Ajker Patrika

অস্ট্রেলিয়া থেকে ইসরায়েল, বিশ্বজুড়ে আদানির যত প্রকল্প

আপডেট : ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ১১: ৩৮
ইসরায়েলের হাইফা বন্দর। ছবি: উইকিপিডিয়া
ইসরায়েলের হাইফা বন্দর। ছবি: উইকিপিডিয়া

ভারতের আদানি গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা গৌতম আদানিকে ২৬৫ মিলিয়ন ডলার ঘুষ কেলেঙ্কারির অভিযোগে অভিযুক্ত করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রসিকিউটররা। এর পরপরই কেনিয়ায় গ্রুপটির দুটি বড় প্রকল্প বাতিল হয়ে গেছে। যদিও আদানি গ্রুপ তাদের বিরুদ্ধে ওঠা সব অভিযোগ অস্বীকার করেছে।

ঘুষের অভিযোগ মূলত ভারত সরকারের সঙ্গে সৌরবিদ্যুৎ চুক্তি নিয়ে। বেশি দামে বিদ্যুৎ কেনার জন্য সরকারি কর্মকর্তাদের ঘুষ দেওয়ার অভিযোগ তাদের বিরুদ্ধে।

বিশ্বব্যাপী বিভিন্ন দেশে আদানি গ্রুপের আরও বড় বড় প্রকল্প রয়েছে। এর মধ্যে বাংলাদেশ অন্যতম। ঘুষ কেলেঙ্কারি প্রকাশের পর আদানির শেয়ার দরে ব্যাপক পতন হয়েছে। এখন বিনিয়োগ হারানোর ঝুঁকিতে পড়েছে ভারতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আশীর্বাদপুষ্ট আদানি গ্রুপ। এতে করে তাদের ঋণদাতা প্রতিষ্ঠানগুলোও বিপাকে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

আদানি গ্রুপের প্রধান আন্তর্জাতিক প্রকল্পগুলোর একটি তালিকা এখানে দেওয়া হলো:

ইসরায়েলের হাইফা বন্দর

ভারতের বৃহত্তম বেসরকারি বন্দর অপারেটর আদানি পোর্টস ইসরায়েলের উত্তরাঞ্চলের হাইফা বন্দরের ৭০ শতাংশের মালিক এবং বাকি অংশ ইসরায়েলের গাদোত গ্রুপের মালিকানায়।

২০২৩ সালের শুরুতে এই বন্দর ১ দশমিক ২ বিলিয়নে কেনা হয়, যা টার্মিনাল এবং মধ্যপ্রাচ্যের অন্যান্য অঞ্চল, বিশেষ করে সৌদি আরব, যাদের সঙ্গে ইসরায়েলের কূটনৈতিক সম্পর্ক নেই, তাদের মধ্যে একটি বাণিজ্যিক গেটওয়ে তৈরির আশাকে পুনরুজ্জীবিত করেছে।

হাইফা বন্দর আদানি পোর্টসের বার্ষিক কার্গো ভলিউমের ৩ শতাংশের জন্য দায়ী।

অস্ট্রেলিয়ার কারমাইকেল খনি

আদানি গ্রুপ ২০১০ সালে অস্ট্রেলিয়ার কুইন্সল্যান্ডে বিতর্কিত কারমাইকেল কয়লাখনির প্রকল্পটি কিনে নেয়।

জলবায়ুকর্মীদের সাত বছরের প্রতিবাদের মুখে প্রকল্পটি থেকে ব্যাংকার, বিমা প্রতিষ্ঠান এবং প্রকৌশল কোম্পানিগুলো নিজেদের সরিয়ে নেয়, যা গ্রিন হাউস পরিবেশবাদীরা এই প্রকল্প নিয়ে গ্রিন হাউস গ্যাস নির্গমন ও গ্রেট ব্যারিয়ার রিফের ক্ষতির বিষয়ে উদ্বেগ জানিয়ে আসছিলেন।

২০২১ সালের ডিসেম্বরে প্রথম কার্গো পাঠানোর আগে পর্যন্ত এই খনি সচল হতে পারেনি।

খনির বার্ষিক উৎপাদন সক্ষমতা ১০ মিলিয়ন টন। অবশ্য এটি পূর্বে পরিকল্পিত ৬০ মিলিয়নের তুলনায় অনেক কম।

গ্রুপটি অস্ট্রেলিয়ায় তাদের কয়লা ইউনিটে বর্ণবাদের অভিযোগের মুখোমুখিও হয়েছে। সেখানে একটি আদিবাসী গোষ্ঠী মানবাধিকার কমিশনে অভিযোগও দিয়েছে।

শ্রীলঙ্কার কলম্বো বন্দর

আদানি পোর্টস শ্রীলঙ্কার রাজধানী কলম্বোর একটি নতুন কনটেইনার টার্মিনাল প্রকল্পের ৫১ শতাংশের মালিক।

২০২১ সালে ওয়েস্ট কনটেইনার ইন্টারন্যাশনাল টার্মিনাল উন্নয়নের জন্য একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়, যা শ্রীলঙ্কার জন কিলস হোল্ডিংস এবং শ্রীলঙ্কার বন্দর কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যৌথভাবে পরিচালিত হবে।

গত বছর এই প্রকল্পের জন্য মার্কিন আন্তর্জাতিক উন্নয়ন অর্থায়ন করপোরেশনের মাধ্যমে ৫৫৩ মিলিয়ন ডলার তহবিল সংগ্রহ করা হয়েছিল।

বাংলাদেশে বিদ্যুৎ প্রকল্প

আদানি পাওয়ার পূর্ব ভারতের ঝাড়খণ্ড রাজ্যে ১ হাজার ৬০০ মেগাওয়াট ক্ষমতার গড্ডা প্ল্যান্ট থেকে শুধু বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ করে। বাংলাদেশেও তাদের বিরুদ্ধে বিদ্যুতের দাম বেশি রাখার অভিযোগ রয়েছে।

২০২৩ সালের এপ্রিল সরবরাহ শুরু হয়। তবে বকেয়া পরিশোধ না করায় আদানি পাওয়ার সম্প্রতি দ্বিতীয়বার সরবরাহ বন্ধ করেছে। বাংলাদেশ সরকারের কাছে তাদের পাওনা ৮০০ মিলিয়ন ডলারেরও বেশি। চলমান রাজনৈতিক সংকটের মধ্যে সরকার এটি পরিশোধের জন্য এরই মধ্যে এলসি খুলেছে।

বিদেশি জলবিদ্যুৎ প্রকল্প

আদানি গ্রুপ আগামী কয়েক বছরের মধ্যে ১০ গিগাওয়াট জলবিদ্যুৎ প্রকল্প তৈরির পরিকল্পনা করছে।

গ্রুপটি নেপাল, ভুটান, কেনিয়া, তানজানিয়া, ফিলিপাইন এবং ভিয়েতনামের মতো দেশগুলোতে জলবিদ্যুৎ প্রকল্প নির্মাণের সম্ভাবনা খতিয়ে দেখছে।

তানজানিয়া

এ বছর আদানি পোর্টসের একটি ইউনিট তানজানিয়ার রাজধানী দারুস সালামের প্রধান কনটেইনার টার্মিনাল ৩০ বছরের জন্য পরিচালনার একটি চুক্তি স্বাক্ষর করেছে।

এই ইউনিটটি আবু ধাবি ভিত্তিক এডি পোর্টস গ্রুপ এবং ইস্ট আফ্রিকা গেটওয়ের সঙ্গে যৌথভাবে একটি ভেঞ্চার গঠন করেছে। তারা ৩৯ দশমিক ৫ মিলিয়ন ডলারে টার্মিনালের ৯৫ শতাংশের শেয়ার কিনেছে।

