নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
চিকিৎসা খাতে আগামী বছরগুলোতে বিশাল বিনিয়োগের সম্ভাবনা তৈরি হচ্ছে। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, দেশের স্বাস্থ্য খাতের বাজার ২০৩৩ সালের মধ্যে ২৩ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছাতে পারে। প্রযুক্তির দ্রুত অগ্রগতি এবং মানুষের স্বাস্থ্যসেবার প্রতি বাড়তি আগ্রহ এই খাতে বিপুল সম্ভাবনা তৈরি করছে।
আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলে অনুষ্ঠিত ‘বাংলাদেশ ইনভেস্টমেন্ট সামিট ২০২৫ ’-এর একটি সেশনে এ বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। এই সেশনে প্রাভা হেলথের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ার সিলভানা কাদের সিনা মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশের স্বাস্থ্য খাতে বিনিয়োগের সুযোগ বড় এবং ২০৩৩ সালের মধ্যে এই খাতের বাজার উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পাবে।
সিলভানা কাদের বিশেষভাবে উল্লেখ করেন, চিকিৎসা সরঞ্জাম ও যন্ত্রপাতির বাজার দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং ২০৩০ সালের মধ্যে এই খাতের বাজার ২৩ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছাতে পারে। চিকিৎসা, ভোগ্যপণ্য ও উন্নত ডায়াগনস্টিক সরঞ্জামের চাহিদা এই বৃদ্ধির পেছনে প্রধান চালিকাশক্তি হিসেবে কাজ করছে।
এ ছাড়া স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব মো. সাইদুর রহমানও দেশের স্বাস্থ্য খাতের বিশাল সম্ভাবনা নিয়ে আশাবাদী। তিনি বলেন, স্বাস্থ্য খাতে বিনিয়োগকারীদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ সুযোগ তৈরি হয়েছে এবং ভবিষ্যতে এই খাত দেশের অর্থনীতির অন্যতম বড় খাত হিসেবে আবির্ভূত হবে।
সিলভানা কাদের সিনা আরও বলেন, দেশের স্বাস্থ্য খাত এখনো ব্যাপকভাবে আমদানিনির্ভর; কিন্তু এই খাতে স্থানীয় উৎপাদনের ব্যাপক সুযোগ রয়েছে। ইন ভিট্রো ডায়াগনস্টিক কিট ও স্বল্প ঝুঁকির হেলথ মনিটরিং ডিভাইস তৈরিতে বিনিয়োগের সুযোগ রয়েছে। তিনি জানান, অপারেশন থিয়েটার এবং আইসিইউ সরঞ্জামের চাহিদা বাড়ছে, যা স্থানীয় উৎপাদন ও বিনিয়োগকারীদের জন্য লাভজনক হতে পারে।
২০১০ সাল থেকে বাংলাদেশের স্বাস্থ্য খাত বার্ষিক ১০ দশমিক ৩ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে। খাতটি প্রায় ৩ লাখ মানুষের কর্মসংস্থান তৈরি করেছে এবং বর্তমানে এটি দেশে অতি গুরুত্বপূর্ণ একটি খাতে পরিণত হয়েছে। সিলভানা কাদের বলেন, দেশে জনসংখ্যা বৃদ্ধির পাশাপাশি মধ্যবিত্ত শ্রেণির প্রসার, অসংক্রামক রোগের বৃদ্ধি ও স্বাস্থ্যসেবার চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় এই খাতের সম্ভাবনা আরও বেড়েছে।
বাংলাদেশের স্বাস্থ্য খাতের বৈচিত্র্য সম্পর্কে সিলভানা আরও বলেন, এটি পাঁচটি মূল উপখাতে বিভক্ত—স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠান, ওষুধশিল্প, চিকিৎসা সরঞ্জাম ও যন্ত্রপাতি, ডিজিটাল হেলথ এবং চিকিৎসা জীবপ্রযুক্তি। বেসরকারি হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের বিস্তার এই খাতকে আরও শক্তিশালী করেছে এবং সরকারের নানা প্রণোদনার মাধ্যমে বেসরকারি খাতে বিনিয়োগ বাড়ছে। বিশেষ করে মহানগরের বাইরে বেসরকারি হাসপাতাল নির্মাণে কর অব্যাহতির সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে, যা পিপিপির (সরকারি-বেসরকারি অংশীদারত্ব) দিকে পরিচালিত করছে।
ফার্মাসিউটিক্যাল খাতও বাংলাদেশের একটি সম্ভাবনাময় খাত হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। সিলভানা কাদের মনে করেন, এটি একটি ‘ফারমার্জিং মার্কেট’ এবং ২০২৫ সালের মধ্যে এই খাতের বাজার ৬ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছাতে পারে, যার বার্ষিক প্রবৃদ্ধির হার ১২ শতাংশ। গ্যাস্ট্রোইনটেস্টিনাল, অ্যান্টিবায়োটিক ও জ্বর নিরাময়ী ওষুধের ক্ষেত্রে দেশীয় উৎপাদন-নির্ভরতা অনেক বেশি; যা দেশের চাহিদা পূরণে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখছে।
ডিজিটাল স্বাস্থ্যসেবার ক্ষেত্রেও বিপুল সম্ভাবনা রয়েছে। করোনা মহামারির পর ডিজিটাল স্বাস্থ্যসেবা উদ্ভাবনের নতুন সুযোগ তৈরি করেছে। সরকারের ‘ডিজিটাল হেলথ স্ট্র্যাটেজি ২০২৩-২৭’ উদ্যোগের আওতায়, ক্লাউডভিত্তিক ইলেকট্রনিক হেলথ রেকর্ড ও টেলিহেলথ প্ল্যাটফর্ম তৈরি করার পরিকল্পনা রয়েছে, যা চিকিৎসা খাতে বিপুল বিনিয়োগের সুযোগ সৃষ্টি করবে।
বিশ্ববিদ্যালয়, প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান ও বিদেশি কোম্পানির সঙ্গে অংশীদারত্ব গড়ে তোলার মাধ্যমে বাংলাদেশের স্বাস্থ্য খাতে নতুন উদ্ভাবন সম্ভব। সিলভানা কাদের সিনা মনে করেন, এই খাতে বিনিয়োগের জন্য দেশের প্রযুক্তি খাত ও স্থানীয় উদ্ভাবনী সক্ষমতা কাজে লাগানো গেলে বাংলাদেশ চিকিৎসা খাতে বিশ্বের অন্যতম গন্তব্যে পরিণত হতে পারে।
চিকিৎসা খাতে আগামী বছরগুলোতে বিশাল বিনিয়োগের সম্ভাবনা তৈরি হচ্ছে। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, দেশের স্বাস্থ্য খাতের বাজার ২০৩৩ সালের মধ্যে ২৩ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছাতে পারে। প্রযুক্তির দ্রুত অগ্রগতি এবং মানুষের স্বাস্থ্যসেবার প্রতি বাড়তি আগ্রহ এই খাতে বিপুল সম্ভাবনা তৈরি করছে।
আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলে অনুষ্ঠিত ‘বাংলাদেশ ইনভেস্টমেন্ট সামিট ২০২৫ ’-এর একটি সেশনে এ বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। এই সেশনে প্রাভা হেলথের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ার সিলভানা কাদের সিনা মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশের স্বাস্থ্য খাতে বিনিয়োগের সুযোগ বড় এবং ২০৩৩ সালের মধ্যে এই খাতের বাজার উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পাবে।
সিলভানা কাদের বিশেষভাবে উল্লেখ করেন, চিকিৎসা সরঞ্জাম ও যন্ত্রপাতির বাজার দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং ২০৩০ সালের মধ্যে এই খাতের বাজার ২৩ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছাতে পারে। চিকিৎসা, ভোগ্যপণ্য ও উন্নত ডায়াগনস্টিক সরঞ্জামের চাহিদা এই বৃদ্ধির পেছনে প্রধান চালিকাশক্তি হিসেবে কাজ করছে।
এ ছাড়া স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব মো. সাইদুর রহমানও দেশের স্বাস্থ্য খাতের বিশাল সম্ভাবনা নিয়ে আশাবাদী। তিনি বলেন, স্বাস্থ্য খাতে বিনিয়োগকারীদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ সুযোগ তৈরি হয়েছে এবং ভবিষ্যতে এই খাত দেশের অর্থনীতির অন্যতম বড় খাত হিসেবে আবির্ভূত হবে।
সিলভানা কাদের সিনা আরও বলেন, দেশের স্বাস্থ্য খাত এখনো ব্যাপকভাবে আমদানিনির্ভর; কিন্তু এই খাতে স্থানীয় উৎপাদনের ব্যাপক সুযোগ রয়েছে। ইন ভিট্রো ডায়াগনস্টিক কিট ও স্বল্প ঝুঁকির হেলথ মনিটরিং ডিভাইস তৈরিতে বিনিয়োগের সুযোগ রয়েছে। তিনি জানান, অপারেশন থিয়েটার এবং আইসিইউ সরঞ্জামের চাহিদা বাড়ছে, যা স্থানীয় উৎপাদন ও বিনিয়োগকারীদের জন্য লাভজনক হতে পারে।
২০১০ সাল থেকে বাংলাদেশের স্বাস্থ্য খাত বার্ষিক ১০ দশমিক ৩ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে। খাতটি প্রায় ৩ লাখ মানুষের কর্মসংস্থান তৈরি করেছে এবং বর্তমানে এটি দেশে অতি গুরুত্বপূর্ণ একটি খাতে পরিণত হয়েছে। সিলভানা কাদের বলেন, দেশে জনসংখ্যা বৃদ্ধির পাশাপাশি মধ্যবিত্ত শ্রেণির প্রসার, অসংক্রামক রোগের বৃদ্ধি ও স্বাস্থ্যসেবার চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় এই খাতের সম্ভাবনা আরও বেড়েছে।
বাংলাদেশের স্বাস্থ্য খাতের বৈচিত্র্য সম্পর্কে সিলভানা আরও বলেন, এটি পাঁচটি মূল উপখাতে বিভক্ত—স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠান, ওষুধশিল্প, চিকিৎসা সরঞ্জাম ও যন্ত্রপাতি, ডিজিটাল হেলথ এবং চিকিৎসা জীবপ্রযুক্তি। বেসরকারি হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের বিস্তার এই খাতকে আরও শক্তিশালী করেছে এবং সরকারের নানা প্রণোদনার মাধ্যমে বেসরকারি খাতে বিনিয়োগ বাড়ছে। বিশেষ করে মহানগরের বাইরে বেসরকারি হাসপাতাল নির্মাণে কর অব্যাহতির সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে, যা পিপিপির (সরকারি-বেসরকারি অংশীদারত্ব) দিকে পরিচালিত করছে।
ফার্মাসিউটিক্যাল খাতও বাংলাদেশের একটি সম্ভাবনাময় খাত হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। সিলভানা কাদের মনে করেন, এটি একটি ‘ফারমার্জিং মার্কেট’ এবং ২০২৫ সালের মধ্যে এই খাতের বাজার ৬ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছাতে পারে, যার বার্ষিক প্রবৃদ্ধির হার ১২ শতাংশ। গ্যাস্ট্রোইনটেস্টিনাল, অ্যান্টিবায়োটিক ও জ্বর নিরাময়ী ওষুধের ক্ষেত্রে দেশীয় উৎপাদন-নির্ভরতা অনেক বেশি; যা দেশের চাহিদা পূরণে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখছে।
ডিজিটাল স্বাস্থ্যসেবার ক্ষেত্রেও বিপুল সম্ভাবনা রয়েছে। করোনা মহামারির পর ডিজিটাল স্বাস্থ্যসেবা উদ্ভাবনের নতুন সুযোগ তৈরি করেছে। সরকারের ‘ডিজিটাল হেলথ স্ট্র্যাটেজি ২০২৩-২৭’ উদ্যোগের আওতায়, ক্লাউডভিত্তিক ইলেকট্রনিক হেলথ রেকর্ড ও টেলিহেলথ প্ল্যাটফর্ম তৈরি করার পরিকল্পনা রয়েছে, যা চিকিৎসা খাতে বিপুল বিনিয়োগের সুযোগ সৃষ্টি করবে।
বিশ্ববিদ্যালয়, প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান ও বিদেশি কোম্পানির সঙ্গে অংশীদারত্ব গড়ে তোলার মাধ্যমে বাংলাদেশের স্বাস্থ্য খাতে নতুন উদ্ভাবন সম্ভব। সিলভানা কাদের সিনা মনে করেন, এই খাতে বিনিয়োগের জন্য দেশের প্রযুক্তি খাত ও স্থানীয় উদ্ভাবনী সক্ষমতা কাজে লাগানো গেলে বাংলাদেশ চিকিৎসা খাতে বিশ্বের অন্যতম গন্তব্যে পরিণত হতে পারে।
পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত রানার অটোমোবাইলের এক উদ্যোক্তা পরিচালক নিজের নামে থাকা প্রতিষ্ঠানটির ৩৪ লাখ ৬ হাজার ২০০টি শেয়ার এক ছেলে ও এক মেয়েকে উপহার দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। আজ মঙ্গলবার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) মাধ্যমে তিনি এ ঘোষণা দেন।
৩০ মিনিট আগেআন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) একটি দল তাদের ঋণের শর্ত হিসেবে ঢাকায় সরকারি অর্থের হিসাব খতিয়ে দেখছে। একই সময়ে, বাংলাদেশ আগামী জুলাই মাস থেকে শুরু হওয়া অর্থবছরের জন্য প্রথমবারের মতো ছোট আকারের বাজেট তৈরি করছে। ছোট বাজেট তৈরি কারণ, দেশ নিয়মিতই বাজেট ব্যবহার ও বাস্তবায়নে পিছিয়ে থাকছে। বিশ্লেষকেরা
১ ঘণ্টা আগেদক্ষিণ এশিয়ায় ১৮ কোটি মানুষের দেশ বাংলাদেশ। দেশটি বিশ্বের অন্যতম দ্রুত বর্ধনশীল অর্থনীতি। সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশ এক অর্থনৈতিক পরিবর্তনের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে গেছে। মাথাপিছু জিডিপিতে ধারাবাহিকভাবে ভারতকে ছাড়িয়ে যাওয়া বাংলাদেশ ২০৩৫ সালের মধ্যে বিশ্ব শীর্ষ ২৫ তম অর্থনীতির দেশে পরিণত হবে বলে আশা করা
২ ঘণ্টা আগেটেক জায়ান্ট অ্যাপল ভারতে বেশ কিছুদিন হলো আইফোন তৈরি করছে। মার্কিন সম্প্রচারমাধ্যম ব্লুমবার্গের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কোম্পানিটি গত ১২ মাসে ভারতে প্রায় ২২ বিলিয়ন ডলার মূল্যের আইফোন তৈরি করেছে। এই পরিমাণ আগের বছরের তুলনায় প্রায় ৬০ শতাংশ বেশি। মূলত চীন থেকে উৎপাদন সরিয়ে নেওয়ার প্রচেষ্টার অংশ হিসেবেই
১৬ ঘণ্টা আগে