
বেসরকারি খাতের প্রথম প্রজন্মের ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক পিএলসি (ইউসিবি) সাড়ে তিন দশক ধরে অভিনব সেবায় জাতীয় অর্থনীতিতে অবদান রাখছে। সরকার পরিবর্তনের পর গত আগস্টে পরিচালনা ও ব্যবস্থাপনায় নেতৃত্ব বদল হয়। ৪২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে ব্যাংকটির সার্বিক কর্মকাণ্ড নিয়ে আজকের পত্রিকার সঙ্গে বিস্তারিত আলোচনা করেন ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মোহাম্মদ মামদুদুর রশীদ। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক জয়নাল আবেদীন খান।
জয়নাল আবেদীন খান

আজকের পত্রিকা: ইউসিবির দেশি-বিদেশি গ্রাহকের আস্থার নেপথ্যে জাদুটা কী?
মামদুদুর রশীদ: ২০২০ সাল থেকে দেশে ব্যাংকিং খাত একটানা চাপের মধ্যেই রয়েছে। সুদহারে কৃত্রিম সীমা, করোনা, বৈশ্বিক যুদ্ধ, ডলারের ঘাটতি—সব মিলিয়ে টানা সংকট চলছে। বিশেষ করে কেন্দ্রীয় ব্যাংক যখন রিজার্ভ থেকে ডলার বিক্রি করে, তখন বাজারের তারল্যের বড় অংশ সরে যায়। মূল্যস্ফীতি ১০ শতাংশ ছাড়িয়ে যায় আর সুদের সীমা তুলে দেওয়ার পর তা লাগামছাড়া বাড়তে থাকে। ডলারের দাম একপর্যায়ে ৪৫ শতাংশ পর্যন্ত বেড়ে যায়।
এই চাপ দেশের অনেক ব্যবসায়ীর জন্যই সামলানো কঠিন হয়ে পড়ে। সব খাত আবার এমন নয় যে সেখানে উচ্চ মুনাফা হয়। ফলে খেলাপি ঋণ বেড়ে ২৪ শতাংশ ছাড়ায়। আমাদের ব্যাংকেও তা ১৪ শতাংশে পৌঁছেছে। তবু এই টালমাটাল সময়ে আমরা কখনোই গ্রাহকের কাছে দায় এড়িয়ে যাইনি। টাকা হোক বা ডলার—চাহিদামতো আমরা দিয়েছি সময়মতোই। ২০২২ সালের সংকটকালেও কেউ ইউসিবি থেকে খালি হাতে ফেরেনি। এটাই আমাদের আসল শক্তি—প্রতিশ্রুতি রক্ষা। আর এভাবেই গড়ে উঠেছে আজকের আস্থা, যেটা অনেকের চোখে জাদুর মতো মনে হলেও আমাদের কাছে এটা নীতির প্রশ্ন।
আজকের পত্রিকা: ইউসিবির ব্র্যান্ডিং কেমন উপভোগ করছেন?
মামদুদুর রশীদ: ইউসিবি দেশে বেসরকারি খাতের প্রথম প্রজন্মের ব্যাংক হিসেবে ১৯৮৩ সালের ২৮ জুন যাত্রা শুরু করে। তখন অর্থনীতি ছোট ছিল। তবে বড় হওয়ার গতি নজরে পড়ার মতো ছিল। বিশেষ করে ঢাকা ও চট্টগ্রামের সওদাগরেরা দেশ-বিদেশে জোরেশোরে ব্যবসা শুরু করেন। কিন্তু অর্থায়ন করার মতো তেমন প্রতিষ্ঠান ছিল না। এখন যাদের বড়-মাঝারি শিল্প গ্রুপ হিসেবে দেখা যায়, তাদের বেশির ভাগের যাত্রা শুরু হয় দেশে বেসরকারি ব্যাংক চালুর পর। ফলে দেশের শীর্ষ করপোরেটরা ইউসিবির গ্রাহক। ব্যাংকের উদ্দেশ্যই ছিল বেসরকারি খাতকে এগিয়ে নেওয়া। সেটা সফল হয়েছে। আমাদের ৬১ হাজার কোটি টাকার ঋণের ৭০ শতাংশই বেসরকারি খাতের করপোরেট উদ্যোক্তারা নিয়েছেন। এই ৪২ বছরে গ্রাহকের আস্থা ও ব্র্যান্ডিং ব্যাংকটিকে অনন্য উচ্চতায় দাঁড় করিয়েছে। ব্র্যান্ডিং তো দেশ-বিদেশে ব্যাপক সুনাম কুড়িয়েছে।
আজকের পত্রিকা: ব্যাংকটির ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা কী?
মামদুদুর রশীদ: নতুন পরিচালনা পরিষদ ২০২৪ সালের আগস্টে দায়িত্ব নেওয়ার পর ব্যাংক কিছু চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়, তবে আমানত সংগ্রহে দ্রুত সাফল্য এসেছে। চলতি বছর ৬ হাজার ২১৮ কোটি টাকা আমানত সংগ্রহ হয়েছে, যা গত বছরের তুলনায় অনেক বেশি। ৩ লাখ নতুন গ্রাহক যুক্ত হয়েছেন এবং চারটি বিদেশি ব্যাংকের সঙ্গে ক্রেডিট লাইন চালু হয়েছে। কর্মীদের আত্মবিশ্বাস ফিরিয়ে আনা হয়েছে এবং ব্যাংকের সুশাসনের উন্নয়নে জোর দেওয়া হচ্ছে।
পরবর্তী তিন থেকে পাঁচ বছরে মূলধন দ্বিগুণ করার পরিকল্পনা রয়েছে, রাইট শেয়ার ও নতুন শেয়ার ইস্যুর মাধ্যমে। ডিজিটাল সেবায় বিনিয়োগ বাড়িয়ে ভোক্তা ও এসএমই ব্যাংকিং পুরোপুরি ডিজিটাল করার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। ব্যাংকের চারটি লাইসেন্সের সুবিধা নিয়ে ফিনটেকসহ সব ধরনের আধুনিক সেবার সঙ্গে যুক্ত হওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে, যার উদ্দেশ্যে ইতিমধ্যে ব্যাংকিং রোবোটিকস ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (এআই) ব্যবহার শুরু হয়েছে।
আজকের পত্রিকা: অফশোর ব্যাংকিংয়ের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা কী?
মামদুদুর রশীদ: স্বল্প ও দীর্ঘ মেয়াদে বিদেশে হাউস বৃদ্ধি ও বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের লক্ষ্যে কাজ চলবে। আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে আন্তর্জাতিক লেনদেনে দেশের ৬১টি ব্যাংকের মধ্যে শীর্ষ তিনে থাকার দৃঢ় বিশ্বাস রয়েছে।
আজকের পত্রিকা: ইসলামি ব্যাংকিং নিয়ে হতাশ নাকি আশাবাদী?
মামদুদুর রশীদ: আমাদের ইসলামি ব্যাংকিং চালু রয়েছে। এর প্রতি অনেক গ্রাহকের আগ্রহ রয়েছে। তাদের চাহিদা আমলে নিয়ে শরিয়াহ ব্যাংকিং প্রসারে উদ্যোগ রয়েছে। এ ধরনের ব্যাংকিংয়ের ভবিষ্যৎ ভালো মনে হচ্ছে। হতাশার কিছু নেই।
আজকের পত্রিকা: ইউসিবির ঋণ ব্যবস্থাপনা কেমন?
মামদুদুর রশীদ: ৪২ বছরের মাথায় দাঁড়িয়ে আমরা দেখছি, আমাদের আমানত ৬১ হাজার ৮০৩ কোটি টাকা। আমাদের ঋণের পরিমাণ প্রায় ৬০ হাজার ৮৯৪ কোটি টাকা। অর্থাৎ প্রায় ১ লাখ ২২ হাজার কোটি টাকার তহবিল ব্যবস্থাপনা করছি আমরা। ফলে আমানত ও ঋণ—দুভাবেই ইউসিবি বড় ব্যাংক। দেশের শীর্ষ পাঁচ ব্যাংকের একটি ইউসিবি। আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের ৭ শতাংশ আমাদের মাধ্যমে হয়ে থাকে। পোশাক খাতে অর্থায়নে শীর্ষ ব্যাংক ইউসিবি। আমাদের ঋণের প্রায় ৭০ শতাংশ হচ্ছে মাঝারি করপোরেট ও বড় করপোরেটদের। বাকি ৩০ শতাংশ ঋণ গেছে ভোক্তা, সিএমএসএমই, কৃষিসহ বিভিন্ন খাতে। সারা দেশে আমাদের ২৩১ শাখা, ১৮১ উপশাখা ও ৬৪৫টি এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট রয়েছে। আমানতকারী ২৪ লাখ ৬২ হাজার। ব্যাংকের নিয়মিত কর্মী ৫ হাজার ৭৮৯ জন।
আজকের পত্রিকা: নতুন বন্ড ইস্যু নিয়ে বাজারে চাউর হওয়া বিষয়টি সত্যি কি?
মামদুদুর রশীদ: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি হিসেবে ইউসিবির পরিচালনা পর্ষদ একটি সাব-অর্ডিনেটেড বন্ড ইস্যু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। প্রস্তাবিত বন্ডটি ইস্যুর মাধ্যমে ইউসিবি বাজার থেকে ১ হাজার কোটি টাকা সংগ্রহ করবে। টিয়ার টু মূলধন ভিত্তি শক্তিশালী করতে এই অর্থ ব্যবহার করবে ব্যাংকটি। বন্ডটির নাম হলো ইউসিবি ষষ্ঠ সাব-অর্ডিনেটেড বন্ড।
আজকের পত্রিকা: ইউসিবির দেশি-বিদেশি গ্রাহকের আস্থার নেপথ্যে জাদুটা কী?
মামদুদুর রশীদ: ২০২০ সাল থেকে দেশে ব্যাংকিং খাত একটানা চাপের মধ্যেই রয়েছে। সুদহারে কৃত্রিম সীমা, করোনা, বৈশ্বিক যুদ্ধ, ডলারের ঘাটতি—সব মিলিয়ে টানা সংকট চলছে। বিশেষ করে কেন্দ্রীয় ব্যাংক যখন রিজার্ভ থেকে ডলার বিক্রি করে, তখন বাজারের তারল্যের বড় অংশ সরে যায়। মূল্যস্ফীতি ১০ শতাংশ ছাড়িয়ে যায় আর সুদের সীমা তুলে দেওয়ার পর তা লাগামছাড়া বাড়তে থাকে। ডলারের দাম একপর্যায়ে ৪৫ শতাংশ পর্যন্ত বেড়ে যায়।
এই চাপ দেশের অনেক ব্যবসায়ীর জন্যই সামলানো কঠিন হয়ে পড়ে। সব খাত আবার এমন নয় যে সেখানে উচ্চ মুনাফা হয়। ফলে খেলাপি ঋণ বেড়ে ২৪ শতাংশ ছাড়ায়। আমাদের ব্যাংকেও তা ১৪ শতাংশে পৌঁছেছে। তবু এই টালমাটাল সময়ে আমরা কখনোই গ্রাহকের কাছে দায় এড়িয়ে যাইনি। টাকা হোক বা ডলার—চাহিদামতো আমরা দিয়েছি সময়মতোই। ২০২২ সালের সংকটকালেও কেউ ইউসিবি থেকে খালি হাতে ফেরেনি। এটাই আমাদের আসল শক্তি—প্রতিশ্রুতি রক্ষা। আর এভাবেই গড়ে উঠেছে আজকের আস্থা, যেটা অনেকের চোখে জাদুর মতো মনে হলেও আমাদের কাছে এটা নীতির প্রশ্ন।
আজকের পত্রিকা: ইউসিবির ব্র্যান্ডিং কেমন উপভোগ করছেন?
মামদুদুর রশীদ: ইউসিবি দেশে বেসরকারি খাতের প্রথম প্রজন্মের ব্যাংক হিসেবে ১৯৮৩ সালের ২৮ জুন যাত্রা শুরু করে। তখন অর্থনীতি ছোট ছিল। তবে বড় হওয়ার গতি নজরে পড়ার মতো ছিল। বিশেষ করে ঢাকা ও চট্টগ্রামের সওদাগরেরা দেশ-বিদেশে জোরেশোরে ব্যবসা শুরু করেন। কিন্তু অর্থায়ন করার মতো তেমন প্রতিষ্ঠান ছিল না। এখন যাদের বড়-মাঝারি শিল্প গ্রুপ হিসেবে দেখা যায়, তাদের বেশির ভাগের যাত্রা শুরু হয় দেশে বেসরকারি ব্যাংক চালুর পর। ফলে দেশের শীর্ষ করপোরেটরা ইউসিবির গ্রাহক। ব্যাংকের উদ্দেশ্যই ছিল বেসরকারি খাতকে এগিয়ে নেওয়া। সেটা সফল হয়েছে। আমাদের ৬১ হাজার কোটি টাকার ঋণের ৭০ শতাংশই বেসরকারি খাতের করপোরেট উদ্যোক্তারা নিয়েছেন। এই ৪২ বছরে গ্রাহকের আস্থা ও ব্র্যান্ডিং ব্যাংকটিকে অনন্য উচ্চতায় দাঁড় করিয়েছে। ব্র্যান্ডিং তো দেশ-বিদেশে ব্যাপক সুনাম কুড়িয়েছে।
আজকের পত্রিকা: ব্যাংকটির ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা কী?
মামদুদুর রশীদ: নতুন পরিচালনা পরিষদ ২০২৪ সালের আগস্টে দায়িত্ব নেওয়ার পর ব্যাংক কিছু চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়, তবে আমানত সংগ্রহে দ্রুত সাফল্য এসেছে। চলতি বছর ৬ হাজার ২১৮ কোটি টাকা আমানত সংগ্রহ হয়েছে, যা গত বছরের তুলনায় অনেক বেশি। ৩ লাখ নতুন গ্রাহক যুক্ত হয়েছেন এবং চারটি বিদেশি ব্যাংকের সঙ্গে ক্রেডিট লাইন চালু হয়েছে। কর্মীদের আত্মবিশ্বাস ফিরিয়ে আনা হয়েছে এবং ব্যাংকের সুশাসনের উন্নয়নে জোর দেওয়া হচ্ছে।
পরবর্তী তিন থেকে পাঁচ বছরে মূলধন দ্বিগুণ করার পরিকল্পনা রয়েছে, রাইট শেয়ার ও নতুন শেয়ার ইস্যুর মাধ্যমে। ডিজিটাল সেবায় বিনিয়োগ বাড়িয়ে ভোক্তা ও এসএমই ব্যাংকিং পুরোপুরি ডিজিটাল করার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। ব্যাংকের চারটি লাইসেন্সের সুবিধা নিয়ে ফিনটেকসহ সব ধরনের আধুনিক সেবার সঙ্গে যুক্ত হওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে, যার উদ্দেশ্যে ইতিমধ্যে ব্যাংকিং রোবোটিকস ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (এআই) ব্যবহার শুরু হয়েছে।
আজকের পত্রিকা: অফশোর ব্যাংকিংয়ের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা কী?
মামদুদুর রশীদ: স্বল্প ও দীর্ঘ মেয়াদে বিদেশে হাউস বৃদ্ধি ও বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের লক্ষ্যে কাজ চলবে। আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে আন্তর্জাতিক লেনদেনে দেশের ৬১টি ব্যাংকের মধ্যে শীর্ষ তিনে থাকার দৃঢ় বিশ্বাস রয়েছে।
আজকের পত্রিকা: ইসলামি ব্যাংকিং নিয়ে হতাশ নাকি আশাবাদী?
মামদুদুর রশীদ: আমাদের ইসলামি ব্যাংকিং চালু রয়েছে। এর প্রতি অনেক গ্রাহকের আগ্রহ রয়েছে। তাদের চাহিদা আমলে নিয়ে শরিয়াহ ব্যাংকিং প্রসারে উদ্যোগ রয়েছে। এ ধরনের ব্যাংকিংয়ের ভবিষ্যৎ ভালো মনে হচ্ছে। হতাশার কিছু নেই।
আজকের পত্রিকা: ইউসিবির ঋণ ব্যবস্থাপনা কেমন?
মামদুদুর রশীদ: ৪২ বছরের মাথায় দাঁড়িয়ে আমরা দেখছি, আমাদের আমানত ৬১ হাজার ৮০৩ কোটি টাকা। আমাদের ঋণের পরিমাণ প্রায় ৬০ হাজার ৮৯৪ কোটি টাকা। অর্থাৎ প্রায় ১ লাখ ২২ হাজার কোটি টাকার তহবিল ব্যবস্থাপনা করছি আমরা। ফলে আমানত ও ঋণ—দুভাবেই ইউসিবি বড় ব্যাংক। দেশের শীর্ষ পাঁচ ব্যাংকের একটি ইউসিবি। আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের ৭ শতাংশ আমাদের মাধ্যমে হয়ে থাকে। পোশাক খাতে অর্থায়নে শীর্ষ ব্যাংক ইউসিবি। আমাদের ঋণের প্রায় ৭০ শতাংশ হচ্ছে মাঝারি করপোরেট ও বড় করপোরেটদের। বাকি ৩০ শতাংশ ঋণ গেছে ভোক্তা, সিএমএসএমই, কৃষিসহ বিভিন্ন খাতে। সারা দেশে আমাদের ২৩১ শাখা, ১৮১ উপশাখা ও ৬৪৫টি এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট রয়েছে। আমানতকারী ২৪ লাখ ৬২ হাজার। ব্যাংকের নিয়মিত কর্মী ৫ হাজার ৭৮৯ জন।
আজকের পত্রিকা: নতুন বন্ড ইস্যু নিয়ে বাজারে চাউর হওয়া বিষয়টি সত্যি কি?
মামদুদুর রশীদ: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি হিসেবে ইউসিবির পরিচালনা পর্ষদ একটি সাব-অর্ডিনেটেড বন্ড ইস্যু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। প্রস্তাবিত বন্ডটি ইস্যুর মাধ্যমে ইউসিবি বাজার থেকে ১ হাজার কোটি টাকা সংগ্রহ করবে। টিয়ার টু মূলধন ভিত্তি শক্তিশালী করতে এই অর্থ ব্যবহার করবে ব্যাংকটি। বন্ডটির নাম হলো ইউসিবি ষষ্ঠ সাব-অর্ডিনেটেড বন্ড।

বাংলাদেশের সর্বোচ্চ ইস্পাত উৎপাদনক্ষমতাসম্পন্ন প্রতিষ্ঠান আবুল খায়ের স্টিল (একেএস) ৬ ডিসেম্বর তাদের সব কর্মীকে নিয়ে ‘একেএস-একসাথে আগামীর পথে’ শীর্ষক একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিল।
১৬ ঘণ্টা আগে
ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির পরিচালনা পরিষদের বোর্ড সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল সোমবার (৮ ডসিম্বের) ইসলামী ব্যাংক টাওয়ারে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়। ব্যাংকের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. এম জুবায়দুর রহমান এতে সভাপতিত্ব করেন।
১৬ ঘণ্টা আগে
কর ও সঞ্চিতি সংরক্ষণের পর নিট মুনাফা অর্জন না করলে কোনো ব্যাংকই আর উৎসাহ বোনাস দিতে পারবে না। পাশাপাশি মূলধন সংরক্ষণ ঘাটতি, প্রভিশন ঘাটতি বা পুঞ্জীভূত মুনাফা থেকেই বোনাস দেওয়ার পথও পুরোপুরি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
১৬ ঘণ্টা আগে
এনবিআর জানিয়েছে, শিগগির এ পদ্ধতি সারা দেশে চালু করা হবে, যাতে সব ধরনের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান স্বয়ংক্রিয়ভাবে ভ্যাটের আওতায় আসে এবং নিবন্ধন ছাড়া আর কেউ ব্যবসা চালাতে না পারে।
১৮ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

বাংলাদেশের সর্বোচ্চ ইস্পাত উৎপাদনক্ষমতাসম্পন্ন প্রতিষ্ঠান আবুল খায়ের স্টিল (একেএস) ৬ ডিসেম্বর তাদের সব কর্মীকে নিয়ে ‘একেএস-একসাথে আগামীর পথে’ শীর্ষক একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিল। দিনব্যাপী এই উৎসবমুখর ও জাঁকজমকপূর্ণ আয়োজনে দেশের প্রতিটি স্থান থেকে আবুল খায়ের স্টিলের সব কর্মকর্তা ও কর্মচারী উপস্থিত ছিলেন।
সূচনা বক্তব্যের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করা হয়। নামাজ ও খাবারের বিরতির পর একেএসের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা সবার উদ্দেশে অনুপ্রেরণামূলক বক্তব্য দেন। বক্তব্যে কোম্পানির সাম্প্রতিক অর্জন ও মাইলফলকগুলো তুলে ধরা হয়। এর মধ্যে রয়েছে—দেশের সবচেয়ে শক্তিশালী রড একেএস টিএমটি বি৭০০ সি-আরের সফল উৎপাদন। বিশ্বের দ্রুততম রোলিং মিল স্থাপন। একেএস এবং কাউ ব্র্যান্ড কালার কোটেড স্টিলের মর্যাদাপূর্ণ সুপারব্র্যান্ড অ্যাওয়ার্ড অর্জন।
এই আলোচনায় প্রযুক্তিগত উদ্ভাবন এবং কর্মীদের সম্মিলিত সাফল্যের প্রতিচ্ছবিও উঠে আসে।
সন্ধ্যায় আয়োজিত সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও র্যাফেল ড্র পর্বটি উদ্যাপনকে আরও প্রাণবন্ত করে তোলে। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে কিংবদন্তি শিল্পী জেমসের মনোমুগ্ধকর পরিবেশনা ও লেজার শো উপস্থিত সবাইকে মাতিয়ে রাখে।
সমাপনী ভাষণে একেএস পরিবারের প্রত্যেক সদস্যকে অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকার জন্য ধন্যবাদ জানান হয়। এরপর নৈশভোজ ও ডিজে সেশনের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়।

বাংলাদেশের সর্বোচ্চ ইস্পাত উৎপাদনক্ষমতাসম্পন্ন প্রতিষ্ঠান আবুল খায়ের স্টিল (একেএস) ৬ ডিসেম্বর তাদের সব কর্মীকে নিয়ে ‘একেএস-একসাথে আগামীর পথে’ শীর্ষক একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিল। দিনব্যাপী এই উৎসবমুখর ও জাঁকজমকপূর্ণ আয়োজনে দেশের প্রতিটি স্থান থেকে আবুল খায়ের স্টিলের সব কর্মকর্তা ও কর্মচারী উপস্থিত ছিলেন।
সূচনা বক্তব্যের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করা হয়। নামাজ ও খাবারের বিরতির পর একেএসের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা সবার উদ্দেশে অনুপ্রেরণামূলক বক্তব্য দেন। বক্তব্যে কোম্পানির সাম্প্রতিক অর্জন ও মাইলফলকগুলো তুলে ধরা হয়। এর মধ্যে রয়েছে—দেশের সবচেয়ে শক্তিশালী রড একেএস টিএমটি বি৭০০ সি-আরের সফল উৎপাদন। বিশ্বের দ্রুততম রোলিং মিল স্থাপন। একেএস এবং কাউ ব্র্যান্ড কালার কোটেড স্টিলের মর্যাদাপূর্ণ সুপারব্র্যান্ড অ্যাওয়ার্ড অর্জন।
এই আলোচনায় প্রযুক্তিগত উদ্ভাবন এবং কর্মীদের সম্মিলিত সাফল্যের প্রতিচ্ছবিও উঠে আসে।
সন্ধ্যায় আয়োজিত সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও র্যাফেল ড্র পর্বটি উদ্যাপনকে আরও প্রাণবন্ত করে তোলে। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে কিংবদন্তি শিল্পী জেমসের মনোমুগ্ধকর পরিবেশনা ও লেজার শো উপস্থিত সবাইকে মাতিয়ে রাখে।
সমাপনী ভাষণে একেএস পরিবারের প্রত্যেক সদস্যকে অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকার জন্য ধন্যবাদ জানান হয়। এরপর নৈশভোজ ও ডিজে সেশনের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়।

বেসরকারি খাতের প্রথম প্রজন্মের ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক পিএলসি (ইউসিবি) সাড়ে তিন দশক ধরে অভিনব সেবায় জাতীয় অর্থনীতিতে অবদান রাখছে। সরকার পরিবর্তনের পর গত আগস্টে পরিচালনা ও ব্যবস্থাপনায় নেতৃত্ব বদল হয়।
২৯ জুন ২০২৫
ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির পরিচালনা পরিষদের বোর্ড সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল সোমবার (৮ ডসিম্বের) ইসলামী ব্যাংক টাওয়ারে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়। ব্যাংকের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. এম জুবায়দুর রহমান এতে সভাপতিত্ব করেন।
১৬ ঘণ্টা আগে
কর ও সঞ্চিতি সংরক্ষণের পর নিট মুনাফা অর্জন না করলে কোনো ব্যাংকই আর উৎসাহ বোনাস দিতে পারবে না। পাশাপাশি মূলধন সংরক্ষণ ঘাটতি, প্রভিশন ঘাটতি বা পুঞ্জীভূত মুনাফা থেকেই বোনাস দেওয়ার পথও পুরোপুরি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
১৬ ঘণ্টা আগে
এনবিআর জানিয়েছে, শিগগির এ পদ্ধতি সারা দেশে চালু করা হবে, যাতে সব ধরনের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান স্বয়ংক্রিয়ভাবে ভ্যাটের আওতায় আসে এবং নিবন্ধন ছাড়া আর কেউ ব্যবসা চালাতে না পারে।
১৮ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির পরিচালনা পরিষদের বোর্ড সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল সোমবার (৮ ডসিম্বের) ইসলামী ব্যাংক টাওয়ারে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়। ব্যাংকের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. এম জুবায়দুর রহমান এতে সভাপতিত্ব করেন।
সভায় এক্সিকিউটিভ কমিটির চেয়ারম্যান মোহাম্মদ খুরশীদ ওয়াহাব, অডিট কমিটির চেয়ারম্যান মো. আবদুস সালাম, এফসিএ, এফসিএস, রিস্ক ম্যানেজমেন্ট কমিটির চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. এম মাসুদ রহমান, স্বতন্ত্র পরিচালক মো. আবদুল জলিল, ম্যানেজিং ডাইরেক্টর মো. ওমর ফারুক খাঁন, শরী’আহ সুপারভাইজরি কাউন্সলিরে সদস্য সচিব প্রফেসর ড. মুহাম্মাদ আব্দুস সামাদ এবং কোম্পানি সেক্রেটারি মো. হাবিবুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।

ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির পরিচালনা পরিষদের বোর্ড সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল সোমবার (৮ ডসিম্বের) ইসলামী ব্যাংক টাওয়ারে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়। ব্যাংকের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. এম জুবায়দুর রহমান এতে সভাপতিত্ব করেন।
সভায় এক্সিকিউটিভ কমিটির চেয়ারম্যান মোহাম্মদ খুরশীদ ওয়াহাব, অডিট কমিটির চেয়ারম্যান মো. আবদুস সালাম, এফসিএ, এফসিএস, রিস্ক ম্যানেজমেন্ট কমিটির চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. এম মাসুদ রহমান, স্বতন্ত্র পরিচালক মো. আবদুল জলিল, ম্যানেজিং ডাইরেক্টর মো. ওমর ফারুক খাঁন, শরী’আহ সুপারভাইজরি কাউন্সলিরে সদস্য সচিব প্রফেসর ড. মুহাম্মাদ আব্দুস সামাদ এবং কোম্পানি সেক্রেটারি মো. হাবিবুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।

বেসরকারি খাতের প্রথম প্রজন্মের ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক পিএলসি (ইউসিবি) সাড়ে তিন দশক ধরে অভিনব সেবায় জাতীয় অর্থনীতিতে অবদান রাখছে। সরকার পরিবর্তনের পর গত আগস্টে পরিচালনা ও ব্যবস্থাপনায় নেতৃত্ব বদল হয়।
২৯ জুন ২০২৫
বাংলাদেশের সর্বোচ্চ ইস্পাত উৎপাদনক্ষমতাসম্পন্ন প্রতিষ্ঠান আবুল খায়ের স্টিল (একেএস) ৬ ডিসেম্বর তাদের সব কর্মীকে নিয়ে ‘একেএস-একসাথে আগামীর পথে’ শীর্ষক একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিল।
১৬ ঘণ্টা আগে
কর ও সঞ্চিতি সংরক্ষণের পর নিট মুনাফা অর্জন না করলে কোনো ব্যাংকই আর উৎসাহ বোনাস দিতে পারবে না। পাশাপাশি মূলধন সংরক্ষণ ঘাটতি, প্রভিশন ঘাটতি বা পুঞ্জীভূত মুনাফা থেকেই বোনাস দেওয়ার পথও পুরোপুরি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
১৬ ঘণ্টা আগে
এনবিআর জানিয়েছে, শিগগির এ পদ্ধতি সারা দেশে চালু করা হবে, যাতে সব ধরনের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান স্বয়ংক্রিয়ভাবে ভ্যাটের আওতায় আসে এবং নিবন্ধন ছাড়া আর কেউ ব্যবসা চালাতে না পারে।
১৮ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

কর ও সঞ্চিতি সংরক্ষণের পর নিট মুনাফা অর্জন না করলে কোনো ব্যাংকই আর উৎসাহ বোনাস দিতে পারবে না। পাশাপাশি মূলধন সংরক্ষণ ঘাটতি, প্রভিশন ঘাটতি বা পুঞ্জীভূত মুনাফা থেকেই বোনাস দেওয়ার পথও পুরোপুরি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় ব্যাংক এ-সংক্রান্ত একটি সার্কুলার জারি করে সব ব্যাংকে পাঠানো হয়েছে।
সার্কুলারে বলা হয়, ব্যাংকিং খাতের বর্তমান পরিস্থিতিতে আনরিয়েলাইজড বা নগদায়ন না করা আয়ের ভিত্তিতে বোনাস দেওয়া আর্থিক শৃঙ্খলা ও সুশাসনের পরিপন্থী। তাই এখন থেকে শুধু নির্ধারিত নিট মুনাফা অর্জন করতে পারলেই উৎসাহ বোনাস দেওয়ার অনুমতি পাবে ব্যাংকগুলো।
আরও বলা হয়, পুঞ্জীভূত মুনাফা থেকে কোনো ধরনের উৎসাহ বোনাস দেওয়া যাবে না। রেগুলেটরি মূলধন বা প্রভিশনের ঘাটতি থাকলে বোনাস দেওয়া নিষিদ্ধ। প্রভিশন সংরক্ষণে বাড়তি সময় পাওয়া ব্যাংকগুলোও সেই সময়কাল মুনাফা হিসাবের ক্ষেত্রে দেখাতে পারবে না। বোনাস প্রদানে ব্যাংকগুলোকে বিভিন্ন কর্মসূচির উন্নতি ও খেলাপি ঋণ পুনরুদ্ধারে দৃশ্যমান সাফল্য বিবেচনায় নিতে হবে।
এদিকে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন ব্যাংকের ক্ষেত্রে সরকারের বিদ্যমান নির্দেশিকা কার্যকর থাকবে, যেখানে নিট মুনাফা ছাড়া বোনাস না দেওয়ার কথা স্পষ্টভাবে উল্লেখ আছে। তবে কোনো ব্যাংক নির্দিষ্ট সূচকে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জন করলে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের কাছে বিশেষ বোনাসের জন্য আবেদন করতে পারবে।

কর ও সঞ্চিতি সংরক্ষণের পর নিট মুনাফা অর্জন না করলে কোনো ব্যাংকই আর উৎসাহ বোনাস দিতে পারবে না। পাশাপাশি মূলধন সংরক্ষণ ঘাটতি, প্রভিশন ঘাটতি বা পুঞ্জীভূত মুনাফা থেকেই বোনাস দেওয়ার পথও পুরোপুরি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় ব্যাংক এ-সংক্রান্ত একটি সার্কুলার জারি করে সব ব্যাংকে পাঠানো হয়েছে।
সার্কুলারে বলা হয়, ব্যাংকিং খাতের বর্তমান পরিস্থিতিতে আনরিয়েলাইজড বা নগদায়ন না করা আয়ের ভিত্তিতে বোনাস দেওয়া আর্থিক শৃঙ্খলা ও সুশাসনের পরিপন্থী। তাই এখন থেকে শুধু নির্ধারিত নিট মুনাফা অর্জন করতে পারলেই উৎসাহ বোনাস দেওয়ার অনুমতি পাবে ব্যাংকগুলো।
আরও বলা হয়, পুঞ্জীভূত মুনাফা থেকে কোনো ধরনের উৎসাহ বোনাস দেওয়া যাবে না। রেগুলেটরি মূলধন বা প্রভিশনের ঘাটতি থাকলে বোনাস দেওয়া নিষিদ্ধ। প্রভিশন সংরক্ষণে বাড়তি সময় পাওয়া ব্যাংকগুলোও সেই সময়কাল মুনাফা হিসাবের ক্ষেত্রে দেখাতে পারবে না। বোনাস প্রদানে ব্যাংকগুলোকে বিভিন্ন কর্মসূচির উন্নতি ও খেলাপি ঋণ পুনরুদ্ধারে দৃশ্যমান সাফল্য বিবেচনায় নিতে হবে।
এদিকে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন ব্যাংকের ক্ষেত্রে সরকারের বিদ্যমান নির্দেশিকা কার্যকর থাকবে, যেখানে নিট মুনাফা ছাড়া বোনাস না দেওয়ার কথা স্পষ্টভাবে উল্লেখ আছে। তবে কোনো ব্যাংক নির্দিষ্ট সূচকে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জন করলে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের কাছে বিশেষ বোনাসের জন্য আবেদন করতে পারবে।

বেসরকারি খাতের প্রথম প্রজন্মের ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক পিএলসি (ইউসিবি) সাড়ে তিন দশক ধরে অভিনব সেবায় জাতীয় অর্থনীতিতে অবদান রাখছে। সরকার পরিবর্তনের পর গত আগস্টে পরিচালনা ও ব্যবস্থাপনায় নেতৃত্ব বদল হয়।
২৯ জুন ২০২৫
বাংলাদেশের সর্বোচ্চ ইস্পাত উৎপাদনক্ষমতাসম্পন্ন প্রতিষ্ঠান আবুল খায়ের স্টিল (একেএস) ৬ ডিসেম্বর তাদের সব কর্মীকে নিয়ে ‘একেএস-একসাথে আগামীর পথে’ শীর্ষক একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিল।
১৬ ঘণ্টা আগে
ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির পরিচালনা পরিষদের বোর্ড সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল সোমবার (৮ ডসিম্বের) ইসলামী ব্যাংক টাওয়ারে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়। ব্যাংকের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. এম জুবায়দুর রহমান এতে সভাপতিত্ব করেন।
১৬ ঘণ্টা আগে
এনবিআর জানিয়েছে, শিগগির এ পদ্ধতি সারা দেশে চালু করা হবে, যাতে সব ধরনের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান স্বয়ংক্রিয়ভাবে ভ্যাটের আওতায় আসে এবং নিবন্ধন ছাড়া আর কেউ ব্যবসা চালাতে না পারে।
১৮ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ভ্যাটব্যবস্থাকে পুরোপুরি ডিজিটাল ও সহজ করার লক্ষ্যে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) এক নতুন পর্যায়ে এগোচ্ছে। মাত্র একটি ক্লিকেই ভ্যাট পরিশোধের সুযোগ ইতিমধ্যে পরীক্ষামূলকভাবে চালু হয়েছে এবং বড় কয়েকটি প্রতিষ্ঠান এটি ব্যবহারও শুরু করেছে।
এনবিআর জানিয়েছে, শিগগির এ পদ্ধতি সারা দেশে চালু করা হবে, যাতে সব ধরনের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান স্বয়ংক্রিয়ভাবে ভ্যাটের আওতায় আসে এবং নিবন্ধন ছাড়া আর কেউ ব্যবসা চালাতে না পারে।
আজ মঙ্গলবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে রাজস্ব ভবনে জাতীয় ভ্যাট দিবস ও ভ্যাট সপ্তাহ উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের (আইআরডি) সচিব ও এনবিআর চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খান।
মো. আবদুর রহমান বলেন, দেশের বড় একটি অংশের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান এখনো ভ্যাট নিবন্ধনের বাইরে রয়েছে। আগামী বছর এমন একটি মেকানিজম চালু করা হবে, যার মাধ্যমে ভ্যাট নিবন্ধন ছাড়া ব্যবসার সুযোগ থাকবে না। বর্তমানে নিবন্ধিত ভ্যাটদাতা প্রতিষ্ঠান ৬ লাখ ৪৪ হাজার; লক্ষ্য আগামী এক থেকে দুই বছরের মধ্যে তা ৩০ থেকে ৪০ লাখে উন্নীত করা। শুধু চলতি মাসেই ১ লাখ নতুন প্রতিষ্ঠানকে নিবন্ধনের আওতায় আনার পরিকল্পনা রয়েছে।
এনবিআর চেয়ারম্যান জানান, ভ্যাট দিবসের প্রতিপাদ্য—‘সময়মতো নিবন্ধন নিব, সঠিকভাবে ভ্যাট দিব’—ধরে আগামীকাল বুধবার সারা দেশে ভ্যাট দিবস পালিত হবে। ১০ থেকে ১৫ ডিসেম্বর চলবে ভ্যাট সপ্তাহ। তবে নীতিমালা চূড়ান্ত না হওয়ায় এ বছরও স্থগিত থাকছে ভ্যাট পুরস্কার।
রিটার্ন জমাদানেও বড় পরিবর্তন আসছে বলে জানান মো. আবদুর রহমান খান। গত অর্থবছরে ১৭ লাখ ই-রিটার্ন জমা পড়লেও চলতি অর্থবছরে তা ৪০ লাখে পৌঁছানোর আশা করা হচ্ছে। ইতিমধ্যে জমা পড়েছে ২২ লাখ রিটার্ন। ভ্যাট আদায়েও গতি এসেছে—গত অর্থবছরে মোট রাজস্বের ৩৮ শতাংশ এসেছে ভ্যাট থেকে আর চলতি অর্থবছরের প্রথম মাসেই ভ্যাট আদায় আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় বেড়েছে ২২ শতাংশ।
করদাতাদের ঝামেলা কমাতে ই-রিটার্নে ব্যবহৃত ব্যাংকসংক্রান্ত চারটি তথ্য স্বয়ংক্রিয়ভাবে যাচাইয়ের ব্যবস্থা করা হচ্ছে বলে জানান আবদুর রহমান।
এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, করদাতারা মনে করেন, রাজস্ব কর্মকর্তারা এসব তথ্য দেখতে পারবেন—এটি ভুল ধারণা।
চলতি অর্থবছরে রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রা ৫৫ হাজার কোটি টাকা বাড়ানো হয়েছে কেন—এ প্রশ্নের জবাবে আবদুর রহমান বলেন, রাজস্ব আদায় বাড়ানোর বাস্তব প্রয়োজন থেকেই এ লক্ষ্য নির্ধারণ। তবে কারও ওপর হয়রানি বা অতিরিক্ত চাপ সৃষ্টি করা হবে না; মূলত যাঁরা রাজস্ব ফাঁকি দিচ্ছেন, তাঁদের ক্ষেত্রেই কঠোরতা বাড়ানো হবে।
আমদানি করা মোবাইল ফোনে কর কমানোর সম্ভাবনা নিয়ে প্রশ্ন করা হলে এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, এটি সম্পূর্ণ রাষ্ট্রীয় সিদ্ধান্ত; এককভাবে এনবিআর এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারে না।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন এনবিআরের সদস্য (মূসক নীতি) মো. আজিজুর রহমানসহ সংশ্লিষ্ট অন্য কর্মকর্তারা।

ভ্যাটব্যবস্থাকে পুরোপুরি ডিজিটাল ও সহজ করার লক্ষ্যে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) এক নতুন পর্যায়ে এগোচ্ছে। মাত্র একটি ক্লিকেই ভ্যাট পরিশোধের সুযোগ ইতিমধ্যে পরীক্ষামূলকভাবে চালু হয়েছে এবং বড় কয়েকটি প্রতিষ্ঠান এটি ব্যবহারও শুরু করেছে।
এনবিআর জানিয়েছে, শিগগির এ পদ্ধতি সারা দেশে চালু করা হবে, যাতে সব ধরনের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান স্বয়ংক্রিয়ভাবে ভ্যাটের আওতায় আসে এবং নিবন্ধন ছাড়া আর কেউ ব্যবসা চালাতে না পারে।
আজ মঙ্গলবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে রাজস্ব ভবনে জাতীয় ভ্যাট দিবস ও ভ্যাট সপ্তাহ উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের (আইআরডি) সচিব ও এনবিআর চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খান।
মো. আবদুর রহমান বলেন, দেশের বড় একটি অংশের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান এখনো ভ্যাট নিবন্ধনের বাইরে রয়েছে। আগামী বছর এমন একটি মেকানিজম চালু করা হবে, যার মাধ্যমে ভ্যাট নিবন্ধন ছাড়া ব্যবসার সুযোগ থাকবে না। বর্তমানে নিবন্ধিত ভ্যাটদাতা প্রতিষ্ঠান ৬ লাখ ৪৪ হাজার; লক্ষ্য আগামী এক থেকে দুই বছরের মধ্যে তা ৩০ থেকে ৪০ লাখে উন্নীত করা। শুধু চলতি মাসেই ১ লাখ নতুন প্রতিষ্ঠানকে নিবন্ধনের আওতায় আনার পরিকল্পনা রয়েছে।
এনবিআর চেয়ারম্যান জানান, ভ্যাট দিবসের প্রতিপাদ্য—‘সময়মতো নিবন্ধন নিব, সঠিকভাবে ভ্যাট দিব’—ধরে আগামীকাল বুধবার সারা দেশে ভ্যাট দিবস পালিত হবে। ১০ থেকে ১৫ ডিসেম্বর চলবে ভ্যাট সপ্তাহ। তবে নীতিমালা চূড়ান্ত না হওয়ায় এ বছরও স্থগিত থাকছে ভ্যাট পুরস্কার।
রিটার্ন জমাদানেও বড় পরিবর্তন আসছে বলে জানান মো. আবদুর রহমান খান। গত অর্থবছরে ১৭ লাখ ই-রিটার্ন জমা পড়লেও চলতি অর্থবছরে তা ৪০ লাখে পৌঁছানোর আশা করা হচ্ছে। ইতিমধ্যে জমা পড়েছে ২২ লাখ রিটার্ন। ভ্যাট আদায়েও গতি এসেছে—গত অর্থবছরে মোট রাজস্বের ৩৮ শতাংশ এসেছে ভ্যাট থেকে আর চলতি অর্থবছরের প্রথম মাসেই ভ্যাট আদায় আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় বেড়েছে ২২ শতাংশ।
করদাতাদের ঝামেলা কমাতে ই-রিটার্নে ব্যবহৃত ব্যাংকসংক্রান্ত চারটি তথ্য স্বয়ংক্রিয়ভাবে যাচাইয়ের ব্যবস্থা করা হচ্ছে বলে জানান আবদুর রহমান।
এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, করদাতারা মনে করেন, রাজস্ব কর্মকর্তারা এসব তথ্য দেখতে পারবেন—এটি ভুল ধারণা।
চলতি অর্থবছরে রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রা ৫৫ হাজার কোটি টাকা বাড়ানো হয়েছে কেন—এ প্রশ্নের জবাবে আবদুর রহমান বলেন, রাজস্ব আদায় বাড়ানোর বাস্তব প্রয়োজন থেকেই এ লক্ষ্য নির্ধারণ। তবে কারও ওপর হয়রানি বা অতিরিক্ত চাপ সৃষ্টি করা হবে না; মূলত যাঁরা রাজস্ব ফাঁকি দিচ্ছেন, তাঁদের ক্ষেত্রেই কঠোরতা বাড়ানো হবে।
আমদানি করা মোবাইল ফোনে কর কমানোর সম্ভাবনা নিয়ে প্রশ্ন করা হলে এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, এটি সম্পূর্ণ রাষ্ট্রীয় সিদ্ধান্ত; এককভাবে এনবিআর এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারে না।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন এনবিআরের সদস্য (মূসক নীতি) মো. আজিজুর রহমানসহ সংশ্লিষ্ট অন্য কর্মকর্তারা।

বেসরকারি খাতের প্রথম প্রজন্মের ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক পিএলসি (ইউসিবি) সাড়ে তিন দশক ধরে অভিনব সেবায় জাতীয় অর্থনীতিতে অবদান রাখছে। সরকার পরিবর্তনের পর গত আগস্টে পরিচালনা ও ব্যবস্থাপনায় নেতৃত্ব বদল হয়।
২৯ জুন ২০২৫
বাংলাদেশের সর্বোচ্চ ইস্পাত উৎপাদনক্ষমতাসম্পন্ন প্রতিষ্ঠান আবুল খায়ের স্টিল (একেএস) ৬ ডিসেম্বর তাদের সব কর্মীকে নিয়ে ‘একেএস-একসাথে আগামীর পথে’ শীর্ষক একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিল।
১৬ ঘণ্টা আগে
ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির পরিচালনা পরিষদের বোর্ড সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল সোমবার (৮ ডসিম্বের) ইসলামী ব্যাংক টাওয়ারে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়। ব্যাংকের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. এম জুবায়দুর রহমান এতে সভাপতিত্ব করেন।
১৬ ঘণ্টা আগে
কর ও সঞ্চিতি সংরক্ষণের পর নিট মুনাফা অর্জন না করলে কোনো ব্যাংকই আর উৎসাহ বোনাস দিতে পারবে না। পাশাপাশি মূলধন সংরক্ষণ ঘাটতি, প্রভিশন ঘাটতি বা পুঞ্জীভূত মুনাফা থেকেই বোনাস দেওয়ার পথও পুরোপুরি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
১৬ ঘণ্টা আগে