Ajker Patrika

বালু ফেলে পুকুর ভরাট

বরগুনা প্রতিনিধি
আপডেট : ০৮ এপ্রিল ২০২২, ১২: ৩৫
বালু ফেলে পুকুর ভরাট

বরগুনা পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) কার্যালয়ের পেছনে একটি দিঘির একাংশ বালু ফেলে ভরাট করেছেন স্থানীয় আলাউদ্দীন আবেদ নামের এক ব্যবসায়ী। গত মঙ্গলবার থেকে তিনি দিঘির দক্ষিণ পশ্চিম দিকে একাংশ বালু ফেলে ভরাট শুরু করে বুধবার দুপুর পর্যন্ত ভরাটের কাজ অব্যাহত রাখেন। বিষয়টি নজরে আসার পর গতকাল বৃহস্পতিবার পাউবো কর্তৃপক্ষ পরিদর্শনের পর আপাতত কাজ বন্ধ রাখার জন্য নির্দেশ দিয়েছে। তবে দিঘি ভরাট করা ব্যবসায়ীর দাবি, ওই দাগে তাঁর রেকর্ড সূত্রে মালিকানা রয়েছে।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের মালিকানাধীন পুকুরটি অস্থায়ী বন্দোবস্ত নিয়ে মাছ চাষ করে আসছিলেন ডিকেপি সড়কের বাসিন্দা আখতার হোসেন। আবেদ আলী পুকুরটি ভরাট করে দখল শুরু করলে মঙ্গলবার আখতার হোসেন পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলীর কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।

লিখিত অভিযোগে আক্তার হোসেন জানান, পুকুরটি বরগুনা পানি উন্নয়ন বোর্ডের ৪১/২ পোল্ডারের অন্তর্ভুক্ত। যার মৌজা-ক্রোক, জেএল নং-৬৪৩ খতিয়ান যার দাগ নম্বর ৯৫। পুকুরটি পানি উন্নয়ন বোর্ড থেকে অস্থায়ী বন্দোবস্ত নিয়ে দীর্ঘ বছর তিনি মাছ চাষ করে আসছেন। দীর্ঘমেয়াদি বন্দোবস্তের জন্য ইতিমধ্যে পানি উন্নয়ন বোর্ডের ভূমি ও রাজস্ব পরিদপ্তরে আবেদন করেছেন। হঠাৎ করেই মো. আলাউদ্দিন আবেদ পুকুরে বালু ভরাট করেছেন।

আখতার হোসেন বলেন, ‘এক বছরের জন্য বন্দোবস্ত নিয়ে আমি ৪৩ বছর ধরে দিঘিতে মাছ চাষ করে আসছি। কিন্তু আলাউদ্দিন আবেদ পাবলো কর্তৃপক্ষকে কিছু না জানিয়েই মঙ্গলবার দিঘির দক্ষিণ পশ্চিম দিকে বালু ফেলে ভরাট করা শুরু করেন। আমি বিষয়টি পাউবোকে লিখিতভাবে জানিয়েছি। ডিকেপি সড়ক, ওয়াপদা ক্রোক ও কেজি স্কুল এলাকার বাসিন্দাদের খাবার, দৈনন্দিন কাজে এই দিঘির পানি ব্যবহৃত হয়। এই দিঘির জমির সম্পূর্ণ মালিকানা পাউবোর।’

পাবলো কার্যালয়ে সংরক্ষিত অধিগ্রহণের কাগজপত্র ঘেঁটে দেখা গেছে, মৌজার জেএলজেএল নং-৬৪৩, খতিয়ানের ৯৫ নম্বর দাগের তৎকালীন মালিক স্থানীয় বাসিন্দা হরিহর রায়ের কাছ থেকে ১৯৬৩ ও ১৯৭৫ সালে দুই দফায় মোট এক একর ৬২ শতাংশ জমি অধিগ্রহণ করে। ২য় দফায় জমি অধিগ্রহণ করে দিঘি খনন করে পাবলো জেলা কার্যালয়ের মাটি ভরাট করা হয়েছিল।

পরে বুধবার দুপুরে পাবলো বরগুনা কার্যালয়ের সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা মো. ফজর আলী পাউবোর জমি পরিমাপক (সার্ভেয়ার) আবদুল আজিজকে সঙ্গে নিয়ে অধিগ্রহণকৃত জমির নকশা ধরে মেপে দেখতে পান, উত্তর থেকে দক্ষিণ দিকে ১৪৭ ফুট দৈর্ঘ্য ও পূর্ব থেকে পশ্চিমে প্রায় ৭০ ফুট প্রশস্ত জায়গা বালু ফেলে ভরাট করা হয়েছে।

পাবলো বরগুনা কার্যালয়ের সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা মো. ফজর আলী বলেন, ‘জমি পরিমাপের পর মৌখিকভাবে আলাউদ্দিন আবেদকে ওই জমিতে কোনো কাজ করতে নিষেধ করা হয়েছে।’

আলাউদ্দিন আবেদ বলেন, ‘মূল মালিকের কাছ থেকে পাবলো, বিদ্যুৎ বিভাগ ও আমরা তিনটি পক্ষ জমি ক্রয় করেছি। পাবলো ও বিদ্যুৎ বিভাগ জমি বুঝে নিয়ে নিয়েছে। আমার রেকর্ডীয় মালিকানার ৩৬ শতাংশ জমি বুঝে পাওয়ার জন্য একাধিকবার আমি জমি পরিমাপ করিয়েছি। পরিমাপে দেখা যায়, ওই দিঘির মধ্যে আমার জমি। সার্ভেয়ার দিয়ে পরিমাপের পর আমার জমি বুঝে নিয়ে পুকুর ভরাট করেছি। ভরাট করা অংশে পাউবোর জমি থাকলে জমি ছেড়ে দেব।’

পাবলো বরগুনা কার্যালয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. নূরুল ইসলাম বলেন, দিঘি দখল করে বালু ফেলার খবর শুনে সেখানে কাজ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। কাগজপত্র যাচাই-বাছাই করে আমাদের জমি অবৈধ দখল হয়ে থাকলে এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

১০০ বছর পর জানা গেল, ‘অপ্রয়োজনীয়’ প্রত্যঙ্গটি নারীর প্রজননের জন্য গুরুত্বপূর্ণ

‘এই টাকা দিয়ে কী হয়, আমি এত চাপ নিচ্ছি, লাখ পাঁচেক দিতে বলো’, ওসির অডিও ফাঁস

কিশোরগঞ্জে আওয়ামী লীগের ঝটিকা মিছিল, যুবলীগ নেতা গ্রেপ্তার

উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদের এপিএস মোয়াজ্জেমকে অব্যাহতি

ঘন ঘন নাক খুঁটিয়ে স্মৃতিভ্রংশ ডেকে আনছেন না তো!

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত