Ajker Patrika

কর্ণফুলী সেতুর কর্মচারীদের মারধর করা সেই এএসপির বেতন নামল সর্বনিম্ন গ্রেডে 

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
Thumbnail image

বছর ছয়েক আগে কর্ণফুলী শাহ আমানত সেতু টোল প্লাজায় কর্তব্যরত কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের মারধর, একটি হাসপাতালের চিকিৎসকদের সঙ্গে অসদাচরণ করা এবং একটানা অনুমতি ছাড়া প্রায় এক বছর কর্মস্থলে অনুপস্থিত থাকার অপরাধে একজন সহকারী পুলিশ সুপারের (এএসপি) বেতন সর্বনিম্ন গ্রেডে নামিয়ে দেওয়া হয়েছে। তার নাম মো. মশিয়ার রহমান। তিনি বর্তমানে সিলেট রেঞ্জ ডিআইজির কার্যালয়ে এএসপি পদে সংযুক্ত রয়েছেন। 

গত ২ জুলাই স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সচিব মো. জাহাঙ্গীর আলম স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে তাঁর শাস্তির বিষয়টি জানানো হয়। 

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, ২০১৮ সালের ৩ আগস্ট চট্টগ্রামের মীরসরাই সার্কেলে কর্মরত থাকা অবস্থায় কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া সরকারি গাড়ি নিয়ে বের হন। তিনি গাড়ি নিয়ে বের হয়ে কর্ণফুলী শাহ আমানত সেতু টোল প্লাজায় যানজট দেখতে পান। এরপর গাড়ি থেকে নেমে কর্তব্যরত কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের মারধর করেন। টোল প্লাজার বক্সের গ্লাস ভাঙচুর করে ভীতিকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করেন। টোল প্লাজার টোল ফি আদায় ছাড়াই নিজেই সিগন্যাল দিয়ে গাড়ি ছেড়ে দেন। তার এমন কার্যকলাপ টোল প্লাজায় সিসিটিভিতে রেকর্ড হয়। যা গণমাধ্যমে প্রকাশ হয়। একই দিন তিনি চট্টগ্রাম জেলার পটিয়া থানার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে অফিসার ইনচার্জ ও থানার অন্যান্য অফিসার এবং থানা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ডাক্তারদের সঙ্গে অভদ্র আচরণ করেন। এমনকি ওই দিন বিকেলে চন্দনাইশ থানায় গিয়ে থানা ক্যাম্পাসে জব্দকৃত মামলার আলামত কন্টেইনারের গ্লাস লাঠি দিয়ে ভাঙচুর করতে শুরু করেন। বিষয়টি টের পেয়ে পুলিশ সদস্যগণ তাকে নিবৃত্ত করার চেষ্টা করলে তিনি তার হাতে থাকা লাঠি দিয়ে পুলিশ সদস্যদের পিটিয়ে আহত করেন। 

একজন সরকারি কর্মকর্তা ও সুশৃঙ্খল পুলিশ বাহিনীর সদস্য হিসেবে এ ধরনের অপ্রীতিকর, অসৌজন্যমূলক, বেআইনি কার্যক্রম অনভিপ্রেত এবং সরকারি কর্মচারী শৃঙ্খলা পরিপন্থী। অসদাচরণের অভিযোগে তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা হয়। তবে তিনি কোনো ব্যক্তিগত শুনানিতে উপস্থিত হননি এবং তিনি শুনানির জন্য অপর কোনো দিন ধার্য করার আবেদনও করেননি। 

তদন্ত প্রতিবেদন, অপরাধের গুরুত্ব ও প্রাসঙ্গিক বিষয়াদিসহ সার্বিক বিবেচনায় তাকে সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালার আলোকে এই অপরাধে দুই বছরের জন্য এবং অনুমতি ছাড়া টানা ১১ মাস ৮ দিন কর্মস্থলে অনুপস্থিত থাকায় পাঁচ বছরের জন্য ‘নিম্ন বেতন গ্রেডে অবনমিত’ করা হয়। 

তিনি ভবিষ্যতে এই চাকরির মেয়াদের কোনো বকেয়া ভবিষ্যতে প্রাপ্য হবেন না। এ ছাড়া এই সময়কে তাঁর বেতন বৃদ্ধির জন্য গণনা করা যাবে না।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত