
সফট স্কিল ট্রেনিংবিষয়ক প্রতিষ্ঠান শার্পনারের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) নজর-ই-জ্বিলানী তিনটি ভিন্ন ভিন্ন ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করেছেন। তিনি করপোরেট ট্রেইনার হিসেবেও বেশ পরিচিত। সম্প্রতি তিনি আজকের পত্রিকাকে তাঁর করপোরেট জীবনের অভিজ্ঞতার গল্প শুনিয়েছেন। সে গল্প তুলে ধরেছেন মো. খশরু আহসান।
মো. খশরু আহসান

প্রশ্ন: আপনার ক্যারিয়ারের শুরুর গল্পটা কেমন ছিল?
উত্তর: আমি পড়ালেখা শেষ করে ১৯৮৫ সালে বিসিএসে কোয়ালিফাই করি, তবে জয়েন করিনি। বিসিএস ছেড়ে মাল্টিন্যাশনাল করপোরেশন ফাইজারে যোগ দিয়েছিলাম। যেটা ছিল বাধাহীন ক্যারিয়ার গড়ার একটা গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। দীর্ঘ ২৫ বছর আমি ফার্মাসিউটিক্যালস কোম্পানিতে কাজ করেছি। চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করতে যেহেতু আমার ভালো লাগে, সেহেতু এরপর জয়েন করলাম অটোমোবাইল খাত রানার মটরসের জিএম (মার্কেটিং অ্যান্ড সেলসে) হিসেবে। তিন বছর পর প্রমোশন পেয়ে প্রতিষ্ঠানটির মার্কেটিং অ্যান্ড সেলসের ডিরেক্টর হই।
পেশাগত জীবনে কোম্পানি চেঞ্জ করাটা বেশ স্বাভাবিক এখন। কিন্তু পুরো ইন্ডাস্ট্রি থেকে ডাইভার্ট হয়ে যাওয়া খানিকটা চ্যালেঞ্জিং। আমি ইচ্ছে করেই সেটি করেছিলাম। কারণ, আমি দেখতে চেয়েছিলাম, আমি পারি কি না। তারপর জয়েন করলাম আকিজ ফুড অ্যান্ড ব্রেভারেজের এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর হিসেবে। ক্যারিয়ারে এই তিন ধরনের ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করেছি। আমার আজীবনেরই ইচ্ছে ছিল, নিজের একটা কোম্পানি প্রতিষ্ঠান করা। এখন সেটি করতে সক্ষম হয়েছি, নাম শার্পনার। ২০১৮ সাল থেকে শার্পনার নিয়ে আছি।
প্রশ্ন: সেলসে আসার জন্য কী ধরনের প্রস্তুতি নিতে হয়?
উত্তর: তার আগে বলি, বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে সবচেয়ে বেশি সুযোগ হলো সেলসে। কারণ এটি এমন একটি জায়গা, যেখানে ১২ মাসের ফলনের মতো। মানে ১২ মাসই চাকরি পাওয়া যায়। সেলসে ভালো করলে তাকে কেউ আটকে রাখতে পারে না। সে সফল হবেই। অতএব বাংলাদেশ এবং সারা পৃথিবীতেই ক্যারিয়ার ডেভেলপমেন্টের সবচেয়ে বেশি সুযোগ হলো সেলসে। এমনকি সেটি নন টেকনিক্যাল মানুষের জন্যও। যেকোনো বিষয় থেকে পড়েও সেলসে কাজের সুযোগ পাওয়া যায়। একবার এই অবস্থানে ভালো করতে পারলে ‘পয়সা’ এবং ‘পজিশন’—দুটির সর্বোচ্চ স্থানে যাওয়া সম্ভব।
তাহলে প্রস্তুতিটা কী? প্রস্তুতির প্রথম ধাপ হলো, নিজের ইগোকে গিলে খেয়ে ফেলতে হবে। সেলসে কাস্টমারের কাছে যেতে হবে এবং প্রচুর ধৈর্যের পরীক্ষা দিতে হবে। সততা থাকতেই হবে। আমার এক সিনিয়র বলতেন, হোয়েন আ সেলসম্যান লাইজ, হি ডাইজ। মিথ্যে বললেই সে মারা যাবে। যে ইন্ডাস্ট্রিতে সে থাকবে, সে ইন্ডাস্ট্রি সম্পর্কে জানতে হবে। দেশীয় অর্থনীতি, বৈশ্বিক অর্থনীতি সম্পর্কে তাকে জানতে হবে এবং তাকে সেলসের পাশাপাশি ধীরে ধীরে ফিন্যান্স, অ্যাডমিন, অ্যাকাউন্টস সম্পর্কেও জ্ঞানার্জন করতে হবে।
প্রশ্ন: আপনার লেখা বই সম্পর্কে বলুন।
উত্তর: বই দুটোর পেছনে গল্প একটাই। করোনার পূর্বে আমাদের এখানে একটা আলোচনা ছিল ‘ফোর্থ ইন্ডাস্ট্রিয়াল রেভল্যুশন’। আরেকটা হলো, আমাদের দেশের ছেলেমেয়েরা ক্যারিয়ারে ওপরের দিকে যেতে পারছে না। এই দুটো আইডিয়াকে মাথায় রেখে আমি প্রথম লিখলাম ‘এক্সিকিউটিভ ট্যু এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর’। সোজা কথা যেটা আমার ডেজিগনেশন। কারণ আমার নিজের প্রফেশনাল লাইফ শুরু এক্সিকিউটিভ হিসেবে। শেষ হলো, এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর দিয়ে। আপনাদের কথায় আমি সফল। অতএব সফল হতে গেলে কী প্রয়োজন হয়, সেটিই এখানে লেখা আছে।
প্রথম বইতে ১২ মাসের ১২টি নাম দিয়ে টপিক করা হয়েছে। আবার জানুয়ারি মাসের ৩০ দিনের জন্য ৩০টি লেখা আছে। ফেব্রুয়ারি মাসের ২৮ দিন হলে, ২৮টি লেখা আছে একই বিষয়ের ওপরে। যেমন: গোল সেটিং, হার্ড ওয়ার্ক ইত্যাদি। ১২টি ফুল দিয়ে মালাটা গাঁথা। বইটি উপন্যাসের না। প্রতিদিনের অংশ প্রতিদিন পড়ে উপলব্ধি করতে হবে। বইটিতে অনেক কিছুর মিশ্রণ যেমন: ইতিহাস, ধর্ম, ভূগোল, সাহিত্য—সবকিছু মিলিয়ে আছে।
সেকেন্ড বই হলো, রোড ট্যু বিকামিং আ সিইও। আমরা দেখলাম আমাদের পাশের দেশের অনেকেই বড় বড় অবস্থানে বসে সিইও হয়ে আমাদের সুযোগগুলো নিয়ে যাচ্ছে। তাহলে আমাদের ছেলেমেয়েরা কেন পারছে না? আমি ভারত-শ্রীলঙ্কার কর্মীদের সঙ্গে কাজ করেছি। অতএব আমাদের সঙ্গে তাদের পার্থক্যটা আমি জানি।
প্রশ্ন: সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আপনার লেখালেখি নিয়ে বলুন।
উত্তর: আমার বোধ থেকে আমি লিখেছি। আমার ছেলেমেয়েরা মানুষ হয়ে যাওয়া মানেই আমার দায়িত্ব শেষ না। দেশের আরও অনেক মা-বাবার ছেলেমেয়ে আছে। তাদের মা-বাবাও পরিশ্রম করে, কষ্ট করে পড়ালেখা করাচ্ছেন। আমার দক্ষতার জায়গা থেকে তাদের গাউডলাইনের জন্য লিখেছি। সবার আগ্রহের জায়গা দেখে আমার ভালো লাগে। সবার ফিডব্যাক শুনে আমি উৎসাহ পাই। আমার জীবনের সময় থেকে যে সময় দিয়ে আমি লিখি, তা সবার ভালো লাগবে, এমন না। তবে যে কজনের ভালো লাগে, সেটিই আমাকে আনন্দিত করে।
প্রশ্ন: শার্পনারের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে কী ভাবছেন?
উত্তর: শার্পনারের পরিকল্পনা অতীতে যা ছিল, এখন যেমন, ভবিষ্যতেও তাই। শুধু শর্ট টার্মকে লং টার্মে লিংকাপ করতে চাই। শার্পনার তরুণ প্রজন্মের দুটো জায়গা নিয়ে কাজ করে। এক, সফট স্কিল। দুই, এথিক এবং ম্যুরাল জায়গায়। অবজেকটিভ যদি জানতে চান, তবে বলব আমি আরও বেশি পরিমাণ তরুণ প্রজন্মের কাছে পৌঁছাতে চাই।
আমাদের দেশের অধিকাংশ ছেলেমেয়েরা জানে না, তাদের জীবনের গোল কী। জীবনে গোল এবং পারপাস ঠিক করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এ দুটির মধ্যে পার্থক্য আছে। আমাদের সামাজিক অবক্ষয়ের অন্যতম কারণ হলো, আমাদের মাঝে নীতিনৈতিকতা আর মূল্যবোধ নেই। এই দুটি জায়গা নিয়েই আমি কাজ করতে চাই। শুধু দেশে না, দেশের বাইরেও। নীতিনৈতিকতার সঙ্গে কোনোভাবেই কম্প্রোমাইজ করা যাবে না। এই সম্পর্কে আমি একটু সচেতন করতে চাই।
প্রশ্ন: আপনার ক্যারিয়ারের শুরুর গল্পটা কেমন ছিল?
উত্তর: আমি পড়ালেখা শেষ করে ১৯৮৫ সালে বিসিএসে কোয়ালিফাই করি, তবে জয়েন করিনি। বিসিএস ছেড়ে মাল্টিন্যাশনাল করপোরেশন ফাইজারে যোগ দিয়েছিলাম। যেটা ছিল বাধাহীন ক্যারিয়ার গড়ার একটা গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। দীর্ঘ ২৫ বছর আমি ফার্মাসিউটিক্যালস কোম্পানিতে কাজ করেছি। চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করতে যেহেতু আমার ভালো লাগে, সেহেতু এরপর জয়েন করলাম অটোমোবাইল খাত রানার মটরসের জিএম (মার্কেটিং অ্যান্ড সেলসে) হিসেবে। তিন বছর পর প্রমোশন পেয়ে প্রতিষ্ঠানটির মার্কেটিং অ্যান্ড সেলসের ডিরেক্টর হই।
পেশাগত জীবনে কোম্পানি চেঞ্জ করাটা বেশ স্বাভাবিক এখন। কিন্তু পুরো ইন্ডাস্ট্রি থেকে ডাইভার্ট হয়ে যাওয়া খানিকটা চ্যালেঞ্জিং। আমি ইচ্ছে করেই সেটি করেছিলাম। কারণ, আমি দেখতে চেয়েছিলাম, আমি পারি কি না। তারপর জয়েন করলাম আকিজ ফুড অ্যান্ড ব্রেভারেজের এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর হিসেবে। ক্যারিয়ারে এই তিন ধরনের ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করেছি। আমার আজীবনেরই ইচ্ছে ছিল, নিজের একটা কোম্পানি প্রতিষ্ঠান করা। এখন সেটি করতে সক্ষম হয়েছি, নাম শার্পনার। ২০১৮ সাল থেকে শার্পনার নিয়ে আছি।
প্রশ্ন: সেলসে আসার জন্য কী ধরনের প্রস্তুতি নিতে হয়?
উত্তর: তার আগে বলি, বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে সবচেয়ে বেশি সুযোগ হলো সেলসে। কারণ এটি এমন একটি জায়গা, যেখানে ১২ মাসের ফলনের মতো। মানে ১২ মাসই চাকরি পাওয়া যায়। সেলসে ভালো করলে তাকে কেউ আটকে রাখতে পারে না। সে সফল হবেই। অতএব বাংলাদেশ এবং সারা পৃথিবীতেই ক্যারিয়ার ডেভেলপমেন্টের সবচেয়ে বেশি সুযোগ হলো সেলসে। এমনকি সেটি নন টেকনিক্যাল মানুষের জন্যও। যেকোনো বিষয় থেকে পড়েও সেলসে কাজের সুযোগ পাওয়া যায়। একবার এই অবস্থানে ভালো করতে পারলে ‘পয়সা’ এবং ‘পজিশন’—দুটির সর্বোচ্চ স্থানে যাওয়া সম্ভব।
তাহলে প্রস্তুতিটা কী? প্রস্তুতির প্রথম ধাপ হলো, নিজের ইগোকে গিলে খেয়ে ফেলতে হবে। সেলসে কাস্টমারের কাছে যেতে হবে এবং প্রচুর ধৈর্যের পরীক্ষা দিতে হবে। সততা থাকতেই হবে। আমার এক সিনিয়র বলতেন, হোয়েন আ সেলসম্যান লাইজ, হি ডাইজ। মিথ্যে বললেই সে মারা যাবে। যে ইন্ডাস্ট্রিতে সে থাকবে, সে ইন্ডাস্ট্রি সম্পর্কে জানতে হবে। দেশীয় অর্থনীতি, বৈশ্বিক অর্থনীতি সম্পর্কে তাকে জানতে হবে এবং তাকে সেলসের পাশাপাশি ধীরে ধীরে ফিন্যান্স, অ্যাডমিন, অ্যাকাউন্টস সম্পর্কেও জ্ঞানার্জন করতে হবে।
প্রশ্ন: আপনার লেখা বই সম্পর্কে বলুন।
উত্তর: বই দুটোর পেছনে গল্প একটাই। করোনার পূর্বে আমাদের এখানে একটা আলোচনা ছিল ‘ফোর্থ ইন্ডাস্ট্রিয়াল রেভল্যুশন’। আরেকটা হলো, আমাদের দেশের ছেলেমেয়েরা ক্যারিয়ারে ওপরের দিকে যেতে পারছে না। এই দুটো আইডিয়াকে মাথায় রেখে আমি প্রথম লিখলাম ‘এক্সিকিউটিভ ট্যু এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর’। সোজা কথা যেটা আমার ডেজিগনেশন। কারণ আমার নিজের প্রফেশনাল লাইফ শুরু এক্সিকিউটিভ হিসেবে। শেষ হলো, এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর দিয়ে। আপনাদের কথায় আমি সফল। অতএব সফল হতে গেলে কী প্রয়োজন হয়, সেটিই এখানে লেখা আছে।
প্রথম বইতে ১২ মাসের ১২টি নাম দিয়ে টপিক করা হয়েছে। আবার জানুয়ারি মাসের ৩০ দিনের জন্য ৩০টি লেখা আছে। ফেব্রুয়ারি মাসের ২৮ দিন হলে, ২৮টি লেখা আছে একই বিষয়ের ওপরে। যেমন: গোল সেটিং, হার্ড ওয়ার্ক ইত্যাদি। ১২টি ফুল দিয়ে মালাটা গাঁথা। বইটি উপন্যাসের না। প্রতিদিনের অংশ প্রতিদিন পড়ে উপলব্ধি করতে হবে। বইটিতে অনেক কিছুর মিশ্রণ যেমন: ইতিহাস, ধর্ম, ভূগোল, সাহিত্য—সবকিছু মিলিয়ে আছে।
সেকেন্ড বই হলো, রোড ট্যু বিকামিং আ সিইও। আমরা দেখলাম আমাদের পাশের দেশের অনেকেই বড় বড় অবস্থানে বসে সিইও হয়ে আমাদের সুযোগগুলো নিয়ে যাচ্ছে। তাহলে আমাদের ছেলেমেয়েরা কেন পারছে না? আমি ভারত-শ্রীলঙ্কার কর্মীদের সঙ্গে কাজ করেছি। অতএব আমাদের সঙ্গে তাদের পার্থক্যটা আমি জানি।
প্রশ্ন: সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আপনার লেখালেখি নিয়ে বলুন।
উত্তর: আমার বোধ থেকে আমি লিখেছি। আমার ছেলেমেয়েরা মানুষ হয়ে যাওয়া মানেই আমার দায়িত্ব শেষ না। দেশের আরও অনেক মা-বাবার ছেলেমেয়ে আছে। তাদের মা-বাবাও পরিশ্রম করে, কষ্ট করে পড়ালেখা করাচ্ছেন। আমার দক্ষতার জায়গা থেকে তাদের গাউডলাইনের জন্য লিখেছি। সবার আগ্রহের জায়গা দেখে আমার ভালো লাগে। সবার ফিডব্যাক শুনে আমি উৎসাহ পাই। আমার জীবনের সময় থেকে যে সময় দিয়ে আমি লিখি, তা সবার ভালো লাগবে, এমন না। তবে যে কজনের ভালো লাগে, সেটিই আমাকে আনন্দিত করে।
প্রশ্ন: শার্পনারের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে কী ভাবছেন?
উত্তর: শার্পনারের পরিকল্পনা অতীতে যা ছিল, এখন যেমন, ভবিষ্যতেও তাই। শুধু শর্ট টার্মকে লং টার্মে লিংকাপ করতে চাই। শার্পনার তরুণ প্রজন্মের দুটো জায়গা নিয়ে কাজ করে। এক, সফট স্কিল। দুই, এথিক এবং ম্যুরাল জায়গায়। অবজেকটিভ যদি জানতে চান, তবে বলব আমি আরও বেশি পরিমাণ তরুণ প্রজন্মের কাছে পৌঁছাতে চাই।
আমাদের দেশের অধিকাংশ ছেলেমেয়েরা জানে না, তাদের জীবনের গোল কী। জীবনে গোল এবং পারপাস ঠিক করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এ দুটির মধ্যে পার্থক্য আছে। আমাদের সামাজিক অবক্ষয়ের অন্যতম কারণ হলো, আমাদের মাঝে নীতিনৈতিকতা আর মূল্যবোধ নেই। এই দুটি জায়গা নিয়েই আমি কাজ করতে চাই। শুধু দেশে না, দেশের বাইরেও। নীতিনৈতিকতার সঙ্গে কোনোভাবেই কম্প্রোমাইজ করা যাবে না। এই সম্পর্কে আমি একটু সচেতন করতে চাই।

সফট স্কিল ট্রেনিংবিষয়ক প্রতিষ্ঠান শার্পনারের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) নজর-ই-জ্বিলানী তিনটি ভিন্ন ভিন্ন ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করেছেন। তিনি করপোরেট ট্রেইনার হিসেবেও বেশ পরিচিত। সম্প্রতি তিনি আজকের পত্রিকাকে তাঁর করপোরেট জীবনের অভিজ্ঞতার গল্প শুনিয়েছেন। সে গল্প তুলে ধরেছেন মো. খশরু আহসান।
মো. খশরু আহসান

প্রশ্ন: আপনার ক্যারিয়ারের শুরুর গল্পটা কেমন ছিল?
উত্তর: আমি পড়ালেখা শেষ করে ১৯৮৫ সালে বিসিএসে কোয়ালিফাই করি, তবে জয়েন করিনি। বিসিএস ছেড়ে মাল্টিন্যাশনাল করপোরেশন ফাইজারে যোগ দিয়েছিলাম। যেটা ছিল বাধাহীন ক্যারিয়ার গড়ার একটা গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। দীর্ঘ ২৫ বছর আমি ফার্মাসিউটিক্যালস কোম্পানিতে কাজ করেছি। চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করতে যেহেতু আমার ভালো লাগে, সেহেতু এরপর জয়েন করলাম অটোমোবাইল খাত রানার মটরসের জিএম (মার্কেটিং অ্যান্ড সেলসে) হিসেবে। তিন বছর পর প্রমোশন পেয়ে প্রতিষ্ঠানটির মার্কেটিং অ্যান্ড সেলসের ডিরেক্টর হই।
পেশাগত জীবনে কোম্পানি চেঞ্জ করাটা বেশ স্বাভাবিক এখন। কিন্তু পুরো ইন্ডাস্ট্রি থেকে ডাইভার্ট হয়ে যাওয়া খানিকটা চ্যালেঞ্জিং। আমি ইচ্ছে করেই সেটি করেছিলাম। কারণ, আমি দেখতে চেয়েছিলাম, আমি পারি কি না। তারপর জয়েন করলাম আকিজ ফুড অ্যান্ড ব্রেভারেজের এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর হিসেবে। ক্যারিয়ারে এই তিন ধরনের ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করেছি। আমার আজীবনেরই ইচ্ছে ছিল, নিজের একটা কোম্পানি প্রতিষ্ঠান করা। এখন সেটি করতে সক্ষম হয়েছি, নাম শার্পনার। ২০১৮ সাল থেকে শার্পনার নিয়ে আছি।
প্রশ্ন: সেলসে আসার জন্য কী ধরনের প্রস্তুতি নিতে হয়?
উত্তর: তার আগে বলি, বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে সবচেয়ে বেশি সুযোগ হলো সেলসে। কারণ এটি এমন একটি জায়গা, যেখানে ১২ মাসের ফলনের মতো। মানে ১২ মাসই চাকরি পাওয়া যায়। সেলসে ভালো করলে তাকে কেউ আটকে রাখতে পারে না। সে সফল হবেই। অতএব বাংলাদেশ এবং সারা পৃথিবীতেই ক্যারিয়ার ডেভেলপমেন্টের সবচেয়ে বেশি সুযোগ হলো সেলসে। এমনকি সেটি নন টেকনিক্যাল মানুষের জন্যও। যেকোনো বিষয় থেকে পড়েও সেলসে কাজের সুযোগ পাওয়া যায়। একবার এই অবস্থানে ভালো করতে পারলে ‘পয়সা’ এবং ‘পজিশন’—দুটির সর্বোচ্চ স্থানে যাওয়া সম্ভব।
তাহলে প্রস্তুতিটা কী? প্রস্তুতির প্রথম ধাপ হলো, নিজের ইগোকে গিলে খেয়ে ফেলতে হবে। সেলসে কাস্টমারের কাছে যেতে হবে এবং প্রচুর ধৈর্যের পরীক্ষা দিতে হবে। সততা থাকতেই হবে। আমার এক সিনিয়র বলতেন, হোয়েন আ সেলসম্যান লাইজ, হি ডাইজ। মিথ্যে বললেই সে মারা যাবে। যে ইন্ডাস্ট্রিতে সে থাকবে, সে ইন্ডাস্ট্রি সম্পর্কে জানতে হবে। দেশীয় অর্থনীতি, বৈশ্বিক অর্থনীতি সম্পর্কে তাকে জানতে হবে এবং তাকে সেলসের পাশাপাশি ধীরে ধীরে ফিন্যান্স, অ্যাডমিন, অ্যাকাউন্টস সম্পর্কেও জ্ঞানার্জন করতে হবে।
প্রশ্ন: আপনার লেখা বই সম্পর্কে বলুন।
উত্তর: বই দুটোর পেছনে গল্প একটাই। করোনার পূর্বে আমাদের এখানে একটা আলোচনা ছিল ‘ফোর্থ ইন্ডাস্ট্রিয়াল রেভল্যুশন’। আরেকটা হলো, আমাদের দেশের ছেলেমেয়েরা ক্যারিয়ারে ওপরের দিকে যেতে পারছে না। এই দুটো আইডিয়াকে মাথায় রেখে আমি প্রথম লিখলাম ‘এক্সিকিউটিভ ট্যু এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর’। সোজা কথা যেটা আমার ডেজিগনেশন। কারণ আমার নিজের প্রফেশনাল লাইফ শুরু এক্সিকিউটিভ হিসেবে। শেষ হলো, এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর দিয়ে। আপনাদের কথায় আমি সফল। অতএব সফল হতে গেলে কী প্রয়োজন হয়, সেটিই এখানে লেখা আছে।
প্রথম বইতে ১২ মাসের ১২টি নাম দিয়ে টপিক করা হয়েছে। আবার জানুয়ারি মাসের ৩০ দিনের জন্য ৩০টি লেখা আছে। ফেব্রুয়ারি মাসের ২৮ দিন হলে, ২৮টি লেখা আছে একই বিষয়ের ওপরে। যেমন: গোল সেটিং, হার্ড ওয়ার্ক ইত্যাদি। ১২টি ফুল দিয়ে মালাটা গাঁথা। বইটি উপন্যাসের না। প্রতিদিনের অংশ প্রতিদিন পড়ে উপলব্ধি করতে হবে। বইটিতে অনেক কিছুর মিশ্রণ যেমন: ইতিহাস, ধর্ম, ভূগোল, সাহিত্য—সবকিছু মিলিয়ে আছে।
সেকেন্ড বই হলো, রোড ট্যু বিকামিং আ সিইও। আমরা দেখলাম আমাদের পাশের দেশের অনেকেই বড় বড় অবস্থানে বসে সিইও হয়ে আমাদের সুযোগগুলো নিয়ে যাচ্ছে। তাহলে আমাদের ছেলেমেয়েরা কেন পারছে না? আমি ভারত-শ্রীলঙ্কার কর্মীদের সঙ্গে কাজ করেছি। অতএব আমাদের সঙ্গে তাদের পার্থক্যটা আমি জানি।
প্রশ্ন: সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আপনার লেখালেখি নিয়ে বলুন।
উত্তর: আমার বোধ থেকে আমি লিখেছি। আমার ছেলেমেয়েরা মানুষ হয়ে যাওয়া মানেই আমার দায়িত্ব শেষ না। দেশের আরও অনেক মা-বাবার ছেলেমেয়ে আছে। তাদের মা-বাবাও পরিশ্রম করে, কষ্ট করে পড়ালেখা করাচ্ছেন। আমার দক্ষতার জায়গা থেকে তাদের গাউডলাইনের জন্য লিখেছি। সবার আগ্রহের জায়গা দেখে আমার ভালো লাগে। সবার ফিডব্যাক শুনে আমি উৎসাহ পাই। আমার জীবনের সময় থেকে যে সময় দিয়ে আমি লিখি, তা সবার ভালো লাগবে, এমন না। তবে যে কজনের ভালো লাগে, সেটিই আমাকে আনন্দিত করে।
প্রশ্ন: শার্পনারের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে কী ভাবছেন?
উত্তর: শার্পনারের পরিকল্পনা অতীতে যা ছিল, এখন যেমন, ভবিষ্যতেও তাই। শুধু শর্ট টার্মকে লং টার্মে লিংকাপ করতে চাই। শার্পনার তরুণ প্রজন্মের দুটো জায়গা নিয়ে কাজ করে। এক, সফট স্কিল। দুই, এথিক এবং ম্যুরাল জায়গায়। অবজেকটিভ যদি জানতে চান, তবে বলব আমি আরও বেশি পরিমাণ তরুণ প্রজন্মের কাছে পৌঁছাতে চাই।
আমাদের দেশের অধিকাংশ ছেলেমেয়েরা জানে না, তাদের জীবনের গোল কী। জীবনে গোল এবং পারপাস ঠিক করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এ দুটির মধ্যে পার্থক্য আছে। আমাদের সামাজিক অবক্ষয়ের অন্যতম কারণ হলো, আমাদের মাঝে নীতিনৈতিকতা আর মূল্যবোধ নেই। এই দুটি জায়গা নিয়েই আমি কাজ করতে চাই। শুধু দেশে না, দেশের বাইরেও। নীতিনৈতিকতার সঙ্গে কোনোভাবেই কম্প্রোমাইজ করা যাবে না। এই সম্পর্কে আমি একটু সচেতন করতে চাই।
প্রশ্ন: আপনার ক্যারিয়ারের শুরুর গল্পটা কেমন ছিল?
উত্তর: আমি পড়ালেখা শেষ করে ১৯৮৫ সালে বিসিএসে কোয়ালিফাই করি, তবে জয়েন করিনি। বিসিএস ছেড়ে মাল্টিন্যাশনাল করপোরেশন ফাইজারে যোগ দিয়েছিলাম। যেটা ছিল বাধাহীন ক্যারিয়ার গড়ার একটা গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। দীর্ঘ ২৫ বছর আমি ফার্মাসিউটিক্যালস কোম্পানিতে কাজ করেছি। চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করতে যেহেতু আমার ভালো লাগে, সেহেতু এরপর জয়েন করলাম অটোমোবাইল খাত রানার মটরসের জিএম (মার্কেটিং অ্যান্ড সেলসে) হিসেবে। তিন বছর পর প্রমোশন পেয়ে প্রতিষ্ঠানটির মার্কেটিং অ্যান্ড সেলসের ডিরেক্টর হই।
পেশাগত জীবনে কোম্পানি চেঞ্জ করাটা বেশ স্বাভাবিক এখন। কিন্তু পুরো ইন্ডাস্ট্রি থেকে ডাইভার্ট হয়ে যাওয়া খানিকটা চ্যালেঞ্জিং। আমি ইচ্ছে করেই সেটি করেছিলাম। কারণ, আমি দেখতে চেয়েছিলাম, আমি পারি কি না। তারপর জয়েন করলাম আকিজ ফুড অ্যান্ড ব্রেভারেজের এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর হিসেবে। ক্যারিয়ারে এই তিন ধরনের ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করেছি। আমার আজীবনেরই ইচ্ছে ছিল, নিজের একটা কোম্পানি প্রতিষ্ঠান করা। এখন সেটি করতে সক্ষম হয়েছি, নাম শার্পনার। ২০১৮ সাল থেকে শার্পনার নিয়ে আছি।
প্রশ্ন: সেলসে আসার জন্য কী ধরনের প্রস্তুতি নিতে হয়?
উত্তর: তার আগে বলি, বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে সবচেয়ে বেশি সুযোগ হলো সেলসে। কারণ এটি এমন একটি জায়গা, যেখানে ১২ মাসের ফলনের মতো। মানে ১২ মাসই চাকরি পাওয়া যায়। সেলসে ভালো করলে তাকে কেউ আটকে রাখতে পারে না। সে সফল হবেই। অতএব বাংলাদেশ এবং সারা পৃথিবীতেই ক্যারিয়ার ডেভেলপমেন্টের সবচেয়ে বেশি সুযোগ হলো সেলসে। এমনকি সেটি নন টেকনিক্যাল মানুষের জন্যও। যেকোনো বিষয় থেকে পড়েও সেলসে কাজের সুযোগ পাওয়া যায়। একবার এই অবস্থানে ভালো করতে পারলে ‘পয়সা’ এবং ‘পজিশন’—দুটির সর্বোচ্চ স্থানে যাওয়া সম্ভব।
তাহলে প্রস্তুতিটা কী? প্রস্তুতির প্রথম ধাপ হলো, নিজের ইগোকে গিলে খেয়ে ফেলতে হবে। সেলসে কাস্টমারের কাছে যেতে হবে এবং প্রচুর ধৈর্যের পরীক্ষা দিতে হবে। সততা থাকতেই হবে। আমার এক সিনিয়র বলতেন, হোয়েন আ সেলসম্যান লাইজ, হি ডাইজ। মিথ্যে বললেই সে মারা যাবে। যে ইন্ডাস্ট্রিতে সে থাকবে, সে ইন্ডাস্ট্রি সম্পর্কে জানতে হবে। দেশীয় অর্থনীতি, বৈশ্বিক অর্থনীতি সম্পর্কে তাকে জানতে হবে এবং তাকে সেলসের পাশাপাশি ধীরে ধীরে ফিন্যান্স, অ্যাডমিন, অ্যাকাউন্টস সম্পর্কেও জ্ঞানার্জন করতে হবে।
প্রশ্ন: আপনার লেখা বই সম্পর্কে বলুন।
উত্তর: বই দুটোর পেছনে গল্প একটাই। করোনার পূর্বে আমাদের এখানে একটা আলোচনা ছিল ‘ফোর্থ ইন্ডাস্ট্রিয়াল রেভল্যুশন’। আরেকটা হলো, আমাদের দেশের ছেলেমেয়েরা ক্যারিয়ারে ওপরের দিকে যেতে পারছে না। এই দুটো আইডিয়াকে মাথায় রেখে আমি প্রথম লিখলাম ‘এক্সিকিউটিভ ট্যু এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর’। সোজা কথা যেটা আমার ডেজিগনেশন। কারণ আমার নিজের প্রফেশনাল লাইফ শুরু এক্সিকিউটিভ হিসেবে। শেষ হলো, এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর দিয়ে। আপনাদের কথায় আমি সফল। অতএব সফল হতে গেলে কী প্রয়োজন হয়, সেটিই এখানে লেখা আছে।
প্রথম বইতে ১২ মাসের ১২টি নাম দিয়ে টপিক করা হয়েছে। আবার জানুয়ারি মাসের ৩০ দিনের জন্য ৩০টি লেখা আছে। ফেব্রুয়ারি মাসের ২৮ দিন হলে, ২৮টি লেখা আছে একই বিষয়ের ওপরে। যেমন: গোল সেটিং, হার্ড ওয়ার্ক ইত্যাদি। ১২টি ফুল দিয়ে মালাটা গাঁথা। বইটি উপন্যাসের না। প্রতিদিনের অংশ প্রতিদিন পড়ে উপলব্ধি করতে হবে। বইটিতে অনেক কিছুর মিশ্রণ যেমন: ইতিহাস, ধর্ম, ভূগোল, সাহিত্য—সবকিছু মিলিয়ে আছে।
সেকেন্ড বই হলো, রোড ট্যু বিকামিং আ সিইও। আমরা দেখলাম আমাদের পাশের দেশের অনেকেই বড় বড় অবস্থানে বসে সিইও হয়ে আমাদের সুযোগগুলো নিয়ে যাচ্ছে। তাহলে আমাদের ছেলেমেয়েরা কেন পারছে না? আমি ভারত-শ্রীলঙ্কার কর্মীদের সঙ্গে কাজ করেছি। অতএব আমাদের সঙ্গে তাদের পার্থক্যটা আমি জানি।
প্রশ্ন: সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আপনার লেখালেখি নিয়ে বলুন।
উত্তর: আমার বোধ থেকে আমি লিখেছি। আমার ছেলেমেয়েরা মানুষ হয়ে যাওয়া মানেই আমার দায়িত্ব শেষ না। দেশের আরও অনেক মা-বাবার ছেলেমেয়ে আছে। তাদের মা-বাবাও পরিশ্রম করে, কষ্ট করে পড়ালেখা করাচ্ছেন। আমার দক্ষতার জায়গা থেকে তাদের গাউডলাইনের জন্য লিখেছি। সবার আগ্রহের জায়গা দেখে আমার ভালো লাগে। সবার ফিডব্যাক শুনে আমি উৎসাহ পাই। আমার জীবনের সময় থেকে যে সময় দিয়ে আমি লিখি, তা সবার ভালো লাগবে, এমন না। তবে যে কজনের ভালো লাগে, সেটিই আমাকে আনন্দিত করে।
প্রশ্ন: শার্পনারের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে কী ভাবছেন?
উত্তর: শার্পনারের পরিকল্পনা অতীতে যা ছিল, এখন যেমন, ভবিষ্যতেও তাই। শুধু শর্ট টার্মকে লং টার্মে লিংকাপ করতে চাই। শার্পনার তরুণ প্রজন্মের দুটো জায়গা নিয়ে কাজ করে। এক, সফট স্কিল। দুই, এথিক এবং ম্যুরাল জায়গায়। অবজেকটিভ যদি জানতে চান, তবে বলব আমি আরও বেশি পরিমাণ তরুণ প্রজন্মের কাছে পৌঁছাতে চাই।
আমাদের দেশের অধিকাংশ ছেলেমেয়েরা জানে না, তাদের জীবনের গোল কী। জীবনে গোল এবং পারপাস ঠিক করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এ দুটির মধ্যে পার্থক্য আছে। আমাদের সামাজিক অবক্ষয়ের অন্যতম কারণ হলো, আমাদের মাঝে নীতিনৈতিকতা আর মূল্যবোধ নেই। এই দুটি জায়গা নিয়েই আমি কাজ করতে চাই। শুধু দেশে না, দেশের বাইরেও। নীতিনৈতিকতার সঙ্গে কোনোভাবেই কম্প্রোমাইজ করা যাবে না। এই সম্পর্কে আমি একটু সচেতন করতে চাই।

বর্তমান যুগে জ্ঞান বিনিময়ের অন্যতম কার্যকর মাধ্যম হলো প্রেজেন্টেশন। শিক্ষাঙ্গন থেকে শুরু করে করপোরেট দুনিয়া, প্রশাসনিক বৈঠক থেকে শুরু করে গবেষণা সম্মেলন—সব জায়গাতে একটি পরিষ্কার ও গোছানো প্রেজেন্টেশনের প্রয়োজনীয়তা অপরিসীম। কিন্তু শুধু স্লাইড তৈরি করলেই একটি প্রভাবশালী প্রেজেন্টেশন হয় না।
১০ মে ২০২৫
বিজেএস পরীক্ষার জন্য একটি সুসংগঠিত ও দীর্ঘমেয়াদি প্রস্তুতি প্রয়োজন। অনার্স ও মাস্টার্সে যে বিষয়গুলো বিজেএসের সঙ্গে সম্পর্কিত, সেগুলো আগে শেষ করতে হবে। প্রথম দিকে প্রস্তুতি এলোমেলো মনে হতে পারে। কোথা থেকে শুরু করবেন, বুঝতে অসুবিধা হতে পারে। তাই মূল প্রস্তুতি শুরু করুন আইন বিষয় দিয়ে।
১০ মে ২০২৫
বর্তমান প্রতিযোগিতামূলক সমাজে একজন শিক্ষার্থীর সফলতা শুধু পাঠ্যবই-নির্ভর নয়, এর পেছনে লুকিয়ে আছে একটি সুশৃঙ্খল জীবনধারা। একজন শিক্ষার্থীর লাইফস্টাইল যেমন হবে, তার ব্যক্তিত্ব ও ভবিষ্যৎ অনেকটা সেভাবেই গড়ে উঠবে। শিক্ষার্থীরা একটি সুস্থ জীবনধারা যেভাবে গড়ে তুলতে পারে, সে পরামর্শ দিয়েছেন...
২৩ এপ্রিল ২০২৫
বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন বোর্ড (বিআরডিবি) রাজস্ব বাজেটভুক্ত শূন্য পদে অস্থায়ী ভিত্তিতে জনবল নিয়োগের জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে। নবম ও দশম গ্রেডে মোট ৯০টি শূন্য পদে নিয়োগ দেওয়া হবে। আগ্রহী প্রার্থীদের অনলাইনে আবেদন করতে হবে।
২৬ মার্চ ২০২৫বর্তমান যুগে জ্ঞান বিনিময়ের অন্যতম কার্যকর মাধ্যম হলো প্রেজেন্টেশন। শিক্ষাঙ্গন থেকে শুরু করে করপোরেট দুনিয়া, প্রশাসনিক বৈঠক থেকে শুরু করে গবেষণা সম্মেলন—সব জায়গাতে একটি পরিষ্কার ও গোছানো প্রেজেন্টেশনের প্রয়োজনীয়তা অপরিসীম। কিন্তু শুধু স্লাইড তৈরি করলেই একটি প্রভাবশালী প্রেজেন্টেশন হয় না। শ্রোতাদের মনোযোগ ধরে রাখা, বার্তাটি স্পষ্টভাবে পৌঁছে দেওয়া এবং সার্থক যোগাযোগের মাধ্যমে অর্থবহ সম্পর্ক গড়ে তোলার জন্য প্রয়োজন কিছু কৌশল ও প্রস্তুতি। একটি ভালো প্রেজেন্টেশন তৈরি ও উপস্থাপনের বিষয়ে নিজের অভিজ্ঞতার আলোকে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছেন চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি অ্যান্ড অ্যানিমেল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রভাষক ও সহকারী প্রক্টর তাশরিফ মাহমুদ মিনহাজ।
শাহ বিলিয়া জুলফিকার

শ্রোতাদের সম্পর্কে জানুন
প্রেজেন্টেশনের সফলতার অনেকটাই নির্ভর করে শ্রোতাদের প্রোফাইল বোঝার ওপর। কারা প্রেজেন্টেশনটি শুনবেন, তাঁদের পেশা, বয়স, জ্ঞানের স্তর ও আগ্রহ কেমন—এসব বিবেচনায় রেখে কনটেন্ট তৈরি করতে হবে। সাধারণ শ্রোতার জন্য প্রেজেন্টেশন হলে সেখানে সহজ ভাষা, বাস্তব উদাহরণ ও গল্প বলার ধরন গ্রহণযোগ্য হয়। আবার গবেষক বা বিশেষজ্ঞদের জন্য তথ্যবহুল, যুক্তিভিত্তিক ও বিশ্লেষণমূলক উপস্থাপন বেশি কার্যকর।
বিষয়বস্তুর কাঠামো
একটি আকর্ষণীয় প্রেজেন্টেশন মানে এমন একটি যাত্রা, যা শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত শ্রোতাকে টেনে রাখে। শুরুতে একটি সংক্ষিপ্ত রূপরেখা উপস্থাপন করুন, যাতে শ্রোতারা জানতে পারেন কোন কোন বিষয়ে আলোচনা হবে। কনটেন্টগুলো ধারাবাহিকভাবে সাজানো থাকলে শ্রোতাদের বিরক্তি আসে না। ইনফোগ্রাফিকস, ছবি ও ভিডিও ক্লিপ ব্যবহারে বিষয়বস্তু আরও সহজবোধ্য হয়। মাঝে মাঝে অংশগ্রহণমূলক সেশন যেমন প্রশ্ন, জরিপ বা মিনি গেম রাখা যেতে পারে। উপসংহারে একটি শক্তিশালী বার্তা বা ভবিষ্যৎ করণীয় তুলে ধরুন।
উপস্থাপনার ধরন
শ্রোতাদের সামনে কেমনভাবে নিজেকে উপস্থাপন করছেন, সেটিও প্রেজেন্টেশনের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। উপস্থাপকের পোশাক-পরিচ্ছদ পরিবেশ ও শ্রোতাদের প্রেক্ষাপট অনুযায়ী হওয়া উচিত। কথা বলার ভঙ্গিমা হতে হবে স্পষ্ট, আত্মবিশ্বাসী ও শ্রোতাবান্ধব। শ্রোতাদের চোখের দিকে তাকিয়ে কথা বললে দৃষ্টি সংযোগ তৈরি হয় এবং মনোযোগ ধরে রাখা সহজ হয়। হাতের অঙ্গভঙ্গি ব্যবহার করুন, তবে তা যেন অতিরিক্ত বা বিরক্তিকর না হয়। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো আত্মবিশ্বাসী হাসি বজায় রাখা।
উদাহরণ ও উৎসাহমূলক উপস্থাপনা
শ্রোতারা তাঁদের জীবনের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত উদাহরণ বেশি গ্রহণ করেন। সাধারণ শ্রোতার সামনে উপস্থাপন করলে সহজ ভাষায় জীবনের ছোট ছোট উদাহরণ দিন। শিক্ষার্থী ও তরুণদের জন্য গল্পধর্মী ও অনুপ্রেরণামূলক প্রেজেন্টেশন খুব কার্যকর। আবার ব্যবসায়ী বা নীতিনির্ধারকদের সামনে থাকলে পরিকল্পনা, ফলাফল এবং লাভ-ক্ষতির খুঁটিনাটি তুলে ধরতে হবে। গবেষক বা বিজ্ঞানীদের উদ্দেশ্যে উপস্থাপনার ক্ষেত্রে ভবিষ্যৎ চাহিদা ও সম্ভাব্য অবদান তুলে ধরা গুরুত্বপূর্ণ।
প্রশ্নোত্তর পর্ব
প্রেজেন্টেশন শেষে প্রশ্নোত্তর পর্ব থাকলে তা একটি সমৃদ্ধ আলোচনায় পরিণত হতে পারে। কোনো প্রশ্নের উত্তর জানা না থাকলে তা বিনয়ের সঙ্গে স্বীকার করে প্রাসঙ্গিক তথ্য দেওয়ার চেষ্টা করুন। অবশ্যই নিজের কনটেন্টের প্রতিটি দিক ভালোভাবে আয়ত্তে রাখতে হবে, যাতে কোনো প্রশ্নে দ্বিধা না আসে। শ্রোতাদের প্রতি সম্মান রেখে মনোযোগ দিয়ে প্রশ্ন শুনুন এবং স্পষ্টভাবে উত্তর দিন।
বারবার অনুশীলন
চূড়ান্ত উপস্থাপনার আগে একাধিকবার অনুশীলন করুন। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে উপস্থাপন শেষ করার অনুশীলন করুন। বন্ধু বা সহকর্মীদের সামনে অনুশীলন করলে বাস্তব অভিজ্ঞতা পাওয়া যায়। এর মাধ্যমে ভাষার গতি, বাচনভঙ্গি ও সময় ব্যবস্থাপনা সহজ হয়ে ওঠে।
বিশেষ পরামর্শ
একটি সফল প্রেজেন্টেশন কেবল তথ্য উপস্থাপন নয়; এটি এক ধরনের শিল্প, যেখানে ভাষা, ভঙ্গি, পরিকল্পনা ও শ্রোতাদের সঙ্গে আন্তরিক সম্পর্কের সমন্বয় ঘটে। প্রস্তুতি, আত্মবিশ্বাস এবং শ্রোতাবান্ধব উপস্থাপনই পারে একটি সাধারণ প্রেজেন্টেশনকে স্মরণীয় করে তুলতে।

শ্রোতাদের সম্পর্কে জানুন
প্রেজেন্টেশনের সফলতার অনেকটাই নির্ভর করে শ্রোতাদের প্রোফাইল বোঝার ওপর। কারা প্রেজেন্টেশনটি শুনবেন, তাঁদের পেশা, বয়স, জ্ঞানের স্তর ও আগ্রহ কেমন—এসব বিবেচনায় রেখে কনটেন্ট তৈরি করতে হবে। সাধারণ শ্রোতার জন্য প্রেজেন্টেশন হলে সেখানে সহজ ভাষা, বাস্তব উদাহরণ ও গল্প বলার ধরন গ্রহণযোগ্য হয়। আবার গবেষক বা বিশেষজ্ঞদের জন্য তথ্যবহুল, যুক্তিভিত্তিক ও বিশ্লেষণমূলক উপস্থাপন বেশি কার্যকর।
বিষয়বস্তুর কাঠামো
একটি আকর্ষণীয় প্রেজেন্টেশন মানে এমন একটি যাত্রা, যা শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত শ্রোতাকে টেনে রাখে। শুরুতে একটি সংক্ষিপ্ত রূপরেখা উপস্থাপন করুন, যাতে শ্রোতারা জানতে পারেন কোন কোন বিষয়ে আলোচনা হবে। কনটেন্টগুলো ধারাবাহিকভাবে সাজানো থাকলে শ্রোতাদের বিরক্তি আসে না। ইনফোগ্রাফিকস, ছবি ও ভিডিও ক্লিপ ব্যবহারে বিষয়বস্তু আরও সহজবোধ্য হয়। মাঝে মাঝে অংশগ্রহণমূলক সেশন যেমন প্রশ্ন, জরিপ বা মিনি গেম রাখা যেতে পারে। উপসংহারে একটি শক্তিশালী বার্তা বা ভবিষ্যৎ করণীয় তুলে ধরুন।
উপস্থাপনার ধরন
শ্রোতাদের সামনে কেমনভাবে নিজেকে উপস্থাপন করছেন, সেটিও প্রেজেন্টেশনের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। উপস্থাপকের পোশাক-পরিচ্ছদ পরিবেশ ও শ্রোতাদের প্রেক্ষাপট অনুযায়ী হওয়া উচিত। কথা বলার ভঙ্গিমা হতে হবে স্পষ্ট, আত্মবিশ্বাসী ও শ্রোতাবান্ধব। শ্রোতাদের চোখের দিকে তাকিয়ে কথা বললে দৃষ্টি সংযোগ তৈরি হয় এবং মনোযোগ ধরে রাখা সহজ হয়। হাতের অঙ্গভঙ্গি ব্যবহার করুন, তবে তা যেন অতিরিক্ত বা বিরক্তিকর না হয়। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো আত্মবিশ্বাসী হাসি বজায় রাখা।
উদাহরণ ও উৎসাহমূলক উপস্থাপনা
শ্রোতারা তাঁদের জীবনের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত উদাহরণ বেশি গ্রহণ করেন। সাধারণ শ্রোতার সামনে উপস্থাপন করলে সহজ ভাষায় জীবনের ছোট ছোট উদাহরণ দিন। শিক্ষার্থী ও তরুণদের জন্য গল্পধর্মী ও অনুপ্রেরণামূলক প্রেজেন্টেশন খুব কার্যকর। আবার ব্যবসায়ী বা নীতিনির্ধারকদের সামনে থাকলে পরিকল্পনা, ফলাফল এবং লাভ-ক্ষতির খুঁটিনাটি তুলে ধরতে হবে। গবেষক বা বিজ্ঞানীদের উদ্দেশ্যে উপস্থাপনার ক্ষেত্রে ভবিষ্যৎ চাহিদা ও সম্ভাব্য অবদান তুলে ধরা গুরুত্বপূর্ণ।
প্রশ্নোত্তর পর্ব
প্রেজেন্টেশন শেষে প্রশ্নোত্তর পর্ব থাকলে তা একটি সমৃদ্ধ আলোচনায় পরিণত হতে পারে। কোনো প্রশ্নের উত্তর জানা না থাকলে তা বিনয়ের সঙ্গে স্বীকার করে প্রাসঙ্গিক তথ্য দেওয়ার চেষ্টা করুন। অবশ্যই নিজের কনটেন্টের প্রতিটি দিক ভালোভাবে আয়ত্তে রাখতে হবে, যাতে কোনো প্রশ্নে দ্বিধা না আসে। শ্রোতাদের প্রতি সম্মান রেখে মনোযোগ দিয়ে প্রশ্ন শুনুন এবং স্পষ্টভাবে উত্তর দিন।
বারবার অনুশীলন
চূড়ান্ত উপস্থাপনার আগে একাধিকবার অনুশীলন করুন। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে উপস্থাপন শেষ করার অনুশীলন করুন। বন্ধু বা সহকর্মীদের সামনে অনুশীলন করলে বাস্তব অভিজ্ঞতা পাওয়া যায়। এর মাধ্যমে ভাষার গতি, বাচনভঙ্গি ও সময় ব্যবস্থাপনা সহজ হয়ে ওঠে।
বিশেষ পরামর্শ
একটি সফল প্রেজেন্টেশন কেবল তথ্য উপস্থাপন নয়; এটি এক ধরনের শিল্প, যেখানে ভাষা, ভঙ্গি, পরিকল্পনা ও শ্রোতাদের সঙ্গে আন্তরিক সম্পর্কের সমন্বয় ঘটে। প্রস্তুতি, আত্মবিশ্বাস এবং শ্রোতাবান্ধব উপস্থাপনই পারে একটি সাধারণ প্রেজেন্টেশনকে স্মরণীয় করে তুলতে।

সফট স্কিল ট্রেনিংবিষয়ক প্রতিষ্ঠান শার্পনারের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) নজর-ই-জ্বিলানী তিনটি ভিন্ন ভিন্ন ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করেছেন। তিনি করপোরেট ট্রেইনার হিসেবেও বেশ পরিচিত। সম্প্রতি তিনি আজকের পত্রিকাকে তাঁর করপোরেট জীবনের অভিজ্ঞতার গল্প শুনিয়েছেন। সে গল্প তুলে ধরেছেন মো. খশরু আহসান।
১১ জানুয়ারি ২০২৫
বিজেএস পরীক্ষার জন্য একটি সুসংগঠিত ও দীর্ঘমেয়াদি প্রস্তুতি প্রয়োজন। অনার্স ও মাস্টার্সে যে বিষয়গুলো বিজেএসের সঙ্গে সম্পর্কিত, সেগুলো আগে শেষ করতে হবে। প্রথম দিকে প্রস্তুতি এলোমেলো মনে হতে পারে। কোথা থেকে শুরু করবেন, বুঝতে অসুবিধা হতে পারে। তাই মূল প্রস্তুতি শুরু করুন আইন বিষয় দিয়ে।
১০ মে ২০২৫
বর্তমান প্রতিযোগিতামূলক সমাজে একজন শিক্ষার্থীর সফলতা শুধু পাঠ্যবই-নির্ভর নয়, এর পেছনে লুকিয়ে আছে একটি সুশৃঙ্খল জীবনধারা। একজন শিক্ষার্থীর লাইফস্টাইল যেমন হবে, তার ব্যক্তিত্ব ও ভবিষ্যৎ অনেকটা সেভাবেই গড়ে উঠবে। শিক্ষার্থীরা একটি সুস্থ জীবনধারা যেভাবে গড়ে তুলতে পারে, সে পরামর্শ দিয়েছেন...
২৩ এপ্রিল ২০২৫
বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন বোর্ড (বিআরডিবি) রাজস্ব বাজেটভুক্ত শূন্য পদে অস্থায়ী ভিত্তিতে জনবল নিয়োগের জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে। নবম ও দশম গ্রেডে মোট ৯০টি শূন্য পদে নিয়োগ দেওয়া হবে। আগ্রহী প্রার্থীদের অনলাইনে আবেদন করতে হবে।
২৬ মার্চ ২০২৫তানিয়া সুলতানা

বিজেএস পরীক্ষার জন্য একটি সুসংগঠিত ও দীর্ঘমেয়াদি প্রস্তুতি প্রয়োজন। অনার্স ও মাস্টার্সে যে বিষয়গুলো বিজেএসের সঙ্গে সম্পর্কিত, সেগুলো আগে শেষ করতে হবে। প্রথম দিকে প্রস্তুতি এলোমেলো মনে হতে পারে। কোথা থেকে শুরু করবেন, বুঝতে অসুবিধা হতে পারে। তাই মূল প্রস্তুতি শুরু করুন আইন বিষয় দিয়ে। যেহেতু আইন একাডেমিক বিষয়, তাই এ অংশে আলাদা গাইডলাইনের প্রয়োজন নেই।
সাধারণ জ্ঞানভিত্তিক বিষয়ের প্রস্তুতির জন্য প্রথমে বিজেএস পরীক্ষার সিলেবাস ডাউনলোড করে ভালোভাবে পড়ুন। এরপর বিগত বছরের প্রশ্নপত্র বিশ্লেষণ করুন—কোন কোন টপিক থেকে বেশি প্রশ্ন এসেছে, সেটি বুঝে সে অনুযায়ী প্রয়োজনীয় বই নির্বাচন করুন। এরপর এক বছর বা তার বেশি সময় মনোযোগ দিয়ে পড়াশোনা করুন।
অনার্সে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীদের করণীয়
আপনি যখন বিজেএস পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি নেবেন, তখন অবশ্যই পরীক্ষার সিলেবাস সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা রাখতে হবে। আপনি যদি স্নাতকের শিক্ষার্থী হন; আপনার করণীয় হলো, বিজেএস সিলেবাসের সঙ্গে একাডেমিক যেসব বিষয়ের মিল রয়েছে, সেগুলো ভালোভাবে পড়া। এরপর চতুর্থ বর্ষ থেকে জেনারেল প্রস্তুতিতে মনোযোগ দিতে পারেন।
নতুনদের জন্য পরামর্শ
যেকোনো পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে প্রথমে মানসিকভাবে প্রস্তুতি নিতে হবে যে আমি এ পরীক্ষার জন্য শেষ পর্যন্ত চেষ্টা করতে প্রস্তুত। পড়ায় ক্লান্তি এলেও নতুন উদ্যমে আবার পড়তে হবে। ভবিষ্যতে যাঁরা বিচারক হতে চান, তাঁদের উচিত অনার্স থেকেই একাডেমিক পড়াশোনায় মনোযোগী হওয়া। একই সঙ্গে নিজের ওপর আত্মবিশ্বাস রাখা এবং হাল না ছাড়া। তাহলে সাফল্য লাভ করতে পারবেন।
প্রিলিতে উত্তীর্ণ হতে করণীয়
প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় ৫০ নম্বর পেলে পাস। প্রিলিতে পাস করার জন্য আপনাকে অবশ্যই বিগত বছরের প্রশ্নগুলো বিশ্লেষণ করে বুঝতে হবে, কোন বিষয় থেকে কতটা প্রশ্ন আসে। এ ক্ষেত্রে ‘লিগ্যাম প্রশ্নব্যাংক’-এর সাহায্য নিতে পারেন। এখানে প্রশ্ন অ্যানালাইসিস সহজ করে দেওয়া রয়েছে। তারপর স্ট্রং ও উইক জোন সিলেক্ট করুন। স্ট্রং জোনগুলো বারবার রিভিশন দিন, যাতে কোনোভাবেই এখান থেকে নম্বর কাটা না যায়।
কোন বিষয়গুলো অল্প পড়ে বেশি নম্বর তোলা যায়, সেগুলো আয়ত্তে আনুন। অনেকের প্রিলিতে ফেল করার কারণ, লোভে বেশি দাগিয়ে ফেলা। আমার মনে হয়, ৭৫ থেকে ৮০টি দাগালে সেফ জোনে থাকা যায়। মুখস্থ বিষয়গুলো যেমন বাংলা বিরচন, বাংলা ও ইংরেজি সাহিত্য—এগুলো প্রতিদিন অল্প হলেও রিভিশন দিন। আইন ভুলে যাওয়ার বিষয়। তাই আইন মনে রাখতে বারবার রিভিশনের বিকল্প নেই। জেনারেল অংশে কমন পেতে চাইলে ‘বিসিএস বিশেষ সংখ্যা’ বইটি অবশ্যই পড়বেন।
লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে করণীয়
বিজেএস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে ১০০০ নম্বরের লিখিত পরীক্ষা মূল ভূমিকা পালন করে। লিখিত পরীক্ষার জন্য কোন বিষয়ের কোন ধারাগুলো পড়তে হবে, অনেকে বুঝতে পারেন না। এ ক্ষেত্রে লিগ্যাম প্রশ্নব্যাংক প্রশ্ন অ্যানালাইসিসে সাহায্য করবে। আইন অংশের জন্য অবশ্যই বেয়ার অ্যাক্ট গুরুত্ব দিয়ে পড়তে হবে। বেয়ার অ্যাক্টের পাশাপাশি বিজেএস রিটেন মাস্টার বইটিও অনুসরণ করা যায়।
লিখিত পরীক্ষায় ভালো নম্বর পেতে অবশ্যই প্রতিটি প্রশ্নের জন্য সমান সময় দেওয়ার চেষ্টা করবেন। সঠিক Section/Rules/Order/ Article উল্লেখ করে লেখার চেষ্টা করবেন। পৃষ্ঠার পর পৃষ্ঠা লেখার চেষ্টা না করে প্রশ্নের সঙ্গে রিলেটেড Section/Rules/Order/Article—এসব সঠিকভাবে উল্লেখ করে উত্তর করলে খুব সুন্দরভাবে সময় মেইনটেইন করা যায়।
প্রবলেমেটিক প্রশ্নের উত্তর করার সময় fact-Issue-decision-reasoning—এভাবে লেখার চেষ্টা করবেন। বিজেএস লিখিত পরীক্ষায় প্রবলেমেটিক প্রশ্ন কমন পেতে জাস্টিস হামিদুল হকের ‘Trial of Civil Suits and Criminal Cases’ বইটি পড়বেন। একটা বিষয়ে কয়েকটি বই না পড়ে একই বই বারবার রিভিশন দেওয়ার চেষ্টা করুন। অন্যান্য রেফারেন্স বইয়ের গুরুত্বপূর্ণ তথ্যগুলা মূল বইয়ে লিখে রাখার চেষ্টা করুন বা হ্যান্ডনোট বানান।
ভাইভায় ভালো করার উপায়
প্রথমে বিগত পরীক্ষাগুলাতে ভাইভা বোর্ডে যেসব প্রশ্ন করা হয়েছে, সেগুলা সংগ্রহ করে উত্তরসহ প্রিন্ট করুন। এসব প্রশ্নোত্তর কয়েকবার পড়লে ধারণা হবে যে মৌখিক পরীক্ষায় কোন ধরনের প্রশ্ন করা হয়। আইন অংশের জন্য বেয়ার অ্যাক্ট রিভিশন দিন। জেনারেল অংশের জন্য নিউজ শুনে আপডেটেড থাকুন। ভাইভা প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার সময় কনফিডেন্টলি উত্তর দিন। উত্তর জানা না থাকলে ‘সরি স্যার, এই মুহূর্তে মনে পড়ছে না’ বলুন।

বিজেএস পরীক্ষার জন্য একটি সুসংগঠিত ও দীর্ঘমেয়াদি প্রস্তুতি প্রয়োজন। অনার্স ও মাস্টার্সে যে বিষয়গুলো বিজেএসের সঙ্গে সম্পর্কিত, সেগুলো আগে শেষ করতে হবে। প্রথম দিকে প্রস্তুতি এলোমেলো মনে হতে পারে। কোথা থেকে শুরু করবেন, বুঝতে অসুবিধা হতে পারে। তাই মূল প্রস্তুতি শুরু করুন আইন বিষয় দিয়ে। যেহেতু আইন একাডেমিক বিষয়, তাই এ অংশে আলাদা গাইডলাইনের প্রয়োজন নেই।
সাধারণ জ্ঞানভিত্তিক বিষয়ের প্রস্তুতির জন্য প্রথমে বিজেএস পরীক্ষার সিলেবাস ডাউনলোড করে ভালোভাবে পড়ুন। এরপর বিগত বছরের প্রশ্নপত্র বিশ্লেষণ করুন—কোন কোন টপিক থেকে বেশি প্রশ্ন এসেছে, সেটি বুঝে সে অনুযায়ী প্রয়োজনীয় বই নির্বাচন করুন। এরপর এক বছর বা তার বেশি সময় মনোযোগ দিয়ে পড়াশোনা করুন।
অনার্সে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীদের করণীয়
আপনি যখন বিজেএস পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি নেবেন, তখন অবশ্যই পরীক্ষার সিলেবাস সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা রাখতে হবে। আপনি যদি স্নাতকের শিক্ষার্থী হন; আপনার করণীয় হলো, বিজেএস সিলেবাসের সঙ্গে একাডেমিক যেসব বিষয়ের মিল রয়েছে, সেগুলো ভালোভাবে পড়া। এরপর চতুর্থ বর্ষ থেকে জেনারেল প্রস্তুতিতে মনোযোগ দিতে পারেন।
নতুনদের জন্য পরামর্শ
যেকোনো পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে প্রথমে মানসিকভাবে প্রস্তুতি নিতে হবে যে আমি এ পরীক্ষার জন্য শেষ পর্যন্ত চেষ্টা করতে প্রস্তুত। পড়ায় ক্লান্তি এলেও নতুন উদ্যমে আবার পড়তে হবে। ভবিষ্যতে যাঁরা বিচারক হতে চান, তাঁদের উচিত অনার্স থেকেই একাডেমিক পড়াশোনায় মনোযোগী হওয়া। একই সঙ্গে নিজের ওপর আত্মবিশ্বাস রাখা এবং হাল না ছাড়া। তাহলে সাফল্য লাভ করতে পারবেন।
প্রিলিতে উত্তীর্ণ হতে করণীয়
প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় ৫০ নম্বর পেলে পাস। প্রিলিতে পাস করার জন্য আপনাকে অবশ্যই বিগত বছরের প্রশ্নগুলো বিশ্লেষণ করে বুঝতে হবে, কোন বিষয় থেকে কতটা প্রশ্ন আসে। এ ক্ষেত্রে ‘লিগ্যাম প্রশ্নব্যাংক’-এর সাহায্য নিতে পারেন। এখানে প্রশ্ন অ্যানালাইসিস সহজ করে দেওয়া রয়েছে। তারপর স্ট্রং ও উইক জোন সিলেক্ট করুন। স্ট্রং জোনগুলো বারবার রিভিশন দিন, যাতে কোনোভাবেই এখান থেকে নম্বর কাটা না যায়।
কোন বিষয়গুলো অল্প পড়ে বেশি নম্বর তোলা যায়, সেগুলো আয়ত্তে আনুন। অনেকের প্রিলিতে ফেল করার কারণ, লোভে বেশি দাগিয়ে ফেলা। আমার মনে হয়, ৭৫ থেকে ৮০টি দাগালে সেফ জোনে থাকা যায়। মুখস্থ বিষয়গুলো যেমন বাংলা বিরচন, বাংলা ও ইংরেজি সাহিত্য—এগুলো প্রতিদিন অল্প হলেও রিভিশন দিন। আইন ভুলে যাওয়ার বিষয়। তাই আইন মনে রাখতে বারবার রিভিশনের বিকল্প নেই। জেনারেল অংশে কমন পেতে চাইলে ‘বিসিএস বিশেষ সংখ্যা’ বইটি অবশ্যই পড়বেন।
লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে করণীয়
বিজেএস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে ১০০০ নম্বরের লিখিত পরীক্ষা মূল ভূমিকা পালন করে। লিখিত পরীক্ষার জন্য কোন বিষয়ের কোন ধারাগুলো পড়তে হবে, অনেকে বুঝতে পারেন না। এ ক্ষেত্রে লিগ্যাম প্রশ্নব্যাংক প্রশ্ন অ্যানালাইসিসে সাহায্য করবে। আইন অংশের জন্য অবশ্যই বেয়ার অ্যাক্ট গুরুত্ব দিয়ে পড়তে হবে। বেয়ার অ্যাক্টের পাশাপাশি বিজেএস রিটেন মাস্টার বইটিও অনুসরণ করা যায়।
লিখিত পরীক্ষায় ভালো নম্বর পেতে অবশ্যই প্রতিটি প্রশ্নের জন্য সমান সময় দেওয়ার চেষ্টা করবেন। সঠিক Section/Rules/Order/ Article উল্লেখ করে লেখার চেষ্টা করবেন। পৃষ্ঠার পর পৃষ্ঠা লেখার চেষ্টা না করে প্রশ্নের সঙ্গে রিলেটেড Section/Rules/Order/Article—এসব সঠিকভাবে উল্লেখ করে উত্তর করলে খুব সুন্দরভাবে সময় মেইনটেইন করা যায়।
প্রবলেমেটিক প্রশ্নের উত্তর করার সময় fact-Issue-decision-reasoning—এভাবে লেখার চেষ্টা করবেন। বিজেএস লিখিত পরীক্ষায় প্রবলেমেটিক প্রশ্ন কমন পেতে জাস্টিস হামিদুল হকের ‘Trial of Civil Suits and Criminal Cases’ বইটি পড়বেন। একটা বিষয়ে কয়েকটি বই না পড়ে একই বই বারবার রিভিশন দেওয়ার চেষ্টা করুন। অন্যান্য রেফারেন্স বইয়ের গুরুত্বপূর্ণ তথ্যগুলা মূল বইয়ে লিখে রাখার চেষ্টা করুন বা হ্যান্ডনোট বানান।
ভাইভায় ভালো করার উপায়
প্রথমে বিগত পরীক্ষাগুলাতে ভাইভা বোর্ডে যেসব প্রশ্ন করা হয়েছে, সেগুলা সংগ্রহ করে উত্তরসহ প্রিন্ট করুন। এসব প্রশ্নোত্তর কয়েকবার পড়লে ধারণা হবে যে মৌখিক পরীক্ষায় কোন ধরনের প্রশ্ন করা হয়। আইন অংশের জন্য বেয়ার অ্যাক্ট রিভিশন দিন। জেনারেল অংশের জন্য নিউজ শুনে আপডেটেড থাকুন। ভাইভা প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার সময় কনফিডেন্টলি উত্তর দিন। উত্তর জানা না থাকলে ‘সরি স্যার, এই মুহূর্তে মনে পড়ছে না’ বলুন।

সফট স্কিল ট্রেনিংবিষয়ক প্রতিষ্ঠান শার্পনারের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) নজর-ই-জ্বিলানী তিনটি ভিন্ন ভিন্ন ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করেছেন। তিনি করপোরেট ট্রেইনার হিসেবেও বেশ পরিচিত। সম্প্রতি তিনি আজকের পত্রিকাকে তাঁর করপোরেট জীবনের অভিজ্ঞতার গল্প শুনিয়েছেন। সে গল্প তুলে ধরেছেন মো. খশরু আহসান।
১১ জানুয়ারি ২০২৫
বর্তমান যুগে জ্ঞান বিনিময়ের অন্যতম কার্যকর মাধ্যম হলো প্রেজেন্টেশন। শিক্ষাঙ্গন থেকে শুরু করে করপোরেট দুনিয়া, প্রশাসনিক বৈঠক থেকে শুরু করে গবেষণা সম্মেলন—সব জায়গাতে একটি পরিষ্কার ও গোছানো প্রেজেন্টেশনের প্রয়োজনীয়তা অপরিসীম। কিন্তু শুধু স্লাইড তৈরি করলেই একটি প্রভাবশালী প্রেজেন্টেশন হয় না।
১০ মে ২০২৫
বর্তমান প্রতিযোগিতামূলক সমাজে একজন শিক্ষার্থীর সফলতা শুধু পাঠ্যবই-নির্ভর নয়, এর পেছনে লুকিয়ে আছে একটি সুশৃঙ্খল জীবনধারা। একজন শিক্ষার্থীর লাইফস্টাইল যেমন হবে, তার ব্যক্তিত্ব ও ভবিষ্যৎ অনেকটা সেভাবেই গড়ে উঠবে। শিক্ষার্থীরা একটি সুস্থ জীবনধারা যেভাবে গড়ে তুলতে পারে, সে পরামর্শ দিয়েছেন...
২৩ এপ্রিল ২০২৫
বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন বোর্ড (বিআরডিবি) রাজস্ব বাজেটভুক্ত শূন্য পদে অস্থায়ী ভিত্তিতে জনবল নিয়োগের জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে। নবম ও দশম গ্রেডে মোট ৯০টি শূন্য পদে নিয়োগ দেওয়া হবে। আগ্রহী প্রার্থীদের অনলাইনে আবেদন করতে হবে।
২৬ মার্চ ২০২৫বর্তমান প্রতিযোগিতামূলক সমাজে একজন শিক্ষার্থীর সফলতা শুধু পাঠ্যবই-নির্ভর নয়, এর পেছনে লুকিয়ে আছে একটি সুশৃঙ্খল জীবনধারা। একজন শিক্ষার্থীর লাইফস্টাইল যেমন হবে, তার ব্যক্তিত্ব ও ভবিষ্যৎ অনেকটা সেভাবেই গড়ে উঠবে। শিক্ষার্থীরা একটি সুস্থ জীবনধারা যেভাবে গড়ে তুলতে পারে, সে পরামর্শ দিয়েছেন ক্যারিয়ার-বিষয়ক লেখক এম এম মুজাহিদ উদ্দীন।
এম এম মুজাহিদ উদ্দীন

ভোরে ঘুম থেকে ওঠার অভ্যাস
ভোরে ঘুম থেকে ওঠা শুধু একটি স্বাস্থ্যকর অভ্যাস নয়, এটি একজন শিক্ষার্থীর মনোযোগ বাড়াতে এবং একাগ্রতা গড়তে সাহায্য করে। সকালের নির্মল বাতাস, পাখির ডাক আর শান্ত পরিবেশ—সবকিছু মনকে সতেজ করে তোলে। গবেষণায় দেখা গেছে, যারা ভোরে উঠে পড়াশোনা করে, তাদের শেখার গতি ও স্মৃতিশক্তি অপেক্ষাকৃত বেশি কার্যকর। তা ছাড়া ভোরে ঘুম থেকে উঠলে দিনে বেশি সময় পাওয়া যায়।
রাতে তাড়াতাড়ি ঘুমানো
ছোটবেলায় আমরা একটি প্রবাদ শিখেছি, ‘আর্লি টু বেড অ্যান্ড আর্লি টু রাইজ, মেকস অ্যা ম্যান হেলদি অ্যান্ড ওয়াইজ’। এটা শুধু প্রবাদ বাক্য নয়। এটা বাস্তবজীবনের অনেক বড় শিক্ষা। শরীর-মন সুস্থ রাখতে, জীবনে সফল হতে এটা মেনে চলা উচিত। পর্যাপ্ত ঘুম না হলে শরীর ও মন—দুই-ই দুর্বল হয়ে পড়ে। শিক্ষার্থীদের জন্য প্রতিদিন অন্তত ছয়-সাত ঘণ্টা গভীর ঘুম নিশ্চিত করা প্রয়োজন। তাই গভীর রাত না জেগে সন্ধ্যা থেকে পড়াশোনা করে রাতে তাড়াতাড়ি ঘুমাতে গেলে ভালো হয়।
নিয়মিত ও পরিকল্পিত পড়াশোনা
পরীক্ষার সময় ঘনিয়ে এলে না পড়ে অল্প সময়ে সব শেষ করার প্রবণতা শিক্ষার্থীদের মধ্যে একটা বড় সমস্যা। বরং প্রতিদিন নির্দিষ্ট সময় ধরে পড়াশোনা করলে চাপ কমে যায় এবং বিষয়বস্তুও ভালোভাবে আয়ত্তে আসে। একটি রুটিন মেনে চলা, যেখানে পড়াশোনার পাশাপাশি বিশ্রাম ও বিনোদনের সময়ও থাকবে। নিয়মিত ও পরিকল্পিত পড়াশোনা একজন শিক্ষার্থীর উন্নতির চাবিকাঠি।
স্বাস্থ্যসম্মত খাবার ও শরীরচর্চা
শিক্ষার্থীদের মধ্যে অনেকে জাঙ্ক ফুড/ভাজাপোড়া খাবার খেতে পছন্দ করে। এতে শরীরের উপকারের চেয়ে ক্ষতি বেশি হয়। জাঙ্ক ফুড বা অতিরিক্ত ক্যাফেইনভিত্তিক খাবারের পরিবর্তে পুষ্টিকর খাবার খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তোলা উচিত। স্বাস্থ্যসম্মত খাবার শরীর সুস্থ রাখে এবং তার ফলে মস্তিষ্কও সতেজ থাকে। শরীর সুস্থ না থাকলে পড়াশোনায় মনোনিবেশ করা কঠিন হয়ে যায়। পাশাপাশি প্রতিদিন অন্তত ২০-৩০ মিনিট হালকা ব্যায়াম বা হাঁটাচলা শরীরকে ফিট রাখে ও মনকে চাঙা করে।
মানসিক স্বাস্থ্যের যত্ন
পরীক্ষার ফল, প্রতিযোগিতা, পারিবারিক প্রত্যাশা ইত্যাদি কারণে অনেক শিক্ষার্থী মানসিক চাপে ভোগে। তাই নিজের মানসিক সুস্থতার দিকে নজর দেওয়া অত্যন্ত জরুরি। পরিবার বা বন্ধুদের সঙ্গে খোলামেলা কথা বলা, সময়মতো বিশ্রাম নেওয়া, মাঝে মাঝে প্রিয় কাজের মধ্যে ডুবে যাওয়া—এসব মন ভালো রাখে। সবচেয়ে ভালো হয়, কোনো শখের কাজ করা। অবসর সময়ে শখের কাজ করলে মন ভালো থাকে। এটা মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটায়।
মাদক ও ধূমপান থেকে দূরে থাকা
মাদক ও ধূমপানের ক্ষতিকর দিক সবার জানা। এটা শুধু নিজের ক্ষতি করে না, বরং সমাজ ও পরিবারের ক্ষতি ডেকে আনে। মাদকসেবী ও ধূমপায়ীদের মানুষ অপছন্দ করে। এ ছাড়া মাদক গ্রহণ করা আইনগতভাবে অপরাধ। তাই মাদক ও ধূমপান থেকে দূরে থাকা ভালো।
সুশৃঙ্খল জীবনযাপন
একজন শিক্ষার্থীর জীবনে সাফল্যের জন্য মেধা যতটা গুরুত্বপূর্ণ, ততটা গুরুত্বপূর্ণ একটি সুশৃঙ্খল জীবনযাপন। সময়ের কাজ সময়ে করা, সুস্থ শরীর ও প্রশান্ত মন বজায় রাখার অভ্যাসগুলো একজন শিক্ষার্থীকে আগামী দিনের জন্য প্রস্তুত করে তোলে। তাই আজ থেকে হোক সুশৃঙ্খল জীবনযাপন।

ভোরে ঘুম থেকে ওঠার অভ্যাস
ভোরে ঘুম থেকে ওঠা শুধু একটি স্বাস্থ্যকর অভ্যাস নয়, এটি একজন শিক্ষার্থীর মনোযোগ বাড়াতে এবং একাগ্রতা গড়তে সাহায্য করে। সকালের নির্মল বাতাস, পাখির ডাক আর শান্ত পরিবেশ—সবকিছু মনকে সতেজ করে তোলে। গবেষণায় দেখা গেছে, যারা ভোরে উঠে পড়াশোনা করে, তাদের শেখার গতি ও স্মৃতিশক্তি অপেক্ষাকৃত বেশি কার্যকর। তা ছাড়া ভোরে ঘুম থেকে উঠলে দিনে বেশি সময় পাওয়া যায়।
রাতে তাড়াতাড়ি ঘুমানো
ছোটবেলায় আমরা একটি প্রবাদ শিখেছি, ‘আর্লি টু বেড অ্যান্ড আর্লি টু রাইজ, মেকস অ্যা ম্যান হেলদি অ্যান্ড ওয়াইজ’। এটা শুধু প্রবাদ বাক্য নয়। এটা বাস্তবজীবনের অনেক বড় শিক্ষা। শরীর-মন সুস্থ রাখতে, জীবনে সফল হতে এটা মেনে চলা উচিত। পর্যাপ্ত ঘুম না হলে শরীর ও মন—দুই-ই দুর্বল হয়ে পড়ে। শিক্ষার্থীদের জন্য প্রতিদিন অন্তত ছয়-সাত ঘণ্টা গভীর ঘুম নিশ্চিত করা প্রয়োজন। তাই গভীর রাত না জেগে সন্ধ্যা থেকে পড়াশোনা করে রাতে তাড়াতাড়ি ঘুমাতে গেলে ভালো হয়।
নিয়মিত ও পরিকল্পিত পড়াশোনা
পরীক্ষার সময় ঘনিয়ে এলে না পড়ে অল্প সময়ে সব শেষ করার প্রবণতা শিক্ষার্থীদের মধ্যে একটা বড় সমস্যা। বরং প্রতিদিন নির্দিষ্ট সময় ধরে পড়াশোনা করলে চাপ কমে যায় এবং বিষয়বস্তুও ভালোভাবে আয়ত্তে আসে। একটি রুটিন মেনে চলা, যেখানে পড়াশোনার পাশাপাশি বিশ্রাম ও বিনোদনের সময়ও থাকবে। নিয়মিত ও পরিকল্পিত পড়াশোনা একজন শিক্ষার্থীর উন্নতির চাবিকাঠি।
স্বাস্থ্যসম্মত খাবার ও শরীরচর্চা
শিক্ষার্থীদের মধ্যে অনেকে জাঙ্ক ফুড/ভাজাপোড়া খাবার খেতে পছন্দ করে। এতে শরীরের উপকারের চেয়ে ক্ষতি বেশি হয়। জাঙ্ক ফুড বা অতিরিক্ত ক্যাফেইনভিত্তিক খাবারের পরিবর্তে পুষ্টিকর খাবার খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তোলা উচিত। স্বাস্থ্যসম্মত খাবার শরীর সুস্থ রাখে এবং তার ফলে মস্তিষ্কও সতেজ থাকে। শরীর সুস্থ না থাকলে পড়াশোনায় মনোনিবেশ করা কঠিন হয়ে যায়। পাশাপাশি প্রতিদিন অন্তত ২০-৩০ মিনিট হালকা ব্যায়াম বা হাঁটাচলা শরীরকে ফিট রাখে ও মনকে চাঙা করে।
মানসিক স্বাস্থ্যের যত্ন
পরীক্ষার ফল, প্রতিযোগিতা, পারিবারিক প্রত্যাশা ইত্যাদি কারণে অনেক শিক্ষার্থী মানসিক চাপে ভোগে। তাই নিজের মানসিক সুস্থতার দিকে নজর দেওয়া অত্যন্ত জরুরি। পরিবার বা বন্ধুদের সঙ্গে খোলামেলা কথা বলা, সময়মতো বিশ্রাম নেওয়া, মাঝে মাঝে প্রিয় কাজের মধ্যে ডুবে যাওয়া—এসব মন ভালো রাখে। সবচেয়ে ভালো হয়, কোনো শখের কাজ করা। অবসর সময়ে শখের কাজ করলে মন ভালো থাকে। এটা মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটায়।
মাদক ও ধূমপান থেকে দূরে থাকা
মাদক ও ধূমপানের ক্ষতিকর দিক সবার জানা। এটা শুধু নিজের ক্ষতি করে না, বরং সমাজ ও পরিবারের ক্ষতি ডেকে আনে। মাদকসেবী ও ধূমপায়ীদের মানুষ অপছন্দ করে। এ ছাড়া মাদক গ্রহণ করা আইনগতভাবে অপরাধ। তাই মাদক ও ধূমপান থেকে দূরে থাকা ভালো।
সুশৃঙ্খল জীবনযাপন
একজন শিক্ষার্থীর জীবনে সাফল্যের জন্য মেধা যতটা গুরুত্বপূর্ণ, ততটা গুরুত্বপূর্ণ একটি সুশৃঙ্খল জীবনযাপন। সময়ের কাজ সময়ে করা, সুস্থ শরীর ও প্রশান্ত মন বজায় রাখার অভ্যাসগুলো একজন শিক্ষার্থীকে আগামী দিনের জন্য প্রস্তুত করে তোলে। তাই আজ থেকে হোক সুশৃঙ্খল জীবনযাপন।

