জয়নাল আবেদীন খান, ঢাকা
ব্যাংক খাতে স্থিতিশীলতা ফেরানোর কথা বলে সম্প্রতি বাংলাদেশ ব্যাংক দুর্বল ব্যাংকগুলোকে সবল ব্যাংকের সঙ্গে একীভূতকরণের উদ্যোগ নেয়। পাঁচটি দুর্বল ব্যাংককে ভালো পাঁচটি ব্যাংকের সঙ্গে একীভূত করতে একের পর এক ঘোষণাও আসে। কিন্তু ডুবতে বসা পদ্মা ব্যাংক ছাড়া বাকি চার দুর্বল ব্যাংকই একীভূতকরণের বিপক্ষে। তাদের মধ্যে দুটি ব্যাংক এ সিদ্ধান্ত প্রত্যাখ্যান করেছে। একটি ব্যাংকের কর্মকর্তারা নেমেছেন রাজপথে। আরেকটি ব্যাংকের কর্মকর্তারাও ক্ষুব্ধ।
এদিকে একীভূতকরণের ঘোষণা আসার পর গত দেড় মাসে আমানত তুলে নেওয়ার হিড়িকে অস্বাভাবিকভাবে পুঁজি কমেছে বেসিক, পদ্মা, এক্সিম, বিডিবিএল, পূবালী, এবি ব্যাংক, জনতাসহ অন্তত ২৪টি ব্যাংকের। সব মিলিয়ে প্রায় ৩০ হাজার কোটি টাকা বাড়তি আমানত তুলে নিয়েছেন গ্রাহকেরা।
এ বিষয়ে পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউট অব বাংলাদেশের নির্বাহী পরিচালক ড. আহসান এইচ মনসুর আজকের পত্রিকাকে বলেন ‘বাংলাদেশ ব্যাংক একীভূত করা নিয়ে তড়িঘড়ি করছে। এতে আমানতকারী, স্টেকহোল্ডার, ব্যাংকার ও পরিচালকদের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে। সঠিকভাবে একীভূত না হলে ব্যাংক খাতের ওপর আস্থা কমে যাবে, গ্রাহক টাকা তুলে নেবেন। বিপদে পড়বে পুরো ব্যাংক খাত।’
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের সাবেক অধ্যাপক ড. মইনুল ইসলাম বলেন, ‘জোর করে ব্যাংক একীভূতকরণের কারণে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ছে। এটা মোটেও ভালো কাজ হচ্ছে না।’
ঘোষিত সিদ্ধান্ত অনুসারে, এক্সিম ব্যাংকের সঙ্গে পদ্মা ব্যাংক, ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংকের (ইউসিবি) সঙ্গে ন্যাশনাল ব্যাংক, সিটি ব্যাংকের সঙ্গে বেসিক ব্যাংক, বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের সঙ্গে রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক (রাকাব) এবং সোনালী ব্যাংকের সঙ্গে বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের (বিডিবিএল) একীভূত হওয়ার কথা। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের একীভূতকরণ নীতিমালা অনুযায়ী, একীভূত হওয়া দুর্বল ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও উপব্যবস্থাপনা পরিচালক (ডিএমডি) চাকরি হারাবেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্র বলেছে, বেসিক, ন্যাশনাল ও বিডিবিএল ব্যাংকের কর্তৃপক্ষের কোনো সম্মতি ছাড়াই একীভূতকরণের ঘোষণা দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এতে সব দুর্বল ব্যাংকেই গ্রাহকেরা আমানত তুলে নিতে তোড়জোড় শুরু করেছেন। ব্যাংকাররা চাকরি নিয়ে উদ্বিগ্নে পড়েছেন। পরিস্থিতি বিবেচনায় বাংলাদেশ ব্যাংকও নতুন করে একীভূত করার ঘোষণা থেকে পিছু হটেছে। কিন্তু তাতে গ্রাহক ও ব্যাংকারদের মধ্যে আস্থা ফেরেনি।
এ বিষয়ে ন্যাশনাল ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান সৈয়দ ফারহাত আনোয়ার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ন্যাশনাল ব্যাংক একটি সুসংগঠিত ব্যাংক। একটি বিশেষ পরিবারের আধিপত্যের কারণে কিছু শাখার বড় ঋণ আদায় হচ্ছিল না। গ্রাহকের টাকার নিরাপত্তা নিশ্চিতে ব্যাংকের পর্ষদ ভেঙে দেওয়ার পরে দায়িত্ব নিয়েছি। এখন তো ওই পরিবারে কর্তৃত্ব নেই। ব্যাংকের প্রায় ৩০০ শাখা-উপশাখার মধ্যে হাতে গোনা ১১-১২টি শাখা ছাড়া সবগুলো মুনাফায়। খেলাপি আদায়ও বেড়েছে। এই পর্যায়ে একীভূত না হয়ে সময় নিয়ে একীভূত করা যেতে পারে।’
বেসিক ব্যাংকের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) আবু মো. মোফাজ্জাল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বেসরকারি ব্যাংকের সঙ্গে একীভূত হওয়ার খবরে ইতিমধ্যে ২ হাজার কোটি টাকার বেশি আমানত তুলে নিয়েছে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান। ব্যাংকের কর্মকর্তারাও আতঙ্কিত। তাঁরা কীভাবে বেসরকারি ব্যাংকে একীভূত হবেন? এ জন্য ব্যাংকের পর্ষদ একীভূত না হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংক পরিচালনা পর্ষদের সম্মতি ছাড়াই একীভূতের ঘোষণা দিয়েছে। এ জন্য প্রতিবাদপত্র দিয়েছি।’
এদিকে বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের সঙ্গে একীভূতকরণের সিদ্ধান্তের পরে রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংকের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা রাজধানী ও রাজশাহীতে বিক্ষোভ করেছেন। এ ছাড়া বিডিবিএল ব্যাংকের এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘সোনালী ব্যাংকের বিশাল অঙ্কের খেলাপির দায় আমরা কেন নেব? তাদের রয়েছে হল-মার্কসহ নানা আলোচিত কেলেঙ্কারি। এসব বাদে পদোন্নতি এবং পদায়ন নিয়ে ঝামেলা হবে। তারা সুযোগ নেবে। অবিচার হবে।’
এক্সিম ব্যাংকের সঙ্গে পদ্মা ব্যাংকের একীভূতকরণের ঘোষণা আসে সর্বপ্রথম, গত ১৪ মার্চ। তার পরের পরিস্থিতি সম্পর্কে বেসরকারি ব্যাংক উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের সংগঠন বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকসের (বিএবি) চেয়ারম্যান এবং এক্সিম ব্যাংকের চেয়ারম্যান মো. নজরুল ইসলাম মজুমদার বলেন, ‘ব্যাংক একীভূত নিয়ে শুরুতে উদ্যোক্তাদের মধ্যে আতঙ্ক ছিল। সেটা কিছুটা কেটেছে।
তবে ব্যাংকারদের চাকরি হারানো ও আমানতকারীদের সঞ্চয় খোয়া নিয়ে শঙ্কা চলছে। আমাদের আশ্বাসের পরও আতঙ্কে ব্যাংক থেকে টাকা তুলে নিচ্ছেন অনেকে। এটা তো আমার ক্ষেত্রেও হতো। পরিস্থিতি সামাল দিতে ব্যাংকগুলো চেষ্টা করছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের জোরালো ভূমিকা রাখা উচিত।’
এসব বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক মো. মেজবাউল হক বলেন, ব্যাংক একীভূতকরণ একটি চলমান প্রক্রিয়া। কোনো ব্যাংক স্বেচ্ছায় না হলে জোর করে একীভূত করার এখতিয়ার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের রয়েছে। তবে সেটা এখন করা হচ্ছে না।
ন্যাশনালসহ ১০টি ব্যাংক স্বেচ্ছায় একীভূত হতে আগ্রহ দেখিয়েছে। এর মধ্যে কোনো ব্যাংক ভালো হলে একীভূত হবে না। এমনকি যদি সব ব্যাংক ভালো হয়, তবে কোনো ব্যাংকই একীভূত না-ও হতে পারে।
সার্বিক বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. সালেহউদ্দিন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ব্যাংক একীভূতকরণ একটি জটিল বিষয়। এটার মানে এক ব্যাংককে আরেক ব্যাংক কিনে নেওয়া নয়। দুই ব্যাংকের সম্মতিতে একীভূত (মার্জার) হতে হয়। এর জন্য বিশদ নিরীক্ষা দরকার। সময় দিতে হবে। স্বাধীনতা দিতে হবে। জোরপূর্বক চাপিয়ে দিলে একীভূত হবে না। সেটা হবে কেনা বা দখল। কেন্দ্রীয় ব্যাংককে একীভূতের সঠিক নীতিমালা করতে হবে। তা না করলে পুরো খাতে অস্থিরতা ও বিশৃঙ্খলা দেখা দিতে পারে। এতে গ্রাহক আতঙ্কিত হবেন। ব্যাংকারদের চাকরির নিশ্চয়তা দিতে হবে। কিন্তু কেন্দ্রীয় ব্যাংক সেটা করছে না।’
ব্যাংক খাতে স্থিতিশীলতা ফেরানোর কথা বলে সম্প্রতি বাংলাদেশ ব্যাংক দুর্বল ব্যাংকগুলোকে সবল ব্যাংকের সঙ্গে একীভূতকরণের উদ্যোগ নেয়। পাঁচটি দুর্বল ব্যাংককে ভালো পাঁচটি ব্যাংকের সঙ্গে একীভূত করতে একের পর এক ঘোষণাও আসে। কিন্তু ডুবতে বসা পদ্মা ব্যাংক ছাড়া বাকি চার দুর্বল ব্যাংকই একীভূতকরণের বিপক্ষে। তাদের মধ্যে দুটি ব্যাংক এ সিদ্ধান্ত প্রত্যাখ্যান করেছে। একটি ব্যাংকের কর্মকর্তারা নেমেছেন রাজপথে। আরেকটি ব্যাংকের কর্মকর্তারাও ক্ষুব্ধ।
এদিকে একীভূতকরণের ঘোষণা আসার পর গত দেড় মাসে আমানত তুলে নেওয়ার হিড়িকে অস্বাভাবিকভাবে পুঁজি কমেছে বেসিক, পদ্মা, এক্সিম, বিডিবিএল, পূবালী, এবি ব্যাংক, জনতাসহ অন্তত ২৪টি ব্যাংকের। সব মিলিয়ে প্রায় ৩০ হাজার কোটি টাকা বাড়তি আমানত তুলে নিয়েছেন গ্রাহকেরা।
এ বিষয়ে পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউট অব বাংলাদেশের নির্বাহী পরিচালক ড. আহসান এইচ মনসুর আজকের পত্রিকাকে বলেন ‘বাংলাদেশ ব্যাংক একীভূত করা নিয়ে তড়িঘড়ি করছে। এতে আমানতকারী, স্টেকহোল্ডার, ব্যাংকার ও পরিচালকদের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে। সঠিকভাবে একীভূত না হলে ব্যাংক খাতের ওপর আস্থা কমে যাবে, গ্রাহক টাকা তুলে নেবেন। বিপদে পড়বে পুরো ব্যাংক খাত।’
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের সাবেক অধ্যাপক ড. মইনুল ইসলাম বলেন, ‘জোর করে ব্যাংক একীভূতকরণের কারণে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ছে। এটা মোটেও ভালো কাজ হচ্ছে না।’
ঘোষিত সিদ্ধান্ত অনুসারে, এক্সিম ব্যাংকের সঙ্গে পদ্মা ব্যাংক, ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংকের (ইউসিবি) সঙ্গে ন্যাশনাল ব্যাংক, সিটি ব্যাংকের সঙ্গে বেসিক ব্যাংক, বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের সঙ্গে রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক (রাকাব) এবং সোনালী ব্যাংকের সঙ্গে বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের (বিডিবিএল) একীভূত হওয়ার কথা। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের একীভূতকরণ নীতিমালা অনুযায়ী, একীভূত হওয়া দুর্বল ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও উপব্যবস্থাপনা পরিচালক (ডিএমডি) চাকরি হারাবেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্র বলেছে, বেসিক, ন্যাশনাল ও বিডিবিএল ব্যাংকের কর্তৃপক্ষের কোনো সম্মতি ছাড়াই একীভূতকরণের ঘোষণা দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এতে সব দুর্বল ব্যাংকেই গ্রাহকেরা আমানত তুলে নিতে তোড়জোড় শুরু করেছেন। ব্যাংকাররা চাকরি নিয়ে উদ্বিগ্নে পড়েছেন। পরিস্থিতি বিবেচনায় বাংলাদেশ ব্যাংকও নতুন করে একীভূত করার ঘোষণা থেকে পিছু হটেছে। কিন্তু তাতে গ্রাহক ও ব্যাংকারদের মধ্যে আস্থা ফেরেনি।
এ বিষয়ে ন্যাশনাল ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান সৈয়দ ফারহাত আনোয়ার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ন্যাশনাল ব্যাংক একটি সুসংগঠিত ব্যাংক। একটি বিশেষ পরিবারের আধিপত্যের কারণে কিছু শাখার বড় ঋণ আদায় হচ্ছিল না। গ্রাহকের টাকার নিরাপত্তা নিশ্চিতে ব্যাংকের পর্ষদ ভেঙে দেওয়ার পরে দায়িত্ব নিয়েছি। এখন তো ওই পরিবারে কর্তৃত্ব নেই। ব্যাংকের প্রায় ৩০০ শাখা-উপশাখার মধ্যে হাতে গোনা ১১-১২টি শাখা ছাড়া সবগুলো মুনাফায়। খেলাপি আদায়ও বেড়েছে। এই পর্যায়ে একীভূত না হয়ে সময় নিয়ে একীভূত করা যেতে পারে।’
বেসিক ব্যাংকের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) আবু মো. মোফাজ্জাল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বেসরকারি ব্যাংকের সঙ্গে একীভূত হওয়ার খবরে ইতিমধ্যে ২ হাজার কোটি টাকার বেশি আমানত তুলে নিয়েছে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান। ব্যাংকের কর্মকর্তারাও আতঙ্কিত। তাঁরা কীভাবে বেসরকারি ব্যাংকে একীভূত হবেন? এ জন্য ব্যাংকের পর্ষদ একীভূত না হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংক পরিচালনা পর্ষদের সম্মতি ছাড়াই একীভূতের ঘোষণা দিয়েছে। এ জন্য প্রতিবাদপত্র দিয়েছি।’
এদিকে বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের সঙ্গে একীভূতকরণের সিদ্ধান্তের পরে রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংকের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা রাজধানী ও রাজশাহীতে বিক্ষোভ করেছেন। এ ছাড়া বিডিবিএল ব্যাংকের এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘সোনালী ব্যাংকের বিশাল অঙ্কের খেলাপির দায় আমরা কেন নেব? তাদের রয়েছে হল-মার্কসহ নানা আলোচিত কেলেঙ্কারি। এসব বাদে পদোন্নতি এবং পদায়ন নিয়ে ঝামেলা হবে। তারা সুযোগ নেবে। অবিচার হবে।’
এক্সিম ব্যাংকের সঙ্গে পদ্মা ব্যাংকের একীভূতকরণের ঘোষণা আসে সর্বপ্রথম, গত ১৪ মার্চ। তার পরের পরিস্থিতি সম্পর্কে বেসরকারি ব্যাংক উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের সংগঠন বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকসের (বিএবি) চেয়ারম্যান এবং এক্সিম ব্যাংকের চেয়ারম্যান মো. নজরুল ইসলাম মজুমদার বলেন, ‘ব্যাংক একীভূত নিয়ে শুরুতে উদ্যোক্তাদের মধ্যে আতঙ্ক ছিল। সেটা কিছুটা কেটেছে।
তবে ব্যাংকারদের চাকরি হারানো ও আমানতকারীদের সঞ্চয় খোয়া নিয়ে শঙ্কা চলছে। আমাদের আশ্বাসের পরও আতঙ্কে ব্যাংক থেকে টাকা তুলে নিচ্ছেন অনেকে। এটা তো আমার ক্ষেত্রেও হতো। পরিস্থিতি সামাল দিতে ব্যাংকগুলো চেষ্টা করছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের জোরালো ভূমিকা রাখা উচিত।’
এসব বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক মো. মেজবাউল হক বলেন, ব্যাংক একীভূতকরণ একটি চলমান প্রক্রিয়া। কোনো ব্যাংক স্বেচ্ছায় না হলে জোর করে একীভূত করার এখতিয়ার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের রয়েছে। তবে সেটা এখন করা হচ্ছে না।
ন্যাশনালসহ ১০টি ব্যাংক স্বেচ্ছায় একীভূত হতে আগ্রহ দেখিয়েছে। এর মধ্যে কোনো ব্যাংক ভালো হলে একীভূত হবে না। এমনকি যদি সব ব্যাংক ভালো হয়, তবে কোনো ব্যাংকই একীভূত না-ও হতে পারে।
সার্বিক বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. সালেহউদ্দিন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ব্যাংক একীভূতকরণ একটি জটিল বিষয়। এটার মানে এক ব্যাংককে আরেক ব্যাংক কিনে নেওয়া নয়। দুই ব্যাংকের সম্মতিতে একীভূত (মার্জার) হতে হয়। এর জন্য বিশদ নিরীক্ষা দরকার। সময় দিতে হবে। স্বাধীনতা দিতে হবে। জোরপূর্বক চাপিয়ে দিলে একীভূত হবে না। সেটা হবে কেনা বা দখল। কেন্দ্রীয় ব্যাংককে একীভূতের সঠিক নীতিমালা করতে হবে। তা না করলে পুরো খাতে অস্থিরতা ও বিশৃঙ্খলা দেখা দিতে পারে। এতে গ্রাহক আতঙ্কিত হবেন। ব্যাংকারদের চাকরির নিশ্চয়তা দিতে হবে। কিন্তু কেন্দ্রীয় ব্যাংক সেটা করছে না।’
জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক) ১ হাজার ৯৮৮ কোটি ৯ লাখ টাকার ১৩টি প্রকল্প অনুমোদন করেছে। এর মধ্যে সরকারি অর্থায়ন ১ হাজার ৮৮৫ কোটি ৭ লাখ টাকা, বৈদেশিক ঋণ সহায়তায় ৫৩ কোটি ২ লাখ টাকা এবং সংস্থার নিজস্ব অর্থায়ন ৫০ কোটি টাকা।
৪১ মিনিট আগেসংখ্যাগরিষ্ঠ শেয়ার হাতবদলের পর নোভারটিস (বাংলাদেশ) লিমিটেড এখন নেভিয়ান লাইফসায়েন্স পিএলসি নামে নতুন করে যাত্রা শুরু করেছে। পরিবর্তন এলেও নেভিয়ান লাইসেন্সিং চুক্তির মাধ্যমে বাংলাদেশে নোভারটিসের বিশ্বখ্যাত ব্র্যান্ডগুলোর উৎপাদন ও বাজারজাতকরণ অব্যাহত রাখবে।
১ ঘণ্টা আগেআপনি যদি যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক হন এবং আপনার টি-শার্টে লেখা থাকে ‘মেড ইন ইন্ডিয়া’—তাহলে বেশ ভালো সম্ভাবনা আছে সেটি এসেছে ভারতের দক্ষিণের শিল্পকেন্দ্র তিরুপ্পুর থেকে। এই শহরটি দীর্ঘদিন ধরে ‘ডলার সিটি’ নামে পরিচিত, কারণ, যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে পোশাক রপ্তানিতে এটি ভারতের অন্যতম প্রধান কেন্দ্র।
২ ঘণ্টা আগেএয়ারবাসটি স্পেনের ট্যুরেল থেকে আজ মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৮টায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে। আনুষ্ঠানিকভাবে নতুন এয়ারক্র্যাফটটি গ্রহণ করেন ইউএস-বাংলা এয়ারলাইনসের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
৭ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক) ১ হাজার ৯৮৮ কোটি ৯ লাখ টাকার ১৩টি প্রকল্প অনুমোদন করেছে। এর মধ্যে সরকারি অর্থায়ন ১ হাজার ৮৮৫ কোটি ৭ লাখ টাকা, বৈদেশিক ঋণ সহায়তায় ৫৩ কোটি ২ লাখ টাকা এবং সংস্থার নিজস্ব অর্থায়ন ৫০ কোটি টাকা।
প্রধান উপদেষ্টা ও একনেক চেয়ারপারসন ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে আজ মঙ্গলবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ের পরিকল্পনা কমিশনের এনইসি সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত সভায় এ অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এটি চলতি অর্থবছরের চতুর্থ একনেক সভা।
প্রকল্পগুলোর মধ্যে নতুন প্রকল্প ৩টি, সংশোধিত প্রকল্প ৭টি এবং ব্যয় বৃদ্ধি ব্যতিরেকে মেয়াদ বৃদ্ধির ৩টি প্রকল্প রয়েছে।
প্রকল্পগুলো হলো—
কৃষি মন্ত্রণালয়ের ‘প্রো-অ্যাক্ট বাংলাদেশ-রিজিলিয়েন্স স্ট্রেনদেনিং থ্রু অ্যাগ্রি-ফুড সিস্টেমস ট্রান্সফরমেশন ইন কক্স’সবাজার’ প্রকল্প; দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের ‘গ্রামীণ মাটির রাস্তাসমূহ টেকসইকরণের লক্ষ্যে হেরিং বোন বন্ড (এইচবিবি) করণ (২য় পর্যায়) (প্রস্তাবিত ৩য় সংশোধন)’ প্রকল্প; পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের ‘খুলনা বিভাগ পল্লী অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্প (৩য় সংশোধন)’; ‘জামালপুর শহরের নগর স্থাপত্যের পুনঃসংস্কার ও সাংস্কৃতিক কেন্দ্র উন্নয়ন প্রকল্প (৩য় সংশোধিত)’ এবং ‘গাজীপুর সিটি করপোরেশনের ০১ থেকে ০৫ নং জোনের অভ্যন্তরীণ রাস্তা, নর্দমা ও ফুটপাত নির্মাণ (৩য় সংশোধিত)’ প্রকল্প।
গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের উত্তরা লেক উন্নয়ন (১ম সংশোধিত) প্রকল্প; পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অস্ট্রেলিয়ার ক্যানবেরায় বাংলাদেশ চ্যান্সারি ভবন নির্মাণ) প্রকল্প; সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের কিশোরগঞ্জ (বিন্নাটি)-পাকুন্দিয়া-মির্জাপুর টোক জেলা মহাসড়ককে যথাযথমানে উন্নীতকরণ (১ম সংশোধিত) প্রকল্প; শিল্প মন্ত্রণালয়ের বিএসটিআই’র পদার্থ (ফিজিক্যাল) ও রসায়ন (কেমিক্যাল) পরীক্ষণ ল্যাবরেটরির সম্প্রসারণ ও আধুনিকায়ন) প্রকল্প।
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের ঘোড়াশাল ৩য় ইউনিট রি-পাওয়ারিং প্রকল্প (২য় সংশোধিত) প্রকল্প। স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের পাবনা মানসিক হাসপাতালকে আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে রূপান্তর প্রকল্প। রেলপথ মন্ত্রণালয়ের বাংলাদেশ রেলওয়ের পশ্চিমাঞ্চলের লেভেল ক্রসিং গেটগুলোর পুনর্বাসন ও মান উন্নয়ন (৪র্থ সংশোধিত) প্রকল্প এবং বাংলাদেশ রেলওয়ের পূর্বাঞ্চল লেভেল ক্রসিং গেটগুলোর পুনর্বাসন ও মান উন্নয়ন (৫ম সংশোধিত) প্রকল্প অনুমোদন করা হয়েছে। এ ছাড়া সভায় পরিকল্পনা উপদেষ্টা ১২টি প্রকল্প সম্পর্কে একনেক সদস্যদের অবহিত করেন।
একনেক সভায় পরিকল্পনা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ, আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক এবং প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল, স্বরাষ্ট্র এবং কৃষি উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী, শিল্প এবং গৃহায়ণ ও গণপূর্ত উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান, বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ, সড়ক পরিবহন ও সেতু এবং রেলপথ উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানি সম্পদ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় ও যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ এবং মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক উপদেষ্টা ফারুক ই আজম বীর প্রতীক, পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক) ১ হাজার ৯৮৮ কোটি ৯ লাখ টাকার ১৩টি প্রকল্প অনুমোদন করেছে। এর মধ্যে সরকারি অর্থায়ন ১ হাজার ৮৮৫ কোটি ৭ লাখ টাকা, বৈদেশিক ঋণ সহায়তায় ৫৩ কোটি ২ লাখ টাকা এবং সংস্থার নিজস্ব অর্থায়ন ৫০ কোটি টাকা।
