Ajker Patrika

বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রজ্ঞাপন: ১০ দিনের নোটিশে খেলাপি ঋণ অবলোপনের সুযোগ

  • আগে খেলাপি ঋণ অবলোপনের জন্য ৩০ দিন আগে নোটিশ দিতে হতো।
  • অবলোপনকৃত ঋণের বিপরীতে ১০০ ভাগ প্রভিশন সংরক্ষণ করতে হবে।
  • খেলাপি ঋণ আদায়ে প্রণোদনা পাবেন ব্যাংকের এমডিও।
‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ২০ নভেম্বর ২০২৫, ১০: ২৫
বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রজ্ঞাপন: ১০ দিনের নোটিশে খেলাপি ঋণ অবলোপনের সুযোগ

দেশের বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর বিতরণ করা যেসব ঋণ আদায় হওয়ার সম্ভাবনা ক্ষীণ, তা অবলোপনে নতুন নির্দেশনা জারি করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। আগে মন্দমানের শ্রেণীকৃত খেলাপি ঋণ অবলোপনের জন্য গ্রাহককে ৩০ দিনের নোটিশ দেওয়া হতো। নতুন নির্দেশনা অনুযায়ী, ৩০ দিনের পরিবর্তে ন্যূনতম ১০ কর্মদিবস আগে নোটিশ দিতে পারবে ব্যাংক। গতকাল বুধবার বাংলাদেশ ব্যাংক এ বিষয়ে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করেছে।

ঋণ অবলোপন বা রাইট অফ হলো এমন একটি প্রক্রিয়া, যেখানে কোনো খেলাপি বা মন্দ ঋণকে ব্যাংকের ব্যালান্স শিট (ঋণ স্থিতিপত্র) থেকে বাদ দিয়ে একটি পৃথক হিসাবে রাখা হয়। যার উদ্দেশ্য হলো ব্যালান্স শিটে খেলাপি ঋণের পরিমাণ কমানো।

ঋণ অবলোপনে নোটিশের সময় কমিয়ে আনার বিষয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্দেশনায় বলা হয়েছে, অবলোপনকৃত ঋণের হিসাব নিষ্পত্তি করতে বেশ সময় লেগে যায়, যার কারণে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ব্যাংকগুলো তাদের নিজস্ব নীতিমালা অনুযায়ী অবলোপনকৃত ঋণ আদায়ের বিপরীতে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নগদ প্রণোদনা দিতে পারবে। তবে কোনো ব্যাংকের এ-সংক্রান্ত নীতিমালা না থাকলে, তা পরিচালনা পর্ষদের অনুমোদনক্রমে প্রণয়ন করতে হবে।

নির্দেশনায় আরও জানানো হয়, ভবিষ্যতে আদায়ের সম্ভাবনা ক্ষীণ—এমন সব মন্দ ও ক্ষতিজনক ঋণ অবলোপন করা যাবে। এ ক্ষেত্রে পুরোনো শ্রেণীকৃত ঋণগুলো অগ্রাধিকার পাবে।

জানা গেছে, গত মার্চ পর্যন্ত ব্যাংক খাতে পুঞ্জীভূত অবলোপনকৃত ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৮১ হাজার ৮৬৩ কোটি টাকা। আর এই খাতের ঋণের স্থিতি ৬৩ হাজার ৪৭১ কোটি টাকা।

আর ২০০৩ সালে অবলোপন পদ্ধতি চালু হওয়ার পর থেকে দেশের ৬১টি ব্যাংকের মধ্যে ৫৪টি ব্যাংক খেলাপি ঋণ অবলোপন করেছে। যদিও ঋণ অবলোপনের আগে অবশ্যই অর্থঋণ আদালতে মামলা করতে হয় এবং ওই ঋণের বিপরীতে শতভাগ প্রভিশন বা নিরাপত্তা সঞ্চিতি রাখা বাধ্যতামূলক। দীর্ঘদিনের চর্চা ছিল যে টানা দুই বছর মন্দ ঋণ কেবল অবলোপন করা যায়। তবে গত ১৯ অক্টোবর জারি করা প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী মন্দ ঋণ যেকোনো সময় অবলোপন করা সম্ভব।

মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) সৈয়দ মাহবুবুর রহমান বলেন, অনেক দিন ধরেই ঋণ অবলোপনের দাবি ছিল ব্যাংকারদের, যা নিয়ে গত অক্টোবর মাসে কেন্দ্রীয় ব্যাংক প্রজ্ঞাপন জারি করে। এতে মন্দ ঋণ দ্রুত অবলোপন করা যায়। এতে ব্যালান্স শিটের অবস্থা আগের চেয়ে অনেক পরিষ্কার হবে। তবে ১০০ শতাংশ সঞ্চিতি রক্ষায় ব্যাংকের মুনাফা কিছুটা কমবে এবং ব্যালান্স শিট স্বচ্ছ হবে।

গত ১৯ অক্টোবর বাংলাদেশ ব্যাংক বাণিজ্যিক ব্যাংকের প্রধান নির্বাহীদের সংগঠন অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স বাংলাদেশের (এবিবি) আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে মন্দ ও ক্ষতিজনক মানে খেলাপি অবলোপন করতে গ্রাহককে ৩০ দিন আগে অবহিত করার নির্দেশ দিয়েছিল। একই সঙ্গে অবলোপন করা ঋণ আদায় করলে কর্মকর্তাদের নগদ প্রণোদনার বিষয়ে অবহিত করা হয়। সেই নীতিমালা অনুযায়ী অবলোপন করা ঋণ আদায়ের ৫ শতাংশ নগদ প্রণোদনা দিতে হয়। এ ক্ষেত্রে ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) পান ১০ শতাংশ, অন্য কর্মকর্তারা পান ৯০ শতাংশ অর্থ।

বিশ্বব্যাংকের ঢাকা অফিসের সাবেক মুখ্য অর্থনীতিবিদ ড. জাহিদ হোসেন বলেন, অবলোপনকে ব্যাংকগুলো ঢাল হিসেবে ব্যবহার করতে পারে। কারণ, অবলোপন করে ব্যালান্স শিট পরিষ্কার দেখাবে। যদিও এতে গুণগত মানে কোনো পরিবর্তন হবে না। সে জন্য অবলোপনের পর আদায় প্রক্রিয়াটিও যথাযথভাবে অনুসরণের বিষয়টি মনিটরিং করতে হবে। সে জন্য ব্যাংকগুলোর রেটিংয়ের সময় প্রভিশন ঘাটতি ও ঋণ পুনরুদ্ধারকে গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা নিতে হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মোহাম্মদপুরে মা-মেয়ে হত্যা: গৃহকর্মী আয়েশা ঝালকাঠিতে গ্রেপ্তার

প্রাথমিকভাবে ১২৫ আসনে এনসিপির প্রার্থী ঘোষণা

৫০ বছর ধরে কবর খুঁড়ছেন মজিরুল, নিঃস্বার্থ সেবায় গাংনীর গোরখোদকেরা

বুমরার বিতর্কিত উইকেটে ‘জড়িত’ এক ভারতীয় আম্পায়ার

শ্রীপুরে বকেয়া বেতনের দাবিতে শ্রমিকদের বিক্ষোভ, ফটকে তালা ঝুলিয়ে পালিয়েছে কারখানা কর্তৃপক্ষ

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

এএমএল আবারও স্পটলাইটে

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
ছবি: বিজ্ঞপ্তি
ছবি: বিজ্ঞপ্তি

ক্যাম্পেইন এজেন্সি অব দ্য ইয়ার অ্যাওয়ার্ডস ২০২৫-এ দুটি অ্যাওয়ার্ড অর্জন করে এএমএল আবারও দক্ষিণ এশিয়ার বিজ্ঞাপনী বাজারে নিজেদের শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণ করেছে। এ বছর এএমএল ‘রেস্ট অব সাউথ এশিয়া ডিজিটাল ইনোভেশন এজেন্সি অব দ্য ইয়ার’ ক্যাটাগরিতে এবং ‘রেস্ট অব সাউথ এশিয়া মিডিয়া এজেন্সি অব দ্য ইয়ার’ ক্যাটাগরিতে দুটি ব্রোঞ্জ অর্জন করেছে।

নব্বই দশকের গোড়া থেকে ক্যাম্পেইন এজেন্সি অব দ্য ইয়ার অ্যাওয়ার্ডস এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলের অ্যাডভার্টাইজিং, কমিউনিকেশন, মিডিয়া ও ডিজিটাল ইনোভেশনের সেরা সাফল্যগুলোকে স্বীকৃতি দিয়ে আসছে। শুধু সৃজনশীল কাজই নয়, দূরদর্শী নেতৃত্ব, অপারেশনাল দক্ষতা এবং শক্তিশালী ব্যবসায়িক পারফরম্যান্সও এই পুরস্কারের বিবেচনায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।

এই বছরের স্বীকৃতিগুলো এএমএলের ডিজিটাল ট্রান্সফর্মেশন এবং মিডিয়া এফেক্টিভনেস—উভয় ক্ষেত্রেই ধারাবাহিক অগ্রযাত্রার প্রমাণ। ডেটাভিত্তিক স্ট্র্যাটেজি, ভবিষ্যৎ উপযোগী সমাধান এবং ক্রমবর্ধমান ভোক্তা আচরণের সঙ্গে তাল মিলিয়ে এএমএল তাদের ক্লায়েন্টদের জন্য বাস্তবধর্মী সাফল্য নিশ্চিত করে আসছে।

বিগত বছরগুলোর পারফরম্যান্সের ভিত্তিতে এএমএল তাদের সাবমিশন প্রস্তুত করে—যেখানে এজেন্সির ভিশন, ইন্ডাস্ট্রিতে অবদান, সাসটেইনেবল বিজনেস ডেভেলপমেন্ট এবং ক্লায়েন্টদের জন্য অর্জিত সাফল্যগুলোকে বিশেষভাবে তুলে ধরা হয়। বৈশ্বিক ও আঞ্চলিক অর্থনীতির পরিবর্তিত বাস্তবতায় ব্র্যান্ডগুলোর দ্রুত ট্রান্সফরমেশন সহজ করতে এএমএলের স্ট্র্যাটেজিক দৃষ্টিভঙ্গি ও সহযোগিতামূলক কাজ বিশেষ ভূমিকা রেখেছে।

যদিও এটা এএমএলের প্রথম আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি নয়, তবু প্রতিটি অর্জনই পুরো দলের জন্য বিশেষ গর্বের। এই পুরস্কারগুলো প্রতিষ্ঠানটির সব সদস্যের নিষ্ঠা ও পরিশ্রমের প্রতিফলন, পাশাপাশি অংশীদার ও ক্লায়েন্টদের অবিচল আস্থার ফল।

এএমএল তাদের সব ক্লায়েন্ট, সহযোগী ও অংশীদারদের প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছে, যাদের বিশ্বাস ও সমর্থনই প্রতিষ্ঠানটিকে প্রতিবছর নতুন উচ্চতায় পৌঁছাতে অনুপ্রেরণা জোগায়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মোহাম্মদপুরে মা-মেয়ে হত্যা: গৃহকর্মী আয়েশা ঝালকাঠিতে গ্রেপ্তার

