মাহফুজুল ইসলাম, ঢাকা
নতুন অর্থবছরের উন্নয়ন বাজেট আর চওড়া নয়, বরং বাস্তবতার জমিনে দাঁড়িয়ে গড়া—এই বার্তা দিচ্ছে অন্তর্বর্তী সরকারের আসন্ন বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি)। ২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রস্তাবিত এডিপির আকার ধরা হচ্ছে ২ লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকা, যা আগের বছরের তুলনায় ৩৫ হাজার কোটি কম। রাজস্ব ঘাটতি, বৈদেশিক ঋণের অনিশ্চয়তা এবং বাস্তবায়ন সক্ষমতার সীমাবদ্ধতা বিবেচনায় এনে এমন সংযত বাজেটকাঠামো তৈরি করা হচ্ছে।
পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, নতুন এডিপির চূড়ান্ত অনুমোদনের লক্ষ্যে আগামী ৬ মে একটি বর্ধিত সভা ডেকেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের পরিকল্পনা ও শিক্ষা উপদেষ্টা ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ। তিনি মনে করেন, এখন সময় বাস্তবতার মুখোমুখি হওয়ার। বাজেটের আকার বড় রাখা নয়, বরং যেটুকু নেওয়া হচ্ছে, তার প্রতিটি টাকায় যেন সঠিকভাবে কাজ হয়, সেটাই সবচেয়ে জরুরি।
নতুন বাজেটে সরকারের নিজস্ব অর্থায়নের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ১ লাখ ৪৪ হাজার কোটি টাকা, যা আগের বছরের তুলনায় ২১ হাজার কোটি কম। অপর দিকে বিদেশি ঋণনির্ভরতা কমিয়ে রাখা হয়েছে ৮৬ হাজার কোটি টাকায়—এখানেও ১৪ হাজার কোটির ঘাটতি এসেছে আগের বছরের বরাদ্দের তুলনায়।
বিশ্বব্যাংকের ঢাকা অফিসের সাবেক মুখ্য অর্থনীতিবিদ ড. জাহিদ হোসেন এই কৌশলগত কাটছাঁটকে সময়োপযোগী পদক্ষেপ হিসেবে দেখছেন। তাঁর ভাষায়, ‘যত বড় বাজেট করা হোক, যদি বাস্তবায়ন না করা হয়, তাহলে তা শুধু কাগজে থেকে যায়। এডিপির এই নতুন কাঠামো বাস্তববাদী ও কাঙ্ক্ষিত। এর মাধ্যমে অকার্যকর প্রকল্পের সংখ্যা কমে আসবে।’
সিপিডির বিশেষ ফেলো ড. মোস্তাফিজুর রহমান মনে করেন, এডিপির আকার ছোট হলেও সঠিক বাস্তবায়নের মাধ্যমে এর কার্যকারিতা আগের চেয়ে বেশি হতে পারে। তিনি বলেন, ‘গত বছরের মতো যদি অতিরিক্ত ব্যয় ও প্রকল্প-সংশ্লিষ্ট অকার্যকর খরচ কমানো যায়, তাহলে এ বরাদ্দই যথেষ্ট হবে। বিশেষ করে বিদেশি ঋণনির্ভর প্রকল্পে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে হবে।’
প্রকল্প বরাদ্দের তালিকায় দেখা যাচ্ছে, বেশ কয়েকটি বিভাগে চাহিদার চেয়ে কম বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। স্থানীয় সরকার বিভাগ ৪৬ হাজার ৪৫২ কোটি টাকার চাহিদা দিলেও পাচ্ছে ৪০ হাজার ২৩ কোটি। সড়ক ও মহাসড়ক বিভাগের বরাদ্দ ৩৫ হাজার ৭৩৩ কোটি টাকা চাহিদার বিপরীতে নামছে ৩১ হাজার ৮২৮ কোটিতে। যদিও বিদ্যুৎ বিভাগ কিছুটা বাড়তি বরাদ্দ পাচ্ছে—১৮ হাজার ৮১৪ কোটি টাকা চাহিদার বিপরীতে বরাদ্দ হচ্ছে ২০ হাজার ৯০৬ কোটি। রেলপথ মন্ত্রণালয় পাচ্ছে ১০ হাজার ৯৮ কোটি, স্বাস্থ্য খাত ৭ হাজার ৭৩৪ কোটি এবং পানিসম্পদ মন্ত্রণালয় পাচ্ছে ৮ হাজার ৪৭৩ কোটি টাকা।
প্রসঙ্গত, চলতি অর্থবছরের মার্চ পর্যন্ত ৯ মাসে বার্ষিক উন্নয়ন বাজেটের মাত্র ৩৬ দশমিক ৬৫ শতাংশ অর্থ ছাড় করা হয়েছে, যা গত ছয় বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন। এই বাস্তবতা মাথায় রেখে এবারের বাজেটে শুধু বরাদ্দ নয়, বাস্তবায়নের গুণগত মান বাড়ানোর দিকে নজর দিতে চায় সরকার।
অন্তর্বর্তী সরকারের এই সাবধানী বাজেট পরিকল্পনা হয়তো উন্নয়নের গতিকে শ্লথ করবে, কিন্তু অর্থনৈতিক চাপের সময় এ রকম সংযত পদক্ষেপ হতে পারে টেকসই উত্তরণের ভিত্তি।
নতুন অর্থবছরের উন্নয়ন বাজেট আর চওড়া নয়, বরং বাস্তবতার জমিনে দাঁড়িয়ে গড়া—এই বার্তা দিচ্ছে অন্তর্বর্তী সরকারের আসন্ন বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি)। ২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রস্তাবিত এডিপির আকার ধরা হচ্ছে ২ লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকা, যা আগের বছরের তুলনায় ৩৫ হাজার কোটি কম। রাজস্ব ঘাটতি, বৈদেশিক ঋণের অনিশ্চয়তা এবং বাস্তবায়ন সক্ষমতার সীমাবদ্ধতা বিবেচনায় এনে এমন সংযত বাজেটকাঠামো তৈরি করা হচ্ছে।
পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, নতুন এডিপির চূড়ান্ত অনুমোদনের লক্ষ্যে আগামী ৬ মে একটি বর্ধিত সভা ডেকেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের পরিকল্পনা ও শিক্ষা উপদেষ্টা ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ। তিনি মনে করেন, এখন সময় বাস্তবতার মুখোমুখি হওয়ার। বাজেটের আকার বড় রাখা নয়, বরং যেটুকু নেওয়া হচ্ছে, তার প্রতিটি টাকায় যেন সঠিকভাবে কাজ হয়, সেটাই সবচেয়ে জরুরি।
নতুন বাজেটে সরকারের নিজস্ব অর্থায়নের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ১ লাখ ৪৪ হাজার কোটি টাকা, যা আগের বছরের তুলনায় ২১ হাজার কোটি কম। অপর দিকে বিদেশি ঋণনির্ভরতা কমিয়ে রাখা হয়েছে ৮৬ হাজার কোটি টাকায়—এখানেও ১৪ হাজার কোটির ঘাটতি এসেছে আগের বছরের বরাদ্দের তুলনায়।
বিশ্বব্যাংকের ঢাকা অফিসের সাবেক মুখ্য অর্থনীতিবিদ ড. জাহিদ হোসেন এই কৌশলগত কাটছাঁটকে সময়োপযোগী পদক্ষেপ হিসেবে দেখছেন। তাঁর ভাষায়, ‘যত বড় বাজেট করা হোক, যদি বাস্তবায়ন না করা হয়, তাহলে তা শুধু কাগজে থেকে যায়। এডিপির এই নতুন কাঠামো বাস্তববাদী ও কাঙ্ক্ষিত। এর মাধ্যমে অকার্যকর প্রকল্পের সংখ্যা কমে আসবে।’
সিপিডির বিশেষ ফেলো ড. মোস্তাফিজুর রহমান মনে করেন, এডিপির আকার ছোট হলেও সঠিক বাস্তবায়নের মাধ্যমে এর কার্যকারিতা আগের চেয়ে বেশি হতে পারে। তিনি বলেন, ‘গত বছরের মতো যদি অতিরিক্ত ব্যয় ও প্রকল্প-সংশ্লিষ্ট অকার্যকর খরচ কমানো যায়, তাহলে এ বরাদ্দই যথেষ্ট হবে। বিশেষ করে বিদেশি ঋণনির্ভর প্রকল্পে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে হবে।’
প্রকল্প বরাদ্দের তালিকায় দেখা যাচ্ছে, বেশ কয়েকটি বিভাগে চাহিদার চেয়ে কম বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। স্থানীয় সরকার বিভাগ ৪৬ হাজার ৪৫২ কোটি টাকার চাহিদা দিলেও পাচ্ছে ৪০ হাজার ২৩ কোটি। সড়ক ও মহাসড়ক বিভাগের বরাদ্দ ৩৫ হাজার ৭৩৩ কোটি টাকা চাহিদার বিপরীতে নামছে ৩১ হাজার ৮২৮ কোটিতে। যদিও বিদ্যুৎ বিভাগ কিছুটা বাড়তি বরাদ্দ পাচ্ছে—১৮ হাজার ৮১৪ কোটি টাকা চাহিদার বিপরীতে বরাদ্দ হচ্ছে ২০ হাজার ৯০৬ কোটি। রেলপথ মন্ত্রণালয় পাচ্ছে ১০ হাজার ৯৮ কোটি, স্বাস্থ্য খাত ৭ হাজার ৭৩৪ কোটি এবং পানিসম্পদ মন্ত্রণালয় পাচ্ছে ৮ হাজার ৪৭৩ কোটি টাকা।
প্রসঙ্গত, চলতি অর্থবছরের মার্চ পর্যন্ত ৯ মাসে বার্ষিক উন্নয়ন বাজেটের মাত্র ৩৬ দশমিক ৬৫ শতাংশ অর্থ ছাড় করা হয়েছে, যা গত ছয় বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন। এই বাস্তবতা মাথায় রেখে এবারের বাজেটে শুধু বরাদ্দ নয়, বাস্তবায়নের গুণগত মান বাড়ানোর দিকে নজর দিতে চায় সরকার।
অন্তর্বর্তী সরকারের এই সাবধানী বাজেট পরিকল্পনা হয়তো উন্নয়নের গতিকে শ্লথ করবে, কিন্তু অর্থনৈতিক চাপের সময় এ রকম সংযত পদক্ষেপ হতে পারে টেকসই উত্তরণের ভিত্তি।
হংকংয়ের একটি বিউটি সেলুনের মালিক ক্রিস্টাল এনজি এইচএসবিসি ও ডাহ সিং ব্যাংকে অ্যাকাউন্ট খোলার আবেদন করলে তা প্রত্যাখ্যাত হয়। তিনি জানান, ২০২৩ সালের শেষদিকে যখন তিনি নতুন অফিসে স্থানান্তর করেন, তখন ব্যাংকগুলোর একটির মাধ্যমে জানতে পারেন, তার নতুন ঠিকানাটি যুক্তরাষ্ট্রের এনটিটি তালিকাভুক্ত। ওই ঠিকানার..
৫ ঘণ্টা আগেআদানি গ্রুপ আগে বলেছিল, প্রকল্পটি মূল্যায়ন করা হচ্ছে, কিন্তু এখন ভারতীয় এই সংস্থার অভ্যন্তরীণ মূল্যায়নে দেখা গেছে, এই ব্যবসা থেকে কতটা চাহিদা তৈরি হবে, বিশেষ করে ভারতের বাজারে, সে সম্পর্কে এখনো অনিশ্চয়তা রয়েছে। এরপরই টাওয়ারের সঙ্গে আলোচনা স্থগিত করা হয়েছে বলে একটি সূত্র রয়টার্সকে জানিয়েছে।
৬ ঘণ্টা আগেতিন বছরের মধ্যে প্রথমবারের মতো যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতি সংকুচিত হওয়ার খবর প্রকাশের পর বিশ্ববাজারে তেলের দামে বড় ধরনের ধস নেমেছে। সৌদি আরবের সরবরাহ বৃদ্ধির ইঙ্গিতও এই দরপতনে প্রভাব ফেলেছে বলে বিশ্লেষকদের ধারণা।
১ দিন আগেকর দিতে গিয়েও দিতে হয় ঘুষ—শিল্পমালিকদের এই বিস্ফোরক ক্ষোভ এখন আর কানে কানে বলা গুঞ্জন নয়, বরং অর্থনীতির কেন্দ্রবিন্দুতে প্রকাশ্য প্রতিবাদ। নিয়মিত করদাতারা পাচ্ছেন না ন্যায্য সম্মান, বরং তাঁদের ঘাড়ে চাপছে অতিরিক্ত বোঝা। উৎপাদনে ব্যবহৃত গ্যাস-বিদ্যুৎ নেই, অথচ কর চাই নিরবচ্ছিন্নভাবে। বিনিয়োগ থমকে...
২ দিন আগে