জয়নাল আবেদীন খান, ঢাকা
কৃষকদের জন্য সহজ ও দালালমুক্ত ঋণ নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ ব্যাংক সম্প্রতি মাইক্রোফাইন্যান্স ইনস্টিটিউটকে (এমএফআই) ক্রেডিট ইনফরমেশন ব্যুরো (সিআইবি) যাচাই ছাড়াই সর্বোচ্চ আড়াই লাখ টাকা পর্যন্ত ঋণ বিতরণের সুযোগ দিয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর ১২ আগস্ট কৃষিঋণ ঘোষণা অনুষ্ঠানে বলেন, কৃষকের ঋণপ্রক্রিয়া সহজ করতে এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। তবে সিআইবি যাচাই শিথিলের এই উদ্যোগ কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কৃষি ঋণ বিভাগে নতুন বিতর্কের জন্ম দিয়েছে।
বিতর্কের মূল উৎপত্তি শর্ত শিথিলের পর ঋণ বিতরণ কার্যক্রমে দেখা কিছু নতুন সমস্যার কারণে। সিআইবি যাচাই ছাড়া ঋণ দেওয়ার সুযোগ তৈরি হওয়ায় সংঘবদ্ধ খেলাপি চক্র ঋণ ভাগাভাগি করে নেওয়ার সুযোগ পাচ্ছেন এবং প্রকৃত কৃষকের ঋণ থেকে বঞ্চিত হওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হচ্ছে। বাংলাদেশ ব্যাংক চলতি অর্থবছরে ৩৯ হাজার কোটি টাকা কৃষি ও পল্লি ঋণ বিতরণের লক্ষ্য রেখেছে। ব্যাংকগুলোকে ন্যূনতম ৫০ শতাংশ ঋণ নিজস্ব নেটওয়ার্কের মাধ্যমে বিতরণ করতে হবে, বাকি ঋণ এমএফআই ও ক্ষুদ্রঋণ প্রতিষ্ঠানগুলোর মাধ্যমে বিতরণ করা হবে। কিন্তু সিআইবি ডেটাবেইস না থাকায় খেলাপিরা আড়াই লাখ টাকা পর্যন্ত ঋণ হাতিয়ে নিচ্ছেন।
এমআরএর হিসাব অনুযায়ী, ২০২২-২৩ অর্থবছরে দেশে ২ লাখ ৮৬ হাজার ১৭৪ কোটি টাকার ক্ষুদ্রঋণ বিতরণ করা হয়েছিল, যার সিআইবি যাচাই হয়নি। ফলে অনেক খেলাপি ঋণ নিয়ে তা পরিশোধ না করেও অন্য কাজে ব্যবহার করেছেন। সিস্টেমের শিথিলতার কারণে ছোট ঋণগ্রহীতারাও একাধিক প্রতিষ্ঠান থেকে ঋণ নেওয়ার সুযোগ পেয়েছেন। কৃষি ঋণ বিভাগের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এমএফআইগুলোর সতর্কতা সত্ত্বেও খেলাপিরা সহজে ঋণ পেতে পারেন। ফলে আগের বকেয়া ঋণ পরিশোধে আগ্রহ কমে যাচ্ছে এবং এই অর্থ কৃষির পরিবর্তে অন্যত্র পাচারের শঙ্কা তৈরি হয়েছে। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এতে ব্যাংকগুলোর ঋণ আদায়ে দীর্ঘসূত্রতা ও নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে।
কৃষি অর্থনীতিবিদ ড. জাহাঙ্গীর আলম আজকের পত্রিকা'কে বলেন, প্রকৃত কৃষক ঋণ থেকে বঞ্চিত হলে খাদ্য উৎপাদন কমবে, পণ্যের সরবরাহ সংকুচিত হবে এবং মূল্যস্ফীতি বাড়বে। অনেক কৃষক শহরে চলে গেলে দেশের কৃষিক্ষেত্র বিপন্ন হবে। তিনি সতর্ক করে বলেছেন, দালাল ও রাজনৈতিক প্রভাব ব্যবহার করে ঋণ নেওয়ার প্রবণতা বেড়ে গেছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সহকারী মুখপাত্র মোহাম্মদ শাহরিয়ার সিদ্দিকী জানিয়েছেন, ছোট কৃষকদের ঋণ সুবিধা বাড়াতে আড়াই লাখ টাকা পর্যন্ত ঋণের সিআইবি যাচাই শিথিল করা হয়েছে। একই সঙ্গে দালাল চক্রের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু হয়েছে। তবে এমআরএর সিআইবি ডেটা এখনো প্রস্তুত নয়, যার ফলে কিছু খেলাপি গ্রাহকের কাছে ঋণ পাওয়ার সুযোগ রয়েছে। তিনি উল্লেখ করেছেন, এমএফআইগুলোর উচিত সতর্ক থাকা এবং ঋণ বিতরণে নজরদারি চালানো।
এমআরএর ভাইস চেয়ারম্যান অধ্যাপক মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন বলেন, ডিসেম্বরে সিআইবি ডেটাবেইস তৈরি হবে। এর আগে খেলাপিদের কার্যক্রম নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন। গ্রামীণ কৃষকেরা জানিয়েছেন, ঋণ পেতে দালাল বা রাজনৈতিক প্রভাব ব্যবহার হয়। গাজীপুরের কৃষক আব্দুর রাজ্জাক বলেন, এতে ঋণের খরচ বেড়ে যায় এবং প্রকৃত কৃষক ঋণ থেকে বঞ্চিত হন।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পূর্ববর্তী প্রজ্ঞাপনে আড়াই লাখ টাকা পর্যন্ত ঋণে সিআইবি যাচাই শিথিল করার ইতিহাস রয়েছে। ২০১৬-১৭ এবং ২০১৯-২০ অর্থবছরেও এমন শিথিলতা ছিল। তবে এবারও সতর্কতা ও মনিটরিং ছাড়া ঋণ বিতরণ খেলাপিদের জন্য সুবিধাজনক হয়ে উঠেছে।
কৃষকদের জন্য সহজ ও দালালমুক্ত ঋণ নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ ব্যাংক সম্প্রতি মাইক্রোফাইন্যান্স ইনস্টিটিউটকে (এমএফআই) ক্রেডিট ইনফরমেশন ব্যুরো (সিআইবি) যাচাই ছাড়াই সর্বোচ্চ আড়াই লাখ টাকা পর্যন্ত ঋণ বিতরণের সুযোগ দিয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর ১২ আগস্ট কৃষিঋণ ঘোষণা অনুষ্ঠানে বলেন, কৃষকের ঋণপ্রক্রিয়া সহজ করতে এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। তবে সিআইবি যাচাই শিথিলের এই উদ্যোগ কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কৃষি ঋণ বিভাগে নতুন বিতর্কের জন্ম দিয়েছে।
বিতর্কের মূল উৎপত্তি শর্ত শিথিলের পর ঋণ বিতরণ কার্যক্রমে দেখা কিছু নতুন সমস্যার কারণে। সিআইবি যাচাই ছাড়া ঋণ দেওয়ার সুযোগ তৈরি হওয়ায় সংঘবদ্ধ খেলাপি চক্র ঋণ ভাগাভাগি করে নেওয়ার সুযোগ পাচ্ছেন এবং প্রকৃত কৃষকের ঋণ থেকে বঞ্চিত হওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হচ্ছে। বাংলাদেশ ব্যাংক চলতি অর্থবছরে ৩৯ হাজার কোটি টাকা কৃষি ও পল্লি ঋণ বিতরণের লক্ষ্য রেখেছে। ব্যাংকগুলোকে ন্যূনতম ৫০ শতাংশ ঋণ নিজস্ব নেটওয়ার্কের মাধ্যমে বিতরণ করতে হবে, বাকি ঋণ এমএফআই ও ক্ষুদ্রঋণ প্রতিষ্ঠানগুলোর মাধ্যমে বিতরণ করা হবে। কিন্তু সিআইবি ডেটাবেইস না থাকায় খেলাপিরা আড়াই লাখ টাকা পর্যন্ত ঋণ হাতিয়ে নিচ্ছেন।
এমআরএর হিসাব অনুযায়ী, ২০২২-২৩ অর্থবছরে দেশে ২ লাখ ৮৬ হাজার ১৭৪ কোটি টাকার ক্ষুদ্রঋণ বিতরণ করা হয়েছিল, যার সিআইবি যাচাই হয়নি। ফলে অনেক খেলাপি ঋণ নিয়ে তা পরিশোধ না করেও অন্য কাজে ব্যবহার করেছেন। সিস্টেমের শিথিলতার কারণে ছোট ঋণগ্রহীতারাও একাধিক প্রতিষ্ঠান থেকে ঋণ নেওয়ার সুযোগ পেয়েছেন। কৃষি ঋণ বিভাগের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এমএফআইগুলোর সতর্কতা সত্ত্বেও খেলাপিরা সহজে ঋণ পেতে পারেন। ফলে আগের বকেয়া ঋণ পরিশোধে আগ্রহ কমে যাচ্ছে এবং এই অর্থ কৃষির পরিবর্তে অন্যত্র পাচারের শঙ্কা তৈরি হয়েছে। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এতে ব্যাংকগুলোর ঋণ আদায়ে দীর্ঘসূত্রতা ও নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে।
কৃষি অর্থনীতিবিদ ড. জাহাঙ্গীর আলম আজকের পত্রিকা'কে বলেন, প্রকৃত কৃষক ঋণ থেকে বঞ্চিত হলে খাদ্য উৎপাদন কমবে, পণ্যের সরবরাহ সংকুচিত হবে এবং মূল্যস্ফীতি বাড়বে। অনেক কৃষক শহরে চলে গেলে দেশের কৃষিক্ষেত্র বিপন্ন হবে। তিনি সতর্ক করে বলেছেন, দালাল ও রাজনৈতিক প্রভাব ব্যবহার করে ঋণ নেওয়ার প্রবণতা বেড়ে গেছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সহকারী মুখপাত্র মোহাম্মদ শাহরিয়ার সিদ্দিকী জানিয়েছেন, ছোট কৃষকদের ঋণ সুবিধা বাড়াতে আড়াই লাখ টাকা পর্যন্ত ঋণের সিআইবি যাচাই শিথিল করা হয়েছে। একই সঙ্গে দালাল চক্রের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু হয়েছে। তবে এমআরএর সিআইবি ডেটা এখনো প্রস্তুত নয়, যার ফলে কিছু খেলাপি গ্রাহকের কাছে ঋণ পাওয়ার সুযোগ রয়েছে। তিনি উল্লেখ করেছেন, এমএফআইগুলোর উচিত সতর্ক থাকা এবং ঋণ বিতরণে নজরদারি চালানো।
এমআরএর ভাইস চেয়ারম্যান অধ্যাপক মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন বলেন, ডিসেম্বরে সিআইবি ডেটাবেইস তৈরি হবে। এর আগে খেলাপিদের কার্যক্রম নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন। গ্রামীণ কৃষকেরা জানিয়েছেন, ঋণ পেতে দালাল বা রাজনৈতিক প্রভাব ব্যবহার হয়। গাজীপুরের কৃষক আব্দুর রাজ্জাক বলেন, এতে ঋণের খরচ বেড়ে যায় এবং প্রকৃত কৃষক ঋণ থেকে বঞ্চিত হন।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পূর্ববর্তী প্রজ্ঞাপনে আড়াই লাখ টাকা পর্যন্ত ঋণে সিআইবি যাচাই শিথিল করার ইতিহাস রয়েছে। ২০১৬-১৭ এবং ২০১৯-২০ অর্থবছরেও এমন শিথিলতা ছিল। তবে এবারও সতর্কতা ও মনিটরিং ছাড়া ঋণ বিতরণ খেলাপিদের জন্য সুবিধাজনক হয়ে উঠেছে।
গত সপ্তাহে দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) ব্যাপক দরপতন হয়েছে। সপ্তাহজুড়ে মূল্যবৃদ্ধির তুলনায় দরপতন হয়েছে প্রায় ছয় গুণ বেশি। এমন ঢালাও পতনে সূচকের পাশাপাশি বাজার মূলধন কমেছে প্রায় ১৮ হাজার কোটি টাকা। কমেছে দৈনিক গড় লেনদেনের পরিমাণও।
২ ঘণ্টা আগেদেশে ইলিশ উৎপাদন ও সরবরাহ বাড়িয়ে বাজারে দাম সাধারণের নাগালের মধ্যে রাখার লক্ষ্য নিয়েই সরকার ২০১৯-২০ অর্থবছরে হাতে নেয় ‘ইলিশ সম্পদ উন্নয়ন ও ব্যবস্থাপনা’ প্রকল্প। তখন দেশে ইলিশের বার্ষিক উৎপাদন ছিল প্রায় ৫ লাখ ৫০ হাজার টন।
২ ঘণ্টা আগেহযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজ এলাকায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় কাস্টমসের ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণে ৫ সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে। আজ শনিবার (১৮ অক্টোবর) রাতে অর্থ মন্ত্রণালয়ের অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগ (আইআরডি) থেকে এ কমিটি গঠন করা হয়।
৬ ঘণ্টা আগেহজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ক্ষতির পরিমাণ জানার চেষ্টা করছেন রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানের সংগঠনগুলো। এরই মধ্যে তাঁরা স্ব-স্ব সদস্যদের নির্ধারিত ফরম্যাটে ক্ষতি হওয়া পণ্যের তালিকা দিতে চিঠি দিয়েছে। এক দুদিনের মধ্যেই কার্গো ভিলেজে কি পরিমাণ পণ্য ছিল তার সঠিক তথ্য
৯ ঘণ্টা আগে