জয়নাল আবেদীন খান, ঢাকা

গণ-অভ্যুত্থানের পর প্রশাসন ও পুলিশের মতো দীর্ঘদিন পদোন্নতিবঞ্চিত ৭ হাজারের বেশি কর্মকর্তাকে সুপারনিউমারারি পদোন্নতি দিয়েছে রাষ্ট্রায়ত্ত চার ব্যাংক সোনালী, রূপালী, জনতা ও অগ্রণী। অভিযোগ রয়েছে, এসব ব্যাংকের চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালককে (এমডি) একপ্রকার জিম্মি করে সুপারনিউমারারি পদে পদোন্নতির অনুমোদন নেওয়া হয়েছে। একই ঘটনা ঘটেছে বেসরকারি খাতের কয়েকটি ব্যাংকেও। এর মধ্যে ইসলামী ব্যাংকসহ কয়েকটি ব্যাংকে গণহারে পদোন্নতি দেওয়া হয়েছে। এমন পদোন্নতিতে অনেক দক্ষ ও যোগ্য কর্মকর্তা পদোন্নতিবঞ্চিত হয়েছেন। এ নিয়ে ব্যাংকগুলোয় অসন্তোষ ও ক্ষোভ সৃষ্টি করছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র বলেছে, সুপারনিউমারারি পদে পদোন্নতির কারণে শুধু জনতা ব্যাংকেই বঞ্চিতের সংখ্যা প্রায় দেড় হাজার। আর সরকারি-বেসরকারি মিলিয়ে বঞ্চিতের সংখ্যা ৫ হাজারের বেশি। বঞ্চিত এসব ব্যাংকার সুপারনিউমারারি এবং অর্গানোগ্রাম মেধাভিত্তিক পদোন্নতি চলমান রাখার দাবি জানিয়েছেন। যদিও লজিস্টিক, গাড়ি সুবিধাসহ মর্যাদার প্রশ্নে সুপার ও মেধায় পদোন্নতি নিয়ে অন্তর্দ্বন্দ্ব এখন তুঙ্গে।
সোনালী, রূপালী, জনতা ও অগ্রণী ব্যাংকে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সরকার বদলের পর বিভিন্ন ব্যাংকে বৈষম্যের অভিযোগ ওঠে। বৈষম্য রোধে একটি বড় অংশ সুপারনিউমারারি পদোন্নতির জন্য আন্দোলন করেন। ব্যাংকের চেয়ারম্যান ও এমডিকে অবরুদ্ধের ঘটনাও ঘটে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এই চার ব্যাংকে মেধা ও সুপারনিউমারারি পদোন্নতি দেওয়া হয়। তবে জনতা ব্যাংক একেবারে কমসংখ্যককে পদোন্নতি দিয়েছে বলে বঞ্চিতদের অভিযোগ।
অন্যদিকে ইসলামী ব্যাংকে প্রথমে মেসেজ পাঠিয়ে পদোন্নতি দেওয়া হয়। পরে তা বাতিল করে ‘নামকাওয়াস্তে’ সাক্ষাৎকারের মাধ্যমে পদোন্নতি দেওয়া হয়। একইভাবে সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক, ইউনিয়ন ব্যাংকসহ অন্য ডজনখানেক ব্যাংকে খেয়ালখুশিমতো পদোন্নতির ঘটনা ঘটেছে।
ব্যাংকগুলোর তথ্য বলছে, সম্প্রতি রাষ্ট্রমালিকানাধীন ব্যাংকগুলোয় দীর্ঘদিনের বৈষম্য ও জট দূরীকরণে সুপারনিউমারারি পদোন্নতি প্রদান করা হয়েছে। এসব ব্যাংকের মধ্যে সোনালী ব্যাংক ২ হাজার ২০০ জনকে, অগ্রণী ব্যাংক ৩ হাজার ৮৪ জনকে এবং রূপালী ব্যাংক ৩ হাজার ২০৯ জনকে পদোন্নতি দিয়েছে। জনতা ব্যাংক সুপারনিউমারারি পদোন্নতি দিয়েছে ৫৭৯ জনকে। মূলত উপমহাব্যবস্থাপক (ডিজিএম), সহকারী মহাব্যবস্থাপক (এজিএম), সিনিয়র প্রিন্সিপাল অফিসার (এসপিও), প্রিন্সিপাল অফিসার (পিও) ও সিনিয়র অফিসার (এসও) পদে পদোন্নতি দেওয়া হয়।
জনতা ব্যাংকের কয়েক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, দীর্ঘদিনের পদোন্নতিবঞ্চিত কর্মকর্তারা পুনরায় বৈষম্যের শিকার হয়েছেন। এ নিয়ে কর্মকর্তাদের মধ্যে হতাশা ও চাপা ক্ষোভ রয়েছে। বৈষম্য দূরীকরণে সব ব্যাংকে মেধা ও সুপারনিউমারারি পদোন্নতি চলমান রাখতে হবে। নয়তো ব্যাংকের স্বাভাবিক কার্যক্রম বাধাগ্রস্ত হতে পারে।
এদিকে সুপারনিউমারারি পদে পদোন্নতি দিয়ে প্রচলিত বিধিবিধান লঙ্ঘন করায় রাষ্ট্রায়ত্ত চার ব্যাংকের এমডিকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছে অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ। এতে বলা হয়, অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের বিধিবিধান অনুযায়ী রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকের সাংগঠনিক কাঠামোর বাইরে সুপারনিউমারারি পদ সৃষ্টি করে পদোন্নতির সুযোগ নেই। কিন্তু প্রচলিত এ বিধিবিধানের ব্যত্যয় ঘটিয়ে পদ না থাকা সত্ত্বেও সোনালী, জনতা, অগ্রণী ও রূপালী ব্যাংক পরিচালনা পর্ষদের অনুমোদনক্রমে সুপারনিউমারারি পদে পদোন্নতি দেওয়া হয়েছে। এটি প্রচলিত বিধিবিধানের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন।
এ বিষয়ে সোনালী ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান মুসলিম চৌধুরী বলেন, ‘নিয়ম মেনে পদোন্নতি দেওয়া হয়েছে। মূলত কর্মকর্তাদের বৈষম্য দূরীকরণ এবং পদোন্নতি বঞ্চিতদের দাবি পূরণে মেধা এবং সুপারনিউমারারি ভিত্তিতে পদোন্নতি দেওয়া হয়েছে। নির্দিষ্ট দক্ষতা ও যোগ্যতা অনুযায়ী তা করা হয়েছে। আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ কারণ দর্শনোর নোটিশ দিয়েছে। এর জবাব দেওয়া হবে। তবে নোটিশ একটা বিব্রতকর।’
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জনতা ব্যাংকের এক পরিচালক বলেন, ‘জনতা ব্যাংকের আর্থিক অবস্থা খুবই নাজুক। পরিস্থিতি উত্তরণের বিষয়ে আলোচনা না করে সবাই নিজের পদ-পদবির জন্য আন্দোলন করেন। তৎকালীন এমডিকে অবরুদ্ধ করা হয়।’
অগ্রণী ব্যাংকের চেয়ারম্যান সৈয়দ আবু নাসের বখতিয়ার আহমেদ বলেন, ‘বিগত সরকারের সময় পদোন্নতিবঞ্চিতদের পদোন্নতি দেওয়া হয়। কিন্তু পদোন্নতির একটি নিয়ম আছে। ঢালাও পদোন্নতি দিলে যাঁরা ভালো কাজ করেন, তাঁরা নিরুৎসাহিত হন। যে কারণে একটি নিয়ম মেনে পদোন্নতি দেওয়া হয়।’
সরকারি আরেক ব্যাংকের এমডি বলেন, ‘ব্যাংকগুলোয় বহুসংখ্যক কর্মকর্তাকে এসপিও থেকে এজিএম বানানো হয়েছে, যা রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোর নির্বাহী পদের প্রথম ধাপ। বেতন-ভাতা ও পদমর্যাদা বৃদ্ধির পাশাপাশি এজিএম হওয়া প্রত্যেক কর্মকর্তা ব্যক্তিগত গাড়ি কেনার জন্য সংশ্লিষ্ট ব্যাংক থেকে সুদমুক্ত ৩০ লাখ টাকা ঋণ পান। ক্রয়কৃত গাড়ির রক্ষণাবেক্ষণ বাবদ প্রতি মাসে খরচ পান। এ ছাড়া এজিএমদের জন্য ব্যক্তিগত কক্ষও (রুম) বরাদ্দ থাকে। পদের অতিরিক্ত পদোন্নতি পাওয়া কর্মকর্তাদের ব্যক্তিগত কক্ষ ও চেয়ার-টেবিল দিতেই ব্যাংকগুলো এখন হিমশিম খাচ্ছে। মেধা ও সুপারনিউমারারি ভিত্তিতে পদোন্নতিপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের মধ্যে তুমুল অন্তর্দ্বন্দ্ব দেখা দিয়েছে। এভাবে চলতে থাকলে ভবিষ্যৎ অন্ধকার।’

গণ-অভ্যুত্থানের পর প্রশাসন ও পুলিশের মতো দীর্ঘদিন পদোন্নতিবঞ্চিত ৭ হাজারের বেশি কর্মকর্তাকে সুপারনিউমারারি পদোন্নতি দিয়েছে রাষ্ট্রায়ত্ত চার ব্যাংক সোনালী, রূপালী, জনতা ও অগ্রণী। অভিযোগ রয়েছে, এসব ব্যাংকের চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালককে (এমডি) একপ্রকার জিম্মি করে সুপারনিউমারারি পদে পদোন্নতির অনুমোদন নেওয়া হয়েছে। একই ঘটনা ঘটেছে বেসরকারি খাতের কয়েকটি ব্যাংকেও। এর মধ্যে ইসলামী ব্যাংকসহ কয়েকটি ব্যাংকে গণহারে পদোন্নতি দেওয়া হয়েছে। এমন পদোন্নতিতে অনেক দক্ষ ও যোগ্য কর্মকর্তা পদোন্নতিবঞ্চিত হয়েছেন। এ নিয়ে ব্যাংকগুলোয় অসন্তোষ ও ক্ষোভ সৃষ্টি করছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র বলেছে, সুপারনিউমারারি পদে পদোন্নতির কারণে শুধু জনতা ব্যাংকেই বঞ্চিতের সংখ্যা প্রায় দেড় হাজার। আর সরকারি-বেসরকারি মিলিয়ে বঞ্চিতের সংখ্যা ৫ হাজারের বেশি। বঞ্চিত এসব ব্যাংকার সুপারনিউমারারি এবং অর্গানোগ্রাম মেধাভিত্তিক পদোন্নতি চলমান রাখার দাবি জানিয়েছেন। যদিও লজিস্টিক, গাড়ি সুবিধাসহ মর্যাদার প্রশ্নে সুপার ও মেধায় পদোন্নতি নিয়ে অন্তর্দ্বন্দ্ব এখন তুঙ্গে।
সোনালী, রূপালী, জনতা ও অগ্রণী ব্যাংকে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সরকার বদলের পর বিভিন্ন ব্যাংকে বৈষম্যের অভিযোগ ওঠে। বৈষম্য রোধে একটি বড় অংশ সুপারনিউমারারি পদোন্নতির জন্য আন্দোলন করেন। ব্যাংকের চেয়ারম্যান ও এমডিকে অবরুদ্ধের ঘটনাও ঘটে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এই চার ব্যাংকে মেধা ও সুপারনিউমারারি পদোন্নতি দেওয়া হয়। তবে জনতা ব্যাংক একেবারে কমসংখ্যককে পদোন্নতি দিয়েছে বলে বঞ্চিতদের অভিযোগ।
অন্যদিকে ইসলামী ব্যাংকে প্রথমে মেসেজ পাঠিয়ে পদোন্নতি দেওয়া হয়। পরে তা বাতিল করে ‘নামকাওয়াস্তে’ সাক্ষাৎকারের মাধ্যমে পদোন্নতি দেওয়া হয়। একইভাবে সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক, ইউনিয়ন ব্যাংকসহ অন্য ডজনখানেক ব্যাংকে খেয়ালখুশিমতো পদোন্নতির ঘটনা ঘটেছে।
ব্যাংকগুলোর তথ্য বলছে, সম্প্রতি রাষ্ট্রমালিকানাধীন ব্যাংকগুলোয় দীর্ঘদিনের বৈষম্য ও জট দূরীকরণে সুপারনিউমারারি পদোন্নতি প্রদান করা হয়েছে। এসব ব্যাংকের মধ্যে সোনালী ব্যাংক ২ হাজার ২০০ জনকে, অগ্রণী ব্যাংক ৩ হাজার ৮৪ জনকে এবং রূপালী ব্যাংক ৩ হাজার ২০৯ জনকে পদোন্নতি দিয়েছে। জনতা ব্যাংক সুপারনিউমারারি পদোন্নতি দিয়েছে ৫৭৯ জনকে। মূলত উপমহাব্যবস্থাপক (ডিজিএম), সহকারী মহাব্যবস্থাপক (এজিএম), সিনিয়র প্রিন্সিপাল অফিসার (এসপিও), প্রিন্সিপাল অফিসার (পিও) ও সিনিয়র অফিসার (এসও) পদে পদোন্নতি দেওয়া হয়।
জনতা ব্যাংকের কয়েক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, দীর্ঘদিনের পদোন্নতিবঞ্চিত কর্মকর্তারা পুনরায় বৈষম্যের শিকার হয়েছেন। এ নিয়ে কর্মকর্তাদের মধ্যে হতাশা ও চাপা ক্ষোভ রয়েছে। বৈষম্য দূরীকরণে সব ব্যাংকে মেধা ও সুপারনিউমারারি পদোন্নতি চলমান রাখতে হবে। নয়তো ব্যাংকের স্বাভাবিক কার্যক্রম বাধাগ্রস্ত হতে পারে।
এদিকে সুপারনিউমারারি পদে পদোন্নতি দিয়ে প্রচলিত বিধিবিধান লঙ্ঘন করায় রাষ্ট্রায়ত্ত চার ব্যাংকের এমডিকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছে অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ। এতে বলা হয়, অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের বিধিবিধান অনুযায়ী রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকের সাংগঠনিক কাঠামোর বাইরে সুপারনিউমারারি পদ সৃষ্টি করে পদোন্নতির সুযোগ নেই। কিন্তু প্রচলিত এ বিধিবিধানের ব্যত্যয় ঘটিয়ে পদ না থাকা সত্ত্বেও সোনালী, জনতা, অগ্রণী ও রূপালী ব্যাংক পরিচালনা পর্ষদের অনুমোদনক্রমে সুপারনিউমারারি পদে পদোন্নতি দেওয়া হয়েছে। এটি প্রচলিত বিধিবিধানের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন।
এ বিষয়ে সোনালী ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান মুসলিম চৌধুরী বলেন, ‘নিয়ম মেনে পদোন্নতি দেওয়া হয়েছে। মূলত কর্মকর্তাদের বৈষম্য দূরীকরণ এবং পদোন্নতি বঞ্চিতদের দাবি পূরণে মেধা এবং সুপারনিউমারারি ভিত্তিতে পদোন্নতি দেওয়া হয়েছে। নির্দিষ্ট দক্ষতা ও যোগ্যতা অনুযায়ী তা করা হয়েছে। আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ কারণ দর্শনোর নোটিশ দিয়েছে। এর জবাব দেওয়া হবে। তবে নোটিশ একটা বিব্রতকর।’
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জনতা ব্যাংকের এক পরিচালক বলেন, ‘জনতা ব্যাংকের আর্থিক অবস্থা খুবই নাজুক। পরিস্থিতি উত্তরণের বিষয়ে আলোচনা না করে সবাই নিজের পদ-পদবির জন্য আন্দোলন করেন। তৎকালীন এমডিকে অবরুদ্ধ করা হয়।’
অগ্রণী ব্যাংকের চেয়ারম্যান সৈয়দ আবু নাসের বখতিয়ার আহমেদ বলেন, ‘বিগত সরকারের সময় পদোন্নতিবঞ্চিতদের পদোন্নতি দেওয়া হয়। কিন্তু পদোন্নতির একটি নিয়ম আছে। ঢালাও পদোন্নতি দিলে যাঁরা ভালো কাজ করেন, তাঁরা নিরুৎসাহিত হন। যে কারণে একটি নিয়ম মেনে পদোন্নতি দেওয়া হয়।’
সরকারি আরেক ব্যাংকের এমডি বলেন, ‘ব্যাংকগুলোয় বহুসংখ্যক কর্মকর্তাকে এসপিও থেকে এজিএম বানানো হয়েছে, যা রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোর নির্বাহী পদের প্রথম ধাপ। বেতন-ভাতা ও পদমর্যাদা বৃদ্ধির পাশাপাশি এজিএম হওয়া প্রত্যেক কর্মকর্তা ব্যক্তিগত গাড়ি কেনার জন্য সংশ্লিষ্ট ব্যাংক থেকে সুদমুক্ত ৩০ লাখ টাকা ঋণ পান। ক্রয়কৃত গাড়ির রক্ষণাবেক্ষণ বাবদ প্রতি মাসে খরচ পান। এ ছাড়া এজিএমদের জন্য ব্যক্তিগত কক্ষও (রুম) বরাদ্দ থাকে। পদের অতিরিক্ত পদোন্নতি পাওয়া কর্মকর্তাদের ব্যক্তিগত কক্ষ ও চেয়ার-টেবিল দিতেই ব্যাংকগুলো এখন হিমশিম খাচ্ছে। মেধা ও সুপারনিউমারারি ভিত্তিতে পদোন্নতিপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের মধ্যে তুমুল অন্তর্দ্বন্দ্ব দেখা দিয়েছে। এভাবে চলতে থাকলে ভবিষ্যৎ অন্ধকার।’
জয়নাল আবেদীন খান, ঢাকা

গণ-অভ্যুত্থানের পর প্রশাসন ও পুলিশের মতো দীর্ঘদিন পদোন্নতিবঞ্চিত ৭ হাজারের বেশি কর্মকর্তাকে সুপারনিউমারারি পদোন্নতি দিয়েছে রাষ্ট্রায়ত্ত চার ব্যাংক সোনালী, রূপালী, জনতা ও অগ্রণী। অভিযোগ রয়েছে, এসব ব্যাংকের চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালককে (এমডি) একপ্রকার জিম্মি করে সুপারনিউমারারি পদে পদোন্নতির অনুমোদন নেওয়া হয়েছে। একই ঘটনা ঘটেছে বেসরকারি খাতের কয়েকটি ব্যাংকেও। এর মধ্যে ইসলামী ব্যাংকসহ কয়েকটি ব্যাংকে গণহারে পদোন্নতি দেওয়া হয়েছে। এমন পদোন্নতিতে অনেক দক্ষ ও যোগ্য কর্মকর্তা পদোন্নতিবঞ্চিত হয়েছেন। এ নিয়ে ব্যাংকগুলোয় অসন্তোষ ও ক্ষোভ সৃষ্টি করছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র বলেছে, সুপারনিউমারারি পদে পদোন্নতির কারণে শুধু জনতা ব্যাংকেই বঞ্চিতের সংখ্যা প্রায় দেড় হাজার। আর সরকারি-বেসরকারি মিলিয়ে বঞ্চিতের সংখ্যা ৫ হাজারের বেশি। বঞ্চিত এসব ব্যাংকার সুপারনিউমারারি এবং অর্গানোগ্রাম মেধাভিত্তিক পদোন্নতি চলমান রাখার দাবি জানিয়েছেন। যদিও লজিস্টিক, গাড়ি সুবিধাসহ মর্যাদার প্রশ্নে সুপার ও মেধায় পদোন্নতি নিয়ে অন্তর্দ্বন্দ্ব এখন তুঙ্গে।
সোনালী, রূপালী, জনতা ও অগ্রণী ব্যাংকে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সরকার বদলের পর বিভিন্ন ব্যাংকে বৈষম্যের অভিযোগ ওঠে। বৈষম্য রোধে একটি বড় অংশ সুপারনিউমারারি পদোন্নতির জন্য আন্দোলন করেন। ব্যাংকের চেয়ারম্যান ও এমডিকে অবরুদ্ধের ঘটনাও ঘটে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এই চার ব্যাংকে মেধা ও সুপারনিউমারারি পদোন্নতি দেওয়া হয়। তবে জনতা ব্যাংক একেবারে কমসংখ্যককে পদোন্নতি দিয়েছে বলে বঞ্চিতদের অভিযোগ।
অন্যদিকে ইসলামী ব্যাংকে প্রথমে মেসেজ পাঠিয়ে পদোন্নতি দেওয়া হয়। পরে তা বাতিল করে ‘নামকাওয়াস্তে’ সাক্ষাৎকারের মাধ্যমে পদোন্নতি দেওয়া হয়। একইভাবে সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক, ইউনিয়ন ব্যাংকসহ অন্য ডজনখানেক ব্যাংকে খেয়ালখুশিমতো পদোন্নতির ঘটনা ঘটেছে।
ব্যাংকগুলোর তথ্য বলছে, সম্প্রতি রাষ্ট্রমালিকানাধীন ব্যাংকগুলোয় দীর্ঘদিনের বৈষম্য ও জট দূরীকরণে সুপারনিউমারারি পদোন্নতি প্রদান করা হয়েছে। এসব ব্যাংকের মধ্যে সোনালী ব্যাংক ২ হাজার ২০০ জনকে, অগ্রণী ব্যাংক ৩ হাজার ৮৪ জনকে এবং রূপালী ব্যাংক ৩ হাজার ২০৯ জনকে পদোন্নতি দিয়েছে। জনতা ব্যাংক সুপারনিউমারারি পদোন্নতি দিয়েছে ৫৭৯ জনকে। মূলত উপমহাব্যবস্থাপক (ডিজিএম), সহকারী মহাব্যবস্থাপক (এজিএম), সিনিয়র প্রিন্সিপাল অফিসার (এসপিও), প্রিন্সিপাল অফিসার (পিও) ও সিনিয়র অফিসার (এসও) পদে পদোন্নতি দেওয়া হয়।
জনতা ব্যাংকের কয়েক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, দীর্ঘদিনের পদোন্নতিবঞ্চিত কর্মকর্তারা পুনরায় বৈষম্যের শিকার হয়েছেন। এ নিয়ে কর্মকর্তাদের মধ্যে হতাশা ও চাপা ক্ষোভ রয়েছে। বৈষম্য দূরীকরণে সব ব্যাংকে মেধা ও সুপারনিউমারারি পদোন্নতি চলমান রাখতে হবে। নয়তো ব্যাংকের স্বাভাবিক কার্যক্রম বাধাগ্রস্ত হতে পারে।
এদিকে সুপারনিউমারারি পদে পদোন্নতি দিয়ে প্রচলিত বিধিবিধান লঙ্ঘন করায় রাষ্ট্রায়ত্ত চার ব্যাংকের এমডিকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছে অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ। এতে বলা হয়, অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের বিধিবিধান অনুযায়ী রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকের সাংগঠনিক কাঠামোর বাইরে সুপারনিউমারারি পদ সৃষ্টি করে পদোন্নতির সুযোগ নেই। কিন্তু প্রচলিত এ বিধিবিধানের ব্যত্যয় ঘটিয়ে পদ না থাকা সত্ত্বেও সোনালী, জনতা, অগ্রণী ও রূপালী ব্যাংক পরিচালনা পর্ষদের অনুমোদনক্রমে সুপারনিউমারারি পদে পদোন্নতি দেওয়া হয়েছে। এটি প্রচলিত বিধিবিধানের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন।
এ বিষয়ে সোনালী ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান মুসলিম চৌধুরী বলেন, ‘নিয়ম মেনে পদোন্নতি দেওয়া হয়েছে। মূলত কর্মকর্তাদের বৈষম্য দূরীকরণ এবং পদোন্নতি বঞ্চিতদের দাবি পূরণে মেধা এবং সুপারনিউমারারি ভিত্তিতে পদোন্নতি দেওয়া হয়েছে। নির্দিষ্ট দক্ষতা ও যোগ্যতা অনুযায়ী তা করা হয়েছে। আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ কারণ দর্শনোর নোটিশ দিয়েছে। এর জবাব দেওয়া হবে। তবে নোটিশ একটা বিব্রতকর।’
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জনতা ব্যাংকের এক পরিচালক বলেন, ‘জনতা ব্যাংকের আর্থিক অবস্থা খুবই নাজুক। পরিস্থিতি উত্তরণের বিষয়ে আলোচনা না করে সবাই নিজের পদ-পদবির জন্য আন্দোলন করেন। তৎকালীন এমডিকে অবরুদ্ধ করা হয়।’
অগ্রণী ব্যাংকের চেয়ারম্যান সৈয়দ আবু নাসের বখতিয়ার আহমেদ বলেন, ‘বিগত সরকারের সময় পদোন্নতিবঞ্চিতদের পদোন্নতি দেওয়া হয়। কিন্তু পদোন্নতির একটি নিয়ম আছে। ঢালাও পদোন্নতি দিলে যাঁরা ভালো কাজ করেন, তাঁরা নিরুৎসাহিত হন। যে কারণে একটি নিয়ম মেনে পদোন্নতি দেওয়া হয়।’
সরকারি আরেক ব্যাংকের এমডি বলেন, ‘ব্যাংকগুলোয় বহুসংখ্যক কর্মকর্তাকে এসপিও থেকে এজিএম বানানো হয়েছে, যা রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোর নির্বাহী পদের প্রথম ধাপ। বেতন-ভাতা ও পদমর্যাদা বৃদ্ধির পাশাপাশি এজিএম হওয়া প্রত্যেক কর্মকর্তা ব্যক্তিগত গাড়ি কেনার জন্য সংশ্লিষ্ট ব্যাংক থেকে সুদমুক্ত ৩০ লাখ টাকা ঋণ পান। ক্রয়কৃত গাড়ির রক্ষণাবেক্ষণ বাবদ প্রতি মাসে খরচ পান। এ ছাড়া এজিএমদের জন্য ব্যক্তিগত কক্ষও (রুম) বরাদ্দ থাকে। পদের অতিরিক্ত পদোন্নতি পাওয়া কর্মকর্তাদের ব্যক্তিগত কক্ষ ও চেয়ার-টেবিল দিতেই ব্যাংকগুলো এখন হিমশিম খাচ্ছে। মেধা ও সুপারনিউমারারি ভিত্তিতে পদোন্নতিপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের মধ্যে তুমুল অন্তর্দ্বন্দ্ব দেখা দিয়েছে। এভাবে চলতে থাকলে ভবিষ্যৎ অন্ধকার।’

গণ-অভ্যুত্থানের পর প্রশাসন ও পুলিশের মতো দীর্ঘদিন পদোন্নতিবঞ্চিত ৭ হাজারের বেশি কর্মকর্তাকে সুপারনিউমারারি পদোন্নতি দিয়েছে রাষ্ট্রায়ত্ত চার ব্যাংক সোনালী, রূপালী, জনতা ও অগ্রণী। অভিযোগ রয়েছে, এসব ব্যাংকের চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালককে (এমডি) একপ্রকার জিম্মি করে সুপারনিউমারারি পদে পদোন্নতির অনুমোদন নেওয়া হয়েছে। একই ঘটনা ঘটেছে বেসরকারি খাতের কয়েকটি ব্যাংকেও। এর মধ্যে ইসলামী ব্যাংকসহ কয়েকটি ব্যাংকে গণহারে পদোন্নতি দেওয়া হয়েছে। এমন পদোন্নতিতে অনেক দক্ষ ও যোগ্য কর্মকর্তা পদোন্নতিবঞ্চিত হয়েছেন। এ নিয়ে ব্যাংকগুলোয় অসন্তোষ ও ক্ষোভ সৃষ্টি করছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র বলেছে, সুপারনিউমারারি পদে পদোন্নতির কারণে শুধু জনতা ব্যাংকেই বঞ্চিতের সংখ্যা প্রায় দেড় হাজার। আর সরকারি-বেসরকারি মিলিয়ে বঞ্চিতের সংখ্যা ৫ হাজারের বেশি। বঞ্চিত এসব ব্যাংকার সুপারনিউমারারি এবং অর্গানোগ্রাম মেধাভিত্তিক পদোন্নতি চলমান রাখার দাবি জানিয়েছেন। যদিও লজিস্টিক, গাড়ি সুবিধাসহ মর্যাদার প্রশ্নে সুপার ও মেধায় পদোন্নতি নিয়ে অন্তর্দ্বন্দ্ব এখন তুঙ্গে।
সোনালী, রূপালী, জনতা ও অগ্রণী ব্যাংকে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সরকার বদলের পর বিভিন্ন ব্যাংকে বৈষম্যের অভিযোগ ওঠে। বৈষম্য রোধে একটি বড় অংশ সুপারনিউমারারি পদোন্নতির জন্য আন্দোলন করেন। ব্যাংকের চেয়ারম্যান ও এমডিকে অবরুদ্ধের ঘটনাও ঘটে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এই চার ব্যাংকে মেধা ও সুপারনিউমারারি পদোন্নতি দেওয়া হয়। তবে জনতা ব্যাংক একেবারে কমসংখ্যককে পদোন্নতি দিয়েছে বলে বঞ্চিতদের অভিযোগ।
অন্যদিকে ইসলামী ব্যাংকে প্রথমে মেসেজ পাঠিয়ে পদোন্নতি দেওয়া হয়। পরে তা বাতিল করে ‘নামকাওয়াস্তে’ সাক্ষাৎকারের মাধ্যমে পদোন্নতি দেওয়া হয়। একইভাবে সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক, ইউনিয়ন ব্যাংকসহ অন্য ডজনখানেক ব্যাংকে খেয়ালখুশিমতো পদোন্নতির ঘটনা ঘটেছে।
ব্যাংকগুলোর তথ্য বলছে, সম্প্রতি রাষ্ট্রমালিকানাধীন ব্যাংকগুলোয় দীর্ঘদিনের বৈষম্য ও জট দূরীকরণে সুপারনিউমারারি পদোন্নতি প্রদান করা হয়েছে। এসব ব্যাংকের মধ্যে সোনালী ব্যাংক ২ হাজার ২০০ জনকে, অগ্রণী ব্যাংক ৩ হাজার ৮৪ জনকে এবং রূপালী ব্যাংক ৩ হাজার ২০৯ জনকে পদোন্নতি দিয়েছে। জনতা ব্যাংক সুপারনিউমারারি পদোন্নতি দিয়েছে ৫৭৯ জনকে। মূলত উপমহাব্যবস্থাপক (ডিজিএম), সহকারী মহাব্যবস্থাপক (এজিএম), সিনিয়র প্রিন্সিপাল অফিসার (এসপিও), প্রিন্সিপাল অফিসার (পিও) ও সিনিয়র অফিসার (এসও) পদে পদোন্নতি দেওয়া হয়।
জনতা ব্যাংকের কয়েক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, দীর্ঘদিনের পদোন্নতিবঞ্চিত কর্মকর্তারা পুনরায় বৈষম্যের শিকার হয়েছেন। এ নিয়ে কর্মকর্তাদের মধ্যে হতাশা ও চাপা ক্ষোভ রয়েছে। বৈষম্য দূরীকরণে সব ব্যাংকে মেধা ও সুপারনিউমারারি পদোন্নতি চলমান রাখতে হবে। নয়তো ব্যাংকের স্বাভাবিক কার্যক্রম বাধাগ্রস্ত হতে পারে।
এদিকে সুপারনিউমারারি পদে পদোন্নতি দিয়ে প্রচলিত বিধিবিধান লঙ্ঘন করায় রাষ্ট্রায়ত্ত চার ব্যাংকের এমডিকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছে অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ। এতে বলা হয়, অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের বিধিবিধান অনুযায়ী রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকের সাংগঠনিক কাঠামোর বাইরে সুপারনিউমারারি পদ সৃষ্টি করে পদোন্নতির সুযোগ নেই। কিন্তু প্রচলিত এ বিধিবিধানের ব্যত্যয় ঘটিয়ে পদ না থাকা সত্ত্বেও সোনালী, জনতা, অগ্রণী ও রূপালী ব্যাংক পরিচালনা পর্ষদের অনুমোদনক্রমে সুপারনিউমারারি পদে পদোন্নতি দেওয়া হয়েছে। এটি প্রচলিত বিধিবিধানের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন।
এ বিষয়ে সোনালী ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান মুসলিম চৌধুরী বলেন, ‘নিয়ম মেনে পদোন্নতি দেওয়া হয়েছে। মূলত কর্মকর্তাদের বৈষম্য দূরীকরণ এবং পদোন্নতি বঞ্চিতদের দাবি পূরণে মেধা এবং সুপারনিউমারারি ভিত্তিতে পদোন্নতি দেওয়া হয়েছে। নির্দিষ্ট দক্ষতা ও যোগ্যতা অনুযায়ী তা করা হয়েছে। আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ কারণ দর্শনোর নোটিশ দিয়েছে। এর জবাব দেওয়া হবে। তবে নোটিশ একটা বিব্রতকর।’
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জনতা ব্যাংকের এক পরিচালক বলেন, ‘জনতা ব্যাংকের আর্থিক অবস্থা খুবই নাজুক। পরিস্থিতি উত্তরণের বিষয়ে আলোচনা না করে সবাই নিজের পদ-পদবির জন্য আন্দোলন করেন। তৎকালীন এমডিকে অবরুদ্ধ করা হয়।’
অগ্রণী ব্যাংকের চেয়ারম্যান সৈয়দ আবু নাসের বখতিয়ার আহমেদ বলেন, ‘বিগত সরকারের সময় পদোন্নতিবঞ্চিতদের পদোন্নতি দেওয়া হয়। কিন্তু পদোন্নতির একটি নিয়ম আছে। ঢালাও পদোন্নতি দিলে যাঁরা ভালো কাজ করেন, তাঁরা নিরুৎসাহিত হন। যে কারণে একটি নিয়ম মেনে পদোন্নতি দেওয়া হয়।’
সরকারি আরেক ব্যাংকের এমডি বলেন, ‘ব্যাংকগুলোয় বহুসংখ্যক কর্মকর্তাকে এসপিও থেকে এজিএম বানানো হয়েছে, যা রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোর নির্বাহী পদের প্রথম ধাপ। বেতন-ভাতা ও পদমর্যাদা বৃদ্ধির পাশাপাশি এজিএম হওয়া প্রত্যেক কর্মকর্তা ব্যক্তিগত গাড়ি কেনার জন্য সংশ্লিষ্ট ব্যাংক থেকে সুদমুক্ত ৩০ লাখ টাকা ঋণ পান। ক্রয়কৃত গাড়ির রক্ষণাবেক্ষণ বাবদ প্রতি মাসে খরচ পান। এ ছাড়া এজিএমদের জন্য ব্যক্তিগত কক্ষও (রুম) বরাদ্দ থাকে। পদের অতিরিক্ত পদোন্নতি পাওয়া কর্মকর্তাদের ব্যক্তিগত কক্ষ ও চেয়ার-টেবিল দিতেই ব্যাংকগুলো এখন হিমশিম খাচ্ছে। মেধা ও সুপারনিউমারারি ভিত্তিতে পদোন্নতিপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের মধ্যে তুমুল অন্তর্দ্বন্দ্ব দেখা দিয়েছে। এভাবে চলতে থাকলে ভবিষ্যৎ অন্ধকার।’

বাংলাদেশের সর্বোচ্চ ইস্পাত উৎপাদনক্ষমতাসম্পন্ন প্রতিষ্ঠান আবুল খায়ের স্টিল (একেএস) ৬ ডিসেম্বর তাদের সব কর্মীকে নিয়ে ‘একেএস-একসাথে আগামীর পথে’ শীর্ষক একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিল।
১৭ ঘণ্টা আগে
ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির পরিচালনা পরিষদের বোর্ড সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল সোমবার (৮ ডসিম্বের) ইসলামী ব্যাংক টাওয়ারে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়। ব্যাংকের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. এম জুবায়দুর রহমান এতে সভাপতিত্ব করেন।
১৭ ঘণ্টা আগে
কর ও সঞ্চিতি সংরক্ষণের পর নিট মুনাফা অর্জন না করলে কোনো ব্যাংকই আর উৎসাহ বোনাস দিতে পারবে না। পাশাপাশি মূলধন সংরক্ষণ ঘাটতি, প্রভিশন ঘাটতি বা পুঞ্জীভূত মুনাফা থেকেই বোনাস দেওয়ার পথও পুরোপুরি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
১৭ ঘণ্টা আগে
এনবিআর জানিয়েছে, শিগগির এ পদ্ধতি সারা দেশে চালু করা হবে, যাতে সব ধরনের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান স্বয়ংক্রিয়ভাবে ভ্যাটের আওতায় আসে এবং নিবন্ধন ছাড়া আর কেউ ব্যবসা চালাতে না পারে।
২০ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

বাংলাদেশের সর্বোচ্চ ইস্পাত উৎপাদনক্ষমতাসম্পন্ন প্রতিষ্ঠান আবুল খায়ের স্টিল (একেএস) ৬ ডিসেম্বর তাদের সব কর্মীকে নিয়ে ‘একেএস-একসাথে আগামীর পথে’ শীর্ষক একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিল। দিনব্যাপী এই উৎসবমুখর ও জাঁকজমকপূর্ণ আয়োজনে দেশের প্রতিটি স্থান থেকে আবুল খায়ের স্টিলের সব কর্মকর্তা ও কর্মচারী উপস্থিত ছিলেন।
সূচনা বক্তব্যের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করা হয়। নামাজ ও খাবারের বিরতির পর একেএসের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা সবার উদ্দেশে অনুপ্রেরণামূলক বক্তব্য দেন। বক্তব্যে কোম্পানির সাম্প্রতিক অর্জন ও মাইলফলকগুলো তুলে ধরা হয়। এর মধ্যে রয়েছে—দেশের সবচেয়ে শক্তিশালী রড একেএস টিএমটি বি৭০০ সি-আরের সফল উৎপাদন। বিশ্বের দ্রুততম রোলিং মিল স্থাপন। একেএস এবং কাউ ব্র্যান্ড কালার কোটেড স্টিলের মর্যাদাপূর্ণ সুপারব্র্যান্ড অ্যাওয়ার্ড অর্জন।
এই আলোচনায় প্রযুক্তিগত উদ্ভাবন এবং কর্মীদের সম্মিলিত সাফল্যের প্রতিচ্ছবিও উঠে আসে।
সন্ধ্যায় আয়োজিত সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও র্যাফেল ড্র পর্বটি উদ্যাপনকে আরও প্রাণবন্ত করে তোলে। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে কিংবদন্তি শিল্পী জেমসের মনোমুগ্ধকর পরিবেশনা ও লেজার শো উপস্থিত সবাইকে মাতিয়ে রাখে।
সমাপনী ভাষণে একেএস পরিবারের প্রত্যেক সদস্যকে অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকার জন্য ধন্যবাদ জানান হয়। এরপর নৈশভোজ ও ডিজে সেশনের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়।

বাংলাদেশের সর্বোচ্চ ইস্পাত উৎপাদনক্ষমতাসম্পন্ন প্রতিষ্ঠান আবুল খায়ের স্টিল (একেএস) ৬ ডিসেম্বর তাদের সব কর্মীকে নিয়ে ‘একেএস-একসাথে আগামীর পথে’ শীর্ষক একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিল। দিনব্যাপী এই উৎসবমুখর ও জাঁকজমকপূর্ণ আয়োজনে দেশের প্রতিটি স্থান থেকে আবুল খায়ের স্টিলের সব কর্মকর্তা ও কর্মচারী উপস্থিত ছিলেন।
সূচনা বক্তব্যের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করা হয়। নামাজ ও খাবারের বিরতির পর একেএসের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা সবার উদ্দেশে অনুপ্রেরণামূলক বক্তব্য দেন। বক্তব্যে কোম্পানির সাম্প্রতিক অর্জন ও মাইলফলকগুলো তুলে ধরা হয়। এর মধ্যে রয়েছে—দেশের সবচেয়ে শক্তিশালী রড একেএস টিএমটি বি৭০০ সি-আরের সফল উৎপাদন। বিশ্বের দ্রুততম রোলিং মিল স্থাপন। একেএস এবং কাউ ব্র্যান্ড কালার কোটেড স্টিলের মর্যাদাপূর্ণ সুপারব্র্যান্ড অ্যাওয়ার্ড অর্জন।
এই আলোচনায় প্রযুক্তিগত উদ্ভাবন এবং কর্মীদের সম্মিলিত সাফল্যের প্রতিচ্ছবিও উঠে আসে।
সন্ধ্যায় আয়োজিত সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও র্যাফেল ড্র পর্বটি উদ্যাপনকে আরও প্রাণবন্ত করে তোলে। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে কিংবদন্তি শিল্পী জেমসের মনোমুগ্ধকর পরিবেশনা ও লেজার শো উপস্থিত সবাইকে মাতিয়ে রাখে।
সমাপনী ভাষণে একেএস পরিবারের প্রত্যেক সদস্যকে অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকার জন্য ধন্যবাদ জানান হয়। এরপর নৈশভোজ ও ডিজে সেশনের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়।

গণ-অভ্যুত্থানের পর প্রশাসন ও পুলিশের মতো দীর্ঘদিন পদোন্নতিবঞ্চিত ৭ হাজারের বেশি কর্মকর্তাকে সুপারনিউমারারি পদোন্নতি দিয়েছে রাষ্ট্রায়ত্ত চার ব্যাংক সোনালী, রূপালী, জনতা ও অগ্রণী। অভিযোগ রয়েছে, এসব ব্যাংকের চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালককে (এমডি) একপ্রকার জিম্মি করে সুপারনিউমারারি পদে পদোন্নতির...
২২ জানুয়ারি ২০২৫
ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির পরিচালনা পরিষদের বোর্ড সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল সোমবার (৮ ডসিম্বের) ইসলামী ব্যাংক টাওয়ারে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়। ব্যাংকের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. এম জুবায়দুর রহমান এতে সভাপতিত্ব করেন।
১৭ ঘণ্টা আগে
কর ও সঞ্চিতি সংরক্ষণের পর নিট মুনাফা অর্জন না করলে কোনো ব্যাংকই আর উৎসাহ বোনাস দিতে পারবে না। পাশাপাশি মূলধন সংরক্ষণ ঘাটতি, প্রভিশন ঘাটতি বা পুঞ্জীভূত মুনাফা থেকেই বোনাস দেওয়ার পথও পুরোপুরি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
১৭ ঘণ্টা আগে
এনবিআর জানিয়েছে, শিগগির এ পদ্ধতি সারা দেশে চালু করা হবে, যাতে সব ধরনের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান স্বয়ংক্রিয়ভাবে ভ্যাটের আওতায় আসে এবং নিবন্ধন ছাড়া আর কেউ ব্যবসা চালাতে না পারে।
২০ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির পরিচালনা পরিষদের বোর্ড সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল সোমবার (৮ ডসিম্বের) ইসলামী ব্যাংক টাওয়ারে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়। ব্যাংকের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. এম জুবায়দুর রহমান এতে সভাপতিত্ব করেন।
সভায় এক্সিকিউটিভ কমিটির চেয়ারম্যান মোহাম্মদ খুরশীদ ওয়াহাব, অডিট কমিটির চেয়ারম্যান মো. আবদুস সালাম, এফসিএ, এফসিএস, রিস্ক ম্যানেজমেন্ট কমিটির চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. এম মাসুদ রহমান, স্বতন্ত্র পরিচালক মো. আবদুল জলিল, ম্যানেজিং ডাইরেক্টর মো. ওমর ফারুক খাঁন, শরী’আহ সুপারভাইজরি কাউন্সলিরে সদস্য সচিব প্রফেসর ড. মুহাম্মাদ আব্দুস সামাদ এবং কোম্পানি সেক্রেটারি মো. হাবিবুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।

ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির পরিচালনা পরিষদের বোর্ড সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল সোমবার (৮ ডসিম্বের) ইসলামী ব্যাংক টাওয়ারে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়। ব্যাংকের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. এম জুবায়দুর রহমান এতে সভাপতিত্ব করেন।
সভায় এক্সিকিউটিভ কমিটির চেয়ারম্যান মোহাম্মদ খুরশীদ ওয়াহাব, অডিট কমিটির চেয়ারম্যান মো. আবদুস সালাম, এফসিএ, এফসিএস, রিস্ক ম্যানেজমেন্ট কমিটির চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. এম মাসুদ রহমান, স্বতন্ত্র পরিচালক মো. আবদুল জলিল, ম্যানেজিং ডাইরেক্টর মো. ওমর ফারুক খাঁন, শরী’আহ সুপারভাইজরি কাউন্সলিরে সদস্য সচিব প্রফেসর ড. মুহাম্মাদ আব্দুস সামাদ এবং কোম্পানি সেক্রেটারি মো. হাবিবুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।

গণ-অভ্যুত্থানের পর প্রশাসন ও পুলিশের মতো দীর্ঘদিন পদোন্নতিবঞ্চিত ৭ হাজারের বেশি কর্মকর্তাকে সুপারনিউমারারি পদোন্নতি দিয়েছে রাষ্ট্রায়ত্ত চার ব্যাংক সোনালী, রূপালী, জনতা ও অগ্রণী। অভিযোগ রয়েছে, এসব ব্যাংকের চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালককে (এমডি) একপ্রকার জিম্মি করে সুপারনিউমারারি পদে পদোন্নতির...
২২ জানুয়ারি ২০২৫
বাংলাদেশের সর্বোচ্চ ইস্পাত উৎপাদনক্ষমতাসম্পন্ন প্রতিষ্ঠান আবুল খায়ের স্টিল (একেএস) ৬ ডিসেম্বর তাদের সব কর্মীকে নিয়ে ‘একেএস-একসাথে আগামীর পথে’ শীর্ষক একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিল।
১৭ ঘণ্টা আগে
কর ও সঞ্চিতি সংরক্ষণের পর নিট মুনাফা অর্জন না করলে কোনো ব্যাংকই আর উৎসাহ বোনাস দিতে পারবে না। পাশাপাশি মূলধন সংরক্ষণ ঘাটতি, প্রভিশন ঘাটতি বা পুঞ্জীভূত মুনাফা থেকেই বোনাস দেওয়ার পথও পুরোপুরি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
১৭ ঘণ্টা আগে
এনবিআর জানিয়েছে, শিগগির এ পদ্ধতি সারা দেশে চালু করা হবে, যাতে সব ধরনের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান স্বয়ংক্রিয়ভাবে ভ্যাটের আওতায় আসে এবং নিবন্ধন ছাড়া আর কেউ ব্যবসা চালাতে না পারে।
২০ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

কর ও সঞ্চিতি সংরক্ষণের পর নিট মুনাফা অর্জন না করলে কোনো ব্যাংকই আর উৎসাহ বোনাস দিতে পারবে না। পাশাপাশি মূলধন সংরক্ষণ ঘাটতি, প্রভিশন ঘাটতি বা পুঞ্জীভূত মুনাফা থেকেই বোনাস দেওয়ার পথও পুরোপুরি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় ব্যাংক এ-সংক্রান্ত একটি সার্কুলার জারি করে সব ব্যাংকে পাঠানো হয়েছে।
সার্কুলারে বলা হয়, ব্যাংকিং খাতের বর্তমান পরিস্থিতিতে আনরিয়েলাইজড বা নগদায়ন না করা আয়ের ভিত্তিতে বোনাস দেওয়া আর্থিক শৃঙ্খলা ও সুশাসনের পরিপন্থী। তাই এখন থেকে শুধু নির্ধারিত নিট মুনাফা অর্জন করতে পারলেই উৎসাহ বোনাস দেওয়ার অনুমতি পাবে ব্যাংকগুলো।
আরও বলা হয়, পুঞ্জীভূত মুনাফা থেকে কোনো ধরনের উৎসাহ বোনাস দেওয়া যাবে না। রেগুলেটরি মূলধন বা প্রভিশনের ঘাটতি থাকলে বোনাস দেওয়া নিষিদ্ধ। প্রভিশন সংরক্ষণে বাড়তি সময় পাওয়া ব্যাংকগুলোও সেই সময়কাল মুনাফা হিসাবের ক্ষেত্রে দেখাতে পারবে না। বোনাস প্রদানে ব্যাংকগুলোকে বিভিন্ন কর্মসূচির উন্নতি ও খেলাপি ঋণ পুনরুদ্ধারে দৃশ্যমান সাফল্য বিবেচনায় নিতে হবে।
এদিকে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন ব্যাংকের ক্ষেত্রে সরকারের বিদ্যমান নির্দেশিকা কার্যকর থাকবে, যেখানে নিট মুনাফা ছাড়া বোনাস না দেওয়ার কথা স্পষ্টভাবে উল্লেখ আছে। তবে কোনো ব্যাংক নির্দিষ্ট সূচকে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জন করলে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের কাছে বিশেষ বোনাসের জন্য আবেদন করতে পারবে।

