Ajker Patrika

সপ্তাহে সোয়া ১১ কোটি টাকা লোকসান দিয়েও ঢাকা-নিউইয়র্ক ফ্লাইট চালাতে চায় বিমান

আপডেট : ০৭ নভেম্বর ২০২৫, ১৪: ৫৫
সপ্তাহে সোয়া ১১ কোটি টাকা লোকসান দিয়েও ঢাকা-নিউইয়র্ক ফ্লাইট চালাতে চায় বিমান

১৭ বছর বন্ধ থাকার পর ঢাকা-নিউইয়র্ক রুটে আবার ফ্লাইট চালুর উদ্যোগ নিয়েছে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস। নিজস্ব দুটি বোয়িং ৭৮৭-৯ উড়োজাহাজ দিয়ে সপ্তাহে পাঁচটি ফ্লাইট চালাতে চায় রাষ্ট্রীয় পতাকাবাহী এই সংস্থা। এর জন্য যুক্তরাষ্ট্রের পরিবহন দপ্তর থেকে ‘ফরেন এয়ার ক্যারিয়ার পারমিট’ পেতে সম্প্রতি আবেদনও করেছে বিমান। তবে এই অনুমোদন পাওয়ার আগে যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল অ্যাভিয়েশন অথরিটি (এফএএ) থেকে ক্যাটাগরি-১ ছাড়পত্র পেতে হবে। বেসামরিক বিমান চলাচলসংক্রান্ত আন্তর্জাতিক সংস্থা আইসিএওর সব মানদণ্ড পূরণ হলে এই ছাড়পত্র পাওয়া যায়। 

বিমান নিউইয়র্কে সবশেষ ফ্লাইট পরিচালনা করেছিল ২০০৬ সালের ৫ আগস্ট। লোকসানের কারণে এই পথে ফ্লাইট বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। পুনরায় ফ্লাইট চালু করা হলেও বিমানকে সপ্তাহে প্রায় সোয়া ১১ কোটি বা বছরে ৫৮৪ কোটি টাকার বেশি লোকসান দিতে হবে বলে বিমানের আবেদনের নথি থেকেই জানা গেছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিমানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) শফিউল আজিম আজকের পত্রিকাকে বলেন, এই আয়-ব্যয়ের হিসাব চূড়ান্ত নয়। ফ্লাইট যখন চালু হবে, তখন পরিস্থিতি পাল্টাবে। যেসব বিষয় ধরে এই হিসাব করা হয়েছে, তার অনেক কিছু পাল্টে যেতে পারে। যখনকার তেলের হিসাব করা হয়েছে, তখন দাম অনেক বেশি ছিল, ডলারের বিনিময় হারও ছিল উচ্চ। তা ছাড়া গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিংয়ের বিষয়েও খরচে পরিবর্তন আসার সুযোগ আছে। যুক্তরাষ্ট্রের ও আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুযায়ী, বিশেষজ্ঞ দিয়ে পুরো নিখুঁতভাবে আবেদন তৈরি করা হয়েছে। 

এই বছরের জুলাই মাসের ব্লক আওয়ার, তেলের দাম, মুদ্রার বিনিময় হারসহ যেসব তথ্যের ভিত্তিতে ব্যয়ের হিসাব ধরা হয়েছে, তা বাস্তবে পাল্টে যাবে বলে বিমানের নথিতে দাবি করা হয়েছে। 

হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে তুরস্কের ইজমির বিমানবন্দর হয়ে জন এফ কেনেডি (জেএফকে) বিমানবন্দরে চলাচল করবে বিমানের ফ্লাইট। বোয়িং ৭৮৭-৯ উড়োজাহাজে ২৯৮ জন যাত্রী এবং ১ হাজার ৫০০ কেজি মালপত্র বহন করা যাবে। পারমিটের জন্য গত ৫ সেপ্টেম্বর বিমানের পক্ষে যুক্তরাষ্ট্রের আইনি পরামর্শক প্রতিষ্ঠান জনসন, রজার্স অ্যান্ড ক্লিফটন এলএলপি আবেদন জমা দিয়েছে। 

বিমানের নথি পর্যালোচনা করে দেখা যায়, এই রুটে রাউন্ড ট্রিপে যাত্রী ধরা হয়েছে ৪৭৬ জন, ভাড়া পড়বে প্রায় ৮০০ ডলার। এর সঙ্গে কার্গো ও বাড়তি ব্যাগেজের আয় ধরে ঢাকা-নিউইয়র্ক রুট থেকে সপ্তাহে মোট রাজস্ব আয় হবে ২১ লাখ ১৭ হাজার ২৩৫ ডলার। সব মিলিয়ে ব্যয় হবে ৩১ লাখ ৪১ হাজার ২৪ ডলার। অর্থাৎ প্রতি সপ্তাহে বিমানের লোকসান হবে ১০ লাখ ২৩ হাজার ৭৮৯ ডলার বা প্রায় ১১ কোটি ২৪ লাখ টাকা। এক বছরে এই ক্ষতির পরিমাণ দাঁড়াবে ৫ কোটি ৩২ লাখ ৩৭ হাজার ১০ ডলার, অর্থাৎ ৫৮৪ কোটি ৪১ লাখ টাকার বেশি। 

লোকসানের কারণে বন্ধ হওয়ার আগে ২০০৫-০৬ অর্থবছরে ঢাকা-নিউইয়র্ক রুটে বিমান মোট ৭৯টি ফ্লাইট পরিচালনা করেছিল। তাতে মোট ১১ হাজার ৪৫৫ জন যাত্রী, অর্থাৎ প্রতি ফ্লাইটে গড়ে ১৪৫ জন যাত্রী পরিবহন করা হয়। 

বিশ্বের দীর্ঘতম এই আকাশপথের দৈর্ঘ্য প্রায় ১২ হাজার ৬৮১ কিলোমিটার, যা পেরোতে লাগে ৩৪ ঘণ্টা। বিমান চলাচলবিষয়ক অনলাইন পোর্টাল সিম্পল ফ্লাইংয়ের এক প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, বিমানের এ ফ্লাইটটি জ্বালানি নেওয়া এবং ক্রু পরিবর্তনের জন্য তুরস্কের ইজমির বিমানবন্দরে বিরতি দেবে।  

বিমানের নথি থেকে জানা যায়, বাংলাদেশ এখন এফএএ ক্যাটাগরি-২-এ আছে, অর্থাৎ বেসামরিক বিমান চলাচলের আন্তর্জাতিক সংস্থা আইসিএওর সব মানদণ্ড পূরণ হয়নি। এফএএ পরিদর্শকদের মূল্যায়ন অনুযায়ী, বেবিচক এখনো আইসিএওর মানদণ্ড অনুযায়ী সুরক্ষাব্যবস্থা নিশ্চিত করতে পারেনি। তবে বিমান মনে করে, এফএএ এবং বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক) একসঙ্গে কাজ করার মাধ্যমে ক্যাটাগরি-১ নিশ্চিত হলে যুক্তরাষ্ট্রের পরিবহন বিভাগের (ডিওটি) কাছ থেকে পারমিট পাওয়া যাবে। 

বেবিচকের কর্মকর্তারা মনে করছেন, এ বছরের শেষ বা আগামী বছরের মার্চের মধ্যে এ বিষয়ে ইতিবাচক সিদ্ধান্ত আসবে। বেবিচকের শীর্ষ পর্যায়ের এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ক্যাটাগরি-১ ছাড়পত্র পাওয়ার বিষয়ে এফএএর সঙ্গে কাজ করছে বেবিচক। এ বছরের ডিসেম্বর থেকে আগামী বছরের মার্চের মধ্যে যেকোনো সময় এটা মিলতে পারে। তিনি জানান, ক্যাটাগরি-১ পাওয়ার জন্য এফএএর নিরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে বেবিচককে কারিগরি সহযোগিতা দিচ্ছে বোয়িং। এই কোম্পানি ৫০০ ঘণ্টার পরামর্শ দিচ্ছে, যার মধ্যে অন্তত ৭০ শতাংশ এরই মধ্যে সম্পন্ন হয়েছে। 

এর আগে ২০১৩ সালের ১৭ আগস্ট যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ফ্লাইট চালুর বিষয়ে বাংলাদেশ সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) সই করেছিল। ওই সমঝোতা অনুযায়ী, এফএএর নিরীক্ষা শেষ না হওয়া পর্যন্ত ক্যাটাগরি-১ ছাড়পত্রধারী কোনো দেশ থেকে ‘ওয়েট লিজ’ বা স্বল্পমেয়াদি পদ্ধতিতে উড়োজাহাজ ভাড়া করে ফ্লাইট চালুর সুযোগ দেওয়া হয়। কিন্তু বিমান ব্যর্থতার পরিচয় দেয়। 

সংস্থাটি ‘ড্রাই লিজ’ বা দীর্ঘমেয়াদি পদ্ধতিতে মিসরের ইজিপ্টএয়ার থেকে দুটি বোয়িং ৭৭৭ উড়োজাহাজ ভাড়া আনে। যুক্তরাষ্ট্র তা গ্রহণ করেনি। পরে ওয়েট লিজ পদ্ধতিতে বিমান ভাড়ার চেষ্টা করা হলেও সফলতা আসেনি। এ কারণে ২০১৪ সালের ফেব্রুয়ারিতে এ রুটে টিকিট ছেড়েও পরে ফেরত নিতে বাধ্য হয় বিমান। 

বেবিচকের ফ্লাইট সেফটি অ্যান্ড রেগুলেশনস বিভাগের একাধিক কর্মকর্তা জানান, যুক্তরাষ্ট্রের একটি কারিগরি কমিটি এরই মধ্যে বাংলাদেশ ঘুরে গেছে। তারা শাহজালাল বিমানবন্দরের নিরাপত্তাব্যবস্থাসহ অন্যান্য সুযোগ-সুবিধার বিষয়ে তদন্ত করেছে। কিছু উপদেশও দিয়ে গেছে। সেভাবেই কাজ করে যাচ্ছে বেবিচক। 

বেবিচকের সদস্য (নিরাপত্তা) আবু সালেহ মাহমুদ মান্নাফী জানান, ফ্লাইট সুরক্ষায় সমস্যা হলেও নিরাপত্তা নিয়ে বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক মান পূরণ করেছে। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ঢাকা-নিউইয়র্ক ফ্লাইট চালুর জন্য তিনটি ধাপ আছে। প্রথমে পরিবহন বিভাগে আবেদন; দ্বিতীয়ত, এফএএর কাছ থেকে ক্যাটাগরি-১ ছাড়পত্র পাওয়া এবং সবশেষ যুক্তরাষ্ট্রের পরিবহন নিরাপত্তা কর্তৃপক্ষের (টিএসএ) ছাড়পত্র লাগবে। 

বিমানের নথিতে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্রের মানদণ্ড অনুযায়ী নিরাপত্তা অর্জনের জন্য সব পক্ষের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ চলছে। এফএএর অনুমতি পেলে নিয়ম অনুযায়ী, ফ্লাইট পরিচালনার অন্তত ৯০ দিন আগে প্রস্তাবিত নিরাপত্তা কর্মসূচি জমা দেওয়া হবে। 

আবু সালেহ মাহমুদ মান্নাফী বলেন, এর মধ্যে টিএসএ পরিদর্শন শেষে ভালো বলে মূল্যায়ন করেছে। টিএসএর নিরীক্ষায় বিমানও যুক্ত ছিল। বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনাল চালুর সঙ্গে এই প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত হবে। টিএসএ থেকে নিরাপত্তা চেকপয়েন্ট বিষয়ে ১০ ধরনের পর্যবেক্ষণ দেওয়া হয়েছে। সেগুলো পূরণ করে টার্মিনাল তৈরি হচ্ছে।

এই রুটে ফ্লাইট পরিচালনা লাভজনক না হলেও সরকার মর্যাদার প্রশ্নে উদ্যোগটি নিতে চায় বলে এরোটাইম ডট এরোর এক প্রতিবেদনে তুলে ধরেছে। সরাসরি ফ্লাইট না থাকার কথা তুলে ধরে দুই দেশের নাগরিকদের সুবিধা বিবেচনায় ‘জনস্বার্থে’ ঢাকা এবং নিউইয়র্ক, নেওয়ার্ক ও নিউ জার্সির মধ্যে এই ফ্লাইটের পরিকল্পনা করার কথা বিমানের নথিতে তুলে ধরা হয়েছে।   

তবে বিমানের এই উদ্যোগকে ‘রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত’ হিসেবে দেখছেন বিমানের সাবেক এমডি কাজী ওয়াহিদুল আলম। এই বিমান পরিবহন বিশেষজ্ঞ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ঢাকা-নিউইয়র্ক রুটে এই ফ্লাইট বাণিজ্যিকভাবে লাভবান হওয়ার কোনো সুযোগ নেই। বাজার যাচাই না করে বিমান এই উদ্যোগ নিয়েছে। এটা না করে বড় এয়ারলাইনসগুলোর সঙ্গে কোডশেয়ার বা পার্টনারশিপ করা যেত। অর্থাৎ চুক্তির আওতায় বিমানের কোড ও টিকিটধারী হিসেবে অন্য এয়ারলাইনসে যাত্রী পরিবহন করা যেত।’

বিমান পারমিটের জন্য আবেদন করলেও এফএএর ক্যাটাগরি-১ ছাড়পত্র পাওয়া কঠিন বলে ওয়াহিদুল আলম মনে করেন। তিনি বলেন, ‘এর জন্য বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষকে স্বায়ত্তশাসিত হতে হবে। আন্তর্জাতিক মান অনুযায়ী, রেগুলেটর ক্যান নট বি অপারেটর, এয়ারপোর্টের জন্য আলাদা কর্তৃপক্ষ থাকতে হয়। কিন্তু বাংলাদেশে বেবিচকই এয়ারপোর্ট চালায়।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মোহাম্মদপুরে মা-মেয়ে খুন: অভিযুক্ত গৃহকর্মীর আসল নাম-পরিচয় শনাক্ত

ইতালির লিওনার্দো এসপিএ থেকে জঙ্গি বিমান কিনছে বাংলাদেশ

ভারত যেন হুঁশে থাকে, এবার পাল্টা আঘাত হবে দ্রুত ও মারাত্মক—পাকিস্তানের সিডিএফ হয়েই আসিম মুনিরের গর্জন

দেড় বছরে ১০ বার থমকে গেছে মেট্রোরেল চলাচল

সাবেক সেনা কর্মকর্তার কাছে দুঃখ প্রকাশ করলেন তারেক রহমান

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

প্রযুক্তিগত উদ্ভাবন ও কর্মীদের সাফল্য উদ্‌যাপনে আবুল খায়ের স্টিলের ‘একেএস-একসাথে আগামীর পথে’

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশের সর্বোচ্চ ইস্পাত উৎপাদনক্ষমতাসম্পন্ন প্রতিষ্ঠান আবুল খায়ের স্টিল (একেএস) ৬ ডিসেম্বর তাদের সব কর্মীকে নিয়ে ‘একেএস-একসাথে আগামীর পথে’ শীর্ষক একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিল। দিনব্যাপী এই উৎসবমুখর ও জাঁকজমকপূর্ণ আয়োজনে দেশের প্রতিটি স্থান থেকে আবুল খায়ের স্টিলের সব কর্মকর্তা ও কর্মচারী উপস্থিত ছিলেন।

সূচনা বক্তব্যের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করা হয়। নামাজ ও খাবারের বিরতির পর একেএসের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা সবার উদ্দেশে অনুপ্রেরণামূলক বক্তব্য দেন। বক্তব্যে কোম্পানির সাম্প্রতিক অর্জন ও মাইলফলকগুলো তুলে ধরা হয়। এর মধ্যে রয়েছে—দেশের সবচেয়ে শক্তিশালী রড একেএস টিএমটি বি৭০০ সি-আরের সফল উৎপাদন। বিশ্বের দ্রুততম রোলিং মিল স্থাপন। একেএস এবং কাউ ব্র্যান্ড কালার কোটেড স্টিলের মর্যাদাপূর্ণ সুপারব্র্যান্ড অ্যাওয়ার্ড অর্জন।

এই আলোচনায় প্রযুক্তিগত উদ্ভাবন এবং কর্মীদের সম্মিলিত সাফল্যের প্রতিচ্ছবিও উঠে আসে।

সন্ধ্যায় আয়োজিত সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও র‍্যাফেল ড্র পর্বটি উদ্‌যাপনকে আরও প্রাণবন্ত করে তোলে। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে কিংবদন্তি শিল্পী জেমসের মনোমুগ্ধকর পরিবেশনা ও লেজার শো উপস্থিত সবাইকে মাতিয়ে রাখে।

সমাপনী ভাষণে একেএস পরিবারের প্রত্যেক সদস্যকে অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকার জন্য ধন্যবাদ জানান হয়। এরপর নৈশভোজ ও ডিজে সেশনের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মোহাম্মদপুরে মা-মেয়ে খুন: অভিযুক্ত গৃহকর্মীর আসল নাম-পরিচয় শনাক্ত

ইতালির লিওনার্দো এসপিএ থেকে জঙ্গি বিমান কিনছে বাংলাদেশ

ভারত যেন হুঁশে থাকে, এবার পাল্টা আঘাত হবে দ্রুত ও মারাত্মক—পাকিস্তানের সিডিএফ হয়েই আসিম মুনিরের গর্জন

দেড় বছরে ১০ বার থমকে গেছে মেট্রোরেল চলাচল

সাবেক সেনা কর্মকর্তার কাছে দুঃখ প্রকাশ করলেন তারেক রহমান

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ইসলামী ব্যাংকের বোর্ড সভা অনুষ্ঠিত

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত

ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির পরিচালনা পরিষদের বোর্ড সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল সোমবার (৮ ডসিম্বের) ইসলামী ব্যাংক টাওয়ারে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়। ব্যাংকের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. এম জুবায়দুর রহমান এতে সভাপতিত্ব করেন।

সভায় এক্সিকিউটিভ কমিটির চেয়ারম্যান মোহাম্মদ খুরশীদ ওয়াহাব, অডিট কমিটির চেয়ারম্যান মো. আবদুস সালাম, এফসিএ, এফসিএস, রিস্ক ম্যানেজমেন্ট কমিটির চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. এম মাসুদ রহমান, স্বতন্ত্র পরিচালক মো. আবদুল জলিল, ম্যানেজিং ডাইরেক্টর মো. ওমর ফারুক খাঁন, শরী’আহ সুপারভাইজরি কাউন্সলিরে সদস্য সচিব প্রফেসর ড. মুহাম্মাদ আব্দুস সামাদ এবং কোম্পানি সেক্রেটারি মো. হাবিবুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মোহাম্মদপুরে মা-মেয়ে খুন: অভিযুক্ত গৃহকর্মীর আসল নাম-পরিচয় শনাক্ত

ইতালির লিওনার্দো এসপিএ থেকে জঙ্গি বিমান কিনছে বাংলাদেশ

ভারত যেন হুঁশে থাকে, এবার পাল্টা আঘাত হবে দ্রুত ও মারাত্মক—পাকিস্তানের সিডিএফ হয়েই আসিম মুনিরের গর্জন

দেড় বছরে ১০ বার থমকে গেছে মেট্রোরেল চলাচল

সাবেক সেনা কর্মকর্তার কাছে দুঃখ প্রকাশ করলেন তারেক রহমান

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ব্যাংকের নিট মুনাফা ছাড়া উৎসাহ বোনাস বন্ধ

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
বাংলাদেশ ব্যাংক। ফাইল ছবি
বাংলাদেশ ব্যাংক। ফাইল ছবি

কর ও সঞ্চিতি সংরক্ষণের পর নিট মুনাফা অর্জন না করলে কোনো ব্যাংকই আর উৎসাহ বোনাস দিতে পারবে না। পাশাপাশি মূলধন সংরক্ষণ ঘাটতি, প্রভিশন ঘাটতি বা পুঞ্জীভূত মুনাফা থেকেই বোনাস দেওয়ার পথও পুরোপুরি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।

আজ মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় ব্যাংক এ-সংক্রান্ত একটি সার্কুলার জারি করে সব ব্যাংকে পাঠানো হয়েছে।

সার্কুলারে বলা হয়, ব্যাংকিং খাতের বর্তমান পরিস্থিতিতে আনরিয়েলাইজড বা নগদায়ন না করা আয়ের ভিত্তিতে বোনাস দেওয়া আর্থিক শৃঙ্খলা ও সুশাসনের পরিপন্থী। তাই এখন থেকে শুধু নির্ধারিত নিট মুনাফা অর্জন করতে পারলেই উৎসাহ বোনাস দেওয়ার অনুমতি পাবে ব্যাংকগুলো।

আরও বলা হয়, পুঞ্জীভূত মুনাফা থেকে কোনো ধরনের উৎসাহ বোনাস দেওয়া যাবে না। রেগুলেটরি মূলধন বা প্রভিশনের ঘাটতি থাকলে বোনাস দেওয়া নিষিদ্ধ। প্রভিশন সংরক্ষণে বাড়তি সময় পাওয়া ব্যাংকগুলোও সেই সময়কাল মুনাফা হিসাবের ক্ষেত্রে দেখাতে পারবে না। বোনাস প্রদানে ব্যাংকগুলোকে বিভিন্ন কর্মসূচির উন্নতি ও খেলাপি ঋণ পুনরুদ্ধারে দৃশ্যমান সাফল্য বিবেচনায় নিতে হবে।

এদিকে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন ব্যাংকের ক্ষেত্রে সরকারের বিদ্যমান নির্দেশিকা কার্যকর থাকবে, যেখানে নিট মুনাফা ছাড়া বোনাস না দেওয়ার কথা স্পষ্টভাবে উল্লেখ আছে। তবে কোনো ব্যাংক নির্দিষ্ট সূচকে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জন করলে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের কাছে বিশেষ বোনাসের জন্য আবেদন করতে পারবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মোহাম্মদপুরে মা-মেয়ে খুন: অভিযুক্ত গৃহকর্মীর আসল নাম-পরিচয় শনাক্ত

ইতালির লিওনার্দো এসপিএ থেকে জঙ্গি বিমান কিনছে বাংলাদেশ

ভারত যেন হুঁশে থাকে, এবার পাল্টা আঘাত হবে দ্রুত ও মারাত্মক—পাকিস্তানের সিডিএফ হয়েই আসিম মুনিরের গর্জন

দেড় বছরে ১০ বার থমকে গেছে মেট্রোরেল চলাচল

সাবেক সেনা কর্মকর্তার কাছে দুঃখ প্রকাশ করলেন তারেক রহমান

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

এক ক্লিকেই ভ্যাট পরিশোধ

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ০৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ২১: ০৩
রাজধানীর আগারগাঁওয়ে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সামনে দিয়ে হেঁটে যাচ্ছেন পথচারীরা। ছবি: সংগৃহীত
রাজধানীর আগারগাঁওয়ে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সামনে দিয়ে হেঁটে যাচ্ছেন পথচারীরা। ছবি: সংগৃহীত

ভ্যাটব্যবস্থাকে পুরোপুরি ডিজিটাল ও সহজ করার লক্ষ্যে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) এক নতুন পর্যায়ে এগোচ্ছে। মাত্র একটি ক্লিকেই ভ্যাট পরিশোধের সুযোগ ইতিমধ্যে পরীক্ষামূলকভাবে চালু হয়েছে এবং বড় কয়েকটি প্রতিষ্ঠান এটি ব্যবহারও শুরু করেছে।

এনবিআর জানিয়েছে, শিগগির এ পদ্ধতি সারা দেশে চালু করা হবে, যাতে সব ধরনের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান স্বয়ংক্রিয়ভাবে ভ্যাটের আওতায় আসে এবং নিবন্ধন ছাড়া আর কেউ ব্যবসা চালাতে না পারে।

আজ মঙ্গলবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে রাজস্ব ভবনে জাতীয় ভ্যাট দিবস ও ভ্যাট সপ্তাহ উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের (আইআরডি) সচিব ও এনবিআর চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খান।

মো. আবদুর রহমান বলেন, দেশের বড় একটি অংশের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান এখনো ভ্যাট নিবন্ধনের বাইরে রয়েছে। আগামী বছর এমন একটি মেকানিজম চালু করা হবে, যার মাধ্যমে ভ্যাট নিবন্ধন ছাড়া ব্যবসার সুযোগ থাকবে না। বর্তমানে নিবন্ধিত ভ্যাটদাতা প্রতিষ্ঠান ৬ লাখ ৪৪ হাজার; লক্ষ্য আগামী এক থেকে দুই বছরের মধ্যে তা ৩০ থেকে ৪০ লাখে উন্নীত করা। শুধু চলতি মাসেই ১ লাখ নতুন প্রতিষ্ঠানকে নিবন্ধনের আওতায় আনার পরিকল্পনা রয়েছে।

এনবিআর চেয়ারম্যান জানান, ভ্যাট দিবসের প্রতিপাদ্য—‘সময়মতো নিবন্ধন নিব, সঠিকভাবে ভ্যাট দিব’—ধরে আগামীকাল বুধবার সারা দেশে ভ্যাট দিবস পালিত হবে। ১০ থেকে ১৫ ডিসেম্বর চলবে ভ্যাট সপ্তাহ। তবে নীতিমালা চূড়ান্ত না হওয়ায় এ বছরও স্থগিত থাকছে ভ্যাট পুরস্কার।

রিটার্ন জমাদানেও বড় পরিবর্তন আসছে বলে জানান মো. আবদুর রহমান খান। গত অর্থবছরে ১৭ লাখ ই-রিটার্ন জমা পড়লেও চলতি অর্থবছরে তা ৪০ লাখে পৌঁছানোর আশা করা হচ্ছে। ইতিমধ্যে জমা পড়েছে ২২ লাখ রিটার্ন। ভ্যাট আদায়েও গতি এসেছে—গত অর্থবছরে মোট রাজস্বের ৩৮ শতাংশ এসেছে ভ্যাট থেকে আর চলতি অর্থবছরের প্রথম মাসেই ভ্যাট আদায় আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় বেড়েছে ২২ শতাংশ।

করদাতাদের ঝামেলা কমাতে ই-রিটার্নে ব্যবহৃত ব্যাংকসংক্রান্ত চারটি তথ্য স্বয়ংক্রিয়ভাবে যাচাইয়ের ব্যবস্থা করা হচ্ছে বলে জানান আবদুর রহমান।

এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, করদাতারা মনে করেন, রাজস্ব কর্মকর্তারা এসব তথ্য দেখতে পারবেন—এটি ভুল ধারণা।

চলতি অর্থবছরে রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রা ৫৫ হাজার কোটি টাকা বাড়ানো হয়েছে কেন—এ প্রশ্নের জবাবে আবদুর রহমান বলেন, রাজস্ব আদায় বাড়ানোর বাস্তব প্রয়োজন থেকেই এ লক্ষ্য নির্ধারণ। তবে কারও ওপর হয়রানি বা অতিরিক্ত চাপ সৃষ্টি করা হবে না; মূলত যাঁরা রাজস্ব ফাঁকি দিচ্ছেন, তাঁদের ক্ষেত্রেই কঠোরতা বাড়ানো হবে।

আমদানি করা মোবাইল ফোনে কর কমানোর সম্ভাবনা নিয়ে প্রশ্ন করা হলে এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, এটি সম্পূর্ণ রাষ্ট্রীয় সিদ্ধান্ত; এককভাবে এনবিআর এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারে না।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন এনবিআরের সদস্য (মূসক নীতি) মো. আজিজুর রহমানসহ সংশ্লিষ্ট অন্য কর্মকর্তারা।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মোহাম্মদপুরে মা-মেয়ে খুন: অভিযুক্ত গৃহকর্মীর আসল নাম-পরিচয় শনাক্ত

ইতালির লিওনার্দো এসপিএ থেকে জঙ্গি বিমান কিনছে বাংলাদেশ

ভারত যেন হুঁশে থাকে, এবার পাল্টা আঘাত হবে দ্রুত ও মারাত্মক—পাকিস্তানের সিডিএফ হয়েই আসিম মুনিরের গর্জন

দেড় বছরে ১০ বার থমকে গেছে মেট্রোরেল চলাচল

সাবেক সেনা কর্মকর্তার কাছে দুঃখ প্রকাশ করলেন তারেক রহমান

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত