সাজন আহম্মেদ পাপন, কিশোরগঞ্জ
মাদকের লাগামহীন বিস্তারে নাজেহাল কিশোরগঞ্জের তরুণ, কিশোরসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ। পাড়া-মহল্লা থেকে শুরু করে গ্রামাঞ্চলেও মাদকের বিস্তার। তবে মাদকের এই ভয়াবহতা থেকে মানুষকে রক্ষায় কাজ করে যাচ্ছে র্যাব। র্যাব-১৪ সিপিসি-২-এর সদস্যরা বলছেন, মাদক নির্মূলে তাঁদের যুদ্ধ চলমান, তাঁরা কঠোর অবস্থানে রয়েছেন।
ইয়াবা, ফেনসিডিল, গাঁজা, হেরোইনের পাশাপাশি যোগ হয়েছে এলএসডি, ক্রিস্টাল মেথ বা আইস। মাদকবিরোধী অভিযানের পরও মাদকের বিস্তার থামছে না; বরং মাদক পাচার এবং বেচাকেনায় নিত্যনতুন কৌশল অবলম্বন করছে পাচারকারীরা।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা বলছেন, শুধু অভিযান পরিচালনা করে মাদকের কারবার নিয়ন্ত্রণ সম্ভব নয়। মাদকের চাহিদা কমাতে পরিবার, সমাজের বিভিন্ন পর্যায়ে সচেতনতা বাড়াতে হবে।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, জেলায় প্রায় ২০০ চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী রয়েছেন। প্রভাবশালী মহলের ছত্রচ্ছায়ায় তাঁদের ডিলাররা প্রতিটি উপজেলার পাড়া-মহল্লায় মানুষদের দিয়ে মাদক বেচাকেনা করান। মাদকসেবীরা প্রকাশ্যে অলিগলিতে দাঁড়িয়ে মাদক সেবন করে।
এদিকে জেলা শহরের গুরুদয়াল মুক্তমঞ্চ-সংলগ্ন খেলার মাঠে সন্ধ্যা নামতেই মাদকসেবীদের আনাগোনা দেখা যায়। রাতের আঁধারে চলে মাদক সেবন। সচেতন মহল বলছে, কিশোরেরা হাতের কাছে সহজে মাদক পেয়ে সেবনের পর উচ্ছৃঙ্খল হয়ে ইভ টিজিং করে। এক ব্যক্তি একাধিক উৎস থেকেও মাদকের অর্থ সংগ্রহ করে থাকে। অর্থের জোগানে ভয়ংকর অপরাধেও জড়িয়ে পড়ে মাদকসেবীরা।
এদিকে গত শনিবার পুলিশ সুপারের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় কিশোরগঞ্জে কর্মরত সাংবাদিকেরা মাদকের ভয়াবহ বিস্তার ও কিশোর গ্যাং নিয়ে কথা বলেন। পুলিশ সুপার মোহাম্মদ রাসেল শেখ পিপিএম (বার) মাদক নির্মূল ও কিশোর গ্যাং দমন করবেন বলে আশ্বস্ত করেন; পাশাপাশি আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় আপস হবে না বলেও জানান তিনি।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে আগস্ট পর্যন্ত র্যাব-১৪ কিশোরগঞ্জ ক্যাম্পের সদস্যরা ৯২টি অভিযান পরিচালনা করে মাদক কেনাবেচায় জড়িত ১২৪ জনকে গ্রেপ্তার করেন। এ সময় ৫০ হাজার ৩৭টি ইয়াবা, ২০৬ দশমিক ৬ কেজি গাঁজা, ১ হাজার ২৭৭ বোতল ফেনসিডিল, ৪০ বোতল বিদেশি মদ, ২৭৫ লিটার চোলাই মদ, ৬৬টি বুপ্রেনরফিন ইনজেকশন ও ৩০ গ্রাম হেরোইন উদ্ধার করা হয়।
নাগরিক অধিকার সুরক্ষা মঞ্চের আহ্বায়ক শেখ সেলিম কবীর বলেন, মাদক কারবারে প্রকৃত অপরাধীদের খুঁজে বের করা প্রয়োজন। তেমনি আইনি ব্যবস্থাপনাকেও আধুনিক ও শক্তিশালী করা সংশ্লিষ্টদের সচেতন দায়বদ্ধতা।
ডা. সজীব ঘোষ মাদকের ভয়াবহতা সম্পর্কে বলেন, মাদক মানুষের শারীরিক ও মানসিক জীবনীশক্তিকে ধ্বংস করে। সামাজিক মূল্যবোধকে ফিরিয়ে আনা আইনের সঠিক প্রয়োগ এবং জনমনে মাদক সম্পর্কে সচেতনতাই পারে মাদক থেকে সমাজকে মুক্ত করতে।
র্যাব-১৪ সিপিসি-২ কিশোরগঞ্জ ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার মো. শাহরিয়ার মাহমুদ খান বলেন, ‘মাদকের বিরুদ্ধে র্যাবের জিরো টলারেন্স নীতি বাস্তবায়নে অভিযান চলমান রয়েছে। আমাদের লক্ষ্য মাদক নির্মূল করা।’
মাদকের লাগামহীন বিস্তারে নাজেহাল কিশোরগঞ্জের তরুণ, কিশোরসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ। পাড়া-মহল্লা থেকে শুরু করে গ্রামাঞ্চলেও মাদকের বিস্তার। তবে মাদকের এই ভয়াবহতা থেকে মানুষকে রক্ষায় কাজ করে যাচ্ছে র্যাব। র্যাব-১৪ সিপিসি-২-এর সদস্যরা বলছেন, মাদক নির্মূলে তাঁদের যুদ্ধ চলমান, তাঁরা কঠোর অবস্থানে রয়েছেন।
ইয়াবা, ফেনসিডিল, গাঁজা, হেরোইনের পাশাপাশি যোগ হয়েছে এলএসডি, ক্রিস্টাল মেথ বা আইস। মাদকবিরোধী অভিযানের পরও মাদকের বিস্তার থামছে না; বরং মাদক পাচার এবং বেচাকেনায় নিত্যনতুন কৌশল অবলম্বন করছে পাচারকারীরা।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা বলছেন, শুধু অভিযান পরিচালনা করে মাদকের কারবার নিয়ন্ত্রণ সম্ভব নয়। মাদকের চাহিদা কমাতে পরিবার, সমাজের বিভিন্ন পর্যায়ে সচেতনতা বাড়াতে হবে।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, জেলায় প্রায় ২০০ চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী রয়েছেন। প্রভাবশালী মহলের ছত্রচ্ছায়ায় তাঁদের ডিলাররা প্রতিটি উপজেলার পাড়া-মহল্লায় মানুষদের দিয়ে মাদক বেচাকেনা করান। মাদকসেবীরা প্রকাশ্যে অলিগলিতে দাঁড়িয়ে মাদক সেবন করে।
এদিকে জেলা শহরের গুরুদয়াল মুক্তমঞ্চ-সংলগ্ন খেলার মাঠে সন্ধ্যা নামতেই মাদকসেবীদের আনাগোনা দেখা যায়। রাতের আঁধারে চলে মাদক সেবন। সচেতন মহল বলছে, কিশোরেরা হাতের কাছে সহজে মাদক পেয়ে সেবনের পর উচ্ছৃঙ্খল হয়ে ইভ টিজিং করে। এক ব্যক্তি একাধিক উৎস থেকেও মাদকের অর্থ সংগ্রহ করে থাকে। অর্থের জোগানে ভয়ংকর অপরাধেও জড়িয়ে পড়ে মাদকসেবীরা।