প্রাথমিকভাবে ১২৫ আসনে এনসিপির প্রার্থী ঘোষণা

৫০ বছর ধরে কবর খুঁড়ছেন মজিরুল, নিঃস্বার্থ সেবায় গাংনীর গোরখোদকেরা

বুমরার বিতর্কিত উইকেটে ‘জড়িত’ এক ভারতীয় আম্পায়ার

শ্রীপুরে বকেয়া বেতনের দাবিতে শ্রমিকদের বিক্ষোভ, ফটকে তালা ঝুলিয়ে পালিয়েছে কারখানা কর্তৃপক্ষ

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

নিষিদ্ধ ঘনচিনির আরও ৪২০০ কেজি চালান জব্দ

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
এ নিয়ে তিন মাসের ব্যবধানে ঘনচিনির তিনটি চালান জব্দ করা হয়েছে। সব মিলিয়ে তিনটি চালানে ১০৪ টন ঘনচিনি রয়েছে। ছবি: চট্টগ্রাম কাস্টমস
এ নিয়ে তিন মাসের ব্যবধানে ঘনচিনির তিনটি চালান জব্দ করা হয়েছে। সব মিলিয়ে তিনটি চালানে ১০৪ টন ঘনচিনি রয়েছে। ছবি: চট্টগ্রাম কাস্টমস

জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সেলের (সিআইসি) সহযোগিতায় চট্টগ্রাম বন্দরে আমদানি নিষিদ্ধ সোডিয়াম সাইক্লামেট বা ঘনচিনির আরও একটি চালান জব্দ করেছেন চট্টগ্রাম কাস্টমসের গোয়েন্দা কর্মকর্তারা। চালানটিতে ৪ হাজার ২০০ কেজি ঘনচিনি রয়েছে।

ল্যাবে রাসায়নিক পরীক্ষায় নিশ্চিত হওয়ার পর আজ বুধবার এক বিজ্ঞপ্তিতে চালান জব্দের কথা জানায় এনবিআর। এ নিয়ে তিন মাসের ব্যবধানে ঘনচিনির তিনটি চালান জব্দ করা হয়েছে। সব মিলিয়ে তিনটি চালানে ১০৪ টন ঘনচিনি রয়েছে।

এনবিআরের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ঢাকার কেরানীগঞ্জের এজাজ ট্রেডিং চীন থেকে ‘পলি অ্যালুমিনিয়াম ক্লোরাইড’ ঘোষণায় এক কনটেইনার পণ্য আমদানি করে। এই পণ্য বর্জ্যপানি পরিশোধনে ব্যবহৃত হয়। গত ২১ অক্টোবর চালানটি চট্টগ্রাম বন্দরে জাহাজ থেকে নামানো হয়। তবে চালানটি নিয়ে সন্দেহজনক তথ্য পাওয়ায় সেটির খালাস স্থগিত করে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ৬ নভেম্বর কনটেইনার খুলে দুই ধরনের পণ্য পাওয়া যায়, যার নমুনা চট্টগ্রাম কাস্টমসের ল্যাবে রাসায়নিক পরীক্ষা করা হয়।

পরীক্ষার প্রতিবেদন অনুযায়ী, চালানটিতে ১৭ হাজার ৮০০ কেজি ‘পলি অ্যালুমিনিয়াম ক্লোরাইড’ পাওয়া গেলেও বাকি ৪ হাজার ২০০ কেজি ঘনচিনি হিসেবে শনাক্ত করা হয়েছে।

এনবিআর জানিয়েছে, ঘনচিনি একটি কৃত্রিম মিষ্টিকারক, যা সাধারণ চিনির চেয়ে ৩০ থেকে ৫০ গুণ বেশি মিষ্টি। বিভিন্ন ধরনের মিষ্টান্ন, বেকারি আইটেম, আইসক্রিম, বেভারেজ, জুস, চকলেট, কনডেন্সড মিল্ক ও শিশুখাদ্য তৈরিতে সাধারণ চিনির পরিবর্তে এক শ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ী এই ক্ষতিকারক কৃত্রিম উপাদান ব্যবহার করে থাকেন। ঘনচিনি দিয়ে তৈরি খাদ্য জনস্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। ঘনচিনির দ্বারা প্রস্তুত খাদ্য ক্যানসারসহ কিডনি ও লিভারের জটিল রোগের কারণ হতে পারে।

নিষিদ্ধ ঘনচিনি আমদানি করায় কাস্টমস আইন অনুসারে পণ্যের চালানটি আটক করা হয়েছে এবং আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে জানায় এনবিআর।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মোহাম্মদপুরে মা-মেয়ে হত্যা: গৃহকর্মী আয়েশা ঝালকাঠিতে গ্রেপ্তার

প্রাথমিকভাবে ১২৫ আসনে এনসিপির প্রার্থী ঘোষণা

৫০ বছর ধরে কবর খুঁড়ছেন মজিরুল, নিঃস্বার্থ সেবায় গাংনীর গোরখোদকেরা

বুমরার বিতর্কিত উইকেটে ‘জড়িত’ এক ভারতীয় আম্পায়ার

শ্রীপুরে বকেয়া বেতনের দাবিতে শ্রমিকদের বিক্ষোভ, ফটকে তালা ঝুলিয়ে পালিয়েছে কারখানা কর্তৃপক্ষ

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

দাবি মেনে নিয়ে ৬ ঘণ্টা পর অবরুদ্ধ অবস্থা থেকে মুক্ত হলেন অর্থ উপদেষ্টা

বিশেষ প্রতিনিধি, ঢাকা ­­
সচিবালয় ভাতা চালুর দাবিতে অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদকে আজ অবরুদ্ধ করে রাখা হয়। ছবি: আজকের পত্রিকা
সচিবালয় ভাতা চালুর দাবিতে অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদকে আজ অবরুদ্ধ করে রাখা হয়। ছবি: আজকের পত্রিকা

সচিবালয় ভাতার দাবিতে কর্মচারীদের কাছে প্রায় ছয় ঘণ্টা অবরুদ্ধ থাকার পর সচিবালয় থেকে বের হয়েছেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ। দাবি মেনে নেওয়ার আশ্বাস পেয়ে আজ বুধবার (১০ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ৮টার দিকে অবরোধ তুলে নেন আন্দোলনকারীরা। এরপর সচিবালয় ত্যাগ করেন অর্থ উপদেষ্টা।

এর আগে বেলা আড়াইটা থেকে সচিবালয়ে কর্মরত সরকারি চাকরিজীবীদের ২০ শতাংশ সচিবালয় ভাতার সরকারি প্রজ্ঞাপন (জিও) জারির দাবিতে করা আন্দোলনের সময় তাঁকে অবরুদ্ধ করে রাখেন কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।

আজ বিকেল আড়াইটার দিকে সচিবালয় কর্মকর্তা-কর্মচারী সংযুক্ত পরিষদের সভাপতি বাদিউল কবিরের নেতৃত্বে শতাধিক কর্মচারী সচিবালয়ের ১১ নম্বর ভবনের চতুর্থ তলায় অর্থ উপদেষ্টাকে তাঁর দপ্তরে অবরুদ্ধ করেন। এরপর অন্য কর্মচারীরা তাঁদের সঙ্গে যোগ দেন।

কয়েক শ কর্মচারী অর্থ উপদেষ্টার দপ্তরের সামনে বিক্ষোভ করেন। সচিবালয় ভাতা চালু করে প্রজ্ঞাপন জারি না করা পর্যন্ত অবরোধ তোলা হবে না বলে ঘোষণা দেন তাঁরা। বিক্ষোভের মধ্যে কর্মচারী নেতাদের সঙ্গে কয়েক দফা কথা বলেন অর্থ উপদেষ্টা।

