Ajker Patrika

ফাইভ পাস নদী জানেন ৬টি ভাষা, নারী পাচারে বহু দেশে যাতায়াত

নিজস্ব প্রতিবেদক
আপডেট : ২২ জুন ২০২১, ১৬: ১১
ফাইভ পাস নদী জানেন ৬টি ভাষা, নারী পাচারে বহু দেশে যাতায়াত

ঢাকা: ভারতে নারী পাচারকারী চক্রের ‘অন্যতম হোতা’ নদী। পড়াশোনা পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত। পাচারের জন্য একাধিক দেশে যাতায়াত করতেন তিনি। এ জন্য শিখে ফেলেছেন অনন্ত পাঁচটি বিদেশি ভাষা। পরিচয় গোপন করতে বারবার বিভিন্ন নাম ধারণ করতেন। ভুক্তভোগীদের কাছ থেকে তাঁর ১০টির বেশি নাম পেয়েছে পুলিশ।

পুলিশ বলছে, টিকটকের মাধ্যমে বিদেশে নারী পাচারচক্রের হোতা হৃদয় বাবু গ্রুপের সক্রিয় সদস্য এই নদী। পাচারকারীরা বাংলাদেশ থেকে তরুণীদের প্রলুব্ধ করার জন্য এই টিকটক তারকাকে ব্যবহার করতেন।

গতকাল সোমবার যশোরের শার্শা ও বেনাপোল সীমান্ত এবং নড়াইল থেকে নদীসহ এই চক্রের সাতজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। আজ মঙ্গলবার সকালে শ্যামলীতে নিজ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে এসব তথ্য জানান তেজগাঁও বিভাগের উপপুলিশ কমিশনার মো. শহীদুল্লাহ।

উপপুলিশ কমিশনার মো. শহীদুল্লাহ বলেন, সোমবার সন্ধ্যায় হাতিরঝিল থানা-পুলিশের একটি দল তাঁদের গ্রেপ্তার করে। আজ সকালে সবাইকে ঢাকায় নিয়ে আসা হয়। গ্রেপ্তার অন্যরা হলেন আল-আমিন, সাইফুল, আমিরুল, পলক, তরিকুল, রামসিদ্দি। তাঁরা সবাই নারী পাচারচক্রের সঙ্গে জড়িত।

পুলিশের এই ডিসি বলেন, হাতিরঝিল থানায় দায়ের করা পাঁচটি নারী পাচার মামলার মধ্যে কমপক্ষে তিনটিতে নদী আক্তারকে আসামি করা হয়েছে।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে, নদীর বাড়ি মুন্সিগঞ্জের শ্রীনগরে। ২০০৫ সালে শীর্ষ সন্ত্রাসী কাদির হোসেনের সঙ্গে তাঁর বিয়ে হয়। ২০১৫ সালে কাদির পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে মারা যান। এরপর নদী নারী পাচারে যুক্ত হন। বর্তমানে ভারত, মালয়েশিয়া, সংযুক্ত আরব আমিরাতে নারী পাচার চক্রটির সমন্বয়ক হিসেবে কাজ করছেন নদী। এই দেশগুলোয় তাঁর নিয়মিত যাতায়াত আছে। ফলে হিন্দি, আরবি, মালয়, তামিল ও ইংরেজি ভাষা রপ্ত করে ফেলেছেন।

পুলিশ কর্মকর্তা শহীদুল্লাহ বলেন, পাচারের শিকার ভুক্তভোগীদের কাছে তিনি নদী নামে পরিচিত হলেও ভারতে তাঁকে সবাই ইতি নামে চেনেন। আবার ভারতীয় আধার কার্ডে তার নাম জয়া আক্তার জান্নাত, পাসপোর্টে নুরজাহান, সাতক্ষীরা সীমান্তে জলি, যশোর সীমান্তে তাকে সবাই চেনেন প্রীতি হিসেবে। এ ছাড়া দুবাইয়ে তাঁর নাম লায়লা।

পুলিশ বলছে, শুধু তাঁর হেফাজত থেকেই ভারতীয় দুটি আধার কার্ড, পাসপোর্ট ও একটি পুরোনো ডায়েরি এবং মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়েছে।

সম্প্রতি ২২ বছর বয়সী এক বাংলাদেশি নারীকে নির্যাতন ও যৌন নিপীড়নের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়। এর জেরে গত ২৭ মে ভারতের বেঙ্গালুরু থেকে রিফাতুল ইসলাম হৃদয় ওরফে টিকটক হৃদয়কে গ্রেপ্তার করে সেখানকার পুলিশ।

এরপর বাংলাদেশ পুলিশ এ নিয়ে তদন্ত শুরু করলে নারী পাচারের একটি আন্তর্জাতিক চক্রের সন্ধান পায়। এ পর্যন্ত দেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী নারী পাচারের সঙ্গে জড়িত সন্দেহে ২০ জনকে গ্রেপ্তার করেছে। ভারতীয় পুলিশও গ্রেপ্তার করে ১২ জনকে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মামলার আসামিসহ বিএসইসির ২২ কর্মকর্তাকে বরখাস্তের সিদ্ধান্ত

সরকারি টাকায় ব্যক্তিগত সড়ক কার্পেটিং বিচারপতি খিজির হায়াতের, প্রমাণ পেয়েছে দুদক

অভিনেতা সিদ্দিককে মারধর করে থানায় সোপর্দ, ছিঁড়ে ফেলা হয় পরনের পোশাক

ঐকমত্য কমিশনের সদস্যদের তেলের বরাদ্দ ২৫০ থেকে বেড়ে ৫০০ লিটার

বগুড়ায় ছাত্রদল নেতার ওপর হামলা, পাঁচ নেতা-কর্মীকে শোকজ

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত