তাসনীম হাসান ও মিনহাজ তুহিন, চট্টগ্রাম

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের একেবারে দক্ষিণেই বোটানিক্যাল গার্ডেনের অবস্থান। হরেক রকম গাছ আর দেশীয় অর্কিডের বিশাল সংগ্রহশালা হিসেবে পরিচিত এই মনোরম বাগান বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের কাছে খুবই প্রিয়। বন্ধুদের নিয়ে তাই অনেকে ঘুরতে যান সেখানে। কিন্তু আনন্দের সময়টুকু হঠাৎ বিস্বাদে ভরে উঠতে পারে সংঘবদ্ধ চক্রের উপস্থিতিতে। ১৭ জুলাই রাতে এমন এক চক্রের কবলে পড়েছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রী।
ছাত্রলীগের ছায়াতলে থাকা এই চক্রের সদস্যদের কেউ পড়েন বিশ্ববিদ্যালয়ে, কেউবা কলেজে। সেদিন তাঁরা টাকা আর মোবাইল ফোন কেড়ে নিয়ে থামেননি। তাঁরা ওই ছাত্রীকে বেঁধে বিবস্ত্র করে মোবাইল ফোনে ভিডিও ধারণ করেন। এ সময় তাঁর সঙ্গে থাকা এক বন্ধু প্রতিবাদ করলে তাঁকেও মারধর করা হয়। পরে ভিডিও ভাইরাল করে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে ঘটনাটি কাউকে না বলার হুমকিও দেন। এ ঘটনায় গত মঙ্গলবার প্রক্টরের কাছে অভিযোগ দেন ওই ছাত্রী। এর এক দিন পর বুধবার তিনি মামলা করেন হাটহাজারী থানায়।
ঘটনাটি জানাজানি হওয়ার পর দেশজুড়ে সমালোচনা শুরু হয়। এরপর অভিযান চালিয়ে শুক্রবার রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র আজিম হোসাইন, নৃবিজ্ঞান বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের নুরুল আবসার বাবু, হাটহাজারী কলেজের স্নাতক প্রথম বর্ষের নুর হোসেন শাওন, মাসুদ রানা এবং একই কলেজের প্রাক্তন ছাত্র মোহাম্মদ সাইফুল নামের পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করে র্যাব।
এই পাঁচজনকে গ্রেপ্তারের পর বেরিয়ে আসছে তাঁদের আমলনামা। অনুসন্ধানে জানা গেছে, তাঁরা সবাই বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত কর্মচারীদের সন্তান; পাশাপাশি যুক্ত আছেন ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গেও। বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে একসঙ্গে বেড়ে ওঠা আর রাজনৈতিক পরিচয় কাজে লাগিয়ে ছাত্রলীগের এই কর্মীরা গড়ে তোলেন একটি সংঘবদ্ধ অপরাধী চক্র। এই চক্রের মাথা ছিলেন আজিম হোসাইন।
সংঘবদ্ধ চক্রের সদস্য
স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, র্যাবের হাতে আটক পাঁচজন ও পলাতক অন্যজন দীর্ঘদিন ধরেই বিশ্ববিদ্যালয়ের বোটানিক্যাল গার্ডেন, ফরেস্ট্রি এলাকা, জীববিজ্ঞান অনুষদ এলাকায় অপকর্ম করে আসছেন; বিশেষ করে সন্ধ্যা হলেই সক্রিয় হয়ে উঠতেন তাঁরা। মোটরসাইকেল নিয়ে ক্যাম্পাসে চক্কর দেওয়া শুরু করতেন। তাঁদের একটি গ্রুপ লেডিস ঝুপড়ি এলাকা থেকে নজরদারি শুরু করতেন। ওই ঝুপড়ি থেকে বোটানিক্যাল গার্ডেনের দিকে কাউকে যেতে দেখলেই মোটরসাইকেল নিয়ে তাঁদের অনুসরণ করতেন। পরে বোটানিক্যাল গার্ডেন এলাকায় পৌঁছালেই সুযোগ বুঝে তাঁদের সবকিছু হাতিয়ে নিতেন। তাঁদের বিরুদ্ধে ক্যাম্পাসে মাদক কারবারের সঙ্গেও জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে।
কলেজেই ছিনতাইয়ে হাত পাকান তাঁরা
জড়িত ব্যক্তিরা সবাই বিশ্ববিদ্যালয় ল্যাবরেটরি কলেজে একসঙ্গে পড়েছেন। তখন থেকেই তাঁরা এ ধরনের কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িয়ে পড়েন। আজিম কলেজে পড়া অবস্থায় ২০১৭ সালে ফরেস্ট্রি এলাকায় এক ছাত্রীর মোবাইল ফোন ও সোনার চেইন ছিনতাই করে ধরা পড়েন। পরবর্তী সময়ে থানায় নিয়ে গেলে মুচলেকা দিয়ে ছাড়া পান।
অভিযুক্ত ব্যক্তিরা বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মচারীদের সন্তান
র্যাবের হাতে আটক পাঁচজনের মধ্যে চারজনের বাসা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের ভেতরে। মূল হোতা আজিমের বাসা ঘটনাস্থলের অদূরে বোটানিক্যাল গার্ডেন-সংলগ্ন ইসলামিয়া কলোনিতে। তাঁর বাবা মো. আমির হোসেন সমাজবিজ্ঞান অনুষদের মালি। নুরুল আবসার বাবুর বাসা বিজ্ঞান অনুষদের পাশের হিল বটম কলোনিতে। তাঁর বাবা বেলায়েত হোসেন বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তাপ্রহরী। মাসুদ রানার বাড়ি সমাজবিজ্ঞান অনুষদের পাশের প্রবাসী কলোনিতে। তাঁর বাবা আবদুল মান্নান রেজিস্ট্রার অফিসের স্টোর শাখার কর্মচারী। নুর হোসেন শাওনের বাসাও প্রবাসী কলোনিতে। তাঁর বাবা জাভেদ হোসেন পরিবহন দপ্তরের বাসচালক।
ছাত্রলীগের নেতাদের ছায়ায় বলীয়ান তাঁরা
বিশ্ববিদ্যালয় শাখায় ছাত্রলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি নেই প্রায় তিন বছর। আছেন শুধু সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক। তবে এই দুই নেতার দুটি পক্ষ ছাড়াও ক্যাম্পাসে সক্রিয় আছে ছাত্রলীগের আরও কয়েকটি পক্ষ। আজিম বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি রেজাউল হক রুবেলের অনুসারী বলে জানা গেছে। রুবেলের বিভিন্ন বাইক শোডাউনে তাঁকে প্রায়ই দেখা যেত। ঘটনার পর রুবেলের সঙ্গে আজিমের তোলা একাধিক ছবি ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে। তবে এখন আজিমকে নিজের অনুসারী মানতে নারাজ ছাত্রলীগের সভাপতি।
ঘটনার পর ওই ছাত্রীর বন্ধুরা অভিযোগ করেছিলেন, ঘটনার শিকার ছাত্রীকে প্রক্টরের কাছে লিখিত অভিযোগ দিতে বাধা দেন ছাত্রলীগের সভাপতি রুবেল। এ জন্য ঘটনার দুই দিন পর ওই ছাত্রী অভিযোগ দেন প্রক্টরের কাছে। অবশ্য রুবেল দাবি করে আসছেন, তিনি ছাত্রীকে অভিযোগ দিতে বাধা দেননি।
জড়িত অন্যদের মধ্যে তিনজন (মাসুদ, শাওন, বাবু) শাখা ছাত্রলীগের ভিএক্স (ভার্সিটি এক্সপ্রেস) পক্ষের নেতা প্রদীপ চক্রবর্তী দুর্জয়ের অনুসারী হিসেবে ক্যাম্পাসে পরিচিত। তাঁদের মধ্যে দুজন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী না হয়েও ভিএক্স গ্রুপের বিভিন্ন কর্মকাণ্ডে অংশ নেন। কলেজে অধ্যয়নরত অবস্থায় তাঁরা ভিএক্স পক্ষের কলেজ শাখার রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত হন। ভিএক্সের নেতা দুর্জয়ের সঙ্গে তাঁদের ছবিও দেখা গেছে। যদিও নিজের কর্মীর বিষয়টি অস্বীকার করেছেন দুর্জয়। তিনি বলেন, ‘কলেজের ছাত্র কীভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজনীতি করবে?’
রেজাউল হক রুবেল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আজিম সিএফসি (চুজ ফ্রেন্ডস উইথ কেয়ার) পক্ষের কর্মী। আর আমি পুরো বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি। আর বাকিরা ভিএক্স গ্রুপের কর্মী। বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র না হয়েও তারা ভিএক্সের বিভিন্ন কর্মকাণ্ডে অংশ নেয়।’
দুজন বহিষ্কার
ছাত্রীকে যৌন নিপীড়নের ঘটনায় জড়িত বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই ছাত্র আজিম ও নুরুল আবসার বাবুকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আজীবনের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে। গতকাল শনিবার বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের হেলথ, রেসিডেন্স ও ডিসিপ্লিনারি কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়। এ ছাড়া গ্রেপ্তার হাটহাজারী কলেজের দুই ছাত্রের বিষয়ে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় বরাবর শাস্তির আবেদন করা হবে বলে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. রবিউল হাসান।
কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে অভিযোগ
অপরাধীদের শনাক্ত করতে সময়ক্ষেপণের অভিযোগ ছিল বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের দিকে। তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. রবিউল হাসান দাবি করেছেন, যৌন নিপীড়নের শিকার ছাত্রীর বক্তব্যে গরমিলের কারণে জড়িত ব্যক্তিদের শনাক্তে দেরি হয়েছে। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী তার অভিযোগে প্রথমে বলেছিল যে তাকে প্রীতিলতা হলের পাশ থেকে অভিযুক্তরা টেনেহিঁচড়ে আড়ালে নিয়ে যায়। কিন্তু তদন্ত চলাকালে সে জানিয়েছে, ফজিলাতুন নেছা মুজিব হলের পেছনের গলি বা ছোট রাস্তার পাশে ফাঁকা জায়গায় বন্ধুসহ বসে ছিল। সেখানে গিয়ে অভিযুক্তরা তাঁদের মারধর ও অশ্লীল ভিডিও ধারণ করে। ঘটনাস্থল মূল রাস্তা থেকে ভেতরে হওয়ায় সেখানে স্বাভাবিকভাবেই কোনো সিসিটিভি ক্যামেরা ছিল না।’
যৌন নিপীড়নের বিচার হয় না
২০১৮ সালে ‘যৌন হয়রানি নিপীড়ন নিরোধ কেন্দ্র’ নামের সাত সদস্যের কমিটি করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। কমিটির আহ্বায়ক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. শিরীণ আখতার। এ ছাড়া উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যৌন হয়রানি ও নিপীড়ন নিরোধে সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট ডিভিশনের নির্দেশনায় ২০১৮ সালে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঁচ সদস্যের একটি ‘অভিযোগ কমিটি’ গঠন করা হয়। এ কমিটির আহ্বায়ক কাজী শামীমা সুলতানা (পদার্থ বিভাগ)। এ পর্যন্ত এই কমিটিতে তিনটি অভিযোগ জমা হয়েছে। এই অভিযোগগুলো ছিল খালেদা জিয়া হলের ছাত্রীকে হেনস্তা, ফরেস্ট্রি বিভাগের শিক্ষকের হাতে ছাত্রী হেনস্তা এবং ছাত্রলীগের চার কর্মীর কাছে দুই ছাত্রী হেনস্তা। কিন্তু অভিযোগগুলোর একটিও এখন পর্যন্ত মীমাংসা হয়নি।
ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে অভিযোগ
সারা দেশের ক্যাম্পাস ও ক্যাম্পাসের বাইরে হত্যা, ধর্ষণ, র্যাগিং, সিট-বাণিজ্য, চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজিসহ বিভিন্ন অভিযোগ বারবার এসেছে ছাত্রলীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে। গত ১০ বছরে বিভিন্ন ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগের হাতে ২৪ জন শিক্ষার্থী খুনের শিকার হয়েছেন। এগুলোর মধ্যে অন্যতম আলোচিত ঘটনা ছিল ঢাকায় ভিক্টোরিয়া পার্কের সামনে ২০১২ সালের ৯ ডিসেম্বর দিনদুপুরে কুপিয়ে দরজি দোকানদার বিশ্বজিৎ দাসকে হত্যা। ২০১২ সালের ৮ জানুয়ারি সংগঠনের বিরোধীপক্ষের হামলায় আহত হয়ে এক দিন পর মারা যান জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী জুবায়ের আহমেদ। বুয়েট ছাত্র আবরার ফাহাদকে শেরেবাংলা হলে ২০১৯ সালের ৭ অক্টোবর হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় ২০ জনকে মৃত্যুদণ্ড এবং ৫ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। ২০২০ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর সিলেটে শাহ পরান (রা.)-এর মাজার থেকে ফেরার পথে স্বামীর কাছ থেকে তুলে মুরারিচাঁদ কলেজ ছাত্রাবাসে ধর্ষণ করা হয় এক নারীকে। এ ঘটনায় ছয়জনকে আসামি করে মামলা করা হয়, যাঁদের সবাই ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক বরিকুল ইসলাম বাঁধন গতকাল আজকের পত্রিকাকে বলেন, কেউ ছাত্রলীগের সুনাম ক্ষুণ্ন করার লক্ষ্যে কোনো অপকর্ম করলে ছাত্রলীগ সব সময়ের মতো সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেবে। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাম্প্রতিক বিষয় নিয়ে তদন্ত সাপেক্ষে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। একই সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের প্রতিও অনুরোধ থাকবে দোষীদের যেন শাস্তি নিশ্চিত করা হয়।

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের একেবারে দক্ষিণেই বোটানিক্যাল গার্ডেনের অবস্থান। হরেক রকম গাছ আর দেশীয় অর্কিডের বিশাল সংগ্রহশালা হিসেবে পরিচিত এই মনোরম বাগান বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের কাছে খুবই প্রিয়। বন্ধুদের নিয়ে তাই অনেকে ঘুরতে যান সেখানে। কিন্তু আনন্দের সময়টুকু হঠাৎ বিস্বাদে ভরে উঠতে পারে সংঘবদ্ধ চক্রের উপস্থিতিতে। ১৭ জুলাই রাতে এমন এক চক্রের কবলে পড়েছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রী।
ছাত্রলীগের ছায়াতলে থাকা এই চক্রের সদস্যদের কেউ পড়েন বিশ্ববিদ্যালয়ে, কেউবা কলেজে। সেদিন তাঁরা টাকা আর মোবাইল ফোন কেড়ে নিয়ে থামেননি। তাঁরা ওই ছাত্রীকে বেঁধে বিবস্ত্র করে মোবাইল ফোনে ভিডিও ধারণ করেন। এ সময় তাঁর সঙ্গে থাকা এক বন্ধু প্রতিবাদ করলে তাঁকেও মারধর করা হয়। পরে ভিডিও ভাইরাল করে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে ঘটনাটি কাউকে না বলার হুমকিও দেন। এ ঘটনায় গত মঙ্গলবার প্রক্টরের কাছে অভিযোগ দেন ওই ছাত্রী। এর এক দিন পর বুধবার তিনি মামলা করেন হাটহাজারী থানায়।
ঘটনাটি জানাজানি হওয়ার পর দেশজুড়ে সমালোচনা শুরু হয়। এরপর অভিযান চালিয়ে শুক্রবার রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র আজিম হোসাইন, নৃবিজ্ঞান বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের নুরুল আবসার বাবু, হাটহাজারী কলেজের স্নাতক প্রথম বর্ষের নুর হোসেন শাওন, মাসুদ রানা এবং একই কলেজের প্রাক্তন ছাত্র মোহাম্মদ সাইফুল নামের পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করে র্যাব।
এই পাঁচজনকে গ্রেপ্তারের পর বেরিয়ে আসছে তাঁদের আমলনামা। অনুসন্ধানে জানা গেছে, তাঁরা সবাই বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত কর্মচারীদের সন্তান; পাশাপাশি যুক্ত আছেন ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গেও। বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে একসঙ্গে বেড়ে ওঠা আর রাজনৈতিক পরিচয় কাজে লাগিয়ে ছাত্রলীগের এই কর্মীরা গড়ে তোলেন একটি সংঘবদ্ধ অপরাধী চক্র। এই চক্রের মাথা ছিলেন আজিম হোসাইন।
সংঘবদ্ধ চক্রের সদস্য
স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, র্যাবের হাতে আটক পাঁচজন ও পলাতক অন্যজন দীর্ঘদিন ধরেই বিশ্ববিদ্যালয়ের বোটানিক্যাল গার্ডেন, ফরেস্ট্রি এলাকা, জীববিজ্ঞান অনুষদ এলাকায় অপকর্ম করে আসছেন; বিশেষ করে সন্ধ্যা হলেই সক্রিয় হয়ে উঠতেন তাঁরা। মোটরসাইকেল নিয়ে ক্যাম্পাসে চক্কর দেওয়া শুরু করতেন। তাঁদের একটি গ্রুপ লেডিস ঝুপড়ি এলাকা থেকে নজরদারি শুরু করতেন। ওই ঝুপড়ি থেকে বোটানিক্যাল গার্ডেনের দিকে কাউকে যেতে দেখলেই মোটরসাইকেল নিয়ে তাঁদের অনুসরণ করতেন। পরে বোটানিক্যাল গার্ডেন এলাকায় পৌঁছালেই সুযোগ বুঝে তাঁদের সবকিছু হাতিয়ে নিতেন। তাঁদের বিরুদ্ধে ক্যাম্পাসে মাদক কারবারের সঙ্গেও জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে।
কলেজেই ছিনতাইয়ে হাত পাকান তাঁরা
জড়িত ব্যক্তিরা সবাই বিশ্ববিদ্যালয় ল্যাবরেটরি কলেজে একসঙ্গে পড়েছেন। তখন থেকেই তাঁরা এ ধরনের কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িয়ে পড়েন। আজিম কলেজে পড়া অবস্থায় ২০১৭ সালে ফরেস্ট্রি এলাকায় এক ছাত্রীর মোবাইল ফোন ও সোনার চেইন ছিনতাই করে ধরা পড়েন। পরবর্তী সময়ে থানায় নিয়ে গেলে মুচলেকা দিয়ে ছাড়া পান।
অভিযুক্ত ব্যক্তিরা বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মচারীদের সন্তান
র্যাবের হাতে আটক পাঁচজনের মধ্যে চারজনের বাসা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের ভেতরে। মূল হোতা আজিমের বাসা ঘটনাস্থলের অদূরে বোটানিক্যাল গার্ডেন-সংলগ্ন ইসলামিয়া কলোনিতে। তাঁর বাবা মো. আমির হোসেন সমাজবিজ্ঞান অনুষদের মালি। নুরুল আবসার বাবুর বাসা বিজ্ঞান অনুষদের পাশের হিল বটম কলোনিতে। তাঁর বাবা বেলায়েত হোসেন বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তাপ্রহরী। মাসুদ রানার বাড়ি সমাজবিজ্ঞান অনুষদের পাশের প্রবাসী কলোনিতে। তাঁর বাবা আবদুল মান্নান রেজিস্ট্রার অফিসের স্টোর শাখার কর্মচারী। নুর হোসেন শাওনের বাসাও প্রবাসী কলোনিতে। তাঁর বাবা জাভেদ হোসেন পরিবহন দপ্তরের বাসচালক।
ছাত্রলীগের নেতাদের ছায়ায় বলীয়ান তাঁরা
বিশ্ববিদ্যালয় শাখায় ছাত্রলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি নেই প্রায় তিন বছর। আছেন শুধু সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক। তবে এই দুই নেতার দুটি পক্ষ ছাড়াও ক্যাম্পাসে সক্রিয় আছে ছাত্রলীগের আরও কয়েকটি পক্ষ। আজিম বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি রেজাউল হক রুবেলের অনুসারী বলে জানা গেছে। রুবেলের বিভিন্ন বাইক শোডাউনে তাঁকে প্রায়ই দেখা যেত। ঘটনার পর রুবেলের সঙ্গে আজিমের তোলা একাধিক ছবি ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে। তবে এখন আজিমকে নিজের অনুসারী মানতে নারাজ ছাত্রলীগের সভাপতি।
ঘটনার পর ওই ছাত্রীর বন্ধুরা অভিযোগ করেছিলেন, ঘটনার শিকার ছাত্রীকে প্রক্টরের কাছে লিখিত অভিযোগ দিতে বাধা দেন ছাত্রলীগের সভাপতি রুবেল। এ জন্য ঘটনার দুই দিন পর ওই ছাত্রী অভিযোগ দেন প্রক্টরের কাছে। অবশ্য রুবেল দাবি করে আসছেন, তিনি ছাত্রীকে অভিযোগ দিতে বাধা দেননি।
জড়িত অন্যদের মধ্যে তিনজন (মাসুদ, শাওন, বাবু) শাখা ছাত্রলীগের ভিএক্স (ভার্সিটি এক্সপ্রেস) পক্ষের নেতা প্রদীপ চক্রবর্তী দুর্জয়ের অনুসারী হিসেবে ক্যাম্পাসে পরিচিত। তাঁদের মধ্যে দুজন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী না হয়েও ভিএক্স গ্রুপের বিভিন্ন কর্মকাণ্ডে অংশ নেন। কলেজে অধ্যয়নরত অবস্থায় তাঁরা ভিএক্স পক্ষের কলেজ শাখার রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত হন। ভিএক্সের নেতা দুর্জয়ের সঙ্গে তাঁদের ছবিও দেখা গেছে। যদিও নিজের কর্মীর বিষয়টি অস্বীকার করেছেন দুর্জয়। তিনি বলেন, ‘কলেজের ছাত্র কীভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজনীতি করবে?’
রেজাউল হক রুবেল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আজিম সিএফসি (চুজ ফ্রেন্ডস উইথ কেয়ার) পক্ষের কর্মী। আর আমি পুরো বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি। আর বাকিরা ভিএক্স গ্রুপের কর্মী। বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র না হয়েও তারা ভিএক্সের বিভিন্ন কর্মকাণ্ডে অংশ নেয়।’
দুজন বহিষ্কার
ছাত্রীকে যৌন নিপীড়নের ঘটনায় জড়িত বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই ছাত্র আজিম ও নুরুল আবসার বাবুকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আজীবনের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে। গতকাল শনিবার বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের হেলথ, রেসিডেন্স ও ডিসিপ্লিনারি কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়। এ ছাড়া গ্রেপ্তার হাটহাজারী কলেজের দুই ছাত্রের বিষয়ে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় বরাবর শাস্তির আবেদন করা হবে বলে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. রবিউল হাসান।
কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে অভিযোগ
অপরাধীদের শনাক্ত করতে সময়ক্ষেপণের অভিযোগ ছিল বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের দিকে। তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. রবিউল হাসান দাবি করেছেন, যৌন নিপীড়নের শিকার ছাত্রীর বক্তব্যে গরমিলের কারণে জড়িত ব্যক্তিদের শনাক্তে দেরি হয়েছে। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী তার অভিযোগে প্রথমে বলেছিল যে তাকে প্রীতিলতা হলের পাশ থেকে অভিযুক্তরা টেনেহিঁচড়ে আড়ালে নিয়ে যায়। কিন্তু তদন্ত চলাকালে সে জানিয়েছে, ফজিলাতুন নেছা মুজিব হলের পেছনের গলি বা ছোট রাস্তার পাশে ফাঁকা জায়গায় বন্ধুসহ বসে ছিল। সেখানে গিয়ে অভিযুক্তরা তাঁদের মারধর ও অশ্লীল ভিডিও ধারণ করে। ঘটনাস্থল মূল রাস্তা থেকে ভেতরে হওয়ায় সেখানে স্বাভাবিকভাবেই কোনো সিসিটিভি ক্যামেরা ছিল না।’
যৌন নিপীড়নের বিচার হয় না
২০১৮ সালে ‘যৌন হয়রানি নিপীড়ন নিরোধ কেন্দ্র’ নামের সাত সদস্যের কমিটি করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। কমিটির আহ্বায়ক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. শিরীণ আখতার। এ ছাড়া উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যৌন হয়রানি ও নিপীড়ন নিরোধে সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট ডিভিশনের নির্দেশনায় ২০১৮ সালে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঁচ সদস্যের একটি ‘অভিযোগ কমিটি’ গঠন করা হয়। এ কমিটির আহ্বায়ক কাজী শামীমা সুলতানা (পদার্থ বিভাগ)। এ পর্যন্ত এই কমিটিতে তিনটি অভিযোগ জমা হয়েছে। এই অভিযোগগুলো ছিল খালেদা জিয়া হলের ছাত্রীকে হেনস্তা, ফরেস্ট্রি বিভাগের শিক্ষকের হাতে ছাত্রী হেনস্তা এবং ছাত্রলীগের চার কর্মীর কাছে দুই ছাত্রী হেনস্তা। কিন্তু অভিযোগগুলোর একটিও এখন পর্যন্ত মীমাংসা হয়নি।
ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে অভিযোগ
সারা দেশের ক্যাম্পাস ও ক্যাম্পাসের বাইরে হত্যা, ধর্ষণ, র্যাগিং, সিট-বাণিজ্য, চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজিসহ বিভিন্ন অভিযোগ বারবার এসেছে ছাত্রলীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে। গত ১০ বছরে বিভিন্ন ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগের হাতে ২৪ জন শিক্ষার্থী খুনের শিকার হয়েছেন। এগুলোর মধ্যে অন্যতম আলোচিত ঘটনা ছিল ঢাকায় ভিক্টোরিয়া পার্কের সামনে ২০১২ সালের ৯ ডিসেম্বর দিনদুপুরে কুপিয়ে দরজি দোকানদার বিশ্বজিৎ দাসকে হত্যা। ২০১২ সালের ৮ জানুয়ারি সংগঠনের বিরোধীপক্ষের হামলায় আহত হয়ে এক দিন পর মারা যান জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী জুবায়ের আহমেদ। বুয়েট ছাত্র আবরার ফাহাদকে শেরেবাংলা হলে ২০১৯ সালের ৭ অক্টোবর হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় ২০ জনকে মৃত্যুদণ্ড এবং ৫ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। ২০২০ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর সিলেটে শাহ পরান (রা.)-এর মাজার থেকে ফেরার পথে স্বামীর কাছ থেকে তুলে মুরারিচাঁদ কলেজ ছাত্রাবাসে ধর্ষণ করা হয় এক নারীকে। এ ঘটনায় ছয়জনকে আসামি করে মামলা করা হয়, যাঁদের সবাই ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক বরিকুল ইসলাম বাঁধন গতকাল আজকের পত্রিকাকে বলেন, কেউ ছাত্রলীগের সুনাম ক্ষুণ্ন করার লক্ষ্যে কোনো অপকর্ম করলে ছাত্রলীগ সব সময়ের মতো সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেবে। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাম্প্রতিক বিষয় নিয়ে তদন্ত সাপেক্ষে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। একই সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের প্রতিও অনুরোধ থাকবে দোষীদের যেন শাস্তি নিশ্চিত করা হয়।

রাজধানীর মোহাম্মদপুরে জেনেভা ক্যাম্পে ‘মাদক কারবারিদের’ দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে জাহিদ নিহতের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ শুক্রবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. ইবনে মিজান আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
৬ দিন আগে
এক বিজ্ঞপ্তিতে সিআইডি জানিয়েছে, নূরে আলম একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সদস্য। তিনি ফেসবুকে এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে যোগাযোগ করে জানান, তাঁর নামে বিদেশ থেকে একটি পার্সেল এসেছে, যা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাস্টম হাউসে জমা আছে। পার্সেল ছাড়াতে টাকা লাগবে—এ দাবি করে পার্সেলের ছবিও পাঠান তিনি।
৯ দিন আগে
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সভায় উপস্থিত বিএফআইইউ প্রতিনিধি বলেন, এমএফএস অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে জুয়া ও প্রতারণা বন্ধে বিটিআরসির (বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন) মাধ্যমে বার্তা দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া এমএফএস প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে বৈঠক করে তাদের কিছু নির্দেশনাও দেওয়া হবে। যেসব অ্যাকাউন্ট ব্লক (স্থগিত)
৯ দিন আগে
দেশে বসেই আন্তর্জাতিক পর্নো সাইটে সক্রিয় ছিলেন তাঁরা। ভিডিও বানিয়ে আপলোড করতেন বিভিন্ন ওয়েবসাইটে। শুধু নিজেরাই নন, এই দম্পতি অন্যদেরও এ কাজে যুক্ত করতেন বলে অভিযোগ। অবশেষে সেই আলোচিত যুগলকে বান্দরবানে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
১০ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

রাজধানীর মোহাম্মদপুরে জেনেভা ক্যাম্পে ‘মাদক কারবারিদের’ দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে জাহিদ নিহতের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
আজ শুক্রবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. ইবনে মিজান আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
গত বুধবার ভোররাতে দুই গ্রুপ মাদক কারবারির সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে নিহত হন জাহিদ (২০)। পরিবারের দাবি, দুপক্ষের সংঘর্ষ চলাকালে জাহিদের পায়ের কাছে ককটেল বিস্ফোরণ হয়। এ সময় স্প্লিন্টার তাঁর ঘাড় ও পিঠে বিদ্ধ হয়। আহত অবস্থায় উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় মোহাম্মদপুর থানায় একটি হত্যা মামলা হয়েছে। সংঘর্ষের পর ঘটনাস্থলে অভিযান পরিচালনা করে র্যাব, পুলিশ ও সেনাবাহিনী। অভিযানে একটি বিদেশি পিস্তল, একটি ম্যাগাজিন ও তিনটি তাজা গুলিসহ বিপুল পরিমাণ দেশি অস্ত্র ও পেট্রলবোমা উদ্ধার করা হয়।
জাহিদের ভগ্নিপতি মো. উজ্জ্বল জানান, রাজধানীর কল্যাণপুরে মিজান টাওয়ারে একটি মোবাইল ফোন সার্ভিসিংয়ের দোকানে কাজ করতেন জাহিদ। বুধবার রাতে বন্ধুদের সঙ্গে রেস্তোরাঁয় খেতে যাওয়ার সময় তাঁরা সংঘর্ষের মধ্যে পড়েন। পরে হাসপাতালে জাহিদের মৃত্যু হয়।
তবে পুলিশ বলছে, ককটেল তৈরির সময় বিস্ফোরণে নিহত হন জাহিদ।

রাজধানীর মোহাম্মদপুরে জেনেভা ক্যাম্পে ‘মাদক কারবারিদের’ দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে জাহিদ নিহতের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
আজ শুক্রবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. ইবনে মিজান আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
গত বুধবার ভোররাতে দুই গ্রুপ মাদক কারবারির সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে নিহত হন জাহিদ (২০)। পরিবারের দাবি, দুপক্ষের সংঘর্ষ চলাকালে জাহিদের পায়ের কাছে ককটেল বিস্ফোরণ হয়। এ সময় স্প্লিন্টার তাঁর ঘাড় ও পিঠে বিদ্ধ হয়। আহত অবস্থায় উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় মোহাম্মদপুর থানায় একটি হত্যা মামলা হয়েছে। সংঘর্ষের পর ঘটনাস্থলে অভিযান পরিচালনা করে র্যাব, পুলিশ ও সেনাবাহিনী। অভিযানে একটি বিদেশি পিস্তল, একটি ম্যাগাজিন ও তিনটি তাজা গুলিসহ বিপুল পরিমাণ দেশি অস্ত্র ও পেট্রলবোমা উদ্ধার করা হয়।
জাহিদের ভগ্নিপতি মো. উজ্জ্বল জানান, রাজধানীর কল্যাণপুরে মিজান টাওয়ারে একটি মোবাইল ফোন সার্ভিসিংয়ের দোকানে কাজ করতেন জাহিদ। বুধবার রাতে বন্ধুদের সঙ্গে রেস্তোরাঁয় খেতে যাওয়ার সময় তাঁরা সংঘর্ষের মধ্যে পড়েন। পরে হাসপাতালে জাহিদের মৃত্যু হয়।
তবে পুলিশ বলছে, ককটেল তৈরির সময় বিস্ফোরণে নিহত হন জাহিদ।

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের একেবারে দক্ষিণেই বোটানিক্যাল গার্ডেনের অবস্থান। হরেক রকম গাছ আর দেশীয় অর্কিডের বিশাল সংগ্রহশালা হিসেবে পরিচিত এই মনোরম বাগান বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের কাছে খুবই প্রিয়। বন্ধুদের নিয়ে তাই অনেকে ঘুরতে যান সেখানে। কিন্তু আনন্দের সময়টুকু হঠাৎ বিস্বাদে ভরে উঠতে পারে
২৪ জুলাই ২০২২
এক বিজ্ঞপ্তিতে সিআইডি জানিয়েছে, নূরে আলম একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সদস্য। তিনি ফেসবুকে এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে যোগাযোগ করে জানান, তাঁর নামে বিদেশ থেকে একটি পার্সেল এসেছে, যা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাস্টম হাউসে জমা আছে। পার্সেল ছাড়াতে টাকা লাগবে—এ দাবি করে পার্সেলের ছবিও পাঠান তিনি।
৯ দিন আগে
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সভায় উপস্থিত বিএফআইইউ প্রতিনিধি বলেন, এমএফএস অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে জুয়া ও প্রতারণা বন্ধে বিটিআরসির (বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন) মাধ্যমে বার্তা দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া এমএফএস প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে বৈঠক করে তাদের কিছু নির্দেশনাও দেওয়া হবে। যেসব অ্যাকাউন্ট ব্লক (স্থগিত)
৯ দিন আগে
দেশে বসেই আন্তর্জাতিক পর্নো সাইটে সক্রিয় ছিলেন তাঁরা। ভিডিও বানিয়ে আপলোড করতেন বিভিন্ন ওয়েবসাইটে। শুধু নিজেরাই নন, এই দম্পতি অন্যদেরও এ কাজে যুক্ত করতেন বলে অভিযোগ। অবশেষে সেই আলোচিত যুগলকে বান্দরবানে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
১০ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বিদেশ থেকে পার্সেল এসেছে—এমন দাবি করে কাস্টমস থেকে তা ছাড়িয়ে দেওয়ার কথা বলে ১১ লাখ ৮৫ হাজার টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে এক তরুণকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
গতকাল সোমবার রাতে রাজধানীর তেজগাঁও শিল্পাঞ্চলের কুনিপাড়া এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার ওই তরুণের নাম মো. নূরে আলম ওরফে তুহিন (২৪)।
এক বিজ্ঞপ্তিতে সিআইডি জানিয়েছে, নূরে আলম একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সদস্য। তিনি ফেসবুকে এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে যোগাযোগ করে জানান, তাঁর নামে বিদেশ থেকে একটি পার্সেল এসেছে, যা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাস্টম হাউসে জমা আছে। পার্সেল ছাড়াতে টাকা লাগবে—এ দাবি করে পার্সেলের ছবিও পাঠান তিনি।
পরে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন অজুহাতে ভুক্তভোগীর কাছ থেকে বিকাশ ও ব্যাংকের মাধ্যমে ১১ লাখ ৮৫ হাজার টাকা আদায় করেন নূরে আলম। টাকা পাওয়ার পর নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দেন তিনি।
ভুক্তভোগী আদালতের শরণাপন্ন হলে রামপুরা থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করা হয়। মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব পায় সিআইডির সাইবার পুলিশ সেন্টার। পরে নূরে আলমকে গ্রেপ্তার করা হয়।
সিআইডি জানায়, প্রতারক চক্রের অন্য সদস্যদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।

বিদেশ থেকে পার্সেল এসেছে—এমন দাবি করে কাস্টমস থেকে তা ছাড়িয়ে দেওয়ার কথা বলে ১১ লাখ ৮৫ হাজার টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে এক তরুণকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
গতকাল সোমবার রাতে রাজধানীর তেজগাঁও শিল্পাঞ্চলের কুনিপাড়া এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার ওই তরুণের নাম মো. নূরে আলম ওরফে তুহিন (২৪)।
এক বিজ্ঞপ্তিতে সিআইডি জানিয়েছে, নূরে আলম একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সদস্য। তিনি ফেসবুকে এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে যোগাযোগ করে জানান, তাঁর নামে বিদেশ থেকে একটি পার্সেল এসেছে, যা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাস্টম হাউসে জমা আছে। পার্সেল ছাড়াতে টাকা লাগবে—এ দাবি করে পার্সেলের ছবিও পাঠান তিনি।
পরে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন অজুহাতে ভুক্তভোগীর কাছ থেকে বিকাশ ও ব্যাংকের মাধ্যমে ১১ লাখ ৮৫ হাজার টাকা আদায় করেন নূরে আলম। টাকা পাওয়ার পর নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দেন তিনি।
ভুক্তভোগী আদালতের শরণাপন্ন হলে রামপুরা থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করা হয়। মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব পায় সিআইডির সাইবার পুলিশ সেন্টার। পরে নূরে আলমকে গ্রেপ্তার করা হয়।
সিআইডি জানায়, প্রতারক চক্রের অন্য সদস্যদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের একেবারে দক্ষিণেই বোটানিক্যাল গার্ডেনের অবস্থান। হরেক রকম গাছ আর দেশীয় অর্কিডের বিশাল সংগ্রহশালা হিসেবে পরিচিত এই মনোরম বাগান বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের কাছে খুবই প্রিয়। বন্ধুদের নিয়ে তাই অনেকে ঘুরতে যান সেখানে। কিন্তু আনন্দের সময়টুকু হঠাৎ বিস্বাদে ভরে উঠতে পারে
২৪ জুলাই ২০২২
রাজধানীর মোহাম্মদপুরে জেনেভা ক্যাম্পে ‘মাদক কারবারিদের’ দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে জাহিদ নিহতের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ শুক্রবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. ইবনে মিজান আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
৬ দিন আগে
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সভায় উপস্থিত বিএফআইইউ প্রতিনিধি বলেন, এমএফএস অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে জুয়া ও প্রতারণা বন্ধে বিটিআরসির (বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন) মাধ্যমে বার্তা দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া এমএফএস প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে বৈঠক করে তাদের কিছু নির্দেশনাও দেওয়া হবে। যেসব অ্যাকাউন্ট ব্লক (স্থগিত)
৯ দিন আগে
দেশে বসেই আন্তর্জাতিক পর্নো সাইটে সক্রিয় ছিলেন তাঁরা। ভিডিও বানিয়ে আপলোড করতেন বিভিন্ন ওয়েবসাইটে। শুধু নিজেরাই নন, এই দম্পতি অন্যদেরও এ কাজে যুক্ত করতেন বলে অভিযোগ। অবশেষে সেই আলোচিত যুগলকে বান্দরবানে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
১০ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

জুয়া ও প্রতারণায় জড়িত থাকায় ৫০ হাজারের বেশি এমএফএস (মোবাইলভিত্তিক আর্থিক লেনদেন সেবা) অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ (স্থগিত) করেছে বিএফআইইউ (বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট)। ২০২২ সালের ডিসেম্বর থেকে চলতি মাস পর্যন্ত এই নম্বরগুলো স্থগিত করা হয়।
আজ মঙ্গলবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বিটিআরসি ভবনে ‘অনলাইন জুয়া প্রতিরোধে করণীয়’ শীর্ষক এক সভায় বিএফআইইউর প্রতিনিধি এ তথ্য জানান।
সভায় ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়, ডিজিএফআই (ডিরেক্টরেট জেনারেল অব ফোর্সেস ইন্টেলিজেন্স), এনএসআই (ন্যাশনাল সিকিউরিটি ইন্টেলিজেন্স), এনটিএমসি (ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টার), সিআইডি (ক্রিমিনাল ইনভেস্টিগেশন ডিপার্টমেন্ট), বিএফআইইউ, এমএফএস ও মোবাইল অপারেটরদের প্রতিনিধিরা অংশ নেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সভায় উপস্থিত বিএফআইইউ প্রতিনিধি বলেন, এমএফএস অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে জুয়া ও প্রতারণা বন্ধে বিটিআরসির (বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন) মাধ্যমে বার্তা দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া এমএফএস প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে বৈঠক করে তাদের কিছু নির্দেশনাও দেওয়া হবে। যেসব অ্যাকাউন্ট ব্লক (স্থগিত) করা হয়েছে, সেগুলো থেকে কোথায় কোথায় টাকা লেনদেন করা হয়েছে, তা বিশ্লেষণ করে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে প্রতিবেদন দেওয়া হবে।
ডিজিএফআই প্রতিনিধি জানান, অনলাইন জুয়ার মতো আর্থিক নানা প্রতারণায় বেনামি সিম ব্যবহার করা হচ্ছে। সংঘবদ্ধ চক্র ভুয়া সিম বিক্রি করছে। মানুষের আঙুলের ছাপ ব্যবহার করা হচ্ছে। বিকাশের অ্যাপ নকল করা হয়েছে। নাগরিকদের ডেটাবেইস ডার্ক ওয়েবে পাওয়া যাচ্ছে। এটা নিয়ে নানা অপরাধ সংঘটিত হচ্ছে।
সভায় অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিবিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, সরকার সতর্ক করার পরও অনেক গণমাধ্যমের অনলাইন পোর্টালে এখনো জুয়ার বিজ্ঞাপন প্রচার করা হচ্ছে। এ ধরনের বিজ্ঞাপন প্রচার করলে যেকোনো মুহূর্তে বিনা নোটিশে সংশ্লিষ্ট গণমাধ্যমের পোর্টাল বন্ধ করে দেওয়া হবে। প্রায় সব কটি মিডিয়ার পোর্টালে এখনো অনিরাপদ কনটেন্ট আসে। জুয়ার বিজ্ঞাপন আসে। এখান থেকে তারা টাকা পায়।
১৯ অক্টোবর পর্যন্ত জুয়ার বিজ্ঞাপন বন্ধে সময় দেওয়া হয়েছিল। তবে গণমাধ্যমগুলো তা মানছে না বলে অভিযোগ করেন বিশেষ সহকারী। তিনি বলেন, বেশ কিছু অনলাইন পোর্টাল জুয়ার বিজ্ঞাপন ও অনিরাপদ কনটেন্ট বিজ্ঞাপন প্রচার করছে। ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, ‘আমরা যেকোনো মুহূর্তে বন্ধ করে দেব। যেহেতু একাধিক নোটিশ দেওয়া হয়েছে। আমরা পাবলিকলি কোনো নোটিশ দেব না।’
অনলাইন জুয়া বন্ধে সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগ ও চ্যালেঞ্জের কথা তুলে ধরেন ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব। তিনি জানান, সরকারের হিসাবে গত মে মাস থেকে এখন পর্যন্ত ৪ হাজার ৮২০টি এমএফএস নম্বর পাওয়া গেছে। এ ছাড়া ১ হাজার ৩৩১টি ওয়েব পোর্টালের লিংক পাওয়া গেছে।
সরকারের চ্যালেঞ্জ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, যখনই একটা নম্বর ব্লক করা হয়, তখন এর চেয়ে বেশিসংখ্যক বা সমসংখ্যক নম্বর ব্যবহার করে সিগন্যাল-হোয়াটসঅ্যাপের মতো গ্রুপগুলোয় ছড়িয়ে দেওয়া হয়। আইপি পরিবর্তন করে ওয়েবসাইটের নাম একটু পরিবর্তন করা হয়। এভাবে নতুন ওয়েবসাইট বানিয়ে আবার শুরু করা হয়। এমএফএস, ওয়েব লিংক বন্ধ করার পর এ চক্রগুলো আবার অ্যাপ তৈরি ফেলে। অ্যাপগুলো অনেক ক্ষেত্রেই পাবলিশড নয়, এপিকে হিসেবে ব্যবহার করে।

জুয়া ও প্রতারণায় জড়িত থাকায় ৫০ হাজারের বেশি এমএফএস (মোবাইলভিত্তিক আর্থিক লেনদেন সেবা) অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ (স্থগিত) করেছে বিএফআইইউ (বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট)। ২০২২ সালের ডিসেম্বর থেকে চলতি মাস পর্যন্ত এই নম্বরগুলো স্থগিত করা হয়।
আজ মঙ্গলবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বিটিআরসি ভবনে ‘অনলাইন জুয়া প্রতিরোধে করণীয়’ শীর্ষক এক সভায় বিএফআইইউর প্রতিনিধি এ তথ্য জানান।
সভায় ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়, ডিজিএফআই (ডিরেক্টরেট জেনারেল অব ফোর্সেস ইন্টেলিজেন্স), এনএসআই (ন্যাশনাল সিকিউরিটি ইন্টেলিজেন্স), এনটিএমসি (ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টার), সিআইডি (ক্রিমিনাল ইনভেস্টিগেশন ডিপার্টমেন্ট), বিএফআইইউ, এমএফএস ও মোবাইল অপারেটরদের প্রতিনিধিরা অংশ নেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সভায় উপস্থিত বিএফআইইউ প্রতিনিধি বলেন, এমএফএস অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে জুয়া ও প্রতারণা বন্ধে বিটিআরসির (বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন) মাধ্যমে বার্তা দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া এমএফএস প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে বৈঠক করে তাদের কিছু নির্দেশনাও দেওয়া হবে। যেসব অ্যাকাউন্ট ব্লক (স্থগিত) করা হয়েছে, সেগুলো থেকে কোথায় কোথায় টাকা লেনদেন করা হয়েছে, তা বিশ্লেষণ করে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে প্রতিবেদন দেওয়া হবে।
ডিজিএফআই প্রতিনিধি জানান, অনলাইন জুয়ার মতো আর্থিক নানা প্রতারণায় বেনামি সিম ব্যবহার করা হচ্ছে। সংঘবদ্ধ চক্র ভুয়া সিম বিক্রি করছে। মানুষের আঙুলের ছাপ ব্যবহার করা হচ্ছে। বিকাশের অ্যাপ নকল করা হয়েছে। নাগরিকদের ডেটাবেইস ডার্ক ওয়েবে পাওয়া যাচ্ছে। এটা নিয়ে নানা অপরাধ সংঘটিত হচ্ছে।
সভায় অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিবিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, সরকার সতর্ক করার পরও অনেক গণমাধ্যমের অনলাইন পোর্টালে এখনো জুয়ার বিজ্ঞাপন প্রচার করা হচ্ছে। এ ধরনের বিজ্ঞাপন প্রচার করলে যেকোনো মুহূর্তে বিনা নোটিশে সংশ্লিষ্ট গণমাধ্যমের পোর্টাল বন্ধ করে দেওয়া হবে। প্রায় সব কটি মিডিয়ার পোর্টালে এখনো অনিরাপদ কনটেন্ট আসে। জুয়ার বিজ্ঞাপন আসে। এখান থেকে তারা টাকা পায়।
১৯ অক্টোবর পর্যন্ত জুয়ার বিজ্ঞাপন বন্ধে সময় দেওয়া হয়েছিল। তবে গণমাধ্যমগুলো তা মানছে না বলে অভিযোগ করেন বিশেষ সহকারী। তিনি বলেন, বেশ কিছু অনলাইন পোর্টাল জুয়ার বিজ্ঞাপন ও অনিরাপদ কনটেন্ট বিজ্ঞাপন প্রচার করছে। ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, ‘আমরা যেকোনো মুহূর্তে বন্ধ করে দেব। যেহেতু একাধিক নোটিশ দেওয়া হয়েছে। আমরা পাবলিকলি কোনো নোটিশ দেব না।’
অনলাইন জুয়া বন্ধে সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগ ও চ্যালেঞ্জের কথা তুলে ধরেন ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব। তিনি জানান, সরকারের হিসাবে গত মে মাস থেকে এখন পর্যন্ত ৪ হাজার ৮২০টি এমএফএস নম্বর পাওয়া গেছে। এ ছাড়া ১ হাজার ৩৩১টি ওয়েব পোর্টালের লিংক পাওয়া গেছে।
সরকারের চ্যালেঞ্জ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, যখনই একটা নম্বর ব্লক করা হয়, তখন এর চেয়ে বেশিসংখ্যক বা সমসংখ্যক নম্বর ব্যবহার করে সিগন্যাল-হোয়াটসঅ্যাপের মতো গ্রুপগুলোয় ছড়িয়ে দেওয়া হয়। আইপি পরিবর্তন করে ওয়েবসাইটের নাম একটু পরিবর্তন করা হয়। এভাবে নতুন ওয়েবসাইট বানিয়ে আবার শুরু করা হয়। এমএফএস, ওয়েব লিংক বন্ধ করার পর এ চক্রগুলো আবার অ্যাপ তৈরি ফেলে। অ্যাপগুলো অনেক ক্ষেত্রেই পাবলিশড নয়, এপিকে হিসেবে ব্যবহার করে।

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের একেবারে দক্ষিণেই বোটানিক্যাল গার্ডেনের অবস্থান। হরেক রকম গাছ আর দেশীয় অর্কিডের বিশাল সংগ্রহশালা হিসেবে পরিচিত এই মনোরম বাগান বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের কাছে খুবই প্রিয়। বন্ধুদের নিয়ে তাই অনেকে ঘুরতে যান সেখানে। কিন্তু আনন্দের সময়টুকু হঠাৎ বিস্বাদে ভরে উঠতে পারে
২৪ জুলাই ২০২২
রাজধানীর মোহাম্মদপুরে জেনেভা ক্যাম্পে ‘মাদক কারবারিদের’ দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে জাহিদ নিহতের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ শুক্রবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. ইবনে মিজান আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
৬ দিন আগে
এক বিজ্ঞপ্তিতে সিআইডি জানিয়েছে, নূরে আলম একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সদস্য। তিনি ফেসবুকে এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে যোগাযোগ করে জানান, তাঁর নামে বিদেশ থেকে একটি পার্সেল এসেছে, যা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাস্টম হাউসে জমা আছে। পার্সেল ছাড়াতে টাকা লাগবে—এ দাবি করে পার্সেলের ছবিও পাঠান তিনি।
৯ দিন আগে
দেশে বসেই আন্তর্জাতিক পর্নো সাইটে সক্রিয় ছিলেন তাঁরা। ভিডিও বানিয়ে আপলোড করতেন বিভিন্ন ওয়েবসাইটে। শুধু নিজেরাই নন, এই দম্পতি অন্যদেরও এ কাজে যুক্ত করতেন বলে অভিযোগ। অবশেষে সেই আলোচিত যুগলকে বান্দরবানে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
১০ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

দেশে বসেই আন্তর্জাতিক পর্নো সাইটে সক্রিয় ছিলেন তাঁরা। ভিডিও বানিয়ে আপলোড করতেন বিভিন্ন ওয়েবসাইটে। শুধু নিজেরাই নন, এই দম্পতি অন্যদেরও এ কাজে যুক্ত করতেন বলে অভিযোগ। অবশেষে সেই আলোচিত যুগলকে বান্দরবানে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
আজ সোমবার ভোরে বান্দরবান সদর উপজেলার হাজীপাড়ার বালাঘাটা এলাকা থেকে সিআইডির এলআইসি ও সাইবার পুলিশ সেন্টার (সিপিসি) ইউনিটের সদস্যরা এই যুগলকে গ্রেপ্তার করেন। গ্রেপ্তার হওয়া যুগল হলেন মুহাম্মদ আজিম (২৮) ও তাঁর স্ত্রী বৃষ্টি (২৮)। আজ বিকেলে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানায় সিআইডি।
গ্রেপ্তার আজিমের বাড়ি চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলার বুরুমছড়া গ্রামে এবং বৃষ্টির বাড়ি মানিকগঞ্জ জেলার হরিরামপুর উপজেলার আন্ধারমানিক (খালপাড়) গ্রামে।
সিআইডির প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, এই যুগল ২০২৪ সালের মে মাসে আন্তর্জাতিক এক পর্নো সাইটে প্রথম ভিডিও আপলোড করেন। এরপর এক বছরের মধ্যে তাঁরা ১১২টি ভিডিও আপলোড করেছেন, যেগুলো বিশ্বব্যাপী ২ কোটি ৬৭ লাখের বেশিবার দেখা হয়েছে।
এই যুগল এতটাই জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন যে, ২০২৫ সালের অক্টোবর মাসে আন্তর্জাতিক পারফর্মার র্যাঙ্কিংয়ে তাঁদের অবস্থান উঠে আসে অষ্টম স্থানে। ভিডিও আপলোড ছাড়াও তাঁরা বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম—বিশেষ করে, ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম ও টেলিগ্রামের মাধ্যমে নিজেদের কর্মকাণ্ডের প্রচারণা চালাতেন। এসব প্ল্যাটফর্মে নতুনদের এ কাজে যুক্ত হওয়ার আহ্বান জানানো হতো।
তদন্তকারীরা বলছেন, আগ্রহীদের ‘ক্রিয়েটর’ হিসেবে যুক্ত করতে তাঁরা টেলিগ্রাম চ্যানেলে নানা প্রলোভন দেখিয়ে বিজ্ঞাপন দিতেন। নতুন কেউ যুক্ত হলে তাঁকে নগদ অর্থ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হতো। কেউ যোগাযোগ করলে তাঁদের ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করতে উৎসাহিত করতেন আজিম ও বৃষ্টি।
সিআইডির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এই যুগল প্রাথমিক বিদ্যালয়ের গণ্ডি পেরোতে পারেননি। তবে অনলাইনে তাঁদের বিলাসবহুল জীবনধারার নানা ছবি পাওয়া যায়, যা সমাজে নেতিবাচক বার্তা দিচ্ছে। এসব কার্যক্রম সামাজিক ও নৈতিকভাবে যেমন উদ্বেগজনক, তেমনি দেশের প্রচলিত আইনেরও লঙ্ঘন।
অভিযানের সময় তাঁদের কাছ থেকে মোবাইল ফোন, সিম কার্ড, ক্যামেরা, ট্রাইপডসহ ভিডিও ধারণের বিভিন্ন যন্ত্রপাতি জব্দ করা হয়েছে। তাঁদের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা রুজু করা হয়েছে। একই সঙ্গে আদালতে সোপর্দ করে রিমান্ড চেয়ে আবেদন করা হবে বলে জানিয়েছে সিআইডি।
সিআইডির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, পর্নোগ্রাফি ছড়িয়ে দেওয়ার সঙ্গে যুক্ত অন্যদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তারে তদন্ত অব্যাহত রয়েছে।

দেশে বসেই আন্তর্জাতিক পর্নো সাইটে সক্রিয় ছিলেন তাঁরা। ভিডিও বানিয়ে আপলোড করতেন বিভিন্ন ওয়েবসাইটে। শুধু নিজেরাই নন, এই দম্পতি অন্যদেরও এ কাজে যুক্ত করতেন বলে অভিযোগ। অবশেষে সেই আলোচিত যুগলকে বান্দরবানে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
আজ সোমবার ভোরে বান্দরবান সদর উপজেলার হাজীপাড়ার বালাঘাটা এলাকা থেকে সিআইডির এলআইসি ও সাইবার পুলিশ সেন্টার (সিপিসি) ইউনিটের সদস্যরা এই যুগলকে গ্রেপ্তার করেন। গ্রেপ্তার হওয়া যুগল হলেন মুহাম্মদ আজিম (২৮) ও তাঁর স্ত্রী বৃষ্টি (২৮)। আজ বিকেলে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানায় সিআইডি।
গ্রেপ্তার আজিমের বাড়ি চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলার বুরুমছড়া গ্রামে এবং বৃষ্টির বাড়ি মানিকগঞ্জ জেলার হরিরামপুর উপজেলার আন্ধারমানিক (খালপাড়) গ্রামে।
সিআইডির প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, এই যুগল ২০২৪ সালের মে মাসে আন্তর্জাতিক এক পর্নো সাইটে প্রথম ভিডিও আপলোড করেন। এরপর এক বছরের মধ্যে তাঁরা ১১২টি ভিডিও আপলোড করেছেন, যেগুলো বিশ্বব্যাপী ২ কোটি ৬৭ লাখের বেশিবার দেখা হয়েছে।
এই যুগল এতটাই জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন যে, ২০২৫ সালের অক্টোবর মাসে আন্তর্জাতিক পারফর্মার র্যাঙ্কিংয়ে তাঁদের অবস্থান উঠে আসে অষ্টম স্থানে। ভিডিও আপলোড ছাড়াও তাঁরা বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম—বিশেষ করে, ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম ও টেলিগ্রামের মাধ্যমে নিজেদের কর্মকাণ্ডের প্রচারণা চালাতেন। এসব প্ল্যাটফর্মে নতুনদের এ কাজে যুক্ত হওয়ার আহ্বান জানানো হতো।
তদন্তকারীরা বলছেন, আগ্রহীদের ‘ক্রিয়েটর’ হিসেবে যুক্ত করতে তাঁরা টেলিগ্রাম চ্যানেলে নানা প্রলোভন দেখিয়ে বিজ্ঞাপন দিতেন। নতুন কেউ যুক্ত হলে তাঁকে নগদ অর্থ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হতো। কেউ যোগাযোগ করলে তাঁদের ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করতে উৎসাহিত করতেন আজিম ও বৃষ্টি।
সিআইডির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এই যুগল প্রাথমিক বিদ্যালয়ের গণ্ডি পেরোতে পারেননি। তবে অনলাইনে তাঁদের বিলাসবহুল জীবনধারার নানা ছবি পাওয়া যায়, যা সমাজে নেতিবাচক বার্তা দিচ্ছে। এসব কার্যক্রম সামাজিক ও নৈতিকভাবে যেমন উদ্বেগজনক, তেমনি দেশের প্রচলিত আইনেরও লঙ্ঘন।
অভিযানের সময় তাঁদের কাছ থেকে মোবাইল ফোন, সিম কার্ড, ক্যামেরা, ট্রাইপডসহ ভিডিও ধারণের বিভিন্ন যন্ত্রপাতি জব্দ করা হয়েছে। তাঁদের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা রুজু করা হয়েছে। একই সঙ্গে আদালতে সোপর্দ করে রিমান্ড চেয়ে আবেদন করা হবে বলে জানিয়েছে সিআইডি।
সিআইডির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, পর্নোগ্রাফি ছড়িয়ে দেওয়ার সঙ্গে যুক্ত অন্যদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তারে তদন্ত অব্যাহত রয়েছে।

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের একেবারে দক্ষিণেই বোটানিক্যাল গার্ডেনের অবস্থান। হরেক রকম গাছ আর দেশীয় অর্কিডের বিশাল সংগ্রহশালা হিসেবে পরিচিত এই মনোরম বাগান বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের কাছে খুবই প্রিয়। বন্ধুদের নিয়ে তাই অনেকে ঘুরতে যান সেখানে। কিন্তু আনন্দের সময়টুকু হঠাৎ বিস্বাদে ভরে উঠতে পারে
২৪ জুলাই ২০২২
রাজধানীর মোহাম্মদপুরে জেনেভা ক্যাম্পে ‘মাদক কারবারিদের’ দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে জাহিদ নিহতের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ শুক্রবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. ইবনে মিজান আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
৬ দিন আগে
এক বিজ্ঞপ্তিতে সিআইডি জানিয়েছে, নূরে আলম একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সদস্য। তিনি ফেসবুকে এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে যোগাযোগ করে জানান, তাঁর নামে বিদেশ থেকে একটি পার্সেল এসেছে, যা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাস্টম হাউসে জমা আছে। পার্সেল ছাড়াতে টাকা লাগবে—এ দাবি করে পার্সেলের ছবিও পাঠান তিনি।
৯ দিন আগে
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সভায় উপস্থিত বিএফআইইউ প্রতিনিধি বলেন, এমএফএস অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে জুয়া ও প্রতারণা বন্ধে বিটিআরসির (বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন) মাধ্যমে বার্তা দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া এমএফএস প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে বৈঠক করে তাদের কিছু নির্দেশনাও দেওয়া হবে। যেসব অ্যাকাউন্ট ব্লক (স্থগিত)
৯ দিন আগে