কর্মচারীদের নেতা বাদিউল কবির আজ রাত ৯টায় আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘দাবি মেনে নেওয়ায় আমরা কর্মসূচি থেকে সরে এসেছি। অন্যান্য সংস্থার কর্মীদের মতো করেই সচিবালয় ভাতা চালু করে বৃহস্পতিবার প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মোহাম্মদপুরে মা-মেয়ে হত্যা: গৃহকর্মী আয়েশা ঝালকাঠিতে গ্রেপ্তার

প্রাথমিকভাবে ১২৫ আসনে এনসিপির প্রার্থী ঘোষণা

৫০ বছর ধরে কবর খুঁড়ছেন মজিরুল, নিঃস্বার্থ সেবায় গাংনীর গোরখোদকেরা

বুমরার বিতর্কিত উইকেটে ‘জড়িত’ এক ভারতীয় আম্পায়ার

শ্রীপুরে বকেয়া বেতনের দাবিতে শ্রমিকদের বিক্ষোভ, ফটকে তালা ঝুলিয়ে পালিয়েছে কারখানা কর্তৃপক্ষ

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

বিডার অনুমতি ছাড়াই বিদেশি ঋণে মূলধনি যন্ত্রপাতি আমদানি করা যাবে

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
বাংলাদেশ ব্যাংক। ফাইল ছবি
বাংলাদেশ ব্যাংক। ফাইল ছবি

শিল্প উদ্যোক্তাদের মূলধনি পণ্য আমদানির ক্ষেত্রে দীর্ঘ প্রক্রিয়া আর মানতে হবে না। এখন থেকে তিন বছরের মেয়াদে বিদেশি ঋণ নিয়ে প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি ও সরঞ্জাম সরাসরি আমদানি করা যাবে। এ জন্য আর বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) অনুমোদন লাগবে না।

আজ বুধবার বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রা ও নীতি বিভাগ এ-সংক্রান্ত নির্দেশনা জারি করে।

নির্দেশনায় বলা হয়, বিডার বৈদেশিক ঋণ কমিটির সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের অংশ হিসেবেই এই শিল্পবান্ধব ব্যবস্থা চালু করা হয়েছে। আগে কেবল নতুন যন্ত্রপাতি আমদানির ক্ষেত্রে এই দীর্ঘমেয়াদি ক্রেডিট সুবিধা পাওয়া যেত। এখন থেকে জাহাজ, বিভিন্ন সরঞ্জাম, যন্ত্রপাতিসহ নানা ধরনের মূলধনি পণ্য তিন বছর মেয়াদি কিস্তিতে আমদানি করা যাবে। বিদেশি সরবরাহকারী বা ব্যাংক—উভয় পক্ষ থেকেই এই ঋণ নেওয়া যাবে।

উদ্যোক্তারা জানান, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সিদ্ধান্ত আমদানির জটিলতা কমাবে এবং প্রয়োজনীয় মূলধনি পণ্য দ্রুত সংগ্রহে সহায়তা করবে, যা উৎপাদন বৃদ্ধি ও শিল্পের প্রসারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। নতুন নিয়ম শিল্প ও উৎপাদন খাতে গতি আনবে। পাশাপাশি দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা ও নতুন বিনিয়োগকে উৎসাহিত করবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মোহাম্মদপুরে মা-মেয়ে হত্যা: গৃহকর্মী আয়েশা ঝালকাঠিতে গ্রেপ্তার

প্রাথমিকভাবে ১২৫ আসনে এনসিপির প্রার্থী ঘোষণা

৫০ বছর ধরে কবর খুঁড়ছেন মজিরুল, নিঃস্বার্থ সেবায় গাংনীর গোরখোদকেরা

বুমরার বিতর্কিত উইকেটে ‘জড়িত’ এক ভারতীয় আম্পায়ার

শ্রীপুরে বকেয়া বেতনের দাবিতে শ্রমিকদের বিক্ষোভ, ফটকে তালা ঝুলিয়ে পালিয়েছে কারখানা কর্তৃপক্ষ

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত