কামরুল হাসান

নজরুলের গানে ‘বিনোদ-বেণী’ বলে একটা কথা আছে। দীঘল কালো চুলের কিশোরীর মাথায় সে রকমই বেণি করা। শ্যামলা বরন মেয়েটির মুখটা একেবারেই শান্ত, দেখলে মনে হয় ভাজা মাছটিও উল্টে খেতে জানে না। কোনো কিছু জিজ্ঞেস করলে ইংরেজির মতো করে বাংলা উচ্চারণ করে। অবাঙালির মুখে প্রথম প্রথম বাংলা শব্দ যেভাবে আছাড় খায়, অনেকটা সেই রকম। তাই আশ্রয়কেন্দ্রের সবাই এই কিশোরীর নাম দিয়েছে ‘লন্ডনী কইন্যা’।
দুই সপ্তাহ ধরে মেয়েটি রয়েছে নারায়ণগঞ্জের গোদনাইল ভবঘুরে আশ্রয়কেন্দ্রে। দলেবলে আমরা সেখানে এসেছি মেয়েটির সত্যিকারের পরিচয় জানতে। আমাদের দলে আছেন মানবাধিকার সংগঠনের একদল কর্মী, ইটিভির সাংবাদিক সুপন রায় ও তাঁর ক্যামেরাপারসন। আমরা যাওয়ার আগেই সেখানে হাজির হয়েছেন জনকণ্ঠের নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি রুমন রেজা। মানবাধিকার সংগঠন ও আশ্রয়কেন্দ্রের কর্মকর্তারা ধরে নিয়েছেন, এই মেয়ে তার নিজের পরিচয় নিয়ে সবাইকে ধন্দে ফেলে দিয়েছে।
তার আগে বলি, মেয়েটি এই আশ্রয়কেন্দ্রে এল কী করে। ২০০০ সালের ২৪ অক্টোবর এক ব্যক্তি তাকে নিয়ে ধানমন্ডি থানায় হাজির হন। পুলিশকে জানান, খুব সকালে তিনি লেকের পাড়ে হাঁটতে গিয়ে দেখেন, ধানমন্ডি ৮ নম্বর ব্রিজের কাছে একা দাঁড়িয়ে কাঁদছে মেয়েটি। ১২-১৩ বছরের মেয়েটির পরিচয় জানতে চাইলে সে জানায়, তার নাম ফ্লোরা। তারা বাঙালি ব্রিটিশ। বাড়িতে সবাই বাংলায় কথা বলে। গেল রাতের ফ্লাইটে সে বাবার সঙ্গে লন্ডন থেকে ঢাকায় এসেছে। কিন্তু বিমানবন্দরে নামার পর বাবাকে হারিয়ে ফেলে। এরপর তাঁর আর কোনো খোঁজ পায়নি। বিমানবন্দরের বাইরে উদ্দেশ্যহীন ঘোরাফেরার সময় এক লোক তাকে বেবিট্যাক্সিতে করে এনে ধানমন্ডি ব্রিজের কাছের রাস্তায় ছেড়ে দেয়। এই শহরের সে কিছুই চেনে না। তার কাছে কারও কোনো ঠিকানা নেই।
ধানমন্ডি থানা-পুলিশের একজন কর্মকর্তা অনেকক্ষণ মেয়েটির সঙ্গে কথা বলে দেশে বা বিদেশের কোনো ঠিকানা উদ্ধারের চেষ্টা করেন। ব্যর্থ হয়ে তাকে এক বেলা থানায় রেখে একটি জিডি করে পাঠানো হয় মিরপুর ভবঘুরে আশ্রয়কেন্দ্রে। সেখানে যাওয়ার পর দেখা গেল, ওই আশ্রয়কেন্দ্রে মেয়েটিকে রাখার মতো ভালো পরিবেশ নেই। এরপর তাকে পাঠানো হয় নতুন তৈরি করা গোদনাইল আশ্রয়কেন্দ্রে। সেই থেকে মেয়েটি সেখানেই আছে।
সরকারের সমাজকল্যাণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা মেয়েটির সঙ্গে কয়েক দফা কথা বলেছেন। এরপর তাঁরা মেয়েটির পরিবারকে খুঁজে বের করতে মানবাধিকার সংগঠনের সহায়তা চেয়েছেন। মানবাধিকার সংস্থা এ দায়িত্ব পাওয়ার পর মেয়েটির দেশের আসার দিনক্ষণ ধরে সব এয়ারলাইনসে খোঁজ করেছে। কিন্তু এই নামে কোনো যাত্রীর খোঁজ পায়নি। এরপর খোঁজা হয় সিলেট ও চট্টগ্রাম রুমের অভ্যন্তরীণ ফ্লাইট। সেখানেও এ নামে কোনো যাত্রী নেই। একদিন মেয়েটিকে নিয়ে বিমানবন্দরের বিভিন্ন এলাকায় ঘোরানো হয়। সেদিন ক্যানোপি এরিয়া দেখিয়ে বলে, এখান থেকেই সে বাবাকে হারিয়ে ফেলে। বিমানবন্দর ঘুরিয়ে দেখার সময় একটি ঘটনা ঘটে, এক শ্বেতাঙ্গ বিদেশি দেখে ‘পাপা’ বলে চিৎকার করে ওঠে মেয়েটি। তার চিৎকারে সেই বিদেশিও হতভম্ব হয়ে যান। পরে সবাই এ জন্য দুঃখ প্রকাশ করেন। এরপর সবাই ধরে নেন, সত্যিই মেয়েটি বিদেশ থেকে এসেছে।
মানবাধিকার সংস্থা এরপর মেয়েটির ছবি ও নাম দিয়ে ঢাকার ব্রিটিশ দূতাবাসে চিঠি পাঠায়। কিন্তু তারাও এ নিয়ে কোনো কিছু জানাতে পারে না। এ খবর ধীরে ধীরে পত্রিকা অফিসেও চলে আসে। আমার বস শংকর কুমার দে ২০০০ সালের ১৭ ডিসেম্বর মেয়েটিকে নিয়ে একটি রিপোর্ট করেন, ‘অনিশ্চয়তার আবর্তে ফ্লোরার ভবিষ্যৎ’। সে রিপোর্টে মেয়েটির ছবিও ছাপা হয়। রিপোর্ট ছাপার এক দিন পর শংকর কুমার দে সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হন। ফলোআপের দায়িত্ব পড়ে আমার ওপর। আমি মানবাধিকার সংগঠন থেকে শুরু করে দরকারি সব তথ্য জোগাড়ের চেষ্টা করি। কিন্তু সন্দেহ হয়, এই গল্পের কোথাও কোনো ফাঁক আছে। এরপর একদিন গোদনাইলে যাই মেয়েটির সঙ্গে কথা বলতে। আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে তখন অত কড়াকড়ি ছিল না। সাংবাদিক পরিচয় দিলেই কাজ হতো।
মেয়েটির সঙ্গে কথা বলে বের হওয়ার মুখে আশ্রয়কেন্দ্রের পরিচালক রুহুল আমিন আমাকে একটি মজার তথ্য দেন। তিনি বলেন, দুদিন আগে কুমিল্লার মুরাদনগর থানা থেকে আবদুস সালাম ভূঁইয়া নামের এক ব্যক্তি আসেন মেয়েটির খোঁজ নিতে। তিনি এসে বলেন, মেয়েটি তাঁর, নাম খায়রুন নেছা। তিন মাস আগে সে হঠাৎ নিখোঁজ হয়। তাঁরা বিভিন্ন স্থানে খোঁজ করেছেন, কিন্তু কোনো খোঁজ পাননি। আমি জানতে চাইলাম, মেয়েটিকে মুখোমুখি করেছিলেন কি না। তিনি বললেন, সেটা করার পর মেয়েটি বলেছে, সালাম ভূঁইয়াকে সে চেনে না। কোনো জিডি বা পুলিশ রিপোর্ট ছিল? আশ্রয়কেন্দ্রের প্রধান বললেন, তিনি সেটা করেননি। আমি তাঁকে বলেছি ছবিসহ থানায় রিপোর্ট করতে। তিনি গ্রামে ফিরে গেছেন ছবিসহ রিপোর্ট করার জন্য। তবে পত্রিকায় মেয়েটির ছবি ছাপা হওয়ার পর সে সময় আরও কয়েকজন মেয়েটির অভিভাবকত্ব দাবি করে বসেন। দুজন মেয়েটিকে দত্তক নিতে চান। কিন্তু মেয়েটি কোথাও যেতে রাজি হচ্ছিল না।
সপ্তাহখানেক পরে আবদুস সালাম ভূঁইয়া আসেন আমার কাছে, ইস্কাটনে জনকণ্ঠ ভবনে। তিনি তাঁর পরিবারের অ্যালবাম এবং জিডির কপি আমাকে দেখিয়ে বলেন, সেই ফ্লোরা তাঁরই মেয়ে। তাঁর তিন মেয়ে ও এক ছেলের মধ্যে মেয়েটি মেজ। সে স্থানীয় স্কুলে নাইনে পড়ে। তিনি স্কুলের ছবিও আমাকে দেখান। সালাম ভূঁইয়া বলেন, মাস তিনেক আগে পড়া না পারায় তাঁর বড় ছেলে তাকে থাপ্পড় মেরেছিল। সেই রাগে সে বাড়ি থেকে বের হয়ে যায়। এরপর তার আর কোনো খোঁজ নেই। তাঁরা সম্ভাব্য সব জায়গায় খোঁজ করেছেন। আমি জানতে চাইলাম, তাহলে এখন মেয়েটি আপনাকে চিনছে না কেন? কোনো রাগ ছিল? তিনি ছলছল চোখে বললেন, না ভাই, সে রকম কিছুই নেই। বুঝতে পারছি না মেয়েটির কী হলো। তাঁর কাছে জানতে চাইলাম, আশ্রয়কেন্দ্রে যাওয়ার আগে তিন মাস মেয়েটি কোথায় ছিল? তিনি বললেন, কোনো আত্মীয়ের বাসায় যায়নি। আমার কাছে সবকিছু কেমন গোলমেলে লাগছে। একবার মনে হচ্ছে, লোকটা ঠিক, আবার মনে হচ্ছে ভুল। মানবাধিকার সংস্থার লোকেরা নতুন একটি পরিকল্পনা করেন। তাঁরা মেয়েটির ছবি নিয়ে গ্রামের বাড়িতে যান পরিচয় নিশ্চিত হতে। সেই দলের কর্মকর্তারা ফিরে এসে জানান, সালাম ভূঁইয়ার দাবি ঠিক, মেয়েটি তাঁরই। স্কুলের শিক্ষকও ছবি দেখে পরিচয় নিশ্চিত করেছেন। তারপরও সবাইকে বোকা বানিয়ে মেয়েটি বলছে, তার মতো কেউ হতে পারে। সে কোনো দিন সেখানে ছিল না।
এভাবে আরও কিছুদিন চলল। একদিন হঠাৎ কে যেন মেয়েটির কাছে তার মায়ের নাম ধরে বলল, তোমার মা খুব অসুস্থ। মায়ের কথা শুনে সবাইকে অবাক করে দিয়ে কেঁদে ফেলে মেয়েটি। একপর্যায়ে সবার কাছে নিজের পরিচয়ের কথা স্বীকার করে। আশ্রয়কেন্দ্রের লোকেরা হাঁপ ছেড়ে বাঁচেন। এরপর দিনক্ষণ ঠিক করেন মেয়েটিকে তার বাবার হাতে তুলে দেওয়ার জন্য।
সেই দিনে আমরা দলেবলে এসেছি মেয়েটিকে তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা দেখতে। কাগজপত্রে সই করার পর মেয়েটিকে যখন বাবার কাছে দেওয়া হলো, সে বাবাকে জড়িয়ে ধরল। আবদুস সালাম ভূঁইয়ার এত দিনের জমানো কান্না গাল-মুখ বেয়ে নেমে গেল। কিন্তু মেয়েটি তখন স্বাভাবিক। বাবার কান্না থামার পর আমি মেয়েটির কাছে জানতে চাইলাম, এত দিন ধরে কেন এমন করলে? খুব নির্লিপ্ত ভঙ্গিতে মেয়েটি বলল, আমি স্বপ্ন দেখতাম, একদিন বাড়ি থেকে পালিয়ে যাব। জানতে চাইলাম, আশ্রয়কেন্দ্রে আসার আগে তিন মাস কোথায় ছিলে? এবার থেমে গেল মেয়েটি। তার চোখ ছলছল করছে। বাবার বুকে আছড়ে পড়ে বলল, আমি খারাপ লোকের পাল্লায় পড়েছিলাম। সেখানে থেকে পালিয়ে এসেছি। মেয়েটির কান্না আমাদেরও চোখ ভিজিয়ে দিল।
আরও পড়ুন:

নজরুলের গানে ‘বিনোদ-বেণী’ বলে একটা কথা আছে। দীঘল কালো চুলের কিশোরীর মাথায় সে রকমই বেণি করা। শ্যামলা বরন মেয়েটির মুখটা একেবারেই শান্ত, দেখলে মনে হয় ভাজা মাছটিও উল্টে খেতে জানে না। কোনো কিছু জিজ্ঞেস করলে ইংরেজির মতো করে বাংলা উচ্চারণ করে। অবাঙালির মুখে প্রথম প্রথম বাংলা শব্দ যেভাবে আছাড় খায়, অনেকটা সেই রকম। তাই আশ্রয়কেন্দ্রের সবাই এই কিশোরীর নাম দিয়েছে ‘লন্ডনী কইন্যা’।
দুই সপ্তাহ ধরে মেয়েটি রয়েছে নারায়ণগঞ্জের গোদনাইল ভবঘুরে আশ্রয়কেন্দ্রে। দলেবলে আমরা সেখানে এসেছি মেয়েটির সত্যিকারের পরিচয় জানতে। আমাদের দলে আছেন মানবাধিকার সংগঠনের একদল কর্মী, ইটিভির সাংবাদিক সুপন রায় ও তাঁর ক্যামেরাপারসন। আমরা যাওয়ার আগেই সেখানে হাজির হয়েছেন জনকণ্ঠের নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি রুমন রেজা। মানবাধিকার সংগঠন ও আশ্রয়কেন্দ্রের কর্মকর্তারা ধরে নিয়েছেন, এই মেয়ে তার নিজের পরিচয় নিয়ে সবাইকে ধন্দে ফেলে দিয়েছে।
তার আগে বলি, মেয়েটি এই আশ্রয়কেন্দ্রে এল কী করে। ২০০০ সালের ২৪ অক্টোবর এক ব্যক্তি তাকে নিয়ে ধানমন্ডি থানায় হাজির হন। পুলিশকে জানান, খুব সকালে তিনি লেকের পাড়ে হাঁটতে গিয়ে দেখেন, ধানমন্ডি ৮ নম্বর ব্রিজের কাছে একা দাঁড়িয়ে কাঁদছে মেয়েটি। ১২-১৩ বছরের মেয়েটির পরিচয় জানতে চাইলে সে জানায়, তার নাম ফ্লোরা। তারা বাঙালি ব্রিটিশ। বাড়িতে সবাই বাংলায় কথা বলে। গেল রাতের ফ্লাইটে সে বাবার সঙ্গে লন্ডন থেকে ঢাকায় এসেছে। কিন্তু বিমানবন্দরে নামার পর বাবাকে হারিয়ে ফেলে। এরপর তাঁর আর কোনো খোঁজ পায়নি। বিমানবন্দরের বাইরে উদ্দেশ্যহীন ঘোরাফেরার সময় এক লোক তাকে বেবিট্যাক্সিতে করে এনে ধানমন্ডি ব্রিজের কাছের রাস্তায় ছেড়ে দেয়। এই শহরের সে কিছুই চেনে না। তার কাছে কারও কোনো ঠিকানা নেই।
ধানমন্ডি থানা-পুলিশের একজন কর্মকর্তা অনেকক্ষণ মেয়েটির সঙ্গে কথা বলে দেশে বা বিদেশের কোনো ঠিকানা উদ্ধারের চেষ্টা করেন। ব্যর্থ হয়ে তাকে এক বেলা থানায় রেখে একটি জিডি করে পাঠানো হয় মিরপুর ভবঘুরে আশ্রয়কেন্দ্রে। সেখানে যাওয়ার পর দেখা গেল, ওই আশ্রয়কেন্দ্রে মেয়েটিকে রাখার মতো ভালো পরিবেশ নেই। এরপর তাকে পাঠানো হয় নতুন তৈরি করা গোদনাইল আশ্রয়কেন্দ্রে। সেই থেকে মেয়েটি সেখানেই আছে।
সরকারের সমাজকল্যাণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা মেয়েটির সঙ্গে কয়েক দফা কথা বলেছেন। এরপর তাঁরা মেয়েটির পরিবারকে খুঁজে বের করতে মানবাধিকার সংগঠনের সহায়তা চেয়েছেন। মানবাধিকার সংস্থা এ দায়িত্ব পাওয়ার পর মেয়েটির দেশের আসার দিনক্ষণ ধরে সব এয়ারলাইনসে খোঁজ করেছে। কিন্তু এই নামে কোনো যাত্রীর খোঁজ পায়নি। এরপর খোঁজা হয় সিলেট ও চট্টগ্রাম রুমের অভ্যন্তরীণ ফ্লাইট। সেখানেও এ নামে কোনো যাত্রী নেই। একদিন মেয়েটিকে নিয়ে বিমানবন্দরের বিভিন্ন এলাকায় ঘোরানো হয়। সেদিন ক্যানোপি এরিয়া দেখিয়ে বলে, এখান থেকেই সে বাবাকে হারিয়ে ফেলে। বিমানবন্দর ঘুরিয়ে দেখার সময় একটি ঘটনা ঘটে, এক শ্বেতাঙ্গ বিদেশি দেখে ‘পাপা’ বলে চিৎকার করে ওঠে মেয়েটি। তার চিৎকারে সেই বিদেশিও হতভম্ব হয়ে যান। পরে সবাই এ জন্য দুঃখ প্রকাশ করেন। এরপর সবাই ধরে নেন, সত্যিই মেয়েটি বিদেশ থেকে এসেছে।
মানবাধিকার সংস্থা এরপর মেয়েটির ছবি ও নাম দিয়ে ঢাকার ব্রিটিশ দূতাবাসে চিঠি পাঠায়। কিন্তু তারাও এ নিয়ে কোনো কিছু জানাতে পারে না। এ খবর ধীরে ধীরে পত্রিকা অফিসেও চলে আসে। আমার বস শংকর কুমার দে ২০০০ সালের ১৭ ডিসেম্বর মেয়েটিকে নিয়ে একটি রিপোর্ট করেন, ‘অনিশ্চয়তার আবর্তে ফ্লোরার ভবিষ্যৎ’। সে রিপোর্টে মেয়েটির ছবিও ছাপা হয়। রিপোর্ট ছাপার এক দিন পর শংকর কুমার দে সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হন। ফলোআপের দায়িত্ব পড়ে আমার ওপর। আমি মানবাধিকার সংগঠন থেকে শুরু করে দরকারি সব তথ্য জোগাড়ের চেষ্টা করি। কিন্তু সন্দেহ হয়, এই গল্পের কোথাও কোনো ফাঁক আছে। এরপর একদিন গোদনাইলে যাই মেয়েটির সঙ্গে কথা বলতে। আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে তখন অত কড়াকড়ি ছিল না। সাংবাদিক পরিচয় দিলেই কাজ হতো।
মেয়েটির সঙ্গে কথা বলে বের হওয়ার মুখে আশ্রয়কেন্দ্রের পরিচালক রুহুল আমিন আমাকে একটি মজার তথ্য দেন। তিনি বলেন, দুদিন আগে কুমিল্লার মুরাদনগর থানা থেকে আবদুস সালাম ভূঁইয়া নামের এক ব্যক্তি আসেন মেয়েটির খোঁজ নিতে। তিনি এসে বলেন, মেয়েটি তাঁর, নাম খায়রুন নেছা। তিন মাস আগে সে হঠাৎ নিখোঁজ হয়। তাঁরা বিভিন্ন স্থানে খোঁজ করেছেন, কিন্তু কোনো খোঁজ পাননি। আমি জানতে চাইলাম, মেয়েটিকে মুখোমুখি করেছিলেন কি না। তিনি বললেন, সেটা করার পর মেয়েটি বলেছে, সালাম ভূঁইয়াকে সে চেনে না। কোনো জিডি বা পুলিশ রিপোর্ট ছিল? আশ্রয়কেন্দ্রের প্রধান বললেন, তিনি সেটা করেননি। আমি তাঁকে বলেছি ছবিসহ থানায় রিপোর্ট করতে। তিনি গ্রামে ফিরে গেছেন ছবিসহ রিপোর্ট করার জন্য। তবে পত্রিকায় মেয়েটির ছবি ছাপা হওয়ার পর সে সময় আরও কয়েকজন মেয়েটির অভিভাবকত্ব দাবি করে বসেন। দুজন মেয়েটিকে দত্তক নিতে চান। কিন্তু মেয়েটি কোথাও যেতে রাজি হচ্ছিল না।
সপ্তাহখানেক পরে আবদুস সালাম ভূঁইয়া আসেন আমার কাছে, ইস্কাটনে জনকণ্ঠ ভবনে। তিনি তাঁর পরিবারের অ্যালবাম এবং জিডির কপি আমাকে দেখিয়ে বলেন, সেই ফ্লোরা তাঁরই মেয়ে। তাঁর তিন মেয়ে ও এক ছেলের মধ্যে মেয়েটি মেজ। সে স্থানীয় স্কুলে নাইনে পড়ে। তিনি স্কুলের ছবিও আমাকে দেখান। সালাম ভূঁইয়া বলেন, মাস তিনেক আগে পড়া না পারায় তাঁর বড় ছেলে তাকে থাপ্পড় মেরেছিল। সেই রাগে সে বাড়ি থেকে বের হয়ে যায়। এরপর তার আর কোনো খোঁজ নেই। তাঁরা সম্ভাব্য সব জায়গায় খোঁজ করেছেন। আমি জানতে চাইলাম, তাহলে এখন মেয়েটি আপনাকে চিনছে না কেন? কোনো রাগ ছিল? তিনি ছলছল চোখে বললেন, না ভাই, সে রকম কিছুই নেই। বুঝতে পারছি না মেয়েটির কী হলো। তাঁর কাছে জানতে চাইলাম, আশ্রয়কেন্দ্রে যাওয়ার আগে তিন মাস মেয়েটি কোথায় ছিল? তিনি বললেন, কোনো আত্মীয়ের বাসায় যায়নি। আমার কাছে সবকিছু কেমন গোলমেলে লাগছে। একবার মনে হচ্ছে, লোকটা ঠিক, আবার মনে হচ্ছে ভুল। মানবাধিকার সংস্থার লোকেরা নতুন একটি পরিকল্পনা করেন। তাঁরা মেয়েটির ছবি নিয়ে গ্রামের বাড়িতে যান পরিচয় নিশ্চিত হতে। সেই দলের কর্মকর্তারা ফিরে এসে জানান, সালাম ভূঁইয়ার দাবি ঠিক, মেয়েটি তাঁরই। স্কুলের শিক্ষকও ছবি দেখে পরিচয় নিশ্চিত করেছেন। তারপরও সবাইকে বোকা বানিয়ে মেয়েটি বলছে, তার মতো কেউ হতে পারে। সে কোনো দিন সেখানে ছিল না।
এভাবে আরও কিছুদিন চলল। একদিন হঠাৎ কে যেন মেয়েটির কাছে তার মায়ের নাম ধরে বলল, তোমার মা খুব অসুস্থ। মায়ের কথা শুনে সবাইকে অবাক করে দিয়ে কেঁদে ফেলে মেয়েটি। একপর্যায়ে সবার কাছে নিজের পরিচয়ের কথা স্বীকার করে। আশ্রয়কেন্দ্রের লোকেরা হাঁপ ছেড়ে বাঁচেন। এরপর দিনক্ষণ ঠিক করেন মেয়েটিকে তার বাবার হাতে তুলে দেওয়ার জন্য।
সেই দিনে আমরা দলেবলে এসেছি মেয়েটিকে তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা দেখতে। কাগজপত্রে সই করার পর মেয়েটিকে যখন বাবার কাছে দেওয়া হলো, সে বাবাকে জড়িয়ে ধরল। আবদুস সালাম ভূঁইয়ার এত দিনের জমানো কান্না গাল-মুখ বেয়ে নেমে গেল। কিন্তু মেয়েটি তখন স্বাভাবিক। বাবার কান্না থামার পর আমি মেয়েটির কাছে জানতে চাইলাম, এত দিন ধরে কেন এমন করলে? খুব নির্লিপ্ত ভঙ্গিতে মেয়েটি বলল, আমি স্বপ্ন দেখতাম, একদিন বাড়ি থেকে পালিয়ে যাব। জানতে চাইলাম, আশ্রয়কেন্দ্রে আসার আগে তিন মাস কোথায় ছিলে? এবার থেমে গেল মেয়েটি। তার চোখ ছলছল করছে। বাবার বুকে আছড়ে পড়ে বলল, আমি খারাপ লোকের পাল্লায় পড়েছিলাম। সেখানে থেকে পালিয়ে এসেছি। মেয়েটির কান্না আমাদেরও চোখ ভিজিয়ে দিল।
আরও পড়ুন:
কামরুল হাসান

নজরুলের গানে ‘বিনোদ-বেণী’ বলে একটা কথা আছে। দীঘল কালো চুলের কিশোরীর মাথায় সে রকমই বেণি করা। শ্যামলা বরন মেয়েটির মুখটা একেবারেই শান্ত, দেখলে মনে হয় ভাজা মাছটিও উল্টে খেতে জানে না। কোনো কিছু জিজ্ঞেস করলে ইংরেজির মতো করে বাংলা উচ্চারণ করে। অবাঙালির মুখে প্রথম প্রথম বাংলা শব্দ যেভাবে আছাড় খায়, অনেকটা সেই রকম। তাই আশ্রয়কেন্দ্রের সবাই এই কিশোরীর নাম দিয়েছে ‘লন্ডনী কইন্যা’।
দুই সপ্তাহ ধরে মেয়েটি রয়েছে নারায়ণগঞ্জের গোদনাইল ভবঘুরে আশ্রয়কেন্দ্রে। দলেবলে আমরা সেখানে এসেছি মেয়েটির সত্যিকারের পরিচয় জানতে। আমাদের দলে আছেন মানবাধিকার সংগঠনের একদল কর্মী, ইটিভির সাংবাদিক সুপন রায় ও তাঁর ক্যামেরাপারসন। আমরা যাওয়ার আগেই সেখানে হাজির হয়েছেন জনকণ্ঠের নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি রুমন রেজা। মানবাধিকার সংগঠন ও আশ্রয়কেন্দ্রের কর্মকর্তারা ধরে নিয়েছেন, এই মেয়ে তার নিজের পরিচয় নিয়ে সবাইকে ধন্দে ফেলে দিয়েছে।
তার আগে বলি, মেয়েটি এই আশ্রয়কেন্দ্রে এল কী করে। ২০০০ সালের ২৪ অক্টোবর এক ব্যক্তি তাকে নিয়ে ধানমন্ডি থানায় হাজির হন। পুলিশকে জানান, খুব সকালে তিনি লেকের পাড়ে হাঁটতে গিয়ে দেখেন, ধানমন্ডি ৮ নম্বর ব্রিজের কাছে একা দাঁড়িয়ে কাঁদছে মেয়েটি। ১২-১৩ বছরের মেয়েটির পরিচয় জানতে চাইলে সে জানায়, তার নাম ফ্লোরা। তারা বাঙালি ব্রিটিশ। বাড়িতে সবাই বাংলায় কথা বলে। গেল রাতের ফ্লাইটে সে বাবার সঙ্গে লন্ডন থেকে ঢাকায় এসেছে। কিন্তু বিমানবন্দরে নামার পর বাবাকে হারিয়ে ফেলে। এরপর তাঁর আর কোনো খোঁজ পায়নি। বিমানবন্দরের বাইরে উদ্দেশ্যহীন ঘোরাফেরার সময় এক লোক তাকে বেবিট্যাক্সিতে করে এনে ধানমন্ডি ব্রিজের কাছের রাস্তায় ছেড়ে দেয়। এই শহরের সে কিছুই চেনে না। তার কাছে কারও কোনো ঠিকানা নেই।
ধানমন্ডি থানা-পুলিশের একজন কর্মকর্তা অনেকক্ষণ মেয়েটির সঙ্গে কথা বলে দেশে বা বিদেশের কোনো ঠিকানা উদ্ধারের চেষ্টা করেন। ব্যর্থ হয়ে তাকে এক বেলা থানায় রেখে একটি জিডি করে পাঠানো হয় মিরপুর ভবঘুরে আশ্রয়কেন্দ্রে। সেখানে যাওয়ার পর দেখা গেল, ওই আশ্রয়কেন্দ্রে মেয়েটিকে রাখার মতো ভালো পরিবেশ নেই। এরপর তাকে পাঠানো হয় নতুন তৈরি করা গোদনাইল আশ্রয়কেন্দ্রে। সেই থেকে মেয়েটি সেখানেই আছে।
সরকারের সমাজকল্যাণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা মেয়েটির সঙ্গে কয়েক দফা কথা বলেছেন। এরপর তাঁরা মেয়েটির পরিবারকে খুঁজে বের করতে মানবাধিকার সংগঠনের সহায়তা চেয়েছেন। মানবাধিকার সংস্থা এ দায়িত্ব পাওয়ার পর মেয়েটির দেশের আসার দিনক্ষণ ধরে সব এয়ারলাইনসে খোঁজ করেছে। কিন্তু এই নামে কোনো যাত্রীর খোঁজ পায়নি। এরপর খোঁজা হয় সিলেট ও চট্টগ্রাম রুমের অভ্যন্তরীণ ফ্লাইট। সেখানেও এ নামে কোনো যাত্রী নেই। একদিন মেয়েটিকে নিয়ে বিমানবন্দরের বিভিন্ন এলাকায় ঘোরানো হয়। সেদিন ক্যানোপি এরিয়া দেখিয়ে বলে, এখান থেকেই সে বাবাকে হারিয়ে ফেলে। বিমানবন্দর ঘুরিয়ে দেখার সময় একটি ঘটনা ঘটে, এক শ্বেতাঙ্গ বিদেশি দেখে ‘পাপা’ বলে চিৎকার করে ওঠে মেয়েটি। তার চিৎকারে সেই বিদেশিও হতভম্ব হয়ে যান। পরে সবাই এ জন্য দুঃখ প্রকাশ করেন। এরপর সবাই ধরে নেন, সত্যিই মেয়েটি বিদেশ থেকে এসেছে।
মানবাধিকার সংস্থা এরপর মেয়েটির ছবি ও নাম দিয়ে ঢাকার ব্রিটিশ দূতাবাসে চিঠি পাঠায়। কিন্তু তারাও এ নিয়ে কোনো কিছু জানাতে পারে না। এ খবর ধীরে ধীরে পত্রিকা অফিসেও চলে আসে। আমার বস শংকর কুমার দে ২০০০ সালের ১৭ ডিসেম্বর মেয়েটিকে নিয়ে একটি রিপোর্ট করেন, ‘অনিশ্চয়তার আবর্তে ফ্লোরার ভবিষ্যৎ’। সে রিপোর্টে মেয়েটির ছবিও ছাপা হয়। রিপোর্ট ছাপার এক দিন পর শংকর কুমার দে সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হন। ফলোআপের দায়িত্ব পড়ে আমার ওপর। আমি মানবাধিকার সংগঠন থেকে শুরু করে দরকারি সব তথ্য জোগাড়ের চেষ্টা করি। কিন্তু সন্দেহ হয়, এই গল্পের কোথাও কোনো ফাঁক আছে। এরপর একদিন গোদনাইলে যাই মেয়েটির সঙ্গে কথা বলতে। আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে তখন অত কড়াকড়ি ছিল না। সাংবাদিক পরিচয় দিলেই কাজ হতো।
মেয়েটির সঙ্গে কথা বলে বের হওয়ার মুখে আশ্রয়কেন্দ্রের পরিচালক রুহুল আমিন আমাকে একটি মজার তথ্য দেন। তিনি বলেন, দুদিন আগে কুমিল্লার মুরাদনগর থানা থেকে আবদুস সালাম ভূঁইয়া নামের এক ব্যক্তি আসেন মেয়েটির খোঁজ নিতে। তিনি এসে বলেন, মেয়েটি তাঁর, নাম খায়রুন নেছা। তিন মাস আগে সে হঠাৎ নিখোঁজ হয়। তাঁরা বিভিন্ন স্থানে খোঁজ করেছেন, কিন্তু কোনো খোঁজ পাননি। আমি জানতে চাইলাম, মেয়েটিকে মুখোমুখি করেছিলেন কি না। তিনি বললেন, সেটা করার পর মেয়েটি বলেছে, সালাম ভূঁইয়াকে সে চেনে না। কোনো জিডি বা পুলিশ রিপোর্ট ছিল? আশ্রয়কেন্দ্রের প্রধান বললেন, তিনি সেটা করেননি। আমি তাঁকে বলেছি ছবিসহ থানায় রিপোর্ট করতে। তিনি গ্রামে ফিরে গেছেন ছবিসহ রিপোর্ট করার জন্য। তবে পত্রিকায় মেয়েটির ছবি ছাপা হওয়ার পর সে সময় আরও কয়েকজন মেয়েটির অভিভাবকত্ব দাবি করে বসেন। দুজন মেয়েটিকে দত্তক নিতে চান। কিন্তু মেয়েটি কোথাও যেতে রাজি হচ্ছিল না।
সপ্তাহখানেক পরে আবদুস সালাম ভূঁইয়া আসেন আমার কাছে, ইস্কাটনে জনকণ্ঠ ভবনে। তিনি তাঁর পরিবারের অ্যালবাম এবং জিডির কপি আমাকে দেখিয়ে বলেন, সেই ফ্লোরা তাঁরই মেয়ে। তাঁর তিন মেয়ে ও এক ছেলের মধ্যে মেয়েটি মেজ। সে স্থানীয় স্কুলে নাইনে পড়ে। তিনি স্কুলের ছবিও আমাকে দেখান। সালাম ভূঁইয়া বলেন, মাস তিনেক আগে পড়া না পারায় তাঁর বড় ছেলে তাকে থাপ্পড় মেরেছিল। সেই রাগে সে বাড়ি থেকে বের হয়ে যায়। এরপর তার আর কোনো খোঁজ নেই। তাঁরা সম্ভাব্য সব জায়গায় খোঁজ করেছেন। আমি জানতে চাইলাম, তাহলে এখন মেয়েটি আপনাকে চিনছে না কেন? কোনো রাগ ছিল? তিনি ছলছল চোখে বললেন, না ভাই, সে রকম কিছুই নেই। বুঝতে পারছি না মেয়েটির কী হলো। তাঁর কাছে জানতে চাইলাম, আশ্রয়কেন্দ্রে যাওয়ার আগে তিন মাস মেয়েটি কোথায় ছিল? তিনি বললেন, কোনো আত্মীয়ের বাসায় যায়নি। আমার কাছে সবকিছু কেমন গোলমেলে লাগছে। একবার মনে হচ্ছে, লোকটা ঠিক, আবার মনে হচ্ছে ভুল। মানবাধিকার সংস্থার লোকেরা নতুন একটি পরিকল্পনা করেন। তাঁরা মেয়েটির ছবি নিয়ে গ্রামের বাড়িতে যান পরিচয় নিশ্চিত হতে। সেই দলের কর্মকর্তারা ফিরে এসে জানান, সালাম ভূঁইয়ার দাবি ঠিক, মেয়েটি তাঁরই। স্কুলের শিক্ষকও ছবি দেখে পরিচয় নিশ্চিত করেছেন। তারপরও সবাইকে বোকা বানিয়ে মেয়েটি বলছে, তার মতো কেউ হতে পারে। সে কোনো দিন সেখানে ছিল না।
এভাবে আরও কিছুদিন চলল। একদিন হঠাৎ কে যেন মেয়েটির কাছে তার মায়ের নাম ধরে বলল, তোমার মা খুব অসুস্থ। মায়ের কথা শুনে সবাইকে অবাক করে দিয়ে কেঁদে ফেলে মেয়েটি। একপর্যায়ে সবার কাছে নিজের পরিচয়ের কথা স্বীকার করে। আশ্রয়কেন্দ্রের লোকেরা হাঁপ ছেড়ে বাঁচেন। এরপর দিনক্ষণ ঠিক করেন মেয়েটিকে তার বাবার হাতে তুলে দেওয়ার জন্য।
সেই দিনে আমরা দলেবলে এসেছি মেয়েটিকে তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা দেখতে। কাগজপত্রে সই করার পর মেয়েটিকে যখন বাবার কাছে দেওয়া হলো, সে বাবাকে জড়িয়ে ধরল। আবদুস সালাম ভূঁইয়ার এত দিনের জমানো কান্না গাল-মুখ বেয়ে নেমে গেল। কিন্তু মেয়েটি তখন স্বাভাবিক। বাবার কান্না থামার পর আমি মেয়েটির কাছে জানতে চাইলাম, এত দিন ধরে কেন এমন করলে? খুব নির্লিপ্ত ভঙ্গিতে মেয়েটি বলল, আমি স্বপ্ন দেখতাম, একদিন বাড়ি থেকে পালিয়ে যাব। জানতে চাইলাম, আশ্রয়কেন্দ্রে আসার আগে তিন মাস কোথায় ছিলে? এবার থেমে গেল মেয়েটি। তার চোখ ছলছল করছে। বাবার বুকে আছড়ে পড়ে বলল, আমি খারাপ লোকের পাল্লায় পড়েছিলাম। সেখানে থেকে পালিয়ে এসেছি। মেয়েটির কান্না আমাদেরও চোখ ভিজিয়ে দিল।
আরও পড়ুন:

নজরুলের গানে ‘বিনোদ-বেণী’ বলে একটা কথা আছে। দীঘল কালো চুলের কিশোরীর মাথায় সে রকমই বেণি করা। শ্যামলা বরন মেয়েটির মুখটা একেবারেই শান্ত, দেখলে মনে হয় ভাজা মাছটিও উল্টে খেতে জানে না। কোনো কিছু জিজ্ঞেস করলে ইংরেজির মতো করে বাংলা উচ্চারণ করে। অবাঙালির মুখে প্রথম প্রথম বাংলা শব্দ যেভাবে আছাড় খায়, অনেকটা সেই রকম। তাই আশ্রয়কেন্দ্রের সবাই এই কিশোরীর নাম দিয়েছে ‘লন্ডনী কইন্যা’।
দুই সপ্তাহ ধরে মেয়েটি রয়েছে নারায়ণগঞ্জের গোদনাইল ভবঘুরে আশ্রয়কেন্দ্রে। দলেবলে আমরা সেখানে এসেছি মেয়েটির সত্যিকারের পরিচয় জানতে। আমাদের দলে আছেন মানবাধিকার সংগঠনের একদল কর্মী, ইটিভির সাংবাদিক সুপন রায় ও তাঁর ক্যামেরাপারসন। আমরা যাওয়ার আগেই সেখানে হাজির হয়েছেন জনকণ্ঠের নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি রুমন রেজা। মানবাধিকার সংগঠন ও আশ্রয়কেন্দ্রের কর্মকর্তারা ধরে নিয়েছেন, এই মেয়ে তার নিজের পরিচয় নিয়ে সবাইকে ধন্দে ফেলে দিয়েছে।
তার আগে বলি, মেয়েটি এই আশ্রয়কেন্দ্রে এল কী করে। ২০০০ সালের ২৪ অক্টোবর এক ব্যক্তি তাকে নিয়ে ধানমন্ডি থানায় হাজির হন। পুলিশকে জানান, খুব সকালে তিনি লেকের পাড়ে হাঁটতে গিয়ে দেখেন, ধানমন্ডি ৮ নম্বর ব্রিজের কাছে একা দাঁড়িয়ে কাঁদছে মেয়েটি। ১২-১৩ বছরের মেয়েটির পরিচয় জানতে চাইলে সে জানায়, তার নাম ফ্লোরা। তারা বাঙালি ব্রিটিশ। বাড়িতে সবাই বাংলায় কথা বলে। গেল রাতের ফ্লাইটে সে বাবার সঙ্গে লন্ডন থেকে ঢাকায় এসেছে। কিন্তু বিমানবন্দরে নামার পর বাবাকে হারিয়ে ফেলে। এরপর তাঁর আর কোনো খোঁজ পায়নি। বিমানবন্দরের বাইরে উদ্দেশ্যহীন ঘোরাফেরার সময় এক লোক তাকে বেবিট্যাক্সিতে করে এনে ধানমন্ডি ব্রিজের কাছের রাস্তায় ছেড়ে দেয়। এই শহরের সে কিছুই চেনে না। তার কাছে কারও কোনো ঠিকানা নেই।
ধানমন্ডি থানা-পুলিশের একজন কর্মকর্তা অনেকক্ষণ মেয়েটির সঙ্গে কথা বলে দেশে বা বিদেশের কোনো ঠিকানা উদ্ধারের চেষ্টা করেন। ব্যর্থ হয়ে তাকে এক বেলা থানায় রেখে একটি জিডি করে পাঠানো হয় মিরপুর ভবঘুরে আশ্রয়কেন্দ্রে। সেখানে যাওয়ার পর দেখা গেল, ওই আশ্রয়কেন্দ্রে মেয়েটিকে রাখার মতো ভালো পরিবেশ নেই। এরপর তাকে পাঠানো হয় নতুন তৈরি করা গোদনাইল আশ্রয়কেন্দ্রে। সেই থেকে মেয়েটি সেখানেই আছে।
সরকারের সমাজকল্যাণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা মেয়েটির সঙ্গে কয়েক দফা কথা বলেছেন। এরপর তাঁরা মেয়েটির পরিবারকে খুঁজে বের করতে মানবাধিকার সংগঠনের সহায়তা চেয়েছেন। মানবাধিকার সংস্থা এ দায়িত্ব পাওয়ার পর মেয়েটির দেশের আসার দিনক্ষণ ধরে সব এয়ারলাইনসে খোঁজ করেছে। কিন্তু এই নামে কোনো যাত্রীর খোঁজ পায়নি। এরপর খোঁজা হয় সিলেট ও চট্টগ্রাম রুমের অভ্যন্তরীণ ফ্লাইট। সেখানেও এ নামে কোনো যাত্রী নেই। একদিন মেয়েটিকে নিয়ে বিমানবন্দরের বিভিন্ন এলাকায় ঘোরানো হয়। সেদিন ক্যানোপি এরিয়া দেখিয়ে বলে, এখান থেকেই সে বাবাকে হারিয়ে ফেলে। বিমানবন্দর ঘুরিয়ে দেখার সময় একটি ঘটনা ঘটে, এক শ্বেতাঙ্গ বিদেশি দেখে ‘পাপা’ বলে চিৎকার করে ওঠে মেয়েটি। তার চিৎকারে সেই বিদেশিও হতভম্ব হয়ে যান। পরে সবাই এ জন্য দুঃখ প্রকাশ করেন। এরপর সবাই ধরে নেন, সত্যিই মেয়েটি বিদেশ থেকে এসেছে।
মানবাধিকার সংস্থা এরপর মেয়েটির ছবি ও নাম দিয়ে ঢাকার ব্রিটিশ দূতাবাসে চিঠি পাঠায়। কিন্তু তারাও এ নিয়ে কোনো কিছু জানাতে পারে না। এ খবর ধীরে ধীরে পত্রিকা অফিসেও চলে আসে। আমার বস শংকর কুমার দে ২০০০ সালের ১৭ ডিসেম্বর মেয়েটিকে নিয়ে একটি রিপোর্ট করেন, ‘অনিশ্চয়তার আবর্তে ফ্লোরার ভবিষ্যৎ’। সে রিপোর্টে মেয়েটির ছবিও ছাপা হয়। রিপোর্ট ছাপার এক দিন পর শংকর কুমার দে সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হন। ফলোআপের দায়িত্ব পড়ে আমার ওপর। আমি মানবাধিকার সংগঠন থেকে শুরু করে দরকারি সব তথ্য জোগাড়ের চেষ্টা করি। কিন্তু সন্দেহ হয়, এই গল্পের কোথাও কোনো ফাঁক আছে। এরপর একদিন গোদনাইলে যাই মেয়েটির সঙ্গে কথা বলতে। আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে তখন অত কড়াকড়ি ছিল না। সাংবাদিক পরিচয় দিলেই কাজ হতো।
মেয়েটির সঙ্গে কথা বলে বের হওয়ার মুখে আশ্রয়কেন্দ্রের পরিচালক রুহুল আমিন আমাকে একটি মজার তথ্য দেন। তিনি বলেন, দুদিন আগে কুমিল্লার মুরাদনগর থানা থেকে আবদুস সালাম ভূঁইয়া নামের এক ব্যক্তি আসেন মেয়েটির খোঁজ নিতে। তিনি এসে বলেন, মেয়েটি তাঁর, নাম খায়রুন নেছা। তিন মাস আগে সে হঠাৎ নিখোঁজ হয়। তাঁরা বিভিন্ন স্থানে খোঁজ করেছেন, কিন্তু কোনো খোঁজ পাননি। আমি জানতে চাইলাম, মেয়েটিকে মুখোমুখি করেছিলেন কি না। তিনি বললেন, সেটা করার পর মেয়েটি বলেছে, সালাম ভূঁইয়াকে সে চেনে না। কোনো জিডি বা পুলিশ রিপোর্ট ছিল? আশ্রয়কেন্দ্রের প্রধান বললেন, তিনি সেটা করেননি। আমি তাঁকে বলেছি ছবিসহ থানায় রিপোর্ট করতে। তিনি গ্রামে ফিরে গেছেন ছবিসহ রিপোর্ট করার জন্য। তবে পত্রিকায় মেয়েটির ছবি ছাপা হওয়ার পর সে সময় আরও কয়েকজন মেয়েটির অভিভাবকত্ব দাবি করে বসেন। দুজন মেয়েটিকে দত্তক নিতে চান। কিন্তু মেয়েটি কোথাও যেতে রাজি হচ্ছিল না।
সপ্তাহখানেক পরে আবদুস সালাম ভূঁইয়া আসেন আমার কাছে, ইস্কাটনে জনকণ্ঠ ভবনে। তিনি তাঁর পরিবারের অ্যালবাম এবং জিডির কপি আমাকে দেখিয়ে বলেন, সেই ফ্লোরা তাঁরই মেয়ে। তাঁর তিন মেয়ে ও এক ছেলের মধ্যে মেয়েটি মেজ। সে স্থানীয় স্কুলে নাইনে পড়ে। তিনি স্কুলের ছবিও আমাকে দেখান। সালাম ভূঁইয়া বলেন, মাস তিনেক আগে পড়া না পারায় তাঁর বড় ছেলে তাকে থাপ্পড় মেরেছিল। সেই রাগে সে বাড়ি থেকে বের হয়ে যায়। এরপর তার আর কোনো খোঁজ নেই। তাঁরা সম্ভাব্য সব জায়গায় খোঁজ করেছেন। আমি জানতে চাইলাম, তাহলে এখন মেয়েটি আপনাকে চিনছে না কেন? কোনো রাগ ছিল? তিনি ছলছল চোখে বললেন, না ভাই, সে রকম কিছুই নেই। বুঝতে পারছি না মেয়েটির কী হলো। তাঁর কাছে জানতে চাইলাম, আশ্রয়কেন্দ্রে যাওয়ার আগে তিন মাস মেয়েটি কোথায় ছিল? তিনি বললেন, কোনো আত্মীয়ের বাসায় যায়নি। আমার কাছে সবকিছু কেমন গোলমেলে লাগছে। একবার মনে হচ্ছে, লোকটা ঠিক, আবার মনে হচ্ছে ভুল। মানবাধিকার সংস্থার লোকেরা নতুন একটি পরিকল্পনা করেন। তাঁরা মেয়েটির ছবি নিয়ে গ্রামের বাড়িতে যান পরিচয় নিশ্চিত হতে। সেই দলের কর্মকর্তারা ফিরে এসে জানান, সালাম ভূঁইয়ার দাবি ঠিক, মেয়েটি তাঁরই। স্কুলের শিক্ষকও ছবি দেখে পরিচয় নিশ্চিত করেছেন। তারপরও সবাইকে বোকা বানিয়ে মেয়েটি বলছে, তার মতো কেউ হতে পারে। সে কোনো দিন সেখানে ছিল না।
এভাবে আরও কিছুদিন চলল। একদিন হঠাৎ কে যেন মেয়েটির কাছে তার মায়ের নাম ধরে বলল, তোমার মা খুব অসুস্থ। মায়ের কথা শুনে সবাইকে অবাক করে দিয়ে কেঁদে ফেলে মেয়েটি। একপর্যায়ে সবার কাছে নিজের পরিচয়ের কথা স্বীকার করে। আশ্রয়কেন্দ্রের লোকেরা হাঁপ ছেড়ে বাঁচেন। এরপর দিনক্ষণ ঠিক করেন মেয়েটিকে তার বাবার হাতে তুলে দেওয়ার জন্য।
সেই দিনে আমরা দলেবলে এসেছি মেয়েটিকে তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা দেখতে। কাগজপত্রে সই করার পর মেয়েটিকে যখন বাবার কাছে দেওয়া হলো, সে বাবাকে জড়িয়ে ধরল। আবদুস সালাম ভূঁইয়ার এত দিনের জমানো কান্না গাল-মুখ বেয়ে নেমে গেল। কিন্তু মেয়েটি তখন স্বাভাবিক। বাবার কান্না থামার পর আমি মেয়েটির কাছে জানতে চাইলাম, এত দিন ধরে কেন এমন করলে? খুব নির্লিপ্ত ভঙ্গিতে মেয়েটি বলল, আমি স্বপ্ন দেখতাম, একদিন বাড়ি থেকে পালিয়ে যাব। জানতে চাইলাম, আশ্রয়কেন্দ্রে আসার আগে তিন মাস কোথায় ছিলে? এবার থেমে গেল মেয়েটি। তার চোখ ছলছল করছে। বাবার বুকে আছড়ে পড়ে বলল, আমি খারাপ লোকের পাল্লায় পড়েছিলাম। সেখানে থেকে পালিয়ে এসেছি। মেয়েটির কান্না আমাদেরও চোখ ভিজিয়ে দিল।
আরও পড়ুন:

রাজধানীর মোহাম্মদপুরে জেনেভা ক্যাম্পে ‘মাদক কারবারিদের’ দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে জাহিদ নিহতের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ শুক্রবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. ইবনে মিজান আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
৪ দিন আগে
এক বিজ্ঞপ্তিতে সিআইডি জানিয়েছে, নূরে আলম একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সদস্য। তিনি ফেসবুকে এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে যোগাযোগ করে জানান, তাঁর নামে বিদেশ থেকে একটি পার্সেল এসেছে, যা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাস্টম হাউসে জমা আছে। পার্সেল ছাড়াতে টাকা লাগবে—এ দাবি করে পার্সেলের ছবিও পাঠান তিনি।
৭ দিন আগে
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সভায় উপস্থিত বিএফআইইউ প্রতিনিধি বলেন, এমএফএস অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে জুয়া ও প্রতারণা বন্ধে বিটিআরসির (বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন) মাধ্যমে বার্তা দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া এমএফএস প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে বৈঠক করে তাদের কিছু নির্দেশনাও দেওয়া হবে। যেসব অ্যাকাউন্ট ব্লক (স্থগিত)
৭ দিন আগে
দেশে বসেই আন্তর্জাতিক পর্নো সাইটে সক্রিয় ছিলেন তাঁরা। ভিডিও বানিয়ে আপলোড করতেন বিভিন্ন ওয়েবসাইটে। শুধু নিজেরাই নন, এই দম্পতি অন্যদেরও এ কাজে যুক্ত করতেন বলে অভিযোগ। অবশেষে সেই আলোচিত যুগলকে বান্দরবানে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
৮ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

রাজধানীর মোহাম্মদপুরে জেনেভা ক্যাম্পে ‘মাদক কারবারিদের’ দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে জাহিদ নিহতের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
আজ শুক্রবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. ইবনে মিজান আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
গত বুধবার ভোররাতে দুই গ্রুপ মাদক কারবারির সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে নিহত হন জাহিদ (২০)। পরিবারের দাবি, দুপক্ষের সংঘর্ষ চলাকালে জাহিদের পায়ের কাছে ককটেল বিস্ফোরণ হয়। এ সময় স্প্লিন্টার তাঁর ঘাড় ও পিঠে বিদ্ধ হয়। আহত অবস্থায় উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় মোহাম্মদপুর থানায় একটি হত্যা মামলা হয়েছে। সংঘর্ষের পর ঘটনাস্থলে অভিযান পরিচালনা করে র্যাব, পুলিশ ও সেনাবাহিনী। অভিযানে একটি বিদেশি পিস্তল, একটি ম্যাগাজিন ও তিনটি তাজা গুলিসহ বিপুল পরিমাণ দেশি অস্ত্র ও পেট্রলবোমা উদ্ধার করা হয়।
জাহিদের ভগ্নিপতি মো. উজ্জ্বল জানান, রাজধানীর কল্যাণপুরে মিজান টাওয়ারে একটি মোবাইল ফোন সার্ভিসিংয়ের দোকানে কাজ করতেন জাহিদ। বুধবার রাতে বন্ধুদের সঙ্গে রেস্তোরাঁয় খেতে যাওয়ার সময় তাঁরা সংঘর্ষের মধ্যে পড়েন। পরে হাসপাতালে জাহিদের মৃত্যু হয়।
তবে পুলিশ বলছে, ককটেল তৈরির সময় বিস্ফোরণে নিহত হন জাহিদ।

রাজধানীর মোহাম্মদপুরে জেনেভা ক্যাম্পে ‘মাদক কারবারিদের’ দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে জাহিদ নিহতের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
আজ শুক্রবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. ইবনে মিজান আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
গত বুধবার ভোররাতে দুই গ্রুপ মাদক কারবারির সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে নিহত হন জাহিদ (২০)। পরিবারের দাবি, দুপক্ষের সংঘর্ষ চলাকালে জাহিদের পায়ের কাছে ককটেল বিস্ফোরণ হয়। এ সময় স্প্লিন্টার তাঁর ঘাড় ও পিঠে বিদ্ধ হয়। আহত অবস্থায় উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় মোহাম্মদপুর থানায় একটি হত্যা মামলা হয়েছে। সংঘর্ষের পর ঘটনাস্থলে অভিযান পরিচালনা করে র্যাব, পুলিশ ও সেনাবাহিনী। অভিযানে একটি বিদেশি পিস্তল, একটি ম্যাগাজিন ও তিনটি তাজা গুলিসহ বিপুল পরিমাণ দেশি অস্ত্র ও পেট্রলবোমা উদ্ধার করা হয়।
জাহিদের ভগ্নিপতি মো. উজ্জ্বল জানান, রাজধানীর কল্যাণপুরে মিজান টাওয়ারে একটি মোবাইল ফোন সার্ভিসিংয়ের দোকানে কাজ করতেন জাহিদ। বুধবার রাতে বন্ধুদের সঙ্গে রেস্তোরাঁয় খেতে যাওয়ার সময় তাঁরা সংঘর্ষের মধ্যে পড়েন। পরে হাসপাতালে জাহিদের মৃত্যু হয়।
তবে পুলিশ বলছে, ককটেল তৈরির সময় বিস্ফোরণে নিহত হন জাহিদ।

নজরুলের গানে ‘বিনোদ-বেণী’ বলে একটা কথা আছে। দীঘল কালো চুলের কিশোরীর মাথায় সে রকমই বেণি করা। শ্যামলা বরন মেয়েটির মুখটা একেবারেই শান্ত, দেখলে মনে হয় ভাজা মাছটিও উল্টে খেতে জানে না। কোনো কিছু জিজ্ঞেস করলে ইংরেজির মতো করে
১৭ সেপ্টেম্বর ২০২২
এক বিজ্ঞপ্তিতে সিআইডি জানিয়েছে, নূরে আলম একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সদস্য। তিনি ফেসবুকে এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে যোগাযোগ করে জানান, তাঁর নামে বিদেশ থেকে একটি পার্সেল এসেছে, যা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাস্টম হাউসে জমা আছে। পার্সেল ছাড়াতে টাকা লাগবে—এ দাবি করে পার্সেলের ছবিও পাঠান তিনি।
৭ দিন আগে
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সভায় উপস্থিত বিএফআইইউ প্রতিনিধি বলেন, এমএফএস অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে জুয়া ও প্রতারণা বন্ধে বিটিআরসির (বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন) মাধ্যমে বার্তা দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া এমএফএস প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে বৈঠক করে তাদের কিছু নির্দেশনাও দেওয়া হবে। যেসব অ্যাকাউন্ট ব্লক (স্থগিত)
৭ দিন আগে
দেশে বসেই আন্তর্জাতিক পর্নো সাইটে সক্রিয় ছিলেন তাঁরা। ভিডিও বানিয়ে আপলোড করতেন বিভিন্ন ওয়েবসাইটে। শুধু নিজেরাই নন, এই দম্পতি অন্যদেরও এ কাজে যুক্ত করতেন বলে অভিযোগ। অবশেষে সেই আলোচিত যুগলকে বান্দরবানে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
৮ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বিদেশ থেকে পার্সেল এসেছে—এমন দাবি করে কাস্টমস থেকে তা ছাড়িয়ে দেওয়ার কথা বলে ১১ লাখ ৮৫ হাজার টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে এক তরুণকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
গতকাল সোমবার রাতে রাজধানীর তেজগাঁও শিল্পাঞ্চলের কুনিপাড়া এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার ওই তরুণের নাম মো. নূরে আলম ওরফে তুহিন (২৪)।
এক বিজ্ঞপ্তিতে সিআইডি জানিয়েছে, নূরে আলম একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সদস্য। তিনি ফেসবুকে এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে যোগাযোগ করে জানান, তাঁর নামে বিদেশ থেকে একটি পার্সেল এসেছে, যা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাস্টম হাউসে জমা আছে। পার্সেল ছাড়াতে টাকা লাগবে—এ দাবি করে পার্সেলের ছবিও পাঠান তিনি।
পরে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন অজুহাতে ভুক্তভোগীর কাছ থেকে বিকাশ ও ব্যাংকের মাধ্যমে ১১ লাখ ৮৫ হাজার টাকা আদায় করেন নূরে আলম। টাকা পাওয়ার পর নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দেন তিনি।
ভুক্তভোগী আদালতের শরণাপন্ন হলে রামপুরা থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করা হয়। মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব পায় সিআইডির সাইবার পুলিশ সেন্টার। পরে নূরে আলমকে গ্রেপ্তার করা হয়।
সিআইডি জানায়, প্রতারক চক্রের অন্য সদস্যদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।

বিদেশ থেকে পার্সেল এসেছে—এমন দাবি করে কাস্টমস থেকে তা ছাড়িয়ে দেওয়ার কথা বলে ১১ লাখ ৮৫ হাজার টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে এক তরুণকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
গতকাল সোমবার রাতে রাজধানীর তেজগাঁও শিল্পাঞ্চলের কুনিপাড়া এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার ওই তরুণের নাম মো. নূরে আলম ওরফে তুহিন (২৪)।
এক বিজ্ঞপ্তিতে সিআইডি জানিয়েছে, নূরে আলম একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সদস্য। তিনি ফেসবুকে এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে যোগাযোগ করে জানান, তাঁর নামে বিদেশ থেকে একটি পার্সেল এসেছে, যা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাস্টম হাউসে জমা আছে। পার্সেল ছাড়াতে টাকা লাগবে—এ দাবি করে পার্সেলের ছবিও পাঠান তিনি।
পরে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন অজুহাতে ভুক্তভোগীর কাছ থেকে বিকাশ ও ব্যাংকের মাধ্যমে ১১ লাখ ৮৫ হাজার টাকা আদায় করেন নূরে আলম। টাকা পাওয়ার পর নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দেন তিনি।
ভুক্তভোগী আদালতের শরণাপন্ন হলে রামপুরা থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করা হয়। মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব পায় সিআইডির সাইবার পুলিশ সেন্টার। পরে নূরে আলমকে গ্রেপ্তার করা হয়।
সিআইডি জানায়, প্রতারক চক্রের অন্য সদস্যদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।

নজরুলের গানে ‘বিনোদ-বেণী’ বলে একটা কথা আছে। দীঘল কালো চুলের কিশোরীর মাথায় সে রকমই বেণি করা। শ্যামলা বরন মেয়েটির মুখটা একেবারেই শান্ত, দেখলে মনে হয় ভাজা মাছটিও উল্টে খেতে জানে না। কোনো কিছু জিজ্ঞেস করলে ইংরেজির মতো করে
১৭ সেপ্টেম্বর ২০২২
রাজধানীর মোহাম্মদপুরে জেনেভা ক্যাম্পে ‘মাদক কারবারিদের’ দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে জাহিদ নিহতের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ শুক্রবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. ইবনে মিজান আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
৪ দিন আগে
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সভায় উপস্থিত বিএফআইইউ প্রতিনিধি বলেন, এমএফএস অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে জুয়া ও প্রতারণা বন্ধে বিটিআরসির (বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন) মাধ্যমে বার্তা দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া এমএফএস প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে বৈঠক করে তাদের কিছু নির্দেশনাও দেওয়া হবে। যেসব অ্যাকাউন্ট ব্লক (স্থগিত)
৭ দিন আগে
দেশে বসেই আন্তর্জাতিক পর্নো সাইটে সক্রিয় ছিলেন তাঁরা। ভিডিও বানিয়ে আপলোড করতেন বিভিন্ন ওয়েবসাইটে। শুধু নিজেরাই নন, এই দম্পতি অন্যদেরও এ কাজে যুক্ত করতেন বলে অভিযোগ। অবশেষে সেই আলোচিত যুগলকে বান্দরবানে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
৮ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

জুয়া ও প্রতারণায় জড়িত থাকায় ৫০ হাজারের বেশি এমএফএস (মোবাইলভিত্তিক আর্থিক লেনদেন সেবা) অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ (স্থগিত) করেছে বিএফআইইউ (বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট)। ২০২২ সালের ডিসেম্বর থেকে চলতি মাস পর্যন্ত এই নম্বরগুলো স্থগিত করা হয়।
আজ মঙ্গলবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বিটিআরসি ভবনে ‘অনলাইন জুয়া প্রতিরোধে করণীয়’ শীর্ষক এক সভায় বিএফআইইউর প্রতিনিধি এ তথ্য জানান।
সভায় ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়, ডিজিএফআই (ডিরেক্টরেট জেনারেল অব ফোর্সেস ইন্টেলিজেন্স), এনএসআই (ন্যাশনাল সিকিউরিটি ইন্টেলিজেন্স), এনটিএমসি (ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টার), সিআইডি (ক্রিমিনাল ইনভেস্টিগেশন ডিপার্টমেন্ট), বিএফআইইউ, এমএফএস ও মোবাইল অপারেটরদের প্রতিনিধিরা অংশ নেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সভায় উপস্থিত বিএফআইইউ প্রতিনিধি বলেন, এমএফএস অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে জুয়া ও প্রতারণা বন্ধে বিটিআরসির (বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন) মাধ্যমে বার্তা দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া এমএফএস প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে বৈঠক করে তাদের কিছু নির্দেশনাও দেওয়া হবে। যেসব অ্যাকাউন্ট ব্লক (স্থগিত) করা হয়েছে, সেগুলো থেকে কোথায় কোথায় টাকা লেনদেন করা হয়েছে, তা বিশ্লেষণ করে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে প্রতিবেদন দেওয়া হবে।
ডিজিএফআই প্রতিনিধি জানান, অনলাইন জুয়ার মতো আর্থিক নানা প্রতারণায় বেনামি সিম ব্যবহার করা হচ্ছে। সংঘবদ্ধ চক্র ভুয়া সিম বিক্রি করছে। মানুষের আঙুলের ছাপ ব্যবহার করা হচ্ছে। বিকাশের অ্যাপ নকল করা হয়েছে। নাগরিকদের ডেটাবেইস ডার্ক ওয়েবে পাওয়া যাচ্ছে। এটা নিয়ে নানা অপরাধ সংঘটিত হচ্ছে।
সভায় অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিবিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, সরকার সতর্ক করার পরও অনেক গণমাধ্যমের অনলাইন পোর্টালে এখনো জুয়ার বিজ্ঞাপন প্রচার করা হচ্ছে। এ ধরনের বিজ্ঞাপন প্রচার করলে যেকোনো মুহূর্তে বিনা নোটিশে সংশ্লিষ্ট গণমাধ্যমের পোর্টাল বন্ধ করে দেওয়া হবে। প্রায় সব কটি মিডিয়ার পোর্টালে এখনো অনিরাপদ কনটেন্ট আসে। জুয়ার বিজ্ঞাপন আসে। এখান থেকে তারা টাকা পায়।
১৯ অক্টোবর পর্যন্ত জুয়ার বিজ্ঞাপন বন্ধে সময় দেওয়া হয়েছিল। তবে গণমাধ্যমগুলো তা মানছে না বলে অভিযোগ করেন বিশেষ সহকারী। তিনি বলেন, বেশ কিছু অনলাইন পোর্টাল জুয়ার বিজ্ঞাপন ও অনিরাপদ কনটেন্ট বিজ্ঞাপন প্রচার করছে। ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, ‘আমরা যেকোনো মুহূর্তে বন্ধ করে দেব। যেহেতু একাধিক নোটিশ দেওয়া হয়েছে। আমরা পাবলিকলি কোনো নোটিশ দেব না।’
অনলাইন জুয়া বন্ধে সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগ ও চ্যালেঞ্জের কথা তুলে ধরেন ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব। তিনি জানান, সরকারের হিসাবে গত মে মাস থেকে এখন পর্যন্ত ৪ হাজার ৮২০টি এমএফএস নম্বর পাওয়া গেছে। এ ছাড়া ১ হাজার ৩৩১টি ওয়েব পোর্টালের লিংক পাওয়া গেছে।
সরকারের চ্যালেঞ্জ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, যখনই একটা নম্বর ব্লক করা হয়, তখন এর চেয়ে বেশিসংখ্যক বা সমসংখ্যক নম্বর ব্যবহার করে সিগন্যাল-হোয়াটসঅ্যাপের মতো গ্রুপগুলোয় ছড়িয়ে দেওয়া হয়। আইপি পরিবর্তন করে ওয়েবসাইটের নাম একটু পরিবর্তন করা হয়। এভাবে নতুন ওয়েবসাইট বানিয়ে আবার শুরু করা হয়। এমএফএস, ওয়েব লিংক বন্ধ করার পর এ চক্রগুলো আবার অ্যাপ তৈরি ফেলে। অ্যাপগুলো অনেক ক্ষেত্রেই পাবলিশড নয়, এপিকে হিসেবে ব্যবহার করে।

জুয়া ও প্রতারণায় জড়িত থাকায় ৫০ হাজারের বেশি এমএফএস (মোবাইলভিত্তিক আর্থিক লেনদেন সেবা) অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ (স্থগিত) করেছে বিএফআইইউ (বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট)। ২০২২ সালের ডিসেম্বর থেকে চলতি মাস পর্যন্ত এই নম্বরগুলো স্থগিত করা হয়।
আজ মঙ্গলবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বিটিআরসি ভবনে ‘অনলাইন জুয়া প্রতিরোধে করণীয়’ শীর্ষক এক সভায় বিএফআইইউর প্রতিনিধি এ তথ্য জানান।
সভায় ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়, ডিজিএফআই (ডিরেক্টরেট জেনারেল অব ফোর্সেস ইন্টেলিজেন্স), এনএসআই (ন্যাশনাল সিকিউরিটি ইন্টেলিজেন্স), এনটিএমসি (ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টার), সিআইডি (ক্রিমিনাল ইনভেস্টিগেশন ডিপার্টমেন্ট), বিএফআইইউ, এমএফএস ও মোবাইল অপারেটরদের প্রতিনিধিরা অংশ নেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সভায় উপস্থিত বিএফআইইউ প্রতিনিধি বলেন, এমএফএস অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে জুয়া ও প্রতারণা বন্ধে বিটিআরসির (বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন) মাধ্যমে বার্তা দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া এমএফএস প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে বৈঠক করে তাদের কিছু নির্দেশনাও দেওয়া হবে। যেসব অ্যাকাউন্ট ব্লক (স্থগিত) করা হয়েছে, সেগুলো থেকে কোথায় কোথায় টাকা লেনদেন করা হয়েছে, তা বিশ্লেষণ করে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে প্রতিবেদন দেওয়া হবে।
ডিজিএফআই প্রতিনিধি জানান, অনলাইন জুয়ার মতো আর্থিক নানা প্রতারণায় বেনামি সিম ব্যবহার করা হচ্ছে। সংঘবদ্ধ চক্র ভুয়া সিম বিক্রি করছে। মানুষের আঙুলের ছাপ ব্যবহার করা হচ্ছে। বিকাশের অ্যাপ নকল করা হয়েছে। নাগরিকদের ডেটাবেইস ডার্ক ওয়েবে পাওয়া যাচ্ছে। এটা নিয়ে নানা অপরাধ সংঘটিত হচ্ছে।
সভায় অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিবিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, সরকার সতর্ক করার পরও অনেক গণমাধ্যমের অনলাইন পোর্টালে এখনো জুয়ার বিজ্ঞাপন প্রচার করা হচ্ছে। এ ধরনের বিজ্ঞাপন প্রচার করলে যেকোনো মুহূর্তে বিনা নোটিশে সংশ্লিষ্ট গণমাধ্যমের পোর্টাল বন্ধ করে দেওয়া হবে। প্রায় সব কটি মিডিয়ার পোর্টালে এখনো অনিরাপদ কনটেন্ট আসে। জুয়ার বিজ্ঞাপন আসে। এখান থেকে তারা টাকা পায়।
১৯ অক্টোবর পর্যন্ত জুয়ার বিজ্ঞাপন বন্ধে সময় দেওয়া হয়েছিল। তবে গণমাধ্যমগুলো তা মানছে না বলে অভিযোগ করেন বিশেষ সহকারী। তিনি বলেন, বেশ কিছু অনলাইন পোর্টাল জুয়ার বিজ্ঞাপন ও অনিরাপদ কনটেন্ট বিজ্ঞাপন প্রচার করছে। ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, ‘আমরা যেকোনো মুহূর্তে বন্ধ করে দেব। যেহেতু একাধিক নোটিশ দেওয়া হয়েছে। আমরা পাবলিকলি কোনো নোটিশ দেব না।’
অনলাইন জুয়া বন্ধে সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগ ও চ্যালেঞ্জের কথা তুলে ধরেন ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব। তিনি জানান, সরকারের হিসাবে গত মে মাস থেকে এখন পর্যন্ত ৪ হাজার ৮২০টি এমএফএস নম্বর পাওয়া গেছে। এ ছাড়া ১ হাজার ৩৩১টি ওয়েব পোর্টালের লিংক পাওয়া গেছে।
সরকারের চ্যালেঞ্জ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, যখনই একটা নম্বর ব্লক করা হয়, তখন এর চেয়ে বেশিসংখ্যক বা সমসংখ্যক নম্বর ব্যবহার করে সিগন্যাল-হোয়াটসঅ্যাপের মতো গ্রুপগুলোয় ছড়িয়ে দেওয়া হয়। আইপি পরিবর্তন করে ওয়েবসাইটের নাম একটু পরিবর্তন করা হয়। এভাবে নতুন ওয়েবসাইট বানিয়ে আবার শুরু করা হয়। এমএফএস, ওয়েব লিংক বন্ধ করার পর এ চক্রগুলো আবার অ্যাপ তৈরি ফেলে। অ্যাপগুলো অনেক ক্ষেত্রেই পাবলিশড নয়, এপিকে হিসেবে ব্যবহার করে।

নজরুলের গানে ‘বিনোদ-বেণী’ বলে একটা কথা আছে। দীঘল কালো চুলের কিশোরীর মাথায় সে রকমই বেণি করা। শ্যামলা বরন মেয়েটির মুখটা একেবারেই শান্ত, দেখলে মনে হয় ভাজা মাছটিও উল্টে খেতে জানে না। কোনো কিছু জিজ্ঞেস করলে ইংরেজির মতো করে
১৭ সেপ্টেম্বর ২০২২
রাজধানীর মোহাম্মদপুরে জেনেভা ক্যাম্পে ‘মাদক কারবারিদের’ দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে জাহিদ নিহতের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ শুক্রবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. ইবনে মিজান আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
৪ দিন আগে
এক বিজ্ঞপ্তিতে সিআইডি জানিয়েছে, নূরে আলম একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সদস্য। তিনি ফেসবুকে এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে যোগাযোগ করে জানান, তাঁর নামে বিদেশ থেকে একটি পার্সেল এসেছে, যা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাস্টম হাউসে জমা আছে। পার্সেল ছাড়াতে টাকা লাগবে—এ দাবি করে পার্সেলের ছবিও পাঠান তিনি।
৭ দিন আগে
দেশে বসেই আন্তর্জাতিক পর্নো সাইটে সক্রিয় ছিলেন তাঁরা। ভিডিও বানিয়ে আপলোড করতেন বিভিন্ন ওয়েবসাইটে। শুধু নিজেরাই নন, এই দম্পতি অন্যদেরও এ কাজে যুক্ত করতেন বলে অভিযোগ। অবশেষে সেই আলোচিত যুগলকে বান্দরবানে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
৮ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

দেশে বসেই আন্তর্জাতিক পর্নো সাইটে সক্রিয় ছিলেন তাঁরা। ভিডিও বানিয়ে আপলোড করতেন বিভিন্ন ওয়েবসাইটে। শুধু নিজেরাই নন, এই দম্পতি অন্যদেরও এ কাজে যুক্ত করতেন বলে অভিযোগ। অবশেষে সেই আলোচিত যুগলকে বান্দরবানে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
আজ সোমবার ভোরে বান্দরবান সদর উপজেলার হাজীপাড়ার বালাঘাটা এলাকা থেকে সিআইডির এলআইসি ও সাইবার পুলিশ সেন্টার (সিপিসি) ইউনিটের সদস্যরা এই যুগলকে গ্রেপ্তার করেন। গ্রেপ্তার হওয়া যুগল হলেন মুহাম্মদ আজিম (২৮) ও তাঁর স্ত্রী বৃষ্টি (২৮)। আজ বিকেলে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানায় সিআইডি।
গ্রেপ্তার আজিমের বাড়ি চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলার বুরুমছড়া গ্রামে এবং বৃষ্টির বাড়ি মানিকগঞ্জ জেলার হরিরামপুর উপজেলার আন্ধারমানিক (খালপাড়) গ্রামে।
সিআইডির প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, এই যুগল ২০২৪ সালের মে মাসে আন্তর্জাতিক এক পর্নো সাইটে প্রথম ভিডিও আপলোড করেন। এরপর এক বছরের মধ্যে তাঁরা ১১২টি ভিডিও আপলোড করেছেন, যেগুলো বিশ্বব্যাপী ২ কোটি ৬৭ লাখের বেশিবার দেখা হয়েছে।
এই যুগল এতটাই জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন যে, ২০২৫ সালের অক্টোবর মাসে আন্তর্জাতিক পারফর্মার র্যাঙ্কিংয়ে তাঁদের অবস্থান উঠে আসে অষ্টম স্থানে। ভিডিও আপলোড ছাড়াও তাঁরা বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম—বিশেষ করে, ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম ও টেলিগ্রামের মাধ্যমে নিজেদের কর্মকাণ্ডের প্রচারণা চালাতেন। এসব প্ল্যাটফর্মে নতুনদের এ কাজে যুক্ত হওয়ার আহ্বান জানানো হতো।
তদন্তকারীরা বলছেন, আগ্রহীদের ‘ক্রিয়েটর’ হিসেবে যুক্ত করতে তাঁরা টেলিগ্রাম চ্যানেলে নানা প্রলোভন দেখিয়ে বিজ্ঞাপন দিতেন। নতুন কেউ যুক্ত হলে তাঁকে নগদ অর্থ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হতো। কেউ যোগাযোগ করলে তাঁদের ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করতে উৎসাহিত করতেন আজিম ও বৃষ্টি।
সিআইডির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এই যুগল প্রাথমিক বিদ্যালয়ের গণ্ডি পেরোতে পারেননি। তবে অনলাইনে তাঁদের বিলাসবহুল জীবনধারার নানা ছবি পাওয়া যায়, যা সমাজে নেতিবাচক বার্তা দিচ্ছে। এসব কার্যক্রম সামাজিক ও নৈতিকভাবে যেমন উদ্বেগজনক, তেমনি দেশের প্রচলিত আইনেরও লঙ্ঘন।
অভিযানের সময় তাঁদের কাছ থেকে মোবাইল ফোন, সিম কার্ড, ক্যামেরা, ট্রাইপডসহ ভিডিও ধারণের বিভিন্ন যন্ত্রপাতি জব্দ করা হয়েছে। তাঁদের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা রুজু করা হয়েছে। একই সঙ্গে আদালতে সোপর্দ করে রিমান্ড চেয়ে আবেদন করা হবে বলে জানিয়েছে সিআইডি।
সিআইডির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, পর্নোগ্রাফি ছড়িয়ে দেওয়ার সঙ্গে যুক্ত অন্যদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তারে তদন্ত অব্যাহত রয়েছে।

দেশে বসেই আন্তর্জাতিক পর্নো সাইটে সক্রিয় ছিলেন তাঁরা। ভিডিও বানিয়ে আপলোড করতেন বিভিন্ন ওয়েবসাইটে। শুধু নিজেরাই নন, এই দম্পতি অন্যদেরও এ কাজে যুক্ত করতেন বলে অভিযোগ। অবশেষে সেই আলোচিত যুগলকে বান্দরবানে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
আজ সোমবার ভোরে বান্দরবান সদর উপজেলার হাজীপাড়ার বালাঘাটা এলাকা থেকে সিআইডির এলআইসি ও সাইবার পুলিশ সেন্টার (সিপিসি) ইউনিটের সদস্যরা এই যুগলকে গ্রেপ্তার করেন। গ্রেপ্তার হওয়া যুগল হলেন মুহাম্মদ আজিম (২৮) ও তাঁর স্ত্রী বৃষ্টি (২৮)। আজ বিকেলে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানায় সিআইডি।
গ্রেপ্তার আজিমের বাড়ি চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলার বুরুমছড়া গ্রামে এবং বৃষ্টির বাড়ি মানিকগঞ্জ জেলার হরিরামপুর উপজেলার আন্ধারমানিক (খালপাড়) গ্রামে।
সিআইডির প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, এই যুগল ২০২৪ সালের মে মাসে আন্তর্জাতিক এক পর্নো সাইটে প্রথম ভিডিও আপলোড করেন। এরপর এক বছরের মধ্যে তাঁরা ১১২টি ভিডিও আপলোড করেছেন, যেগুলো বিশ্বব্যাপী ২ কোটি ৬৭ লাখের বেশিবার দেখা হয়েছে।
এই যুগল এতটাই জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন যে, ২০২৫ সালের অক্টোবর মাসে আন্তর্জাতিক পারফর্মার র্যাঙ্কিংয়ে তাঁদের অবস্থান উঠে আসে অষ্টম স্থানে। ভিডিও আপলোড ছাড়াও তাঁরা বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম—বিশেষ করে, ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম ও টেলিগ্রামের মাধ্যমে নিজেদের কর্মকাণ্ডের প্রচারণা চালাতেন। এসব প্ল্যাটফর্মে নতুনদের এ কাজে যুক্ত হওয়ার আহ্বান জানানো হতো।
তদন্তকারীরা বলছেন, আগ্রহীদের ‘ক্রিয়েটর’ হিসেবে যুক্ত করতে তাঁরা টেলিগ্রাম চ্যানেলে নানা প্রলোভন দেখিয়ে বিজ্ঞাপন দিতেন। নতুন কেউ যুক্ত হলে তাঁকে নগদ অর্থ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হতো। কেউ যোগাযোগ করলে তাঁদের ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করতে উৎসাহিত করতেন আজিম ও বৃষ্টি।
সিআইডির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এই যুগল প্রাথমিক বিদ্যালয়ের গণ্ডি পেরোতে পারেননি। তবে অনলাইনে তাঁদের বিলাসবহুল জীবনধারার নানা ছবি পাওয়া যায়, যা সমাজে নেতিবাচক বার্তা দিচ্ছে। এসব কার্যক্রম সামাজিক ও নৈতিকভাবে যেমন উদ্বেগজনক, তেমনি দেশের প্রচলিত আইনেরও লঙ্ঘন।
অভিযানের সময় তাঁদের কাছ থেকে মোবাইল ফোন, সিম কার্ড, ক্যামেরা, ট্রাইপডসহ ভিডিও ধারণের বিভিন্ন যন্ত্রপাতি জব্দ করা হয়েছে। তাঁদের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা রুজু করা হয়েছে। একই সঙ্গে আদালতে সোপর্দ করে রিমান্ড চেয়ে আবেদন করা হবে বলে জানিয়েছে সিআইডি।
সিআইডির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, পর্নোগ্রাফি ছড়িয়ে দেওয়ার সঙ্গে যুক্ত অন্যদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তারে তদন্ত অব্যাহত রয়েছে।

নজরুলের গানে ‘বিনোদ-বেণী’ বলে একটা কথা আছে। দীঘল কালো চুলের কিশোরীর মাথায় সে রকমই বেণি করা। শ্যামলা বরন মেয়েটির মুখটা একেবারেই শান্ত, দেখলে মনে হয় ভাজা মাছটিও উল্টে খেতে জানে না। কোনো কিছু জিজ্ঞেস করলে ইংরেজির মতো করে
১৭ সেপ্টেম্বর ২০২২
রাজধানীর মোহাম্মদপুরে জেনেভা ক্যাম্পে ‘মাদক কারবারিদের’ দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে জাহিদ নিহতের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ শুক্রবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. ইবনে মিজান আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
৪ দিন আগে
এক বিজ্ঞপ্তিতে সিআইডি জানিয়েছে, নূরে আলম একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সদস্য। তিনি ফেসবুকে এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে যোগাযোগ করে জানান, তাঁর নামে বিদেশ থেকে একটি পার্সেল এসেছে, যা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাস্টম হাউসে জমা আছে। পার্সেল ছাড়াতে টাকা লাগবে—এ দাবি করে পার্সেলের ছবিও পাঠান তিনি।
৭ দিন আগে
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সভায় উপস্থিত বিএফআইইউ প্রতিনিধি বলেন, এমএফএস অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে জুয়া ও প্রতারণা বন্ধে বিটিআরসির (বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন) মাধ্যমে বার্তা দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া এমএফএস প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে বৈঠক করে তাদের কিছু নির্দেশনাও দেওয়া হবে। যেসব অ্যাকাউন্ট ব্লক (স্থগিত)
৭ দিন আগে