আউটসোর্সিংয়ের কর্মী
আমানুর রহমান রনি, ঢাকা

দেশের টেলিকম খাতের কাজের সঙ্গে যুক্ত কর্মীদের চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ, ছাঁটাই ও চাকরিচ্যুতির ঘটনায় খাতজুড়ে অসন্তোষ সৃষ্টি হয়েছে। চাকরি স্থায়ী ও বকেয়া পাওনা পরিশোধসহ বিভিন্ন দাবিতে আন্দোলনে নেমেছেন দেশের বৃহৎ তিন টেলিকম প্রতিষ্ঠান গ্রামীণফোন, রবি ও বাংলালিংকের সঙ্গে যুক্ত কয়েক শ আউটসোর্সিং-কর্মী। কর্মী ছাঁটাই বন্ধ এবং চাকরি স্থায়ী না করলে দেশের মোবাইল ফোনসেবা বন্ধ করে দেওয়ার হুঁশিয়ারি দিচ্ছেন তাঁরা। এতে যেকোনো সময় টেলিযোগাযোগ সেবায় বিপর্যয় নামতে পারে বলে আশঙ্কা করছে একাধিক গোয়েন্দা সংস্থা। বিদ্যমান পরিস্থিতিতে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় এবং আইন- শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কর্মকর্তারা টেলিকম প্রতিষ্ঠানগুলোকে আন্দোলনরত কর্মীদের সঙ্গে আলোচনা করে সংকট সমাধানের নির্দেশ দিয়েছেন।
জানা গেছে, মূলত তৃতীয় পক্ষ বা থার্ড পার্টির হয়ে টেলিকম খাতের কাজে নিযুক্ত কর্মীরাই এসব দাবিতে এক হয়েছেন। বছরের পর বছর অস্থায়ী চুক্তিতে কাজ করানো হচ্ছে বলে অভিযোগ এনে এর সমাধানের জন্য আন্দোলন করছেন তাঁরা।
দেশের প্রতিটি মোবাইল ফোন কোম্পানি তাদের টাওয়ার ও সাইট রক্ষণাবেক্ষণ এবং দেখভালের জন্য তৃতীয় পক্ষ বা থার্ড পার্টি বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তি করে বা ইজারা দিয়ে থাকে। এসব প্রতিষ্ঠান চুক্তিভিত্তিক কর্মী নিয়োগ দিয়ে সেবা পরিচালনা করে। তারা অস্থায়ী ভিত্তিতে ও চুক্তিতে প্রকৌশলী ও টেকনিশিয়ান নিয়োগ দেয়। এই প্রক্রিয়ায় শত শত কর্মী চুক্তিতে কাজ করে মোবাইল ফোনসেবা অব্যাহত রাখেন। তবে থার্ড পার্টি এসব কর্মীর সঙ্গে মজুরি পাওনা ও ভাতা নিয়ে অনিয়ম ও স্বেচ্ছাচারিতা করে বলে অভিযোগ তাঁদের।
টেলিকম সেবা প্রতিষ্ঠান বাংলালিংক তাদের টাওয়ার রক্ষণাবেক্ষণসহ ফিল্ড অপারেশনের জন্য ফ্রন্টডেস্ক বাংলাদেশ লিমিটেড, সার্চলাইট কমিউনিকেশন লিমিটেড ও আইএমএস লিমিটেড নামের তিনটি প্রতিষ্ঠান থেকে কর্মী নিয়ে থাকে। এই প্রতিষ্ঠানগুলো প্রকৌশলী ও টেকনিশিয়ানদের সঙ্গে তিন মাস বা নব্বই দিন করে চুক্তি করে বাংলালিংককে সেবা দেয়। এসব কর্মী দেশব্যাপী বাংলালিংকের টাওয়ার রক্ষণাবেক্ষণে কাজ করেন। তবে গত ২৬ জানুয়ারি ও ২ ফেব্রুয়ারি এসব প্রতিষ্ঠানে কর্মরত রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন জেলার ১৩২ জনকে পূর্বঘোষণা ছাড়াই চাকরিচ্যুত করার নোটিশ দেওয়া হয়।
চাকরিচ্যুত কর্মীদের একজন প্রকৌশলী মানিক উদ্দিন বলেন, ফ্রন্টডেস্ক লিমিটেড কর্তৃপক্ষ কোনো ঘোষণা ছাড়াই মার্চ থেকে সবাইকে চাকরিচ্যুত করার নোটিশ দিয়েছে মেইলে। রোজার ঈদের আগেই এভাবে চাকরিচ্যুত করাটা আইনবিরোধী। শ্রম আইন ও বিধিমালা অনুসারে যেসব সুবিধা তাঁদের পাওয়ার কথা, তা তাঁরা পাননি। নিয়োগদাতা প্রতিষ্ঠানগুলো বছরের পর বছর শ্রম আইন ও বিধিমালা লঙ্ঘন করে আসছে।
চাকরিচ্যুতির নোটিশ পাওয়ার পর প্রতিকার চেয়ে ১০ ফেব্রুয়ারি কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান অধিদপ্তরের মহাপরিদর্শকের কাছে চিঠি লেখেন ১৩০ প্রকৌশলী ও টেকনিশিয়ান।
ফ্রন্টডেস্ক বাংলাদেশ লিমিটেডের মাধ্যমে বাংলালিংকে নিয়োগ পাওয়া প্রকৌশলী মো. সাইদুর রহমান শিকদার বলেন, প্রতিকার চেয়ে আমরা বিভিন্ন কর্তৃপক্ষের কাছে চিঠি দিয়েছি। এ ছাড়া নিয়োগকারী প্রতিষ্ঠানেও চিঠি লিখেছি।
জানতে চাইলে ফ্রন্টডেস্ক বাংলাদেশ লিমিটেডের এক্সিকিউটিভ শামীম আহমেদ আজকের পত্রিকা'কে বলেন, চাকরিচ্যুতদের বিষয়টি অফিশিয়াল একটি প্রক্রিয়া ছিল। তাই তাঁদের চাকরিচ্যুতির নোটিশ দেওয়া হয়েছিল। তবে তাঁদের চাকরিতে পুনরায় ফিরিয়ে নেওয়ার জন্য বাংলালিংকের একটি নির্দেশনা আছে। সে জন্য কাজ চলছে।
এদিকে চাকরিচ্যুতির নোটিশ পাওয়া রাজধানীসহ ১৬ জেলার কর্মীরা শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেনের সঙ্গে ১১ ফেব্রুয়ারি দেখা করেন। তাঁর কাছে নিজেদের অভিযোগের কথা জানান। উপদেষ্টা তাঁদের আশ্বস্ত করেন। এভাবে সরকারের বিভিন্ন মহলে চাকরিচ্যুতরা চিঠি দেওয়ার পর নড়েচড়ে বসে বাংলালিংক কর্তৃপক্ষ।
জানতে চাইলে বাংলালিংকের হেড অব করপোরেট কমিউনিকেশন তৌহিদ আহমেদ বলেন, কর্মীদের চাকরিচ্যুত করার বিষয়টি তাঁদের জানা নেই।
আরেক বেসরকারি মোবাইল ফোন অপারেটর রবি নিজেদের নেটওয়ার্ক রক্ষণাবেক্ষণের জন্য ইডটকো বাংলাদেশ কোম্পানি লিমিটেড, পিপলস্কেপ লিমিটেড, ই-জোন লিমিটেড এবং এইচএস ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেড নামের চারটি প্রতিষ্ঠান থেকে কর্মী আউটসোর্সিং করে থাকে। এর মধ্যে একটি প্রতিষ্ঠান ১২ ফেব্রুয়ারি একযোগে ২২০ জনকে চাকরিচ্যুত করে। তাঁরা সবাই ১২ থেকে ১৪ বছর ইডটকো বাংলাদেশ কোম্পানি লিমিটেডের হয়ে রবির ফিল্ড অপারেশনের কাজ করতেন। এক যুগ আগে নিয়োগের সময় তাঁদের সঙ্গে কেবল ৯০ দিনের লিখিত চুক্তি করেছিল প্রতিষ্ঠানটি। তবে এরপর আর চুক্তি নবায়ন করা হয়নি। মৌখিক চুক্তিতেই কাজ করছিলেন তাঁরা।
জানা গেছে, ইডটকো এসব কর্মীকে নিয়োগ দিলেও এরপর অপর তিনটি প্রতিষ্ঠানের ব্যানারে তাঁদের ভাগ করে দেয়। তাঁদের মজুরিও পরিশোধ করত ওই তিন প্রতিষ্ঠান। মূলত কর ফাঁকি দেওয়ার জন্য এই কৌশলী অবস্থান নেয় প্রতিষ্ঠানগুলো।
ইডটকোর হয়ে দীর্ঘদিন কাজ করার পর সম্প্রতি চাকরিচ্যুত হয়েছেন প্রকৌশলী (রিজিওনাল অপারেশনাল ম্যানেজমেন্ট) আল আমিন বিদ্যুৎ। তিনি জানান, এক যুগ আগে পরীক্ষার মাধ্যমে তিনি ইডটকোতে নিয়োগ পান। এরপর থেকেই রবির নেটওয়ার্ক রক্ষণাবেক্ষণে কাজ করছেন। নিয়োগের সময় একবার ইডটকো তিন মাসের জন্য তাঁর সঙ্গে চুক্তি করেছিল। এরপর আর কোনো চুক্তি করেনি। মৌখিক চুক্তিতে কাজ করছেন এক যুগ ধরে। নিয়োগ ইডটকোর হলেও তাঁকে পিপলস্কেপের হয়ে কাজ করতে হচ্ছে, তারাই বেতন দিচ্ছে। তবে কোনো কারণ ছাড়াই ১২ ফেব্রুয়ারি পিপলস্কেপ একটি গণপদত্যাগপত্রে তাঁদের সবাইকে স্বাক্ষর করতে বলেছে।
রবির নেটওয়ার্ক রক্ষণাবেক্ষণের কাজ করা এমন ২২০ জনকে সম্প্রতি চাকরিচ্যুত করা হয়েছে বলেও জানান তিনি। ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত তাঁদের চাকরি রয়েছে। চাকরিচ্যুতরা ইতিমধ্যে প্রতিকার চেয়ে বিটিআরসির মেজর জেনারেল মো. এমদাদ উল বারীর কাছে একটি আবেদন দিয়েছেন। এ ছাড়াও তাঁরা প্রতিষ্ঠানগুলোকে আইনি নোটিশ দিয়েছেন।
এ বিষয়ে পিপলস্কেপের মানবসম্পদ বিভাগের এক্সিকিউটিভ সৈয়দ আলী আহসান বলেন, তাঁদের প্রতিষ্ঠান ১২০ জনকে চাকরিচ্যুত করেছে। তিন মাস পরপর চুক্তি করার কথা থাকলেও তিনি গত সাত মাসে চুক্তি করতে দেখেননি।
আউটসোর্সিং-কর্মীদের চাকরিচ্যুতির বিষয়ে রবির চিফ করপোরেট অ্যান্ড রেগুলেটরি অফিসার সাহেদ আলম বলেন, বিটিআরসির অন্যতম লাইসেন্সপ্রাপ্ত টাওয়ার ব্যবস্থাপনা প্রতিষ্ঠান হিসেবে ইডটকোর কাছে দীর্ঘমেয়াদি ইজারার মাধ্যমে রবি টেলিযোগাযোগ সেবা দেন। রবি টাওয়ার কোম্পানিগুলোর সহায়তায় তারা নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণ করে চলেছে।
বাংলালিংক ও রবি ছাড়া গ্রামীণেও চলছে অস্থিরতা। ‘চাকরিচ্যুত ও অধিকারবঞ্চিত গ্রামীণফোন শ্রমিক ঐক্য পরিষদ’-এর ব্যানারে কয়েক শ কর্মী আন্দোলন করছেন। আন্দোলনকারীরা বলছেন, ২০১০ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত ১২ বছরে ৩ হাজার ৩৬০ কর্মীকে অবৈধভাবে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে। ৫ শতাংশ লভ্যাংশ পরিশোধের দাবি তুলে ধরেন চাকরিচ্যুত কর্মীরা।
চাকরিচ্যুত ও অধিকারবঞ্চিত গ্রামীণফোন শ্রমিক ঐক্য পরিষদের আহ্বায়ক আবু সাদাত মো. শোয়েব বলেন, ৫ শতাংশ লভ্যাংশ না দিলে ২৫ তারিখ থেকে গুলশানের জিপি হাউসের সামনে তিন হাজার কর্মী অবস্থান কর্মসূচি পালন করার ঘোষণা দিয়েছেন।
এ বিষয়ে গ্রামীণফোনের হেড অব এক্সটার্নাল কমিউনিকেশনস আংকিত সুরেকা বলেন, ‘গ্রামীণফোনের কিছু সাবেক কর্মী চাকরি সংক্রান্ত কিছু দাবি–দাওয়া নিয়ে গত কয়েকদিন ধরে জিপি হাউসের সামনে সমবেত হচ্ছেন। আমাদের জানা মতে, তাঁদের বেশিরভাগ বেশ কয়েক বছর আগে প্রতিষ্ঠান ছেড়ে যান এবং আইন অনুযায়ী তাঁদের প্রাপ্য গ্রহণ করেন। এছাড়া তাঁরা যে দাবিগুলো তুলেছেন সেগুলো বর্তমানে মহামান্য আদালতে বিচারাধীন। বিচারিক প্রক্রিয়ার প্রতি গ্রামীণফোন শ্রদ্ধাশীল। তাই আদালতে এসব বিষয়ের নিষ্পত্তি হবে।’
তিনি বলেন, ‘দেশজুড়ে গ্রাহকদের নিরবচ্ছিন্ন টেলিযোগাযোগ সেবা প্রদানে সংকল্পবদ্ধ গ্রামীণফোন। গ্রামীণফোন শান্তিপূর্ণভাবে সমবেত হওয়ার অধিকারের প্রতিও শ্রদ্ধাশীল। কিন্তু ওই ব্যক্তিরা জিপি প্রাঙ্গণের প্রবেশ ও বহির্গমনের পথ অবৈধভাবে অবরুদ্ধ করেছে। এর ফলে আমাদের কর্মী ও গ্রাহকদের অবাধ চলাচল বিঘ্নিত হচ্ছে। গ্রামীণফোন দেশের প্রচলিত আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল এবং কর্মী ও গ্রাহকদের নিরাপত্তাকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে থাকে। ব্যক্তি ও সম্পত্তির নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে জিপি হাউস সংলগ্ন এলাকায় অবস্থান নিয়েছে আইন–শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।’
আরও খবর পড়ুন:

দেশের টেলিকম খাতের কাজের সঙ্গে যুক্ত কর্মীদের চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ, ছাঁটাই ও চাকরিচ্যুতির ঘটনায় খাতজুড়ে অসন্তোষ সৃষ্টি হয়েছে। চাকরি স্থায়ী ও বকেয়া পাওনা পরিশোধসহ বিভিন্ন দাবিতে আন্দোলনে নেমেছেন দেশের বৃহৎ তিন টেলিকম প্রতিষ্ঠান গ্রামীণফোন, রবি ও বাংলালিংকের সঙ্গে যুক্ত কয়েক শ আউটসোর্সিং-কর্মী। কর্মী ছাঁটাই বন্ধ এবং চাকরি স্থায়ী না করলে দেশের মোবাইল ফোনসেবা বন্ধ করে দেওয়ার হুঁশিয়ারি দিচ্ছেন তাঁরা। এতে যেকোনো সময় টেলিযোগাযোগ সেবায় বিপর্যয় নামতে পারে বলে আশঙ্কা করছে একাধিক গোয়েন্দা সংস্থা। বিদ্যমান পরিস্থিতিতে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় এবং আইন- শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কর্মকর্তারা টেলিকম প্রতিষ্ঠানগুলোকে আন্দোলনরত কর্মীদের সঙ্গে আলোচনা করে সংকট সমাধানের নির্দেশ দিয়েছেন।
জানা গেছে, মূলত তৃতীয় পক্ষ বা থার্ড পার্টির হয়ে টেলিকম খাতের কাজে নিযুক্ত কর্মীরাই এসব দাবিতে এক হয়েছেন। বছরের পর বছর অস্থায়ী চুক্তিতে কাজ করানো হচ্ছে বলে অভিযোগ এনে এর সমাধানের জন্য আন্দোলন করছেন তাঁরা।
দেশের প্রতিটি মোবাইল ফোন কোম্পানি তাদের টাওয়ার ও সাইট রক্ষণাবেক্ষণ এবং দেখভালের জন্য তৃতীয় পক্ষ বা থার্ড পার্টি বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তি করে বা ইজারা দিয়ে থাকে। এসব প্রতিষ্ঠান চুক্তিভিত্তিক কর্মী নিয়োগ দিয়ে সেবা পরিচালনা করে। তারা অস্থায়ী ভিত্তিতে ও চুক্তিতে প্রকৌশলী ও টেকনিশিয়ান নিয়োগ দেয়। এই প্রক্রিয়ায় শত শত কর্মী চুক্তিতে কাজ করে মোবাইল ফোনসেবা অব্যাহত রাখেন। তবে থার্ড পার্টি এসব কর্মীর সঙ্গে মজুরি পাওনা ও ভাতা নিয়ে অনিয়ম ও স্বেচ্ছাচারিতা করে বলে অভিযোগ তাঁদের।
টেলিকম সেবা প্রতিষ্ঠান বাংলালিংক তাদের টাওয়ার রক্ষণাবেক্ষণসহ ফিল্ড অপারেশনের জন্য ফ্রন্টডেস্ক বাংলাদেশ লিমিটেড, সার্চলাইট কমিউনিকেশন লিমিটেড ও আইএমএস লিমিটেড নামের তিনটি প্রতিষ্ঠান থেকে কর্মী নিয়ে থাকে। এই প্রতিষ্ঠানগুলো প্রকৌশলী ও টেকনিশিয়ানদের সঙ্গে তিন মাস বা নব্বই দিন করে চুক্তি করে বাংলালিংককে সেবা দেয়। এসব কর্মী দেশব্যাপী বাংলালিংকের টাওয়ার রক্ষণাবেক্ষণে কাজ করেন। তবে গত ২৬ জানুয়ারি ও ২ ফেব্রুয়ারি এসব প্রতিষ্ঠানে কর্মরত রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন জেলার ১৩২ জনকে পূর্বঘোষণা ছাড়াই চাকরিচ্যুত করার নোটিশ দেওয়া হয়।
চাকরিচ্যুত কর্মীদের একজন প্রকৌশলী মানিক উদ্দিন বলেন, ফ্রন্টডেস্ক লিমিটেড কর্তৃপক্ষ কোনো ঘোষণা ছাড়াই মার্চ থেকে সবাইকে চাকরিচ্যুত করার নোটিশ দিয়েছে মেইলে। রোজার ঈদের আগেই এভাবে চাকরিচ্যুত করাটা আইনবিরোধী। শ্রম আইন ও বিধিমালা অনুসারে যেসব সুবিধা তাঁদের পাওয়ার কথা, তা তাঁরা পাননি। নিয়োগদাতা প্রতিষ্ঠানগুলো বছরের পর বছর শ্রম আইন ও বিধিমালা লঙ্ঘন করে আসছে।
চাকরিচ্যুতির নোটিশ পাওয়ার পর প্রতিকার চেয়ে ১০ ফেব্রুয়ারি কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান অধিদপ্তরের মহাপরিদর্শকের কাছে চিঠি লেখেন ১৩০ প্রকৌশলী ও টেকনিশিয়ান।
ফ্রন্টডেস্ক বাংলাদেশ লিমিটেডের মাধ্যমে বাংলালিংকে নিয়োগ পাওয়া প্রকৌশলী মো. সাইদুর রহমান শিকদার বলেন, প্রতিকার চেয়ে আমরা বিভিন্ন কর্তৃপক্ষের কাছে চিঠি দিয়েছি। এ ছাড়া নিয়োগকারী প্রতিষ্ঠানেও চিঠি লিখেছি।
জানতে চাইলে ফ্রন্টডেস্ক বাংলাদেশ লিমিটেডের এক্সিকিউটিভ শামীম আহমেদ আজকের পত্রিকা'কে বলেন, চাকরিচ্যুতদের বিষয়টি অফিশিয়াল একটি প্রক্রিয়া ছিল। তাই তাঁদের চাকরিচ্যুতির নোটিশ দেওয়া হয়েছিল। তবে তাঁদের চাকরিতে পুনরায় ফিরিয়ে নেওয়ার জন্য বাংলালিংকের একটি নির্দেশনা আছে। সে জন্য কাজ চলছে।
এদিকে চাকরিচ্যুতির নোটিশ পাওয়া রাজধানীসহ ১৬ জেলার কর্মীরা শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেনের সঙ্গে ১১ ফেব্রুয়ারি দেখা করেন। তাঁর কাছে নিজেদের অভিযোগের কথা জানান। উপদেষ্টা তাঁদের আশ্বস্ত করেন। এভাবে সরকারের বিভিন্ন মহলে চাকরিচ্যুতরা চিঠি দেওয়ার পর নড়েচড়ে বসে বাংলালিংক কর্তৃপক্ষ।
জানতে চাইলে বাংলালিংকের হেড অব করপোরেট কমিউনিকেশন তৌহিদ আহমেদ বলেন, কর্মীদের চাকরিচ্যুত করার বিষয়টি তাঁদের জানা নেই।
আরেক বেসরকারি মোবাইল ফোন অপারেটর রবি নিজেদের নেটওয়ার্ক রক্ষণাবেক্ষণের জন্য ইডটকো বাংলাদেশ কোম্পানি লিমিটেড, পিপলস্কেপ লিমিটেড, ই-জোন লিমিটেড এবং এইচএস ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেড নামের চারটি প্রতিষ্ঠান থেকে কর্মী আউটসোর্সিং করে থাকে। এর মধ্যে একটি প্রতিষ্ঠান ১২ ফেব্রুয়ারি একযোগে ২২০ জনকে চাকরিচ্যুত করে। তাঁরা সবাই ১২ থেকে ১৪ বছর ইডটকো বাংলাদেশ কোম্পানি লিমিটেডের হয়ে রবির ফিল্ড অপারেশনের কাজ করতেন। এক যুগ আগে নিয়োগের সময় তাঁদের সঙ্গে কেবল ৯০ দিনের লিখিত চুক্তি করেছিল প্রতিষ্ঠানটি। তবে এরপর আর চুক্তি নবায়ন করা হয়নি। মৌখিক চুক্তিতেই কাজ করছিলেন তাঁরা।
জানা গেছে, ইডটকো এসব কর্মীকে নিয়োগ দিলেও এরপর অপর তিনটি প্রতিষ্ঠানের ব্যানারে তাঁদের ভাগ করে দেয়। তাঁদের মজুরিও পরিশোধ করত ওই তিন প্রতিষ্ঠান। মূলত কর ফাঁকি দেওয়ার জন্য এই কৌশলী অবস্থান নেয় প্রতিষ্ঠানগুলো।
ইডটকোর হয়ে দীর্ঘদিন কাজ করার পর সম্প্রতি চাকরিচ্যুত হয়েছেন প্রকৌশলী (রিজিওনাল অপারেশনাল ম্যানেজমেন্ট) আল আমিন বিদ্যুৎ। তিনি জানান, এক যুগ আগে পরীক্ষার মাধ্যমে তিনি ইডটকোতে নিয়োগ পান। এরপর থেকেই রবির নেটওয়ার্ক রক্ষণাবেক্ষণে কাজ করছেন। নিয়োগের সময় একবার ইডটকো তিন মাসের জন্য তাঁর সঙ্গে চুক্তি করেছিল। এরপর আর কোনো চুক্তি করেনি। মৌখিক চুক্তিতে কাজ করছেন এক যুগ ধরে। নিয়োগ ইডটকোর হলেও তাঁকে পিপলস্কেপের হয়ে কাজ করতে হচ্ছে, তারাই বেতন দিচ্ছে। তবে কোনো কারণ ছাড়াই ১২ ফেব্রুয়ারি পিপলস্কেপ একটি গণপদত্যাগপত্রে তাঁদের সবাইকে স্বাক্ষর করতে বলেছে।
রবির নেটওয়ার্ক রক্ষণাবেক্ষণের কাজ করা এমন ২২০ জনকে সম্প্রতি চাকরিচ্যুত করা হয়েছে বলেও জানান তিনি। ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত তাঁদের চাকরি রয়েছে। চাকরিচ্যুতরা ইতিমধ্যে প্রতিকার চেয়ে বিটিআরসির মেজর জেনারেল মো. এমদাদ উল বারীর কাছে একটি আবেদন দিয়েছেন। এ ছাড়াও তাঁরা প্রতিষ্ঠানগুলোকে আইনি নোটিশ দিয়েছেন।
এ বিষয়ে পিপলস্কেপের মানবসম্পদ বিভাগের এক্সিকিউটিভ সৈয়দ আলী আহসান বলেন, তাঁদের প্রতিষ্ঠান ১২০ জনকে চাকরিচ্যুত করেছে। তিন মাস পরপর চুক্তি করার কথা থাকলেও তিনি গত সাত মাসে চুক্তি করতে দেখেননি।
আউটসোর্সিং-কর্মীদের চাকরিচ্যুতির বিষয়ে রবির চিফ করপোরেট অ্যান্ড রেগুলেটরি অফিসার সাহেদ আলম বলেন, বিটিআরসির অন্যতম লাইসেন্সপ্রাপ্ত টাওয়ার ব্যবস্থাপনা প্রতিষ্ঠান হিসেবে ইডটকোর কাছে দীর্ঘমেয়াদি ইজারার মাধ্যমে রবি টেলিযোগাযোগ সেবা দেন। রবি টাওয়ার কোম্পানিগুলোর সহায়তায় তারা নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণ করে চলেছে।
বাংলালিংক ও রবি ছাড়া গ্রামীণেও চলছে অস্থিরতা। ‘চাকরিচ্যুত ও অধিকারবঞ্চিত গ্রামীণফোন শ্রমিক ঐক্য পরিষদ’-এর ব্যানারে কয়েক শ কর্মী আন্দোলন করছেন। আন্দোলনকারীরা বলছেন, ২০১০ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত ১২ বছরে ৩ হাজার ৩৬০ কর্মীকে অবৈধভাবে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে। ৫ শতাংশ লভ্যাংশ পরিশোধের দাবি তুলে ধরেন চাকরিচ্যুত কর্মীরা।
চাকরিচ্যুত ও অধিকারবঞ্চিত গ্রামীণফোন শ্রমিক ঐক্য পরিষদের আহ্বায়ক আবু সাদাত মো. শোয়েব বলেন, ৫ শতাংশ লভ্যাংশ না দিলে ২৫ তারিখ থেকে গুলশানের জিপি হাউসের সামনে তিন হাজার কর্মী অবস্থান কর্মসূচি পালন করার ঘোষণা দিয়েছেন।
এ বিষয়ে গ্রামীণফোনের হেড অব এক্সটার্নাল কমিউনিকেশনস আংকিত সুরেকা বলেন, ‘গ্রামীণফোনের কিছু সাবেক কর্মী চাকরি সংক্রান্ত কিছু দাবি–দাওয়া নিয়ে গত কয়েকদিন ধরে জিপি হাউসের সামনে সমবেত হচ্ছেন। আমাদের জানা মতে, তাঁদের বেশিরভাগ বেশ কয়েক বছর আগে প্রতিষ্ঠান ছেড়ে যান এবং আইন অনুযায়ী তাঁদের প্রাপ্য গ্রহণ করেন। এছাড়া তাঁরা যে দাবিগুলো তুলেছেন সেগুলো বর্তমানে মহামান্য আদালতে বিচারাধীন। বিচারিক প্রক্রিয়ার প্রতি গ্রামীণফোন শ্রদ্ধাশীল। তাই আদালতে এসব বিষয়ের নিষ্পত্তি হবে।’
তিনি বলেন, ‘দেশজুড়ে গ্রাহকদের নিরবচ্ছিন্ন টেলিযোগাযোগ সেবা প্রদানে সংকল্পবদ্ধ গ্রামীণফোন। গ্রামীণফোন শান্তিপূর্ণভাবে সমবেত হওয়ার অধিকারের প্রতিও শ্রদ্ধাশীল। কিন্তু ওই ব্যক্তিরা জিপি প্রাঙ্গণের প্রবেশ ও বহির্গমনের পথ অবৈধভাবে অবরুদ্ধ করেছে। এর ফলে আমাদের কর্মী ও গ্রাহকদের অবাধ চলাচল বিঘ্নিত হচ্ছে। গ্রামীণফোন দেশের প্রচলিত আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল এবং কর্মী ও গ্রাহকদের নিরাপত্তাকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে থাকে। ব্যক্তি ও সম্পত্তির নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে জিপি হাউস সংলগ্ন এলাকায় অবস্থান নিয়েছে আইন–শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।’
আরও খবর পড়ুন:
আউটসোর্সিংয়ের কর্মী
আমানুর রহমান রনি, ঢাকা

