আমানুর রহমান রনি, ঢাকা

আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ব্যবহৃত গোয়েন্দা ও নিরাপত্তা সরঞ্জাম অপরাধীদের পাশাপাশি সাধারণ মানুষও ব্যবহার করছে। নিষিদ্ধ হলেও এসব সরঞ্জামের অবৈধ ব্যবহার বাড়ছেই। গত পাঁচ বছরে এমন ৯ ধরনের সরঞ্জামসহ রাজধানীতে অন্তত সোয়া দুই শ অপরাধীকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব ও পুলিশ।
গোয়েন্দা ও নিরাপত্তা সরঞ্জামের যথেচ্ছ ব্যবহার নিয়ে চিন্তিত আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)। তবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বলেছে, এসব সরঞ্জামের অবৈধ ব্যবহার প্রতিরোধে অভিযান চলবে।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বিশেষ পোশাক ও সরঞ্জাম রয়েছে। এগুলো হলো মোবাইল নেটওয়ার্ক জ্যামার, রিপিটার, মোবাইল বুস্টার, স্পাই ক্যাম, দূরনিয়ন্ত্রিত বিশেষ ড্রোন, এনক্রিপটেড অ্যাপস, হাতকড়া, ডিবি ও র্যাবের জ্যাকেট, ওয়াকিটকি। এসব সরঞ্জাম ও পোশাক সাধারণের কাছে আমদানি, বিক্রি, কেনা এবং ব্যবহার সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। তবে সাধারণ কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান কোনো কোনোটি ব্যবহার করতে চাইলে সংশ্লিষ্ট সংস্থার অনুমতি নিতে হয়। কিন্তু নিষিদ্ধ এসব সরঞ্জাম দোকানে বিক্রি হচ্ছে; কিনছে অপরাধী ও সাধারণ মানুষ।
জানা যায়, মোবাইল নেটওয়ার্ক ও ইন্টারনেটের গতি কম-বেশি করার প্রয়োজন হলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী জ্যামার, রিপিটার ও মোবাইল বুস্টার ব্যবহার করে। এগুলো যথেচ্ছ ব্যবহারে আইনগত বাধা রয়েছে। তবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিসংখ্যান বলছে, অবৈধভাবে এগুলো আমদানি, মজুত, বিক্রি ও ব্যবহার বাড়ছে। ২০১৮ সালে র্যাবের ঢাকার পাঁচটি ব্যাটালিয়ন ও বিটিআরসির যৌথ অভিযানে বায়তুল মোকাররম মার্কেটসহ রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে ১৩ জন, ২০১৯ সালে ৯ জন, ২০২০ সালে ১৬ জন, ২০২১ সালে ২১ জন এবং ২০২২ সালে অন্তত ২৬ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের কাছ থেকে দেড় শতাধিক জ্যামার, দুই শতাধিক মোবাইল বুস্টার ও কয়েক শ ইন্টারনেট রিপিটার উদ্ধার করা হয়। এ ছাড়া ২০১৮ সালে ওয়ারীর একটি বাসা থেকে এক ডজনেরও বেশি জ্যামার উদ্ধার করে পুলিশ। র্যাব ও পুলিশ বলছে, এসব সরঞ্জামের অবৈধ ব্যবহারে কল ড্রপ ও মোবাইল নেটওয়ার্কে জটিলতা সৃষ্টি হয়।
র্যাব ও বিটিআরসি সূত্র বলেছে, সাধারণ মানুষের কেউ কেউ জ্যামার ব্যবহার করছে। আবার অনেক বড় ব্যবসায়ী, রাজনীতিবিদসহ ক্ষমতাবান ব্যক্তি তাঁদের অফিসে ও বাড়িতে এসব ব্যবহার করেন। বিটিআরসির তথ্যের ভিত্তিতে এমন একটি তালিকা ধরে কাজ করছে র্যাব। এর ধারাবাহিকতায় ৯ ফেব্রুয়ারি বংশাল থানার বসুন্ধরা স্কয়ার মার্কেট এলাকায় অভিযান চালায় র্যাব-১০ ও বিটিআরসি। এ সময় আসলাম, ইউনুছ আলী, সোহেল হোসেন, সাফওয়ান ও হৃদয় নামের পাঁচজনকে এমন সরঞ্জামসহ গ্রেপ্তার করা হয়।
ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেন, অন্যান্য পণ্যের আড়ালে তথ্য গোপন করে জ্যামারসহ এসব আনা হচ্ছে।
র্যাবের গণমাধ্যম ও আইন শাখার পরিচালক খন্দকার আল মঈন আজকের পত্রিকাকে বলেন, র্যাব ও বিটিআরসি কয়েক বছর ধরে এসব অসাধু ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে যৌথভাবে অভিযান চালাচ্ছে। ভবিষ্যতেও তা চলবে।
বিটিআরসি ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বলছে, অপরাধীরা বিভিন্ন ধরনের গোপন অ্যাপ ব্যবহার করছে। এর মাধ্যমে কোনো ফুটপ্রিন্ট বা প্রমাণ ছাড়াই নিজেদের মধ্যে যোগাযোগ করে তারা। গত বছর আদালত থেকে জঙ্গি ছিনতাইয়ের আগে জঙ্গি সংগঠনটির সদস্যরা গোপন অ্যাপের মাধ্যমে যোগাযোগ করেছিল। এমনকি বোমা তৈরির টিউটোরিয়ালের ভিডিও তৈরি করে তা গোপন অ্যাপে নিজেদের মধ্যে আদান-প্রদান করত জঙ্গিরা।
ডিএমপির কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্স ন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের প্রধান মো. আসাদুজ্জামান বলেন, জঙ্গিরা নিজেদের মধ্যে যোগাযোগ করতে নিরাপদে মোবাইলের গোপন অ্যাপ ব্যবহার করে।
ডিবির সরঞ্জাম অপরাধীদের কাছে
রাজধানীতে অবিকল ডিবির মতো জ্যাকেট ব্যবহার করে ডিবি পরিচয়ে অপহরণ ও ছিনতাই ঘটে মাঝেমধ্যে। এমনকি মৌচাকে একটি অভিযানে গিয়ে নকল ডিবির জেরার মুখে পড়েছিল আসল ডিবি। ওই ঘটনার পর নিজেদের জ্যাকেটে কিউআর কোড ব্যবহার শুরু করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। তারপরও ডিবি পরিচয়ে অপরাধ কমছে না।
ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) তথ্য অনুযায়ী, ২০১৮ থেকে ২০২২ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত মহানগর ডিবি ও ৫০ থানা-পুলিশ অন্তত ১৮০ জন ভুয়া ডিবি, পুলিশ ও র্যাব সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে।
একই সময় র্যাব-১, ২, ৩, ৪ ও ১০ ঢাকায় অভিযান চালিয়ে অন্তত ৭৫ জনকে গ্রেপ্তার করে; যারা বিভিন্ন সময় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়ে অপরাধ করেছে। তাদের কাছ থেকে হাতকড়া; র্যাব, ডিবি ও পুলিশ লেখা জ্যাকেট, ওয়াকিটকি ও পিস্তল উদ্ধার করা হয়। তারা অপহরণ ও ছিনতাইয়ে জড়িত ছিল। দেশের বিভিন্ন মার্কেটে হাতকড়া, ওয়াকিটকি ও ডিবি ও র্যাব লেখা জ্যাকেট কিনতে পাওয়া যায়।
সরঞ্জাম হোম ডেলিভারি
রাজধানীর বড় বড় কম্পিউটার যন্ত্রাংশ ও মোবাইল মার্কেটের পাশাপাশি ই-কমার্সের বিভিন্ন সাইট গোয়েন্দা সরঞ্জাম বিক্রি করে। অর্ডার দিলে ঘরে বসেই মেলে এসব সরঞ্জাম। আবার এলাকাভিত্তিক ইন্টারনেট সেবাদানকারীরাও গোপনে এসব সরঞ্জাম বিক্রি করে। গত বছরের ১৪ মে রাতে মোহাম্মদপুর থেকে জ্যামার, নেটওয়ার্ক বুস্টারসহ নোমান ও সোহেল রানা নামের দুজনকে গ্রেপ্তার করে র্যাব-৩।
তাঁরা আইটি স্টল ডটকম ডটবিডি নামক ই-কমার্স ওয়েবসাইট ও ফেসবুক পেজের মাধ্যমে এসব সরঞ্জাম বিক্রি করছিল। অনলাইনে অর্ডার দিলে হোম ডেলিভারি করতেন। এ রকম কয়েকটি প্রতিষ্ঠানকে নজরদারিতে রেখেছে র্যাব।
ডিএমপির ডিবিপ্রধান হারুন অর রশীদ বলেন, ‘কেউ ডিবি পরিচয় দিলে তাকে নাগরিকদের চ্যালেঞ্জ করার অনুরোধ করেছি আমরা। এ ছাড়া আমাদের কর্মীদের গায়ে যে জ্যাকেট থাকে, তাতে কিউআর কোড রয়েছে। তা-ও যাচাই করে দেখতে পারেন।’
মোবাইল অপারেটরদের কল ড্রপের কারণের মধ্যে অবৈধ জ্যামার অন্যতম বলছে বিটিআরসি। তারা যেখানেই এমন সংবাদ পাচ্ছে, সেখানেই র্যাবকে নিয়ে অভিযানে যাচ্ছে। ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী বলেন, প্রচুর জ্যামার বসানোর ফলে নেটওয়ার্ক থাকলেও কল ড্রপ হচ্ছে। এগুলো প্রতিহত করতে হবে।

আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ব্যবহৃত গোয়েন্দা ও নিরাপত্তা সরঞ্জাম অপরাধীদের পাশাপাশি সাধারণ মানুষও ব্যবহার করছে। নিষিদ্ধ হলেও এসব সরঞ্জামের অবৈধ ব্যবহার বাড়ছেই। গত পাঁচ বছরে এমন ৯ ধরনের সরঞ্জামসহ রাজধানীতে অন্তত সোয়া দুই শ অপরাধীকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব ও পুলিশ।
গোয়েন্দা ও নিরাপত্তা সরঞ্জামের যথেচ্ছ ব্যবহার নিয়ে চিন্তিত আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)। তবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বলেছে, এসব সরঞ্জামের অবৈধ ব্যবহার প্রতিরোধে অভিযান চলবে।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বিশেষ পোশাক ও সরঞ্জাম রয়েছে। এগুলো হলো মোবাইল নেটওয়ার্ক জ্যামার, রিপিটার, মোবাইল বুস্টার, স্পাই ক্যাম, দূরনিয়ন্ত্রিত বিশেষ ড্রোন, এনক্রিপটেড অ্যাপস, হাতকড়া, ডিবি ও র্যাবের জ্যাকেট, ওয়াকিটকি। এসব সরঞ্জাম ও পোশাক সাধারণের কাছে আমদানি, বিক্রি, কেনা এবং ব্যবহার সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। তবে সাধারণ কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান কোনো কোনোটি ব্যবহার করতে চাইলে সংশ্লিষ্ট সংস্থার অনুমতি নিতে হয়। কিন্তু নিষিদ্ধ এসব সরঞ্জাম দোকানে বিক্রি হচ্ছে; কিনছে অপরাধী ও সাধারণ মানুষ।
জানা যায়, মোবাইল নেটওয়ার্ক ও ইন্টারনেটের গতি কম-বেশি করার প্রয়োজন হলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী জ্যামার, রিপিটার ও মোবাইল বুস্টার ব্যবহার করে। এগুলো যথেচ্ছ ব্যবহারে আইনগত বাধা রয়েছে। তবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিসংখ্যান বলছে, অবৈধভাবে এগুলো আমদানি, মজুত, বিক্রি ও ব্যবহার বাড়ছে। ২০১৮ সালে র্যাবের ঢাকার পাঁচটি ব্যাটালিয়ন ও বিটিআরসির যৌথ অভিযানে বায়তুল মোকাররম মার্কেটসহ রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে ১৩ জন, ২০১৯ সালে ৯ জন, ২০২০ সালে ১৬ জন, ২০২১ সালে ২১ জন এবং ২০২২ সালে অন্তত ২৬ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের কাছ থেকে দেড় শতাধিক জ্যামার, দুই শতাধিক মোবাইল বুস্টার ও কয়েক শ ইন্টারনেট রিপিটার উদ্ধার করা হয়। এ ছাড়া ২০১৮ সালে ওয়ারীর একটি বাসা থেকে এক ডজনেরও বেশি জ্যামার উদ্ধার করে পুলিশ। র্যাব ও পুলিশ বলছে, এসব সরঞ্জামের অবৈধ ব্যবহারে কল ড্রপ ও মোবাইল নেটওয়ার্কে জটিলতা সৃষ্টি হয়।
র্যাব ও বিটিআরসি সূত্র বলেছে, সাধারণ মানুষের কেউ কেউ জ্যামার ব্যবহার করছে। আবার অনেক বড় ব্যবসায়ী, রাজনীতিবিদসহ ক্ষমতাবান ব্যক্তি তাঁদের অফিসে ও বাড়িতে এসব ব্যবহার করেন। বিটিআরসির তথ্যের ভিত্তিতে এমন একটি তালিকা ধরে কাজ করছে র্যাব। এর ধারাবাহিকতায় ৯ ফেব্রুয়ারি বংশাল থানার বসুন্ধরা স্কয়ার মার্কেট এলাকায় অভিযান চালায় র্যাব-১০ ও বিটিআরসি। এ সময় আসলাম, ইউনুছ আলী, সোহেল হোসেন, সাফওয়ান ও হৃদয় নামের পাঁচজনকে এমন সরঞ্জামসহ গ্রেপ্তার করা হয়।
ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেন, অন্যান্য পণ্যের আড়ালে তথ্য গোপন করে জ্যামারসহ এসব আনা হচ্ছে।
র্যাবের গণমাধ্যম ও আইন শাখার পরিচালক খন্দকার আল মঈন আজকের পত্রিকাকে বলেন, র্যাব ও বিটিআরসি কয়েক বছর ধরে এসব অসাধু ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে যৌথভাবে অভিযান চালাচ্ছে। ভবিষ্যতেও তা চলবে।
বিটিআরসি ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বলছে, অপরাধীরা বিভিন্ন ধরনের গোপন অ্যাপ ব্যবহার করছে। এর মাধ্যমে কোনো ফুটপ্রিন্ট বা প্রমাণ ছাড়াই নিজেদের মধ্যে যোগাযোগ করে তারা। গত বছর আদালত থেকে জঙ্গি ছিনতাইয়ের আগে জঙ্গি সংগঠনটির সদস্যরা গোপন অ্যাপের মাধ্যমে যোগাযোগ করেছিল। এমনকি বোমা তৈরির টিউটোরিয়ালের ভিডিও তৈরি করে তা গোপন অ্যাপে নিজেদের মধ্যে আদান-প্রদান করত জঙ্গিরা।
ডিএমপির কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্স ন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের প্রধান মো. আসাদুজ্জামান বলেন, জঙ্গিরা নিজেদের মধ্যে যোগাযোগ করতে নিরাপদে মোবাইলের গোপন অ্যাপ ব্যবহার করে।
ডিবির সরঞ্জাম অপরাধীদের কাছে
রাজধানীতে অবিকল ডিবির মতো জ্যাকেট ব্যবহার করে ডিবি পরিচয়ে অপহরণ ও ছিনতাই ঘটে মাঝেমধ্যে। এমনকি মৌচাকে একটি অভিযানে গিয়ে নকল ডিবির জেরার মুখে পড়েছিল আসল ডিবি। ওই ঘটনার পর নিজেদের জ্যাকেটে কিউআর কোড ব্যবহার শুরু করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। তারপরও ডিবি পরিচয়ে অপরাধ কমছে না।
ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) তথ্য অনুযায়ী, ২০১৮ থেকে ২০২২ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত মহানগর ডিবি ও ৫০ থানা-পুলিশ অন্তত ১৮০ জন ভুয়া ডিবি, পুলিশ ও র্যাব সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে।
একই সময় র্যাব-১, ২, ৩, ৪ ও ১০ ঢাকায় অভিযান চালিয়ে অন্তত ৭৫ জনকে গ্রেপ্তার করে; যারা বিভিন্ন সময় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়ে অপরাধ করেছে। তাদের কাছ থেকে হাতকড়া; র্যাব, ডিবি ও পুলিশ লেখা জ্যাকেট, ওয়াকিটকি ও পিস্তল উদ্ধার করা হয়। তারা অপহরণ ও ছিনতাইয়ে জড়িত ছিল। দেশের বিভিন্ন মার্কেটে হাতকড়া, ওয়াকিটকি ও ডিবি ও র্যাব লেখা জ্যাকেট কিনতে পাওয়া যায়।
সরঞ্জাম হোম ডেলিভারি
রাজধানীর বড় বড় কম্পিউটার যন্ত্রাংশ ও মোবাইল মার্কেটের পাশাপাশি ই-কমার্সের বিভিন্ন সাইট গোয়েন্দা সরঞ্জাম বিক্রি করে। অর্ডার দিলে ঘরে বসেই মেলে এসব সরঞ্জাম। আবার এলাকাভিত্তিক ইন্টারনেট সেবাদানকারীরাও গোপনে এসব সরঞ্জাম বিক্রি করে। গত বছরের ১৪ মে রাতে মোহাম্মদপুর থেকে জ্যামার, নেটওয়ার্ক বুস্টারসহ নোমান ও সোহেল রানা নামের দুজনকে গ্রেপ্তার করে র্যাব-৩।
তাঁরা আইটি স্টল ডটকম ডটবিডি নামক ই-কমার্স ওয়েবসাইট ও ফেসবুক পেজের মাধ্যমে এসব সরঞ্জাম বিক্রি করছিল। অনলাইনে অর্ডার দিলে হোম ডেলিভারি করতেন। এ রকম কয়েকটি প্রতিষ্ঠানকে নজরদারিতে রেখেছে র্যাব।
ডিএমপির ডিবিপ্রধান হারুন অর রশীদ বলেন, ‘কেউ ডিবি পরিচয় দিলে তাকে নাগরিকদের চ্যালেঞ্জ করার অনুরোধ করেছি আমরা। এ ছাড়া আমাদের কর্মীদের গায়ে যে জ্যাকেট থাকে, তাতে কিউআর কোড রয়েছে। তা-ও যাচাই করে দেখতে পারেন।’
মোবাইল অপারেটরদের কল ড্রপের কারণের মধ্যে অবৈধ জ্যামার অন্যতম বলছে বিটিআরসি। তারা যেখানেই এমন সংবাদ পাচ্ছে, সেখানেই র্যাবকে নিয়ে অভিযানে যাচ্ছে। ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী বলেন, প্রচুর জ্যামার বসানোর ফলে নেটওয়ার্ক থাকলেও কল ড্রপ হচ্ছে। এগুলো প্রতিহত করতে হবে।
আমানুর রহমান রনি, ঢাকা

আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ব্যবহৃত গোয়েন্দা ও নিরাপত্তা সরঞ্জাম অপরাধীদের পাশাপাশি সাধারণ মানুষও ব্যবহার করছে। নিষিদ্ধ হলেও এসব সরঞ্জামের অবৈধ ব্যবহার বাড়ছেই। গত পাঁচ বছরে এমন ৯ ধরনের সরঞ্জামসহ রাজধানীতে অন্তত সোয়া দুই শ অপরাধীকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব ও পুলিশ।
গোয়েন্দা ও নিরাপত্তা সরঞ্জামের যথেচ্ছ ব্যবহার নিয়ে চিন্তিত আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)। তবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বলেছে, এসব সরঞ্জামের অবৈধ ব্যবহার প্রতিরোধে অভিযান চলবে।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বিশেষ পোশাক ও সরঞ্জাম রয়েছে। এগুলো হলো মোবাইল নেটওয়ার্ক জ্যামার, রিপিটার, মোবাইল বুস্টার, স্পাই ক্যাম, দূরনিয়ন্ত্রিত বিশেষ ড্রোন, এনক্রিপটেড অ্যাপস, হাতকড়া, ডিবি ও র্যাবের জ্যাকেট, ওয়াকিটকি। এসব সরঞ্জাম ও পোশাক সাধারণের কাছে আমদানি, বিক্রি, কেনা এবং ব্যবহার সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। তবে সাধারণ কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান কোনো কোনোটি ব্যবহার করতে চাইলে সংশ্লিষ্ট সংস্থার অনুমতি নিতে হয়। কিন্তু নিষিদ্ধ এসব সরঞ্জাম দোকানে বিক্রি হচ্ছে; কিনছে অপরাধী ও সাধারণ মানুষ।
জানা যায়, মোবাইল নেটওয়ার্ক ও ইন্টারনেটের গতি কম-বেশি করার প্রয়োজন হলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী জ্যামার, রিপিটার ও মোবাইল বুস্টার ব্যবহার করে। এগুলো যথেচ্ছ ব্যবহারে আইনগত বাধা রয়েছে। তবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিসংখ্যান বলছে, অবৈধভাবে এগুলো আমদানি, মজুত, বিক্রি ও ব্যবহার বাড়ছে। ২০১৮ সালে র্যাবের ঢাকার পাঁচটি ব্যাটালিয়ন ও বিটিআরসির যৌথ অভিযানে বায়তুল মোকাররম মার্কেটসহ রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে ১৩ জন, ২০১৯ সালে ৯ জন, ২০২০ সালে ১৬ জন, ২০২১ সালে ২১ জন এবং ২০২২ সালে অন্তত ২৬ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের কাছ থেকে দেড় শতাধিক জ্যামার, দুই শতাধিক মোবাইল বুস্টার ও কয়েক শ ইন্টারনেট রিপিটার উদ্ধার করা হয়। এ ছাড়া ২০১৮ সালে ওয়ারীর একটি বাসা থেকে এক ডজনেরও বেশি জ্যামার উদ্ধার করে পুলিশ। র্যাব ও পুলিশ বলছে, এসব সরঞ্জামের অবৈধ ব্যবহারে কল ড্রপ ও মোবাইল নেটওয়ার্কে জটিলতা সৃষ্টি হয়।
র্যাব ও বিটিআরসি সূত্র বলেছে, সাধারণ মানুষের কেউ কেউ জ্যামার ব্যবহার করছে। আবার অনেক বড় ব্যবসায়ী, রাজনীতিবিদসহ ক্ষমতাবান ব্যক্তি তাঁদের অফিসে ও বাড়িতে এসব ব্যবহার করেন। বিটিআরসির তথ্যের ভিত্তিতে এমন একটি তালিকা ধরে কাজ করছে র্যাব। এর ধারাবাহিকতায় ৯ ফেব্রুয়ারি বংশাল থানার বসুন্ধরা স্কয়ার মার্কেট এলাকায় অভিযান চালায় র্যাব-১০ ও বিটিআরসি। এ সময় আসলাম, ইউনুছ আলী, সোহেল হোসেন, সাফওয়ান ও হৃদয় নামের পাঁচজনকে এমন সরঞ্জামসহ গ্রেপ্তার করা হয়।
ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেন, অন্যান্য পণ্যের আড়ালে তথ্য গোপন করে জ্যামারসহ এসব আনা হচ্ছে।
র্যাবের গণমাধ্যম ও আইন শাখার পরিচালক খন্দকার আল মঈন আজকের পত্রিকাকে বলেন, র্যাব ও বিটিআরসি কয়েক বছর ধরে এসব অসাধু ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে যৌথভাবে অভিযান চালাচ্ছে। ভবিষ্যতেও তা চলবে।
বিটিআরসি ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বলছে, অপরাধীরা বিভিন্ন ধরনের গোপন অ্যাপ ব্যবহার করছে। এর মাধ্যমে কোনো ফুটপ্রিন্ট বা প্রমাণ ছাড়াই নিজেদের মধ্যে যোগাযোগ করে তারা। গত বছর আদালত থেকে জঙ্গি ছিনতাইয়ের আগে জঙ্গি সংগঠনটির সদস্যরা গোপন অ্যাপের মাধ্যমে যোগাযোগ করেছিল। এমনকি বোমা তৈরির টিউটোরিয়ালের ভিডিও তৈরি করে তা গোপন অ্যাপে নিজেদের মধ্যে আদান-প্রদান করত জঙ্গিরা।
ডিএমপির কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্স ন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের প্রধান মো. আসাদুজ্জামান বলেন, জঙ্গিরা নিজেদের মধ্যে যোগাযোগ করতে নিরাপদে মোবাইলের গোপন অ্যাপ ব্যবহার করে।
ডিবির সরঞ্জাম অপরাধীদের কাছে
রাজধানীতে অবিকল ডিবির মতো জ্যাকেট ব্যবহার করে ডিবি পরিচয়ে অপহরণ ও ছিনতাই ঘটে মাঝেমধ্যে। এমনকি মৌচাকে একটি অভিযানে গিয়ে নকল ডিবির জেরার মুখে পড়েছিল আসল ডিবি। ওই ঘটনার পর নিজেদের জ্যাকেটে কিউআর কোড ব্যবহার শুরু করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। তারপরও ডিবি পরিচয়ে অপরাধ কমছে না।
ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) তথ্য অনুযায়ী, ২০১৮ থেকে ২০২২ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত মহানগর ডিবি ও ৫০ থানা-পুলিশ অন্তত ১৮০ জন ভুয়া ডিবি, পুলিশ ও র্যাব সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে।
একই সময় র্যাব-১, ২, ৩, ৪ ও ১০ ঢাকায় অভিযান চালিয়ে অন্তত ৭৫ জনকে গ্রেপ্তার করে; যারা বিভিন্ন সময় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়ে অপরাধ করেছে। তাদের কাছ থেকে হাতকড়া; র্যাব, ডিবি ও পুলিশ লেখা জ্যাকেট, ওয়াকিটকি ও পিস্তল উদ্ধার করা হয়। তারা অপহরণ ও ছিনতাইয়ে জড়িত ছিল। দেশের বিভিন্ন মার্কেটে হাতকড়া, ওয়াকিটকি ও ডিবি ও র্যাব লেখা জ্যাকেট কিনতে পাওয়া যায়।
সরঞ্জাম হোম ডেলিভারি
রাজধানীর বড় বড় কম্পিউটার যন্ত্রাংশ ও মোবাইল মার্কেটের পাশাপাশি ই-কমার্সের বিভিন্ন সাইট গোয়েন্দা সরঞ্জাম বিক্রি করে। অর্ডার দিলে ঘরে বসেই মেলে এসব সরঞ্জাম। আবার এলাকাভিত্তিক ইন্টারনেট সেবাদানকারীরাও গোপনে এসব সরঞ্জাম বিক্রি করে। গত বছরের ১৪ মে রাতে মোহাম্মদপুর থেকে জ্যামার, নেটওয়ার্ক বুস্টারসহ নোমান ও সোহেল রানা নামের দুজনকে গ্রেপ্তার করে র্যাব-৩।
তাঁরা আইটি স্টল ডটকম ডটবিডি নামক ই-কমার্স ওয়েবসাইট ও ফেসবুক পেজের মাধ্যমে এসব সরঞ্জাম বিক্রি করছিল। অনলাইনে অর্ডার দিলে হোম ডেলিভারি করতেন। এ রকম কয়েকটি প্রতিষ্ঠানকে নজরদারিতে রেখেছে র্যাব।
ডিএমপির ডিবিপ্রধান হারুন অর রশীদ বলেন, ‘কেউ ডিবি পরিচয় দিলে তাকে নাগরিকদের চ্যালেঞ্জ করার অনুরোধ করেছি আমরা। এ ছাড়া আমাদের কর্মীদের গায়ে যে জ্যাকেট থাকে, তাতে কিউআর কোড রয়েছে। তা-ও যাচাই করে দেখতে পারেন।’
মোবাইল অপারেটরদের কল ড্রপের কারণের মধ্যে অবৈধ জ্যামার অন্যতম বলছে বিটিআরসি। তারা যেখানেই এমন সংবাদ পাচ্ছে, সেখানেই র্যাবকে নিয়ে অভিযানে যাচ্ছে। ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী বলেন, প্রচুর জ্যামার বসানোর ফলে নেটওয়ার্ক থাকলেও কল ড্রপ হচ্ছে। এগুলো প্রতিহত করতে হবে।

আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ব্যবহৃত গোয়েন্দা ও নিরাপত্তা সরঞ্জাম অপরাধীদের পাশাপাশি সাধারণ মানুষও ব্যবহার করছে। নিষিদ্ধ হলেও এসব সরঞ্জামের অবৈধ ব্যবহার বাড়ছেই। গত পাঁচ বছরে এমন ৯ ধরনের সরঞ্জামসহ রাজধানীতে অন্তত সোয়া দুই শ অপরাধীকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব ও পুলিশ।
গোয়েন্দা ও নিরাপত্তা সরঞ্জামের যথেচ্ছ ব্যবহার নিয়ে চিন্তিত আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)। তবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বলেছে, এসব সরঞ্জামের অবৈধ ব্যবহার প্রতিরোধে অভিযান চলবে।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বিশেষ পোশাক ও সরঞ্জাম রয়েছে। এগুলো হলো মোবাইল নেটওয়ার্ক জ্যামার, রিপিটার, মোবাইল বুস্টার, স্পাই ক্যাম, দূরনিয়ন্ত্রিত বিশেষ ড্রোন, এনক্রিপটেড অ্যাপস, হাতকড়া, ডিবি ও র্যাবের জ্যাকেট, ওয়াকিটকি। এসব সরঞ্জাম ও পোশাক সাধারণের কাছে আমদানি, বিক্রি, কেনা এবং ব্যবহার সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। তবে সাধারণ কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান কোনো কোনোটি ব্যবহার করতে চাইলে সংশ্লিষ্ট সংস্থার অনুমতি নিতে হয়। কিন্তু নিষিদ্ধ এসব সরঞ্জাম দোকানে বিক্রি হচ্ছে; কিনছে অপরাধী ও সাধারণ মানুষ।
জানা যায়, মোবাইল নেটওয়ার্ক ও ইন্টারনেটের গতি কম-বেশি করার প্রয়োজন হলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী জ্যামার, রিপিটার ও মোবাইল বুস্টার ব্যবহার করে। এগুলো যথেচ্ছ ব্যবহারে আইনগত বাধা রয়েছে। তবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিসংখ্যান বলছে, অবৈধভাবে এগুলো আমদানি, মজুত, বিক্রি ও ব্যবহার বাড়ছে। ২০১৮ সালে র্যাবের ঢাকার পাঁচটি ব্যাটালিয়ন ও বিটিআরসির যৌথ অভিযানে বায়তুল মোকাররম মার্কেটসহ রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে ১৩ জন, ২০১৯ সালে ৯ জন, ২০২০ সালে ১৬ জন, ২০২১ সালে ২১ জন এবং ২০২২ সালে অন্তত ২৬ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের কাছ থেকে দেড় শতাধিক জ্যামার, দুই শতাধিক মোবাইল বুস্টার ও কয়েক শ ইন্টারনেট রিপিটার উদ্ধার করা হয়। এ ছাড়া ২০১৮ সালে ওয়ারীর একটি বাসা থেকে এক ডজনেরও বেশি জ্যামার উদ্ধার করে পুলিশ। র্যাব ও পুলিশ বলছে, এসব সরঞ্জামের অবৈধ ব্যবহারে কল ড্রপ ও মোবাইল নেটওয়ার্কে জটিলতা সৃষ্টি হয়।
র্যাব ও বিটিআরসি সূত্র বলেছে, সাধারণ মানুষের কেউ কেউ জ্যামার ব্যবহার করছে। আবার অনেক বড় ব্যবসায়ী, রাজনীতিবিদসহ ক্ষমতাবান ব্যক্তি তাঁদের অফিসে ও বাড়িতে এসব ব্যবহার করেন। বিটিআরসির তথ্যের ভিত্তিতে এমন একটি তালিকা ধরে কাজ করছে র্যাব। এর ধারাবাহিকতায় ৯ ফেব্রুয়ারি বংশাল থানার বসুন্ধরা স্কয়ার মার্কেট এলাকায় অভিযান চালায় র্যাব-১০ ও বিটিআরসি। এ সময় আসলাম, ইউনুছ আলী, সোহেল হোসেন, সাফওয়ান ও হৃদয় নামের পাঁচজনকে এমন সরঞ্জামসহ গ্রেপ্তার করা হয়।
ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেন, অন্যান্য পণ্যের আড়ালে তথ্য গোপন করে জ্যামারসহ এসব আনা হচ্ছে।
র্যাবের গণমাধ্যম ও আইন শাখার পরিচালক খন্দকার আল মঈন আজকের পত্রিকাকে বলেন, র্যাব ও বিটিআরসি কয়েক বছর ধরে এসব অসাধু ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে যৌথভাবে অভিযান চালাচ্ছে। ভবিষ্যতেও তা চলবে।
বিটিআরসি ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বলছে, অপরাধীরা বিভিন্ন ধরনের গোপন অ্যাপ ব্যবহার করছে। এর মাধ্যমে কোনো ফুটপ্রিন্ট বা প্রমাণ ছাড়াই নিজেদের মধ্যে যোগাযোগ করে তারা। গত বছর আদালত থেকে জঙ্গি ছিনতাইয়ের আগে জঙ্গি সংগঠনটির সদস্যরা গোপন অ্যাপের মাধ্যমে যোগাযোগ করেছিল। এমনকি বোমা তৈরির টিউটোরিয়ালের ভিডিও তৈরি করে তা গোপন অ্যাপে নিজেদের মধ্যে আদান-প্রদান করত জঙ্গিরা।
ডিএমপির কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্স ন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের প্রধান মো. আসাদুজ্জামান বলেন, জঙ্গিরা নিজেদের মধ্যে যোগাযোগ করতে নিরাপদে মোবাইলের গোপন অ্যাপ ব্যবহার করে।
ডিবির সরঞ্জাম অপরাধীদের কাছে
রাজধানীতে অবিকল ডিবির মতো জ্যাকেট ব্যবহার করে ডিবি পরিচয়ে অপহরণ ও ছিনতাই ঘটে মাঝেমধ্যে। এমনকি মৌচাকে একটি অভিযানে গিয়ে নকল ডিবির জেরার মুখে পড়েছিল আসল ডিবি। ওই ঘটনার পর নিজেদের জ্যাকেটে কিউআর কোড ব্যবহার শুরু করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। তারপরও ডিবি পরিচয়ে অপরাধ কমছে না।
ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) তথ্য অনুযায়ী, ২০১৮ থেকে ২০২২ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত মহানগর ডিবি ও ৫০ থানা-পুলিশ অন্তত ১৮০ জন ভুয়া ডিবি, পুলিশ ও র্যাব সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে।
একই সময় র্যাব-১, ২, ৩, ৪ ও ১০ ঢাকায় অভিযান চালিয়ে অন্তত ৭৫ জনকে গ্রেপ্তার করে; যারা বিভিন্ন সময় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়ে অপরাধ করেছে। তাদের কাছ থেকে হাতকড়া; র্যাব, ডিবি ও পুলিশ লেখা জ্যাকেট, ওয়াকিটকি ও পিস্তল উদ্ধার করা হয়। তারা অপহরণ ও ছিনতাইয়ে জড়িত ছিল। দেশের বিভিন্ন মার্কেটে হাতকড়া, ওয়াকিটকি ও ডিবি ও র্যাব লেখা জ্যাকেট কিনতে পাওয়া যায়।
সরঞ্জাম হোম ডেলিভারি
রাজধানীর বড় বড় কম্পিউটার যন্ত্রাংশ ও মোবাইল মার্কেটের পাশাপাশি ই-কমার্সের বিভিন্ন সাইট গোয়েন্দা সরঞ্জাম বিক্রি করে। অর্ডার দিলে ঘরে বসেই মেলে এসব সরঞ্জাম। আবার এলাকাভিত্তিক ইন্টারনেট সেবাদানকারীরাও গোপনে এসব সরঞ্জাম বিক্রি করে। গত বছরের ১৪ মে রাতে মোহাম্মদপুর থেকে জ্যামার, নেটওয়ার্ক বুস্টারসহ নোমান ও সোহেল রানা নামের দুজনকে গ্রেপ্তার করে র্যাব-৩।
তাঁরা আইটি স্টল ডটকম ডটবিডি নামক ই-কমার্স ওয়েবসাইট ও ফেসবুক পেজের মাধ্যমে এসব সরঞ্জাম বিক্রি করছিল। অনলাইনে অর্ডার দিলে হোম ডেলিভারি করতেন। এ রকম কয়েকটি প্রতিষ্ঠানকে নজরদারিতে রেখেছে র্যাব।
ডিএমপির ডিবিপ্রধান হারুন অর রশীদ বলেন, ‘কেউ ডিবি পরিচয় দিলে তাকে নাগরিকদের চ্যালেঞ্জ করার অনুরোধ করেছি আমরা। এ ছাড়া আমাদের কর্মীদের গায়ে যে জ্যাকেট থাকে, তাতে কিউআর কোড রয়েছে। তা-ও যাচাই করে দেখতে পারেন।’
মোবাইল অপারেটরদের কল ড্রপের কারণের মধ্যে অবৈধ জ্যামার অন্যতম বলছে বিটিআরসি। তারা যেখানেই এমন সংবাদ পাচ্ছে, সেখানেই র্যাবকে নিয়ে অভিযানে যাচ্ছে। ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী বলেন, প্রচুর জ্যামার বসানোর ফলে নেটওয়ার্ক থাকলেও কল ড্রপ হচ্ছে। এগুলো প্রতিহত করতে হবে।

রাজধানীর মোহাম্মদপুরে জেনেভা ক্যাম্পে ‘মাদক কারবারিদের’ দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে জাহিদ নিহতের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ শুক্রবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. ইবনে মিজান আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
৪ দিন আগে
এক বিজ্ঞপ্তিতে সিআইডি জানিয়েছে, নূরে আলম একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সদস্য। তিনি ফেসবুকে এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে যোগাযোগ করে জানান, তাঁর নামে বিদেশ থেকে একটি পার্সেল এসেছে, যা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাস্টম হাউসে জমা আছে। পার্সেল ছাড়াতে টাকা লাগবে—এ দাবি করে পার্সেলের ছবিও পাঠান তিনি।
৭ দিন আগে
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সভায় উপস্থিত বিএফআইইউ প্রতিনিধি বলেন, এমএফএস অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে জুয়া ও প্রতারণা বন্ধে বিটিআরসির (বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন) মাধ্যমে বার্তা দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া এমএফএস প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে বৈঠক করে তাদের কিছু নির্দেশনাও দেওয়া হবে। যেসব অ্যাকাউন্ট ব্লক (স্থগিত)
৭ দিন আগে
দেশে বসেই আন্তর্জাতিক পর্নো সাইটে সক্রিয় ছিলেন তাঁরা। ভিডিও বানিয়ে আপলোড করতেন বিভিন্ন ওয়েবসাইটে। শুধু নিজেরাই নন, এই দম্পতি অন্যদেরও এ কাজে যুক্ত করতেন বলে অভিযোগ। অবশেষে সেই আলোচিত যুগলকে বান্দরবানে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
৮ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

রাজধানীর মোহাম্মদপুরে জেনেভা ক্যাম্পে ‘মাদক কারবারিদের’ দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে জাহিদ নিহতের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
আজ শুক্রবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. ইবনে মিজান আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
গত বুধবার ভোররাতে দুই গ্রুপ মাদক কারবারির সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে নিহত হন জাহিদ (২০)। পরিবারের দাবি, দুপক্ষের সংঘর্ষ চলাকালে জাহিদের পায়ের কাছে ককটেল বিস্ফোরণ হয়। এ সময় স্প্লিন্টার তাঁর ঘাড় ও পিঠে বিদ্ধ হয়। আহত অবস্থায় উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় মোহাম্মদপুর থানায় একটি হত্যা মামলা হয়েছে। সংঘর্ষের পর ঘটনাস্থলে অভিযান পরিচালনা করে র্যাব, পুলিশ ও সেনাবাহিনী। অভিযানে একটি বিদেশি পিস্তল, একটি ম্যাগাজিন ও তিনটি তাজা গুলিসহ বিপুল পরিমাণ দেশি অস্ত্র ও পেট্রলবোমা উদ্ধার করা হয়।
জাহিদের ভগ্নিপতি মো. উজ্জ্বল জানান, রাজধানীর কল্যাণপুরে মিজান টাওয়ারে একটি মোবাইল ফোন সার্ভিসিংয়ের দোকানে কাজ করতেন জাহিদ। বুধবার রাতে বন্ধুদের সঙ্গে রেস্তোরাঁয় খেতে যাওয়ার সময় তাঁরা সংঘর্ষের মধ্যে পড়েন। পরে হাসপাতালে জাহিদের মৃত্যু হয়।
তবে পুলিশ বলছে, ককটেল তৈরির সময় বিস্ফোরণে নিহত হন জাহিদ।

রাজধানীর মোহাম্মদপুরে জেনেভা ক্যাম্পে ‘মাদক কারবারিদের’ দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে জাহিদ নিহতের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
আজ শুক্রবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. ইবনে মিজান আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
গত বুধবার ভোররাতে দুই গ্রুপ মাদক কারবারির সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে নিহত হন জাহিদ (২০)। পরিবারের দাবি, দুপক্ষের সংঘর্ষ চলাকালে জাহিদের পায়ের কাছে ককটেল বিস্ফোরণ হয়। এ সময় স্প্লিন্টার তাঁর ঘাড় ও পিঠে বিদ্ধ হয়। আহত অবস্থায় উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় মোহাম্মদপুর থানায় একটি হত্যা মামলা হয়েছে। সংঘর্ষের পর ঘটনাস্থলে অভিযান পরিচালনা করে র্যাব, পুলিশ ও সেনাবাহিনী। অভিযানে একটি বিদেশি পিস্তল, একটি ম্যাগাজিন ও তিনটি তাজা গুলিসহ বিপুল পরিমাণ দেশি অস্ত্র ও পেট্রলবোমা উদ্ধার করা হয়।
জাহিদের ভগ্নিপতি মো. উজ্জ্বল জানান, রাজধানীর কল্যাণপুরে মিজান টাওয়ারে একটি মোবাইল ফোন সার্ভিসিংয়ের দোকানে কাজ করতেন জাহিদ। বুধবার রাতে বন্ধুদের সঙ্গে রেস্তোরাঁয় খেতে যাওয়ার সময় তাঁরা সংঘর্ষের মধ্যে পড়েন। পরে হাসপাতালে জাহিদের মৃত্যু হয়।
তবে পুলিশ বলছে, ককটেল তৈরির সময় বিস্ফোরণে নিহত হন জাহিদ।

আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ব্যবহৃত গোয়েন্দা ও নিরাপত্তা সরঞ্জাম অপরাধীদের পাশাপাশি সাধারণ মানুষও ব্যবহার করছে। নিষিদ্ধ হলেও এসব সরঞ্জামের অবৈধ ব্যবহার বাড়ছেই। গত পাঁচ বছরে এমন ৯ ধরনের সরঞ্জামসহ রাজধানীতে অন্তত সোয়া দুই শ অপরাধীকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব ও পুলিশ।
১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৩
এক বিজ্ঞপ্তিতে সিআইডি জানিয়েছে, নূরে আলম একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সদস্য। তিনি ফেসবুকে এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে যোগাযোগ করে জানান, তাঁর নামে বিদেশ থেকে একটি পার্সেল এসেছে, যা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাস্টম হাউসে জমা আছে। পার্সেল ছাড়াতে টাকা লাগবে—এ দাবি করে পার্সেলের ছবিও পাঠান তিনি।
৭ দিন আগে
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সভায় উপস্থিত বিএফআইইউ প্রতিনিধি বলেন, এমএফএস অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে জুয়া ও প্রতারণা বন্ধে বিটিআরসির (বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন) মাধ্যমে বার্তা দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া এমএফএস প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে বৈঠক করে তাদের কিছু নির্দেশনাও দেওয়া হবে। যেসব অ্যাকাউন্ট ব্লক (স্থগিত)
৭ দিন আগে
দেশে বসেই আন্তর্জাতিক পর্নো সাইটে সক্রিয় ছিলেন তাঁরা। ভিডিও বানিয়ে আপলোড করতেন বিভিন্ন ওয়েবসাইটে। শুধু নিজেরাই নন, এই দম্পতি অন্যদেরও এ কাজে যুক্ত করতেন বলে অভিযোগ। অবশেষে সেই আলোচিত যুগলকে বান্দরবানে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
৮ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বিদেশ থেকে পার্সেল এসেছে—এমন দাবি করে কাস্টমস থেকে তা ছাড়িয়ে দেওয়ার কথা বলে ১১ লাখ ৮৫ হাজার টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে এক তরুণকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
গতকাল সোমবার রাতে রাজধানীর তেজগাঁও শিল্পাঞ্চলের কুনিপাড়া এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার ওই তরুণের নাম মো. নূরে আলম ওরফে তুহিন (২৪)।
এক বিজ্ঞপ্তিতে সিআইডি জানিয়েছে, নূরে আলম একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সদস্য। তিনি ফেসবুকে এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে যোগাযোগ করে জানান, তাঁর নামে বিদেশ থেকে একটি পার্সেল এসেছে, যা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাস্টম হাউসে জমা আছে। পার্সেল ছাড়াতে টাকা লাগবে—এ দাবি করে পার্সেলের ছবিও পাঠান তিনি।
পরে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন অজুহাতে ভুক্তভোগীর কাছ থেকে বিকাশ ও ব্যাংকের মাধ্যমে ১১ লাখ ৮৫ হাজার টাকা আদায় করেন নূরে আলম। টাকা পাওয়ার পর নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দেন তিনি।
ভুক্তভোগী আদালতের শরণাপন্ন হলে রামপুরা থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করা হয়। মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব পায় সিআইডির সাইবার পুলিশ সেন্টার। পরে নূরে আলমকে গ্রেপ্তার করা হয়।
সিআইডি জানায়, প্রতারক চক্রের অন্য সদস্যদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।

বিদেশ থেকে পার্সেল এসেছে—এমন দাবি করে কাস্টমস থেকে তা ছাড়িয়ে দেওয়ার কথা বলে ১১ লাখ ৮৫ হাজার টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে এক তরুণকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
গতকাল সোমবার রাতে রাজধানীর তেজগাঁও শিল্পাঞ্চলের কুনিপাড়া এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার ওই তরুণের নাম মো. নূরে আলম ওরফে তুহিন (২৪)।
এক বিজ্ঞপ্তিতে সিআইডি জানিয়েছে, নূরে আলম একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সদস্য। তিনি ফেসবুকে এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে যোগাযোগ করে জানান, তাঁর নামে বিদেশ থেকে একটি পার্সেল এসেছে, যা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাস্টম হাউসে জমা আছে। পার্সেল ছাড়াতে টাকা লাগবে—এ দাবি করে পার্সেলের ছবিও পাঠান তিনি।
পরে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন অজুহাতে ভুক্তভোগীর কাছ থেকে বিকাশ ও ব্যাংকের মাধ্যমে ১১ লাখ ৮৫ হাজার টাকা আদায় করেন নূরে আলম। টাকা পাওয়ার পর নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দেন তিনি।
ভুক্তভোগী আদালতের শরণাপন্ন হলে রামপুরা থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করা হয়। মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব পায় সিআইডির সাইবার পুলিশ সেন্টার। পরে নূরে আলমকে গ্রেপ্তার করা হয়।
সিআইডি জানায়, প্রতারক চক্রের অন্য সদস্যদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।

আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ব্যবহৃত গোয়েন্দা ও নিরাপত্তা সরঞ্জাম অপরাধীদের পাশাপাশি সাধারণ মানুষও ব্যবহার করছে। নিষিদ্ধ হলেও এসব সরঞ্জামের অবৈধ ব্যবহার বাড়ছেই। গত পাঁচ বছরে এমন ৯ ধরনের সরঞ্জামসহ রাজধানীতে অন্তত সোয়া দুই শ অপরাধীকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব ও পুলিশ।
১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৩
রাজধানীর মোহাম্মদপুরে জেনেভা ক্যাম্পে ‘মাদক কারবারিদের’ দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে জাহিদ নিহতের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ শুক্রবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. ইবনে মিজান আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
৪ দিন আগে
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সভায় উপস্থিত বিএফআইইউ প্রতিনিধি বলেন, এমএফএস অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে জুয়া ও প্রতারণা বন্ধে বিটিআরসির (বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন) মাধ্যমে বার্তা দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া এমএফএস প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে বৈঠক করে তাদের কিছু নির্দেশনাও দেওয়া হবে। যেসব অ্যাকাউন্ট ব্লক (স্থগিত)
৭ দিন আগে
দেশে বসেই আন্তর্জাতিক পর্নো সাইটে সক্রিয় ছিলেন তাঁরা। ভিডিও বানিয়ে আপলোড করতেন বিভিন্ন ওয়েবসাইটে। শুধু নিজেরাই নন, এই দম্পতি অন্যদেরও এ কাজে যুক্ত করতেন বলে অভিযোগ। অবশেষে সেই আলোচিত যুগলকে বান্দরবানে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
৮ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

জুয়া ও প্রতারণায় জড়িত থাকায় ৫০ হাজারের বেশি এমএফএস (মোবাইলভিত্তিক আর্থিক লেনদেন সেবা) অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ (স্থগিত) করেছে বিএফআইইউ (বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট)। ২০২২ সালের ডিসেম্বর থেকে চলতি মাস পর্যন্ত এই নম্বরগুলো স্থগিত করা হয়।
আজ মঙ্গলবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বিটিআরসি ভবনে ‘অনলাইন জুয়া প্রতিরোধে করণীয়’ শীর্ষক এক সভায় বিএফআইইউর প্রতিনিধি এ তথ্য জানান।
সভায় ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়, ডিজিএফআই (ডিরেক্টরেট জেনারেল অব ফোর্সেস ইন্টেলিজেন্স), এনএসআই (ন্যাশনাল সিকিউরিটি ইন্টেলিজেন্স), এনটিএমসি (ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টার), সিআইডি (ক্রিমিনাল ইনভেস্টিগেশন ডিপার্টমেন্ট), বিএফআইইউ, এমএফএস ও মোবাইল অপারেটরদের প্রতিনিধিরা অংশ নেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সভায় উপস্থিত বিএফআইইউ প্রতিনিধি বলেন, এমএফএস অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে জুয়া ও প্রতারণা বন্ধে বিটিআরসির (বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন) মাধ্যমে বার্তা দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া এমএফএস প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে বৈঠক করে তাদের কিছু নির্দেশনাও দেওয়া হবে। যেসব অ্যাকাউন্ট ব্লক (স্থগিত) করা হয়েছে, সেগুলো থেকে কোথায় কোথায় টাকা লেনদেন করা হয়েছে, তা বিশ্লেষণ করে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে প্রতিবেদন দেওয়া হবে।
ডিজিএফআই প্রতিনিধি জানান, অনলাইন জুয়ার মতো আর্থিক নানা প্রতারণায় বেনামি সিম ব্যবহার করা হচ্ছে। সংঘবদ্ধ চক্র ভুয়া সিম বিক্রি করছে। মানুষের আঙুলের ছাপ ব্যবহার করা হচ্ছে। বিকাশের অ্যাপ নকল করা হয়েছে। নাগরিকদের ডেটাবেইস ডার্ক ওয়েবে পাওয়া যাচ্ছে। এটা নিয়ে নানা অপরাধ সংঘটিত হচ্ছে।
সভায় অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিবিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, সরকার সতর্ক করার পরও অনেক গণমাধ্যমের অনলাইন পোর্টালে এখনো জুয়ার বিজ্ঞাপন প্রচার করা হচ্ছে। এ ধরনের বিজ্ঞাপন প্রচার করলে যেকোনো মুহূর্তে বিনা নোটিশে সংশ্লিষ্ট গণমাধ্যমের পোর্টাল বন্ধ করে দেওয়া হবে। প্রায় সব কটি মিডিয়ার পোর্টালে এখনো অনিরাপদ কনটেন্ট আসে। জুয়ার বিজ্ঞাপন আসে। এখান থেকে তারা টাকা পায়।
১৯ অক্টোবর পর্যন্ত জুয়ার বিজ্ঞাপন বন্ধে সময় দেওয়া হয়েছিল। তবে গণমাধ্যমগুলো তা মানছে না বলে অভিযোগ করেন বিশেষ সহকারী। তিনি বলেন, বেশ কিছু অনলাইন পোর্টাল জুয়ার বিজ্ঞাপন ও অনিরাপদ কনটেন্ট বিজ্ঞাপন প্রচার করছে। ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, ‘আমরা যেকোনো মুহূর্তে বন্ধ করে দেব। যেহেতু একাধিক নোটিশ দেওয়া হয়েছে। আমরা পাবলিকলি কোনো নোটিশ দেব না।’
অনলাইন জুয়া বন্ধে সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগ ও চ্যালেঞ্জের কথা তুলে ধরেন ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব। তিনি জানান, সরকারের হিসাবে গত মে মাস থেকে এখন পর্যন্ত ৪ হাজার ৮২০টি এমএফএস নম্বর পাওয়া গেছে। এ ছাড়া ১ হাজার ৩৩১টি ওয়েব পোর্টালের লিংক পাওয়া গেছে।
সরকারের চ্যালেঞ্জ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, যখনই একটা নম্বর ব্লক করা হয়, তখন এর চেয়ে বেশিসংখ্যক বা সমসংখ্যক নম্বর ব্যবহার করে সিগন্যাল-হোয়াটসঅ্যাপের মতো গ্রুপগুলোয় ছড়িয়ে দেওয়া হয়। আইপি পরিবর্তন করে ওয়েবসাইটের নাম একটু পরিবর্তন করা হয়। এভাবে নতুন ওয়েবসাইট বানিয়ে আবার শুরু করা হয়। এমএফএস, ওয়েব লিংক বন্ধ করার পর এ চক্রগুলো আবার অ্যাপ তৈরি ফেলে। অ্যাপগুলো অনেক ক্ষেত্রেই পাবলিশড নয়, এপিকে হিসেবে ব্যবহার করে।

জুয়া ও প্রতারণায় জড়িত থাকায় ৫০ হাজারের বেশি এমএফএস (মোবাইলভিত্তিক আর্থিক লেনদেন সেবা) অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ (স্থগিত) করেছে বিএফআইইউ (বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট)। ২০২২ সালের ডিসেম্বর থেকে চলতি মাস পর্যন্ত এই নম্বরগুলো স্থগিত করা হয়।
আজ মঙ্গলবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বিটিআরসি ভবনে ‘অনলাইন জুয়া প্রতিরোধে করণীয়’ শীর্ষক এক সভায় বিএফআইইউর প্রতিনিধি এ তথ্য জানান।
সভায় ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়, ডিজিএফআই (ডিরেক্টরেট জেনারেল অব ফোর্সেস ইন্টেলিজেন্স), এনএসআই (ন্যাশনাল সিকিউরিটি ইন্টেলিজেন্স), এনটিএমসি (ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টার), সিআইডি (ক্রিমিনাল ইনভেস্টিগেশন ডিপার্টমেন্ট), বিএফআইইউ, এমএফএস ও মোবাইল অপারেটরদের প্রতিনিধিরা অংশ নেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সভায় উপস্থিত বিএফআইইউ প্রতিনিধি বলেন, এমএফএস অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে জুয়া ও প্রতারণা বন্ধে বিটিআরসির (বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন) মাধ্যমে বার্তা দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া এমএফএস প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে বৈঠক করে তাদের কিছু নির্দেশনাও দেওয়া হবে। যেসব অ্যাকাউন্ট ব্লক (স্থগিত) করা হয়েছে, সেগুলো থেকে কোথায় কোথায় টাকা লেনদেন করা হয়েছে, তা বিশ্লেষণ করে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে প্রতিবেদন দেওয়া হবে।
ডিজিএফআই প্রতিনিধি জানান, অনলাইন জুয়ার মতো আর্থিক নানা প্রতারণায় বেনামি সিম ব্যবহার করা হচ্ছে। সংঘবদ্ধ চক্র ভুয়া সিম বিক্রি করছে। মানুষের আঙুলের ছাপ ব্যবহার করা হচ্ছে। বিকাশের অ্যাপ নকল করা হয়েছে। নাগরিকদের ডেটাবেইস ডার্ক ওয়েবে পাওয়া যাচ্ছে। এটা নিয়ে নানা অপরাধ সংঘটিত হচ্ছে।
সভায় অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিবিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, সরকার সতর্ক করার পরও অনেক গণমাধ্যমের অনলাইন পোর্টালে এখনো জুয়ার বিজ্ঞাপন প্রচার করা হচ্ছে। এ ধরনের বিজ্ঞাপন প্রচার করলে যেকোনো মুহূর্তে বিনা নোটিশে সংশ্লিষ্ট গণমাধ্যমের পোর্টাল বন্ধ করে দেওয়া হবে। প্রায় সব কটি মিডিয়ার পোর্টালে এখনো অনিরাপদ কনটেন্ট আসে। জুয়ার বিজ্ঞাপন আসে। এখান থেকে তারা টাকা পায়।
১৯ অক্টোবর পর্যন্ত জুয়ার বিজ্ঞাপন বন্ধে সময় দেওয়া হয়েছিল। তবে গণমাধ্যমগুলো তা মানছে না বলে অভিযোগ করেন বিশেষ সহকারী। তিনি বলেন, বেশ কিছু অনলাইন পোর্টাল জুয়ার বিজ্ঞাপন ও অনিরাপদ কনটেন্ট বিজ্ঞাপন প্রচার করছে। ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, ‘আমরা যেকোনো মুহূর্তে বন্ধ করে দেব। যেহেতু একাধিক নোটিশ দেওয়া হয়েছে। আমরা পাবলিকলি কোনো নোটিশ দেব না।’
অনলাইন জুয়া বন্ধে সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগ ও চ্যালেঞ্জের কথা তুলে ধরেন ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব। তিনি জানান, সরকারের হিসাবে গত মে মাস থেকে এখন পর্যন্ত ৪ হাজার ৮২০টি এমএফএস নম্বর পাওয়া গেছে। এ ছাড়া ১ হাজার ৩৩১টি ওয়েব পোর্টালের লিংক পাওয়া গেছে।
সরকারের চ্যালেঞ্জ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, যখনই একটা নম্বর ব্লক করা হয়, তখন এর চেয়ে বেশিসংখ্যক বা সমসংখ্যক নম্বর ব্যবহার করে সিগন্যাল-হোয়াটসঅ্যাপের মতো গ্রুপগুলোয় ছড়িয়ে দেওয়া হয়। আইপি পরিবর্তন করে ওয়েবসাইটের নাম একটু পরিবর্তন করা হয়। এভাবে নতুন ওয়েবসাইট বানিয়ে আবার শুরু করা হয়। এমএফএস, ওয়েব লিংক বন্ধ করার পর এ চক্রগুলো আবার অ্যাপ তৈরি ফেলে। অ্যাপগুলো অনেক ক্ষেত্রেই পাবলিশড নয়, এপিকে হিসেবে ব্যবহার করে।

আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ব্যবহৃত গোয়েন্দা ও নিরাপত্তা সরঞ্জাম অপরাধীদের পাশাপাশি সাধারণ মানুষও ব্যবহার করছে। নিষিদ্ধ হলেও এসব সরঞ্জামের অবৈধ ব্যবহার বাড়ছেই। গত পাঁচ বছরে এমন ৯ ধরনের সরঞ্জামসহ রাজধানীতে অন্তত সোয়া দুই শ অপরাধীকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব ও পুলিশ।
১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৩
রাজধানীর মোহাম্মদপুরে জেনেভা ক্যাম্পে ‘মাদক কারবারিদের’ দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে জাহিদ নিহতের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ শুক্রবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. ইবনে মিজান আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
৪ দিন আগে
এক বিজ্ঞপ্তিতে সিআইডি জানিয়েছে, নূরে আলম একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সদস্য। তিনি ফেসবুকে এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে যোগাযোগ করে জানান, তাঁর নামে বিদেশ থেকে একটি পার্সেল এসেছে, যা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাস্টম হাউসে জমা আছে। পার্সেল ছাড়াতে টাকা লাগবে—এ দাবি করে পার্সেলের ছবিও পাঠান তিনি।
৭ দিন আগে
দেশে বসেই আন্তর্জাতিক পর্নো সাইটে সক্রিয় ছিলেন তাঁরা। ভিডিও বানিয়ে আপলোড করতেন বিভিন্ন ওয়েবসাইটে। শুধু নিজেরাই নন, এই দম্পতি অন্যদেরও এ কাজে যুক্ত করতেন বলে অভিযোগ। অবশেষে সেই আলোচিত যুগলকে বান্দরবানে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
৮ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

দেশে বসেই আন্তর্জাতিক পর্নো সাইটে সক্রিয় ছিলেন তাঁরা। ভিডিও বানিয়ে আপলোড করতেন বিভিন্ন ওয়েবসাইটে। শুধু নিজেরাই নন, এই দম্পতি অন্যদেরও এ কাজে যুক্ত করতেন বলে অভিযোগ। অবশেষে সেই আলোচিত যুগলকে বান্দরবানে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
আজ সোমবার ভোরে বান্দরবান সদর উপজেলার হাজীপাড়ার বালাঘাটা এলাকা থেকে সিআইডির এলআইসি ও সাইবার পুলিশ সেন্টার (সিপিসি) ইউনিটের সদস্যরা এই যুগলকে গ্রেপ্তার করেন। গ্রেপ্তার হওয়া যুগল হলেন মুহাম্মদ আজিম (২৮) ও তাঁর স্ত্রী বৃষ্টি (২৮)। আজ বিকেলে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানায় সিআইডি।
গ্রেপ্তার আজিমের বাড়ি চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলার বুরুমছড়া গ্রামে এবং বৃষ্টির বাড়ি মানিকগঞ্জ জেলার হরিরামপুর উপজেলার আন্ধারমানিক (খালপাড়) গ্রামে।
সিআইডির প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, এই যুগল ২০২৪ সালের মে মাসে আন্তর্জাতিক এক পর্নো সাইটে প্রথম ভিডিও আপলোড করেন। এরপর এক বছরের মধ্যে তাঁরা ১১২টি ভিডিও আপলোড করেছেন, যেগুলো বিশ্বব্যাপী ২ কোটি ৬৭ লাখের বেশিবার দেখা হয়েছে।
এই যুগল এতটাই জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন যে, ২০২৫ সালের অক্টোবর মাসে আন্তর্জাতিক পারফর্মার র্যাঙ্কিংয়ে তাঁদের অবস্থান উঠে আসে অষ্টম স্থানে। ভিডিও আপলোড ছাড়াও তাঁরা বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম—বিশেষ করে, ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম ও টেলিগ্রামের মাধ্যমে নিজেদের কর্মকাণ্ডের প্রচারণা চালাতেন। এসব প্ল্যাটফর্মে নতুনদের এ কাজে যুক্ত হওয়ার আহ্বান জানানো হতো।
তদন্তকারীরা বলছেন, আগ্রহীদের ‘ক্রিয়েটর’ হিসেবে যুক্ত করতে তাঁরা টেলিগ্রাম চ্যানেলে নানা প্রলোভন দেখিয়ে বিজ্ঞাপন দিতেন। নতুন কেউ যুক্ত হলে তাঁকে নগদ অর্থ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হতো। কেউ যোগাযোগ করলে তাঁদের ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করতে উৎসাহিত করতেন আজিম ও বৃষ্টি।
সিআইডির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এই যুগল প্রাথমিক বিদ্যালয়ের গণ্ডি পেরোতে পারেননি। তবে অনলাইনে তাঁদের বিলাসবহুল জীবনধারার নানা ছবি পাওয়া যায়, যা সমাজে নেতিবাচক বার্তা দিচ্ছে। এসব কার্যক্রম সামাজিক ও নৈতিকভাবে যেমন উদ্বেগজনক, তেমনি দেশের প্রচলিত আইনেরও লঙ্ঘন।
অভিযানের সময় তাঁদের কাছ থেকে মোবাইল ফোন, সিম কার্ড, ক্যামেরা, ট্রাইপডসহ ভিডিও ধারণের বিভিন্ন যন্ত্রপাতি জব্দ করা হয়েছে। তাঁদের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা রুজু করা হয়েছে। একই সঙ্গে আদালতে সোপর্দ করে রিমান্ড চেয়ে আবেদন করা হবে বলে জানিয়েছে সিআইডি।
সিআইডির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, পর্নোগ্রাফি ছড়িয়ে দেওয়ার সঙ্গে যুক্ত অন্যদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তারে তদন্ত অব্যাহত রয়েছে।

দেশে বসেই আন্তর্জাতিক পর্নো সাইটে সক্রিয় ছিলেন তাঁরা। ভিডিও বানিয়ে আপলোড করতেন বিভিন্ন ওয়েবসাইটে। শুধু নিজেরাই নন, এই দম্পতি অন্যদেরও এ কাজে যুক্ত করতেন বলে অভিযোগ। অবশেষে সেই আলোচিত যুগলকে বান্দরবানে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
আজ সোমবার ভোরে বান্দরবান সদর উপজেলার হাজীপাড়ার বালাঘাটা এলাকা থেকে সিআইডির এলআইসি ও সাইবার পুলিশ সেন্টার (সিপিসি) ইউনিটের সদস্যরা এই যুগলকে গ্রেপ্তার করেন। গ্রেপ্তার হওয়া যুগল হলেন মুহাম্মদ আজিম (২৮) ও তাঁর স্ত্রী বৃষ্টি (২৮)। আজ বিকেলে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানায় সিআইডি।
গ্রেপ্তার আজিমের বাড়ি চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলার বুরুমছড়া গ্রামে এবং বৃষ্টির বাড়ি মানিকগঞ্জ জেলার হরিরামপুর উপজেলার আন্ধারমানিক (খালপাড়) গ্রামে।
সিআইডির প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, এই যুগল ২০২৪ সালের মে মাসে আন্তর্জাতিক এক পর্নো সাইটে প্রথম ভিডিও আপলোড করেন। এরপর এক বছরের মধ্যে তাঁরা ১১২টি ভিডিও আপলোড করেছেন, যেগুলো বিশ্বব্যাপী ২ কোটি ৬৭ লাখের বেশিবার দেখা হয়েছে।
এই যুগল এতটাই জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন যে, ২০২৫ সালের অক্টোবর মাসে আন্তর্জাতিক পারফর্মার র্যাঙ্কিংয়ে তাঁদের অবস্থান উঠে আসে অষ্টম স্থানে। ভিডিও আপলোড ছাড়াও তাঁরা বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম—বিশেষ করে, ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম ও টেলিগ্রামের মাধ্যমে নিজেদের কর্মকাণ্ডের প্রচারণা চালাতেন। এসব প্ল্যাটফর্মে নতুনদের এ কাজে যুক্ত হওয়ার আহ্বান জানানো হতো।
তদন্তকারীরা বলছেন, আগ্রহীদের ‘ক্রিয়েটর’ হিসেবে যুক্ত করতে তাঁরা টেলিগ্রাম চ্যানেলে নানা প্রলোভন দেখিয়ে বিজ্ঞাপন দিতেন। নতুন কেউ যুক্ত হলে তাঁকে নগদ অর্থ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হতো। কেউ যোগাযোগ করলে তাঁদের ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করতে উৎসাহিত করতেন আজিম ও বৃষ্টি।
সিআইডির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এই যুগল প্রাথমিক বিদ্যালয়ের গণ্ডি পেরোতে পারেননি। তবে অনলাইনে তাঁদের বিলাসবহুল জীবনধারার নানা ছবি পাওয়া যায়, যা সমাজে নেতিবাচক বার্তা দিচ্ছে। এসব কার্যক্রম সামাজিক ও নৈতিকভাবে যেমন উদ্বেগজনক, তেমনি দেশের প্রচলিত আইনেরও লঙ্ঘন।
অভিযানের সময় তাঁদের কাছ থেকে মোবাইল ফোন, সিম কার্ড, ক্যামেরা, ট্রাইপডসহ ভিডিও ধারণের বিভিন্ন যন্ত্রপাতি জব্দ করা হয়েছে। তাঁদের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা রুজু করা হয়েছে। একই সঙ্গে আদালতে সোপর্দ করে রিমান্ড চেয়ে আবেদন করা হবে বলে জানিয়েছে সিআইডি।
সিআইডির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, পর্নোগ্রাফি ছড়িয়ে দেওয়ার সঙ্গে যুক্ত অন্যদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তারে তদন্ত অব্যাহত রয়েছে।

আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ব্যবহৃত গোয়েন্দা ও নিরাপত্তা সরঞ্জাম অপরাধীদের পাশাপাশি সাধারণ মানুষও ব্যবহার করছে। নিষিদ্ধ হলেও এসব সরঞ্জামের অবৈধ ব্যবহার বাড়ছেই। গত পাঁচ বছরে এমন ৯ ধরনের সরঞ্জামসহ রাজধানীতে অন্তত সোয়া দুই শ অপরাধীকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব ও পুলিশ।
১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৩
রাজধানীর মোহাম্মদপুরে জেনেভা ক্যাম্পে ‘মাদক কারবারিদের’ দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে জাহিদ নিহতের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ শুক্রবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. ইবনে মিজান আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
৪ দিন আগে
এক বিজ্ঞপ্তিতে সিআইডি জানিয়েছে, নূরে আলম একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সদস্য। তিনি ফেসবুকে এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে যোগাযোগ করে জানান, তাঁর নামে বিদেশ থেকে একটি পার্সেল এসেছে, যা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাস্টম হাউসে জমা আছে। পার্সেল ছাড়াতে টাকা লাগবে—এ দাবি করে পার্সেলের ছবিও পাঠান তিনি।
৭ দিন আগে
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সভায় উপস্থিত বিএফআইইউ প্রতিনিধি বলেন, এমএফএস অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে জুয়া ও প্রতারণা বন্ধে বিটিআরসির (বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন) মাধ্যমে বার্তা দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া এমএফএস প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে বৈঠক করে তাদের কিছু নির্দেশনাও দেওয়া হবে। যেসব অ্যাকাউন্ট ব্লক (স্থগিত)
৭ দিন আগে