কর ও সঞ্চিতি সংরক্ষণের পর নিট মুনাফা অর্জন না করলে কোনো ব্যাংকই আর উৎসাহ বোনাস দিতে পারবে না। পাশাপাশি মূলধন সংরক্ষণ ঘাটতি, প্রভিশন ঘাটতি বা পুঞ্জীভূত মুনাফা থেকেই বোনাস দেওয়ার পথও পুরোপুরি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় ব্যাংক এ-সংক্রান্ত একটি সার্কুলার জারি করে সব ব্যাংকে পাঠানো হয়েছে।
সার্কুলারে বলা হয়, ব্যাংকিং খাতের বর্তমান পরিস্থিতিতে আনরিয়েলাইজড বা নগদায়ন না করা আয়ের ভিত্তিতে বোনাস দেওয়া আর্থিক শৃঙ্খলা ও সুশাসনের পরিপন্থী। তাই এখন থেকে শুধু নির্ধারিত নিট মুনাফা অর্জন করতে পারলেই উৎসাহ বোনাস দেওয়ার অনুমতি পাবে ব্যাংকগুলো।
আরও বলা হয়, পুঞ্জীভূত মুনাফা থেকে কোনো ধরনের উৎসাহ বোনাস দেওয়া যাবে না। রেগুলেটরি মূলধন বা প্রভিশনের ঘাটতি থাকলে বোনাস দেওয়া নিষিদ্ধ। প্রভিশন সংরক্ষণে বাড়তি সময় পাওয়া ব্যাংকগুলোও সেই সময়কাল মুনাফা হিসাবের ক্ষেত্রে দেখাতে পারবে না। বোনাস প্রদানে ব্যাংকগুলোকে বিভিন্ন কর্মসূচির উন্নতি ও খেলাপি ঋণ পুনরুদ্ধারে দৃশ্যমান সাফল্য বিবেচনায় নিতে হবে।
এদিকে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন ব্যাংকের ক্ষেত্রে সরকারের বিদ্যমান নির্দেশিকা কার্যকর থাকবে, যেখানে নিট মুনাফা ছাড়া বোনাস না দেওয়ার কথা স্পষ্টভাবে উল্লেখ আছে। তবে কোনো ব্যাংক নির্দিষ্ট সূচকে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জন করলে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের কাছে বিশেষ বোনাসের জন্য আবেদন করতে পারবে।

গণ-অভ্যুত্থানের পর প্রশাসন ও পুলিশের মতো দীর্ঘদিন পদোন্নতিবঞ্চিত ৭ হাজারের বেশি কর্মকর্তাকে সুপারনিউমারারি পদোন্নতি দিয়েছে রাষ্ট্রায়ত্ত চার ব্যাংক সোনালী, রূপালী, জনতা ও অগ্রণী। অভিযোগ রয়েছে, এসব ব্যাংকের চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালককে (এমডি) একপ্রকার জিম্মি করে সুপারনিউমারারি পদে পদোন্নতির...
২২ জানুয়ারি ২০২৫
বাংলাদেশের সর্বোচ্চ ইস্পাত উৎপাদনক্ষমতাসম্পন্ন প্রতিষ্ঠান আবুল খায়ের স্টিল (একেএস) ৬ ডিসেম্বর তাদের সব কর্মীকে নিয়ে ‘একেএস-একসাথে আগামীর পথে’ শীর্ষক একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিল।
১৭ ঘণ্টা আগে
ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির পরিচালনা পরিষদের বোর্ড সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল সোমবার (৮ ডসিম্বের) ইসলামী ব্যাংক টাওয়ারে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়। ব্যাংকের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. এম জুবায়দুর রহমান এতে সভাপতিত্ব করেন।
১৭ ঘণ্টা আগে
এনবিআর জানিয়েছে, শিগগির এ পদ্ধতি সারা দেশে চালু করা হবে, যাতে সব ধরনের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান স্বয়ংক্রিয়ভাবে ভ্যাটের আওতায় আসে এবং নিবন্ধন ছাড়া আর কেউ ব্যবসা চালাতে না পারে।
২০ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ভ্যাটব্যবস্থাকে পুরোপুরি ডিজিটাল ও সহজ করার লক্ষ্যে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) এক নতুন পর্যায়ে এগোচ্ছে। মাত্র একটি ক্লিকেই ভ্যাট পরিশোধের সুযোগ ইতিমধ্যে পরীক্ষামূলকভাবে চালু হয়েছে এবং বড় কয়েকটি প্রতিষ্ঠান এটি ব্যবহারও শুরু করেছে।
এনবিআর জানিয়েছে, শিগগির এ পদ্ধতি সারা দেশে চালু করা হবে, যাতে সব ধরনের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান স্বয়ংক্রিয়ভাবে ভ্যাটের আওতায় আসে এবং নিবন্ধন ছাড়া আর কেউ ব্যবসা চালাতে না পারে।
আজ মঙ্গলবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে রাজস্ব ভবনে জাতীয় ভ্যাট দিবস ও ভ্যাট সপ্তাহ উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের (আইআরডি) সচিব ও এনবিআর চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খান।
মো. আবদুর রহমান বলেন, দেশের বড় একটি অংশের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান এখনো ভ্যাট নিবন্ধনের বাইরে রয়েছে। আগামী বছর এমন একটি মেকানিজম চালু করা হবে, যার মাধ্যমে ভ্যাট নিবন্ধন ছাড়া ব্যবসার সুযোগ থাকবে না। বর্তমানে নিবন্ধিত ভ্যাটদাতা প্রতিষ্ঠান ৬ লাখ ৪৪ হাজার; লক্ষ্য আগামী এক থেকে দুই বছরের মধ্যে তা ৩০ থেকে ৪০ লাখে উন্নীত করা। শুধু চলতি মাসেই ১ লাখ নতুন প্রতিষ্ঠানকে নিবন্ধনের আওতায় আনার পরিকল্পনা রয়েছে।
এনবিআর চেয়ারম্যান জানান, ভ্যাট দিবসের প্রতিপাদ্য—‘সময়মতো নিবন্ধন নিব, সঠিকভাবে ভ্যাট দিব’—ধরে আগামীকাল বুধবার সারা দেশে ভ্যাট দিবস পালিত হবে। ১০ থেকে ১৫ ডিসেম্বর চলবে ভ্যাট সপ্তাহ। তবে নীতিমালা চূড়ান্ত না হওয়ায় এ বছরও স্থগিত থাকছে ভ্যাট পুরস্কার।
রিটার্ন জমাদানেও বড় পরিবর্তন আসছে বলে জানান মো. আবদুর রহমান খান। গত অর্থবছরে ১৭ লাখ ই-রিটার্ন জমা পড়লেও চলতি অর্থবছরে তা ৪০ লাখে পৌঁছানোর আশা করা হচ্ছে। ইতিমধ্যে জমা পড়েছে ২২ লাখ রিটার্ন। ভ্যাট আদায়েও গতি এসেছে—গত অর্থবছরে মোট রাজস্বের ৩৮ শতাংশ এসেছে ভ্যাট থেকে আর চলতি অর্থবছরের প্রথম মাসেই ভ্যাট আদায় আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় বেড়েছে ২২ শতাংশ।
করদাতাদের ঝামেলা কমাতে ই-রিটার্নে ব্যবহৃত ব্যাংকসংক্রান্ত চারটি তথ্য স্বয়ংক্রিয়ভাবে যাচাইয়ের ব্যবস্থা করা হচ্ছে বলে জানান আবদুর রহমান।
এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, করদাতারা মনে করেন, রাজস্ব কর্মকর্তারা এসব তথ্য দেখতে পারবেন—এটি ভুল ধারণা।
চলতি অর্থবছরে রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রা ৫৫ হাজার কোটি টাকা বাড়ানো হয়েছে কেন—এ প্রশ্নের জবাবে আবদুর রহমান বলেন, রাজস্ব আদায় বাড়ানোর বাস্তব প্রয়োজন থেকেই এ লক্ষ্য নির্ধারণ। তবে কারও ওপর হয়রানি বা অতিরিক্ত চাপ সৃষ্টি করা হবে না; মূলত যাঁরা রাজস্ব ফাঁকি দিচ্ছেন, তাঁদের ক্ষেত্রেই কঠোরতা বাড়ানো হবে।
আমদানি করা মোবাইল ফোনে কর কমানোর সম্ভাবনা নিয়ে প্রশ্ন করা হলে এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, এটি সম্পূর্ণ রাষ্ট্রীয় সিদ্ধান্ত; এককভাবে এনবিআর এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারে না।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন এনবিআরের সদস্য (মূসক নীতি) মো. আজিজুর রহমানসহ সংশ্লিষ্ট অন্য কর্মকর্তারা।

ভ্যাটব্যবস্থাকে পুরোপুরি ডিজিটাল ও সহজ করার লক্ষ্যে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) এক নতুন পর্যায়ে এগোচ্ছে। মাত্র একটি ক্লিকেই ভ্যাট পরিশোধের সুযোগ ইতিমধ্যে পরীক্ষামূলকভাবে চালু হয়েছে এবং বড় কয়েকটি প্রতিষ্ঠান এটি ব্যবহারও শুরু করেছে।
এনবিআর জানিয়েছে, শিগগির এ পদ্ধতি সারা দেশে চালু করা হবে, যাতে সব ধরনের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান স্বয়ংক্রিয়ভাবে ভ্যাটের আওতায় আসে এবং নিবন্ধন ছাড়া আর কেউ ব্যবসা চালাতে না পারে।
আজ মঙ্গলবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে রাজস্ব ভবনে জাতীয় ভ্যাট দিবস ও ভ্যাট সপ্তাহ উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের (আইআরডি) সচিব ও এনবিআর চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খান।
মো. আবদুর রহমান বলেন, দেশের বড় একটি অংশের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান এখনো ভ্যাট নিবন্ধনের বাইরে রয়েছে। আগামী বছর এমন একটি মেকানিজম চালু করা হবে, যার মাধ্যমে ভ্যাট নিবন্ধন ছাড়া ব্যবসার সুযোগ থাকবে না। বর্তমানে নিবন্ধিত ভ্যাটদাতা প্রতিষ্ঠান ৬ লাখ ৪৪ হাজার; লক্ষ্য আগামী এক থেকে দুই বছরের মধ্যে তা ৩০ থেকে ৪০ লাখে উন্নীত করা। শুধু চলতি মাসেই ১ লাখ নতুন প্রতিষ্ঠানকে নিবন্ধনের আওতায় আনার পরিকল্পনা রয়েছে।
এনবিআর চেয়ারম্যান জানান, ভ্যাট দিবসের প্রতিপাদ্য—‘সময়মতো নিবন্ধন নিব, সঠিকভাবে ভ্যাট দিব’—ধরে আগামীকাল বুধবার সারা দেশে ভ্যাট দিবস পালিত হবে। ১০ থেকে ১৫ ডিসেম্বর চলবে ভ্যাট সপ্তাহ। তবে নীতিমালা চূড়ান্ত না হওয়ায় এ বছরও স্থগিত থাকছে ভ্যাট পুরস্কার।
রিটার্ন জমাদানেও বড় পরিবর্তন আসছে বলে জানান মো. আবদুর রহমান খান। গত অর্থবছরে ১৭ লাখ ই-রিটার্ন জমা পড়লেও চলতি অর্থবছরে তা ৪০ লাখে পৌঁছানোর আশা করা হচ্ছে। ইতিমধ্যে জমা পড়েছে ২২ লাখ রিটার্ন। ভ্যাট আদায়েও গতি এসেছে—গত অর্থবছরে মোট রাজস্বের ৩৮ শতাংশ এসেছে ভ্যাট থেকে আর চলতি অর্থবছরের প্রথম মাসেই ভ্যাট আদায় আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় বেড়েছে ২২ শতাংশ।
করদাতাদের ঝামেলা কমাতে ই-রিটার্নে ব্যবহৃত ব্যাংকসংক্রান্ত চারটি তথ্য স্বয়ংক্রিয়ভাবে যাচাইয়ের ব্যবস্থা করা হচ্ছে বলে জানান আবদুর রহমান।
এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, করদাতারা মনে করেন, রাজস্ব কর্মকর্তারা এসব তথ্য দেখতে পারবেন—এটি ভুল ধারণা।
চলতি অর্থবছরে রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রা ৫৫ হাজার কোটি টাকা বাড়ানো হয়েছে কেন—এ প্রশ্নের জবাবে আবদুর রহমান বলেন, রাজস্ব আদায় বাড়ানোর বাস্তব প্রয়োজন থেকেই এ লক্ষ্য নির্ধারণ। তবে কারও ওপর হয়রানি বা অতিরিক্ত চাপ সৃষ্টি করা হবে না; মূলত যাঁরা রাজস্ব ফাঁকি দিচ্ছেন, তাঁদের ক্ষেত্রেই কঠোরতা বাড়ানো হবে।
আমদানি করা মোবাইল ফোনে কর কমানোর সম্ভাবনা নিয়ে প্রশ্ন করা হলে এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, এটি সম্পূর্ণ রাষ্ট্রীয় সিদ্ধান্ত; এককভাবে এনবিআর এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারে না।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন এনবিআরের সদস্য (মূসক নীতি) মো. আজিজুর রহমানসহ সংশ্লিষ্ট অন্য কর্মকর্তারা।

গণ-অভ্যুত্থানের পর প্রশাসন ও পুলিশের মতো দীর্ঘদিন পদোন্নতিবঞ্চিত ৭ হাজারের বেশি কর্মকর্তাকে সুপারনিউমারারি পদোন্নতি দিয়েছে রাষ্ট্রায়ত্ত চার ব্যাংক সোনালী, রূপালী, জনতা ও অগ্রণী। অভিযোগ রয়েছে, এসব ব্যাংকের চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালককে (এমডি) একপ্রকার জিম্মি করে সুপারনিউমারারি পদে পদোন্নতির...
২২ জানুয়ারি ২০২৫
বাংলাদেশের সর্বোচ্চ ইস্পাত উৎপাদনক্ষমতাসম্পন্ন প্রতিষ্ঠান আবুল খায়ের স্টিল (একেএস) ৬ ডিসেম্বর তাদের সব কর্মীকে নিয়ে ‘একেএস-একসাথে আগামীর পথে’ শীর্ষক একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিল।
১৭ ঘণ্টা আগে
ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির পরিচালনা পরিষদের বোর্ড সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল সোমবার (৮ ডসিম্বের) ইসলামী ব্যাংক টাওয়ারে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়। ব্যাংকের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. এম জুবায়দুর রহমান এতে সভাপতিত্ব করেন।
১৭ ঘণ্টা আগে
কর ও সঞ্চিতি সংরক্ষণের পর নিট মুনাফা অর্জন না করলে কোনো ব্যাংকই আর উৎসাহ বোনাস দিতে পারবে না। পাশাপাশি মূলধন সংরক্ষণ ঘাটতি, প্রভিশন ঘাটতি বা পুঞ্জীভূত মুনাফা থেকেই বোনাস দেওয়ার পথও পুরোপুরি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
১৭ ঘণ্টা আগে