কামরুল হাসান

কারা প্রশাসনের মহাপরিদর্শক বা আইজি (প্রিজনস) ছিলেন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সৈয়দ ইফতেখার উদ্দিন। গণমাধ্যমবান্ধব কর্মকর্তা হিসেবে সাংবাদিকদের মধ্যে তাঁর সুখ্যাতি ছিল। সেই কর্মকর্তা একদিন বিকেলে ফোন করে তক্ষুনি তাঁর দপ্তরে যেতে বললেন। গলার স্বর কিছুটা অস্বাভাবিক, ভয় পেলে মানুষ যেমন হয়।
এটা ছিল ২০১৬ সালের ১৮ জুন, শনিবার। সরকারি পদস্থ চাকুরেরা ছুটির দিনে সাধারণত ফোন পর্যন্ত ধরেন না, সেখানে তিনি অফিসে আছেন শুনে কিছুটা বিস্মিত হলাম। তা আরও বেড়ে গেল তাঁর কথা শোনার পর। তিনি বললেন, আজ তাঁকে ফোনে ভয় দেখানো হয়েছে। শুধু তা-ই নয়, রীতিমতো ‘শেষ দেখে নেওয়া হবে’ বলেও হুমকি দেওয়া হয়েছে।
কে হুমকি দিয়েছেন? তিনি একটি ফোন নম্বর দেখিয়ে বললেন, এটার কোনো আইডি নেই। হুমকির পর ফোন বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এ জন্য যেখানে যেখানে জানানোর দরকার, সবই তিনি করছেন। কিন্তু তাতেও তিনি আশ্বস্ত হতে না পেরে সাংবাদিক ডেকেছেন।
আমি তাঁর কাছে জানতে চাইলাম, সম্প্রতি এ রকম কোনো বিষয় আছে কি, যার কারণে হুমকি আসতে পারে? তিনি বললেন, ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে থাকা তিন শীর্ষ সন্ত্রাসী কিলার আব্বাস, খোরশেদ আলম রাসু ও পিচ্চি হেলালকে কাশিমপুর কারাগার থেকে যথাক্রমে যশোর কারাগার, কুমিল্লা কারাগার ও রাজশাহী কারাগারে পাঠানো হয়। এটা করা হয়েছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর নির্দেশে। মন্ত্রীর কাছে খবর ছিল, রোজার ঈদ সামনে রেখে এই সন্ত্রাসীরা কারাগারে বসে চাঁদাবাজি করছেন। তাঁদের অন্য কারাগারে পাঠানোর পরই সাংবাদিক পরিচয় দেওয়া এক ব্যক্তি তাঁকে জানান, সন্ত্রাসীদের লোকজন তাঁকে শেষ দেখে নেবে।
এখন সহজ একটি প্রশ্ন উঠতে পারে, কারাগারের আসামিদের যেখানে খুশি পাঠানো হবে, তাতে হুমকির কী আছে? উত্তর হলো, আছে। ঢাকার কারাগারে বসে মৌচাকে যে মধু জমিয়েছিলেন তাঁরা, সেই চাকে ঢিল দিয়েছেন ইফতেখার উদ্দিন। ব্যাপারটা আরেকটু খোলাসা করি। ধরুন, খোরশেদ আলম রাসুর কথা। ২০০২ সালের ২৯ মে থেকে তিনি কারাগারে। কিন্তু কারাগারে তিনি কি চুপচাপ বসে আছেন? মোটেই না, তাঁর নামে সবই হচ্ছে। সিদ্ধেশ্বরীর মৌচাক-আনারকলি মার্কেটের আশপাশে শত শত হকার বসানো, মার্কেটের ভেতরের জায়গা দখল করে দোকান তৈরি করা, নিচে হকার বসানো—সবই হয় রাসুর নামে। বেইলি রোডের দুই পাশে ফুটপাতে যে হকার বসে, তার সিংহভাগই চলে যায় রাসুর কাছে। রাসুর বাড়িও মৌচাক মার্কেটের পেছনে। তাঁর নিজের ভাই এখন আনারকলি মার্কেটের নিয়ন্ত্রক। ঈদ এলে তাঁর চাঁদার পরিমাণ যে অনেক গুণ বেড়ে যায়, তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।
পাঠক, ‘আষাঢ়ে নয়’-এ এর আগে সন্ত্রাসী কিলার আব্বাস ও পিচ্চি হেলালকে নিয়ে কথা বলেছি। রাসু নিয়ে কখনো কিছু বলা হয়নি। আজ তাই রাসুতেই থাকি।
রাসুর সঙ্গে আমার কয়েকবার দেখাও হয়েছিল। তখন তিনি ছিলেন আনারকলি মার্কেট ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক। তাঁর আগে সন্ত্রাসী লিয়াকত ছিলেন এই মার্কেটের সাধারণ সম্পাদক। চারদলীয় জোট সরকারের আমলে ২৩ শীর্ষ সন্ত্রাসীকে ধরিয়ে দেওয়ার জন্য যে পুরস্কার ঘোষণা করা হয়, তাতে সুব্রত বাইনের পরেই রাসুর ক্রমিক ছিল ২। তাঁর বিরুদ্ধে হত্যা, চাঁদাবাজিসহ ১৩টি মামলা ছিল, যেগুলোর মধ্যে ১১টি মামলায় তিনি জামিনে ছিলেন।
গোপালগঞ্জের বাসিন্দা খোরশেদ আলম রাসু ঢাকায় এসেছিলেন জহুরুল হক হলের ক্যানটিন বয় হয়ে। সেই পদে ছিলেনও কিছুকাল। হলে থেকে গোপনে পুলিশের কাছে ক্যাডারদের অস্ত্র লেনদেনের খবর পাচার করতেন। সেখানে থাকতে গিয়ে ’৯০-এর পর জাসদ ছাত্রলীগের ক্যাডারদের সঙ্গে মিশে যান। তারপর ফারুক-রশিদদের ফ্রিডম পার্টির সঙ্গে মিলে অস্ত্রবাজি শুরু করেন। তখন থেকে তাঁর নাম হয়ে যায় ফ্রিডম রাসু। কিন্তু ফ্রিডম পার্টির সঙ্গে রাসুর সম্পর্ক খুব বেশি দিন স্থায়ী হয়নি। কিছুদিন পর তিনি যুবদলে যোগ দেন। এর কারণও ছিল। ঠিক একই সময়ে যুবদলে যোগ দিয়েছিলেন বিমানবন্দরকেন্দ্রিক শীর্ষ সন্ত্রাসী টোকাই সাগর। মূলত তাঁর হাত ধরেই যুবদলে আসেন ফ্রিডম রাসু। এ সময় পোস্তগোলার শাহাদত সিকদার, শীর্ষ সন্ত্রাসী জয়, মালিবাগের ইমাম ও গোসাইবাড়ীর মিজান ছিলেন রাসুর সঙ্গে।
যশোরে তখন চোরাচালান সিন্ডিকেটের নেতা মুশফিকুর রহমান হিরক ও আসাদুজ্জামান লিটুর নাম খুব শোনা যেত। হিরক পরে বিদেশে পালিয়ে আত্মগোপন করেন আর লিটু ক্রসফায়ারে মারা যান। এঁরা দুজনই যশোরের চারণ সাংবাদিক শামসুর রহমান হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। সে সময় অনেক পুলিশ কর্মকর্তা আমাকে বলেছিলেন, রাসুর সঙ্গে এই দুই সীমান্ত সন্ত্রাসীর ঘনিষ্ঠতা ছিল। ঢাকায় এলে তারা রাসুর আশ্রয়ে থাকতেন।
রাসু কারাগারে যাওয়ার পরও তাঁর সিন্ডিকেট থেমে থাকেনি। ২০০৩ সালে আনারকলি মার্কেটের নেতা সিদ্ধেশ্বরীর মামুনকে রাসুর লোকেরা গুলি করে পঙ্গু করে। এরপর মার্কেটের দখল নেয় রাসুর লোকেরা। এখন পর্যন্ত তারাই মার্কেটের নিয়ন্ত্রক।
শেষ করার আগে রাসুকে গ্রেপ্তারের ঘটনাটা বলি। ২০০২ সালের ২৮ মে ছিল মঙ্গলবার, সেদিন সন্ধ্যায় শোরগোল পড়ে গেল—রাসু গ্রেপ্তার হচ্ছে। আমরা ছুটলাম ধানমন্ডি ক্লাবের কাছে। সেখানে গিয়ে শুনলাম, সেই ক্লাব থেকে রাসুকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তখনকার ডিবির এসি আখতারুজ্জামান রুনু তাঁকে গ্রেপ্তার করে নিয়ে যান। সেদিন সন্ধ্যায় ডিবির কার্যালয়ে বসেই পুলিশের উপস্থিতিতে রাসু আমাদের বললেন, তিনি পুলিশের সঙ্গে কথা বলে আত্মসমর্পণ করেছেন। তাঁকে গ্রেপ্তারের খবর ঠিক নয়। ধরা দেওয়ার আগে তিনি শর্ত দিয়েছিলেন, তাঁকে ৫৪ ধারায় গ্রেপ্তার করতে হবে এবং রিমান্ডে আনা যাবে না। পুলিশ সেই শর্ত মেনে নেওয়ার পর তিনি আত্মসমর্পণে রাজি হন। রাসুর কথাই সত্যি হয়েছিল। তাঁকে ৫৪ ধারায় কারাগারে পাঠানো হয় এবং তাঁকে কখনো রিমান্ডে আনা হয়নি। এমনকি রাসুর বিরুদ্ধে থাকা কোনো মামলারও সুষ্ঠু তদন্ত হয়নি।
আজ অনেক দিন পর মনে হলো, একজন সন্ত্রাসীর কাছে রাষ্ট্রযন্ত্র কীভাবে অসহায় হতে পারে, আমাদের জামানায় রাসু এর বড় উদাহরণ। এখনো শুনি, কাশিমপুর কারাগারে থেকে আদালতে যাওয়ার সময় রাসু নাকি পরিবারের লোকদের সঙ্গে দেখা-সাক্ষাৎও করেন।
এ দেশে সবই সম্ভব হয়, সেটা শুধু রাসুদের জন্যই।
আরও পড়ুন:

কারা প্রশাসনের মহাপরিদর্শক বা আইজি (প্রিজনস) ছিলেন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সৈয়দ ইফতেখার উদ্দিন। গণমাধ্যমবান্ধব কর্মকর্তা হিসেবে সাংবাদিকদের মধ্যে তাঁর সুখ্যাতি ছিল। সেই কর্মকর্তা একদিন বিকেলে ফোন করে তক্ষুনি তাঁর দপ্তরে যেতে বললেন। গলার স্বর কিছুটা অস্বাভাবিক, ভয় পেলে মানুষ যেমন হয়।
এটা ছিল ২০১৬ সালের ১৮ জুন, শনিবার। সরকারি পদস্থ চাকুরেরা ছুটির দিনে সাধারণত ফোন পর্যন্ত ধরেন না, সেখানে তিনি অফিসে আছেন শুনে কিছুটা বিস্মিত হলাম। তা আরও বেড়ে গেল তাঁর কথা শোনার পর। তিনি বললেন, আজ তাঁকে ফোনে ভয় দেখানো হয়েছে। শুধু তা-ই নয়, রীতিমতো ‘শেষ দেখে নেওয়া হবে’ বলেও হুমকি দেওয়া হয়েছে।
কে হুমকি দিয়েছেন? তিনি একটি ফোন নম্বর দেখিয়ে বললেন, এটার কোনো আইডি নেই। হুমকির পর ফোন বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এ জন্য যেখানে যেখানে জানানোর দরকার, সবই তিনি করছেন। কিন্তু তাতেও তিনি আশ্বস্ত হতে না পেরে সাংবাদিক ডেকেছেন।
আমি তাঁর কাছে জানতে চাইলাম, সম্প্রতি এ রকম কোনো বিষয় আছে কি, যার কারণে হুমকি আসতে পারে? তিনি বললেন, ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে থাকা তিন শীর্ষ সন্ত্রাসী কিলার আব্বাস, খোরশেদ আলম রাসু ও পিচ্চি হেলালকে কাশিমপুর কারাগার থেকে যথাক্রমে যশোর কারাগার, কুমিল্লা কারাগার ও রাজশাহী কারাগারে পাঠানো হয়। এটা করা হয়েছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর নির্দেশে। মন্ত্রীর কাছে খবর ছিল, রোজার ঈদ সামনে রেখে এই সন্ত্রাসীরা কারাগারে বসে চাঁদাবাজি করছেন। তাঁদের অন্য কারাগারে পাঠানোর পরই সাংবাদিক পরিচয় দেওয়া এক ব্যক্তি তাঁকে জানান, সন্ত্রাসীদের লোকজন তাঁকে শেষ দেখে নেবে।
এখন সহজ একটি প্রশ্ন উঠতে পারে, কারাগারের আসামিদের যেখানে খুশি পাঠানো হবে, তাতে হুমকির কী আছে? উত্তর হলো, আছে। ঢাকার কারাগারে বসে মৌচাকে যে মধু জমিয়েছিলেন তাঁরা, সেই চাকে ঢিল দিয়েছেন ইফতেখার উদ্দিন। ব্যাপারটা আরেকটু খোলাসা করি। ধরুন, খোরশেদ আলম রাসুর কথা। ২০০২ সালের ২৯ মে থেকে তিনি কারাগারে। কিন্তু কারাগারে তিনি কি চুপচাপ বসে আছেন? মোটেই না, তাঁর নামে সবই হচ্ছে। সিদ্ধেশ্বরীর মৌচাক-আনারকলি মার্কেটের আশপাশে শত শত হকার বসানো, মার্কেটের ভেতরের জায়গা দখল করে দোকান তৈরি করা, নিচে হকার বসানো—সবই হয় রাসুর নামে। বেইলি রোডের দুই পাশে ফুটপাতে যে হকার বসে, তার সিংহভাগই চলে যায় রাসুর কাছে। রাসুর বাড়িও মৌচাক মার্কেটের পেছনে। তাঁর নিজের ভাই এখন আনারকলি মার্কেটের নিয়ন্ত্রক। ঈদ এলে তাঁর চাঁদার পরিমাণ যে অনেক গুণ বেড়ে যায়, তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।
পাঠক, ‘আষাঢ়ে নয়’-এ এর আগে সন্ত্রাসী কিলার আব্বাস ও পিচ্চি হেলালকে নিয়ে কথা বলেছি। রাসু নিয়ে কখনো কিছু বলা হয়নি। আজ তাই রাসুতেই থাকি।
রাসুর সঙ্গে আমার কয়েকবার দেখাও হয়েছিল। তখন তিনি ছিলেন আনারকলি মার্কেট ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক। তাঁর আগে সন্ত্রাসী লিয়াকত ছিলেন এই মার্কেটের সাধারণ সম্পাদক। চারদলীয় জোট সরকারের আমলে ২৩ শীর্ষ সন্ত্রাসীকে ধরিয়ে দেওয়ার জন্য যে পুরস্কার ঘোষণা করা হয়, তাতে সুব্রত বাইনের পরেই রাসুর ক্রমিক ছিল ২। তাঁর বিরুদ্ধে হত্যা, চাঁদাবাজিসহ ১৩টি মামলা ছিল, যেগুলোর মধ্যে ১১টি মামলায় তিনি জামিনে ছিলেন।
গোপালগঞ্জের বাসিন্দা খোরশেদ আলম রাসু ঢাকায় এসেছিলেন জহুরুল হক হলের ক্যানটিন বয় হয়ে। সেই পদে ছিলেনও কিছুকাল। হলে থেকে গোপনে পুলিশের কাছে ক্যাডারদের অস্ত্র লেনদেনের খবর পাচার করতেন। সেখানে থাকতে গিয়ে ’৯০-এর পর জাসদ ছাত্রলীগের ক্যাডারদের সঙ্গে মিশে যান। তারপর ফারুক-রশিদদের ফ্রিডম পার্টির সঙ্গে মিলে অস্ত্রবাজি শুরু করেন। তখন থেকে তাঁর নাম হয়ে যায় ফ্রিডম রাসু। কিন্তু ফ্রিডম পার্টির সঙ্গে রাসুর সম্পর্ক খুব বেশি দিন স্থায়ী হয়নি। কিছুদিন পর তিনি যুবদলে যোগ দেন। এর কারণও ছিল। ঠিক একই সময়ে যুবদলে যোগ দিয়েছিলেন বিমানবন্দরকেন্দ্রিক শীর্ষ সন্ত্রাসী টোকাই সাগর। মূলত তাঁর হাত ধরেই যুবদলে আসেন ফ্রিডম রাসু। এ সময় পোস্তগোলার শাহাদত সিকদার, শীর্ষ সন্ত্রাসী জয়, মালিবাগের ইমাম ও গোসাইবাড়ীর মিজান ছিলেন রাসুর সঙ্গে।
যশোরে তখন চোরাচালান সিন্ডিকেটের নেতা মুশফিকুর রহমান হিরক ও আসাদুজ্জামান লিটুর নাম খুব শোনা যেত। হিরক পরে বিদেশে পালিয়ে আত্মগোপন করেন আর লিটু ক্রসফায়ারে মারা যান। এঁরা দুজনই যশোরের চারণ সাংবাদিক শামসুর রহমান হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। সে সময় অনেক পুলিশ কর্মকর্তা আমাকে বলেছিলেন, রাসুর সঙ্গে এই দুই সীমান্ত সন্ত্রাসীর ঘনিষ্ঠতা ছিল। ঢাকায় এলে তারা রাসুর আশ্রয়ে থাকতেন।
রাসু কারাগারে যাওয়ার পরও তাঁর সিন্ডিকেট থেমে থাকেনি। ২০০৩ সালে আনারকলি মার্কেটের নেতা সিদ্ধেশ্বরীর মামুনকে রাসুর লোকেরা গুলি করে পঙ্গু করে। এরপর মার্কেটের দখল নেয় রাসুর লোকেরা। এখন পর্যন্ত তারাই মার্কেটের নিয়ন্ত্রক।
শেষ করার আগে রাসুকে গ্রেপ্তারের ঘটনাটা বলি। ২০০২ সালের ২৮ মে ছিল মঙ্গলবার, সেদিন সন্ধ্যায় শোরগোল পড়ে গেল—রাসু গ্রেপ্তার হচ্ছে। আমরা ছুটলাম ধানমন্ডি ক্লাবের কাছে। সেখানে গিয়ে শুনলাম, সেই ক্লাব থেকে রাসুকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তখনকার ডিবির এসি আখতারুজ্জামান রুনু তাঁকে গ্রেপ্তার করে নিয়ে যান। সেদিন সন্ধ্যায় ডিবির কার্যালয়ে বসেই পুলিশের উপস্থিতিতে রাসু আমাদের বললেন, তিনি পুলিশের সঙ্গে কথা বলে আত্মসমর্পণ করেছেন। তাঁকে গ্রেপ্তারের খবর ঠিক নয়। ধরা দেওয়ার আগে তিনি শর্ত দিয়েছিলেন, তাঁকে ৫৪ ধারায় গ্রেপ্তার করতে হবে এবং রিমান্ডে আনা যাবে না। পুলিশ সেই শর্ত মেনে নেওয়ার পর তিনি আত্মসমর্পণে রাজি হন। রাসুর কথাই সত্যি হয়েছিল। তাঁকে ৫৪ ধারায় কারাগারে পাঠানো হয় এবং তাঁকে কখনো রিমান্ডে আনা হয়নি। এমনকি রাসুর বিরুদ্ধে থাকা কোনো মামলারও সুষ্ঠু তদন্ত হয়নি।
আজ অনেক দিন পর মনে হলো, একজন সন্ত্রাসীর কাছে রাষ্ট্রযন্ত্র কীভাবে অসহায় হতে পারে, আমাদের জামানায় রাসু এর বড় উদাহরণ। এখনো শুনি, কাশিমপুর কারাগারে থেকে আদালতে যাওয়ার সময় রাসু নাকি পরিবারের লোকদের সঙ্গে দেখা-সাক্ষাৎও করেন।
এ দেশে সবই সম্ভব হয়, সেটা শুধু রাসুদের জন্যই।
আরও পড়ুন:
কামরুল হাসান

কারা প্রশাসনের মহাপরিদর্শক বা আইজি (প্রিজনস) ছিলেন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সৈয়দ ইফতেখার উদ্দিন। গণমাধ্যমবান্ধব কর্মকর্তা হিসেবে সাংবাদিকদের মধ্যে তাঁর সুখ্যাতি ছিল। সেই কর্মকর্তা একদিন বিকেলে ফোন করে তক্ষুনি তাঁর দপ্তরে যেতে বললেন। গলার স্বর কিছুটা অস্বাভাবিক, ভয় পেলে মানুষ যেমন হয়।
এটা ছিল ২০১৬ সালের ১৮ জুন, শনিবার। সরকারি পদস্থ চাকুরেরা ছুটির দিনে সাধারণত ফোন পর্যন্ত ধরেন না, সেখানে তিনি অফিসে আছেন শুনে কিছুটা বিস্মিত হলাম। তা আরও বেড়ে গেল তাঁর কথা শোনার পর। তিনি বললেন, আজ তাঁকে ফোনে ভয় দেখানো হয়েছে। শুধু তা-ই নয়, রীতিমতো ‘শেষ দেখে নেওয়া হবে’ বলেও হুমকি দেওয়া হয়েছে।
কে হুমকি দিয়েছেন? তিনি একটি ফোন নম্বর দেখিয়ে বললেন, এটার কোনো আইডি নেই। হুমকির পর ফোন বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এ জন্য যেখানে যেখানে জানানোর দরকার, সবই তিনি করছেন। কিন্তু তাতেও তিনি আশ্বস্ত হতে না পেরে সাংবাদিক ডেকেছেন।
আমি তাঁর কাছে জানতে চাইলাম, সম্প্রতি এ রকম কোনো বিষয় আছে কি, যার কারণে হুমকি আসতে পারে? তিনি বললেন, ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে থাকা তিন শীর্ষ সন্ত্রাসী কিলার আব্বাস, খোরশেদ আলম রাসু ও পিচ্চি হেলালকে কাশিমপুর কারাগার থেকে যথাক্রমে যশোর কারাগার, কুমিল্লা কারাগার ও রাজশাহী কারাগারে পাঠানো হয়। এটা করা হয়েছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর নির্দেশে। মন্ত্রীর কাছে খবর ছিল, রোজার ঈদ সামনে রেখে এই সন্ত্রাসীরা কারাগারে বসে চাঁদাবাজি করছেন। তাঁদের অন্য কারাগারে পাঠানোর পরই সাংবাদিক পরিচয় দেওয়া এক ব্যক্তি তাঁকে জানান, সন্ত্রাসীদের লোকজন তাঁকে শেষ দেখে নেবে।
এখন সহজ একটি প্রশ্ন উঠতে পারে, কারাগারের আসামিদের যেখানে খুশি পাঠানো হবে, তাতে হুমকির কী আছে? উত্তর হলো, আছে। ঢাকার কারাগারে বসে মৌচাকে যে মধু জমিয়েছিলেন তাঁরা, সেই চাকে ঢিল দিয়েছেন ইফতেখার উদ্দিন। ব্যাপারটা আরেকটু খোলাসা করি। ধরুন, খোরশেদ আলম রাসুর কথা। ২০০২ সালের ২৯ মে থেকে তিনি কারাগারে। কিন্তু কারাগারে তিনি কি চুপচাপ বসে আছেন? মোটেই না, তাঁর নামে সবই হচ্ছে। সিদ্ধেশ্বরীর মৌচাক-আনারকলি মার্কেটের আশপাশে শত শত হকার বসানো, মার্কেটের ভেতরের জায়গা দখল করে দোকান তৈরি করা, নিচে হকার বসানো—সবই হয় রাসুর নামে। বেইলি রোডের দুই পাশে ফুটপাতে যে হকার বসে, তার সিংহভাগই চলে যায় রাসুর কাছে। রাসুর বাড়িও মৌচাক মার্কেটের পেছনে। তাঁর নিজের ভাই এখন আনারকলি মার্কেটের নিয়ন্ত্রক। ঈদ এলে তাঁর চাঁদার পরিমাণ যে অনেক গুণ বেড়ে যায়, তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।
পাঠক, ‘আষাঢ়ে নয়’-এ এর আগে সন্ত্রাসী কিলার আব্বাস ও পিচ্চি হেলালকে নিয়ে কথা বলেছি। রাসু নিয়ে কখনো কিছু বলা হয়নি। আজ তাই রাসুতেই থাকি।
রাসুর সঙ্গে আমার কয়েকবার দেখাও হয়েছিল। তখন তিনি ছিলেন আনারকলি মার্কেট ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক। তাঁর আগে সন্ত্রাসী লিয়াকত ছিলেন এই মার্কেটের সাধারণ সম্পাদক। চারদলীয় জোট সরকারের আমলে ২৩ শীর্ষ সন্ত্রাসীকে ধরিয়ে দেওয়ার জন্য যে পুরস্কার ঘোষণা করা হয়, তাতে সুব্রত বাইনের পরেই রাসুর ক্রমিক ছিল ২। তাঁর বিরুদ্ধে হত্যা, চাঁদাবাজিসহ ১৩টি মামলা ছিল, যেগুলোর মধ্যে ১১টি মামলায় তিনি জামিনে ছিলেন।
গোপালগঞ্জের বাসিন্দা খোরশেদ আলম রাসু ঢাকায় এসেছিলেন জহুরুল হক হলের ক্যানটিন বয় হয়ে। সেই পদে ছিলেনও কিছুকাল। হলে থেকে গোপনে পুলিশের কাছে ক্যাডারদের অস্ত্র লেনদেনের খবর পাচার করতেন। সেখানে থাকতে গিয়ে ’৯০-এর পর জাসদ ছাত্রলীগের ক্যাডারদের সঙ্গে মিশে যান। তারপর ফারুক-রশিদদের ফ্রিডম পার্টির সঙ্গে মিলে অস্ত্রবাজি শুরু করেন। তখন থেকে তাঁর নাম হয়ে যায় ফ্রিডম রাসু। কিন্তু ফ্রিডম পার্টির সঙ্গে রাসুর সম্পর্ক খুব বেশি দিন স্থায়ী হয়নি। কিছুদিন পর তিনি যুবদলে যোগ দেন। এর কারণও ছিল। ঠিক একই সময়ে যুবদলে যোগ দিয়েছিলেন বিমানবন্দরকেন্দ্রিক শীর্ষ সন্ত্রাসী টোকাই সাগর। মূলত তাঁর হাত ধরেই যুবদলে আসেন ফ্রিডম রাসু। এ সময় পোস্তগোলার শাহাদত সিকদার, শীর্ষ সন্ত্রাসী জয়, মালিবাগের ইমাম ও গোসাইবাড়ীর মিজান ছিলেন রাসুর সঙ্গে।
যশোরে তখন চোরাচালান সিন্ডিকেটের নেতা মুশফিকুর রহমান হিরক ও আসাদুজ্জামান লিটুর নাম খুব শোনা যেত। হিরক পরে বিদেশে পালিয়ে আত্মগোপন করেন আর লিটু ক্রসফায়ারে মারা যান। এঁরা দুজনই যশোরের চারণ সাংবাদিক শামসুর রহমান হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। সে সময় অনেক পুলিশ কর্মকর্তা আমাকে বলেছিলেন, রাসুর সঙ্গে এই দুই সীমান্ত সন্ত্রাসীর ঘনিষ্ঠতা ছিল। ঢাকায় এলে তারা রাসুর আশ্রয়ে থাকতেন।
রাসু কারাগারে যাওয়ার পরও তাঁর সিন্ডিকেট থেমে থাকেনি। ২০০৩ সালে আনারকলি মার্কেটের নেতা সিদ্ধেশ্বরীর মামুনকে রাসুর লোকেরা গুলি করে পঙ্গু করে। এরপর মার্কেটের দখল নেয় রাসুর লোকেরা। এখন পর্যন্ত তারাই মার্কেটের নিয়ন্ত্রক।
শেষ করার আগে রাসুকে গ্রেপ্তারের ঘটনাটা বলি। ২০০২ সালের ২৮ মে ছিল মঙ্গলবার, সেদিন সন্ধ্যায় শোরগোল পড়ে গেল—রাসু গ্রেপ্তার হচ্ছে। আমরা ছুটলাম ধানমন্ডি ক্লাবের কাছে। সেখানে গিয়ে শুনলাম, সেই ক্লাব থেকে রাসুকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তখনকার ডিবির এসি আখতারুজ্জামান রুনু তাঁকে গ্রেপ্তার করে নিয়ে যান। সেদিন সন্ধ্যায় ডিবির কার্যালয়ে বসেই পুলিশের উপস্থিতিতে রাসু আমাদের বললেন, তিনি পুলিশের সঙ্গে কথা বলে আত্মসমর্পণ করেছেন। তাঁকে গ্রেপ্তারের খবর ঠিক নয়। ধরা দেওয়ার আগে তিনি শর্ত দিয়েছিলেন, তাঁকে ৫৪ ধারায় গ্রেপ্তার করতে হবে এবং রিমান্ডে আনা যাবে না। পুলিশ সেই শর্ত মেনে নেওয়ার পর তিনি আত্মসমর্পণে রাজি হন। রাসুর কথাই সত্যি হয়েছিল। তাঁকে ৫৪ ধারায় কারাগারে পাঠানো হয় এবং তাঁকে কখনো রিমান্ডে আনা হয়নি। এমনকি রাসুর বিরুদ্ধে থাকা কোনো মামলারও সুষ্ঠু তদন্ত হয়নি।
আজ অনেক দিন পর মনে হলো, একজন সন্ত্রাসীর কাছে রাষ্ট্রযন্ত্র কীভাবে অসহায় হতে পারে, আমাদের জামানায় রাসু এর বড় উদাহরণ। এখনো শুনি, কাশিমপুর কারাগারে থেকে আদালতে যাওয়ার সময় রাসু নাকি পরিবারের লোকদের সঙ্গে দেখা-সাক্ষাৎও করেন।
এ দেশে সবই সম্ভব হয়, সেটা শুধু রাসুদের জন্যই।
আরও পড়ুন:

কারা প্রশাসনের মহাপরিদর্শক বা আইজি (প্রিজনস) ছিলেন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সৈয়দ ইফতেখার উদ্দিন। গণমাধ্যমবান্ধব কর্মকর্তা হিসেবে সাংবাদিকদের মধ্যে তাঁর সুখ্যাতি ছিল। সেই কর্মকর্তা একদিন বিকেলে ফোন করে তক্ষুনি তাঁর দপ্তরে যেতে বললেন। গলার স্বর কিছুটা অস্বাভাবিক, ভয় পেলে মানুষ যেমন হয়।
এটা ছিল ২০১৬ সালের ১৮ জুন, শনিবার। সরকারি পদস্থ চাকুরেরা ছুটির দিনে সাধারণত ফোন পর্যন্ত ধরেন না, সেখানে তিনি অফিসে আছেন শুনে কিছুটা বিস্মিত হলাম। তা আরও বেড়ে গেল তাঁর কথা শোনার পর। তিনি বললেন, আজ তাঁকে ফোনে ভয় দেখানো হয়েছে। শুধু তা-ই নয়, রীতিমতো ‘শেষ দেখে নেওয়া হবে’ বলেও হুমকি দেওয়া হয়েছে।
কে হুমকি দিয়েছেন? তিনি একটি ফোন নম্বর দেখিয়ে বললেন, এটার কোনো আইডি নেই। হুমকির পর ফোন বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এ জন্য যেখানে যেখানে জানানোর দরকার, সবই তিনি করছেন। কিন্তু তাতেও তিনি আশ্বস্ত হতে না পেরে সাংবাদিক ডেকেছেন।
আমি তাঁর কাছে জানতে চাইলাম, সম্প্রতি এ রকম কোনো বিষয় আছে কি, যার কারণে হুমকি আসতে পারে? তিনি বললেন, ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে থাকা তিন শীর্ষ সন্ত্রাসী কিলার আব্বাস, খোরশেদ আলম রাসু ও পিচ্চি হেলালকে কাশিমপুর কারাগার থেকে যথাক্রমে যশোর কারাগার, কুমিল্লা কারাগার ও রাজশাহী কারাগারে পাঠানো হয়। এটা করা হয়েছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর নির্দেশে। মন্ত্রীর কাছে খবর ছিল, রোজার ঈদ সামনে রেখে এই সন্ত্রাসীরা কারাগারে বসে চাঁদাবাজি করছেন। তাঁদের অন্য কারাগারে পাঠানোর পরই সাংবাদিক পরিচয় দেওয়া এক ব্যক্তি তাঁকে জানান, সন্ত্রাসীদের লোকজন তাঁকে শেষ দেখে নেবে।
এখন সহজ একটি প্রশ্ন উঠতে পারে, কারাগারের আসামিদের যেখানে খুশি পাঠানো হবে, তাতে হুমকির কী আছে? উত্তর হলো, আছে। ঢাকার কারাগারে বসে মৌচাকে যে মধু জমিয়েছিলেন তাঁরা, সেই চাকে ঢিল দিয়েছেন ইফতেখার উদ্দিন। ব্যাপারটা আরেকটু খোলাসা করি। ধরুন, খোরশেদ আলম রাসুর কথা। ২০০২ সালের ২৯ মে থেকে তিনি কারাগারে। কিন্তু কারাগারে তিনি কি চুপচাপ বসে আছেন? মোটেই না, তাঁর নামে সবই হচ্ছে। সিদ্ধেশ্বরীর মৌচাক-আনারকলি মার্কেটের আশপাশে শত শত হকার বসানো, মার্কেটের ভেতরের জায়গা দখল করে দোকান তৈরি করা, নিচে হকার বসানো—সবই হয় রাসুর নামে। বেইলি রোডের দুই পাশে ফুটপাতে যে হকার বসে, তার সিংহভাগই চলে যায় রাসুর কাছে। রাসুর বাড়িও মৌচাক মার্কেটের পেছনে। তাঁর নিজের ভাই এখন আনারকলি মার্কেটের নিয়ন্ত্রক। ঈদ এলে তাঁর চাঁদার পরিমাণ যে অনেক গুণ বেড়ে যায়, তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।
পাঠক, ‘আষাঢ়ে নয়’-এ এর আগে সন্ত্রাসী কিলার আব্বাস ও পিচ্চি হেলালকে নিয়ে কথা বলেছি। রাসু নিয়ে কখনো কিছু বলা হয়নি। আজ তাই রাসুতেই থাকি।
রাসুর সঙ্গে আমার কয়েকবার দেখাও হয়েছিল। তখন তিনি ছিলেন আনারকলি মার্কেট ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক। তাঁর আগে সন্ত্রাসী লিয়াকত ছিলেন এই মার্কেটের সাধারণ সম্পাদক। চারদলীয় জোট সরকারের আমলে ২৩ শীর্ষ সন্ত্রাসীকে ধরিয়ে দেওয়ার জন্য যে পুরস্কার ঘোষণা করা হয়, তাতে সুব্রত বাইনের পরেই রাসুর ক্রমিক ছিল ২। তাঁর বিরুদ্ধে হত্যা, চাঁদাবাজিসহ ১৩টি মামলা ছিল, যেগুলোর মধ্যে ১১টি মামলায় তিনি জামিনে ছিলেন।
গোপালগঞ্জের বাসিন্দা খোরশেদ আলম রাসু ঢাকায় এসেছিলেন জহুরুল হক হলের ক্যানটিন বয় হয়ে। সেই পদে ছিলেনও কিছুকাল। হলে থেকে গোপনে পুলিশের কাছে ক্যাডারদের অস্ত্র লেনদেনের খবর পাচার করতেন। সেখানে থাকতে গিয়ে ’৯০-এর পর জাসদ ছাত্রলীগের ক্যাডারদের সঙ্গে মিশে যান। তারপর ফারুক-রশিদদের ফ্রিডম পার্টির সঙ্গে মিলে অস্ত্রবাজি শুরু করেন। তখন থেকে তাঁর নাম হয়ে যায় ফ্রিডম রাসু। কিন্তু ফ্রিডম পার্টির সঙ্গে রাসুর সম্পর্ক খুব বেশি দিন স্থায়ী হয়নি। কিছুদিন পর তিনি যুবদলে যোগ দেন। এর কারণও ছিল। ঠিক একই সময়ে যুবদলে যোগ দিয়েছিলেন বিমানবন্দরকেন্দ্রিক শীর্ষ সন্ত্রাসী টোকাই সাগর। মূলত তাঁর হাত ধরেই যুবদলে আসেন ফ্রিডম রাসু। এ সময় পোস্তগোলার শাহাদত সিকদার, শীর্ষ সন্ত্রাসী জয়, মালিবাগের ইমাম ও গোসাইবাড়ীর মিজান ছিলেন রাসুর সঙ্গে।
যশোরে তখন চোরাচালান সিন্ডিকেটের নেতা মুশফিকুর রহমান হিরক ও আসাদুজ্জামান লিটুর নাম খুব শোনা যেত। হিরক পরে বিদেশে পালিয়ে আত্মগোপন করেন আর লিটু ক্রসফায়ারে মারা যান। এঁরা দুজনই যশোরের চারণ সাংবাদিক শামসুর রহমান হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। সে সময় অনেক পুলিশ কর্মকর্তা আমাকে বলেছিলেন, রাসুর সঙ্গে এই দুই সীমান্ত সন্ত্রাসীর ঘনিষ্ঠতা ছিল। ঢাকায় এলে তারা রাসুর আশ্রয়ে থাকতেন।
রাসু কারাগারে যাওয়ার পরও তাঁর সিন্ডিকেট থেমে থাকেনি। ২০০৩ সালে আনারকলি মার্কেটের নেতা সিদ্ধেশ্বরীর মামুনকে রাসুর লোকেরা গুলি করে পঙ্গু করে। এরপর মার্কেটের দখল নেয় রাসুর লোকেরা। এখন পর্যন্ত তারাই মার্কেটের নিয়ন্ত্রক।
শেষ করার আগে রাসুকে গ্রেপ্তারের ঘটনাটা বলি। ২০০২ সালের ২৮ মে ছিল মঙ্গলবার, সেদিন সন্ধ্যায় শোরগোল পড়ে গেল—রাসু গ্রেপ্তার হচ্ছে। আমরা ছুটলাম ধানমন্ডি ক্লাবের কাছে। সেখানে গিয়ে শুনলাম, সেই ক্লাব থেকে রাসুকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তখনকার ডিবির এসি আখতারুজ্জামান রুনু তাঁকে গ্রেপ্তার করে নিয়ে যান। সেদিন সন্ধ্যায় ডিবির কার্যালয়ে বসেই পুলিশের উপস্থিতিতে রাসু আমাদের বললেন, তিনি পুলিশের সঙ্গে কথা বলে আত্মসমর্পণ করেছেন। তাঁকে গ্রেপ্তারের খবর ঠিক নয়। ধরা দেওয়ার আগে তিনি শর্ত দিয়েছিলেন, তাঁকে ৫৪ ধারায় গ্রেপ্তার করতে হবে এবং রিমান্ডে আনা যাবে না। পুলিশ সেই শর্ত মেনে নেওয়ার পর তিনি আত্মসমর্পণে রাজি হন। রাসুর কথাই সত্যি হয়েছিল। তাঁকে ৫৪ ধারায় কারাগারে পাঠানো হয় এবং তাঁকে কখনো রিমান্ডে আনা হয়নি। এমনকি রাসুর বিরুদ্ধে থাকা কোনো মামলারও সুষ্ঠু তদন্ত হয়নি।
আজ অনেক দিন পর মনে হলো, একজন সন্ত্রাসীর কাছে রাষ্ট্রযন্ত্র কীভাবে অসহায় হতে পারে, আমাদের জামানায় রাসু এর বড় উদাহরণ। এখনো শুনি, কাশিমপুর কারাগারে থেকে আদালতে যাওয়ার সময় রাসু নাকি পরিবারের লোকদের সঙ্গে দেখা-সাক্ষাৎও করেন।
এ দেশে সবই সম্ভব হয়, সেটা শুধু রাসুদের জন্যই।
আরও পড়ুন:

রাজধানীর মোহাম্মদপুরে জেনেভা ক্যাম্পে ‘মাদক কারবারিদের’ দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে জাহিদ নিহতের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ শুক্রবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. ইবনে মিজান আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
৪ দিন আগে
এক বিজ্ঞপ্তিতে সিআইডি জানিয়েছে, নূরে আলম একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সদস্য। তিনি ফেসবুকে এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে যোগাযোগ করে জানান, তাঁর নামে বিদেশ থেকে একটি পার্সেল এসেছে, যা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাস্টম হাউসে জমা আছে। পার্সেল ছাড়াতে টাকা লাগবে—এ দাবি করে পার্সেলের ছবিও পাঠান তিনি।
৭ দিন আগে
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সভায় উপস্থিত বিএফআইইউ প্রতিনিধি বলেন, এমএফএস অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে জুয়া ও প্রতারণা বন্ধে বিটিআরসির (বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন) মাধ্যমে বার্তা দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া এমএফএস প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে বৈঠক করে তাদের কিছু নির্দেশনাও দেওয়া হবে। যেসব অ্যাকাউন্ট ব্লক (স্থগিত)
৭ দিন আগে
দেশে বসেই আন্তর্জাতিক পর্নো সাইটে সক্রিয় ছিলেন তাঁরা। ভিডিও বানিয়ে আপলোড করতেন বিভিন্ন ওয়েবসাইটে। শুধু নিজেরাই নন, এই দম্পতি অন্যদেরও এ কাজে যুক্ত করতেন বলে অভিযোগ। অবশেষে সেই আলোচিত যুগলকে বান্দরবানে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
৮ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

রাজধানীর মোহাম্মদপুরে জেনেভা ক্যাম্পে ‘মাদক কারবারিদের’ দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে জাহিদ নিহতের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
আজ শুক্রবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. ইবনে মিজান আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
গত বুধবার ভোররাতে দুই গ্রুপ মাদক কারবারির সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে নিহত হন জাহিদ (২০)। পরিবারের দাবি, দুপক্ষের সংঘর্ষ চলাকালে জাহিদের পায়ের কাছে ককটেল বিস্ফোরণ হয়। এ সময় স্প্লিন্টার তাঁর ঘাড় ও পিঠে বিদ্ধ হয়। আহত অবস্থায় উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় মোহাম্মদপুর থানায় একটি হত্যা মামলা হয়েছে। সংঘর্ষের পর ঘটনাস্থলে অভিযান পরিচালনা করে র্যাব, পুলিশ ও সেনাবাহিনী। অভিযানে একটি বিদেশি পিস্তল, একটি ম্যাগাজিন ও তিনটি তাজা গুলিসহ বিপুল পরিমাণ দেশি অস্ত্র ও পেট্রলবোমা উদ্ধার করা হয়।
জাহিদের ভগ্নিপতি মো. উজ্জ্বল জানান, রাজধানীর কল্যাণপুরে মিজান টাওয়ারে একটি মোবাইল ফোন সার্ভিসিংয়ের দোকানে কাজ করতেন জাহিদ। বুধবার রাতে বন্ধুদের সঙ্গে রেস্তোরাঁয় খেতে যাওয়ার সময় তাঁরা সংঘর্ষের মধ্যে পড়েন। পরে হাসপাতালে জাহিদের মৃত্যু হয়।
তবে পুলিশ বলছে, ককটেল তৈরির সময় বিস্ফোরণে নিহত হন জাহিদ।

রাজধানীর মোহাম্মদপুরে জেনেভা ক্যাম্পে ‘মাদক কারবারিদের’ দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে জাহিদ নিহতের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
আজ শুক্রবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. ইবনে মিজান আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
গত বুধবার ভোররাতে দুই গ্রুপ মাদক কারবারির সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে নিহত হন জাহিদ (২০)। পরিবারের দাবি, দুপক্ষের সংঘর্ষ চলাকালে জাহিদের পায়ের কাছে ককটেল বিস্ফোরণ হয়। এ সময় স্প্লিন্টার তাঁর ঘাড় ও পিঠে বিদ্ধ হয়। আহত অবস্থায় উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় মোহাম্মদপুর থানায় একটি হত্যা মামলা হয়েছে। সংঘর্ষের পর ঘটনাস্থলে অভিযান পরিচালনা করে র্যাব, পুলিশ ও সেনাবাহিনী। অভিযানে একটি বিদেশি পিস্তল, একটি ম্যাগাজিন ও তিনটি তাজা গুলিসহ বিপুল পরিমাণ দেশি অস্ত্র ও পেট্রলবোমা উদ্ধার করা হয়।
জাহিদের ভগ্নিপতি মো. উজ্জ্বল জানান, রাজধানীর কল্যাণপুরে মিজান টাওয়ারে একটি মোবাইল ফোন সার্ভিসিংয়ের দোকানে কাজ করতেন জাহিদ। বুধবার রাতে বন্ধুদের সঙ্গে রেস্তোরাঁয় খেতে যাওয়ার সময় তাঁরা সংঘর্ষের মধ্যে পড়েন। পরে হাসপাতালে জাহিদের মৃত্যু হয়।
তবে পুলিশ বলছে, ককটেল তৈরির সময় বিস্ফোরণে নিহত হন জাহিদ।

কারা প্রশাসনের মহাপরিদর্শক বা আইজি (প্রিজনস) ছিলেন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সৈয়দ ইফতেখার উদ্দিন। গণমাধ্যমবান্ধব কর্মকর্তা হিসেবে সাংবাদিকদের মধ্যে তাঁর সুখ্যাতি ছিল। সেই কর্মকর্তা একদিন বিকেলে ফোন করে তক্ষুনি তাঁর দপ্তরে যেতে বললেন। গলার স্বর কিছুটা অস্বাভাবিক, ভয় পেলে
১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৩
এক বিজ্ঞপ্তিতে সিআইডি জানিয়েছে, নূরে আলম একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সদস্য। তিনি ফেসবুকে এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে যোগাযোগ করে জানান, তাঁর নামে বিদেশ থেকে একটি পার্সেল এসেছে, যা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাস্টম হাউসে জমা আছে। পার্সেল ছাড়াতে টাকা লাগবে—এ দাবি করে পার্সেলের ছবিও পাঠান তিনি।
৭ দিন আগে
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সভায় উপস্থিত বিএফআইইউ প্রতিনিধি বলেন, এমএফএস অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে জুয়া ও প্রতারণা বন্ধে বিটিআরসির (বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন) মাধ্যমে বার্তা দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া এমএফএস প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে বৈঠক করে তাদের কিছু নির্দেশনাও দেওয়া হবে। যেসব অ্যাকাউন্ট ব্লক (স্থগিত)
৭ দিন আগে
দেশে বসেই আন্তর্জাতিক পর্নো সাইটে সক্রিয় ছিলেন তাঁরা। ভিডিও বানিয়ে আপলোড করতেন বিভিন্ন ওয়েবসাইটে। শুধু নিজেরাই নন, এই দম্পতি অন্যদেরও এ কাজে যুক্ত করতেন বলে অভিযোগ। অবশেষে সেই আলোচিত যুগলকে বান্দরবানে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
৮ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বিদেশ থেকে পার্সেল এসেছে—এমন দাবি করে কাস্টমস থেকে তা ছাড়িয়ে দেওয়ার কথা বলে ১১ লাখ ৮৫ হাজার টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে এক তরুণকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
গতকাল সোমবার রাতে রাজধানীর তেজগাঁও শিল্পাঞ্চলের কুনিপাড়া এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার ওই তরুণের নাম মো. নূরে আলম ওরফে তুহিন (২৪)।
এক বিজ্ঞপ্তিতে সিআইডি জানিয়েছে, নূরে আলম একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সদস্য। তিনি ফেসবুকে এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে যোগাযোগ করে জানান, তাঁর নামে বিদেশ থেকে একটি পার্সেল এসেছে, যা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাস্টম হাউসে জমা আছে। পার্সেল ছাড়াতে টাকা লাগবে—এ দাবি করে পার্সেলের ছবিও পাঠান তিনি।
পরে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন অজুহাতে ভুক্তভোগীর কাছ থেকে বিকাশ ও ব্যাংকের মাধ্যমে ১১ লাখ ৮৫ হাজার টাকা আদায় করেন নূরে আলম। টাকা পাওয়ার পর নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দেন তিনি।
ভুক্তভোগী আদালতের শরণাপন্ন হলে রামপুরা থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করা হয়। মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব পায় সিআইডির সাইবার পুলিশ সেন্টার। পরে নূরে আলমকে গ্রেপ্তার করা হয়।
সিআইডি জানায়, প্রতারক চক্রের অন্য সদস্যদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।

বিদেশ থেকে পার্সেল এসেছে—এমন দাবি করে কাস্টমস থেকে তা ছাড়িয়ে দেওয়ার কথা বলে ১১ লাখ ৮৫ হাজার টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে এক তরুণকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
গতকাল সোমবার রাতে রাজধানীর তেজগাঁও শিল্পাঞ্চলের কুনিপাড়া এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার ওই তরুণের নাম মো. নূরে আলম ওরফে তুহিন (২৪)।
এক বিজ্ঞপ্তিতে সিআইডি জানিয়েছে, নূরে আলম একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সদস্য। তিনি ফেসবুকে এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে যোগাযোগ করে জানান, তাঁর নামে বিদেশ থেকে একটি পার্সেল এসেছে, যা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাস্টম হাউসে জমা আছে। পার্সেল ছাড়াতে টাকা লাগবে—এ দাবি করে পার্সেলের ছবিও পাঠান তিনি।
পরে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন অজুহাতে ভুক্তভোগীর কাছ থেকে বিকাশ ও ব্যাংকের মাধ্যমে ১১ লাখ ৮৫ হাজার টাকা আদায় করেন নূরে আলম। টাকা পাওয়ার পর নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দেন তিনি।
ভুক্তভোগী আদালতের শরণাপন্ন হলে রামপুরা থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করা হয়। মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব পায় সিআইডির সাইবার পুলিশ সেন্টার। পরে নূরে আলমকে গ্রেপ্তার করা হয়।
সিআইডি জানায়, প্রতারক চক্রের অন্য সদস্যদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।

কারা প্রশাসনের মহাপরিদর্শক বা আইজি (প্রিজনস) ছিলেন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সৈয়দ ইফতেখার উদ্দিন। গণমাধ্যমবান্ধব কর্মকর্তা হিসেবে সাংবাদিকদের মধ্যে তাঁর সুখ্যাতি ছিল। সেই কর্মকর্তা একদিন বিকেলে ফোন করে তক্ষুনি তাঁর দপ্তরে যেতে বললেন। গলার স্বর কিছুটা অস্বাভাবিক, ভয় পেলে
১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৩
রাজধানীর মোহাম্মদপুরে জেনেভা ক্যাম্পে ‘মাদক কারবারিদের’ দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে জাহিদ নিহতের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ শুক্রবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. ইবনে মিজান আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
৪ দিন আগে
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সভায় উপস্থিত বিএফআইইউ প্রতিনিধি বলেন, এমএফএস অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে জুয়া ও প্রতারণা বন্ধে বিটিআরসির (বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন) মাধ্যমে বার্তা দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া এমএফএস প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে বৈঠক করে তাদের কিছু নির্দেশনাও দেওয়া হবে। যেসব অ্যাকাউন্ট ব্লক (স্থগিত)
৭ দিন আগে
দেশে বসেই আন্তর্জাতিক পর্নো সাইটে সক্রিয় ছিলেন তাঁরা। ভিডিও বানিয়ে আপলোড করতেন বিভিন্ন ওয়েবসাইটে। শুধু নিজেরাই নন, এই দম্পতি অন্যদেরও এ কাজে যুক্ত করতেন বলে অভিযোগ। অবশেষে সেই আলোচিত যুগলকে বান্দরবানে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
৮ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

জুয়া ও প্রতারণায় জড়িত থাকায় ৫০ হাজারের বেশি এমএফএস (মোবাইলভিত্তিক আর্থিক লেনদেন সেবা) অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ (স্থগিত) করেছে বিএফআইইউ (বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট)। ২০২২ সালের ডিসেম্বর থেকে চলতি মাস পর্যন্ত এই নম্বরগুলো স্থগিত করা হয়।
আজ মঙ্গলবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বিটিআরসি ভবনে ‘অনলাইন জুয়া প্রতিরোধে করণীয়’ শীর্ষক এক সভায় বিএফআইইউর প্রতিনিধি এ তথ্য জানান।
সভায় ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়, ডিজিএফআই (ডিরেক্টরেট জেনারেল অব ফোর্সেস ইন্টেলিজেন্স), এনএসআই (ন্যাশনাল সিকিউরিটি ইন্টেলিজেন্স), এনটিএমসি (ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টার), সিআইডি (ক্রিমিনাল ইনভেস্টিগেশন ডিপার্টমেন্ট), বিএফআইইউ, এমএফএস ও মোবাইল অপারেটরদের প্রতিনিধিরা অংশ নেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সভায় উপস্থিত বিএফআইইউ প্রতিনিধি বলেন, এমএফএস অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে জুয়া ও প্রতারণা বন্ধে বিটিআরসির (বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন) মাধ্যমে বার্তা দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া এমএফএস প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে বৈঠক করে তাদের কিছু নির্দেশনাও দেওয়া হবে। যেসব অ্যাকাউন্ট ব্লক (স্থগিত) করা হয়েছে, সেগুলো থেকে কোথায় কোথায় টাকা লেনদেন করা হয়েছে, তা বিশ্লেষণ করে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে প্রতিবেদন দেওয়া হবে।
ডিজিএফআই প্রতিনিধি জানান, অনলাইন জুয়ার মতো আর্থিক নানা প্রতারণায় বেনামি সিম ব্যবহার করা হচ্ছে। সংঘবদ্ধ চক্র ভুয়া সিম বিক্রি করছে। মানুষের আঙুলের ছাপ ব্যবহার করা হচ্ছে। বিকাশের অ্যাপ নকল করা হয়েছে। নাগরিকদের ডেটাবেইস ডার্ক ওয়েবে পাওয়া যাচ্ছে। এটা নিয়ে নানা অপরাধ সংঘটিত হচ্ছে।
সভায় অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিবিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, সরকার সতর্ক করার পরও অনেক গণমাধ্যমের অনলাইন পোর্টালে এখনো জুয়ার বিজ্ঞাপন প্রচার করা হচ্ছে। এ ধরনের বিজ্ঞাপন প্রচার করলে যেকোনো মুহূর্তে বিনা নোটিশে সংশ্লিষ্ট গণমাধ্যমের পোর্টাল বন্ধ করে দেওয়া হবে। প্রায় সব কটি মিডিয়ার পোর্টালে এখনো অনিরাপদ কনটেন্ট আসে। জুয়ার বিজ্ঞাপন আসে। এখান থেকে তারা টাকা পায়।
১৯ অক্টোবর পর্যন্ত জুয়ার বিজ্ঞাপন বন্ধে সময় দেওয়া হয়েছিল। তবে গণমাধ্যমগুলো তা মানছে না বলে অভিযোগ করেন বিশেষ সহকারী। তিনি বলেন, বেশ কিছু অনলাইন পোর্টাল জুয়ার বিজ্ঞাপন ও অনিরাপদ কনটেন্ট বিজ্ঞাপন প্রচার করছে। ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, ‘আমরা যেকোনো মুহূর্তে বন্ধ করে দেব। যেহেতু একাধিক নোটিশ দেওয়া হয়েছে। আমরা পাবলিকলি কোনো নোটিশ দেব না।’
অনলাইন জুয়া বন্ধে সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগ ও চ্যালেঞ্জের কথা তুলে ধরেন ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব। তিনি জানান, সরকারের হিসাবে গত মে মাস থেকে এখন পর্যন্ত ৪ হাজার ৮২০টি এমএফএস নম্বর পাওয়া গেছে। এ ছাড়া ১ হাজার ৩৩১টি ওয়েব পোর্টালের লিংক পাওয়া গেছে।
সরকারের চ্যালেঞ্জ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, যখনই একটা নম্বর ব্লক করা হয়, তখন এর চেয়ে বেশিসংখ্যক বা সমসংখ্যক নম্বর ব্যবহার করে সিগন্যাল-হোয়াটসঅ্যাপের মতো গ্রুপগুলোয় ছড়িয়ে দেওয়া হয়। আইপি পরিবর্তন করে ওয়েবসাইটের নাম একটু পরিবর্তন করা হয়। এভাবে নতুন ওয়েবসাইট বানিয়ে আবার শুরু করা হয়। এমএফএস, ওয়েব লিংক বন্ধ করার পর এ চক্রগুলো আবার অ্যাপ তৈরি ফেলে। অ্যাপগুলো অনেক ক্ষেত্রেই পাবলিশড নয়, এপিকে হিসেবে ব্যবহার করে।

জুয়া ও প্রতারণায় জড়িত থাকায় ৫০ হাজারের বেশি এমএফএস (মোবাইলভিত্তিক আর্থিক লেনদেন সেবা) অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ (স্থগিত) করেছে বিএফআইইউ (বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট)। ২০২২ সালের ডিসেম্বর থেকে চলতি মাস পর্যন্ত এই নম্বরগুলো স্থগিত করা হয়।
আজ মঙ্গলবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বিটিআরসি ভবনে ‘অনলাইন জুয়া প্রতিরোধে করণীয়’ শীর্ষক এক সভায় বিএফআইইউর প্রতিনিধি এ তথ্য জানান।
সভায় ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়, ডিজিএফআই (ডিরেক্টরেট জেনারেল অব ফোর্সেস ইন্টেলিজেন্স), এনএসআই (ন্যাশনাল সিকিউরিটি ইন্টেলিজেন্স), এনটিএমসি (ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টার), সিআইডি (ক্রিমিনাল ইনভেস্টিগেশন ডিপার্টমেন্ট), বিএফআইইউ, এমএফএস ও মোবাইল অপারেটরদের প্রতিনিধিরা অংশ নেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সভায় উপস্থিত বিএফআইইউ প্রতিনিধি বলেন, এমএফএস অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে জুয়া ও প্রতারণা বন্ধে বিটিআরসির (বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন) মাধ্যমে বার্তা দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া এমএফএস প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে বৈঠক করে তাদের কিছু নির্দেশনাও দেওয়া হবে। যেসব অ্যাকাউন্ট ব্লক (স্থগিত) করা হয়েছে, সেগুলো থেকে কোথায় কোথায় টাকা লেনদেন করা হয়েছে, তা বিশ্লেষণ করে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে প্রতিবেদন দেওয়া হবে।
ডিজিএফআই প্রতিনিধি জানান, অনলাইন জুয়ার মতো আর্থিক নানা প্রতারণায় বেনামি সিম ব্যবহার করা হচ্ছে। সংঘবদ্ধ চক্র ভুয়া সিম বিক্রি করছে। মানুষের আঙুলের ছাপ ব্যবহার করা হচ্ছে। বিকাশের অ্যাপ নকল করা হয়েছে। নাগরিকদের ডেটাবেইস ডার্ক ওয়েবে পাওয়া যাচ্ছে। এটা নিয়ে নানা অপরাধ সংঘটিত হচ্ছে।
সভায় অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিবিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, সরকার সতর্ক করার পরও অনেক গণমাধ্যমের অনলাইন পোর্টালে এখনো জুয়ার বিজ্ঞাপন প্রচার করা হচ্ছে। এ ধরনের বিজ্ঞাপন প্রচার করলে যেকোনো মুহূর্তে বিনা নোটিশে সংশ্লিষ্ট গণমাধ্যমের পোর্টাল বন্ধ করে দেওয়া হবে। প্রায় সব কটি মিডিয়ার পোর্টালে এখনো অনিরাপদ কনটেন্ট আসে। জুয়ার বিজ্ঞাপন আসে। এখান থেকে তারা টাকা পায়।
১৯ অক্টোবর পর্যন্ত জুয়ার বিজ্ঞাপন বন্ধে সময় দেওয়া হয়েছিল। তবে গণমাধ্যমগুলো তা মানছে না বলে অভিযোগ করেন বিশেষ সহকারী। তিনি বলেন, বেশ কিছু অনলাইন পোর্টাল জুয়ার বিজ্ঞাপন ও অনিরাপদ কনটেন্ট বিজ্ঞাপন প্রচার করছে। ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, ‘আমরা যেকোনো মুহূর্তে বন্ধ করে দেব। যেহেতু একাধিক নোটিশ দেওয়া হয়েছে। আমরা পাবলিকলি কোনো নোটিশ দেব না।’
অনলাইন জুয়া বন্ধে সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগ ও চ্যালেঞ্জের কথা তুলে ধরেন ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব। তিনি জানান, সরকারের হিসাবে গত মে মাস থেকে এখন পর্যন্ত ৪ হাজার ৮২০টি এমএফএস নম্বর পাওয়া গেছে। এ ছাড়া ১ হাজার ৩৩১টি ওয়েব পোর্টালের লিংক পাওয়া গেছে।
সরকারের চ্যালেঞ্জ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, যখনই একটা নম্বর ব্লক করা হয়, তখন এর চেয়ে বেশিসংখ্যক বা সমসংখ্যক নম্বর ব্যবহার করে সিগন্যাল-হোয়াটসঅ্যাপের মতো গ্রুপগুলোয় ছড়িয়ে দেওয়া হয়। আইপি পরিবর্তন করে ওয়েবসাইটের নাম একটু পরিবর্তন করা হয়। এভাবে নতুন ওয়েবসাইট বানিয়ে আবার শুরু করা হয়। এমএফএস, ওয়েব লিংক বন্ধ করার পর এ চক্রগুলো আবার অ্যাপ তৈরি ফেলে। অ্যাপগুলো অনেক ক্ষেত্রেই পাবলিশড নয়, এপিকে হিসেবে ব্যবহার করে।

কারা প্রশাসনের মহাপরিদর্শক বা আইজি (প্রিজনস) ছিলেন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সৈয়দ ইফতেখার উদ্দিন। গণমাধ্যমবান্ধব কর্মকর্তা হিসেবে সাংবাদিকদের মধ্যে তাঁর সুখ্যাতি ছিল। সেই কর্মকর্তা একদিন বিকেলে ফোন করে তক্ষুনি তাঁর দপ্তরে যেতে বললেন। গলার স্বর কিছুটা অস্বাভাবিক, ভয় পেলে
১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৩
রাজধানীর মোহাম্মদপুরে জেনেভা ক্যাম্পে ‘মাদক কারবারিদের’ দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে জাহিদ নিহতের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ শুক্রবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. ইবনে মিজান আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
৪ দিন আগে
এক বিজ্ঞপ্তিতে সিআইডি জানিয়েছে, নূরে আলম একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সদস্য। তিনি ফেসবুকে এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে যোগাযোগ করে জানান, তাঁর নামে বিদেশ থেকে একটি পার্সেল এসেছে, যা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাস্টম হাউসে জমা আছে। পার্সেল ছাড়াতে টাকা লাগবে—এ দাবি করে পার্সেলের ছবিও পাঠান তিনি।
৭ দিন আগে
দেশে বসেই আন্তর্জাতিক পর্নো সাইটে সক্রিয় ছিলেন তাঁরা। ভিডিও বানিয়ে আপলোড করতেন বিভিন্ন ওয়েবসাইটে। শুধু নিজেরাই নন, এই দম্পতি অন্যদেরও এ কাজে যুক্ত করতেন বলে অভিযোগ। অবশেষে সেই আলোচিত যুগলকে বান্দরবানে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
৮ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

দেশে বসেই আন্তর্জাতিক পর্নো সাইটে সক্রিয় ছিলেন তাঁরা। ভিডিও বানিয়ে আপলোড করতেন বিভিন্ন ওয়েবসাইটে। শুধু নিজেরাই নন, এই দম্পতি অন্যদেরও এ কাজে যুক্ত করতেন বলে অভিযোগ। অবশেষে সেই আলোচিত যুগলকে বান্দরবানে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
আজ সোমবার ভোরে বান্দরবান সদর উপজেলার হাজীপাড়ার বালাঘাটা এলাকা থেকে সিআইডির এলআইসি ও সাইবার পুলিশ সেন্টার (সিপিসি) ইউনিটের সদস্যরা এই যুগলকে গ্রেপ্তার করেন। গ্রেপ্তার হওয়া যুগল হলেন মুহাম্মদ আজিম (২৮) ও তাঁর স্ত্রী বৃষ্টি (২৮)। আজ বিকেলে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানায় সিআইডি।
গ্রেপ্তার আজিমের বাড়ি চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলার বুরুমছড়া গ্রামে এবং বৃষ্টির বাড়ি মানিকগঞ্জ জেলার হরিরামপুর উপজেলার আন্ধারমানিক (খালপাড়) গ্রামে।
সিআইডির প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, এই যুগল ২০২৪ সালের মে মাসে আন্তর্জাতিক এক পর্নো সাইটে প্রথম ভিডিও আপলোড করেন। এরপর এক বছরের মধ্যে তাঁরা ১১২টি ভিডিও আপলোড করেছেন, যেগুলো বিশ্বব্যাপী ২ কোটি ৬৭ লাখের বেশিবার দেখা হয়েছে।
এই যুগল এতটাই জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন যে, ২০২৫ সালের অক্টোবর মাসে আন্তর্জাতিক পারফর্মার র্যাঙ্কিংয়ে তাঁদের অবস্থান উঠে আসে অষ্টম স্থানে। ভিডিও আপলোড ছাড়াও তাঁরা বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম—বিশেষ করে, ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম ও টেলিগ্রামের মাধ্যমে নিজেদের কর্মকাণ্ডের প্রচারণা চালাতেন। এসব প্ল্যাটফর্মে নতুনদের এ কাজে যুক্ত হওয়ার আহ্বান জানানো হতো।
তদন্তকারীরা বলছেন, আগ্রহীদের ‘ক্রিয়েটর’ হিসেবে যুক্ত করতে তাঁরা টেলিগ্রাম চ্যানেলে নানা প্রলোভন দেখিয়ে বিজ্ঞাপন দিতেন। নতুন কেউ যুক্ত হলে তাঁকে নগদ অর্থ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হতো। কেউ যোগাযোগ করলে তাঁদের ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করতে উৎসাহিত করতেন আজিম ও বৃষ্টি।
সিআইডির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এই যুগল প্রাথমিক বিদ্যালয়ের গণ্ডি পেরোতে পারেননি। তবে অনলাইনে তাঁদের বিলাসবহুল জীবনধারার নানা ছবি পাওয়া যায়, যা সমাজে নেতিবাচক বার্তা দিচ্ছে। এসব কার্যক্রম সামাজিক ও নৈতিকভাবে যেমন উদ্বেগজনক, তেমনি দেশের প্রচলিত আইনেরও লঙ্ঘন।
অভিযানের সময় তাঁদের কাছ থেকে মোবাইল ফোন, সিম কার্ড, ক্যামেরা, ট্রাইপডসহ ভিডিও ধারণের বিভিন্ন যন্ত্রপাতি জব্দ করা হয়েছে। তাঁদের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা রুজু করা হয়েছে। একই সঙ্গে আদালতে সোপর্দ করে রিমান্ড চেয়ে আবেদন করা হবে বলে জানিয়েছে সিআইডি।
সিআইডির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, পর্নোগ্রাফি ছড়িয়ে দেওয়ার সঙ্গে যুক্ত অন্যদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তারে তদন্ত অব্যাহত রয়েছে।

দেশে বসেই আন্তর্জাতিক পর্নো সাইটে সক্রিয় ছিলেন তাঁরা। ভিডিও বানিয়ে আপলোড করতেন বিভিন্ন ওয়েবসাইটে। শুধু নিজেরাই নন, এই দম্পতি অন্যদেরও এ কাজে যুক্ত করতেন বলে অভিযোগ। অবশেষে সেই আলোচিত যুগলকে বান্দরবানে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
আজ সোমবার ভোরে বান্দরবান সদর উপজেলার হাজীপাড়ার বালাঘাটা এলাকা থেকে সিআইডির এলআইসি ও সাইবার পুলিশ সেন্টার (সিপিসি) ইউনিটের সদস্যরা এই যুগলকে গ্রেপ্তার করেন। গ্রেপ্তার হওয়া যুগল হলেন মুহাম্মদ আজিম (২৮) ও তাঁর স্ত্রী বৃষ্টি (২৮)। আজ বিকেলে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানায় সিআইডি।
গ্রেপ্তার আজিমের বাড়ি চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলার বুরুমছড়া গ্রামে এবং বৃষ্টির বাড়ি মানিকগঞ্জ জেলার হরিরামপুর উপজেলার আন্ধারমানিক (খালপাড়) গ্রামে।
সিআইডির প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, এই যুগল ২০২৪ সালের মে মাসে আন্তর্জাতিক এক পর্নো সাইটে প্রথম ভিডিও আপলোড করেন। এরপর এক বছরের মধ্যে তাঁরা ১১২টি ভিডিও আপলোড করেছেন, যেগুলো বিশ্বব্যাপী ২ কোটি ৬৭ লাখের বেশিবার দেখা হয়েছে।
এই যুগল এতটাই জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন যে, ২০২৫ সালের অক্টোবর মাসে আন্তর্জাতিক পারফর্মার র্যাঙ্কিংয়ে তাঁদের অবস্থান উঠে আসে অষ্টম স্থানে। ভিডিও আপলোড ছাড়াও তাঁরা বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম—বিশেষ করে, ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম ও টেলিগ্রামের মাধ্যমে নিজেদের কর্মকাণ্ডের প্রচারণা চালাতেন। এসব প্ল্যাটফর্মে নতুনদের এ কাজে যুক্ত হওয়ার আহ্বান জানানো হতো।
তদন্তকারীরা বলছেন, আগ্রহীদের ‘ক্রিয়েটর’ হিসেবে যুক্ত করতে তাঁরা টেলিগ্রাম চ্যানেলে নানা প্রলোভন দেখিয়ে বিজ্ঞাপন দিতেন। নতুন কেউ যুক্ত হলে তাঁকে নগদ অর্থ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হতো। কেউ যোগাযোগ করলে তাঁদের ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করতে উৎসাহিত করতেন আজিম ও বৃষ্টি।
সিআইডির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এই যুগল প্রাথমিক বিদ্যালয়ের গণ্ডি পেরোতে পারেননি। তবে অনলাইনে তাঁদের বিলাসবহুল জীবনধারার নানা ছবি পাওয়া যায়, যা সমাজে নেতিবাচক বার্তা দিচ্ছে। এসব কার্যক্রম সামাজিক ও নৈতিকভাবে যেমন উদ্বেগজনক, তেমনি দেশের প্রচলিত আইনেরও লঙ্ঘন।
অভিযানের সময় তাঁদের কাছ থেকে মোবাইল ফোন, সিম কার্ড, ক্যামেরা, ট্রাইপডসহ ভিডিও ধারণের বিভিন্ন যন্ত্রপাতি জব্দ করা হয়েছে। তাঁদের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা রুজু করা হয়েছে। একই সঙ্গে আদালতে সোপর্দ করে রিমান্ড চেয়ে আবেদন করা হবে বলে জানিয়েছে সিআইডি।
সিআইডির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, পর্নোগ্রাফি ছড়িয়ে দেওয়ার সঙ্গে যুক্ত অন্যদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তারে তদন্ত অব্যাহত রয়েছে।

কারা প্রশাসনের মহাপরিদর্শক বা আইজি (প্রিজনস) ছিলেন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সৈয়দ ইফতেখার উদ্দিন। গণমাধ্যমবান্ধব কর্মকর্তা হিসেবে সাংবাদিকদের মধ্যে তাঁর সুখ্যাতি ছিল। সেই কর্মকর্তা একদিন বিকেলে ফোন করে তক্ষুনি তাঁর দপ্তরে যেতে বললেন। গলার স্বর কিছুটা অস্বাভাবিক, ভয় পেলে
১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৩
রাজধানীর মোহাম্মদপুরে জেনেভা ক্যাম্পে ‘মাদক কারবারিদের’ দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে জাহিদ নিহতের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ শুক্রবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. ইবনে মিজান আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
৪ দিন আগে
এক বিজ্ঞপ্তিতে সিআইডি জানিয়েছে, নূরে আলম একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সদস্য। তিনি ফেসবুকে এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে যোগাযোগ করে জানান, তাঁর নামে বিদেশ থেকে একটি পার্সেল এসেছে, যা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাস্টম হাউসে জমা আছে। পার্সেল ছাড়াতে টাকা লাগবে—এ দাবি করে পার্সেলের ছবিও পাঠান তিনি।
৭ দিন আগে
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সভায় উপস্থিত বিএফআইইউ প্রতিনিধি বলেন, এমএফএস অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে জুয়া ও প্রতারণা বন্ধে বিটিআরসির (বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন) মাধ্যমে বার্তা দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া এমএফএস প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে বৈঠক করে তাদের কিছু নির্দেশনাও দেওয়া হবে। যেসব অ্যাকাউন্ট ব্লক (স্থগিত)
৭ দিন আগে