Ajker Patrika

বিদেশে বিনিয়োগের নামে ৬০ শতাংশ অর্থই কর স্বর্গে পাঠাচ্ছেন ভারতীয় ব্যবসায়ীরা

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
প্রতীকী ছবি। ছবি: সংগৃহীত
প্রতীকী ছবি। ছবি: সংগৃহীত

ভারতীয় কোম্পানিগুলো বিশ্বের যেসব দেশে কম কর দিতে হয়ে সেগুলোর দিকে নজর দিচ্ছে। এই সুবিধার আওতায় কোম্পানিগুলো স্বল্প কর দিতে হয় এমন দেশগুলোর সুবিধা নিয়ে বিপুল পরিমাণ অর্থ বের করে নিয়ে যাচ্ছেন দেশ থেকে বিনিয়োগ করার নামে। সরকারি তথ্য, কর ও বিনিয়োগ বিশেষজ্ঞরা এই কথা জানিয়েছেন।

ভারতের কেন্দ্রীয় ব্যাংক রিজার্ভ ব্যাংক অব ইন্ডিয়ার নথির ভিত্তিতে বিষয়টি বিশ্লেষণ করে বের করেছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক নিয়মিত ভারতীয় কোম্পানিগুলোর বিদেশি বিনিয়োগের তথ্য ট্র্যাক করে। বিশ্লেষণ থেকে দেখা গেছে, ২০২৩–২৪ অর্থবছরে ভারত থেকে বিদেশে সরাসরি বিনিয়োগের (এফডিআই) নামে যত অর্থ বেরিয়ে গেছে, তার ৫৬ শতাংশই গেছে স্বল্প কর সুবিধার দেশে, যেগুলো বহুলভাবে ‘ট্যাক্স হ্যাভেন বা কর স্বর্গ’ নামে পরিচিত।

এসব দেশের তালিকায় আছে—সংযুক্ত আরব আমিরাত, সিঙ্গাপুর, মরিশাস, নেদারল্যান্ডস, যুক্তরাজ্য ও সুইজারল্যান্ডের মতো দেশ। সোজা কথায়, ২০২৩–২৪ অর্থবছরে বিদেশে এফডিআই—এর নামে বেরিয়ে যাওয়া ৩ হাজার ৪৮৮ দশমিক ৫ কোটি রুপির মধ্যে ১ হাজার ৯৪৬ কোটি রুপি গেছে ট্যাক্স হ্যাভেন।

এমনকি, এর মধ্যে আবার ৪০ শতাংশের বেশি গেছে—সিঙ্গাপুর (২২ দশমিক ৬ শতাংশ), মরিশাস (১০ দশমিক ৯ শতাংশ) এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতে (৯ দশমিক ১ শতাংশ)। চলতি অর্থবছরে এই প্রবণতা আরও তীব্র হয়েছে বলে মনে হচ্ছে। প্রথম প্রান্তিকে ভারতের মোট সরাসরি বৈদেশিক বিনিয়োগের ৬৩ শতাংশই গেছে এসব স্বল্প কর সুবিধার দেশগুলোতে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন—শুধু কর বাঁচানোর জন্য নয়, কৌশলগত কারণে ভারতীয় কোম্পানিগুলো এসব কম করের দেশ বেছে নিচ্ছে। বাজার বিশ্লেষক প্রতিষ্ঠান গ্রান্ট থর্নটন ভারতের পার্টনার রিয়াজ থিংনা বলেন, ‘যদি ভারতীয় কোম্পানিগুলো বিদেশে বিনিয়োগ করে, তাহলে এসব দেশে কোম্পানি গড়ে নেওয়া অনেক ক্ষেত্রেই যৌক্তিক।’

তিনি বলেন, কোনো ভারতীয় কোম্পানি যদি ইউরোপ, যুক্তরাষ্ট্র বা অন্য কোথাও কোনো সহযোগী প্রতিষ্ঠান গড়তে চায়, তাহলে সিঙ্গাপুর বা একই ধরনের দেশে একটি বিশেষ উদ্দেশ্যমূলক প্রতিষ্ঠান (এসপিভি) গড়ে তা করা সহজ হয়। এতে কৌশলগত বিনিয়োগকারী পাওয়া যায়, আবার শেয়ার কমানোর সময় কর–সংক্রান্ত সুবিধাও পাওয়া যায়।

থিংনার মতে, এসব দেশে নিয়মিত তহবিল ও বিনিয়োগ স্থানান্তরও অনেক বেশি সহজ। ফলে এগুলো কেবল কর ফাঁকি বা কর এড়ানোর জন্যই ব্যবহৃত হয় না। অনেক সময় এসব দেশকে তৃতীয় কোনো দেশে বিনিয়োগের প্ল্যাটফর্ম হিসেবেও ব্যবহার করা হয়।

ইওয়াই ইন্ডিয়ার ট্যাক্স পার্টনার বৈভব লুথরা বলেন, রিজার্ভ ব্যাংক অব ইন্ডিয়ার তথ্য চূড়ান্ত বিনিয়োগ গন্তব্য দেখায় না, কেবল প্রথম স্তরের বিনিয়োগ দেখায়। লুথরার মতে, এসব স্বল্প করের দেশগুলো শুধু কর–সুবিধা নয়, করের স্থিতিশীলতাও দেয়। এর বাইরে বিদেশে বিনিয়োগ করতে ইচ্ছুক ভারতীয় কোম্পানিগুলোর জন্য এগুলো আরও নানা সুবিধা নিয়ে আসে।

তিনি বলেন, ‘প্রায়ই তহবিল সংগ্রহ বা কোনো বিনিয়োগকারী যুক্ত হওয়ার ক্ষেত্রে তাঁরা এ ধরনের মধ্যবর্তী দেশে আসতে বেশি আগ্রহী হন। পাশাপাশি, মাঝখানে একটি সংস্থা থাকলে ভারতীয় মূল কোম্পানিটিও সুরক্ষিত থাকে।’ তিনি আরও বলেন, ‘বিদেশি কোম্পানিগুলো ভারত নয়, বরং এসব স্বল্প করের দেশে যৌথ উদ্যোগ গড়তে বেশি আগ্রহী।’

থিংনা ব্যাখ্যা করেন, ‘যদি কোনো ভারতীয় কোম্পানি কৌশলগত অংশীদার খোঁজে, তবে বিদেশি অংশীদাররা ভারতের কঠিন এফডিআই নীতি, করনীতি এবং অন্যান্য জটিলতার কারণে সরাসরি ভারতীয় প্রতিষ্ঠানে নয়, বরং সিঙ্গাপুর বা অনুরূপ দেশে বিনিয়োগ করতেই স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন।’

ভারতের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্যও এই প্রবণতা দেখাচ্ছে। সর্বশেষ, জুলাই ২০২৫–এর তথ্য অনুযায়ী, এসব স্বল্প করের দেশে ভারতীয় কোম্পানিগুলোর মোট বিনিয়োগের প্রায় ৬০ শতাংশই যৌথ উদ্যোগে গেছে। থিংনা মনে করেন, যুক্তরাষ্ট্র ভারতের আমদানি পণ্যে যে উচ্চ শুল্ক আরোপ করেছে, তা অব্যাহত থাকলে ভারতীয় কোম্পানিগুলো বিদেশে বিনিয়োগে উদ্বুদ্ধ হতে পারে।

তিনি বলেন, ‘অনেক কোম্পানি ভারত ছাড়া অন্য কোথাও সহযোগী প্রতিষ্ঠান গড়ে সেখানে মূল্য সংযোজন করতে পারে। এতে ভারতীয় পণ্যের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের কঠোর শুল্ক আরোপ থেকে রেহাই পাওয়া সম্ভব হবে।’ তিনি যোগ করেন, ‘এখনো তা ঘটেনি, কারণ শুল্ক সম্প্রতি আরোপ করা হয়েছে। তবে ভবিষ্যতে এটা ঘটতে পারে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

আরও দুই মিত্র হারালেন মাদুরো, লাতিনে ভেনেজুয়েলার পাশে এখন কারা

সম্মিলিত ইসলামী ব্যাংক উদ্বোধন বৃহস্পতিবার, তোলা যাবে ২ লাখ টাকা

তালাকের ১ মাসের মাথায় ফের বিয়ে করলেন ত্বহা-সাবিকুন

খালেদা জিয়াকে দেখতে হাসপাতালে গেলেন ৩ বাহিনীর প্রধানেরা

হঠাৎ বিদেশে শাহবাজ শরিফ, সেনাপ্রধান আসিম মুনিরকে সিডিএফ নিয়োগ নিয়ে বিড়ম্বনায় পাকিস্তান

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

৫০০ টাকার নতুন নোট বাজারে আসছে

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
৫০০ টাকার নতুন নোট। ছবি: বাংলাদেশ ব্যাংক
৫০০ টাকার নতুন নোট। ছবি: বাংলাদেশ ব্যাংক

বাংলাদেশ ব্যাংক এবার নতুন নকশার ৫০০ টাকার নোট বাজারে ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ঘোষণা অনুযায়ী আগামী বৃহস্পতিবার (৪ ডিসেম্বর) থেকে বাজারে পাওয়া যাবে এই নতুন নকশার নোট। ওই দিন থেকে এই নোট বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে সরবরাহ শুরু হবে।

আজ মঙ্গলবার (২ নভেম্বর) বাংলাদেশ ব্যাংক এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।

বাংলাদেশ ব্যাংক জানায়, গভর্নর স্বাক্ষরিত ৫০০ টাকা মূল্যমান ব্যাংক নোটের সম্মুখভাগের বাম পাশে ঢাকার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের ছবি, মাঝখানে ব্যাকগ্রাউন্ডে পাতা-কলিসহ প্রস্ফুটিত জাতীয় ফুল শাপলার ছবি এবং নোটের পেছন ভাগে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট, ঢাকার ছবি মুদ্রিত রয়েছে। নোটে জলছাপ হিসেবে রয়েল বেঙ্গল টাইগারের মুখ, এর নিচে উজ্জ্বল ইলেকট্রো টাইপ জলছাপে ৫০০ ও বাংলাদেশ ব্যাংকের মনোগ্রাম রয়েছে। নোটটিতে সবুজ রঙের আধিক্য রয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, নোটটিতে ১০ ধরনের নিরাপত্তা সংযোজন করা হয়েছে। নোটের সম্মুখভাগের ডান দিকে কোণায় মুদ্রিত মূল্যমান ৫০০ রং পরিবর্তনশীল উন্নতমানের নিরাপত্তা কালি দ্বারা মুদ্রিত। নোটটি নড়াচড়া করলে এর রং সবুজ থেকে নীলে পরিবর্তিত হবে এবং মূল্যমানের ভেতরে কোনাকুনিভাবে মুদ্রিত ৫০০ লেখাটি দৃশ্যমান হয়।

নোটটির সম্মুখভাগের বাম পাশে চওড়া লাল রং ও উজ্জ্বল স্বর্ণালি বার এর সমন্বয়ে প্যাঁচানো নিরাপত্তা সুতা রয়েছে। নোটটি নড়াচড়া করলে লাল অংশ সবুজ রঙে পরিবর্তিত হবে। আর ৫০০ টাকার নোট আলোর বিপরীতে ধরলে দৃশ্যমান হবে এবং স্বর্ণালি বার অংশ একটি উজ্জ্বল রংধনুর রঙের বারে রূপান্তরিত হয়ে ওপর থেকে নিচে চলতে দেখা যাবে। দৃষ্টিপ্রতিবন্ধীদের জন্য নোটের সম্মুখভাগের ডান দিকে নিচে পাঁচটি ছোট বৃত্ত রয়েছে, যা হাতের স্পর্শে অসমতল অনুভূত হয়।

নোটের কালিতে মুদ্রিত অংশসমূহ হাতের স্পর্শে অসমতল অনুভব করা যাবে। কালিতে মুদ্রিত অংশসমূহের মধ্যে রয়েছে নোটের সম্মুখভাগের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

আরও দুই মিত্র হারালেন মাদুরো, লাতিনে ভেনেজুয়েলার পাশে এখন কারা

সম্মিলিত ইসলামী ব্যাংক উদ্বোধন বৃহস্পতিবার, তোলা যাবে ২ লাখ টাকা

তালাকের ১ মাসের মাথায় ফের বিয়ে করলেন ত্বহা-সাবিকুন

খালেদা জিয়াকে দেখতে হাসপাতালে গেলেন ৩ বাহিনীর প্রধানেরা

হঠাৎ বিদেশে শাহবাজ শরিফ, সেনাপ্রধান আসিম মুনিরকে সিডিএফ নিয়োগ নিয়ে বিড়ম্বনায় পাকিস্তান

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

সম্মিলিত ইসলামী ব্যাংক উদ্বোধন বৃহস্পতিবার, তোলা যাবে ২ লাখ টাকা

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ০২ ডিসেম্বর ২০২৫, ২১: ২৮
সম্মিলিত ইসলামী ব্যাংক উদ্বোধন বৃহস্পতিবার, তোলা যাবে ২ লাখ টাকা

বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে চূড়ান্ত অনুমোদনের মাধ্যমে ‘সম্মিলিত ইসলামী ব্যাংক’-এর কার্যক্রম শুরু হয়েছে। আজ মঙ্গলবার (২ নভেম্বর) থেকে ব্যাংকটির কার্যক্রম চালু হয়। পাঁচ ব্যাংক নিয়ে গঠিত সম্মিলিত ইসলামী ব্যাংকের আমানতকারীরা চাইলে আগামী রোববার থেকে দুই লাখ টাকা পর্যন্ত তুলতে পারবেন।

আজ দুপুরে গভর্নরের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে এসব কথা বলেন ব্যাংকটির চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ আইয়ুব মিয়া।

আইয়ুব মিয়া বলেন, ব্যাংকের ভিশন-মিশন, আইনকানুন ও সার্বিক কার্যক্রম পর্যালোচনা করাই ছিল বৈঠকের মূল উদ্দেশ্য। সামনে একটি পূর্ণাঙ্গ ব্যাংক হিসেবে প্রতিষ্ঠা এবং আইনসম্মতভাবে পাঁচটি ব্যাংককে একীভূত করার কাজ এগিয়ে নেওয়া হবে।

বাংলাদেশ ব্যাংক আশা করছে, পাঁচ ব্যাংক একীভূত করে গঠিত এই নতুন প্রতিষ্ঠান দেশজুড়ে ইসলামি ব্যাংকিং খাতের অস্থিরতা কাটাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। আগামী সপ্তাহ থেকে দুই লাখ টাকা পর্যন্ত আমানত ফেরত দেওয়ার কাজ শুরু হবে এবং উচ্চ অঙ্কের আমানত ফেরতের জন্য রোডম্যাপ তৈরি করা হচ্ছে।

এর আগে, গত রোববার গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুরের সভাপতিত্বে বিশেষ বোর্ড সভায় সমস্যাগ্রস্ত পাঁচটি ইসলামি ব্যাংক—ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক, গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক, সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক, এক্সিম ব্যাংক ও ইউনিয়ন ব্যাংক—একীভূত করে নতুন ব্যাংক গঠনের সিদ্ধান্ত হয়। পরে আনুষ্ঠানিক লাইসেন্স হস্তান্তর করে বাংলাদেশ ব্যাংক।

মতিঝিলের সেনাকল্যাণ ভবনে স্থাপিত প্রধান কার্যালয়ে দাপ্তরিক কার্যক্রম শুরু হয়েছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার সংবাদ সম্মেলনে গভর্নর আহসান এইচ মনসুর নতুন ব্যাংকের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন ঘোষণা করবেন।

সম্মিলিত ইসলামী ব্যাংক পিএলসির পরিশোধিত মূলধন নির্ধারণ করা হয়েছে ৩৫ হাজার কোটি টাকা। যার মধ্যে সরকার দিচ্ছে ২০ হাজার কোটি এবং আমানতকারীদের শেয়ার থেকে আসবে বাকি ১৫ হাজার কোটি টাকা। অনুমোদিত মূলধন রাখা হয়েছে ৪০ হাজার কোটি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

আরও দুই মিত্র হারালেন মাদুরো, লাতিনে ভেনেজুয়েলার পাশে এখন কারা

সম্মিলিত ইসলামী ব্যাংক উদ্বোধন বৃহস্পতিবার, তোলা যাবে ২ লাখ টাকা

তালাকের ১ মাসের মাথায় ফের বিয়ে করলেন ত্বহা-সাবিকুন

খালেদা জিয়াকে দেখতে হাসপাতালে গেলেন ৩ বাহিনীর প্রধানেরা

হঠাৎ বিদেশে শাহবাজ শরিফ, সেনাপ্রধান আসিম মুনিরকে সিডিএফ নিয়োগ নিয়ে বিড়ম্বনায় পাকিস্তান

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

যুক্তরাষ্ট্র থেকে ৯ কোটি ডলারের গম কিনছে সরকার, এবার টনপ্রতি ১০৭ ডলার বেশি

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ০২ ডিসেম্বর ২০২৫, ২১: ৪৩
ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত

যুক্তরাষ্ট্র থেকে আরও ২ লাখ ২০ হাজার টন গম আমদানি করবে সরকার। দরপত্র ছাড়া সরকার বনাম সরকার (জিটুজি) ভিত্তিতে এ গম কেনা হবে। এবার প্রতি টনের মূল্য পড়ছে ৪০৯ দশমিক ৫০ মার্কিন ডলার, যা সর্বমোট ৯ কোটি ৯০ হাজার ডলার। টাকার হিসাবে ২০১ কোটি ১৪ লাখের বেশি।

আজ মঙ্গলবার অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয়-সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠকে খাদ্য অধিদপ্তরের এ প্রস্তাব অনুমোদন পায়। সিঙ্গাপুর থেকে অনলাইনে সভায় যুক্ত ছিলেন অর্থ উপদেষ্টা।

গত ১ আগস্ট যুক্তরাষ্ট্রের পাল্টা শুল্ক ৩৫ থেকে কমে ২০ শতাংশ হওয়ার দুই সপ্তাহ আগে ইউএস হুইট অ্যাসোসিয়েটসের সঙ্গে বৈঠক করে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। এরপর জিটুজি ভিত্তিতে সরাসরি গম আমদানির প্রস্তাব গত ২৪ জুলাই অর্থনৈতিক বিষয়-সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি নীতিগতভাবে অনুমোদন দেয়। তখন থেকেই দেশটি থেকে সরাসরি গম আমদানি করা হচ্ছে।

এর আগে জুলাই মাসে যুক্তরাষ্ট্র থেকে প্রতি টন গম কেনা হয়েছিল ৩০২ দশমিক ৭৫ ডলারে। সে হিসাবে এবার প্রতি টনে প্রায় ১০৭ ডলার বেশি খরচ হচ্ছে সরকারের।

একই ক্রয় কমিটির সভায় সরকার সংযুক্ত আরব আমিরাত ও মরক্কো থেকে মোট ৮০ হাজার টন সার আমদানির অনুমোদন দিয়েছে। এতে ব্যয় হবে ৫৩৬ কোটি ৪৭ লাখ ৩৯ হাজার ৪০ টাকা। এর মধ্যে ৪০ হাজার টন ইউরিয়া এবং ৪০ হাজার টন ডিএপি সার আমদানি করা হবে। এ ছাড়া কৃষি মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাব অনুযায়ী, মরক্কোর ওসিপি নিউট্রিক্রপস থেকে ৪০ হাজার টন ডিএপি সার আমদানিরও অনুমোদন দিয়েছে কমিটি। এতে ব্যয় হবে ৩৩৫ কোটি ৩২ লাখ ৭৫ হাজার ৪০ টাকা। প্রতি টনের দাম ধরা হয়েছে ৬৮২ দশমিক ৬৭ ডলার।

এ ছাড়া সোনারগাঁ সিডস ক্রাশিং লিমিটেড থেকে ৫ লাখ লিটার সয়াবিন তেল এবং তামিম অ্যাগ্রো ও মজুমদার ব্র্যান অয়েল থেকে মোট ১ কোটি লিটার রাইস ব্র্যান তেল কেনার প্রস্তাব অনুমোদিত হয়। সয়াবিন তেলের দাম লিটার ১৭৯ দশমিক ৮৫ এবং রাইস ব্র্যান তেলের মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে লিটারপ্রতি ১৬১ টাকা।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

আরও দুই মিত্র হারালেন মাদুরো, লাতিনে ভেনেজুয়েলার পাশে এখন কারা

সম্মিলিত ইসলামী ব্যাংক উদ্বোধন বৃহস্পতিবার, তোলা যাবে ২ লাখ টাকা

তালাকের ১ মাসের মাথায় ফের বিয়ে করলেন ত্বহা-সাবিকুন

খালেদা জিয়াকে দেখতে হাসপাতালে গেলেন ৩ বাহিনীর প্রধানেরা

হঠাৎ বিদেশে শাহবাজ শরিফ, সেনাপ্রধান আসিম মুনিরকে সিডিএফ নিয়োগ নিয়ে বিড়ম্বনায় পাকিস্তান

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

বাংলাদেশ থেকে আরও বেশি পোশাক কিনতে চায় পোলিশ জায়ান্ট এলপিপি এসএ

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আজ মঙ্গলবার বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সংগঠনের (বিজিএমইএ) সভাপতি মাহমুদ হাসান খানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন পোলিশ জায়ান্ট এলপিপি এসএর প্রকিউরমেন্ট ডিরেক্টর জোয়ানা সিকোরস্কা। ছবি: আজকের পত্রিকা
আজ মঙ্গলবার বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সংগঠনের (বিজিএমইএ) সভাপতি মাহমুদ হাসান খানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন পোলিশ জায়ান্ট এলপিপি এসএর প্রকিউরমেন্ট ডিরেক্টর জোয়ানা সিকোরস্কা। ছবি: আজকের পত্রিকা

বিশ্বখ্যাত পোলিশ পোশাক ব্র্যান্ড এলপিপি এসএ বাংলাদেশ থেকে পোশাক সোর্সিং উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়ানোর বিষয়ে আগ্রহ প্রকাশ করেছে। ব্র্যান্ডটির প্রকিউরমেন্ট ডিরেক্টর জোয়ানা সিকোরস্কা আজ মঙ্গলবার বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সংগঠনের (বিজিএমইএ) সভাপতি মাহমুদ হাসান খানের সঙ্গে সাক্ষাৎকালে এই আগ্রহ প্রকাশ করেন।

আজ রাজধানীর বিজিএমইএ কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এ বৈঠকে বিজিএমইএর পক্ষে আলোচনায় অংশ নেন সিনিয়র সহসভাপতি ইনামুল হক খান, সহসভাপতি (অর্থ) মিজানুর রহমান, পরিচালক শাহ রাঈদ চৌধুরী, পরিচালক মো. হাসিব উদ্দিন, পরিচালক নাফিস-উদ-দৌলা ও পরিচালক জোয়ারদার মোহাম্মদ হোসনে কমার আলম।

বৈঠকে এলপিপি এসএর প্রতিনিধিরা জানান, তাঁরা বাংলাদেশ থেকে আউটারওয়্যার, হেভি নিট, মেনস আন্ডারওয়্যার ও জগার্সের মতো পণ্যগুলোর সোর্সিং বাড়ানোর ক্ষেত্রে বিজিএমইএর সঙ্গে নিবিড়ভাবে কাজ করতে আগ্রহী।

আলোচনায় দীর্ঘমেয়াদি অংশীদারত্ব স্থাপন, সাপ্লাই চেইনে স্থিতিশীলতা ও স্বচ্ছতা নিশ্চিতকরণ এবং বাংলাদেশের পোশাকশিল্পের সক্ষমতা বাড়ানোর ওপর জোর দেওয়া হয়। পাশাপাশি ক্ষুদ্র ও মাঝারি কারখানাগুলোকে (এসএমই প্রতিষ্ঠানগুলো) আরএসসিতে অন্তর্ভুক্ত করার মাধ্যমে সরাসরি রপ্তানির সুযোগ তৈরি করার বিষয়েও উভয় পক্ষ আলোচনা করে।

উল্লেখ্য যে, এলপিপি এসএ বর্তমানে বাংলাদেশ থেকে বছরে ৭৭০ মিলিয়ন ডলারের পোশাক সংগ্রহ করে। বাংলাদেশকে তাদের সবচেয়ে বড় সোর্সিং হাব মনে করে এবং তাদের পছন্দের তালিকার শীর্ষে রয়েছে বাংলাদেশ।

এলপিপি এসএর প্রকিউরমেন্ট ডিরেক্টর জোয়ানা সিকোরস্কা বলেন, ‘বাংলাদেশ আমাদের জন্য একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সোর্সিং হাব। আমরা এখানে আমাদের ব্যবসায়িক ভিত্তি আরও শক্তিশালী করতে আগ্রহী এবং আমাদের সাপ্লাই চেইনে স্থিতিশীলতা বজায় রাখার জন্য কাজ করে যাব।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

আরও দুই মিত্র হারালেন মাদুরো, লাতিনে ভেনেজুয়েলার পাশে এখন কারা

সম্মিলিত ইসলামী ব্যাংক উদ্বোধন বৃহস্পতিবার, তোলা যাবে ২ লাখ টাকা

তালাকের ১ মাসের মাথায় ফের বিয়ে করলেন ত্বহা-সাবিকুন

খালেদা জিয়াকে দেখতে হাসপাতালে গেলেন ৩ বাহিনীর প্রধানেরা

হঠাৎ বিদেশে শাহবাজ শরিফ, সেনাপ্রধান আসিম মুনিরকে সিডিএফ নিয়োগ নিয়ে বিড়ম্বনায় পাকিস্তান

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত