Ajker Patrika

মূল্যস্ফীতি নেমেছে এক অঙ্কে

  • সার্ভিস রুল অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ
  • প্রতিবেদন প্রকাশ বা ব্যবস্থা নিচ্ছে না বিএসইসি
  • কর্মকর্তাদের সঙ্গে কমিশনের দূরত্ব বাড়ছে
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ০৭ মার্চ ২০২৫, ০৮: ৪৫
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

দেশের মূল্যস্ফীতি কিছুটা কমেছে। জানুয়ারির তুলনায় ফেব্রুয়ারিতে সার্বিক মূল্যস্ফীতি ০.৬২ শতাংশ কমেছে। খাদ্য খাতে মূল্যস্ফীতি ফেব্রুয়ারিতে জানুয়ারির ১০ দশমিক ৭২ শতাংশের চেয়ে ১ দশমিক ৪৮ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ৯ দশমিক ২৪ শতাংশ। তবে খাদ্যবহির্ভূত খাতে এটি জানুয়ারির তুলনায় ০.০৮ শতাংশ বেড়েছে। সব মিলিয়ে দেশে এখন সাধারণ মূল্যস্ফীতি এবং খাদ্যদ্রব্যের মূল্যস্ফীতি দুই অঙ্কের নিচে নেমে এসেছে, যা অনেকটা চৈত্রের প্রখর রোদে স্বস্তির বৃষ্টি পড়ার মতো।

সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য হলো, শহরের তুলনায় গ্রামে মূল্যস্ফীতি বেশি কমেছে। বিশেষ করে ডিম, আলু, পেঁয়াজ ও শাকসবজির দাম কমায় এ কমতি এসেছে। তবে এই স্বস্তির খবরটি এখনো সবার জন্য পুরোপুরি সুখবর হয়ে ওঠেনি। কারণ আরও কিছু পণ্য, বিশেষত চাল, ডাল, তেল এবং অন্যান্য দৈনন্দিন ব্যবহার্য পণ্যের মূল্য এখনো ঊর্ধ্বমুখী। এগুলোর দাম যদি আরও কমে, তাহলে মূল্যস্ফীতি আরও স্বস্তিদায়ক পর্যায়ে নেমে আসবে।

তবে বাজারসংশ্লিষ্টরা মনে করেন, এর জন্য সরকারের বাজার নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা শক্তিশালী করতে হবে। সরকারের দায়িত্ব, যাতে মূল্যবৃদ্ধি না হয় এবং বাজার স্থিতিশীল থাকে তা নিশ্চিত করা। সব মিলিয়ে, সরকারের সঠিক পদক্ষেপের মাধ্যমে এটি সম্ভব হতে পারে, যা ভবিষ্যতে দেশের অর্থনীতিকে আরও শক্তিশালী করবে।

গতকাল বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২৫ সালের ফেব্রুয়ারিতে সার্বিক মূল্যস্ফীতি কমে ৯ দশমিক ৩২ শতাংশ দাঁড়িয়েছে, যা ২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারিতে ছিল ৯.৬৭ শতাংশ। অর্থাৎ গত বছরের তুলনায় এ বছরের ফেব্রুয়ারিতে মূল্যস্ফীতি ০.৩৫ শতাংশ কমেছে। তবে ২০২৩ এবং ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারির তুলনায় এখনো মূল্যস্ফীতির হার কিছুটা বেশি। ওই সময় মূল্যস্ফীতি ছিল যথাক্রমে ৮ দশমিক ৭৮ শতাংশ এবং ৬.১৭ শতাংশ।

এ ছাড়া, শুধু বছর গত নয়, এক মাসের তুলনায় মূল্যস্ফীতি কমেছে। জানুয়ারিতে মূল্যস্ফীতি ছিল ৯ দশমিক ৯৪ শতাংশ, আর ফেব্রুয়ারিতে তা কমে ৯ দশমিক ৩২ শতাংশ হয়েছে, অর্থাৎ জানুয়ারির তুলনায় ফেব্রুয়ারিতে মূল্যস্ফীতি ০.৬২ শতাংশ কমেছে। যা ২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারির তুলনায় এটি ০ দশমিক ৩৫ শতাংশ কম। তবে ২০২৩-২২ সালের তুলনায় মূল্যস্ফীতি এখনো বেশি। খাদ্য খাতে ফেব্রুয়ারিতে মূল্যস্ফীতি ছিল ৯ দশমিক ২৪ শতাংশ, যা জানুয়ারির ১০ দশমিক ৭২ শতাংশের চেয়ে ১ দশমিক ৪৮ শতাংশ কম। ২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারির তুলনায় খাদ্য মূল্যস্ফীতি ০ দশমিক ২০ শতাংশ কমেছে। খাদ্যবহির্ভূত খাতে ফেব্রুয়ারিতে মূল্যস্ফীতি ছিল ৯ দশমিক ৩৮ শতাংশ, যা জানুয়ারির ৯ দশমিক ৩২ শতাংশের চেয়ে সামান্য বেড়েছে। ২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারির তুলনায় এটি ০ দশমিক ০৫ শতাংশ বেড়েছে।

বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) দেশের ৬৪টি জেলার ১৫৪টি হাট-বাজার থেকে নির্ধারিত সময়ে তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করে মূল্যস্ফীতির সূচক প্রস্তুত করেছে। অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের পর থেকেই মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে আনার ওপর বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। গত ৪ ফেব্রুয়ারি, অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ মূল্যস্ফীতি সহনীয় পর্যায়ে আসতে আরও কত সময় লাগবে এমন প্রশ্নের উত্তরে বলেছেন, ‘আমাদের মূল মনোযোগ বর্তমানে মূল্যস্ফীতির দিকেই। এর জন্য আরও দুই থেকে তিন মাস অপেক্ষা করতে হবে।’ তিনি স্বীকার করেছেন, উচ্চ মূল্যস্ফীতি জনজীবনে বড় ধরনের ভোগান্তি সৃষ্টি করছে এবং এর সমাধানে বেশ কিছু পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। বিশেষত, রমজান মাসে নিত্যপণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য আমদানিসহ নানা উদ্যোগের কথা তিনি উল্লেখ করেছেন। সরকারের আশা, আগামী জুন নাগাদ মূল্যস্ফীতির হার ৬ থেকে ৭ শতাংশে নামিয়ে আনা সম্ভব হবে।

বিবিএসের তথ্যমতে, আড়াই বছর ধরে সার্বিক মূল্যস্ফীতির মাসিক হার ৯ শতাংশের ওপরেই রয়েছে।

xsacxzc

প্রতিবেদন তথ্যমতে, ফেব্রুয়ারিতে গ্রামীণ অঞ্চলের সার্বিক মূল্যস্ফীতি দাঁড়িয়েছে ৯ দশমিক ৫১ শতাংশ, যা জানুয়ারির ১০ দশমিক ১৮ শতাংশের তুলনায় ০ দশমিক ৬৭ শতাংশ কমেছে। তবে ২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারির তুলনায় এটি ০ দশমিক ৩ শতাংশ বেড়েছে। খাদ্য খাতে ২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারির তুলনায় ০ দশমিক ১৩ শতাংশ কমে ফেব্রুয়ারিতে এটি ৯ দশমিক ১৫ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। অন্যদিকে, খাদ্যবহির্ভূত খাতে ফেব্রুয়ারিতে মূল্যস্ফীতি ছিল ৯ দশমিক ৮৫ শতাংশ, যা জানুয়ারির ৯ দশমিক ৭৭ শতাংশের চেয়ে সামান্য বেড়েছে এবং ২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারির ৯ দশমিক ১০ শতাংশের তুলনায় বেশি।

শহর পর্যায়ে ফেব্রুয়ারিতে সার্বিক মূল্যস্ফীতি দাঁড়িয়েছে ৯ দশমিক ৩৪ শতাংশ, যা ২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারিতে ছিল ৯ দশমিক ৮৮ শতাংশ। এছাড়া, জানুয়ারির ৯ দশমিক ৮৯ শতাংশের তুলনায়ও এটি কিছুটা কমেছে। অর্থাৎ, ২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারির তুলনায় ২০২৫ সালের ফেব্রুয়ারিতে মূল্যস্ফীতি কমেছে এবং জানুয়ারির তুলনায়ও শহরের মূল্যস্ফীতি কমেছে।

ফেব্রুয়ারিতে শহরের খাদ্য খাতে মূল্যস্ফীতি দাঁড়িয়েছে ৯ দশমিক ৪৭ শতাংশ, যা ২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারিতে ছিল ৯ দশমিক ৮৮ শতাংশ এবং জানুয়ারিতে ছিল ৯ দশমিক ৮৯ শতাংশ। অর্থাৎ বিগত বছরের তুলনায় শহরের খাদ্য খাতে মূল্যস্ফীতি কমেছে, পাশাপাশি জানুয়ারির তুলনায়ও এটি কমেছে।

অন্যদিকে, খাদ্যবহির্ভূত খাতে শহরে ফেব্রুয়ারিতে মূল্যস্ফীতি ছিল ৯ দশমিক ২৭ শতাংশ, যা গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে ছিল ৯ দশমিক ৩৮ শতাংশ এবং জানুয়ারিতে ছিল ৯ দশমিক ২৫ শতাংশ। অর্থাৎ খাদ্যবহির্ভূত খাতে গত বছরের তুলনায় মূল্যস্ফীতি কমেছে, তবে জানুয়ারির তুলনায় এটি কিছুটা বেড়েছে।

এ ছাড়া, জাতীয় পর্যায়ে মজুরি হার ফেব্রুয়ারিতে ৮ দশমিক ১২ শতাংশে পৌঁছেছে, যা জানুয়ারির ৮ দশমিক ১৬ শতাংশের তুলনায় ০ দশমিক ৪ শতাংশ কমেছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

প্রযুক্তিগত উদ্ভাবন ও কর্মীদের সাফল্য উদ্‌যাপনে আবুল খায়ের স্টিলের ‘একেএস-একসাথে আগামীর পথে’

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশের সর্বোচ্চ ইস্পাত উৎপাদনক্ষমতাসম্পন্ন প্রতিষ্ঠান আবুল খায়ের স্টিল (একেএস) ৬ ডিসেম্বর তাদের সব কর্মীকে নিয়ে ‘একেএস-একসাথে আগামীর পথে’ শীর্ষক একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিল। দিনব্যাপী এই উৎসবমুখর ও জাঁকজমকপূর্ণ আয়োজনে দেশের প্রতিটি স্থান থেকে আবুল খায়ের স্টিলের সব কর্মকর্তা ও কর্মচারী উপস্থিত ছিলেন।

সূচনা বক্তব্যের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করা হয়। নামাজ ও খাবারের বিরতির পর একেএসের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা সবার উদ্দেশে অনুপ্রেরণামূলক বক্তব্য দেন। বক্তব্যে কোম্পানির সাম্প্রতিক অর্জন ও মাইলফলকগুলো তুলে ধরা হয়। এর মধ্যে রয়েছে—দেশের সবচেয়ে শক্তিশালী রড একেএস টিএমটি বি৭০০ সি-আরের সফল উৎপাদন। বিশ্বের দ্রুততম রোলিং মিল স্থাপন। একেএস এবং কাউ ব্র্যান্ড কালার কোটেড স্টিলের মর্যাদাপূর্ণ সুপারব্র্যান্ড অ্যাওয়ার্ড অর্জন।

এই আলোচনায় প্রযুক্তিগত উদ্ভাবন এবং কর্মীদের সম্মিলিত সাফল্যের প্রতিচ্ছবিও উঠে আসে।

সন্ধ্যায় আয়োজিত সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও র‍্যাফেল ড্র পর্বটি উদ্‌যাপনকে আরও প্রাণবন্ত করে তোলে। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে কিংবদন্তি শিল্পী জেমসের মনোমুগ্ধকর পরিবেশনা ও লেজার শো উপস্থিত সবাইকে মাতিয়ে রাখে।

সমাপনী ভাষণে একেএস পরিবারের প্রত্যেক সদস্যকে অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকার জন্য ধন্যবাদ জানান হয়। এরপর নৈশভোজ ও ডিজে সেশনের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ইসলামী ব্যাংকের বোর্ড সভা অনুষ্ঠিত

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত

ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির পরিচালনা পরিষদের বোর্ড সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল সোমবার (৮ ডসিম্বের) ইসলামী ব্যাংক টাওয়ারে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়। ব্যাংকের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. এম জুবায়দুর রহমান এতে সভাপতিত্ব করেন।

সভায় এক্সিকিউটিভ কমিটির চেয়ারম্যান মোহাম্মদ খুরশীদ ওয়াহাব, অডিট কমিটির চেয়ারম্যান মো. আবদুস সালাম, এফসিএ, এফসিএস, রিস্ক ম্যানেজমেন্ট কমিটির চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. এম মাসুদ রহমান, স্বতন্ত্র পরিচালক মো. আবদুল জলিল, ম্যানেজিং ডাইরেক্টর মো. ওমর ফারুক খাঁন, শরী’আহ সুপারভাইজরি কাউন্সলিরে সদস্য সচিব প্রফেসর ড. মুহাম্মাদ আব্দুস সামাদ এবং কোম্পানি সেক্রেটারি মো. হাবিবুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ব্যাংকের নিট মুনাফা ছাড়া উৎসাহ বোনাস বন্ধ

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
বাংলাদেশ ব্যাংক। ফাইল ছবি
বাংলাদেশ ব্যাংক। ফাইল ছবি

কর ও সঞ্চিতি সংরক্ষণের পর নিট মুনাফা অর্জন না করলে কোনো ব্যাংকই আর উৎসাহ বোনাস দিতে পারবে না। পাশাপাশি মূলধন সংরক্ষণ ঘাটতি, প্রভিশন ঘাটতি বা পুঞ্জীভূত মুনাফা থেকেই বোনাস দেওয়ার পথও পুরোপুরি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।

আজ মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় ব্যাংক এ-সংক্রান্ত একটি সার্কুলার জারি করে সব ব্যাংকে পাঠানো হয়েছে।

সার্কুলারে বলা হয়, ব্যাংকিং খাতের বর্তমান পরিস্থিতিতে আনরিয়েলাইজড বা নগদায়ন না করা আয়ের ভিত্তিতে বোনাস দেওয়া আর্থিক শৃঙ্খলা ও সুশাসনের পরিপন্থী। তাই এখন থেকে শুধু নির্ধারিত নিট মুনাফা অর্জন করতে পারলেই উৎসাহ বোনাস দেওয়ার অনুমতি পাবে ব্যাংকগুলো।

আরও বলা হয়, পুঞ্জীভূত মুনাফা থেকে কোনো ধরনের উৎসাহ বোনাস দেওয়া যাবে না। রেগুলেটরি মূলধন বা প্রভিশনের ঘাটতি থাকলে বোনাস দেওয়া নিষিদ্ধ। প্রভিশন সংরক্ষণে বাড়তি সময় পাওয়া ব্যাংকগুলোও সেই সময়কাল মুনাফা হিসাবের ক্ষেত্রে দেখাতে পারবে না। বোনাস প্রদানে ব্যাংকগুলোকে বিভিন্ন কর্মসূচির উন্নতি ও খেলাপি ঋণ পুনরুদ্ধারে দৃশ্যমান সাফল্য বিবেচনায় নিতে হবে।

এদিকে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন ব্যাংকের ক্ষেত্রে সরকারের বিদ্যমান নির্দেশিকা কার্যকর থাকবে, যেখানে নিট মুনাফা ছাড়া বোনাস না দেওয়ার কথা স্পষ্টভাবে উল্লেখ আছে। তবে কোনো ব্যাংক নির্দিষ্ট সূচকে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জন করলে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের কাছে বিশেষ বোনাসের জন্য আবেদন করতে পারবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

এক ক্লিকেই ভ্যাট পরিশোধ

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ০৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ২১: ০৩
রাজধানীর আগারগাঁওয়ে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সামনে দিয়ে হেঁটে যাচ্ছেন পথচারীরা। ছবি: সংগৃহীত
রাজধানীর আগারগাঁওয়ে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সামনে দিয়ে হেঁটে যাচ্ছেন পথচারীরা। ছবি: সংগৃহীত

ভ্যাটব্যবস্থাকে পুরোপুরি ডিজিটাল ও সহজ করার লক্ষ্যে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) এক নতুন পর্যায়ে এগোচ্ছে। মাত্র একটি ক্লিকেই ভ্যাট পরিশোধের সুযোগ ইতিমধ্যে পরীক্ষামূলকভাবে চালু হয়েছে এবং বড় কয়েকটি প্রতিষ্ঠান এটি ব্যবহারও শুরু করেছে।

এনবিআর জানিয়েছে, শিগগির এ পদ্ধতি সারা দেশে চালু করা হবে, যাতে সব ধরনের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান স্বয়ংক্রিয়ভাবে ভ্যাটের আওতায় আসে এবং নিবন্ধন ছাড়া আর কেউ ব্যবসা চালাতে না পারে।

আজ মঙ্গলবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে রাজস্ব ভবনে জাতীয় ভ্যাট দিবস ও ভ্যাট সপ্তাহ উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের (আইআরডি) সচিব ও এনবিআর চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খান।

মো. আবদুর রহমান বলেন, দেশের বড় একটি অংশের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান এখনো ভ্যাট নিবন্ধনের বাইরে রয়েছে। আগামী বছর এমন একটি মেকানিজম চালু করা হবে, যার মাধ্যমে ভ্যাট নিবন্ধন ছাড়া ব্যবসার সুযোগ থাকবে না। বর্তমানে নিবন্ধিত ভ্যাটদাতা প্রতিষ্ঠান ৬ লাখ ৪৪ হাজার; লক্ষ্য আগামী এক থেকে দুই বছরের মধ্যে তা ৩০ থেকে ৪০ লাখে উন্নীত করা। শুধু চলতি মাসেই ১ লাখ নতুন প্রতিষ্ঠানকে নিবন্ধনের আওতায় আনার পরিকল্পনা রয়েছে।

এনবিআর চেয়ারম্যান জানান, ভ্যাট দিবসের প্রতিপাদ্য—‘সময়মতো নিবন্ধন নিব, সঠিকভাবে ভ্যাট দিব’—ধরে আগামীকাল বুধবার সারা দেশে ভ্যাট দিবস পালিত হবে। ১০ থেকে ১৫ ডিসেম্বর চলবে ভ্যাট সপ্তাহ। তবে নীতিমালা চূড়ান্ত না হওয়ায় এ বছরও স্থগিত থাকছে ভ্যাট পুরস্কার।

রিটার্ন জমাদানেও বড় পরিবর্তন আসছে বলে জানান মো. আবদুর রহমান খান। গত অর্থবছরে ১৭ লাখ ই-রিটার্ন জমা পড়লেও চলতি অর্থবছরে তা ৪০ লাখে পৌঁছানোর আশা করা হচ্ছে। ইতিমধ্যে জমা পড়েছে ২২ লাখ রিটার্ন। ভ্যাট আদায়েও গতি এসেছে—গত অর্থবছরে মোট রাজস্বের ৩৮ শতাংশ এসেছে ভ্যাট থেকে আর চলতি অর্থবছরের প্রথম মাসেই ভ্যাট আদায় আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় বেড়েছে ২২ শতাংশ।

করদাতাদের ঝামেলা কমাতে ই-রিটার্নে ব্যবহৃত ব্যাংকসংক্রান্ত চারটি তথ্য স্বয়ংক্রিয়ভাবে যাচাইয়ের ব্যবস্থা করা হচ্ছে বলে জানান আবদুর রহমান।

এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, করদাতারা মনে করেন, রাজস্ব কর্মকর্তারা এসব তথ্য দেখতে পারবেন—এটি ভুল ধারণা।

চলতি অর্থবছরে রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রা ৫৫ হাজার কোটি টাকা বাড়ানো হয়েছে কেন—এ প্রশ্নের জবাবে আবদুর রহমান বলেন, রাজস্ব আদায় বাড়ানোর বাস্তব প্রয়োজন থেকেই এ লক্ষ্য নির্ধারণ। তবে কারও ওপর হয়রানি বা অতিরিক্ত চাপ সৃষ্টি করা হবে না; মূলত যাঁরা রাজস্ব ফাঁকি দিচ্ছেন, তাঁদের ক্ষেত্রেই কঠোরতা বাড়ানো হবে।

আমদানি করা মোবাইল ফোনে কর কমানোর সম্ভাবনা নিয়ে প্রশ্ন করা হলে এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, এটি সম্পূর্ণ রাষ্ট্রীয় সিদ্ধান্ত; এককভাবে এনবিআর এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারে না।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন এনবিআরের সদস্য (মূসক নীতি) মো. আজিজুর রহমানসহ সংশ্লিষ্ট অন্য কর্মকর্তারা।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত