ফ্লাইটের বহর বাড়ানোর জন্য সুপরিসর উড়োজাহাজ কেনার ক্ষেত্রে ফরাসি কোম্পানি এয়ারবাসের প্রস্তাবকে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস। তবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কোম্পানি বোয়িংয়েরও প্রস্তাবও বিবেচনা করা হচ্ছে। তবে যে কোম্পানির উড়োজাহাজ কেনা হোক না কেন, দুই প্রতিষ্ঠানের প্রতিযোগিতামূলক প্রস্তাবে ক্রেতা হিসেবে বাংলাদেশ সুবিধাজনক অবস্থানে আছে। আজ বুধবার অ্যাভিয়েশন অ্যান্ড ও ট্যুরিজম জার্নালিস্ট ফোরামের (এটিজেএফবি) সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন বিমানের বিদায়ী ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও সিইও মো. শফিউল আজিম।
শফিউল আজিম বলেন, ‘উড়োজাহাজ বিক্রির জন্য এয়ারবাস দুটি প্রস্তাব দিয়েছিল। প্রথমে দুটি কার্গো ফ্লাইট বিক্রির কথা বলা হয়েছিল। আমাদের মনে হয়েছে, আপাতত আমাদের কার্গো কেনার দরকার নাই। আমরা যাত্রীবাহী বিমানবহর বাড়ানোর ইচ্ছার কথা জানাই। তখন এয়ারবাস আমাদের চরটি যাত্রীবাহী ফ্লাইট বিক্রির দ্বিতীয় প্রস্তাব পাঠায়। এই প্রস্তাব আগের প্রস্তাবের চেয়ে ভালো ছিল। সেই প্রস্তাব ইভ্যালুয়েশন কমিটি থেকে বিমানের বোর্ডে যায়। বোর্ড এ বিষয়ে আগানোর নির্দেশনা দিয়ে নেগোসিয়েশন কমিটিতে পাঠিয়েছে।’
বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ এয়ারক্রাফট তৈরির প্রতিষ্ঠান এয়ারবাস থেকে যাত্রীবাহী এয়ারক্রাফট কেনার ইঙ্গিত দিয়ে বিমানের সিইও বলেন, ‘আমরা এখন এয়ারবাসের অফারগুলোকে গুরুত্ব দিচ্ছি। আমাদের বহরের সব বড় এয়ারক্রাফট বোয়িংয়ের (২১টির মধ্যে ১৬টি বোয়িং)। কিছু ডাইভার্সিটি দরকার। নতুন এয়ারক্রাফট থাকলে যাত্রীরাও পছন্দ করবে। কোনো সময় যেকোনো কোম্পানির এয়ারক্রাফট খারাপ পারফর্ম করতে পারে, তখন যেন রিস্কে না পড়ি—সে কারণে ডাইভার্সিফাইয়ের কথা ভাবছি।’
বোয়িংয়ের উড়োজাহাজ বিক্রির প্রস্তাব নিয়ে তিনি বলেন, ‘বোয়িংও আমাদের প্রস্তাব দিয়েছে। আমরা সেটাও ইভ্যালুয়েট করব। বোয়িংয়ের সঙ্গে আমাদের দীর্ঘদিনের ভালো সম্পর্ক। শুধু প্লেন কেনাবেচা সম্পর্ক না, তাদের টেকনিক্যাল সাপোর্ট ভালো, ক্রেডিট ফ্যাসিলিটি ভালো। সব মিলিয়ে আমরা একসঙ্গে ভালোভাবে কাজ করে যাচ্ছি। তবে যেই এয়ারক্রাফটই কিনি না কেন দুই প্রতিষ্ঠানের প্রতিযোগিতামূলক প্রস্তাবে ক্রেতা হিসেবে সুবিধাজনক অবস্থানে আছি। ’
বিমানের লাভ-ক্ষতির বিষয়ে জানতে চাইলে শফিউল আজিম বলেন, ‘বিমান গত ১০ বছরের ৮ বছরই লাভে ছিল। যেই দুই বছর লস হয়েছে, তার মধ্যে এক বছর করোনাভাইরাসের আধিক্য ছিল, আরেকবার আমাদের মোটা অঙ্কের পেমেন্ট পরিশোধ করতে হয়েছিল। গত বছর ডলারের সমস্যা ছিল। বিশ্বে দুটি যুদ্ধ চলমান। এর মধ্যেও আমরা লাভ করেছি।’
বিমানের লাভ নিয়ে সংশয় উড়িয়ে দিয়ে বিদায়ী এমডি বলেন, ‘বিশ্বমানের প্রতিষ্ঠান দিয়ে অডিট করা হয়েছে আমাদের লাভের বিষয়ে। আমরা বিমানে নিয়মিত নিয়োগ দিচ্ছি, বেতন দিচ্ছি, বোনাস দিচ্ছি, প্রোফিট বোনাস দিচ্ছি। লাভ না হলে এসব টাকা কোথা থেকে আসছে? যারা বলেন, বিমান লাভে নাই, আমি একটা কথাই বলব আল্লাহ তাঁদের হেদায়েত দান করুক।’
এমডি থাকা অবস্থায় নিজের কার্যক্রম তুলে ধরে শফিউল আজিম বলেন, ‘বিমানে চাকরি করা অবস্থায় আমি কোনো কর্মীকে মূল্যায়ন করতে কার্পণ্য করিনি, শাস্তি দিতেও কার্পণ্য নয়। আমি খুব ভাগ্যবান, বিমানবন্দরে কাজ করার সময়ে কোনো পর্যায় থেকে চাপ আসেনি। আমি আমার অথরিটি শতভাগ ব্যবহার করতে পেরেছি। চেষ্টা করলে বিমানকে পৃথিবীর বড় বড় এয়ারলাইনসের কাতারে নিয়ে যাওয়া সম্ভব।’
বিমানের জন্য দীর্ঘ মেয়াদে এমডির প্রয়োজনীয়তা রয়েছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘বিমানের হিউম্যান রিসোর্স মানসম্মত, টেকনিক্যাল রিসোর্স মানসম্মত। যেকোনো প্রতিষ্ঠানে সিস্টেম ও স্ট্রাকচার দাঁড় করানো গেলে এমনিতেই কাজ হবে। আমি এসব সিস্টেম ও স্ট্রাকচার দাঁড় করানোর চেষ্টা করেছি। সিস্টেম ঠিক থাকলে কোনো নির্দিষ্ট ব্যক্তির ওপর প্রতিষ্ঠান নির্ভর করবে না।’
বিমানের অগ্রগতির স্বার্থে সুপারিশ তুলে তিনি বলেন, ‘আমার সুপারিশ থাকবে, বিভিন্ন টেকনিক্যাল বিভাগের কর্মীর ক্ষেত্রে যেন বয়স বিবেচনা না করা হয়। কারণ, টেকনিক্যাল ফিল্ডে বয়স যত বাড়ে, অভিজ্ঞতা তত বাড়ে। অভিজ্ঞদের বয়স বিবেচনা না করে অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে বিমানে রেখে দিতে হবে। সরকারি অফিসের মনমানসিকতা প্র্যাক্টিস করলে বিমান কাজ করবে না। এটা বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান। সবকিছু বাণিজ্যিকভাবে চিন্তা করতে হবে।’
কোনো আক্ষেপ আছে কি না জানতে শফিউল আজিম বলেন, ‘আমার দায়িত্ব পালনের সময়ের মধ্যে বিমানের বহরে যদি চারটা এয়ারক্রাফট অ্যাড হতো, তাহলে খুবই খুশি হতাম। আমি চাইতাম ৫০টা এয়ারক্রাফটের মালিক হোক বিমান।’
ফ্লাইটের বহর বাড়ানোর জন্য সুপরিসর উড়োজাহাজ কেনার ক্ষেত্রে ফরাসি কোম্পানি এয়ারবাসের প্রস্তাবকে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস। তবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কোম্পানি বোয়িংয়েরও প্রস্তাবও বিবেচনা করা হচ্ছে। তবে যে কোম্পানির উড়োজাহাজ কেনা হোক না কেন, দুই প্রতিষ্ঠানের প্রতিযোগিতামূলক প্রস্তাবে ক্রেতা হিসেবে বাংলাদেশ সুবিধাজনক অবস্থানে আছে। আজ বুধবার অ্যাভিয়েশন অ্যান্ড ও ট্যুরিজম জার্নালিস্ট ফোরামের (এটিজেএফবি) সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন বিমানের বিদায়ী ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও সিইও মো. শফিউল আজিম।
