নিজস্ব প্রতিবেদক
ঢাকা: ভারতে নারী পাচারকারী চক্রের ‘অন্যতম হোতা’ নদী। পড়াশোনা পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত। পাচারের জন্য একাধিক দেশে যাতায়াত করতেন তিনি। এ জন্য শিখে ফেলেছেন অনন্ত পাঁচটি বিদেশি ভাষা। পরিচয় গোপন করতে বারবার বিভিন্ন নাম ধারণ করতেন। ভুক্তভোগীদের কাছ থেকে তাঁর ১০টির বেশি নাম পেয়েছে পুলিশ।
পুলিশ বলছে, টিকটকের মাধ্যমে বিদেশে নারী পাচারচক্রের হোতা হৃদয় বাবু গ্রুপের সক্রিয় সদস্য এই নদী। পাচারকারীরা বাংলাদেশ থেকে তরুণীদের প্রলুব্ধ করার জন্য এই টিকটক তারকাকে ব্যবহার করতেন।
গতকাল সোমবার যশোরের শার্শা ও বেনাপোল সীমান্ত এবং নড়াইল থেকে নদীসহ এই চক্রের সাতজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। আজ মঙ্গলবার সকালে শ্যামলীতে নিজ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে এসব তথ্য জানান তেজগাঁও বিভাগের উপপুলিশ কমিশনার মো. শহীদুল্লাহ।
উপপুলিশ কমিশনার মো. শহীদুল্লাহ বলেন, সোমবার সন্ধ্যায় হাতিরঝিল থানা-পুলিশের একটি দল তাঁদের গ্রেপ্তার করে। আজ সকালে সবাইকে ঢাকায় নিয়ে আসা হয়। গ্রেপ্তার অন্যরা হলেন আল-আমিন, সাইফুল, আমিরুল, পলক, তরিকুল, রামসিদ্দি। তাঁরা সবাই নারী পাচারচক্রের সঙ্গে জড়িত।
পুলিশের এই ডিসি বলেন, হাতিরঝিল থানায় দায়ের করা পাঁচটি নারী পাচার মামলার মধ্যে কমপক্ষে তিনটিতে নদী আক্তারকে আসামি করা হয়েছে।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে, নদীর বাড়ি মুন্সিগঞ্জের শ্রীনগরে। ২০০৫ সালে শীর্ষ সন্ত্রাসী কাদির হোসেনের সঙ্গে তাঁর বিয়ে হয়। ২০১৫ সালে কাদির পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে মারা যান। এরপর নদী নারী পাচারে যুক্ত হন। বর্তমানে ভারত, মালয়েশিয়া, সংযুক্ত আরব আমিরাতে নারী পাচার চক্রটির সমন্বয়ক হিসেবে কাজ করছেন নদী। এই দেশগুলোয় তাঁর নিয়মিত যাতায়াত আছে। ফলে হিন্দি, আরবি, মালয়, তামিল ও ইংরেজি ভাষা রপ্ত করে ফেলেছেন।
পুলিশ কর্মকর্তা শহীদুল্লাহ বলেন, পাচারের শিকার ভুক্তভোগীদের কাছে তিনি নদী নামে পরিচিত হলেও ভারতে তাঁকে সবাই ইতি নামে চেনেন। আবার ভারতীয় আধার কার্ডে তার নাম জয়া আক্তার জান্নাত, পাসপোর্টে নুরজাহান, সাতক্ষীরা সীমান্তে জলি, যশোর সীমান্তে তাকে সবাই চেনেন প্রীতি হিসেবে। এ ছাড়া দুবাইয়ে তাঁর নাম লায়লা।
পুলিশ বলছে, শুধু তাঁর হেফাজত থেকেই ভারতীয় দুটি আধার কার্ড, পাসপোর্ট ও একটি পুরোনো ডায়েরি এবং মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়েছে।
সম্প্রতি ২২ বছর বয়সী এক বাংলাদেশি নারীকে নির্যাতন ও যৌন নিপীড়নের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়। এর জেরে গত ২৭ মে ভারতের বেঙ্গালুরু থেকে রিফাতুল ইসলাম হৃদয় ওরফে টিকটক হৃদয়কে গ্রেপ্তার করে সেখানকার পুলিশ।
এরপর বাংলাদেশ পুলিশ এ নিয়ে তদন্ত শুরু করলে নারী পাচারের একটি আন্তর্জাতিক চক্রের সন্ধান পায়। এ পর্যন্ত দেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী নারী পাচারের সঙ্গে জড়িত সন্দেহে ২০ জনকে গ্রেপ্তার করেছে। ভারতীয় পুলিশও গ্রেপ্তার করে ১২ জনকে।
ঢাকা: ভারতে নারী পাচারকারী চক্রের ‘অন্যতম হোতা’ নদী। পড়াশোনা পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত। পাচারের জন্য একাধিক দেশে যাতায়াত করতেন তিনি। এ জন্য শিখে ফেলেছেন অনন্ত পাঁচটি বিদেশি ভাষা। পরিচয় গোপন করতে বারবার বিভিন্ন নাম ধারণ করতেন। ভুক্তভোগীদের কাছ থেকে তাঁর ১০টির বেশি নাম পেয়েছে পুলিশ।
পুলিশ বলছে, টিকটকের মাধ্যমে বিদেশে নারী পাচারচক্রের হোতা হৃদয় বাবু গ্রুপের সক্রিয় সদস্য এই নদী। পাচারকারীরা বাংলাদেশ থেকে তরুণীদের প্রলুব্ধ করার জন্য এই টিকটক তারকাকে ব্যবহার করতেন।
