আজকের পত্রিকা ডেস্ক
মধ্যপ্রাচ্যের উত্তপ্ত ভূরাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে নতুন করে উদ্বেগ ছড়াচ্ছে হরমুজ প্রণালি। বিশ্বের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ এই সামুদ্রিক বাণিজ্যপথে নৌযান চলাচলে ইলেকট্রনিক হস্তক্ষেপ এবং নেভিগেশন বিভ্রাটের ঘটনা দ্রুতগতিতে বাড়ছে। ফলে শুধু আঞ্চলিক নয়, বৈশ্বিক বাণিজ্য ও জ্বালানি নিরাপত্তাও এখন হুমকির মুখে।
যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন বহুজাতিক যৌথ সামুদ্রিক বাহিনীর অধীনে পরিচালিত জয়েন্ট ম্যারিটাইম ইনফরমেশন সেন্টার এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ইরানের বন্দর আব্বাস বন্দর এলাকা, হরমুজ প্রণালি এবং আরব উপসাগরের বিভিন্ন অংশে বাণিজ্যিক জাহাজের স্বয়ংক্রিয় শনাক্তকরণ ব্যবস্থা ব্যাপকভাবে ব্যাহত হচ্ছে। এতে জাহাজগুলো তাদের সঠিক অবস্থান নির্ধারণ করতে পারছে না, যা জাহাজের চলাচলে মারাত্মক সমস্যা তৈরি করছে।
প্রাণরক্ষাকারী নৌপথ
হরমুজ প্রণালি বিশ্বের গুরুত্বপূর্ণ কৌশলগত সামুদ্রিক চ্যানেলগুলোর একটি। প্রতিদিন এই পথ দিয়ে প্রায় ২১ মিলিয়ন ব্যারেল তেল পরিবাহিত হয়, যা বৈশ্বিক তেল সরবরাহের প্রায় এক-পঞ্চমাংশ। ইরান, সৌদি আরব, কুয়েত, কাতার ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের মতো তেল-গ্যাস রপ্তানিনির্ভর দেশগুলোর জন্য এই পথ জীবনরেখার মতো।
ইলেকট্রনিক বিঘ্নের ফলে এই অঞ্চল দিয়ে চলাচলকারী জাহাজগুলো রুট বিভ্রাট, সংঘর্ষের আশঙ্কা এবং ভুল অবস্থান সংকেতের মতো সমস্যায় পড়ছে। জাহাজ পরিচালনাকারীরা বলছেন, এটি শুধু বাণিজ্য নয়, জাহাজে থাকা নাবিকদের জীবনও ঝুঁকির মুখে ফেলছে।
ইরানের প্রেক্ষাপট ও সন্দেহের তির
বিশ্লেষকেরা বলছেন, এই বৈদ্যুতিক বিঘ্ন একধরনের ইলেকট্রনিক যুদ্ধের কৌশল হতে পারে। অতীতে ইরান একাধিকবার হুমকি দিয়েছে, পশ্চিমা চাপের মুখে তারা প্রয়োজনে হরমুজ প্রণালি সম্পূর্ণ বন্ধ করে দেবে। এই অবস্থায় সাম্প্রতিক ইলেকট্রনিক বিঘ্ন এবং মধ্যপ্রাচ্যে চলমান উত্তেজনা—বিশেষ করে ইসরায়েলের সঙ্গে ইরানের চলমান সংঘাত—এই ঘটনাগুলোর পেছনে ইরানের সম্ভাব্য ভূমিকা নিয়ে আন্তর্জাতিক মহলে প্রশ্ন তুলছে।
তবে তেহরান সরকার এ বিষয়ে এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো মন্তব্য করেনি।
বিশ্ববাজারে প্রতিক্রিয়া
হরমুজ প্রণালিতে নিরাপত্তাজনিত যেকোনো বিপর্যয়ই বিশ্ববাজারে তেলের দামে বড় রকমের প্রভাব ফেলতে পারে। এরই মধ্যে লন্ডন ও নিউইয়র্কের বাজারে অপরিশোধিত তেলের দাম বেড়ে গেছে। আন্তর্জাতিক বাণিজ্য সংস্থাগুলো সতর্ক করে বলেছে, এই সংকট দীর্ঘস্থায়ী হলে তা সরবরাহ শৃঙ্খলা ভেঙে দিতে পারে।
বিশ্বজুড়ে অনেক বাণিজ্যিক শিপিং কোম্পানি রুট পরিবর্তনের কথা ভাবছে, যদিও বিকল্প পথগুলো ব্যয়সাপেক্ষ এবং সময়সাপেক্ষ; পাশাপাশি এই অঞ্চলের বিমা কোম্পানিগুলোও প্রিমিয়াম বাড়িয়ে দিয়েছে।
আন্তর্জাতিক প্রতিক্রিয়া ও আশঙ্কা
যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্সসহ বেশ কয়েকটি পশ্চিমা দেশ এ পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে বলে জানিয়েছে। তারা এ ঘটনার দ্রুত সমাধান চায় এবং আন্তর্জাতিক বাণিজ্যপথে নিরাপত্তা নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়েছে।
বিশ্লেষকদের মতে, হরমুজ প্রণালির বর্তমান সংকট কেবল সামরিক উত্তেজনার ধারক নয়, এটি অর্থনৈতিক যুদ্ধের সূক্ষ্ম এক দিকও হতে পারে। ইলেকট্রনিক হস্তক্ষেপ বা সাইবার হামলা সামরিক বাহিনীর চেয়ে বেসামরিক শিপিং নেটওয়ার্ককে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত করছে, যা আন্তর্জাতিক নৌবাণিজ্যে বড় ধাক্কা।
সমাধানের পথ?
বিকল্প নৌপথ গড়ে তোলা বা প্রযুক্তিগত প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নেওয়া এখন সময়ের দাবি হয়ে উঠেছে। তবে তাৎক্ষণিকভাবে এই সংকট নিরসনে আঞ্চলিক কূটনীতি, নিরাপত্তা জোটগুলোর সমন্বয় এবং আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর সক্রিয় হস্তক্ষেপ প্রয়োজন বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
বিশ্ব এখন তাকিয়ে আছে—হরমুজ প্রণালির জল কতটা উত্তাল হয়, আর তা বিশ্ববাণিজ্যের নৌকা কতটা দোলায়।
মধ্যপ্রাচ্যের উত্তপ্ত ভূরাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে নতুন করে উদ্বেগ ছড়াচ্ছে হরমুজ প্রণালি। বিশ্বের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ এই সামুদ্রিক বাণিজ্যপথে নৌযান চলাচলে ইলেকট্রনিক হস্তক্ষেপ এবং নেভিগেশন বিভ্রাটের ঘটনা দ্রুতগতিতে বাড়ছে। ফলে শুধু আঞ্চলিক নয়, বৈশ্বিক বাণিজ্য ও জ্বালানি নিরাপত্তাও এখন হুমকির মুখে।
যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন বহুজাতিক যৌথ সামুদ্রিক বাহিনীর অধীনে পরিচালিত জয়েন্ট ম্যারিটাইম ইনফরমেশন সেন্টার এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ইরানের বন্দর আব্বাস বন্দর এলাকা, হরমুজ প্রণালি এবং আরব উপসাগরের বিভিন্ন অংশে বাণিজ্যিক জাহাজের স্বয়ংক্রিয় শনাক্তকরণ ব্যবস্থা ব্যাপকভাবে ব্যাহত হচ্ছে। এতে জাহাজগুলো তাদের সঠিক অবস্থান নির্ধারণ করতে পারছে না, যা জাহাজের চলাচলে মারাত্মক সমস্যা তৈরি করছে।
প্রাণরক্ষাকারী নৌপথ
হরমুজ প্রণালি বিশ্বের গুরুত্বপূর্ণ কৌশলগত সামুদ্রিক চ্যানেলগুলোর একটি। প্রতিদিন এই পথ দিয়ে প্রায় ২১ মিলিয়ন ব্যারেল তেল পরিবাহিত হয়, যা বৈশ্বিক তেল সরবরাহের প্রায় এক-পঞ্চমাংশ। ইরান, সৌদি আরব, কুয়েত, কাতার ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের মতো তেল-গ্যাস রপ্তানিনির্ভর দেশগুলোর জন্য এই পথ জীবনরেখার মতো।
ইলেকট্রনিক বিঘ্নের ফলে এই অঞ্চল দিয়ে চলাচলকারী জাহাজগুলো রুট বিভ্রাট, সংঘর্ষের আশঙ্কা এবং ভুল অবস্থান সংকেতের মতো সমস্যায় পড়ছে। জাহাজ পরিচালনাকারীরা বলছেন, এটি শুধু বাণিজ্য নয়, জাহাজে থাকা নাবিকদের জীবনও ঝুঁকির মুখে ফেলছে।
ইরানের প্রেক্ষাপট ও সন্দেহের তির
বিশ্লেষকেরা বলছেন, এই বৈদ্যুতিক বিঘ্ন একধরনের ইলেকট্রনিক যুদ্ধের কৌশল হতে পারে। অতীতে ইরান একাধিকবার হুমকি দিয়েছে, পশ্চিমা চাপের মুখে তারা প্রয়োজনে হরমুজ প্রণালি সম্পূর্ণ বন্ধ করে দেবে। এই অবস্থায় সাম্প্রতিক ইলেকট্রনিক বিঘ্ন এবং মধ্যপ্রাচ্যে চলমান উত্তেজনা—বিশেষ করে ইসরায়েলের সঙ্গে ইরানের চলমান সংঘাত—এই ঘটনাগুলোর পেছনে ইরানের সম্ভাব্য ভূমিকা নিয়ে আন্তর্জাতিক মহলে প্রশ্ন তুলছে।
তবে তেহরান সরকার এ বিষয়ে এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো মন্তব্য করেনি।
বিশ্ববাজারে প্রতিক্রিয়া
হরমুজ প্রণালিতে নিরাপত্তাজনিত যেকোনো বিপর্যয়ই বিশ্ববাজারে তেলের দামে বড় রকমের প্রভাব ফেলতে পারে। এরই মধ্যে লন্ডন ও নিউইয়র্কের বাজারে অপরিশোধিত তেলের দাম বেড়ে গেছে। আন্তর্জাতিক বাণিজ্য সংস্থাগুলো সতর্ক করে বলেছে, এই সংকট দীর্ঘস্থায়ী হলে তা সরবরাহ শৃঙ্খলা ভেঙে দিতে পারে।
বিশ্বজুড়ে অনেক বাণিজ্যিক শিপিং কোম্পানি রুট পরিবর্তনের কথা ভাবছে, যদিও বিকল্প পথগুলো ব্যয়সাপেক্ষ এবং সময়সাপেক্ষ; পাশাপাশি এই অঞ্চলের বিমা কোম্পানিগুলোও প্রিমিয়াম বাড়িয়ে দিয়েছে।
আন্তর্জাতিক প্রতিক্রিয়া ও আশঙ্কা
যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্সসহ বেশ কয়েকটি পশ্চিমা দেশ এ পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে বলে জানিয়েছে। তারা এ ঘটনার দ্রুত সমাধান চায় এবং আন্তর্জাতিক বাণিজ্যপথে নিরাপত্তা নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়েছে।
বিশ্লেষকদের মতে, হরমুজ প্রণালির বর্তমান সংকট কেবল সামরিক উত্তেজনার ধারক নয়, এটি অর্থনৈতিক যুদ্ধের সূক্ষ্ম এক দিকও হতে পারে। ইলেকট্রনিক হস্তক্ষেপ বা সাইবার হামলা সামরিক বাহিনীর চেয়ে বেসামরিক শিপিং নেটওয়ার্ককে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত করছে, যা আন্তর্জাতিক নৌবাণিজ্যে বড় ধাক্কা।
সমাধানের পথ?
বিকল্প নৌপথ গড়ে তোলা বা প্রযুক্তিগত প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নেওয়া এখন সময়ের দাবি হয়ে উঠেছে। তবে তাৎক্ষণিকভাবে এই সংকট নিরসনে আঞ্চলিক কূটনীতি, নিরাপত্তা জোটগুলোর সমন্বয় এবং আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর সক্রিয় হস্তক্ষেপ প্রয়োজন বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
বিশ্ব এখন তাকিয়ে আছে—হরমুজ প্রণালির জল কতটা উত্তাল হয়, আর তা বিশ্ববাণিজ্যের নৌকা কতটা দোলায়।
এক বছরের ব্যবধানে ব্যাংক খাতে প্রভিশন ঘাটতি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬ গুণে। ২০২৪ সালের মার্চ শেষে যেখানে ঘাটতির পরিমাণ ছিল ২৬ হাজার ৫৮৫ কোটি, সেখানে ২০২৫ সালের মার্চ শেষে তা দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ৭০ হাজার ৬৫৫ কোটি টাকায়। অর্থাৎ বছরের ব্যবধানে ঘাটতি বেড়েছে ১ লাখ ৪৪ হাজার কোটি টাকা, যা দেশের ব্যাংকিং খাতে নজিরবিহীন।
৫ ঘণ্টা আগেআনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশে বাণিজ্যিক বিদ্যুৎ রপ্তানি শুরু করেছে নেপাল। এর মাধ্যমে ভারতের সীমা পেরিয়ে আন্তর্জাতিক বিদ্যুৎ বাজারে নেপালের যাত্রার নতুন অধ্যায় সূচিত হলো। গত রোববার থেকে ভারত হয়ে বাংলাদেশে প্রতিদিন ৪০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সরবরাহ করছে নেপাল। এই বিদ্যুৎ রপ্তানি ৫ বছরের একটি...
৫ ঘণ্টা আগেধীরে ধীরে বাড়ছে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ। গতকাল সোমবার পর্যন্ত রিজার্ভের পরিমাণ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৬ দশমিক ১৯ বিলিয়ন ডলার। বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক আরিফ হোসেন খান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
৫ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) নবনির্বাচিত সভাপতি মাহমুদ হাসান খানের নেতৃত্বে নবনির্বাচিত পরিচালনা পর্ষদ ২০২৫-২০২৭ মেয়াদের জন্য দায়িত্ব নিয়েছেন। আজ সোমবার উত্তরায় বিজিএমইএ কমপ্লেক্সে দায়িত্ব গ্রহণ করেন তাঁরা।
১২ ঘণ্টা আগে