প্রধান উপদেষ্টা ও একনেক চেয়ারপারসন ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে আজ মঙ্গলবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ের পরিকল্পনা কমিশনের এনইসি সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত সভায় এ অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এটি চলতি অর্থবছরের চতুর্থ একনেক সভা।
প্রকল্পগুলোর মধ্যে নতুন প্রকল্প ৩টি, সংশোধিত প্রকল্প ৭টি এবং ব্যয় বৃদ্ধি ব্যতিরেকে মেয়াদ বৃদ্ধির ৩টি প্রকল্প রয়েছে।
প্রকল্পগুলো হলো—
কৃষি মন্ত্রণালয়ের ‘প্রো-অ্যাক্ট বাংলাদেশ-রিজিলিয়েন্স স্ট্রেনদেনিং থ্রু অ্যাগ্রি-ফুড সিস্টেমস ট্রান্সফরমেশন ইন কক্স’সবাজার’ প্রকল্প; দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের ‘গ্রামীণ মাটির রাস্তাসমূহ টেকসইকরণের লক্ষ্যে হেরিং বোন বন্ড (এইচবিবি) করণ (২য় পর্যায়) (প্রস্তাবিত ৩য় সংশোধন)’ প্রকল্প; পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের ‘খুলনা বিভাগ পল্লী অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্প (৩য় সংশোধন)’; ‘জামালপুর শহরের নগর স্থাপত্যের পুনঃসংস্কার ও সাংস্কৃতিক কেন্দ্র উন্নয়ন প্রকল্প (৩য় সংশোধিত)’ এবং ‘গাজীপুর সিটি করপোরেশনের ০১ থেকে ০৫ নং জোনের অভ্যন্তরীণ রাস্তা, নর্দমা ও ফুটপাত নির্মাণ (৩য় সংশোধিত)’ প্রকল্প।
গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের উত্তরা লেক উন্নয়ন (১ম সংশোধিত) প্রকল্প; পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অস্ট্রেলিয়ার ক্যানবেরায় বাংলাদেশ চ্যান্সারি ভবন নির্মাণ) প্রকল্প; সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের কিশোরগঞ্জ (বিন্নাটি)-পাকুন্দিয়া-মির্জাপুর টোক জেলা মহাসড়ককে যথাযথমানে উন্নীতকরণ (১ম সংশোধিত) প্রকল্প; শিল্প মন্ত্রণালয়ের বিএসটিআই’র পদার্থ (ফিজিক্যাল) ও রসায়ন (কেমিক্যাল) পরীক্ষণ ল্যাবরেটরির সম্প্রসারণ ও আধুনিকায়ন) প্রকল্প।
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের ঘোড়াশাল ৩য় ইউনিট রি-পাওয়ারিং প্রকল্প (২য় সংশোধিত) প্রকল্প। স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের পাবনা মানসিক হাসপাতালকে আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে রূপান্তর প্রকল্প। রেলপথ মন্ত্রণালয়ের বাংলাদেশ রেলওয়ের পশ্চিমাঞ্চলের লেভেল ক্রসিং গেটগুলোর পুনর্বাসন ও মান উন্নয়ন (৪র্থ সংশোধিত) প্রকল্প এবং বাংলাদেশ রেলওয়ের পূর্বাঞ্চল লেভেল ক্রসিং গেটগুলোর পুনর্বাসন ও মান উন্নয়ন (৫ম সংশোধিত) প্রকল্প অনুমোদন করা হয়েছে। এ ছাড়া সভায় পরিকল্পনা উপদেষ্টা ১২টি প্রকল্প সম্পর্কে একনেক সদস্যদের অবহিত করেন।
একনেক সভায় পরিকল্পনা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ, আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক এবং প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল, স্বরাষ্ট্র এবং কৃষি উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী, শিল্প এবং গৃহায়ণ ও গণপূর্ত উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান, বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ, সড়ক পরিবহন ও সেতু এবং রেলপথ উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানি সম্পদ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় ও যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ এবং মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক উপদেষ্টা ফারুক ই আজম বীর প্রতীক, পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
ব্যাংক খাতে স্থিতিশীলতা ফেরানোর কথা বলে সম্প্রতি বাংলাদেশ ব্যাংক দুর্বল ব্যাংকগুলোকে সবল ব্যাংকের সঙ্গে একীভূতকরণের উদ্যোগ নেয়। পাঁচটি দুর্বল ব্যাংককে ভালো পাঁচটি ব্যাংকের সঙ্গে একীভূত করতে একের পর এক ঘোষণাও আসে। কিন্তু ডুবতে বসা পদ্মা ব্যাংক ছাড়া বাকি চার দুর্বল ব্যাংকই একীভূতকরণের বিপক্ষে। তাদের ম
৩০ এপ্রিল ২০২৪সংখ্যাগরিষ্ঠ শেয়ার হাতবদলের পর নোভারটিস (বাংলাদেশ) লিমিটেড এখন নেভিয়ান লাইফসায়েন্স পিএলসি নামে নতুন করে যাত্রা শুরু করেছে। পরিবর্তন এলেও নেভিয়ান লাইসেন্সিং চুক্তির মাধ্যমে বাংলাদেশে নোভারটিসের বিশ্বখ্যাত ব্র্যান্ডগুলোর উৎপাদন ও বাজারজাতকরণ অব্যাহত রাখবে।
১ ঘণ্টা আগেআপনি যদি যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক হন এবং আপনার টি-শার্টে লেখা থাকে ‘মেড ইন ইন্ডিয়া’—তাহলে বেশ ভালো সম্ভাবনা আছে সেটি এসেছে ভারতের দক্ষিণের শিল্পকেন্দ্র তিরুপ্পুর থেকে। এই শহরটি দীর্ঘদিন ধরে ‘ডলার সিটি’ নামে পরিচিত, কারণ, যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে পোশাক রপ্তানিতে এটি ভারতের অন্যতম প্রধান কেন্দ্র।
২ ঘণ্টা আগেএয়ারবাসটি স্পেনের ট্যুরেল থেকে আজ মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৮টায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে। আনুষ্ঠানিকভাবে নতুন এয়ারক্র্যাফটটি গ্রহণ করেন ইউএস-বাংলা এয়ারলাইনসের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
৭ ঘণ্টা আগেনিজস্ব ঢাকা, ঢাকা
সংখ্যাগরিষ্ঠ শেয়ার হাতবদলের পর নোভারটিস (বাংলাদেশ) লিমিটেড এখন নেভিয়ান লাইফসায়েন্স পিএলসি নামে নতুন করে যাত্রা শুরু করেছে। পরিবর্তন এলেও নেভিয়ান লাইসেন্সিং চুক্তির মাধ্যমে বাংলাদেশে নোভারটিসের বিশ্বখ্যাত ব্র্যান্ডগুলোর উৎপাদন ও বাজারজাতকরণ অব্যাহত রাখবে।
লাইসেন্সি হিসেবে নেভিয়ানের নিজস্ব প্ল্যান্টে নোভারটিস ব্র্যান্ডের ওষুধ উৎপাদন ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে। গত ১৭ অক্টোবর ঢাকার একটি হোটেলে নেভিয়ান উৎপাদিত নোভারটিসের প্রথম ব্র্যান্ড ‘গ্যালভস মেট’ (Galvus Met)-এর মোড়ক উন্মোচন করা হয়।
অনুষ্ঠানে সরকারি ও বেসরকারি খাতের উচ্চপদস্থ ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন। তাঁদের মধ্যে উল্লেখযোগ্যরা হলেন: বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ করপোরেশনের (বিসিআইসি) চেয়ারম্যান মো. ফজলুর রহমান, নেভিয়ানের অন্যতম উদ্যোক্তা ও পরিচালক এবং রেডিয়েন্ট ফার্মার চেয়ারম্যান নাসের শাহরিয়ার জাহেদী, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব নাসিমুল গনি, স্বাস্থ্য সচিব মো. সাইদুর রহমান, শিল্প মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. ওবায়দুর রহমান, বাংলাদেশে নিযুক্ত ব্রাজিল দূতাবাসের ডেপুটি হেড অব কমিশন লিওনার্দো ডি অলিভেইরা জানুজ্জি।
বক্তারা শেয়ার হস্তান্তরের পরও নোভারটিসের মতো একটি বিশ্বখ্যাত সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠানের গবেষণাধর্মী ওষুধগুলোর প্রাপ্যতা দেশের রোগীদের জন্য নিশ্চিত রাখায় নেভিয়ানের এই পদক্ষেপের ভূয়সী প্রশংসা করেন।
সংখ্যাগরিষ্ঠ শেয়ার হাতবদলের পর নোভারটিস (বাংলাদেশ) লিমিটেড এখন নেভিয়ান লাইফসায়েন্স পিএলসি নামে নতুন করে যাত্রা শুরু করেছে। পরিবর্তন এলেও নেভিয়ান লাইসেন্সিং চুক্তির মাধ্যমে বাংলাদেশে নোভারটিসের বিশ্বখ্যাত ব্র্যান্ডগুলোর উৎপাদন ও বাজারজাতকরণ অব্যাহত রাখবে।
লাইসেন্সি হিসেবে নেভিয়ানের নিজস্ব প্ল্যান্টে নোভারটিস ব্র্যান্ডের ওষুধ উৎপাদন ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে। গত ১৭ অক্টোবর ঢাকার একটি হোটেলে নেভিয়ান উৎপাদিত নোভারটিসের প্রথম ব্র্যান্ড ‘গ্যালভস মেট’ (Galvus Met)-এর মোড়ক উন্মোচন করা হয়।
অনুষ্ঠানে সরকারি ও বেসরকারি খাতের উচ্চপদস্থ ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন। তাঁদের মধ্যে উল্লেখযোগ্যরা হলেন: বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ করপোরেশনের (বিসিআইসি) চেয়ারম্যান মো. ফজলুর রহমান, নেভিয়ানের অন্যতম উদ্যোক্তা ও পরিচালক এবং রেডিয়েন্ট ফার্মার চেয়ারম্যান নাসের শাহরিয়ার জাহেদী, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব নাসিমুল গনি, স্বাস্থ্য সচিব মো. সাইদুর রহমান, শিল্প মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. ওবায়দুর রহমান, বাংলাদেশে নিযুক্ত ব্রাজিল দূতাবাসের ডেপুটি হেড অব কমিশন লিওনার্দো ডি অলিভেইরা জানুজ্জি।
বক্তারা শেয়ার হস্তান্তরের পরও নোভারটিসের মতো একটি বিশ্বখ্যাত সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠানের গবেষণাধর্মী ওষুধগুলোর প্রাপ্যতা দেশের রোগীদের জন্য নিশ্চিত রাখায় নেভিয়ানের এই পদক্ষেপের ভূয়সী প্রশংসা করেন।
ব্যাংক খাতে স্থিতিশীলতা ফেরানোর কথা বলে সম্প্রতি বাংলাদেশ ব্যাংক দুর্বল ব্যাংকগুলোকে সবল ব্যাংকের সঙ্গে একীভূতকরণের উদ্যোগ নেয়। পাঁচটি দুর্বল ব্যাংককে ভালো পাঁচটি ব্যাংকের সঙ্গে একীভূত করতে একের পর এক ঘোষণাও আসে। কিন্তু ডুবতে বসা পদ্মা ব্যাংক ছাড়া বাকি চার দুর্বল ব্যাংকই একীভূতকরণের বিপক্ষে। তাদের ম
৩০ এপ্রিল ২০২৪জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক) ১ হাজার ৯৮৮ কোটি ৯ লাখ টাকার ১৩টি প্রকল্প অনুমোদন করেছে। এর মধ্যে সরকারি অর্থায়ন ১ হাজার ৮৮৫ কোটি ৭ লাখ টাকা, বৈদেশিক ঋণ সহায়তায় ৫৩ কোটি ২ লাখ টাকা এবং সংস্থার নিজস্ব অর্থায়ন ৫০ কোটি টাকা।
৪১ মিনিট আগেআপনি যদি যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক হন এবং আপনার টি-শার্টে লেখা থাকে ‘মেড ইন ইন্ডিয়া’—তাহলে বেশ ভালো সম্ভাবনা আছে সেটি এসেছে ভারতের দক্ষিণের শিল্পকেন্দ্র তিরুপ্পুর থেকে। এই শহরটি দীর্ঘদিন ধরে ‘ডলার সিটি’ নামে পরিচিত, কারণ, যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে পোশাক রপ্তানিতে এটি ভারতের অন্যতম প্রধান কেন্দ্র।
২ ঘণ্টা আগেএয়ারবাসটি স্পেনের ট্যুরেল থেকে আজ মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৮টায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে। আনুষ্ঠানিকভাবে নতুন এয়ারক্র্যাফটটি গ্রহণ করেন ইউএস-বাংলা এয়ারলাইনসের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
৭ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক
আপনি যদি যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক হন এবং আপনার টি-শার্টে লেখা থাকে ‘মেড ইন ইন্ডিয়া’—তাহলে বেশ ভালো সম্ভাবনা আছে সেটি এসেছে ভারতের দক্ষিণের শিল্পকেন্দ্র তিরুপ্পুর থেকে। এই শহরটি দীর্ঘদিন ধরে ‘ডলার সিটি’ নামে পরিচিত, কারণ, যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে পোশাক রপ্তানিতে এটি ভারতের অন্যতম প্রধান কেন্দ্র।
কিন্তু প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রে ভারতীয় রপ্তানির ওপর ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপের সাত সপ্তাহের মাথায় শহরটির বহু পোশাক কারখানার চাকা প্রায় থমকে গেছে। উৎপাদন কমে যাওয়ায় তিরুপ্পুর শিল্পনগরীর বড় কারখানা থেকে ছোট ওয়ার্কশপ পর্যন্ত প্রায় ৬ লাখ মানুষের কর্মসংস্থানের ওপর প্রভাব পড়েছে। হাজার হাজার শ্রমিক হঠাৎ বেকার হয়ে পড়েছেন।
তিরুপ্পুর সেন্টার অব ইন্ডিয়ান ট্রেড ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক জি শম্পথ বলেন, ‘মোট উৎপাদন ২৫ শতাংশের মতো কমে গেছে।’ তিরুপ্পুর এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের তথ্য অনুযায়ী, গত বছর এই শহর থেকে ৩ দশমিক ৭ বিলিয়ন ডলারের পোশাক রপ্তানি হয়েছিল। এর প্রায় এক-তৃতীয়াংশ পোশাক যায় যুক্তরাষ্ট্রের বড় বড় খুচরা বিক্রেতা—ওয়ালমার্ট, টার্গেট ও সিয়ার্সের মতো ব্র্যান্ডে।
কারখানার শ্রমিক, শ্রম ঠিকাদার ও ব্যবসায়ী—এমন এক ডজনেরও বেশি মানুষের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ট্রাম্পের ‘বাণিজ্যযুদ্ধ’ কত দ্রুত তিরুপ্পুরের মানুষের জীবন ও জীবিকা ওলটপালট করে দিয়েছে। অধিকাংশ শ্রমিকেরই কোনো লিখিত চুক্তি বা চাকরির নিশ্চয়তা নেই। গ্রামাঞ্চল থেকে আসা বহু শ্রমিককে ফেরত পাঠানো হয়েছে। যারা এখনো কাজ করছেন, তাদেরও কাজের সময় ও বেতন কমে গেছে।
রপ্তানিকারকেরা জানাচ্ছেন, অর্ডার বাতিল বা স্থগিত হয়ে যাওয়ায় তারা পুরোনো স্টক পাঠিয়ে দিচ্ছেন, কারণ নতুন পণ্য বিক্রি না হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। অনেক মার্কিন ক্রেতা শুল্কের ক্ষতি পোষাতে ২০ শতাংশ পর্যন্ত ছাড় দাবি করছে। ৪৪ বছর বয়সী কর্মী মনোহর সাহনি গত দুই বছর ধরে নতুন তৈরি পোশাকের অতিরিক্ত সুতো ছেঁটে ফেলার কাজ করতেন। পূর্ব ভারতের দরিদ্র রাজ্য বিহার থেকে স্ত্রী-সন্তান নিয়ে তিনি তিরুপ্পুরে এসেছিলেন কাজের আশায়। স্ত্রীও একটি পোশাক কারখানায় কাজ করতেন। দুজনে মিলে মাসে প্রায় ৪৫০ ডলার আয় করতেন—যা দিয়ে সংসার চলত, মেয়ের বিয়ের দেনাও শোধ হচ্ছিল ধীরে ধীরে।
তারা যত বেশি পোশাক তৈরি করতেন, তত বেশি পারিশ্রমিক পেতেন। কিন্তু উৎপাদন কমে যাওয়ায় আয় নেমে এসেছে মাসে ২৫০ ডলারেরও নিচে—যা দিয়ে এখন আর ভাড়া ও খাবার খরচই ঠিকমতো মেটানো যায় না। সাহনি বলেন, ‘আমি বুঝে উঠতে পারছি না কী করব। অল্প যা টাকা আছে, সেটা দিয়ে পরিবারের খাওয়ার ব্যবস্থা করব, না মেয়ের বিয়ের দেনা শোধ করব?’
গত মাসে সাহনি স্ত্রী-সন্তানকে রেখে কয়েকশ কিলোমিটার দূরে কর্ণাটক রাজ্যে গিয়েছেন, যেখানে এখন নির্মাণশ্রমিক হিসেবে দিনে ৪ ডলারে কাজ করছেন। তিনি বললেন, ‘বিশ্ববাণিজ্য বা নীতিনির্ধারণ সম্পর্কে আমি খুব একটা জানি না। কিন্তু মনে হচ্ছে সরকার আমাদের ভুলে গেছে। কোনো সাহায্য পাইনি। কেউ আমাদের খোঁজও নেয় না।’
তিরুপ্পুরের জিনা গার্মেন্টসের ব্যবস্থাপনা অংশীদার মোহন শংকর বলেন, ‘এখন আমাদের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো লাভ নয়, টিকে থাকা। নগদ প্রবাহ বজায় রাখা এখনই মূল লক্ষ্য।’ যুক্তরাষ্ট্রের ক্রেতারা অর্ডার কমাচ্ছে বা বিলম্ব করছে জানিয়ে শংকর বলেন, তিনি মার্কিন বাজারের জন্য উৎপাদন ৭০ শতাংশ পর্যন্ত কমানোর পরিকল্পনা নিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘ওভারহেড কস্ট তথা অন্যান্য খাতের খরচ কমাতে হবে, প্রয়োজনে কর্মীও ছাঁটাই করতে হবে।’
তিরুপ্পুরের বেশির ভাগ কারখানা কম দামের পোশাক তৈরি করে—যেসব টি-শার্ট, লেগিংস ও অন্তর্বাস যুক্তরাষ্ট্রে ৫ থেকে ১০ ডলারের মধ্যে বিক্রি হয়। ফলে অতিরিক্ত খরচ পুষিয়ে নেওয়ার সুযোগ নেই—বলে জানান তিরুপ্পুরের কনফেডারেশন অব ইন্ডিয়ান ইন্ডাস্ট্রির সাবেক চেয়ারম্যান ও কটন ব্লসমের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মিল্টন অ্যামব্রোস জন। তিনি বলেন, ‘মার্কিন ক্রেতাদের দেওয়া কোনো ছাড়ই টেকসই নয়—৫ শতাংশও নয়। অথচ এখন অনেক ক্রেতা ১০ থেকে ২০ শতাংশ পর্যন্ত ছাড় দাবি করছে।’
যুক্তরাষ্ট্র চলতি বছরের আগস্টে ভারতের রপ্তানিপণ্যের ওপর ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করে। বাণিজ্য আলোচনায় অগ্রগতি না হওয়ায় পরের ধাপে দেশটি রুশ তেল কেনার জন্য ভারতের ওপর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা হিসেবে শুল্কহার বাড়িয়ে ৫০ শতাংশে উন্নীত করে। গত বুধবার যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি রাশিয়া থেকে তেল কেনা বন্ধ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। এতে আলোচনায় অগ্রগতির সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে বলে ধারণা করা হয়। তবে বৃহস্পতিবার ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, দুই নেতার মধ্যে এমন কোনো ফোনালাপের বিষয়ে তাদের জানা নেই।
আগস্টের ২৮ তারিখ ৫০ শতাংশ শুল্ক কার্যকর হওয়ার একদিন পর ভারত সরকার তুলা আমদানিতে শুল্কমুক্তির মেয়াদ বাড়ানোর ঘোষণা দেয়। পোশাক শিল্পকে কিছুটা স্বস্তি দিতে এই পদক্ষেপ নেওয়া হয় বলে মনে করা হচ্ছে। তবে দক্ষিণ ভারতের তিরুপ্পুরের পোশাক ব্যবসায়ীরা বলছেন, শুধু এই ব্যবস্থা যথেষ্ট নয়, সরকারকে আরও দ্রুত ও কার্যকর সহায়তা দিতে হবে।
জন নামের এক ব্যবসায়ী বলেন, ‘সরকারের জরুরি ঋণসহায়ক নীতি নেওয়া উচিত।’ তিনি বলেন, শহরের অচল তাঁতকলগুলোর অবস্থা এখন করোনাকালের মতো হয়ে গেছে। ভারতের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য জানানো হয়নি।
স্বল্পমেয়াদি ক্ষতির পাশাপাশি ভারতীয় রপ্তানিকারকদের মধ্যে এখন আরও বড় আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। তারা আশঙ্কা করছেন, যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে দ্রুতই বাংলাদেশের ও ভিয়েতনামের মতো প্রতিদ্বন্দ্বী দেশগুলো ভারতীয় পণ্যের জায়গা দখল করে নেবে। কারণ ওই দেশগুলোর ওপর যুক্তরাষ্ট্র মাত্র ২০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছে। এই বিষয়ে গ্লোবাল ট্রেড রিসার্চ ইনিশিয়েটিভের প্রতিষ্ঠাতা অজয় শ্রীবাস্তব বলেন, ‘আমেরিকান কোম্পানিগুলোর জন্য অন্য দেশে অর্ডার সরিয়ে নেওয়া খুব সহজ হবে।’
৩২ বছর বয়সী সানোজ কুমার স্মরণ করেন, শুল্কহার বাড়ার আগে শেষ মুহূর্তে অর্ডার শেষ করার জন্য তাঁকে দিন-রাত কাজ করতে হয়েছে। তিনি বলেন, ‘ব্র্যান্ডগুলোর প্রতিনিধিরা পর্যন্ত এসে তদারকি করত, চাপ দিত কাজ শেষ করতে।’ কিন্তু শুল্ক আরোপের কয়েক দিন পরই তাঁকে জানানো হয়, আর কোনো অর্ডার নেই—কাজে যেতে হবে না।
বিহারের বাসিন্দা কুমার তাঁর কিশোর বয়সে চাচাদের সঙ্গে তিরুপ্পুরে চলে আসেন। পোশাক কারখানায় ‘চেকার’ হিসেবে কাজ করতেন। মূলত তাঁর কাজ ছিল প্রস্তুতকৃত পোশাক থেকে বাড়তি সুতার প্রান্ত ছেঁটে দেওয়া। পাশাপাশি তিনি ঠিকাদারি কাজও করতেন, পরিযায়ী শ্রমিকদের বিভিন্ন কারখানায় যুক্ত করতেন। এখন প্রায় সবাই গ্রামে ফিরে গেছে।
কুমার বলেন, ‘মানুষ এক কোম্পানি থেকে আরেক কোম্পানিতে ঘুরে ঘুরে কাজ খুঁজছে, কিন্তু কাজ মিলছে না।’ তিনি জানান, তাঁর সঞ্চয়ও শেষ হয়ে গেছে। কুমার কারখানায় চাকরির পাশাপাশি একটি মোবাইল ফোন মেরামতের দোকান চালান। আগে দোকান থেকে কিছু আয় হতো, এখন শহরের অচলাবস্থায় ক্রেতা নেই বললেই চলে। তিনি বলেন, ‘রপ্তানিকারক কারখানায় কাজ না থাকলে শহরের অন্য ব্যবসাগুলোও চলবে না।’
মার্কিন শুল্কের চাপে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এখন আত্মনির্ভরতার ডাক দিচ্ছেন। আগস্টে স্বাধীনতা দিবসের ভাষণে তিনি বলেন, ‘নির্ভরতা যখন অভ্যাসে পরিণত হয়, তখন তা দুর্ভাগ্যজনক। উন্নত ভারত গড়তে আমরা না থামব, না মাথা নোয়াব।’ তবে তিরুপ্পুরের শ্রমিক মনোজ কুমার বলেন, ‘মাথা না নোয়ানোর কথা শুনতে ভালো লাগে বটে, কিন্তু পেটে খাবার না থাকলে কীভাবে টিকে থাকব?’
আপনি যদি যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক হন এবং আপনার টি-শার্টে লেখা থাকে ‘মেড ইন ইন্ডিয়া’—তাহলে বেশ ভালো সম্ভাবনা আছে সেটি এসেছে ভারতের দক্ষিণের শিল্পকেন্দ্র তিরুপ্পুর থেকে। এই শহরটি দীর্ঘদিন ধরে ‘ডলার সিটি’ নামে পরিচিত, কারণ, যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে পোশাক রপ্তানিতে এটি ভারতের অন্যতম প্রধান কেন্দ্র।
কিন্তু প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রে ভারতীয় রপ্তানির ওপর ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপের সাত সপ্তাহের মাথায় শহরটির বহু পোশাক কারখানার চাকা প্রায় থমকে গেছে। উৎপাদন কমে যাওয়ায় তিরুপ্পুর শিল্পনগরীর বড় কারখানা থেকে ছোট ওয়ার্কশপ পর্যন্ত প্রায় ৬ লাখ মানুষের কর্মসংস্থানের ওপর প্রভাব পড়েছে। হাজার হাজার শ্রমিক হঠাৎ বেকার হয়ে পড়েছেন।
তিরুপ্পুর সেন্টার অব ইন্ডিয়ান ট্রেড ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক জি শম্পথ বলেন, ‘মোট উৎপাদন ২৫ শতাংশের মতো কমে গেছে।’ তিরুপ্পুর এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের তথ্য অনুযায়ী, গত বছর এই শহর থেকে ৩ দশমিক ৭ বিলিয়ন ডলারের পোশাক রপ্তানি হয়েছিল। এর প্রায় এক-তৃতীয়াংশ পোশাক যায় যুক্তরাষ্ট্রের বড় বড় খুচরা বিক্রেতা—ওয়ালমার্ট, টার্গেট ও সিয়ার্সের মতো ব্র্যান্ডে।
কারখানার শ্রমিক, শ্রম ঠিকাদার ও ব্যবসায়ী—এমন এক ডজনেরও বেশি মানুষের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ট্রাম্পের ‘বাণিজ্যযুদ্ধ’ কত দ্রুত তিরুপ্পুরের মানুষের জীবন ও জীবিকা ওলটপালট করে দিয়েছে। অধিকাংশ শ্রমিকেরই কোনো লিখিত চুক্তি বা চাকরির নিশ্চয়তা নেই। গ্রামাঞ্চল থেকে আসা বহু শ্রমিককে ফেরত পাঠানো হয়েছে। যারা এখনো কাজ করছেন, তাদেরও কাজের সময় ও বেতন কমে গেছে।
রপ্তানিকারকেরা জানাচ্ছেন, অর্ডার বাতিল বা স্থগিত হয়ে যাওয়ায় তারা পুরোনো স্টক পাঠিয়ে দিচ্ছেন, কারণ নতুন পণ্য বিক্রি না হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। অনেক মার্কিন ক্রেতা শুল্কের ক্ষতি পোষাতে ২০ শতাংশ পর্যন্ত ছাড় দাবি করছে। ৪৪ বছর বয়সী কর্মী মনোহর সাহনি গত দুই বছর ধরে নতুন তৈরি পোশাকের অতিরিক্ত সুতো ছেঁটে ফেলার কাজ করতেন। পূর্ব ভারতের দরিদ্র রাজ্য বিহার থেকে স্ত্রী-সন্তান নিয়ে তিনি তিরুপ্পুরে এসেছিলেন কাজের আশায়। স্ত্রীও একটি পোশাক কারখানায় কাজ করতেন। দুজনে মিলে মাসে প্রায় ৪৫০ ডলার আয় করতেন—যা দিয়ে সংসার চলত, মেয়ের বিয়ের দেনাও শোধ হচ্ছিল ধীরে ধীরে।
তারা যত বেশি পোশাক তৈরি করতেন, তত বেশি পারিশ্রমিক পেতেন। কিন্তু উৎপাদন কমে যাওয়ায় আয় নেমে এসেছে মাসে ২৫০ ডলারেরও নিচে—যা দিয়ে এখন আর ভাড়া ও খাবার খরচই ঠিকমতো মেটানো যায় না। সাহনি বলেন, ‘আমি বুঝে উঠতে পারছি না কী করব। অল্প যা টাকা আছে, সেটা দিয়ে পরিবারের খাওয়ার ব্যবস্থা করব, না মেয়ের বিয়ের দেনা শোধ করব?’
গত মাসে সাহনি স্ত্রী-সন্তানকে রেখে কয়েকশ কিলোমিটার দূরে কর্ণাটক রাজ্যে গিয়েছেন, যেখানে এখন নির্মাণশ্রমিক হিসেবে দিনে ৪ ডলারে কাজ করছেন। তিনি বললেন, ‘বিশ্ববাণিজ্য বা নীতিনির্ধারণ সম্পর্কে আমি খুব একটা জানি না। কিন্তু মনে হচ্ছে সরকার আমাদের ভুলে গেছে। কোনো সাহায্য পাইনি। কেউ আমাদের খোঁজও নেয় না।’
তিরুপ্পুরের জিনা গার্মেন্টসের ব্যবস্থাপনা অংশীদার মোহন শংকর বলেন, ‘এখন আমাদের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো লাভ নয়, টিকে থাকা। নগদ প্রবাহ বজায় রাখা এখনই মূল লক্ষ্য।’ যুক্তরাষ্ট্রের ক্রেতারা অর্ডার কমাচ্ছে বা বিলম্ব করছে জানিয়ে শংকর বলেন, তিনি মার্কিন বাজারের জন্য উৎপাদন ৭০ শতাংশ পর্যন্ত কমানোর পরিকল্পনা নিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘ওভারহেড কস্ট তথা অন্যান্য খাতের খরচ কমাতে হবে, প্রয়োজনে কর্মীও ছাঁটাই করতে হবে।’
তিরুপ্পুরের বেশির ভাগ কারখানা কম দামের পোশাক তৈরি করে—যেসব টি-শার্ট, লেগিংস ও অন্তর্বাস যুক্তরাষ্ট্রে ৫ থেকে ১০ ডলারের মধ্যে বিক্রি হয়। ফলে অতিরিক্ত খরচ পুষিয়ে নেওয়ার সুযোগ নেই—বলে জানান তিরুপ্পুরের কনফেডারেশন অব ইন্ডিয়ান ইন্ডাস্ট্রির সাবেক চেয়ারম্যান ও কটন ব্লসমের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মিল্টন অ্যামব্রোস জন। তিনি বলেন, ‘মার্কিন ক্রেতাদের দেওয়া কোনো ছাড়ই টেকসই নয়—৫ শতাংশও নয়। অথচ এখন অনেক ক্রেতা ১০ থেকে ২০ শতাংশ পর্যন্ত ছাড় দাবি করছে।’
যুক্তরাষ্ট্র চলতি বছরের আগস্টে ভারতের রপ্তানিপণ্যের ওপর ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করে। বাণিজ্য আলোচনায় অগ্রগতি না হওয়ায় পরের ধাপে দেশটি রুশ তেল কেনার জন্য ভারতের ওপর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা হিসেবে শুল্কহার বাড়িয়ে ৫০ শতাংশে উন্নীত করে। গত বুধবার যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি রাশিয়া থেকে তেল কেনা বন্ধ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। এতে আলোচনায় অগ্রগতির সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে বলে ধারণা করা হয়। তবে বৃহস্পতিবার ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, দুই নেতার মধ্যে এমন কোনো ফোনালাপের বিষয়ে তাদের জানা নেই।
আগস্টের ২৮ তারিখ ৫০ শতাংশ শুল্ক কার্যকর হওয়ার একদিন পর ভারত সরকার তুলা আমদানিতে শুল্কমুক্তির মেয়াদ বাড়ানোর ঘোষণা দেয়। পোশাক শিল্পকে কিছুটা স্বস্তি দিতে এই পদক্ষেপ নেওয়া হয় বলে মনে করা হচ্ছে। তবে দক্ষিণ ভারতের তিরুপ্পুরের পোশাক ব্যবসায়ীরা বলছেন, শুধু এই ব্যবস্থা যথেষ্ট নয়, সরকারকে আরও দ্রুত ও কার্যকর সহায়তা দিতে হবে।
জন নামের এক ব্যবসায়ী বলেন, ‘সরকারের জরুরি ঋণসহায়ক নীতি নেওয়া উচিত।’ তিনি বলেন, শহরের অচল তাঁতকলগুলোর অবস্থা এখন করোনাকালের মতো হয়ে গেছে। ভারতের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য জানানো হয়নি।
স্বল্পমেয়াদি ক্ষতির পাশাপাশি ভারতীয় রপ্তানিকারকদের মধ্যে এখন আরও বড় আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। তারা আশঙ্কা করছেন, যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে দ্রুতই বাংলাদেশের ও ভিয়েতনামের মতো প্রতিদ্বন্দ্বী দেশগুলো ভারতীয় পণ্যের জায়গা দখল করে নেবে। কারণ ওই দেশগুলোর ওপর যুক্তরাষ্ট্র মাত্র ২০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছে। এই বিষয়ে গ্লোবাল ট্রেড রিসার্চ ইনিশিয়েটিভের প্রতিষ্ঠাতা অজয় শ্রীবাস্তব বলেন, ‘আমেরিকান কোম্পানিগুলোর জন্য অন্য দেশে অর্ডার সরিয়ে নেওয়া খুব সহজ হবে।’
৩২ বছর বয়সী সানোজ কুমার স্মরণ করেন, শুল্কহার বাড়ার আগে শেষ মুহূর্তে অর্ডার শেষ করার জন্য তাঁকে দিন-রাত কাজ করতে হয়েছে। তিনি বলেন, ‘ব্র্যান্ডগুলোর প্রতিনিধিরা পর্যন্ত এসে তদারকি করত, চাপ দিত কাজ শেষ করতে।’ কিন্তু শুল্ক আরোপের কয়েক দিন পরই তাঁকে জানানো হয়, আর কোনো অর্ডার নেই—কাজে যেতে হবে না।
বিহারের বাসিন্দা কুমার তাঁর কিশোর বয়সে চাচাদের সঙ্গে তিরুপ্পুরে চলে আসেন। পোশাক কারখানায় ‘চেকার’ হিসেবে কাজ করতেন। মূলত তাঁর কাজ ছিল প্রস্তুতকৃত পোশাক থেকে বাড়তি সুতার প্রান্ত ছেঁটে দেওয়া। পাশাপাশি তিনি ঠিকাদারি কাজও করতেন, পরিযায়ী শ্রমিকদের বিভিন্ন কারখানায় যুক্ত করতেন। এখন প্রায় সবাই গ্রামে ফিরে গেছে।
কুমার বলেন, ‘মানুষ এক কোম্পানি থেকে আরেক কোম্পানিতে ঘুরে ঘুরে কাজ খুঁজছে, কিন্তু কাজ মিলছে না।’ তিনি জানান, তাঁর সঞ্চয়ও শেষ হয়ে গেছে। কুমার কারখানায় চাকরির পাশাপাশি একটি মোবাইল ফোন মেরামতের দোকান চালান। আগে দোকান থেকে কিছু আয় হতো, এখন শহরের অচলাবস্থায় ক্রেতা নেই বললেই চলে। তিনি বলেন, ‘রপ্তানিকারক কারখানায় কাজ না থাকলে শহরের অন্য ব্যবসাগুলোও চলবে না।’
মার্কিন শুল্কের চাপে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এখন আত্মনির্ভরতার ডাক দিচ্ছেন। আগস্টে স্বাধীনতা দিবসের ভাষণে তিনি বলেন, ‘নির্ভরতা যখন অভ্যাসে পরিণত হয়, তখন তা দুর্ভাগ্যজনক। উন্নত ভারত গড়তে আমরা না থামব, না মাথা নোয়াব।’ তবে তিরুপ্পুরের শ্রমিক মনোজ কুমার বলেন, ‘মাথা না নোয়ানোর কথা শুনতে ভালো লাগে বটে, কিন্তু পেটে খাবার না থাকলে কীভাবে টিকে থাকব?’
ব্যাংক খাতে স্থিতিশীলতা ফেরানোর কথা বলে সম্প্রতি বাংলাদেশ ব্যাংক দুর্বল ব্যাংকগুলোকে সবল ব্যাংকের সঙ্গে একীভূতকরণের উদ্যোগ নেয়। পাঁচটি দুর্বল ব্যাংককে ভালো পাঁচটি ব্যাংকের সঙ্গে একীভূত করতে একের পর এক ঘোষণাও আসে। কিন্তু ডুবতে বসা পদ্মা ব্যাংক ছাড়া বাকি চার দুর্বল ব্যাংকই একীভূতকরণের বিপক্ষে। তাদের ম
৩০ এপ্রিল ২০২৪জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক) ১ হাজার ৯৮৮ কোটি ৯ লাখ টাকার ১৩টি প্রকল্প অনুমোদন করেছে। এর মধ্যে সরকারি অর্থায়ন ১ হাজার ৮৮৫ কোটি ৭ লাখ টাকা, বৈদেশিক ঋণ সহায়তায় ৫৩ কোটি ২ লাখ টাকা এবং সংস্থার নিজস্ব অর্থায়ন ৫০ কোটি টাকা।
৪১ মিনিট আগেসংখ্যাগরিষ্ঠ শেয়ার হাতবদলের পর নোভারটিস (বাংলাদেশ) লিমিটেড এখন নেভিয়ান লাইফসায়েন্স পিএলসি নামে নতুন করে যাত্রা শুরু করেছে। পরিবর্তন এলেও নেভিয়ান লাইসেন্সিং চুক্তির মাধ্যমে বাংলাদেশে নোভারটিসের বিশ্বখ্যাত ব্র্যান্ডগুলোর উৎপাদন ও বাজারজাতকরণ অব্যাহত রাখবে।
১ ঘণ্টা আগেএয়ারবাসটি স্পেনের ট্যুরেল থেকে আজ মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৮টায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে। আনুষ্ঠানিকভাবে নতুন এয়ারক্র্যাফটটি গ্রহণ করেন ইউএস-বাংলা এয়ারলাইনসের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
৭ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
দেশের বৃহত্তম বেসরকারি বিমান সংস্থা ইউএস-বাংলা এয়ারলাইনসের বহরে যুক্ত হয়েছে তৃতীয় বৃহদাকার এয়ারবাস ৩৩০-৩০০। নতুন যুক্ত হওয়া এয়ারবাসের আসনসংখ্যা ৪৩৬।
এয়ারবাসটি স্পেনের ট্যুরেল থেকে আজ মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৮টায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে। আনুষ্ঠানিকভাবে নতুন এয়ারক্র্যাফটটি গ্রহণ করেন ইউএস-বাংলা এয়ারলাইনসের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
ইউএস-বাংলা এয়ারলাইনসের মহাব্যবস্থাপক (জনসংযোগ) মো. কামরুল ইসলাম জানান, নতুন এই এয়ারবাস দিয়ে ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার অংশ হিসেবে সৌদি আরবের জেদ্দা, রিয়াদ, মদিনা রুটে ফ্লাইট পরিচালিত হবে।
নতুন এয়ারবাস যুক্ত হওয়ার মধ্য দিয়ে ইউএস-বাংলার বহরে এয়ারক্র্যাফটের সংখ্যা এখন ২৫টি। এয়ারক্র্যাফটের সংখ্যার বিচারে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইনস এখন দেশের সর্ববৃহৎ বিমান সংস্থা। এয়ারবাস ৩৩০-৩০০ ছাড়াও তাদের বহরে রয়েছে ৯টি বোয়িং ৭৩৭-৮০০, ১০টি এটিআর ৭২-৬০০ মডেলের এয়ারক্র্যাফট।
ইউএস-বাংলা এয়ারলাইনস বর্তমানে অভ্যন্তরীণ সব রুটসহ আন্তর্জাতিক রুটে কলকাতা, চেন্নাই, মালে, মাসকাট, দোহা, দুবাই, শারজা, আবুধাবি, জেদ্দা, রিয়াদ, ব্যাংকক, কুয়ালালামপুর, সিঙ্গাপুর ও গুয়াংজু রুটে নিয়মিত ফ্লাইট পরিচালনা করে আসছে।
দেশের বৃহত্তম বেসরকারি বিমান সংস্থা ইউএস-বাংলা এয়ারলাইনসের বহরে যুক্ত হয়েছে তৃতীয় বৃহদাকার এয়ারবাস ৩৩০-৩০০। নতুন যুক্ত হওয়া এয়ারবাসের আসনসংখ্যা ৪৩৬।
এয়ারবাসটি স্পেনের ট্যুরেল থেকে আজ মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৮টায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে। আনুষ্ঠানিকভাবে নতুন এয়ারক্র্যাফটটি গ্রহণ করেন ইউএস-বাংলা এয়ারলাইনসের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
ইউএস-বাংলা এয়ারলাইনসের মহাব্যবস্থাপক (জনসংযোগ) মো. কামরুল ইসলাম জানান, নতুন এই এয়ারবাস দিয়ে ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার অংশ হিসেবে সৌদি আরবের জেদ্দা, রিয়াদ, মদিনা রুটে ফ্লাইট পরিচালিত হবে।
নতুন এয়ারবাস যুক্ত হওয়ার মধ্য দিয়ে ইউএস-বাংলার বহরে এয়ারক্র্যাফটের সংখ্যা এখন ২৫টি। এয়ারক্র্যাফটের সংখ্যার বিচারে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইনস এখন দেশের সর্ববৃহৎ বিমান সংস্থা। এয়ারবাস ৩৩০-৩০০ ছাড়াও তাদের বহরে রয়েছে ৯টি বোয়িং ৭৩৭-৮০০, ১০টি এটিআর ৭২-৬০০ মডেলের এয়ারক্র্যাফট।
ইউএস-বাংলা এয়ারলাইনস বর্তমানে অভ্যন্তরীণ সব রুটসহ আন্তর্জাতিক রুটে কলকাতা, চেন্নাই, মালে, মাসকাট, দোহা, দুবাই, শারজা, আবুধাবি, জেদ্দা, রিয়াদ, ব্যাংকক, কুয়ালালামপুর, সিঙ্গাপুর ও গুয়াংজু রুটে নিয়মিত ফ্লাইট পরিচালনা করে আসছে।
ব্যাংক খাতে স্থিতিশীলতা ফেরানোর কথা বলে সম্প্রতি বাংলাদেশ ব্যাংক দুর্বল ব্যাংকগুলোকে সবল ব্যাংকের সঙ্গে একীভূতকরণের উদ্যোগ নেয়। পাঁচটি দুর্বল ব্যাংককে ভালো পাঁচটি ব্যাংকের সঙ্গে একীভূত করতে একের পর এক ঘোষণাও আসে। কিন্তু ডুবতে বসা পদ্মা ব্যাংক ছাড়া বাকি চার দুর্বল ব্যাংকই একীভূতকরণের বিপক্ষে। তাদের ম
৩০ এপ্রিল ২০২৪জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক) ১ হাজার ৯৮৮ কোটি ৯ লাখ টাকার ১৩টি প্রকল্প অনুমোদন করেছে। এর মধ্যে সরকারি অর্থায়ন ১ হাজার ৮৮৫ কোটি ৭ লাখ টাকা, বৈদেশিক ঋণ সহায়তায় ৫৩ কোটি ২ লাখ টাকা এবং সংস্থার নিজস্ব অর্থায়ন ৫০ কোটি টাকা।
৪১ মিনিট আগেসংখ্যাগরিষ্ঠ শেয়ার হাতবদলের পর নোভারটিস (বাংলাদেশ) লিমিটেড এখন নেভিয়ান লাইফসায়েন্স পিএলসি নামে নতুন করে যাত্রা শুরু করেছে। পরিবর্তন এলেও নেভিয়ান লাইসেন্সিং চুক্তির মাধ্যমে বাংলাদেশে নোভারটিসের বিশ্বখ্যাত ব্র্যান্ডগুলোর উৎপাদন ও বাজারজাতকরণ অব্যাহত রাখবে।
১ ঘণ্টা আগেআপনি যদি যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক হন এবং আপনার টি-শার্টে লেখা থাকে ‘মেড ইন ইন্ডিয়া’—তাহলে বেশ ভালো সম্ভাবনা আছে সেটি এসেছে ভারতের দক্ষিণের শিল্পকেন্দ্র তিরুপ্পুর থেকে। এই শহরটি দীর্ঘদিন ধরে ‘ডলার সিটি’ নামে পরিচিত, কারণ, যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে পোশাক রপ্তানিতে এটি ভারতের অন্যতম প্রধান কেন্দ্র।
২ ঘণ্টা আগে