কামরুল হাসান

কুর্মিটোলা র্যাব হেডকোয়ার্টার্সে এক কর্মকর্তার রুমে বসে খোশগল্প করছি। কথায় কথায় কানে এল, বেনাপোল থেকে নাকি এক ভারতীয়কে আটক করে এখানে আনা হয়েছে। গোয়েন্দা কর্মকর্তারা ব্যস্ত তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা নিয়ে। লোকটা কে? যে কর্মকর্তার কক্ষে বসে ছিলাম, তাঁকে প্রশ্ন করতেই একটু থতমত খেয়ে তিনি বললেন, ‘নাম জানি না ভাই। শুনেছি, সে নাকি বুকি (ক্রিকেট জুয়াড়ি)।’
এতটুকু শুনেই মাথায় বিদ্যুৎ খেলে গেল। জীবনে বহু চোর, ডাকাত, অস্ত্রবাজ, ছিনতাইকারী দেখেছি। শীর্ষ সন্ত্রাসীর সামনে বসে কথা বলেছি। ঘণ্টার পর ঘণ্টা সিরিয়াল কিলারের সাক্ষাৎকার নিয়েছি। কিন্তু ক্রিকেট জুয়াড়ি! ভাবতেই আরাম লাগছে। কথায় কথায় আবদার করলাম, সেই জুয়াড়িকে দেখতে চাই। কর্মকর্তা আমার আবদার এড়াতে পারেন না। শুধু বললেন, ‘এটা তো ভাই এডিজি স্যার দেখছেন।’
র্যাবের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (এডিজি) তখন জিয়াউল আহসান। গেলাম তাঁর কক্ষে। তিনি আমার আবদার শুনে একটু মুচকি হেসে বললেন, ‘আচ্ছা, বসেন।’ মিনিট ত্রিশেক পর আমার সামনে আনা হলো টেকো মাথার মাঝারি উচ্চতার সেই ব্যক্তিকে। আমি নাম-ঠিকানা জানতে চাইলাম। বললেন, নাম অতনু দত্ত। পিতার নাম মণীন্দ্র দত্ত। কলকাতার রিজেন্ট পার্ক এলাকার ৯৯ নম্বর সড়কের ড্রিমটপ রেসিডেন্সিতে থাকেন। এরপর যত প্রশ্ন করি, একটারও কোনো জবাব দেন না; বিশেষ করে আমার মাথায় ঘুরছিল, জুয়াটা কী করে হয়, সেটা জানা। কিন্তু তিনি সে সম্পর্কে কিছুই বললেন না। তবে অতনু দত্ত না বললেও আমি হাল ছাড়িনি। কয়েক দিনের মধ্যে আমার কাছে সব পরিষ্কার হয়ে এল।
তার আগে বলি, ক্রিকেট খেলা যাঁরা দেখেন, তাঁরা সবাই আইসিসির (ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট কাউন্সিল) পাশাপাশি আরও একটি নামের সঙ্গে বেশ পরিচিত, তা হলো ‘আকসু’। আইসিসির অঙ্গসংগঠন ‘অ্যান্টি করাপশন অ্যান্ড সিকিউরিটি ইউনিট’ বা আকসুকে ক্রিকেটাররা ডরান যমের মতো। এর কারণও আছে। জুয়া ঠেকিয়ে ভদ্রলোকের খেলা ক্রিকেটের ভাবমূর্তি ঠিক রাখতে আকসু সব সময় থাকে পুলিশের ভূমিকায়। সেই আকসু আগাম হুঁশিয়ারি দিয়েছিল ঢাকার ক্রিকেটে জুয়া হবে বলে।
আমি যে ঘটনা বলছি, সেটা ২০১৪ সালের। এর আগে ২০১৩ সালের ২৪ মার্চ নিউজিল্যান্ড ও দক্ষিণ আফ্রিকার খেলা নিয়ে বেটিং (বাজি) করার অপরাধে ভারতের পাঞ্জাব রাজ্যের লুধিয়ানা শহরের একটি বাড়ি থেকে ৩৬টি মোবাইল ফোনসহ চার যুবককে গ্রেপ্তার করেছিল পুলিশ। যুবকেরাই প্রথম ফাঁস করেছিলেন নতুন ধরনের ক্রিকেট জুয়ার ছক। এরপর পাঞ্জাব পুলিশ সেই ছকের কথা জানিয়েছিল আকসুকে। প্রথম দফায় এই গল্প শুনে আমার কাছেও খুব অদ্ভুত মনে হয়েছিল বিষয়টা।
এবার সেই পদ্ধতিটা বলি, ক্রিকেট নিয়ে কোটি কোটি টাকার জুয়ার গল্প নতুন কিছু নয়। সেই জুয়াড়িদের কেউই কিন্তু মাঠে যান না। তাঁরা থাকেন মাঠের বাইরে দিল্লি, ঢাকা বা দুবাইয়ের মতো শহরে। কিন্তু তাঁদের লোক থাকে খেলার মাঠে। সেই লোকদের কানে লাগানো থাকে মোবাইল ফোন। মাঠের খেলার সব তথ্য তাঁরা হালনাগাদ টেলিফোনে জানিয়ে দেন ফোনের অন্য প্রান্তে থাকা লোকটিকে। জুয়াড়িরা যেহেতু টেলিভিশন বা ইন্টারনেটে খেলা দেখে বাজি ধরেন, কাজেই তাঁরা বাড়তি কিছু সময় হাতে পান। এই সময়টা কাজে লাগিয়েই জুয়া জেতেন। বিষয়টা আরেকটু খোলাসা করি। ধরুন, মিরপুর মাঠে কোনো খেলোয়াড় আউট হলো, সেটা টেলিভিশনের পর্দায় আসতে কয়েক সেকেন্ড সময় লাগে, কিন্তু টেলিফোনে সেটা সঙ্গে সঙ্গে বলা যায়। এটাই হলো জুয়ার সময়ের পার্থক্য।
আপনাদের নিশ্চয়ই মনে আছে, ২০১৪ সালের ২১ মার্চ ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ হয়েছিল ঢাকার মিরপুর স্টেডিয়ামে। সেই ম্যাচের সময় গোয়েন্দারা লক্ষ করলেন, মাঠে বসে কিছু লোক সার্বক্ষণিক টেলিফোনে কথা বলছিলেন। খেলার পুরো সময় তাঁদের ফোনের সংযোগ সচল। এ রকম কয়েকজনকে সন্দেহ করার সময় তাঁরাও বিষয়টি টের পান। এরপর দ্রুত সটকে পড়েন। কিন্তু সেই দলের অতনু দত্ত আর সরতে পারেননি। র্যাবের গোয়েন্দারা মাঠ থেকেই তাঁকে পাকড়াও করেন। ওই সময় আকসুর প্রধান ছিলেন যোগীন্দ্র পল সিং। তিনিও উপস্থিত ছিলেন মিরপুরের মাঠে। অতনুকে আটক করতে দেখে আকসুর আঞ্চলিক নিরাপত্তা ব্যবস্থাপক ধরমবীর সিং যাদব এগিয়ে যান। তিনি র্যাবের গোয়েন্দাকে বলেন, অতনু হলো তাঁর গোপন তথ্যদাতা (সোর্স)। এরপর র্যাব তাঁকে ছেড়ে দিতে বাধ্য হয়। কিন্তু ছেড়ে দিলেও র্যাব অতনুর ব্যাপারে খোঁজখবর নিতে শুরু করে।
দেখা যায়, অতনু ব্যবসায়ী ভিসা নিয়ে বাংলাদেশে এসেছিলেন। এরপর নিজেকে ‘ক্রিকেট ফ্যান’ পরিচয় দিয়ে মিরপুরে গ্র্যান্ড প্রিন্স হোটেলে ওঠেন। অতনুর ফোন নম্বর অনুসরণ করতে গিয়ে গোয়েন্দারা জানতে পারেন, ভারত-পাকিস্তান ম্যাচের সময় তিনি যখন ফোনে কথা বলছিলেন, তখন ফোনের অপর প্রান্তে ছিলেন কলকাতার জুয়াড়ি কুনাল দাগা। পরে হোটেল থেকে অতনুর পাসপোর্টের কপি নিয়ে তাঁকে কালো তালিকাভুক্ত করা হয়। অতনু বিষয়টি বুঝতে পেরে পালানোর পথ খুঁজতে থাকেন।
গ্র্যান্ড প্রিন্স হোটেলের ব্যবস্থাপক জাহিদ হাসান আমাকে বলেছিলেন, গোয়েন্দারা পিছু নিয়েছেন দেখে ১ এপ্রিল চট্টগ্রামে খেলা দেখতে যাওয়ার কথা বলে হোটেল থেকে বেরিয়ে গিয়েছিলেন অতনু। তিনি সব মালপত্র হোটেলে ফেলে যান, যাতে কেউ সন্দেহ না করে।
র্যাবের একজন কর্মকর্তা বললেন, পালানোর আগের দিন ধরমবীর সিং যাদবের সঙ্গে টেলিফোনে অতনুর কথা হয়েছিল। যাদব তাঁকে বলেছিলেন, ‘তোমাকে ফলো করা হচ্ছে। একবার বাঁচাতে পারলেও দ্বিতীয়বার বাঁচানো যাবে না। তুমি দ্রুত বাংলাদেশ ছেড়ে যাও।’ এরপর ৩ এপ্রিল (২০১৪) রাতে যশোরের বেনাপোল সীমান্ত অতিক্রম করার সময় ইমিগ্রেশনের ওসি মনিরুজ্জামান তাঁকে আটক করেন।
কয়েক দিন পর মিরপুর থানার অপারেশন কর্মকর্তা আফজাল হোসেন আমাকে বললেন, অতনুর বিরুদ্ধে ২০১৪ সালের ৬ এপ্রিল তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি আইনের ৬৩ ধারায় মামলা হয়। সেই মামলায় অতনুকে গ্রেপ্তার করে পাঠানো হয় আদালতে। এরপর মহানগর হাকিম মাহবুবুর রহমান তাঁকে জামিন দেন। জামিন পেয়ে গা ঢাকা দেন অতনু। আজও তাঁর কোনো খোঁজ মেলেনি।
মনে আছে, বেশ কয়েকজন আইনজীবী অতনু দত্তের মামলা পরিচালনা করেছিলেন। তাঁদের একজন এমদাদ হোসেন আমাকে বলেছিলেন, ঢাকার নামকরা এক ক্রীড়া সংগঠক অতনুর জামিনের উদ্যোগ নিয়েছিলেন। তবে ওই ক্রীড়া সংগঠকের নাম তিনি বলতে চাননি।
রিপোর্টার হিসেবে এ বিষয়ে আরও জানতে আকসুর প্রধান যোগীন্দ্র পল সিং (ওয়াই পি সিং) ও ধরমবীর সিং যাদবকে আকসুর ওয়েবসাইটে দেওয়া নম্বরে ফোন করেছিলাম। দুজনই আমার ফোন সিরিভ করেছিলেন। ফোনে সব কথা শুনে বলেছিলেন, ‘না, না, আমি সে লোক নই। রং নম্বর।’ পরে আইসিসি ও আকসুকে এ বিষয়ে বক্তব্য চেয়ে ই-মেইল করেছিলাম, কিন্তু তারা কোনো জবাব দেয়নি। দুদিন পর আকসুর আরেক আঞ্চলিক নিরাপত্তা ব্যবস্থাপক নিরঞ্জন সিং বার্ক আমাকে ফোন করেন। তিনি তখনকার বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের ভারপ্রাপ্ত প্রধান নির্বাহী নিজাম উদ্দিন চৌধুরীর সঙ্গে যোগাযোগ করার পরামর্শ দেন। তাঁর কথা অনুযায়ী যোগাযোগও করেছিলাম।
বেশ কয়েক মাস পর র্যাব ওই ঘটনার তদন্ত গুছিয়ে এনেছিল। একদিন র্যাবের তখনকার এডিজি কর্নেল জিয়াউল আহসান আমাকে বললেন, জুয়াড়ি অতনু দত্তের সঙ্গে আকসুর সেই কর্মকর্তা ধরমবীর সিং যাদবের ঘনিষ্ঠতা ছিল। তাঁরা একসঙ্গে এই কাজ করেন। এ ঘটনার কয়েক বছর পর বাংলাদেশ-ওয়েস্ট ইন্ডিজ ম্যাচ চলাকালে চট্টগ্রাম থেকে তিন ভারতীয় জুয়াড়িকে এনএসআই (জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থা) আটক করে তুলে দিয়েছিল পুলিশের হাতে। এরপর শুনলাম, দীপ আগারওয়াল নামের এক জুয়াড়ি বাংলাদেশি অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসানকেও ম্যাচ গড়াপেটার প্রস্তাব দিয়েছিলেন। আইসিসির এক কর্মকর্তা একবার সাংবাদিকদের বলেছিলেন, ৫০টি ম্যাচ পাতানোর ঘটনা তাঁরা তদন্ত করছেন, যেগুলোর বেশির ভাগই ছিল ভারত-সংশ্লিষ্ট। সবার কথায় আমার কাছে স্পষ্ট হয়ে এল, ক্রিকেট ম্যাচ গড়াপেটা বা পাতানো খেলার যে অভিযোগ আমরা হরহামেশা শুনি, তার সঙ্গে কোনো না কোনোভাবে আকসু এবং ক্রীড়া সংস্থাগুলোর লোকজনও জড়িত। ‘বেড়ায় ক্ষেত খায়’ বা ‘শর্ষের ভেতরে ভূত’ থাকার যে গল্প আছে, এ ক্ষেত্রে তা শতভাগ সত্যি হয়ে যায়।
আরও পড়ুন:

কুর্মিটোলা র্যাব হেডকোয়ার্টার্সে এক কর্মকর্তার রুমে বসে খোশগল্প করছি। কথায় কথায় কানে এল, বেনাপোল থেকে নাকি এক ভারতীয়কে আটক করে এখানে আনা হয়েছে। গোয়েন্দা কর্মকর্তারা ব্যস্ত তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা নিয়ে। লোকটা কে? যে কর্মকর্তার কক্ষে বসে ছিলাম, তাঁকে প্রশ্ন করতেই একটু থতমত খেয়ে তিনি বললেন, ‘নাম জানি না ভাই। শুনেছি, সে নাকি বুকি (ক্রিকেট জুয়াড়ি)।’
এতটুকু শুনেই মাথায় বিদ্যুৎ খেলে গেল। জীবনে বহু চোর, ডাকাত, অস্ত্রবাজ, ছিনতাইকারী দেখেছি। শীর্ষ সন্ত্রাসীর সামনে বসে কথা বলেছি। ঘণ্টার পর ঘণ্টা সিরিয়াল কিলারের সাক্ষাৎকার নিয়েছি। কিন্তু ক্রিকেট জুয়াড়ি! ভাবতেই আরাম লাগছে। কথায় কথায় আবদার করলাম, সেই জুয়াড়িকে দেখতে চাই। কর্মকর্তা আমার আবদার এড়াতে পারেন না। শুধু বললেন, ‘এটা তো ভাই এডিজি স্যার দেখছেন।’
র্যাবের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (এডিজি) তখন জিয়াউল আহসান। গেলাম তাঁর কক্ষে। তিনি আমার আবদার শুনে একটু মুচকি হেসে বললেন, ‘আচ্ছা, বসেন।’ মিনিট ত্রিশেক পর আমার সামনে আনা হলো টেকো মাথার মাঝারি উচ্চতার সেই ব্যক্তিকে। আমি নাম-ঠিকানা জানতে চাইলাম। বললেন, নাম অতনু দত্ত। পিতার নাম মণীন্দ্র দত্ত। কলকাতার রিজেন্ট পার্ক এলাকার ৯৯ নম্বর সড়কের ড্রিমটপ রেসিডেন্সিতে থাকেন। এরপর যত প্রশ্ন করি, একটারও কোনো জবাব দেন না; বিশেষ করে আমার মাথায় ঘুরছিল, জুয়াটা কী করে হয়, সেটা জানা। কিন্তু তিনি সে সম্পর্কে কিছুই বললেন না। তবে অতনু দত্ত না বললেও আমি হাল ছাড়িনি। কয়েক দিনের মধ্যে আমার কাছে সব পরিষ্কার হয়ে এল।
তার আগে বলি, ক্রিকেট খেলা যাঁরা দেখেন, তাঁরা সবাই আইসিসির (ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট কাউন্সিল) পাশাপাশি আরও একটি নামের সঙ্গে বেশ পরিচিত, তা হলো ‘আকসু’। আইসিসির অঙ্গসংগঠন ‘অ্যান্টি করাপশন অ্যান্ড সিকিউরিটি ইউনিট’ বা আকসুকে ক্রিকেটাররা ডরান যমের মতো। এর কারণও আছে। জুয়া ঠেকিয়ে ভদ্রলোকের খেলা ক্রিকেটের ভাবমূর্তি ঠিক রাখতে আকসু সব সময় থাকে পুলিশের ভূমিকায়। সেই আকসু আগাম হুঁশিয়ারি দিয়েছিল ঢাকার ক্রিকেটে জুয়া হবে বলে।
আমি যে ঘটনা বলছি, সেটা ২০১৪ সালের। এর আগে ২০১৩ সালের ২৪ মার্চ নিউজিল্যান্ড ও দক্ষিণ আফ্রিকার খেলা নিয়ে বেটিং (বাজি) করার অপরাধে ভারতের পাঞ্জাব রাজ্যের লুধিয়ানা শহরের একটি বাড়ি থেকে ৩৬টি মোবাইল ফোনসহ চার যুবককে গ্রেপ্তার করেছিল পুলিশ। যুবকেরাই প্রথম ফাঁস করেছিলেন নতুন ধরনের ক্রিকেট জুয়ার ছক। এরপর পাঞ্জাব পুলিশ সেই ছকের কথা জানিয়েছিল আকসুকে। প্রথম দফায় এই গল্প শুনে আমার কাছেও খুব অদ্ভুত মনে হয়েছিল বিষয়টা।
এবার সেই পদ্ধতিটা বলি, ক্রিকেট নিয়ে কোটি কোটি টাকার জুয়ার গল্প নতুন কিছু নয়। সেই জুয়াড়িদের কেউই কিন্তু মাঠে যান না। তাঁরা থাকেন মাঠের বাইরে দিল্লি, ঢাকা বা দুবাইয়ের মতো শহরে। কিন্তু তাঁদের লোক থাকে খেলার মাঠে। সেই লোকদের কানে লাগানো থাকে মোবাইল ফোন। মাঠের খেলার সব তথ্য তাঁরা হালনাগাদ টেলিফোনে জানিয়ে দেন ফোনের অন্য প্রান্তে থাকা লোকটিকে। জুয়াড়িরা যেহেতু টেলিভিশন বা ইন্টারনেটে খেলা দেখে বাজি ধরেন, কাজেই তাঁরা বাড়তি কিছু সময় হাতে পান। এই সময়টা কাজে লাগিয়েই জুয়া জেতেন। বিষয়টা আরেকটু খোলাসা করি। ধরুন, মিরপুর মাঠে কোনো খেলোয়াড় আউট হলো, সেটা টেলিভিশনের পর্দায় আসতে কয়েক সেকেন্ড সময় লাগে, কিন্তু টেলিফোনে সেটা সঙ্গে সঙ্গে বলা যায়। এটাই হলো জুয়ার সময়ের পার্থক্য।
আপনাদের নিশ্চয়ই মনে আছে, ২০১৪ সালের ২১ মার্চ ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ হয়েছিল ঢাকার মিরপুর স্টেডিয়ামে। সেই ম্যাচের সময় গোয়েন্দারা লক্ষ করলেন, মাঠে বসে কিছু লোক সার্বক্ষণিক টেলিফোনে কথা বলছিলেন। খেলার পুরো সময় তাঁদের ফোনের সংযোগ সচল। এ রকম কয়েকজনকে সন্দেহ করার সময় তাঁরাও বিষয়টি টের পান। এরপর দ্রুত সটকে পড়েন। কিন্তু সেই দলের অতনু দত্ত আর সরতে পারেননি। র্যাবের গোয়েন্দারা মাঠ থেকেই তাঁকে পাকড়াও করেন। ওই সময় আকসুর প্রধান ছিলেন যোগীন্দ্র পল সিং। তিনিও উপস্থিত ছিলেন মিরপুরের মাঠে। অতনুকে আটক করতে দেখে আকসুর আঞ্চলিক নিরাপত্তা ব্যবস্থাপক ধরমবীর সিং যাদব এগিয়ে যান। তিনি র্যাবের গোয়েন্দাকে বলেন, অতনু হলো তাঁর গোপন তথ্যদাতা (সোর্স)। এরপর র্যাব তাঁকে ছেড়ে দিতে বাধ্য হয়। কিন্তু ছেড়ে দিলেও র্যাব অতনুর ব্যাপারে খোঁজখবর নিতে শুরু করে।
দেখা যায়, অতনু ব্যবসায়ী ভিসা নিয়ে বাংলাদেশে এসেছিলেন। এরপর নিজেকে ‘ক্রিকেট ফ্যান’ পরিচয় দিয়ে মিরপুরে গ্র্যান্ড প্রিন্স হোটেলে ওঠেন। অতনুর ফোন নম্বর অনুসরণ করতে গিয়ে গোয়েন্দারা জানতে পারেন, ভারত-পাকিস্তান ম্যাচের সময় তিনি যখন ফোনে কথা বলছিলেন, তখন ফোনের অপর প্রান্তে ছিলেন কলকাতার জুয়াড়ি কুনাল দাগা। পরে হোটেল থেকে অতনুর পাসপোর্টের কপি নিয়ে তাঁকে কালো তালিকাভুক্ত করা হয়। অতনু বিষয়টি বুঝতে পেরে পালানোর পথ খুঁজতে থাকেন।
গ্র্যান্ড প্রিন্স হোটেলের ব্যবস্থাপক জাহিদ হাসান আমাকে বলেছিলেন, গোয়েন্দারা পিছু নিয়েছেন দেখে ১ এপ্রিল চট্টগ্রামে খেলা দেখতে যাওয়ার কথা বলে হোটেল থেকে বেরিয়ে গিয়েছিলেন অতনু। তিনি সব মালপত্র হোটেলে ফেলে যান, যাতে কেউ সন্দেহ না করে।
র্যাবের একজন কর্মকর্তা বললেন, পালানোর আগের দিন ধরমবীর সিং যাদবের সঙ্গে টেলিফোনে অতনুর কথা হয়েছিল। যাদব তাঁকে বলেছিলেন, ‘তোমাকে ফলো করা হচ্ছে। একবার বাঁচাতে পারলেও দ্বিতীয়বার বাঁচানো যাবে না। তুমি দ্রুত বাংলাদেশ ছেড়ে যাও।’ এরপর ৩ এপ্রিল (২০১৪) রাতে যশোরের বেনাপোল সীমান্ত অতিক্রম করার সময় ইমিগ্রেশনের ওসি মনিরুজ্জামান তাঁকে আটক করেন।
কয়েক দিন পর মিরপুর থানার অপারেশন কর্মকর্তা আফজাল হোসেন আমাকে বললেন, অতনুর বিরুদ্ধে ২০১৪ সালের ৬ এপ্রিল তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি আইনের ৬৩ ধারায় মামলা হয়। সেই মামলায় অতনুকে গ্রেপ্তার করে পাঠানো হয় আদালতে। এরপর মহানগর হাকিম মাহবুবুর রহমান তাঁকে জামিন দেন। জামিন পেয়ে গা ঢাকা দেন অতনু। আজও তাঁর কোনো খোঁজ মেলেনি।
মনে আছে, বেশ কয়েকজন আইনজীবী অতনু দত্তের মামলা পরিচালনা করেছিলেন। তাঁদের একজন এমদাদ হোসেন আমাকে বলেছিলেন, ঢাকার নামকরা এক ক্রীড়া সংগঠক অতনুর জামিনের উদ্যোগ নিয়েছিলেন। তবে ওই ক্রীড়া সংগঠকের নাম তিনি বলতে চাননি।
রিপোর্টার হিসেবে এ বিষয়ে আরও জানতে আকসুর প্রধান যোগীন্দ্র পল সিং (ওয়াই পি সিং) ও ধরমবীর সিং যাদবকে আকসুর ওয়েবসাইটে দেওয়া নম্বরে ফোন করেছিলাম। দুজনই আমার ফোন সিরিভ করেছিলেন। ফোনে সব কথা শুনে বলেছিলেন, ‘না, না, আমি সে লোক নই। রং নম্বর।’ পরে আইসিসি ও আকসুকে এ বিষয়ে বক্তব্য চেয়ে ই-মেইল করেছিলাম, কিন্তু তারা কোনো জবাব দেয়নি। দুদিন পর আকসুর আরেক আঞ্চলিক নিরাপত্তা ব্যবস্থাপক নিরঞ্জন সিং বার্ক আমাকে ফোন করেন। তিনি তখনকার বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের ভারপ্রাপ্ত প্রধান নির্বাহী নিজাম উদ্দিন চৌধুরীর সঙ্গে যোগাযোগ করার পরামর্শ দেন। তাঁর কথা অনুযায়ী যোগাযোগও করেছিলাম।
বেশ কয়েক মাস পর র্যাব ওই ঘটনার তদন্ত গুছিয়ে এনেছিল। একদিন র্যাবের তখনকার এডিজি কর্নেল জিয়াউল আহসান আমাকে বললেন, জুয়াড়ি অতনু দত্তের সঙ্গে আকসুর সেই কর্মকর্তা ধরমবীর সিং যাদবের ঘনিষ্ঠতা ছিল। তাঁরা একসঙ্গে এই কাজ করেন। এ ঘটনার কয়েক বছর পর বাংলাদেশ-ওয়েস্ট ইন্ডিজ ম্যাচ চলাকালে চট্টগ্রাম থেকে তিন ভারতীয় জুয়াড়িকে এনএসআই (জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থা) আটক করে তুলে দিয়েছিল পুলিশের হাতে। এরপর শুনলাম, দীপ আগারওয়াল নামের এক জুয়াড়ি বাংলাদেশি অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসানকেও ম্যাচ গড়াপেটার প্রস্তাব দিয়েছিলেন। আইসিসির এক কর্মকর্তা একবার সাংবাদিকদের বলেছিলেন, ৫০টি ম্যাচ পাতানোর ঘটনা তাঁরা তদন্ত করছেন, যেগুলোর বেশির ভাগই ছিল ভারত-সংশ্লিষ্ট। সবার কথায় আমার কাছে স্পষ্ট হয়ে এল, ক্রিকেট ম্যাচ গড়াপেটা বা পাতানো খেলার যে অভিযোগ আমরা হরহামেশা শুনি, তার সঙ্গে কোনো না কোনোভাবে আকসু এবং ক্রীড়া সংস্থাগুলোর লোকজনও জড়িত। ‘বেড়ায় ক্ষেত খায়’ বা ‘শর্ষের ভেতরে ভূত’ থাকার যে গল্প আছে, এ ক্ষেত্রে তা শতভাগ সত্যি হয়ে যায়।
আরও পড়ুন:

রাজধানীর মোহাম্মদপুরে জেনেভা ক্যাম্পে ‘মাদক কারবারিদের’ দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে জাহিদ নিহতের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ শুক্রবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. ইবনে মিজান আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
৩ দিন আগে
এক বিজ্ঞপ্তিতে সিআইডি জানিয়েছে, নূরে আলম একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সদস্য। তিনি ফেসবুকে এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে যোগাযোগ করে জানান, তাঁর নামে বিদেশ থেকে একটি পার্সেল এসেছে, যা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাস্টম হাউসে জমা আছে। পার্সেল ছাড়াতে টাকা লাগবে—এ দাবি করে পার্সেলের ছবিও পাঠান তিনি।
৬ দিন আগে
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সভায় উপস্থিত বিএফআইইউ প্রতিনিধি বলেন, এমএফএস অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে জুয়া ও প্রতারণা বন্ধে বিটিআরসির (বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন) মাধ্যমে বার্তা দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া এমএফএস প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে বৈঠক করে তাদের কিছু নির্দেশনাও দেওয়া হবে। যেসব অ্যাকাউন্ট ব্লক (স্থগিত)
৬ দিন আগে
দেশে বসেই আন্তর্জাতিক পর্নো সাইটে সক্রিয় ছিলেন তাঁরা। ভিডিও বানিয়ে আপলোড করতেন বিভিন্ন ওয়েবসাইটে। শুধু নিজেরাই নন, এই দম্পতি অন্যদেরও এ কাজে যুক্ত করতেন বলে অভিযোগ। অবশেষে সেই আলোচিত যুগলকে বান্দরবানে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
৭ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

রাজধানীর মোহাম্মদপুরে জেনেভা ক্যাম্পে ‘মাদক কারবারিদের’ দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে জাহিদ নিহতের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
আজ শুক্রবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. ইবনে মিজান আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
গত বুধবার ভোররাতে দুই গ্রুপ মাদক কারবারির সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে নিহত হন জাহিদ (২০)। পরিবারের দাবি, দুপক্ষের সংঘর্ষ চলাকালে জাহিদের পায়ের কাছে ককটেল বিস্ফোরণ হয়। এ সময় স্প্লিন্টার তাঁর ঘাড় ও পিঠে বিদ্ধ হয়। আহত অবস্থায় উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় মোহাম্মদপুর থানায় একটি হত্যা মামলা হয়েছে। সংঘর্ষের পর ঘটনাস্থলে অভিযান পরিচালনা করে র্যাব, পুলিশ ও সেনাবাহিনী। অভিযানে একটি বিদেশি পিস্তল, একটি ম্যাগাজিন ও তিনটি তাজা গুলিসহ বিপুল পরিমাণ দেশি অস্ত্র ও পেট্রলবোমা উদ্ধার করা হয়।
জাহিদের ভগ্নিপতি মো. উজ্জ্বল জানান, রাজধানীর কল্যাণপুরে মিজান টাওয়ারে একটি মোবাইল ফোন সার্ভিসিংয়ের দোকানে কাজ করতেন জাহিদ। বুধবার রাতে বন্ধুদের সঙ্গে রেস্তোরাঁয় খেতে যাওয়ার সময় তাঁরা সংঘর্ষের মধ্যে পড়েন। পরে হাসপাতালে জাহিদের মৃত্যু হয়।
তবে পুলিশ বলছে, ককটেল তৈরির সময় বিস্ফোরণে নিহত হন জাহিদ।

রাজধানীর মোহাম্মদপুরে জেনেভা ক্যাম্পে ‘মাদক কারবারিদের’ দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে জাহিদ নিহতের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
আজ শুক্রবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. ইবনে মিজান আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
গত বুধবার ভোররাতে দুই গ্রুপ মাদক কারবারির সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে নিহত হন জাহিদ (২০)। পরিবারের দাবি, দুপক্ষের সংঘর্ষ চলাকালে জাহিদের পায়ের কাছে ককটেল বিস্ফোরণ হয়। এ সময় স্প্লিন্টার তাঁর ঘাড় ও পিঠে বিদ্ধ হয়। আহত অবস্থায় উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় মোহাম্মদপুর থানায় একটি হত্যা মামলা হয়েছে। সংঘর্ষের পর ঘটনাস্থলে অভিযান পরিচালনা করে র্যাব, পুলিশ ও সেনাবাহিনী। অভিযানে একটি বিদেশি পিস্তল, একটি ম্যাগাজিন ও তিনটি তাজা গুলিসহ বিপুল পরিমাণ দেশি অস্ত্র ও পেট্রলবোমা উদ্ধার করা হয়।
জাহিদের ভগ্নিপতি মো. উজ্জ্বল জানান, রাজধানীর কল্যাণপুরে মিজান টাওয়ারে একটি মোবাইল ফোন সার্ভিসিংয়ের দোকানে কাজ করতেন জাহিদ। বুধবার রাতে বন্ধুদের সঙ্গে রেস্তোরাঁয় খেতে যাওয়ার সময় তাঁরা সংঘর্ষের মধ্যে পড়েন। পরে হাসপাতালে জাহিদের মৃত্যু হয়।
তবে পুলিশ বলছে, ককটেল তৈরির সময় বিস্ফোরণে নিহত হন জাহিদ।

কুর্মিটোলা র্যাব হেডকোয়ার্টার্সে এক কর্মকর্তার রুমে বসে খোশগল্প করছি। কথায় কথায় কানে এল, বেনাপোল থেকে নাকি এক ভারতীয়কে আটক করে এখানে আনা হয়েছে। গোয়েন্দা কর্মকর্তারা ব্যস্ত তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ
১৫ অক্টোবর ২০২২
এক বিজ্ঞপ্তিতে সিআইডি জানিয়েছে, নূরে আলম একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সদস্য। তিনি ফেসবুকে এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে যোগাযোগ করে জানান, তাঁর নামে বিদেশ থেকে একটি পার্সেল এসেছে, যা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাস্টম হাউসে জমা আছে। পার্সেল ছাড়াতে টাকা লাগবে—এ দাবি করে পার্সেলের ছবিও পাঠান তিনি।
৬ দিন আগে
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সভায় উপস্থিত বিএফআইইউ প্রতিনিধি বলেন, এমএফএস অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে জুয়া ও প্রতারণা বন্ধে বিটিআরসির (বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন) মাধ্যমে বার্তা দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া এমএফএস প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে বৈঠক করে তাদের কিছু নির্দেশনাও দেওয়া হবে। যেসব অ্যাকাউন্ট ব্লক (স্থগিত)
৬ দিন আগে
দেশে বসেই আন্তর্জাতিক পর্নো সাইটে সক্রিয় ছিলেন তাঁরা। ভিডিও বানিয়ে আপলোড করতেন বিভিন্ন ওয়েবসাইটে। শুধু নিজেরাই নন, এই দম্পতি অন্যদেরও এ কাজে যুক্ত করতেন বলে অভিযোগ। অবশেষে সেই আলোচিত যুগলকে বান্দরবানে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
৭ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বিদেশ থেকে পার্সেল এসেছে—এমন দাবি করে কাস্টমস থেকে তা ছাড়িয়ে দেওয়ার কথা বলে ১১ লাখ ৮৫ হাজার টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে এক তরুণকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
গতকাল সোমবার রাতে রাজধানীর তেজগাঁও শিল্পাঞ্চলের কুনিপাড়া এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার ওই তরুণের নাম মো. নূরে আলম ওরফে তুহিন (২৪)।
এক বিজ্ঞপ্তিতে সিআইডি জানিয়েছে, নূরে আলম একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সদস্য। তিনি ফেসবুকে এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে যোগাযোগ করে জানান, তাঁর নামে বিদেশ থেকে একটি পার্সেল এসেছে, যা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাস্টম হাউসে জমা আছে। পার্সেল ছাড়াতে টাকা লাগবে—এ দাবি করে পার্সেলের ছবিও পাঠান তিনি।
পরে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন অজুহাতে ভুক্তভোগীর কাছ থেকে বিকাশ ও ব্যাংকের মাধ্যমে ১১ লাখ ৮৫ হাজার টাকা আদায় করেন নূরে আলম। টাকা পাওয়ার পর নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দেন তিনি।
ভুক্তভোগী আদালতের শরণাপন্ন হলে রামপুরা থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করা হয়। মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব পায় সিআইডির সাইবার পুলিশ সেন্টার। পরে নূরে আলমকে গ্রেপ্তার করা হয়।
সিআইডি জানায়, প্রতারক চক্রের অন্য সদস্যদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।

বিদেশ থেকে পার্সেল এসেছে—এমন দাবি করে কাস্টমস থেকে তা ছাড়িয়ে দেওয়ার কথা বলে ১১ লাখ ৮৫ হাজার টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে এক তরুণকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
গতকাল সোমবার রাতে রাজধানীর তেজগাঁও শিল্পাঞ্চলের কুনিপাড়া এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার ওই তরুণের নাম মো. নূরে আলম ওরফে তুহিন (২৪)।
এক বিজ্ঞপ্তিতে সিআইডি জানিয়েছে, নূরে আলম একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সদস্য। তিনি ফেসবুকে এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে যোগাযোগ করে জানান, তাঁর নামে বিদেশ থেকে একটি পার্সেল এসেছে, যা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাস্টম হাউসে জমা আছে। পার্সেল ছাড়াতে টাকা লাগবে—এ দাবি করে পার্সেলের ছবিও পাঠান তিনি।
পরে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন অজুহাতে ভুক্তভোগীর কাছ থেকে বিকাশ ও ব্যাংকের মাধ্যমে ১১ লাখ ৮৫ হাজার টাকা আদায় করেন নূরে আলম। টাকা পাওয়ার পর নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দেন তিনি।
ভুক্তভোগী আদালতের শরণাপন্ন হলে রামপুরা থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করা হয়। মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব পায় সিআইডির সাইবার পুলিশ সেন্টার। পরে নূরে আলমকে গ্রেপ্তার করা হয়।
সিআইডি জানায়, প্রতারক চক্রের অন্য সদস্যদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।

কুর্মিটোলা র্যাব হেডকোয়ার্টার্সে এক কর্মকর্তার রুমে বসে খোশগল্প করছি। কথায় কথায় কানে এল, বেনাপোল থেকে নাকি এক ভারতীয়কে আটক করে এখানে আনা হয়েছে। গোয়েন্দা কর্মকর্তারা ব্যস্ত তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ
১৫ অক্টোবর ২০২২
রাজধানীর মোহাম্মদপুরে জেনেভা ক্যাম্পে ‘মাদক কারবারিদের’ দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে জাহিদ নিহতের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ শুক্রবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. ইবনে মিজান আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
৩ দিন আগে
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সভায় উপস্থিত বিএফআইইউ প্রতিনিধি বলেন, এমএফএস অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে জুয়া ও প্রতারণা বন্ধে বিটিআরসির (বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন) মাধ্যমে বার্তা দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া এমএফএস প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে বৈঠক করে তাদের কিছু নির্দেশনাও দেওয়া হবে। যেসব অ্যাকাউন্ট ব্লক (স্থগিত)
৬ দিন আগে
দেশে বসেই আন্তর্জাতিক পর্নো সাইটে সক্রিয় ছিলেন তাঁরা। ভিডিও বানিয়ে আপলোড করতেন বিভিন্ন ওয়েবসাইটে। শুধু নিজেরাই নন, এই দম্পতি অন্যদেরও এ কাজে যুক্ত করতেন বলে অভিযোগ। অবশেষে সেই আলোচিত যুগলকে বান্দরবানে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
৭ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

জুয়া ও প্রতারণায় জড়িত থাকায় ৫০ হাজারের বেশি এমএফএস (মোবাইলভিত্তিক আর্থিক লেনদেন সেবা) অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ (স্থগিত) করেছে বিএফআইইউ (বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট)। ২০২২ সালের ডিসেম্বর থেকে চলতি মাস পর্যন্ত এই নম্বরগুলো স্থগিত করা হয়।
আজ মঙ্গলবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বিটিআরসি ভবনে ‘অনলাইন জুয়া প্রতিরোধে করণীয়’ শীর্ষক এক সভায় বিএফআইইউর প্রতিনিধি এ তথ্য জানান।
সভায় ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়, ডিজিএফআই (ডিরেক্টরেট জেনারেল অব ফোর্সেস ইন্টেলিজেন্স), এনএসআই (ন্যাশনাল সিকিউরিটি ইন্টেলিজেন্স), এনটিএমসি (ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টার), সিআইডি (ক্রিমিনাল ইনভেস্টিগেশন ডিপার্টমেন্ট), বিএফআইইউ, এমএফএস ও মোবাইল অপারেটরদের প্রতিনিধিরা অংশ নেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সভায় উপস্থিত বিএফআইইউ প্রতিনিধি বলেন, এমএফএস অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে জুয়া ও প্রতারণা বন্ধে বিটিআরসির (বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন) মাধ্যমে বার্তা দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া এমএফএস প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে বৈঠক করে তাদের কিছু নির্দেশনাও দেওয়া হবে। যেসব অ্যাকাউন্ট ব্লক (স্থগিত) করা হয়েছে, সেগুলো থেকে কোথায় কোথায় টাকা লেনদেন করা হয়েছে, তা বিশ্লেষণ করে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে প্রতিবেদন দেওয়া হবে।
ডিজিএফআই প্রতিনিধি জানান, অনলাইন জুয়ার মতো আর্থিক নানা প্রতারণায় বেনামি সিম ব্যবহার করা হচ্ছে। সংঘবদ্ধ চক্র ভুয়া সিম বিক্রি করছে। মানুষের আঙুলের ছাপ ব্যবহার করা হচ্ছে। বিকাশের অ্যাপ নকল করা হয়েছে। নাগরিকদের ডেটাবেইস ডার্ক ওয়েবে পাওয়া যাচ্ছে। এটা নিয়ে নানা অপরাধ সংঘটিত হচ্ছে।
সভায় অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিবিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, সরকার সতর্ক করার পরও অনেক গণমাধ্যমের অনলাইন পোর্টালে এখনো জুয়ার বিজ্ঞাপন প্রচার করা হচ্ছে। এ ধরনের বিজ্ঞাপন প্রচার করলে যেকোনো মুহূর্তে বিনা নোটিশে সংশ্লিষ্ট গণমাধ্যমের পোর্টাল বন্ধ করে দেওয়া হবে। প্রায় সব কটি মিডিয়ার পোর্টালে এখনো অনিরাপদ কনটেন্ট আসে। জুয়ার বিজ্ঞাপন আসে। এখান থেকে তারা টাকা পায়।
১৯ অক্টোবর পর্যন্ত জুয়ার বিজ্ঞাপন বন্ধে সময় দেওয়া হয়েছিল। তবে গণমাধ্যমগুলো তা মানছে না বলে অভিযোগ করেন বিশেষ সহকারী। তিনি বলেন, বেশ কিছু অনলাইন পোর্টাল জুয়ার বিজ্ঞাপন ও অনিরাপদ কনটেন্ট বিজ্ঞাপন প্রচার করছে। ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, ‘আমরা যেকোনো মুহূর্তে বন্ধ করে দেব। যেহেতু একাধিক নোটিশ দেওয়া হয়েছে। আমরা পাবলিকলি কোনো নোটিশ দেব না।’
অনলাইন জুয়া বন্ধে সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগ ও চ্যালেঞ্জের কথা তুলে ধরেন ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব। তিনি জানান, সরকারের হিসাবে গত মে মাস থেকে এখন পর্যন্ত ৪ হাজার ৮২০টি এমএফএস নম্বর পাওয়া গেছে। এ ছাড়া ১ হাজার ৩৩১টি ওয়েব পোর্টালের লিংক পাওয়া গেছে।
সরকারের চ্যালেঞ্জ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, যখনই একটা নম্বর ব্লক করা হয়, তখন এর চেয়ে বেশিসংখ্যক বা সমসংখ্যক নম্বর ব্যবহার করে সিগন্যাল-হোয়াটসঅ্যাপের মতো গ্রুপগুলোয় ছড়িয়ে দেওয়া হয়। আইপি পরিবর্তন করে ওয়েবসাইটের নাম একটু পরিবর্তন করা হয়। এভাবে নতুন ওয়েবসাইট বানিয়ে আবার শুরু করা হয়। এমএফএস, ওয়েব লিংক বন্ধ করার পর এ চক্রগুলো আবার অ্যাপ তৈরি ফেলে। অ্যাপগুলো অনেক ক্ষেত্রেই পাবলিশড নয়, এপিকে হিসেবে ব্যবহার করে।

জুয়া ও প্রতারণায় জড়িত থাকায় ৫০ হাজারের বেশি এমএফএস (মোবাইলভিত্তিক আর্থিক লেনদেন সেবা) অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ (স্থগিত) করেছে বিএফআইইউ (বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট)। ২০২২ সালের ডিসেম্বর থেকে চলতি মাস পর্যন্ত এই নম্বরগুলো স্থগিত করা হয়।
আজ মঙ্গলবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বিটিআরসি ভবনে ‘অনলাইন জুয়া প্রতিরোধে করণীয়’ শীর্ষক এক সভায় বিএফআইইউর প্রতিনিধি এ তথ্য জানান।
সভায় ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়, ডিজিএফআই (ডিরেক্টরেট জেনারেল অব ফোর্সেস ইন্টেলিজেন্স), এনএসআই (ন্যাশনাল সিকিউরিটি ইন্টেলিজেন্স), এনটিএমসি (ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টার), সিআইডি (ক্রিমিনাল ইনভেস্টিগেশন ডিপার্টমেন্ট), বিএফআইইউ, এমএফএস ও মোবাইল অপারেটরদের প্রতিনিধিরা অংশ নেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সভায় উপস্থিত বিএফআইইউ প্রতিনিধি বলেন, এমএফএস অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে জুয়া ও প্রতারণা বন্ধে বিটিআরসির (বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন) মাধ্যমে বার্তা দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া এমএফএস প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে বৈঠক করে তাদের কিছু নির্দেশনাও দেওয়া হবে। যেসব অ্যাকাউন্ট ব্লক (স্থগিত) করা হয়েছে, সেগুলো থেকে কোথায় কোথায় টাকা লেনদেন করা হয়েছে, তা বিশ্লেষণ করে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে প্রতিবেদন দেওয়া হবে।
ডিজিএফআই প্রতিনিধি জানান, অনলাইন জুয়ার মতো আর্থিক নানা প্রতারণায় বেনামি সিম ব্যবহার করা হচ্ছে। সংঘবদ্ধ চক্র ভুয়া সিম বিক্রি করছে। মানুষের আঙুলের ছাপ ব্যবহার করা হচ্ছে। বিকাশের অ্যাপ নকল করা হয়েছে। নাগরিকদের ডেটাবেইস ডার্ক ওয়েবে পাওয়া যাচ্ছে। এটা নিয়ে নানা অপরাধ সংঘটিত হচ্ছে।
সভায় অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিবিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, সরকার সতর্ক করার পরও অনেক গণমাধ্যমের অনলাইন পোর্টালে এখনো জুয়ার বিজ্ঞাপন প্রচার করা হচ্ছে। এ ধরনের বিজ্ঞাপন প্রচার করলে যেকোনো মুহূর্তে বিনা নোটিশে সংশ্লিষ্ট গণমাধ্যমের পোর্টাল বন্ধ করে দেওয়া হবে। প্রায় সব কটি মিডিয়ার পোর্টালে এখনো অনিরাপদ কনটেন্ট আসে। জুয়ার বিজ্ঞাপন আসে। এখান থেকে তারা টাকা পায়।
১৯ অক্টোবর পর্যন্ত জুয়ার বিজ্ঞাপন বন্ধে সময় দেওয়া হয়েছিল। তবে গণমাধ্যমগুলো তা মানছে না বলে অভিযোগ করেন বিশেষ সহকারী। তিনি বলেন, বেশ কিছু অনলাইন পোর্টাল জুয়ার বিজ্ঞাপন ও অনিরাপদ কনটেন্ট বিজ্ঞাপন প্রচার করছে। ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, ‘আমরা যেকোনো মুহূর্তে বন্ধ করে দেব। যেহেতু একাধিক নোটিশ দেওয়া হয়েছে। আমরা পাবলিকলি কোনো নোটিশ দেব না।’
অনলাইন জুয়া বন্ধে সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগ ও চ্যালেঞ্জের কথা তুলে ধরেন ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব। তিনি জানান, সরকারের হিসাবে গত মে মাস থেকে এখন পর্যন্ত ৪ হাজার ৮২০টি এমএফএস নম্বর পাওয়া গেছে। এ ছাড়া ১ হাজার ৩৩১টি ওয়েব পোর্টালের লিংক পাওয়া গেছে।
সরকারের চ্যালেঞ্জ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, যখনই একটা নম্বর ব্লক করা হয়, তখন এর চেয়ে বেশিসংখ্যক বা সমসংখ্যক নম্বর ব্যবহার করে সিগন্যাল-হোয়াটসঅ্যাপের মতো গ্রুপগুলোয় ছড়িয়ে দেওয়া হয়। আইপি পরিবর্তন করে ওয়েবসাইটের নাম একটু পরিবর্তন করা হয়। এভাবে নতুন ওয়েবসাইট বানিয়ে আবার শুরু করা হয়। এমএফএস, ওয়েব লিংক বন্ধ করার পর এ চক্রগুলো আবার অ্যাপ তৈরি ফেলে। অ্যাপগুলো অনেক ক্ষেত্রেই পাবলিশড নয়, এপিকে হিসেবে ব্যবহার করে।

কুর্মিটোলা র্যাব হেডকোয়ার্টার্সে এক কর্মকর্তার রুমে বসে খোশগল্প করছি। কথায় কথায় কানে এল, বেনাপোল থেকে নাকি এক ভারতীয়কে আটক করে এখানে আনা হয়েছে। গোয়েন্দা কর্মকর্তারা ব্যস্ত তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ
১৫ অক্টোবর ২০২২
রাজধানীর মোহাম্মদপুরে জেনেভা ক্যাম্পে ‘মাদক কারবারিদের’ দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে জাহিদ নিহতের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ শুক্রবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. ইবনে মিজান আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
৩ দিন আগে
এক বিজ্ঞপ্তিতে সিআইডি জানিয়েছে, নূরে আলম একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সদস্য। তিনি ফেসবুকে এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে যোগাযোগ করে জানান, তাঁর নামে বিদেশ থেকে একটি পার্সেল এসেছে, যা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাস্টম হাউসে জমা আছে। পার্সেল ছাড়াতে টাকা লাগবে—এ দাবি করে পার্সেলের ছবিও পাঠান তিনি।
৬ দিন আগে
দেশে বসেই আন্তর্জাতিক পর্নো সাইটে সক্রিয় ছিলেন তাঁরা। ভিডিও বানিয়ে আপলোড করতেন বিভিন্ন ওয়েবসাইটে। শুধু নিজেরাই নন, এই দম্পতি অন্যদেরও এ কাজে যুক্ত করতেন বলে অভিযোগ। অবশেষে সেই আলোচিত যুগলকে বান্দরবানে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
৭ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

দেশে বসেই আন্তর্জাতিক পর্নো সাইটে সক্রিয় ছিলেন তাঁরা। ভিডিও বানিয়ে আপলোড করতেন বিভিন্ন ওয়েবসাইটে। শুধু নিজেরাই নন, এই দম্পতি অন্যদেরও এ কাজে যুক্ত করতেন বলে অভিযোগ। অবশেষে সেই আলোচিত যুগলকে বান্দরবানে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
আজ সোমবার ভোরে বান্দরবান সদর উপজেলার হাজীপাড়ার বালাঘাটা এলাকা থেকে সিআইডির এলআইসি ও সাইবার পুলিশ সেন্টার (সিপিসি) ইউনিটের সদস্যরা এই যুগলকে গ্রেপ্তার করেন। গ্রেপ্তার হওয়া যুগল হলেন মুহাম্মদ আজিম (২৮) ও তাঁর স্ত্রী বৃষ্টি (২৮)। আজ বিকেলে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানায় সিআইডি।
গ্রেপ্তার আজিমের বাড়ি চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলার বুরুমছড়া গ্রামে এবং বৃষ্টির বাড়ি মানিকগঞ্জ জেলার হরিরামপুর উপজেলার আন্ধারমানিক (খালপাড়) গ্রামে।
সিআইডির প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, এই যুগল ২০২৪ সালের মে মাসে আন্তর্জাতিক এক পর্নো সাইটে প্রথম ভিডিও আপলোড করেন। এরপর এক বছরের মধ্যে তাঁরা ১১২টি ভিডিও আপলোড করেছেন, যেগুলো বিশ্বব্যাপী ২ কোটি ৬৭ লাখের বেশিবার দেখা হয়েছে।
এই যুগল এতটাই জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন যে, ২০২৫ সালের অক্টোবর মাসে আন্তর্জাতিক পারফর্মার র্যাঙ্কিংয়ে তাঁদের অবস্থান উঠে আসে অষ্টম স্থানে। ভিডিও আপলোড ছাড়াও তাঁরা বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম—বিশেষ করে, ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম ও টেলিগ্রামের মাধ্যমে নিজেদের কর্মকাণ্ডের প্রচারণা চালাতেন। এসব প্ল্যাটফর্মে নতুনদের এ কাজে যুক্ত হওয়ার আহ্বান জানানো হতো।
তদন্তকারীরা বলছেন, আগ্রহীদের ‘ক্রিয়েটর’ হিসেবে যুক্ত করতে তাঁরা টেলিগ্রাম চ্যানেলে নানা প্রলোভন দেখিয়ে বিজ্ঞাপন দিতেন। নতুন কেউ যুক্ত হলে তাঁকে নগদ অর্থ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হতো। কেউ যোগাযোগ করলে তাঁদের ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করতে উৎসাহিত করতেন আজিম ও বৃষ্টি।
সিআইডির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এই যুগল প্রাথমিক বিদ্যালয়ের গণ্ডি পেরোতে পারেননি। তবে অনলাইনে তাঁদের বিলাসবহুল জীবনধারার নানা ছবি পাওয়া যায়, যা সমাজে নেতিবাচক বার্তা দিচ্ছে। এসব কার্যক্রম সামাজিক ও নৈতিকভাবে যেমন উদ্বেগজনক, তেমনি দেশের প্রচলিত আইনেরও লঙ্ঘন।
অভিযানের সময় তাঁদের কাছ থেকে মোবাইল ফোন, সিম কার্ড, ক্যামেরা, ট্রাইপডসহ ভিডিও ধারণের বিভিন্ন যন্ত্রপাতি জব্দ করা হয়েছে। তাঁদের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা রুজু করা হয়েছে। একই সঙ্গে আদালতে সোপর্দ করে রিমান্ড চেয়ে আবেদন করা হবে বলে জানিয়েছে সিআইডি।
সিআইডির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, পর্নোগ্রাফি ছড়িয়ে দেওয়ার সঙ্গে যুক্ত অন্যদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তারে তদন্ত অব্যাহত রয়েছে।

দেশে বসেই আন্তর্জাতিক পর্নো সাইটে সক্রিয় ছিলেন তাঁরা। ভিডিও বানিয়ে আপলোড করতেন বিভিন্ন ওয়েবসাইটে। শুধু নিজেরাই নন, এই দম্পতি অন্যদেরও এ কাজে যুক্ত করতেন বলে অভিযোগ। অবশেষে সেই আলোচিত যুগলকে বান্দরবানে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
আজ সোমবার ভোরে বান্দরবান সদর উপজেলার হাজীপাড়ার বালাঘাটা এলাকা থেকে সিআইডির এলআইসি ও সাইবার পুলিশ সেন্টার (সিপিসি) ইউনিটের সদস্যরা এই যুগলকে গ্রেপ্তার করেন। গ্রেপ্তার হওয়া যুগল হলেন মুহাম্মদ আজিম (২৮) ও তাঁর স্ত্রী বৃষ্টি (২৮)। আজ বিকেলে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানায় সিআইডি।
গ্রেপ্তার আজিমের বাড়ি চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলার বুরুমছড়া গ্রামে এবং বৃষ্টির বাড়ি মানিকগঞ্জ জেলার হরিরামপুর উপজেলার আন্ধারমানিক (খালপাড়) গ্রামে।
সিআইডির প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, এই যুগল ২০২৪ সালের মে মাসে আন্তর্জাতিক এক পর্নো সাইটে প্রথম ভিডিও আপলোড করেন। এরপর এক বছরের মধ্যে তাঁরা ১১২টি ভিডিও আপলোড করেছেন, যেগুলো বিশ্বব্যাপী ২ কোটি ৬৭ লাখের বেশিবার দেখা হয়েছে।
এই যুগল এতটাই জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন যে, ২০২৫ সালের অক্টোবর মাসে আন্তর্জাতিক পারফর্মার র্যাঙ্কিংয়ে তাঁদের অবস্থান উঠে আসে অষ্টম স্থানে। ভিডিও আপলোড ছাড়াও তাঁরা বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম—বিশেষ করে, ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম ও টেলিগ্রামের মাধ্যমে নিজেদের কর্মকাণ্ডের প্রচারণা চালাতেন। এসব প্ল্যাটফর্মে নতুনদের এ কাজে যুক্ত হওয়ার আহ্বান জানানো হতো।
তদন্তকারীরা বলছেন, আগ্রহীদের ‘ক্রিয়েটর’ হিসেবে যুক্ত করতে তাঁরা টেলিগ্রাম চ্যানেলে নানা প্রলোভন দেখিয়ে বিজ্ঞাপন দিতেন। নতুন কেউ যুক্ত হলে তাঁকে নগদ অর্থ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হতো। কেউ যোগাযোগ করলে তাঁদের ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করতে উৎসাহিত করতেন আজিম ও বৃষ্টি।
সিআইডির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এই যুগল প্রাথমিক বিদ্যালয়ের গণ্ডি পেরোতে পারেননি। তবে অনলাইনে তাঁদের বিলাসবহুল জীবনধারার নানা ছবি পাওয়া যায়, যা সমাজে নেতিবাচক বার্তা দিচ্ছে। এসব কার্যক্রম সামাজিক ও নৈতিকভাবে যেমন উদ্বেগজনক, তেমনি দেশের প্রচলিত আইনেরও লঙ্ঘন।
অভিযানের সময় তাঁদের কাছ থেকে মোবাইল ফোন, সিম কার্ড, ক্যামেরা, ট্রাইপডসহ ভিডিও ধারণের বিভিন্ন যন্ত্রপাতি জব্দ করা হয়েছে। তাঁদের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা রুজু করা হয়েছে। একই সঙ্গে আদালতে সোপর্দ করে রিমান্ড চেয়ে আবেদন করা হবে বলে জানিয়েছে সিআইডি।
সিআইডির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, পর্নোগ্রাফি ছড়িয়ে দেওয়ার সঙ্গে যুক্ত অন্যদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তারে তদন্ত অব্যাহত রয়েছে।

কুর্মিটোলা র্যাব হেডকোয়ার্টার্সে এক কর্মকর্তার রুমে বসে খোশগল্প করছি। কথায় কথায় কানে এল, বেনাপোল থেকে নাকি এক ভারতীয়কে আটক করে এখানে আনা হয়েছে। গোয়েন্দা কর্মকর্তারা ব্যস্ত তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ
১৫ অক্টোবর ২০২২
রাজধানীর মোহাম্মদপুরে জেনেভা ক্যাম্পে ‘মাদক কারবারিদের’ দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে জাহিদ নিহতের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ শুক্রবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. ইবনে মিজান আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
৩ দিন আগে
এক বিজ্ঞপ্তিতে সিআইডি জানিয়েছে, নূরে আলম একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সদস্য। তিনি ফেসবুকে এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে যোগাযোগ করে জানান, তাঁর নামে বিদেশ থেকে একটি পার্সেল এসেছে, যা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাস্টম হাউসে জমা আছে। পার্সেল ছাড়াতে টাকা লাগবে—এ দাবি করে পার্সেলের ছবিও পাঠান তিনি।
৬ দিন আগে
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সভায় উপস্থিত বিএফআইইউ প্রতিনিধি বলেন, এমএফএস অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে জুয়া ও প্রতারণা বন্ধে বিটিআরসির (বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন) মাধ্যমে বার্তা দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া এমএফএস প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে বৈঠক করে তাদের কিছু নির্দেশনাও দেওয়া হবে। যেসব অ্যাকাউন্ট ব্লক (স্থগিত)
৬ দিন আগে