেও বয়স কম থাকায় তাদের অধিকাংশই জামিনে বেরিয়ে গেছে। মহানগরীর গিলাতলা বিহারি কলোনি থেকে ১ জুলাই রাতে তিন বখাটে কিশোর গ্রেপ্তার হয়। এরা ওই এলাকায় বেড়াতে আসা তিন মাদ্রাসাছাত্রকে জিম্মি করে তাদের পরিবারের কাছে মুক্তিপণ দাবি করেছিল। ওই কিশোরদের বিরুদ্ধে দ্রুত বিচার আইনে মামলা হয়েছে।
এর আগে গত ১০ জুন রাতে মহানগরীর সোনাডাঙ্গায় ধর্ষণ ও এই ঘটনা ভিডিও করে ব্লাকমেইলের ঘটনায় আবির, টুটুল ও রাজু নামের তিন কিশোরকে আটক করা হয়। এদের মধ্যে মামলার মূল আসামি রাজুর বয়স মাত্র ১৫ বছর। পুলিশ তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রিমান্ডের আবেদন করলেও আদালত তা মঞ্জুর করেনি। এ ছাড়া ২০ জানুয়ারি খুলনা পাবলিক স্কুলের ছাত্র ফাহমিদ তানভির রাজিন হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার আসামি আপন (১৪), রিজভী (১৩) ও আলিফ (১৬) আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিলেও বয়সের কারণে জামিনে মুক্তি পেয়েছে। ২০১৮ সালের ২৬ ডিসেম্বর রূপসা হাইস্কুলের ছাত্র সিয়াম হত্যা মামলায় আসামিদের বয়স ১৪ থেকে ২০ বছরের মধ্যে।
গত ৩০ অক্টোবর নগরীর রূপসা এলাকায় সপ্তম শ্রেণির এক স্কুলছাত্রীকে আটকে রেখে ধর্ষণের ঘটনায় আসামি চয়ন ব্যাপারী (২১) গ্রেপ্তার হলে ‘কিশোর গ্যাং’-এর বিষয়টি ফের আলোচনায় আসে। চয়ন ব্যাপারীসহ তার ভাইয়েরা এলাকায় মাদক বিক্রিতে জড়িত। রূপসা স্ট্যান্ড রোড থেকে বান্ধাবাজার, রূপসা সেতু পর্যন্ত দখলে রাখতে তারা কয়েকটি কিশোর গ্যাং তৈরি করেছে। ৩০ অক্টোবর রাতে রূপসার সন্ধ্যা বাজার থেকে ওই স্কুলছাত্রীকে তুলে নিয়ে যায় কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরা
পরে ওয়াপদা বেড়িবাঁধে পরিত্যক্ত বরফকলে আটকে রেখে ধর্ষণ করে। পরের দিন আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে পরিবারের লোকজন খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন। স্কুলছাত্রীর বড় বোন বলেন, ‘তাকে (স্কুলছাত্রী) তুলে নিয়ে যাওয়ার পরের দিন সকালে চয়নের বাড়িতে গিয়ে তার বাবা ও ভাইদের কাছে কাকুতি-মিনতি করে আমার বোনকে ফিরিয়ে আনি। চয়ন তার বাবা, ভাই ও পরিবারের সামনে আমাদের মারধর করে। আমরা কিছু না বলে শুধু মেয়েকে নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি করি।’ স্থানীয় লোকজন জানান, মেয়েটির স্কুলে আসা-যাওয়ার পথে ছেলেটি প্রায়ই উত্ত্যক্ত করত। এ নিয়ে ওর পরিবার শঙ্কায় থাকত। ঘটনার দিন মেয়েটিকে একা পেয়ে চয়ন তাকে জোর করে তুলে নিয়ে যায়।
খুলনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হাসান আল মামুন আজকের পত্রিকাকে জানান, নগরীর কয়েকটি এলাকায় কিশোর গ্যাং গড়ে উঠেছে। এরা নিজেরা মাদকাসক্ত হয়ে মাদক কেনাবেচায় যুক্ত হয় এবং নানা ধরনের অপরাধে নিজেদের জড়িয়ে ফেলে। বিশেষ করে মোড়ে মোড়ে আড্ডা, ইভ টিজিং, ধর্ষণ, চাঁদাবাজিসহ নানা অপরাধে যুক্ত হয়। এদের ব্যাপারে পুলিশ অব্যাহত অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে। তাদের অভিভাবক ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদেরও জানানো হচ্ছে। ওসি আরও জানান, স্কুলছাত্রীর মা বাদী হয়ে রূপসা মোড়ের গোলাম মোস্তফার ছেলে চয়নের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা করেছেন। ২ নভেম্বর নগরীর সাত রাস্তার মোড় থেকে আসামি চয়ন ব্যাপারীকে গ্রেপ্তার করে র্যাব।