শফিউল আজিম বলেন, ‘উড়োজাহাজ বিক্রির জন্য এয়ারবাস দুটি প্রস্তাব দিয়েছিল। প্রথমে দুটি কার্গো ফ্লাইট বিক্রির কথা বলা হয়েছিল। আমাদের মনে হয়েছে, আপাতত আমাদের কার্গো কেনার দরকার নাই। আমরা যাত্রীবাহী বিমানবহর বাড়ানোর ইচ্ছার কথা জানাই। তখন এয়ারবাস আমাদের চরটি যাত্রীবাহী ফ্লাইট বিক্রির দ্বিতীয় প্রস্তাব পাঠায়। এই প্রস্তাব আগের প্রস্তাবের চেয়ে ভালো ছিল। সেই প্রস্তাব ইভ্যালুয়েশন কমিটি থেকে বিমানের বোর্ডে যায়। বোর্ড এ বিষয়ে আগানোর নির্দেশনা দিয়ে নেগোসিয়েশন কমিটিতে পাঠিয়েছে।’
বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ এয়ারক্রাফট তৈরির প্রতিষ্ঠান এয়ারবাস থেকে যাত্রীবাহী এয়ারক্রাফট কেনার ইঙ্গিত দিয়ে বিমানের সিইও বলেন, ‘আমরা এখন এয়ারবাসের অফারগুলোকে গুরুত্ব দিচ্ছি। আমাদের বহরের সব বড় এয়ারক্রাফট বোয়িংয়ের (২১টির মধ্যে ১৬টি বোয়িং)। কিছু ডাইভার্সিটি দরকার। নতুন এয়ারক্রাফট থাকলে যাত্রীরাও পছন্দ করবে। কোনো সময় যেকোনো কোম্পানির এয়ারক্রাফট খারাপ পারফর্ম করতে পারে, তখন যেন রিস্কে না পড়ি—সে কারণে ডাইভার্সিফাইয়ের কথা ভাবছি।’
বোয়িংয়ের উড়োজাহাজ বিক্রির প্রস্তাব নিয়ে তিনি বলেন, ‘বোয়িংও আমাদের প্রস্তাব দিয়েছে। আমরা সেটাও ইভ্যালুয়েট করব। বোয়িংয়ের সঙ্গে আমাদের দীর্ঘদিনের ভালো সম্পর্ক। শুধু প্লেন কেনাবেচা সম্পর্ক না, তাদের টেকনিক্যাল সাপোর্ট ভালো, ক্রেডিট ফ্যাসিলিটি ভালো। সব মিলিয়ে আমরা একসঙ্গে ভালোভাবে কাজ করে যাচ্ছি। তবে যেই এয়ারক্রাফটই কিনি না কেন দুই প্রতিষ্ঠানের প্রতিযোগিতামূলক প্রস্তাবে ক্রেতা হিসেবে সুবিধাজনক অবস্থানে আছি। ’
বিমানের লাভ-ক্ষতির বিষয়ে জানতে চাইলে শফিউল আজিম বলেন, ‘বিমান গত ১০ বছরের ৮ বছরই লাভে ছিল। যেই দুই বছর লস হয়েছে, তার মধ্যে এক বছর করোনাভাইরাসের আধিক্য ছিল, আরেকবার আমাদের মোটা অঙ্কের পেমেন্ট পরিশোধ করতে হয়েছিল। গত বছর ডলারের সমস্যা ছিল। বিশ্বে দুটি যুদ্ধ চলমান। এর মধ্যেও আমরা লাভ করেছি।’
বিমানের লাভ নিয়ে সংশয় উড়িয়ে দিয়ে বিদায়ী এমডি বলেন, ‘বিশ্বমানের প্রতিষ্ঠান দিয়ে অডিট করা হয়েছে আমাদের লাভের বিষয়ে। আমরা বিমানে নিয়মিত নিয়োগ দিচ্ছি, বেতন দিচ্ছি, বোনাস দিচ্ছি, প্রোফিট বোনাস দিচ্ছি। লাভ না হলে এসব টাকা কোথা থেকে আসছে? যারা বলেন, বিমান লাভে নাই, আমি একটা কথাই বলব আল্লাহ তাঁদের হেদায়েত দান করুক।’
এমডি থাকা অবস্থায় নিজের কার্যক্রম তুলে ধরে শফিউল আজিম বলেন, ‘বিমানে চাকরি করা অবস্থায় আমি কোনো কর্মীকে মূল্যায়ন করতে কার্পণ্য করিনি, শাস্তি দিতেও কার্পণ্য নয়। আমি খুব ভাগ্যবান, বিমানবন্দরে কাজ করার সময়ে কোনো পর্যায় থেকে চাপ আসেনি। আমি আমার অথরিটি শতভাগ ব্যবহার করতে পেরেছি। চেষ্টা করলে বিমানকে পৃথিবীর বড় বড় এয়ারলাইনসের কাতারে নিয়ে যাওয়া সম্ভব।’
বিমানের জন্য দীর্ঘ মেয়াদে এমডির প্রয়োজনীয়তা রয়েছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘বিমানের হিউম্যান রিসোর্স মানসম্মত, টেকনিক্যাল রিসোর্স মানসম্মত। যেকোনো প্রতিষ্ঠানে সিস্টেম ও স্ট্রাকচার দাঁড় করানো গেলে এমনিতেই কাজ হবে। আমি এসব সিস্টেম ও স্ট্রাকচার দাঁড় করানোর চেষ্টা করেছি। সিস্টেম ঠিক থাকলে কোনো নির্দিষ্ট ব্যক্তির ওপর প্রতিষ্ঠান নির্ভর করবে না।’
বিমানের অগ্রগতির স্বার্থে সুপারিশ তুলে তিনি বলেন, ‘আমার সুপারিশ থাকবে, বিভিন্ন টেকনিক্যাল বিভাগের কর্মীর ক্ষেত্রে যেন বয়স বিবেচনা না করা হয়। কারণ, টেকনিক্যাল ফিল্ডে বয়স যত বাড়ে, অভিজ্ঞতা তত বাড়ে। অভিজ্ঞদের বয়স বিবেচনা না করে অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে বিমানে রেখে দিতে হবে। সরকারি অফিসের মনমানসিকতা প্র্যাক্টিস করলে বিমান কাজ করবে না। এটা বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান। সবকিছু বাণিজ্যিকভাবে চিন্তা করতে হবে।’
কোনো আক্ষেপ আছে কি না জানতে শফিউল আজিম বলেন, ‘আমার দায়িত্ব পালনের সময়ের মধ্যে বিমানের বহরে যদি চারটা এয়ারক্রাফট অ্যাড হতো, তাহলে খুবই খুশি হতাম। আমি চাইতাম ৫০টা এয়ারক্রাফটের মালিক হোক বিমান।’
জীবনবিমা গ্রাহকদের দাবির টাকা বছরের পর বছর আটকে রাখছে বেশির ভাগ কোম্পানি। সব মিলিয়ে দাবির অঙ্ক ৪ হাজার ৬ কোটি ৯৪ লাখ টাকা ছাড়িয়েছে। আর এর প্রায় ৯১ শতাংশই আটকে আছে মাত্র সাতটি কোম্পানির হাতে। এই চিত্র স্পষ্ট করে দিয়েছে বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের (আইডিআরএ) সর্বশেষ প্রতিবেদন।
২ ঘণ্টা আগেকৃষকের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিতে ওএমএসের মাধ্যমে আলু বিক্রির চিন্তাভাবনা করছে সরকার। কৃষি উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী আজ সোমবার সচিবালয়ে এক ব্রিফিংয়ে এই তথ্য জানান।
১৫ ঘণ্টা আগেসরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে মোট ৯ লাখ টন চাল আমদানির পরিকল্পনা করেছে বাংলাদেশ। আর বাংলাদেশের এই পরিকল্পনায় আশায় বুক বাঁধছেন ভারতীয় ব্যবসায়ীরা। গত বছরের আগস্টে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকে ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক তলানিতে ঠেকে। তারই পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশে ভারতীয় রপ্তানি...
১৮ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশের অগ্রযাত্রায় আর্থিক অন্তর্ভুক্তি একটি গুরুত্বপূর্ণ ধাপ। তবে আর্থিক অন্তর্ভুক্তির সুযোগ থেকে এখনো বঞ্চিত কোটি কোটি মানুষ। আধুনিক ব্যাংকিং ও মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসের সুবিধা নিতে না পারার কারণে দেশের বিপুল জনগোষ্ঠী রয়েছে অর্থনৈতিক লেনদেনের আনুষ্ঠানিক ব্যবস্থার বাইরে।
১ দিন আগে