অর্থবছর যতই শেষের দিকে যাচ্ছে, রাজস্ব আদায়ের ঘাটতিও তত বড় হচ্ছে। ক্রমেই লক্ষ্যমাত্রা থেকে পিছিয়ে পড়ছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। চলতি অর্থবছরের আট মাসে রাজস্ব আদায়ে প্রায় ৪৬ শতাংশ ঘাটতি পড়েছে। বাকি চার মাসে ঘাটতি পূরণ করে স্বাভাবিক রাজস্ব আয়ের লক্ষ্য পূরণ অনেকটাই কঠিন হবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। এনবিআর সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
এ বিষয়ে এনবিআরের আয়কর শাখার সাবেক সদস্য অপূর্ব কান্তি দাস আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘রাজস্ব আয়ের লক্ষ্য পূরণ হবে না। তবে আমি মনে করি, রাজস্ব আয় বাড়াতে হলে কোনো বক্তৃতা নয়, আইন পরিবর্তন নয়, কাউকে ধরাধরি নয়; মাত্র একটি পদক্ষেপ নিতে হবে এনবিআরকে। সেটি হলো পুরো অটোমেশন। রাজস্ব খাতে যদি পুরোপুরি অটোমেশন করা সম্ভব হয়, তবে রাজস্ব আয়ের লক্ষ্য পূরণ করা নিয়ে এত আশঙ্কা থাকবে না। সবকিছু চলবে স্বয়ংক্রীয় পদ্ধতিতে। রাজস্ব আয় হবে নিজস্ব নিয়মে, স্বাভাবিক গতিতে।’
করোনার আঘাতের পর দুই বছর ধরে অর্থনীতি নানাভাবে আক্রান্ত। ফলে চলতি অর্থবছরে রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা না বাড়িয়ে তা আগের অর্থবছরের লক্ষ্যমাত্রার সমান রাখা হয়। তবে সময় যত যাচ্ছে, ততই রাজস্ব আয়ের ঘাটতি বাড়ছে। দেখা যাচ্ছে, আগের অর্থবছরের সমান রাখা রাজস্ব আয়ও শেষ পর্যন্ত অর্জন করা যাবে কি না সন্দেহ। ব্যবসা-বাণিজ্য ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করলেও করোনার ক্ষতি পুষিয়ে অর্থনীতি পুরো চাঙা হতে পারেনি। ফলে এর প্রভাব পড়ছে রাজস্ব আয়ে।
এনবিআর সূত্র জানায়, চলতি ২০২১-২২ অর্থবছরের বাজেটে সংস্থাটির মোট রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৩ লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকা। এর মধ্যে মূল্য সংযোজন কর বা ভ্যাট থেকে সবচেয়ে বেশি অর্থাৎ ১ লাখ ২৮ হাজার ৮৭৩ কোটি টাকা, আয়কর ও ভ্রমণ কর থেকে ১ লাখ ৫ হাজার ৪৭৫ কোটি টাকা এবং আমদানি শুল্ক থেকে ৯৫ হাজার ৬৫২ কোটি টাকা আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়।
চলতি অর্থবছরের রাজস্ব আয়ের চিত্র থেকে দেখা যায়, গত আট মাসে এনবিআর রাজস্ব আদায় করতে পেরেছে ১ লাখ ৭৭ হাজার ১৩৬ কোটি ১৬ লাখ টাকা, যা লক্ষ্যমাত্রার প্রায় ৬৪ শতাংশ কম। ফলে আরও আদায় করতে হবে প্রায় ১ লাখ ৫২ হাজার ৮৬৩ কোটি টাকা। আদায়ের প্রবৃদ্ধি প্রায় ১৬ শতাংশ। কিন্তু বাকি থাকা বিরাট অঙ্কের রাজস্ব আদায়ের জন্য এনবিআরের হাতে সময় আছে আর মাত্র চার মাস।
এনবিআরের খাতওয়ারি হিসাব থেকে জানা যায়, জুলাই থেকে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত আমদানি ও রপ্তানি পর্যায়ে সবচেয়ে বেশি, ২৩ দশমিক ১৮ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছে। এ সময়ে শুল্ক আদায় হয় প্রায় ৫৬ হাজার ৯৫৮ কোটি টাকা, যা গত অর্থবছরের তুলনায় সাড়ে ১০ হাজার কোটি টাকা বেশি। গত অর্থবছরের একই সময়ে এ খাতে আদায় হয়েছিল ৪৬ হাজার ২৩৮ কোটি টাকা। সংশ্লিষ্টরা জানান, মূলত বিশ্ববাজারে পণ্যের দাম বেড়ে যাওয়ায় আমদানি খাতে রাজস্ব আয় বেড়েছে।
এ সময়ে ভ্যাট আদায় হয়েছে ৬৬ হাজার ৮৭১ কোটি টাকা। ২০২০-২১ অর্থবছরের একই সময়ে আদায় হয়েছিল ৫৯ হাজার ৯৮৭ কোটি টাকা। ভ্যাটের প্রবৃদ্ধি ১১ দশমিক ৪৮ শতাংশ। আর আয়কর খাতে রাজস্ব আয় হয়েছে ৫৯ হাজার ৮০০ কোটি টাকা। লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে এ সময়ে আদায় হয়েছে ৫৩ হাজার ৩০৮ কোটি টাকা। প্রবৃদ্ধি ১৩ দশমিক ৭২ শতাংশ। এ খাতের ঘাটতি ৬ হাজার ৪৯২ কোটি টাকা।
এ বিষয়ে এনবিআরের কর্মকর্তারা জানান, করোনার ক্ষতি পুষিয়ে উঠতে হিমশিম খাচ্ছে দেশের বেসরকারি খাত। তাদের বেশি চাপ দেওয়ারও সুযোগ নেই। এ অবস্থার মধ্যেও গত অর্থবছরের চেয়ে বেশি রাজস্ব আয়ের প্রবৃদ্ধি হচ্ছে। লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হয়তো কঠিন হবে। তবে বিদ্যমান পরিস্থিতি বিবেচনায় নিলে যেটুকু আদায় হচ্ছে, সেটিও কম নয়। কর্মকর্তারা জানান, শেষ পর্যন্ত লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হয়তো সম্ভব হবে না। তাই রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রা সংশোধন করে কিছুটা কমিয়ে আনা হতে পারে। এটা যদিও এখনো চূড়ান্ত হয়নি। তবে তা কমাতে হতে পারে।
অর্থবছর যতই শেষের দিকে যাচ্ছে, রাজস্ব আদায়ের ঘাটতিও তত বড় হচ্ছে। ক্রমেই লক্ষ্যমাত্রা থেকে পিছিয়ে পড়ছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। চলতি অর্থবছরের আট মাসে রাজস্ব আদায়ে প্রায় ৪৬ শতাংশ ঘাটতি পড়েছে। বাকি চার মাসে ঘাটতি পূরণ করে স্বাভাবিক রাজস্ব আয়ের লক্ষ্য পূরণ অনেকটাই কঠিন হবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। এনবিআর সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
এ বিষয়ে এনবিআরের আয়কর শাখার সাবেক সদস্য অপূর্ব কান্তি দাস আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘রাজস্ব আয়ের লক্ষ্য পূরণ হবে না। তবে আমি মনে করি, রাজস্ব আয় বাড়াতে হলে কোনো বক্তৃতা নয়, আইন পরিবর্তন নয়, কাউকে ধরাধরি নয়; মাত্র একটি পদক্ষেপ নিতে হবে এনবিআরকে। সেটি হলো পুরো অটোমেশন। রাজস্ব খাতে যদি পুরোপুরি অটোমেশন করা সম্ভব হয়, তবে রাজস্ব আয়ের লক্ষ্য পূরণ করা নিয়ে এত আশঙ্কা থাকবে না। সবকিছু চলবে স্বয়ংক্রীয় পদ্ধতিতে। রাজস্ব আয় হবে নিজস্ব নিয়মে, স্বাভাবিক গতিতে।’
করোনার আঘাতের পর দুই বছর ধরে অর্থনীতি নানাভাবে আক্রান্ত। ফলে চলতি অর্থবছরে রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা না বাড়িয়ে তা আগের অর্থবছরের লক্ষ্যমাত্রার সমান রাখা হয়। তবে সময় যত যাচ্ছে, ততই রাজস্ব আয়ের ঘাটতি বাড়ছে। দেখা যাচ্ছে, আগের অর্থবছরের সমান রাখা রাজস্ব আয়ও শেষ পর্যন্ত অর্জন করা যাবে কি না সন্দেহ। ব্যবসা-বাণিজ্য ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করলেও করোনার ক্ষতি পুষিয়ে অর্থনীতি পুরো চাঙা হতে পারেনি। ফলে এর প্রভাব পড়ছে রাজস্ব আয়ে।
এনবিআর সূত্র জানায়, চলতি ২০২১-২২ অর্থবছরের বাজেটে সংস্থাটির মোট রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৩ লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকা। এর মধ্যে মূল্য সংযোজন কর বা ভ্যাট থেকে সবচেয়ে বেশি অর্থাৎ ১ লাখ ২৮ হাজার ৮৭৩ কোটি টাকা, আয়কর ও ভ্রমণ কর থেকে ১ লাখ ৫ হাজার ৪৭৫ কোটি টাকা এবং আমদানি শুল্ক থেকে ৯৫ হাজার ৬৫২ কোটি টাকা আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়।
চলতি অর্থবছরের রাজস্ব আয়ের চিত্র থেকে দেখা যায়, গত আট মাসে এনবিআর রাজস্ব আদায় করতে পেরেছে ১ লাখ ৭৭ হাজার ১৩৬ কোটি ১৬ লাখ টাকা, যা লক্ষ্যমাত্রার প্রায় ৬৪ শতাংশ কম। ফলে আরও আদায় করতে হবে প্রায় ১ লাখ ৫২ হাজার ৮৬৩ কোটি টাকা। আদায়ের প্রবৃদ্ধি প্রায় ১৬ শতাংশ। কিন্তু বাকি থাকা বিরাট অঙ্কের রাজস্ব আদায়ের জন্য এনবিআরের হাতে সময় আছে আর মাত্র চার মাস।
