কামরুল হাসান

এই, তুই খুনি! তুই আমার বোনকে খুন করেছিস।
বয়স্ক লোকটি এভাবেই এক যুবককে বকাঝকা করছেন। যুবকটি সবার মুখের দিকে তাকাচ্ছেন। কিন্তু কিছু বলছেন না। একবার বললেন, ভাইয়া, আমি কেন খুন করতে যাব?
‘ভাইয়া’ ডাক শুনেই খেপে গেলেন লোকটি। আরও জোরে বললেন, তুই আমাকে ভাই ডাকিস ক্যান? আমি তোর কেমন ভাই? লোকটির বকাঝকা থামছে না।
একটু থেমে আবার বলতে শুরু করলেন–তুই আমার বোনের বাড়িতে কোন অধিকারে থাকিস? টাকার লোভে, সম্পদের লোভে? তোকে আমি পুলিশে দেব। বলেই লোকটি সেই যুবককে টানতে টানতে পাশে দাঁড়ানো পুলিশের কাছে নিয়ে গেলেন। এক পুলিশ সদস্য দুজনকে থামিয়ে দিয়ে যুবকটির দিকে তাকিয়ে বললেন, তুমি এখানে দাঁড়াও। যুবকটি কিছু না বলে পুলিশের পাশেই দাঁড়িয়ে রইলেন।
ঘটনা কী হচ্ছে, আমরা তার কিছুই বুঝতে পারছি না। শুধু দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে দেখছি আর কথা শুনছি।
সে সময় জনকণ্ঠে রিপোর্টারদের প্রতিদিনের মিটিং হতো বেলা ১১টা থেকে। সেই মিটিংয়ে যাওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছি, এমন সময় এক সহকর্মী খবর দিলেন, মোহাম্মদপুরে ষাটোর্ধ্ব এক বিদুষী নারী খুন হয়েছেন। আমাকে বলা হলো মিটিং বাদ দিয়ে সেখানে যেতে।
ঘটনাস্থল কোথায়, তা জানার জন্য ফোন দিলাম মোহাম্মদপুর থানার ওসি শহীদুল্লাহকে। তিনি আমার পরিচিত। ফোন পেয়ে বললেন, ‘ডেডবডি ধানমন্ডির বাংলাদেশ মেডিকেলে আছে।’ বললেন, তিনি নিজেও সেখানে যাচ্ছেন। এ ঘটনার বছর দুয়েক আগে বাংলাদেশ মেডিকেলের যাত্রা শুরু হয়। হাসপাতালটি সবে নামডাক করেছে। সেই মেডিকেল কলেজের জরুরি বিভাগে গিয়ে দেখি, সেখান থেকে মরদেহ লাশঘরে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। লাশঘরের পাশে অনেক মানুষের ভিড়। কক্ষের ভেতরে এক নারীর লাশ রাখা। কক্ষের বাইরে এসে দেখা হলো বকাঝকা করা সেই বয়স্ক লোকের সঙ্গে। এটা ১৯৯৮ সালের ২ ফেব্রুয়ারি, সোমবার সকালের ঘটনা।
ঘটনাস্থলে পৌঁছে দেখি, মোহাম্মদপুর থানার ওসি আগেই সেখানে পৌঁছে গেছেন। তিনি থাকায় তথ্য জোগাড় একটু সহজ হলো। বকাঝকা করা লোকটির কাছে গিয়ে সাংবাদিক পরিচয় দিতেই তিনি একটু থামতে বললেন। এরপর ওসিকে দূরে ডেকে নিয়ে অনেকক্ষণ ধরে কথা বললেন। ফিরে নিজের পরিচয় দিয়ে বললেন, তাঁর নাম বজলুর রহমান, পেশায় ডেন্টাল সার্জন। আরেকজন নারীও তাঁর পাশে ছিলেন, তাঁকে পরিচয় করিয়ে দিয়ে বললেন, ও আমার ছোট বোন শামসুন্নাহার। যিনি মারা গেছেন তিনিও আমার বোন। ওর নাম তৌফিকা বেগম। এরপর তিনি তৌফিকা বেগম সম্পর্কে বলতে থাকলেন।
তাঁদের পিতা হাজি মো. ইউসুফ ছিলেন প্রকৌশলী। তাঁরা ধানমন্ডির বাসিন্দা। ৮ ভাই ও ২ বোনের মধ্যে তৌফিকা বেগম ছিলেন তৃতীয়। তৌফিকা ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃতী ছাত্রী। দর্শনশাস্ত্রে এমএ করে বৈরুত বিশ্ববিদ্যালয়ে এমফিল করতে যান। পরে অক্সফোর্ড থেকে পোস্ট গ্র্যাজুয়েট করেন। দেশে ফিরে এসে শান্ত নামের এক সেনা কর্মকর্তাকে বিয়ে করেন। বুশরা নামে তাঁদের একটি মেয়ে আছে। সে স্বামীর সঙ্গে ক্যালিফোর্নিয়ায় থাকে। তবে ১৯৬৪ সালে শান্তর সঙ্গে তৌফিকার ছাড়াছাড়ি হয়। এরপর থেকে তিনি একাই ছিলেন।
তৌফিকার পেশা শিক্ষকতা। তিনি কুড়িগ্রাম সরকারি মহিলা কলেজ, ময়মনসিংহ সরকারি মহিলা কলেজ, রংপুর মহিলা কলেজসহ বেশ কিছু কলেজে অধ্যক্ষের দায়িত্ব পালন করেন। চাকরি থেকে অবসর নেওয়ার পর তিনি মোহাম্মদপুরের কাজী নজরুল ইসলাম অ্যাভিনিউয়ের ৮১ নম্বর বাসার চারতলার ফ্ল্যাটে ওঠেন। এটি তাঁর নিজের ফ্ল্যাট।
এ ঘটনা কী করে জানলেন? প্রশ্ন করতেই বজলুর রহমানের বোন শামসুন্নাহার ইসলাম বললেন, তৌফিকার প্রতিবেশীরা তাঁদের ফোন করেছিলেন। সেই ফোন পেয়ে তাঁরা বাংলাদেশ মেডিকেলে ছুটে আসেন। এসে দেখেন তাঁর বোন মারা গেছেন। তাঁদের সন্দেহ, বোন খুন হয়েছে। বোনের বাসায় ফারুক হোসেন নামে এক যুবক থাকত। সম্পত্তির লোভে সে-ই তাঁর বোনকে খুন করে। তাঁরা ফারুকের বিরুদ্ধে মামলা করবেন বলেও জানালেন।
এবার বোঝা গেল যে যুবককে বয়স্ক লোকটি বকাঝকা করছিলেন, তাঁরই নাম ফারুক হোসেন। আমরা ফারুকের সঙ্গে কথা বলতে চাইলে শামসুন্নাহার বললেন, তার সব কথা বিশ্বাস করবেন না। সে একজন প্রতারক।
একটু দুরে ফারুক নামের সেই যুবককে দুজন পুলিশ আগলে রেখেছে, যাতে পালাতে না পারে। কিন্তু ফারুককে দেখে মনে হলো তাঁর পালানোর কোনো ইচ্ছেই নেই। ফারুক নির্বিকার, তার চোখ দিয়ে পানি পড়ছে। তিনি কোনো কথা বলছেন না, আবার প্রতিবাদও করছেন না। যুবকটি দেখতে খুবই স্মার্ট, কিন্তু পোশাক-আশাক সাদামাটা। আমি ফারুকের কাছে গিয়ে তাঁর সঙ্গে কথা বলতে চাইলে এক পুলিশ সদস্য আপত্তি করলেন। কিন্তু মোহাম্মদপুর থানার ওসির ইশারা পেয়ে তিনি আর কিছু বললেন না।
ফারুকের কাছে জানতে চাইলাম, আপনি কী করেন? বললেন, আগে মোজাইক মিস্ত্রি ছিলাম। এখন কিছুই করি না। তাহলে এই নারীর বাসায় কী কাজ করতেন? তিনি বললেন, বাসায় যা যা করার থাকে সবই করতাম। কীভাবে পরিচয়? জবাবে ফারুক বললেন, ৫ মাস আগে ফ্ল্যাটের মোজাইকের কাজ করতে এসে পরিচয়। যুবকটি খুব মেপে মেপে কথার উত্তর দেন।
আমাদের এসব প্রশ্নোত্তর সেই পুলিশ সদস্যও শুনছিলেন। তিনি ফারুককে বললেন, ওই মিয়া আসল কথাটা কও না ক্যা? কও। জানতে চাইলাম আসল কথা কী? ফারুক কিছু বলেন না। পুলিশ সদস্যই বললেন, ‘ওই বুড়ি তো এই ছেলেটার বউ’। একটু অবাক হয়ে ফারুকের কাছে জানতে চাইলাম—আপনার বয়স কত? বললেন, ২৯-৩০। আর ওই নারীর? বললেন, ৬২-৬৩। বিয়ে হলো কীভাবে?
এবার মুখ খুললেন ফারুক। বললেন, বাড়িতে দুই মাস ধরে মোজাইকের কাজ করার সময় তৌফিকা বেগমের সঙ্গে তাঁর ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক তৈরি হয়। একদিন তৌফিকা বেগম নিজেই তাঁকে বিয়ের প্রস্তাব দেন। ফারুক এই নারীর প্রস্তাব শুনে একটু ভয় পেয়ে যান। কয়েক দিন আসা-যাওয়া বন্ধ করে দেন। পরে তৌফিকা তাঁকে লোক দিয়ে খুঁজে আনেন। ফারুক বললেন, বিয়েতে তিনি রাজি হচ্ছিলেন না। কিন্তু একপর্যায়ে তাঁর মনে হলো এমন জীবন হয়তো তিনি কোনো দিন পাবেন না। একপর্যায়ে রাজি হয়ে যান। কবে বিয়ে হলো? ১৯৯৭ সালের ২৭ অক্টোবর, মোহাম্মদপুর কাজী অফিসে।
বিয়ের পর আপনার জীবন কেমন ছিল? জানতে চাইলে ফারুক বললেন, বিয়ের পর থেকে তৌফিকা বেগম বাইরে বের হতেন না। তিনি বেশির ভাগ সময় ঘরেই থাকতেন। আর বিয়ের পর মোজাইকের কাজ ছেড়ে ফারুকও বাসায় থাকতে শুরু করেন। ঢাকায় তাঁর পরিবারের কেউ থাকে না বলে জানালেন।
তৌফিকা বেগমের মৃত্যু হলো কীভাবে? ফারুক বললেন, রোববার বিকেল থেকে তৌফিকা বেগম বুকে ব্যথা অনুভব করছিলেন। রাতে ব্যথাটা আরও বেড়ে যায়। একপর্যায়ে তিনি বুকে ও পিঠে তেল গরম করে দেন। রাত ২টার সময় সে ব্যথা প্রচণ্ড আকার ধারণ করে। তিনি বাথরুমে গিয়ে গায়ে একটু পানি দিতেই তাঁর নিশ্বাস আটকে যায়। এরপর তিনি বাথরুমের মেঝেতে লুটিয়ে পড়েন।
তখন আপনি কী করলেন? ফারুক বলেন, তিনি প্রতিবেশীদের খবর দেন। একজন অ্যাম্বুলেন্সের জন্য হাসপাতালে ফোন করেন। কিন্তু অ্যাম্বুলেন্স পাননি। এরপর তিনি রিকশায় করে রাত সাড়ে ৩টার দিকে তাঁকে বাংলাদেশ মেডিকেলে নিয়ে আসেন। সেখানে কর্তব্যরত ডাক্তার তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। ফারুক বারবার বলছিলেন, ‘আপনারা বিশ্বাস করেন, আমি খুনি না। তাঁকে খুন করে আমার কী লাভ? তাঁর সম্পদের কোনো কিছুই তো আমার নামে নেই।’
বজলুর রহমান লিখিত অভিযোগ করলেন ফারুকের বিরুদ্ধে। পুলিশ একটি খুনের মামলা নিয়ে ফারুককে গ্রেপ্তার করল। তৌফিকা বেগমের লাশ আনা হলো বজলুর রহমানের ধানমন্ডি ১৯ নম্বর রোডের বাসায়। একজন সাব ইন্সপেক্টর সেই লাশের সুরতহাল করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠিয়ে দিলেন।
হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে এক সাংবাদিক বন্ধুকে নিয়ে গেলাম মোহাম্মদপুরে তৌফিকা যে বাসায় থাকতেন, সেখানে। সেখানে প্রতিবেশীদের বক্তব্য ফারুকের সঙ্গে মিলে গেল। সেখান থেকে খুব অল্প দূরে মোহাম্মদপুরের কাজী অফিস। সেখানে গিয়ে কাজী এমএম আনসার আলীকে পেয়ে গেলাম। তিনি সব শুনে চিনতে পারলেন। বললেন, ৪ মাস আগে এই বিয়ে হয়েছিল। দুজনের বয়সের অসমতা দেখে তিনি প্রথমে রাজি হননি। পরে তৌফিকা বেগমের ইচ্ছায় তিনি রেজিস্ট্রি করান। কাবিননামায় ফারুকের ঠিকানা রয়েছে—গ্রাম দনিয়া, থানা ও জেলা ভোলা। সাক্ষী আছেন ফারুকের ভাই সাইফুল ও ভগ্নিপতি জয়নাল আবেদিন।
পরের দিন ফলোআপ করতে ঢাকা মেডিকেলে গিয়ে শুনলাম পাঁচ সদস্যের মেডিকেল বোর্ড লাশের ময়নাতদন্ত করেছে। তারা মৃতের শরীরে আঘাতের কোনো চিহ্ন দেখেননি। চিকিৎসকেরা মনে করছেন, এটা স্বাভাবিক মৃত্যু।
দুদিন পরে গেলাম মোহাম্মদপুর থানায়। খুনের মামলায় ফারুককে দুদিনের রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। হাজতের দরজায় উঁকি দিয়ে দেখি ফারুক মেঝেতে বসে আছেন। আমাকে দেখে বললেন, স্যার একটু বলেন, আমি খুন করিনি। পুলিশ আমার কথা শুনছে না। শুধু মারধর করছে। এরপর হাজতের গ্রিল ধরে উঠে দাঁড়ানোর চেষ্টা করলেন, পারলেন না। তাঁর চোখ দিয়ে পানি পড়ছে।
ফারুকের এই অবস্থা দেখে আমার খুব মন খারাপ হয়ে গেল। অফিসে আসব বলে থানা থেকে বের হয়ে এলাম। মোটরসাইকেলে স্টার্ট দিতেই আমার চিফ রিপোর্টারের কথা মনে পড়ে গেল–ক্রাইম রিপোর্টারের মন খারাপ করতে নেই।
আরও পড়ুন:

এই, তুই খুনি! তুই আমার বোনকে খুন করেছিস।
বয়স্ক লোকটি এভাবেই এক যুবককে বকাঝকা করছেন। যুবকটি সবার মুখের দিকে তাকাচ্ছেন। কিন্তু কিছু বলছেন না। একবার বললেন, ভাইয়া, আমি কেন খুন করতে যাব?
‘ভাইয়া’ ডাক শুনেই খেপে গেলেন লোকটি। আরও জোরে বললেন, তুই আমাকে ভাই ডাকিস ক্যান? আমি তোর কেমন ভাই? লোকটির বকাঝকা থামছে না।
একটু থেমে আবার বলতে শুরু করলেন–তুই আমার বোনের বাড়িতে কোন অধিকারে থাকিস? টাকার লোভে, সম্পদের লোভে? তোকে আমি পুলিশে দেব। বলেই লোকটি সেই যুবককে টানতে টানতে পাশে দাঁড়ানো পুলিশের কাছে নিয়ে গেলেন। এক পুলিশ সদস্য দুজনকে থামিয়ে দিয়ে যুবকটির দিকে তাকিয়ে বললেন, তুমি এখানে দাঁড়াও। যুবকটি কিছু না বলে পুলিশের পাশেই দাঁড়িয়ে রইলেন।
ঘটনা কী হচ্ছে, আমরা তার কিছুই বুঝতে পারছি না। শুধু দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে দেখছি আর কথা শুনছি।
সে সময় জনকণ্ঠে রিপোর্টারদের প্রতিদিনের মিটিং হতো বেলা ১১টা থেকে। সেই মিটিংয়ে যাওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছি, এমন সময় এক সহকর্মী খবর দিলেন, মোহাম্মদপুরে ষাটোর্ধ্ব এক বিদুষী নারী খুন হয়েছেন। আমাকে বলা হলো মিটিং বাদ দিয়ে সেখানে যেতে।
ঘটনাস্থল কোথায়, তা জানার জন্য ফোন দিলাম মোহাম্মদপুর থানার ওসি শহীদুল্লাহকে। তিনি আমার পরিচিত। ফোন পেয়ে বললেন, ‘ডেডবডি ধানমন্ডির বাংলাদেশ মেডিকেলে আছে।’ বললেন, তিনি নিজেও সেখানে যাচ্ছেন। এ ঘটনার বছর দুয়েক আগে বাংলাদেশ মেডিকেলের যাত্রা শুরু হয়। হাসপাতালটি সবে নামডাক করেছে। সেই মেডিকেল কলেজের জরুরি বিভাগে গিয়ে দেখি, সেখান থেকে মরদেহ লাশঘরে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। লাশঘরের পাশে অনেক মানুষের ভিড়। কক্ষের ভেতরে এক নারীর লাশ রাখা। কক্ষের বাইরে এসে দেখা হলো বকাঝকা করা সেই বয়স্ক লোকের সঙ্গে। এটা ১৯৯৮ সালের ২ ফেব্রুয়ারি, সোমবার সকালের ঘটনা।
ঘটনাস্থলে পৌঁছে দেখি, মোহাম্মদপুর থানার ওসি আগেই সেখানে পৌঁছে গেছেন। তিনি থাকায় তথ্য জোগাড় একটু সহজ হলো। বকাঝকা করা লোকটির কাছে গিয়ে সাংবাদিক পরিচয় দিতেই তিনি একটু থামতে বললেন। এরপর ওসিকে দূরে ডেকে নিয়ে অনেকক্ষণ ধরে কথা বললেন। ফিরে নিজের পরিচয় দিয়ে বললেন, তাঁর নাম বজলুর রহমান, পেশায় ডেন্টাল সার্জন। আরেকজন নারীও তাঁর পাশে ছিলেন, তাঁকে পরিচয় করিয়ে দিয়ে বললেন, ও আমার ছোট বোন শামসুন্নাহার। যিনি মারা গেছেন তিনিও আমার বোন। ওর নাম তৌফিকা বেগম। এরপর তিনি তৌফিকা বেগম সম্পর্কে বলতে থাকলেন।
তাঁদের পিতা হাজি মো. ইউসুফ ছিলেন প্রকৌশলী। তাঁরা ধানমন্ডির বাসিন্দা। ৮ ভাই ও ২ বোনের মধ্যে তৌফিকা বেগম ছিলেন তৃতীয়। তৌফিকা ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃতী ছাত্রী। দর্শনশাস্ত্রে এমএ করে বৈরুত বিশ্ববিদ্যালয়ে এমফিল করতে যান। পরে অক্সফোর্ড থেকে পোস্ট গ্র্যাজুয়েট করেন। দেশে ফিরে এসে শান্ত নামের এক সেনা কর্মকর্তাকে বিয়ে করেন। বুশরা নামে তাঁদের একটি মেয়ে আছে। সে স্বামীর সঙ্গে ক্যালিফোর্নিয়ায় থাকে। তবে ১৯৬৪ সালে শান্তর সঙ্গে তৌফিকার ছাড়াছাড়ি হয়। এরপর থেকে তিনি একাই ছিলেন।
তৌফিকার পেশা শিক্ষকতা। তিনি কুড়িগ্রাম সরকারি মহিলা কলেজ, ময়মনসিংহ সরকারি মহিলা কলেজ, রংপুর মহিলা কলেজসহ বেশ কিছু কলেজে অধ্যক্ষের দায়িত্ব পালন করেন। চাকরি থেকে অবসর নেওয়ার পর তিনি মোহাম্মদপুরের কাজী নজরুল ইসলাম অ্যাভিনিউয়ের ৮১ নম্বর বাসার চারতলার ফ্ল্যাটে ওঠেন। এটি তাঁর নিজের ফ্ল্যাট।
এ ঘটনা কী করে জানলেন? প্রশ্ন করতেই বজলুর রহমানের বোন শামসুন্নাহার ইসলাম বললেন, তৌফিকার প্রতিবেশীরা তাঁদের ফোন করেছিলেন। সেই ফোন পেয়ে তাঁরা বাংলাদেশ মেডিকেলে ছুটে আসেন। এসে দেখেন তাঁর বোন মারা গেছেন। তাঁদের সন্দেহ, বোন খুন হয়েছে। বোনের বাসায় ফারুক হোসেন নামে এক যুবক থাকত। সম্পত্তির লোভে সে-ই তাঁর বোনকে খুন করে। তাঁরা ফারুকের বিরুদ্ধে মামলা করবেন বলেও জানালেন।
এবার বোঝা গেল যে যুবককে বয়স্ক লোকটি বকাঝকা করছিলেন, তাঁরই নাম ফারুক হোসেন। আমরা ফারুকের সঙ্গে কথা বলতে চাইলে শামসুন্নাহার বললেন, তার সব কথা বিশ্বাস করবেন না। সে একজন প্রতারক।
একটু দুরে ফারুক নামের সেই যুবককে দুজন পুলিশ আগলে রেখেছে, যাতে পালাতে না পারে। কিন্তু ফারুককে দেখে মনে হলো তাঁর পালানোর কোনো ইচ্ছেই নেই। ফারুক নির্বিকার, তার চোখ দিয়ে পানি পড়ছে। তিনি কোনো কথা বলছেন না, আবার প্রতিবাদও করছেন না। যুবকটি দেখতে খুবই স্মার্ট, কিন্তু পোশাক-আশাক সাদামাটা। আমি ফারুকের কাছে গিয়ে তাঁর সঙ্গে কথা বলতে চাইলে এক পুলিশ সদস্য আপত্তি করলেন। কিন্তু মোহাম্মদপুর থানার ওসির ইশারা পেয়ে তিনি আর কিছু বললেন না।
ফারুকের কাছে জানতে চাইলাম, আপনি কী করেন? বললেন, আগে মোজাইক মিস্ত্রি ছিলাম। এখন কিছুই করি না। তাহলে এই নারীর বাসায় কী কাজ করতেন? তিনি বললেন, বাসায় যা যা করার থাকে সবই করতাম। কীভাবে পরিচয়? জবাবে ফারুক বললেন, ৫ মাস আগে ফ্ল্যাটের মোজাইকের কাজ করতে এসে পরিচয়। যুবকটি খুব মেপে মেপে কথার উত্তর দেন।
আমাদের এসব প্রশ্নোত্তর সেই পুলিশ সদস্যও শুনছিলেন। তিনি ফারুককে বললেন, ওই মিয়া আসল কথাটা কও না ক্যা? কও। জানতে চাইলাম আসল কথা কী? ফারুক কিছু বলেন না। পুলিশ সদস্যই বললেন, ‘ওই বুড়ি তো এই ছেলেটার বউ’। একটু অবাক হয়ে ফারুকের কাছে জানতে চাইলাম—আপনার বয়স কত? বললেন, ২৯-৩০। আর ওই নারীর? বললেন, ৬২-৬৩। বিয়ে হলো কীভাবে?
এবার মুখ খুললেন ফারুক। বললেন, বাড়িতে দুই মাস ধরে মোজাইকের কাজ করার সময় তৌফিকা বেগমের সঙ্গে তাঁর ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক তৈরি হয়। একদিন তৌফিকা বেগম নিজেই তাঁকে বিয়ের প্রস্তাব দেন। ফারুক এই নারীর প্রস্তাব শুনে একটু ভয় পেয়ে যান। কয়েক দিন আসা-যাওয়া বন্ধ করে দেন। পরে তৌফিকা তাঁকে লোক দিয়ে খুঁজে আনেন। ফারুক বললেন, বিয়েতে তিনি রাজি হচ্ছিলেন না। কিন্তু একপর্যায়ে তাঁর মনে হলো এমন জীবন হয়তো তিনি কোনো দিন পাবেন না। একপর্যায়ে রাজি হয়ে যান। কবে বিয়ে হলো? ১৯৯৭ সালের ২৭ অক্টোবর, মোহাম্মদপুর কাজী অফিসে।
বিয়ের পর আপনার জীবন কেমন ছিল? জানতে চাইলে ফারুক বললেন, বিয়ের পর থেকে তৌফিকা বেগম বাইরে বের হতেন না। তিনি বেশির ভাগ সময় ঘরেই থাকতেন। আর বিয়ের পর মোজাইকের কাজ ছেড়ে ফারুকও বাসায় থাকতে শুরু করেন। ঢাকায় তাঁর পরিবারের কেউ থাকে না বলে জানালেন।
তৌফিকা বেগমের মৃত্যু হলো কীভাবে? ফারুক বললেন, রোববার বিকেল থেকে তৌফিকা বেগম বুকে ব্যথা অনুভব করছিলেন। রাতে ব্যথাটা আরও বেড়ে যায়। একপর্যায়ে তিনি বুকে ও পিঠে তেল গরম করে দেন। রাত ২টার সময় সে ব্যথা প্রচণ্ড আকার ধারণ করে। তিনি বাথরুমে গিয়ে গায়ে একটু পানি দিতেই তাঁর নিশ্বাস আটকে যায়। এরপর তিনি বাথরুমের মেঝেতে লুটিয়ে পড়েন।
তখন আপনি কী করলেন? ফারুক বলেন, তিনি প্রতিবেশীদের খবর দেন। একজন অ্যাম্বুলেন্সের জন্য হাসপাতালে ফোন করেন। কিন্তু অ্যাম্বুলেন্স পাননি। এরপর তিনি রিকশায় করে রাত সাড়ে ৩টার দিকে তাঁকে বাংলাদেশ মেডিকেলে নিয়ে আসেন। সেখানে কর্তব্যরত ডাক্তার তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। ফারুক বারবার বলছিলেন, ‘আপনারা বিশ্বাস করেন, আমি খুনি না। তাঁকে খুন করে আমার কী লাভ? তাঁর সম্পদের কোনো কিছুই তো আমার নামে নেই।’
বজলুর রহমান লিখিত অভিযোগ করলেন ফারুকের বিরুদ্ধে। পুলিশ একটি খুনের মামলা নিয়ে ফারুককে গ্রেপ্তার করল। তৌফিকা বেগমের লাশ আনা হলো বজলুর রহমানের ধানমন্ডি ১৯ নম্বর রোডের বাসায়। একজন সাব ইন্সপেক্টর সেই লাশের সুরতহাল করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠিয়ে দিলেন।
হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে এক সাংবাদিক বন্ধুকে নিয়ে গেলাম মোহাম্মদপুরে তৌফিকা যে বাসায় থাকতেন, সেখানে। সেখানে প্রতিবেশীদের বক্তব্য ফারুকের সঙ্গে মিলে গেল। সেখান থেকে খুব অল্প দূরে মোহাম্মদপুরের কাজী অফিস। সেখানে গিয়ে কাজী এমএম আনসার আলীকে পেয়ে গেলাম। তিনি সব শুনে চিনতে পারলেন। বললেন, ৪ মাস আগে এই বিয়ে হয়েছিল। দুজনের বয়সের অসমতা দেখে তিনি প্রথমে রাজি হননি। পরে তৌফিকা বেগমের ইচ্ছায় তিনি রেজিস্ট্রি করান। কাবিননামায় ফারুকের ঠিকানা রয়েছে—গ্রাম দনিয়া, থানা ও জেলা ভোলা। সাক্ষী আছেন ফারুকের ভাই সাইফুল ও ভগ্নিপতি জয়নাল আবেদিন।
পরের দিন ফলোআপ করতে ঢাকা মেডিকেলে গিয়ে শুনলাম পাঁচ সদস্যের মেডিকেল বোর্ড লাশের ময়নাতদন্ত করেছে। তারা মৃতের শরীরে আঘাতের কোনো চিহ্ন দেখেননি। চিকিৎসকেরা মনে করছেন, এটা স্বাভাবিক মৃত্যু।
দুদিন পরে গেলাম মোহাম্মদপুর থানায়। খুনের মামলায় ফারুককে দুদিনের রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। হাজতের দরজায় উঁকি দিয়ে দেখি ফারুক মেঝেতে বসে আছেন। আমাকে দেখে বললেন, স্যার একটু বলেন, আমি খুন করিনি। পুলিশ আমার কথা শুনছে না। শুধু মারধর করছে। এরপর হাজতের গ্রিল ধরে উঠে দাঁড়ানোর চেষ্টা করলেন, পারলেন না। তাঁর চোখ দিয়ে পানি পড়ছে।
ফারুকের এই অবস্থা দেখে আমার খুব মন খারাপ হয়ে গেল। অফিসে আসব বলে থানা থেকে বের হয়ে এলাম। মোটরসাইকেলে স্টার্ট দিতেই আমার চিফ রিপোর্টারের কথা মনে পড়ে গেল–ক্রাইম রিপোর্টারের মন খারাপ করতে নেই।
আরও পড়ুন:

রাজধানীর মোহাম্মদপুরে জেনেভা ক্যাম্পে ‘মাদক কারবারিদের’ দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে জাহিদ নিহতের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ শুক্রবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. ইবনে মিজান আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
২ দিন আগে
এক বিজ্ঞপ্তিতে সিআইডি জানিয়েছে, নূরে আলম একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সদস্য। তিনি ফেসবুকে এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে যোগাযোগ করে জানান, তাঁর নামে বিদেশ থেকে একটি পার্সেল এসেছে, যা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাস্টম হাউসে জমা আছে। পার্সেল ছাড়াতে টাকা লাগবে—এ দাবি করে পার্সেলের ছবিও পাঠান তিনি।
৪ দিন আগে
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সভায় উপস্থিত বিএফআইইউ প্রতিনিধি বলেন, এমএফএস অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে জুয়া ও প্রতারণা বন্ধে বিটিআরসির (বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন) মাধ্যমে বার্তা দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া এমএফএস প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে বৈঠক করে তাদের কিছু নির্দেশনাও দেওয়া হবে। যেসব অ্যাকাউন্ট ব্লক (স্থগিত)
৪ দিন আগে
দেশে বসেই আন্তর্জাতিক পর্নো সাইটে সক্রিয় ছিলেন তাঁরা। ভিডিও বানিয়ে আপলোড করতেন বিভিন্ন ওয়েবসাইটে। শুধু নিজেরাই নন, এই দম্পতি অন্যদেরও এ কাজে যুক্ত করতেন বলে অভিযোগ। অবশেষে সেই আলোচিত যুগলকে বান্দরবানে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
৫ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

রাজধানীর মোহাম্মদপুরে জেনেভা ক্যাম্পে ‘মাদক কারবারিদের’ দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে জাহিদ নিহতের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
আজ শুক্রবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. ইবনে মিজান আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
গত বুধবার ভোররাতে দুই গ্রুপ মাদক কারবারির সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে নিহত হন জাহিদ (২০)। পরিবারের দাবি, দুপক্ষের সংঘর্ষ চলাকালে জাহিদের পায়ের কাছে ককটেল বিস্ফোরণ হয়। এ সময় স্প্লিন্টার তাঁর ঘাড় ও পিঠে বিদ্ধ হয়। আহত অবস্থায় উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় মোহাম্মদপুর থানায় একটি হত্যা মামলা হয়েছে। সংঘর্ষের পর ঘটনাস্থলে অভিযান পরিচালনা করে র্যাব, পুলিশ ও সেনাবাহিনী। অভিযানে একটি বিদেশি পিস্তল, একটি ম্যাগাজিন ও তিনটি তাজা গুলিসহ বিপুল পরিমাণ দেশি অস্ত্র ও পেট্রলবোমা উদ্ধার করা হয়।
জাহিদের ভগ্নিপতি মো. উজ্জ্বল জানান, রাজধানীর কল্যাণপুরে মিজান টাওয়ারে একটি মোবাইল ফোন সার্ভিসিংয়ের দোকানে কাজ করতেন জাহিদ। বুধবার রাতে বন্ধুদের সঙ্গে রেস্তোরাঁয় খেতে যাওয়ার সময় তাঁরা সংঘর্ষের মধ্যে পড়েন। পরে হাসপাতালে জাহিদের মৃত্যু হয়।
তবে পুলিশ বলছে, ককটেল তৈরির সময় বিস্ফোরণে নিহত হন জাহিদ।

রাজধানীর মোহাম্মদপুরে জেনেভা ক্যাম্পে ‘মাদক কারবারিদের’ দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে জাহিদ নিহতের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
আজ শুক্রবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. ইবনে মিজান আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
গত বুধবার ভোররাতে দুই গ্রুপ মাদক কারবারির সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে নিহত হন জাহিদ (২০)। পরিবারের দাবি, দুপক্ষের সংঘর্ষ চলাকালে জাহিদের পায়ের কাছে ককটেল বিস্ফোরণ হয়। এ সময় স্প্লিন্টার তাঁর ঘাড় ও পিঠে বিদ্ধ হয়। আহত অবস্থায় উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় মোহাম্মদপুর থানায় একটি হত্যা মামলা হয়েছে। সংঘর্ষের পর ঘটনাস্থলে অভিযান পরিচালনা করে র্যাব, পুলিশ ও সেনাবাহিনী। অভিযানে একটি বিদেশি পিস্তল, একটি ম্যাগাজিন ও তিনটি তাজা গুলিসহ বিপুল পরিমাণ দেশি অস্ত্র ও পেট্রলবোমা উদ্ধার করা হয়।
জাহিদের ভগ্নিপতি মো. উজ্জ্বল জানান, রাজধানীর কল্যাণপুরে মিজান টাওয়ারে একটি মোবাইল ফোন সার্ভিসিংয়ের দোকানে কাজ করতেন জাহিদ। বুধবার রাতে বন্ধুদের সঙ্গে রেস্তোরাঁয় খেতে যাওয়ার সময় তাঁরা সংঘর্ষের মধ্যে পড়েন। পরে হাসপাতালে জাহিদের মৃত্যু হয়।
তবে পুলিশ বলছে, ককটেল তৈরির সময় বিস্ফোরণে নিহত হন জাহিদ।

এই, তুই খুনি! তুই আমার বোনকে খুন করেছিস। বয়স্ক লোকটি এভাবেই এক যুবককে বকাঝকা করছেন। যুবকটি সবার মুখের দিকে তাকাচ্ছেন। কিন্তু কিছু বলছেন না। একবার বললেন, ভাইয়া, আমি কেন খুন করতে যাব?‘ভাইয়া’ ডাক শুনেই খেপে গেলেন লোকটি। আরও জোরে বললেন, তুই আমাকে ভাই ডাকিস ক্যান? আমি তোর কেমন ভাই? লোকটির বকাঝকা থামছে না
১২ ফেব্রুয়ারি ২০২২
এক বিজ্ঞপ্তিতে সিআইডি জানিয়েছে, নূরে আলম একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সদস্য। তিনি ফেসবুকে এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে যোগাযোগ করে জানান, তাঁর নামে বিদেশ থেকে একটি পার্সেল এসেছে, যা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাস্টম হাউসে জমা আছে। পার্সেল ছাড়াতে টাকা লাগবে—এ দাবি করে পার্সেলের ছবিও পাঠান তিনি।
৪ দিন আগে
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সভায় উপস্থিত বিএফআইইউ প্রতিনিধি বলেন, এমএফএস অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে জুয়া ও প্রতারণা বন্ধে বিটিআরসির (বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন) মাধ্যমে বার্তা দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া এমএফএস প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে বৈঠক করে তাদের কিছু নির্দেশনাও দেওয়া হবে। যেসব অ্যাকাউন্ট ব্লক (স্থগিত)
৪ দিন আগে
দেশে বসেই আন্তর্জাতিক পর্নো সাইটে সক্রিয় ছিলেন তাঁরা। ভিডিও বানিয়ে আপলোড করতেন বিভিন্ন ওয়েবসাইটে। শুধু নিজেরাই নন, এই দম্পতি অন্যদেরও এ কাজে যুক্ত করতেন বলে অভিযোগ। অবশেষে সেই আলোচিত যুগলকে বান্দরবানে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
৫ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বিদেশ থেকে পার্সেল এসেছে—এমন দাবি করে কাস্টমস থেকে তা ছাড়িয়ে দেওয়ার কথা বলে ১১ লাখ ৮৫ হাজার টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে এক তরুণকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
গতকাল সোমবার রাতে রাজধানীর তেজগাঁও শিল্পাঞ্চলের কুনিপাড়া এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার ওই তরুণের নাম মো. নূরে আলম ওরফে তুহিন (২৪)।
এক বিজ্ঞপ্তিতে সিআইডি জানিয়েছে, নূরে আলম একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সদস্য। তিনি ফেসবুকে এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে যোগাযোগ করে জানান, তাঁর নামে বিদেশ থেকে একটি পার্সেল এসেছে, যা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাস্টম হাউসে জমা আছে। পার্সেল ছাড়াতে টাকা লাগবে—এ দাবি করে পার্সেলের ছবিও পাঠান তিনি।
পরে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন অজুহাতে ভুক্তভোগীর কাছ থেকে বিকাশ ও ব্যাংকের মাধ্যমে ১১ লাখ ৮৫ হাজার টাকা আদায় করেন নূরে আলম। টাকা পাওয়ার পর নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দেন তিনি।
ভুক্তভোগী আদালতের শরণাপন্ন হলে রামপুরা থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করা হয়। মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব পায় সিআইডির সাইবার পুলিশ সেন্টার। পরে নূরে আলমকে গ্রেপ্তার করা হয়।
সিআইডি জানায়, প্রতারক চক্রের অন্য সদস্যদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।

বিদেশ থেকে পার্সেল এসেছে—এমন দাবি করে কাস্টমস থেকে তা ছাড়িয়ে দেওয়ার কথা বলে ১১ লাখ ৮৫ হাজার টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে এক তরুণকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
গতকাল সোমবার রাতে রাজধানীর তেজগাঁও শিল্পাঞ্চলের কুনিপাড়া এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার ওই তরুণের নাম মো. নূরে আলম ওরফে তুহিন (২৪)।
এক বিজ্ঞপ্তিতে সিআইডি জানিয়েছে, নূরে আলম একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সদস্য। তিনি ফেসবুকে এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে যোগাযোগ করে জানান, তাঁর নামে বিদেশ থেকে একটি পার্সেল এসেছে, যা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাস্টম হাউসে জমা আছে। পার্সেল ছাড়াতে টাকা লাগবে—এ দাবি করে পার্সেলের ছবিও পাঠান তিনি।
পরে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন অজুহাতে ভুক্তভোগীর কাছ থেকে বিকাশ ও ব্যাংকের মাধ্যমে ১১ লাখ ৮৫ হাজার টাকা আদায় করেন নূরে আলম। টাকা পাওয়ার পর নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দেন তিনি।
ভুক্তভোগী আদালতের শরণাপন্ন হলে রামপুরা থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করা হয়। মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব পায় সিআইডির সাইবার পুলিশ সেন্টার। পরে নূরে আলমকে গ্রেপ্তার করা হয়।
সিআইডি জানায়, প্রতারক চক্রের অন্য সদস্যদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।

এই, তুই খুনি! তুই আমার বোনকে খুন করেছিস। বয়স্ক লোকটি এভাবেই এক যুবককে বকাঝকা করছেন। যুবকটি সবার মুখের দিকে তাকাচ্ছেন। কিন্তু কিছু বলছেন না। একবার বললেন, ভাইয়া, আমি কেন খুন করতে যাব?‘ভাইয়া’ ডাক শুনেই খেপে গেলেন লোকটি। আরও জোরে বললেন, তুই আমাকে ভাই ডাকিস ক্যান? আমি তোর কেমন ভাই? লোকটির বকাঝকা থামছে না
১২ ফেব্রুয়ারি ২০২২
রাজধানীর মোহাম্মদপুরে জেনেভা ক্যাম্পে ‘মাদক কারবারিদের’ দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে জাহিদ নিহতের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ শুক্রবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. ইবনে মিজান আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
২ দিন আগে
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সভায় উপস্থিত বিএফআইইউ প্রতিনিধি বলেন, এমএফএস অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে জুয়া ও প্রতারণা বন্ধে বিটিআরসির (বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন) মাধ্যমে বার্তা দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া এমএফএস প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে বৈঠক করে তাদের কিছু নির্দেশনাও দেওয়া হবে। যেসব অ্যাকাউন্ট ব্লক (স্থগিত)
৪ দিন আগে
দেশে বসেই আন্তর্জাতিক পর্নো সাইটে সক্রিয় ছিলেন তাঁরা। ভিডিও বানিয়ে আপলোড করতেন বিভিন্ন ওয়েবসাইটে। শুধু নিজেরাই নন, এই দম্পতি অন্যদেরও এ কাজে যুক্ত করতেন বলে অভিযোগ। অবশেষে সেই আলোচিত যুগলকে বান্দরবানে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
৫ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

জুয়া ও প্রতারণায় জড়িত থাকায় ৫০ হাজারের বেশি এমএফএস (মোবাইলভিত্তিক আর্থিক লেনদেন সেবা) অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ (স্থগিত) করেছে বিএফআইইউ (বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট)। ২০২২ সালের ডিসেম্বর থেকে চলতি মাস পর্যন্ত এই নম্বরগুলো স্থগিত করা হয়।
আজ মঙ্গলবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বিটিআরসি ভবনে ‘অনলাইন জুয়া প্রতিরোধে করণীয়’ শীর্ষক এক সভায় বিএফআইইউর প্রতিনিধি এ তথ্য জানান।
সভায় ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়, ডিজিএফআই (ডিরেক্টরেট জেনারেল অব ফোর্সেস ইন্টেলিজেন্স), এনএসআই (ন্যাশনাল সিকিউরিটি ইন্টেলিজেন্স), এনটিএমসি (ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টার), সিআইডি (ক্রিমিনাল ইনভেস্টিগেশন ডিপার্টমেন্ট), বিএফআইইউ, এমএফএস ও মোবাইল অপারেটরদের প্রতিনিধিরা অংশ নেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সভায় উপস্থিত বিএফআইইউ প্রতিনিধি বলেন, এমএফএস অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে জুয়া ও প্রতারণা বন্ধে বিটিআরসির (বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন) মাধ্যমে বার্তা দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া এমএফএস প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে বৈঠক করে তাদের কিছু নির্দেশনাও দেওয়া হবে। যেসব অ্যাকাউন্ট ব্লক (স্থগিত) করা হয়েছে, সেগুলো থেকে কোথায় কোথায় টাকা লেনদেন করা হয়েছে, তা বিশ্লেষণ করে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে প্রতিবেদন দেওয়া হবে।
ডিজিএফআই প্রতিনিধি জানান, অনলাইন জুয়ার মতো আর্থিক নানা প্রতারণায় বেনামি সিম ব্যবহার করা হচ্ছে। সংঘবদ্ধ চক্র ভুয়া সিম বিক্রি করছে। মানুষের আঙুলের ছাপ ব্যবহার করা হচ্ছে। বিকাশের অ্যাপ নকল করা হয়েছে। নাগরিকদের ডেটাবেইস ডার্ক ওয়েবে পাওয়া যাচ্ছে। এটা নিয়ে নানা অপরাধ সংঘটিত হচ্ছে।
সভায় অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিবিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, সরকার সতর্ক করার পরও অনেক গণমাধ্যমের অনলাইন পোর্টালে এখনো জুয়ার বিজ্ঞাপন প্রচার করা হচ্ছে। এ ধরনের বিজ্ঞাপন প্রচার করলে যেকোনো মুহূর্তে বিনা নোটিশে সংশ্লিষ্ট গণমাধ্যমের পোর্টাল বন্ধ করে দেওয়া হবে। প্রায় সব কটি মিডিয়ার পোর্টালে এখনো অনিরাপদ কনটেন্ট আসে। জুয়ার বিজ্ঞাপন আসে। এখান থেকে তারা টাকা পায়।
১৯ অক্টোবর পর্যন্ত জুয়ার বিজ্ঞাপন বন্ধে সময় দেওয়া হয়েছিল। তবে গণমাধ্যমগুলো তা মানছে না বলে অভিযোগ করেন বিশেষ সহকারী। তিনি বলেন, বেশ কিছু অনলাইন পোর্টাল জুয়ার বিজ্ঞাপন ও অনিরাপদ কনটেন্ট বিজ্ঞাপন প্রচার করছে। ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, ‘আমরা যেকোনো মুহূর্তে বন্ধ করে দেব। যেহেতু একাধিক নোটিশ দেওয়া হয়েছে। আমরা পাবলিকলি কোনো নোটিশ দেব না।’
অনলাইন জুয়া বন্ধে সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগ ও চ্যালেঞ্জের কথা তুলে ধরেন ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব। তিনি জানান, সরকারের হিসাবে গত মে মাস থেকে এখন পর্যন্ত ৪ হাজার ৮২০টি এমএফএস নম্বর পাওয়া গেছে। এ ছাড়া ১ হাজার ৩৩১টি ওয়েব পোর্টালের লিংক পাওয়া গেছে।
সরকারের চ্যালেঞ্জ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, যখনই একটা নম্বর ব্লক করা হয়, তখন এর চেয়ে বেশিসংখ্যক বা সমসংখ্যক নম্বর ব্যবহার করে সিগন্যাল-হোয়াটসঅ্যাপের মতো গ্রুপগুলোয় ছড়িয়ে দেওয়া হয়। আইপি পরিবর্তন করে ওয়েবসাইটের নাম একটু পরিবর্তন করা হয়। এভাবে নতুন ওয়েবসাইট বানিয়ে আবার শুরু করা হয়। এমএফএস, ওয়েব লিংক বন্ধ করার পর এ চক্রগুলো আবার অ্যাপ তৈরি ফেলে। অ্যাপগুলো অনেক ক্ষেত্রেই পাবলিশড নয়, এপিকে হিসেবে ব্যবহার করে।

জুয়া ও প্রতারণায় জড়িত থাকায় ৫০ হাজারের বেশি এমএফএস (মোবাইলভিত্তিক আর্থিক লেনদেন সেবা) অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ (স্থগিত) করেছে বিএফআইইউ (বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট)। ২০২২ সালের ডিসেম্বর থেকে চলতি মাস পর্যন্ত এই নম্বরগুলো স্থগিত করা হয়।
আজ মঙ্গলবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বিটিআরসি ভবনে ‘অনলাইন জুয়া প্রতিরোধে করণীয়’ শীর্ষক এক সভায় বিএফআইইউর প্রতিনিধি এ তথ্য জানান।
সভায় ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়, ডিজিএফআই (ডিরেক্টরেট জেনারেল অব ফোর্সেস ইন্টেলিজেন্স), এনএসআই (ন্যাশনাল সিকিউরিটি ইন্টেলিজেন্স), এনটিএমসি (ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টার), সিআইডি (ক্রিমিনাল ইনভেস্টিগেশন ডিপার্টমেন্ট), বিএফআইইউ, এমএফএস ও মোবাইল অপারেটরদের প্রতিনিধিরা অংশ নেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সভায় উপস্থিত বিএফআইইউ প্রতিনিধি বলেন, এমএফএস অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে জুয়া ও প্রতারণা বন্ধে বিটিআরসির (বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন) মাধ্যমে বার্তা দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া এমএফএস প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে বৈঠক করে তাদের কিছু নির্দেশনাও দেওয়া হবে। যেসব অ্যাকাউন্ট ব্লক (স্থগিত) করা হয়েছে, সেগুলো থেকে কোথায় কোথায় টাকা লেনদেন করা হয়েছে, তা বিশ্লেষণ করে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে প্রতিবেদন দেওয়া হবে।
ডিজিএফআই প্রতিনিধি জানান, অনলাইন জুয়ার মতো আর্থিক নানা প্রতারণায় বেনামি সিম ব্যবহার করা হচ্ছে। সংঘবদ্ধ চক্র ভুয়া সিম বিক্রি করছে। মানুষের আঙুলের ছাপ ব্যবহার করা হচ্ছে। বিকাশের অ্যাপ নকল করা হয়েছে। নাগরিকদের ডেটাবেইস ডার্ক ওয়েবে পাওয়া যাচ্ছে। এটা নিয়ে নানা অপরাধ সংঘটিত হচ্ছে।
সভায় অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিবিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, সরকার সতর্ক করার পরও অনেক গণমাধ্যমের অনলাইন পোর্টালে এখনো জুয়ার বিজ্ঞাপন প্রচার করা হচ্ছে। এ ধরনের বিজ্ঞাপন প্রচার করলে যেকোনো মুহূর্তে বিনা নোটিশে সংশ্লিষ্ট গণমাধ্যমের পোর্টাল বন্ধ করে দেওয়া হবে। প্রায় সব কটি মিডিয়ার পোর্টালে এখনো অনিরাপদ কনটেন্ট আসে। জুয়ার বিজ্ঞাপন আসে। এখান থেকে তারা টাকা পায়।
১৯ অক্টোবর পর্যন্ত জুয়ার বিজ্ঞাপন বন্ধে সময় দেওয়া হয়েছিল। তবে গণমাধ্যমগুলো তা মানছে না বলে অভিযোগ করেন বিশেষ সহকারী। তিনি বলেন, বেশ কিছু অনলাইন পোর্টাল জুয়ার বিজ্ঞাপন ও অনিরাপদ কনটেন্ট বিজ্ঞাপন প্রচার করছে। ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, ‘আমরা যেকোনো মুহূর্তে বন্ধ করে দেব। যেহেতু একাধিক নোটিশ দেওয়া হয়েছে। আমরা পাবলিকলি কোনো নোটিশ দেব না।’
অনলাইন জুয়া বন্ধে সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগ ও চ্যালেঞ্জের কথা তুলে ধরেন ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব। তিনি জানান, সরকারের হিসাবে গত মে মাস থেকে এখন পর্যন্ত ৪ হাজার ৮২০টি এমএফএস নম্বর পাওয়া গেছে। এ ছাড়া ১ হাজার ৩৩১টি ওয়েব পোর্টালের লিংক পাওয়া গেছে।
সরকারের চ্যালেঞ্জ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, যখনই একটা নম্বর ব্লক করা হয়, তখন এর চেয়ে বেশিসংখ্যক বা সমসংখ্যক নম্বর ব্যবহার করে সিগন্যাল-হোয়াটসঅ্যাপের মতো গ্রুপগুলোয় ছড়িয়ে দেওয়া হয়। আইপি পরিবর্তন করে ওয়েবসাইটের নাম একটু পরিবর্তন করা হয়। এভাবে নতুন ওয়েবসাইট বানিয়ে আবার শুরু করা হয়। এমএফএস, ওয়েব লিংক বন্ধ করার পর এ চক্রগুলো আবার অ্যাপ তৈরি ফেলে। অ্যাপগুলো অনেক ক্ষেত্রেই পাবলিশড নয়, এপিকে হিসেবে ব্যবহার করে।

এই, তুই খুনি! তুই আমার বোনকে খুন করেছিস। বয়স্ক লোকটি এভাবেই এক যুবককে বকাঝকা করছেন। যুবকটি সবার মুখের দিকে তাকাচ্ছেন। কিন্তু কিছু বলছেন না। একবার বললেন, ভাইয়া, আমি কেন খুন করতে যাব?‘ভাইয়া’ ডাক শুনেই খেপে গেলেন লোকটি। আরও জোরে বললেন, তুই আমাকে ভাই ডাকিস ক্যান? আমি তোর কেমন ভাই? লোকটির বকাঝকা থামছে না
১২ ফেব্রুয়ারি ২০২২
রাজধানীর মোহাম্মদপুরে জেনেভা ক্যাম্পে ‘মাদক কারবারিদের’ দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে জাহিদ নিহতের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ শুক্রবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. ইবনে মিজান আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
২ দিন আগে
এক বিজ্ঞপ্তিতে সিআইডি জানিয়েছে, নূরে আলম একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সদস্য। তিনি ফেসবুকে এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে যোগাযোগ করে জানান, তাঁর নামে বিদেশ থেকে একটি পার্সেল এসেছে, যা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাস্টম হাউসে জমা আছে। পার্সেল ছাড়াতে টাকা লাগবে—এ দাবি করে পার্সেলের ছবিও পাঠান তিনি।
৪ দিন আগে
দেশে বসেই আন্তর্জাতিক পর্নো সাইটে সক্রিয় ছিলেন তাঁরা। ভিডিও বানিয়ে আপলোড করতেন বিভিন্ন ওয়েবসাইটে। শুধু নিজেরাই নন, এই দম্পতি অন্যদেরও এ কাজে যুক্ত করতেন বলে অভিযোগ। অবশেষে সেই আলোচিত যুগলকে বান্দরবানে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
৫ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

দেশে বসেই আন্তর্জাতিক পর্নো সাইটে সক্রিয় ছিলেন তাঁরা। ভিডিও বানিয়ে আপলোড করতেন বিভিন্ন ওয়েবসাইটে। শুধু নিজেরাই নন, এই দম্পতি অন্যদেরও এ কাজে যুক্ত করতেন বলে অভিযোগ। অবশেষে সেই আলোচিত যুগলকে বান্দরবানে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
আজ সোমবার ভোরে বান্দরবান সদর উপজেলার হাজীপাড়ার বালাঘাটা এলাকা থেকে সিআইডির এলআইসি ও সাইবার পুলিশ সেন্টার (সিপিসি) ইউনিটের সদস্যরা এই যুগলকে গ্রেপ্তার করেন। গ্রেপ্তার হওয়া যুগল হলেন মুহাম্মদ আজিম (২৮) ও তাঁর স্ত্রী বৃষ্টি (২৮)। আজ বিকেলে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানায় সিআইডি।
গ্রেপ্তার আজিমের বাড়ি চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলার বুরুমছড়া গ্রামে এবং বৃষ্টির বাড়ি মানিকগঞ্জ জেলার হরিরামপুর উপজেলার আন্ধারমানিক (খালপাড়) গ্রামে।
সিআইডির প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, এই যুগল ২০২৪ সালের মে মাসে আন্তর্জাতিক এক পর্নো সাইটে প্রথম ভিডিও আপলোড করেন। এরপর এক বছরের মধ্যে তাঁরা ১১২টি ভিডিও আপলোড করেছেন, যেগুলো বিশ্বব্যাপী ২ কোটি ৬৭ লাখের বেশিবার দেখা হয়েছে।
এই যুগল এতটাই জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন যে, ২০২৫ সালের অক্টোবর মাসে আন্তর্জাতিক পারফর্মার র্যাঙ্কিংয়ে তাঁদের অবস্থান উঠে আসে অষ্টম স্থানে। ভিডিও আপলোড ছাড়াও তাঁরা বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম—বিশেষ করে, ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম ও টেলিগ্রামের মাধ্যমে নিজেদের কর্মকাণ্ডের প্রচারণা চালাতেন। এসব প্ল্যাটফর্মে নতুনদের এ কাজে যুক্ত হওয়ার আহ্বান জানানো হতো।
তদন্তকারীরা বলছেন, আগ্রহীদের ‘ক্রিয়েটর’ হিসেবে যুক্ত করতে তাঁরা টেলিগ্রাম চ্যানেলে নানা প্রলোভন দেখিয়ে বিজ্ঞাপন দিতেন। নতুন কেউ যুক্ত হলে তাঁকে নগদ অর্থ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হতো। কেউ যোগাযোগ করলে তাঁদের ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করতে উৎসাহিত করতেন আজিম ও বৃষ্টি।
সিআইডির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এই যুগল প্রাথমিক বিদ্যালয়ের গণ্ডি পেরোতে পারেননি। তবে অনলাইনে তাঁদের বিলাসবহুল জীবনধারার নানা ছবি পাওয়া যায়, যা সমাজে নেতিবাচক বার্তা দিচ্ছে। এসব কার্যক্রম সামাজিক ও নৈতিকভাবে যেমন উদ্বেগজনক, তেমনি দেশের প্রচলিত আইনেরও লঙ্ঘন।
অভিযানের সময় তাঁদের কাছ থেকে মোবাইল ফোন, সিম কার্ড, ক্যামেরা, ট্রাইপডসহ ভিডিও ধারণের বিভিন্ন যন্ত্রপাতি জব্দ করা হয়েছে। তাঁদের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা রুজু করা হয়েছে। একই সঙ্গে আদালতে সোপর্দ করে রিমান্ড চেয়ে আবেদন করা হবে বলে জানিয়েছে সিআইডি।
সিআইডির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, পর্নোগ্রাফি ছড়িয়ে দেওয়ার সঙ্গে যুক্ত অন্যদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তারে তদন্ত অব্যাহত রয়েছে।

দেশে বসেই আন্তর্জাতিক পর্নো সাইটে সক্রিয় ছিলেন তাঁরা। ভিডিও বানিয়ে আপলোড করতেন বিভিন্ন ওয়েবসাইটে। শুধু নিজেরাই নন, এই দম্পতি অন্যদেরও এ কাজে যুক্ত করতেন বলে অভিযোগ। অবশেষে সেই আলোচিত যুগলকে বান্দরবানে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
আজ সোমবার ভোরে বান্দরবান সদর উপজেলার হাজীপাড়ার বালাঘাটা এলাকা থেকে সিআইডির এলআইসি ও সাইবার পুলিশ সেন্টার (সিপিসি) ইউনিটের সদস্যরা এই যুগলকে গ্রেপ্তার করেন। গ্রেপ্তার হওয়া যুগল হলেন মুহাম্মদ আজিম (২৮) ও তাঁর স্ত্রী বৃষ্টি (২৮)। আজ বিকেলে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানায় সিআইডি।
গ্রেপ্তার আজিমের বাড়ি চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলার বুরুমছড়া গ্রামে এবং বৃষ্টির বাড়ি মানিকগঞ্জ জেলার হরিরামপুর উপজেলার আন্ধারমানিক (খালপাড়) গ্রামে।
সিআইডির প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, এই যুগল ২০২৪ সালের মে মাসে আন্তর্জাতিক এক পর্নো সাইটে প্রথম ভিডিও আপলোড করেন। এরপর এক বছরের মধ্যে তাঁরা ১১২টি ভিডিও আপলোড করেছেন, যেগুলো বিশ্বব্যাপী ২ কোটি ৬৭ লাখের বেশিবার দেখা হয়েছে।
এই যুগল এতটাই জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন যে, ২০২৫ সালের অক্টোবর মাসে আন্তর্জাতিক পারফর্মার র্যাঙ্কিংয়ে তাঁদের অবস্থান উঠে আসে অষ্টম স্থানে। ভিডিও আপলোড ছাড়াও তাঁরা বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম—বিশেষ করে, ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম ও টেলিগ্রামের মাধ্যমে নিজেদের কর্মকাণ্ডের প্রচারণা চালাতেন। এসব প্ল্যাটফর্মে নতুনদের এ কাজে যুক্ত হওয়ার আহ্বান জানানো হতো।
তদন্তকারীরা বলছেন, আগ্রহীদের ‘ক্রিয়েটর’ হিসেবে যুক্ত করতে তাঁরা টেলিগ্রাম চ্যানেলে নানা প্রলোভন দেখিয়ে বিজ্ঞাপন দিতেন। নতুন কেউ যুক্ত হলে তাঁকে নগদ অর্থ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হতো। কেউ যোগাযোগ করলে তাঁদের ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করতে উৎসাহিত করতেন আজিম ও বৃষ্টি।
সিআইডির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এই যুগল প্রাথমিক বিদ্যালয়ের গণ্ডি পেরোতে পারেননি। তবে অনলাইনে তাঁদের বিলাসবহুল জীবনধারার নানা ছবি পাওয়া যায়, যা সমাজে নেতিবাচক বার্তা দিচ্ছে। এসব কার্যক্রম সামাজিক ও নৈতিকভাবে যেমন উদ্বেগজনক, তেমনি দেশের প্রচলিত আইনেরও লঙ্ঘন।
অভিযানের সময় তাঁদের কাছ থেকে মোবাইল ফোন, সিম কার্ড, ক্যামেরা, ট্রাইপডসহ ভিডিও ধারণের বিভিন্ন যন্ত্রপাতি জব্দ করা হয়েছে। তাঁদের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা রুজু করা হয়েছে। একই সঙ্গে আদালতে সোপর্দ করে রিমান্ড চেয়ে আবেদন করা হবে বলে জানিয়েছে সিআইডি।
সিআইডির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, পর্নোগ্রাফি ছড়িয়ে দেওয়ার সঙ্গে যুক্ত অন্যদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তারে তদন্ত অব্যাহত রয়েছে।

এই, তুই খুনি! তুই আমার বোনকে খুন করেছিস। বয়স্ক লোকটি এভাবেই এক যুবককে বকাঝকা করছেন। যুবকটি সবার মুখের দিকে তাকাচ্ছেন। কিন্তু কিছু বলছেন না। একবার বললেন, ভাইয়া, আমি কেন খুন করতে যাব?‘ভাইয়া’ ডাক শুনেই খেপে গেলেন লোকটি। আরও জোরে বললেন, তুই আমাকে ভাই ডাকিস ক্যান? আমি তোর কেমন ভাই? লোকটির বকাঝকা থামছে না
১২ ফেব্রুয়ারি ২০২২
রাজধানীর মোহাম্মদপুরে জেনেভা ক্যাম্পে ‘মাদক কারবারিদের’ দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে জাহিদ নিহতের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ শুক্রবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. ইবনে মিজান আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
২ দিন আগে
এক বিজ্ঞপ্তিতে সিআইডি জানিয়েছে, নূরে আলম একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সদস্য। তিনি ফেসবুকে এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে যোগাযোগ করে জানান, তাঁর নামে বিদেশ থেকে একটি পার্সেল এসেছে, যা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাস্টম হাউসে জমা আছে। পার্সেল ছাড়াতে টাকা লাগবে—এ দাবি করে পার্সেলের ছবিও পাঠান তিনি।
৪ দিন আগে
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সভায় উপস্থিত বিএফআইইউ প্রতিনিধি বলেন, এমএফএস অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে জুয়া ও প্রতারণা বন্ধে বিটিআরসির (বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন) মাধ্যমে বার্তা দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া এমএফএস প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে বৈঠক করে তাদের কিছু নির্দেশনাও দেওয়া হবে। যেসব অ্যাকাউন্ট ব্লক (স্থগিত)
৪ দিন আগে