ভিয়েতনাম

আদানি গ্রুপ দক্ষিণ–পূর্ব এশিয়ার দেশটির দুটি বিমানবন্দরে বিনিয়োগের কথা বিবেচনা করছে। ভিয়েতনামের সরকার গত জুলাই মাসে এ তথ্য জানিয়েছে।

ভিয়েতনামের সরকার গত বছর আরও বলেছিল যে, আদানি গ্রুপ সমুদ্রবন্দর এবং নবায়নযোগ্য জ্বালানি প্রকল্পে ৩ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের কথা ভাবছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

প্রযুক্তিগত উদ্ভাবন ও কর্মীদের সাফল্য উদ্‌যাপনে আবুল খায়ের স্টিলের ‘একেএস-একসাথে আগামীর পথে’

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশের সর্বোচ্চ ইস্পাত উৎপাদনক্ষমতাসম্পন্ন প্রতিষ্ঠান আবুল খায়ের স্টিল (একেএস) ৬ ডিসেম্বর তাদের সব কর্মীকে নিয়ে ‘একেএস-একসাথে আগামীর পথে’ শীর্ষক একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিল। দিনব্যাপী এই উৎসবমুখর ও জাঁকজমকপূর্ণ আয়োজনে দেশের প্রতিটি স্থান থেকে আবুল খায়ের স্টিলের সব কর্মকর্তা ও কর্মচারী উপস্থিত ছিলেন।

সূচনা বক্তব্যের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করা হয়। নামাজ ও খাবারের বিরতির পর একেএসের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা সবার উদ্দেশে অনুপ্রেরণামূলক বক্তব্য দেন। বক্তব্যে কোম্পানির সাম্প্রতিক অর্জন ও মাইলফলকগুলো তুলে ধরা হয়। এর মধ্যে রয়েছে—দেশের সবচেয়ে শক্তিশালী রড একেএস টিএমটি বি৭০০ সি-আরের সফল উৎপাদন। বিশ্বের দ্রুততম রোলিং মিল স্থাপন। একেএস এবং কাউ ব্র্যান্ড কালার কোটেড স্টিলের মর্যাদাপূর্ণ সুপারব্র্যান্ড অ্যাওয়ার্ড অর্জন।

এই আলোচনায় প্রযুক্তিগত উদ্ভাবন এবং কর্মীদের সম্মিলিত সাফল্যের প্রতিচ্ছবিও উঠে আসে।

সন্ধ্যায় আয়োজিত সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও র‍্যাফেল ড্র পর্বটি উদ্‌যাপনকে আরও প্রাণবন্ত করে তোলে। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে কিংবদন্তি শিল্পী জেমসের মনোমুগ্ধকর পরিবেশনা ও লেজার শো উপস্থিত সবাইকে মাতিয়ে রাখে।

সমাপনী ভাষণে একেএস পরিবারের প্রত্যেক সদস্যকে অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকার জন্য ধন্যবাদ জানান হয়। এরপর নৈশভোজ ও ডিজে সেশনের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ইসলামী ব্যাংকের বোর্ড সভা অনুষ্ঠিত

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত

ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির পরিচালনা পরিষদের বোর্ড সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল সোমবার (৮ ডসিম্বের) ইসলামী ব্যাংক টাওয়ারে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়। ব্যাংকের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. এম জুবায়দুর রহমান এতে সভাপতিত্ব করেন।

সভায় এক্সিকিউটিভ কমিটির চেয়ারম্যান মোহাম্মদ খুরশীদ ওয়াহাব, অডিট কমিটির চেয়ারম্যান মো. আবদুস সালাম, এফসিএ, এফসিএস, রিস্ক ম্যানেজমেন্ট কমিটির চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. এম মাসুদ রহমান, স্বতন্ত্র পরিচালক মো. আবদুল জলিল, ম্যানেজিং ডাইরেক্টর মো. ওমর ফারুক খাঁন, শরী’আহ সুপারভাইজরি কাউন্সলিরে সদস্য সচিব প্রফেসর ড. মুহাম্মাদ আব্দুস সামাদ এবং কোম্পানি সেক্রেটারি মো. হাবিবুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ব্যাংকের নিট মুনাফা ছাড়া উৎসাহ বোনাস বন্ধ

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
বাংলাদেশ ব্যাংক। ফাইল ছবি
বাংলাদেশ ব্যাংক। ফাইল ছবি

কর ও সঞ্চিতি সংরক্ষণের পর নিট মুনাফা অর্জন না করলে কোনো ব্যাংকই আর উৎসাহ বোনাস দিতে পারবে না। পাশাপাশি মূলধন সংরক্ষণ ঘাটতি, প্রভিশন ঘাটতি বা পুঞ্জীভূত মুনাফা থেকেই বোনাস দেওয়ার পথও পুরোপুরি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।

আজ মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় ব্যাংক এ-সংক্রান্ত একটি সার্কুলার জারি করে সব ব্যাংকে পাঠানো হয়েছে।

সার্কুলারে বলা হয়, ব্যাংকিং খাতের বর্তমান পরিস্থিতিতে আনরিয়েলাইজড বা নগদায়ন না করা আয়ের ভিত্তিতে বোনাস দেওয়া আর্থিক শৃঙ্খলা ও সুশাসনের পরিপন্থী। তাই এখন থেকে শুধু নির্ধারিত নিট মুনাফা অর্জন করতে পারলেই উৎসাহ বোনাস দেওয়ার অনুমতি পাবে ব্যাংকগুলো।

আরও বলা হয়, পুঞ্জীভূত মুনাফা থেকে কোনো ধরনের উৎসাহ বোনাস দেওয়া যাবে না। রেগুলেটরি মূলধন বা প্রভিশনের ঘাটতি থাকলে বোনাস দেওয়া নিষিদ্ধ। প্রভিশন সংরক্ষণে বাড়তি সময় পাওয়া ব্যাংকগুলোও সেই সময়কাল মুনাফা হিসাবের ক্ষেত্রে দেখাতে পারবে না। বোনাস প্রদানে ব্যাংকগুলোকে বিভিন্ন কর্মসূচির উন্নতি ও খেলাপি ঋণ পুনরুদ্ধারে দৃশ্যমান সাফল্য বিবেচনায় নিতে হবে।

এদিকে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন ব্যাংকের ক্ষেত্রে সরকারের বিদ্যমান নির্দেশিকা কার্যকর থাকবে, যেখানে নিট মুনাফা ছাড়া বোনাস না দেওয়ার কথা স্পষ্টভাবে উল্লেখ আছে। তবে কোনো ব্যাংক নির্দিষ্ট সূচকে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জন করলে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের কাছে বিশেষ বোনাসের জন্য আবেদন করতে পারবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

এক ক্লিকেই ভ্যাট পরিশোধ

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ০৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ২১: ০৩
রাজধানীর আগারগাঁওয়ে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সামনে দিয়ে হেঁটে যাচ্ছেন পথচারীরা। ছবি: সংগৃহীত
রাজধানীর আগারগাঁওয়ে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সামনে দিয়ে হেঁটে যাচ্ছেন পথচারীরা। ছবি: সংগৃহীত

ভ্যাটব্যবস্থাকে পুরোপুরি ডিজিটাল ও সহজ করার লক্ষ্যে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) এক নতুন পর্যায়ে এগোচ্ছে। মাত্র একটি ক্লিকেই ভ্যাট পরিশোধের সুযোগ ইতিমধ্যে পরীক্ষামূলকভাবে চালু হয়েছে এবং বড় কয়েকটি প্রতিষ্ঠান এটি ব্যবহারও শুরু করেছে।

এনবিআর জানিয়েছে, শিগগির এ পদ্ধতি সারা দেশে চালু করা হবে, যাতে সব ধরনের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান স্বয়ংক্রিয়ভাবে ভ্যাটের আওতায় আসে এবং নিবন্ধন ছাড়া আর কেউ ব্যবসা চালাতে না পারে।

আজ মঙ্গলবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে রাজস্ব ভবনে জাতীয় ভ্যাট দিবস ও ভ্যাট সপ্তাহ উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের (আইআরডি) সচিব ও এনবিআর চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খান।

মো. আবদুর রহমান বলেন, দেশের বড় একটি অংশের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান এখনো ভ্যাট নিবন্ধনের বাইরে রয়েছে। আগামী বছর এমন একটি মেকানিজম চালু করা হবে, যার মাধ্যমে ভ্যাট নিবন্ধন ছাড়া ব্যবসার সুযোগ থাকবে না। বর্তমানে নিবন্ধিত ভ্যাটদাতা প্রতিষ্ঠান ৬ লাখ ৪৪ হাজার; লক্ষ্য আগামী এক থেকে দুই বছরের মধ্যে তা ৩০ থেকে ৪০ লাখে উন্নীত করা। শুধু চলতি মাসেই ১ লাখ নতুন প্রতিষ্ঠানকে নিবন্ধনের আওতায় আনার পরিকল্পনা রয়েছে।

এনবিআর চেয়ারম্যান জানান, ভ্যাট দিবসের প্রতিপাদ্য—‘সময়মতো নিবন্ধন নিব, সঠিকভাবে ভ্যাট দিব’—ধরে আগামীকাল বুধবার সারা দেশে ভ্যাট দিবস পালিত হবে। ১০ থেকে ১৫ ডিসেম্বর চলবে ভ্যাট সপ্তাহ। তবে নীতিমালা চূড়ান্ত না হওয়ায় এ বছরও স্থগিত থাকছে ভ্যাট পুরস্কার।

রিটার্ন জমাদানেও বড় পরিবর্তন আসছে বলে জানান মো. আবদুর রহমান খান। গত অর্থবছরে ১৭ লাখ ই-রিটার্ন জমা পড়লেও চলতি অর্থবছরে তা ৪০ লাখে পৌঁছানোর আশা করা হচ্ছে। ইতিমধ্যে জমা পড়েছে ২২ লাখ রিটার্ন। ভ্যাট আদায়েও গতি এসেছে—গত অর্থবছরে মোট রাজস্বের ৩৮ শতাংশ এসেছে ভ্যাট থেকে আর চলতি অর্থবছরের প্রথম মাসেই ভ্যাট আদায় আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় বেড়েছে ২২ শতাংশ।

করদাতাদের ঝামেলা কমাতে ই-রিটার্নে ব্যবহৃত ব্যাংকসংক্রান্ত চারটি তথ্য স্বয়ংক্রিয়ভাবে যাচাইয়ের ব্যবস্থা করা হচ্ছে বলে জানান আবদুর রহমান।

এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, করদাতারা মনে করেন, রাজস্ব কর্মকর্তারা এসব তথ্য দেখতে পারবেন—এটি ভুল ধারণা।

চলতি অর্থবছরে রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রা ৫৫ হাজার কোটি টাকা বাড়ানো হয়েছে কেন—এ প্রশ্নের জবাবে আবদুর রহমান বলেন, রাজস্ব আদায় বাড়ানোর বাস্তব প্রয়োজন থেকেই এ লক্ষ্য নির্ধারণ। তবে কারও ওপর হয়রানি বা অতিরিক্ত চাপ সৃষ্টি করা হবে না; মূলত যাঁরা রাজস্ব ফাঁকি দিচ্ছেন, তাঁদের ক্ষেত্রেই কঠোরতা বাড়ানো হবে।

আমদানি করা মোবাইল ফোনে কর কমানোর সম্ভাবনা নিয়ে প্রশ্ন করা হলে এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, এটি সম্পূর্ণ রাষ্ট্রীয় সিদ্ধান্ত; এককভাবে এনবিআর এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারে না।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন এনবিআরের সদস্য (মূসক নীতি) মো. আজিজুর রহমানসহ সংশ্লিষ্ট অন্য কর্মকর্তারা।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত