নিজস্ব প্রতিবেদক, সিলেট

কর দিয়ে কালো টাকা সাদা করার সুযোগ আছে বলে জানিয়েছেন অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের সিনিয়র সচিব ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান জনাব আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম। তিনি বলেছেন, ‘আপনি মানি লন্ডারিং করবেন, ব্ল্যাক মানি করবেন আর বিনা ট্যাক্সে আপনাকে এলাউ করতে হবে, তাহলে তো সেটা হবে না। রাস্তা খোলা আছে। আপনি লব্ধ পরিশোধিত এই টাকাটা আপনি যথাযথ ট্যাক্স দিয়ে পরিশোধ করে দেন।’
২০২৪-২০২৫ অর্থবছরের জাতীয় বাজেটকে সামনে রেখে সিলেট চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি ও এনবিআরের যৌথ উদ্যোগে প্রাক-বাজেট আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
আজ শনিবার বিকেলে নগরের মির্জা জাঙ্গালে অবস্থিত হোটেল নির্ভানা ইন-এ সিলেট চেম্বারের সভাপতি তাহমিন আহমদের সভাপতিত্বে আলোচনায় এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, ‘আপনারাই বলছেন মানি লন্ডারিং যাতে না হয়, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। যদি প্রশ্ন আসে প্রতিবছর, প্রতিবার, মাঝে মাঝে, প্রায়ই আমার কোনোভাবে যদি আমার ব্ল্যাক মানি হয়ে যায়, সেটাকে হালাল করতে দিতে হবে, হোয়াইট করতে দিতে হবে। তাহলে অনবরত ব্ল্যাক মানি হতেই থাকবে। সে জন্য আমরা এই ব্যবস্থা করতে পারি না।’
পাচারের অর্থ ও কালো টাকা কর ছাড়া সাদা হবে না জানিয়ে এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, ‘তবে আপনার জন্য সেই ব্যবস্থা আছে, সেই রাস্তা খোলা আছে। আপনি লব্ধ পরিশোধিত এই টাকাটা আপনি যথাযথ ট্যাক্স দিয়ে পরিশোধ করে দেন। কিন্তু আপনি মানি লন্ডারিং করবেন, ব্ল্যাক মানি করবেন আর বিনা ট্যাক্সে আপনাকে এলাউ করতে হবে, তাহলে তো সেটা হবে না। তাহলে তো কেউ আর ট্যাক্স দিবে না, সবাই বসে থাকবে।’
এনবিআর চেয়ারম্যান আরও বলেন, ‘আমাদের চিন্তায় আছে, করদাতাদের সরাসরি কিছু বেনিফিট বা সুবিধা কীভাবে দেওয়া যায়, যাতে করদাতারা কর দিতে আরও উদ্বুদ্ধ হয়, আগ্রহী হয়। যাতে একজন কর দেয় আর আরেকজন না দেয়, সেই জিনিসটা থাকবে না আমার দেশে। যখনই আমার একটা নাগরিক নম্বর থাকবে, তার অ্যাগেইনস্টে আমার একটা ট্যাক্স দেওয়ার সব থাকবে। যদি সেটাই একটা কনসেন্ট হয় যে, প্রত্যেকটা নাগরিক কর দিবে। কিছু না কিছু কর দিবে। কমবেশি কর দিবে। দেশের স্বার্থে, জনগণের স্বার্থে কর দিতে হবে।’
করের টাকা জনস্বার্থে ব্যয় হয় উল্লেখ করে এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, ‘করের টাকা দিয়ে সরকার দেশের অবকাঠামোগত উন্নয়ন, রাস্তা-ঘাট নির্মাণ, শিক্ষা ও চিকিৎসা সেবাসহ আপামর জনতার কল্যাণে কাজ করে যাচ্ছে। করের টাকায় বয়স্ক-ভাতা, বিধবা-ভাতাসহ প্রায় ২৯ রকমের ভাতা জনগণকে দেওয়া হচ্ছে। ধনী দেশগুলোর কাছে হাত পেতে এখন আমাদের চলতে হয় না।’
করদাতাদের সহায়তার আত্মতৃপ্তি নিয়ে কর প্রদানে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়ে এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, ‘নিয়মিত করদাতাদের ওপর করের বোঝা না বাড়িয়ে করের আওতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে আমরা কাজ করছি। গত ২০২০ সালের জুন মাস পর্যন্ত যেখানে ২১ লক্ষ করদাতা আয়কর রিটার্ন দাখিল করেছিলেন, সেখানে ২০২৩ সালের জুন পর্যন্ত ৩৫ লক্ষ করদাতা রিটার্ন দাখিল করেছেন। ২০২৪ সালের জুন পর্যন্ত আয়কর রিটার্ন দাখিলকারীর সংখ্যা ৪০ লক্ষে উন্নীত হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।’
সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন সিলেট চেম্বারের সিনিয়র সহসভাপতি ও এফবিসিসিআই এর পরিচালক ফালাহ উদ্দিন আলী আহমদ।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সদস্য গ্রেড-১ (কাস্টমস নীতি) মো. মাসুদ সাদিক বলেন, ‘আমরা আগামী বাজেটে বিলাসী পণ্য ও তামাকজাতীয় পণ্যে শুল্ক বৃদ্ধির পাশাপাশি মেডিকেল ইকুইপমেন্ট, ওষুধের কাঁচামাল ও কৃষিখাতে ব্যবহার্য সার, কীটনাশক ইত্যাদি আমদানিতে শুল্ক রেয়াত সুবিধা প্রদান করেছি।’
বোল্ডার স্টোনের অ্যাসেসমেন্ট ভ্যালু কমানো প্রসঙ্গে আমদানিকারকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘চিপ স্টোন ও বোল্ডার স্টোনের এইচ. এস কোড আলাদা এবং চিপ স্টোন আমদানিতে সম্পূরক শুল্ক দিতে হয়, কিন্তু বোল্ডার স্টোন আমদানিতে কোনো সম্পূরক শুল্ক নেই।’
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সদস্য (কর নীতি) এ কে এম বদিউল আলম বলেন, ‘আমরা করের পরিধি বৃদ্ধির মাধ্যমে করদাতাদের ওপর বোঝা লাঘব করার চেষ্টা করছি। ইতিমধ্যে ব্যক্তি করদাতার সর্বোচ্চ করের হার ৩০% থেকে ২৫% করা হয়েছে এবং করপোরেট ট্যাক্স হ্রাস করা হয়েছে। ভবিষ্যতেও ব্যবসায়ী ও করদাতাদের সুবিধা-অসুবিধা বিবেচনা করে কর নীতি প্রণয়ন করা হবে।’
সমাপনী বক্তব্য রাখেন সিলেট চেম্বারের সভাপতি তাহমিন আহমদ। সভায় জাতীয় বাজেটের বিভিন্ন দিক নিয়ে সচিত্র প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সদস্য গ্রেড-১ (কাস্টমস নীতি) মো. মাসুদ সাদিক, প্রথম সচিব জনাব মোহাম্মদ হাসমত আলী ও দ্বিতীয় সচিব বাপন চন্দ্র দাস।
সভায় বক্তাগণ পণ্য আমদানি না হলে পরিশোধিত অগ্রিম ট্যাক্স সহজে ফেরত প্রদান অথবা পরবর্তীতে তা সমন্বয়করণ, কয়লা, পাথর ও চুনাপাথরের অ্যাসেসমেন্ট রেট ক্রয়মূল্যের ওপর ভিত্তি করে নির্ধারণ, কৃষি মেশিনারিজের খুচরা যন্ত্রপাতি আমদানির ক্ষেত্রে শুল্ক হার হ্রাস করা, তাজা শাক-সবজি রপ্তানিতে প্রণোদনা বৃদ্ধি, টার্নওভার ট্যাক্স ও উৎসে কর হ্রাসকরণ, মফস্বল এলাকার ব্যবসায়ীদের করের আওতায় নিয়ে আসা, ব্যবসার স্থান স্থাপনার ক্ষেত্রে মূসকের হার কমানোসহ বিভিন্ন প্রস্তাব তুলে ধরেন।
সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, সিলেট চেম্বারের পরিচালক এবং ভ্যাট, বাজেট, কর সাব কমিটির ডাইরেক্টর ইনচার্জ আবু তাহের মো. শোয়েব, নবনির্বাচিত সিনিয়র সহসভাপতি মো. এমদাদ হোসেন, পরিচালক মুজিবুর রহমান মিন্টু, আলীমুল এহছান চৌধুরী, মেট্রোপলিটন চেম্বারের পরিচালক রাজীব ভৌমিক, সিলেট জেলা কর আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট মৃত্যুঞ্জয় ধর ভোলা, কর আইনজীবী মো. মাজাহারুল হক, মোহাম্মদ তোফাজ্জল হোসেন এফসিএ, অ্যাডভোকেট মো. আবুল ফজল, সিলেট চেম্বারের সদস্য মো. আবুল কালাম, মো. মোস্তাফিজুর রহমান, এস এম শায়েস্তা তালুকদার, কর আইনজীবী আবদুল আলীম পাঠান, হাসনু চৌধুরী প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কর কমিশনার সৈয়দ জাকির হোসেন, কাস্টমস এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেট সিলেটের কমিশনার (চলতি দায়িত্ব) মুহাম্মদ রাশেদুল আলম, এনবিআরের প্রথম সচিব ও প্রধান বাজেট সমন্বয়ক এস এম সোহেল রহমান, সিলেট চেম্বারের নবনির্বাচিত সহ সভাপতি এহতেশামুল হক চৌধুরী, পরিচালক ওয়াহিদুজ্জামান চৌধুরী (রাজিব), দেবাংশু দাস, কাজী মো. মোস্তাফিজুর রহমান, মো. সারোয়ার হোসেন ছেদু, মো. মাহবুবুল হাফিজ চৌধুরী (মুসফিক), শান্ত দেব, মো. রিমাদ আহমদ রুবেল, মো. মাহদী সালেহীন, আরিফ হোসেন, সাবেক পরিচালক মো. আব্দুর রহমান, সদস্য আবদুল মালিক মারুফ, সিলেট চেম্বারের সচিব মো. গোলাম আক্তার ফারুক।
এ ছাড়া অনুষ্ঠানে কাস্টমস ও কর বিভাগের কর্মকর্তাবৃন্দ, সিলেটের বিভিন্ন ব্যবসায়ী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ ও সিলেট চেম্বারের সদস্যবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন কর অঞ্চল-সিলেট এর উপ কর কমিশনার মো. সালেকুল ইসলাম ও সিলেট চেম্বারের সিনিয়র এক্সিকিউটিভ অফিসার মিনতি দেবী।
এর আগে সিলেটের জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের উদ্যোগে গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের সাথে ‘উন্নয়নের জন্য রাজস্ব’ ও ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দের সঙ্গে ‘প্রাক-বাজেট মতবিনিময় সভা’ অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সিলেট বিভাগীয় অঞ্চলের সরকারি-বেসরকারি অংশীজন সহযোগে অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (সার্বিক) জনাব দেবজিৎ সিংহের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়। জেলার বীর মুক্তিযোদ্ধা, জনপ্রতিনিধি, সাংবাদিক, লেখক, বুদ্ধিজীবী, পেশাজীবী নেতৃবৃন্দসহ সরকারি-বেসরকারি অফিসের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।

কর দিয়ে কালো টাকা সাদা করার সুযোগ আছে বলে জানিয়েছেন অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের সিনিয়র সচিব ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান জনাব আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম। তিনি বলেছেন, ‘আপনি মানি লন্ডারিং করবেন, ব্ল্যাক মানি করবেন আর বিনা ট্যাক্সে আপনাকে এলাউ করতে হবে, তাহলে তো সেটা হবে না। রাস্তা খোলা আছে। আপনি লব্ধ পরিশোধিত এই টাকাটা আপনি যথাযথ ট্যাক্স দিয়ে পরিশোধ করে দেন।’
২০২৪-২০২৫ অর্থবছরের জাতীয় বাজেটকে সামনে রেখে সিলেট চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি ও এনবিআরের যৌথ উদ্যোগে প্রাক-বাজেট আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
আজ শনিবার বিকেলে নগরের মির্জা জাঙ্গালে অবস্থিত হোটেল নির্ভানা ইন-এ সিলেট চেম্বারের সভাপতি তাহমিন আহমদের সভাপতিত্বে আলোচনায় এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, ‘আপনারাই বলছেন মানি লন্ডারিং যাতে না হয়, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। যদি প্রশ্ন আসে প্রতিবছর, প্রতিবার, মাঝে মাঝে, প্রায়ই আমার কোনোভাবে যদি আমার ব্ল্যাক মানি হয়ে যায়, সেটাকে হালাল করতে দিতে হবে, হোয়াইট করতে দিতে হবে। তাহলে অনবরত ব্ল্যাক মানি হতেই থাকবে। সে জন্য আমরা এই ব্যবস্থা করতে পারি না।’
পাচারের অর্থ ও কালো টাকা কর ছাড়া সাদা হবে না জানিয়ে এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, ‘তবে আপনার জন্য সেই ব্যবস্থা আছে, সেই রাস্তা খোলা আছে। আপনি লব্ধ পরিশোধিত এই টাকাটা আপনি যথাযথ ট্যাক্স দিয়ে পরিশোধ করে দেন। কিন্তু আপনি মানি লন্ডারিং করবেন, ব্ল্যাক মানি করবেন আর বিনা ট্যাক্সে আপনাকে এলাউ করতে হবে, তাহলে তো সেটা হবে না। তাহলে তো কেউ আর ট্যাক্স দিবে না, সবাই বসে থাকবে।’
এনবিআর চেয়ারম্যান আরও বলেন, ‘আমাদের চিন্তায় আছে, করদাতাদের সরাসরি কিছু বেনিফিট বা সুবিধা কীভাবে দেওয়া যায়, যাতে করদাতারা কর দিতে আরও উদ্বুদ্ধ হয়, আগ্রহী হয়। যাতে একজন কর দেয় আর আরেকজন না দেয়, সেই জিনিসটা থাকবে না আমার দেশে। যখনই আমার একটা নাগরিক নম্বর থাকবে, তার অ্যাগেইনস্টে আমার একটা ট্যাক্স দেওয়ার সব থাকবে। যদি সেটাই একটা কনসেন্ট হয় যে, প্রত্যেকটা নাগরিক কর দিবে। কিছু না কিছু কর দিবে। কমবেশি কর দিবে। দেশের স্বার্থে, জনগণের স্বার্থে কর দিতে হবে।’
করের টাকা জনস্বার্থে ব্যয় হয় উল্লেখ করে এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, ‘করের টাকা দিয়ে সরকার দেশের অবকাঠামোগত উন্নয়ন, রাস্তা-ঘাট নির্মাণ, শিক্ষা ও চিকিৎসা সেবাসহ আপামর জনতার কল্যাণে কাজ করে যাচ্ছে। করের টাকায় বয়স্ক-ভাতা, বিধবা-ভাতাসহ প্রায় ২৯ রকমের ভাতা জনগণকে দেওয়া হচ্ছে। ধনী দেশগুলোর কাছে হাত পেতে এখন আমাদের চলতে হয় না।’
করদাতাদের সহায়তার আত্মতৃপ্তি নিয়ে কর প্রদানে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়ে এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, ‘নিয়মিত করদাতাদের ওপর করের বোঝা না বাড়িয়ে করের আওতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে আমরা কাজ করছি। গত ২০২০ সালের জুন মাস পর্যন্ত যেখানে ২১ লক্ষ করদাতা আয়কর রিটার্ন দাখিল করেছিলেন, সেখানে ২০২৩ সালের জুন পর্যন্ত ৩৫ লক্ষ করদাতা রিটার্ন দাখিল করেছেন। ২০২৪ সালের জুন পর্যন্ত আয়কর রিটার্ন দাখিলকারীর সংখ্যা ৪০ লক্ষে উন্নীত হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।’
সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন সিলেট চেম্বারের সিনিয়র সহসভাপতি ও এফবিসিসিআই এর পরিচালক ফালাহ উদ্দিন আলী আহমদ।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সদস্য গ্রেড-১ (কাস্টমস নীতি) মো. মাসুদ সাদিক বলেন, ‘আমরা আগামী বাজেটে বিলাসী পণ্য ও তামাকজাতীয় পণ্যে শুল্ক বৃদ্ধির পাশাপাশি মেডিকেল ইকুইপমেন্ট, ওষুধের কাঁচামাল ও কৃষিখাতে ব্যবহার্য সার, কীটনাশক ইত্যাদি আমদানিতে শুল্ক রেয়াত সুবিধা প্রদান করেছি।’
বোল্ডার স্টোনের অ্যাসেসমেন্ট ভ্যালু কমানো প্রসঙ্গে আমদানিকারকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘চিপ স্টোন ও বোল্ডার স্টোনের এইচ. এস কোড আলাদা এবং চিপ স্টোন আমদানিতে সম্পূরক শুল্ক দিতে হয়, কিন্তু বোল্ডার স্টোন আমদানিতে কোনো সম্পূরক শুল্ক নেই।’
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সদস্য (কর নীতি) এ কে এম বদিউল আলম বলেন, ‘আমরা করের পরিধি বৃদ্ধির মাধ্যমে করদাতাদের ওপর বোঝা লাঘব করার চেষ্টা করছি। ইতিমধ্যে ব্যক্তি করদাতার সর্বোচ্চ করের হার ৩০% থেকে ২৫% করা হয়েছে এবং করপোরেট ট্যাক্স হ্রাস করা হয়েছে। ভবিষ্যতেও ব্যবসায়ী ও করদাতাদের সুবিধা-অসুবিধা বিবেচনা করে কর নীতি প্রণয়ন করা হবে।’
সমাপনী বক্তব্য রাখেন সিলেট চেম্বারের সভাপতি তাহমিন আহমদ। সভায় জাতীয় বাজেটের বিভিন্ন দিক নিয়ে সচিত্র প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সদস্য গ্রেড-১ (কাস্টমস নীতি) মো. মাসুদ সাদিক, প্রথম সচিব জনাব মোহাম্মদ হাসমত আলী ও দ্বিতীয় সচিব বাপন চন্দ্র দাস।
সভায় বক্তাগণ পণ্য আমদানি না হলে পরিশোধিত অগ্রিম ট্যাক্স সহজে ফেরত প্রদান অথবা পরবর্তীতে তা সমন্বয়করণ, কয়লা, পাথর ও চুনাপাথরের অ্যাসেসমেন্ট রেট ক্রয়মূল্যের ওপর ভিত্তি করে নির্ধারণ, কৃষি মেশিনারিজের খুচরা যন্ত্রপাতি আমদানির ক্ষেত্রে শুল্ক হার হ্রাস করা, তাজা শাক-সবজি রপ্তানিতে প্রণোদনা বৃদ্ধি, টার্নওভার ট্যাক্স ও উৎসে কর হ্রাসকরণ, মফস্বল এলাকার ব্যবসায়ীদের করের আওতায় নিয়ে আসা, ব্যবসার স্থান স্থাপনার ক্ষেত্রে মূসকের হার কমানোসহ বিভিন্ন প্রস্তাব তুলে ধরেন।
সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, সিলেট চেম্বারের পরিচালক এবং ভ্যাট, বাজেট, কর সাব কমিটির ডাইরেক্টর ইনচার্জ আবু তাহের মো. শোয়েব, নবনির্বাচিত সিনিয়র সহসভাপতি মো. এমদাদ হোসেন, পরিচালক মুজিবুর রহমান মিন্টু, আলীমুল এহছান চৌধুরী, মেট্রোপলিটন চেম্বারের পরিচালক রাজীব ভৌমিক, সিলেট জেলা কর আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট মৃত্যুঞ্জয় ধর ভোলা, কর আইনজীবী মো. মাজাহারুল হক, মোহাম্মদ তোফাজ্জল হোসেন এফসিএ, অ্যাডভোকেট মো. আবুল ফজল, সিলেট চেম্বারের সদস্য মো. আবুল কালাম, মো. মোস্তাফিজুর রহমান, এস এম শায়েস্তা তালুকদার, কর আইনজীবী আবদুল আলীম পাঠান, হাসনু চৌধুরী প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কর কমিশনার সৈয়দ জাকির হোসেন, কাস্টমস এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেট সিলেটের কমিশনার (চলতি দায়িত্ব) মুহাম্মদ রাশেদুল আলম, এনবিআরের প্রথম সচিব ও প্রধান বাজেট সমন্বয়ক এস এম সোহেল রহমান, সিলেট চেম্বারের নবনির্বাচিত সহ সভাপতি এহতেশামুল হক চৌধুরী, পরিচালক ওয়াহিদুজ্জামান চৌধুরী (রাজিব), দেবাংশু দাস, কাজী মো. মোস্তাফিজুর রহমান, মো. সারোয়ার হোসেন ছেদু, মো. মাহবুবুল হাফিজ চৌধুরী (মুসফিক), শান্ত দেব, মো. রিমাদ আহমদ রুবেল, মো. মাহদী সালেহীন, আরিফ হোসেন, সাবেক পরিচালক মো. আব্দুর রহমান, সদস্য আবদুল মালিক মারুফ, সিলেট চেম্বারের সচিব মো. গোলাম আক্তার ফারুক।
এ ছাড়া অনুষ্ঠানে কাস্টমস ও কর বিভাগের কর্মকর্তাবৃন্দ, সিলেটের বিভিন্ন ব্যবসায়ী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ ও সিলেট চেম্বারের সদস্যবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন কর অঞ্চল-সিলেট এর উপ কর কমিশনার মো. সালেকুল ইসলাম ও সিলেট চেম্বারের সিনিয়র এক্সিকিউটিভ অফিসার মিনতি দেবী।
এর আগে সিলেটের জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের উদ্যোগে গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের সাথে ‘উন্নয়নের জন্য রাজস্ব’ ও ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দের সঙ্গে ‘প্রাক-বাজেট মতবিনিময় সভা’ অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সিলেট বিভাগীয় অঞ্চলের সরকারি-বেসরকারি অংশীজন সহযোগে অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (সার্বিক) জনাব দেবজিৎ সিংহের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়। জেলার বীর মুক্তিযোদ্ধা, জনপ্রতিনিধি, সাংবাদিক, লেখক, বুদ্ধিজীবী, পেশাজীবী নেতৃবৃন্দসহ সরকারি-বেসরকারি অফিসের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।

