আরিফুজ্জামান তুহিন, ঢাকা

গত মাসের শুরুর দিকে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের (বিইআরসি) কাছে দেশের শিল্পকলকারখানার পাইকারি গ্যাসের দাম বাড়ানোর প্রস্তাব করে পেট্রোবাংলা। এরপর খুচরা গ্রাহক পর্যায়ে গ্যাস সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান তিতাস গ্যাসসহ দেশের ছয়টি বিতরণ সংস্থা গ্যাসের দাম বাড়ানোর আবেদন করে। এতে শিল্পের প্রতি ঘনমিটার গ্যাসের দাম ৩০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৭৫ টাকা ৭২ পয়সা এবং শিল্পে ব্যবহৃত নিজস্ব বিদ্যুৎকেন্দ্রের বা ক্যাপটিভের গ্যাসের দাম ৩১ টাকা ৫০ পয়সা থেকে বাড়িয়ে ৭৫ টাকা ৭২ পয়সা করার প্রস্তাব করে তারা। এ আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ২৬ ফেব্রুয়ারি সকালে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি) মিলনায়তনে গ্যাসের দাম বাড়ানোর ব্যাপারে উন্মুক্ত গণশুনানির আয়োজন করেছে বিইআরসি। শিল্প খাতসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, গ্যাস বিতরণ কোম্পানির প্রস্তাব অনুযায়ী ১০০ শতাংশের বেশি দাম বাড়লে আগে থেকে চাপা থাকা অর্থনীতি আরও সংকটে পড়বে। রপ্তানি আয়ের ওপর পড়তে পারে প্রভাব। এ ছাড়া দেশের ভেতর পণ্যের দাম বেড়ে যাবে, যা শেষ পর্যন্ত সাধারণ ভোক্তার পকেট কাটবে।
বিইআরসি সূত্রে জানা গেছে, প্রথমে পেট্রোবাংলার পাইকারি গ্যাসের ওপর গণশুনানি করা হবে। এরপর তিতাস গ্যাস, কুমিল্লা অঞ্চলের বাখরাবাদ গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড, সিলেট বিভাগের জালালাবাদ গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন সিস্টেম লিমিটেড, রাজশাহী, সিরাজগঞ্জ, পাবনা ও বগুড়ার পশ্চিমাঞ্চল গ্যাস কোম্পানি লিমিটেড, চট্টগ্রাম অঞ্চলের কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড, খুলনা ও বরিশাল অঞ্চলের সুন্দরবন গ্যাস কোম্পানি লিমিটেড কোম্পানির প্রস্তাবের ওপর গণশুনানি হবে। তবে প্রতিটি কোম্পানিই গ্যাসের দাম বাড়ানোর অভিন্ন প্রস্তাব দিয়েছে। তবে এবার বাসাবাড়িতে ব্যবহৃত চুলার গ্যাসের দাম বাড়ছে না। এ ছাড়া বিদ্যুৎকেন্দ্রে ব্যবহৃত গ্যাসের দাম বাড়ানোরও প্রস্তাবে রাখা হয়নি।
এর আগে গ্যাসের সংকট সমাধান করে নিরবচ্ছিন্ন সরবরাহের আশ্বাস দিয়ে দুই বছর আগে শিল্পে গ্যাসের দাম ১৫০ থেকে ১৭৮ শতাংশ পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছিল। দাম বাড়লেও গ্যাসের সংকট কাটেনি। শিল্প এলাকায় গ্যাসের স্বল্প চাপের অভিযোগ শিল্পমালিকদের। এ ছাড়া বাসাবাড়িতে গ্যাস মেলে না এ অভিযোগ তো রয়েছেই।
এবারও দাম বাড়ানোর প্রস্তাব নিয়ে যুক্তি দেখানো হয়েছে, যদি গ্যাসের দাম না বাড়ানো হয়, তাহলে তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস আমদানি করতে গিয়ে চলতি বছরে সরকারের ভর্তুকি দিতে হবে ২২ হাজার ৩১৫ কোটি টাকা।
এলএনজির চাপেই বাড়ছে লোকসান: পেট্রোবাংলা দেশে দৈনিক গ্যাস সরবরাহ করে ২৫০ কোটি ঘনফুট থেকে ২৭০ কোটি ঘনফুট। এর মধ্যে বিদেশ থেকে আনা এলএনজি দৈনিক সরবরাহ করা হয় মোট গ্যাসের ২৫ শতাংশ। যদিও দৈনিক সর্বোচ্চ ১০০ কোটি ঘনফুট এলএনজি সরবরাহের সক্ষমতা রয়েছে দেশে দুটি ভাসমান এলএনজি টার্মিনালের।
পেট্রোবাংলা তাদের প্রস্তাবে বলেছে, গত জানুয়ারি থেকে আগামী জুন পর্যন্ত ১০১টি এলএনজি কার্গো আমদানি করলে বিদ্যমান দামে লোকসান যাবে ১৬ হাজার ১৬২ কোটি টাকা। আর চলতি ২০২৫ সালে ১১৫টি এলএনজি কার্গো আমদানি করলে লোকসানের পরিমাণ দাঁড়াবে ২২ হাজার ৩১৫ কোটি টাকা। ২০২৪ সালের জুলাই থেকে ওই বছরের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত গড় এলএনজি আমদানির খরচ প্রতি ঘন মিটারে পড়েছে ৬৩ টাকা ৫৮ পয়সা। এর সঙ্গে মূল্য সংযোজন কর (মূসক) ৯ টাকা ৮৮ পয়সাসহ আটটি বিভিন্ন পর্যায়ের মার্জিন ও তহবিল যোগ করলে প্রতি ঘনমিটার এলএনজির আমদানির ব্যয় পড়েছে ওই তিন মাসে ৭৫ টাকা ৭২ পয়সা। গত বছরের জুলাই থেকে গত জানুয়ারি পর্যন্ত এলএনজি আমদানি করতে সরকারের ব্যয় হয়েছে ২৪ হাজার ৭০৪ কোটি টাকা। আগামী জুন পর্যন্ত ব্যয় হবে আরও ১৯ হাজার ১৬৮ কোটি টাকা।
পেট্রোবাংলার কর্মকর্তারা বলছেন, দীর্ঘমেয়াদি চুক্তির আওতায় এলএনজি যা কেনা হচ্ছে, তার দাম পড়ছে গড়ে সাড়ে ১০ ডলার। অন্যদিকে স্পট মার্কেট থেকে এলএনজি কেনা হচ্ছে গড়ে ১৩ থেকে প্রায় ১৪ ডলার দামে। অক্টোবর থেকে গত জানুয়ারি পর্যন্ত স্পট এলএনজি কেনা হয়েছে ১৪ কার্গো। একই সময় দীর্ঘমেয়াদি চুক্তির আওতায় কাতার ও ওমান থেকে কেনা হয়েছে ১৮ কার্গো এলএনজি। যখন এলএনজির দাম বেড়ে যায় তখন দীর্ঘমেয়াদি চুক্তির আওতায় সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানগুলো নানা ছুতোয় এলএনজি সরবরাহ কমিয়ে দেয়।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দেশে ডলারের রিজার্ভে খরা চলছে। এই অবস্থার মধ্যেও জরুরি জ্বালানি সরবরাহ অব্যাহত রাখতে এলএনজি আমদানি করতে গিয়ে বছরে ৪৫ থেকে ৫০ হাজার কোটি টাকা ব্যয় হয়ে যাচ্ছে। এই ব্যয় ওঠাতে সরকার গ্যাসের দাম বাড়ানোর চেষ্টা করছে, যা চাপে থাকা শিল্পকলকারখানার উৎপাদন ব্যয় বাড়িয়ে দেবে, পণ্যের দাম বাড়বে। এতে জনসাধারণের ওপর বাড়তি চাপ পড়বে। দেশীয় গ্যাস উত্তোলনের পরিকল্পনা বড় আকারে না নিলে এলএনজির ওপর নির্ভরতা কমবে না বলেও তাঁদের মত। এতে দেশের বাজারে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়বে গ্যাসের দাম।
প্রস্তাবেও ফাঁকি আছে: পেট্রোবাংলা দাবি করেছে যে তারা চলতি বছরের ১১৫টি কার্গো এলএনজি কিনবে, এতে লোকসানের পরিমাণ দাঁড়াবে ২২ হাজার ৩১৫ কোটি টাকা। এই প্রাক্কলন অতিরিক্ত বলে মনে করেন খোদ পেট্রোবাংলার দুই কর্মকর্তা। তাঁরা পরিচয় গোপন রাখার শর্তে আজকের পত্রিকাকে বলেন, গ্যাসের দাম বাড়াতে এলএনজিকে অজুহাত হিসেবে দেখানো হয়। পেট্রোবাংলা কখনোই ১১৫টি এলএনজি কার্গো আমদানি করবে না। কিন্তু গ্যাসের দাম বাড়ানোর সময় এলএনজির যে কল্পিত প্রাক্কলন করা হয়, তার হিসাবেই গ্যাসের দাম বাড়ানো হয়। বাস্তবে ওই পরিমাণ এলএনজি আমদানি করা হয় না।
দুই কর্মকর্তা বলছেন, ২০১৯ সালে দৈনিক ৮৫ কোটি ঘনফুট এলএনজি সরবরাহের কথা বলে দাম বাড়ানো হয়, অথচ এসেছিল দৈনিক ৫৬ কোটি ঘনফুট। ২০২২ সালে দৈনিক ৬৯ কোটি ঘনফুট এলএনজি আমদানির কথা বলে গ্যাসের দাম বাড়ানো হলেও দৈনিক আসে ৬৫ কোটি ঘনফুট। ২০২৩ সালের জানুয়ারিতে শিল্পে গ্যাসের দাম ১৫০ শতাংশের বেশি বাড়ানো হয় সরকারের নির্বাহী আদেশে।
কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের জ্বালানি উপদেষ্টা অধ্যাপক এম শামসুল আলম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমাদের নিজেদের গ্যাস রয়েছে। এই গ্যাস উত্তোলনের বড় কোনো পরিকল্পনা নেই। আগের সরকার এলএনজি বিশেষত স্পট মার্কেটের এলএনজি কেনায় বেশি আগ্রহ ছিল, এই সরকারও তা-ই করছে। জ্বালানি নিরাপত্তা সংহত করতে হলে দেশি গ্যাসের উৎপাদন বাড়াতে হবে।’

গত মাসের শুরুর দিকে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের (বিইআরসি) কাছে দেশের শিল্পকলকারখানার পাইকারি গ্যাসের দাম বাড়ানোর প্রস্তাব করে পেট্রোবাংলা। এরপর খুচরা গ্রাহক পর্যায়ে গ্যাস সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান তিতাস গ্যাসসহ দেশের ছয়টি বিতরণ সংস্থা গ্যাসের দাম বাড়ানোর আবেদন করে। এতে শিল্পের প্রতি ঘনমিটার গ্যাসের দাম ৩০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৭৫ টাকা ৭২ পয়সা এবং শিল্পে ব্যবহৃত নিজস্ব বিদ্যুৎকেন্দ্রের বা ক্যাপটিভের গ্যাসের দাম ৩১ টাকা ৫০ পয়সা থেকে বাড়িয়ে ৭৫ টাকা ৭২ পয়সা করার প্রস্তাব করে তারা। এ আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ২৬ ফেব্রুয়ারি সকালে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি) মিলনায়তনে গ্যাসের দাম বাড়ানোর ব্যাপারে উন্মুক্ত গণশুনানির আয়োজন করেছে বিইআরসি। শিল্প খাতসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, গ্যাস বিতরণ কোম্পানির প্রস্তাব অনুযায়ী ১০০ শতাংশের বেশি দাম বাড়লে আগে থেকে চাপা থাকা অর্থনীতি আরও সংকটে পড়বে। রপ্তানি আয়ের ওপর পড়তে পারে প্রভাব। এ ছাড়া দেশের ভেতর পণ্যের দাম বেড়ে যাবে, যা শেষ পর্যন্ত সাধারণ ভোক্তার পকেট কাটবে।
বিইআরসি সূত্রে জানা গেছে, প্রথমে পেট্রোবাংলার পাইকারি গ্যাসের ওপর গণশুনানি করা হবে। এরপর তিতাস গ্যাস, কুমিল্লা অঞ্চলের বাখরাবাদ গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড, সিলেট বিভাগের জালালাবাদ গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন সিস্টেম লিমিটেড, রাজশাহী, সিরাজগঞ্জ, পাবনা ও বগুড়ার পশ্চিমাঞ্চল গ্যাস কোম্পানি লিমিটেড, চট্টগ্রাম অঞ্চলের কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড, খুলনা ও বরিশাল অঞ্চলের সুন্দরবন গ্যাস কোম্পানি লিমিটেড কোম্পানির প্রস্তাবের ওপর গণশুনানি হবে। তবে প্রতিটি কোম্পানিই গ্যাসের দাম বাড়ানোর অভিন্ন প্রস্তাব দিয়েছে। তবে এবার বাসাবাড়িতে ব্যবহৃত চুলার গ্যাসের দাম বাড়ছে না। এ ছাড়া বিদ্যুৎকেন্দ্রে ব্যবহৃত গ্যাসের দাম বাড়ানোরও প্রস্তাবে রাখা হয়নি।
এর আগে গ্যাসের সংকট সমাধান করে নিরবচ্ছিন্ন সরবরাহের আশ্বাস দিয়ে দুই বছর আগে শিল্পে গ্যাসের দাম ১৫০ থেকে ১৭৮ শতাংশ পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছিল। দাম বাড়লেও গ্যাসের সংকট কাটেনি। শিল্প এলাকায় গ্যাসের স্বল্প চাপের অভিযোগ শিল্পমালিকদের। এ ছাড়া বাসাবাড়িতে গ্যাস মেলে না এ অভিযোগ তো রয়েছেই।
এবারও দাম বাড়ানোর প্রস্তাব নিয়ে যুক্তি দেখানো হয়েছে, যদি গ্যাসের দাম না বাড়ানো হয়, তাহলে তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস আমদানি করতে গিয়ে চলতি বছরে সরকারের ভর্তুকি দিতে হবে ২২ হাজার ৩১৫ কোটি টাকা।
এলএনজির চাপেই বাড়ছে লোকসান: পেট্রোবাংলা দেশে দৈনিক গ্যাস সরবরাহ করে ২৫০ কোটি ঘনফুট থেকে ২৭০ কোটি ঘনফুট। এর মধ্যে বিদেশ থেকে আনা এলএনজি দৈনিক সরবরাহ করা হয় মোট গ্যাসের ২৫ শতাংশ। যদিও দৈনিক সর্বোচ্চ ১০০ কোটি ঘনফুট এলএনজি সরবরাহের সক্ষমতা রয়েছে দেশে দুটি ভাসমান এলএনজি টার্মিনালের।
পেট্রোবাংলা তাদের প্রস্তাবে বলেছে, গত জানুয়ারি থেকে আগামী জুন পর্যন্ত ১০১টি এলএনজি কার্গো আমদানি করলে বিদ্যমান দামে লোকসান যাবে ১৬ হাজার ১৬২ কোটি টাকা। আর চলতি ২০২৫ সালে ১১৫টি এলএনজি কার্গো আমদানি করলে লোকসানের পরিমাণ দাঁড়াবে ২২ হাজার ৩১৫ কোটি টাকা। ২০২৪ সালের জুলাই থেকে ওই বছরের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত গড় এলএনজি আমদানির খরচ প্রতি ঘন মিটারে পড়েছে ৬৩ টাকা ৫৮ পয়সা। এর সঙ্গে মূল্য সংযোজন কর (মূসক) ৯ টাকা ৮৮ পয়সাসহ আটটি বিভিন্ন পর্যায়ের মার্জিন ও তহবিল যোগ করলে প্রতি ঘনমিটার এলএনজির আমদানির ব্যয় পড়েছে ওই তিন মাসে ৭৫ টাকা ৭২ পয়সা। গত বছরের জুলাই থেকে গত জানুয়ারি পর্যন্ত এলএনজি আমদানি করতে সরকারের ব্যয় হয়েছে ২৪ হাজার ৭০৪ কোটি টাকা। আগামী জুন পর্যন্ত ব্যয় হবে আরও ১৯ হাজার ১৬৮ কোটি টাকা।
পেট্রোবাংলার কর্মকর্তারা বলছেন, দীর্ঘমেয়াদি চুক্তির আওতায় এলএনজি যা কেনা হচ্ছে, তার দাম পড়ছে গড়ে সাড়ে ১০ ডলার। অন্যদিকে স্পট মার্কেট থেকে এলএনজি কেনা হচ্ছে গড়ে ১৩ থেকে প্রায় ১৪ ডলার দামে। অক্টোবর থেকে গত জানুয়ারি পর্যন্ত স্পট এলএনজি কেনা হয়েছে ১৪ কার্গো। একই সময় দীর্ঘমেয়াদি চুক্তির আওতায় কাতার ও ওমান থেকে কেনা হয়েছে ১৮ কার্গো এলএনজি। যখন এলএনজির দাম বেড়ে যায় তখন দীর্ঘমেয়াদি চুক্তির আওতায় সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানগুলো নানা ছুতোয় এলএনজি সরবরাহ কমিয়ে দেয়।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দেশে ডলারের রিজার্ভে খরা চলছে। এই অবস্থার মধ্যেও জরুরি জ্বালানি সরবরাহ অব্যাহত রাখতে এলএনজি আমদানি করতে গিয়ে বছরে ৪৫ থেকে ৫০ হাজার কোটি টাকা ব্যয় হয়ে যাচ্ছে। এই ব্যয় ওঠাতে সরকার গ্যাসের দাম বাড়ানোর চেষ্টা করছে, যা চাপে থাকা শিল্পকলকারখানার উৎপাদন ব্যয় বাড়িয়ে দেবে, পণ্যের দাম বাড়বে। এতে জনসাধারণের ওপর বাড়তি চাপ পড়বে। দেশীয় গ্যাস উত্তোলনের পরিকল্পনা বড় আকারে না নিলে এলএনজির ওপর নির্ভরতা কমবে না বলেও তাঁদের মত। এতে দেশের বাজারে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়বে গ্যাসের দাম।
প্রস্তাবেও ফাঁকি আছে: পেট্রোবাংলা দাবি করেছে যে তারা চলতি বছরের ১১৫টি কার্গো এলএনজি কিনবে, এতে লোকসানের পরিমাণ দাঁড়াবে ২২ হাজার ৩১৫ কোটি টাকা। এই প্রাক্কলন অতিরিক্ত বলে মনে করেন খোদ পেট্রোবাংলার দুই কর্মকর্তা। তাঁরা পরিচয় গোপন রাখার শর্তে আজকের পত্রিকাকে বলেন, গ্যাসের দাম বাড়াতে এলএনজিকে অজুহাত হিসেবে দেখানো হয়। পেট্রোবাংলা কখনোই ১১৫টি এলএনজি কার্গো আমদানি করবে না। কিন্তু গ্যাসের দাম বাড়ানোর সময় এলএনজির যে কল্পিত প্রাক্কলন করা হয়, তার হিসাবেই গ্যাসের দাম বাড়ানো হয়। বাস্তবে ওই পরিমাণ এলএনজি আমদানি করা হয় না।
দুই কর্মকর্তা বলছেন, ২০১৯ সালে দৈনিক ৮৫ কোটি ঘনফুট এলএনজি সরবরাহের কথা বলে দাম বাড়ানো হয়, অথচ এসেছিল দৈনিক ৫৬ কোটি ঘনফুট। ২০২২ সালে দৈনিক ৬৯ কোটি ঘনফুট এলএনজি আমদানির কথা বলে গ্যাসের দাম বাড়ানো হলেও দৈনিক আসে ৬৫ কোটি ঘনফুট। ২০২৩ সালের জানুয়ারিতে শিল্পে গ্যাসের দাম ১৫০ শতাংশের বেশি বাড়ানো হয় সরকারের নির্বাহী আদেশে।
কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের জ্বালানি উপদেষ্টা অধ্যাপক এম শামসুল আলম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমাদের নিজেদের গ্যাস রয়েছে। এই গ্যাস উত্তোলনের বড় কোনো পরিকল্পনা নেই। আগের সরকার এলএনজি বিশেষত স্পট মার্কেটের এলএনজি কেনায় বেশি আগ্রহ ছিল, এই সরকারও তা-ই করছে। জ্বালানি নিরাপত্তা সংহত করতে হলে দেশি গ্যাসের উৎপাদন বাড়াতে হবে।’
আরিফুজ্জামান তুহিন, ঢাকা

গত মাসের শুরুর দিকে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের (বিইআরসি) কাছে দেশের শিল্পকলকারখানার পাইকারি গ্যাসের দাম বাড়ানোর প্রস্তাব করে পেট্রোবাংলা। এরপর খুচরা গ্রাহক পর্যায়ে গ্যাস সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান তিতাস গ্যাসসহ দেশের ছয়টি বিতরণ সংস্থা গ্যাসের দাম বাড়ানোর আবেদন করে। এতে শিল্পের প্রতি ঘনমিটার গ্যাসের দাম ৩০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৭৫ টাকা ৭২ পয়সা এবং শিল্পে ব্যবহৃত নিজস্ব বিদ্যুৎকেন্দ্রের বা ক্যাপটিভের গ্যাসের দাম ৩১ টাকা ৫০ পয়সা থেকে বাড়িয়ে ৭৫ টাকা ৭২ পয়সা করার প্রস্তাব করে তারা। এ আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ২৬ ফেব্রুয়ারি সকালে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি) মিলনায়তনে গ্যাসের দাম বাড়ানোর ব্যাপারে উন্মুক্ত গণশুনানির আয়োজন করেছে বিইআরসি। শিল্প খাতসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, গ্যাস বিতরণ কোম্পানির প্রস্তাব অনুযায়ী ১০০ শতাংশের বেশি দাম বাড়লে আগে থেকে চাপা থাকা অর্থনীতি আরও সংকটে পড়বে। রপ্তানি আয়ের ওপর পড়তে পারে প্রভাব। এ ছাড়া দেশের ভেতর পণ্যের দাম বেড়ে যাবে, যা শেষ পর্যন্ত সাধারণ ভোক্তার পকেট কাটবে।
বিইআরসি সূত্রে জানা গেছে, প্রথমে পেট্রোবাংলার পাইকারি গ্যাসের ওপর গণশুনানি করা হবে। এরপর তিতাস গ্যাস, কুমিল্লা অঞ্চলের বাখরাবাদ গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড, সিলেট বিভাগের জালালাবাদ গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন সিস্টেম লিমিটেড, রাজশাহী, সিরাজগঞ্জ, পাবনা ও বগুড়ার পশ্চিমাঞ্চল গ্যাস কোম্পানি লিমিটেড, চট্টগ্রাম অঞ্চলের কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড, খুলনা ও বরিশাল অঞ্চলের সুন্দরবন গ্যাস কোম্পানি লিমিটেড কোম্পানির প্রস্তাবের ওপর গণশুনানি হবে। তবে প্রতিটি কোম্পানিই গ্যাসের দাম বাড়ানোর অভিন্ন প্রস্তাব দিয়েছে। তবে এবার বাসাবাড়িতে ব্যবহৃত চুলার গ্যাসের দাম বাড়ছে না। এ ছাড়া বিদ্যুৎকেন্দ্রে ব্যবহৃত গ্যাসের দাম বাড়ানোরও প্রস্তাবে রাখা হয়নি।
এর আগে গ্যাসের সংকট সমাধান করে নিরবচ্ছিন্ন সরবরাহের আশ্বাস দিয়ে দুই বছর আগে শিল্পে গ্যাসের দাম ১৫০ থেকে ১৭৮ শতাংশ পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছিল। দাম বাড়লেও গ্যাসের সংকট কাটেনি। শিল্প এলাকায় গ্যাসের স্বল্প চাপের অভিযোগ শিল্পমালিকদের। এ ছাড়া বাসাবাড়িতে গ্যাস মেলে না এ অভিযোগ তো রয়েছেই।
এবারও দাম বাড়ানোর প্রস্তাব নিয়ে যুক্তি দেখানো হয়েছে, যদি গ্যাসের দাম না বাড়ানো হয়, তাহলে তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস আমদানি করতে গিয়ে চলতি বছরে সরকারের ভর্তুকি দিতে হবে ২২ হাজার ৩১৫ কোটি টাকা।
এলএনজির চাপেই বাড়ছে লোকসান: পেট্রোবাংলা দেশে দৈনিক গ্যাস সরবরাহ করে ২৫০ কোটি ঘনফুট থেকে ২৭০ কোটি ঘনফুট। এর মধ্যে বিদেশ থেকে আনা এলএনজি দৈনিক সরবরাহ করা হয় মোট গ্যাসের ২৫ শতাংশ। যদিও দৈনিক সর্বোচ্চ ১০০ কোটি ঘনফুট এলএনজি সরবরাহের সক্ষমতা রয়েছে দেশে দুটি ভাসমান এলএনজি টার্মিনালের।
পেট্রোবাংলা তাদের প্রস্তাবে বলেছে, গত জানুয়ারি থেকে আগামী জুন পর্যন্ত ১০১টি এলএনজি কার্গো আমদানি করলে বিদ্যমান দামে লোকসান যাবে ১৬ হাজার ১৬২ কোটি টাকা। আর চলতি ২০২৫ সালে ১১৫টি এলএনজি কার্গো আমদানি করলে লোকসানের পরিমাণ দাঁড়াবে ২২ হাজার ৩১৫ কোটি টাকা। ২০২৪ সালের জুলাই থেকে ওই বছরের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত গড় এলএনজি আমদানির খরচ প্রতি ঘন মিটারে পড়েছে ৬৩ টাকা ৫৮ পয়সা। এর সঙ্গে মূল্য সংযোজন কর (মূসক) ৯ টাকা ৮৮ পয়সাসহ আটটি বিভিন্ন পর্যায়ের মার্জিন ও তহবিল যোগ করলে প্রতি ঘনমিটার এলএনজির আমদানির ব্যয় পড়েছে ওই তিন মাসে ৭৫ টাকা ৭২ পয়সা। গত বছরের জুলাই থেকে গত জানুয়ারি পর্যন্ত এলএনজি আমদানি করতে সরকারের ব্যয় হয়েছে ২৪ হাজার ৭০৪ কোটি টাকা। আগামী জুন পর্যন্ত ব্যয় হবে আরও ১৯ হাজার ১৬৮ কোটি টাকা।
পেট্রোবাংলার কর্মকর্তারা বলছেন, দীর্ঘমেয়াদি চুক্তির আওতায় এলএনজি যা কেনা হচ্ছে, তার দাম পড়ছে গড়ে সাড়ে ১০ ডলার। অন্যদিকে স্পট মার্কেট থেকে এলএনজি কেনা হচ্ছে গড়ে ১৩ থেকে প্রায় ১৪ ডলার দামে। অক্টোবর থেকে গত জানুয়ারি পর্যন্ত স্পট এলএনজি কেনা হয়েছে ১৪ কার্গো। একই সময় দীর্ঘমেয়াদি চুক্তির আওতায় কাতার ও ওমান থেকে কেনা হয়েছে ১৮ কার্গো এলএনজি। যখন এলএনজির দাম বেড়ে যায় তখন দীর্ঘমেয়াদি চুক্তির আওতায় সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানগুলো নানা ছুতোয় এলএনজি সরবরাহ কমিয়ে দেয়।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দেশে ডলারের রিজার্ভে খরা চলছে। এই অবস্থার মধ্যেও জরুরি জ্বালানি সরবরাহ অব্যাহত রাখতে এলএনজি আমদানি করতে গিয়ে বছরে ৪৫ থেকে ৫০ হাজার কোটি টাকা ব্যয় হয়ে যাচ্ছে। এই ব্যয় ওঠাতে সরকার গ্যাসের দাম বাড়ানোর চেষ্টা করছে, যা চাপে থাকা শিল্পকলকারখানার উৎপাদন ব্যয় বাড়িয়ে দেবে, পণ্যের দাম বাড়বে। এতে জনসাধারণের ওপর বাড়তি চাপ পড়বে। দেশীয় গ্যাস উত্তোলনের পরিকল্পনা বড় আকারে না নিলে এলএনজির ওপর নির্ভরতা কমবে না বলেও তাঁদের মত। এতে দেশের বাজারে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়বে গ্যাসের দাম।
প্রস্তাবেও ফাঁকি আছে: পেট্রোবাংলা দাবি করেছে যে তারা চলতি বছরের ১১৫টি কার্গো এলএনজি কিনবে, এতে লোকসানের পরিমাণ দাঁড়াবে ২২ হাজার ৩১৫ কোটি টাকা। এই প্রাক্কলন অতিরিক্ত বলে মনে করেন খোদ পেট্রোবাংলার দুই কর্মকর্তা। তাঁরা পরিচয় গোপন রাখার শর্তে আজকের পত্রিকাকে বলেন, গ্যাসের দাম বাড়াতে এলএনজিকে অজুহাত হিসেবে দেখানো হয়। পেট্রোবাংলা কখনোই ১১৫টি এলএনজি কার্গো আমদানি করবে না। কিন্তু গ্যাসের দাম বাড়ানোর সময় এলএনজির যে কল্পিত প্রাক্কলন করা হয়, তার হিসাবেই গ্যাসের দাম বাড়ানো হয়। বাস্তবে ওই পরিমাণ এলএনজি আমদানি করা হয় না।
দুই কর্মকর্তা বলছেন, ২০১৯ সালে দৈনিক ৮৫ কোটি ঘনফুট এলএনজি সরবরাহের কথা বলে দাম বাড়ানো হয়, অথচ এসেছিল দৈনিক ৫৬ কোটি ঘনফুট। ২০২২ সালে দৈনিক ৬৯ কোটি ঘনফুট এলএনজি আমদানির কথা বলে গ্যাসের দাম বাড়ানো হলেও দৈনিক আসে ৬৫ কোটি ঘনফুট। ২০২৩ সালের জানুয়ারিতে শিল্পে গ্যাসের দাম ১৫০ শতাংশের বেশি বাড়ানো হয় সরকারের নির্বাহী আদেশে।
কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের জ্বালানি উপদেষ্টা অধ্যাপক এম শামসুল আলম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমাদের নিজেদের গ্যাস রয়েছে। এই গ্যাস উত্তোলনের বড় কোনো পরিকল্পনা নেই। আগের সরকার এলএনজি বিশেষত স্পট মার্কেটের এলএনজি কেনায় বেশি আগ্রহ ছিল, এই সরকারও তা-ই করছে। জ্বালানি নিরাপত্তা সংহত করতে হলে দেশি গ্যাসের উৎপাদন বাড়াতে হবে।’

গত মাসের শুরুর দিকে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের (বিইআরসি) কাছে দেশের শিল্পকলকারখানার পাইকারি গ্যাসের দাম বাড়ানোর প্রস্তাব করে পেট্রোবাংলা। এরপর খুচরা গ্রাহক পর্যায়ে গ্যাস সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান তিতাস গ্যাসসহ দেশের ছয়টি বিতরণ সংস্থা গ্যাসের দাম বাড়ানোর আবেদন করে। এতে শিল্পের প্রতি ঘনমিটার গ্যাসের দাম ৩০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৭৫ টাকা ৭২ পয়সা এবং শিল্পে ব্যবহৃত নিজস্ব বিদ্যুৎকেন্দ্রের বা ক্যাপটিভের গ্যাসের দাম ৩১ টাকা ৫০ পয়সা থেকে বাড়িয়ে ৭৫ টাকা ৭২ পয়সা করার প্রস্তাব করে তারা। এ আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ২৬ ফেব্রুয়ারি সকালে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি) মিলনায়তনে গ্যাসের দাম বাড়ানোর ব্যাপারে উন্মুক্ত গণশুনানির আয়োজন করেছে বিইআরসি। শিল্প খাতসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, গ্যাস বিতরণ কোম্পানির প্রস্তাব অনুযায়ী ১০০ শতাংশের বেশি দাম বাড়লে আগে থেকে চাপা থাকা অর্থনীতি আরও সংকটে পড়বে। রপ্তানি আয়ের ওপর পড়তে পারে প্রভাব। এ ছাড়া দেশের ভেতর পণ্যের দাম বেড়ে যাবে, যা শেষ পর্যন্ত সাধারণ ভোক্তার পকেট কাটবে।
বিইআরসি সূত্রে জানা গেছে, প্রথমে পেট্রোবাংলার পাইকারি গ্যাসের ওপর গণশুনানি করা হবে। এরপর তিতাস গ্যাস, কুমিল্লা অঞ্চলের বাখরাবাদ গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড, সিলেট বিভাগের জালালাবাদ গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন সিস্টেম লিমিটেড, রাজশাহী, সিরাজগঞ্জ, পাবনা ও বগুড়ার পশ্চিমাঞ্চল গ্যাস কোম্পানি লিমিটেড, চট্টগ্রাম অঞ্চলের কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড, খুলনা ও বরিশাল অঞ্চলের সুন্দরবন গ্যাস কোম্পানি লিমিটেড কোম্পানির প্রস্তাবের ওপর গণশুনানি হবে। তবে প্রতিটি কোম্পানিই গ্যাসের দাম বাড়ানোর অভিন্ন প্রস্তাব দিয়েছে। তবে এবার বাসাবাড়িতে ব্যবহৃত চুলার গ্যাসের দাম বাড়ছে না। এ ছাড়া বিদ্যুৎকেন্দ্রে ব্যবহৃত গ্যাসের দাম বাড়ানোরও প্রস্তাবে রাখা হয়নি।
এর আগে গ্যাসের সংকট সমাধান করে নিরবচ্ছিন্ন সরবরাহের আশ্বাস দিয়ে দুই বছর আগে শিল্পে গ্যাসের দাম ১৫০ থেকে ১৭৮ শতাংশ পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছিল। দাম বাড়লেও গ্যাসের সংকট কাটেনি। শিল্প এলাকায় গ্যাসের স্বল্প চাপের অভিযোগ শিল্পমালিকদের। এ ছাড়া বাসাবাড়িতে গ্যাস মেলে না এ অভিযোগ তো রয়েছেই।
এবারও দাম বাড়ানোর প্রস্তাব নিয়ে যুক্তি দেখানো হয়েছে, যদি গ্যাসের দাম না বাড়ানো হয়, তাহলে তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস আমদানি করতে গিয়ে চলতি বছরে সরকারের ভর্তুকি দিতে হবে ২২ হাজার ৩১৫ কোটি টাকা।
এলএনজির চাপেই বাড়ছে লোকসান: পেট্রোবাংলা দেশে দৈনিক গ্যাস সরবরাহ করে ২৫০ কোটি ঘনফুট থেকে ২৭০ কোটি ঘনফুট। এর মধ্যে বিদেশ থেকে আনা এলএনজি দৈনিক সরবরাহ করা হয় মোট গ্যাসের ২৫ শতাংশ। যদিও দৈনিক সর্বোচ্চ ১০০ কোটি ঘনফুট এলএনজি সরবরাহের সক্ষমতা রয়েছে দেশে দুটি ভাসমান এলএনজি টার্মিনালের।
পেট্রোবাংলা তাদের প্রস্তাবে বলেছে, গত জানুয়ারি থেকে আগামী জুন পর্যন্ত ১০১টি এলএনজি কার্গো আমদানি করলে বিদ্যমান দামে লোকসান যাবে ১৬ হাজার ১৬২ কোটি টাকা। আর চলতি ২০২৫ সালে ১১৫টি এলএনজি কার্গো আমদানি করলে লোকসানের পরিমাণ দাঁড়াবে ২২ হাজার ৩১৫ কোটি টাকা। ২০২৪ সালের জুলাই থেকে ওই বছরের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত গড় এলএনজি আমদানির খরচ প্রতি ঘন মিটারে পড়েছে ৬৩ টাকা ৫৮ পয়সা। এর সঙ্গে মূল্য সংযোজন কর (মূসক) ৯ টাকা ৮৮ পয়সাসহ আটটি বিভিন্ন পর্যায়ের মার্জিন ও তহবিল যোগ করলে প্রতি ঘনমিটার এলএনজির আমদানির ব্যয় পড়েছে ওই তিন মাসে ৭৫ টাকা ৭২ পয়সা। গত বছরের জুলাই থেকে গত জানুয়ারি পর্যন্ত এলএনজি আমদানি করতে সরকারের ব্যয় হয়েছে ২৪ হাজার ৭০৪ কোটি টাকা। আগামী জুন পর্যন্ত ব্যয় হবে আরও ১৯ হাজার ১৬৮ কোটি টাকা।
পেট্রোবাংলার কর্মকর্তারা বলছেন, দীর্ঘমেয়াদি চুক্তির আওতায় এলএনজি যা কেনা হচ্ছে, তার দাম পড়ছে গড়ে সাড়ে ১০ ডলার। অন্যদিকে স্পট মার্কেট থেকে এলএনজি কেনা হচ্ছে গড়ে ১৩ থেকে প্রায় ১৪ ডলার দামে। অক্টোবর থেকে গত জানুয়ারি পর্যন্ত স্পট এলএনজি কেনা হয়েছে ১৪ কার্গো। একই সময় দীর্ঘমেয়াদি চুক্তির আওতায় কাতার ও ওমান থেকে কেনা হয়েছে ১৮ কার্গো এলএনজি। যখন এলএনজির দাম বেড়ে যায় তখন দীর্ঘমেয়াদি চুক্তির আওতায় সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানগুলো নানা ছুতোয় এলএনজি সরবরাহ কমিয়ে দেয়।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দেশে ডলারের রিজার্ভে খরা চলছে। এই অবস্থার মধ্যেও জরুরি জ্বালানি সরবরাহ অব্যাহত রাখতে এলএনজি আমদানি করতে গিয়ে বছরে ৪৫ থেকে ৫০ হাজার কোটি টাকা ব্যয় হয়ে যাচ্ছে। এই ব্যয় ওঠাতে সরকার গ্যাসের দাম বাড়ানোর চেষ্টা করছে, যা চাপে থাকা শিল্পকলকারখানার উৎপাদন ব্যয় বাড়িয়ে দেবে, পণ্যের দাম বাড়বে। এতে জনসাধারণের ওপর বাড়তি চাপ পড়বে। দেশীয় গ্যাস উত্তোলনের পরিকল্পনা বড় আকারে না নিলে এলএনজির ওপর নির্ভরতা কমবে না বলেও তাঁদের মত। এতে দেশের বাজারে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়বে গ্যাসের দাম।
প্রস্তাবেও ফাঁকি আছে: পেট্রোবাংলা দাবি করেছে যে তারা চলতি বছরের ১১৫টি কার্গো এলএনজি কিনবে, এতে লোকসানের পরিমাণ দাঁড়াবে ২২ হাজার ৩১৫ কোটি টাকা। এই প্রাক্কলন অতিরিক্ত বলে মনে করেন খোদ পেট্রোবাংলার দুই কর্মকর্তা। তাঁরা পরিচয় গোপন রাখার শর্তে আজকের পত্রিকাকে বলেন, গ্যাসের দাম বাড়াতে এলএনজিকে অজুহাত হিসেবে দেখানো হয়। পেট্রোবাংলা কখনোই ১১৫টি এলএনজি কার্গো আমদানি করবে না। কিন্তু গ্যাসের দাম বাড়ানোর সময় এলএনজির যে কল্পিত প্রাক্কলন করা হয়, তার হিসাবেই গ্যাসের দাম বাড়ানো হয়। বাস্তবে ওই পরিমাণ এলএনজি আমদানি করা হয় না।
দুই কর্মকর্তা বলছেন, ২০১৯ সালে দৈনিক ৮৫ কোটি ঘনফুট এলএনজি সরবরাহের কথা বলে দাম বাড়ানো হয়, অথচ এসেছিল দৈনিক ৫৬ কোটি ঘনফুট। ২০২২ সালে দৈনিক ৬৯ কোটি ঘনফুট এলএনজি আমদানির কথা বলে গ্যাসের দাম বাড়ানো হলেও দৈনিক আসে ৬৫ কোটি ঘনফুট। ২০২৩ সালের জানুয়ারিতে শিল্পে গ্যাসের দাম ১৫০ শতাংশের বেশি বাড়ানো হয় সরকারের নির্বাহী আদেশে।
কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের জ্বালানি উপদেষ্টা অধ্যাপক এম শামসুল আলম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমাদের নিজেদের গ্যাস রয়েছে। এই গ্যাস উত্তোলনের বড় কোনো পরিকল্পনা নেই। আগের সরকার এলএনজি বিশেষত স্পট মার্কেটের এলএনজি কেনায় বেশি আগ্রহ ছিল, এই সরকারও তা-ই করছে। জ্বালানি নিরাপত্তা সংহত করতে হলে দেশি গ্যাসের উৎপাদন বাড়াতে হবে।’

বাংলাদেশের সর্বোচ্চ ইস্পাত উৎপাদনক্ষমতাসম্পন্ন প্রতিষ্ঠান আবুল খায়ের স্টিল (একেএস) ৬ ডিসেম্বর তাদের সব কর্মীকে নিয়ে ‘একেএস-একসাথে আগামীর পথে’ শীর্ষক একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিল।
১৩ ঘণ্টা আগে
ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির পরিচালনা পরিষদের বোর্ড সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল সোমবার (৮ ডসিম্বের) ইসলামী ব্যাংক টাওয়ারে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়। ব্যাংকের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. এম জুবায়দুর রহমান এতে সভাপতিত্ব করেন।
১৩ ঘণ্টা আগে
কর ও সঞ্চিতি সংরক্ষণের পর নিট মুনাফা অর্জন না করলে কোনো ব্যাংকই আর উৎসাহ বোনাস দিতে পারবে না। পাশাপাশি মূলধন সংরক্ষণ ঘাটতি, প্রভিশন ঘাটতি বা পুঞ্জীভূত মুনাফা থেকেই বোনাস দেওয়ার পথও পুরোপুরি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
১৪ ঘণ্টা আগে
এনবিআর জানিয়েছে, শিগগির এ পদ্ধতি সারা দেশে চালু করা হবে, যাতে সব ধরনের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান স্বয়ংক্রিয়ভাবে ভ্যাটের আওতায় আসে এবং নিবন্ধন ছাড়া আর কেউ ব্যবসা চালাতে না পারে।
১৬ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

বাংলাদেশের সর্বোচ্চ ইস্পাত উৎপাদনক্ষমতাসম্পন্ন প্রতিষ্ঠান আবুল খায়ের স্টিল (একেএস) ৬ ডিসেম্বর তাদের সব কর্মীকে নিয়ে ‘একেএস-একসাথে আগামীর পথে’ শীর্ষক একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিল। দিনব্যাপী এই উৎসবমুখর ও জাঁকজমকপূর্ণ আয়োজনে দেশের প্রতিটি স্থান থেকে আবুল খায়ের স্টিলের সব কর্মকর্তা ও কর্মচারী উপস্থিত ছিলেন।
সূচনা বক্তব্যের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করা হয়। নামাজ ও খাবারের বিরতির পর একেএসের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা সবার উদ্দেশে অনুপ্রেরণামূলক বক্তব্য দেন। বক্তব্যে কোম্পানির সাম্প্রতিক অর্জন ও মাইলফলকগুলো তুলে ধরা হয়। এর মধ্যে রয়েছে—দেশের সবচেয়ে শক্তিশালী রড একেএস টিএমটি বি৭০০ সি-আরের সফল উৎপাদন। বিশ্বের দ্রুততম রোলিং মিল স্থাপন। একেএস এবং কাউ ব্র্যান্ড কালার কোটেড স্টিলের মর্যাদাপূর্ণ সুপারব্র্যান্ড অ্যাওয়ার্ড অর্জন।
এই আলোচনায় প্রযুক্তিগত উদ্ভাবন এবং কর্মীদের সম্মিলিত সাফল্যের প্রতিচ্ছবিও উঠে আসে।
সন্ধ্যায় আয়োজিত সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও র্যাফেল ড্র পর্বটি উদ্যাপনকে আরও প্রাণবন্ত করে তোলে। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে কিংবদন্তি শিল্পী জেমসের মনোমুগ্ধকর পরিবেশনা ও লেজার শো উপস্থিত সবাইকে মাতিয়ে রাখে।
সমাপনী ভাষণে একেএস পরিবারের প্রত্যেক সদস্যকে অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকার জন্য ধন্যবাদ জানান হয়। এরপর নৈশভোজ ও ডিজে সেশনের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়।

বাংলাদেশের সর্বোচ্চ ইস্পাত উৎপাদনক্ষমতাসম্পন্ন প্রতিষ্ঠান আবুল খায়ের স্টিল (একেএস) ৬ ডিসেম্বর তাদের সব কর্মীকে নিয়ে ‘একেএস-একসাথে আগামীর পথে’ শীর্ষক একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিল। দিনব্যাপী এই উৎসবমুখর ও জাঁকজমকপূর্ণ আয়োজনে দেশের প্রতিটি স্থান থেকে আবুল খায়ের স্টিলের সব কর্মকর্তা ও কর্মচারী উপস্থিত ছিলেন।
সূচনা বক্তব্যের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করা হয়। নামাজ ও খাবারের বিরতির পর একেএসের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা সবার উদ্দেশে অনুপ্রেরণামূলক বক্তব্য দেন। বক্তব্যে কোম্পানির সাম্প্রতিক অর্জন ও মাইলফলকগুলো তুলে ধরা হয়। এর মধ্যে রয়েছে—দেশের সবচেয়ে শক্তিশালী রড একেএস টিএমটি বি৭০০ সি-আরের সফল উৎপাদন। বিশ্বের দ্রুততম রোলিং মিল স্থাপন। একেএস এবং কাউ ব্র্যান্ড কালার কোটেড স্টিলের মর্যাদাপূর্ণ সুপারব্র্যান্ড অ্যাওয়ার্ড অর্জন।
এই আলোচনায় প্রযুক্তিগত উদ্ভাবন এবং কর্মীদের সম্মিলিত সাফল্যের প্রতিচ্ছবিও উঠে আসে।
সন্ধ্যায় আয়োজিত সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও র্যাফেল ড্র পর্বটি উদ্যাপনকে আরও প্রাণবন্ত করে তোলে। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে কিংবদন্তি শিল্পী জেমসের মনোমুগ্ধকর পরিবেশনা ও লেজার শো উপস্থিত সবাইকে মাতিয়ে রাখে।
সমাপনী ভাষণে একেএস পরিবারের প্রত্যেক সদস্যকে অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকার জন্য ধন্যবাদ জানান হয়। এরপর নৈশভোজ ও ডিজে সেশনের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়।

গত মাসের শুরুর দিকে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের (বিইআরসি) কাছে দেশের শিল্পকলকারখানার পাইকারি গ্যাসের দাম বাড়ানোর প্রস্তাব করে পেট্রোবাংলা। এরপর খুচরা গ্রাহক পর্যায়ে গ্যাস সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান তিতাস গ্যাসসহ দেশের ছয়টি বিতরণ সংস্থা গ্যাসের দাম বাড়ানোর আবেদন করে। এতে শিল্পের প্রতি ঘনমিটার...
১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির পরিচালনা পরিষদের বোর্ড সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল সোমবার (৮ ডসিম্বের) ইসলামী ব্যাংক টাওয়ারে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়। ব্যাংকের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. এম জুবায়দুর রহমান এতে সভাপতিত্ব করেন।
১৩ ঘণ্টা আগে
কর ও সঞ্চিতি সংরক্ষণের পর নিট মুনাফা অর্জন না করলে কোনো ব্যাংকই আর উৎসাহ বোনাস দিতে পারবে না। পাশাপাশি মূলধন সংরক্ষণ ঘাটতি, প্রভিশন ঘাটতি বা পুঞ্জীভূত মুনাফা থেকেই বোনাস দেওয়ার পথও পুরোপুরি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
১৪ ঘণ্টা আগে
এনবিআর জানিয়েছে, শিগগির এ পদ্ধতি সারা দেশে চালু করা হবে, যাতে সব ধরনের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান স্বয়ংক্রিয়ভাবে ভ্যাটের আওতায় আসে এবং নিবন্ধন ছাড়া আর কেউ ব্যবসা চালাতে না পারে।
১৬ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির পরিচালনা পরিষদের বোর্ড সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল সোমবার (৮ ডসিম্বের) ইসলামী ব্যাংক টাওয়ারে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়। ব্যাংকের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. এম জুবায়দুর রহমান এতে সভাপতিত্ব করেন।
সভায় এক্সিকিউটিভ কমিটির চেয়ারম্যান মোহাম্মদ খুরশীদ ওয়াহাব, অডিট কমিটির চেয়ারম্যান মো. আবদুস সালাম, এফসিএ, এফসিএস, রিস্ক ম্যানেজমেন্ট কমিটির চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. এম মাসুদ রহমান, স্বতন্ত্র পরিচালক মো. আবদুল জলিল, ম্যানেজিং ডাইরেক্টর মো. ওমর ফারুক খাঁন, শরী’আহ সুপারভাইজরি কাউন্সলিরে সদস্য সচিব প্রফেসর ড. মুহাম্মাদ আব্দুস সামাদ এবং কোম্পানি সেক্রেটারি মো. হাবিবুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।

ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির পরিচালনা পরিষদের বোর্ড সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল সোমবার (৮ ডসিম্বের) ইসলামী ব্যাংক টাওয়ারে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়। ব্যাংকের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. এম জুবায়দুর রহমান এতে সভাপতিত্ব করেন।
সভায় এক্সিকিউটিভ কমিটির চেয়ারম্যান মোহাম্মদ খুরশীদ ওয়াহাব, অডিট কমিটির চেয়ারম্যান মো. আবদুস সালাম, এফসিএ, এফসিএস, রিস্ক ম্যানেজমেন্ট কমিটির চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. এম মাসুদ রহমান, স্বতন্ত্র পরিচালক মো. আবদুল জলিল, ম্যানেজিং ডাইরেক্টর মো. ওমর ফারুক খাঁন, শরী’আহ সুপারভাইজরি কাউন্সলিরে সদস্য সচিব প্রফেসর ড. মুহাম্মাদ আব্দুস সামাদ এবং কোম্পানি সেক্রেটারি মো. হাবিবুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।

গত মাসের শুরুর দিকে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের (বিইআরসি) কাছে দেশের শিল্পকলকারখানার পাইকারি গ্যাসের দাম বাড়ানোর প্রস্তাব করে পেট্রোবাংলা। এরপর খুচরা গ্রাহক পর্যায়ে গ্যাস সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান তিতাস গ্যাসসহ দেশের ছয়টি বিতরণ সংস্থা গ্যাসের দাম বাড়ানোর আবেদন করে। এতে শিল্পের প্রতি ঘনমিটার...
১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
বাংলাদেশের সর্বোচ্চ ইস্পাত উৎপাদনক্ষমতাসম্পন্ন প্রতিষ্ঠান আবুল খায়ের স্টিল (একেএস) ৬ ডিসেম্বর তাদের সব কর্মীকে নিয়ে ‘একেএস-একসাথে আগামীর পথে’ শীর্ষক একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিল।
১৩ ঘণ্টা আগে
কর ও সঞ্চিতি সংরক্ষণের পর নিট মুনাফা অর্জন না করলে কোনো ব্যাংকই আর উৎসাহ বোনাস দিতে পারবে না। পাশাপাশি মূলধন সংরক্ষণ ঘাটতি, প্রভিশন ঘাটতি বা পুঞ্জীভূত মুনাফা থেকেই বোনাস দেওয়ার পথও পুরোপুরি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
১৪ ঘণ্টা আগে
এনবিআর জানিয়েছে, শিগগির এ পদ্ধতি সারা দেশে চালু করা হবে, যাতে সব ধরনের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান স্বয়ংক্রিয়ভাবে ভ্যাটের আওতায় আসে এবং নিবন্ধন ছাড়া আর কেউ ব্যবসা চালাতে না পারে।
১৬ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

কর ও সঞ্চিতি সংরক্ষণের পর নিট মুনাফা অর্জন না করলে কোনো ব্যাংকই আর উৎসাহ বোনাস দিতে পারবে না। পাশাপাশি মূলধন সংরক্ষণ ঘাটতি, প্রভিশন ঘাটতি বা পুঞ্জীভূত মুনাফা থেকেই বোনাস দেওয়ার পথও পুরোপুরি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় ব্যাংক এ-সংক্রান্ত একটি সার্কুলার জারি করে সব ব্যাংকে পাঠানো হয়েছে।
সার্কুলারে বলা হয়, ব্যাংকিং খাতের বর্তমান পরিস্থিতিতে আনরিয়েলাইজড বা নগদায়ন না করা আয়ের ভিত্তিতে বোনাস দেওয়া আর্থিক শৃঙ্খলা ও সুশাসনের পরিপন্থী। তাই এখন থেকে শুধু নির্ধারিত নিট মুনাফা অর্জন করতে পারলেই উৎসাহ বোনাস দেওয়ার অনুমতি পাবে ব্যাংকগুলো।
আরও বলা হয়, পুঞ্জীভূত মুনাফা থেকে কোনো ধরনের উৎসাহ বোনাস দেওয়া যাবে না। রেগুলেটরি মূলধন বা প্রভিশনের ঘাটতি থাকলে বোনাস দেওয়া নিষিদ্ধ। প্রভিশন সংরক্ষণে বাড়তি সময় পাওয়া ব্যাংকগুলোও সেই সময়কাল মুনাফা হিসাবের ক্ষেত্রে দেখাতে পারবে না। বোনাস প্রদানে ব্যাংকগুলোকে বিভিন্ন কর্মসূচির উন্নতি ও খেলাপি ঋণ পুনরুদ্ধারে দৃশ্যমান সাফল্য বিবেচনায় নিতে হবে।
এদিকে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন ব্যাংকের ক্ষেত্রে সরকারের বিদ্যমান নির্দেশিকা কার্যকর থাকবে, যেখানে নিট মুনাফা ছাড়া বোনাস না দেওয়ার কথা স্পষ্টভাবে উল্লেখ আছে। তবে কোনো ব্যাংক নির্দিষ্ট সূচকে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জন করলে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের কাছে বিশেষ বোনাসের জন্য আবেদন করতে পারবে।

কর ও সঞ্চিতি সংরক্ষণের পর নিট মুনাফা অর্জন না করলে কোনো ব্যাংকই আর উৎসাহ বোনাস দিতে পারবে না। পাশাপাশি মূলধন সংরক্ষণ ঘাটতি, প্রভিশন ঘাটতি বা পুঞ্জীভূত মুনাফা থেকেই বোনাস দেওয়ার পথও পুরোপুরি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় ব্যাংক এ-সংক্রান্ত একটি সার্কুলার জারি করে সব ব্যাংকে পাঠানো হয়েছে।
সার্কুলারে বলা হয়, ব্যাংকিং খাতের বর্তমান পরিস্থিতিতে আনরিয়েলাইজড বা নগদায়ন না করা আয়ের ভিত্তিতে বোনাস দেওয়া আর্থিক শৃঙ্খলা ও সুশাসনের পরিপন্থী। তাই এখন থেকে শুধু নির্ধারিত নিট মুনাফা অর্জন করতে পারলেই উৎসাহ বোনাস দেওয়ার অনুমতি পাবে ব্যাংকগুলো।
আরও বলা হয়, পুঞ্জীভূত মুনাফা থেকে কোনো ধরনের উৎসাহ বোনাস দেওয়া যাবে না। রেগুলেটরি মূলধন বা প্রভিশনের ঘাটতি থাকলে বোনাস দেওয়া নিষিদ্ধ। প্রভিশন সংরক্ষণে বাড়তি সময় পাওয়া ব্যাংকগুলোও সেই সময়কাল মুনাফা হিসাবের ক্ষেত্রে দেখাতে পারবে না। বোনাস প্রদানে ব্যাংকগুলোকে বিভিন্ন কর্মসূচির উন্নতি ও খেলাপি ঋণ পুনরুদ্ধারে দৃশ্যমান সাফল্য বিবেচনায় নিতে হবে।
এদিকে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন ব্যাংকের ক্ষেত্রে সরকারের বিদ্যমান নির্দেশিকা কার্যকর থাকবে, যেখানে নিট মুনাফা ছাড়া বোনাস না দেওয়ার কথা স্পষ্টভাবে উল্লেখ আছে। তবে কোনো ব্যাংক নির্দিষ্ট সূচকে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জন করলে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের কাছে বিশেষ বোনাসের জন্য আবেদন করতে পারবে।

গত মাসের শুরুর দিকে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের (বিইআরসি) কাছে দেশের শিল্পকলকারখানার পাইকারি গ্যাসের দাম বাড়ানোর প্রস্তাব করে পেট্রোবাংলা। এরপর খুচরা গ্রাহক পর্যায়ে গ্যাস সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান তিতাস গ্যাসসহ দেশের ছয়টি বিতরণ সংস্থা গ্যাসের দাম বাড়ানোর আবেদন করে। এতে শিল্পের প্রতি ঘনমিটার...
১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
বাংলাদেশের সর্বোচ্চ ইস্পাত উৎপাদনক্ষমতাসম্পন্ন প্রতিষ্ঠান আবুল খায়ের স্টিল (একেএস) ৬ ডিসেম্বর তাদের সব কর্মীকে নিয়ে ‘একেএস-একসাথে আগামীর পথে’ শীর্ষক একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিল।
১৩ ঘণ্টা আগে
ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির পরিচালনা পরিষদের বোর্ড সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল সোমবার (৮ ডসিম্বের) ইসলামী ব্যাংক টাওয়ারে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়। ব্যাংকের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. এম জুবায়দুর রহমান এতে সভাপতিত্ব করেন।
১৩ ঘণ্টা আগে
এনবিআর জানিয়েছে, শিগগির এ পদ্ধতি সারা দেশে চালু করা হবে, যাতে সব ধরনের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান স্বয়ংক্রিয়ভাবে ভ্যাটের আওতায় আসে এবং নিবন্ধন ছাড়া আর কেউ ব্যবসা চালাতে না পারে।
১৬ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ভ্যাটব্যবস্থাকে পুরোপুরি ডিজিটাল ও সহজ করার লক্ষ্যে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) এক নতুন পর্যায়ে এগোচ্ছে। মাত্র একটি ক্লিকেই ভ্যাট পরিশোধের সুযোগ ইতিমধ্যে পরীক্ষামূলকভাবে চালু হয়েছে এবং বড় কয়েকটি প্রতিষ্ঠান এটি ব্যবহারও শুরু করেছে।
এনবিআর জানিয়েছে, শিগগির এ পদ্ধতি সারা দেশে চালু করা হবে, যাতে সব ধরনের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান স্বয়ংক্রিয়ভাবে ভ্যাটের আওতায় আসে এবং নিবন্ধন ছাড়া আর কেউ ব্যবসা চালাতে না পারে।
আজ মঙ্গলবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে রাজস্ব ভবনে জাতীয় ভ্যাট দিবস ও ভ্যাট সপ্তাহ উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের (আইআরডি) সচিব ও এনবিআর চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খান।
মো. আবদুর রহমান বলেন, দেশের বড় একটি অংশের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান এখনো ভ্যাট নিবন্ধনের বাইরে রয়েছে। আগামী বছর এমন একটি মেকানিজম চালু করা হবে, যার মাধ্যমে ভ্যাট নিবন্ধন ছাড়া ব্যবসার সুযোগ থাকবে না। বর্তমানে নিবন্ধিত ভ্যাটদাতা প্রতিষ্ঠান ৬ লাখ ৪৪ হাজার; লক্ষ্য আগামী এক থেকে দুই বছরের মধ্যে তা ৩০ থেকে ৪০ লাখে উন্নীত করা। শুধু চলতি মাসেই ১ লাখ নতুন প্রতিষ্ঠানকে নিবন্ধনের আওতায় আনার পরিকল্পনা রয়েছে।
এনবিআর চেয়ারম্যান জানান, ভ্যাট দিবসের প্রতিপাদ্য—‘সময়মতো নিবন্ধন নিব, সঠিকভাবে ভ্যাট দিব’—ধরে আগামীকাল বুধবার সারা দেশে ভ্যাট দিবস পালিত হবে। ১০ থেকে ১৫ ডিসেম্বর চলবে ভ্যাট সপ্তাহ। তবে নীতিমালা চূড়ান্ত না হওয়ায় এ বছরও স্থগিত থাকছে ভ্যাট পুরস্কার।
রিটার্ন জমাদানেও বড় পরিবর্তন আসছে বলে জানান মো. আবদুর রহমান খান। গত অর্থবছরে ১৭ লাখ ই-রিটার্ন জমা পড়লেও চলতি অর্থবছরে তা ৪০ লাখে পৌঁছানোর আশা করা হচ্ছে। ইতিমধ্যে জমা পড়েছে ২২ লাখ রিটার্ন। ভ্যাট আদায়েও গতি এসেছে—গত অর্থবছরে মোট রাজস্বের ৩৮ শতাংশ এসেছে ভ্যাট থেকে আর চলতি অর্থবছরের প্রথম মাসেই ভ্যাট আদায় আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় বেড়েছে ২২ শতাংশ।
করদাতাদের ঝামেলা কমাতে ই-রিটার্নে ব্যবহৃত ব্যাংকসংক্রান্ত চারটি তথ্য স্বয়ংক্রিয়ভাবে যাচাইয়ের ব্যবস্থা করা হচ্ছে বলে জানান আবদুর রহমান।
এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, করদাতারা মনে করেন, রাজস্ব কর্মকর্তারা এসব তথ্য দেখতে পারবেন—এটি ভুল ধারণা।
চলতি অর্থবছরে রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রা ৫৫ হাজার কোটি টাকা বাড়ানো হয়েছে কেন—এ প্রশ্নের জবাবে আবদুর রহমান বলেন, রাজস্ব আদায় বাড়ানোর বাস্তব প্রয়োজন থেকেই এ লক্ষ্য নির্ধারণ। তবে কারও ওপর হয়রানি বা অতিরিক্ত চাপ সৃষ্টি করা হবে না; মূলত যাঁরা রাজস্ব ফাঁকি দিচ্ছেন, তাঁদের ক্ষেত্রেই কঠোরতা বাড়ানো হবে।
আমদানি করা মোবাইল ফোনে কর কমানোর সম্ভাবনা নিয়ে প্রশ্ন করা হলে এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, এটি সম্পূর্ণ রাষ্ট্রীয় সিদ্ধান্ত; এককভাবে এনবিআর এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারে না।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন এনবিআরের সদস্য (মূসক নীতি) মো. আজিজুর রহমানসহ সংশ্লিষ্ট অন্য কর্মকর্তারা।

ভ্যাটব্যবস্থাকে পুরোপুরি ডিজিটাল ও সহজ করার লক্ষ্যে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) এক নতুন পর্যায়ে এগোচ্ছে। মাত্র একটি ক্লিকেই ভ্যাট পরিশোধের সুযোগ ইতিমধ্যে পরীক্ষামূলকভাবে চালু হয়েছে এবং বড় কয়েকটি প্রতিষ্ঠান এটি ব্যবহারও শুরু করেছে।
এনবিআর জানিয়েছে, শিগগির এ পদ্ধতি সারা দেশে চালু করা হবে, যাতে সব ধরনের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান স্বয়ংক্রিয়ভাবে ভ্যাটের আওতায় আসে এবং নিবন্ধন ছাড়া আর কেউ ব্যবসা চালাতে না পারে।
আজ মঙ্গলবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে রাজস্ব ভবনে জাতীয় ভ্যাট দিবস ও ভ্যাট সপ্তাহ উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের (আইআরডি) সচিব ও এনবিআর চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খান।
মো. আবদুর রহমান বলেন, দেশের বড় একটি অংশের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান এখনো ভ্যাট নিবন্ধনের বাইরে রয়েছে। আগামী বছর এমন একটি মেকানিজম চালু করা হবে, যার মাধ্যমে ভ্যাট নিবন্ধন ছাড়া ব্যবসার সুযোগ থাকবে না। বর্তমানে নিবন্ধিত ভ্যাটদাতা প্রতিষ্ঠান ৬ লাখ ৪৪ হাজার; লক্ষ্য আগামী এক থেকে দুই বছরের মধ্যে তা ৩০ থেকে ৪০ লাখে উন্নীত করা। শুধু চলতি মাসেই ১ লাখ নতুন প্রতিষ্ঠানকে নিবন্ধনের আওতায় আনার পরিকল্পনা রয়েছে।
এনবিআর চেয়ারম্যান জানান, ভ্যাট দিবসের প্রতিপাদ্য—‘সময়মতো নিবন্ধন নিব, সঠিকভাবে ভ্যাট দিব’—ধরে আগামীকাল বুধবার সারা দেশে ভ্যাট দিবস পালিত হবে। ১০ থেকে ১৫ ডিসেম্বর চলবে ভ্যাট সপ্তাহ। তবে নীতিমালা চূড়ান্ত না হওয়ায় এ বছরও স্থগিত থাকছে ভ্যাট পুরস্কার।
রিটার্ন জমাদানেও বড় পরিবর্তন আসছে বলে জানান মো. আবদুর রহমান খান। গত অর্থবছরে ১৭ লাখ ই-রিটার্ন জমা পড়লেও চলতি অর্থবছরে তা ৪০ লাখে পৌঁছানোর আশা করা হচ্ছে। ইতিমধ্যে জমা পড়েছে ২২ লাখ রিটার্ন। ভ্যাট আদায়েও গতি এসেছে—গত অর্থবছরে মোট রাজস্বের ৩৮ শতাংশ এসেছে ভ্যাট থেকে আর চলতি অর্থবছরের প্রথম মাসেই ভ্যাট আদায় আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় বেড়েছে ২২ শতাংশ।
করদাতাদের ঝামেলা কমাতে ই-রিটার্নে ব্যবহৃত ব্যাংকসংক্রান্ত চারটি তথ্য স্বয়ংক্রিয়ভাবে যাচাইয়ের ব্যবস্থা করা হচ্ছে বলে জানান আবদুর রহমান।
এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, করদাতারা মনে করেন, রাজস্ব কর্মকর্তারা এসব তথ্য দেখতে পারবেন—এটি ভুল ধারণা।
চলতি অর্থবছরে রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রা ৫৫ হাজার কোটি টাকা বাড়ানো হয়েছে কেন—এ প্রশ্নের জবাবে আবদুর রহমান বলেন, রাজস্ব আদায় বাড়ানোর বাস্তব প্রয়োজন থেকেই এ লক্ষ্য নির্ধারণ। তবে কারও ওপর হয়রানি বা অতিরিক্ত চাপ সৃষ্টি করা হবে না; মূলত যাঁরা রাজস্ব ফাঁকি দিচ্ছেন, তাঁদের ক্ষেত্রেই কঠোরতা বাড়ানো হবে।
আমদানি করা মোবাইল ফোনে কর কমানোর সম্ভাবনা নিয়ে প্রশ্ন করা হলে এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, এটি সম্পূর্ণ রাষ্ট্রীয় সিদ্ধান্ত; এককভাবে এনবিআর এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারে না।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন এনবিআরের সদস্য (মূসক নীতি) মো. আজিজুর রহমানসহ সংশ্লিষ্ট অন্য কর্মকর্তারা।

গত মাসের শুরুর দিকে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের (বিইআরসি) কাছে দেশের শিল্পকলকারখানার পাইকারি গ্যাসের দাম বাড়ানোর প্রস্তাব করে পেট্রোবাংলা। এরপর খুচরা গ্রাহক পর্যায়ে গ্যাস সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান তিতাস গ্যাসসহ দেশের ছয়টি বিতরণ সংস্থা গ্যাসের দাম বাড়ানোর আবেদন করে। এতে শিল্পের প্রতি ঘনমিটার...
১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
বাংলাদেশের সর্বোচ্চ ইস্পাত উৎপাদনক্ষমতাসম্পন্ন প্রতিষ্ঠান আবুল খায়ের স্টিল (একেএস) ৬ ডিসেম্বর তাদের সব কর্মীকে নিয়ে ‘একেএস-একসাথে আগামীর পথে’ শীর্ষক একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিল।
১৩ ঘণ্টা আগে
ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির পরিচালনা পরিষদের বোর্ড সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল সোমবার (৮ ডসিম্বের) ইসলামী ব্যাংক টাওয়ারে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়। ব্যাংকের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. এম জুবায়দুর রহমান এতে সভাপতিত্ব করেন।
১৩ ঘণ্টা আগে
কর ও সঞ্চিতি সংরক্ষণের পর নিট মুনাফা অর্জন না করলে কোনো ব্যাংকই আর উৎসাহ বোনাস দিতে পারবে না। পাশাপাশি মূলধন সংরক্ষণ ঘাটতি, প্রভিশন ঘাটতি বা পুঞ্জীভূত মুনাফা থেকেই বোনাস দেওয়ার পথও পুরোপুরি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
১৪ ঘণ্টা আগে