নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
বাংলাদেশ ও সৌদি আরবের মধ্যে শক্তিশালী বাণিজ্যিক, অর্থনৈতিক ও বিনিয়োগ সম্পর্ক তৈরি করতে ঢাকায় প্রথমবারের মতো অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে সৌদি আরব-বাংলাদেশ বিজনেস সামিট। নবগঠিত সৌদি আরব-বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এসএবিসিসিআই) আয়োজনে ৭ অক্টোবর (মঙ্গলবার) রাজধানীর এক অভিজাত হোটেলে এই সামিট অনুষ্ঠিত হবে।
এতে অংশ নেবেন বাংলাদেশ ও সৌদি আরবের ব্যবসায়ী, কোম্পানি ও ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান, নীতিনির্ধারকেরা। এ ছাড়া এই সামিটকে ঘিরে আরও দুই দিনের ব্যবসায়িক অনুষ্ঠানমালা সাজিয়েছে আয়োজকেরা।
আজ রোববার (৫ অক্টোবর) গুলশানে সামিটের লিড স্পনসর সিটি ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের হলরুমে এ উপলক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। এতে সামিটের উদ্বোধন ও বিস্তারিত বিষয় তুলে ধরেন এসএবিসিসিআইর সভাপতি আশরাফুল আলম চৌধুরী।
লিখিত বক্তব্যে আশরাফুল আলম চৌধুরী বলেন, ‘ব্যবসায়ী মহল অনেক আগেই সৌদি আরব ও বাংলাদেশের মধ্যে একটি প্ল্যাটফর্ম গঠনের প্রয়োজনীয়তা অনুভব করেছিল। দুর্ভাগ্যজনকভাবে তা বাস্তবায়িত হয়নি। এবার আমরা সেই মাইলফলক অর্জন করতে যাচ্ছি। আমরা ব্যবসায়ী মহল উপলব্ধি করি যে বাংলাদেশ ও সৌদি আরবের মধ্যে একটি শক্তিশালী বাণিজ্যিক, অর্থনৈতিক ও বিনিয়োগ সম্পর্ক বিনির্মাণে এই যৌথ উদ্যোগ অত্যন্ত জরুরি। ভূ-রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা ও অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তায় আমি বিশ্বাস করি, সৌদি আরব বাংলাদেশের জন্য একটি সম্ভাবনাময় বিকল্প বাজার হয়ে উঠবে।’
আশরাফুল আলম চৌধুরী বলেন, ‘বিদায়ী অর্থবছরে সৌদিতে আমাদের রপ্তানি ছিল ২৯ কোটি ডলার, ২০২৪-২৫ অর্থবছরে যা ছিল ৩১ কোটি ডলার। তৈরিপোশাক, টুপি, কৃষিপণ্যসহ নানা ধরনের পণ্য আমরা রপ্তানি করি। আমাদের দুই দেশের বাণিজ্যের পরিমাণ ২ বিলিয়ন ডলার প্রায়। সৌদি আরব থেকে বাংলাদেশ সার, প্লাস্টিকের কাঁচামাল, স্বর্ণ, খাদ্যপণ্যসহ বিভিন্ন ধরনের পণ্য আমদানি করে। বাংলাদেশের দক্ষ-অদক্ষ জনশক্তির সবচেয়ে বড় বাজার সৌদি আরব।’
এসএবিসিসিআইর সভাপতি বলেন, ‘বাংলাদেশ ও সৌদি আরব উভয় দেশেই সরাসরি বৈদেশিক বিনিয়োগ (এফডিআই) অথবা যৌথ উদ্যোগের মাধ্যমে পেট্রোকেমিক্যাল, ক্রুড অয়েল রিফাইনারি, ইস্পাত, খাদ্যশিল্প, কৃষি, রাসায়নিক, সার, টেক্সটাইল, বন্দর ব্যবস্থাপনা, গ্রিন টেকনোলজি, সাইবার সিকিউরিটি, আইটি ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাভিত্তিক প্রযুক্তি, সেমিকন্ডাক্টরসহ নানা খাতে বিনিয়োগ হতে পারে। বিশেষত চট্টগ্রামে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে সৌদি বিনিয়োগকারীদের জন্য সরকার কর্তৃক বরাদ্দকৃত শিল্পভূমি তাদের জন্য সুবর্ণ সুযোগ হয়ে উঠবে। সৌদি আরবের ভিশন ২০৩০ বাস্তবায়নেও বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার হওয়ার সুযোগ উন্মোচিত হয়েছে।’
সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনের সহসভাপতি ও গ্যালাক্সি গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আহমেদ ইউসুফ ওয়ালিদ বলেন, ‘সৌদি আরবে বাংলাদেশিদের বাণিজ্যের বিরাট সম্ভাবনা রয়েছে। সম্প্রতি সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলো বিদেশি উদ্যোক্তা, ব্যবসায়ীদের জন্য আইন পরিবর্তন করেছে। এটি আমাদের জন্য বিরাট একটি সুযোগ...যে সামিট হতে যাচ্ছে, সেখানে দুই দেশের ব্যবসায়ী সম্পর্কে জোরদার করবে।’
বিজনেস সামিটে সৌদি আরবের ব্যবসায়ী ও নীতিনির্ধারকদের ২০ সদস্যের প্রতিনিধিদল অংশ নেবে, যার নেতৃত্ব দেবেন শেখ ওমর আবদুল হাফিজ আমিরবকশ।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন এসএবিসিসিআইর সদস্য ও প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের পরিচালক উজমা চৌধুরী এবং সিটি ব্যাংকের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক মেজবাউল আসিফ সিদ্দিকী।
বাংলাদেশ ও সৌদি আরবের মধ্যে শক্তিশালী বাণিজ্যিক, অর্থনৈতিক ও বিনিয়োগ সম্পর্ক তৈরি করতে ঢাকায় প্রথমবারের মতো অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে সৌদি আরব-বাংলাদেশ বিজনেস সামিট। নবগঠিত সৌদি আরব-বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এসএবিসিসিআই) আয়োজনে ৭ অক্টোবর (মঙ্গলবার) রাজধানীর এক অভিজাত হোটেলে এই সামিট অনুষ্ঠিত হবে।
এতে অংশ নেবেন বাংলাদেশ ও সৌদি আরবের ব্যবসায়ী, কোম্পানি ও ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান, নীতিনির্ধারকেরা। এ ছাড়া এই সামিটকে ঘিরে আরও দুই দিনের ব্যবসায়িক অনুষ্ঠানমালা সাজিয়েছে আয়োজকেরা।
আজ রোববার (৫ অক্টোবর) গুলশানে সামিটের লিড স্পনসর সিটি ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের হলরুমে এ উপলক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। এতে সামিটের উদ্বোধন ও বিস্তারিত বিষয় তুলে ধরেন এসএবিসিসিআইর সভাপতি আশরাফুল আলম চৌধুরী।
লিখিত বক্তব্যে আশরাফুল আলম চৌধুরী বলেন, ‘ব্যবসায়ী মহল অনেক আগেই সৌদি আরব ও বাংলাদেশের মধ্যে একটি প্ল্যাটফর্ম গঠনের প্রয়োজনীয়তা অনুভব করেছিল। দুর্ভাগ্যজনকভাবে তা বাস্তবায়িত হয়নি। এবার আমরা সেই মাইলফলক অর্জন করতে যাচ্ছি। আমরা ব্যবসায়ী মহল উপলব্ধি করি যে বাংলাদেশ ও সৌদি আরবের মধ্যে একটি শক্তিশালী বাণিজ্যিক, অর্থনৈতিক ও বিনিয়োগ সম্পর্ক বিনির্মাণে এই যৌথ উদ্যোগ অত্যন্ত জরুরি। ভূ-রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা ও অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তায় আমি বিশ্বাস করি, সৌদি আরব বাংলাদেশের জন্য একটি সম্ভাবনাময় বিকল্প বাজার হয়ে উঠবে।’
আশরাফুল আলম চৌধুরী বলেন, ‘বিদায়ী অর্থবছরে সৌদিতে আমাদের রপ্তানি ছিল ২৯ কোটি ডলার, ২০২৪-২৫ অর্থবছরে যা ছিল ৩১ কোটি ডলার। তৈরিপোশাক, টুপি, কৃষিপণ্যসহ নানা ধরনের পণ্য আমরা রপ্তানি করি। আমাদের দুই দেশের বাণিজ্যের পরিমাণ ২ বিলিয়ন ডলার প্রায়। সৌদি আরব থেকে বাংলাদেশ সার, প্লাস্টিকের কাঁচামাল, স্বর্ণ, খাদ্যপণ্যসহ বিভিন্ন ধরনের পণ্য আমদানি করে। বাংলাদেশের দক্ষ-অদক্ষ জনশক্তির সবচেয়ে বড় বাজার সৌদি আরব।’
এসএবিসিসিআইর সভাপতি বলেন, ‘বাংলাদেশ ও সৌদি আরব উভয় দেশেই সরাসরি বৈদেশিক বিনিয়োগ (এফডিআই) অথবা যৌথ উদ্যোগের মাধ্যমে পেট্রোকেমিক্যাল, ক্রুড অয়েল রিফাইনারি, ইস্পাত, খাদ্যশিল্প, কৃষি, রাসায়নিক, সার, টেক্সটাইল, বন্দর ব্যবস্থাপনা, গ্রিন টেকনোলজি, সাইবার সিকিউরিটি, আইটি ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাভিত্তিক প্রযুক্তি, সেমিকন্ডাক্টরসহ নানা খাতে বিনিয়োগ হতে পারে। বিশেষত চট্টগ্রামে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে সৌদি বিনিয়োগকারীদের জন্য সরকার কর্তৃক বরাদ্দকৃত শিল্পভূমি তাদের জন্য সুবর্ণ সুযোগ হয়ে উঠবে। সৌদি আরবের ভিশন ২০৩০ বাস্তবায়নেও বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার হওয়ার সুযোগ উন্মোচিত হয়েছে।’
সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনের সহসভাপতি ও গ্যালাক্সি গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আহমেদ ইউসুফ ওয়ালিদ বলেন, ‘সৌদি আরবে বাংলাদেশিদের বাণিজ্যের বিরাট সম্ভাবনা রয়েছে। সম্প্রতি সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলো বিদেশি উদ্যোক্তা, ব্যবসায়ীদের জন্য আইন পরিবর্তন করেছে। এটি আমাদের জন্য বিরাট একটি সুযোগ...যে সামিট হতে যাচ্ছে, সেখানে দুই দেশের ব্যবসায়ী সম্পর্কে জোরদার করবে।’
বিজনেস সামিটে সৌদি আরবের ব্যবসায়ী ও নীতিনির্ধারকদের ২০ সদস্যের প্রতিনিধিদল অংশ নেবে, যার নেতৃত্ব দেবেন শেখ ওমর আবদুল হাফিজ আমিরবকশ।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন এসএবিসিসিআইর সদস্য ও প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের পরিচালক উজমা চৌধুরী এবং সিটি ব্যাংকের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক মেজবাউল আসিফ সিদ্দিকী।
উপদেষ্টা বলেন, প্রায় ১০০ কোটি টাকার ফান্ড দিয়ে জেডিপিসির মাধ্যমে প্রায় ১ হাজার ৬ জন উদ্যোক্তার অন্তর্ভুক্তির মাধ্যমে চেষ্টা করছি বাজারে পাটের একটা সাংস্কৃতিক পরিবর্তন আনতে। পাটের স্কয়ার মিটার, মাইলেজের পরিধি বাড়াতে গবেষণার দরকার। র্যাপিং (মোড়ক) উপকরণ হিসেবে বিশ্বব্যাপী পাটের বিশাল বাজার আছে।
৫ ঘণ্টা আগেসিঙ্গার বাংলাদেশ লিমিটেড এবং মেটলাইফ বাংলাদেশের মধ্যে সম্প্রতি একটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষরিত হয়েছে। এই অংশীদারত্বের মাধ্যমে মেটলাইফ বাংলাদেশের নির্দিষ্ট গ্রাহকেরা উপভোগ করতে পারবেন সিঙ্গার বাংলাদেশের নির্বাচিত পণ্যের ওপর বিশেষ ছাড় এবং এক্সক্লুসিভ সুবিধা।
৯ ঘণ্টা আগেদেশে ব্যাংক খাতের এক অদ্ভুত বৈপরীত্য বিরাজ করছে। বড় ঋণখেলাপিরা কয়েক শ থেকে কয়েক হাজার কোটি টাকা ফেরত না দিলেও তাদের বিরুদ্ধে কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া হয় না। অন্যদিকে ছোট ঋণের জন্য গরিব কৃষক কিংবা সাধারণ মানুষ সামান্য দেরি বা কয়েক শ টাকার ঘাটতি হলে কঠোর হয়রানির শিকার হন; এমনকি হাতকড়া...
১ দিন আগেসাতক্ষীরার উপকূল এখন সফটশেল কাঁকড়ার চাষে সরব। বছরজুড়ে বাড়ছে কাঁকড়া চাষ এবং রপ্তানি হচ্ছে বিদেশে। অল্প জমিতে স্বল্প বিনিয়োগে লাভবান হওয়া যায় বলে প্রান্তিক চাষিদের মধ্যে এ খাতের প্রতি আগ্রহ দিন দিন বাড়ছে। মূলত বাগদা চিংড়ি চাষে ঘন ঘন ক্ষতির মুখে পড়ে অনেকেই এখন কাঁকড়ার ঘেরে ঝুঁকছেন।
১ দিন আগে