নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের (ইউজিসি) আওতাধীন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর অবকাঠামোগত, শিক্ষার মান ও গবেষণাসহ উন্নয়নে ৪৬টি প্রকল্প চলছে। এসব প্রকল্পের ভৌত ও আর্থিক অগ্রগতি (প্রকল্প বাস্তবায়ন ও ব্যয়ের হার) সমান দেখিয়েছে ইউজিসি। বিষয়টিকে অসম্ভব মনে করছে অনুমিত হিসাব সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটি। কমিটির মতে, একটি বানোয়াট (টেবিল মেইড) প্রতিবেদন উপস্থাপন করা হয়েছে। নির্ধারিত সময়ে প্রকল্প শেষ না করে বারবার সময় বাড়ানোর কারণেও ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে সংসদীয় কমিটি।
আজ মঙ্গলবার জাতীয় সংসদে অনুষ্ঠিত কমিটির বৈঠকে এ বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়। বৈঠকের কার্যপত্র থেকে জানা যায়, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলো উন্নয়নে ৪৬টি উন্নয়ন প্রকল্প চলমান। প্রকল্পগুলোর মধ্যে ৮ টির বাস্তবায়ন ২৫ শতাংশের নিচে, ১৬ টির ৫০ শতাংশ এবং ২২টি প্রকল্পের বাস্তবায়ন ৫১ থেকে ১০০ শতাংশ সম্পন্ন হয়েছে।
সংসদ সচিবালয় থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ইউজিসির চলমান প্রকল্পগুলোর আর্থিক ও ভৌত অগ্রগতি সমান থাকায় কমিটির কাছে উপস্থাপনকৃত তথ্যের বিষয়ে সন্দেহ প্রকাশ করা হয়েছে। সেই সঙ্গে ইউজিসি ভুল তথ্য দিয়ে থাকলে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ারও সুপারিশ করা হয়েছে।
কার্যপত্রে দেখা গেছে, চলমান প্রকল্পের সবগুলোরই ভৌত ও আর্থিক অগ্রগতি হুবহু এক। আর্থিক ও ভৌত অগ্রগতি সমান হওয়ার বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন তোলেন কমিটির সদস্যরা। তাঁদের মতে, ব্যতিক্রম দু-একটির ক্ষেত্রে অগ্রগতি সমান হলেও সবগুলোর ক্ষেত্রে এটা কোনোভাবেই সম্ভব নয়। বাস্তবতার ভিত্তিতে প্রতিবেদন না করে টেবিলে বসে এটা করা হয়েছে বলেও কমিটির সদস্যরা মন্তব্য করেন।
কার্যপত্রে দেখা যায়, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ভৌত অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পের ভৌত ও আর্থিক অগ্রগতি দুটোই সমান। এর অগ্রগতি হয়েছে ২২ দশমিক ৯৩ শতাংশ। এ ছাড়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ও আবাসিক ভবন নির্মাণ প্রকল্পের উভয় অগ্রগতি ৫৬ দশমিক ৯৪ শতাংশ; ঢাবির পপুলেশন সায়েন্স বিভাগের অগ্রগতি ৯৯ দশমিক ০৯ শতাংশ; জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের অগ্রগতি ৯৭ দশমিক ২০ শতাংশ; একই বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন ক্যাম্পাস স্থাপন প্রকল্পের অগ্রগতি ৪৭ দশমিক ২৬ শতাংশ; শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিকতর উন্নয়ন প্রকল্পের অগ্রগতি ৫২ দশমিক ৬৫ শতাংশ; একই বিশ্ববিদ্যালয়ের আরেকটি প্রকল্পের অগ্রগতি দশমিক ৩৩ শতাংশ; বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশেষ উন্নয়ন প্রকল্পের অগ্রগতি ৫৬ দশমিক ৮২ শতাংশ; বঙ্গমাতা ফজিলাতুন্নেছা মুজিব বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন প্রকল্পের অগ্রগতি ৫০ শতাংশ। এ ভাবে মোট ৪৬ টির প্রকল্পের ভৌত ও আর্থিক অগ্রগতি সমান দেখানো হয়েছে।
অনুমিত হিসাব সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির সভাপতি আবদুস শহীদ এ ব্যাপারে গণমাধ্যমকে বলেন, ‘আমরা ভৌত ও আর্থিক অগ্রগতি একই হওয়ার বিষয়টি ইউজিসির কাছে জানতে চেয়েছিলাম। এটা কী করে সম্ভব হলো তাঁরা সেটা জানাতে পারেননি। তারা কোনো জবাব দিতে পারেননি। তাদের কর্মকাণ্ডে গাফিলতি রয়েছে বলে আমাদের মনে হয়েছে। আর এই কারণে বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকাণ্ডগুলো গতিশীল হচ্ছে না।
জানা গেছে, বৈঠকে সরকারের উন্নয়ন প্রকল্প সময়মতো শেষ না করে বারবার সময় ও ব্যয় বাড়ানোর বিষয়টি নিয়েও ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছে কমিটি। এ ক্ষেত্রে প্রকল্প পরিচালকদের যোগ্যতা ও দক্ষতা নিয়েও প্রশ্ন তোলা হয়েছে। বাস্তবায়নে সফলতা না থাকলেও বিভিন্ন প্রকল্পের আওতায় বিদেশ যাওয়া এবং গাড়ি কেনার প্রবণতাও বিষয়টিও উঠে আসে বৈঠকে।
সব প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালকদের যোগ্যতা নিরূপণ করে দায়িত্ব দেওয়া হচ্ছে না বলে মনে করেন কমিটির সভাপতি আবদুস শহীদ। তিনি বলেন, ‘আমরা একটি বিষয় খুব বেশি দেখি সেটা হলো, প্রকল্প হলেই গাড়ি কেনার দিকে ঝোঁক বেশি থাকে। বাস্তব কোনো অগ্রগতি নেই। কিন্তু আর্থিক ব্যয় বেশি। সার্বিক মিলিয়ে আমাদের একটি দৈন্যদশা মনে হয়েছে। কোনোটাই গ্রহণযোগ্য মনে হয়।’
যথাসময়ে প্রকল্প শেষ করতে বলা হয়েছে বলে জানান তিনি। বলেন, ‘যথা সময়ে কাজ শেষ না হওয়ার কারণে সরকারের যে আর্থিক ক্ষতি ও অর্থের ওপর চাপ পড়ে তার দায় কে নেবে? এ জন্য আমরা ব্যর্থতার জন্য দায়ীদের শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার অনুশাসন দিয়েছি।’
প্রকল্প পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, আঞ্চলিক স্কাউট প্রশিক্ষণ কেন্দ্র নির্মাণ প্রকল্পের মূল মেয়াদ শেষ হয় গত ৩১ ডিসেম্বর। কিন্তু প্রকল্পের অগ্রগতি ৩ দশমিক ২০ শতাংশ। অবশ্য ব্যয় বৃদ্ধি ছাড়া এ প্রকল্পের মেয়াদ আগামী বছর ডিসেম্বর পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। সিলেট ও মৌলভীবাজারে স্কাউট প্রশিক্ষণ কেন্দ্র নির্মাণের সময়সীমা ছিল গত বছরের ডিসেম্বর। কিন্তু এরও কাজ হয়েছে মাত্র ৩০ শতাংশ। এই প্রকল্পটির মেয়াদও বাড়ানো হয়েছে আগামী বছরের ডিসেম্বর পর্যন্ত।
সরকারি কলেজে বিজ্ঞান শিক্ষার সুযোগ বৃদ্ধিতে ২০১৮ সালের জুলাইয়ে নেওয়া প্রকল্পটি গত ৩০ জুন শেষ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু প্রকল্পটির এখন পর্যন্ত অগ্রগতি হয়েছে ২৬ শতাংশ। ব্যানবেইসের এস্টাবলিশমেন্ট অব ইনটিগ্রেটেড এডুকেশন ইনফরমেশন ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম প্রকল্পটির মেয়াদ ছিল গত ৩০ জুন। কিন্তু এর কাজের অগ্রগতি ৫২ শতাংশ।
ব্যানবেইসের আরেকটি প্রকল্পের মূল মেয়াদ গত এপ্রিলের শেষ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সর্বশেষ তথ্য মতে এর বাস্তবায়ন অগ্রগতি ২০ শতাংশ। উল্লেখ্য যে এই প্রকল্পের আর্থিক ও ভৌত অগ্রগতি দুটোই সমান। অবশ্য প্রকল্পটির মেয়াদ ২০২৪ সালের জুন পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। এ ধরনের আরও কিছু প্রকল্পের তথ্য মঙ্গলবারের বৈঠকে উপস্থাপন করা হয়।
কমিটির সভাপতি আবদুস শহীদের সভাপতিত্বে বৈঠকে আরও অংশগ্রহণ করেন কমিটির সদস্য চিফ হুইপ নূর-ই-আলম চৌধুরী, ইউসুফ আব্দুল্লাহ হারুন, এ বি তাজুল ইসলাম, ফজলে হোসেন বাদশা, আহসান আদেলুর রহমান ও ওয়াসিকা আয়শা খান।

বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের (ইউজিসি) আওতাধীন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর অবকাঠামোগত, শিক্ষার মান ও গবেষণাসহ উন্নয়নে ৪৬টি প্রকল্প চলছে। এসব প্রকল্পের ভৌত ও আর্থিক অগ্রগতি (প্রকল্প বাস্তবায়ন ও ব্যয়ের হার) সমান দেখিয়েছে ইউজিসি। বিষয়টিকে অসম্ভব মনে করছে অনুমিত হিসাব সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটি। কমিটির মতে, একটি বানোয়াট (টেবিল মেইড) প্রতিবেদন উপস্থাপন করা হয়েছে। নির্ধারিত সময়ে প্রকল্প শেষ না করে বারবার সময় বাড়ানোর কারণেও ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে সংসদীয় কমিটি।
আজ মঙ্গলবার জাতীয় সংসদে অনুষ্ঠিত কমিটির বৈঠকে এ বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়। বৈঠকের কার্যপত্র থেকে জানা যায়, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলো উন্নয়নে ৪৬টি উন্নয়ন প্রকল্প চলমান। প্রকল্পগুলোর মধ্যে ৮ টির বাস্তবায়ন ২৫ শতাংশের নিচে, ১৬ টির ৫০ শতাংশ এবং ২২টি প্রকল্পের বাস্তবায়ন ৫১ থেকে ১০০ শতাংশ সম্পন্ন হয়েছে।
সংসদ সচিবালয় থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ইউজিসির চলমান প্রকল্পগুলোর আর্থিক ও ভৌত অগ্রগতি সমান থাকায় কমিটির কাছে উপস্থাপনকৃত তথ্যের বিষয়ে সন্দেহ প্রকাশ করা হয়েছে। সেই সঙ্গে ইউজিসি ভুল তথ্য দিয়ে থাকলে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ারও সুপারিশ করা হয়েছে।
কার্যপত্রে দেখা গেছে, চলমান প্রকল্পের সবগুলোরই ভৌত ও আর্থিক অগ্রগতি হুবহু এক। আর্থিক ও ভৌত অগ্রগতি সমান হওয়ার বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন তোলেন কমিটির সদস্যরা। তাঁদের মতে, ব্যতিক্রম দু-একটির ক্ষেত্রে অগ্রগতি সমান হলেও সবগুলোর ক্ষেত্রে এটা কোনোভাবেই সম্ভব নয়। বাস্তবতার ভিত্তিতে প্রতিবেদন না করে টেবিলে বসে এটা করা হয়েছে বলেও কমিটির সদস্যরা মন্তব্য করেন।
কার্যপত্রে দেখা যায়, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ভৌত অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পের ভৌত ও আর্থিক অগ্রগতি দুটোই সমান। এর অগ্রগতি হয়েছে ২২ দশমিক ৯৩ শতাংশ। এ ছাড়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ও আবাসিক ভবন নির্মাণ প্রকল্পের উভয় অগ্রগতি ৫৬ দশমিক ৯৪ শতাংশ; ঢাবির পপুলেশন সায়েন্স বিভাগের অগ্রগতি ৯৯ দশমিক ০৯ শতাংশ; জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের অগ্রগতি ৯৭ দশমিক ২০ শতাংশ; একই বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন ক্যাম্পাস স্থাপন প্রকল্পের অগ্রগতি ৪৭ দশমিক ২৬ শতাংশ; শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিকতর উন্নয়ন প্রকল্পের অগ্রগতি ৫২ দশমিক ৬৫ শতাংশ; একই বিশ্ববিদ্যালয়ের আরেকটি প্রকল্পের অগ্রগতি দশমিক ৩৩ শতাংশ; বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশেষ উন্নয়ন প্রকল্পের অগ্রগতি ৫৬ দশমিক ৮২ শতাংশ; বঙ্গমাতা ফজিলাতুন্নেছা মুজিব বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন প্রকল্পের অগ্রগতি ৫০ শতাংশ। এ ভাবে মোট ৪৬ টির প্রকল্পের ভৌত ও আর্থিক অগ্রগতি সমান দেখানো হয়েছে।
অনুমিত হিসাব সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির সভাপতি আবদুস শহীদ এ ব্যাপারে গণমাধ্যমকে বলেন, ‘আমরা ভৌত ও আর্থিক অগ্রগতি একই হওয়ার বিষয়টি ইউজিসির কাছে জানতে চেয়েছিলাম। এটা কী করে সম্ভব হলো তাঁরা সেটা জানাতে পারেননি। তারা কোনো জবাব দিতে পারেননি। তাদের কর্মকাণ্ডে গাফিলতি রয়েছে বলে আমাদের মনে হয়েছে। আর এই কারণে বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকাণ্ডগুলো গতিশীল হচ্ছে না।
জানা গেছে, বৈঠকে সরকারের উন্নয়ন প্রকল্প সময়মতো শেষ না করে বারবার সময় ও ব্যয় বাড়ানোর বিষয়টি নিয়েও ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছে কমিটি। এ ক্ষেত্রে প্রকল্প পরিচালকদের যোগ্যতা ও দক্ষতা নিয়েও প্রশ্ন তোলা হয়েছে। বাস্তবায়নে সফলতা না থাকলেও বিভিন্ন প্রকল্পের আওতায় বিদেশ যাওয়া এবং গাড়ি কেনার প্রবণতাও বিষয়টিও উঠে আসে বৈঠকে।
সব প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালকদের যোগ্যতা নিরূপণ করে দায়িত্ব দেওয়া হচ্ছে না বলে মনে করেন কমিটির সভাপতি আবদুস শহীদ। তিনি বলেন, ‘আমরা একটি বিষয় খুব বেশি দেখি সেটা হলো, প্রকল্প হলেই গাড়ি কেনার দিকে ঝোঁক বেশি থাকে। বাস্তব কোনো অগ্রগতি নেই। কিন্তু আর্থিক ব্যয় বেশি। সার্বিক মিলিয়ে আমাদের একটি দৈন্যদশা মনে হয়েছে। কোনোটাই গ্রহণযোগ্য মনে হয়।’
যথাসময়ে প্রকল্প শেষ করতে বলা হয়েছে বলে জানান তিনি। বলেন, ‘যথা সময়ে কাজ শেষ না হওয়ার কারণে সরকারের যে আর্থিক ক্ষতি ও অর্থের ওপর চাপ পড়ে তার দায় কে নেবে? এ জন্য আমরা ব্যর্থতার জন্য দায়ীদের শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার অনুশাসন দিয়েছি।’
প্রকল্প পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, আঞ্চলিক স্কাউট প্রশিক্ষণ কেন্দ্র নির্মাণ প্রকল্পের মূল মেয়াদ শেষ হয় গত ৩১ ডিসেম্বর। কিন্তু প্রকল্পের অগ্রগতি ৩ দশমিক ২০ শতাংশ। অবশ্য ব্যয় বৃদ্ধি ছাড়া এ প্রকল্পের মেয়াদ আগামী বছর ডিসেম্বর পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। সিলেট ও মৌলভীবাজারে স্কাউট প্রশিক্ষণ কেন্দ্র নির্মাণের সময়সীমা ছিল গত বছরের ডিসেম্বর। কিন্তু এরও কাজ হয়েছে মাত্র ৩০ শতাংশ। এই প্রকল্পটির মেয়াদও বাড়ানো হয়েছে আগামী বছরের ডিসেম্বর পর্যন্ত।
সরকারি কলেজে বিজ্ঞান শিক্ষার সুযোগ বৃদ্ধিতে ২০১৮ সালের জুলাইয়ে নেওয়া প্রকল্পটি গত ৩০ জুন শেষ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু প্রকল্পটির এখন পর্যন্ত অগ্রগতি হয়েছে ২৬ শতাংশ। ব্যানবেইসের এস্টাবলিশমেন্ট অব ইনটিগ্রেটেড এডুকেশন ইনফরমেশন ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম প্রকল্পটির মেয়াদ ছিল গত ৩০ জুন। কিন্তু এর কাজের অগ্রগতি ৫২ শতাংশ।
ব্যানবেইসের আরেকটি প্রকল্পের মূল মেয়াদ গত এপ্রিলের শেষ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সর্বশেষ তথ্য মতে এর বাস্তবায়ন অগ্রগতি ২০ শতাংশ। উল্লেখ্য যে এই প্রকল্পের আর্থিক ও ভৌত অগ্রগতি দুটোই সমান। অবশ্য প্রকল্পটির মেয়াদ ২০২৪ সালের জুন পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। এ ধরনের আরও কিছু প্রকল্পের তথ্য মঙ্গলবারের বৈঠকে উপস্থাপন করা হয়।
কমিটির সভাপতি আবদুস শহীদের সভাপতিত্বে বৈঠকে আরও অংশগ্রহণ করেন কমিটির সদস্য চিফ হুইপ নূর-ই-আলম চৌধুরী, ইউসুফ আব্দুল্লাহ হারুন, এ বি তাজুল ইসলাম, ফজলে হোসেন বাদশা, আহসান আদেলুর রহমান ও ওয়াসিকা আয়শা খান।
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের (ইউজিসি) আওতাধীন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর অবকাঠামোগত, শিক্ষার মান ও গবেষণাসহ উন্নয়নে ৪৬টি প্রকল্প চলছে। এসব প্রকল্পের ভৌত ও আর্থিক অগ্রগতি (প্রকল্প বাস্তবায়ন ও ব্যয়ের হার) সমান দেখিয়েছে ইউজিসি। বিষয়টিকে অসম্ভব মনে করছে অনুমিত হিসাব সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটি। কমিটির মতে, একটি বানোয়াট (টেবিল মেইড) প্রতিবেদন উপস্থাপন করা হয়েছে। নির্ধারিত সময়ে প্রকল্প শেষ না করে বারবার সময় বাড়ানোর কারণেও ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে সংসদীয় কমিটি।
আজ মঙ্গলবার জাতীয় সংসদে অনুষ্ঠিত কমিটির বৈঠকে এ বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়। বৈঠকের কার্যপত্র থেকে জানা যায়, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলো উন্নয়নে ৪৬টি উন্নয়ন প্রকল্প চলমান। প্রকল্পগুলোর মধ্যে ৮ টির বাস্তবায়ন ২৫ শতাংশের নিচে, ১৬ টির ৫০ শতাংশ এবং ২২টি প্রকল্পের বাস্তবায়ন ৫১ থেকে ১০০ শতাংশ সম্পন্ন হয়েছে।
সংসদ সচিবালয় থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ইউজিসির চলমান প্রকল্পগুলোর আর্থিক ও ভৌত অগ্রগতি সমান থাকায় কমিটির কাছে উপস্থাপনকৃত তথ্যের বিষয়ে সন্দেহ প্রকাশ করা হয়েছে। সেই সঙ্গে ইউজিসি ভুল তথ্য দিয়ে থাকলে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ারও সুপারিশ করা হয়েছে।
কার্যপত্রে দেখা গেছে, চলমান প্রকল্পের সবগুলোরই ভৌত ও আর্থিক অগ্রগতি হুবহু এক। আর্থিক ও ভৌত অগ্রগতি সমান হওয়ার বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন তোলেন কমিটির সদস্যরা। তাঁদের মতে, ব্যতিক্রম দু-একটির ক্ষেত্রে অগ্রগতি সমান হলেও সবগুলোর ক্ষেত্রে এটা কোনোভাবেই সম্ভব নয়। বাস্তবতার ভিত্তিতে প্রতিবেদন না করে টেবিলে বসে এটা করা হয়েছে বলেও কমিটির সদস্যরা মন্তব্য করেন।
কার্যপত্রে দেখা যায়, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ভৌত অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পের ভৌত ও আর্থিক অগ্রগতি দুটোই সমান। এর অগ্রগতি হয়েছে ২২ দশমিক ৯৩ শতাংশ। এ ছাড়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ও আবাসিক ভবন নির্মাণ প্রকল্পের উভয় অগ্রগতি ৫৬ দশমিক ৯৪ শতাংশ; ঢাবির পপুলেশন সায়েন্স বিভাগের অগ্রগতি ৯৯ দশমিক ০৯ শতাংশ; জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের অগ্রগতি ৯৭ দশমিক ২০ শতাংশ; একই বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন ক্যাম্পাস স্থাপন প্রকল্পের অগ্রগতি ৪৭ দশমিক ২৬ শতাংশ; শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিকতর উন্নয়ন প্রকল্পের অগ্রগতি ৫২ দশমিক ৬৫ শতাংশ; একই বিশ্ববিদ্যালয়ের আরেকটি প্রকল্পের অগ্রগতি দশমিক ৩৩ শতাংশ; বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশেষ উন্নয়ন প্রকল্পের অগ্রগতি ৫৬ দশমিক ৮২ শতাংশ; বঙ্গমাতা ফজিলাতুন্নেছা মুজিব বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন প্রকল্পের অগ্রগতি ৫০ শতাংশ। এ ভাবে মোট ৪৬ টির প্রকল্পের ভৌত ও আর্থিক অগ্রগতি সমান দেখানো হয়েছে।
অনুমিত হিসাব সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির সভাপতি আবদুস শহীদ এ ব্যাপারে গণমাধ্যমকে বলেন, ‘আমরা ভৌত ও আর্থিক অগ্রগতি একই হওয়ার বিষয়টি ইউজিসির কাছে জানতে চেয়েছিলাম। এটা কী করে সম্ভব হলো তাঁরা সেটা জানাতে পারেননি। তারা কোনো জবাব দিতে পারেননি। তাদের কর্মকাণ্ডে গাফিলতি রয়েছে বলে আমাদের মনে হয়েছে। আর এই কারণে বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকাণ্ডগুলো গতিশীল হচ্ছে না।
জানা গেছে, বৈঠকে সরকারের উন্নয়ন প্রকল্প সময়মতো শেষ না করে বারবার সময় ও ব্যয় বাড়ানোর বিষয়টি নিয়েও ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছে কমিটি। এ ক্ষেত্রে প্রকল্প পরিচালকদের যোগ্যতা ও দক্ষতা নিয়েও প্রশ্ন তোলা হয়েছে। বাস্তবায়নে সফলতা না থাকলেও বিভিন্ন প্রকল্পের আওতায় বিদেশ যাওয়া এবং গাড়ি কেনার প্রবণতাও বিষয়টিও উঠে আসে বৈঠকে।
সব প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালকদের যোগ্যতা নিরূপণ করে দায়িত্ব দেওয়া হচ্ছে না বলে মনে করেন কমিটির সভাপতি আবদুস শহীদ। তিনি বলেন, ‘আমরা একটি বিষয় খুব বেশি দেখি সেটা হলো, প্রকল্প হলেই গাড়ি কেনার দিকে ঝোঁক বেশি থাকে। বাস্তব কোনো অগ্রগতি নেই। কিন্তু আর্থিক ব্যয় বেশি। সার্বিক মিলিয়ে আমাদের একটি দৈন্যদশা মনে হয়েছে। কোনোটাই গ্রহণযোগ্য মনে হয়।’
যথাসময়ে প্রকল্প শেষ করতে বলা হয়েছে বলে জানান তিনি। বলেন, ‘যথা সময়ে কাজ শেষ না হওয়ার কারণে সরকারের যে আর্থিক ক্ষতি ও অর্থের ওপর চাপ পড়ে তার দায় কে নেবে? এ জন্য আমরা ব্যর্থতার জন্য দায়ীদের শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার অনুশাসন দিয়েছি।’
প্রকল্প পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, আঞ্চলিক স্কাউট প্রশিক্ষণ কেন্দ্র নির্মাণ প্রকল্পের মূল মেয়াদ শেষ হয় গত ৩১ ডিসেম্বর। কিন্তু প্রকল্পের অগ্রগতি ৩ দশমিক ২০ শতাংশ। অবশ্য ব্যয় বৃদ্ধি ছাড়া এ প্রকল্পের মেয়াদ আগামী বছর ডিসেম্বর পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। সিলেট ও মৌলভীবাজারে স্কাউট প্রশিক্ষণ কেন্দ্র নির্মাণের সময়সীমা ছিল গত বছরের ডিসেম্বর। কিন্তু এরও কাজ হয়েছে মাত্র ৩০ শতাংশ। এই প্রকল্পটির মেয়াদও বাড়ানো হয়েছে আগামী বছরের ডিসেম্বর পর্যন্ত।
সরকারি কলেজে বিজ্ঞান শিক্ষার সুযোগ বৃদ্ধিতে ২০১৮ সালের জুলাইয়ে নেওয়া প্রকল্পটি গত ৩০ জুন শেষ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু প্রকল্পটির এখন পর্যন্ত অগ্রগতি হয়েছে ২৬ শতাংশ। ব্যানবেইসের এস্টাবলিশমেন্ট অব ইনটিগ্রেটেড এডুকেশন ইনফরমেশন ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম প্রকল্পটির মেয়াদ ছিল গত ৩০ জুন। কিন্তু এর কাজের অগ্রগতি ৫২ শতাংশ।
ব্যানবেইসের আরেকটি প্রকল্পের মূল মেয়াদ গত এপ্রিলের শেষ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সর্বশেষ তথ্য মতে এর বাস্তবায়ন অগ্রগতি ২০ শতাংশ। উল্লেখ্য যে এই প্রকল্পের আর্থিক ও ভৌত অগ্রগতি দুটোই সমান। অবশ্য প্রকল্পটির মেয়াদ ২০২৪ সালের জুন পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। এ ধরনের আরও কিছু প্রকল্পের তথ্য মঙ্গলবারের বৈঠকে উপস্থাপন করা হয়।
কমিটির সভাপতি আবদুস শহীদের সভাপতিত্বে বৈঠকে আরও অংশগ্রহণ করেন কমিটির সদস্য চিফ হুইপ নূর-ই-আলম চৌধুরী, ইউসুফ আব্দুল্লাহ হারুন, এ বি তাজুল ইসলাম, ফজলে হোসেন বাদশা, আহসান আদেলুর রহমান ও ওয়াসিকা আয়শা খান।

বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের (ইউজিসি) আওতাধীন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর অবকাঠামোগত, শিক্ষার মান ও গবেষণাসহ উন্নয়নে ৪৬টি প্রকল্প চলছে। এসব প্রকল্পের ভৌত ও আর্থিক অগ্রগতি (প্রকল্প বাস্তবায়ন ও ব্যয়ের হার) সমান দেখিয়েছে ইউজিসি। বিষয়টিকে অসম্ভব মনে করছে অনুমিত হিসাব সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটি। কমিটির মতে, একটি বানোয়াট (টেবিল মেইড) প্রতিবেদন উপস্থাপন করা হয়েছে। নির্ধারিত সময়ে প্রকল্প শেষ না করে বারবার সময় বাড়ানোর কারণেও ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে সংসদীয় কমিটি।
আজ মঙ্গলবার জাতীয় সংসদে অনুষ্ঠিত কমিটির বৈঠকে এ বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়। বৈঠকের কার্যপত্র থেকে জানা যায়, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলো উন্নয়নে ৪৬টি উন্নয়ন প্রকল্প চলমান। প্রকল্পগুলোর মধ্যে ৮ টির বাস্তবায়ন ২৫ শতাংশের নিচে, ১৬ টির ৫০ শতাংশ এবং ২২টি প্রকল্পের বাস্তবায়ন ৫১ থেকে ১০০ শতাংশ সম্পন্ন হয়েছে।
সংসদ সচিবালয় থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ইউজিসির চলমান প্রকল্পগুলোর আর্থিক ও ভৌত অগ্রগতি সমান থাকায় কমিটির কাছে উপস্থাপনকৃত তথ্যের বিষয়ে সন্দেহ প্রকাশ করা হয়েছে। সেই সঙ্গে ইউজিসি ভুল তথ্য দিয়ে থাকলে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ারও সুপারিশ করা হয়েছে।
কার্যপত্রে দেখা গেছে, চলমান প্রকল্পের সবগুলোরই ভৌত ও আর্থিক অগ্রগতি হুবহু এক। আর্থিক ও ভৌত অগ্রগতি সমান হওয়ার বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন তোলেন কমিটির সদস্যরা। তাঁদের মতে, ব্যতিক্রম দু-একটির ক্ষেত্রে অগ্রগতি সমান হলেও সবগুলোর ক্ষেত্রে এটা কোনোভাবেই সম্ভব নয়। বাস্তবতার ভিত্তিতে প্রতিবেদন না করে টেবিলে বসে এটা করা হয়েছে বলেও কমিটির সদস্যরা মন্তব্য করেন।
কার্যপত্রে দেখা যায়, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ভৌত অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পের ভৌত ও আর্থিক অগ্রগতি দুটোই সমান। এর অগ্রগতি হয়েছে ২২ দশমিক ৯৩ শতাংশ। এ ছাড়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ও আবাসিক ভবন নির্মাণ প্রকল্পের উভয় অগ্রগতি ৫৬ দশমিক ৯৪ শতাংশ; ঢাবির পপুলেশন সায়েন্স বিভাগের অগ্রগতি ৯৯ দশমিক ০৯ শতাংশ; জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের অগ্রগতি ৯৭ দশমিক ২০ শতাংশ; একই বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন ক্যাম্পাস স্থাপন প্রকল্পের অগ্রগতি ৪৭ দশমিক ২৬ শতাংশ; শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিকতর উন্নয়ন প্রকল্পের অগ্রগতি ৫২ দশমিক ৬৫ শতাংশ; একই বিশ্ববিদ্যালয়ের আরেকটি প্রকল্পের অগ্রগতি দশমিক ৩৩ শতাংশ; বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশেষ উন্নয়ন প্রকল্পের অগ্রগতি ৫৬ দশমিক ৮২ শতাংশ; বঙ্গমাতা ফজিলাতুন্নেছা মুজিব বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন প্রকল্পের অগ্রগতি ৫০ শতাংশ। এ ভাবে মোট ৪৬ টির প্রকল্পের ভৌত ও আর্থিক অগ্রগতি সমান দেখানো হয়েছে।
অনুমিত হিসাব সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির সভাপতি আবদুস শহীদ এ ব্যাপারে গণমাধ্যমকে বলেন, ‘আমরা ভৌত ও আর্থিক অগ্রগতি একই হওয়ার বিষয়টি ইউজিসির কাছে জানতে চেয়েছিলাম। এটা কী করে সম্ভব হলো তাঁরা সেটা জানাতে পারেননি। তারা কোনো জবাব দিতে পারেননি। তাদের কর্মকাণ্ডে গাফিলতি রয়েছে বলে আমাদের মনে হয়েছে। আর এই কারণে বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকাণ্ডগুলো গতিশীল হচ্ছে না।
জানা গেছে, বৈঠকে সরকারের উন্নয়ন প্রকল্প সময়মতো শেষ না করে বারবার সময় ও ব্যয় বাড়ানোর বিষয়টি নিয়েও ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছে কমিটি। এ ক্ষেত্রে প্রকল্প পরিচালকদের যোগ্যতা ও দক্ষতা নিয়েও প্রশ্ন তোলা হয়েছে। বাস্তবায়নে সফলতা না থাকলেও বিভিন্ন প্রকল্পের আওতায় বিদেশ যাওয়া এবং গাড়ি কেনার প্রবণতাও বিষয়টিও উঠে আসে বৈঠকে।
সব প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালকদের যোগ্যতা নিরূপণ করে দায়িত্ব দেওয়া হচ্ছে না বলে মনে করেন কমিটির সভাপতি আবদুস শহীদ। তিনি বলেন, ‘আমরা একটি বিষয় খুব বেশি দেখি সেটা হলো, প্রকল্প হলেই গাড়ি কেনার দিকে ঝোঁক বেশি থাকে। বাস্তব কোনো অগ্রগতি নেই। কিন্তু আর্থিক ব্যয় বেশি। সার্বিক মিলিয়ে আমাদের একটি দৈন্যদশা মনে হয়েছে। কোনোটাই গ্রহণযোগ্য মনে হয়।’
যথাসময়ে প্রকল্প শেষ করতে বলা হয়েছে বলে জানান তিনি। বলেন, ‘যথা সময়ে কাজ শেষ না হওয়ার কারণে সরকারের যে আর্থিক ক্ষতি ও অর্থের ওপর চাপ পড়ে তার দায় কে নেবে? এ জন্য আমরা ব্যর্থতার জন্য দায়ীদের শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার অনুশাসন দিয়েছি।’
প্রকল্প পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, আঞ্চলিক স্কাউট প্রশিক্ষণ কেন্দ্র নির্মাণ প্রকল্পের মূল মেয়াদ শেষ হয় গত ৩১ ডিসেম্বর। কিন্তু প্রকল্পের অগ্রগতি ৩ দশমিক ২০ শতাংশ। অবশ্য ব্যয় বৃদ্ধি ছাড়া এ প্রকল্পের মেয়াদ আগামী বছর ডিসেম্বর পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। সিলেট ও মৌলভীবাজারে স্কাউট প্রশিক্ষণ কেন্দ্র নির্মাণের সময়সীমা ছিল গত বছরের ডিসেম্বর। কিন্তু এরও কাজ হয়েছে মাত্র ৩০ শতাংশ। এই প্রকল্পটির মেয়াদও বাড়ানো হয়েছে আগামী বছরের ডিসেম্বর পর্যন্ত।
সরকারি কলেজে বিজ্ঞান শিক্ষার সুযোগ বৃদ্ধিতে ২০১৮ সালের জুলাইয়ে নেওয়া প্রকল্পটি গত ৩০ জুন শেষ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু প্রকল্পটির এখন পর্যন্ত অগ্রগতি হয়েছে ২৬ শতাংশ। ব্যানবেইসের এস্টাবলিশমেন্ট অব ইনটিগ্রেটেড এডুকেশন ইনফরমেশন ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম প্রকল্পটির মেয়াদ ছিল গত ৩০ জুন। কিন্তু এর কাজের অগ্রগতি ৫২ শতাংশ।
ব্যানবেইসের আরেকটি প্রকল্পের মূল মেয়াদ গত এপ্রিলের শেষ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সর্বশেষ তথ্য মতে এর বাস্তবায়ন অগ্রগতি ২০ শতাংশ। উল্লেখ্য যে এই প্রকল্পের আর্থিক ও ভৌত অগ্রগতি দুটোই সমান। অবশ্য প্রকল্পটির মেয়াদ ২০২৪ সালের জুন পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। এ ধরনের আরও কিছু প্রকল্পের তথ্য মঙ্গলবারের বৈঠকে উপস্থাপন করা হয়।
কমিটির সভাপতি আবদুস শহীদের সভাপতিত্বে বৈঠকে আরও অংশগ্রহণ করেন কমিটির সদস্য চিফ হুইপ নূর-ই-আলম চৌধুরী, ইউসুফ আব্দুল্লাহ হারুন, এ বি তাজুল ইসলাম, ফজলে হোসেন বাদশা, আহসান আদেলুর রহমান ও ওয়াসিকা আয়শা খান।

রাজধানীর মোহাম্মদপুরে জেনেভা ক্যাম্পে ‘মাদক কারবারিদের’ দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে জাহিদ নিহতের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ শুক্রবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. ইবনে মিজান আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
৫ দিন আগে
এক বিজ্ঞপ্তিতে সিআইডি জানিয়েছে, নূরে আলম একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সদস্য। তিনি ফেসবুকে এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে যোগাযোগ করে জানান, তাঁর নামে বিদেশ থেকে একটি পার্সেল এসেছে, যা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাস্টম হাউসে জমা আছে। পার্সেল ছাড়াতে টাকা লাগবে—এ দাবি করে পার্সেলের ছবিও পাঠান তিনি।
৮ দিন আগে
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সভায় উপস্থিত বিএফআইইউ প্রতিনিধি বলেন, এমএফএস অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে জুয়া ও প্রতারণা বন্ধে বিটিআরসির (বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন) মাধ্যমে বার্তা দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া এমএফএস প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে বৈঠক করে তাদের কিছু নির্দেশনাও দেওয়া হবে। যেসব অ্যাকাউন্ট ব্লক (স্থগিত)
৮ দিন আগে
দেশে বসেই আন্তর্জাতিক পর্নো সাইটে সক্রিয় ছিলেন তাঁরা। ভিডিও বানিয়ে আপলোড করতেন বিভিন্ন ওয়েবসাইটে। শুধু নিজেরাই নন, এই দম্পতি অন্যদেরও এ কাজে যুক্ত করতেন বলে অভিযোগ। অবশেষে সেই আলোচিত যুগলকে বান্দরবানে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
৯ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

রাজধানীর মোহাম্মদপুরে জেনেভা ক্যাম্পে ‘মাদক কারবারিদের’ দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে জাহিদ নিহতের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
আজ শুক্রবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. ইবনে মিজান আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
গত বুধবার ভোররাতে দুই গ্রুপ মাদক কারবারির সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে নিহত হন জাহিদ (২০)। পরিবারের দাবি, দুপক্ষের সংঘর্ষ চলাকালে জাহিদের পায়ের কাছে ককটেল বিস্ফোরণ হয়। এ সময় স্প্লিন্টার তাঁর ঘাড় ও পিঠে বিদ্ধ হয়। আহত অবস্থায় উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় মোহাম্মদপুর থানায় একটি হত্যা মামলা হয়েছে। সংঘর্ষের পর ঘটনাস্থলে অভিযান পরিচালনা করে র্যাব, পুলিশ ও সেনাবাহিনী। অভিযানে একটি বিদেশি পিস্তল, একটি ম্যাগাজিন ও তিনটি তাজা গুলিসহ বিপুল পরিমাণ দেশি অস্ত্র ও পেট্রলবোমা উদ্ধার করা হয়।
জাহিদের ভগ্নিপতি মো. উজ্জ্বল জানান, রাজধানীর কল্যাণপুরে মিজান টাওয়ারে একটি মোবাইল ফোন সার্ভিসিংয়ের দোকানে কাজ করতেন জাহিদ। বুধবার রাতে বন্ধুদের সঙ্গে রেস্তোরাঁয় খেতে যাওয়ার সময় তাঁরা সংঘর্ষের মধ্যে পড়েন। পরে হাসপাতালে জাহিদের মৃত্যু হয়।
তবে পুলিশ বলছে, ককটেল তৈরির সময় বিস্ফোরণে নিহত হন জাহিদ।

রাজধানীর মোহাম্মদপুরে জেনেভা ক্যাম্পে ‘মাদক কারবারিদের’ দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে জাহিদ নিহতের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
আজ শুক্রবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. ইবনে মিজান আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
গত বুধবার ভোররাতে দুই গ্রুপ মাদক কারবারির সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে নিহত হন জাহিদ (২০)। পরিবারের দাবি, দুপক্ষের সংঘর্ষ চলাকালে জাহিদের পায়ের কাছে ককটেল বিস্ফোরণ হয়। এ সময় স্প্লিন্টার তাঁর ঘাড় ও পিঠে বিদ্ধ হয়। আহত অবস্থায় উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় মোহাম্মদপুর থানায় একটি হত্যা মামলা হয়েছে। সংঘর্ষের পর ঘটনাস্থলে অভিযান পরিচালনা করে র্যাব, পুলিশ ও সেনাবাহিনী। অভিযানে একটি বিদেশি পিস্তল, একটি ম্যাগাজিন ও তিনটি তাজা গুলিসহ বিপুল পরিমাণ দেশি অস্ত্র ও পেট্রলবোমা উদ্ধার করা হয়।
জাহিদের ভগ্নিপতি মো. উজ্জ্বল জানান, রাজধানীর কল্যাণপুরে মিজান টাওয়ারে একটি মোবাইল ফোন সার্ভিসিংয়ের দোকানে কাজ করতেন জাহিদ। বুধবার রাতে বন্ধুদের সঙ্গে রেস্তোরাঁয় খেতে যাওয়ার সময় তাঁরা সংঘর্ষের মধ্যে পড়েন। পরে হাসপাতালে জাহিদের মৃত্যু হয়।
তবে পুলিশ বলছে, ককটেল তৈরির সময় বিস্ফোরণে নিহত হন জাহিদ।

ইউজিসির চলমান প্রকল্পগুলোর আর্থিক ও ভৌত অগ্রগতি সমান থাকায় কমিটির কাছে উপস্থাপনকৃত তথ্যের বিষয়ে সন্দেহ প্রকাশ করা হয়েছে। সেই সঙ্গে ইউজিসি ভুল তথ্য দিয়ে থাকলে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ারও সুপারিশ করা হয়েছে।
০২ আগস্ট ২০২২
এক বিজ্ঞপ্তিতে সিআইডি জানিয়েছে, নূরে আলম একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সদস্য। তিনি ফেসবুকে এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে যোগাযোগ করে জানান, তাঁর নামে বিদেশ থেকে একটি পার্সেল এসেছে, যা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাস্টম হাউসে জমা আছে। পার্সেল ছাড়াতে টাকা লাগবে—এ দাবি করে পার্সেলের ছবিও পাঠান তিনি।
৮ দিন আগে
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সভায় উপস্থিত বিএফআইইউ প্রতিনিধি বলেন, এমএফএস অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে জুয়া ও প্রতারণা বন্ধে বিটিআরসির (বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন) মাধ্যমে বার্তা দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া এমএফএস প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে বৈঠক করে তাদের কিছু নির্দেশনাও দেওয়া হবে। যেসব অ্যাকাউন্ট ব্লক (স্থগিত)
৮ দিন আগে
দেশে বসেই আন্তর্জাতিক পর্নো সাইটে সক্রিয় ছিলেন তাঁরা। ভিডিও বানিয়ে আপলোড করতেন বিভিন্ন ওয়েবসাইটে। শুধু নিজেরাই নন, এই দম্পতি অন্যদেরও এ কাজে যুক্ত করতেন বলে অভিযোগ। অবশেষে সেই আলোচিত যুগলকে বান্দরবানে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
৯ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বিদেশ থেকে পার্সেল এসেছে—এমন দাবি করে কাস্টমস থেকে তা ছাড়িয়ে দেওয়ার কথা বলে ১১ লাখ ৮৫ হাজার টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে এক তরুণকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
গতকাল সোমবার রাতে রাজধানীর তেজগাঁও শিল্পাঞ্চলের কুনিপাড়া এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার ওই তরুণের নাম মো. নূরে আলম ওরফে তুহিন (২৪)।
এক বিজ্ঞপ্তিতে সিআইডি জানিয়েছে, নূরে আলম একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সদস্য। তিনি ফেসবুকে এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে যোগাযোগ করে জানান, তাঁর নামে বিদেশ থেকে একটি পার্সেল এসেছে, যা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাস্টম হাউসে জমা আছে। পার্সেল ছাড়াতে টাকা লাগবে—এ দাবি করে পার্সেলের ছবিও পাঠান তিনি।
পরে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন অজুহাতে ভুক্তভোগীর কাছ থেকে বিকাশ ও ব্যাংকের মাধ্যমে ১১ লাখ ৮৫ হাজার টাকা আদায় করেন নূরে আলম। টাকা পাওয়ার পর নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দেন তিনি।
ভুক্তভোগী আদালতের শরণাপন্ন হলে রামপুরা থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করা হয়। মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব পায় সিআইডির সাইবার পুলিশ সেন্টার। পরে নূরে আলমকে গ্রেপ্তার করা হয়।
সিআইডি জানায়, প্রতারক চক্রের অন্য সদস্যদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।

বিদেশ থেকে পার্সেল এসেছে—এমন দাবি করে কাস্টমস থেকে তা ছাড়িয়ে দেওয়ার কথা বলে ১১ লাখ ৮৫ হাজার টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে এক তরুণকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
গতকাল সোমবার রাতে রাজধানীর তেজগাঁও শিল্পাঞ্চলের কুনিপাড়া এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার ওই তরুণের নাম মো. নূরে আলম ওরফে তুহিন (২৪)।
এক বিজ্ঞপ্তিতে সিআইডি জানিয়েছে, নূরে আলম একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সদস্য। তিনি ফেসবুকে এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে যোগাযোগ করে জানান, তাঁর নামে বিদেশ থেকে একটি পার্সেল এসেছে, যা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাস্টম হাউসে জমা আছে। পার্সেল ছাড়াতে টাকা লাগবে—এ দাবি করে পার্সেলের ছবিও পাঠান তিনি।
পরে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন অজুহাতে ভুক্তভোগীর কাছ থেকে বিকাশ ও ব্যাংকের মাধ্যমে ১১ লাখ ৮৫ হাজার টাকা আদায় করেন নূরে আলম। টাকা পাওয়ার পর নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দেন তিনি।
ভুক্তভোগী আদালতের শরণাপন্ন হলে রামপুরা থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করা হয়। মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব পায় সিআইডির সাইবার পুলিশ সেন্টার। পরে নূরে আলমকে গ্রেপ্তার করা হয়।
সিআইডি জানায়, প্রতারক চক্রের অন্য সদস্যদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।

ইউজিসির চলমান প্রকল্পগুলোর আর্থিক ও ভৌত অগ্রগতি সমান থাকায় কমিটির কাছে উপস্থাপনকৃত তথ্যের বিষয়ে সন্দেহ প্রকাশ করা হয়েছে। সেই সঙ্গে ইউজিসি ভুল তথ্য দিয়ে থাকলে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ারও সুপারিশ করা হয়েছে।
০২ আগস্ট ২০২২
রাজধানীর মোহাম্মদপুরে জেনেভা ক্যাম্পে ‘মাদক কারবারিদের’ দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে জাহিদ নিহতের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ শুক্রবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. ইবনে মিজান আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
৫ দিন আগে
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সভায় উপস্থিত বিএফআইইউ প্রতিনিধি বলেন, এমএফএস অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে জুয়া ও প্রতারণা বন্ধে বিটিআরসির (বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন) মাধ্যমে বার্তা দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া এমএফএস প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে বৈঠক করে তাদের কিছু নির্দেশনাও দেওয়া হবে। যেসব অ্যাকাউন্ট ব্লক (স্থগিত)
৮ দিন আগে
দেশে বসেই আন্তর্জাতিক পর্নো সাইটে সক্রিয় ছিলেন তাঁরা। ভিডিও বানিয়ে আপলোড করতেন বিভিন্ন ওয়েবসাইটে। শুধু নিজেরাই নন, এই দম্পতি অন্যদেরও এ কাজে যুক্ত করতেন বলে অভিযোগ। অবশেষে সেই আলোচিত যুগলকে বান্দরবানে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
৯ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

জুয়া ও প্রতারণায় জড়িত থাকায় ৫০ হাজারের বেশি এমএফএস (মোবাইলভিত্তিক আর্থিক লেনদেন সেবা) অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ (স্থগিত) করেছে বিএফআইইউ (বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট)। ২০২২ সালের ডিসেম্বর থেকে চলতি মাস পর্যন্ত এই নম্বরগুলো স্থগিত করা হয়।
আজ মঙ্গলবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বিটিআরসি ভবনে ‘অনলাইন জুয়া প্রতিরোধে করণীয়’ শীর্ষক এক সভায় বিএফআইইউর প্রতিনিধি এ তথ্য জানান।
সভায় ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়, ডিজিএফআই (ডিরেক্টরেট জেনারেল অব ফোর্সেস ইন্টেলিজেন্স), এনএসআই (ন্যাশনাল সিকিউরিটি ইন্টেলিজেন্স), এনটিএমসি (ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টার), সিআইডি (ক্রিমিনাল ইনভেস্টিগেশন ডিপার্টমেন্ট), বিএফআইইউ, এমএফএস ও মোবাইল অপারেটরদের প্রতিনিধিরা অংশ নেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সভায় উপস্থিত বিএফআইইউ প্রতিনিধি বলেন, এমএফএস অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে জুয়া ও প্রতারণা বন্ধে বিটিআরসির (বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন) মাধ্যমে বার্তা দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া এমএফএস প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে বৈঠক করে তাদের কিছু নির্দেশনাও দেওয়া হবে। যেসব অ্যাকাউন্ট ব্লক (স্থগিত) করা হয়েছে, সেগুলো থেকে কোথায় কোথায় টাকা লেনদেন করা হয়েছে, তা বিশ্লেষণ করে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে প্রতিবেদন দেওয়া হবে।
ডিজিএফআই প্রতিনিধি জানান, অনলাইন জুয়ার মতো আর্থিক নানা প্রতারণায় বেনামি সিম ব্যবহার করা হচ্ছে। সংঘবদ্ধ চক্র ভুয়া সিম বিক্রি করছে। মানুষের আঙুলের ছাপ ব্যবহার করা হচ্ছে। বিকাশের অ্যাপ নকল করা হয়েছে। নাগরিকদের ডেটাবেইস ডার্ক ওয়েবে পাওয়া যাচ্ছে। এটা নিয়ে নানা অপরাধ সংঘটিত হচ্ছে।
সভায় অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিবিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, সরকার সতর্ক করার পরও অনেক গণমাধ্যমের অনলাইন পোর্টালে এখনো জুয়ার বিজ্ঞাপন প্রচার করা হচ্ছে। এ ধরনের বিজ্ঞাপন প্রচার করলে যেকোনো মুহূর্তে বিনা নোটিশে সংশ্লিষ্ট গণমাধ্যমের পোর্টাল বন্ধ করে দেওয়া হবে। প্রায় সব কটি মিডিয়ার পোর্টালে এখনো অনিরাপদ কনটেন্ট আসে। জুয়ার বিজ্ঞাপন আসে। এখান থেকে তারা টাকা পায়।
১৯ অক্টোবর পর্যন্ত জুয়ার বিজ্ঞাপন বন্ধে সময় দেওয়া হয়েছিল। তবে গণমাধ্যমগুলো তা মানছে না বলে অভিযোগ করেন বিশেষ সহকারী। তিনি বলেন, বেশ কিছু অনলাইন পোর্টাল জুয়ার বিজ্ঞাপন ও অনিরাপদ কনটেন্ট বিজ্ঞাপন প্রচার করছে। ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, ‘আমরা যেকোনো মুহূর্তে বন্ধ করে দেব। যেহেতু একাধিক নোটিশ দেওয়া হয়েছে। আমরা পাবলিকলি কোনো নোটিশ দেব না।’
অনলাইন জুয়া বন্ধে সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগ ও চ্যালেঞ্জের কথা তুলে ধরেন ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব। তিনি জানান, সরকারের হিসাবে গত মে মাস থেকে এখন পর্যন্ত ৪ হাজার ৮২০টি এমএফএস নম্বর পাওয়া গেছে। এ ছাড়া ১ হাজার ৩৩১টি ওয়েব পোর্টালের লিংক পাওয়া গেছে।