সফট স্কিল ট্রেনিংবিষয়ক প্রতিষ্ঠান শার্পনারের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) নজর-ই-জ্বিলানী তিনটি ভিন্ন ভিন্ন ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করেছেন। তিনি করপোরেট ট্রেইনার হিসেবেও বেশ পরিচিত। সম্প্রতি তিনি আজকের পত্রিকাকে তাঁর করপোরেট জীবনের অভিজ্ঞতার গল্প শুনিয়েছেন। সে গল্প তুলে ধরেছেন মো. খশরু আহসান।
১১ জানুয়ারি ২০২৫
বর্তমান যুগে জ্ঞান বিনিময়ের অন্যতম কার্যকর মাধ্যম হলো প্রেজেন্টেশন। শিক্ষাঙ্গন থেকে শুরু করে করপোরেট দুনিয়া, প্রশাসনিক বৈঠক থেকে শুরু করে গবেষণা সম্মেলন—সব জায়গাতে একটি পরিষ্কার ও গোছানো প্রেজেন্টেশনের প্রয়োজনীয়তা অপরিসীম। কিন্তু শুধু স্লাইড তৈরি করলেই একটি প্রভাবশালী প্রেজেন্টেশন হয় না।
১০ মে ২০২৫
বিজেএস পরীক্ষার জন্য একটি সুসংগঠিত ও দীর্ঘমেয়াদি প্রস্তুতি প্রয়োজন। অনার্স ও মাস্টার্সে যে বিষয়গুলো বিজেএসের সঙ্গে সম্পর্কিত, সেগুলো আগে শেষ করতে হবে। প্রথম দিকে প্রস্তুতি এলোমেলো মনে হতে পারে। কোথা থেকে শুরু করবেন, বুঝতে অসুবিধা হতে পারে। তাই মূল প্রস্তুতি শুরু করুন আইন বিষয় দিয়ে।
১০ মে ২০২৫
বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন বোর্ড (বিআরডিবি) রাজস্ব বাজেটভুক্ত শূন্য পদে অস্থায়ী ভিত্তিতে জনবল নিয়োগের জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে। নবম ও দশম গ্রেডে মোট ৯০টি শূন্য পদে নিয়োগ দেওয়া হবে। আগ্রহী প্রার্থীদের অনলাইনে আবেদন করতে হবে।
২৬ মার্চ ২০২৫আজকের পত্রিকা ডেস্ক

উপজেলা পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তা
পদসংখ্যা: ২৩ টি
যোগ্যতা: প্রথম শ্রেণির স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অথবা দ্বিতীয় শ্রেণির স্নাতক (সম্মান) সহ স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অথবা দ্বিতীয় শ্রেণির চার বছর মেয়াদের স্নাতক (সম্মান) ডিগ্রি।
বেতন স্কেল: ২২,০০০-৫৩, ০৬০ টাকা (নবম গ্রেড)
সহকারী পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তা
পদসংখ্যা: ৬৫ টি
যোগ্যতা: স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অথবা চার বছর মেয়াদের স্নাতক (সম্মান) ডিগ্রি।
বেতন স্কেল: ১৬,০০০-৩৮, ৬৪০ টাকা (দশম গ্রেড)
গবেষণা কর্মকর্তা
পদসংখ্যা: ২ টি
যোগ্যতা: অর্থনীতি বা পরিসংখ্যানে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি।
বেতন স্কেল: ১৬,০০০-৩৮, ৬৪০ টাকা (দশম গ্রেড)
আবেদনের নিয়ম:
আগ্রহী প্রার্থীদের অনলাইনে এই ওয়েবসাইটের মাধ্যমে আবেদন করতে হবে। নিয়োগসংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য পল্লী উন্নয়ন বোর্ডের ওয়েবসাইটে পাওয়া যাবে।
আবেদন ফি:
তিনটি পদের জন্য সার্ভিস চার্জসহ ২২৩ টাকা আবেদন করার ৭২ ঘণ্টার মধ্যে জমা দিতে হবে।
অনগ্রসর নাগরিকেরা এসব পদের জন্য সার্ভিস চার্জসহ ৫৬ টাকা জমা দিতে পারবেন।
আবেদনের শেষ তারিখ: ৪ মে,২০২৫।
গত ১২ জুলাই যাঁরা আবেদন করেছিলেন, তাঁদের নতুন করে আবেদন করার প্রয়োজন নেই।
এই সুবর্ণ সুযোগটি হাতছাড়া করবেন না। আজই আবেদন করুন এবং বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়নের মাধ্যমে দেশের সেবায় নিজেকে নিয়োজিত করুন।

উপজেলা পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তা
পদসংখ্যা: ২৩ টি
যোগ্যতা: প্রথম শ্রেণির স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অথবা দ্বিতীয় শ্রেণির স্নাতক (সম্মান) সহ স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অথবা দ্বিতীয় শ্রেণির চার বছর মেয়াদের স্নাতক (সম্মান) ডিগ্রি।
বেতন স্কেল: ২২,০০০-৫৩, ০৬০ টাকা (নবম গ্রেড)
সহকারী পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তা
পদসংখ্যা: ৬৫ টি
যোগ্যতা: স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অথবা চার বছর মেয়াদের স্নাতক (সম্মান) ডিগ্রি।
বেতন স্কেল: ১৬,০০০-৩৮, ৬৪০ টাকা (দশম গ্রেড)
গবেষণা কর্মকর্তা
পদসংখ্যা: ২ টি
যোগ্যতা: অর্থনীতি বা পরিসংখ্যানে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি।
বেতন স্কেল: ১৬,০০০-৩৮, ৬৪০ টাকা (দশম গ্রেড)
আবেদনের নিয়ম:
আগ্রহী প্রার্থীদের অনলাইনে এই ওয়েবসাইটের মাধ্যমে আবেদন করতে হবে। নিয়োগসংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য পল্লী উন্নয়ন বোর্ডের ওয়েবসাইটে পাওয়া যাবে।
আবেদন ফি:
তিনটি পদের জন্য সার্ভিস চার্জসহ ২২৩ টাকা আবেদন করার ৭২ ঘণ্টার মধ্যে জমা দিতে হবে।
অনগ্রসর নাগরিকেরা এসব পদের জন্য সার্ভিস চার্জসহ ৫৬ টাকা জমা দিতে পারবেন।
আবেদনের শেষ তারিখ: ৪ মে,২০২৫।
গত ১২ জুলাই যাঁরা আবেদন করেছিলেন, তাঁদের নতুন করে আবেদন করার প্রয়োজন নেই।
এই সুবর্ণ সুযোগটি হাতছাড়া করবেন না। আজই আবেদন করুন এবং বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়নের মাধ্যমে দেশের সেবায় নিজেকে নিয়োজিত করুন।

সফট স্কিল ট্রেনিংবিষয়ক প্রতিষ্ঠান শার্পনারের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) নজর-ই-জ্বিলানী তিনটি ভিন্ন ভিন্ন ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করেছেন। তিনি করপোরেট ট্রেইনার হিসেবেও বেশ পরিচিত। সম্প্রতি তিনি আজকের পত্রিকাকে তাঁর করপোরেট জীবনের অভিজ্ঞতার গল্প শুনিয়েছেন। সে গল্প তুলে ধরেছেন মো. খশরু আহসান।
১১ জানুয়ারি ২০২৫
বর্তমান যুগে জ্ঞান বিনিময়ের অন্যতম কার্যকর মাধ্যম হলো প্রেজেন্টেশন। শিক্ষাঙ্গন থেকে শুরু করে করপোরেট দুনিয়া, প্রশাসনিক বৈঠক থেকে শুরু করে গবেষণা সম্মেলন—সব জায়গাতে একটি পরিষ্কার ও গোছানো প্রেজেন্টেশনের প্রয়োজনীয়তা অপরিসীম। কিন্তু শুধু স্লাইড তৈরি করলেই একটি প্রভাবশালী প্রেজেন্টেশন হয় না।
১০ মে ২০২৫
বিজেএস পরীক্ষার জন্য একটি সুসংগঠিত ও দীর্ঘমেয়াদি প্রস্তুতি প্রয়োজন। অনার্স ও মাস্টার্সে যে বিষয়গুলো বিজেএসের সঙ্গে সম্পর্কিত, সেগুলো আগে শেষ করতে হবে। প্রথম দিকে প্রস্তুতি এলোমেলো মনে হতে পারে। কোথা থেকে শুরু করবেন, বুঝতে অসুবিধা হতে পারে। তাই মূল প্রস্তুতি শুরু করুন আইন বিষয় দিয়ে।
১০ মে ২০২৫
বর্তমান প্রতিযোগিতামূলক সমাজে একজন শিক্ষার্থীর সফলতা শুধু পাঠ্যবই-নির্ভর নয়, এর পেছনে লুকিয়ে আছে একটি সুশৃঙ্খল জীবনধারা। একজন শিক্ষার্থীর লাইফস্টাইল যেমন হবে, তার ব্যক্তিত্ব ও ভবিষ্যৎ অনেকটা সেভাবেই গড়ে উঠবে। শিক্ষার্থীরা একটি সুস্থ জীবনধারা যেভাবে গড়ে তুলতে পারে, সে পরামর্শ দিয়েছেন...
২৩ এপ্রিল ২০২৫