এদিকে গত শনিবার পুলিশ সুপারের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় কিশোরগঞ্জে কর্মরত সাংবাদিকেরা মাদকের ভয়াবহ বিস্তার ও কিশোর গ্যাং নিয়ে কথা বলেন। পুলিশ সুপার মোহাম্মদ রাসেল শেখ পিপিএম (বার) মাদক নির্মূল ও কিশোর গ্যাং দমন করবেন বলে আশ্বস্ত করেন; পাশাপাশি আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় আপস হবে না বলেও জানান তিনি।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে আগস্ট পর্যন্ত র্যাব-১৪ কিশোরগঞ্জ ক্যাম্পের সদস্যরা ৯২টি অভিযান পরিচালনা করে মাদক কেনাবেচায় জড়িত ১২৪ জনকে গ্রেপ্তার করেন। এ সময় ৫০ হাজার ৩৭টি ইয়াবা, ২০৬ দশমিক ৬ কেজি গাঁজা, ১ হাজার ২৭৭ বোতল ফেনসিডিল, ৪০ বোতল বিদেশি মদ, ২৭৫ লিটার চোলাই মদ, ৬৬টি বুপ্রেনরফিন ইনজেকশন ও ৩০ গ্রাম হেরোইন উদ্ধার করা হয়।
নাগরিক অধিকার সুরক্ষা মঞ্চের আহ্বায়ক শেখ সেলিম কবীর বলেন, মাদক কারবারে প্রকৃত অপরাধীদের খুঁজে বের করা প্রয়োজন। তেমনি আইনি ব্যবস্থাপনাকেও আধুনিক ও শক্তিশালী করা সংশ্লিষ্টদের সচেতন দায়বদ্ধতা।
ডা. সজীব ঘোষ মাদকের ভয়াবহতা সম্পর্কে বলেন, মাদক মানুষের শারীরিক ও মানসিক জীবনীশক্তিকে ধ্বংস করে। সামাজিক মূল্যবোধকে ফিরিয়ে আনা আইনের সঠিক প্রয়োগ এবং জনমনে মাদক সম্পর্কে সচেতনতাই পারে মাদক থেকে সমাজকে মুক্ত করতে।
র্যাব-১৪ সিপিসি-২ কিশোরগঞ্জ ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার মো. শাহরিয়ার মাহমুদ খান বলেন, ‘মাদকের বিরুদ্ধে র্যাবের জিরো টলারেন্স নীতি বাস্তবায়নে অভিযান চলমান রয়েছে। আমাদের লক্ষ্য মাদক নির্মূল করা।’
রাজধানীর হাতিরঝিল থানায় করা অস্ত্র আইনের মামলায় শীর্ষ সন্ত্রাসী মোল্লা মাসুদ ওরফে আবু রাসেল মাসুদসহ তিনজনকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। আজ মঙ্গলবার ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (এসিএমএম) ওয়াহিদুজ্জামান এই আদেশ দেন।
৪ দিন আগে১৯৭১ সালের যুদ্ধাপরাধের মামলায় জামায়াত নেতা আজহারুল ইসলামের খালাসের রায় নিয়ে সাংবাদিক ও মানবাধিকার আইন বিশেষজ্ঞ ডেভিড বার্গম্যান আইসিটির প্রধান প্রসিকিউটর তাজুল ইসলামের ভূমিকাকে স্বার্থের সংঘাত হিসেবে দেখছেন। অতীতে তিনি যাঁদের আইনি সহায়তা দিয়েছেন, তাঁদের মামলায় তাঁর দলের সদস্যদের রাষ্ট্রপক্ষের
৭ দিন আগেময়মনসিংহের সেলিম হোসেনকে জীবিত থাকা সত্ত্বেও ‘হত্যাকাণ্ডের শিকার’ দেখিয়ে ভাইয়ের করা মামলায় শেখ হাসিনাসহ ৪১ জনকে আসামি করা হয়। মূল ঘটনা জমিসংক্রান্ত পারিবারিক বিরোধ ও পুলিশের চরম গাফিলতির নিদর্শন।
৮ দিন আগেরাজধানীর হাতিরঝিল থানায় করা অস্ত্র আইনের মামলায় শীর্ষস্থানীয় সন্ত্রাসী সুব্রত বাইন ওরফে মো. ফতেহ আলীকে আট দিন, আরেক শীর্ষস্থানীয় সন্ত্রাসী মোল্লা মাসুদ ওরফে আবু রাসেল মাসুদসহ তিনজনকে ছয় দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে।
১১ দিন আগে