কামরুল হাসান

ভালো একটা নিউজ হাতে পাওয়া একজন সংবাদকর্মীর কাছে লটারি জেতার মতো। ভাগ্য ভালো থাকলে মিলবে, না হলে নয়। একবার কুষ্টিয়ায় গিয়ে তেমনই সংকটে পড়তে হলো আমাকে। দিনকয়েক ঘুরেফিরে ভালো কোনো নিউজ মিলল না, যা পেলাম তাতে মন ভরে না। অনেকটা মন খারাপ করে একদিন বিকেলে গেলাম পাশের জেলা মেহেরপুরে।
মেহেরপুর শহরটা আগে থেকেই পছন্দের। ছোট শহরটায় যেমন পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাস্তাঘাট, তেমনি মানুষের পরিশীলিত আচার-আচরণ। তা ছাড়া একাত্তরের বিজয়ের স্মৃতি তো আছেই।
মেহেরপুর পৌর ভবনের ওপর তলায় একটি সাজানো-গোছানো বিশ্রামাগার আছে। ভাড়ার বিনিময়ে সেখানে রাত্রিবাস করা যায়। সেই বিশ্রামাগারেই আমার থাকার বন্দোবস্ত করে দিলেন সাংবাদিক তুহিন আরণ্য। পৌর ভবনের পাশেই তাঁর বাড়ি। সঙ্গে তিনি আবদার করলেন, রাতে তাঁর বাসাতেই আহার সারতে হবে।
তুহিনের আবদারে আমার কিছুটা অসম্মতি থাকলেও ধোপে টিকল না। অবশ্য সেই খাবার টেবিলে আলোচনায় মিলে গেল একটি মজার নিউজের খোঁজ। কথায় কথায় তাঁদের পরিবারের কে একজন বললেন, মেহেরপুরে একজন রাজনীতিক আছেন, যিনি সবাইকে মেরে বেড়ান। চোখের সামনে কেউ কিছু অনিয়ম করলে, অবাধ্য হলে বা কারও কোনো ত্রুটি ধরা পড়লে তিনি কোনো অভিযোগ করেন না। শুধু মারধর করেন। শিক্ষক, চিকিৎসক, প্রকৌশলী, ব্যাংক কর্মকর্তা—কেউই তাঁর মার খাওয়ার তালিকা থেকে বাদ নেই।
তুহিনের বাড়ির মজাদার খাবার খাচ্ছি আর মজা করে গল্প শুনছি। মনে হলো, রাতের ভালো খাবারের সঙ্গে ভালো নিউজের ক্ষুধাটাও মিটে গেল। ফুরফুরে মনে ফিরে এলাম বিশ্রামাগারে।
সকাল থেকেই শুরু হলো সেই নিউজের খোঁজখবর। যে ব্যক্তিকে নিয়ে এত আলোচনা, তাঁর নাম আহম্মদ আলী। তিনি তখন মেহেরপুরের গাংনী পৌরসভার মেয়র। একসময় উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ছিলেন। তিনি কতজনকে মেরেছেন, তার একটি তালিকা জোগাড় করতে গিয়ে দেখি, মাত্র এক মাসেই তিনি ১৫ জন সরকারি-বেসরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীকে মেরেছেন। মারধরের কারণগুলোও অদ্ভুত।
খোঁজ নিতে গিয়ে জানতে পারলাম, সর্বশেষ মার খেয়েছেন কৃষি ব্যাংকের গাংনী উপজেলা শাখার ব্যবস্থাপক ইমারত হোসেন। তিনি জানালেন, একদিন ঋণ নেওয়ার জন্য এক লোককে তাঁর কাছে পাঠিয়েছিলেন মেয়র। কিন্তু সেই লোকের জমির দাগ ও খতিয়ান নম্বর ঠিক ছিল না। তিনি তাঁকে ঋণ না দিয়ে ফিরিয়ে দেন। এ খবর পেয়ে মেয়র এসে তাঁকে কষে চড় মারেন।
মার খাওয়া আরেকজন ছিলেন গাংনী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক আবদুস সালাম। তিনি বললেন, ‘আমি রোগী দেখছি না, এমন অভিযোগ পেয়ে মেয়র এসে প্রথমে আমাকে মারলেন, তারপর মারলেন আমার নার্সকে। অবশ্য এর প্রতিবাদে চিকিৎসকেরা পরে মানববন্ধন করেছিলেন।’পৌরসভার প্রকৌশলী কাওসার আলী বললেন, ‘সময়মতো কাজ হয়নি বলে মেয়র একদিন অফিস কক্ষের জানালা-দরজা বন্ধ করে আমাকে লাঠি দিয়ে পেটান। এরপর আমি মেহেরপুর ছেড়ে চলে যাই।’
আরও শুনলাম পৌরসভার ক্যাশিয়ার আবুল কালাম আজাদ, ওয়ার্ক অ্যাসিস্ট্যান্ট নাসির উদ্দিন, টিকাদানকারী আবু তাহেরও কয়েক দফা মার খেয়েছেন। তো বিস্তারিত শুনতে গেলাম আবু তাহেরের কাছে। তিনি আমার পরিচয় পেয়ে বললেন, ‘আপনার কি মাথা খারাপ, এটা বললে তো আমি আবার মার খাব।’
এ রকম আরেকটি মারধরের ঘটনা ছিল গাংনী পল্লী বিদ্যুৎ অফিসে। একদিন বিদ্যুৎ চলে গেলে বিদ্যুতের কন্ট্রোল রুমে ফোন করেন মেয়র। এ সময় কেউ তাঁর ফোন ধরেননি। এরপর তিনি বাড়ি থেকে বিদ্যুৎ অফিসে এসে সামনে যাঁকে পেয়েছেন, তাঁকেই মেরেছেন। এ রকম আরও বেশ কয়েকজনের কাহিনি শুনলাম। সবার কথা শুনে মনে হলো, মারধর ছাড়া যেন আর কিছুই জানেন না আহম্মদ আলী।
ভালো করে খোঁজ নিয়ে জানলাম, আহম্মদ আলীর এই মারধর নিয়ে আওয়ামী লীগের স্থানীয় নেতারা বিভক্ত। এক পক্ষ তাঁর মারধর করাকে সমর্থন করে, আরেক পক্ষের রয়েছে বিরোধিতা। সে সময় মেয়রের পক্ষে ছিলেন সাবেক সংসদ সদস্য ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি মকবুল হোসেন। তিনি আমাকে বললেন, এ দেশের আইনি ব্যবস্থা সব অন্যায়ের তাৎক্ষণিক সাজা দিতে পারে না। সে কারণে মেয়রের এমন আচরণ দুর্নীতি ও অনিয়ম রোধে ভূমিকা রাখতে পারে। আবার মেয়রের বিরুদ্ধে ছিলেন গাংনী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবদুল খালেক। তিনি বললেন, মেয়রের হাতে এভাবে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী ও নিরীহ নাগরিকদের মার খাওয়াটা খুবই নিন্দনীয়। তিনি আইন হাতে তুলে নিতে পারেন না।
সবার কথা শেষ করে এবার এলাম মেয়র আহম্মদ আলীর কাছে। তাঁর কাছে জানতে চাইলাম, মারেন কেন? তাঁর সাফ জবাব, ‘খারাপ কিছু দেখলেই প্রতিবাদ করি। এটাই আমার কাজ। মানুষ আমাকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করেছে। এটা আমি করেই যাব।’ উল্টো আমার দিকে প্রশ্ন ছুড়ে দিয়ে বললেন, ‘আমি ওদের মুরব্বি, আমি কি শাসন করতে পারব না?’
শেষ পর্যন্ত আহম্মদ আলীকে নিয়ে রিপোর্টটি ব্যাপক সাড়া পেল। প্রথম আলোয় সেটা ছাপা হয়েছিল ‘তিনি শুধুই মারেন’ শিরোনামে। ২০১১ সালের ১২ আগস্ট সেই রিপোর্ট প্রকাশের পর বেশ হইচই পড়ে গেল। দুপুরের দিকে আহম্মদ আলী আমাকে ফোন করলেন। তাঁকে বেশ রাগান্বিত মনে হলো। তাঁর কথাবার্তা শুনে মনে হচ্ছিল, হাতের কাছে পেলে হয়তো আমিও রক্ষা পেতাম না। এরপর অনেক দিন আর আহম্মদ আলীর কোনো খোঁজখবর করা হয়নি।
মেহেরপুরের কথাসাহিত্যিক রফিকুর রশীদের সঙ্গে কথা হচ্ছিল। কথায় কথায় এল আহম্মদ আলীর প্রসঙ্গ। আহম্মদ আলী আবারও মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন। রফিকুর রশীদ বললেন, আহম্মদ আলী একেবারে চুপ হয়ে গেছেন। রীতিমতো বদলে যাওয়া মানুষ। এখন আর কোনো অধিকার আদায়ে তিনি সরব নন।
রফিকুর রশীদের ফোন রাখতেই ১১ বছর আগের আহম্মদ আলীকে মনে পড়ে গেল। নম্বর জোগাড় করে তাঁকে ফোন দিলাম। তিনি আমাকে ঠিকই চিনতে পারলেন। বাঘের মতো সাহসী লোকটার কাছে জানতে চাইলাম, হঠাৎ কেন নীরব হয়ে গেলেন? মেহেরপুরে কি আর কোনো অন্যায় নেই?
আমার প্রশ্ন শুনে অনেকক্ষণ হো হো করে হাসলেন আহম্মদ আলী। বললেন, ‘এখন সরব প্রতিবাদের দিন শেষ হয়ে গেছে। মানুষ এখন আর কোনো প্রতিবাদ নিতে পারে না, সবাই কেমন যেন হয়ে গেছে। এ বয়সে এসে এত সব করে কী হবে? তার চেয়ে নীরবই থেকে যাই। তাই নীরব হয়ে আছি।’
এরপর থেকে বারবার মনে হচ্ছে, আহম্মদ আলী বললেন ঠিকই, আসলেই কি প্রতিবাদের দিন শেষ হয়ে গেছে?
আরও পড়ুন:

ভালো একটা নিউজ হাতে পাওয়া একজন সংবাদকর্মীর কাছে লটারি জেতার মতো। ভাগ্য ভালো থাকলে মিলবে, না হলে নয়। একবার কুষ্টিয়ায় গিয়ে তেমনই সংকটে পড়তে হলো আমাকে। দিনকয়েক ঘুরেফিরে ভালো কোনো নিউজ মিলল না, যা পেলাম তাতে মন ভরে না। অনেকটা মন খারাপ করে একদিন বিকেলে গেলাম পাশের জেলা মেহেরপুরে।
মেহেরপুর শহরটা আগে থেকেই পছন্দের। ছোট শহরটায় যেমন পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাস্তাঘাট, তেমনি মানুষের পরিশীলিত আচার-আচরণ। তা ছাড়া একাত্তরের বিজয়ের স্মৃতি তো আছেই।
মেহেরপুর পৌর ভবনের ওপর তলায় একটি সাজানো-গোছানো বিশ্রামাগার আছে। ভাড়ার বিনিময়ে সেখানে রাত্রিবাস করা যায়। সেই বিশ্রামাগারেই আমার থাকার বন্দোবস্ত করে দিলেন সাংবাদিক তুহিন আরণ্য। পৌর ভবনের পাশেই তাঁর বাড়ি। সঙ্গে তিনি আবদার করলেন, রাতে তাঁর বাসাতেই আহার সারতে হবে।
তুহিনের আবদারে আমার কিছুটা অসম্মতি থাকলেও ধোপে টিকল না। অবশ্য সেই খাবার টেবিলে আলোচনায় মিলে গেল একটি মজার নিউজের খোঁজ। কথায় কথায় তাঁদের পরিবারের কে একজন বললেন, মেহেরপুরে একজন রাজনীতিক আছেন, যিনি সবাইকে মেরে বেড়ান। চোখের সামনে কেউ কিছু অনিয়ম করলে, অবাধ্য হলে বা কারও কোনো ত্রুটি ধরা পড়লে তিনি কোনো অভিযোগ করেন না। শুধু মারধর করেন। শিক্ষক, চিকিৎসক, প্রকৌশলী, ব্যাংক কর্মকর্তা—কেউই তাঁর মার খাওয়ার তালিকা থেকে বাদ নেই।
তুহিনের বাড়ির মজাদার খাবার খাচ্ছি আর মজা করে গল্প শুনছি। মনে হলো, রাতের ভালো খাবারের সঙ্গে ভালো নিউজের ক্ষুধাটাও মিটে গেল। ফুরফুরে মনে ফিরে এলাম বিশ্রামাগারে।
সকাল থেকেই শুরু হলো সেই নিউজের খোঁজখবর। যে ব্যক্তিকে নিয়ে এত আলোচনা, তাঁর নাম আহম্মদ আলী। তিনি তখন মেহেরপুরের গাংনী পৌরসভার মেয়র। একসময় উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ছিলেন। তিনি কতজনকে মেরেছেন, তার একটি তালিকা জোগাড় করতে গিয়ে দেখি, মাত্র এক মাসেই তিনি ১৫ জন সরকারি-বেসরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীকে মেরেছেন। মারধরের কারণগুলোও অদ্ভুত।
খোঁজ নিতে গিয়ে জানতে পারলাম, সর্বশেষ মার খেয়েছেন কৃষি ব্যাংকের গাংনী উপজেলা শাখার ব্যবস্থাপক ইমারত হোসেন। তিনি জানালেন, একদিন ঋণ নেওয়ার জন্য এক লোককে তাঁর কাছে পাঠিয়েছিলেন মেয়র। কিন্তু সেই লোকের জমির দাগ ও খতিয়ান নম্বর ঠিক ছিল না। তিনি তাঁকে ঋণ না দিয়ে ফিরিয়ে দেন। এ খবর পেয়ে মেয়র এসে তাঁকে কষে চড় মারেন।
মার খাওয়া আরেকজন ছিলেন গাংনী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক আবদুস সালাম। তিনি বললেন, ‘আমি রোগী দেখছি না, এমন অভিযোগ পেয়ে মেয়র এসে প্রথমে আমাকে মারলেন, তারপর মারলেন আমার নার্সকে। অবশ্য এর প্রতিবাদে চিকিৎসকেরা পরে মানববন্ধন করেছিলেন।’পৌরসভার প্রকৌশলী কাওসার আলী বললেন, ‘সময়মতো কাজ হয়নি বলে মেয়র একদিন অফিস কক্ষের জানালা-দরজা বন্ধ করে আমাকে লাঠি দিয়ে পেটান। এরপর আমি মেহেরপুর ছেড়ে চলে যাই।’
আরও শুনলাম পৌরসভার ক্যাশিয়ার আবুল কালাম আজাদ, ওয়ার্ক অ্যাসিস্ট্যান্ট নাসির উদ্দিন, টিকাদানকারী আবু তাহেরও কয়েক দফা মার খেয়েছেন। তো বিস্তারিত শুনতে গেলাম আবু তাহেরের কাছে। তিনি আমার পরিচয় পেয়ে বললেন, ‘আপনার কি মাথা খারাপ, এটা বললে তো আমি আবার মার খাব।’
এ রকম আরেকটি মারধরের ঘটনা ছিল গাংনী পল্লী বিদ্যুৎ অফিসে। একদিন বিদ্যুৎ চলে গেলে বিদ্যুতের কন্ট্রোল রুমে ফোন করেন মেয়র। এ সময় কেউ তাঁর ফোন ধরেননি। এরপর তিনি বাড়ি থেকে বিদ্যুৎ অফিসে এসে সামনে যাঁকে পেয়েছেন, তাঁকেই মেরেছেন। এ রকম আরও বেশ কয়েকজনের কাহিনি শুনলাম। সবার কথা শুনে মনে হলো, মারধর ছাড়া যেন আর কিছুই জানেন না আহম্মদ আলী।
ভালো করে খোঁজ নিয়ে জানলাম, আহম্মদ আলীর এই মারধর নিয়ে আওয়ামী লীগের স্থানীয় নেতারা বিভক্ত। এক পক্ষ তাঁর মারধর করাকে সমর্থন করে, আরেক পক্ষের রয়েছে বিরোধিতা। সে সময় মেয়রের পক্ষে ছিলেন সাবেক সংসদ সদস্য ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি মকবুল হোসেন। তিনি আমাকে বললেন, এ দেশের আইনি ব্যবস্থা সব অন্যায়ের তাৎক্ষণিক সাজা দিতে পারে না। সে কারণে মেয়রের এমন আচরণ দুর্নীতি ও অনিয়ম রোধে ভূমিকা রাখতে পারে। আবার মেয়রের বিরুদ্ধে ছিলেন গাংনী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবদুল খালেক। তিনি বললেন, মেয়রের হাতে এভাবে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী ও নিরীহ নাগরিকদের মার খাওয়াটা খুবই নিন্দনীয়। তিনি আইন হাতে তুলে নিতে পারেন না।
সবার কথা শেষ করে এবার এলাম মেয়র আহম্মদ আলীর কাছে। তাঁর কাছে জানতে চাইলাম, মারেন কেন? তাঁর সাফ জবাব, ‘খারাপ কিছু দেখলেই প্রতিবাদ করি। এটাই আমার কাজ। মানুষ আমাকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করেছে। এটা আমি করেই যাব।’ উল্টো আমার দিকে প্রশ্ন ছুড়ে দিয়ে বললেন, ‘আমি ওদের মুরব্বি, আমি কি শাসন করতে পারব না?’
শেষ পর্যন্ত আহম্মদ আলীকে নিয়ে রিপোর্টটি ব্যাপক সাড়া পেল। প্রথম আলোয় সেটা ছাপা হয়েছিল ‘তিনি শুধুই মারেন’ শিরোনামে। ২০১১ সালের ১২ আগস্ট সেই রিপোর্ট প্রকাশের পর বেশ হইচই পড়ে গেল। দুপুরের দিকে আহম্মদ আলী আমাকে ফোন করলেন। তাঁকে বেশ রাগান্বিত মনে হলো। তাঁর কথাবার্তা শুনে মনে হচ্ছিল, হাতের কাছে পেলে হয়তো আমিও রক্ষা পেতাম না। এরপর অনেক দিন আর আহম্মদ আলীর কোনো খোঁজখবর করা হয়নি।
মেহেরপুরের কথাসাহিত্যিক রফিকুর রশীদের সঙ্গে কথা হচ্ছিল। কথায় কথায় এল আহম্মদ আলীর প্রসঙ্গ। আহম্মদ আলী আবারও মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন। রফিকুর রশীদ বললেন, আহম্মদ আলী একেবারে চুপ হয়ে গেছেন। রীতিমতো বদলে যাওয়া মানুষ। এখন আর কোনো অধিকার আদায়ে তিনি সরব নন।
রফিকুর রশীদের ফোন রাখতেই ১১ বছর আগের আহম্মদ আলীকে মনে পড়ে গেল। নম্বর জোগাড় করে তাঁকে ফোন দিলাম। তিনি আমাকে ঠিকই চিনতে পারলেন। বাঘের মতো সাহসী লোকটার কাছে জানতে চাইলাম, হঠাৎ কেন নীরব হয়ে গেলেন? মেহেরপুরে কি আর কোনো অন্যায় নেই?
আমার প্রশ্ন শুনে অনেকক্ষণ হো হো করে হাসলেন আহম্মদ আলী। বললেন, ‘এখন সরব প্রতিবাদের দিন শেষ হয়ে গেছে। মানুষ এখন আর কোনো প্রতিবাদ নিতে পারে না, সবাই কেমন যেন হয়ে গেছে। এ বয়সে এসে এত সব করে কী হবে? তার চেয়ে নীরবই থেকে যাই। তাই নীরব হয়ে আছি।’
এরপর থেকে বারবার মনে হচ্ছে, আহম্মদ আলী বললেন ঠিকই, আসলেই কি প্রতিবাদের দিন শেষ হয়ে গেছে?
আরও পড়ুন:
কামরুল হাসান

ভালো একটা নিউজ হাতে পাওয়া একজন সংবাদকর্মীর কাছে লটারি জেতার মতো। ভাগ্য ভালো থাকলে মিলবে, না হলে নয়। একবার কুষ্টিয়ায় গিয়ে তেমনই সংকটে পড়তে হলো আমাকে। দিনকয়েক ঘুরেফিরে ভালো কোনো নিউজ মিলল না, যা পেলাম তাতে মন ভরে না। অনেকটা মন খারাপ করে একদিন বিকেলে গেলাম পাশের জেলা মেহেরপুরে।
মেহেরপুর শহরটা আগে থেকেই পছন্দের। ছোট শহরটায় যেমন পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাস্তাঘাট, তেমনি মানুষের পরিশীলিত আচার-আচরণ। তা ছাড়া একাত্তরের বিজয়ের স্মৃতি তো আছেই।
মেহেরপুর পৌর ভবনের ওপর তলায় একটি সাজানো-গোছানো বিশ্রামাগার আছে। ভাড়ার বিনিময়ে সেখানে রাত্রিবাস করা যায়। সেই বিশ্রামাগারেই আমার থাকার বন্দোবস্ত করে দিলেন সাংবাদিক তুহিন আরণ্য। পৌর ভবনের পাশেই তাঁর বাড়ি। সঙ্গে তিনি আবদার করলেন, রাতে তাঁর বাসাতেই আহার সারতে হবে।
তুহিনের আবদারে আমার কিছুটা অসম্মতি থাকলেও ধোপে টিকল না। অবশ্য সেই খাবার টেবিলে আলোচনায় মিলে গেল একটি মজার নিউজের খোঁজ। কথায় কথায় তাঁদের পরিবারের কে একজন বললেন, মেহেরপুরে একজন রাজনীতিক আছেন, যিনি সবাইকে মেরে বেড়ান। চোখের সামনে কেউ কিছু অনিয়ম করলে, অবাধ্য হলে বা কারও কোনো ত্রুটি ধরা পড়লে তিনি কোনো অভিযোগ করেন না। শুধু মারধর করেন। শিক্ষক, চিকিৎসক, প্রকৌশলী, ব্যাংক কর্মকর্তা—কেউই তাঁর মার খাওয়ার তালিকা থেকে বাদ নেই।
তুহিনের বাড়ির মজাদার খাবার খাচ্ছি আর মজা করে গল্প শুনছি। মনে হলো, রাতের ভালো খাবারের সঙ্গে ভালো নিউজের ক্ষুধাটাও মিটে গেল। ফুরফুরে মনে ফিরে এলাম বিশ্রামাগারে।
সকাল থেকেই শুরু হলো সেই নিউজের খোঁজখবর। যে ব্যক্তিকে নিয়ে এত আলোচনা, তাঁর নাম আহম্মদ আলী। তিনি তখন মেহেরপুরের গাংনী পৌরসভার মেয়র। একসময় উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ছিলেন। তিনি কতজনকে মেরেছেন, তার একটি তালিকা জোগাড় করতে গিয়ে দেখি, মাত্র এক মাসেই তিনি ১৫ জন সরকারি-বেসরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীকে মেরেছেন। মারধরের কারণগুলোও অদ্ভুত।
খোঁজ নিতে গিয়ে জানতে পারলাম, সর্বশেষ মার খেয়েছেন কৃষি ব্যাংকের গাংনী উপজেলা শাখার ব্যবস্থাপক ইমারত হোসেন। তিনি জানালেন, একদিন ঋণ নেওয়ার জন্য এক লোককে তাঁর কাছে পাঠিয়েছিলেন মেয়র। কিন্তু সেই লোকের জমির দাগ ও খতিয়ান নম্বর ঠিক ছিল না। তিনি তাঁকে ঋণ না দিয়ে ফিরিয়ে দেন। এ খবর পেয়ে মেয়র এসে তাঁকে কষে চড় মারেন।
মার খাওয়া আরেকজন ছিলেন গাংনী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক আবদুস সালাম। তিনি বললেন, ‘আমি রোগী দেখছি না, এমন অভিযোগ পেয়ে মেয়র এসে প্রথমে আমাকে মারলেন, তারপর মারলেন আমার নার্সকে। অবশ্য এর প্রতিবাদে চিকিৎসকেরা পরে মানববন্ধন করেছিলেন।’পৌরসভার প্রকৌশলী কাওসার আলী বললেন, ‘সময়মতো কাজ হয়নি বলে মেয়র একদিন অফিস কক্ষের জানালা-দরজা বন্ধ করে আমাকে লাঠি দিয়ে পেটান। এরপর আমি মেহেরপুর ছেড়ে চলে যাই।’
আরও শুনলাম পৌরসভার ক্যাশিয়ার আবুল কালাম আজাদ, ওয়ার্ক অ্যাসিস্ট্যান্ট নাসির উদ্দিন, টিকাদানকারী আবু তাহেরও কয়েক দফা মার খেয়েছেন। তো বিস্তারিত শুনতে গেলাম আবু তাহেরের কাছে। তিনি আমার পরিচয় পেয়ে বললেন, ‘আপনার কি মাথা খারাপ, এটা বললে তো আমি আবার মার খাব।’
এ রকম আরেকটি মারধরের ঘটনা ছিল গাংনী পল্লী বিদ্যুৎ অফিসে। একদিন বিদ্যুৎ চলে গেলে বিদ্যুতের কন্ট্রোল রুমে ফোন করেন মেয়র। এ সময় কেউ তাঁর ফোন ধরেননি। এরপর তিনি বাড়ি থেকে বিদ্যুৎ অফিসে এসে সামনে যাঁকে পেয়েছেন, তাঁকেই মেরেছেন। এ রকম আরও বেশ কয়েকজনের কাহিনি শুনলাম। সবার কথা শুনে মনে হলো, মারধর ছাড়া যেন আর কিছুই জানেন না আহম্মদ আলী।
ভালো করে খোঁজ নিয়ে জানলাম, আহম্মদ আলীর এই মারধর নিয়ে আওয়ামী লীগের স্থানীয় নেতারা বিভক্ত। এক পক্ষ তাঁর মারধর করাকে সমর্থন করে, আরেক পক্ষের রয়েছে বিরোধিতা। সে সময় মেয়রের পক্ষে ছিলেন সাবেক সংসদ সদস্য ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি মকবুল হোসেন। তিনি আমাকে বললেন, এ দেশের আইনি ব্যবস্থা সব অন্যায়ের তাৎক্ষণিক সাজা দিতে পারে না। সে কারণে মেয়রের এমন আচরণ দুর্নীতি ও অনিয়ম রোধে ভূমিকা রাখতে পারে। আবার মেয়রের বিরুদ্ধে ছিলেন গাংনী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবদুল খালেক। তিনি বললেন, মেয়রের হাতে এভাবে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী ও নিরীহ নাগরিকদের মার খাওয়াটা খুবই নিন্দনীয়। তিনি আইন হাতে তুলে নিতে পারেন না।
সবার কথা শেষ করে এবার এলাম মেয়র আহম্মদ আলীর কাছে। তাঁর কাছে জানতে চাইলাম, মারেন কেন? তাঁর সাফ জবাব, ‘খারাপ কিছু দেখলেই প্রতিবাদ করি। এটাই আমার কাজ। মানুষ আমাকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করেছে। এটা আমি করেই যাব।’ উল্টো আমার দিকে প্রশ্ন ছুড়ে দিয়ে বললেন, ‘আমি ওদের মুরব্বি, আমি কি শাসন করতে পারব না?’
শেষ পর্যন্ত আহম্মদ আলীকে নিয়ে রিপোর্টটি ব্যাপক সাড়া পেল। প্রথম আলোয় সেটা ছাপা হয়েছিল ‘তিনি শুধুই মারেন’ শিরোনামে। ২০১১ সালের ১২ আগস্ট সেই রিপোর্ট প্রকাশের পর বেশ হইচই পড়ে গেল। দুপুরের দিকে আহম্মদ আলী আমাকে ফোন করলেন। তাঁকে বেশ রাগান্বিত মনে হলো। তাঁর কথাবার্তা শুনে মনে হচ্ছিল, হাতের কাছে পেলে হয়তো আমিও রক্ষা পেতাম না। এরপর অনেক দিন আর আহম্মদ আলীর কোনো খোঁজখবর করা হয়নি।
মেহেরপুরের কথাসাহিত্যিক রফিকুর রশীদের সঙ্গে কথা হচ্ছিল। কথায় কথায় এল আহম্মদ আলীর প্রসঙ্গ। আহম্মদ আলী আবারও মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন। রফিকুর রশীদ বললেন, আহম্মদ আলী একেবারে চুপ হয়ে গেছেন। রীতিমতো বদলে যাওয়া মানুষ। এখন আর কোনো অধিকার আদায়ে তিনি সরব নন।
রফিকুর রশীদের ফোন রাখতেই ১১ বছর আগের আহম্মদ আলীকে মনে পড়ে গেল। নম্বর জোগাড় করে তাঁকে ফোন দিলাম। তিনি আমাকে ঠিকই চিনতে পারলেন। বাঘের মতো সাহসী লোকটার কাছে জানতে চাইলাম, হঠাৎ কেন নীরব হয়ে গেলেন? মেহেরপুরে কি আর কোনো অন্যায় নেই?
আমার প্রশ্ন শুনে অনেকক্ষণ হো হো করে হাসলেন আহম্মদ আলী। বললেন, ‘এখন সরব প্রতিবাদের দিন শেষ হয়ে গেছে। মানুষ এখন আর কোনো প্রতিবাদ নিতে পারে না, সবাই কেমন যেন হয়ে গেছে। এ বয়সে এসে এত সব করে কী হবে? তার চেয়ে নীরবই থেকে যাই। তাই নীরব হয়ে আছি।’
এরপর থেকে বারবার মনে হচ্ছে, আহম্মদ আলী বললেন ঠিকই, আসলেই কি প্রতিবাদের দিন শেষ হয়ে গেছে?
আরও পড়ুন:

ভালো একটা নিউজ হাতে পাওয়া একজন সংবাদকর্মীর কাছে লটারি জেতার মতো। ভাগ্য ভালো থাকলে মিলবে, না হলে নয়। একবার কুষ্টিয়ায় গিয়ে তেমনই সংকটে পড়তে হলো আমাকে। দিনকয়েক ঘুরেফিরে ভালো কোনো নিউজ মিলল না, যা পেলাম তাতে মন ভরে না। অনেকটা মন খারাপ করে একদিন বিকেলে গেলাম পাশের জেলা মেহেরপুরে।
মেহেরপুর শহরটা আগে থেকেই পছন্দের। ছোট শহরটায় যেমন পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাস্তাঘাট, তেমনি মানুষের পরিশীলিত আচার-আচরণ। তা ছাড়া একাত্তরের বিজয়ের স্মৃতি তো আছেই।
মেহেরপুর পৌর ভবনের ওপর তলায় একটি সাজানো-গোছানো বিশ্রামাগার আছে। ভাড়ার বিনিময়ে সেখানে রাত্রিবাস করা যায়। সেই বিশ্রামাগারেই আমার থাকার বন্দোবস্ত করে দিলেন সাংবাদিক তুহিন আরণ্য। পৌর ভবনের পাশেই তাঁর বাড়ি। সঙ্গে তিনি আবদার করলেন, রাতে তাঁর বাসাতেই আহার সারতে হবে।
তুহিনের আবদারে আমার কিছুটা অসম্মতি থাকলেও ধোপে টিকল না। অবশ্য সেই খাবার টেবিলে আলোচনায় মিলে গেল একটি মজার নিউজের খোঁজ। কথায় কথায় তাঁদের পরিবারের কে একজন বললেন, মেহেরপুরে একজন রাজনীতিক আছেন, যিনি সবাইকে মেরে বেড়ান। চোখের সামনে কেউ কিছু অনিয়ম করলে, অবাধ্য হলে বা কারও কোনো ত্রুটি ধরা পড়লে তিনি কোনো অভিযোগ করেন না। শুধু মারধর করেন। শিক্ষক, চিকিৎসক, প্রকৌশলী, ব্যাংক কর্মকর্তা—কেউই তাঁর মার খাওয়ার তালিকা থেকে বাদ নেই।
তুহিনের বাড়ির মজাদার খাবার খাচ্ছি আর মজা করে গল্প শুনছি। মনে হলো, রাতের ভালো খাবারের সঙ্গে ভালো নিউজের ক্ষুধাটাও মিটে গেল। ফুরফুরে মনে ফিরে এলাম বিশ্রামাগারে।
সকাল থেকেই শুরু হলো সেই নিউজের খোঁজখবর। যে ব্যক্তিকে নিয়ে এত আলোচনা, তাঁর নাম আহম্মদ আলী। তিনি তখন মেহেরপুরের গাংনী পৌরসভার মেয়র। একসময় উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ছিলেন। তিনি কতজনকে মেরেছেন, তার একটি তালিকা জোগাড় করতে গিয়ে দেখি, মাত্র এক মাসেই তিনি ১৫ জন সরকারি-বেসরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীকে মেরেছেন। মারধরের কারণগুলোও অদ্ভুত।
খোঁজ নিতে গিয়ে জানতে পারলাম, সর্বশেষ মার খেয়েছেন কৃষি ব্যাংকের গাংনী উপজেলা শাখার ব্যবস্থাপক ইমারত হোসেন। তিনি জানালেন, একদিন ঋণ নেওয়ার জন্য এক লোককে তাঁর কাছে পাঠিয়েছিলেন মেয়র। কিন্তু সেই লোকের জমির দাগ ও খতিয়ান নম্বর ঠিক ছিল না। তিনি তাঁকে ঋণ না দিয়ে ফিরিয়ে দেন। এ খবর পেয়ে মেয়র এসে তাঁকে কষে চড় মারেন।
মার খাওয়া আরেকজন ছিলেন গাংনী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক আবদুস সালাম। তিনি বললেন, ‘আমি রোগী দেখছি না, এমন অভিযোগ পেয়ে মেয়র এসে প্রথমে আমাকে মারলেন, তারপর মারলেন আমার নার্সকে। অবশ্য এর প্রতিবাদে চিকিৎসকেরা পরে মানববন্ধন করেছিলেন।’পৌরসভার প্রকৌশলী কাওসার আলী বললেন, ‘সময়মতো কাজ হয়নি বলে মেয়র একদিন অফিস কক্ষের জানালা-দরজা বন্ধ করে আমাকে লাঠি দিয়ে পেটান। এরপর আমি মেহেরপুর ছেড়ে চলে যাই।’
আরও শুনলাম পৌরসভার ক্যাশিয়ার আবুল কালাম আজাদ, ওয়ার্ক অ্যাসিস্ট্যান্ট নাসির উদ্দিন, টিকাদানকারী আবু তাহেরও কয়েক দফা মার খেয়েছেন। তো বিস্তারিত শুনতে গেলাম আবু তাহেরের কাছে। তিনি আমার পরিচয় পেয়ে বললেন, ‘আপনার কি মাথা খারাপ, এটা বললে তো আমি আবার মার খাব।’
এ রকম আরেকটি মারধরের ঘটনা ছিল গাংনী পল্লী বিদ্যুৎ অফিসে। একদিন বিদ্যুৎ চলে গেলে বিদ্যুতের কন্ট্রোল রুমে ফোন করেন মেয়র। এ সময় কেউ তাঁর ফোন ধরেননি। এরপর তিনি বাড়ি থেকে বিদ্যুৎ অফিসে এসে সামনে যাঁকে পেয়েছেন, তাঁকেই মেরেছেন। এ রকম আরও বেশ কয়েকজনের কাহিনি শুনলাম। সবার কথা শুনে মনে হলো, মারধর ছাড়া যেন আর কিছুই জানেন না আহম্মদ আলী।
ভালো করে খোঁজ নিয়ে জানলাম, আহম্মদ আলীর এই মারধর নিয়ে আওয়ামী লীগের স্থানীয় নেতারা বিভক্ত। এক পক্ষ তাঁর মারধর করাকে সমর্থন করে, আরেক পক্ষের রয়েছে বিরোধিতা। সে সময় মেয়রের পক্ষে ছিলেন সাবেক সংসদ সদস্য ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি মকবুল হোসেন। তিনি আমাকে বললেন, এ দেশের আইনি ব্যবস্থা সব অন্যায়ের তাৎক্ষণিক সাজা দিতে পারে না। সে কারণে মেয়রের এমন আচরণ দুর্নীতি ও অনিয়ম রোধে ভূমিকা রাখতে পারে। আবার মেয়রের বিরুদ্ধে ছিলেন গাংনী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবদুল খালেক। তিনি বললেন, মেয়রের হাতে এভাবে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী ও নিরীহ নাগরিকদের মার খাওয়াটা খুবই নিন্দনীয়। তিনি আইন হাতে তুলে নিতে পারেন না।
সবার কথা শেষ করে এবার এলাম মেয়র আহম্মদ আলীর কাছে। তাঁর কাছে জানতে চাইলাম, মারেন কেন? তাঁর সাফ জবাব, ‘খারাপ কিছু দেখলেই প্রতিবাদ করি। এটাই আমার কাজ। মানুষ আমাকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করেছে। এটা আমি করেই যাব।’ উল্টো আমার দিকে প্রশ্ন ছুড়ে দিয়ে বললেন, ‘আমি ওদের মুরব্বি, আমি কি শাসন করতে পারব না?’
শেষ পর্যন্ত আহম্মদ আলীকে নিয়ে রিপোর্টটি ব্যাপক সাড়া পেল। প্রথম আলোয় সেটা ছাপা হয়েছিল ‘তিনি শুধুই মারেন’ শিরোনামে। ২০১১ সালের ১২ আগস্ট সেই রিপোর্ট প্রকাশের পর বেশ হইচই পড়ে গেল। দুপুরের দিকে আহম্মদ আলী আমাকে ফোন করলেন। তাঁকে বেশ রাগান্বিত মনে হলো। তাঁর কথাবার্তা শুনে মনে হচ্ছিল, হাতের কাছে পেলে হয়তো আমিও রক্ষা পেতাম না। এরপর অনেক দিন আর আহম্মদ আলীর কোনো খোঁজখবর করা হয়নি।
মেহেরপুরের কথাসাহিত্যিক রফিকুর রশীদের সঙ্গে কথা হচ্ছিল। কথায় কথায় এল আহম্মদ আলীর প্রসঙ্গ। আহম্মদ আলী আবারও মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন। রফিকুর রশীদ বললেন, আহম্মদ আলী একেবারে চুপ হয়ে গেছেন। রীতিমতো বদলে যাওয়া মানুষ। এখন আর কোনো অধিকার আদায়ে তিনি সরব নন।
রফিকুর রশীদের ফোন রাখতেই ১১ বছর আগের আহম্মদ আলীকে মনে পড়ে গেল। নম্বর জোগাড় করে তাঁকে ফোন দিলাম। তিনি আমাকে ঠিকই চিনতে পারলেন। বাঘের মতো সাহসী লোকটার কাছে জানতে চাইলাম, হঠাৎ কেন নীরব হয়ে গেলেন? মেহেরপুরে কি আর কোনো অন্যায় নেই?
আমার প্রশ্ন শুনে অনেকক্ষণ হো হো করে হাসলেন আহম্মদ আলী। বললেন, ‘এখন সরব প্রতিবাদের দিন শেষ হয়ে গেছে। মানুষ এখন আর কোনো প্রতিবাদ নিতে পারে না, সবাই কেমন যেন হয়ে গেছে। এ বয়সে এসে এত সব করে কী হবে? তার চেয়ে নীরবই থেকে যাই। তাই নীরব হয়ে আছি।’
এরপর থেকে বারবার মনে হচ্ছে, আহম্মদ আলী বললেন ঠিকই, আসলেই কি প্রতিবাদের দিন শেষ হয়ে গেছে?
আরও পড়ুন:

রাজধানীর মোহাম্মদপুরে জেনেভা ক্যাম্পে ‘মাদক কারবারিদের’ দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে জাহিদ নিহতের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ শুক্রবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. ইবনে মিজান আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
৪ দিন আগে
এক বিজ্ঞপ্তিতে সিআইডি জানিয়েছে, নূরে আলম একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সদস্য। তিনি ফেসবুকে এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে যোগাযোগ করে জানান, তাঁর নামে বিদেশ থেকে একটি পার্সেল এসেছে, যা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাস্টম হাউসে জমা আছে। পার্সেল ছাড়াতে টাকা লাগবে—এ দাবি করে পার্সেলের ছবিও পাঠান তিনি।
৭ দিন আগে
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সভায় উপস্থিত বিএফআইইউ প্রতিনিধি বলেন, এমএফএস অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে জুয়া ও প্রতারণা বন্ধে বিটিআরসির (বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন) মাধ্যমে বার্তা দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া এমএফএস প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে বৈঠক করে তাদের কিছু নির্দেশনাও দেওয়া হবে। যেসব অ্যাকাউন্ট ব্লক (স্থগিত)
৭ দিন আগে
দেশে বসেই আন্তর্জাতিক পর্নো সাইটে সক্রিয় ছিলেন তাঁরা। ভিডিও বানিয়ে আপলোড করতেন বিভিন্ন ওয়েবসাইটে। শুধু নিজেরাই নন, এই দম্পতি অন্যদেরও এ কাজে যুক্ত করতেন বলে অভিযোগ। অবশেষে সেই আলোচিত যুগলকে বান্দরবানে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
৮ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

রাজধানীর মোহাম্মদপুরে জেনেভা ক্যাম্পে ‘মাদক কারবারিদের’ দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে জাহিদ নিহতের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
আজ শুক্রবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. ইবনে মিজান আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
গত বুধবার ভোররাতে দুই গ্রুপ মাদক কারবারির সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে নিহত হন জাহিদ (২০)। পরিবারের দাবি, দুপক্ষের সংঘর্ষ চলাকালে জাহিদের পায়ের কাছে ককটেল বিস্ফোরণ হয়। এ সময় স্প্লিন্টার তাঁর ঘাড় ও পিঠে বিদ্ধ হয়। আহত অবস্থায় উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় মোহাম্মদপুর থানায় একটি হত্যা মামলা হয়েছে। সংঘর্ষের পর ঘটনাস্থলে অভিযান পরিচালনা করে র্যাব, পুলিশ ও সেনাবাহিনী। অভিযানে একটি বিদেশি পিস্তল, একটি ম্যাগাজিন ও তিনটি তাজা গুলিসহ বিপুল পরিমাণ দেশি অস্ত্র ও পেট্রলবোমা উদ্ধার করা হয়।
জাহিদের ভগ্নিপতি মো. উজ্জ্বল জানান, রাজধানীর কল্যাণপুরে মিজান টাওয়ারে একটি মোবাইল ফোন সার্ভিসিংয়ের দোকানে কাজ করতেন জাহিদ। বুধবার রাতে বন্ধুদের সঙ্গে রেস্তোরাঁয় খেতে যাওয়ার সময় তাঁরা সংঘর্ষের মধ্যে পড়েন। পরে হাসপাতালে জাহিদের মৃত্যু হয়।
তবে পুলিশ বলছে, ককটেল তৈরির সময় বিস্ফোরণে নিহত হন জাহিদ।

রাজধানীর মোহাম্মদপুরে জেনেভা ক্যাম্পে ‘মাদক কারবারিদের’ দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে জাহিদ নিহতের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
আজ শুক্রবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. ইবনে মিজান আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
গত বুধবার ভোররাতে দুই গ্রুপ মাদক কারবারির সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে নিহত হন জাহিদ (২০)। পরিবারের দাবি, দুপক্ষের সংঘর্ষ চলাকালে জাহিদের পায়ের কাছে ককটেল বিস্ফোরণ হয়। এ সময় স্প্লিন্টার তাঁর ঘাড় ও পিঠে বিদ্ধ হয়। আহত অবস্থায় উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় মোহাম্মদপুর থানায় একটি হত্যা মামলা হয়েছে। সংঘর্ষের পর ঘটনাস্থলে অভিযান পরিচালনা করে র্যাব, পুলিশ ও সেনাবাহিনী। অভিযানে একটি বিদেশি পিস্তল, একটি ম্যাগাজিন ও তিনটি তাজা গুলিসহ বিপুল পরিমাণ দেশি অস্ত্র ও পেট্রলবোমা উদ্ধার করা হয়।
জাহিদের ভগ্নিপতি মো. উজ্জ্বল জানান, রাজধানীর কল্যাণপুরে মিজান টাওয়ারে একটি মোবাইল ফোন সার্ভিসিংয়ের দোকানে কাজ করতেন জাহিদ। বুধবার রাতে বন্ধুদের সঙ্গে রেস্তোরাঁয় খেতে যাওয়ার সময় তাঁরা সংঘর্ষের মধ্যে পড়েন। পরে হাসপাতালে জাহিদের মৃত্যু হয়।
তবে পুলিশ বলছে, ককটেল তৈরির সময় বিস্ফোরণে নিহত হন জাহিদ।

ভালো একটা নিউজ হাতে পাওয়া একজন সংবাদকর্মীর কাছে লটারি জেতার মতো। ভাগ্য ভালো থাকলে মিলবে, না হলে নয়। একবার কুষ্টিয়ায় গিয়ে তেমনই সংকটে পড়তে হলো আমাকে। দিনকয়েক ঘুরেফিরে ভালো কোনো নিউজ মিলল না, যা পেলাম তাতে মন ভরে না। অনেকটা মন খারাপ করে একদিন বিকেলে গেলাম পাশের জেলা মেহেরপুরে।
৩০ জুলাই ২০২২
এক বিজ্ঞপ্তিতে সিআইডি জানিয়েছে, নূরে আলম একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সদস্য। তিনি ফেসবুকে এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে যোগাযোগ করে জানান, তাঁর নামে বিদেশ থেকে একটি পার্সেল এসেছে, যা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাস্টম হাউসে জমা আছে। পার্সেল ছাড়াতে টাকা লাগবে—এ দাবি করে পার্সেলের ছবিও পাঠান তিনি।
৭ দিন আগে
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সভায় উপস্থিত বিএফআইইউ প্রতিনিধি বলেন, এমএফএস অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে জুয়া ও প্রতারণা বন্ধে বিটিআরসির (বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন) মাধ্যমে বার্তা দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া এমএফএস প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে বৈঠক করে তাদের কিছু নির্দেশনাও দেওয়া হবে। যেসব অ্যাকাউন্ট ব্লক (স্থগিত)
৭ দিন আগে
দেশে বসেই আন্তর্জাতিক পর্নো সাইটে সক্রিয় ছিলেন তাঁরা। ভিডিও বানিয়ে আপলোড করতেন বিভিন্ন ওয়েবসাইটে। শুধু নিজেরাই নন, এই দম্পতি অন্যদেরও এ কাজে যুক্ত করতেন বলে অভিযোগ। অবশেষে সেই আলোচিত যুগলকে বান্দরবানে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
৮ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বিদেশ থেকে পার্সেল এসেছে—এমন দাবি করে কাস্টমস থেকে তা ছাড়িয়ে দেওয়ার কথা বলে ১১ লাখ ৮৫ হাজার টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে এক তরুণকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
গতকাল সোমবার রাতে রাজধানীর তেজগাঁও শিল্পাঞ্চলের কুনিপাড়া এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার ওই তরুণের নাম মো. নূরে আলম ওরফে তুহিন (২৪)।
এক বিজ্ঞপ্তিতে সিআইডি জানিয়েছে, নূরে আলম একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সদস্য। তিনি ফেসবুকে এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে যোগাযোগ করে জানান, তাঁর নামে বিদেশ থেকে একটি পার্সেল এসেছে, যা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাস্টম হাউসে জমা আছে। পার্সেল ছাড়াতে টাকা লাগবে—এ দাবি করে পার্সেলের ছবিও পাঠান তিনি।
পরে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন অজুহাতে ভুক্তভোগীর কাছ থেকে বিকাশ ও ব্যাংকের মাধ্যমে ১১ লাখ ৮৫ হাজার টাকা আদায় করেন নূরে আলম। টাকা পাওয়ার পর নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দেন তিনি।
ভুক্তভোগী আদালতের শরণাপন্ন হলে রামপুরা থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করা হয়। মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব পায় সিআইডির সাইবার পুলিশ সেন্টার। পরে নূরে আলমকে গ্রেপ্তার করা হয়।
সিআইডি জানায়, প্রতারক চক্রের অন্য সদস্যদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।

বিদেশ থেকে পার্সেল এসেছে—এমন দাবি করে কাস্টমস থেকে তা ছাড়িয়ে দেওয়ার কথা বলে ১১ লাখ ৮৫ হাজার টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে এক তরুণকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
গতকাল সোমবার রাতে রাজধানীর তেজগাঁও শিল্পাঞ্চলের কুনিপাড়া এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার ওই তরুণের নাম মো. নূরে আলম ওরফে তুহিন (২৪)।
এক বিজ্ঞপ্তিতে সিআইডি জানিয়েছে, নূরে আলম একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সদস্য। তিনি ফেসবুকে এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে যোগাযোগ করে জানান, তাঁর নামে বিদেশ থেকে একটি পার্সেল এসেছে, যা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাস্টম হাউসে জমা আছে। পার্সেল ছাড়াতে টাকা লাগবে—এ দাবি করে পার্সেলের ছবিও পাঠান তিনি।
পরে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন অজুহাতে ভুক্তভোগীর কাছ থেকে বিকাশ ও ব্যাংকের মাধ্যমে ১১ লাখ ৮৫ হাজার টাকা আদায় করেন নূরে আলম। টাকা পাওয়ার পর নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দেন তিনি।
ভুক্তভোগী আদালতের শরণাপন্ন হলে রামপুরা থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করা হয়। মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব পায় সিআইডির সাইবার পুলিশ সেন্টার। পরে নূরে আলমকে গ্রেপ্তার করা হয়।
সিআইডি জানায়, প্রতারক চক্রের অন্য সদস্যদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।

ভালো একটা নিউজ হাতে পাওয়া একজন সংবাদকর্মীর কাছে লটারি জেতার মতো। ভাগ্য ভালো থাকলে মিলবে, না হলে নয়। একবার কুষ্টিয়ায় গিয়ে তেমনই সংকটে পড়তে হলো আমাকে। দিনকয়েক ঘুরেফিরে ভালো কোনো নিউজ মিলল না, যা পেলাম তাতে মন ভরে না। অনেকটা মন খারাপ করে একদিন বিকেলে গেলাম পাশের জেলা মেহেরপুরে।
৩০ জুলাই ২০২২
রাজধানীর মোহাম্মদপুরে জেনেভা ক্যাম্পে ‘মাদক কারবারিদের’ দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে জাহিদ নিহতের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ শুক্রবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. ইবনে মিজান আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
৪ দিন আগে
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সভায় উপস্থিত বিএফআইইউ প্রতিনিধি বলেন, এমএফএস অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে জুয়া ও প্রতারণা বন্ধে বিটিআরসির (বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন) মাধ্যমে বার্তা দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া এমএফএস প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে বৈঠক করে তাদের কিছু নির্দেশনাও দেওয়া হবে। যেসব অ্যাকাউন্ট ব্লক (স্থগিত)
৭ দিন আগে
দেশে বসেই আন্তর্জাতিক পর্নো সাইটে সক্রিয় ছিলেন তাঁরা। ভিডিও বানিয়ে আপলোড করতেন বিভিন্ন ওয়েবসাইটে। শুধু নিজেরাই নন, এই দম্পতি অন্যদেরও এ কাজে যুক্ত করতেন বলে অভিযোগ। অবশেষে সেই আলোচিত যুগলকে বান্দরবানে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
৮ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

জুয়া ও প্রতারণায় জড়িত থাকায় ৫০ হাজারের বেশি এমএফএস (মোবাইলভিত্তিক আর্থিক লেনদেন সেবা) অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ (স্থগিত) করেছে বিএফআইইউ (বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট)। ২০২২ সালের ডিসেম্বর থেকে চলতি মাস পর্যন্ত এই নম্বরগুলো স্থগিত করা হয়।
আজ মঙ্গলবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বিটিআরসি ভবনে ‘অনলাইন জুয়া প্রতিরোধে করণীয়’ শীর্ষক এক সভায় বিএফআইইউর প্রতিনিধি এ তথ্য জানান।
সভায় ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়, ডিজিএফআই (ডিরেক্টরেট জেনারেল অব ফোর্সেস ইন্টেলিজেন্স), এনএসআই (ন্যাশনাল সিকিউরিটি ইন্টেলিজেন্স), এনটিএমসি (ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টার), সিআইডি (ক্রিমিনাল ইনভেস্টিগেশন ডিপার্টমেন্ট), বিএফআইইউ, এমএফএস ও মোবাইল অপারেটরদের প্রতিনিধিরা অংশ নেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সভায় উপস্থিত বিএফআইইউ প্রতিনিধি বলেন, এমএফএস অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে জুয়া ও প্রতারণা বন্ধে বিটিআরসির (বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন) মাধ্যমে বার্তা দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া এমএফএস প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে বৈঠক করে তাদের কিছু নির্দেশনাও দেওয়া হবে। যেসব অ্যাকাউন্ট ব্লক (স্থগিত) করা হয়েছে, সেগুলো থেকে কোথায় কোথায় টাকা লেনদেন করা হয়েছে, তা বিশ্লেষণ করে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে প্রতিবেদন দেওয়া হবে।
ডিজিএফআই প্রতিনিধি জানান, অনলাইন জুয়ার মতো আর্থিক নানা প্রতারণায় বেনামি সিম ব্যবহার করা হচ্ছে। সংঘবদ্ধ চক্র ভুয়া সিম বিক্রি করছে। মানুষের আঙুলের ছাপ ব্যবহার করা হচ্ছে। বিকাশের অ্যাপ নকল করা হয়েছে। নাগরিকদের ডেটাবেইস ডার্ক ওয়েবে পাওয়া যাচ্ছে। এটা নিয়ে নানা অপরাধ সংঘটিত হচ্ছে।
সভায় অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিবিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, সরকার সতর্ক করার পরও অনেক গণমাধ্যমের অনলাইন পোর্টালে এখনো জুয়ার বিজ্ঞাপন প্রচার করা হচ্ছে। এ ধরনের বিজ্ঞাপন প্রচার করলে যেকোনো মুহূর্তে বিনা নোটিশে সংশ্লিষ্ট গণমাধ্যমের পোর্টাল বন্ধ করে দেওয়া হবে। প্রায় সব কটি মিডিয়ার পোর্টালে এখনো অনিরাপদ কনটেন্ট আসে। জুয়ার বিজ্ঞাপন আসে। এখান থেকে তারা টাকা পায়।
১৯ অক্টোবর পর্যন্ত জুয়ার বিজ্ঞাপন বন্ধে সময় দেওয়া হয়েছিল। তবে গণমাধ্যমগুলো তা মানছে না বলে অভিযোগ করেন বিশেষ সহকারী। তিনি বলেন, বেশ কিছু অনলাইন পোর্টাল জুয়ার বিজ্ঞাপন ও অনিরাপদ কনটেন্ট বিজ্ঞাপন প্রচার করছে। ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, ‘আমরা যেকোনো মুহূর্তে বন্ধ করে দেব। যেহেতু একাধিক নোটিশ দেওয়া হয়েছে। আমরা পাবলিকলি কোনো নোটিশ দেব না।’
অনলাইন জুয়া বন্ধে সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগ ও চ্যালেঞ্জের কথা তুলে ধরেন ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব। তিনি জানান, সরকারের হিসাবে গত মে মাস থেকে এখন পর্যন্ত ৪ হাজার ৮২০টি এমএফএস নম্বর পাওয়া গেছে। এ ছাড়া ১ হাজার ৩৩১টি ওয়েব পোর্টালের লিংক পাওয়া গেছে।
সরকারের চ্যালেঞ্জ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, যখনই একটা নম্বর ব্লক করা হয়, তখন এর চেয়ে বেশিসংখ্যক বা সমসংখ্যক নম্বর ব্যবহার করে সিগন্যাল-হোয়াটসঅ্যাপের মতো গ্রুপগুলোয় ছড়িয়ে দেওয়া হয়। আইপি পরিবর্তন করে ওয়েবসাইটের নাম একটু পরিবর্তন করা হয়। এভাবে নতুন ওয়েবসাইট বানিয়ে আবার শুরু করা হয়। এমএফএস, ওয়েব লিংক বন্ধ করার পর এ চক্রগুলো আবার অ্যাপ তৈরি ফেলে। অ্যাপগুলো অনেক ক্ষেত্রেই পাবলিশড নয়, এপিকে হিসেবে ব্যবহার করে।

জুয়া ও প্রতারণায় জড়িত থাকায় ৫০ হাজারের বেশি এমএফএস (মোবাইলভিত্তিক আর্থিক লেনদেন সেবা) অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ (স্থগিত) করেছে বিএফআইইউ (বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট)। ২০২২ সালের ডিসেম্বর থেকে চলতি মাস পর্যন্ত এই নম্বরগুলো স্থগিত করা হয়।
আজ মঙ্গলবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বিটিআরসি ভবনে ‘অনলাইন জুয়া প্রতিরোধে করণীয়’ শীর্ষক এক সভায় বিএফআইইউর প্রতিনিধি এ তথ্য জানান।
সভায় ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়, ডিজিএফআই (ডিরেক্টরেট জেনারেল অব ফোর্সেস ইন্টেলিজেন্স), এনএসআই (ন্যাশনাল সিকিউরিটি ইন্টেলিজেন্স), এনটিএমসি (ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টার), সিআইডি (ক্রিমিনাল ইনভেস্টিগেশন ডিপার্টমেন্ট), বিএফআইইউ, এমএফএস ও মোবাইল অপারেটরদের প্রতিনিধিরা অংশ নেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সভায় উপস্থিত বিএফআইইউ প্রতিনিধি বলেন, এমএফএস অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে জুয়া ও প্রতারণা বন্ধে বিটিআরসির (বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন) মাধ্যমে বার্তা দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া এমএফএস প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে বৈঠক করে তাদের কিছু নির্দেশনাও দেওয়া হবে। যেসব অ্যাকাউন্ট ব্লক (স্থগিত) করা হয়েছে, সেগুলো থেকে কোথায় কোথায় টাকা লেনদেন করা হয়েছে, তা বিশ্লেষণ করে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে প্রতিবেদন দেওয়া হবে।
ডিজিএফআই প্রতিনিধি জানান, অনলাইন জুয়ার মতো আর্থিক নানা প্রতারণায় বেনামি সিম ব্যবহার করা হচ্ছে। সংঘবদ্ধ চক্র ভুয়া সিম বিক্রি করছে। মানুষের আঙুলের ছাপ ব্যবহার করা হচ্ছে। বিকাশের অ্যাপ নকল করা হয়েছে। নাগরিকদের ডেটাবেইস ডার্ক ওয়েবে পাওয়া যাচ্ছে। এটা নিয়ে নানা অপরাধ সংঘটিত হচ্ছে।
সভায় অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিবিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, সরকার সতর্ক করার পরও অনেক গণমাধ্যমের অনলাইন পোর্টালে এখনো জুয়ার বিজ্ঞাপন প্রচার করা হচ্ছে। এ ধরনের বিজ্ঞাপন প্রচার করলে যেকোনো মুহূর্তে বিনা নোটিশে সংশ্লিষ্ট গণমাধ্যমের পোর্টাল বন্ধ করে দেওয়া হবে। প্রায় সব কটি মিডিয়ার পোর্টালে এখনো অনিরাপদ কনটেন্ট আসে। জুয়ার বিজ্ঞাপন আসে। এখান থেকে তারা টাকা পায়।
১৯ অক্টোবর পর্যন্ত জুয়ার বিজ্ঞাপন বন্ধে সময় দেওয়া হয়েছিল। তবে গণমাধ্যমগুলো তা মানছে না বলে অভিযোগ করেন বিশেষ সহকারী। তিনি বলেন, বেশ কিছু অনলাইন পোর্টাল জুয়ার বিজ্ঞাপন ও অনিরাপদ কনটেন্ট বিজ্ঞাপন প্রচার করছে। ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, ‘আমরা যেকোনো মুহূর্তে বন্ধ করে দেব। যেহেতু একাধিক নোটিশ দেওয়া হয়েছে। আমরা পাবলিকলি কোনো নোটিশ দেব না।’
অনলাইন জুয়া বন্ধে সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগ ও চ্যালেঞ্জের কথা তুলে ধরেন ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব। তিনি জানান, সরকারের হিসাবে গত মে মাস থেকে এখন পর্যন্ত ৪ হাজার ৮২০টি এমএফএস নম্বর পাওয়া গেছে। এ ছাড়া ১ হাজার ৩৩১টি ওয়েব পোর্টালের লিংক পাওয়া গেছে।
সরকারের চ্যালেঞ্জ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, যখনই একটা নম্বর ব্লক করা হয়, তখন এর চেয়ে বেশিসংখ্যক বা সমসংখ্যক নম্বর ব্যবহার করে সিগন্যাল-হোয়াটসঅ্যাপের মতো গ্রুপগুলোয় ছড়িয়ে দেওয়া হয়। আইপি পরিবর্তন করে ওয়েবসাইটের নাম একটু পরিবর্তন করা হয়। এভাবে নতুন ওয়েবসাইট বানিয়ে আবার শুরু করা হয়। এমএফএস, ওয়েব লিংক বন্ধ করার পর এ চক্রগুলো আবার অ্যাপ তৈরি ফেলে। অ্যাপগুলো অনেক ক্ষেত্রেই পাবলিশড নয়, এপিকে হিসেবে ব্যবহার করে।

ভালো একটা নিউজ হাতে পাওয়া একজন সংবাদকর্মীর কাছে লটারি জেতার মতো। ভাগ্য ভালো থাকলে মিলবে, না হলে নয়। একবার কুষ্টিয়ায় গিয়ে তেমনই সংকটে পড়তে হলো আমাকে। দিনকয়েক ঘুরেফিরে ভালো কোনো নিউজ মিলল না, যা পেলাম তাতে মন ভরে না। অনেকটা মন খারাপ করে একদিন বিকেলে গেলাম পাশের জেলা মেহেরপুরে।
৩০ জুলাই ২০২২
রাজধানীর মোহাম্মদপুরে জেনেভা ক্যাম্পে ‘মাদক কারবারিদের’ দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে জাহিদ নিহতের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ শুক্রবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. ইবনে মিজান আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
৪ দিন আগে
এক বিজ্ঞপ্তিতে সিআইডি জানিয়েছে, নূরে আলম একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সদস্য। তিনি ফেসবুকে এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে যোগাযোগ করে জানান, তাঁর নামে বিদেশ থেকে একটি পার্সেল এসেছে, যা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাস্টম হাউসে জমা আছে। পার্সেল ছাড়াতে টাকা লাগবে—এ দাবি করে পার্সেলের ছবিও পাঠান তিনি।
৭ দিন আগে
দেশে বসেই আন্তর্জাতিক পর্নো সাইটে সক্রিয় ছিলেন তাঁরা। ভিডিও বানিয়ে আপলোড করতেন বিভিন্ন ওয়েবসাইটে। শুধু নিজেরাই নন, এই দম্পতি অন্যদেরও এ কাজে যুক্ত করতেন বলে অভিযোগ। অবশেষে সেই আলোচিত যুগলকে বান্দরবানে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
৮ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

দেশে বসেই আন্তর্জাতিক পর্নো সাইটে সক্রিয় ছিলেন তাঁরা। ভিডিও বানিয়ে আপলোড করতেন বিভিন্ন ওয়েবসাইটে। শুধু নিজেরাই নন, এই দম্পতি অন্যদেরও এ কাজে যুক্ত করতেন বলে অভিযোগ। অবশেষে সেই আলোচিত যুগলকে বান্দরবানে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
আজ সোমবার ভোরে বান্দরবান সদর উপজেলার হাজীপাড়ার বালাঘাটা এলাকা থেকে সিআইডির এলআইসি ও সাইবার পুলিশ সেন্টার (সিপিসি) ইউনিটের সদস্যরা এই যুগলকে গ্রেপ্তার করেন। গ্রেপ্তার হওয়া যুগল হলেন মুহাম্মদ আজিম (২৮) ও তাঁর স্ত্রী বৃষ্টি (২৮)। আজ বিকেলে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানায় সিআইডি।
গ্রেপ্তার আজিমের বাড়ি চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলার বুরুমছড়া গ্রামে এবং বৃষ্টির বাড়ি মানিকগঞ্জ জেলার হরিরামপুর উপজেলার আন্ধারমানিক (খালপাড়) গ্রামে।
সিআইডির প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, এই যুগল ২০২৪ সালের মে মাসে আন্তর্জাতিক এক পর্নো সাইটে প্রথম ভিডিও আপলোড করেন। এরপর এক বছরের মধ্যে তাঁরা ১১২টি ভিডিও আপলোড করেছেন, যেগুলো বিশ্বব্যাপী ২ কোটি ৬৭ লাখের বেশিবার দেখা হয়েছে।
এই যুগল এতটাই জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন যে, ২০২৫ সালের অক্টোবর মাসে আন্তর্জাতিক পারফর্মার র্যাঙ্কিংয়ে তাঁদের অবস্থান উঠে আসে অষ্টম স্থানে। ভিডিও আপলোড ছাড়াও তাঁরা বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম—বিশেষ করে, ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম ও টেলিগ্রামের মাধ্যমে নিজেদের কর্মকাণ্ডের প্রচারণা চালাতেন। এসব প্ল্যাটফর্মে নতুনদের এ কাজে যুক্ত হওয়ার আহ্বান জানানো হতো।
তদন্তকারীরা বলছেন, আগ্রহীদের ‘ক্রিয়েটর’ হিসেবে যুক্ত করতে তাঁরা টেলিগ্রাম চ্যানেলে নানা প্রলোভন দেখিয়ে বিজ্ঞাপন দিতেন। নতুন কেউ যুক্ত হলে তাঁকে নগদ অর্থ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হতো। কেউ যোগাযোগ করলে তাঁদের ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করতে উৎসাহিত করতেন আজিম ও বৃষ্টি।
সিআইডির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এই যুগল প্রাথমিক বিদ্যালয়ের গণ্ডি পেরোতে পারেননি। তবে অনলাইনে তাঁদের বিলাসবহুল জীবনধারার নানা ছবি পাওয়া যায়, যা সমাজে নেতিবাচক বার্তা দিচ্ছে। এসব কার্যক্রম সামাজিক ও নৈতিকভাবে যেমন উদ্বেগজনক, তেমনি দেশের প্রচলিত আইনেরও লঙ্ঘন।
অভিযানের সময় তাঁদের কাছ থেকে মোবাইল ফোন, সিম কার্ড, ক্যামেরা, ট্রাইপডসহ ভিডিও ধারণের বিভিন্ন যন্ত্রপাতি জব্দ করা হয়েছে। তাঁদের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা রুজু করা হয়েছে। একই সঙ্গে আদালতে সোপর্দ করে রিমান্ড চেয়ে আবেদন করা হবে বলে জানিয়েছে সিআইডি।
সিআইডির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, পর্নোগ্রাফি ছড়িয়ে দেওয়ার সঙ্গে যুক্ত অন্যদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তারে তদন্ত অব্যাহত রয়েছে।

দেশে বসেই আন্তর্জাতিক পর্নো সাইটে সক্রিয় ছিলেন তাঁরা। ভিডিও বানিয়ে আপলোড করতেন বিভিন্ন ওয়েবসাইটে। শুধু নিজেরাই নন, এই দম্পতি অন্যদেরও এ কাজে যুক্ত করতেন বলে অভিযোগ। অবশেষে সেই আলোচিত যুগলকে বান্দরবানে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
আজ সোমবার ভোরে বান্দরবান সদর উপজেলার হাজীপাড়ার বালাঘাটা এলাকা থেকে সিআইডির এলআইসি ও সাইবার পুলিশ সেন্টার (সিপিসি) ইউনিটের সদস্যরা এই যুগলকে গ্রেপ্তার করেন। গ্রেপ্তার হওয়া যুগল হলেন মুহাম্মদ আজিম (২৮) ও তাঁর স্ত্রী বৃষ্টি (২৮)। আজ বিকেলে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানায় সিআইডি।
গ্রেপ্তার আজিমের বাড়ি চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলার বুরুমছড়া গ্রামে এবং বৃষ্টির বাড়ি মানিকগঞ্জ জেলার হরিরামপুর উপজেলার আন্ধারমানিক (খালপাড়) গ্রামে।
সিআইডির প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, এই যুগল ২০২৪ সালের মে মাসে আন্তর্জাতিক এক পর্নো সাইটে প্রথম ভিডিও আপলোড করেন। এরপর এক বছরের মধ্যে তাঁরা ১১২টি ভিডিও আপলোড করেছেন, যেগুলো বিশ্বব্যাপী ২ কোটি ৬৭ লাখের বেশিবার দেখা হয়েছে।
এই যুগল এতটাই জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন যে, ২০২৫ সালের অক্টোবর মাসে আন্তর্জাতিক পারফর্মার র্যাঙ্কিংয়ে তাঁদের অবস্থান উঠে আসে অষ্টম স্থানে। ভিডিও আপলোড ছাড়াও তাঁরা বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম—বিশেষ করে, ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম ও টেলিগ্রামের মাধ্যমে নিজেদের কর্মকাণ্ডের প্রচারণা চালাতেন। এসব প্ল্যাটফর্মে নতুনদের এ কাজে যুক্ত হওয়ার আহ্বান জানানো হতো।
তদন্তকারীরা বলছেন, আগ্রহীদের ‘ক্রিয়েটর’ হিসেবে যুক্ত করতে তাঁরা টেলিগ্রাম চ্যানেলে নানা প্রলোভন দেখিয়ে বিজ্ঞাপন দিতেন। নতুন কেউ যুক্ত হলে তাঁকে নগদ অর্থ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হতো। কেউ যোগাযোগ করলে তাঁদের ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করতে উৎসাহিত করতেন আজিম ও বৃষ্টি।
সিআইডির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এই যুগল প্রাথমিক বিদ্যালয়ের গণ্ডি পেরোতে পারেননি। তবে অনলাইনে তাঁদের বিলাসবহুল জীবনধারার নানা ছবি পাওয়া যায়, যা সমাজে নেতিবাচক বার্তা দিচ্ছে। এসব কার্যক্রম সামাজিক ও নৈতিকভাবে যেমন উদ্বেগজনক, তেমনি দেশের প্রচলিত আইনেরও লঙ্ঘন।
অভিযানের সময় তাঁদের কাছ থেকে মোবাইল ফোন, সিম কার্ড, ক্যামেরা, ট্রাইপডসহ ভিডিও ধারণের বিভিন্ন যন্ত্রপাতি জব্দ করা হয়েছে। তাঁদের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা রুজু করা হয়েছে। একই সঙ্গে আদালতে সোপর্দ করে রিমান্ড চেয়ে আবেদন করা হবে বলে জানিয়েছে সিআইডি।
সিআইডির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, পর্নোগ্রাফি ছড়িয়ে দেওয়ার সঙ্গে যুক্ত অন্যদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তারে তদন্ত অব্যাহত রয়েছে।

ভালো একটা নিউজ হাতে পাওয়া একজন সংবাদকর্মীর কাছে লটারি জেতার মতো। ভাগ্য ভালো থাকলে মিলবে, না হলে নয়। একবার কুষ্টিয়ায় গিয়ে তেমনই সংকটে পড়তে হলো আমাকে। দিনকয়েক ঘুরেফিরে ভালো কোনো নিউজ মিলল না, যা পেলাম তাতে মন ভরে না। অনেকটা মন খারাপ করে একদিন বিকেলে গেলাম পাশের জেলা মেহেরপুরে।
৩০ জুলাই ২০২২
রাজধানীর মোহাম্মদপুরে জেনেভা ক্যাম্পে ‘মাদক কারবারিদের’ দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে জাহিদ নিহতের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ শুক্রবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. ইবনে মিজান আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
৪ দিন আগে
এক বিজ্ঞপ্তিতে সিআইডি জানিয়েছে, নূরে আলম একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সদস্য। তিনি ফেসবুকে এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে যোগাযোগ করে জানান, তাঁর নামে বিদেশ থেকে একটি পার্সেল এসেছে, যা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাস্টম হাউসে জমা আছে। পার্সেল ছাড়াতে টাকা লাগবে—এ দাবি করে পার্সেলের ছবিও পাঠান তিনি।
৭ দিন আগে
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সভায় উপস্থিত বিএফআইইউ প্রতিনিধি বলেন, এমএফএস অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে জুয়া ও প্রতারণা বন্ধে বিটিআরসির (বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন) মাধ্যমে বার্তা দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া এমএফএস প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে বৈঠক করে তাদের কিছু নির্দেশনাও দেওয়া হবে। যেসব অ্যাকাউন্ট ব্লক (স্থগিত)
৭ দিন আগে