ঢাকার বাইকচালক কমিউনিটিকে সহযোগিতায় বিশেষ এক উদ্যোগ গ্রহণ করেছে ফ্রান্সের পারফরমেন্স লুব্রিকেন্ট ব্র্যান্ড ইএলএফ লুব্রিকেন্টস। তারা সম্প্রতি কমিউনিটি ওয়েলবিইং রাইড আয়োজন করে।
৮ মিনিট আগে
বৈশ্বিক লেনদেনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম ও মার্কিন মুদ্রা ডলারের মান শক্তিশালী হয়েছে এবং চীন-যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে উত্তেজনা থিতিয়ে আসতে শুরু করেছে। এরই প্রেক্ষাপটে আন্তর্জাতিক বাজারে সোনার দাম কিছুটা কমেছে। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
২ ঘণ্টা আগে
দেশে গ্যাস অনুসন্ধান ও উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে সরকার বাপেক্সের সক্ষমতা বাড়াতে দুটি বড় প্রকল্প হাতে নিয়েছে। এর মধ্যে একটি হলো ‘২০০০ হর্স পাওয়ার রিগ ক্রয়’ এবং অন্যটি চারটি মূল্যায়ন ও উন্নয়ন কূপসহ শাহবাজপুর নর্থ-ইস্ট-১ অনুসন্ধান কূপ। দুটি প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য মোট বাজেট ধরা হয়েছে ২ হাজার ১৩২ কোটি টাক
১৩ ঘণ্টা আগে
চট্টগ্রামের রাষ্ট্রায়ত্ত চিটাগাং ইউরিয়া ফার্টিলাইজার লিমিটেড (সিইউএফএল) দীর্ঘ ৬ মাস ১০ দিন বন্ধ থাকার পর আগামী ২৯ অক্টোবর থেকে আবার পূর্ণমাত্রায় উৎপাদনে ফেরার প্রস্তুতি নিচ্ছে। কারখানার ব্যবস্থাপনা পরিচালক মিজানুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
১৪ ঘণ্টা আগেফিচার ডেস্ক

ঢাকার বাইকচালক কমিউনিটিকে সহযোগিতায় বিশেষ এক উদ্যোগ গ্রহণ করেছে ফ্রান্সের পারফরমেন্স লুব্রিকেন্ট ব্র্যান্ড ইএলএফ লুব্রিকেন্টস। তারা সম্প্রতি কমিউনিটি ওয়েলবিইং রাইড আয়োজন করে।
‘ইএলএফ মর্নিং রাইড’ শীর্ষক এ আয়োজন শুরু হয় তেজগাঁওয়ের জাপান পার্টস শোরুম থেকে এবং শেষ হয় ৩০০ ফিটের কাঞ্চন ব্রিজ এলাকায়। এ রাইডে পাঠাও রাইডার, কমিউনিটি রাইডার, গণমাধ্যমকর্মী এবং ইএলএফের ক্রেতারাসহ অন্য অংশীদারেরাও অংশগ্রহণ করেন।
যৌথভাবে এ রাইডের আয়োজন করে রাইড শেয়ারিং প্ল্যাটফর্ম পাঠাও ও ইএলএফ। আয়োজনে মেডিকেল সহায়তা প্রদান করে হেলথকেয়ার পার্টনার আরোগ্য। ঢাকাকে প্রতিদিন যাঁরা সচল রাখেন, তাঁদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানানোর পাশাপাশি রাইডারদের নিরাপত্তা ও সার্বিক সুস্থতার ওপর গুরুত্বারোপ করতে এ উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়।

উদ্যোগের অংশ হিসেবে আরোগ্যর সহায়তায় ১০০ পাঠাও রাইডার বিনা খরচে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করানোর সুযোগ পান। যার মধ্যে ছিল পাঁচটি মূল মেডিকেল টেস্ট। নিয়মিত চিকিৎসাসেবার বাইরে থাকা রাইডারদের জন্য আয়োজনটি ছিল বিশেষ সুযোগ।
এ উদ্যোগ নিয়ে ইএলএফ বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনা পরিচালক দেওয়ান সাজেদুর রহমান বলেন, ‘বাইকচালকেরা এ শহরের যাতায়াত কার্যক্রমের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অংশ। তাঁদের প্রতি সম্মান জানাতেই আমরা আজ ‘ইএলএফ মর্নিং রাইড’ আয়োজন করেছি। এ উদ্যোগ তাঁদের স্বাস্থ্য, নিরাপত্তা ও জীবিকার সঙ্গে সম্পর্কিত। পাঠাও রাইডারদের জন্য বিনা মূল্যে স্বাস্থ্য পরীক্ষা আয়োজন করতে পেরে আমরা গর্বিত। এ আয়োজনের মাধ্যমে প্রতিদিন যাঁরা ঢাকাকে সচল রাখেন, তাঁদের পাশে আমরা দাঁড়াতে পেরেছি। এটা শুধু একটি আয়োজনই নয়, এ উদ্যোগ আমাদের ইএলএফ লাইফস্টাইলের অংশ।’
অনুষ্ঠানে রাইডারেরা নিজেদের অভিজ্ঞতা তুলে ধরেন, স্বাস্থ্য নিয়ে আলোচনা করেন এবং একে অন্যের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ পরিবেশে সময় কাটান।
ইএলএফ বাংলাদেশের পরিচালক কোসুকে ইয়োশিদা বলেন, ‘এই রাইডের মূল বার্তা হলো কমিউনিটি ও যত্ন। বন্ধুত্বপূর্ণ রাইড ও বিনা মূল্যে স্বাস্থ্যসেবা দেওয়ার মাধ্যমে আমাদের চেষ্টা ছিল নিজেদের নিষ্ঠা ও অঙ্গীকারকে সবার সঙ্গে ভাগাভাগি করে নেওয়া।’
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন টোটাল এনার্জিস বাংলাদেশের কমার্শিয়াল সেলস ডিরেক্টর টেরি হায়াশি। তিনি রাইডে অংশ নেন এবং অংশগ্রহণকারীদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন।

ঢাকার বাইকচালক কমিউনিটিকে সহযোগিতায় বিশেষ এক উদ্যোগ গ্রহণ করেছে ফ্রান্সের পারফরমেন্স লুব্রিকেন্ট ব্র্যান্ড ইএলএফ লুব্রিকেন্টস। তারা সম্প্রতি কমিউনিটি ওয়েলবিইং রাইড আয়োজন করে।
‘ইএলএফ মর্নিং রাইড’ শীর্ষক এ আয়োজন শুরু হয় তেজগাঁওয়ের জাপান পার্টস শোরুম থেকে এবং শেষ হয় ৩০০ ফিটের কাঞ্চন ব্রিজ এলাকায়। এ রাইডে পাঠাও রাইডার, কমিউনিটি রাইডার, গণমাধ্যমকর্মী এবং ইএলএফের ক্রেতারাসহ অন্য অংশীদারেরাও অংশগ্রহণ করেন।
যৌথভাবে এ রাইডের আয়োজন করে রাইড শেয়ারিং প্ল্যাটফর্ম পাঠাও ও ইএলএফ। আয়োজনে মেডিকেল সহায়তা প্রদান করে হেলথকেয়ার পার্টনার আরোগ্য। ঢাকাকে প্রতিদিন যাঁরা সচল রাখেন, তাঁদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানানোর পাশাপাশি রাইডারদের নিরাপত্তা ও সার্বিক সুস্থতার ওপর গুরুত্বারোপ করতে এ উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়।

উদ্যোগের অংশ হিসেবে আরোগ্যর সহায়তায় ১০০ পাঠাও রাইডার বিনা খরচে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করানোর সুযোগ পান। যার মধ্যে ছিল পাঁচটি মূল মেডিকেল টেস্ট। নিয়মিত চিকিৎসাসেবার বাইরে থাকা রাইডারদের জন্য আয়োজনটি ছিল বিশেষ সুযোগ।
এ উদ্যোগ নিয়ে ইএলএফ বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনা পরিচালক দেওয়ান সাজেদুর রহমান বলেন, ‘বাইকচালকেরা এ শহরের যাতায়াত কার্যক্রমের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অংশ। তাঁদের প্রতি সম্মান জানাতেই আমরা আজ ‘ইএলএফ মর্নিং রাইড’ আয়োজন করেছি। এ উদ্যোগ তাঁদের স্বাস্থ্য, নিরাপত্তা ও জীবিকার সঙ্গে সম্পর্কিত। পাঠাও রাইডারদের জন্য বিনা মূল্যে স্বাস্থ্য পরীক্ষা আয়োজন করতে পেরে আমরা গর্বিত। এ আয়োজনের মাধ্যমে প্রতিদিন যাঁরা ঢাকাকে সচল রাখেন, তাঁদের পাশে আমরা দাঁড়াতে পেরেছি। এটা শুধু একটি আয়োজনই নয়, এ উদ্যোগ আমাদের ইএলএফ লাইফস্টাইলের অংশ।’
অনুষ্ঠানে রাইডারেরা নিজেদের অভিজ্ঞতা তুলে ধরেন, স্বাস্থ্য নিয়ে আলোচনা করেন এবং একে অন্যের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ পরিবেশে সময় কাটান।
ইএলএফ বাংলাদেশের পরিচালক কোসুকে ইয়োশিদা বলেন, ‘এই রাইডের মূল বার্তা হলো কমিউনিটি ও যত্ন। বন্ধুত্বপূর্ণ রাইড ও বিনা মূল্যে স্বাস্থ্যসেবা দেওয়ার মাধ্যমে আমাদের চেষ্টা ছিল নিজেদের নিষ্ঠা ও অঙ্গীকারকে সবার সঙ্গে ভাগাভাগি করে নেওয়া।’
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন টোটাল এনার্জিস বাংলাদেশের কমার্শিয়াল সেলস ডিরেক্টর টেরি হায়াশি। তিনি রাইডে অংশ নেন এবং অংশগ্রহণকারীদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন।

কর দিয়ে কালো টাকা সাদা করার সুযোগ আছে বলে জানিয়েছেন অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের সিনিয়র সচিব ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান জনাব আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম। তিনি বলেছেন, ‘আপনি মানি লন্ডারিং করবেন, ব্ল্যাক মানি করবেন আর বিনা ট্যাক্সে আপনাকে এলাউ করতে হবে, তাহলে তো সেটা হবে না। রাস্তা খোলা আছে
০৩ মার্চ ২০২৪
বৈশ্বিক লেনদেনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম ও মার্কিন মুদ্রা ডলারের মান শক্তিশালী হয়েছে এবং চীন-যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে উত্তেজনা থিতিয়ে আসতে শুরু করেছে। এরই প্রেক্ষাপটে আন্তর্জাতিক বাজারে সোনার দাম কিছুটা কমেছে। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
২ ঘণ্টা আগে
দেশে গ্যাস অনুসন্ধান ও উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে সরকার বাপেক্সের সক্ষমতা বাড়াতে দুটি বড় প্রকল্প হাতে নিয়েছে। এর মধ্যে একটি হলো ‘২০০০ হর্স পাওয়ার রিগ ক্রয়’ এবং অন্যটি চারটি মূল্যায়ন ও উন্নয়ন কূপসহ শাহবাজপুর নর্থ-ইস্ট-১ অনুসন্ধান কূপ। দুটি প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য মোট বাজেট ধরা হয়েছে ২ হাজার ১৩২ কোটি টাক
১৩ ঘণ্টা আগে
চট্টগ্রামের রাষ্ট্রায়ত্ত চিটাগাং ইউরিয়া ফার্টিলাইজার লিমিটেড (সিইউএফএল) দীর্ঘ ৬ মাস ১০ দিন বন্ধ থাকার পর আগামী ২৯ অক্টোবর থেকে আবার পূর্ণমাত্রায় উৎপাদনে ফেরার প্রস্তুতি নিচ্ছে। কারখানার ব্যবস্থাপনা পরিচালক মিজানুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
১৪ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

বৈশ্বিক লেনদেনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম ও মার্কিন মুদ্রা ডলারের মান শক্তিশালী হয়েছে এবং চীন-যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে উত্তেজনা থিতিয়ে আসতে শুরু করেছে। এরই প্রেক্ষাপটে আন্তর্জাতিক বাজারে সোনার দাম কিছুটা কমেছে। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আজ সোমবার আন্তর্জাতিক বাজারে স্বর্ণের দাম কমেছে। ডলারের মান শক্তিশালী হওয়া এবং যুক্তরাষ্ট্র-চীন বাণিজ্য উত্তেজনা কিছুটা কমে আসার ইঙ্গিত মেলার কারণে নিরাপদ বিনিয়োগ হিসেবে পরিচিত ধাতুটির চাহিদা কমে গেছে। এদিকে সপ্তাহের শেষভাগে বিশ্বের বড় কয়েকটি কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নীতিনির্ধারণী বৈঠককে ঘিরে দিকনির্দেশনার অপেক্ষায় রয়েছে বিনিয়োগকারীরা।
গ্রিনউইচ মান সময় সকাল ৬টা ৫৫ মিনিট পর্যন্ত স্পট গোল্ড, অর্থাৎ তাৎক্ষণিকভাবে যেসব সোনা বিক্রি হবে তার দাম দশমিক ৮ শতাংশ কমে আউন্সপ্রতি ৪ হাজার ৭৭ দশমিক ১১ ডলারে দাঁড়ায়। ফিউচার গোল্ড, অর্থাৎ অদূর ভবিষ্যতে যেসব সোনা সরবরাহ করা হবে কিন্তু ক্রয়-বিক্রয় এখনই সম্পন্ন হবে—সেগুলোর দামও কিছুটা কমেছে। আগামী ডিসেম্বর সরবরাহের জন্য সোনার দাম ১ দশমিক ১ শতাংশ কমে আউন্সপ্রতি ৪ হাজার ৯০ দশমিক ৯০ ডলারে দাঁড়িয়েছে।
ডলারের মান জাপানি মুদ্রা ইয়েনের বিপরীতে দুই সপ্তাহেরও বেশি সময়ের মধ্যে সর্বোচ্চ পর্যায়ে উঠে গেছে, ফলে অন্য মুদ্রাধারীদের জন্য স্বর্ণ আরও ব্যয়বহুল হয়ে পড়েছে।
এদিকে, গতকাল রোববার যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের শীর্ষ অর্থনৈতিক কর্মকর্তারা এক বৈঠকে সম্ভাব্য বাণিজ্য চুক্তির একটি খসড়া কাঠামো নিয়ে ঐকমত্যে পৌঁছেছেন। চলতি সপ্তাহের শেষের দিকে বা আগামী সপ্তাহের শুরুর দিকে এ চুক্তি নিয়ে শেষ সিদ্ধান্ত নেবেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং।
ক্যাপিটাল ডটকমের বিশ্লেষক কাইল রডা বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র-চীনের সম্ভাব্য এই বাণিজ্য চুক্তির খবরটা বেশ আকস্মিকভাবে এসেছে, তবে বাজারের জন্য এটি এক ইতিবাচক চমক। তবে এর উল্টো দিক হলো, এই পরিস্থিতি সোনার বাজারের জন্য নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘বাজার এখন কিছুটা স্থিতিশীল অবস্থায় ফিরে এসেছে এবং বিনিয়োগকারীদের মনোভাবও স্বাভাবিক হচ্ছে। ভবিষ্যতে শিথিল আর্থিক ও মুদ্রানীতি অব্যাহত থাকবে—এই প্রত্যাশাই স্বর্ণকে এখনো টিকিয়ে রেখেছে। যদি সেটি বজায় থাকে, স্বর্ণের ঊর্ধ্বমুখী ধারা অব্যাহত থাকবে।’
ফেডারেল রিজার্ভের এই সপ্তাহের বৈঠকে সুদহার এক-চতুর্থাংশ শতাংশ কমানোর সম্ভাবনাই সবচেয়ে প্রবল। শুক্রবার প্রকাশিত প্রত্যাশার চেয়ে দুর্বল মুদ্রাস্ফীতি প্রতিবেদনের পর এ অনুমান আরও জোরদার হয়েছে। তবে এই হার কমানো বাজারে আগেই মূল্যায়িত হয়েছে। এখন বিনিয়োগকারীরা ফেড চেয়ারম্যান জেরোম পাওয়েলের ভবিষ্যৎমুখী মন্তব্যের দিকেই তাকিয়ে আছেন।
সুদবিহীন সম্পদ হিসেবে স্বর্ণ সাধারণত নিম্ন সুদের পরিবেশে লাভবান হয়। বিশ্বের সবচেয়ে বড় স্বর্ণ এক্সচেঞ্জ—ট্রেডেড ফান্ড (ইটিএফ) এসপিডিআর গোল্ড ট্রাস্ট জানিয়েছে, শুক্রবার এর মজুত ১ হাজার ৫২ দশমিক ৩৭ টন থেকে কমে ১ হাজার ৪৬ দশমিক ৯৩ টনে নেমেছে, অর্থাৎ দশমিক ৫২ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে।
অন্যদিকে, স্পট সিলভারের দাম দশমিক ৬ শতাংশ কমে আউন্সপ্রতি ৪৮ দশমিক ৩১ ডলার হয়। প্লাটিনামের দাম দশমিক ৭ শতাংশ বেড়ে আউন্সপ্রতি ১ হাজার ৬১৬ দশমিক ৩০ ডলারে দাঁড়িয়েছে। প্যালাডিয়ামের দাম দশমিক ৫ শতাংশ বেড়ে আউন্সপ্রতি ১ হাজার ৪৩৫ দশমিক ৭৫ ডলারে উঠেছে।

বৈশ্বিক লেনদেনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম ও মার্কিন মুদ্রা ডলারের মান শক্তিশালী হয়েছে এবং চীন-যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে উত্তেজনা থিতিয়ে আসতে শুরু করেছে। এরই প্রেক্ষাপটে আন্তর্জাতিক বাজারে সোনার দাম কিছুটা কমেছে। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আজ সোমবার আন্তর্জাতিক বাজারে স্বর্ণের দাম কমেছে। ডলারের মান শক্তিশালী হওয়া এবং যুক্তরাষ্ট্র-চীন বাণিজ্য উত্তেজনা কিছুটা কমে আসার ইঙ্গিত মেলার কারণে নিরাপদ বিনিয়োগ হিসেবে পরিচিত ধাতুটির চাহিদা কমে গেছে। এদিকে সপ্তাহের শেষভাগে বিশ্বের বড় কয়েকটি কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নীতিনির্ধারণী বৈঠককে ঘিরে দিকনির্দেশনার অপেক্ষায় রয়েছে বিনিয়োগকারীরা।
গ্রিনউইচ মান সময় সকাল ৬টা ৫৫ মিনিট পর্যন্ত স্পট গোল্ড, অর্থাৎ তাৎক্ষণিকভাবে যেসব সোনা বিক্রি হবে তার দাম দশমিক ৮ শতাংশ কমে আউন্সপ্রতি ৪ হাজার ৭৭ দশমিক ১১ ডলারে দাঁড়ায়। ফিউচার গোল্ড, অর্থাৎ অদূর ভবিষ্যতে যেসব সোনা সরবরাহ করা হবে কিন্তু ক্রয়-বিক্রয় এখনই সম্পন্ন হবে—সেগুলোর দামও কিছুটা কমেছে। আগামী ডিসেম্বর সরবরাহের জন্য সোনার দাম ১ দশমিক ১ শতাংশ কমে আউন্সপ্রতি ৪ হাজার ৯০ দশমিক ৯০ ডলারে দাঁড়িয়েছে।
ডলারের মান জাপানি মুদ্রা ইয়েনের বিপরীতে দুই সপ্তাহেরও বেশি সময়ের মধ্যে সর্বোচ্চ পর্যায়ে উঠে গেছে, ফলে অন্য মুদ্রাধারীদের জন্য স্বর্ণ আরও ব্যয়বহুল হয়ে পড়েছে।
এদিকে, গতকাল রোববার যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের শীর্ষ অর্থনৈতিক কর্মকর্তারা এক বৈঠকে সম্ভাব্য বাণিজ্য চুক্তির একটি খসড়া কাঠামো নিয়ে ঐকমত্যে পৌঁছেছেন। চলতি সপ্তাহের শেষের দিকে বা আগামী সপ্তাহের শুরুর দিকে এ চুক্তি নিয়ে শেষ সিদ্ধান্ত নেবেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং।
ক্যাপিটাল ডটকমের বিশ্লেষক কাইল রডা বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র-চীনের সম্ভাব্য এই বাণিজ্য চুক্তির খবরটা বেশ আকস্মিকভাবে এসেছে, তবে বাজারের জন্য এটি এক ইতিবাচক চমক। তবে এর উল্টো দিক হলো, এই পরিস্থিতি সোনার বাজারের জন্য নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘বাজার এখন কিছুটা স্থিতিশীল অবস্থায় ফিরে এসেছে এবং বিনিয়োগকারীদের মনোভাবও স্বাভাবিক হচ্ছে। ভবিষ্যতে শিথিল আর্থিক ও মুদ্রানীতি অব্যাহত থাকবে—এই প্রত্যাশাই স্বর্ণকে এখনো টিকিয়ে রেখেছে। যদি সেটি বজায় থাকে, স্বর্ণের ঊর্ধ্বমুখী ধারা অব্যাহত থাকবে।’
ফেডারেল রিজার্ভের এই সপ্তাহের বৈঠকে সুদহার এক-চতুর্থাংশ শতাংশ কমানোর সম্ভাবনাই সবচেয়ে প্রবল। শুক্রবার প্রকাশিত প্রত্যাশার চেয়ে দুর্বল মুদ্রাস্ফীতি প্রতিবেদনের পর এ অনুমান আরও জোরদার হয়েছে। তবে এই হার কমানো বাজারে আগেই মূল্যায়িত হয়েছে। এখন বিনিয়োগকারীরা ফেড চেয়ারম্যান জেরোম পাওয়েলের ভবিষ্যৎমুখী মন্তব্যের দিকেই তাকিয়ে আছেন।
সুদবিহীন সম্পদ হিসেবে স্বর্ণ সাধারণত নিম্ন সুদের পরিবেশে লাভবান হয়। বিশ্বের সবচেয়ে বড় স্বর্ণ এক্সচেঞ্জ—ট্রেডেড ফান্ড (ইটিএফ) এসপিডিআর গোল্ড ট্রাস্ট জানিয়েছে, শুক্রবার এর মজুত ১ হাজার ৫২ দশমিক ৩৭ টন থেকে কমে ১ হাজার ৪৬ দশমিক ৯৩ টনে নেমেছে, অর্থাৎ দশমিক ৫২ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে।
অন্যদিকে, স্পট সিলভারের দাম দশমিক ৬ শতাংশ কমে আউন্সপ্রতি ৪৮ দশমিক ৩১ ডলার হয়। প্লাটিনামের দাম দশমিক ৭ শতাংশ বেড়ে আউন্সপ্রতি ১ হাজার ৬১৬ দশমিক ৩০ ডলারে দাঁড়িয়েছে। প্যালাডিয়ামের দাম দশমিক ৫ শতাংশ বেড়ে আউন্সপ্রতি ১ হাজার ৪৩৫ দশমিক ৭৫ ডলারে উঠেছে।

কর দিয়ে কালো টাকা সাদা করার সুযোগ আছে বলে জানিয়েছেন অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের সিনিয়র সচিব ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান জনাব আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম। তিনি বলেছেন, ‘আপনি মানি লন্ডারিং করবেন, ব্ল্যাক মানি করবেন আর বিনা ট্যাক্সে আপনাকে এলাউ করতে হবে, তাহলে তো সেটা হবে না। রাস্তা খোলা আছে
০৩ মার্চ ২০২৪
ঢাকার বাইকচালক কমিউনিটিকে সহযোগিতায় বিশেষ এক উদ্যোগ গ্রহণ করেছে ফ্রান্সের পারফরমেন্স লুব্রিকেন্ট ব্র্যান্ড ইএলএফ লুব্রিকেন্টস। তারা সম্প্রতি কমিউনিটি ওয়েলবিইং রাইড আয়োজন করে।
৮ মিনিট আগে
দেশে গ্যাস অনুসন্ধান ও উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে সরকার বাপেক্সের সক্ষমতা বাড়াতে দুটি বড় প্রকল্প হাতে নিয়েছে। এর মধ্যে একটি হলো ‘২০০০ হর্স পাওয়ার রিগ ক্রয়’ এবং অন্যটি চারটি মূল্যায়ন ও উন্নয়ন কূপসহ শাহবাজপুর নর্থ-ইস্ট-১ অনুসন্ধান কূপ। দুটি প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য মোট বাজেট ধরা হয়েছে ২ হাজার ১৩২ কোটি টাক
১৩ ঘণ্টা আগে
চট্টগ্রামের রাষ্ট্রায়ত্ত চিটাগাং ইউরিয়া ফার্টিলাইজার লিমিটেড (সিইউএফএল) দীর্ঘ ৬ মাস ১০ দিন বন্ধ থাকার পর আগামী ২৯ অক্টোবর থেকে আবার পূর্ণমাত্রায় উৎপাদনে ফেরার প্রস্তুতি নিচ্ছে। কারখানার ব্যবস্থাপনা পরিচালক মিজানুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
১৪ ঘণ্টা আগেমাহফুজুল ইসলাম, ঢাকা

দেশে গ্যাস অনুসন্ধান ও উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে সরকার বাপেক্সের সক্ষমতা বাড়াতে দুটি বড় প্রকল্প হাতে নিয়েছে। এর মধ্যে একটি হলো ‘২০০০ হর্স পাওয়ার রিগ ক্রয়’ এবং অন্যটি চারটি মূল্যায়ন ও উন্নয়ন কূপসহ শাহবাজপুর নর্থ-ইস্ট-১ অনুসন্ধান কূপ। দুটি প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য মোট বাজেট ধরা হয়েছে ২ হাজার ১৩২ কোটি টাকা।
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাবিত এই প্রকল্পগুলো ইতিমধ্যে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক) সভায় অনুমোদন পেয়েছে। মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, দেশে গ্যাসের দৈনিক চাহিদা প্রায় ৩ হাজার ৮০০ থেকে ৪ হাজার মিলিয়ন ঘনফুট, কিন্তু সরবরাহ করা হচ্ছে সর্বোচ্চ ২ হাজার ৭০০ মিলিয়ন ঘনফুট। এ ব্যবধানের কারণে শিল্প, বিদ্যুৎকেন্দ্র ও গৃহস্থালি ব্যবহারকারীরা প্রায়ই সংকটে পড়ছেন।
বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, এ প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে দেশের গ্যাস অনুসন্ধান ও উৎপাদনে নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হবে। এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে জ্বালানি বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক মো. শামসুল আলম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘প্রকল্প নেওয়া গুরুত্বপূর্ণ, কিন্তু সেগুলো দ্রুত বাস্তবায়ন নিশ্চিত করার দিকেও মনোযোগী হওয়া উচিত। আগে দেখা গেছে, প্রকল্প শুরু হলেও সময়মতো শেষ হয় না। এমনটি যেন আর না ঘটে। তবে এর জন্য পরিকল্পনা কমিশন ও জ্বালানি বিভাগের আরও সক্রিয় নজরদারি জরুরি।’
২০০০ হর্স পাওয়ার রিগ ক্রয় প্রকল্প
প্রথম প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ৫৭৭ কোটি ২৩ লাখ টাকা। এর মধ্যে সরকার দেবে ৫২০ কোটি, বাপেক্স নিজস্ব অর্থায়ন করবে ৫৭ কোটি ২৩ লাখ টাকা। প্রকল্পের মেয়াদ শুরু হয়েছে চলতি বছরের জুলাই থেকে, যার বাস্তবায়নের সময়সীমা ২০২৭ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত। এই রিগ কেনার মাধ্যমে বাপেক্স নতুন গ্যাস কূপ খননের সক্ষমতা বাড়াবে। বর্তমানে পুরোনো রিগের কারণে খনন কার্যক্রমে নানা ধরনের জটিলতা তৈরি হয়। এ ধরনের প্রতিবন্ধকতা দূরীকরণের জন্যই নতুন প্রকল্প।
ভোলা ও শাহবাজপুরে পাঁচটি কূপ খনন
দ্বিতীয় প্রকল্পের আওতায় ভোলা অঞ্চলে চারটি মূল্যায়ন ও উন্নয়ন কূপ (শাহবাজপুর-৫ ও ৭, ভোলা নর্থ-৩ ও ৪) এবং একটি অনুসন্ধান কূপ (শাহবাজপুর নর্থ-ইস্ট-১) খনন করা হবে। এ প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ১ হাজার ৫৫৫ কোটি ৬৬ লাখ টাকা। এ ক্ষেত্রে সরকার দেবে ১ হাজার ২৪৪ কোটি ৮০ লাখ, আর বাপেক্সের নিজস্ব অর্থায়ন ৩১০ কোটি ৮৬ লাখ টাকা। প্রকল্পের মেয়াদ ২০২৮ সালের জুন পর্যন্ত।
পরিকল্পনা কমিশনের নথি অনুযায়ী, কূপ খননের পাশাপাশি সংযোগ সড়ক নির্মাণ, কূপ পরীক্ষণ, উন্নয়নমূলক কাজ, সিমুলেশন সফটওয়্যার ও হার্ডওয়্যার ক্রয়সহ অন্যান্য কার্যক্রম সম্পন্ন হবে। বাপেক্সের এমডি প্রকৌশলী মো. ফজলুল হক জানান, কূপগুলোর মাধ্যমে নতুন গ্যাসের মজুত আবিষ্কারের সম্ভাবনা রয়েছে। পরীক্ষণ সফল হলে জাতীয় গ্রিডে সরবরাহ বাড়ানো সম্ভব হবে।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘এই প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে গ্যাস আমদানির ওপর নির্ভরতা কমবে। ভোলা অঞ্চলের নতুন গ্যাসক্ষেত্র বাণিজ্যিকভাবে কাজে লাগানো সম্ভব হবে।’
পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় আরও জানিয়েছে, ২০২৫-২৬ অর্থবছরে এই দুটি প্রকল্পের পাশাপাশি সিলেটে ১২নং কূপ খনন এবং হবিগঞ্জ, বাখরাবাদ ও মেঘনা ফিল্ডে ৩ডি সাইসমিক জরিপের জন্য অর্থ বরাদ্দ রাখা হয়েছে। যদিও প্রকল্পগুলো শুরু হওয়ার কথা চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে, তবে এখনো তা একনেক সভায় আনুষ্ঠানিক অনুমোদন পায়নি।

দেশে গ্যাস অনুসন্ধান ও উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে সরকার বাপেক্সের সক্ষমতা বাড়াতে দুটি বড় প্রকল্প হাতে নিয়েছে। এর মধ্যে একটি হলো ‘২০০০ হর্স পাওয়ার রিগ ক্রয়’ এবং অন্যটি চারটি মূল্যায়ন ও উন্নয়ন কূপসহ শাহবাজপুর নর্থ-ইস্ট-১ অনুসন্ধান কূপ। দুটি প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য মোট বাজেট ধরা হয়েছে ২ হাজার ১৩২ কোটি টাকা।
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাবিত এই প্রকল্পগুলো ইতিমধ্যে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক) সভায় অনুমোদন পেয়েছে। মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, দেশে গ্যাসের দৈনিক চাহিদা প্রায় ৩ হাজার ৮০০ থেকে ৪ হাজার মিলিয়ন ঘনফুট, কিন্তু সরবরাহ করা হচ্ছে সর্বোচ্চ ২ হাজার ৭০০ মিলিয়ন ঘনফুট। এ ব্যবধানের কারণে শিল্প, বিদ্যুৎকেন্দ্র ও গৃহস্থালি ব্যবহারকারীরা প্রায়ই সংকটে পড়ছেন।
বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, এ প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে দেশের গ্যাস অনুসন্ধান ও উৎপাদনে নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হবে। এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে জ্বালানি বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক মো. শামসুল আলম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘প্রকল্প নেওয়া গুরুত্বপূর্ণ, কিন্তু সেগুলো দ্রুত বাস্তবায়ন নিশ্চিত করার দিকেও মনোযোগী হওয়া উচিত। আগে দেখা গেছে, প্রকল্প শুরু হলেও সময়মতো শেষ হয় না। এমনটি যেন আর না ঘটে। তবে এর জন্য পরিকল্পনা কমিশন ও জ্বালানি বিভাগের আরও সক্রিয় নজরদারি জরুরি।’
২০০০ হর্স পাওয়ার রিগ ক্রয় প্রকল্প
প্রথম প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ৫৭৭ কোটি ২৩ লাখ টাকা। এর মধ্যে সরকার দেবে ৫২০ কোটি, বাপেক্স নিজস্ব অর্থায়ন করবে ৫৭ কোটি ২৩ লাখ টাকা। প্রকল্পের মেয়াদ শুরু হয়েছে চলতি বছরের জুলাই থেকে, যার বাস্তবায়নের সময়সীমা ২০২৭ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত। এই রিগ কেনার মাধ্যমে বাপেক্স নতুন গ্যাস কূপ খননের সক্ষমতা বাড়াবে। বর্তমানে পুরোনো রিগের কারণে খনন কার্যক্রমে নানা ধরনের জটিলতা তৈরি হয়। এ ধরনের প্রতিবন্ধকতা দূরীকরণের জন্যই নতুন প্রকল্প।
ভোলা ও শাহবাজপুরে পাঁচটি কূপ খনন
দ্বিতীয় প্রকল্পের আওতায় ভোলা অঞ্চলে চারটি মূল্যায়ন ও উন্নয়ন কূপ (শাহবাজপুর-৫ ও ৭, ভোলা নর্থ-৩ ও ৪) এবং একটি অনুসন্ধান কূপ (শাহবাজপুর নর্থ-ইস্ট-১) খনন করা হবে। এ প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ১ হাজার ৫৫৫ কোটি ৬৬ লাখ টাকা। এ ক্ষেত্রে সরকার দেবে ১ হাজার ২৪৪ কোটি ৮০ লাখ, আর বাপেক্সের নিজস্ব অর্থায়ন ৩১০ কোটি ৮৬ লাখ টাকা। প্রকল্পের মেয়াদ ২০২৮ সালের জুন পর্যন্ত।
পরিকল্পনা কমিশনের নথি অনুযায়ী, কূপ খননের পাশাপাশি সংযোগ সড়ক নির্মাণ, কূপ পরীক্ষণ, উন্নয়নমূলক কাজ, সিমুলেশন সফটওয়্যার ও হার্ডওয়্যার ক্রয়সহ অন্যান্য কার্যক্রম সম্পন্ন হবে। বাপেক্সের এমডি প্রকৌশলী মো. ফজলুল হক জানান, কূপগুলোর মাধ্যমে নতুন গ্যাসের মজুত আবিষ্কারের সম্ভাবনা রয়েছে। পরীক্ষণ সফল হলে জাতীয় গ্রিডে সরবরাহ বাড়ানো সম্ভব হবে।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘এই প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে গ্যাস আমদানির ওপর নির্ভরতা কমবে। ভোলা অঞ্চলের নতুন গ্যাসক্ষেত্র বাণিজ্যিকভাবে কাজে লাগানো সম্ভব হবে।’
পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় আরও জানিয়েছে, ২০২৫-২৬ অর্থবছরে এই দুটি প্রকল্পের পাশাপাশি সিলেটে ১২নং কূপ খনন এবং হবিগঞ্জ, বাখরাবাদ ও মেঘনা ফিল্ডে ৩ডি সাইসমিক জরিপের জন্য অর্থ বরাদ্দ রাখা হয়েছে। যদিও প্রকল্পগুলো শুরু হওয়ার কথা চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে, তবে এখনো তা একনেক সভায় আনুষ্ঠানিক অনুমোদন পায়নি।

কর দিয়ে কালো টাকা সাদা করার সুযোগ আছে বলে জানিয়েছেন অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের সিনিয়র সচিব ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান জনাব আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম। তিনি বলেছেন, ‘আপনি মানি লন্ডারিং করবেন, ব্ল্যাক মানি করবেন আর বিনা ট্যাক্সে আপনাকে এলাউ করতে হবে, তাহলে তো সেটা হবে না। রাস্তা খোলা আছে
০৩ মার্চ ২০২৪
ঢাকার বাইকচালক কমিউনিটিকে সহযোগিতায় বিশেষ এক উদ্যোগ গ্রহণ করেছে ফ্রান্সের পারফরমেন্স লুব্রিকেন্ট ব্র্যান্ড ইএলএফ লুব্রিকেন্টস। তারা সম্প্রতি কমিউনিটি ওয়েলবিইং রাইড আয়োজন করে।
৮ মিনিট আগে
বৈশ্বিক লেনদেনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম ও মার্কিন মুদ্রা ডলারের মান শক্তিশালী হয়েছে এবং চীন-যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে উত্তেজনা থিতিয়ে আসতে শুরু করেছে। এরই প্রেক্ষাপটে আন্তর্জাতিক বাজারে সোনার দাম কিছুটা কমেছে। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
২ ঘণ্টা আগে
চট্টগ্রামের রাষ্ট্রায়ত্ত চিটাগাং ইউরিয়া ফার্টিলাইজার লিমিটেড (সিইউএফএল) দীর্ঘ ৬ মাস ১০ দিন বন্ধ থাকার পর আগামী ২৯ অক্টোবর থেকে আবার পূর্ণমাত্রায় উৎপাদনে ফেরার প্রস্তুতি নিচ্ছে। কারখানার ব্যবস্থাপনা পরিচালক মিজানুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
১৪ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম ও কর্ণফুলী প্রতিনিধি

চট্টগ্রামের রাষ্ট্রায়ত্ত চিটাগাং ইউরিয়া ফার্টিলাইজার লিমিটেড (সিইউএফএল) দীর্ঘ ৬ মাস ১০ দিন বন্ধ থাকার পর আগামী ২৯ অক্টোবর থেকে আবার পূর্ণমাত্রায় উৎপাদনে ফেরার প্রস্তুতি নিচ্ছে। কারখানার ব্যবস্থাপনা পরিচালক মিজানুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে এর আগে চলতি বছরের ১১ এপ্রিল থেকে হঠাৎ গ্যাস সরবরাহ বন্ধ থাকায় কারখানাটি বন্ধ হয়ে যায়। ফলে পুরো সময়টায় সার উৎপাদন বন্ধ থাকে।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে সিইউএফএলএর ব্যবস্থাপনা পরিচালক মিজানুর রহমান আজকের পত্রিকাকে জানান, ১৯ অক্টোবর বেলা ১১টায় কারখানায় আবার গ্যাস সরবরাহ শুরু হয়েছে। তিনি আরও জানিয়েছেন, গ্যাস সরবরাহ পুনরায় চালু হওয়ায় সার উৎপাদন প্রক্রিয়াও এখন স্টার্টআপ পর্যায়ে রয়েছে। উৎপাদন শুরু হলে কারখানার দৈনিক গ্যাস চাহিদা হবে ৪৫ থেকে ৫২ মিলিয়ন ঘনফুট। তিনি আশা প্রকাশ করছেন, ২৯ অথবা ৩০ অক্টোবরের দিকে কারখানা পুরোপুরি উৎপাদনে ফিরবে।
সিইউএফএল সচল থাকলে দৈনিক ১১ হাজার টন ইউরিয়া সার উৎপাদন সম্ভব, প্রতি টন ৩৮ হাজার টাকা হিসাবে যার মোট বাজারমূল্য ৪ কোটি ১৮ লাখ টাকা। এ ছাড়া কারখানায় প্রতিদিন ৮০০ টন অ্যামোনিয়া উৎপাদন হয়। তবে কয়েক বছর ধরেই যান্ত্রিক ত্রুটি, গ্যাস সরবরাহে ব্যাঘাত এবং অন্যান্য জটিলতায় উৎপাদন অনেক সময় বন্ধ থাকছে। ২০২৩-২৪ অর্থবছরে কারখানাটি মাত্র ৫ দিন উৎপাদন করেছে। ২০২৪ সালের ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে ১৩ অক্টোবর পর্যন্ত ১০ মাস ধরে উৎপাদন বন্ধ ছিল, এরপর চালু হলেও ২০২৫ সালের ৩ জানুয়ারি আবার যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা দেয়। সর্বশেষ গত ২৬ ফেব্রুয়ারি চালু হয় কারখানা। এরপর টানা উৎপাদন দেড় মাস চলার পর ১১ এপ্রিল আবারও বন্ধ হয়ে যায়। এ বছর ২৪০ দিন উৎপাদন বন্ধ থাকার ফলে প্রায় ২ হাজার কোটি টাকা ক্ষতি হয়েছে বলেও সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়।
এ অবস্থায় দেশের ইউরিয়া সারের চাহিদা পূরণে বিদেশ থেকে আমদানি করতে হচ্ছে, যাতে সরকারের কয়েক হাজার কোটি টাকা অতিরিক্ত ব্যয় হচ্ছে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সিইউএফএল স্থিতিশীলভাবে উৎপাদন চালু থাকলে সরকার কম খরচে দেশের চাহিদা পূরণ করতে পারবে। তবে নানা জটিলতায় বছরের পর বছর কারখানাটি নিয়মিত উৎপাদনে থাকতে পারছে না। পাশেই অবস্থিত বেসরকারি বহুজাতিক সার কারখানা কর্ণফুলী ফার্টিলাইজার লিমিটেড (কাফকো) নিয়মিত গ্যাস পায় অথচ সরকারি প্রতিষ্ঠান সিইউএফএলে গ্যাস সরবরাহ বন্ধ থাকে। বিষয়টি নিয়ে সমালোচনা ও প্রশ্ন রয়েছে।
কারখানা চালু হলে দৈনিক উৎপাদিত ইউরিয়া এবং অ্যামোনিয়ার মাধ্যমে দেশের সার সরবরাহ নিশ্চিত হবে এবং সরকারের অর্থনৈতিক ক্ষতি কমবে। একই সঙ্গে, দেশের কৃষি খাতের জন্য প্রয়োজনীয় সার সরবরাহে স্থিতিশীলতা বৃদ্ধি পাবে, যা স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক বাজারে সার রফতানি ও সরবরাহের ওপর ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে।

চট্টগ্রামের রাষ্ট্রায়ত্ত চিটাগাং ইউরিয়া ফার্টিলাইজার লিমিটেড (সিইউএফএল) দীর্ঘ ৬ মাস ১০ দিন বন্ধ থাকার পর আগামী ২৯ অক্টোবর থেকে আবার পূর্ণমাত্রায় উৎপাদনে ফেরার প্রস্তুতি নিচ্ছে। কারখানার ব্যবস্থাপনা পরিচালক মিজানুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে এর আগে চলতি বছরের ১১ এপ্রিল থেকে হঠাৎ গ্যাস সরবরাহ বন্ধ থাকায় কারখানাটি বন্ধ হয়ে যায়। ফলে পুরো সময়টায় সার উৎপাদন বন্ধ থাকে।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে সিইউএফএলএর ব্যবস্থাপনা পরিচালক মিজানুর রহমান আজকের পত্রিকাকে জানান, ১৯ অক্টোবর বেলা ১১টায় কারখানায় আবার গ্যাস সরবরাহ শুরু হয়েছে। তিনি আরও জানিয়েছেন, গ্যাস সরবরাহ পুনরায় চালু হওয়ায় সার উৎপাদন প্রক্রিয়াও এখন স্টার্টআপ পর্যায়ে রয়েছে। উৎপাদন শুরু হলে কারখানার দৈনিক গ্যাস চাহিদা হবে ৪৫ থেকে ৫২ মিলিয়ন ঘনফুট। তিনি আশা প্রকাশ করছেন, ২৯ অথবা ৩০ অক্টোবরের দিকে কারখানা পুরোপুরি উৎপাদনে ফিরবে।
সিইউএফএল সচল থাকলে দৈনিক ১১ হাজার টন ইউরিয়া সার উৎপাদন সম্ভব, প্রতি টন ৩৮ হাজার টাকা হিসাবে যার মোট বাজারমূল্য ৪ কোটি ১৮ লাখ টাকা। এ ছাড়া কারখানায় প্রতিদিন ৮০০ টন অ্যামোনিয়া উৎপাদন হয়। তবে কয়েক বছর ধরেই যান্ত্রিক ত্রুটি, গ্যাস সরবরাহে ব্যাঘাত এবং অন্যান্য জটিলতায় উৎপাদন অনেক সময় বন্ধ থাকছে। ২০২৩-২৪ অর্থবছরে কারখানাটি মাত্র ৫ দিন উৎপাদন করেছে। ২০২৪ সালের ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে ১৩ অক্টোবর পর্যন্ত ১০ মাস ধরে উৎপাদন বন্ধ ছিল, এরপর চালু হলেও ২০২৫ সালের ৩ জানুয়ারি আবার যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা দেয়। সর্বশেষ গত ২৬ ফেব্রুয়ারি চালু হয় কারখানা। এরপর টানা উৎপাদন দেড় মাস চলার পর ১১ এপ্রিল আবারও বন্ধ হয়ে যায়। এ বছর ২৪০ দিন উৎপাদন বন্ধ থাকার ফলে প্রায় ২ হাজার কোটি টাকা ক্ষতি হয়েছে বলেও সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়।
এ অবস্থায় দেশের ইউরিয়া সারের চাহিদা পূরণে বিদেশ থেকে আমদানি করতে হচ্ছে, যাতে সরকারের কয়েক হাজার কোটি টাকা অতিরিক্ত ব্যয় হচ্ছে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সিইউএফএল স্থিতিশীলভাবে উৎপাদন চালু থাকলে সরকার কম খরচে দেশের চাহিদা পূরণ করতে পারবে। তবে নানা জটিলতায় বছরের পর বছর কারখানাটি নিয়মিত উৎপাদনে থাকতে পারছে না। পাশেই অবস্থিত বেসরকারি বহুজাতিক সার কারখানা কর্ণফুলী ফার্টিলাইজার লিমিটেড (কাফকো) নিয়মিত গ্যাস পায় অথচ সরকারি প্রতিষ্ঠান সিইউএফএলে গ্যাস সরবরাহ বন্ধ থাকে। বিষয়টি নিয়ে সমালোচনা ও প্রশ্ন রয়েছে।
কারখানা চালু হলে দৈনিক উৎপাদিত ইউরিয়া এবং অ্যামোনিয়ার মাধ্যমে দেশের সার সরবরাহ নিশ্চিত হবে এবং সরকারের অর্থনৈতিক ক্ষতি কমবে। একই সঙ্গে, দেশের কৃষি খাতের জন্য প্রয়োজনীয় সার সরবরাহে স্থিতিশীলতা বৃদ্ধি পাবে, যা স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক বাজারে সার রফতানি ও সরবরাহের ওপর ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে।

কর দিয়ে কালো টাকা সাদা করার সুযোগ আছে বলে জানিয়েছেন অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের সিনিয়র সচিব ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান জনাব আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম। তিনি বলেছেন, ‘আপনি মানি লন্ডারিং করবেন, ব্ল্যাক মানি করবেন আর বিনা ট্যাক্সে আপনাকে এলাউ করতে হবে, তাহলে তো সেটা হবে না। রাস্তা খোলা আছে
০৩ মার্চ ২০২৪
ঢাকার বাইকচালক কমিউনিটিকে সহযোগিতায় বিশেষ এক উদ্যোগ গ্রহণ করেছে ফ্রান্সের পারফরমেন্স লুব্রিকেন্ট ব্র্যান্ড ইএলএফ লুব্রিকেন্টস। তারা সম্প্রতি কমিউনিটি ওয়েলবিইং রাইড আয়োজন করে।
৮ মিনিট আগে
বৈশ্বিক লেনদেনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম ও মার্কিন মুদ্রা ডলারের মান শক্তিশালী হয়েছে এবং চীন-যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে উত্তেজনা থিতিয়ে আসতে শুরু করেছে। এরই প্রেক্ষাপটে আন্তর্জাতিক বাজারে সোনার দাম কিছুটা কমেছে। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
২ ঘণ্টা আগে
দেশে গ্যাস অনুসন্ধান ও উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে সরকার বাপেক্সের সক্ষমতা বাড়াতে দুটি বড় প্রকল্প হাতে নিয়েছে। এর মধ্যে একটি হলো ‘২০০০ হর্স পাওয়ার রিগ ক্রয়’ এবং অন্যটি চারটি মূল্যায়ন ও উন্নয়ন কূপসহ শাহবাজপুর নর্থ-ইস্ট-১ অনুসন্ধান কূপ। দুটি প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য মোট বাজেট ধরা হয়েছে ২ হাজার ১৩২ কোটি টাক
১৩ ঘণ্টা আগে