জানা গেছে, স্থানীয় প্রভাবশালী ও রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় চয়নসহ আরও কয়েকজন কিশোর গ্যাং তৈরি হয়েছে। এর মধ্যে লেলিন-আশিক গ্রুপ, দোলন গ্রুপসহ বিভিন্ন গ্রুপ এলাকা দাপিয়ে বেড়ায়। এ চক্রের হামলায় এর আগে চাঁনমারী বাজারে মো. আল ফায়েদ (১৭) নামের নবম শ্রেণির স্কুলছাত্র নিহত হয়।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গত কয়েক মাসে ধর্ষণ, খুন, ব্ল্যাকমেইলিং ও জিম্মি করে মুক্তিপণ আদায়ের কয়েকটি ঘটনায় কিশোর অপরাধীদের সম্পৃক্ততা পেয়েছে পুলিশ। তালিকা করে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের কথা জানানো হয়েছে।
এ ব্যাপারে খুলনা সচেতন নাগরিক কমিটির সাবেক সভাপতি ও বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ অধ্যাপক আনোয়ারুল কাদির আজকের পত্রিকাকে বলেন, কিশোরেরা এখন ছোট অপরাধ থেকে বড় ধরনের সামাজিক অপরাধে জড়িয়ে পড়ছে। যেসব শিশু-কিশোর পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন এবং ব্যস্ততা বেড়ে যাওয়ায় সন্তানদের প্রতি অভিভাবকেরা নজর রাখতে পারছেন না, সেসব শিশু-কিশোরের অনেকেই এসব অপরাধ কর্মে জড়িয়ে পড়ছে।
মানবাধিকার বাস্তবায়ন সংস্থা খুলনার সমন্বয়কারী অ্যাডভোকেট মোমিনুল ইসলাম বলেন, মা-বাবার উদাসীনতা, অনলাইনে বিভিন্ন গেম খেলা এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের নেগেটিভ দিক গ্রহণ করায় কিশোরেরা অপরাধে জড়িয়ে পড়ছে। ১৮ বছরের কম বয়স হওয়ার কারণে এদের কিশোর সংশোধনাগারে পাঠানো হয়। সেখানে কারাগারের চেয়ে অনেক ভালো অবস্থায় থাকতে পারে তারা। প্রচলিত আইনে কিশোরদের কঠিন শাস্তির বিধান না থাকার কারণেই গডফাদারেরা এখন কিশোরদের কাজে লাগাচ্ছে। এ ব্যাপারে আইনশৃঙ্খলা সংস্থা এবং সচেতন মহলকে যথাযথ পদক্ষেপ নিলে কিশোর অপরাধ কমে আসবে।
নরসিংদীর শিবপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হারুনুর রশিদ খান হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত আসামি মহসিন মিয়াকে (৪৬) দুবাই থেকে দেশে ফিরিয়ে এনেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। ইন্টারপোলের রেড নোটিশের ভিত্তিতে দুবাই পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে এবং বাংলাদেশ পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে।
৮ দিন আগেসবার সামনে পিটিয়ে হত্যা, পাথরে শরীর থেঁতলে দেওয়া, নিজের বাড়ির সামনে গুলি করে পায়ের রগ কেটে হত্যা, অস্ত্র দেখিয়ে সর্বস্ব ছিনতাই, চাঁদা না পেয়ে গুলি—এ ধরনের বেশ কয়েকটি ঘটনা কয়েক দিন ধরে বেশ আলোচিত। কিন্তু পুলিশ অনেকটাই নির্বিকার। প্রতিটি ঘটনার সিটিটিভি ফুটেজ থাকলেও সব অপরাধীকে গ্রেপ্তার করেনি পুলিশ।
১৯ দিন আগেএবার রাজধানীর শ্যামলীতে ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজ ইতিমধ্যে ভাইরাল হয়েছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। যেখানে দেখা যাচ্ছে, মানিব্যাগ, কাঁধের ব্যাগ ও মোবাইল ফোন নেওয়ার পর ছিনতাইকারীরা এক যুবকের পোশাক ও জুতা খুলে নিয়ে গেছে।
২১ দিন আগেমোবাইল চুরির ঘটনায় বোরহান নামের এক তরুণকে বেধড়ক মারধর করা হয়। ছেলেকে বাঁচাতে বোরহানের বাবা রুবির পরিবারের সাহায্য চান। বসে এক গ্রাম্য সালিস। তবে সেই সালিসে কোনো মীমাংসা হয় না। এরই মধ্য নিখোঁজ হয়ে যান বোরহান। এতে এলাকায় রব পড়ে বোরহানকে হত্যা ও লাশ গুম করে ফেলা হয়েছে। তখন বোরহানের বাবা থানায় অভিযোগ দা
০৫ জুলাই ২০২৫