সরকারের চ্যালেঞ্জ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, যখনই একটা নম্বর ব্লক করা হয়, তখন এর চেয়ে বেশিসংখ্যক বা সমসংখ্যক নম্বর ব্যবহার করে সিগন্যাল-হোয়াটসঅ্যাপের মতো গ্রুপগুলোয় ছড়িয়ে দেওয়া হয়। আইপি পরিবর্তন করে ওয়েবসাইটের নাম একটু পরিবর্তন করা হয়। এভাবে নতুন ওয়েবসাইট বানিয়ে আবার শুরু করা হয়। এমএফএস, ওয়েব লিংক বন্ধ করার পর এ চক্রগুলো আবার অ্যাপ তৈরি ফেলে। অ্যাপগুলো অনেক ক্ষেত্রেই পাবলিশড নয়, এপিকে হিসেবে ব্যবহার করে।

জুয়া ও প্রতারণায় জড়িত থাকায় ৫০ হাজারের বেশি এমএফএস (মোবাইলভিত্তিক আর্থিক লেনদেন সেবা) অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ (স্থগিত) করেছে বিএফআইইউ (বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট)। ২০২২ সালের ডিসেম্বর থেকে চলতি মাস পর্যন্ত এই নম্বরগুলো স্থগিত করা হয়।
আজ মঙ্গলবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বিটিআরসি ভবনে ‘অনলাইন জুয়া প্রতিরোধে করণীয়’ শীর্ষক এক সভায় বিএফআইইউর প্রতিনিধি এ তথ্য জানান।
সভায় ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়, ডিজিএফআই (ডিরেক্টরেট জেনারেল অব ফোর্সেস ইন্টেলিজেন্স), এনএসআই (ন্যাশনাল সিকিউরিটি ইন্টেলিজেন্স), এনটিএমসি (ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টার), সিআইডি (ক্রিমিনাল ইনভেস্টিগেশন ডিপার্টমেন্ট), বিএফআইইউ, এমএফএস ও মোবাইল অপারেটরদের প্রতিনিধিরা অংশ নেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সভায় উপস্থিত বিএফআইইউ প্রতিনিধি বলেন, এমএফএস অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে জুয়া ও প্রতারণা বন্ধে বিটিআরসির (বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন) মাধ্যমে বার্তা দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া এমএফএস প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে বৈঠক করে তাদের কিছু নির্দেশনাও দেওয়া হবে। যেসব অ্যাকাউন্ট ব্লক (স্থগিত) করা হয়েছে, সেগুলো থেকে কোথায় কোথায় টাকা লেনদেন করা হয়েছে, তা বিশ্লেষণ করে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে প্রতিবেদন দেওয়া হবে।
ডিজিএফআই প্রতিনিধি জানান, অনলাইন জুয়ার মতো আর্থিক নানা প্রতারণায় বেনামি সিম ব্যবহার করা হচ্ছে। সংঘবদ্ধ চক্র ভুয়া সিম বিক্রি করছে। মানুষের আঙুলের ছাপ ব্যবহার করা হচ্ছে। বিকাশের অ্যাপ নকল করা হয়েছে। নাগরিকদের ডেটাবেইস ডার্ক ওয়েবে পাওয়া যাচ্ছে। এটা নিয়ে নানা অপরাধ সংঘটিত হচ্ছে।
সভায় অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিবিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, সরকার সতর্ক করার পরও অনেক গণমাধ্যমের অনলাইন পোর্টালে এখনো জুয়ার বিজ্ঞাপন প্রচার করা হচ্ছে। এ ধরনের বিজ্ঞাপন প্রচার করলে যেকোনো মুহূর্তে বিনা নোটিশে সংশ্লিষ্ট গণমাধ্যমের পোর্টাল বন্ধ করে দেওয়া হবে। প্রায় সব কটি মিডিয়ার পোর্টালে এখনো অনিরাপদ কনটেন্ট আসে। জুয়ার বিজ্ঞাপন আসে। এখান থেকে তারা টাকা পায়।
১৯ অক্টোবর পর্যন্ত জুয়ার বিজ্ঞাপন বন্ধে সময় দেওয়া হয়েছিল। তবে গণমাধ্যমগুলো তা মানছে না বলে অভিযোগ করেন বিশেষ সহকারী। তিনি বলেন, বেশ কিছু অনলাইন পোর্টাল জুয়ার বিজ্ঞাপন ও অনিরাপদ কনটেন্ট বিজ্ঞাপন প্রচার করছে। ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, ‘আমরা যেকোনো মুহূর্তে বন্ধ করে দেব। যেহেতু একাধিক নোটিশ দেওয়া হয়েছে। আমরা পাবলিকলি কোনো নোটিশ দেব না।’
অনলাইন জুয়া বন্ধে সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগ ও চ্যালেঞ্জের কথা তুলে ধরেন ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব। তিনি জানান, সরকারের হিসাবে গত মে মাস থেকে এখন পর্যন্ত ৪ হাজার ৮২০টি এমএফএস নম্বর পাওয়া গেছে। এ ছাড়া ১ হাজার ৩৩১টি ওয়েব পোর্টালের লিংক পাওয়া গেছে।
সরকারের চ্যালেঞ্জ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, যখনই একটা নম্বর ব্লক করা হয়, তখন এর চেয়ে বেশিসংখ্যক বা সমসংখ্যক নম্বর ব্যবহার করে সিগন্যাল-হোয়াটসঅ্যাপের মতো গ্রুপগুলোয় ছড়িয়ে দেওয়া হয়। আইপি পরিবর্তন করে ওয়েবসাইটের নাম একটু পরিবর্তন করা হয়। এভাবে নতুন ওয়েবসাইট বানিয়ে আবার শুরু করা হয়। এমএফএস, ওয়েব লিংক বন্ধ করার পর এ চক্রগুলো আবার অ্যাপ তৈরি ফেলে। অ্যাপগুলো অনেক ক্ষেত্রেই পাবলিশড নয়, এপিকে হিসেবে ব্যবহার করে।

ইউজিসির চলমান প্রকল্পগুলোর আর্থিক ও ভৌত অগ্রগতি সমান থাকায় কমিটির কাছে উপস্থাপনকৃত তথ্যের বিষয়ে সন্দেহ প্রকাশ করা হয়েছে। সেই সঙ্গে ইউজিসি ভুল তথ্য দিয়ে থাকলে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ারও সুপারিশ করা হয়েছে।
০২ আগস্ট ২০২২
রাজধানীর মোহাম্মদপুরে জেনেভা ক্যাম্পে ‘মাদক কারবারিদের’ দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে জাহিদ নিহতের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ শুক্রবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. ইবনে মিজান আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
৫ দিন আগে
এক বিজ্ঞপ্তিতে সিআইডি জানিয়েছে, নূরে আলম একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সদস্য। তিনি ফেসবুকে এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে যোগাযোগ করে জানান, তাঁর নামে বিদেশ থেকে একটি পার্সেল এসেছে, যা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাস্টম হাউসে জমা আছে। পার্সেল ছাড়াতে টাকা লাগবে—এ দাবি করে পার্সেলের ছবিও পাঠান তিনি।
৮ দিন আগে
দেশে বসেই আন্তর্জাতিক পর্নো সাইটে সক্রিয় ছিলেন তাঁরা। ভিডিও বানিয়ে আপলোড করতেন বিভিন্ন ওয়েবসাইটে। শুধু নিজেরাই নন, এই দম্পতি অন্যদেরও এ কাজে যুক্ত করতেন বলে অভিযোগ। অবশেষে সেই আলোচিত যুগলকে বান্দরবানে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
৯ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

দেশে বসেই আন্তর্জাতিক পর্নো সাইটে সক্রিয় ছিলেন তাঁরা। ভিডিও বানিয়ে আপলোড করতেন বিভিন্ন ওয়েবসাইটে। শুধু নিজেরাই নন, এই দম্পতি অন্যদেরও এ কাজে যুক্ত করতেন বলে অভিযোগ। অবশেষে সেই আলোচিত যুগলকে বান্দরবানে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
আজ সোমবার ভোরে বান্দরবান সদর উপজেলার হাজীপাড়ার বালাঘাটা এলাকা থেকে সিআইডির এলআইসি ও সাইবার পুলিশ সেন্টার (সিপিসি) ইউনিটের সদস্যরা এই যুগলকে গ্রেপ্তার করেন। গ্রেপ্তার হওয়া যুগল হলেন মুহাম্মদ আজিম (২৮) ও তাঁর স্ত্রী বৃষ্টি (২৮)। আজ বিকেলে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানায় সিআইডি।
গ্রেপ্তার আজিমের বাড়ি চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলার বুরুমছড়া গ্রামে এবং বৃষ্টির বাড়ি মানিকগঞ্জ জেলার হরিরামপুর উপজেলার আন্ধারমানিক (খালপাড়) গ্রামে।
সিআইডির প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, এই যুগল ২০২৪ সালের মে মাসে আন্তর্জাতিক এক পর্নো সাইটে প্রথম ভিডিও আপলোড করেন। এরপর এক বছরের মধ্যে তাঁরা ১১২টি ভিডিও আপলোড করেছেন, যেগুলো বিশ্বব্যাপী ২ কোটি ৬৭ লাখের বেশিবার দেখা হয়েছে।
এই যুগল এতটাই জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন যে, ২০২৫ সালের অক্টোবর মাসে আন্তর্জাতিক পারফর্মার র্যাঙ্কিংয়ে তাঁদের অবস্থান উঠে আসে অষ্টম স্থানে। ভিডিও আপলোড ছাড়াও তাঁরা বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম—বিশেষ করে, ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম ও টেলিগ্রামের মাধ্যমে নিজেদের কর্মকাণ্ডের প্রচারণা চালাতেন। এসব প্ল্যাটফর্মে নতুনদের এ কাজে যুক্ত হওয়ার আহ্বান জানানো হতো।
তদন্তকারীরা বলছেন, আগ্রহীদের ‘ক্রিয়েটর’ হিসেবে যুক্ত করতে তাঁরা টেলিগ্রাম চ্যানেলে নানা প্রলোভন দেখিয়ে বিজ্ঞাপন দিতেন। নতুন কেউ যুক্ত হলে তাঁকে নগদ অর্থ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হতো। কেউ যোগাযোগ করলে তাঁদের ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করতে উৎসাহিত করতেন আজিম ও বৃষ্টি।
সিআইডির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এই যুগল প্রাথমিক বিদ্যালয়ের গণ্ডি পেরোতে পারেননি। তবে অনলাইনে তাঁদের বিলাসবহুল জীবনধারার নানা ছবি পাওয়া যায়, যা সমাজে নেতিবাচক বার্তা দিচ্ছে। এসব কার্যক্রম সামাজিক ও নৈতিকভাবে যেমন উদ্বেগজনক, তেমনি দেশের প্রচলিত আইনেরও লঙ্ঘন।
অভিযানের সময় তাঁদের কাছ থেকে মোবাইল ফোন, সিম কার্ড, ক্যামেরা, ট্রাইপডসহ ভিডিও ধারণের বিভিন্ন যন্ত্রপাতি জব্দ করা হয়েছে। তাঁদের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা রুজু করা হয়েছে। একই সঙ্গে আদালতে সোপর্দ করে রিমান্ড চেয়ে আবেদন করা হবে বলে জানিয়েছে সিআইডি।
সিআইডির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, পর্নোগ্রাফি ছড়িয়ে দেওয়ার সঙ্গে যুক্ত অন্যদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তারে তদন্ত অব্যাহত রয়েছে।

দেশে বসেই আন্তর্জাতিক পর্নো সাইটে সক্রিয় ছিলেন তাঁরা। ভিডিও বানিয়ে আপলোড করতেন বিভিন্ন ওয়েবসাইটে। শুধু নিজেরাই নন, এই দম্পতি অন্যদেরও এ কাজে যুক্ত করতেন বলে অভিযোগ। অবশেষে সেই আলোচিত যুগলকে বান্দরবানে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
আজ সোমবার ভোরে বান্দরবান সদর উপজেলার হাজীপাড়ার বালাঘাটা এলাকা থেকে সিআইডির এলআইসি ও সাইবার পুলিশ সেন্টার (সিপিসি) ইউনিটের সদস্যরা এই যুগলকে গ্রেপ্তার করেন। গ্রেপ্তার হওয়া যুগল হলেন মুহাম্মদ আজিম (২৮) ও তাঁর স্ত্রী বৃষ্টি (২৮)। আজ বিকেলে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানায় সিআইডি।
গ্রেপ্তার আজিমের বাড়ি চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলার বুরুমছড়া গ্রামে এবং বৃষ্টির বাড়ি মানিকগঞ্জ জেলার হরিরামপুর উপজেলার আন্ধারমানিক (খালপাড়) গ্রামে।
সিআইডির প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, এই যুগল ২০২৪ সালের মে মাসে আন্তর্জাতিক এক পর্নো সাইটে প্রথম ভিডিও আপলোড করেন। এরপর এক বছরের মধ্যে তাঁরা ১১২টি ভিডিও আপলোড করেছেন, যেগুলো বিশ্বব্যাপী ২ কোটি ৬৭ লাখের বেশিবার দেখা হয়েছে।
এই যুগল এতটাই জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন যে, ২০২৫ সালের অক্টোবর মাসে আন্তর্জাতিক পারফর্মার র্যাঙ্কিংয়ে তাঁদের অবস্থান উঠে আসে অষ্টম স্থানে। ভিডিও আপলোড ছাড়াও তাঁরা বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম—বিশেষ করে, ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম ও টেলিগ্রামের মাধ্যমে নিজেদের কর্মকাণ্ডের প্রচারণা চালাতেন। এসব প্ল্যাটফর্মে নতুনদের এ কাজে যুক্ত হওয়ার আহ্বান জানানো হতো।
তদন্তকারীরা বলছেন, আগ্রহীদের ‘ক্রিয়েটর’ হিসেবে যুক্ত করতে তাঁরা টেলিগ্রাম চ্যানেলে নানা প্রলোভন দেখিয়ে বিজ্ঞাপন দিতেন। নতুন কেউ যুক্ত হলে তাঁকে নগদ অর্থ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হতো। কেউ যোগাযোগ করলে তাঁদের ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করতে উৎসাহিত করতেন আজিম ও বৃষ্টি।
সিআইডির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এই যুগল প্রাথমিক বিদ্যালয়ের গণ্ডি পেরোতে পারেননি। তবে অনলাইনে তাঁদের বিলাসবহুল জীবনধারার নানা ছবি পাওয়া যায়, যা সমাজে নেতিবাচক বার্তা দিচ্ছে। এসব কার্যক্রম সামাজিক ও নৈতিকভাবে যেমন উদ্বেগজনক, তেমনি দেশের প্রচলিত আইনেরও লঙ্ঘন।
অভিযানের সময় তাঁদের কাছ থেকে মোবাইল ফোন, সিম কার্ড, ক্যামেরা, ট্রাইপডসহ ভিডিও ধারণের বিভিন্ন যন্ত্রপাতি জব্দ করা হয়েছে। তাঁদের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা রুজু করা হয়েছে। একই সঙ্গে আদালতে সোপর্দ করে রিমান্ড চেয়ে আবেদন করা হবে বলে জানিয়েছে সিআইডি।
সিআইডির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, পর্নোগ্রাফি ছড়িয়ে দেওয়ার সঙ্গে যুক্ত অন্যদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তারে তদন্ত অব্যাহত রয়েছে।

ইউজিসির চলমান প্রকল্পগুলোর আর্থিক ও ভৌত অগ্রগতি সমান থাকায় কমিটির কাছে উপস্থাপনকৃত তথ্যের বিষয়ে সন্দেহ প্রকাশ করা হয়েছে। সেই সঙ্গে ইউজিসি ভুল তথ্য দিয়ে থাকলে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ারও সুপারিশ করা হয়েছে।
০২ আগস্ট ২০২২
রাজধানীর মোহাম্মদপুরে জেনেভা ক্যাম্পে ‘মাদক কারবারিদের’ দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে জাহিদ নিহতের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ শুক্রবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. ইবনে মিজান আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
৫ দিন আগে
এক বিজ্ঞপ্তিতে সিআইডি জানিয়েছে, নূরে আলম একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সদস্য। তিনি ফেসবুকে এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে যোগাযোগ করে জানান, তাঁর নামে বিদেশ থেকে একটি পার্সেল এসেছে, যা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাস্টম হাউসে জমা আছে। পার্সেল ছাড়াতে টাকা লাগবে—এ দাবি করে পার্সেলের ছবিও পাঠান তিনি।
৮ দিন আগে
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সভায় উপস্থিত বিএফআইইউ প্রতিনিধি বলেন, এমএফএস অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে জুয়া ও প্রতারণা বন্ধে বিটিআরসির (বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন) মাধ্যমে বার্তা দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া এমএফএস প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে বৈঠক করে তাদের কিছু নির্দেশনাও দেওয়া হবে। যেসব অ্যাকাউন্ট ব্লক (স্থগিত)
৮ দিন আগে