এনবিআরের খাতওয়ারি হিসাব থেকে জানা যায়, জুলাই থেকে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত আমদানি ও রপ্তানি পর্যায়ে সবচেয়ে বেশি, ২৩ দশমিক ১৮ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছে। এ সময়ে শুল্ক আদায় হয় প্রায় ৫৬ হাজার ৯৫৮ কোটি টাকা, যা গত অর্থবছরের তুলনায় সাড়ে ১০ হাজার কোটি টাকা বেশি। গত অর্থবছরের একই সময়ে এ খাতে আদায় হয়েছিল ৪৬ হাজার ২৩৮ কোটি টাকা। সংশ্লিষ্টরা জানান, মূলত বিশ্ববাজারে পণ্যের দাম বেড়ে যাওয়ায় আমদানি খাতে রাজস্ব আয় বেড়েছে।
এ সময়ে ভ্যাট আদায় হয়েছে ৬৬ হাজার ৮৭১ কোটি টাকা। ২০২০-২১ অর্থবছরের একই সময়ে আদায় হয়েছিল ৫৯ হাজার ৯৮৭ কোটি টাকা। ভ্যাটের প্রবৃদ্ধি ১১ দশমিক ৪৮ শতাংশ। আর আয়কর খাতে রাজস্ব আয় হয়েছে ৫৯ হাজার ৮০০ কোটি টাকা। লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে এ সময়ে আদায় হয়েছে ৫৩ হাজার ৩০৮ কোটি টাকা। প্রবৃদ্ধি ১৩ দশমিক ৭২ শতাংশ। এ খাতের ঘাটতি ৬ হাজার ৪৯২ কোটি টাকা।
এ বিষয়ে এনবিআরের কর্মকর্তারা জানান, করোনার ক্ষতি পুষিয়ে উঠতে হিমশিম খাচ্ছে দেশের বেসরকারি খাত। তাদের বেশি চাপ দেওয়ারও সুযোগ নেই। এ অবস্থার মধ্যেও গত অর্থবছরের চেয়ে বেশি রাজস্ব আয়ের প্রবৃদ্ধি হচ্ছে। লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হয়তো কঠিন হবে। তবে বিদ্যমান পরিস্থিতি বিবেচনায় নিলে যেটুকু আদায় হচ্ছে, সেটিও কম নয়। কর্মকর্তারা জানান, শেষ পর্যন্ত লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হয়তো সম্ভব হবে না। তাই রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রা সংশোধন করে কিছুটা কমিয়ে আনা হতে পারে। এটা যদিও এখনো চূড়ান্ত হয়নি। তবে তা কমাতে হতে পারে।
যুক্তরাষ্ট্রের পাল্টা শুল্ক আরোপের হুমকি বাংলাদেশকে এমন এক বাস্তবতার মুখোমুখি দাঁড় করিয়েছিল, যা ছিল অর্থনীতির জন্য ভয়াবহ এক সতর্কসংকেত। শেষ পর্যন্ত যদি এই শুল্কহার ১৫ শতাংশ কমিয়ে ২০ শতাংশে নির্ধারণ না করা হতো, বরং তা প্রতিযোগী দেশগুলোর তুলনায় আরও বেশি হতো। তবে এর অভিঘাত হতো বহুমাত্রিক ও ব্যাপক।
১ ঘণ্টা আগেযুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশি পণ্যের ওপর পাল্টা শুল্ক ৩৫ শতাংশ থেকে ২০ শতাংশে নামিয়ে আনায় দেশের পুঁজিবাজারে নতুন করে প্রাণ ফিরে এসেছে। সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবসে গতকাল রোববার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সূচকের পাশাপাশি লেনদেনেও বড় উত্থান হয়েছে। লেনদেন হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়ে প্রায় এক বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ হয়
২ ঘণ্টা আগেবিদেশে কর্মরত বাংলাদেশি প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্সে চলমান ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা অব্যাহত রয়েছে। চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে ২ দশমিক ৪৮ বিলিয়ন (২৪৭ কোটি ৭৯ লাখ) ডলারের রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন বিভিন্ন দেশে বসবাসরত প্রবাসীরা। বাংলাদেশি মুদ্রায় এর পরিমাণ প্রায় ৩০ হাজার ২৩৯ কোটি টাকা (প্রতি ডলা
২ ঘণ্টা আগেব্যাংকিং খাতকে ঝুঁকিনির্ভর তদারকির আওতায় আনতে এবং আর্থিক স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করতে ‘সুপারভাইজরি পলিসি অ্যান্ড কো-অর্ডিনেশন ডিপার্টমেন্ট’ (এসপিসিডি) নামে একটি নতুন বিভাগ চালু করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
৪ ঘণ্টা আগে