গতকাল সোমবার যশোরের শার্শা ও বেনাপোল সীমান্ত এবং নড়াইল থেকে নদীসহ এই চক্রের সাতজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। আজ মঙ্গলবার সকালে শ্যামলীতে নিজ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে এসব তথ্য জানান তেজগাঁও বিভাগের উপপুলিশ কমিশনার মো. শহীদুল্লাহ।
উপপুলিশ কমিশনার মো. শহীদুল্লাহ বলেন, সোমবার সন্ধ্যায় হাতিরঝিল থানা-পুলিশের একটি দল তাঁদের গ্রেপ্তার করে। আজ সকালে সবাইকে ঢাকায় নিয়ে আসা হয়। গ্রেপ্তার অন্যরা হলেন আল-আমিন, সাইফুল, আমিরুল, পলক, তরিকুল, রামসিদ্দি। তাঁরা সবাই নারী পাচারচক্রের সঙ্গে জড়িত।
পুলিশের এই ডিসি বলেন, হাতিরঝিল থানায় দায়ের করা পাঁচটি নারী পাচার মামলার মধ্যে কমপক্ষে তিনটিতে নদী আক্তারকে আসামি করা হয়েছে।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে, নদীর বাড়ি মুন্সিগঞ্জের শ্রীনগরে। ২০০৫ সালে শীর্ষ সন্ত্রাসী কাদির হোসেনের সঙ্গে তাঁর বিয়ে হয়। ২০১৫ সালে কাদির পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে মারা যান। এরপর নদী নারী পাচারে যুক্ত হন। বর্তমানে ভারত, মালয়েশিয়া, সংযুক্ত আরব আমিরাতে নারী পাচার চক্রটির সমন্বয়ক হিসেবে কাজ করছেন নদী। এই দেশগুলোয় তাঁর নিয়মিত যাতায়াত আছে। ফলে হিন্দি, আরবি, মালয়, তামিল ও ইংরেজি ভাষা রপ্ত করে ফেলেছেন।
পুলিশ কর্মকর্তা শহীদুল্লাহ বলেন, পাচারের শিকার ভুক্তভোগীদের কাছে তিনি নদী নামে পরিচিত হলেও ভারতে তাঁকে সবাই ইতি নামে চেনেন। আবার ভারতীয় আধার কার্ডে তার নাম জয়া আক্তার জান্নাত, পাসপোর্টে নুরজাহান, সাতক্ষীরা সীমান্তে জলি, যশোর সীমান্তে তাকে সবাই চেনেন প্রীতি হিসেবে। এ ছাড়া দুবাইয়ে তাঁর নাম লায়লা।
পুলিশ বলছে, শুধু তাঁর হেফাজত থেকেই ভারতীয় দুটি আধার কার্ড, পাসপোর্ট ও একটি পুরোনো ডায়েরি এবং মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়েছে।
সম্প্রতি ২২ বছর বয়সী এক বাংলাদেশি নারীকে নির্যাতন ও যৌন নিপীড়নের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়। এর জেরে গত ২৭ মে ভারতের বেঙ্গালুরু থেকে রিফাতুল ইসলাম হৃদয় ওরফে টিকটক হৃদয়কে গ্রেপ্তার করে সেখানকার পুলিশ।
এরপর বাংলাদেশ পুলিশ এ নিয়ে তদন্ত শুরু করলে নারী পাচারের একটি আন্তর্জাতিক চক্রের সন্ধান পায়। এ পর্যন্ত দেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী নারী পাচারের সঙ্গে জড়িত সন্দেহে ২০ জনকে গ্রেপ্তার করেছে। ভারতীয় পুলিশও গ্রেপ্তার করে ১২ জনকে।
চাঁদপুর-মুন্সিগঞ্জ নৌ সীমানার মোহনপুর এলাকায় মেঘনা নদীতে দুই গ্রুপের সংঘর্ষ ও গোলাগুলিতে দুই জন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হয়েছেন আরও একজন। আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে মুন্সিগঞ্জ ও চাঁদপুর মতলব উত্তর মোহনপুরের চড় আব্দুল্লাহপুর নাছিরার চরে নদীতে এ ঘটনা ঘটে।
১ দিন আগেরাজধানীর মোহাম্মদপুরে আবারও অস্ত্রের মুখে একটি পরিবারকে জিম্মি করে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। আজ বৃহস্পতিবার ভোররাতে মোহাম্মদপুরের বছিলাসংলগ্ন লাউতলা এলাকার ৮ নম্বর সড়কের ১০ নম্বর বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী তত্ত্বাবধায়ক নাসিমা বেগম মোহাম্মদপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন।
২৮ নভেম্বর ২০২৪রাজধানীর বিমানবন্দরে শরীরে বিশেষ কৌশলে গাঁজা নিয়ে এসে পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হয়েছে তিনজন কিশোর। তাঁরা বর্তমানে কিশোর সংশোধনাগারের রয়েছে।
০৮ নভেম্বর ২০২৪পরিবারে আর্থিক স্বচ্ছলতা ফেরাতে সিঙ্গাপুরে যান দুই ভাই উজ্জ্বল মিয়া ও মো. ঝন্টু। সেখানে থাকা অবস্থায় মুঠোফোনে ভাবির সঙ্গে পরকীয়ায় জড়ান ছোট ভাই মো. ঝন্টু। পরে দেশে ফিরে ভাবিকে বিয়ে করার জন্য আপন বড় ভাই উজ্জ্বল মিয়াকে খুন করে ছোট ভাই।
০৭ নভেম্বর ২০২৪