কামরুল হাসান

টুনটুনকে শেষ অব্দি খুঁজে পাওয়া গেল। অবশ্য আমি নিজে তাঁর কোনো খোঁজ পাইনি। তাঁকে খুঁজে পেয়েছেন আজকের পত্রিকার রাজশাহী প্রতিনিধি রিমন রহমান। মহাভারতের বর্ণনায় সমুদ্র মন্থন করে দেবতারা যেভাবে অমৃত খুঁজে এনেছিলেন, রিমন সেভাবে শহর সেচে একটি মেয়েকে খুঁজে বের করেছেন। মেয়েটির নাম ছাড়াও তাঁর কাছে বাড়তি তথ্য ছিল, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইসলামের ইতিহাসে পাস করা মেয়েটি দেখতে ভারী সুন্দর।
টুনটুন নামের এই মেয়ে আমার কাছে প্রথমবার এসেছিলেন ১৪ বছর আগে ২০০৮ সালে, সেটা সম্ভবত ৯ ফেব্রুয়ারি। এসেছিলেন তাঁর এক ঘনিষ্ঠ বন্ধুর খুনের বিচার চাইতে, যার সঙ্গে টুনটুনের বিয়ের কথা পাকা হয়েছিল।
সংবাদপত্র অফিসে এ রকম অভিযোগ নিয়ে হরহামেশা লোকজন আসেন। রিপোর্ট ছাপা হওয়ার পর তাঁদের আর কোনো খোঁজ থাকে না। সেভাবেই টুনটুনের সঙ্গে আমার আর কোনো যোগাযোগ হয়নি। তবে রিমনের খুঁজে দেওয়া নম্বর ধরে ফোন করতেই তিনি আমাকে চিনে ফেললেন।
প্রত্যাশা ছিল, আমার ফোন পেয়ে টুনটুন কিছুটা উচ্ছ্বসিত হবেন। তার বদলে তিনি একটু চুপসেই গেলেন। কথার ভেতরেও বেশ জড়তা। বললেন, তাঁর সেই বন্ধুর খুনের মামলার কোনো খবর তিনি আর জানেন না। কথার ফাঁকে বললেন, তিনি এখন সংসারী, একটি সন্তানও আছে। আমাকে বারবার অনুরোধ করলেন, তাঁর সেই বন্ধুকে নিয়ে কিছু লিখলে সেখানে যেন তাঁর নামপরিচয় আড়াল করি।
‘এই কাহিনির সব চরিত্র কাল্পনিক’ বলে যেসব গল্প শুরু হয়, ‘আষাঢ়ে নয়’ তার ঠিক উল্টো পিঠে। এখানে সব চরিত্রই বাস্তব। ঘটনাও বলা হয় সবার নাম-পরিচয় উল্লেখ করে। এসব গল্পে পরিচয়সহ আশপাশের লোকজনের বিবরণও থাকে, যাতে পাঠকেরা অন্তত সময়টা ধরতে পারেন। কিন্তু এত দিন পরে এই মেয়ের আবদারের কাছে আমাকে হার মানতে হলো। প্রিয় পাঠক, তাই ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি এটা বলে, টুনটুন মেয়েটির আসল নাম নয়। তবু গল্পটা এ নামেই চলুক, কেমন?
যে ছেলেটির সঙ্গে টুনটুনের বিয়ে পাকা হয়েছিল, তাঁর নাম হাফিজুল ইসলাম। বাড়ি চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদরের দুর্গাপুরে। বাবা নুরুল ইসলামের ছয় সন্তানের মধ্যে সবার ছোট। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে এসে পরিচয় টুনটুনের সঙ্গে। পরে ঘনিষ্ঠতা থেকে বিয়ের পাকা কথা। দুজনে ভেবেছিলেন, মাস্টার্স শেষ হোক, যেকোনো একজনের চাকরি হলেই ঘর বাঁধবেন। অঞ্জন দত্তের বেলা বোসের মতো ‘মিথ্যে কথার শহরে’ লাল-নীল সংসারের স্বপ্ন দেখতেন দুজনে।
রাজশাহী থেকে চাকরির জন্য ঢাকায় এসে হাফিজুল উঠেছিলেন পূর্ব কাজীপাড়ায় এক বন্ধুর মেসে। ২০০৫ সালের ২২ এপ্রিল শুক্রবার সেই মেসের বন্ধু নুরুজ্জামানের সঙ্গে জুমার নামাজ পড়ে ফেরার পথে পূর্ব কাজীপাড়ার মাতবরের পুকুরপাড়ে গুলিবিদ্ধ হন। সে সময় ওই এলাকায় দুই দল সন্ত্রাসীর মধ্যে গুলিবিনিময় চলছিল। হঠাৎ একটি গুলি এসে হাফিজুলের গায়ে লাগে। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক হাফিজুলকে মৃত ঘোষণা করেন।
কাফরুল থানার পুলিশ প্রথমে বেওয়ারিশ হিসেবে হাফিজুলের লাশটি গ্রহণ করে। পরিচয় জানার পর থানা থেকে হাফিজুলের বড় ভাই জয়নুল ইসলামকে ফোন দেয়। হাফিজুলের বাবা নুরুল ইসলাম থানায় এসে অজ্ঞাত আসামির নামে খুনের মামলা করেন। এরপর লাশ নিয়ে যান গ্রামের বাড়িতে।
হাফিজুলের ভাই জয়নুল ইসলাম দুই দিন আগে আমাকে বললেন, সেই মামলার কী হয়েছে, সেটা তাঁরা আর জানেন না। চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে ঢাকায় গিয়ে খুনের মামলার তদবির করার মতো অবস্থা তাঁদের নেই।
হাফিজুলের চাচাতো ভাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসের শিক্ষক অধ্যাপক ড. মেজবাহ কামাল। দুই দিন আগে তিনি আমাকে বললেন, খুনের পর কিছুদিন তিনিও এই মামলার খোঁজ-খবর নিচ্ছিলেন। একপর্যায়ে হতাশ হয়ে হাল ছেড়ে দেন। এখন তিনিও মামলার আর কোনো হদিস জানেন না।
সবাই যখন হতাশ হয়ে হাল ছেড়ে দিয়েছিলেন, তখন মামলার খোঁজ-খবর নিতেন টুনটুন। যদিও হাফিজুল নিহত হওয়ার খবর তিনি পেয়েছিলেন ঘটনার কয়েক দিন পরে। খবর শুনে ভেঙে পড়েছিলেন। ছয় মাস ঘর থেকেই বের হননি। একবার হাফিজুলদের বাড়িতেও গিয়েছিলেন সবার সঙ্গে দেখা করতে। এরপর রাজশাহী থেকে ঢাকায় এসে খুনিদের গ্রেপ্তারের জন্য দ্বারে দ্বারে ঘুরতেন। চিঠি লিখতেন এখানে-ওখানে। কিন্তু টুনটুনের কথা কেউ কানে তোলেনি।
এভাবে ঘুরতে ঘুরতে একদিন আমার কাছে এসেছিলেন সেই সব অভিযোগ জানাতে, সঙ্গে বিভিন্ন দপ্তরে লেখা চিঠির অনুলিপি। বলেছিলেন, তাঁর ভালোবাসার মানুষটি অবয়ব হারিয়ে শুধু একটি সংখ্যায় রূপ নিয়েছে। হাফিজুল এখন পুলিশের কাছে মামলার নম্বর ছাড়া কিছুই নয়।
হাফিজুলের সঙ্গে টুনটুনের শেষ কথা হয়েছিল রাজশাহীতে, হাফিজুলের ঢাকায় আসার আগে। প্রথম প্রস্তাবের সময় হাফিজুল তাঁকে বলেছিলেন, আমার সঙ্গে ঘর বাঁধবে? এমন ঘরভাঙানি ডাক টুনটুন উপেক্ষা করবেন কী করে? তার পরও ভালোবাসার কথা কোনো দিন মুখ ফুটে বলতে পারেননি। শুধু মনে মনে বলেছেন, ‘আমি তোমারই সঙ্গে বেঁধেছি আমার প্রাণ....’।
শেষবার ঢাকায় আসার সময় এক হাট লোকের মধ্যে হাফিজুল ফিসফিসিয়ে বলেছিলেন, বলো না ভালোবাসি! সেদিনও লজ্জায় নিরুত্তর ছিলেন টুনটুন। হাফিজুলের এমন মনভোলানি ডাকে কপিলার মতো তাঁরও খুব বলতে ইচ্ছে করছিল, ‘আমারে লগে নিবা মাঝি...’।
সেই টুনটুন লোকলজ্জার মাথা খেয়ে শেষবার দেখা হওয়ার সময় আমাকে বলেছিলেন, ‘আমার ভালোবাসার কথা আপনি হাফিজুলের কাছে পৌঁছে দেবেন ভাই। লিখবেন, আমি তাঁকে খুব ভালোবাসি, খুব।’
টুনটুনের সেই ভালোবাসার কথা আমি লিখেছিলাম। হাফিজুলের কাছে সেই বার্তা পৌঁছেছে কি না, তা সৃষ্টিকর্তা ছাড়া আর কেউ জানেন না। এরপর নানা কাজের ভিড়ে টুনটুনকে হারিয়ে ফেলি। টুনটুনও ব্যস্ত হয়ে যান রোজকার যাপিত জীবনে। এভাবে চলতে চলতে একসময় পরিবারের চাপ আসে। বয়স বেড়ে যাচ্ছে, তবু বিয়ে করছেন না মেয়ে। চাপের কাছে একপর্যায়ে হার মানেন টুনটুন। সবকিছু ছেড়ে বিয়ে করে সংসারী হন। বন্ধ হয়ে যায় হাফিজুলের মামলার তদারকি।
হাফিজুলকে যারা খুন করেছিল, তাদের বিচারের কী হলো, তার খোঁজ নিতে কাফরুল থানায় গিয়েছিলেন আজকের পত্রিকার স্টাফ রিপোর্টার শাহরিয়ার হাসান। তাঁর অনুরোধে ধুলোর আস্তর সরিয়ে পুরোনা নথি খুঁজে বের করে দেন এক হৃদয়বান পুলিশ সদস্য। নথিতে দেখা গেল, এই মামলার কোনো আসামিকে পুলিশ শেষ পর্যন্ত খুঁজে পায়নি। খুনের পর সাতজনকে ধরেছিল, কিন্তু কেউ জবানবন্দি দেয়নি। মোহাম্মদ নাসিম নামের এক এসআই খুনের মামলাটি তদন্ত করেছিলেন। খুনের মাত্র আট মাসের মাথায় ২০০৫ সালের ২৩ ডিসেম্বর তড়িঘড়ি করে তিনি চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেন। তাতে উল্লেখ করেন, খুনের রহস্য তিনি উদ্ঘাটন করতে পারেনি। পুলিশের প্রতিবেদনের বিরুদ্ধে হাফিজুলের পক্ষ নিয়ে কেউ আদালতে নারাজি দেবেন, সে রকম লোকও ছিল না।
গত সপ্তাহের ‘আষাঢ়ে নয়’-এ চিত্রনায়ক সোহেল চৌধুরী হত্যা মামলা নিয়ে লিখেছিলাম। বিত্তশালীরা কীভাবে দেশের বিচারব্যবস্থাকে নিজের প্রয়োজনে থামিয়ে দেন, সোহেল চৌধুরী হত্যা মামলা হলো তার সবচেয়ে বড় উদাহরণ। আর হাফিজুলের মামলাটি এমন, যেখানে বিচারের বাণী সরবে কাঁদে।
মামলার তদন্তের ফলাফল জানার পর টুনটুনের কাছে আবার ফোন করেছিলাম। বললাম, যে খুনের বিচার চেয়ে তিনি দ্বারে দ্বারে ঘুরেছেন, সেই খুনের মামলার কোনো আসামিকেই খুঁজে পায়নি পুলিশ। কারও কোনো সাজাও হয়নি। এসব অগতির কথা শুনে কিছুক্ষণ নীরব থাকলেন টুনটুন। কিছুই বললেন না, আবার ফোনও কাটলেন না। ফোনের ওপার থেকে শোনা যাচ্ছিল কান্নার আওয়াজ। টুনটুন কাঁদছেন।
ফোন রেখে দিতে দিতে আমার মনে হচ্ছিল, যে কান্না হৃদয় ভেঙে ঝরে, সেই বেদনা বড় সংক্রামক।
আরও পড়ুন:

টুনটুনকে শেষ অব্দি খুঁজে পাওয়া গেল। অবশ্য আমি নিজে তাঁর কোনো খোঁজ পাইনি। তাঁকে খুঁজে পেয়েছেন আজকের পত্রিকার রাজশাহী প্রতিনিধি রিমন রহমান। মহাভারতের বর্ণনায় সমুদ্র মন্থন করে দেবতারা যেভাবে অমৃত খুঁজে এনেছিলেন, রিমন সেভাবে শহর সেচে একটি মেয়েকে খুঁজে বের করেছেন। মেয়েটির নাম ছাড়াও তাঁর কাছে বাড়তি তথ্য ছিল, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইসলামের ইতিহাসে পাস করা মেয়েটি দেখতে ভারী সুন্দর।
টুনটুন নামের এই মেয়ে আমার কাছে প্রথমবার এসেছিলেন ১৪ বছর আগে ২০০৮ সালে, সেটা সম্ভবত ৯ ফেব্রুয়ারি। এসেছিলেন তাঁর এক ঘনিষ্ঠ বন্ধুর খুনের বিচার চাইতে, যার সঙ্গে টুনটুনের বিয়ের কথা পাকা হয়েছিল।
সংবাদপত্র অফিসে এ রকম অভিযোগ নিয়ে হরহামেশা লোকজন আসেন। রিপোর্ট ছাপা হওয়ার পর তাঁদের আর কোনো খোঁজ থাকে না। সেভাবেই টুনটুনের সঙ্গে আমার আর কোনো যোগাযোগ হয়নি। তবে রিমনের খুঁজে দেওয়া নম্বর ধরে ফোন করতেই তিনি আমাকে চিনে ফেললেন।
প্রত্যাশা ছিল, আমার ফোন পেয়ে টুনটুন কিছুটা উচ্ছ্বসিত হবেন। তার বদলে তিনি একটু চুপসেই গেলেন। কথার ভেতরেও বেশ জড়তা। বললেন, তাঁর সেই বন্ধুর খুনের মামলার কোনো খবর তিনি আর জানেন না। কথার ফাঁকে বললেন, তিনি এখন সংসারী, একটি সন্তানও আছে। আমাকে বারবার অনুরোধ করলেন, তাঁর সেই বন্ধুকে নিয়ে কিছু লিখলে সেখানে যেন তাঁর নামপরিচয় আড়াল করি।
‘এই কাহিনির সব চরিত্র কাল্পনিক’ বলে যেসব গল্প শুরু হয়, ‘আষাঢ়ে নয়’ তার ঠিক উল্টো পিঠে। এখানে সব চরিত্রই বাস্তব। ঘটনাও বলা হয় সবার নাম-পরিচয় উল্লেখ করে। এসব গল্পে পরিচয়সহ আশপাশের লোকজনের বিবরণও থাকে, যাতে পাঠকেরা অন্তত সময়টা ধরতে পারেন। কিন্তু এত দিন পরে এই মেয়ের আবদারের কাছে আমাকে হার মানতে হলো। প্রিয় পাঠক, তাই ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি এটা বলে, টুনটুন মেয়েটির আসল নাম নয়। তবু গল্পটা এ নামেই চলুক, কেমন?
যে ছেলেটির সঙ্গে টুনটুনের বিয়ে পাকা হয়েছিল, তাঁর নাম হাফিজুল ইসলাম। বাড়ি চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদরের দুর্গাপুরে। বাবা নুরুল ইসলামের ছয় সন্তানের মধ্যে সবার ছোট। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে এসে পরিচয় টুনটুনের সঙ্গে। পরে ঘনিষ্ঠতা থেকে বিয়ের পাকা কথা। দুজনে ভেবেছিলেন, মাস্টার্স শেষ হোক, যেকোনো একজনের চাকরি হলেই ঘর বাঁধবেন। অঞ্জন দত্তের বেলা বোসের মতো ‘মিথ্যে কথার শহরে’ লাল-নীল সংসারের স্বপ্ন দেখতেন দুজনে।
রাজশাহী থেকে চাকরির জন্য ঢাকায় এসে হাফিজুল উঠেছিলেন পূর্ব কাজীপাড়ায় এক বন্ধুর মেসে। ২০০৫ সালের ২২ এপ্রিল শুক্রবার সেই মেসের বন্ধু নুরুজ্জামানের সঙ্গে জুমার নামাজ পড়ে ফেরার পথে পূর্ব কাজীপাড়ার মাতবরের পুকুরপাড়ে গুলিবিদ্ধ হন। সে সময় ওই এলাকায় দুই দল সন্ত্রাসীর মধ্যে গুলিবিনিময় চলছিল। হঠাৎ একটি গুলি এসে হাফিজুলের গায়ে লাগে। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক হাফিজুলকে মৃত ঘোষণা করেন।
কাফরুল থানার পুলিশ প্রথমে বেওয়ারিশ হিসেবে হাফিজুলের লাশটি গ্রহণ করে। পরিচয় জানার পর থানা থেকে হাফিজুলের বড় ভাই জয়নুল ইসলামকে ফোন দেয়। হাফিজুলের বাবা নুরুল ইসলাম থানায় এসে অজ্ঞাত আসামির নামে খুনের মামলা করেন। এরপর লাশ নিয়ে যান গ্রামের বাড়িতে।
হাফিজুলের ভাই জয়নুল ইসলাম দুই দিন আগে আমাকে বললেন, সেই মামলার কী হয়েছে, সেটা তাঁরা আর জানেন না। চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে ঢাকায় গিয়ে খুনের মামলার তদবির করার মতো অবস্থা তাঁদের নেই।
হাফিজুলের চাচাতো ভাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসের শিক্ষক অধ্যাপক ড. মেজবাহ কামাল। দুই দিন আগে তিনি আমাকে বললেন, খুনের পর কিছুদিন তিনিও এই মামলার খোঁজ-খবর নিচ্ছিলেন। একপর্যায়ে হতাশ হয়ে হাল ছেড়ে দেন। এখন তিনিও মামলার আর কোনো হদিস জানেন না।
সবাই যখন হতাশ হয়ে হাল ছেড়ে দিয়েছিলেন, তখন মামলার খোঁজ-খবর নিতেন টুনটুন। যদিও হাফিজুল নিহত হওয়ার খবর তিনি পেয়েছিলেন ঘটনার কয়েক দিন পরে। খবর শুনে ভেঙে পড়েছিলেন। ছয় মাস ঘর থেকেই বের হননি। একবার হাফিজুলদের বাড়িতেও গিয়েছিলেন সবার সঙ্গে দেখা করতে। এরপর রাজশাহী থেকে ঢাকায় এসে খুনিদের গ্রেপ্তারের জন্য দ্বারে দ্বারে ঘুরতেন। চিঠি লিখতেন এখানে-ওখানে। কিন্তু টুনটুনের কথা কেউ কানে তোলেনি।
এভাবে ঘুরতে ঘুরতে একদিন আমার কাছে এসেছিলেন সেই সব অভিযোগ জানাতে, সঙ্গে বিভিন্ন দপ্তরে লেখা চিঠির অনুলিপি। বলেছিলেন, তাঁর ভালোবাসার মানুষটি অবয়ব হারিয়ে শুধু একটি সংখ্যায় রূপ নিয়েছে। হাফিজুল এখন পুলিশের কাছে মামলার নম্বর ছাড়া কিছুই নয়।
হাফিজুলের সঙ্গে টুনটুনের শেষ কথা হয়েছিল রাজশাহীতে, হাফিজুলের ঢাকায় আসার আগে। প্রথম প্রস্তাবের সময় হাফিজুল তাঁকে বলেছিলেন, আমার সঙ্গে ঘর বাঁধবে? এমন ঘরভাঙানি ডাক টুনটুন উপেক্ষা করবেন কী করে? তার পরও ভালোবাসার কথা কোনো দিন মুখ ফুটে বলতে পারেননি। শুধু মনে মনে বলেছেন, ‘আমি তোমারই সঙ্গে বেঁধেছি আমার প্রাণ....’।
শেষবার ঢাকায় আসার সময় এক হাট লোকের মধ্যে হাফিজুল ফিসফিসিয়ে বলেছিলেন, বলো না ভালোবাসি! সেদিনও লজ্জায় নিরুত্তর ছিলেন টুনটুন। হাফিজুলের এমন মনভোলানি ডাকে কপিলার মতো তাঁরও খুব বলতে ইচ্ছে করছিল, ‘আমারে লগে নিবা মাঝি...’।
সেই টুনটুন লোকলজ্জার মাথা খেয়ে শেষবার দেখা হওয়ার সময় আমাকে বলেছিলেন, ‘আমার ভালোবাসার কথা আপনি হাফিজুলের কাছে পৌঁছে দেবেন ভাই। লিখবেন, আমি তাঁকে খুব ভালোবাসি, খুব।’
টুনটুনের সেই ভালোবাসার কথা আমি লিখেছিলাম। হাফিজুলের কাছে সেই বার্তা পৌঁছেছে কি না, তা সৃষ্টিকর্তা ছাড়া আর কেউ জানেন না। এরপর নানা কাজের ভিড়ে টুনটুনকে হারিয়ে ফেলি। টুনটুনও ব্যস্ত হয়ে যান রোজকার যাপিত জীবনে। এভাবে চলতে চলতে একসময় পরিবারের চাপ আসে। বয়স বেড়ে যাচ্ছে, তবু বিয়ে করছেন না মেয়ে। চাপের কাছে একপর্যায়ে হার মানেন টুনটুন। সবকিছু ছেড়ে বিয়ে করে সংসারী হন। বন্ধ হয়ে যায় হাফিজুলের মামলার তদারকি।
হাফিজুলকে যারা খুন করেছিল, তাদের বিচারের কী হলো, তার খোঁজ নিতে কাফরুল থানায় গিয়েছিলেন আজকের পত্রিকার স্টাফ রিপোর্টার শাহরিয়ার হাসান। তাঁর অনুরোধে ধুলোর আস্তর সরিয়ে পুরোনা নথি খুঁজে বের করে দেন এক হৃদয়বান পুলিশ সদস্য। নথিতে দেখা গেল, এই মামলার কোনো আসামিকে পুলিশ শেষ পর্যন্ত খুঁজে পায়নি। খুনের পর সাতজনকে ধরেছিল, কিন্তু কেউ জবানবন্দি দেয়নি। মোহাম্মদ নাসিম নামের এক এসআই খুনের মামলাটি তদন্ত করেছিলেন। খুনের মাত্র আট মাসের মাথায় ২০০৫ সালের ২৩ ডিসেম্বর তড়িঘড়ি করে তিনি চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেন। তাতে উল্লেখ করেন, খুনের রহস্য তিনি উদ্ঘাটন করতে পারেনি। পুলিশের প্রতিবেদনের বিরুদ্ধে হাফিজুলের পক্ষ নিয়ে কেউ আদালতে নারাজি দেবেন, সে রকম লোকও ছিল না।
গত সপ্তাহের ‘আষাঢ়ে নয়’-এ চিত্রনায়ক সোহেল চৌধুরী হত্যা মামলা নিয়ে লিখেছিলাম। বিত্তশালীরা কীভাবে দেশের বিচারব্যবস্থাকে নিজের প্রয়োজনে থামিয়ে দেন, সোহেল চৌধুরী হত্যা মামলা হলো তার সবচেয়ে বড় উদাহরণ। আর হাফিজুলের মামলাটি এমন, যেখানে বিচারের বাণী সরবে কাঁদে।
মামলার তদন্তের ফলাফল জানার পর টুনটুনের কাছে আবার ফোন করেছিলাম। বললাম, যে খুনের বিচার চেয়ে তিনি দ্বারে দ্বারে ঘুরেছেন, সেই খুনের মামলার কোনো আসামিকেই খুঁজে পায়নি পুলিশ। কারও কোনো সাজাও হয়নি। এসব অগতির কথা শুনে কিছুক্ষণ নীরব থাকলেন টুনটুন। কিছুই বললেন না, আবার ফোনও কাটলেন না। ফোনের ওপার থেকে শোনা যাচ্ছিল কান্নার আওয়াজ। টুনটুন কাঁদছেন।
ফোন রেখে দিতে দিতে আমার মনে হচ্ছিল, যে কান্না হৃদয় ভেঙে ঝরে, সেই বেদনা বড় সংক্রামক।
আরও পড়ুন:
কামরুল হাসান

টুনটুনকে শেষ অব্দি খুঁজে পাওয়া গেল। অবশ্য আমি নিজে তাঁর কোনো খোঁজ পাইনি। তাঁকে খুঁজে পেয়েছেন আজকের পত্রিকার রাজশাহী প্রতিনিধি রিমন রহমান। মহাভারতের বর্ণনায় সমুদ্র মন্থন করে দেবতারা যেভাবে অমৃত খুঁজে এনেছিলেন, রিমন সেভাবে শহর সেচে একটি মেয়েকে খুঁজে বের করেছেন। মেয়েটির নাম ছাড়াও তাঁর কাছে বাড়তি তথ্য ছিল, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইসলামের ইতিহাসে পাস করা মেয়েটি দেখতে ভারী সুন্দর।
টুনটুন নামের এই মেয়ে আমার কাছে প্রথমবার এসেছিলেন ১৪ বছর আগে ২০০৮ সালে, সেটা সম্ভবত ৯ ফেব্রুয়ারি। এসেছিলেন তাঁর এক ঘনিষ্ঠ বন্ধুর খুনের বিচার চাইতে, যার সঙ্গে টুনটুনের বিয়ের কথা পাকা হয়েছিল।
সংবাদপত্র অফিসে এ রকম অভিযোগ নিয়ে হরহামেশা লোকজন আসেন। রিপোর্ট ছাপা হওয়ার পর তাঁদের আর কোনো খোঁজ থাকে না। সেভাবেই টুনটুনের সঙ্গে আমার আর কোনো যোগাযোগ হয়নি। তবে রিমনের খুঁজে দেওয়া নম্বর ধরে ফোন করতেই তিনি আমাকে চিনে ফেললেন।
প্রত্যাশা ছিল, আমার ফোন পেয়ে টুনটুন কিছুটা উচ্ছ্বসিত হবেন। তার বদলে তিনি একটু চুপসেই গেলেন। কথার ভেতরেও বেশ জড়তা। বললেন, তাঁর সেই বন্ধুর খুনের মামলার কোনো খবর তিনি আর জানেন না। কথার ফাঁকে বললেন, তিনি এখন সংসারী, একটি সন্তানও আছে। আমাকে বারবার অনুরোধ করলেন, তাঁর সেই বন্ধুকে নিয়ে কিছু লিখলে সেখানে যেন তাঁর নামপরিচয় আড়াল করি।
‘এই কাহিনির সব চরিত্র কাল্পনিক’ বলে যেসব গল্প শুরু হয়, ‘আষাঢ়ে নয়’ তার ঠিক উল্টো পিঠে। এখানে সব চরিত্রই বাস্তব। ঘটনাও বলা হয় সবার নাম-পরিচয় উল্লেখ করে। এসব গল্পে পরিচয়সহ আশপাশের লোকজনের বিবরণও থাকে, যাতে পাঠকেরা অন্তত সময়টা ধরতে পারেন। কিন্তু এত দিন পরে এই মেয়ের আবদারের কাছে আমাকে হার মানতে হলো। প্রিয় পাঠক, তাই ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি এটা বলে, টুনটুন মেয়েটির আসল নাম নয়। তবু গল্পটা এ নামেই চলুক, কেমন?
যে ছেলেটির সঙ্গে টুনটুনের বিয়ে পাকা হয়েছিল, তাঁর নাম হাফিজুল ইসলাম। বাড়ি চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদরের দুর্গাপুরে। বাবা নুরুল ইসলামের ছয় সন্তানের মধ্যে সবার ছোট। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে এসে পরিচয় টুনটুনের সঙ্গে। পরে ঘনিষ্ঠতা থেকে বিয়ের পাকা কথা। দুজনে ভেবেছিলেন, মাস্টার্স শেষ হোক, যেকোনো একজনের চাকরি হলেই ঘর বাঁধবেন। অঞ্জন দত্তের বেলা বোসের মতো ‘মিথ্যে কথার শহরে’ লাল-নীল সংসারের স্বপ্ন দেখতেন দুজনে।
রাজশাহী থেকে চাকরির জন্য ঢাকায় এসে হাফিজুল উঠেছিলেন পূর্ব কাজীপাড়ায় এক বন্ধুর মেসে। ২০০৫ সালের ২২ এপ্রিল শুক্রবার সেই মেসের বন্ধু নুরুজ্জামানের সঙ্গে জুমার নামাজ পড়ে ফেরার পথে পূর্ব কাজীপাড়ার মাতবরের পুকুরপাড়ে গুলিবিদ্ধ হন। সে সময় ওই এলাকায় দুই দল সন্ত্রাসীর মধ্যে গুলিবিনিময় চলছিল। হঠাৎ একটি গুলি এসে হাফিজুলের গায়ে লাগে। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক হাফিজুলকে মৃত ঘোষণা করেন।
কাফরুল থানার পুলিশ প্রথমে বেওয়ারিশ হিসেবে হাফিজুলের লাশটি গ্রহণ করে। পরিচয় জানার পর থানা থেকে হাফিজুলের বড় ভাই জয়নুল ইসলামকে ফোন দেয়। হাফিজুলের বাবা নুরুল ইসলাম থানায় এসে অজ্ঞাত আসামির নামে খুনের মামলা করেন। এরপর লাশ নিয়ে যান গ্রামের বাড়িতে।
হাফিজুলের ভাই জয়নুল ইসলাম দুই দিন আগে আমাকে বললেন, সেই মামলার কী হয়েছে, সেটা তাঁরা আর জানেন না। চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে ঢাকায় গিয়ে খুনের মামলার তদবির করার মতো অবস্থা তাঁদের নেই।
হাফিজুলের চাচাতো ভাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসের শিক্ষক অধ্যাপক ড. মেজবাহ কামাল। দুই দিন আগে তিনি আমাকে বললেন, খুনের পর কিছুদিন তিনিও এই মামলার খোঁজ-খবর নিচ্ছিলেন। একপর্যায়ে হতাশ হয়ে হাল ছেড়ে দেন। এখন তিনিও মামলার আর কোনো হদিস জানেন না।
সবাই যখন হতাশ হয়ে হাল ছেড়ে দিয়েছিলেন, তখন মামলার খোঁজ-খবর নিতেন টুনটুন। যদিও হাফিজুল নিহত হওয়ার খবর তিনি পেয়েছিলেন ঘটনার কয়েক দিন পরে। খবর শুনে ভেঙে পড়েছিলেন। ছয় মাস ঘর থেকেই বের হননি। একবার হাফিজুলদের বাড়িতেও গিয়েছিলেন সবার সঙ্গে দেখা করতে। এরপর রাজশাহী থেকে ঢাকায় এসে খুনিদের গ্রেপ্তারের জন্য দ্বারে দ্বারে ঘুরতেন। চিঠি লিখতেন এখানে-ওখানে। কিন্তু টুনটুনের কথা কেউ কানে তোলেনি।
এভাবে ঘুরতে ঘুরতে একদিন আমার কাছে এসেছিলেন সেই সব অভিযোগ জানাতে, সঙ্গে বিভিন্ন দপ্তরে লেখা চিঠির অনুলিপি। বলেছিলেন, তাঁর ভালোবাসার মানুষটি অবয়ব হারিয়ে শুধু একটি সংখ্যায় রূপ নিয়েছে। হাফিজুল এখন পুলিশের কাছে মামলার নম্বর ছাড়া কিছুই নয়।
হাফিজুলের সঙ্গে টুনটুনের শেষ কথা হয়েছিল রাজশাহীতে, হাফিজুলের ঢাকায় আসার আগে। প্রথম প্রস্তাবের সময় হাফিজুল তাঁকে বলেছিলেন, আমার সঙ্গে ঘর বাঁধবে? এমন ঘরভাঙানি ডাক টুনটুন উপেক্ষা করবেন কী করে? তার পরও ভালোবাসার কথা কোনো দিন মুখ ফুটে বলতে পারেননি। শুধু মনে মনে বলেছেন, ‘আমি তোমারই সঙ্গে বেঁধেছি আমার প্রাণ....’।
শেষবার ঢাকায় আসার সময় এক হাট লোকের মধ্যে হাফিজুল ফিসফিসিয়ে বলেছিলেন, বলো না ভালোবাসি! সেদিনও লজ্জায় নিরুত্তর ছিলেন টুনটুন। হাফিজুলের এমন মনভোলানি ডাকে কপিলার মতো তাঁরও খুব বলতে ইচ্ছে করছিল, ‘আমারে লগে নিবা মাঝি...’।
সেই টুনটুন লোকলজ্জার মাথা খেয়ে শেষবার দেখা হওয়ার সময় আমাকে বলেছিলেন, ‘আমার ভালোবাসার কথা আপনি হাফিজুলের কাছে পৌঁছে দেবেন ভাই। লিখবেন, আমি তাঁকে খুব ভালোবাসি, খুব।’
টুনটুনের সেই ভালোবাসার কথা আমি লিখেছিলাম। হাফিজুলের কাছে সেই বার্তা পৌঁছেছে কি না, তা সৃষ্টিকর্তা ছাড়া আর কেউ জানেন না। এরপর নানা কাজের ভিড়ে টুনটুনকে হারিয়ে ফেলি। টুনটুনও ব্যস্ত হয়ে যান রোজকার যাপিত জীবনে। এভাবে চলতে চলতে একসময় পরিবারের চাপ আসে। বয়স বেড়ে যাচ্ছে, তবু বিয়ে করছেন না মেয়ে। চাপের কাছে একপর্যায়ে হার মানেন টুনটুন। সবকিছু ছেড়ে বিয়ে করে সংসারী হন। বন্ধ হয়ে যায় হাফিজুলের মামলার তদারকি।
হাফিজুলকে যারা খুন করেছিল, তাদের বিচারের কী হলো, তার খোঁজ নিতে কাফরুল থানায় গিয়েছিলেন আজকের পত্রিকার স্টাফ রিপোর্টার শাহরিয়ার হাসান। তাঁর অনুরোধে ধুলোর আস্তর সরিয়ে পুরোনা নথি খুঁজে বের করে দেন এক হৃদয়বান পুলিশ সদস্য। নথিতে দেখা গেল, এই মামলার কোনো আসামিকে পুলিশ শেষ পর্যন্ত খুঁজে পায়নি। খুনের পর সাতজনকে ধরেছিল, কিন্তু কেউ জবানবন্দি দেয়নি। মোহাম্মদ নাসিম নামের এক এসআই খুনের মামলাটি তদন্ত করেছিলেন। খুনের মাত্র আট মাসের মাথায় ২০০৫ সালের ২৩ ডিসেম্বর তড়িঘড়ি করে তিনি চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেন। তাতে উল্লেখ করেন, খুনের রহস্য তিনি উদ্ঘাটন করতে পারেনি। পুলিশের প্রতিবেদনের বিরুদ্ধে হাফিজুলের পক্ষ নিয়ে কেউ আদালতে নারাজি দেবেন, সে রকম লোকও ছিল না।
গত সপ্তাহের ‘আষাঢ়ে নয়’-এ চিত্রনায়ক সোহেল চৌধুরী হত্যা মামলা নিয়ে লিখেছিলাম। বিত্তশালীরা কীভাবে দেশের বিচারব্যবস্থাকে নিজের প্রয়োজনে থামিয়ে দেন, সোহেল চৌধুরী হত্যা মামলা হলো তার সবচেয়ে বড় উদাহরণ। আর হাফিজুলের মামলাটি এমন, যেখানে বিচারের বাণী সরবে কাঁদে।
মামলার তদন্তের ফলাফল জানার পর টুনটুনের কাছে আবার ফোন করেছিলাম। বললাম, যে খুনের বিচার চেয়ে তিনি দ্বারে দ্বারে ঘুরেছেন, সেই খুনের মামলার কোনো আসামিকেই খুঁজে পায়নি পুলিশ। কারও কোনো সাজাও হয়নি। এসব অগতির কথা শুনে কিছুক্ষণ নীরব থাকলেন টুনটুন। কিছুই বললেন না, আবার ফোনও কাটলেন না। ফোনের ওপার থেকে শোনা যাচ্ছিল কান্নার আওয়াজ। টুনটুন কাঁদছেন।
ফোন রেখে দিতে দিতে আমার মনে হচ্ছিল, যে কান্না হৃদয় ভেঙে ঝরে, সেই বেদনা বড় সংক্রামক।
আরও পড়ুন:

টুনটুনকে শেষ অব্দি খুঁজে পাওয়া গেল। অবশ্য আমি নিজে তাঁর কোনো খোঁজ পাইনি। তাঁকে খুঁজে পেয়েছেন আজকের পত্রিকার রাজশাহী প্রতিনিধি রিমন রহমান। মহাভারতের বর্ণনায় সমুদ্র মন্থন করে দেবতারা যেভাবে অমৃত খুঁজে এনেছিলেন, রিমন সেভাবে শহর সেচে একটি মেয়েকে খুঁজে বের করেছেন। মেয়েটির নাম ছাড়াও তাঁর কাছে বাড়তি তথ্য ছিল, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইসলামের ইতিহাসে পাস করা মেয়েটি দেখতে ভারী সুন্দর।
টুনটুন নামের এই মেয়ে আমার কাছে প্রথমবার এসেছিলেন ১৪ বছর আগে ২০০৮ সালে, সেটা সম্ভবত ৯ ফেব্রুয়ারি। এসেছিলেন তাঁর এক ঘনিষ্ঠ বন্ধুর খুনের বিচার চাইতে, যার সঙ্গে টুনটুনের বিয়ের কথা পাকা হয়েছিল।
সংবাদপত্র অফিসে এ রকম অভিযোগ নিয়ে হরহামেশা লোকজন আসেন। রিপোর্ট ছাপা হওয়ার পর তাঁদের আর কোনো খোঁজ থাকে না। সেভাবেই টুনটুনের সঙ্গে আমার আর কোনো যোগাযোগ হয়নি। তবে রিমনের খুঁজে দেওয়া নম্বর ধরে ফোন করতেই তিনি আমাকে চিনে ফেললেন।
প্রত্যাশা ছিল, আমার ফোন পেয়ে টুনটুন কিছুটা উচ্ছ্বসিত হবেন। তার বদলে তিনি একটু চুপসেই গেলেন। কথার ভেতরেও বেশ জড়তা। বললেন, তাঁর সেই বন্ধুর খুনের মামলার কোনো খবর তিনি আর জানেন না। কথার ফাঁকে বললেন, তিনি এখন সংসারী, একটি সন্তানও আছে। আমাকে বারবার অনুরোধ করলেন, তাঁর সেই বন্ধুকে নিয়ে কিছু লিখলে সেখানে যেন তাঁর নামপরিচয় আড়াল করি।
‘এই কাহিনির সব চরিত্র কাল্পনিক’ বলে যেসব গল্প শুরু হয়, ‘আষাঢ়ে নয়’ তার ঠিক উল্টো পিঠে। এখানে সব চরিত্রই বাস্তব। ঘটনাও বলা হয় সবার নাম-পরিচয় উল্লেখ করে। এসব গল্পে পরিচয়সহ আশপাশের লোকজনের বিবরণও থাকে, যাতে পাঠকেরা অন্তত সময়টা ধরতে পারেন। কিন্তু এত দিন পরে এই মেয়ের আবদারের কাছে আমাকে হার মানতে হলো। প্রিয় পাঠক, তাই ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি এটা বলে, টুনটুন মেয়েটির আসল নাম নয়। তবু গল্পটা এ নামেই চলুক, কেমন?
যে ছেলেটির সঙ্গে টুনটুনের বিয়ে পাকা হয়েছিল, তাঁর নাম হাফিজুল ইসলাম। বাড়ি চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদরের দুর্গাপুরে। বাবা নুরুল ইসলামের ছয় সন্তানের মধ্যে সবার ছোট। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে এসে পরিচয় টুনটুনের সঙ্গে। পরে ঘনিষ্ঠতা থেকে বিয়ের পাকা কথা। দুজনে ভেবেছিলেন, মাস্টার্স শেষ হোক, যেকোনো একজনের চাকরি হলেই ঘর বাঁধবেন। অঞ্জন দত্তের বেলা বোসের মতো ‘মিথ্যে কথার শহরে’ লাল-নীল সংসারের স্বপ্ন দেখতেন দুজনে।
রাজশাহী থেকে চাকরির জন্য ঢাকায় এসে হাফিজুল উঠেছিলেন পূর্ব কাজীপাড়ায় এক বন্ধুর মেসে। ২০০৫ সালের ২২ এপ্রিল শুক্রবার সেই মেসের বন্ধু নুরুজ্জামানের সঙ্গে জুমার নামাজ পড়ে ফেরার পথে পূর্ব কাজীপাড়ার মাতবরের পুকুরপাড়ে গুলিবিদ্ধ হন। সে সময় ওই এলাকায় দুই দল সন্ত্রাসীর মধ্যে গুলিবিনিময় চলছিল। হঠাৎ একটি গুলি এসে হাফিজুলের গায়ে লাগে। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক হাফিজুলকে মৃত ঘোষণা করেন।
কাফরুল থানার পুলিশ প্রথমে বেওয়ারিশ হিসেবে হাফিজুলের লাশটি গ্রহণ করে। পরিচয় জানার পর থানা থেকে হাফিজুলের বড় ভাই জয়নুল ইসলামকে ফোন দেয়। হাফিজুলের বাবা নুরুল ইসলাম থানায় এসে অজ্ঞাত আসামির নামে খুনের মামলা করেন। এরপর লাশ নিয়ে যান গ্রামের বাড়িতে।
হাফিজুলের ভাই জয়নুল ইসলাম দুই দিন আগে আমাকে বললেন, সেই মামলার কী হয়েছে, সেটা তাঁরা আর জানেন না। চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে ঢাকায় গিয়ে খুনের মামলার তদবির করার মতো অবস্থা তাঁদের নেই।
হাফিজুলের চাচাতো ভাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসের শিক্ষক অধ্যাপক ড. মেজবাহ কামাল। দুই দিন আগে তিনি আমাকে বললেন, খুনের পর কিছুদিন তিনিও এই মামলার খোঁজ-খবর নিচ্ছিলেন। একপর্যায়ে হতাশ হয়ে হাল ছেড়ে দেন। এখন তিনিও মামলার আর কোনো হদিস জানেন না।
সবাই যখন হতাশ হয়ে হাল ছেড়ে দিয়েছিলেন, তখন মামলার খোঁজ-খবর নিতেন টুনটুন। যদিও হাফিজুল নিহত হওয়ার খবর তিনি পেয়েছিলেন ঘটনার কয়েক দিন পরে। খবর শুনে ভেঙে পড়েছিলেন। ছয় মাস ঘর থেকেই বের হননি। একবার হাফিজুলদের বাড়িতেও গিয়েছিলেন সবার সঙ্গে দেখা করতে। এরপর রাজশাহী থেকে ঢাকায় এসে খুনিদের গ্রেপ্তারের জন্য দ্বারে দ্বারে ঘুরতেন। চিঠি লিখতেন এখানে-ওখানে। কিন্তু টুনটুনের কথা কেউ কানে তোলেনি।
এভাবে ঘুরতে ঘুরতে একদিন আমার কাছে এসেছিলেন সেই সব অভিযোগ জানাতে, সঙ্গে বিভিন্ন দপ্তরে লেখা চিঠির অনুলিপি। বলেছিলেন, তাঁর ভালোবাসার মানুষটি অবয়ব হারিয়ে শুধু একটি সংখ্যায় রূপ নিয়েছে। হাফিজুল এখন পুলিশের কাছে মামলার নম্বর ছাড়া কিছুই নয়।
হাফিজুলের সঙ্গে টুনটুনের শেষ কথা হয়েছিল রাজশাহীতে, হাফিজুলের ঢাকায় আসার আগে। প্রথম প্রস্তাবের সময় হাফিজুল তাঁকে বলেছিলেন, আমার সঙ্গে ঘর বাঁধবে? এমন ঘরভাঙানি ডাক টুনটুন উপেক্ষা করবেন কী করে? তার পরও ভালোবাসার কথা কোনো দিন মুখ ফুটে বলতে পারেননি। শুধু মনে মনে বলেছেন, ‘আমি তোমারই সঙ্গে বেঁধেছি আমার প্রাণ....’।
শেষবার ঢাকায় আসার সময় এক হাট লোকের মধ্যে হাফিজুল ফিসফিসিয়ে বলেছিলেন, বলো না ভালোবাসি! সেদিনও লজ্জায় নিরুত্তর ছিলেন টুনটুন। হাফিজুলের এমন মনভোলানি ডাকে কপিলার মতো তাঁরও খুব বলতে ইচ্ছে করছিল, ‘আমারে লগে নিবা মাঝি...’।
সেই টুনটুন লোকলজ্জার মাথা খেয়ে শেষবার দেখা হওয়ার সময় আমাকে বলেছিলেন, ‘আমার ভালোবাসার কথা আপনি হাফিজুলের কাছে পৌঁছে দেবেন ভাই। লিখবেন, আমি তাঁকে খুব ভালোবাসি, খুব।’
টুনটুনের সেই ভালোবাসার কথা আমি লিখেছিলাম। হাফিজুলের কাছে সেই বার্তা পৌঁছেছে কি না, তা সৃষ্টিকর্তা ছাড়া আর কেউ জানেন না। এরপর নানা কাজের ভিড়ে টুনটুনকে হারিয়ে ফেলি। টুনটুনও ব্যস্ত হয়ে যান রোজকার যাপিত জীবনে। এভাবে চলতে চলতে একসময় পরিবারের চাপ আসে। বয়স বেড়ে যাচ্ছে, তবু বিয়ে করছেন না মেয়ে। চাপের কাছে একপর্যায়ে হার মানেন টুনটুন। সবকিছু ছেড়ে বিয়ে করে সংসারী হন। বন্ধ হয়ে যায় হাফিজুলের মামলার তদারকি।
হাফিজুলকে যারা খুন করেছিল, তাদের বিচারের কী হলো, তার খোঁজ নিতে কাফরুল থানায় গিয়েছিলেন আজকের পত্রিকার স্টাফ রিপোর্টার শাহরিয়ার হাসান। তাঁর অনুরোধে ধুলোর আস্তর সরিয়ে পুরোনা নথি খুঁজে বের করে দেন এক হৃদয়বান পুলিশ সদস্য। নথিতে দেখা গেল, এই মামলার কোনো আসামিকে পুলিশ শেষ পর্যন্ত খুঁজে পায়নি। খুনের পর সাতজনকে ধরেছিল, কিন্তু কেউ জবানবন্দি দেয়নি। মোহাম্মদ নাসিম নামের এক এসআই খুনের মামলাটি তদন্ত করেছিলেন। খুনের মাত্র আট মাসের মাথায় ২০০৫ সালের ২৩ ডিসেম্বর তড়িঘড়ি করে তিনি চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেন। তাতে উল্লেখ করেন, খুনের রহস্য তিনি উদ্ঘাটন করতে পারেনি। পুলিশের প্রতিবেদনের বিরুদ্ধে হাফিজুলের পক্ষ নিয়ে কেউ আদালতে নারাজি দেবেন, সে রকম লোকও ছিল না।
গত সপ্তাহের ‘আষাঢ়ে নয়’-এ চিত্রনায়ক সোহেল চৌধুরী হত্যা মামলা নিয়ে লিখেছিলাম। বিত্তশালীরা কীভাবে দেশের বিচারব্যবস্থাকে নিজের প্রয়োজনে থামিয়ে দেন, সোহেল চৌধুরী হত্যা মামলা হলো তার সবচেয়ে বড় উদাহরণ। আর হাফিজুলের মামলাটি এমন, যেখানে বিচারের বাণী সরবে কাঁদে।
মামলার তদন্তের ফলাফল জানার পর টুনটুনের কাছে আবার ফোন করেছিলাম। বললাম, যে খুনের বিচার চেয়ে তিনি দ্বারে দ্বারে ঘুরেছেন, সেই খুনের মামলার কোনো আসামিকেই খুঁজে পায়নি পুলিশ। কারও কোনো সাজাও হয়নি। এসব অগতির কথা শুনে কিছুক্ষণ নীরব থাকলেন টুনটুন। কিছুই বললেন না, আবার ফোনও কাটলেন না। ফোনের ওপার থেকে শোনা যাচ্ছিল কান্নার আওয়াজ। টুনটুন কাঁদছেন।
ফোন রেখে দিতে দিতে আমার মনে হচ্ছিল, যে কান্না হৃদয় ভেঙে ঝরে, সেই বেদনা বড় সংক্রামক।
আরও পড়ুন:

রাজধানীর মোহাম্মদপুরে জেনেভা ক্যাম্পে ‘মাদক কারবারিদের’ দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে জাহিদ নিহতের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ শুক্রবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. ইবনে মিজান আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
১৬ ঘণ্টা আগে
এক বিজ্ঞপ্তিতে সিআইডি জানিয়েছে, নূরে আলম একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সদস্য। তিনি ফেসবুকে এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে যোগাযোগ করে জানান, তাঁর নামে বিদেশ থেকে একটি পার্সেল এসেছে, যা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাস্টম হাউসে জমা আছে। পার্সেল ছাড়াতে টাকা লাগবে—এ দাবি করে পার্সেলের ছবিও পাঠান তিনি।
৪ দিন আগে
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সভায় উপস্থিত বিএফআইইউ প্রতিনিধি বলেন, এমএফএস অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে জুয়া ও প্রতারণা বন্ধে বিটিআরসির (বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন) মাধ্যমে বার্তা দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া এমএফএস প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে বৈঠক করে তাদের কিছু নির্দেশনাও দেওয়া হবে। যেসব অ্যাকাউন্ট ব্লক (স্থগিত)
৪ দিন আগে
দেশে বসেই আন্তর্জাতিক পর্নো সাইটে সক্রিয় ছিলেন তাঁরা। ভিডিও বানিয়ে আপলোড করতেন বিভিন্ন ওয়েবসাইটে। শুধু নিজেরাই নন, এই দম্পতি অন্যদেরও এ কাজে যুক্ত করতেন বলে অভিযোগ। অবশেষে সেই আলোচিত যুগলকে বান্দরবানে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
৫ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

রাজধানীর মোহাম্মদপুরে জেনেভা ক্যাম্পে ‘মাদক কারবারিদের’ দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে জাহিদ নিহতের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
আজ শুক্রবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. ইবনে মিজান আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
গত বুধবার ভোররাতে দুই গ্রুপ মাদক কারবারির সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে নিহত হন জাহিদ (২০)। পরিবারের দাবি, দুপক্ষের সংঘর্ষ চলাকালে জাহিদের পায়ের কাছে ককটেল বিস্ফোরণ হয়। এ সময় স্প্লিন্টার তাঁর ঘাড় ও পিঠে বিদ্ধ হয়। আহত অবস্থায় উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় মোহাম্মদপুর থানায় একটি হত্যা মামলা হয়েছে। সংঘর্ষের পর ঘটনাস্থলে অভিযান পরিচালনা করে র্যাব, পুলিশ ও সেনাবাহিনী। অভিযানে একটি বিদেশি পিস্তল, একটি ম্যাগাজিন ও তিনটি তাজা গুলিসহ বিপুল পরিমাণ দেশি অস্ত্র ও পেট্রলবোমা উদ্ধার করা হয়।
জাহিদের ভগ্নিপতি মো. উজ্জ্বল জানান, রাজধানীর কল্যাণপুরে মিজান টাওয়ারে একটি মোবাইল ফোন সার্ভিসিংয়ের দোকানে কাজ করতেন জাহিদ। বুধবার রাতে বন্ধুদের সঙ্গে রেস্তোরাঁয় খেতে যাওয়ার সময় তাঁরা সংঘর্ষের মধ্যে পড়েন। পরে হাসপাতালে জাহিদের মৃত্যু হয়।
তবে পুলিশ বলছে, ককটেল তৈরির সময় বিস্ফোরণে নিহত হন জাহিদ।

রাজধানীর মোহাম্মদপুরে জেনেভা ক্যাম্পে ‘মাদক কারবারিদের’ দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে জাহিদ নিহতের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
আজ শুক্রবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. ইবনে মিজান আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
গত বুধবার ভোররাতে দুই গ্রুপ মাদক কারবারির সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে নিহত হন জাহিদ (২০)। পরিবারের দাবি, দুপক্ষের সংঘর্ষ চলাকালে জাহিদের পায়ের কাছে ককটেল বিস্ফোরণ হয়। এ সময় স্প্লিন্টার তাঁর ঘাড় ও পিঠে বিদ্ধ হয়। আহত অবস্থায় উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় মোহাম্মদপুর থানায় একটি হত্যা মামলা হয়েছে। সংঘর্ষের পর ঘটনাস্থলে অভিযান পরিচালনা করে র্যাব, পুলিশ ও সেনাবাহিনী। অভিযানে একটি বিদেশি পিস্তল, একটি ম্যাগাজিন ও তিনটি তাজা গুলিসহ বিপুল পরিমাণ দেশি অস্ত্র ও পেট্রলবোমা উদ্ধার করা হয়।
জাহিদের ভগ্নিপতি মো. উজ্জ্বল জানান, রাজধানীর কল্যাণপুরে মিজান টাওয়ারে একটি মোবাইল ফোন সার্ভিসিংয়ের দোকানে কাজ করতেন জাহিদ। বুধবার রাতে বন্ধুদের সঙ্গে রেস্তোরাঁয় খেতে যাওয়ার সময় তাঁরা সংঘর্ষের মধ্যে পড়েন। পরে হাসপাতালে জাহিদের মৃত্যু হয়।
তবে পুলিশ বলছে, ককটেল তৈরির সময় বিস্ফোরণে নিহত হন জাহিদ।

টুনটুনকে শেষ অব্দি খুঁজে পাওয়া গেল। অবশ্য আমি নিজে তাঁর কোনো খোঁজ পাইনি। তাঁকে খুঁজে পেয়েছেন আজকের পত্রিকার রাজশাহী প্রতিনিধি রিমন রহমান। মহাভারতের বর্ণনায় সমুদ্র মন্থন করে দেবতারা
২২ জানুয়ারি ২০২২
এক বিজ্ঞপ্তিতে সিআইডি জানিয়েছে, নূরে আলম একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সদস্য। তিনি ফেসবুকে এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে যোগাযোগ করে জানান, তাঁর নামে বিদেশ থেকে একটি পার্সেল এসেছে, যা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাস্টম হাউসে জমা আছে। পার্সেল ছাড়াতে টাকা লাগবে—এ দাবি করে পার্সেলের ছবিও পাঠান তিনি।
৪ দিন আগে
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সভায় উপস্থিত বিএফআইইউ প্রতিনিধি বলেন, এমএফএস অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে জুয়া ও প্রতারণা বন্ধে বিটিআরসির (বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন) মাধ্যমে বার্তা দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া এমএফএস প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে বৈঠক করে তাদের কিছু নির্দেশনাও দেওয়া হবে। যেসব অ্যাকাউন্ট ব্লক (স্থগিত)
৪ দিন আগে
দেশে বসেই আন্তর্জাতিক পর্নো সাইটে সক্রিয় ছিলেন তাঁরা। ভিডিও বানিয়ে আপলোড করতেন বিভিন্ন ওয়েবসাইটে। শুধু নিজেরাই নন, এই দম্পতি অন্যদেরও এ কাজে যুক্ত করতেন বলে অভিযোগ। অবশেষে সেই আলোচিত যুগলকে বান্দরবানে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
৫ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বিদেশ থেকে পার্সেল এসেছে—এমন দাবি করে কাস্টমস থেকে তা ছাড়িয়ে দেওয়ার কথা বলে ১১ লাখ ৮৫ হাজার টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে এক তরুণকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
গতকাল সোমবার রাতে রাজধানীর তেজগাঁও শিল্পাঞ্চলের কুনিপাড়া এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার ওই তরুণের নাম মো. নূরে আলম ওরফে তুহিন (২৪)।
এক বিজ্ঞপ্তিতে সিআইডি জানিয়েছে, নূরে আলম একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সদস্য। তিনি ফেসবুকে এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে যোগাযোগ করে জানান, তাঁর নামে বিদেশ থেকে একটি পার্সেল এসেছে, যা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাস্টম হাউসে জমা আছে। পার্সেল ছাড়াতে টাকা লাগবে—এ দাবি করে পার্সেলের ছবিও পাঠান তিনি।
পরে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন অজুহাতে ভুক্তভোগীর কাছ থেকে বিকাশ ও ব্যাংকের মাধ্যমে ১১ লাখ ৮৫ হাজার টাকা আদায় করেন নূরে আলম। টাকা পাওয়ার পর নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দেন তিনি।
ভুক্তভোগী আদালতের শরণাপন্ন হলে রামপুরা থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করা হয়। মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব পায় সিআইডির সাইবার পুলিশ সেন্টার। পরে নূরে আলমকে গ্রেপ্তার করা হয়।
সিআইডি জানায়, প্রতারক চক্রের অন্য সদস্যদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।

বিদেশ থেকে পার্সেল এসেছে—এমন দাবি করে কাস্টমস থেকে তা ছাড়িয়ে দেওয়ার কথা বলে ১১ লাখ ৮৫ হাজার টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে এক তরুণকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
গতকাল সোমবার রাতে রাজধানীর তেজগাঁও শিল্পাঞ্চলের কুনিপাড়া এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার ওই তরুণের নাম মো. নূরে আলম ওরফে তুহিন (২৪)।
এক বিজ্ঞপ্তিতে সিআইডি জানিয়েছে, নূরে আলম একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সদস্য। তিনি ফেসবুকে এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে যোগাযোগ করে জানান, তাঁর নামে বিদেশ থেকে একটি পার্সেল এসেছে, যা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাস্টম হাউসে জমা আছে। পার্সেল ছাড়াতে টাকা লাগবে—এ দাবি করে পার্সেলের ছবিও পাঠান তিনি।
পরে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন অজুহাতে ভুক্তভোগীর কাছ থেকে বিকাশ ও ব্যাংকের মাধ্যমে ১১ লাখ ৮৫ হাজার টাকা আদায় করেন নূরে আলম। টাকা পাওয়ার পর নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দেন তিনি।
ভুক্তভোগী আদালতের শরণাপন্ন হলে রামপুরা থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করা হয়। মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব পায় সিআইডির সাইবার পুলিশ সেন্টার। পরে নূরে আলমকে গ্রেপ্তার করা হয়।
সিআইডি জানায়, প্রতারক চক্রের অন্য সদস্যদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।

টুনটুনকে শেষ অব্দি খুঁজে পাওয়া গেল। অবশ্য আমি নিজে তাঁর কোনো খোঁজ পাইনি। তাঁকে খুঁজে পেয়েছেন আজকের পত্রিকার রাজশাহী প্রতিনিধি রিমন রহমান। মহাভারতের বর্ণনায় সমুদ্র মন্থন করে দেবতারা
২২ জানুয়ারি ২০২২
রাজধানীর মোহাম্মদপুরে জেনেভা ক্যাম্পে ‘মাদক কারবারিদের’ দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে জাহিদ নিহতের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ শুক্রবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. ইবনে মিজান আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
১৬ ঘণ্টা আগে
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সভায় উপস্থিত বিএফআইইউ প্রতিনিধি বলেন, এমএফএস অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে জুয়া ও প্রতারণা বন্ধে বিটিআরসির (বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন) মাধ্যমে বার্তা দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া এমএফএস প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে বৈঠক করে তাদের কিছু নির্দেশনাও দেওয়া হবে। যেসব অ্যাকাউন্ট ব্লক (স্থগিত)
৪ দিন আগে
দেশে বসেই আন্তর্জাতিক পর্নো সাইটে সক্রিয় ছিলেন তাঁরা। ভিডিও বানিয়ে আপলোড করতেন বিভিন্ন ওয়েবসাইটে। শুধু নিজেরাই নন, এই দম্পতি অন্যদেরও এ কাজে যুক্ত করতেন বলে অভিযোগ। অবশেষে সেই আলোচিত যুগলকে বান্দরবানে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
৫ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

জুয়া ও প্রতারণায় জড়িত থাকায় ৫০ হাজারের বেশি এমএফএস (মোবাইলভিত্তিক আর্থিক লেনদেন সেবা) অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ (স্থগিত) করেছে বিএফআইইউ (বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট)। ২০২২ সালের ডিসেম্বর থেকে চলতি মাস পর্যন্ত এই নম্বরগুলো স্থগিত করা হয়।
আজ মঙ্গলবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বিটিআরসি ভবনে ‘অনলাইন জুয়া প্রতিরোধে করণীয়’ শীর্ষক এক সভায় বিএফআইইউর প্রতিনিধি এ তথ্য জানান।
সভায় ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়, ডিজিএফআই (ডিরেক্টরেট জেনারেল অব ফোর্সেস ইন্টেলিজেন্স), এনএসআই (ন্যাশনাল সিকিউরিটি ইন্টেলিজেন্স), এনটিএমসি (ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টার), সিআইডি (ক্রিমিনাল ইনভেস্টিগেশন ডিপার্টমেন্ট), বিএফআইইউ, এমএফএস ও মোবাইল অপারেটরদের প্রতিনিধিরা অংশ নেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সভায় উপস্থিত বিএফআইইউ প্রতিনিধি বলেন, এমএফএস অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে জুয়া ও প্রতারণা বন্ধে বিটিআরসির (বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন) মাধ্যমে বার্তা দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া এমএফএস প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে বৈঠক করে তাদের কিছু নির্দেশনাও দেওয়া হবে। যেসব অ্যাকাউন্ট ব্লক (স্থগিত) করা হয়েছে, সেগুলো থেকে কোথায় কোথায় টাকা লেনদেন করা হয়েছে, তা বিশ্লেষণ করে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে প্রতিবেদন দেওয়া হবে।
ডিজিএফআই প্রতিনিধি জানান, অনলাইন জুয়ার মতো আর্থিক নানা প্রতারণায় বেনামি সিম ব্যবহার করা হচ্ছে। সংঘবদ্ধ চক্র ভুয়া সিম বিক্রি করছে। মানুষের আঙুলের ছাপ ব্যবহার করা হচ্ছে। বিকাশের অ্যাপ নকল করা হয়েছে। নাগরিকদের ডেটাবেইস ডার্ক ওয়েবে পাওয়া যাচ্ছে। এটা নিয়ে নানা অপরাধ সংঘটিত হচ্ছে।
সভায় অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিবিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, সরকার সতর্ক করার পরও অনেক গণমাধ্যমের অনলাইন পোর্টালে এখনো জুয়ার বিজ্ঞাপন প্রচার করা হচ্ছে। এ ধরনের বিজ্ঞাপন প্রচার করলে যেকোনো মুহূর্তে বিনা নোটিশে সংশ্লিষ্ট গণমাধ্যমের পোর্টাল বন্ধ করে দেওয়া হবে। প্রায় সব কটি মিডিয়ার পোর্টালে এখনো অনিরাপদ কনটেন্ট আসে। জুয়ার বিজ্ঞাপন আসে। এখান থেকে তারা টাকা পায়।
১৯ অক্টোবর পর্যন্ত জুয়ার বিজ্ঞাপন বন্ধে সময় দেওয়া হয়েছিল। তবে গণমাধ্যমগুলো তা মানছে না বলে অভিযোগ করেন বিশেষ সহকারী। তিনি বলেন, বেশ কিছু অনলাইন পোর্টাল জুয়ার বিজ্ঞাপন ও অনিরাপদ কনটেন্ট বিজ্ঞাপন প্রচার করছে। ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, ‘আমরা যেকোনো মুহূর্তে বন্ধ করে দেব। যেহেতু একাধিক নোটিশ দেওয়া হয়েছে। আমরা পাবলিকলি কোনো নোটিশ দেব না।’
অনলাইন জুয়া বন্ধে সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগ ও চ্যালেঞ্জের কথা তুলে ধরেন ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব। তিনি জানান, সরকারের হিসাবে গত মে মাস থেকে এখন পর্যন্ত ৪ হাজার ৮২০টি এমএফএস নম্বর পাওয়া গেছে। এ ছাড়া ১ হাজার ৩৩১টি ওয়েব পোর্টালের লিংক পাওয়া গেছে।
সরকারের চ্যালেঞ্জ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, যখনই একটা নম্বর ব্লক করা হয়, তখন এর চেয়ে বেশিসংখ্যক বা সমসংখ্যক নম্বর ব্যবহার করে সিগন্যাল-হোয়াটসঅ্যাপের মতো গ্রুপগুলোয় ছড়িয়ে দেওয়া হয়। আইপি পরিবর্তন করে ওয়েবসাইটের নাম একটু পরিবর্তন করা হয়। এভাবে নতুন ওয়েবসাইট বানিয়ে আবার শুরু করা হয়। এমএফএস, ওয়েব লিংক বন্ধ করার পর এ চক্রগুলো আবার অ্যাপ তৈরি ফেলে। অ্যাপগুলো অনেক ক্ষেত্রেই পাবলিশড নয়, এপিকে হিসেবে ব্যবহার করে।

জুয়া ও প্রতারণায় জড়িত থাকায় ৫০ হাজারের বেশি এমএফএস (মোবাইলভিত্তিক আর্থিক লেনদেন সেবা) অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ (স্থগিত) করেছে বিএফআইইউ (বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট)। ২০২২ সালের ডিসেম্বর থেকে চলতি মাস পর্যন্ত এই নম্বরগুলো স্থগিত করা হয়।
আজ মঙ্গলবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বিটিআরসি ভবনে ‘অনলাইন জুয়া প্রতিরোধে করণীয়’ শীর্ষক এক সভায় বিএফআইইউর প্রতিনিধি এ তথ্য জানান।
সভায় ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়, ডিজিএফআই (ডিরেক্টরেট জেনারেল অব ফোর্সেস ইন্টেলিজেন্স), এনএসআই (ন্যাশনাল সিকিউরিটি ইন্টেলিজেন্স), এনটিএমসি (ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টার), সিআইডি (ক্রিমিনাল ইনভেস্টিগেশন ডিপার্টমেন্ট), বিএফআইইউ, এমএফএস ও মোবাইল অপারেটরদের প্রতিনিধিরা অংশ নেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সভায় উপস্থিত বিএফআইইউ প্রতিনিধি বলেন, এমএফএস অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে জুয়া ও প্রতারণা বন্ধে বিটিআরসির (বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন) মাধ্যমে বার্তা দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া এমএফএস প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে বৈঠক করে তাদের কিছু নির্দেশনাও দেওয়া হবে। যেসব অ্যাকাউন্ট ব্লক (স্থগিত) করা হয়েছে, সেগুলো থেকে কোথায় কোথায় টাকা লেনদেন করা হয়েছে, তা বিশ্লেষণ করে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে প্রতিবেদন দেওয়া হবে।
ডিজিএফআই প্রতিনিধি জানান, অনলাইন জুয়ার মতো আর্থিক নানা প্রতারণায় বেনামি সিম ব্যবহার করা হচ্ছে। সংঘবদ্ধ চক্র ভুয়া সিম বিক্রি করছে। মানুষের আঙুলের ছাপ ব্যবহার করা হচ্ছে। বিকাশের অ্যাপ নকল করা হয়েছে। নাগরিকদের ডেটাবেইস ডার্ক ওয়েবে পাওয়া যাচ্ছে। এটা নিয়ে নানা অপরাধ সংঘটিত হচ্ছে।
সভায় অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিবিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, সরকার সতর্ক করার পরও অনেক গণমাধ্যমের অনলাইন পোর্টালে এখনো জুয়ার বিজ্ঞাপন প্রচার করা হচ্ছে। এ ধরনের বিজ্ঞাপন প্রচার করলে যেকোনো মুহূর্তে বিনা নোটিশে সংশ্লিষ্ট গণমাধ্যমের পোর্টাল বন্ধ করে দেওয়া হবে। প্রায় সব কটি মিডিয়ার পোর্টালে এখনো অনিরাপদ কনটেন্ট আসে। জুয়ার বিজ্ঞাপন আসে। এখান থেকে তারা টাকা পায়।
১৯ অক্টোবর পর্যন্ত জুয়ার বিজ্ঞাপন বন্ধে সময় দেওয়া হয়েছিল। তবে গণমাধ্যমগুলো তা মানছে না বলে অভিযোগ করেন বিশেষ সহকারী। তিনি বলেন, বেশ কিছু অনলাইন পোর্টাল জুয়ার বিজ্ঞাপন ও অনিরাপদ কনটেন্ট বিজ্ঞাপন প্রচার করছে। ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, ‘আমরা যেকোনো মুহূর্তে বন্ধ করে দেব। যেহেতু একাধিক নোটিশ দেওয়া হয়েছে। আমরা পাবলিকলি কোনো নোটিশ দেব না।’
অনলাইন জুয়া বন্ধে সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগ ও চ্যালেঞ্জের কথা তুলে ধরেন ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব। তিনি জানান, সরকারের হিসাবে গত মে মাস থেকে এখন পর্যন্ত ৪ হাজার ৮২০টি এমএফএস নম্বর পাওয়া গেছে। এ ছাড়া ১ হাজার ৩৩১টি ওয়েব পোর্টালের লিংক পাওয়া গেছে।
সরকারের চ্যালেঞ্জ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, যখনই একটা নম্বর ব্লক করা হয়, তখন এর চেয়ে বেশিসংখ্যক বা সমসংখ্যক নম্বর ব্যবহার করে সিগন্যাল-হোয়াটসঅ্যাপের মতো গ্রুপগুলোয় ছড়িয়ে দেওয়া হয়। আইপি পরিবর্তন করে ওয়েবসাইটের নাম একটু পরিবর্তন করা হয়। এভাবে নতুন ওয়েবসাইট বানিয়ে আবার শুরু করা হয়। এমএফএস, ওয়েব লিংক বন্ধ করার পর এ চক্রগুলো আবার অ্যাপ তৈরি ফেলে। অ্যাপগুলো অনেক ক্ষেত্রেই পাবলিশড নয়, এপিকে হিসেবে ব্যবহার করে।

টুনটুনকে শেষ অব্দি খুঁজে পাওয়া গেল। অবশ্য আমি নিজে তাঁর কোনো খোঁজ পাইনি। তাঁকে খুঁজে পেয়েছেন আজকের পত্রিকার রাজশাহী প্রতিনিধি রিমন রহমান। মহাভারতের বর্ণনায় সমুদ্র মন্থন করে দেবতারা
২২ জানুয়ারি ২০২২
রাজধানীর মোহাম্মদপুরে জেনেভা ক্যাম্পে ‘মাদক কারবারিদের’ দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে জাহিদ নিহতের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ শুক্রবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. ইবনে মিজান আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
১৬ ঘণ্টা আগে
এক বিজ্ঞপ্তিতে সিআইডি জানিয়েছে, নূরে আলম একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সদস্য। তিনি ফেসবুকে এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে যোগাযোগ করে জানান, তাঁর নামে বিদেশ থেকে একটি পার্সেল এসেছে, যা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাস্টম হাউসে জমা আছে। পার্সেল ছাড়াতে টাকা লাগবে—এ দাবি করে পার্সেলের ছবিও পাঠান তিনি।
৪ দিন আগে
দেশে বসেই আন্তর্জাতিক পর্নো সাইটে সক্রিয় ছিলেন তাঁরা। ভিডিও বানিয়ে আপলোড করতেন বিভিন্ন ওয়েবসাইটে। শুধু নিজেরাই নন, এই দম্পতি অন্যদেরও এ কাজে যুক্ত করতেন বলে অভিযোগ। অবশেষে সেই আলোচিত যুগলকে বান্দরবানে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
৫ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

দেশে বসেই আন্তর্জাতিক পর্নো সাইটে সক্রিয় ছিলেন তাঁরা। ভিডিও বানিয়ে আপলোড করতেন বিভিন্ন ওয়েবসাইটে। শুধু নিজেরাই নন, এই দম্পতি অন্যদেরও এ কাজে যুক্ত করতেন বলে অভিযোগ। অবশেষে সেই আলোচিত যুগলকে বান্দরবানে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
আজ সোমবার ভোরে বান্দরবান সদর উপজেলার হাজীপাড়ার বালাঘাটা এলাকা থেকে সিআইডির এলআইসি ও সাইবার পুলিশ সেন্টার (সিপিসি) ইউনিটের সদস্যরা এই যুগলকে গ্রেপ্তার করেন। গ্রেপ্তার হওয়া যুগল হলেন মুহাম্মদ আজিম (২৮) ও তাঁর স্ত্রী বৃষ্টি (২৮)। আজ বিকেলে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানায় সিআইডি।
গ্রেপ্তার আজিমের বাড়ি চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলার বুরুমছড়া গ্রামে এবং বৃষ্টির বাড়ি মানিকগঞ্জ জেলার হরিরামপুর উপজেলার আন্ধারমানিক (খালপাড়) গ্রামে।
সিআইডির প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, এই যুগল ২০২৪ সালের মে মাসে আন্তর্জাতিক এক পর্নো সাইটে প্রথম ভিডিও আপলোড করেন। এরপর এক বছরের মধ্যে তাঁরা ১১২টি ভিডিও আপলোড করেছেন, যেগুলো বিশ্বব্যাপী ২ কোটি ৬৭ লাখের বেশিবার দেখা হয়েছে।
এই যুগল এতটাই জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন যে, ২০২৫ সালের অক্টোবর মাসে আন্তর্জাতিক পারফর্মার র্যাঙ্কিংয়ে তাঁদের অবস্থান উঠে আসে অষ্টম স্থানে। ভিডিও আপলোড ছাড়াও তাঁরা বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম—বিশেষ করে, ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম ও টেলিগ্রামের মাধ্যমে নিজেদের কর্মকাণ্ডের প্রচারণা চালাতেন। এসব প্ল্যাটফর্মে নতুনদের এ কাজে যুক্ত হওয়ার আহ্বান জানানো হতো।
তদন্তকারীরা বলছেন, আগ্রহীদের ‘ক্রিয়েটর’ হিসেবে যুক্ত করতে তাঁরা টেলিগ্রাম চ্যানেলে নানা প্রলোভন দেখিয়ে বিজ্ঞাপন দিতেন। নতুন কেউ যুক্ত হলে তাঁকে নগদ অর্থ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হতো। কেউ যোগাযোগ করলে তাঁদের ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করতে উৎসাহিত করতেন আজিম ও বৃষ্টি।
সিআইডির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এই যুগল প্রাথমিক বিদ্যালয়ের গণ্ডি পেরোতে পারেননি। তবে অনলাইনে তাঁদের বিলাসবহুল জীবনধারার নানা ছবি পাওয়া যায়, যা সমাজে নেতিবাচক বার্তা দিচ্ছে। এসব কার্যক্রম সামাজিক ও নৈতিকভাবে যেমন উদ্বেগজনক, তেমনি দেশের প্রচলিত আইনেরও লঙ্ঘন।
অভিযানের সময় তাঁদের কাছ থেকে মোবাইল ফোন, সিম কার্ড, ক্যামেরা, ট্রাইপডসহ ভিডিও ধারণের বিভিন্ন যন্ত্রপাতি জব্দ করা হয়েছে। তাঁদের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা রুজু করা হয়েছে। একই সঙ্গে আদালতে সোপর্দ করে রিমান্ড চেয়ে আবেদন করা হবে বলে জানিয়েছে সিআইডি।
সিআইডির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, পর্নোগ্রাফি ছড়িয়ে দেওয়ার সঙ্গে যুক্ত অন্যদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তারে তদন্ত অব্যাহত রয়েছে।

দেশে বসেই আন্তর্জাতিক পর্নো সাইটে সক্রিয় ছিলেন তাঁরা। ভিডিও বানিয়ে আপলোড করতেন বিভিন্ন ওয়েবসাইটে। শুধু নিজেরাই নন, এই দম্পতি অন্যদেরও এ কাজে যুক্ত করতেন বলে অভিযোগ। অবশেষে সেই আলোচিত যুগলকে বান্দরবানে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
আজ সোমবার ভোরে বান্দরবান সদর উপজেলার হাজীপাড়ার বালাঘাটা এলাকা থেকে সিআইডির এলআইসি ও সাইবার পুলিশ সেন্টার (সিপিসি) ইউনিটের সদস্যরা এই যুগলকে গ্রেপ্তার করেন। গ্রেপ্তার হওয়া যুগল হলেন মুহাম্মদ আজিম (২৮) ও তাঁর স্ত্রী বৃষ্টি (২৮)। আজ বিকেলে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানায় সিআইডি।
গ্রেপ্তার আজিমের বাড়ি চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলার বুরুমছড়া গ্রামে এবং বৃষ্টির বাড়ি মানিকগঞ্জ জেলার হরিরামপুর উপজেলার আন্ধারমানিক (খালপাড়) গ্রামে।
সিআইডির প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, এই যুগল ২০২৪ সালের মে মাসে আন্তর্জাতিক এক পর্নো সাইটে প্রথম ভিডিও আপলোড করেন। এরপর এক বছরের মধ্যে তাঁরা ১১২টি ভিডিও আপলোড করেছেন, যেগুলো বিশ্বব্যাপী ২ কোটি ৬৭ লাখের বেশিবার দেখা হয়েছে।
এই যুগল এতটাই জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন যে, ২০২৫ সালের অক্টোবর মাসে আন্তর্জাতিক পারফর্মার র্যাঙ্কিংয়ে তাঁদের অবস্থান উঠে আসে অষ্টম স্থানে। ভিডিও আপলোড ছাড়াও তাঁরা বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম—বিশেষ করে, ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম ও টেলিগ্রামের মাধ্যমে নিজেদের কর্মকাণ্ডের প্রচারণা চালাতেন। এসব প্ল্যাটফর্মে নতুনদের এ কাজে যুক্ত হওয়ার আহ্বান জানানো হতো।
তদন্তকারীরা বলছেন, আগ্রহীদের ‘ক্রিয়েটর’ হিসেবে যুক্ত করতে তাঁরা টেলিগ্রাম চ্যানেলে নানা প্রলোভন দেখিয়ে বিজ্ঞাপন দিতেন। নতুন কেউ যুক্ত হলে তাঁকে নগদ অর্থ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হতো। কেউ যোগাযোগ করলে তাঁদের ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করতে উৎসাহিত করতেন আজিম ও বৃষ্টি।
সিআইডির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এই যুগল প্রাথমিক বিদ্যালয়ের গণ্ডি পেরোতে পারেননি। তবে অনলাইনে তাঁদের বিলাসবহুল জীবনধারার নানা ছবি পাওয়া যায়, যা সমাজে নেতিবাচক বার্তা দিচ্ছে। এসব কার্যক্রম সামাজিক ও নৈতিকভাবে যেমন উদ্বেগজনক, তেমনি দেশের প্রচলিত আইনেরও লঙ্ঘন।
অভিযানের সময় তাঁদের কাছ থেকে মোবাইল ফোন, সিম কার্ড, ক্যামেরা, ট্রাইপডসহ ভিডিও ধারণের বিভিন্ন যন্ত্রপাতি জব্দ করা হয়েছে। তাঁদের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা রুজু করা হয়েছে। একই সঙ্গে আদালতে সোপর্দ করে রিমান্ড চেয়ে আবেদন করা হবে বলে জানিয়েছে সিআইডি।
সিআইডির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, পর্নোগ্রাফি ছড়িয়ে দেওয়ার সঙ্গে যুক্ত অন্যদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তারে তদন্ত অব্যাহত রয়েছে।

টুনটুনকে শেষ অব্দি খুঁজে পাওয়া গেল। অবশ্য আমি নিজে তাঁর কোনো খোঁজ পাইনি। তাঁকে খুঁজে পেয়েছেন আজকের পত্রিকার রাজশাহী প্রতিনিধি রিমন রহমান। মহাভারতের বর্ণনায় সমুদ্র মন্থন করে দেবতারা
২২ জানুয়ারি ২০২২
রাজধানীর মোহাম্মদপুরে জেনেভা ক্যাম্পে ‘মাদক কারবারিদের’ দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে জাহিদ নিহতের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ শুক্রবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. ইবনে মিজান আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
১৬ ঘণ্টা আগে
এক বিজ্ঞপ্তিতে সিআইডি জানিয়েছে, নূরে আলম একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সদস্য। তিনি ফেসবুকে এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে যোগাযোগ করে জানান, তাঁর নামে বিদেশ থেকে একটি পার্সেল এসেছে, যা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাস্টম হাউসে জমা আছে। পার্সেল ছাড়াতে টাকা লাগবে—এ দাবি করে পার্সেলের ছবিও পাঠান তিনি।
৪ দিন আগে
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সভায় উপস্থিত বিএফআইইউ প্রতিনিধি বলেন, এমএফএস অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে জুয়া ও প্রতারণা বন্ধে বিটিআরসির (বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন) মাধ্যমে বার্তা দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া এমএফএস প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে বৈঠক করে তাদের কিছু নির্দেশনাও দেওয়া হবে। যেসব অ্যাকাউন্ট ব্লক (স্থগিত)
৪ দিন আগে