দেশের টেলিকম খাতের কাজের সঙ্গে যুক্ত কর্মীদের চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ, ছাঁটাই ও চাকরিচ্যুতির ঘটনায় খাতজুড়ে অসন্তোষ সৃষ্টি হয়েছে। চাকরি স্থায়ী ও বকেয়া পাওনা পরিশোধসহ বিভিন্ন দাবিতে আন্দোলনে নেমেছেন দেশের বৃহৎ তিন টেলিকম প্রতিষ্ঠান গ্রামীণফোন, রবি ও বাংলালিংকের সঙ্গে যুক্ত কয়েক শ আউটসোর্সিং-কর্মী। কর্মী ছাঁটাই বন্ধ এবং চাকরি স্থায়ী না করলে দেশের মোবাইল ফোনসেবা বন্ধ করে দেওয়ার হুঁশিয়ারি দিচ্ছেন তাঁরা। এতে যেকোনো সময় টেলিযোগাযোগ সেবায় বিপর্যয় নামতে পারে বলে আশঙ্কা করছে একাধিক গোয়েন্দা সংস্থা। বিদ্যমান পরিস্থিতিতে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় এবং আইন- শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কর্মকর্তারা টেলিকম প্রতিষ্ঠানগুলোকে আন্দোলনরত কর্মীদের সঙ্গে আলোচনা করে সংকট সমাধানের নির্দেশ দিয়েছেন।
জানা গেছে, মূলত তৃতীয় পক্ষ বা থার্ড পার্টির হয়ে টেলিকম খাতের কাজে নিযুক্ত কর্মীরাই এসব দাবিতে এক হয়েছেন। বছরের পর বছর অস্থায়ী চুক্তিতে কাজ করানো হচ্ছে বলে অভিযোগ এনে এর সমাধানের জন্য আন্দোলন করছেন তাঁরা।
দেশের প্রতিটি মোবাইল ফোন কোম্পানি তাদের টাওয়ার ও সাইট রক্ষণাবেক্ষণ এবং দেখভালের জন্য তৃতীয় পক্ষ বা থার্ড পার্টি বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তি করে বা ইজারা দিয়ে থাকে। এসব প্রতিষ্ঠান চুক্তিভিত্তিক কর্মী নিয়োগ দিয়ে সেবা পরিচালনা করে। তারা অস্থায়ী ভিত্তিতে ও চুক্তিতে প্রকৌশলী ও টেকনিশিয়ান নিয়োগ দেয়। এই প্রক্রিয়ায় শত শত কর্মী চুক্তিতে কাজ করে মোবাইল ফোনসেবা অব্যাহত রাখেন। তবে থার্ড পার্টি এসব কর্মীর সঙ্গে মজুরি পাওনা ও ভাতা নিয়ে অনিয়ম ও স্বেচ্ছাচারিতা করে বলে অভিযোগ তাঁদের।
টেলিকম সেবা প্রতিষ্ঠান বাংলালিংক তাদের টাওয়ার রক্ষণাবেক্ষণসহ ফিল্ড অপারেশনের জন্য ফ্রন্টডেস্ক বাংলাদেশ লিমিটেড, সার্চলাইট কমিউনিকেশন লিমিটেড ও আইএমএস লিমিটেড নামের তিনটি প্রতিষ্ঠান থেকে কর্মী নিয়ে থাকে। এই প্রতিষ্ঠানগুলো প্রকৌশলী ও টেকনিশিয়ানদের সঙ্গে তিন মাস বা নব্বই দিন করে চুক্তি করে বাংলালিংককে সেবা দেয়। এসব কর্মী দেশব্যাপী বাংলালিংকের টাওয়ার রক্ষণাবেক্ষণে কাজ করেন। তবে গত ২৬ জানুয়ারি ও ২ ফেব্রুয়ারি এসব প্রতিষ্ঠানে কর্মরত রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন জেলার ১৩২ জনকে পূর্বঘোষণা ছাড়াই চাকরিচ্যুত করার নোটিশ দেওয়া হয়।
চাকরিচ্যুত কর্মীদের একজন প্রকৌশলী মানিক উদ্দিন বলেন, ফ্রন্টডেস্ক লিমিটেড কর্তৃপক্ষ কোনো ঘোষণা ছাড়াই মার্চ থেকে সবাইকে চাকরিচ্যুত করার নোটিশ দিয়েছে মেইলে। রোজার ঈদের আগেই এভাবে চাকরিচ্যুত করাটা আইনবিরোধী। শ্রম আইন ও বিধিমালা অনুসারে যেসব সুবিধা তাঁদের পাওয়ার কথা, তা তাঁরা পাননি। নিয়োগদাতা প্রতিষ্ঠানগুলো বছরের পর বছর শ্রম আইন ও বিধিমালা লঙ্ঘন করে আসছে।
চাকরিচ্যুতির নোটিশ পাওয়ার পর প্রতিকার চেয়ে ১০ ফেব্রুয়ারি কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান অধিদপ্তরের মহাপরিদর্শকের কাছে চিঠি লেখেন ১৩০ প্রকৌশলী ও টেকনিশিয়ান।
ফ্রন্টডেস্ক বাংলাদেশ লিমিটেডের মাধ্যমে বাংলালিংকে নিয়োগ পাওয়া প্রকৌশলী মো. সাইদুর রহমান শিকদার বলেন, প্রতিকার চেয়ে আমরা বিভিন্ন কর্তৃপক্ষের কাছে চিঠি দিয়েছি। এ ছাড়া নিয়োগকারী প্রতিষ্ঠানেও চিঠি লিখেছি।
জানতে চাইলে ফ্রন্টডেস্ক বাংলাদেশ লিমিটেডের এক্সিকিউটিভ শামীম আহমেদ আজকের পত্রিকা'কে বলেন, চাকরিচ্যুতদের বিষয়টি অফিশিয়াল একটি প্রক্রিয়া ছিল। তাই তাঁদের চাকরিচ্যুতির নোটিশ দেওয়া হয়েছিল। তবে তাঁদের চাকরিতে পুনরায় ফিরিয়ে নেওয়ার জন্য বাংলালিংকের একটি নির্দেশনা আছে। সে জন্য কাজ চলছে।
এদিকে চাকরিচ্যুতির নোটিশ পাওয়া রাজধানীসহ ১৬ জেলার কর্মীরা শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেনের সঙ্গে ১১ ফেব্রুয়ারি দেখা করেন। তাঁর কাছে নিজেদের অভিযোগের কথা জানান। উপদেষ্টা তাঁদের আশ্বস্ত করেন। এভাবে সরকারের বিভিন্ন মহলে চাকরিচ্যুতরা চিঠি দেওয়ার পর নড়েচড়ে বসে বাংলালিংক কর্তৃপক্ষ।
জানতে চাইলে বাংলালিংকের হেড অব করপোরেট কমিউনিকেশন তৌহিদ আহমেদ বলেন, কর্মীদের চাকরিচ্যুত করার বিষয়টি তাঁদের জানা নেই।
আরেক বেসরকারি মোবাইল ফোন অপারেটর রবি নিজেদের নেটওয়ার্ক রক্ষণাবেক্ষণের জন্য ইডটকো বাংলাদেশ কোম্পানি লিমিটেড, পিপলস্কেপ লিমিটেড, ই-জোন লিমিটেড এবং এইচএস ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেড নামের চারটি প্রতিষ্ঠান থেকে কর্মী আউটসোর্সিং করে থাকে। এর মধ্যে একটি প্রতিষ্ঠান ১২ ফেব্রুয়ারি একযোগে ২২০ জনকে চাকরিচ্যুত করে। তাঁরা সবাই ১২ থেকে ১৪ বছর ইডটকো বাংলাদেশ কোম্পানি লিমিটেডের হয়ে রবির ফিল্ড অপারেশনের কাজ করতেন। এক যুগ আগে নিয়োগের সময় তাঁদের সঙ্গে কেবল ৯০ দিনের লিখিত চুক্তি করেছিল প্রতিষ্ঠানটি। তবে এরপর আর চুক্তি নবায়ন করা হয়নি। মৌখিক চুক্তিতেই কাজ করছিলেন তাঁরা।
জানা গেছে, ইডটকো এসব কর্মীকে নিয়োগ দিলেও এরপর অপর তিনটি প্রতিষ্ঠানের ব্যানারে তাঁদের ভাগ করে দেয়। তাঁদের মজুরিও পরিশোধ করত ওই তিন প্রতিষ্ঠান। মূলত কর ফাঁকি দেওয়ার জন্য এই কৌশলী অবস্থান নেয় প্রতিষ্ঠানগুলো।
ইডটকোর হয়ে দীর্ঘদিন কাজ করার পর সম্প্রতি চাকরিচ্যুত হয়েছেন প্রকৌশলী (রিজিওনাল অপারেশনাল ম্যানেজমেন্ট) আল আমিন বিদ্যুৎ। তিনি জানান, এক যুগ আগে পরীক্ষার মাধ্যমে তিনি ইডটকোতে নিয়োগ পান। এরপর থেকেই রবির নেটওয়ার্ক রক্ষণাবেক্ষণে কাজ করছেন। নিয়োগের সময় একবার ইডটকো তিন মাসের জন্য তাঁর সঙ্গে চুক্তি করেছিল। এরপর আর কোনো চুক্তি করেনি। মৌখিক চুক্তিতে কাজ করছেন এক যুগ ধরে। নিয়োগ ইডটকোর হলেও তাঁকে পিপলস্কেপের হয়ে কাজ করতে হচ্ছে, তারাই বেতন দিচ্ছে। তবে কোনো কারণ ছাড়াই ১২ ফেব্রুয়ারি পিপলস্কেপ একটি গণপদত্যাগপত্রে তাঁদের সবাইকে স্বাক্ষর করতে বলেছে।
রবির নেটওয়ার্ক রক্ষণাবেক্ষণের কাজ করা এমন ২২০ জনকে সম্প্রতি চাকরিচ্যুত করা হয়েছে বলেও জানান তিনি। ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত তাঁদের চাকরি রয়েছে। চাকরিচ্যুতরা ইতিমধ্যে প্রতিকার চেয়ে বিটিআরসির মেজর জেনারেল মো. এমদাদ উল বারীর কাছে একটি আবেদন দিয়েছেন। এ ছাড়াও তাঁরা প্রতিষ্ঠানগুলোকে আইনি নোটিশ দিয়েছেন।
এ বিষয়ে পিপলস্কেপের মানবসম্পদ বিভাগের এক্সিকিউটিভ সৈয়দ আলী আহসান বলেন, তাঁদের প্রতিষ্ঠান ১২০ জনকে চাকরিচ্যুত করেছে। তিন মাস পরপর চুক্তি করার কথা থাকলেও তিনি গত সাত মাসে চুক্তি করতে দেখেননি।
আউটসোর্সিং-কর্মীদের চাকরিচ্যুতির বিষয়ে রবির চিফ করপোরেট অ্যান্ড রেগুলেটরি অফিসার সাহেদ আলম বলেন, বিটিআরসির অন্যতম লাইসেন্সপ্রাপ্ত টাওয়ার ব্যবস্থাপনা প্রতিষ্ঠান হিসেবে ইডটকোর কাছে দীর্ঘমেয়াদি ইজারার মাধ্যমে রবি টেলিযোগাযোগ সেবা দেন। রবি টাওয়ার কোম্পানিগুলোর সহায়তায় তারা নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণ করে চলেছে।
বাংলালিংক ও রবি ছাড়া গ্রামীণেও চলছে অস্থিরতা। ‘চাকরিচ্যুত ও অধিকারবঞ্চিত গ্রামীণফোন শ্রমিক ঐক্য পরিষদ’-এর ব্যানারে কয়েক শ কর্মী আন্দোলন করছেন। আন্দোলনকারীরা বলছেন, ২০১০ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত ১২ বছরে ৩ হাজার ৩৬০ কর্মীকে অবৈধভাবে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে। ৫ শতাংশ লভ্যাংশ পরিশোধের দাবি তুলে ধরেন চাকরিচ্যুত কর্মীরা।
চাকরিচ্যুত ও অধিকারবঞ্চিত গ্রামীণফোন শ্রমিক ঐক্য পরিষদের আহ্বায়ক আবু সাদাত মো. শোয়েব বলেন, ৫ শতাংশ লভ্যাংশ না দিলে ২৫ তারিখ থেকে গুলশানের জিপি হাউসের সামনে তিন হাজার কর্মী অবস্থান কর্মসূচি পালন করার ঘোষণা দিয়েছেন।
এ বিষয়ে গ্রামীণফোনের হেড অব এক্সটার্নাল কমিউনিকেশনস আংকিত সুরেকা বলেন, ‘গ্রামীণফোনের কিছু সাবেক কর্মী চাকরি সংক্রান্ত কিছু দাবি–দাওয়া নিয়ে গত কয়েকদিন ধরে জিপি হাউসের সামনে সমবেত হচ্ছেন। আমাদের জানা মতে, তাঁদের বেশিরভাগ বেশ কয়েক বছর আগে প্রতিষ্ঠান ছেড়ে যান এবং আইন অনুযায়ী তাঁদের প্রাপ্য গ্রহণ করেন। এছাড়া তাঁরা যে দাবিগুলো তুলেছেন সেগুলো বর্তমানে মহামান্য আদালতে বিচারাধীন। বিচারিক প্রক্রিয়ার প্রতি গ্রামীণফোন শ্রদ্ধাশীল। তাই আদালতে এসব বিষয়ের নিষ্পত্তি হবে।’
তিনি বলেন, ‘দেশজুড়ে গ্রাহকদের নিরবচ্ছিন্ন টেলিযোগাযোগ সেবা প্রদানে সংকল্পবদ্ধ গ্রামীণফোন। গ্রামীণফোন শান্তিপূর্ণভাবে সমবেত হওয়ার অধিকারের প্রতিও শ্রদ্ধাশীল। কিন্তু ওই ব্যক্তিরা জিপি প্রাঙ্গণের প্রবেশ ও বহির্গমনের পথ অবৈধভাবে অবরুদ্ধ করেছে। এর ফলে আমাদের কর্মী ও গ্রাহকদের অবাধ চলাচল বিঘ্নিত হচ্ছে। গ্রামীণফোন দেশের প্রচলিত আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল এবং কর্মী ও গ্রাহকদের নিরাপত্তাকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে থাকে। ব্যক্তি ও সম্পত্তির নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে জিপি হাউস সংলগ্ন এলাকায় অবস্থান নিয়েছে আইন–শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।’
আরও খবর পড়ুন:

দেশের টেলিকম খাতের কাজের সঙ্গে যুক্ত কর্মীদের চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ, ছাঁটাই ও চাকরিচ্যুতির ঘটনায় খাতজুড়ে অসন্তোষ সৃষ্টি হয়েছে। চাকরি স্থায়ী ও বকেয়া পাওনা পরিশোধসহ বিভিন্ন দাবিতে আন্দোলনে নেমেছেন দেশের বৃহৎ তিন টেলিকম প্রতিষ্ঠান গ্রামীণফোন, রবি ও বাংলালিংকের সঙ্গে যুক্ত কয়েক শ আউটসোর্সিং-কর্মী। কর্মী ছাঁটাই বন্ধ এবং চাকরি স্থায়ী না করলে দেশের মোবাইল ফোনসেবা বন্ধ করে দেওয়ার হুঁশিয়ারি দিচ্ছেন তাঁরা। এতে যেকোনো সময় টেলিযোগাযোগ সেবায় বিপর্যয় নামতে পারে বলে আশঙ্কা করছে একাধিক গোয়েন্দা সংস্থা। বিদ্যমান পরিস্থিতিতে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় এবং আইন- শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কর্মকর্তারা টেলিকম প্রতিষ্ঠানগুলোকে আন্দোলনরত কর্মীদের সঙ্গে আলোচনা করে সংকট সমাধানের নির্দেশ দিয়েছেন।
জানা গেছে, মূলত তৃতীয় পক্ষ বা থার্ড পার্টির হয়ে টেলিকম খাতের কাজে নিযুক্ত কর্মীরাই এসব দাবিতে এক হয়েছেন। বছরের পর বছর অস্থায়ী চুক্তিতে কাজ করানো হচ্ছে বলে অভিযোগ এনে এর সমাধানের জন্য আন্দোলন করছেন তাঁরা।
দেশের প্রতিটি মোবাইল ফোন কোম্পানি তাদের টাওয়ার ও সাইট রক্ষণাবেক্ষণ এবং দেখভালের জন্য তৃতীয় পক্ষ বা থার্ড পার্টি বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তি করে বা ইজারা দিয়ে থাকে। এসব প্রতিষ্ঠান চুক্তিভিত্তিক কর্মী নিয়োগ দিয়ে সেবা পরিচালনা করে। তারা অস্থায়ী ভিত্তিতে ও চুক্তিতে প্রকৌশলী ও টেকনিশিয়ান নিয়োগ দেয়। এই প্রক্রিয়ায় শত শত কর্মী চুক্তিতে কাজ করে মোবাইল ফোনসেবা অব্যাহত রাখেন। তবে থার্ড পার্টি এসব কর্মীর সঙ্গে মজুরি পাওনা ও ভাতা নিয়ে অনিয়ম ও স্বেচ্ছাচারিতা করে বলে অভিযোগ তাঁদের।
টেলিকম সেবা প্রতিষ্ঠান বাংলালিংক তাদের টাওয়ার রক্ষণাবেক্ষণসহ ফিল্ড অপারেশনের জন্য ফ্রন্টডেস্ক বাংলাদেশ লিমিটেড, সার্চলাইট কমিউনিকেশন লিমিটেড ও আইএমএস লিমিটেড নামের তিনটি প্রতিষ্ঠান থেকে কর্মী নিয়ে থাকে। এই প্রতিষ্ঠানগুলো প্রকৌশলী ও টেকনিশিয়ানদের সঙ্গে তিন মাস বা নব্বই দিন করে চুক্তি করে বাংলালিংককে সেবা দেয়। এসব কর্মী দেশব্যাপী বাংলালিংকের টাওয়ার রক্ষণাবেক্ষণে কাজ করেন। তবে গত ২৬ জানুয়ারি ও ২ ফেব্রুয়ারি এসব প্রতিষ্ঠানে কর্মরত রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন জেলার ১৩২ জনকে পূর্বঘোষণা ছাড়াই চাকরিচ্যুত করার নোটিশ দেওয়া হয়।
চাকরিচ্যুত কর্মীদের একজন প্রকৌশলী মানিক উদ্দিন বলেন, ফ্রন্টডেস্ক লিমিটেড কর্তৃপক্ষ কোনো ঘোষণা ছাড়াই মার্চ থেকে সবাইকে চাকরিচ্যুত করার নোটিশ দিয়েছে মেইলে। রোজার ঈদের আগেই এভাবে চাকরিচ্যুত করাটা আইনবিরোধী। শ্রম আইন ও বিধিমালা অনুসারে যেসব সুবিধা তাঁদের পাওয়ার কথা, তা তাঁরা পাননি। নিয়োগদাতা প্রতিষ্ঠানগুলো বছরের পর বছর শ্রম আইন ও বিধিমালা লঙ্ঘন করে আসছে।
চাকরিচ্যুতির নোটিশ পাওয়ার পর প্রতিকার চেয়ে ১০ ফেব্রুয়ারি কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান অধিদপ্তরের মহাপরিদর্শকের কাছে চিঠি লেখেন ১৩০ প্রকৌশলী ও টেকনিশিয়ান।
ফ্রন্টডেস্ক বাংলাদেশ লিমিটেডের মাধ্যমে বাংলালিংকে নিয়োগ পাওয়া প্রকৌশলী মো. সাইদুর রহমান শিকদার বলেন, প্রতিকার চেয়ে আমরা বিভিন্ন কর্তৃপক্ষের কাছে চিঠি দিয়েছি। এ ছাড়া নিয়োগকারী প্রতিষ্ঠানেও চিঠি লিখেছি।
জানতে চাইলে ফ্রন্টডেস্ক বাংলাদেশ লিমিটেডের এক্সিকিউটিভ শামীম আহমেদ আজকের পত্রিকা'কে বলেন, চাকরিচ্যুতদের বিষয়টি অফিশিয়াল একটি প্রক্রিয়া ছিল। তাই তাঁদের চাকরিচ্যুতির নোটিশ দেওয়া হয়েছিল। তবে তাঁদের চাকরিতে পুনরায় ফিরিয়ে নেওয়ার জন্য বাংলালিংকের একটি নির্দেশনা আছে। সে জন্য কাজ চলছে।
এদিকে চাকরিচ্যুতির নোটিশ পাওয়া রাজধানীসহ ১৬ জেলার কর্মীরা শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেনের সঙ্গে ১১ ফেব্রুয়ারি দেখা করেন। তাঁর কাছে নিজেদের অভিযোগের কথা জানান। উপদেষ্টা তাঁদের আশ্বস্ত করেন। এভাবে সরকারের বিভিন্ন মহলে চাকরিচ্যুতরা চিঠি দেওয়ার পর নড়েচড়ে বসে বাংলালিংক কর্তৃপক্ষ।
জানতে চাইলে বাংলালিংকের হেড অব করপোরেট কমিউনিকেশন তৌহিদ আহমেদ বলেন, কর্মীদের চাকরিচ্যুত করার বিষয়টি তাঁদের জানা নেই।
আরেক বেসরকারি মোবাইল ফোন অপারেটর রবি নিজেদের নেটওয়ার্ক রক্ষণাবেক্ষণের জন্য ইডটকো বাংলাদেশ কোম্পানি লিমিটেড, পিপলস্কেপ লিমিটেড, ই-জোন লিমিটেড এবং এইচএস ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেড নামের চারটি প্রতিষ্ঠান থেকে কর্মী আউটসোর্সিং করে থাকে। এর মধ্যে একটি প্রতিষ্ঠান ১২ ফেব্রুয়ারি একযোগে ২২০ জনকে চাকরিচ্যুত করে। তাঁরা সবাই ১২ থেকে ১৪ বছর ইডটকো বাংলাদেশ কোম্পানি লিমিটেডের হয়ে রবির ফিল্ড অপারেশনের কাজ করতেন। এক যুগ আগে নিয়োগের সময় তাঁদের সঙ্গে কেবল ৯০ দিনের লিখিত চুক্তি করেছিল প্রতিষ্ঠানটি। তবে এরপর আর চুক্তি নবায়ন করা হয়নি। মৌখিক চুক্তিতেই কাজ করছিলেন তাঁরা।
জানা গেছে, ইডটকো এসব কর্মীকে নিয়োগ দিলেও এরপর অপর তিনটি প্রতিষ্ঠানের ব্যানারে তাঁদের ভাগ করে দেয়। তাঁদের মজুরিও পরিশোধ করত ওই তিন প্রতিষ্ঠান। মূলত কর ফাঁকি দেওয়ার জন্য এই কৌশলী অবস্থান নেয় প্রতিষ্ঠানগুলো।
ইডটকোর হয়ে দীর্ঘদিন কাজ করার পর সম্প্রতি চাকরিচ্যুত হয়েছেন প্রকৌশলী (রিজিওনাল অপারেশনাল ম্যানেজমেন্ট) আল আমিন বিদ্যুৎ। তিনি জানান, এক যুগ আগে পরীক্ষার মাধ্যমে তিনি ইডটকোতে নিয়োগ পান। এরপর থেকেই রবির নেটওয়ার্ক রক্ষণাবেক্ষণে কাজ করছেন। নিয়োগের সময় একবার ইডটকো তিন মাসের জন্য তাঁর সঙ্গে চুক্তি করেছিল। এরপর আর কোনো চুক্তি করেনি। মৌখিক চুক্তিতে কাজ করছেন এক যুগ ধরে। নিয়োগ ইডটকোর হলেও তাঁকে পিপলস্কেপের হয়ে কাজ করতে হচ্ছে, তারাই বেতন দিচ্ছে। তবে কোনো কারণ ছাড়াই ১২ ফেব্রুয়ারি পিপলস্কেপ একটি গণপদত্যাগপত্রে তাঁদের সবাইকে স্বাক্ষর করতে বলেছে।
রবির নেটওয়ার্ক রক্ষণাবেক্ষণের কাজ করা এমন ২২০ জনকে সম্প্রতি চাকরিচ্যুত করা হয়েছে বলেও জানান তিনি। ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত তাঁদের চাকরি রয়েছে। চাকরিচ্যুতরা ইতিমধ্যে প্রতিকার চেয়ে বিটিআরসির মেজর জেনারেল মো. এমদাদ উল বারীর কাছে একটি আবেদন দিয়েছেন। এ ছাড়াও তাঁরা প্রতিষ্ঠানগুলোকে আইনি নোটিশ দিয়েছেন।
এ বিষয়ে পিপলস্কেপের মানবসম্পদ বিভাগের এক্সিকিউটিভ সৈয়দ আলী আহসান বলেন, তাঁদের প্রতিষ্ঠান ১২০ জনকে চাকরিচ্যুত করেছে। তিন মাস পরপর চুক্তি করার কথা থাকলেও তিনি গত সাত মাসে চুক্তি করতে দেখেননি।
আউটসোর্সিং-কর্মীদের চাকরিচ্যুতির বিষয়ে রবির চিফ করপোরেট অ্যান্ড রেগুলেটরি অফিসার সাহেদ আলম বলেন, বিটিআরসির অন্যতম লাইসেন্সপ্রাপ্ত টাওয়ার ব্যবস্থাপনা প্রতিষ্ঠান হিসেবে ইডটকোর কাছে দীর্ঘমেয়াদি ইজারার মাধ্যমে রবি টেলিযোগাযোগ সেবা দেন। রবি টাওয়ার কোম্পানিগুলোর সহায়তায় তারা নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণ করে চলেছে।
বাংলালিংক ও রবি ছাড়া গ্রামীণেও চলছে অস্থিরতা। ‘চাকরিচ্যুত ও অধিকারবঞ্চিত গ্রামীণফোন শ্রমিক ঐক্য পরিষদ’-এর ব্যানারে কয়েক শ কর্মী আন্দোলন করছেন। আন্দোলনকারীরা বলছেন, ২০১০ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত ১২ বছরে ৩ হাজার ৩৬০ কর্মীকে অবৈধভাবে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে। ৫ শতাংশ লভ্যাংশ পরিশোধের দাবি তুলে ধরেন চাকরিচ্যুত কর্মীরা।
চাকরিচ্যুত ও অধিকারবঞ্চিত গ্রামীণফোন শ্রমিক ঐক্য পরিষদের আহ্বায়ক আবু সাদাত মো. শোয়েব বলেন, ৫ শতাংশ লভ্যাংশ না দিলে ২৫ তারিখ থেকে গুলশানের জিপি হাউসের সামনে তিন হাজার কর্মী অবস্থান কর্মসূচি পালন করার ঘোষণা দিয়েছেন।
এ বিষয়ে গ্রামীণফোনের হেড অব এক্সটার্নাল কমিউনিকেশনস আংকিত সুরেকা বলেন, ‘গ্রামীণফোনের কিছু সাবেক কর্মী চাকরি সংক্রান্ত কিছু দাবি–দাওয়া নিয়ে গত কয়েকদিন ধরে জিপি হাউসের সামনে সমবেত হচ্ছেন। আমাদের জানা মতে, তাঁদের বেশিরভাগ বেশ কয়েক বছর আগে প্রতিষ্ঠান ছেড়ে যান এবং আইন অনুযায়ী তাঁদের প্রাপ্য গ্রহণ করেন। এছাড়া তাঁরা যে দাবিগুলো তুলেছেন সেগুলো বর্তমানে মহামান্য আদালতে বিচারাধীন। বিচারিক প্রক্রিয়ার প্রতি গ্রামীণফোন শ্রদ্ধাশীল। তাই আদালতে এসব বিষয়ের নিষ্পত্তি হবে।’
তিনি বলেন, ‘দেশজুড়ে গ্রাহকদের নিরবচ্ছিন্ন টেলিযোগাযোগ সেবা প্রদানে সংকল্পবদ্ধ গ্রামীণফোন। গ্রামীণফোন শান্তিপূর্ণভাবে সমবেত হওয়ার অধিকারের প্রতিও শ্রদ্ধাশীল। কিন্তু ওই ব্যক্তিরা জিপি প্রাঙ্গণের প্রবেশ ও বহির্গমনের পথ অবৈধভাবে অবরুদ্ধ করেছে। এর ফলে আমাদের কর্মী ও গ্রাহকদের অবাধ চলাচল বিঘ্নিত হচ্ছে। গ্রামীণফোন দেশের প্রচলিত আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল এবং কর্মী ও গ্রাহকদের নিরাপত্তাকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে থাকে। ব্যক্তি ও সম্পত্তির নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে জিপি হাউস সংলগ্ন এলাকায় অবস্থান নিয়েছে আইন–শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।’
আরও খবর পড়ুন:

বাংলাদেশের সর্বোচ্চ ইস্পাত উৎপাদনক্ষমতাসম্পন্ন প্রতিষ্ঠান আবুল খায়ের স্টিল (একেএস) ৬ ডিসেম্বর তাদের সব কর্মীকে নিয়ে ‘একেএস-একসাথে আগামীর পথে’ শীর্ষক একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিল।
১৩ ঘণ্টা আগে
ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির পরিচালনা পরিষদের বোর্ড সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল সোমবার (৮ ডসিম্বের) ইসলামী ব্যাংক টাওয়ারে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়। ব্যাংকের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. এম জুবায়দুর রহমান এতে সভাপতিত্ব করেন।
১৩ ঘণ্টা আগে
কর ও সঞ্চিতি সংরক্ষণের পর নিট মুনাফা অর্জন না করলে কোনো ব্যাংকই আর উৎসাহ বোনাস দিতে পারবে না। পাশাপাশি মূলধন সংরক্ষণ ঘাটতি, প্রভিশন ঘাটতি বা পুঞ্জীভূত মুনাফা থেকেই বোনাস দেওয়ার পথও পুরোপুরি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
১৪ ঘণ্টা আগে
এনবিআর জানিয়েছে, শিগগির এ পদ্ধতি সারা দেশে চালু করা হবে, যাতে সব ধরনের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান স্বয়ংক্রিয়ভাবে ভ্যাটের আওতায় আসে এবং নিবন্ধন ছাড়া আর কেউ ব্যবসা চালাতে না পারে।
১৬ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

বাংলাদেশের সর্বোচ্চ ইস্পাত উৎপাদনক্ষমতাসম্পন্ন প্রতিষ্ঠান আবুল খায়ের স্টিল (একেএস) ৬ ডিসেম্বর তাদের সব কর্মীকে নিয়ে ‘একেএস-একসাথে আগামীর পথে’ শীর্ষক একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিল। দিনব্যাপী এই উৎসবমুখর ও জাঁকজমকপূর্ণ আয়োজনে দেশের প্রতিটি স্থান থেকে আবুল খায়ের স্টিলের সব কর্মকর্তা ও কর্মচারী উপস্থিত ছিলেন।
সূচনা বক্তব্যের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করা হয়। নামাজ ও খাবারের বিরতির পর একেএসের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা সবার উদ্দেশে অনুপ্রেরণামূলক বক্তব্য দেন। বক্তব্যে কোম্পানির সাম্প্রতিক অর্জন ও মাইলফলকগুলো তুলে ধরা হয়। এর মধ্যে রয়েছে—দেশের সবচেয়ে শক্তিশালী রড একেএস টিএমটি বি৭০০ সি-আরের সফল উৎপাদন। বিশ্বের দ্রুততম রোলিং মিল স্থাপন। একেএস এবং কাউ ব্র্যান্ড কালার কোটেড স্টিলের মর্যাদাপূর্ণ সুপারব্র্যান্ড অ্যাওয়ার্ড অর্জন।
এই আলোচনায় প্রযুক্তিগত উদ্ভাবন এবং কর্মীদের সম্মিলিত সাফল্যের প্রতিচ্ছবিও উঠে আসে।
সন্ধ্যায় আয়োজিত সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও র্যাফেল ড্র পর্বটি উদ্যাপনকে আরও প্রাণবন্ত করে তোলে। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে কিংবদন্তি শিল্পী জেমসের মনোমুগ্ধকর পরিবেশনা ও লেজার শো উপস্থিত সবাইকে মাতিয়ে রাখে।
সমাপনী ভাষণে একেএস পরিবারের প্রত্যেক সদস্যকে অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকার জন্য ধন্যবাদ জানান হয়। এরপর নৈশভোজ ও ডিজে সেশনের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়।

বাংলাদেশের সর্বোচ্চ ইস্পাত উৎপাদনক্ষমতাসম্পন্ন প্রতিষ্ঠান আবুল খায়ের স্টিল (একেএস) ৬ ডিসেম্বর তাদের সব কর্মীকে নিয়ে ‘একেএস-একসাথে আগামীর পথে’ শীর্ষক একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিল। দিনব্যাপী এই উৎসবমুখর ও জাঁকজমকপূর্ণ আয়োজনে দেশের প্রতিটি স্থান থেকে আবুল খায়ের স্টিলের সব কর্মকর্তা ও কর্মচারী উপস্থিত ছিলেন।
সূচনা বক্তব্যের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করা হয়। নামাজ ও খাবারের বিরতির পর একেএসের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা সবার উদ্দেশে অনুপ্রেরণামূলক বক্তব্য দেন। বক্তব্যে কোম্পানির সাম্প্রতিক অর্জন ও মাইলফলকগুলো তুলে ধরা হয়। এর মধ্যে রয়েছে—দেশের সবচেয়ে শক্তিশালী রড একেএস টিএমটি বি৭০০ সি-আরের সফল উৎপাদন। বিশ্বের দ্রুততম রোলিং মিল স্থাপন। একেএস এবং কাউ ব্র্যান্ড কালার কোটেড স্টিলের মর্যাদাপূর্ণ সুপারব্র্যান্ড অ্যাওয়ার্ড অর্জন।
এই আলোচনায় প্রযুক্তিগত উদ্ভাবন এবং কর্মীদের সম্মিলিত সাফল্যের প্রতিচ্ছবিও উঠে আসে।
সন্ধ্যায় আয়োজিত সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও র্যাফেল ড্র পর্বটি উদ্যাপনকে আরও প্রাণবন্ত করে তোলে। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে কিংবদন্তি শিল্পী জেমসের মনোমুগ্ধকর পরিবেশনা ও লেজার শো উপস্থিত সবাইকে মাতিয়ে রাখে।
সমাপনী ভাষণে একেএস পরিবারের প্রত্যেক সদস্যকে অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকার জন্য ধন্যবাদ জানান হয়। এরপর নৈশভোজ ও ডিজে সেশনের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়।

দেশের টেলিকম খাতের কাজের সঙ্গে যুক্ত কর্মীদের চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ, ছাঁটাই ও চাকরিচ্যুতির ঘটনায় খাতজুড়ে অসন্তোষ সৃষ্টি হয়েছে। চাকরি স্থায়ী ও বকেয়া পাওনা পরিশোধসহ বিভিন্ন দাবিতে আন্দোলনে নেমেছেন দেশের বৃহৎ তিন টেলিকম প্রতিষ্ঠান গ্রামীণফোন, রবি ও বাংলালিংকের সঙ্গে যুক্ত কয়েক শ আউটসোর্সিং-কর্মী।
২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির পরিচালনা পরিষদের বোর্ড সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল সোমবার (৮ ডসিম্বের) ইসলামী ব্যাংক টাওয়ারে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়। ব্যাংকের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. এম জুবায়দুর রহমান এতে সভাপতিত্ব করেন।
১৩ ঘণ্টা আগে
কর ও সঞ্চিতি সংরক্ষণের পর নিট মুনাফা অর্জন না করলে কোনো ব্যাংকই আর উৎসাহ বোনাস দিতে পারবে না। পাশাপাশি মূলধন সংরক্ষণ ঘাটতি, প্রভিশন ঘাটতি বা পুঞ্জীভূত মুনাফা থেকেই বোনাস দেওয়ার পথও পুরোপুরি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
১৪ ঘণ্টা আগে
এনবিআর জানিয়েছে, শিগগির এ পদ্ধতি সারা দেশে চালু করা হবে, যাতে সব ধরনের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান স্বয়ংক্রিয়ভাবে ভ্যাটের আওতায় আসে এবং নিবন্ধন ছাড়া আর কেউ ব্যবসা চালাতে না পারে।
১৬ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির পরিচালনা পরিষদের বোর্ড সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল সোমবার (৮ ডসিম্বের) ইসলামী ব্যাংক টাওয়ারে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়। ব্যাংকের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. এম জুবায়দুর রহমান এতে সভাপতিত্ব করেন।
সভায় এক্সিকিউটিভ কমিটির চেয়ারম্যান মোহাম্মদ খুরশীদ ওয়াহাব, অডিট কমিটির চেয়ারম্যান মো. আবদুস সালাম, এফসিএ, এফসিএস, রিস্ক ম্যানেজমেন্ট কমিটির চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. এম মাসুদ রহমান, স্বতন্ত্র পরিচালক মো. আবদুল জলিল, ম্যানেজিং ডাইরেক্টর মো. ওমর ফারুক খাঁন, শরী’আহ সুপারভাইজরি কাউন্সলিরে সদস্য সচিব প্রফেসর ড. মুহাম্মাদ আব্দুস সামাদ এবং কোম্পানি সেক্রেটারি মো. হাবিবুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।

ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির পরিচালনা পরিষদের বোর্ড সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল সোমবার (৮ ডসিম্বের) ইসলামী ব্যাংক টাওয়ারে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়। ব্যাংকের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. এম জুবায়দুর রহমান এতে সভাপতিত্ব করেন।
সভায় এক্সিকিউটিভ কমিটির চেয়ারম্যান মোহাম্মদ খুরশীদ ওয়াহাব, অডিট কমিটির চেয়ারম্যান মো. আবদুস সালাম, এফসিএ, এফসিএস, রিস্ক ম্যানেজমেন্ট কমিটির চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. এম মাসুদ রহমান, স্বতন্ত্র পরিচালক মো. আবদুল জলিল, ম্যানেজিং ডাইরেক্টর মো. ওমর ফারুক খাঁন, শরী’আহ সুপারভাইজরি কাউন্সলিরে সদস্য সচিব প্রফেসর ড. মুহাম্মাদ আব্দুস সামাদ এবং কোম্পানি সেক্রেটারি মো. হাবিবুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।

দেশের টেলিকম খাতের কাজের সঙ্গে যুক্ত কর্মীদের চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ, ছাঁটাই ও চাকরিচ্যুতির ঘটনায় খাতজুড়ে অসন্তোষ সৃষ্টি হয়েছে। চাকরি স্থায়ী ও বকেয়া পাওনা পরিশোধসহ বিভিন্ন দাবিতে আন্দোলনে নেমেছেন দেশের বৃহৎ তিন টেলিকম প্রতিষ্ঠান গ্রামীণফোন, রবি ও বাংলালিংকের সঙ্গে যুক্ত কয়েক শ আউটসোর্সিং-কর্মী।
২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
বাংলাদেশের সর্বোচ্চ ইস্পাত উৎপাদনক্ষমতাসম্পন্ন প্রতিষ্ঠান আবুল খায়ের স্টিল (একেএস) ৬ ডিসেম্বর তাদের সব কর্মীকে নিয়ে ‘একেএস-একসাথে আগামীর পথে’ শীর্ষক একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিল।
১৩ ঘণ্টা আগে
কর ও সঞ্চিতি সংরক্ষণের পর নিট মুনাফা অর্জন না করলে কোনো ব্যাংকই আর উৎসাহ বোনাস দিতে পারবে না। পাশাপাশি মূলধন সংরক্ষণ ঘাটতি, প্রভিশন ঘাটতি বা পুঞ্জীভূত মুনাফা থেকেই বোনাস দেওয়ার পথও পুরোপুরি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
১৪ ঘণ্টা আগে
এনবিআর জানিয়েছে, শিগগির এ পদ্ধতি সারা দেশে চালু করা হবে, যাতে সব ধরনের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান স্বয়ংক্রিয়ভাবে ভ্যাটের আওতায় আসে এবং নিবন্ধন ছাড়া আর কেউ ব্যবসা চালাতে না পারে।
১৬ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

কর ও সঞ্চিতি সংরক্ষণের পর নিট মুনাফা অর্জন না করলে কোনো ব্যাংকই আর উৎসাহ বোনাস দিতে পারবে না। পাশাপাশি মূলধন সংরক্ষণ ঘাটতি, প্রভিশন ঘাটতি বা পুঞ্জীভূত মুনাফা থেকেই বোনাস দেওয়ার পথও পুরোপুরি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় ব্যাংক এ-সংক্রান্ত একটি সার্কুলার জারি করে সব ব্যাংকে পাঠানো হয়েছে।
সার্কুলারে বলা হয়, ব্যাংকিং খাতের বর্তমান পরিস্থিতিতে আনরিয়েলাইজড বা নগদায়ন না করা আয়ের ভিত্তিতে বোনাস দেওয়া আর্থিক শৃঙ্খলা ও সুশাসনের পরিপন্থী। তাই এখন থেকে শুধু নির্ধারিত নিট মুনাফা অর্জন করতে পারলেই উৎসাহ বোনাস দেওয়ার অনুমতি পাবে ব্যাংকগুলো।
আরও বলা হয়, পুঞ্জীভূত মুনাফা থেকে কোনো ধরনের উৎসাহ বোনাস দেওয়া যাবে না। রেগুলেটরি মূলধন বা প্রভিশনের ঘাটতি থাকলে বোনাস দেওয়া নিষিদ্ধ। প্রভিশন সংরক্ষণে বাড়তি সময় পাওয়া ব্যাংকগুলোও সেই সময়কাল মুনাফা হিসাবের ক্ষেত্রে দেখাতে পারবে না। বোনাস প্রদানে ব্যাংকগুলোকে বিভিন্ন কর্মসূচির উন্নতি ও খেলাপি ঋণ পুনরুদ্ধারে দৃশ্যমান সাফল্য বিবেচনায় নিতে হবে।
এদিকে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন ব্যাংকের ক্ষেত্রে সরকারের বিদ্যমান নির্দেশিকা কার্যকর থাকবে, যেখানে নিট মুনাফা ছাড়া বোনাস না দেওয়ার কথা স্পষ্টভাবে উল্লেখ আছে। তবে কোনো ব্যাংক নির্দিষ্ট সূচকে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জন করলে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের কাছে বিশেষ বোনাসের জন্য আবেদন করতে পারবে।

কর ও সঞ্চিতি সংরক্ষণের পর নিট মুনাফা অর্জন না করলে কোনো ব্যাংকই আর উৎসাহ বোনাস দিতে পারবে না। পাশাপাশি মূলধন সংরক্ষণ ঘাটতি, প্রভিশন ঘাটতি বা পুঞ্জীভূত মুনাফা থেকেই বোনাস দেওয়ার পথও পুরোপুরি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় ব্যাংক এ-সংক্রান্ত একটি সার্কুলার জারি করে সব ব্যাংকে পাঠানো হয়েছে।
সার্কুলারে বলা হয়, ব্যাংকিং খাতের বর্তমান পরিস্থিতিতে আনরিয়েলাইজড বা নগদায়ন না করা আয়ের ভিত্তিতে বোনাস দেওয়া আর্থিক শৃঙ্খলা ও সুশাসনের পরিপন্থী। তাই এখন থেকে শুধু নির্ধারিত নিট মুনাফা অর্জন করতে পারলেই উৎসাহ বোনাস দেওয়ার অনুমতি পাবে ব্যাংকগুলো।
আরও বলা হয়, পুঞ্জীভূত মুনাফা থেকে কোনো ধরনের উৎসাহ বোনাস দেওয়া যাবে না। রেগুলেটরি মূলধন বা প্রভিশনের ঘাটতি থাকলে বোনাস দেওয়া নিষিদ্ধ। প্রভিশন সংরক্ষণে বাড়তি সময় পাওয়া ব্যাংকগুলোও সেই সময়কাল মুনাফা হিসাবের ক্ষেত্রে দেখাতে পারবে না। বোনাস প্রদানে ব্যাংকগুলোকে বিভিন্ন কর্মসূচির উন্নতি ও খেলাপি ঋণ পুনরুদ্ধারে দৃশ্যমান সাফল্য বিবেচনায় নিতে হবে।
এদিকে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন ব্যাংকের ক্ষেত্রে সরকারের বিদ্যমান নির্দেশিকা কার্যকর থাকবে, যেখানে নিট মুনাফা ছাড়া বোনাস না দেওয়ার কথা স্পষ্টভাবে উল্লেখ আছে। তবে কোনো ব্যাংক নির্দিষ্ট সূচকে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জন করলে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের কাছে বিশেষ বোনাসের জন্য আবেদন করতে পারবে।

দেশের টেলিকম খাতের কাজের সঙ্গে যুক্ত কর্মীদের চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ, ছাঁটাই ও চাকরিচ্যুতির ঘটনায় খাতজুড়ে অসন্তোষ সৃষ্টি হয়েছে। চাকরি স্থায়ী ও বকেয়া পাওনা পরিশোধসহ বিভিন্ন দাবিতে আন্দোলনে নেমেছেন দেশের বৃহৎ তিন টেলিকম প্রতিষ্ঠান গ্রামীণফোন, রবি ও বাংলালিংকের সঙ্গে যুক্ত কয়েক শ আউটসোর্সিং-কর্মী।
২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
বাংলাদেশের সর্বোচ্চ ইস্পাত উৎপাদনক্ষমতাসম্পন্ন প্রতিষ্ঠান আবুল খায়ের স্টিল (একেএস) ৬ ডিসেম্বর তাদের সব কর্মীকে নিয়ে ‘একেএস-একসাথে আগামীর পথে’ শীর্ষক একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিল।
১৩ ঘণ্টা আগে
ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির পরিচালনা পরিষদের বোর্ড সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল সোমবার (৮ ডসিম্বের) ইসলামী ব্যাংক টাওয়ারে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়। ব্যাংকের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. এম জুবায়দুর রহমান এতে সভাপতিত্ব করেন।
১৩ ঘণ্টা আগে
এনবিআর জানিয়েছে, শিগগির এ পদ্ধতি সারা দেশে চালু করা হবে, যাতে সব ধরনের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান স্বয়ংক্রিয়ভাবে ভ্যাটের আওতায় আসে এবং নিবন্ধন ছাড়া আর কেউ ব্যবসা চালাতে না পারে।
১৬ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ভ্যাটব্যবস্থাকে পুরোপুরি ডিজিটাল ও সহজ করার লক্ষ্যে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) এক নতুন পর্যায়ে এগোচ্ছে। মাত্র একটি ক্লিকেই ভ্যাট পরিশোধের সুযোগ ইতিমধ্যে পরীক্ষামূলকভাবে চালু হয়েছে এবং বড় কয়েকটি প্রতিষ্ঠান এটি ব্যবহারও শুরু করেছে।
এনবিআর জানিয়েছে, শিগগির এ পদ্ধতি সারা দেশে চালু করা হবে, যাতে সব ধরনের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান স্বয়ংক্রিয়ভাবে ভ্যাটের আওতায় আসে এবং নিবন্ধন ছাড়া আর কেউ ব্যবসা চালাতে না পারে।
আজ মঙ্গলবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে রাজস্ব ভবনে জাতীয় ভ্যাট দিবস ও ভ্যাট সপ্তাহ উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের (আইআরডি) সচিব ও এনবিআর চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খান।
মো. আবদুর রহমান বলেন, দেশের বড় একটি অংশের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান এখনো ভ্যাট নিবন্ধনের বাইরে রয়েছে। আগামী বছর এমন একটি মেকানিজম চালু করা হবে, যার মাধ্যমে ভ্যাট নিবন্ধন ছাড়া ব্যবসার সুযোগ থাকবে না। বর্তমানে নিবন্ধিত ভ্যাটদাতা প্রতিষ্ঠান ৬ লাখ ৪৪ হাজার; লক্ষ্য আগামী এক থেকে দুই বছরের মধ্যে তা ৩০ থেকে ৪০ লাখে উন্নীত করা। শুধু চলতি মাসেই ১ লাখ নতুন প্রতিষ্ঠানকে নিবন্ধনের আওতায় আনার পরিকল্পনা রয়েছে।
এনবিআর চেয়ারম্যান জানান, ভ্যাট দিবসের প্রতিপাদ্য—‘সময়মতো নিবন্ধন নিব, সঠিকভাবে ভ্যাট দিব’—ধরে আগামীকাল বুধবার সারা দেশে ভ্যাট দিবস পালিত হবে। ১০ থেকে ১৫ ডিসেম্বর চলবে ভ্যাট সপ্তাহ। তবে নীতিমালা চূড়ান্ত না হওয়ায় এ বছরও স্থগিত থাকছে ভ্যাট পুরস্কার।
রিটার্ন জমাদানেও বড় পরিবর্তন আসছে বলে জানান মো. আবদুর রহমান খান। গত অর্থবছরে ১৭ লাখ ই-রিটার্ন জমা পড়লেও চলতি অর্থবছরে তা ৪০ লাখে পৌঁছানোর আশা করা হচ্ছে। ইতিমধ্যে জমা পড়েছে ২২ লাখ রিটার্ন। ভ্যাট আদায়েও গতি এসেছে—গত অর্থবছরে মোট রাজস্বের ৩৮ শতাংশ এসেছে ভ্যাট থেকে আর চলতি অর্থবছরের প্রথম মাসেই ভ্যাট আদায় আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় বেড়েছে ২২ শতাংশ।
করদাতাদের ঝামেলা কমাতে ই-রিটার্নে ব্যবহৃত ব্যাংকসংক্রান্ত চারটি তথ্য স্বয়ংক্রিয়ভাবে যাচাইয়ের ব্যবস্থা করা হচ্ছে বলে জানান আবদুর রহমান।
এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, করদাতারা মনে করেন, রাজস্ব কর্মকর্তারা এসব তথ্য দেখতে পারবেন—এটি ভুল ধারণা।
চলতি অর্থবছরে রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রা ৫৫ হাজার কোটি টাকা বাড়ানো হয়েছে কেন—এ প্রশ্নের জবাবে আবদুর রহমান বলেন, রাজস্ব আদায় বাড়ানোর বাস্তব প্রয়োজন থেকেই এ লক্ষ্য নির্ধারণ। তবে কারও ওপর হয়রানি বা অতিরিক্ত চাপ সৃষ্টি করা হবে না; মূলত যাঁরা রাজস্ব ফাঁকি দিচ্ছেন, তাঁদের ক্ষেত্রেই কঠোরতা বাড়ানো হবে।
আমদানি করা মোবাইল ফোনে কর কমানোর সম্ভাবনা নিয়ে প্রশ্ন করা হলে এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, এটি সম্পূর্ণ রাষ্ট্রীয় সিদ্ধান্ত; এককভাবে এনবিআর এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারে না।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন এনবিআরের সদস্য (মূসক নীতি) মো. আজিজুর রহমানসহ সংশ্লিষ্ট অন্য কর্মকর্তারা।

ভ্যাটব্যবস্থাকে পুরোপুরি ডিজিটাল ও সহজ করার লক্ষ্যে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) এক নতুন পর্যায়ে এগোচ্ছে। মাত্র একটি ক্লিকেই ভ্যাট পরিশোধের সুযোগ ইতিমধ্যে পরীক্ষামূলকভাবে চালু হয়েছে এবং বড় কয়েকটি প্রতিষ্ঠান এটি ব্যবহারও শুরু করেছে।
এনবিআর জানিয়েছে, শিগগির এ পদ্ধতি সারা দেশে চালু করা হবে, যাতে সব ধরনের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান স্বয়ংক্রিয়ভাবে ভ্যাটের আওতায় আসে এবং নিবন্ধন ছাড়া আর কেউ ব্যবসা চালাতে না পারে।
আজ মঙ্গলবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে রাজস্ব ভবনে জাতীয় ভ্যাট দিবস ও ভ্যাট সপ্তাহ উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের (আইআরডি) সচিব ও এনবিআর চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খান।
মো. আবদুর রহমান বলেন, দেশের বড় একটি অংশের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান এখনো ভ্যাট নিবন্ধনের বাইরে রয়েছে। আগামী বছর এমন একটি মেকানিজম চালু করা হবে, যার মাধ্যমে ভ্যাট নিবন্ধন ছাড়া ব্যবসার সুযোগ থাকবে না। বর্তমানে নিবন্ধিত ভ্যাটদাতা প্রতিষ্ঠান ৬ লাখ ৪৪ হাজার; লক্ষ্য আগামী এক থেকে দুই বছরের মধ্যে তা ৩০ থেকে ৪০ লাখে উন্নীত করা। শুধু চলতি মাসেই ১ লাখ নতুন প্রতিষ্ঠানকে নিবন্ধনের আওতায় আনার পরিকল্পনা রয়েছে।
এনবিআর চেয়ারম্যান জানান, ভ্যাট দিবসের প্রতিপাদ্য—‘সময়মতো নিবন্ধন নিব, সঠিকভাবে ভ্যাট দিব’—ধরে আগামীকাল বুধবার সারা দেশে ভ্যাট দিবস পালিত হবে। ১০ থেকে ১৫ ডিসেম্বর চলবে ভ্যাট সপ্তাহ। তবে নীতিমালা চূড়ান্ত না হওয়ায় এ বছরও স্থগিত থাকছে ভ্যাট পুরস্কার।
রিটার্ন জমাদানেও বড় পরিবর্তন আসছে বলে জানান মো. আবদুর রহমান খান। গত অর্থবছরে ১৭ লাখ ই-রিটার্ন জমা পড়লেও চলতি অর্থবছরে তা ৪০ লাখে পৌঁছানোর আশা করা হচ্ছে। ইতিমধ্যে জমা পড়েছে ২২ লাখ রিটার্ন। ভ্যাট আদায়েও গতি এসেছে—গত অর্থবছরে মোট রাজস্বের ৩৮ শতাংশ এসেছে ভ্যাট থেকে আর চলতি অর্থবছরের প্রথম মাসেই ভ্যাট আদায় আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় বেড়েছে ২২ শতাংশ।
করদাতাদের ঝামেলা কমাতে ই-রিটার্নে ব্যবহৃত ব্যাংকসংক্রান্ত চারটি তথ্য স্বয়ংক্রিয়ভাবে যাচাইয়ের ব্যবস্থা করা হচ্ছে বলে জানান আবদুর রহমান।
এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, করদাতারা মনে করেন, রাজস্ব কর্মকর্তারা এসব তথ্য দেখতে পারবেন—এটি ভুল ধারণা।
চলতি অর্থবছরে রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রা ৫৫ হাজার কোটি টাকা বাড়ানো হয়েছে কেন—এ প্রশ্নের জবাবে আবদুর রহমান বলেন, রাজস্ব আদায় বাড়ানোর বাস্তব প্রয়োজন থেকেই এ লক্ষ্য নির্ধারণ। তবে কারও ওপর হয়রানি বা অতিরিক্ত চাপ সৃষ্টি করা হবে না; মূলত যাঁরা রাজস্ব ফাঁকি দিচ্ছেন, তাঁদের ক্ষেত্রেই কঠোরতা বাড়ানো হবে।
আমদানি করা মোবাইল ফোনে কর কমানোর সম্ভাবনা নিয়ে প্রশ্ন করা হলে এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, এটি সম্পূর্ণ রাষ্ট্রীয় সিদ্ধান্ত; এককভাবে এনবিআর এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারে না।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন এনবিআরের সদস্য (মূসক নীতি) মো. আজিজুর রহমানসহ সংশ্লিষ্ট অন্য কর্মকর্তারা।

দেশের টেলিকম খাতের কাজের সঙ্গে যুক্ত কর্মীদের চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ, ছাঁটাই ও চাকরিচ্যুতির ঘটনায় খাতজুড়ে অসন্তোষ সৃষ্টি হয়েছে। চাকরি স্থায়ী ও বকেয়া পাওনা পরিশোধসহ বিভিন্ন দাবিতে আন্দোলনে নেমেছেন দেশের বৃহৎ তিন টেলিকম প্রতিষ্ঠান গ্রামীণফোন, রবি ও বাংলালিংকের সঙ্গে যুক্ত কয়েক শ আউটসোর্সিং-কর্মী।
২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
বাংলাদেশের সর্বোচ্চ ইস্পাত উৎপাদনক্ষমতাসম্পন্ন প্রতিষ্ঠান আবুল খায়ের স্টিল (একেএস) ৬ ডিসেম্বর তাদের সব কর্মীকে নিয়ে ‘একেএস-একসাথে আগামীর পথে’ শীর্ষক একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিল।
১৩ ঘণ্টা আগে
ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির পরিচালনা পরিষদের বোর্ড সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল সোমবার (৮ ডসিম্বের) ইসলামী ব্যাংক টাওয়ারে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়। ব্যাংকের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. এম জুবায়দুর রহমান এতে সভাপতিত্ব করেন।
১৩ ঘণ্টা আগে
কর ও সঞ্চিতি সংরক্ষণের পর নিট মুনাফা অর্জন না করলে কোনো ব্যাংকই আর উৎসাহ বোনাস দিতে পারবে না। পাশাপাশি মূলধন সংরক্ষণ ঘাটতি, প্রভিশন ঘাটতি বা পুঞ্জীভূত মুনাফা থেকেই বোনাস দেওয়ার পথও পুরোপুরি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
১৪ ঘণ্টা আগে