
বাংলাদেশে সাম্প্রতিক সময়ে আর্থিক খাতে ঘটে যাওয়া দুর্নীতি, ব্যাংক লুটপাট ও অর্থপাচার ইস্যুতে সরকার জিরো টলারেন্স নীতিতে কাজ করছে বলে জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর। তিনি জানান, আইনত প্রক্রিয়ায় জব্দ করা অর্থ ও সম্পদ থেকে একদিকে ব্যাংকগুলোকে রিক্যাপিটালাইজ করার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে, অন্যদিকে দুর্নীতির মাধ্যমে অর্জিত সম্পদ থেকে গঠিত হতে যাচ্ছে একটি জনহিতকর ফান্ড।
রাজধানীতে আজ ‘বিদেশে পাচারকৃত অর্থ ও সম্পদ পুনরুদ্ধার: গৃহীত কার্যক্রম ও বাস্তবায়ন অগ্রগতি’ শীর্ষক এক গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক সোমবার অনুষ্ঠিত হয়, যার সভাপতিত্ব করেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। বৈঠক শেষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন গভর্নর।
আহসান এইচ মনসুর জানান, বিদেশে পাচার হওয়া অর্থ ও সম্পদ পুনরুদ্ধারে বাংলাদেশের প্রচেষ্টা জোরদার হচ্ছে এবং সরকার আশা করছে, এক বছরের মধ্যেই উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জন সম্ভব হবে। প্রয়োজনীয় আইনি ও কূটনৈতিক পদক্ষেপের মাধ্যমে বিদেশে পাচার হওয়া সম্পদ শনাক্ত ও জব্দ করার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।
জব্দ অর্থ ব্যবস্থাপনা ও ফান্ড গঠন
সরকারের পরিকল্পনা অনুযায়ী, ব্যাংক লুটের মাধ্যমে যারা অর্থ আত্মসাৎ করেছে, তাদের কাছ থেকে জব্দ করা অর্থ সরাসরি ক্ষতিগ্রস্ত ব্যাংকগুলোতে ফিরিয়ে দেওয়া হবে। ইসলামী ব্যাংকে এস আলম গ্রুপের শেয়ারের মূল্য প্রায় ১২ হাজার থেকে ১৫ হাজার কোটি টাকা বলে মনে করা হচ্ছে। এই শেয়ারগুলো থেকে আদায়কৃত অর্থ ব্যাংকিং খাতকে চাঙা করতে ব্যবহার হবে।
অপরদিকে, যে অর্থগুলো ব্যাংক সংক্রান্ত নয়, বরং ভিন্নভাবে দুর্নীতির মাধ্যমে অর্জিত— সেগুলো থেকে একটি বিশেষ ফান্ড বা তহবিল গঠন করা হবে, যেটি জনহিতকর খাতে ব্যবহার করা হবে। সরকারের পরিকল্পনা হলো— এই ফান্ডের টাকায় বিভিন্ন সামাজিক ও উন্নয়নমূলক প্রকল্প বাস্তবায়ন করা।
বিদেশে পাচারকৃত অর্থ ফেরত আনার প্রক্রিয়া
গভর্নর জানান, পাচারকৃত অর্থ ফেরত আনার আন্তর্জাতিক প্রক্রিয়াটি দীর্ঘ, সাধারণত ৪-৫ বছর সময় লাগে। তবে কিছু অন্তর্বর্তীকালীন ব্যবস্থা যেমন বিদেশে সম্পদ ফ্রিজ করা যেতে পারে বছরের মধ্যেই, যদি দেশের অভ্যন্তরে যথাযথ আইনি প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়। এর জন্য ‘মিউচুয়াল লিগ্যাল অ্যাসিস্ট্যান্স’ (MLA) ব্যবস্থার আওতায় বিভিন্ন দেশের সঙ্গে তথ্য বিনিময় হচ্ছে।
উল্লেখযোগ্যভাবে, যুক্তরাজ্য সরকারের আইএসিসিসি ইতিমধ্যেই বাংলাদেশের সঙ্গে সহযোগিতার আগ্রহ প্রকাশ করেছে এবং একজন ব্রিটিশ বিশেষজ্ঞ ছয় মাসের জন্য বাংলাদেশে কাজ করবেন। দুবাইতেও ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে এবং বাংলাদেশকে সহযোগিতার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।
‘নগদ’ নিয়ে বিতর্ক ও সরকারের অবস্থান
‘নগদ’ এর আগের ম্যানেজমেন্টের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ ব্যাংকের তদন্তে বেরিয়ে এসেছে ৬৫০ কোটি টাকার ই-মানি সৃষ্টির মাধ্যমে অর্থ আত্মসাত এবং সরকারি কল্যাণ প্রকল্প থেকে প্রায় ২০০০ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ। এই ম্যানেজমেন্টের হাতে কোনোভাবেই ‘নগদ’-এর নিয়ন্ত্রণ ফিরিয়ে দেওয়া উচিত নয় বলে মনে করে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
তবে আদালতের রায়ের কারণে আগের মালিকানা ফিরে যাওয়ার ঝুঁকি থাকলেও বাংলাদেশ ব্যাংক এর বিরুদ্ধে আপিল করেছে। এদিকে ব্যাংকগুলোকে সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে, যাতে নগদের মাধ্যমে নতুন কোনো লেনদেন বা ক্যাশ আউট না হয়। ফলে সরকার আশ্বস্ত যে, নতুন করে অর্থপাচারের ঝুঁকি নেই, তবে তথ্য মুছে ফেলা বা প্রমাণ নষ্টের আশঙ্কা রয়েছে।
দুর্নীতি তদন্তে আইনগত কাঠামো ও চ্যালেঞ্জ
বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ও ডেপুটি গভর্নরদের অর্থপাচার ও আত্মসাতে সম্পৃক্ততা সম্পর্কে মন্তব্য করা থেকে বিরত থাকলেও গভর্নর বলেন, দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) স্বাধীনভাবে তদন্ত চালাচ্ছে এবং প্রয়োজনে চার্জশিট দেবে।
অন্যদিকে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বা তার পরিবারের সদস্যদের সম্পৃক্ততা নিয়ে প্রশ্ন উঠলেও গভর্নর কোনো মন্তব্য করেনি। তিনি জানান, এ সংক্রান্ত তদন্ত আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা পরিচালনা করছেন এবং প্রমাণ সংগ্রহে প্রতিটি বিষয় আলাদাভাবে যাচাই করা হচ্ছে।
রাজনৈতিক ও আইনি বাস্তবতা: প্যারালাল গভর্নেন্স প্রশ্নে
নগদ ইস্যুকে কেন্দ্র করে প্রশ্ন উঠেছে— আদালতের কিছু সিদ্ধান্ত ও আইনজীবীদের অবস্থান থেকে কী কোনো ‘প্যারালাল গভর্নমেন্ট’ কাজ করছে কিনা। এ প্রশ্নের উত্তরে গভর্নর সরাসরি রাজনৈতিক মন্তব্য না করলেও বলেন, আদালত স্বাধীনভাবে সিদ্ধান্ত দিচ্ছে এবং বাংলাদেশ ব্যাংক তার দায়িত্ব পালনে কোনো ছাড় দিচ্ছে না।
প্রতিবন্ধকতা ও ভবিষ্যৎ করণীয়
বিদেশে পাচারকৃত অর্থ ফেরত আনার ক্ষেত্রে বড় দুটি প্রতিবন্ধকতা হলো— ১. আন্তর্জাতিক মানের প্রমাণ ও ডকুমেন্টেশন প্রস্তুতির ঘাটতি। ২. দীর্ঘ আইনি প্রক্রিয়া ও বিদেশি আদালতের জটিলতা।
এই চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় সরকার তদন্ত কর্মকর্তাদের আন্তর্জাতিক মানে প্রশিক্ষণ দিচ্ছে এবং সহযোগী রাষ্ট্রগুলোর সহায়তা নিতে আগ্রহী।
বাংলাদেশে আর্থিক খাতে চলমান দুর্নীতি ও অর্থ পাচারের বিরুদ্ধে সরকারের লড়াই একটি জটিল, দীর্ঘমেয়াদী ও বহুমাত্রিক প্রক্রিয়া। ব্যাংক পুনর্গঠন, পাচারকৃত অর্থ ফেরত আনা এবং একটি জনহিত ফান্ড গঠন— এই তিনটি ধাপে সরকার এগোচ্ছে।
যদিও রাজনৈতিক, আইনি এবং আন্তর্জাতিক চ্যালেঞ্জ রয়েছে। তবে সরকার মনে করে, এই কাঠামোর মাধ্যমে আর্থিক শৃঙ্খলা পুনঃপ্রতিষ্ঠা সম্ভব।

বাংলাদেশে সাম্প্রতিক সময়ে আর্থিক খাতে ঘটে যাওয়া দুর্নীতি, ব্যাংক লুটপাট ও অর্থপাচার ইস্যুতে সরকার জিরো টলারেন্স নীতিতে কাজ করছে বলে জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর। তিনি জানান, আইনত প্রক্রিয়ায় জব্দ করা অর্থ ও সম্পদ থেকে একদিকে ব্যাংকগুলোকে রিক্যাপিটালাইজ করার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে, অন্যদিকে দুর্নীতির মাধ্যমে অর্জিত সম্পদ থেকে গঠিত হতে যাচ্ছে একটি জনহিতকর ফান্ড।
রাজধানীতে আজ ‘বিদেশে পাচারকৃত অর্থ ও সম্পদ পুনরুদ্ধার: গৃহীত কার্যক্রম ও বাস্তবায়ন অগ্রগতি’ শীর্ষক এক গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক সোমবার অনুষ্ঠিত হয়, যার সভাপতিত্ব করেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। বৈঠক শেষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন গভর্নর।
আহসান এইচ মনসুর জানান, বিদেশে পাচার হওয়া অর্থ ও সম্পদ পুনরুদ্ধারে বাংলাদেশের প্রচেষ্টা জোরদার হচ্ছে এবং সরকার আশা করছে, এক বছরের মধ্যেই উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জন সম্ভব হবে। প্রয়োজনীয় আইনি ও কূটনৈতিক পদক্ষেপের মাধ্যমে বিদেশে পাচার হওয়া সম্পদ শনাক্ত ও জব্দ করার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।
জব্দ অর্থ ব্যবস্থাপনা ও ফান্ড গঠন
সরকারের পরিকল্পনা অনুযায়ী, ব্যাংক লুটের মাধ্যমে যারা অর্থ আত্মসাৎ করেছে, তাদের কাছ থেকে জব্দ করা অর্থ সরাসরি ক্ষতিগ্রস্ত ব্যাংকগুলোতে ফিরিয়ে দেওয়া হবে। ইসলামী ব্যাংকে এস আলম গ্রুপের শেয়ারের মূল্য প্রায় ১২ হাজার থেকে ১৫ হাজার কোটি টাকা বলে মনে করা হচ্ছে। এই শেয়ারগুলো থেকে আদায়কৃত অর্থ ব্যাংকিং খাতকে চাঙা করতে ব্যবহার হবে।
অপরদিকে, যে অর্থগুলো ব্যাংক সংক্রান্ত নয়, বরং ভিন্নভাবে দুর্নীতির মাধ্যমে অর্জিত— সেগুলো থেকে একটি বিশেষ ফান্ড বা তহবিল গঠন করা হবে, যেটি জনহিতকর খাতে ব্যবহার করা হবে। সরকারের পরিকল্পনা হলো— এই ফান্ডের টাকায় বিভিন্ন সামাজিক ও উন্নয়নমূলক প্রকল্প বাস্তবায়ন করা।
বিদেশে পাচারকৃত অর্থ ফেরত আনার প্রক্রিয়া
গভর্নর জানান, পাচারকৃত অর্থ ফেরত আনার আন্তর্জাতিক প্রক্রিয়াটি দীর্ঘ, সাধারণত ৪-৫ বছর সময় লাগে। তবে কিছু অন্তর্বর্তীকালীন ব্যবস্থা যেমন বিদেশে সম্পদ ফ্রিজ করা যেতে পারে বছরের মধ্যেই, যদি দেশের অভ্যন্তরে যথাযথ আইনি প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়। এর জন্য ‘মিউচুয়াল লিগ্যাল অ্যাসিস্ট্যান্স’ (MLA) ব্যবস্থার আওতায় বিভিন্ন দেশের সঙ্গে তথ্য বিনিময় হচ্ছে।
উল্লেখযোগ্যভাবে, যুক্তরাজ্য সরকারের আইএসিসিসি ইতিমধ্যেই বাংলাদেশের সঙ্গে সহযোগিতার আগ্রহ প্রকাশ করেছে এবং একজন ব্রিটিশ বিশেষজ্ঞ ছয় মাসের জন্য বাংলাদেশে কাজ করবেন। দুবাইতেও ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে এবং বাংলাদেশকে সহযোগিতার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।
‘নগদ’ নিয়ে বিতর্ক ও সরকারের অবস্থান
‘নগদ’ এর আগের ম্যানেজমেন্টের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ ব্যাংকের তদন্তে বেরিয়ে এসেছে ৬৫০ কোটি টাকার ই-মানি সৃষ্টির মাধ্যমে অর্থ আত্মসাত এবং সরকারি কল্যাণ প্রকল্প থেকে প্রায় ২০০০ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ। এই ম্যানেজমেন্টের হাতে কোনোভাবেই ‘নগদ’-এর নিয়ন্ত্রণ ফিরিয়ে দেওয়া উচিত নয় বলে মনে করে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
তবে আদালতের রায়ের কারণে আগের মালিকানা ফিরে যাওয়ার ঝুঁকি থাকলেও বাংলাদেশ ব্যাংক এর বিরুদ্ধে আপিল করেছে। এদিকে ব্যাংকগুলোকে সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে, যাতে নগদের মাধ্যমে নতুন কোনো লেনদেন বা ক্যাশ আউট না হয়। ফলে সরকার আশ্বস্ত যে, নতুন করে অর্থপাচারের ঝুঁকি নেই, তবে তথ্য মুছে ফেলা বা প্রমাণ নষ্টের আশঙ্কা রয়েছে।
দুর্নীতি তদন্তে আইনগত কাঠামো ও চ্যালেঞ্জ
বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ও ডেপুটি গভর্নরদের অর্থপাচার ও আত্মসাতে সম্পৃক্ততা সম্পর্কে মন্তব্য করা থেকে বিরত থাকলেও গভর্নর বলেন, দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) স্বাধীনভাবে তদন্ত চালাচ্ছে এবং প্রয়োজনে চার্জশিট দেবে।
অন্যদিকে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বা তার পরিবারের সদস্যদের সম্পৃক্ততা নিয়ে প্রশ্ন উঠলেও গভর্নর কোনো মন্তব্য করেনি। তিনি জানান, এ সংক্রান্ত তদন্ত আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা পরিচালনা করছেন এবং প্রমাণ সংগ্রহে প্রতিটি বিষয় আলাদাভাবে যাচাই করা হচ্ছে।
রাজনৈতিক ও আইনি বাস্তবতা: প্যারালাল গভর্নেন্স প্রশ্নে
নগদ ইস্যুকে কেন্দ্র করে প্রশ্ন উঠেছে— আদালতের কিছু সিদ্ধান্ত ও আইনজীবীদের অবস্থান থেকে কী কোনো ‘প্যারালাল গভর্নমেন্ট’ কাজ করছে কিনা। এ প্রশ্নের উত্তরে গভর্নর সরাসরি রাজনৈতিক মন্তব্য না করলেও বলেন, আদালত স্বাধীনভাবে সিদ্ধান্ত দিচ্ছে এবং বাংলাদেশ ব্যাংক তার দায়িত্ব পালনে কোনো ছাড় দিচ্ছে না।
প্রতিবন্ধকতা ও ভবিষ্যৎ করণীয়
বিদেশে পাচারকৃত অর্থ ফেরত আনার ক্ষেত্রে বড় দুটি প্রতিবন্ধকতা হলো— ১. আন্তর্জাতিক মানের প্রমাণ ও ডকুমেন্টেশন প্রস্তুতির ঘাটতি। ২. দীর্ঘ আইনি প্রক্রিয়া ও বিদেশি আদালতের জটিলতা।
এই চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় সরকার তদন্ত কর্মকর্তাদের আন্তর্জাতিক মানে প্রশিক্ষণ দিচ্ছে এবং সহযোগী রাষ্ট্রগুলোর সহায়তা নিতে আগ্রহী।
বাংলাদেশে আর্থিক খাতে চলমান দুর্নীতি ও অর্থ পাচারের বিরুদ্ধে সরকারের লড়াই একটি জটিল, দীর্ঘমেয়াদী ও বহুমাত্রিক প্রক্রিয়া। ব্যাংক পুনর্গঠন, পাচারকৃত অর্থ ফেরত আনা এবং একটি জনহিত ফান্ড গঠন— এই তিনটি ধাপে সরকার এগোচ্ছে।
যদিও রাজনৈতিক, আইনি এবং আন্তর্জাতিক চ্যালেঞ্জ রয়েছে। তবে সরকার মনে করে, এই কাঠামোর মাধ্যমে আর্থিক শৃঙ্খলা পুনঃপ্রতিষ্ঠা সম্ভব।

বাংলাদেশের সর্বোচ্চ ইস্পাত উৎপাদনক্ষমতাসম্পন্ন প্রতিষ্ঠান আবুল খায়ের স্টিল (একেএস) ৬ ডিসেম্বর তাদের সব কর্মীকে নিয়ে ‘একেএস-একসাথে আগামীর পথে’ শীর্ষক একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিল।
১৭ ঘণ্টা আগে
ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির পরিচালনা পরিষদের বোর্ড সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল সোমবার (৮ ডসিম্বের) ইসলামী ব্যাংক টাওয়ারে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়। ব্যাংকের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. এম জুবায়দুর রহমান এতে সভাপতিত্ব করেন।
১৭ ঘণ্টা আগে
কর ও সঞ্চিতি সংরক্ষণের পর নিট মুনাফা অর্জন না করলে কোনো ব্যাংকই আর উৎসাহ বোনাস দিতে পারবে না। পাশাপাশি মূলধন সংরক্ষণ ঘাটতি, প্রভিশন ঘাটতি বা পুঞ্জীভূত মুনাফা থেকেই বোনাস দেওয়ার পথও পুরোপুরি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
১৮ ঘণ্টা আগে
এনবিআর জানিয়েছে, শিগগির এ পদ্ধতি সারা দেশে চালু করা হবে, যাতে সব ধরনের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান স্বয়ংক্রিয়ভাবে ভ্যাটের আওতায় আসে এবং নিবন্ধন ছাড়া আর কেউ ব্যবসা চালাতে না পারে।
২০ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

বাংলাদেশের সর্বোচ্চ ইস্পাত উৎপাদনক্ষমতাসম্পন্ন প্রতিষ্ঠান আবুল খায়ের স্টিল (একেএস) ৬ ডিসেম্বর তাদের সব কর্মীকে নিয়ে ‘একেএস-একসাথে আগামীর পথে’ শীর্ষক একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিল। দিনব্যাপী এই উৎসবমুখর ও জাঁকজমকপূর্ণ আয়োজনে দেশের প্রতিটি স্থান থেকে আবুল খায়ের স্টিলের সব কর্মকর্তা ও কর্মচারী উপস্থিত ছিলেন।
সূচনা বক্তব্যের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করা হয়। নামাজ ও খাবারের বিরতির পর একেএসের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা সবার উদ্দেশে অনুপ্রেরণামূলক বক্তব্য দেন। বক্তব্যে কোম্পানির সাম্প্রতিক অর্জন ও মাইলফলকগুলো তুলে ধরা হয়। এর মধ্যে রয়েছে—দেশের সবচেয়ে শক্তিশালী রড একেএস টিএমটি বি৭০০ সি-আরের সফল উৎপাদন। বিশ্বের দ্রুততম রোলিং মিল স্থাপন। একেএস এবং কাউ ব্র্যান্ড কালার কোটেড স্টিলের মর্যাদাপূর্ণ সুপারব্র্যান্ড অ্যাওয়ার্ড অর্জন।
এই আলোচনায় প্রযুক্তিগত উদ্ভাবন এবং কর্মীদের সম্মিলিত সাফল্যের প্রতিচ্ছবিও উঠে আসে।
সন্ধ্যায় আয়োজিত সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও র্যাফেল ড্র পর্বটি উদ্যাপনকে আরও প্রাণবন্ত করে তোলে। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে কিংবদন্তি শিল্পী জেমসের মনোমুগ্ধকর পরিবেশনা ও লেজার শো উপস্থিত সবাইকে মাতিয়ে রাখে।
সমাপনী ভাষণে একেএস পরিবারের প্রত্যেক সদস্যকে অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকার জন্য ধন্যবাদ জানান হয়। এরপর নৈশভোজ ও ডিজে সেশনের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়।

বাংলাদেশের সর্বোচ্চ ইস্পাত উৎপাদনক্ষমতাসম্পন্ন প্রতিষ্ঠান আবুল খায়ের স্টিল (একেএস) ৬ ডিসেম্বর তাদের সব কর্মীকে নিয়ে ‘একেএস-একসাথে আগামীর পথে’ শীর্ষক একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিল। দিনব্যাপী এই উৎসবমুখর ও জাঁকজমকপূর্ণ আয়োজনে দেশের প্রতিটি স্থান থেকে আবুল খায়ের স্টিলের সব কর্মকর্তা ও কর্মচারী উপস্থিত ছিলেন।
সূচনা বক্তব্যের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করা হয়। নামাজ ও খাবারের বিরতির পর একেএসের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা সবার উদ্দেশে অনুপ্রেরণামূলক বক্তব্য দেন। বক্তব্যে কোম্পানির সাম্প্রতিক অর্জন ও মাইলফলকগুলো তুলে ধরা হয়। এর মধ্যে রয়েছে—দেশের সবচেয়ে শক্তিশালী রড একেএস টিএমটি বি৭০০ সি-আরের সফল উৎপাদন। বিশ্বের দ্রুততম রোলিং মিল স্থাপন। একেএস এবং কাউ ব্র্যান্ড কালার কোটেড স্টিলের মর্যাদাপূর্ণ সুপারব্র্যান্ড অ্যাওয়ার্ড অর্জন।
এই আলোচনায় প্রযুক্তিগত উদ্ভাবন এবং কর্মীদের সম্মিলিত সাফল্যের প্রতিচ্ছবিও উঠে আসে।
সন্ধ্যায় আয়োজিত সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও র্যাফেল ড্র পর্বটি উদ্যাপনকে আরও প্রাণবন্ত করে তোলে। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে কিংবদন্তি শিল্পী জেমসের মনোমুগ্ধকর পরিবেশনা ও লেজার শো উপস্থিত সবাইকে মাতিয়ে রাখে।
সমাপনী ভাষণে একেএস পরিবারের প্রত্যেক সদস্যকে অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকার জন্য ধন্যবাদ জানান হয়। এরপর নৈশভোজ ও ডিজে সেশনের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়।

বিদেশে পাচার হওয়া অর্থ ও সম্পদ পুনরুদ্ধারে বাংলাদেশের উদ্যোগ জোরদার হচ্ছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর। জব্দকৃত অর্থ ব্যাংক খাতে পুনঃবিনিয়োগ এবং দুর্নীতির মাধ্যমে অর্জিত সম্পদ দিয়ে জনহিতকর ফান্ড গঠনের পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের। ‘নগদ’ নিয়ে বিতর্ক, আন্তর্জাতিক সহযোগিতা এবং আই
১৯ মে ২০২৫
ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির পরিচালনা পরিষদের বোর্ড সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল সোমবার (৮ ডসিম্বের) ইসলামী ব্যাংক টাওয়ারে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়। ব্যাংকের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. এম জুবায়দুর রহমান এতে সভাপতিত্ব করেন।
১৭ ঘণ্টা আগে
কর ও সঞ্চিতি সংরক্ষণের পর নিট মুনাফা অর্জন না করলে কোনো ব্যাংকই আর উৎসাহ বোনাস দিতে পারবে না। পাশাপাশি মূলধন সংরক্ষণ ঘাটতি, প্রভিশন ঘাটতি বা পুঞ্জীভূত মুনাফা থেকেই বোনাস দেওয়ার পথও পুরোপুরি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
১৮ ঘণ্টা আগে
এনবিআর জানিয়েছে, শিগগির এ পদ্ধতি সারা দেশে চালু করা হবে, যাতে সব ধরনের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান স্বয়ংক্রিয়ভাবে ভ্যাটের আওতায় আসে এবং নিবন্ধন ছাড়া আর কেউ ব্যবসা চালাতে না পারে।
২০ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির পরিচালনা পরিষদের বোর্ড সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল সোমবার (৮ ডসিম্বের) ইসলামী ব্যাংক টাওয়ারে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়। ব্যাংকের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. এম জুবায়দুর রহমান এতে সভাপতিত্ব করেন।
সভায় এক্সিকিউটিভ কমিটির চেয়ারম্যান মোহাম্মদ খুরশীদ ওয়াহাব, অডিট কমিটির চেয়ারম্যান মো. আবদুস সালাম, এফসিএ, এফসিএস, রিস্ক ম্যানেজমেন্ট কমিটির চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. এম মাসুদ রহমান, স্বতন্ত্র পরিচালক মো. আবদুল জলিল, ম্যানেজিং ডাইরেক্টর মো. ওমর ফারুক খাঁন, শরী’আহ সুপারভাইজরি কাউন্সলিরে সদস্য সচিব প্রফেসর ড. মুহাম্মাদ আব্দুস সামাদ এবং কোম্পানি সেক্রেটারি মো. হাবিবুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।

ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির পরিচালনা পরিষদের বোর্ড সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল সোমবার (৮ ডসিম্বের) ইসলামী ব্যাংক টাওয়ারে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়। ব্যাংকের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. এম জুবায়দুর রহমান এতে সভাপতিত্ব করেন।
সভায় এক্সিকিউটিভ কমিটির চেয়ারম্যান মোহাম্মদ খুরশীদ ওয়াহাব, অডিট কমিটির চেয়ারম্যান মো. আবদুস সালাম, এফসিএ, এফসিএস, রিস্ক ম্যানেজমেন্ট কমিটির চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. এম মাসুদ রহমান, স্বতন্ত্র পরিচালক মো. আবদুল জলিল, ম্যানেজিং ডাইরেক্টর মো. ওমর ফারুক খাঁন, শরী’আহ সুপারভাইজরি কাউন্সলিরে সদস্য সচিব প্রফেসর ড. মুহাম্মাদ আব্দুস সামাদ এবং কোম্পানি সেক্রেটারি মো. হাবিবুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।

বিদেশে পাচার হওয়া অর্থ ও সম্পদ পুনরুদ্ধারে বাংলাদেশের উদ্যোগ জোরদার হচ্ছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর। জব্দকৃত অর্থ ব্যাংক খাতে পুনঃবিনিয়োগ এবং দুর্নীতির মাধ্যমে অর্জিত সম্পদ দিয়ে জনহিতকর ফান্ড গঠনের পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের। ‘নগদ’ নিয়ে বিতর্ক, আন্তর্জাতিক সহযোগিতা এবং আই
১৯ মে ২০২৫
বাংলাদেশের সর্বোচ্চ ইস্পাত উৎপাদনক্ষমতাসম্পন্ন প্রতিষ্ঠান আবুল খায়ের স্টিল (একেএস) ৬ ডিসেম্বর তাদের সব কর্মীকে নিয়ে ‘একেএস-একসাথে আগামীর পথে’ শীর্ষক একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিল।
১৭ ঘণ্টা আগে
কর ও সঞ্চিতি সংরক্ষণের পর নিট মুনাফা অর্জন না করলে কোনো ব্যাংকই আর উৎসাহ বোনাস দিতে পারবে না। পাশাপাশি মূলধন সংরক্ষণ ঘাটতি, প্রভিশন ঘাটতি বা পুঞ্জীভূত মুনাফা থেকেই বোনাস দেওয়ার পথও পুরোপুরি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
১৮ ঘণ্টা আগে
এনবিআর জানিয়েছে, শিগগির এ পদ্ধতি সারা দেশে চালু করা হবে, যাতে সব ধরনের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান স্বয়ংক্রিয়ভাবে ভ্যাটের আওতায় আসে এবং নিবন্ধন ছাড়া আর কেউ ব্যবসা চালাতে না পারে।
২০ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

কর ও সঞ্চিতি সংরক্ষণের পর নিট মুনাফা অর্জন না করলে কোনো ব্যাংকই আর উৎসাহ বোনাস দিতে পারবে না। পাশাপাশি মূলধন সংরক্ষণ ঘাটতি, প্রভিশন ঘাটতি বা পুঞ্জীভূত মুনাফা থেকেই বোনাস দেওয়ার পথও পুরোপুরি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় ব্যাংক এ-সংক্রান্ত একটি সার্কুলার জারি করে সব ব্যাংকে পাঠানো হয়েছে।
সার্কুলারে বলা হয়, ব্যাংকিং খাতের বর্তমান পরিস্থিতিতে আনরিয়েলাইজড বা নগদায়ন না করা আয়ের ভিত্তিতে বোনাস দেওয়া আর্থিক শৃঙ্খলা ও সুশাসনের পরিপন্থী। তাই এখন থেকে শুধু নির্ধারিত নিট মুনাফা অর্জন করতে পারলেই উৎসাহ বোনাস দেওয়ার অনুমতি পাবে ব্যাংকগুলো।
আরও বলা হয়, পুঞ্জীভূত মুনাফা থেকে কোনো ধরনের উৎসাহ বোনাস দেওয়া যাবে না। রেগুলেটরি মূলধন বা প্রভিশনের ঘাটতি থাকলে বোনাস দেওয়া নিষিদ্ধ। প্রভিশন সংরক্ষণে বাড়তি সময় পাওয়া ব্যাংকগুলোও সেই সময়কাল মুনাফা হিসাবের ক্ষেত্রে দেখাতে পারবে না। বোনাস প্রদানে ব্যাংকগুলোকে বিভিন্ন কর্মসূচির উন্নতি ও খেলাপি ঋণ পুনরুদ্ধারে দৃশ্যমান সাফল্য বিবেচনায় নিতে হবে।
এদিকে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন ব্যাংকের ক্ষেত্রে সরকারের বিদ্যমান নির্দেশিকা কার্যকর থাকবে, যেখানে নিট মুনাফা ছাড়া বোনাস না দেওয়ার কথা স্পষ্টভাবে উল্লেখ আছে। তবে কোনো ব্যাংক নির্দিষ্ট সূচকে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জন করলে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের কাছে বিশেষ বোনাসের জন্য আবেদন করতে পারবে।

কর ও সঞ্চিতি সংরক্ষণের পর নিট মুনাফা অর্জন না করলে কোনো ব্যাংকই আর উৎসাহ বোনাস দিতে পারবে না। পাশাপাশি মূলধন সংরক্ষণ ঘাটতি, প্রভিশন ঘাটতি বা পুঞ্জীভূত মুনাফা থেকেই বোনাস দেওয়ার পথও পুরোপুরি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় ব্যাংক এ-সংক্রান্ত একটি সার্কুলার জারি করে সব ব্যাংকে পাঠানো হয়েছে।
সার্কুলারে বলা হয়, ব্যাংকিং খাতের বর্তমান পরিস্থিতিতে আনরিয়েলাইজড বা নগদায়ন না করা আয়ের ভিত্তিতে বোনাস দেওয়া আর্থিক শৃঙ্খলা ও সুশাসনের পরিপন্থী। তাই এখন থেকে শুধু নির্ধারিত নিট মুনাফা অর্জন করতে পারলেই উৎসাহ বোনাস দেওয়ার অনুমতি পাবে ব্যাংকগুলো।
আরও বলা হয়, পুঞ্জীভূত মুনাফা থেকে কোনো ধরনের উৎসাহ বোনাস দেওয়া যাবে না। রেগুলেটরি মূলধন বা প্রভিশনের ঘাটতি থাকলে বোনাস দেওয়া নিষিদ্ধ। প্রভিশন সংরক্ষণে বাড়তি সময় পাওয়া ব্যাংকগুলোও সেই সময়কাল মুনাফা হিসাবের ক্ষেত্রে দেখাতে পারবে না। বোনাস প্রদানে ব্যাংকগুলোকে বিভিন্ন কর্মসূচির উন্নতি ও খেলাপি ঋণ পুনরুদ্ধারে দৃশ্যমান সাফল্য বিবেচনায় নিতে হবে।
এদিকে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন ব্যাংকের ক্ষেত্রে সরকারের বিদ্যমান নির্দেশিকা কার্যকর থাকবে, যেখানে নিট মুনাফা ছাড়া বোনাস না দেওয়ার কথা স্পষ্টভাবে উল্লেখ আছে। তবে কোনো ব্যাংক নির্দিষ্ট সূচকে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জন করলে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের কাছে বিশেষ বোনাসের জন্য আবেদন করতে পারবে।

বিদেশে পাচার হওয়া অর্থ ও সম্পদ পুনরুদ্ধারে বাংলাদেশের উদ্যোগ জোরদার হচ্ছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর। জব্দকৃত অর্থ ব্যাংক খাতে পুনঃবিনিয়োগ এবং দুর্নীতির মাধ্যমে অর্জিত সম্পদ দিয়ে জনহিতকর ফান্ড গঠনের পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের। ‘নগদ’ নিয়ে বিতর্ক, আন্তর্জাতিক সহযোগিতা এবং আই
১৯ মে ২০২৫
বাংলাদেশের সর্বোচ্চ ইস্পাত উৎপাদনক্ষমতাসম্পন্ন প্রতিষ্ঠান আবুল খায়ের স্টিল (একেএস) ৬ ডিসেম্বর তাদের সব কর্মীকে নিয়ে ‘একেএস-একসাথে আগামীর পথে’ শীর্ষক একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিল।
১৭ ঘণ্টা আগে
ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির পরিচালনা পরিষদের বোর্ড সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল সোমবার (৮ ডসিম্বের) ইসলামী ব্যাংক টাওয়ারে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়। ব্যাংকের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. এম জুবায়দুর রহমান এতে সভাপতিত্ব করেন।
১৭ ঘণ্টা আগে
এনবিআর জানিয়েছে, শিগগির এ পদ্ধতি সারা দেশে চালু করা হবে, যাতে সব ধরনের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান স্বয়ংক্রিয়ভাবে ভ্যাটের আওতায় আসে এবং নিবন্ধন ছাড়া আর কেউ ব্যবসা চালাতে না পারে।
২০ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ভ্যাটব্যবস্থাকে পুরোপুরি ডিজিটাল ও সহজ করার লক্ষ্যে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) এক নতুন পর্যায়ে এগোচ্ছে। মাত্র একটি ক্লিকেই ভ্যাট পরিশোধের সুযোগ ইতিমধ্যে পরীক্ষামূলকভাবে চালু হয়েছে এবং বড় কয়েকটি প্রতিষ্ঠান এটি ব্যবহারও শুরু করেছে।
এনবিআর জানিয়েছে, শিগগির এ পদ্ধতি সারা দেশে চালু করা হবে, যাতে সব ধরনের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান স্বয়ংক্রিয়ভাবে ভ্যাটের আওতায় আসে এবং নিবন্ধন ছাড়া আর কেউ ব্যবসা চালাতে না পারে।
আজ মঙ্গলবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে রাজস্ব ভবনে জাতীয় ভ্যাট দিবস ও ভ্যাট সপ্তাহ উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের (আইআরডি) সচিব ও এনবিআর চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খান।
মো. আবদুর রহমান বলেন, দেশের বড় একটি অংশের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান এখনো ভ্যাট নিবন্ধনের বাইরে রয়েছে। আগামী বছর এমন একটি মেকানিজম চালু করা হবে, যার মাধ্যমে ভ্যাট নিবন্ধন ছাড়া ব্যবসার সুযোগ থাকবে না। বর্তমানে নিবন্ধিত ভ্যাটদাতা প্রতিষ্ঠান ৬ লাখ ৪৪ হাজার; লক্ষ্য আগামী এক থেকে দুই বছরের মধ্যে তা ৩০ থেকে ৪০ লাখে উন্নীত করা। শুধু চলতি মাসেই ১ লাখ নতুন প্রতিষ্ঠানকে নিবন্ধনের আওতায় আনার পরিকল্পনা রয়েছে।
এনবিআর চেয়ারম্যান জানান, ভ্যাট দিবসের প্রতিপাদ্য—‘সময়মতো নিবন্ধন নিব, সঠিকভাবে ভ্যাট দিব’—ধরে আগামীকাল বুধবার সারা দেশে ভ্যাট দিবস পালিত হবে। ১০ থেকে ১৫ ডিসেম্বর চলবে ভ্যাট সপ্তাহ। তবে নীতিমালা চূড়ান্ত না হওয়ায় এ বছরও স্থগিত থাকছে ভ্যাট পুরস্কার।
রিটার্ন জমাদানেও বড় পরিবর্তন আসছে বলে জানান মো. আবদুর রহমান খান। গত অর্থবছরে ১৭ লাখ ই-রিটার্ন জমা পড়লেও চলতি অর্থবছরে তা ৪০ লাখে পৌঁছানোর আশা করা হচ্ছে। ইতিমধ্যে জমা পড়েছে ২২ লাখ রিটার্ন। ভ্যাট আদায়েও গতি এসেছে—গত অর্থবছরে মোট রাজস্বের ৩৮ শতাংশ এসেছে ভ্যাট থেকে আর চলতি অর্থবছরের প্রথম মাসেই ভ্যাট আদায় আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় বেড়েছে ২২ শতাংশ।
করদাতাদের ঝামেলা কমাতে ই-রিটার্নে ব্যবহৃত ব্যাংকসংক্রান্ত চারটি তথ্য স্বয়ংক্রিয়ভাবে যাচাইয়ের ব্যবস্থা করা হচ্ছে বলে জানান আবদুর রহমান।
এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, করদাতারা মনে করেন, রাজস্ব কর্মকর্তারা এসব তথ্য দেখতে পারবেন—এটি ভুল ধারণা।
চলতি অর্থবছরে রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রা ৫৫ হাজার কোটি টাকা বাড়ানো হয়েছে কেন—এ প্রশ্নের জবাবে আবদুর রহমান বলেন, রাজস্ব আদায় বাড়ানোর বাস্তব প্রয়োজন থেকেই এ লক্ষ্য নির্ধারণ। তবে কারও ওপর হয়রানি বা অতিরিক্ত চাপ সৃষ্টি করা হবে না; মূলত যাঁরা রাজস্ব ফাঁকি দিচ্ছেন, তাঁদের ক্ষেত্রেই কঠোরতা বাড়ানো হবে।
আমদানি করা মোবাইল ফোনে কর কমানোর সম্ভাবনা নিয়ে প্রশ্ন করা হলে এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, এটি সম্পূর্ণ রাষ্ট্রীয় সিদ্ধান্ত; এককভাবে এনবিআর এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারে না।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন এনবিআরের সদস্য (মূসক নীতি) মো. আজিজুর রহমানসহ সংশ্লিষ্ট অন্য কর্মকর্তারা।

ভ্যাটব্যবস্থাকে পুরোপুরি ডিজিটাল ও সহজ করার লক্ষ্যে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) এক নতুন পর্যায়ে এগোচ্ছে। মাত্র একটি ক্লিকেই ভ্যাট পরিশোধের সুযোগ ইতিমধ্যে পরীক্ষামূলকভাবে চালু হয়েছে এবং বড় কয়েকটি প্রতিষ্ঠান এটি ব্যবহারও শুরু করেছে।
এনবিআর জানিয়েছে, শিগগির এ পদ্ধতি সারা দেশে চালু করা হবে, যাতে সব ধরনের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান স্বয়ংক্রিয়ভাবে ভ্যাটের আওতায় আসে এবং নিবন্ধন ছাড়া আর কেউ ব্যবসা চালাতে না পারে।
আজ মঙ্গলবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে রাজস্ব ভবনে জাতীয় ভ্যাট দিবস ও ভ্যাট সপ্তাহ উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের (আইআরডি) সচিব ও এনবিআর চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খান।
মো. আবদুর রহমান বলেন, দেশের বড় একটি অংশের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান এখনো ভ্যাট নিবন্ধনের বাইরে রয়েছে। আগামী বছর এমন একটি মেকানিজম চালু করা হবে, যার মাধ্যমে ভ্যাট নিবন্ধন ছাড়া ব্যবসার সুযোগ থাকবে না। বর্তমানে নিবন্ধিত ভ্যাটদাতা প্রতিষ্ঠান ৬ লাখ ৪৪ হাজার; লক্ষ্য আগামী এক থেকে দুই বছরের মধ্যে তা ৩০ থেকে ৪০ লাখে উন্নীত করা। শুধু চলতি মাসেই ১ লাখ নতুন প্রতিষ্ঠানকে নিবন্ধনের আওতায় আনার পরিকল্পনা রয়েছে।
এনবিআর চেয়ারম্যান জানান, ভ্যাট দিবসের প্রতিপাদ্য—‘সময়মতো নিবন্ধন নিব, সঠিকভাবে ভ্যাট দিব’—ধরে আগামীকাল বুধবার সারা দেশে ভ্যাট দিবস পালিত হবে। ১০ থেকে ১৫ ডিসেম্বর চলবে ভ্যাট সপ্তাহ। তবে নীতিমালা চূড়ান্ত না হওয়ায় এ বছরও স্থগিত থাকছে ভ্যাট পুরস্কার।
রিটার্ন জমাদানেও বড় পরিবর্তন আসছে বলে জানান মো. আবদুর রহমান খান। গত অর্থবছরে ১৭ লাখ ই-রিটার্ন জমা পড়লেও চলতি অর্থবছরে তা ৪০ লাখে পৌঁছানোর আশা করা হচ্ছে। ইতিমধ্যে জমা পড়েছে ২২ লাখ রিটার্ন। ভ্যাট আদায়েও গতি এসেছে—গত অর্থবছরে মোট রাজস্বের ৩৮ শতাংশ এসেছে ভ্যাট থেকে আর চলতি অর্থবছরের প্রথম মাসেই ভ্যাট আদায় আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় বেড়েছে ২২ শতাংশ।
করদাতাদের ঝামেলা কমাতে ই-রিটার্নে ব্যবহৃত ব্যাংকসংক্রান্ত চারটি তথ্য স্বয়ংক্রিয়ভাবে যাচাইয়ের ব্যবস্থা করা হচ্ছে বলে জানান আবদুর রহমান।
এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, করদাতারা মনে করেন, রাজস্ব কর্মকর্তারা এসব তথ্য দেখতে পারবেন—এটি ভুল ধারণা।
চলতি অর্থবছরে রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রা ৫৫ হাজার কোটি টাকা বাড়ানো হয়েছে কেন—এ প্রশ্নের জবাবে আবদুর রহমান বলেন, রাজস্ব আদায় বাড়ানোর বাস্তব প্রয়োজন থেকেই এ লক্ষ্য নির্ধারণ। তবে কারও ওপর হয়রানি বা অতিরিক্ত চাপ সৃষ্টি করা হবে না; মূলত যাঁরা রাজস্ব ফাঁকি দিচ্ছেন, তাঁদের ক্ষেত্রেই কঠোরতা বাড়ানো হবে।
আমদানি করা মোবাইল ফোনে কর কমানোর সম্ভাবনা নিয়ে প্রশ্ন করা হলে এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, এটি সম্পূর্ণ রাষ্ট্রীয় সিদ্ধান্ত; এককভাবে এনবিআর এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারে না।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন এনবিআরের সদস্য (মূসক নীতি) মো. আজিজুর রহমানসহ সংশ্লিষ্ট অন্য কর্মকর্তারা।

বিদেশে পাচার হওয়া অর্থ ও সম্পদ পুনরুদ্ধারে বাংলাদেশের উদ্যোগ জোরদার হচ্ছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর। জব্দকৃত অর্থ ব্যাংক খাতে পুনঃবিনিয়োগ এবং দুর্নীতির মাধ্যমে অর্জিত সম্পদ দিয়ে জনহিতকর ফান্ড গঠনের পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের। ‘নগদ’ নিয়ে বিতর্ক, আন্তর্জাতিক সহযোগিতা এবং আই
১৯ মে ২০২৫
বাংলাদেশের সর্বোচ্চ ইস্পাত উৎপাদনক্ষমতাসম্পন্ন প্রতিষ্ঠান আবুল খায়ের স্টিল (একেএস) ৬ ডিসেম্বর তাদের সব কর্মীকে নিয়ে ‘একেএস-একসাথে আগামীর পথে’ শীর্ষক একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিল।
১৭ ঘণ্টা আগে
ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির পরিচালনা পরিষদের বোর্ড সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল সোমবার (৮ ডসিম্বের) ইসলামী ব্যাংক টাওয়ারে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়। ব্যাংকের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. এম জুবায়দুর রহমান এতে সভাপতিত্ব করেন।
১৭ ঘণ্টা আগে
কর ও সঞ্চিতি সংরক্ষণের পর নিট মুনাফা অর্জন না করলে কোনো ব্যাংকই আর উৎসাহ বোনাস দিতে পারবে না। পাশাপাশি মূলধন সংরক্ষণ ঘাটতি, প্রভিশন ঘাটতি বা পুঞ্জীভূত মুনাফা থেকেই বোনাস দেওয়ার পথও পুরোপুরি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
১৮ ঘণ্টা আগে