শাহরিয়ার হাসান, ঢাকা

গাজীপুর মহানগর পুলিশ (জিএমপি) কমিশনার মোল্যা নজরুল ইসলামের বিরুদ্ধে সরকারি জমি অবৈধভাবে দখল করা এবং বেদখল হওয়া জমি পুনরুদ্ধারে অসহযোগিতা করার অভিযোগ উঠেছে। গাজীপুর জেলা প্রশাসক আনিসুর রহমান মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে পাঠানো এক চিঠিতে এমন অভিযোগ করেছেন।
চিঠিতে বলা হয়েছে, গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের বর্তমান কমিশনার মোল্যা নজরুল ইসলামের যোগদানের পর থেকে খাসজমি দখল পুনরুদ্ধার কার্যক্রম পুলিশের অসহযোগিতার কারণে চরমভাবে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। এ ছাড়া পুলিশ কমিশনারের প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানে ও নির্দেশনায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী গাজীপুর জেলার মূল্যবান খাসজমি অবৈধ দখল করছে এবং দখলে সহায়তায় লিপ্ত হয়েছে।
জেলা প্রশাসকের চিঠির ব্যাপারে জানতে চাইলে গাজীপুর মহানগর পুলিশ কমিশনার (জিএমপি) মোল্যা নজরুল ইসলাম গতকাল বুধবার রাতে আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘চিঠির বিষয়ে আমি শুনেছি। এটা অনেক পুরোনো বিষয়। তবে আমি সেই চিঠি এখনো দেখিনি।’
মন্ত্রিপরিষদ সচিবের কাছে পাঠানো চিঠিতে জেলা প্রশাসক আনিসুর রহমান অভিযোগ করেন, গাজীপুর মহানগর পুলিশ টঙ্গী মৌজায় টঙ্গী হাট বা বাজারের আওতাভুক্ত শূন্য দশমিক ১৮ একর খাসজমি বিভিন্ন সময়ে দখল করে ‘গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ মার্কেট’ নামে একটি মার্কেট বানিয়েছে। তিনি সহকারী কমিশনার (ভূমি), টঙ্গী রাজস্ব সার্কেল দপ্তরের কানুনগো ও সার্ভেয়ারের সরেজমিন প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে চিঠিতে বলেন, গাজীপুর মহানগর পুলিশ দখল করা জমির একাংশে একটি নামাজঘর এবং বাকি অংশে ৬০টি দোকানঘর নির্মাণ করে ভাড়া দিয়েছে। প্রতিটি দোকান থেকে মাসিক ১৫ হাজার টাকা ভাড়া তুলছে পুলিশ। সেই অবৈধ মার্কেট এখন জমজমাট। ডিসি চিঠিতে উল্লেখ করেন, এ ঘটনা ‘সম্পূর্ণ আইনের পরিপন্থী এবং প্রাতিষ্ঠানিক জবরদখলের অশুভ দৃষ্টান্ত’।
গত ১৭ জানুয়ারি মন্ত্রিপরিষদ সচিবের কাছে পাঠানো সেই চিঠির সঙ্গে টঙ্গী রাজস্ব সার্কেলের সহকারী কমিশনারের (ভূমি) আরেকটি প্রতিবেদন সংযুক্ত করে বলা হয়, গত ২৭ ডিসেম্বর রাতে কাশিমপুর মৌজার খাল শ্রেণিভুক্ত প্রায় শূন্য দশমিক ৬০ একর জমি বালু ভরাট করে অবৈধ দখল করা হয়। কাশিমপুরের ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা ভরাট করা জমি পরিদর্শনকালে স্থানীয়ভাবে জানতে পারেন, গাজীপুর মহানগর পুলিশের জবরদখলের নিমিত্তে কাশিমপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওই খাসজমির তিন দিকে টিনের বেড়া নির্মাণ করে অপদখল করেছেন। ওই অবৈধ দখল বজায় রাখার লক্ষ্যে ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তার পরিদর্শনকালে ঘটনাস্থলে পুলিশের পাহারা দেখতে পান।
জেলা প্রশাসক চিঠিতে বলেন, এ ধরনের অপতৎপরতা দেশের বিদ্যমান আইনের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন এবং সরকারি সংস্থার আইন অমান্য করার একটি বাজে দৃষ্টান্ত। এ ধরনের অপকর্ম জনগণের কাছে সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার পাশাপাশি ভূমিসংশ্লিষ্ট অপরাধের সঙ্গে জড়িত স্বার্থান্বেষী মহলকে উৎসাহিত করে।
জেলা প্রশাসক চিঠিতে জানান, দুটি মামলার পরিপ্রেক্ষিতে ভূমির অবৈধ দখলদার উচ্ছেদ করতে গাজীপুর মহানগর পুলিশ কমিশনারকে প্রয়োজনীয় সংখ্যক পুলিশ ফোর্স মোতায়েনের জন্য অনুরোধ করা হলেও নির্ধারিত দিনে ঘটনাস্থলে কোনো পুলিশ সদস্য উপস্থিত হননি।
আরেকটি ঘটনার বর্ণনা দিয়ে চিঠিতে বলা হয়, গাজীপুর সিটি করপোরেশনে খাসজমির অবৈধ দখল উচ্ছেদের জন্য একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট দায়িত্বপ্রাপ্ত। তিনি খাসজমিতে ইটভাটা ও অবৈধ দখলদার উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনার জন্য পরিকল্পনা করছিলেন। অভিযানের আগে তিনি সহযোগিতা করার জন্য সংশ্লিষ্ট সব প্রতিষ্ঠান ও সংস্থাকে লিখিতভাবে নোটিশ দেন। উচ্ছেদের আগের দিনও নোটিশটি হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে সিটিএসবির অতিরিক্ত উপকমিশনারকে এবং গাজীপুর মহানগর পুলিশের দাপ্তরিক মোবাইল ফোনে পাঠানো হয়। কিন্তু সেদিনও কোনো পুলিশ ফোর্স মোতায়েন করা হয়নি। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে চিঠিটি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিবের কাছে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য পাঠানো হয়।
মহানগর কমিশনারের বিরুদ্ধে পাঠানো চিঠির বিষয়ে জানতে চাইলে গাজীপুর জেলা প্রশাসক আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘টঙ্গীতে জেলা পরিষদের বেশ কিছু জমি উচ্ছেদ করা হয়েছিল। আবার অনেকে দখল করেছে। সেসব জমি দখলমুক্ত করার চেষ্টা চলছে। দখল করা জমি উচ্ছেদে পুলিশ অসহযোগিতা করছে।’
চিঠিতে বলা হয়েছে, জেলা প্রশাসক বিগত এক বছর জেলার ৮ দশমিক ৯৭ একর খাসজমি পুনরুদ্ধার করেছেন, যার মূল্য ১০০ কোটি টাকার বেশি। সদ্য সাবেক কমিশনারের আন্তরিকতা ও সক্রিয় সহযোগিতায় ভূমিদস্যুদের উচ্ছেদ করতে পারলেও বর্তমান কমিশনার মোল্যা নজরুল ইসলামের ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম হচ্ছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষা ও জননিরাপত্তা নিশ্চিত করা পুলিশ বিভাগের মৌলিক দায়িত্ব হলেও গাজীপুর মহানগর পুলিশের বর্তমান কমিশনারের প্রত্যক্ষ নির্দেশনা ও তত্ত্বাবধানে অবৈধভাবে খাসজমি জবরদখল করা হচ্ছে।
কমিশনারের জমি দখল নিয়ে জেলা প্রশাসকের করা অভিযোগের ব্যাপারে জানতে চাইলে পুলিশ সদর দপ্তরের উন্নয়ন শাখার ডিআইজি রুহুল আমিন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘জেলা বা মহানগর এলাকায় এ ধরনের মার্কেটের বিষয়ে স্বাভাবিকভাবেই পুলিশ সদর দপ্তর নজরে রাখে না; কিন্তু বৈধভাবে এ রকম মার্কেট করা যায়। বিষয়টা সংশ্লিষ্ট জেলার এসপি বা কমিশনার দেখভাল করেন। তবে সরকারি জমি বেদখল করে কেউ কোনো কাজ করলে সেটা তো বেআইনি।’
যে মার্কেট নিয়ে অভিযোগ, গতকাল বিকেলে সেই ‘গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ মার্কেট’ ঘুরে দেখা যায়, এটি টঙ্গী বাজার এলাকায় অবস্থিত। মার্কেটের ব্যবসায়ীরা বলেন, মার্কেটটি বেশ পুরোনো। আগে এর নাম ছিল পুলিশ মার্কেট; পরে নাম বদলানো হয়। এখন মেট্রোপলিটন পুলিশ মার্কেট নামে সবাই চেনে।
এই মার্কেটে টিনশেডের ৫০-৬০টি ছোট-বড় দোকান আছে। দোকানগুলোতে পোশাক বিক্রি হচ্ছে। মার্কেটের ভেতরেই গাজীপুর মেট্রোপলিশের ট্রাফিক দক্ষিণের একটি কার্যালয় রয়েছে। সেখানকার দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যরা নির্ধারিত ব্যক্তির মাধ্যমে দোকানের ভাড়া তোলেন। দোকানগুলোর সর্বনিম্ন ভাড়া ৮ হাজার আর সর্বোচ্চ ভাড়া ২০ হাজার টাকা। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক পোশাক ব্যবসায়ী বলেন, তিনি কয়েক বছর ধরে ব্যবসা করেন। ভাড়া কম হলেও দোকান নেওয়ার সময় ৭ লাখ টাকা জামানত দিয়েছেন। তাঁর মতো সব ব্যবসায়ী জামানত দিয়েই দোকান নিয়ে ব্যবসা করছেন।
সরকারি জমি দখল করে এভাবে পুলিশের দোকান করার ব্যাপারে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে পুলিশের সাবেক আইজি মুহাম্মদ নুরুল হুদা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আসলে পুলিশ চাইলেই সরকারি খাসজমি জবরদখল করে মার্কেট করতে পারে না। যদি তদন্তে উঠে আসে, বেআইনিভাবে জবরদখল করেছে, তাহলে ওই কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে নানাভাবেই ব্যবস্থা নেওয়া যেতে পারে।’

গাজীপুর মহানগর পুলিশ (জিএমপি) কমিশনার মোল্যা নজরুল ইসলামের বিরুদ্ধে সরকারি জমি অবৈধভাবে দখল করা এবং বেদখল হওয়া জমি পুনরুদ্ধারে অসহযোগিতা করার অভিযোগ উঠেছে। গাজীপুর জেলা প্রশাসক আনিসুর রহমান মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে পাঠানো এক চিঠিতে এমন অভিযোগ করেছেন।
চিঠিতে বলা হয়েছে, গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের বর্তমান কমিশনার মোল্যা নজরুল ইসলামের যোগদানের পর থেকে খাসজমি দখল পুনরুদ্ধার কার্যক্রম পুলিশের অসহযোগিতার কারণে চরমভাবে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। এ ছাড়া পুলিশ কমিশনারের প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানে ও নির্দেশনায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী গাজীপুর জেলার মূল্যবান খাসজমি অবৈধ দখল করছে এবং দখলে সহায়তায় লিপ্ত হয়েছে।
জেলা প্রশাসকের চিঠির ব্যাপারে জানতে চাইলে গাজীপুর মহানগর পুলিশ কমিশনার (জিএমপি) মোল্যা নজরুল ইসলাম গতকাল বুধবার রাতে আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘চিঠির বিষয়ে আমি শুনেছি। এটা অনেক পুরোনো বিষয়। তবে আমি সেই চিঠি এখনো দেখিনি।’
মন্ত্রিপরিষদ সচিবের কাছে পাঠানো চিঠিতে জেলা প্রশাসক আনিসুর রহমান অভিযোগ করেন, গাজীপুর মহানগর পুলিশ টঙ্গী মৌজায় টঙ্গী হাট বা বাজারের আওতাভুক্ত শূন্য দশমিক ১৮ একর খাসজমি বিভিন্ন সময়ে দখল করে ‘গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ মার্কেট’ নামে একটি মার্কেট বানিয়েছে। তিনি সহকারী কমিশনার (ভূমি), টঙ্গী রাজস্ব সার্কেল দপ্তরের কানুনগো ও সার্ভেয়ারের সরেজমিন প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে চিঠিতে বলেন, গাজীপুর মহানগর পুলিশ দখল করা জমির একাংশে একটি নামাজঘর এবং বাকি অংশে ৬০টি দোকানঘর নির্মাণ করে ভাড়া দিয়েছে। প্রতিটি দোকান থেকে মাসিক ১৫ হাজার টাকা ভাড়া তুলছে পুলিশ। সেই অবৈধ মার্কেট এখন জমজমাট। ডিসি চিঠিতে উল্লেখ করেন, এ ঘটনা ‘সম্পূর্ণ আইনের পরিপন্থী এবং প্রাতিষ্ঠানিক জবরদখলের অশুভ দৃষ্টান্ত’।
গত ১৭ জানুয়ারি মন্ত্রিপরিষদ সচিবের কাছে পাঠানো সেই চিঠির সঙ্গে টঙ্গী রাজস্ব সার্কেলের সহকারী কমিশনারের (ভূমি) আরেকটি প্রতিবেদন সংযুক্ত করে বলা হয়, গত ২৭ ডিসেম্বর রাতে কাশিমপুর মৌজার খাল শ্রেণিভুক্ত প্রায় শূন্য দশমিক ৬০ একর জমি বালু ভরাট করে অবৈধ দখল করা হয়। কাশিমপুরের ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা ভরাট করা জমি পরিদর্শনকালে স্থানীয়ভাবে জানতে পারেন, গাজীপুর মহানগর পুলিশের জবরদখলের নিমিত্তে কাশিমপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওই খাসজমির তিন দিকে টিনের বেড়া নির্মাণ করে অপদখল করেছেন। ওই অবৈধ দখল বজায় রাখার লক্ষ্যে ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তার পরিদর্শনকালে ঘটনাস্থলে পুলিশের পাহারা দেখতে পান।
জেলা প্রশাসক চিঠিতে বলেন, এ ধরনের অপতৎপরতা দেশের বিদ্যমান আইনের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন এবং সরকারি সংস্থার আইন অমান্য করার একটি বাজে দৃষ্টান্ত। এ ধরনের অপকর্ম জনগণের কাছে সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার পাশাপাশি ভূমিসংশ্লিষ্ট অপরাধের সঙ্গে জড়িত স্বার্থান্বেষী মহলকে উৎসাহিত করে।
জেলা প্রশাসক চিঠিতে জানান, দুটি মামলার পরিপ্রেক্ষিতে ভূমির অবৈধ দখলদার উচ্ছেদ করতে গাজীপুর মহানগর পুলিশ কমিশনারকে প্রয়োজনীয় সংখ্যক পুলিশ ফোর্স মোতায়েনের জন্য অনুরোধ করা হলেও নির্ধারিত দিনে ঘটনাস্থলে কোনো পুলিশ সদস্য উপস্থিত হননি।
আরেকটি ঘটনার বর্ণনা দিয়ে চিঠিতে বলা হয়, গাজীপুর সিটি করপোরেশনে খাসজমির অবৈধ দখল উচ্ছেদের জন্য একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট দায়িত্বপ্রাপ্ত। তিনি খাসজমিতে ইটভাটা ও অবৈধ দখলদার উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনার জন্য পরিকল্পনা করছিলেন। অভিযানের আগে তিনি সহযোগিতা করার জন্য সংশ্লিষ্ট সব প্রতিষ্ঠান ও সংস্থাকে লিখিতভাবে নোটিশ দেন। উচ্ছেদের আগের দিনও নোটিশটি হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে সিটিএসবির অতিরিক্ত উপকমিশনারকে এবং গাজীপুর মহানগর পুলিশের দাপ্তরিক মোবাইল ফোনে পাঠানো হয়। কিন্তু সেদিনও কোনো পুলিশ ফোর্স মোতায়েন করা হয়নি। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে চিঠিটি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিবের কাছে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য পাঠানো হয়।
মহানগর কমিশনারের বিরুদ্ধে পাঠানো চিঠির বিষয়ে জানতে চাইলে গাজীপুর জেলা প্রশাসক আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘টঙ্গীতে জেলা পরিষদের বেশ কিছু জমি উচ্ছেদ করা হয়েছিল। আবার অনেকে দখল করেছে। সেসব জমি দখলমুক্ত করার চেষ্টা চলছে। দখল করা জমি উচ্ছেদে পুলিশ অসহযোগিতা করছে।’
চিঠিতে বলা হয়েছে, জেলা প্রশাসক বিগত এক বছর জেলার ৮ দশমিক ৯৭ একর খাসজমি পুনরুদ্ধার করেছেন, যার মূল্য ১০০ কোটি টাকার বেশি। সদ্য সাবেক কমিশনারের আন্তরিকতা ও সক্রিয় সহযোগিতায় ভূমিদস্যুদের উচ্ছেদ করতে পারলেও বর্তমান কমিশনার মোল্যা নজরুল ইসলামের ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম হচ্ছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষা ও জননিরাপত্তা নিশ্চিত করা পুলিশ বিভাগের মৌলিক দায়িত্ব হলেও গাজীপুর মহানগর পুলিশের বর্তমান কমিশনারের প্রত্যক্ষ নির্দেশনা ও তত্ত্বাবধানে অবৈধভাবে খাসজমি জবরদখল করা হচ্ছে।
কমিশনারের জমি দখল নিয়ে জেলা প্রশাসকের করা অভিযোগের ব্যাপারে জানতে চাইলে পুলিশ সদর দপ্তরের উন্নয়ন শাখার ডিআইজি রুহুল আমিন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘জেলা বা মহানগর এলাকায় এ ধরনের মার্কেটের বিষয়ে স্বাভাবিকভাবেই পুলিশ সদর দপ্তর নজরে রাখে না; কিন্তু বৈধভাবে এ রকম মার্কেট করা যায়। বিষয়টা সংশ্লিষ্ট জেলার এসপি বা কমিশনার দেখভাল করেন। তবে সরকারি জমি বেদখল করে কেউ কোনো কাজ করলে সেটা তো বেআইনি।’
যে মার্কেট নিয়ে অভিযোগ, গতকাল বিকেলে সেই ‘গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ মার্কেট’ ঘুরে দেখা যায়, এটি টঙ্গী বাজার এলাকায় অবস্থিত। মার্কেটের ব্যবসায়ীরা বলেন, মার্কেটটি বেশ পুরোনো। আগে এর নাম ছিল পুলিশ মার্কেট; পরে নাম বদলানো হয়। এখন মেট্রোপলিটন পুলিশ মার্কেট নামে সবাই চেনে।
এই মার্কেটে টিনশেডের ৫০-৬০টি ছোট-বড় দোকান আছে। দোকানগুলোতে পোশাক বিক্রি হচ্ছে। মার্কেটের ভেতরেই গাজীপুর মেট্রোপলিশের ট্রাফিক দক্ষিণের একটি কার্যালয় রয়েছে। সেখানকার দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যরা নির্ধারিত ব্যক্তির মাধ্যমে দোকানের ভাড়া তোলেন। দোকানগুলোর সর্বনিম্ন ভাড়া ৮ হাজার আর সর্বোচ্চ ভাড়া ২০ হাজার টাকা। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক পোশাক ব্যবসায়ী বলেন, তিনি কয়েক বছর ধরে ব্যবসা করেন। ভাড়া কম হলেও দোকান নেওয়ার সময় ৭ লাখ টাকা জামানত দিয়েছেন। তাঁর মতো সব ব্যবসায়ী জামানত দিয়েই দোকান নিয়ে ব্যবসা করছেন।
সরকারি জমি দখল করে এভাবে পুলিশের দোকান করার ব্যাপারে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে পুলিশের সাবেক আইজি মুহাম্মদ নুরুল হুদা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আসলে পুলিশ চাইলেই সরকারি খাসজমি জবরদখল করে মার্কেট করতে পারে না। যদি তদন্তে উঠে আসে, বেআইনিভাবে জবরদখল করেছে, তাহলে ওই কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে নানাভাবেই ব্যবস্থা নেওয়া যেতে পারে।’
শাহরিয়ার হাসান, ঢাকা

গাজীপুর মহানগর পুলিশ (জিএমপি) কমিশনার মোল্যা নজরুল ইসলামের বিরুদ্ধে সরকারি জমি অবৈধভাবে দখল করা এবং বেদখল হওয়া জমি পুনরুদ্ধারে অসহযোগিতা করার অভিযোগ উঠেছে। গাজীপুর জেলা প্রশাসক আনিসুর রহমান মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে পাঠানো এক চিঠিতে এমন অভিযোগ করেছেন।
চিঠিতে বলা হয়েছে, গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের বর্তমান কমিশনার মোল্যা নজরুল ইসলামের যোগদানের পর থেকে খাসজমি দখল পুনরুদ্ধার কার্যক্রম পুলিশের অসহযোগিতার কারণে চরমভাবে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। এ ছাড়া পুলিশ কমিশনারের প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানে ও নির্দেশনায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী গাজীপুর জেলার মূল্যবান খাসজমি অবৈধ দখল করছে এবং দখলে সহায়তায় লিপ্ত হয়েছে।
জেলা প্রশাসকের চিঠির ব্যাপারে জানতে চাইলে গাজীপুর মহানগর পুলিশ কমিশনার (জিএমপি) মোল্যা নজরুল ইসলাম গতকাল বুধবার রাতে আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘চিঠির বিষয়ে আমি শুনেছি। এটা অনেক পুরোনো বিষয়। তবে আমি সেই চিঠি এখনো দেখিনি।’
মন্ত্রিপরিষদ সচিবের কাছে পাঠানো চিঠিতে জেলা প্রশাসক আনিসুর রহমান অভিযোগ করেন, গাজীপুর মহানগর পুলিশ টঙ্গী মৌজায় টঙ্গী হাট বা বাজারের আওতাভুক্ত শূন্য দশমিক ১৮ একর খাসজমি বিভিন্ন সময়ে দখল করে ‘গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ মার্কেট’ নামে একটি মার্কেট বানিয়েছে। তিনি সহকারী কমিশনার (ভূমি), টঙ্গী রাজস্ব সার্কেল দপ্তরের কানুনগো ও সার্ভেয়ারের সরেজমিন প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে চিঠিতে বলেন, গাজীপুর মহানগর পুলিশ দখল করা জমির একাংশে একটি নামাজঘর এবং বাকি অংশে ৬০টি দোকানঘর নির্মাণ করে ভাড়া দিয়েছে। প্রতিটি দোকান থেকে মাসিক ১৫ হাজার টাকা ভাড়া তুলছে পুলিশ। সেই অবৈধ মার্কেট এখন জমজমাট। ডিসি চিঠিতে উল্লেখ করেন, এ ঘটনা ‘সম্পূর্ণ আইনের পরিপন্থী এবং প্রাতিষ্ঠানিক জবরদখলের অশুভ দৃষ্টান্ত’।
গত ১৭ জানুয়ারি মন্ত্রিপরিষদ সচিবের কাছে পাঠানো সেই চিঠির সঙ্গে টঙ্গী রাজস্ব সার্কেলের সহকারী কমিশনারের (ভূমি) আরেকটি প্রতিবেদন সংযুক্ত করে বলা হয়, গত ২৭ ডিসেম্বর রাতে কাশিমপুর মৌজার খাল শ্রেণিভুক্ত প্রায় শূন্য দশমিক ৬০ একর জমি বালু ভরাট করে অবৈধ দখল করা হয়। কাশিমপুরের ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা ভরাট করা জমি পরিদর্শনকালে স্থানীয়ভাবে জানতে পারেন, গাজীপুর মহানগর পুলিশের জবরদখলের নিমিত্তে কাশিমপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওই খাসজমির তিন দিকে টিনের বেড়া নির্মাণ করে অপদখল করেছেন। ওই অবৈধ দখল বজায় রাখার লক্ষ্যে ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তার পরিদর্শনকালে ঘটনাস্থলে পুলিশের পাহারা দেখতে পান।
জেলা প্রশাসক চিঠিতে বলেন, এ ধরনের অপতৎপরতা দেশের বিদ্যমান আইনের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন এবং সরকারি সংস্থার আইন অমান্য করার একটি বাজে দৃষ্টান্ত। এ ধরনের অপকর্ম জনগণের কাছে সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার পাশাপাশি ভূমিসংশ্লিষ্ট অপরাধের সঙ্গে জড়িত স্বার্থান্বেষী মহলকে উৎসাহিত করে।
জেলা প্রশাসক চিঠিতে জানান, দুটি মামলার পরিপ্রেক্ষিতে ভূমির অবৈধ দখলদার উচ্ছেদ করতে গাজীপুর মহানগর পুলিশ কমিশনারকে প্রয়োজনীয় সংখ্যক পুলিশ ফোর্স মোতায়েনের জন্য অনুরোধ করা হলেও নির্ধারিত দিনে ঘটনাস্থলে কোনো পুলিশ সদস্য উপস্থিত হননি।
আরেকটি ঘটনার বর্ণনা দিয়ে চিঠিতে বলা হয়, গাজীপুর সিটি করপোরেশনে খাসজমির অবৈধ দখল উচ্ছেদের জন্য একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট দায়িত্বপ্রাপ্ত। তিনি খাসজমিতে ইটভাটা ও অবৈধ দখলদার উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনার জন্য পরিকল্পনা করছিলেন। অভিযানের আগে তিনি সহযোগিতা করার জন্য সংশ্লিষ্ট সব প্রতিষ্ঠান ও সংস্থাকে লিখিতভাবে নোটিশ দেন। উচ্ছেদের আগের দিনও নোটিশটি হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে সিটিএসবির অতিরিক্ত উপকমিশনারকে এবং গাজীপুর মহানগর পুলিশের দাপ্তরিক মোবাইল ফোনে পাঠানো হয়। কিন্তু সেদিনও কোনো পুলিশ ফোর্স মোতায়েন করা হয়নি। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে চিঠিটি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিবের কাছে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য পাঠানো হয়।
মহানগর কমিশনারের বিরুদ্ধে পাঠানো চিঠির বিষয়ে জানতে চাইলে গাজীপুর জেলা প্রশাসক আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘টঙ্গীতে জেলা পরিষদের বেশ কিছু জমি উচ্ছেদ করা হয়েছিল। আবার অনেকে দখল করেছে। সেসব জমি দখলমুক্ত করার চেষ্টা চলছে। দখল করা জমি উচ্ছেদে পুলিশ অসহযোগিতা করছে।’
চিঠিতে বলা হয়েছে, জেলা প্রশাসক বিগত এক বছর জেলার ৮ দশমিক ৯৭ একর খাসজমি পুনরুদ্ধার করেছেন, যার মূল্য ১০০ কোটি টাকার বেশি। সদ্য সাবেক কমিশনারের আন্তরিকতা ও সক্রিয় সহযোগিতায় ভূমিদস্যুদের উচ্ছেদ করতে পারলেও বর্তমান কমিশনার মোল্যা নজরুল ইসলামের ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম হচ্ছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষা ও জননিরাপত্তা নিশ্চিত করা পুলিশ বিভাগের মৌলিক দায়িত্ব হলেও গাজীপুর মহানগর পুলিশের বর্তমান কমিশনারের প্রত্যক্ষ নির্দেশনা ও তত্ত্বাবধানে অবৈধভাবে খাসজমি জবরদখল করা হচ্ছে।
কমিশনারের জমি দখল নিয়ে জেলা প্রশাসকের করা অভিযোগের ব্যাপারে জানতে চাইলে পুলিশ সদর দপ্তরের উন্নয়ন শাখার ডিআইজি রুহুল আমিন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘জেলা বা মহানগর এলাকায় এ ধরনের মার্কেটের বিষয়ে স্বাভাবিকভাবেই পুলিশ সদর দপ্তর নজরে রাখে না; কিন্তু বৈধভাবে এ রকম মার্কেট করা যায়। বিষয়টা সংশ্লিষ্ট জেলার এসপি বা কমিশনার দেখভাল করেন। তবে সরকারি জমি বেদখল করে কেউ কোনো কাজ করলে সেটা তো বেআইনি।’
যে মার্কেট নিয়ে অভিযোগ, গতকাল বিকেলে সেই ‘গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ মার্কেট’ ঘুরে দেখা যায়, এটি টঙ্গী বাজার এলাকায় অবস্থিত। মার্কেটের ব্যবসায়ীরা বলেন, মার্কেটটি বেশ পুরোনো। আগে এর নাম ছিল পুলিশ মার্কেট; পরে নাম বদলানো হয়। এখন মেট্রোপলিটন পুলিশ মার্কেট নামে সবাই চেনে।
এই মার্কেটে টিনশেডের ৫০-৬০টি ছোট-বড় দোকান আছে। দোকানগুলোতে পোশাক বিক্রি হচ্ছে। মার্কেটের ভেতরেই গাজীপুর মেট্রোপলিশের ট্রাফিক দক্ষিণের একটি কার্যালয় রয়েছে। সেখানকার দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যরা নির্ধারিত ব্যক্তির মাধ্যমে দোকানের ভাড়া তোলেন। দোকানগুলোর সর্বনিম্ন ভাড়া ৮ হাজার আর সর্বোচ্চ ভাড়া ২০ হাজার টাকা। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক পোশাক ব্যবসায়ী বলেন, তিনি কয়েক বছর ধরে ব্যবসা করেন। ভাড়া কম হলেও দোকান নেওয়ার সময় ৭ লাখ টাকা জামানত দিয়েছেন। তাঁর মতো সব ব্যবসায়ী জামানত দিয়েই দোকান নিয়ে ব্যবসা করছেন।
সরকারি জমি দখল করে এভাবে পুলিশের দোকান করার ব্যাপারে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে পুলিশের সাবেক আইজি মুহাম্মদ নুরুল হুদা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আসলে পুলিশ চাইলেই সরকারি খাসজমি জবরদখল করে মার্কেট করতে পারে না। যদি তদন্তে উঠে আসে, বেআইনিভাবে জবরদখল করেছে, তাহলে ওই কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে নানাভাবেই ব্যবস্থা নেওয়া যেতে পারে।’

গাজীপুর মহানগর পুলিশ (জিএমপি) কমিশনার মোল্যা নজরুল ইসলামের বিরুদ্ধে সরকারি জমি অবৈধভাবে দখল করা এবং বেদখল হওয়া জমি পুনরুদ্ধারে অসহযোগিতা করার অভিযোগ উঠেছে। গাজীপুর জেলা প্রশাসক আনিসুর রহমান মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে পাঠানো এক চিঠিতে এমন অভিযোগ করেছেন।
চিঠিতে বলা হয়েছে, গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের বর্তমান কমিশনার মোল্যা নজরুল ইসলামের যোগদানের পর থেকে খাসজমি দখল পুনরুদ্ধার কার্যক্রম পুলিশের অসহযোগিতার কারণে চরমভাবে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। এ ছাড়া পুলিশ কমিশনারের প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানে ও নির্দেশনায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী গাজীপুর জেলার মূল্যবান খাসজমি অবৈধ দখল করছে এবং দখলে সহায়তায় লিপ্ত হয়েছে।
জেলা প্রশাসকের চিঠির ব্যাপারে জানতে চাইলে গাজীপুর মহানগর পুলিশ কমিশনার (জিএমপি) মোল্যা নজরুল ইসলাম গতকাল বুধবার রাতে আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘চিঠির বিষয়ে আমি শুনেছি। এটা অনেক পুরোনো বিষয়। তবে আমি সেই চিঠি এখনো দেখিনি।’
মন্ত্রিপরিষদ সচিবের কাছে পাঠানো চিঠিতে জেলা প্রশাসক আনিসুর রহমান অভিযোগ করেন, গাজীপুর মহানগর পুলিশ টঙ্গী মৌজায় টঙ্গী হাট বা বাজারের আওতাভুক্ত শূন্য দশমিক ১৮ একর খাসজমি বিভিন্ন সময়ে দখল করে ‘গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ মার্কেট’ নামে একটি মার্কেট বানিয়েছে। তিনি সহকারী কমিশনার (ভূমি), টঙ্গী রাজস্ব সার্কেল দপ্তরের কানুনগো ও সার্ভেয়ারের সরেজমিন প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে চিঠিতে বলেন, গাজীপুর মহানগর পুলিশ দখল করা জমির একাংশে একটি নামাজঘর এবং বাকি অংশে ৬০টি দোকানঘর নির্মাণ করে ভাড়া দিয়েছে। প্রতিটি দোকান থেকে মাসিক ১৫ হাজার টাকা ভাড়া তুলছে পুলিশ। সেই অবৈধ মার্কেট এখন জমজমাট। ডিসি চিঠিতে উল্লেখ করেন, এ ঘটনা ‘সম্পূর্ণ আইনের পরিপন্থী এবং প্রাতিষ্ঠানিক জবরদখলের অশুভ দৃষ্টান্ত’।
গত ১৭ জানুয়ারি মন্ত্রিপরিষদ সচিবের কাছে পাঠানো সেই চিঠির সঙ্গে টঙ্গী রাজস্ব সার্কেলের সহকারী কমিশনারের (ভূমি) আরেকটি প্রতিবেদন সংযুক্ত করে বলা হয়, গত ২৭ ডিসেম্বর রাতে কাশিমপুর মৌজার খাল শ্রেণিভুক্ত প্রায় শূন্য দশমিক ৬০ একর জমি বালু ভরাট করে অবৈধ দখল করা হয়। কাশিমপুরের ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা ভরাট করা জমি পরিদর্শনকালে স্থানীয়ভাবে জানতে পারেন, গাজীপুর মহানগর পুলিশের জবরদখলের নিমিত্তে কাশিমপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওই খাসজমির তিন দিকে টিনের বেড়া নির্মাণ করে অপদখল করেছেন। ওই অবৈধ দখল বজায় রাখার লক্ষ্যে ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তার পরিদর্শনকালে ঘটনাস্থলে পুলিশের পাহারা দেখতে পান।
জেলা প্রশাসক চিঠিতে বলেন, এ ধরনের অপতৎপরতা দেশের বিদ্যমান আইনের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন এবং সরকারি সংস্থার আইন অমান্য করার একটি বাজে দৃষ্টান্ত। এ ধরনের অপকর্ম জনগণের কাছে সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার পাশাপাশি ভূমিসংশ্লিষ্ট অপরাধের সঙ্গে জড়িত স্বার্থান্বেষী মহলকে উৎসাহিত করে।
জেলা প্রশাসক চিঠিতে জানান, দুটি মামলার পরিপ্রেক্ষিতে ভূমির অবৈধ দখলদার উচ্ছেদ করতে গাজীপুর মহানগর পুলিশ কমিশনারকে প্রয়োজনীয় সংখ্যক পুলিশ ফোর্স মোতায়েনের জন্য অনুরোধ করা হলেও নির্ধারিত দিনে ঘটনাস্থলে কোনো পুলিশ সদস্য উপস্থিত হননি।
আরেকটি ঘটনার বর্ণনা দিয়ে চিঠিতে বলা হয়, গাজীপুর সিটি করপোরেশনে খাসজমির অবৈধ দখল উচ্ছেদের জন্য একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট দায়িত্বপ্রাপ্ত। তিনি খাসজমিতে ইটভাটা ও অবৈধ দখলদার উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনার জন্য পরিকল্পনা করছিলেন। অভিযানের আগে তিনি সহযোগিতা করার জন্য সংশ্লিষ্ট সব প্রতিষ্ঠান ও সংস্থাকে লিখিতভাবে নোটিশ দেন। উচ্ছেদের আগের দিনও নোটিশটি হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে সিটিএসবির অতিরিক্ত উপকমিশনারকে এবং গাজীপুর মহানগর পুলিশের দাপ্তরিক মোবাইল ফোনে পাঠানো হয়। কিন্তু সেদিনও কোনো পুলিশ ফোর্স মোতায়েন করা হয়নি। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে চিঠিটি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিবের কাছে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য পাঠানো হয়।
মহানগর কমিশনারের বিরুদ্ধে পাঠানো চিঠির বিষয়ে জানতে চাইলে গাজীপুর জেলা প্রশাসক আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘টঙ্গীতে জেলা পরিষদের বেশ কিছু জমি উচ্ছেদ করা হয়েছিল। আবার অনেকে দখল করেছে। সেসব জমি দখলমুক্ত করার চেষ্টা চলছে। দখল করা জমি উচ্ছেদে পুলিশ অসহযোগিতা করছে।’
চিঠিতে বলা হয়েছে, জেলা প্রশাসক বিগত এক বছর জেলার ৮ দশমিক ৯৭ একর খাসজমি পুনরুদ্ধার করেছেন, যার মূল্য ১০০ কোটি টাকার বেশি। সদ্য সাবেক কমিশনারের আন্তরিকতা ও সক্রিয় সহযোগিতায় ভূমিদস্যুদের উচ্ছেদ করতে পারলেও বর্তমান কমিশনার মোল্যা নজরুল ইসলামের ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম হচ্ছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষা ও জননিরাপত্তা নিশ্চিত করা পুলিশ বিভাগের মৌলিক দায়িত্ব হলেও গাজীপুর মহানগর পুলিশের বর্তমান কমিশনারের প্রত্যক্ষ নির্দেশনা ও তত্ত্বাবধানে অবৈধভাবে খাসজমি জবরদখল করা হচ্ছে।
কমিশনারের জমি দখল নিয়ে জেলা প্রশাসকের করা অভিযোগের ব্যাপারে জানতে চাইলে পুলিশ সদর দপ্তরের উন্নয়ন শাখার ডিআইজি রুহুল আমিন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘জেলা বা মহানগর এলাকায় এ ধরনের মার্কেটের বিষয়ে স্বাভাবিকভাবেই পুলিশ সদর দপ্তর নজরে রাখে না; কিন্তু বৈধভাবে এ রকম মার্কেট করা যায়। বিষয়টা সংশ্লিষ্ট জেলার এসপি বা কমিশনার দেখভাল করেন। তবে সরকারি জমি বেদখল করে কেউ কোনো কাজ করলে সেটা তো বেআইনি।’
যে মার্কেট নিয়ে অভিযোগ, গতকাল বিকেলে সেই ‘গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ মার্কেট’ ঘুরে দেখা যায়, এটি টঙ্গী বাজার এলাকায় অবস্থিত। মার্কেটের ব্যবসায়ীরা বলেন, মার্কেটটি বেশ পুরোনো। আগে এর নাম ছিল পুলিশ মার্কেট; পরে নাম বদলানো হয়। এখন মেট্রোপলিটন পুলিশ মার্কেট নামে সবাই চেনে।
এই মার্কেটে টিনশেডের ৫০-৬০টি ছোট-বড় দোকান আছে। দোকানগুলোতে পোশাক বিক্রি হচ্ছে। মার্কেটের ভেতরেই গাজীপুর মেট্রোপলিশের ট্রাফিক দক্ষিণের একটি কার্যালয় রয়েছে। সেখানকার দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যরা নির্ধারিত ব্যক্তির মাধ্যমে দোকানের ভাড়া তোলেন। দোকানগুলোর সর্বনিম্ন ভাড়া ৮ হাজার আর সর্বোচ্চ ভাড়া ২০ হাজার টাকা। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক পোশাক ব্যবসায়ী বলেন, তিনি কয়েক বছর ধরে ব্যবসা করেন। ভাড়া কম হলেও দোকান নেওয়ার সময় ৭ লাখ টাকা জামানত দিয়েছেন। তাঁর মতো সব ব্যবসায়ী জামানত দিয়েই দোকান নিয়ে ব্যবসা করছেন।
সরকারি জমি দখল করে এভাবে পুলিশের দোকান করার ব্যাপারে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে পুলিশের সাবেক আইজি মুহাম্মদ নুরুল হুদা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আসলে পুলিশ চাইলেই সরকারি খাসজমি জবরদখল করে মার্কেট করতে পারে না। যদি তদন্তে উঠে আসে, বেআইনিভাবে জবরদখল করেছে, তাহলে ওই কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে নানাভাবেই ব্যবস্থা নেওয়া যেতে পারে।’

রাজধানীর মোহাম্মদপুরে জেনেভা ক্যাম্পে ‘মাদক কারবারিদের’ দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে জাহিদ নিহতের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ শুক্রবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. ইবনে মিজান আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
১৩ ঘণ্টা আগে
এক বিজ্ঞপ্তিতে সিআইডি জানিয়েছে, নূরে আলম একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সদস্য। তিনি ফেসবুকে এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে যোগাযোগ করে জানান, তাঁর নামে বিদেশ থেকে একটি পার্সেল এসেছে, যা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাস্টম হাউসে জমা আছে। পার্সেল ছাড়াতে টাকা লাগবে—এ দাবি করে পার্সেলের ছবিও পাঠান তিনি।
৩ দিন আগে
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সভায় উপস্থিত বিএফআইইউ প্রতিনিধি বলেন, এমএফএস অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে জুয়া ও প্রতারণা বন্ধে বিটিআরসির (বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন) মাধ্যমে বার্তা দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া এমএফএস প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে বৈঠক করে তাদের কিছু নির্দেশনাও দেওয়া হবে। যেসব অ্যাকাউন্ট ব্লক (স্থগিত)
৩ দিন আগে
দেশে বসেই আন্তর্জাতিক পর্নো সাইটে সক্রিয় ছিলেন তাঁরা। ভিডিও বানিয়ে আপলোড করতেন বিভিন্ন ওয়েবসাইটে। শুধু নিজেরাই নন, এই দম্পতি অন্যদেরও এ কাজে যুক্ত করতেন বলে অভিযোগ। অবশেষে সেই আলোচিত যুগলকে বান্দরবানে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
৪ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

রাজধানীর মোহাম্মদপুরে জেনেভা ক্যাম্পে ‘মাদক কারবারিদের’ দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে জাহিদ নিহতের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
আজ শুক্রবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. ইবনে মিজান আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
গত বুধবার ভোররাতে দুই গ্রুপ মাদক কারবারির সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে নিহত হন জাহিদ (২০)। পরিবারের দাবি, দুপক্ষের সংঘর্ষ চলাকালে জাহিদের পায়ের কাছে ককটেল বিস্ফোরণ হয়। এ সময় স্প্লিন্টার তাঁর ঘাড় ও পিঠে বিদ্ধ হয়। আহত অবস্থায় উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় মোহাম্মদপুর থানায় একটি হত্যা মামলা হয়েছে। সংঘর্ষের পর ঘটনাস্থলে অভিযান পরিচালনা করে র্যাব, পুলিশ ও সেনাবাহিনী। অভিযানে একটি বিদেশি পিস্তল, একটি ম্যাগাজিন ও তিনটি তাজা গুলিসহ বিপুল পরিমাণ দেশি অস্ত্র ও পেট্রলবোমা উদ্ধার করা হয়।
জাহিদের ভগ্নিপতি মো. উজ্জ্বল জানান, রাজধানীর কল্যাণপুরে মিজান টাওয়ারে একটি মোবাইল ফোন সার্ভিসিংয়ের দোকানে কাজ করতেন জাহিদ। বুধবার রাতে বন্ধুদের সঙ্গে রেস্তোরাঁয় খেতে যাওয়ার সময় তাঁরা সংঘর্ষের মধ্যে পড়েন। পরে হাসপাতালে জাহিদের মৃত্যু হয়।
তবে পুলিশ বলছে, ককটেল তৈরির সময় বিস্ফোরণে নিহত হন জাহিদ।

রাজধানীর মোহাম্মদপুরে জেনেভা ক্যাম্পে ‘মাদক কারবারিদের’ দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে জাহিদ নিহতের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
আজ শুক্রবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. ইবনে মিজান আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
গত বুধবার ভোররাতে দুই গ্রুপ মাদক কারবারির সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে নিহত হন জাহিদ (২০)। পরিবারের দাবি, দুপক্ষের সংঘর্ষ চলাকালে জাহিদের পায়ের কাছে ককটেল বিস্ফোরণ হয়। এ সময় স্প্লিন্টার তাঁর ঘাড় ও পিঠে বিদ্ধ হয়। আহত অবস্থায় উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় মোহাম্মদপুর থানায় একটি হত্যা মামলা হয়েছে। সংঘর্ষের পর ঘটনাস্থলে অভিযান পরিচালনা করে র্যাব, পুলিশ ও সেনাবাহিনী। অভিযানে একটি বিদেশি পিস্তল, একটি ম্যাগাজিন ও তিনটি তাজা গুলিসহ বিপুল পরিমাণ দেশি অস্ত্র ও পেট্রলবোমা উদ্ধার করা হয়।
জাহিদের ভগ্নিপতি মো. উজ্জ্বল জানান, রাজধানীর কল্যাণপুরে মিজান টাওয়ারে একটি মোবাইল ফোন সার্ভিসিংয়ের দোকানে কাজ করতেন জাহিদ। বুধবার রাতে বন্ধুদের সঙ্গে রেস্তোরাঁয় খেতে যাওয়ার সময় তাঁরা সংঘর্ষের মধ্যে পড়েন। পরে হাসপাতালে জাহিদের মৃত্যু হয়।
তবে পুলিশ বলছে, ককটেল তৈরির সময় বিস্ফোরণে নিহত হন জাহিদ।

গাজীপুর মহানগর পুলিশ (জিএমপি) কমিশনার মোল্যা নজরুল ইসলামের বিরুদ্ধে সরকারি জমি অবৈধভাবে দখল করা এবং বেদখল হওয়া জমি পুনরুদ্ধারে অসহযোগিতা করার অভিযোগ উঠেছে। গাজীপুর জেলা প্রশাসক আনিসুর রহমান মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে পাঠানো এক চিঠিতে এমন অভিযোগ করেছেন।
১১ মে ২০২৩
এক বিজ্ঞপ্তিতে সিআইডি জানিয়েছে, নূরে আলম একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সদস্য। তিনি ফেসবুকে এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে যোগাযোগ করে জানান, তাঁর নামে বিদেশ থেকে একটি পার্সেল এসেছে, যা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাস্টম হাউসে জমা আছে। পার্সেল ছাড়াতে টাকা লাগবে—এ দাবি করে পার্সেলের ছবিও পাঠান তিনি।
৩ দিন আগে
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সভায় উপস্থিত বিএফআইইউ প্রতিনিধি বলেন, এমএফএস অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে জুয়া ও প্রতারণা বন্ধে বিটিআরসির (বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন) মাধ্যমে বার্তা দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া এমএফএস প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে বৈঠক করে তাদের কিছু নির্দেশনাও দেওয়া হবে। যেসব অ্যাকাউন্ট ব্লক (স্থগিত)
৩ দিন আগে
দেশে বসেই আন্তর্জাতিক পর্নো সাইটে সক্রিয় ছিলেন তাঁরা। ভিডিও বানিয়ে আপলোড করতেন বিভিন্ন ওয়েবসাইটে। শুধু নিজেরাই নন, এই দম্পতি অন্যদেরও এ কাজে যুক্ত করতেন বলে অভিযোগ। অবশেষে সেই আলোচিত যুগলকে বান্দরবানে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
৪ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বিদেশ থেকে পার্সেল এসেছে—এমন দাবি করে কাস্টমস থেকে তা ছাড়িয়ে দেওয়ার কথা বলে ১১ লাখ ৮৫ হাজার টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে এক তরুণকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
গতকাল সোমবার রাতে রাজধানীর তেজগাঁও শিল্পাঞ্চলের কুনিপাড়া এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার ওই তরুণের নাম মো. নূরে আলম ওরফে তুহিন (২৪)।
এক বিজ্ঞপ্তিতে সিআইডি জানিয়েছে, নূরে আলম একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সদস্য। তিনি ফেসবুকে এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে যোগাযোগ করে জানান, তাঁর নামে বিদেশ থেকে একটি পার্সেল এসেছে, যা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাস্টম হাউসে জমা আছে। পার্সেল ছাড়াতে টাকা লাগবে—এ দাবি করে পার্সেলের ছবিও পাঠান তিনি।
পরে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন অজুহাতে ভুক্তভোগীর কাছ থেকে বিকাশ ও ব্যাংকের মাধ্যমে ১১ লাখ ৮৫ হাজার টাকা আদায় করেন নূরে আলম। টাকা পাওয়ার পর নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দেন তিনি।
ভুক্তভোগী আদালতের শরণাপন্ন হলে রামপুরা থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করা হয়। মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব পায় সিআইডির সাইবার পুলিশ সেন্টার। পরে নূরে আলমকে গ্রেপ্তার করা হয়।
সিআইডি জানায়, প্রতারক চক্রের অন্য সদস্যদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।

বিদেশ থেকে পার্সেল এসেছে—এমন দাবি করে কাস্টমস থেকে তা ছাড়িয়ে দেওয়ার কথা বলে ১১ লাখ ৮৫ হাজার টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে এক তরুণকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
গতকাল সোমবার রাতে রাজধানীর তেজগাঁও শিল্পাঞ্চলের কুনিপাড়া এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার ওই তরুণের নাম মো. নূরে আলম ওরফে তুহিন (২৪)।
এক বিজ্ঞপ্তিতে সিআইডি জানিয়েছে, নূরে আলম একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সদস্য। তিনি ফেসবুকে এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে যোগাযোগ করে জানান, তাঁর নামে বিদেশ থেকে একটি পার্সেল এসেছে, যা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাস্টম হাউসে জমা আছে। পার্সেল ছাড়াতে টাকা লাগবে—এ দাবি করে পার্সেলের ছবিও পাঠান তিনি।
পরে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন অজুহাতে ভুক্তভোগীর কাছ থেকে বিকাশ ও ব্যাংকের মাধ্যমে ১১ লাখ ৮৫ হাজার টাকা আদায় করেন নূরে আলম। টাকা পাওয়ার পর নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দেন তিনি।
ভুক্তভোগী আদালতের শরণাপন্ন হলে রামপুরা থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করা হয়। মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব পায় সিআইডির সাইবার পুলিশ সেন্টার। পরে নূরে আলমকে গ্রেপ্তার করা হয়।
সিআইডি জানায়, প্রতারক চক্রের অন্য সদস্যদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।

গাজীপুর মহানগর পুলিশ (জিএমপি) কমিশনার মোল্যা নজরুল ইসলামের বিরুদ্ধে সরকারি জমি অবৈধভাবে দখল করা এবং বেদখল হওয়া জমি পুনরুদ্ধারে অসহযোগিতা করার অভিযোগ উঠেছে। গাজীপুর জেলা প্রশাসক আনিসুর রহমান মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে পাঠানো এক চিঠিতে এমন অভিযোগ করেছেন।
১১ মে ২০২৩
রাজধানীর মোহাম্মদপুরে জেনেভা ক্যাম্পে ‘মাদক কারবারিদের’ দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে জাহিদ নিহতের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ শুক্রবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. ইবনে মিজান আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
১৩ ঘণ্টা আগে
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সভায় উপস্থিত বিএফআইইউ প্রতিনিধি বলেন, এমএফএস অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে জুয়া ও প্রতারণা বন্ধে বিটিআরসির (বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন) মাধ্যমে বার্তা দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া এমএফএস প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে বৈঠক করে তাদের কিছু নির্দেশনাও দেওয়া হবে। যেসব অ্যাকাউন্ট ব্লক (স্থগিত)
৩ দিন আগে
দেশে বসেই আন্তর্জাতিক পর্নো সাইটে সক্রিয় ছিলেন তাঁরা। ভিডিও বানিয়ে আপলোড করতেন বিভিন্ন ওয়েবসাইটে। শুধু নিজেরাই নন, এই দম্পতি অন্যদেরও এ কাজে যুক্ত করতেন বলে অভিযোগ। অবশেষে সেই আলোচিত যুগলকে বান্দরবানে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
৪ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

জুয়া ও প্রতারণায় জড়িত থাকায় ৫০ হাজারের বেশি এমএফএস (মোবাইলভিত্তিক আর্থিক লেনদেন সেবা) অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ (স্থগিত) করেছে বিএফআইইউ (বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট)। ২০২২ সালের ডিসেম্বর থেকে চলতি মাস পর্যন্ত এই নম্বরগুলো স্থগিত করা হয়।
আজ মঙ্গলবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বিটিআরসি ভবনে ‘অনলাইন জুয়া প্রতিরোধে করণীয়’ শীর্ষক এক সভায় বিএফআইইউর প্রতিনিধি এ তথ্য জানান।
সভায় ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়, ডিজিএফআই (ডিরেক্টরেট জেনারেল অব ফোর্সেস ইন্টেলিজেন্স), এনএসআই (ন্যাশনাল সিকিউরিটি ইন্টেলিজেন্স), এনটিএমসি (ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টার), সিআইডি (ক্রিমিনাল ইনভেস্টিগেশন ডিপার্টমেন্ট), বিএফআইইউ, এমএফএস ও মোবাইল অপারেটরদের প্রতিনিধিরা অংশ নেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সভায় উপস্থিত বিএফআইইউ প্রতিনিধি বলেন, এমএফএস অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে জুয়া ও প্রতারণা বন্ধে বিটিআরসির (বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন) মাধ্যমে বার্তা দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া এমএফএস প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে বৈঠক করে তাদের কিছু নির্দেশনাও দেওয়া হবে। যেসব অ্যাকাউন্ট ব্লক (স্থগিত) করা হয়েছে, সেগুলো থেকে কোথায় কোথায় টাকা লেনদেন করা হয়েছে, তা বিশ্লেষণ করে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে প্রতিবেদন দেওয়া হবে।
ডিজিএফআই প্রতিনিধি জানান, অনলাইন জুয়ার মতো আর্থিক নানা প্রতারণায় বেনামি সিম ব্যবহার করা হচ্ছে। সংঘবদ্ধ চক্র ভুয়া সিম বিক্রি করছে। মানুষের আঙুলের ছাপ ব্যবহার করা হচ্ছে। বিকাশের অ্যাপ নকল করা হয়েছে। নাগরিকদের ডেটাবেইস ডার্ক ওয়েবে পাওয়া যাচ্ছে। এটা নিয়ে নানা অপরাধ সংঘটিত হচ্ছে।
সভায় অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিবিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, সরকার সতর্ক করার পরও অনেক গণমাধ্যমের অনলাইন পোর্টালে এখনো জুয়ার বিজ্ঞাপন প্রচার করা হচ্ছে। এ ধরনের বিজ্ঞাপন প্রচার করলে যেকোনো মুহূর্তে বিনা নোটিশে সংশ্লিষ্ট গণমাধ্যমের পোর্টাল বন্ধ করে দেওয়া হবে। প্রায় সব কটি মিডিয়ার পোর্টালে এখনো অনিরাপদ কনটেন্ট আসে। জুয়ার বিজ্ঞাপন আসে। এখান থেকে তারা টাকা পায়।
১৯ অক্টোবর পর্যন্ত জুয়ার বিজ্ঞাপন বন্ধে সময় দেওয়া হয়েছিল। তবে গণমাধ্যমগুলো তা মানছে না বলে অভিযোগ করেন বিশেষ সহকারী। তিনি বলেন, বেশ কিছু অনলাইন পোর্টাল জুয়ার বিজ্ঞাপন ও অনিরাপদ কনটেন্ট বিজ্ঞাপন প্রচার করছে। ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, ‘আমরা যেকোনো মুহূর্তে বন্ধ করে দেব। যেহেতু একাধিক নোটিশ দেওয়া হয়েছে। আমরা পাবলিকলি কোনো নোটিশ দেব না।’
অনলাইন জুয়া বন্ধে সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগ ও চ্যালেঞ্জের কথা তুলে ধরেন ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব। তিনি জানান, সরকারের হিসাবে গত মে মাস থেকে এখন পর্যন্ত ৪ হাজার ৮২০টি এমএফএস নম্বর পাওয়া গেছে। এ ছাড়া ১ হাজার ৩৩১টি ওয়েব পোর্টালের লিংক পাওয়া গেছে।
সরকারের চ্যালেঞ্জ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, যখনই একটা নম্বর ব্লক করা হয়, তখন এর চেয়ে বেশিসংখ্যক বা সমসংখ্যক নম্বর ব্যবহার করে সিগন্যাল-হোয়াটসঅ্যাপের মতো গ্রুপগুলোয় ছড়িয়ে দেওয়া হয়। আইপি পরিবর্তন করে ওয়েবসাইটের নাম একটু পরিবর্তন করা হয়। এভাবে নতুন ওয়েবসাইট বানিয়ে আবার শুরু করা হয়। এমএফএস, ওয়েব লিংক বন্ধ করার পর এ চক্রগুলো আবার অ্যাপ তৈরি ফেলে। অ্যাপগুলো অনেক ক্ষেত্রেই পাবলিশড নয়, এপিকে হিসেবে ব্যবহার করে।

জুয়া ও প্রতারণায় জড়িত থাকায় ৫০ হাজারের বেশি এমএফএস (মোবাইলভিত্তিক আর্থিক লেনদেন সেবা) অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ (স্থগিত) করেছে বিএফআইইউ (বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট)। ২০২২ সালের ডিসেম্বর থেকে চলতি মাস পর্যন্ত এই নম্বরগুলো স্থগিত করা হয়।
আজ মঙ্গলবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বিটিআরসি ভবনে ‘অনলাইন জুয়া প্রতিরোধে করণীয়’ শীর্ষক এক সভায় বিএফআইইউর প্রতিনিধি এ তথ্য জানান।
সভায় ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়, ডিজিএফআই (ডিরেক্টরেট জেনারেল অব ফোর্সেস ইন্টেলিজেন্স), এনএসআই (ন্যাশনাল সিকিউরিটি ইন্টেলিজেন্স), এনটিএমসি (ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টার), সিআইডি (ক্রিমিনাল ইনভেস্টিগেশন ডিপার্টমেন্ট), বিএফআইইউ, এমএফএস ও মোবাইল অপারেটরদের প্রতিনিধিরা অংশ নেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সভায় উপস্থিত বিএফআইইউ প্রতিনিধি বলেন, এমএফএস অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে জুয়া ও প্রতারণা বন্ধে বিটিআরসির (বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন) মাধ্যমে বার্তা দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া এমএফএস প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে বৈঠক করে তাদের কিছু নির্দেশনাও দেওয়া হবে। যেসব অ্যাকাউন্ট ব্লক (স্থগিত) করা হয়েছে, সেগুলো থেকে কোথায় কোথায় টাকা লেনদেন করা হয়েছে, তা বিশ্লেষণ করে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে প্রতিবেদন দেওয়া হবে।
ডিজিএফআই প্রতিনিধি জানান, অনলাইন জুয়ার মতো আর্থিক নানা প্রতারণায় বেনামি সিম ব্যবহার করা হচ্ছে। সংঘবদ্ধ চক্র ভুয়া সিম বিক্রি করছে। মানুষের আঙুলের ছাপ ব্যবহার করা হচ্ছে। বিকাশের অ্যাপ নকল করা হয়েছে। নাগরিকদের ডেটাবেইস ডার্ক ওয়েবে পাওয়া যাচ্ছে। এটা নিয়ে নানা অপরাধ সংঘটিত হচ্ছে।
সভায় অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিবিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, সরকার সতর্ক করার পরও অনেক গণমাধ্যমের অনলাইন পোর্টালে এখনো জুয়ার বিজ্ঞাপন প্রচার করা হচ্ছে। এ ধরনের বিজ্ঞাপন প্রচার করলে যেকোনো মুহূর্তে বিনা নোটিশে সংশ্লিষ্ট গণমাধ্যমের পোর্টাল বন্ধ করে দেওয়া হবে। প্রায় সব কটি মিডিয়ার পোর্টালে এখনো অনিরাপদ কনটেন্ট আসে। জুয়ার বিজ্ঞাপন আসে। এখান থেকে তারা টাকা পায়।
১৯ অক্টোবর পর্যন্ত জুয়ার বিজ্ঞাপন বন্ধে সময় দেওয়া হয়েছিল। তবে গণমাধ্যমগুলো তা মানছে না বলে অভিযোগ করেন বিশেষ সহকারী। তিনি বলেন, বেশ কিছু অনলাইন পোর্টাল জুয়ার বিজ্ঞাপন ও অনিরাপদ কনটেন্ট বিজ্ঞাপন প্রচার করছে। ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, ‘আমরা যেকোনো মুহূর্তে বন্ধ করে দেব। যেহেতু একাধিক নোটিশ দেওয়া হয়েছে। আমরা পাবলিকলি কোনো নোটিশ দেব না।’
অনলাইন জুয়া বন্ধে সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগ ও চ্যালেঞ্জের কথা তুলে ধরেন ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব। তিনি জানান, সরকারের হিসাবে গত মে মাস থেকে এখন পর্যন্ত ৪ হাজার ৮২০টি এমএফএস নম্বর পাওয়া গেছে। এ ছাড়া ১ হাজার ৩৩১টি ওয়েব পোর্টালের লিংক পাওয়া গেছে।
সরকারের চ্যালেঞ্জ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, যখনই একটা নম্বর ব্লক করা হয়, তখন এর চেয়ে বেশিসংখ্যক বা সমসংখ্যক নম্বর ব্যবহার করে সিগন্যাল-হোয়াটসঅ্যাপের মতো গ্রুপগুলোয় ছড়িয়ে দেওয়া হয়। আইপি পরিবর্তন করে ওয়েবসাইটের নাম একটু পরিবর্তন করা হয়। এভাবে নতুন ওয়েবসাইট বানিয়ে আবার শুরু করা হয়। এমএফএস, ওয়েব লিংক বন্ধ করার পর এ চক্রগুলো আবার অ্যাপ তৈরি ফেলে। অ্যাপগুলো অনেক ক্ষেত্রেই পাবলিশড নয়, এপিকে হিসেবে ব্যবহার করে।

গাজীপুর মহানগর পুলিশ (জিএমপি) কমিশনার মোল্যা নজরুল ইসলামের বিরুদ্ধে সরকারি জমি অবৈধভাবে দখল করা এবং বেদখল হওয়া জমি পুনরুদ্ধারে অসহযোগিতা করার অভিযোগ উঠেছে। গাজীপুর জেলা প্রশাসক আনিসুর রহমান মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে পাঠানো এক চিঠিতে এমন অভিযোগ করেছেন।
১১ মে ২০২৩
রাজধানীর মোহাম্মদপুরে জেনেভা ক্যাম্পে ‘মাদক কারবারিদের’ দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে জাহিদ নিহতের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ শুক্রবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. ইবনে মিজান আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
১৩ ঘণ্টা আগে
এক বিজ্ঞপ্তিতে সিআইডি জানিয়েছে, নূরে আলম একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সদস্য। তিনি ফেসবুকে এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে যোগাযোগ করে জানান, তাঁর নামে বিদেশ থেকে একটি পার্সেল এসেছে, যা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাস্টম হাউসে জমা আছে। পার্সেল ছাড়াতে টাকা লাগবে—এ দাবি করে পার্সেলের ছবিও পাঠান তিনি।
৩ দিন আগে
দেশে বসেই আন্তর্জাতিক পর্নো সাইটে সক্রিয় ছিলেন তাঁরা। ভিডিও বানিয়ে আপলোড করতেন বিভিন্ন ওয়েবসাইটে। শুধু নিজেরাই নন, এই দম্পতি অন্যদেরও এ কাজে যুক্ত করতেন বলে অভিযোগ। অবশেষে সেই আলোচিত যুগলকে বান্দরবানে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
৪ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

দেশে বসেই আন্তর্জাতিক পর্নো সাইটে সক্রিয় ছিলেন তাঁরা। ভিডিও বানিয়ে আপলোড করতেন বিভিন্ন ওয়েবসাইটে। শুধু নিজেরাই নন, এই দম্পতি অন্যদেরও এ কাজে যুক্ত করতেন বলে অভিযোগ। অবশেষে সেই আলোচিত যুগলকে বান্দরবানে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
আজ সোমবার ভোরে বান্দরবান সদর উপজেলার হাজীপাড়ার বালাঘাটা এলাকা থেকে সিআইডির এলআইসি ও সাইবার পুলিশ সেন্টার (সিপিসি) ইউনিটের সদস্যরা এই যুগলকে গ্রেপ্তার করেন। গ্রেপ্তার হওয়া যুগল হলেন মুহাম্মদ আজিম (২৮) ও তাঁর স্ত্রী বৃষ্টি (২৮)। আজ বিকেলে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানায় সিআইডি।
গ্রেপ্তার আজিমের বাড়ি চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলার বুরুমছড়া গ্রামে এবং বৃষ্টির বাড়ি মানিকগঞ্জ জেলার হরিরামপুর উপজেলার আন্ধারমানিক (খালপাড়) গ্রামে।
সিআইডির প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, এই যুগল ২০২৪ সালের মে মাসে আন্তর্জাতিক এক পর্নো সাইটে প্রথম ভিডিও আপলোড করেন। এরপর এক বছরের মধ্যে তাঁরা ১১২টি ভিডিও আপলোড করেছেন, যেগুলো বিশ্বব্যাপী ২ কোটি ৬৭ লাখের বেশিবার দেখা হয়েছে।
এই যুগল এতটাই জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন যে, ২০২৫ সালের অক্টোবর মাসে আন্তর্জাতিক পারফর্মার র্যাঙ্কিংয়ে তাঁদের অবস্থান উঠে আসে অষ্টম স্থানে। ভিডিও আপলোড ছাড়াও তাঁরা বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম—বিশেষ করে, ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম ও টেলিগ্রামের মাধ্যমে নিজেদের কর্মকাণ্ডের প্রচারণা চালাতেন। এসব প্ল্যাটফর্মে নতুনদের এ কাজে যুক্ত হওয়ার আহ্বান জানানো হতো।
তদন্তকারীরা বলছেন, আগ্রহীদের ‘ক্রিয়েটর’ হিসেবে যুক্ত করতে তাঁরা টেলিগ্রাম চ্যানেলে নানা প্রলোভন দেখিয়ে বিজ্ঞাপন দিতেন। নতুন কেউ যুক্ত হলে তাঁকে নগদ অর্থ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হতো। কেউ যোগাযোগ করলে তাঁদের ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করতে উৎসাহিত করতেন আজিম ও বৃষ্টি।
সিআইডির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এই যুগল প্রাথমিক বিদ্যালয়ের গণ্ডি পেরোতে পারেননি। তবে অনলাইনে তাঁদের বিলাসবহুল জীবনধারার নানা ছবি পাওয়া যায়, যা সমাজে নেতিবাচক বার্তা দিচ্ছে। এসব কার্যক্রম সামাজিক ও নৈতিকভাবে যেমন উদ্বেগজনক, তেমনি দেশের প্রচলিত আইনেরও লঙ্ঘন।
অভিযানের সময় তাঁদের কাছ থেকে মোবাইল ফোন, সিম কার্ড, ক্যামেরা, ট্রাইপডসহ ভিডিও ধারণের বিভিন্ন যন্ত্রপাতি জব্দ করা হয়েছে। তাঁদের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা রুজু করা হয়েছে। একই সঙ্গে আদালতে সোপর্দ করে রিমান্ড চেয়ে আবেদন করা হবে বলে জানিয়েছে সিআইডি।
সিআইডির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, পর্নোগ্রাফি ছড়িয়ে দেওয়ার সঙ্গে যুক্ত অন্যদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তারে তদন্ত অব্যাহত রয়েছে।

দেশে বসেই আন্তর্জাতিক পর্নো সাইটে সক্রিয় ছিলেন তাঁরা। ভিডিও বানিয়ে আপলোড করতেন বিভিন্ন ওয়েবসাইটে। শুধু নিজেরাই নন, এই দম্পতি অন্যদেরও এ কাজে যুক্ত করতেন বলে অভিযোগ। অবশেষে সেই আলোচিত যুগলকে বান্দরবানে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
আজ সোমবার ভোরে বান্দরবান সদর উপজেলার হাজীপাড়ার বালাঘাটা এলাকা থেকে সিআইডির এলআইসি ও সাইবার পুলিশ সেন্টার (সিপিসি) ইউনিটের সদস্যরা এই যুগলকে গ্রেপ্তার করেন। গ্রেপ্তার হওয়া যুগল হলেন মুহাম্মদ আজিম (২৮) ও তাঁর স্ত্রী বৃষ্টি (২৮)। আজ বিকেলে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানায় সিআইডি।
গ্রেপ্তার আজিমের বাড়ি চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলার বুরুমছড়া গ্রামে এবং বৃষ্টির বাড়ি মানিকগঞ্জ জেলার হরিরামপুর উপজেলার আন্ধারমানিক (খালপাড়) গ্রামে।
সিআইডির প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, এই যুগল ২০২৪ সালের মে মাসে আন্তর্জাতিক এক পর্নো সাইটে প্রথম ভিডিও আপলোড করেন। এরপর এক বছরের মধ্যে তাঁরা ১১২টি ভিডিও আপলোড করেছেন, যেগুলো বিশ্বব্যাপী ২ কোটি ৬৭ লাখের বেশিবার দেখা হয়েছে।
এই যুগল এতটাই জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন যে, ২০২৫ সালের অক্টোবর মাসে আন্তর্জাতিক পারফর্মার র্যাঙ্কিংয়ে তাঁদের অবস্থান উঠে আসে অষ্টম স্থানে। ভিডিও আপলোড ছাড়াও তাঁরা বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম—বিশেষ করে, ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম ও টেলিগ্রামের মাধ্যমে নিজেদের কর্মকাণ্ডের প্রচারণা চালাতেন। এসব প্ল্যাটফর্মে নতুনদের এ কাজে যুক্ত হওয়ার আহ্বান জানানো হতো।
তদন্তকারীরা বলছেন, আগ্রহীদের ‘ক্রিয়েটর’ হিসেবে যুক্ত করতে তাঁরা টেলিগ্রাম চ্যানেলে নানা প্রলোভন দেখিয়ে বিজ্ঞাপন দিতেন। নতুন কেউ যুক্ত হলে তাঁকে নগদ অর্থ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হতো। কেউ যোগাযোগ করলে তাঁদের ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করতে উৎসাহিত করতেন আজিম ও বৃষ্টি।
সিআইডির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এই যুগল প্রাথমিক বিদ্যালয়ের গণ্ডি পেরোতে পারেননি। তবে অনলাইনে তাঁদের বিলাসবহুল জীবনধারার নানা ছবি পাওয়া যায়, যা সমাজে নেতিবাচক বার্তা দিচ্ছে। এসব কার্যক্রম সামাজিক ও নৈতিকভাবে যেমন উদ্বেগজনক, তেমনি দেশের প্রচলিত আইনেরও লঙ্ঘন।
অভিযানের সময় তাঁদের কাছ থেকে মোবাইল ফোন, সিম কার্ড, ক্যামেরা, ট্রাইপডসহ ভিডিও ধারণের বিভিন্ন যন্ত্রপাতি জব্দ করা হয়েছে। তাঁদের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা রুজু করা হয়েছে। একই সঙ্গে আদালতে সোপর্দ করে রিমান্ড চেয়ে আবেদন করা হবে বলে জানিয়েছে সিআইডি।
সিআইডির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, পর্নোগ্রাফি ছড়িয়ে দেওয়ার সঙ্গে যুক্ত অন্যদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তারে তদন্ত অব্যাহত রয়েছে।

গাজীপুর মহানগর পুলিশ (জিএমপি) কমিশনার মোল্যা নজরুল ইসলামের বিরুদ্ধে সরকারি জমি অবৈধভাবে দখল করা এবং বেদখল হওয়া জমি পুনরুদ্ধারে অসহযোগিতা করার অভিযোগ উঠেছে। গাজীপুর জেলা প্রশাসক আনিসুর রহমান মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে পাঠানো এক চিঠিতে এমন অভিযোগ করেছেন।
১১ মে ২০২৩
রাজধানীর মোহাম্মদপুরে জেনেভা ক্যাম্পে ‘মাদক কারবারিদের’ দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে জাহিদ নিহতের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ শুক্রবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. ইবনে মিজান আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
১৩ ঘণ্টা আগে
এক বিজ্ঞপ্তিতে সিআইডি জানিয়েছে, নূরে আলম একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সদস্য। তিনি ফেসবুকে এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে যোগাযোগ করে জানান, তাঁর নামে বিদেশ থেকে একটি পার্সেল এসেছে, যা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাস্টম হাউসে জমা আছে। পার্সেল ছাড়াতে টাকা লাগবে—এ দাবি করে পার্সেলের ছবিও পাঠান তিনি।
৩ দিন আগে
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সভায় উপস্থিত বিএফআইইউ প্রতিনিধি বলেন, এমএফএস অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে জুয়া ও প্রতারণা বন্ধে বিটিআরসির (বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন) মাধ্যমে বার্তা দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া এমএফএস প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে বৈঠক করে তাদের কিছু নির্দেশনাও দেওয়া হবে। যেসব অ্যাকাউন্ট ব্লক (স্থগিত)
৩ দিন আগে